সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী অবৈধ ঘোষিত হয়েছে, যদিও আদালত কিছু সামরিক ফরমানকে সংবিধানের চেতনানুগ বিবেচনা করে ক্ষমা করেছেন।
এই রায়ের বেশ ক'টি ইমপ্যাক্টের একটি হচ্ছে, দেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ হবে। এ নিয়ে নানারকম পরস্পরবিরোধী ও কিছু স্ববিরোধী কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে।
প্রথম আলোর এই খবরটি থেকে জানতে পারছি, নির্বাচন কমিশন [প্রথম আলোর মতো পত্রিকাও একে ইসি ডাকা শুরু করেছে, মনে হয় বেশি ফ্যাশনদুরস্ত শোনায়, ভবিষ্যতে হয়তো মুক্তিযোদ্ধাদের এফেফ লিখবে পত্রিকাটি, জিকে {জিকে মানে গড নৌজ}] "রায় কার্যকর হবার পর সিদ্ধান্ত নেবে", ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন থাকবে কি থাকবে না। এই রায় কার্যকর করবে সরকার।
ব্যাপারটা এখানেই ঘোলাটে। আপিল বিভাগের রায় কার্যকর না করার এখতিয়ার কি সরকারের আছে?
এদিকে সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা বলেছেন, সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা হবে না। রাজনৈতিক দলের রাজনীতি করার অধিকার থাকা না-থাকার বিষয়টি নির্ধারণ করবে নির্বাচন কমিশন।
ব্যাপারটা তৈলাধার পাত্র না পাত্রাধার তৈল গোছের তর্কে চলে গেলো না?
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেছেন, ‘সংবিধানে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ থাকবে না বলে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এটি মোটেই সত্য নয়। নাগরিকের অনুভূতিতে আঘাত লাগবে—সংবিধানে এমন কোনো সংশোধনী আনা হবে না।
আপিল বিভাগের রায় যদি কার্যকর করা হয়, সংবিধানে অনির্বাচিত অগণতান্ত্রিক শক্তির জুড়ে দেয়া এই "বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম" বাক্যটিও বিলুপ্ত হবার কথা। এই রায় প্রয়োগে "নাগরিকের অনুভূতি"র মতো অসংজ্ঞায়িত বিষয় বিবেচনায় নেয়া হবে ঠিক কীভাবে?
আমি বাংলাদেশের একজন নাগরিক, এবং সংবিধানের শুরুতে "বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম" সংযোজনকে আমি অপ্রয়োজনীয় এবং সংবিধানে বর্ণিত বাংলাদেশ রাষ্ট্রের চার ভিত্তির একটি, ধর্মনিরপেক্ষতার লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচনা করি। আরব বিশ্বে সিরিয়ার মতো দেশের সংবিধান, যেখানে প্রেসিডেন্টের ধর্ম ইসলাম নির্দিষ্ট করে দেয়া আছে, সেখানেও সংবিধানের শুরুতে "বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম" সংযোজন করা হয়নি। এর কারণ হতে পারে, রাষ্ট্রের কোনো ধর্ম প্রকৃত পক্ষে নেই। রাষ্ট্রের খৎনা দিতে হয় না, রাষ্ট্রকে মুতে এসে নুনুর আগায় কুলুখ এঁটে চল্লিশ কদম হাঁটতে হয় না, রাষ্ট্রকে অজু করে এসে নামাজ পড়তে হয় না, রাষ্ট্রকে রোজা রাখতে হয় না, রাষ্ট্রকে হজ করতেও যেতে হয় না, রাষ্ট্রের দুই কাঁধে ফেরেশতা বসানো থাকে না, কিংবা রাষ্ট্রের মৃত্যুর পর কবরে এসে কেউ তাকে রিমাণ্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে না। রাষ্ট্র একটি কাঠামো, এই কাঠামোর ভেতরে ধর্ম কীভাবে চর্চিত হবে, তা আলাদাভাবে বিবৃত থাকতে পারে, কিন্তু রাষ্ট্রের ধর্ম থাকে না, যেভাবে ধর্ম থাকে না একটা চেয়ারের, একটা অপারেটিং সিস্টেমের, কিংবা একটা ব্রেসিয়ারের। এগুলো সবই কাঠামো মাত্র।
সংবিধানের শুরুতে কোনো একটি ধর্মানুগ বাক্যাংশ বা রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে একটি বিশেষ ধর্মকে ঘোষণার এখতিয়ার খন্দকার মোশতাক, জিয়াউর রহমান বা এরশাদের চ্ছিলনা। তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্যেই এই অপ্রাসঙ্গিক সংযোজনগুলো করেছিলো। যারা বলে, এসব জুড়ে মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের শ্রমিক রপ্তানির সুবিধা হয়েছে, তারা আশা করি ভারত বা ফিলিপাইনের দিকেও তাকাবে। বিসমিল্লাহ বা রাষ্ট্রধর্ম কোনোটিই তাদের সংবিধানে নেই, মধ্যপ্রাচ্যে বিপুল সংখ্যক জনশক্তি রপ্তানিতে দু'টি দেশই এগিয়ে আছে। সংবিধানের আগায় বিসমিল্লাহ লাগালেও বাংলাদেশের মুসলমান নাগরিকের ধর্ম ইসলাম থাকবে, বিসমিল্লাহ না লাগালেও থাকবে। আসল উদ্দেশ্যটি রাজনীতির। এই দু'টি সংযোজন বস্তুত সংবিধানের ওপর বিষ্ঠাত্যাগের বাকি দৃষ্টান্তগুলোকে রক্ষা করার একটি কুচেষ্টা। জানা কথা, সংবিধানের পঞ্চম বা অষ্টম সংশোধনী বাতিল করলে এগুলোও বাতিল হয়ে যাবে, আর কোনো সরকারই এগুলো বাতিল করে নিজেকে "অজনপ্রিয়" করতে চাইবে না। এটা অনেকটা ধূলোর ওপর জরুরি ফোন নাম্বার লিখে রাখার মতো কাজ, ধূলো মুছতে গেলে নাম্বারও যাবে।
এই ধরনের সস্তা গ্রাম্য রাজনীতি যে কাজে দেয়, সেটা আমরা টের পাই, যখন সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করতে আমাদের ৩৩ বছর লেগে যায়।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য আপিল বিভাগের রায়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সম্ভবত আওয়ামী লীগের উচ্চনেতৃত্ব দু'টি আশঙ্কা করছেন। এক, সংবিধানের শুরুতে অপ্রয়োজনীয় বিসমিল্লাহ আর রায়ের সাথে সাংঘর্ষিক অষ্টম সংশোধনীতে বর্ণিত রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে সরিয়ে দিতে গেলে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দল প্রোপাগাণ্ডা চালিয়ে সরকারের জনভিত্তি দুর্বল করে দেবে। দুই, ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করলে বহুধাবিভক্ত দলগুলো সব বিএনপির পেছনে কাতার বেঁধে দাঁড়াবে।
সরকারের প্রথম আশঙ্কাটি অমূলক নয়, কিন্তু এর মাত্রা অনেকখানি ওভাররেটেড। ২০০২ সালে সংসদ নির্বাচনের সময় বিসমিল্লাহ আর রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম জায়গামতোই ছিলো, তাতে কোনো লাভ হয়নি। ভোটের আগে মানুষের বিবেচনায় থাকে চালের দাম, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আর স্থানীয় ইস্যু। ৯৬ এর নির্বাচনে জিতে আসা আওয়ামী লীগ প্রথমটি ঈষৎ সামাল দিতে পারলেও বাকি দু'টোতে হাল ধরতে পারেনি। বিএনপি-জামায়াতের আলবদর সরকারও কিন্তু আল্লাহ আর ভারতের নাম জপে গত সংসদ নির্বাচনে কিছু করতে পারেনি, গোহারা হেরেছে। তার কারণ একটিই, সংবিধানের গোড়ায় বিসমিল্লাহ আছে কি নাই, সেটি বাংলাদেশের মুসলমান সম্প্রদায়ের ধর্মপরিচয় বা ধর্মচর্চার স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ণ করে না [ক্ষুণ্ণ করে অপর ধর্মের অনুসারীদের]।
দ্বিতীয় আশঙ্কাটি সর্বাংশে সত্য, কিন্তু এ পরিস্থিতি কি নতুন কিছু? গত সংসদ নির্বাচনে কি প্রায় সবক'টি ইসলামের নাম বেচে খাওয়া রাজনৈতিক দলই বিএনপির পেছনে কাতার বেঁধে দাঁড়ায়নি? তারা ভবিষ্যতেও বিএনপির সাথেই দাঁড়াবে, যদি আওয়ামী লীগ কোনো কৌশলী রাজনীতি অবলম্বন না করে।
এই ভুঁইফোঁড় ধর্মবেচা দলগুলোর মিত্রতা অবলম্বন করেও মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসেনি।
ধর্মভিত্তিক রাজনীতি শুধু ভোটের হিসাবের জন্যেই নিষিদ্ধ করা বা না করার কথা বিবেচনা করা উচিত নয়। বাংলাদেশে গত ৩৯ বছরে একটি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলও গণের কল্যাণে, মানুষের কল্যাণে কোনো কর্মসূচি হাতে নিয়ে মাঠে নামেনি। প্রতিটি ধর্মভিত্তিক দল বাংলাদেশকে ঠেলতে ঠেলতে একটি উদ্ভট উটের পিঠে তুলে দেয়ার চেষ্টা করেছে, বিরতিহীনভাবে। এই প্রচেষ্টাকে কখনও সামরিক শাসক, কখনও আওয়ামী লীগ, কখনও বিএনপি এসে সমর্থন দিয়ে সবল করেছে। ধর্মের নামে রাজনীতির সুযোগকে রূদ্ধ করতে হবে অনাগত সময়ের বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে। আমরা কি বাংলাদেশকে একটি অগ্রসর, উদারমনা, মেধাচালিত রাষ্ট্র হিসেবে নির্মাণের পরিবর্তে একে একটি উপপাকিস্তানে পরিণত করার পথে হাঁটবো?
আমাদের সংবিধান প্রণেতারা ঐ ক'টি মূলনীতি যোগ করেছিলেন অনেক মানুষের রক্তস্রোত সাঁতরে এসে। পাকিস্তান হতে চাইনি বলেই আমাদের পূর্বপুরুষেরা নিহত, ধর্ষিত, লুণ্ঠিত, বিতাড়িত, দগ্ধ, অপমানিত হয়েছিলেন। আজ ৩৩ বছর পর সংবিধানের গায়ে যত কাটাছেঁড়া হয়েছে, তার সবকিছু মুছে আবারও সেই স্বপ্নতাড়িত মানুষদের কাতারে দাঁড়ানোর সুযোগ আমাদের আছে। ভাবীকালের বাংলাদেশে যারা বেড়ে উঠবে, তাদের আমরা আবার যদি ভুল করে উপপাকিস্তানের দিকে ঠেলে দিই, চারপাশের নিষ্ঠুর পৃথিবী আমাদের ক্ষমা করবে না। একবার ভুল সবাই করে, বারবার করে নির্বোধ।
আমাদের বিবেচনাবোধ নিয়ে যেন ভাবীকালের তরুণ জিয়াউর রহমানের মতো অতীতের দিকে আঙুল তুলে "চ্ছিলনা" বলার সুযোগ না পায়, সে ব্যবস্থা নেয়ার জন্যে কাতর অনুরোধ করি।
মন্তব্য
কি মাঝি, ডরাইলা?
হাসিনা আপাকে পড়ানো দরকার এই লেখাটা।
খাটি সত্য কথা।
মনে হয় তরুণ ডি-জুস প্রজন্মের একবার আওয়াজ দিয়ে জানান দেয়া দরকার তারা কি ভাবছে। সেটা সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করতে পারে।
-শিশিরকণা-
অনন্যসাধারণ একটি লেখা!!! সবই সবাই বুঝে, কিন্তু সুবিধাবাদী জাতি হিসেবে নিজের আখেরটাই সবার আগে চিন্তা করা আমাদের স্বভাব...আর ঠিকমত না চললে অপধার্মিকরাই আবার এসে সব ভন্ডুল করে দেবে...
-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
১. রায়ের পর, সংবিধান আগের অবস্থায় চলেই গিয়েছে ("সংশোধিত হয়েছে"- এটি ভুল। আদালত সংবিধান সংশোধন করেনি। সামরিক অধ্যাদেশের দ্বারা যে সংশোধন হয়েছিল, তার অধিকাংশ বিষয় বাতিল করেছে, ফলে ওইসব বিষয় সাতাত্তরের পূর্বাবস্থায় ফেরত গিয়েছে)।
সরকারের এখন একটিই করণীয়- অধ্যাদেশ জারী করে সংবিধানের কপিগুলোকে রায়ের পরিপ্রক্ষিতে পুণ:স্থাপন করা।
২. রায়ের কোনটা রাখবো আর কোনটা রাখবো না, এটা করার একমাত্র আইনি পথ হচ্ছে- রায়কে মেনে নেয়ে (যেটা ছাড়া গতি নেই); তবে অধ্যাদেশ জারী পিছিয়ে দেয়া; এবং যা যা যোগ করতে চায়, তার জন্য সংসদে নতুন করে বিল আনা।
৩. এখন যদি সরকার বিসমিল্লাহ রাখতে চায়, তাহলে তাদের নতুন বিল এনে তা সংবিধানে বসাতে হবে। এটা হবে প্রবর্তণ, সংরক্ষণ নয়।
-----------
চর্যাপদ
-----------
চর্যাপদ
অর্থাৎ, সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র বিনাশের দায়টি তখন মহাজোট সরকারের কাঁধে চাপবে।
আগের সংশোধনীর পর সংসদে ছাপা অবস্থায়/অনলাইনে যে সংবিধান রাখা থাকত, তাতে নিশ্চয়ই অতিরিক্ত অংশগুলি ছিল, তা এই রায়ের পর সেগুলি বাতিল হলেও ওই সংবিধানগুলি থেকে তা সত্যিই সরিয়ে ফেলবেন কি সরকার বাহাদুর?
বলতে চাইছি, সেক্ষেত্রে তো এইভাবেই তাঁরা বিসমিল্লাহ রেখে দিতে পারেন, নতুন করে প্রবর্তনের ব্যাপার আসে না। তবে হয়ত আমি নিয়মটা ঠিকভাবে বুঝিনি বলে ভুল প্রশ্ন করছি।
পোস্টের সঙ্গে সহমত।
আমার মনে হয় পরিবর্তনগুলি ধীরে সুস্থে হওয়াই ভালো। একটা ভুল পদক্ষেপ যতটুকু পজিটিভ অর্জন হয়েছে সেগুলিকে নালিফাই করে দিতে পারে। আমি আরো বিচক্ষণতার সাথে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানাবো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
মহাজোট যদি ধর্মনিরপেক্ষতায় ফিরতে পারে, সেটা মনে হয় হবে স্বাধীনতার পরে আমাদের রাষ্ট্রীয় জীবনের সবচেয়ে ভালো ঘটনা। আশায় রইলাম।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুদ্ধিজিগোলো সৈয়দ আবুল মকসুদের আবদার রাখতেছেন দেখি।
-----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
বিসমিল্লাহ সংবিধানে থাকলো কীনা তার চাইতে গুরুত্বপূর্ণ যে অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীদের বিরুদ্ধে সরকার কোন আইনী ব্যবস্থা নিতে পারলো কীনা সেটা দেখা। অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী যারা মৃত বা বেঁচে আছে সবার বিরুদ্ধেই।
একপক্ষ ইতিমধ্যেই ধর্ম আর একদলীয় শাসনের জুজু দেখিয়ে আমাদের দৃষ্টি অনেকটাই এদিক থেকে সরিয়ে ফেলতে পেরেছে।
...........................
Every Picture Tells a Story
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
দরকারি লেখা হয়েছে হিমু।
কিন্তু এখানে সিরিয়ার উদাহরন দেয়া ঠিক না। যারা বলেই দিচ্ছে "Islamic jurisprudence is a main source of legislation." তাদের আসলে শুরুতে বিসমিল্লাহ বলার কোন প্রয়োজন নেই।এইসব ধর্মান্ধ দেশের সাথে আমরা আমাদের দেশের তুলনা কেন করবো?
সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করবেনা বলছে সরকার।
এর মধ্যে কি জামায়াত ও পড়ে? জামায়াত কে নিষিদ্ধ করতে সংবিধান সংশোধন কিংবা ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে কেন ?
মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে। এই দল দলগত ভাবে ৭১ এ মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত ছিল। দলীয় শাস্তি হিসেবেই জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা যায়।
তারা মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত ছিল এটা প্রমানেরো দরকার নেই। তারা দলীয়ভাবে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়েছিল এটাইতো তাদের নিষিদ্ধ করার জন্য যথেষ্ট। সরকার কি তাও করতে পারেনা?
সংবিধান থেকে 'বিসমিল্লাহ' এই মুহূর্তে ঘোষনা দিয়ে তুলে নিলে এর থেকে বেশি খুশির আর কিছু হতোনা। কিন্তু ব্যাক্তিগতভাবে মনে করি এ ব্যাপারে এখন সরকারের কোন আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ নেয়া উচিত না।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার মাত্র শুরু হয়েছে। জামায়াত শিবির 'বিসমিল্লাহ' মন্ত্র পড়ে সাধারণ মানুষের মনোযোগ অন্য দিকে নিয়ে নিতে পারে। সাধারণ মানুষকে বিসমিল্লাহ বাঁচাও ধরনের কিছুতে সম্পৃক্ত করে সরকারকে বিব্রত করে যুদ্ধাপারাধীদের বিচার ব্যাহত করতে পারে। এক পিলখানার জন্য এই বিচার শুরু করতে কত দেরি হলো। আর দেরি চাইনা।
রাজাকারগুলোর বিচারে একটা ভালো অগ্রগতি হলে সাধারণ মানুষের আস্থা সরকারের ওপর বাড়বে তখন সরকারের পক্ষে এধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে অনেক সহজ।
তবুও সরকার যদি এখনই করতে পারে 'বিসমিল্লাহ' তুলে নেয়ার মতো অনন্যসাধারন কাজ, এখনই মিডিয়ায় এর পক্ষে প্রচারনা চালানো খুবই প্রয়োজন।পত্রিকা টিভি ব্লগই/ পারে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র কেন জরুরি বোঝাতে।
এইরকম লেখা আরো আসুক।
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
জামায়াত নামের দলটাকে নিষিদ্ধ করা হলে তারা পরদিন কদরদানে ইসলাম নামে একটা দল খুলে এতদিন যা করছিলো তা-ই করে যাবে। এ কারণেই স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সংবিধানে কোনো নির্দিষ্ট দল নয়, বরং ধর্মের নামে রাজনীতিই নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো।
হ্যা। জামায়াত তা করবে।কিন্তু জামায়াত শুধু একটা দলের নয় একটা সংগঠিত একটা অপরাধের নাম যা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ঘটেছিল। এই নামকে নিষিদ্ধ করা এমন একটা অধ্যায় কে নিষিদ্ধ করা যা করা উচিত ছিল অনেক আগেই। জামায়াতকে শাস্তি দিয়ে দেশে ধর্মভিত্তিক রাজনী্তি বন্ধ করা যাবেনা। কিন্তু জামায়াত নামের যেই কলঙ্ক আমাদের মাথার ওপর চেপে আছে, তা নামবে। কদরদানে ইসলাম নিষিদ্ধ করার আগে সরকারকে ভাবতে হবে পাঁচবার । জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে ভাবাভাবির দিক দিয়ে সরকার অনেক সুবিধাজনক পর্যায়ে আছে।
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
হাসিনার কথাটা অন্যভাবেও নেয়া যায়। যেমন, হাসিনা চাইছে না নিষিদ্ধ করতে; কিন্তু আদালতই যেহেতু সংবিধানকে ধর্ষণ করা জিয়া-মুশতাকদের সংশোধনী বাতিল করেছে, সেক্ষেত্রে সরকার বাধ্য হয়েই জামায়াত এবং এমনকি তাদের নিজেদের জোটের ধর্মব্যবসায়ী শরিকদেরকে ব্যান করছে।
জামায়াত নিষিদ্ধ করতে ধর্মের হিসাব লাগে না, কারণটা রানা মেহের সুন্দরভাবে বলেছেন। তবে স্বাধীনতা যুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি একমাত্র জামায়াতই না। যুদ্ধের আফটারম্যাথ হিসেবে এজন্য শুধু জামায়াতকে নিষিদ্ধ না করে ধর্মের নামে রাজনীতিকেই নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো। জামায়াত লাইমলাইটে; কিন্তু রাজনীতির কাজে ধর্মের অপব্যবহারকারী অন্যদলগুলোও হিংস্রতায় কম না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আশা করি বর্তমান সরকার প্রমাণ করবে আমরা নির্বোধ নয়।
লেখাটা ভালো লাগলো।
টুইটার
আমাদের সংবিধানে অনেক অসঙ্গতি আছে। আদালতের রায়ে অসঙ্গতি বেড়েছেই, কমেনি। এখন এই অসঙ্গতি কমানোর দায়িতৃ সরকারেরই। আমি মনে করি, কোন ধারা সংবিধানে থাকবে বা থাকবে না, অথবা কিভাবে থাকবে, সেটা ঠিক করার লেজিটিমেট অধিকার একমাত্র সংসদের। আদালত ৫ম সংশোধনী বৈধভাবে হয়নি বলতে পারে, সংবিধানের ব্যক্ষা দিতে পারে। কিন্তু সংবিধানের সংযোজন, পরিমার্জন বা বিয়োজনের অধিকার কেবলমাত্র সংসদের। তাই আদালতের রায় সরকারের জন্য গাইডলাইন মাত্র, সংবিধান পরিবর্তিত হয়ে যায়নি বা সরকারকে এটা মানতেই হবে এমনটাও নয়।
এবার সংবিধানের কয়েকটা অসঙ্গতির কথা বলি-
১। সংবিধানের মুলনীতি অনুসারে আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্হা সমাজতন্ত্র, ৫ম সংশোধনীতে যাকে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার অর্থে সমাজতন্ত্র বলা হয়েছিল। ৭২ এর বিশৃ-রাজনৈতিক পরিস্হিতিতে সমাজতন্ত্র সংবিধানে থাকার প্রয়োজন ছিল, কিন্তু এখনকার পরিবর্তিত পরিস্হিতিতে একটা আপাদমস্তক ক্যাপিটালিস্টিক দেশে এটা থাকতে পারে কি? সংবিধান অনুসারে আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্হার ব্যপক পরিবর্তন করা এখন সরকারের জন্য অবশ্য কর্তব্য।
২। জাতিয়তাবাদ এবং সমাজতন্ত্র কো-এক্সিস্ট করতে পারে কি?
৩। ধর্মনিরপেক্ষতার মুলনীতি থেকে আসা সংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ অনুসারে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ হয়। এটার যৌক্তিকতা হয়তো ফ্রিডম অব স্পিচ এর অজুহাতে প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে, কিন্তু সংবিধানে বিসমিল্লাহ বা রাষ্ট্রীয় ধর্ম ইসলাম কোনভাবেই থাকতে পারে না।
৪। ভাষা বা সাংস্কৃতিক ঐক্য জাতিয়তাবাদের ভিত্তি হতে পারে না, কারন এটা ক্ষুদ্র জাতিসত্তৃাগুলোকে অগ্রাহ্য করে।
এখন যদি সংবিধান সংশোধনের পর সংবিধানে বিসমিল্লাহ বা রাষ্ট্রীয় ধর্ম রয়ে যায়, অথবা দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্হা সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্হা অনুসারে ঢেলে সাজানো না হয়, তা হবে সংবিধান এবং আদালতের রায়ের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আমি অপেক্ষায় আছি সরকার এটা কিভাবে একোমডেট করে এবং সরকার এটা করতে না পারলে কেউ এটার জন্য আদালতে যায় কী না এবং আদালত নতুন সংবিধানকে গ্রহনযোগ্য মনে করে কী না।
এর কোনটাই অসঙ্গতি নয়--
১. আপাদমস্তক ক্যাপিটালিস্ট দেশ খুঁজে পাওয়া কঠিন। ওবামার স্বাস্থ্যনীতি বা ধনীর উপর বাড়তি কর "আপাদমস্তক ক্যাপিটালিস্ট" এর সাথে মিলে না বলেই তাকে "সোশ্যালিস্ট" বলা হয়।
সমাজতন্ত্রের জন্য দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পরিবর্তন হয়তো হয়, কিন্তু এখন তা হয় সম্পদের বণ্টনের মাধ্যমে (যেমন কর, দরিদ্র কর্মসূচী), সম্পদের উৎপাদন (যেমন রাষ্ট্রীয়করণ) -এর মাধ্যমে নয়।
যে কারনে ভারতের সংবিধানের মূলমন্ত্রে "সমাজতান্ত্রিক" বলা হলেও, ভারতের অর্থনীতি ঠিকই থাকে। একারনেই অস্ট্রেলিয়া কম্যুনিজমকে ভয় পেলেও, তার সংবিধানে সমাজতন্ত্র থাকতে পারে।
সমাজতন্ত্রের বহুরূপ, যা কেবল চর্চা আর প্রয়োগেই নির্ধারিত হয়। তাহলে শুধু "সমাজতন্ত্র" বলা কেন? ঠিক যে কারনে ধর্ম লেখার সময় একজন মুসলিম "হানাফী সুন্নী দেওবন্দী" ইত্যাদি না লিখে শুধু "ইসলাম" লিখে। ব্যবহারে সমাজতন্ত্রের বংশপরিচয়।
২. কেন নয়? একটা আমার জাত পরিচয়, আরেকটা আমার অর্থব্যবস্থা!
৩. তাহলে কী তালেবানকে "মুক্ত চিন্তার" চর্চাকারী বলা যায়?
ধর্ম আমার বিশ্বাস, রাজনীতি আমার যুক্তি। রাজনীতিতে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতে নীতি নির্ধারিত হবে। ধর্মে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতে নীতি নির্ধারনের সুযোগ কতোটা?
তারচ' বড় কথা, ধর্ম-রাজনীতিতে ব্যক্তির মতকে ধর্মমত বলে চালিয়ে দেবার একটা প্রবণতা আছে। উদাহরন দেখুন এখানে ও এখানে।
৪. ভাষা বা সাংস্কৃতিক ঐক্যই জাতীয়তার ভিত্তি। জাতি পরিচয় থাকতেই পারে। কিন্তু “এক জাতি- এক রাষ্ট্র” একটি বর্ণবাদী ধারনা। এর চুড়ান্ত রূপ কী হতে পারে তা নাৎসী বা ক্লু-ক্ল্যাক্স-ক্ল্যান দেখিয়েছে। বিশ্বায়নের যুগে যেখানে একাধিক জাতির সংমিশ্রণ অবশ্যম্ভাবী, সেখানে যে কোন একটি জাতীয়তাবাদকে নিয়ে রাষ্ট্র চিন্তুা অসম্ভব।
জাতীয়তা একটি সংস্কৃতিক চর্চার বিষয়, এটি নিয়ে “-বাদ” করতে গেলে বিবাদই হয় শুধু।
-----------
চর্যাপদ
-----------
চর্যাপদ
মন্তব্য লাইকাইলাম।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আদালত/সরকার/সংসদ
(১) সংবিধান কী হবে সেটা ঠিক করার কোনো এক্তিয়ার আদালতের নাই।
আদালত কেবল দেখতে পারে -
(ক) কোনো আইন সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক কিনা।
(খ) এক্তিয়ার নাই এমন কেউ সংবিধানে হাত দিল কিনা।
(২) সংবিধান কী হবে সেটা ঠিক করার কোনো এক্তিয়ার সরকারেও নাই।
সরকার সংবিধানে প্রশ্নে আদালতের নির্দেশ মেনে চলতে বাধ্য।
(৩) সংবিধান কী হবে সেটা ঠিক করার সম্পূর্ণ এক্তিয়ার জাতীয় সংসদের। তবে দুইতৃতীয়াংশের মত প্রয়োজন। (শুধুমাত্র প্রস্তাবনা,অনুচ্ছেদ ৮ (মূলনীতি),৪৮ (রাষ্ট্রপতি) ও ৫৬ (মন্ত্রী)-র ক্ষেত্রে গণভোটে অনুমোদন প্রয়োজন। এবং অনুচ্ছেদ ২৬ এর কখনোই পরিবর্তন ঘটানো যাবে না। সেখানে মৌলিক অধিকারের সাথে সাংঘর্ষিক কোনো আইন প্রণয়ন করা যাবে না একথা বলা আছে। ) এই সব কথাই অনুচ্ছেদ নম্বর ১৪২ এ বলা আছে।
এই বাস্তবতায়, আপিল বিভাগের রায় অনুযায়ী প্রস্তাবনা ও অনুচ্ছেদ ৮ (যেগুলো নিয়ে কথা হচ্ছে) তা অলেরিড ৭২ এর সংবিধানে ফেরত চলে গেছে।
সরকার এখন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে কেবল।
আর এরপর কোনো পরিবর্তন করতে চাইলে হয় বিল আনতে হবে। নয়ত রেফারেন্ডাম দিতে হবে।
ভুল বুঝলাম?
______________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
কিছুটা।
৭২ এর সংবিধানে গণভোটের বিধান ছিলো না।
কিন্তু পঞ্চম সংশোধনীতে সংবিধানের ওপর কাটাছেঁড়াকে যাতে কেউ সহজে পরিবর্তন করতে না পারে, সেজন্যে কয়েকটি অনুচ্ছেদকে সংসদের ক্ষমতার বাইরে নিয়ে গণভোটের ব্যবস্থা করা হয়।
পঞ্চম সংশোধনী বাতিলের পর এখন আর গণভোটের বিধিটি কার্যকর নয়। যে কোনো পরিবর্তনের জন্যে সংসদে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতাই যথেষ্ট।
[সূত্র]
হুঁ, তাই তো দেখা যায়। ধন্যবাদ। বিষয়টা চোখে পড়ে নাই গোলমালের মধ্যে।
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
পোস্টের বক্তব্যর সাথে সহমত। একটা প্রশ্ন জাগলো মনে। পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করলে চতুর্থ সংশোধনী কি কার্যকর হয়ে যায়?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পঞ্চম সংশোধনীর কিছু অংশ মাননীয় আদালত কনডোন করেছেন। ঐ অংশগুলো মূলত চতুর্থ সংশোধনীর কিছু পয়েন্ট বাতিল করার জন্যে প্রবর্তন করা হয়েছিলো। এর অর্থ হচ্ছে, পঞ্চম সংশোধনী অবৈধ, কিন্তু এর অংশবিশেষকে বৈধতা দিয়ে চতুর্থ সংশোধনীর কার্যকারিতাও রদ করা হয়েছে।
সামনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের যদি ভরাডুবি হয় তাহলে সেটা সংবিধানে বিসমিল্লা আর জামাতকে রাজনীতিতে বহাল রাখাও ঠেকাতে পারবে না। সেটা ঠেকাতে হলে বাংলাদেশের ভোটারকে তাঁর নাগরিক অধিকার দিতে হবে, তাঁর নিরাপত্তা দিতে হবে, তাঁর স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যথাযথ প্রয়োগ ঘটাতে হবে।
এগুলো নিশ্চিত না করে আওয়ামী লীগ যদি সুপ্রিম কোর্টের রায়কে ডিঙ্গিয়ে তাঁদের "কাস্টমাইজড সিদ্ধান্ত" কার্যকর করেও, সেটা যে ভবিষ্যতে তাদের সরকারের জন্য খুব ফলপ্রসূ হবে না- এইটা বুঝার জন্য খুব সম্ভবত রকেট বিজ্ঞানী হওয়ার দরকার নেই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভালো লেগেছে।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
http://budhbar.com/2010/07/22/%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A6%85%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A6%A4/comment-page-1/#comment-208
সাপ্তাহিক বুধবারে ছাপা হওয়া নুরুল কবীরের (এই টপিকে) ল্যাখা।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
মহাজোট সরকার অপপাকিস্তান নির্মাণেই সহায়তা করতে যাচ্ছে।
এই সুবিধাবাদকে ধিক্কার জানাই। এই ভুলের খেসারত গোটা জাতিকে দিতে হবে।
নতুন মন্তব্য করুন