Extraordinary claims require extraordinary evidence. — Carl Sagan
লাগসই উক্তি দু'টির জন্যে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি সন্ন্যাসীদার কাছে
আগের পর্বে আলোচনা করতে চেয়েছি পর্বতারোহণ নিয়ে মুসা ইব্রাহীম ও তার সঙ্গীদের একটি নির্দিষ্ট দাবি ও তদসংক্রান্ত বক্তব্যের অসঙ্গতি নিয়ে। এই অসঙ্গতিগুলো দূর না হলে, অন্নপূর্ণা-৪ পর্বতশৃঙ্গজয়ের যে দাবি তারা করেছেন, সেটি মেনে নেয়ার কোনো কারণ নেই।
পাঠক যদি প্রথম পর্বটি পড়ে না থাকেন, পড়ে নেয়ার অনুরোধ রইলো। পাশাপাশি ধারাবাহিকতা বজায়ের জন্যে নর্থ আলপাইন ক্লাব বাংলাদেশের অন্নপূর্ণা-৪ যাত্রার কিছু আলোকচিত্র নিয়ে তৈরি একটি ভিডিও এমবেড করছি। ভিডিওর দাবি অনুযায়ী ছবিগুলো তাদের নেপালী সদস্য সারিন প্রকাশ প্রধানের তোলা।
Annapurna IV from Nanan Somossa on Vimeo.
এই পর্ব শুরু করার আগে আমার পাঠকবর্গের কাছে আমাকে দুঃখপ্রকাশ করতে হচ্ছে, অনাকাঙ্ক্ষিত বিলম্বের জন্যে। তবে একটি মজার ব্যাপার লক্ষ করেছি। মুসা ইব্রাহীম প্রথম আলোর বুধবারের সাময়িকী "স্বপ্ন নিয়ে" পাতায় ধারাবাহিকভাবে নিজের এভারেস্ট জয়ের কাহিনী লিখছিলেন। নেভারেস্ট সিরিজের প্রথম পর্ব প্রকাশের পর তিনি এভারেস্ট থেকে নিজের অবরোহণের গল্পটি বেমালুম গিলে ফেলে পরবর্তী পর্বে ব্যক্তিগত আখ্যান বর্ণনা করে চলছেন। পাঠকের সুবিধার জন্যে আমি লিঙ্কসহ সারমর্ম দিচ্ছি।
পর্ব ১, এভারেস্ট আরোহণ
পর্ব ২, এভারেস্ট আরোহণ
পর্ব ৩, এভারেস্ট আরোহণ
৬ জুলাই নেভারেস্ট প্রথম পর্ব প্রকাশের পর মুসার কলামে বিষয়গত পরিবর্তন আসে।
পর্ব ৪, এ পর্ব থেকে মুসা এভারেস্ট থেকে নামতে ভুলে যান, এবং এক লাইনের মাথায় এভারেস্ট থেকে ঠাকুরগাঁয়ে নিজের শৈশবের স্মৃতিচারণে ব্যস্ত হয়ে পড়েন
পর্ব ৫, বিএমটিসির সাথে কলহ এবং এনএসিবি গঠনের পটভূমি
পর্ব ৬, বিবাহের কিচ্ছা
পর্ব ৭, লাংসিসা রি অভিযানের পটভূমি
মুসা ইব্রাহীম কেন নিজের অবরোহণের গল্প লিখলেন না? কেন চেপে গেলেন একদম? যেখানে তিনি নিজেই লিখেছেন [১২],
আর এ মুহূর্তে ভাবছি চূড়ায় ওঠাটাই সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব নয়। নিরাপদে নেমে আসাটাই পর্বতারোহণে সবচেয়ে বড় ক্লাইমেক্স।
এই তথাকথিত "অবরোহণের" সময় তার প্রাণ সংশয় হয়, এবং অন্য দলের দু'জন পর্বতারোহী তার প্রাণরক্ষা করেন। এই দুই পর্বতারোহীর বক্তব্য থেকে এমন কিছু তথ্য বেরিয়ে এসেছে, যা মুসার গল্পের মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার জন্যে যথেষ্ট। সম্ভবত এ কারণেই মুসা ইব্রাহীম এভারেস্ট বেয়ে ওঠার গল্পটি রসিয়ে ফেনিয়ে তিন পর্বে লিখলেও, নেমে আসার ব্যাপারে বরাবর বাককুণ্ঠ রয়ে গেছেন, আর সবচেয়ে বড় ক্লাইম্যাক্সটিকে কার্পেটের নিচে চাপা দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে বিশদ লিখছি পরে। আর জানিয়ে রাখি, সিরিজের মূল আকর্ষণীয় অংশটুকু [কয়েকটি সাক্ষাৎকার ও ছবি] পরের পর্বে লেখার ইচ্ছা পোষণ করি। এই পর্বে মূলত প্রাথমিক সাক্ষ্য নিয়ে কথা বলতে চাই।
আমার ক্ষেত্রে মুসা ইব্রাহীমের এভারেস্ট জয়ের ঘটনাটির বিশ্বাসযোগ্যতা অনেকখানি কমিয়ে দিয়েছে অন্নপূর্ণা-৪ নিয়ে তার ও তার পর্বতারোহণ সংগঠনের অসঙ্গতিপূর্ণ বক্তব্য। অন্নপূর্ণা-৪ শৃঙ্গজয় না করেই যদি শৃঙ্গজয়ের দাবি করা যায়, তাহলে সেই একই কাজ এভারেস্টের ক্ষেত্রে পুনরাবৃত্ত হয়নি, তা আমরা কীভাবে বলতে পারি?
এখানেই চলে আসে সাক্ষ্য-প্রমাণের ব্যাপার।
প্রথমেই প্রশ্ন আসে, এভারেস্ট জয় না করে কেউ জয়ের দাবি করতে পারেন কি না, এবং সেটি সর্বজনস্বীকৃত হতে পারে কি না। এডমাণ্ড হিলারি আর তেনজিং নোরগে এভারেস্টে চড়েছেন, তার প্রমাণ কী? তাদের সার্টিফিকেটও ছিলো না, বুদ্ধমূর্তির সাথে ছবিও ছিলো না। ছিলো কেবল কয়েকটি ছবি, আর নিচে কয়েকজন সহ-অভিযাত্রীর সাক্ষ্য। বাকি পৃথিবী সেগুলোকেই গ্রহণ করে নিয়েছে। কিন্তু সেই সত্যযুগের সমাপ্তি হয়েছে বহু আগেই। এভারেস্ট শৃঙ্গজয় আগের মতো এখনও একটি বেশ ব্যয়বহুল ব্যাপার, এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ব্যয় বহন করে কোনো স্পনসর। প্রচুর অর্থব্যয় যেখানে জড়িত, সেখানে হোক্সের [১][১৭] সম্ভাবনাও স্বাভাবিকভাবেই বেশি।
প্রথমেই আসি মুসা ইব্রাহীমের গাইডদের ব্যাপারে। তিনি এভারেস্ট অভিযানের জন্যে বেছে নেন কৈলাস তামাং ও সোম বাহাদুর তামাং নামের দু'জন গাইডকে, যারা অন্নপূর্ণা-৪ অভিযানেও তার সঙ্গী ছিলেন। অন্নপূর্ণা-৪ এর অসঙ্গতি নিয়ে আমরা গত পর্বে জেনেছি অনেক কিছু, সেই সব কিছুর সাক্ষী ও সহচর এই দুই গাইড। আসুন, তারও আগে বিটিএমসির চুলু-ওয়েস্ট শীর্ষজয় নিয়ে মুসা ইব্রাহীমের নিজের কলমে কিছু লেখা [২] আমরা পড়ি।
এ নিয়ে আর কোনো কথা হলো না। নেপাল মাউন্টেনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশণ থেকে সার্টিফিকেট সংগ্রহ করা হলো। নূর মোহাম্মদও সার্টিফিকেট পেল। এমনকি যে আমি তাঁবুতে বসেছিলাম, সেই আমিও চুলু ওয়েস্ট জয়ের সার্টিফিকেট পেলাম। হায় চুলু ওয়েস্ট! দেশে ফিরলাম সবাই। এখানে তখন চুলু ওয়েস্ট জয়ের ডামাডোল বাজছে। বিএমটিসি’র ভাইস চেয়ারম্যান ইনাম আল হককে ব্যাপারটা জানানোর পরও সেই ডামাডোল বন্ধ হয় নি। বরং শুক্রবার, ৮ জুন ২০০৭ তারিখে প্রেস কনফারেন্স করা হলো জাতীয় প্রেস ক্লাবে। এখানে অবশ্য বলা হলো সজল ও মুহিত চুলু ওয়েস্ট জয় করেছে, বাকি দু’জন করতে পারে নি।
মুসা ইব্রাহীমের নিজের এ লেখা থেকে আমরা জানতে পারি,
১. সোম বাহাদুর তামাং তাদের গাইড ছিলেন।
২. পর্বতশীর্ষ জয় না করেও সেই অভিযানের সকলে নেপাল মাউন্টেনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশন থেকে সার্টিফিকেট পেয়েছিলেন।
৩. পর্বতারোহণ ক্লাবের প্রধানকে ব্যাপারটা জানানোর পরও মিডিয়াতে সত্য কথা বেরিয়ে আসেনি।
এখানেই আমাদের সার্টিফিকেটভক্তি দুই দাগ কমে যাওয়ার কথা। প্রথমত, সোম বাহাদুর তামাং এমন একজন গাইড, যিনি সত্য সাক্ষ্য দেন না, এবং অসত্য সাক্ষ্যের ওপর ভিত্তি করে অনায়াসে একটি শৃঙ্গজয়ের সার্টিফিকেট কব্জা করা যায়। মুসার ড্রয়ারে চুলু ওয়েস্ট জয়ের যে সার্টিফিকেটটি পড়ে আছে, সেটা তাঁর কথামতো তিনি তাঁবুতে বসেই পেয়েছেন। আর মুসার এভারেস্ট জয়ের যে সার্টিফিকেটটির ওপর আমরা আস্থা এনেছি, সেটি তিব্বত মাউন্টেনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশনের ইস্যু করা, এবং এটি ট্যুর অপারেটর সংগ্রহ করে থাকে। মুসার প্রাণ রক্ষাকারী দুই যুবকের একজন, ব্রেণ্ডান ও'ম্যাহোনি একটি সাক্ষাৎকারে আমাকে এমনটিই জানান। আমার প্রশ্ন ছিলো, সার্টিফিকেট সংগ্রহের জন্যে কী প্রমাণ দাখিল করতে হয়? ব্রেণ্ডান জানায়, সার্টিফিকেট তাদের ট্যুর অপারেটর সংগ্রহ করেছে, তাদের কোনো ধরনের প্রমাণ দাখিল করতে হয়নি। এ ধরনের সার্টিফিকেট বোধ করি আমাদের প্রাত্যহিক জীবনেও আমরা সংগ্রহ করি। বিআরটিএর গাড়ির ফিটনেসের সার্টিফিকেটকে এক্ষেত্রে তুল্য ধরা যেতে পারে। সার্টিফিকেট প্রদানের পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পড়ুন [১৬]।
প্রসঙ্গত স্মর্তব্য, নেপাল হয়ে এভারেস্ট আরোহণ করলে নেপাল মাউন্টেনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশন সার্টিফিকেট ইস্যু করে, এবং তারা এখন প্রমাণ হিসেবে ভিডিও দেখতে চায়।
পাঠক যুক্তি তুলে ধরতে পারেন, সোম বাহাদুর তামাং তো আর মুসার সাথে এভারেস্টে চড়েননি। তিনি ছিলেন বেইস ক্যাম্পে। মুসার সাথে গিয়েছিলেন কৈলাস তামাং। পত্রিকায় পড়তে পাই [৩],
কৈলাশ তামাং প্রথম আলোর কাছে এই অভিজ্ঞতা বর্ণনা করলেন এভাবে, ‘আমাদের জন্ম হয়েছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে তিন হাজার ফুট ওপরে। একেকজন তিন-চারবার করে এভারেস্ট চূড়ায় উঠেছি।
অথচ এভারেস্ট সামিটিয়ারস অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, কৈলাস তামাং এভারেস্টে আরোহণ করেছেন মাত্র একবার, মে ১৫, ২০০৭ তারিখে, নর্থ-কোল নর্থইস্ট রিজ রুট ধরে [৪]।
আর লাকপা নুরু শেরপা সম্পর্কে খোঁজ নেয়া একটু কঠিন হয়ে গেছে, কারণ লাকপা নুরু নামটা শেরপাদের মধ্যে খুব প্রচলিত। শেরপাদের প্রায় প্রত্যেক গ্রামেই একজন করে লাকপা নুরু আছে। আমি খুঁজতে গিয়ে সাতজনকে পেয়েছি। সাধারণত শেরপাদের শুধু নাম বলা যথেষ্ঠ নয়, ব্র্যাকেটে লিখতে হয় তার গ্রাম বা গোত্র, যেমন তাতে, থামি, পারে, য়িলাজুং, চৌনরিখার্কা, ফুর্তে, ফোর্তসে, নামচেবাজার ... ইত্যাদি। তাই মুসার সঙ্গী লাকপা নুরু শেরপা এভারেস্টে এর আগে কয়বার উঠেছেন, বা আদৌ উঠেছেন কি না, তা তার ব্র্যাকেটের খবর না জানলে জানা সম্ভব নয়। মুসাকে নিয়ে লাকপা নুরু শেরপা কোনো বিবৃতিও দেননি, আর মুসার পত্রিকায় প্রকাশিত বক্তব্য অনুযায়ী, তিনি যখন এভারেস্টে চড়েছিলেন তখন লাকপা নুরু শেরপা ধারেকাছে ছিলেন না।
প্রথম আলোয় ২৫ মে, ২০১০ তারিখে প্রকাশিত ছবি দেখেও বোঝা যায়, মুসার পরিকল্পিত দলে শুরুতে লাকপা নুরু শেরপা ছিলেন না।
আগাগোড়াই মুসার সঙ্গে ছিলেন কৈলাস তামাং। তবে এ কথা পরিষ্কার, নিজের কীর্তি সম্পর্কে কৈলাস তামাঙের দাবি অসত্য। পত্রিকার কাছে এসে যে গাইড নিজের সম্পর্কে অসত্য তথ্য দেন, তিনি এভারেস্ট আরোহণ নিয়ে কতটুকু সত্য সাক্ষ্য দেবেন, সেটা ভাবার বিষয়।
আরো একটি প্রশ্ন জেগেছে আমার মনে। সংবাদ সূত্র [৩] অনুযায়ী, এই তিন শেরপাকে মুসা বাংলাদেশে শুধু আমন্ত্রণই জানাননি, বেড়াতে নিয়ে গেছেন কক্সবাজার সৈকতে [১৩]। অথচ তার প্রাণ রক্ষা করেছেন যে ব্রেণ্ডান ও'ম্যাহোনি আর স্টিফেন গ্রিন, তাঁদের সম্পর্কে তিনি একেবারেই নিরব। একটি অক্ষরও তিনি তাঁদের নাম ধরে এখন পর্যন্ত কোথাও লেখেননি। হয় মুসা চরম অকৃতজ্ঞ, অথবা এই দু'টি নামের সাথে এমন কোনো তথ্য বা ঘটনা জড়িয়ে আছে, যা প্রকাশিত হোক, তা মুসা চাইছেন না। যদিও তিনি নেপালে বাংলাদেশ দূতাবাসে এই দুই তরুণকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, কিন্তু তাঁদের নামোচ্চারণ না করার ব্যাপারে তিনি সতর্ক থেকেছেন বরাবর। পত্রিকায় আমরা তাই পড়েছি একজন অস্ট্রেলিয়ানের [ও'ম্যাহোনি] কথা, কিন্তু নামটা জানতে পারিনি। বাংলাদেশে এই তিন শেরপা গাইডের জন্যে ভ্রমণের আয়োজন কি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ, নাকি কোনো ধরনের উৎকোচ, এ প্রশ্ন আমার মনে জেগেছে।
মুসার ভাষ্যমতে, কৈলাস তামাং ওয়্যারলেস বার্তায় তার এভারেস্ট জয়ের খবর অ্যাডভ্যান্সড বেইসক্যাম্পে জানিয়ে দেন [৫]। সেখান থেকে শেরপা সর্দার ভোলা পড়েল তার প্রতিষ্ঠানের কাঠমাণ্ডু অফিসে স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে এ সংবাদ জানিয়ে দেন [৬]। মুসার পর্বতজয়ের বার্তাটি নিশ্চিত করেছে হিমালয়ান গাইডস নামের এই প্রতিষ্ঠানটি। সাধারণত অভিযান আয়োজক প্রতিষ্ঠানগুলো বরাবরই তাদের ওয়েবসাইটে শিখরজয়ীদের নামের তালিকা প্রকাশ করে। কিন্তু হিমালয়ান গাইডস একটি অভূতপূর্ব ব্যতিক্রম ঘটিয়েছে মুসার ক্ষেত্রে [৭]। ব্যাপারটি পরিষ্কার করে বোঝাতে পুরো পেইজের একটি স্ক্রিনশট তুলে দিলাম। পুরো পেইজের স্ক্রিনশটটি পাবেন এখানে।
মনোযোগী পাঠক এখানে একটু লক্ষ করলেই দেখবেন, ১৭ মে ও ২৫ মে এভারেস্ট শিখরজয়ীদের প্রত্যেকের নামের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা এসেছে। এ দুয়ের মাঝখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি, ২৬ জনের H.G. International Everest Expedition 2010 [এই দলের উল্লেখ এভারেস্টের অন্য কোনো ওয়েবসাইটের ডিসপ্যাচ রেকর্ডে নেই, প্রয়োজনে নিজেই গুগলে খুঁজে দেখতে পারেন] দলের ২৫ জনকেই উপেক্ষার অন্ধকারে ঠেলে ফেলে দিয়ে এক ও একক মুসা ইব্রাহীমের কীর্তির জয়গান গাওয়া হয়েছে।
Md. Musa Ibrahim has been successful to scale Mt. Everest
Md. Musa Ibrahim, member of H.G. International Everest Expedition 2010, has been successful to scale 8,848 meter high Mt. Everest on 23rd May, 2010.
Musa used the North Alpine route on the Tibetan side to conquer the top of the world.
All 26 members of the expedition including 14 Sherpas got to the summit. Besides Musa, six British, three Montenegrins, an American and a Serbian are in the team.
যদিও, অনিক খান লিখেছেন [৬],
কিন্তু হিমালয়ান গাইডসের অফিসে ঢুকেই পাড়ওয়ালের টেবিলের ওপর দেখি স্তূপ করে রাখা আরোহীদের একগাদা ছবি এবং কাকতালীয়ভাবে সবার ওপরের ছবিটাই মুসা ইব্রাহীমের।
অর্থাৎ, মুসার সঙ্গীসাথীদের নামধামও হিমালয়ান গাইডস কর্তৃপক্ষের নাগালেই ছিলো।
মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, মুসা কি হিমালয়ান গাইডসের কোনো বিশেষ মক্কেল? এমন একজন ক্লায়েন্ট, যার নামটি অভিযাত্রী দলের একজন হিসেবে না এসে একটি পৃথক ভুক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে যুক্ত হয়?
এর পটভূমি সম্পর্কে আঁচ পাওয়া যায় সচল মুস্তাফিজের এই পোস্টে [৮] মুসার এভারেস্ট জয় নিয়ে সংশয় প্রকাশের প্রথম লগ্নে, যখন কোনো ওয়েবসাইটে কিংবা কোনো ডিসপ্যাচে মুসার নাম খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। এই পোস্টের ৫৩ নং কমেন্টে আমরা দেখতে পাই, মুসা ইব্রাহীমের বন্ধু ও প্রথম আলোর সাংবাদিক সিমু নাসের এসে আমাদের জানাচ্ছেন,
৫৩ | সিমু নাসের (যাচাই করা হয়নি) | মঙ্গল, ২০১০-০৫-২৫ ১৭:০৯মুসার এভারেস্ট জয় বিষয়ক হিমালয়ান গাইডস নেপালের ওয়েবসাইট দেখতে ক্লিক করুন এই লিংকে
http://www.himalayanguides.com/news_and_events.php
মনে সন্দেহ আরো একটু ঘনীভূত হয়। মুসার নামে আলাদা একটি নোটিশ ইস্যু করানোর পেছনে কি মুসার এই বন্ধুদের কোনো তৎপরতা ছিলো? আমরা যদি একটু মনোযোগ দিয়ে দেখি, আমরা বুঝতে পারবো, মিডিয়ায় এ নিয়ে যে রিপোর্টিং হয়েছে, তা কতটুকু পেশাদার সাংবাদিকতা, আর কতটুকু বন্ধুকৃত্য। আমরা দেখেছি, এই সংবাদ ঢাকায় জানিয়েছেন মুসার বন্ধু অনিক খান, যিনি রহস্যময় কোনো কারণে সে সময় কাঠমাণ্ডুতেই অবস্থান করছিলেন। পুরো জাতিকে খবরটি আবেগের চোলাইসহ পান করিয়েছেন আনিসুল হক, যিনি মুসা ইব্রাহীমের নর্থ আলপাইন ক্লাব বাংলাদেশের সভাপতি [তিনিই সম্ভবত পৃথিবীতে একমাত্র মাউন্টেনিয়ারিং ক্লাব সভাপতি, যিনি একজন পর্বতে-না-চড়া সাংবাদিক]। পুরোটা সময় এই ইভেন্টটি কাভার করেছেন মুসার বন্ধুরাই। এভারেস্ট জয় নিয়ে কোনো ধরনের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের পরিবর্তে আমরা পেয়েছি মধ্যবিত্তের মনভোলানো নানা গালগল্প আর টুকে আনা বিবৃতি। গোটা ঘটনাটিই ছিলো একধরনের মিডিয়া হোয়াইটআউটের মধ্যে।
পাঠক প্রশ্ন করতে পারেন, হিমালয়ান গাইডস কেন এ ধরনের অস্বাভাবিক নোটিশ ইস্যু করলো? মুসা ইব্রাহীমই বা কেন বিশেষ একজন মক্কেল হতে যাবেন?
তাহলে চিন্তা করে দেখুন, মুসা ইব্রাহীম বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ মিডিয়াগ্রুপের একজন সাংবাদিক। তিনি এভারেস্টে চড়লেন বলেই তো বাংলাদেশের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক সংবাদপত্র দৈনিক প্রথম আলোতে দিনের পর দিন "হিমালয়ান গাইডস" নামটি উচ্চারিত হয়েছে। প্রথম আলোর উপসম্পাদক নেপাল পর্যন্ত ছুটে গিয়ে হিমালয়ান গাইডসের জ্যাঠা থামেলে অবস্থিত অফিসের কথা লিখেছেন। প্রায় ৪ লক্ষ সার্কুলেশন আর ২৪ লক্ষ রিডারশিপের [৯] এই পত্রিকার প্রথম পাতায় লিড নিউজে বিনা খরচে নিজেদের সুনাম প্রকাশের সুযোগ করে দেন যে মক্কেল, তিনি অবশ্যই বিশিষ্টজন। আর মুসা ইব্রাহীম তো হিমশৈলের চূড়ামাত্র। যে তরুণ-তরুণীর দল প্রথম আলোতে মুসার এই রোমাঞ্চকর যাত্রার খবর পড়ে উদ্দীপ্ত হয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে এভারেস্টের দিকে যাত্রা করবেন [১০], তারা স্বাভাবিকভাবেই মুসার মাধ্যমে বা স্বপ্রণোদিত হয়ে হিমালয়ান গাইডসের শরণাপন্ন হবেন। মুসা এক বিরাট ক্লায়েন্টেলের অগ্রদূত। তিনি বিশিষ্টজন নন তো কী? প্রথম আলোতে আন্তর্জাতিক মক্কেলের জন্যে স্পট অ্যাডের রেট হচ্ছে কলাম-ইঞ্চি ৪৫০ ইউএস ডলার। মুসার খবরের পাশাপাশি হিমালয়ান গাইডস নামটা, কাঠমাণ্ডুতে তাদের ঠিকানাটা যদি সাত দিনে মেরে কেটে কুড়ি কলাম-ইঞ্চি জুড়েও থাকে, তাহলেও তো এই সুসম্পর্কের মূল্য দাঁড়াচ্ছে ৯,০০০ ইউ এস ডলার। মুসার খবর ওয়েবসাইটে আলাদা করে আসবে না তো কার খবর আসবে?
আরো একটা জিনিস ভাবুন। মুসা ইব্রাহীম যদি এভারেস্ট জয় না করে থাকেন, তাহলে কি এই সুযোগটা আর ঈশ্বরী পড়েলের হাতে থাকে? দাঁওটা ফস্কে যায় না? মুসা এভারেস্টে চড়তে না পারলে সামনে চার-পাঁচ বছরে অন্তত বাংলাদেশের চার-পাঁচশো ক্লায়েন্টও ফস্কে যাবে। হিমালয়ান গাইডসের জন্যে কি সেটা বাঞ্ছনীয়?
আমরা এখানে একটা খুবই জটিল পরিস্থিতি দেখতে পাই। মুসা জিতলে সবাই জিতছে। প্রথম আলো একটা ব্র্যাণ্ড ড্রাইভ দিতে পারছে [২০০৯ সালে মুসা যখন অন্নপূর্ণা-৪ অভিযানে ছিলেন, প্রথম আলো তখন গ্রীষ্মকালীন ব্র্যাণ্ড ড্রাইভ "বদলে যাও বদলে দাও" উপলক্ষে দেশের প্রবীণ বুদ্ধিজীবীদের হাতে ত্যানা ধরিয়ে দিয়ে সৈকতে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলো] , মুসা পাচ্ছেন দেশের প্রথম এভারেস্টজয়ী হিসেবে নানা সম্মাননা, স্বীকৃতি এবং সুশীল হিসেবে সর্ববিষয়ে ওয়াজ-নছিহতের Carte Blanche [১৪], হিমালয়ান গাইডস মক্কেল হিসেবে পাচ্ছে বাংলাদেশের আগামী কয়েক বছরের সকল পর্বতারোহীকে, আর বাংলাদেশের নাকের-বদলে-নরুণে-তুষ্ট আমজনতা পাচ্ছে এভারেস্ট জয়ের তৃপ্তির বাতাসা। আর মুসা যদি হারেন, তাহলে প্রথম আলোকে হয়তো আবারও নতুন কোনো উছিলা নিয়ে পথে নামাতে হবে আনিসুজ্জামান-মনিরুজ্জামানদের, মুসা হয়তো পরের বছর বাংলাদেশের প্রথম এভারেস্টজয়ীর শিরোপা খুইয়ে বসবেন অন্য কোনো পর্বতারোহীর কাছে, আর হিমালয়ান গাইডসেরও ব্যবসা ফস্কে যাবে, পাবলিকের কথা বাদ দিলাম।
সব দিক বিচার করে বললে বলা যায়, মুসা এভারেস্টে চড়েছেন, এমন একটি বিবৃতি দেয়া হিমালয়ান গাইডসের জন্যে লাভজনক। তাদের সাক্ষ্যকে তাই কুম গ্রানো সালিস বিবেচনা করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
মুসা ইব্রাহীমের অসত্যভাষী গাইডের সাক্ষ্য, তার বাণিজ্যিক সম্পর্কে আবদ্ধ ট্যুর অপারেটরের সাক্ষ্য এবং সার্টিফিকেটের সহজলভ্যতা নিয়ে আমার এ সংশয়ের পর পাঠক প্রশ্ন করতে পারেন, তাহলে এভারেস্ট জয়ের সুস্পষ্ট প্রমাণ কী? আমার উত্তর, একাধিক স্পষ্ট ছবি, যেখানে এভারেস্টের আশেপাশের ভৌগোলিক ফিচারগুলো বোঝা যায়; একটি ভিডিও লগ; সম্ভব হলে অন্যান্য পর্বতারোহীদের ডিসপ্যাচে উল্লেখ। এই তিনটির একটিও মুসা এখন পর্যন্ত জনসম্মুখে হাজির করেননি, কেবল একটি অস্পষ্ট ছবিকে এভারেস্টের শীর্ষে তোলা বলে প্রথম আলোতে প্রকাশ করা হয়েছে। এমনকি তিনি যত্রতত্র সম্বর্ধনা নিয়ে বেড়াচ্ছেন যেসব জায়গায়, সেখানেও ব্যানারে লোকজন তাঁর এভারেস্টের কোনো ছবি সংযোজন করতে পারেনি, অন্নপূর্ণা-৪ অভিযানে তোলা ছবি দিয়েই তারা মূর্খের মতো কাজ চালিয়ে নিচ্ছে। এ ব্যাপারে মুসা কোনো সংশোধনী দিয়েছেন, কিংবা নিদেনপক্ষে সম্বর্ধনা আয়োজকদের নিজের একটি "এভারেস্টশীর্ষে তোলা ছবি" যুগিয়ে সহায়তা করছেন, এমন নমুনাও দেখা যায় না। নিচের ছবিতে দেখুন তার প্রমাণ, ব্যানারে যুক্ত ছবিটিতে মুসার অন্নপূর্ণা-৪ অভিযানের সহযাত্রী তৌহিদ হোসেনকে দেখা যাচ্ছে।
সবশেষে বিবেচনা করতে হয় মুসা ইব্রাহীমের নিজের বক্তব্য। তিনি বেইস ক্যাম্পে ফিরে এসে ডয়েচে ভেলে আর বিবিসিকে পরিষ্কারভাবেই জানিয়েছেন নিজের এভারেস্ট জয়ের কথা। এখানেও সেই একই হার আর জিতের হিসাব। মুসা ইব্রাহীমের বক্তব্য মতে, বিপুল অর্থ ব্যয় করে তিনি এভারেস্টে গেছেন। এই অর্থের পরিমাণ একেক সময় একেক অঙ্কে জানা যাচ্ছে, আমার কাছে যে টিভি রিপোর্টটি আছে, সেখানে তিনি বলেছেন ছেচল্লিশ লক্ষ টাকার কথা [১৫]। মুসা ইব্রাহীমের ক্লাব সভাপতি আনিসুল হক জানাচ্ছেন [১১],
টাকাটা আমরা তাঁকে জোগাড় করে দিতে পারিনি। মতি ভাই (মতিউর রহমান) কয়েকজনকে অনুরোধ করে লাখ ১২ টাকা জোগাড় করে দিতে পেরেছিলেন।
অতএব, মুসা আর হকের বক্তব্যকে সত্য বলে ধরে নিলে মুসা ৩৪ লক্ষ টাকা নিজের উদ্যোগে যোগাড় করেছেন। হকের ভাষায় [১১],
কিন্তু মুসা তো তাঁর ফেসবুকে নিজের পরিচিতিতে লিখেই রেখেছেন, ‘ইফ আই টার্গেট সামথিং টু ডু, মাইন্ড ইট—আই উইল ডু ইট বাই অ্যানি মিনস।’ আমরা জানলাম, মুসা রওনা হয়ে গেছেন। ওর প্রবাসী বড় বোন মনির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ধার নিয়ে মুসা রওনা হয়ে গেছেন স্বপ্নপূরণের অনিশ্চিত পথে।
ধরে নিচ্ছি এ বক্তব্যও সত্য, বোনের অ্যাকাউন্ট থেকেই ছেচল্লিশ বিয়োগ বারো রইলো চৌত্রিশ লক্ষ টাকা তুলে নিয়ে মুসা এভারেস্টে চড়তে চলে গেছেন। আমরা নিশ্চিত, এ সংক্রান্ত কাগজপত্রও মুসা প্রোডিউস করতে পারবেন। এতগুলো টাকা বাংলাদেশের বাইরে নিতে হলে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কেও শুনেছি কাগজপত্র নিয়ে দৌড়ঝাঁপ করতে হয়, কাজেই এ সংক্রান্ত পেপারওয়ার্কস নিশ্চয়ই রয়েছে।
পাঠক, ভাবুন একটু। মুসার জুতোয় নিজের পা ঢোকান। চৌত্রিশ লক্ষ টাকা ধার করে একটি অলাভজনক উদ্যোগ নিয়েছেন আপনি। লক্ষ একটি সার্টিফিকেট। এই সার্টিফিকেটটি অর্জনও খুব একটা কঠিন কিছু নয়, যেহেতু এটি সংগ্রহ করবে আপনার ট্যুর অপারেটর হিমালয়ান গাইডস, যাদের স্বার্থ আমি একটু ওপরে ব্যাখ্যা করেছি। এই সার্টিফিকেটের জন্যে আপনাকে এভারেস্টের ওপরে উঠতে হবে। উঠতে না পারলে শক্তভাবে একটা মিথ্যা কথা বলতে হবে। আপনি একজন মধ্যবিত্ত যুবক, প্রথম আলো গোষ্ঠীর সাংবাদিক আর ফেসবুকে নিজের পরিচয় দেন এভাবে, ইফ ইউ টার্গেট সামথিং টু ডু, এভরিওয়ান ইজ রিমাইণ্ডেড—ইউ উইল ডু ইট বাই এনি মিনস।
এনি মিনস?
কী করবেন পাঠক, যদি এভারেস্টে উঠতে না পারেন? পেছনে পড়ে আছে আপনার দেড় বছরের সন্তান, উদ্বিগ্না স্ত্রী, মধ্যবয়স্ক উপসম্পাদক কাম ক্লাব সভাপতি আর চৌত্রিশ লক্ষ টাকার কথিত দেনা।
সম্ভবত ইউ উইল ডু ইট বাই এনি মিনস। নেমে এসে "পারিনি" বলাটা আপনার জন্যে কোনো অপশন নয়। যেমন পারেনি মার্কেজের রেলাতো দে উন নাউফ্রাগোর লুইস আলেখান্দ্রো বেলাস্কো। কলম্বিয়াতে একজন গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ ছিলেন বলে সত্যটি পেয়েছে প্রকাশ, পাঠক পেয়েছে একটি নন-ফিকশন কাহিনি, আর বেলাস্কো পেয়েছে মুক্তি। The Story of a Shipwrecked Sailor বইটির প্রারম্ভিকায় মার্কেজ লিখেছিলেন, সবাই নিজের মূর্তি ডাইনামাইট দিয়ে ধ্বংস করতে পারে না, বেলাস্কো সেই বিরল ব্যতিক্রমদের একজন। মুসা বেলাস্কো নন, আর আমাদের দেশে সাংবাদিকদের মধ্যে হয়তো কেবল আনিসুল হক, সিমু নাসের আর অনিক খানেরাই আছেন, কোনো মার্কেজ নেই, তাই আমরা শেষ পর্যন্ত সংশয়ীদের গালি দিয়েই খুশি থাকি।
ব্যস্ততার কারণে আগামী পর্ব লিখতে আমার একটু সময় লাগবে। পর্ব ৩ এ থাকবে কয়েকটি সাক্ষাৎকার [বিদেশী পর্বতারোহী, যাঁরা ২৩ মে এভারেস্ট সামিট বিডে ছিলেন], ম্যাপ আর ছবি, আলোচনা করা হবে এভারেস্ট অভিযানে মুসার বক্তব্যের কয়েকটি অসঙ্গতি নিয়ে। সিরিজটি সম্ভবত আগামী পর্বেই শেষ হবে, তবে পরিস্থিতিভেদে আরো একটি পর্ব লেখা হতে পারে। খুশি হবো যদি পাঠকেরা এই পোস্টে আলোচনা প্রাসঙ্গিক রাখেন। অপ্রাসঙ্গিক আলোচনাকে নিরুৎসাহিত করা হবে। ধন্যবাদ।
[১] এভারেস্ট হোক্স
[২] "বিএমটিসি চুলু ওয়েস্ট জয় করেনি", মুসা ইব্রাহীম
[৪] http://www.everestsummiteersassociation.org/component/content/article/13-nepal?start=13
[৫] পাহাড় ছোঁয়ার গল্প: পর্ব-৩, এভারেস্ট জয়ের সেই সকালটি, মুসা ইব্রাহীম
[৬] "গোড়ায় বসে চূড়ার খবর", অনিক খান
[৮] মুসা ইব্রাহিমের এভারেস্ট জয় এবং একজনের অভিজ্ঞতা
[১০] আমার স্বপ্ন: এভারেস্ট জয়ের স্বপ্ন দেখি, সানজিদা কাঁকন
[১১] পাহাড়সমান প্রতিজ্ঞা হার মানল এভারেস্ট - আনিসুল হক
[১২] "পর্ব-৪ পাহাড় ছোঁয়ার গল্প,পাহাড়ের ডাকে", মুসা ইব্রাহীম
[১৩] ‘ইনি মনে হয় মুসা!’, আবদুল কুদ্দুস
[১৪] "নেপাল ভ্রমণে স্বাগতম!", মোছাব্বের হোসেন
[১৫] মুসার সাক্ষাৎকার, দেশ টিভি, ৩:০৪
[১৬] এভারেস্ট জয়ের সার্টিফিকেট প্রদান পদ্ধতি
[১৭] Top women mountaineers clash over photo in race to scale highest summits
মন্তব্য
বিয়াপক লুকজন এই সিরিজের কথা জিগায়। সুতরাং দ্বিতীয় পর্বের জন্য ধন্যবাদ।
তৃতীয় পর্বের "কয়েকটি সাক্ষাৎকার, ম্যাপ আর ছবি, আলোচনা করা হবে এভারেস্ট অভিযানে মুসার বক্তব্যের কয়েকটি অসঙ্গতি নিয়ে" থেকে পাঠক হয়তো নিজের মতো করে একটি উপসংহার টানতে পারবেন।
দারুণ............পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম...
মূর্তালা রামাত
আশা করি পরের পর্বে সত্যটা আরো পরিষ্কার হবে।
তাড়াতাড়ি পরের পর্বের অপেক্ষায়। (জানি আবদারটা বেশি হয়ে গেলো )
পাগল মন
অসাধারণ! যুক্তিবাদী কেউ উপেক্ষা করতে পারবে না আপনার উত্থাপিত বিশ্লেষন ও সন্দেহগুলো।
অন্ধবিশ্বাসমুক্ত হয়ে পরিষ্কার মাথায় চিন্তা করলেই বোঝা যাবে এভারেস্ট জয় বিষয়ে মুসার দাবী কেন প্রশ্নবিদ্ধ। টেকনোলজিময় এই যুগেও জুৎসই অন্তত একটা প্রমাণ দাখিলে অপারগতাই বহু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। একেবারে ওপরের কোটেশন দুটোই আসলে সারকথা। দাবী করলে গ্রহণযোগ্য প্রশ্নাতীত প্রমাণ দেখানোর দায় দাবীদারেরই।
পর্ব ১ পড়েছিলাম আর পর্ব ২ পড়লাম। আর এ ও জানি যে মোসেস কিছুই বলবেন না। যার পিছনে আনিসুল হক, লতিফুর রহমানরা থাকেন, তাদের কিছু বলতে হয়না, এটাই রীতি।
আমরা এমনই এক জাতি যে আমাদের কাছে যুক্তি থেকে আবেগ অনেক বেশি মূল্যবান। বন্ধুদের সাথে এই বিষয়ে শেয়ার করতে গেলে তারা বিরক্ত হয়, বলে আমি ফালতু প্যাঁচাল করছি। তাদেরকে বলেছি "ছওয়ালরে চান্দে পাঠাবো আম্রিকার ট্যুরিজম এজেন্ট দিয়ে, তোরা টাকা হাওলাত দিস।"
জানিনা আর কবে মুসা কিছু উত্তর দেবেন। আর যদি না দেন তবে ধরে নিতে হবে যে মুর্শিদাবাদী ঐতিহ্যের কিছু বাহক এখনও বাংলাদেশে করে-ধরে খাচ্ছে।
রাতঃস্মরণীয়
জমজমাট আলোচনার অপেক্ষায় থাকলাম।
আমার দেখা বাংলা ব্লগের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজ। কতজনকে যে আমার উত্তর দিতে হয়েছে- আসছে আসছে, কাজ চলছে--অপেক্ষা করুন এইসব।
আমার বিশ্লেষন হলো কারো যদি বোঝার স্বামর্থ থাকে তাহলে আপনার প্রথম পর্বেই বোঝার কথা। কেউ যদি যাচাই করে নিতে পছন্দ করেন তাহলে দ্বিতীয় পর্বেই কাজ হওয়ার কথা। এরপর তো তৃতীয় পর্ব আছেই!
আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করছি এই লেখাটা সর্বোচ্চ সংখক মানুষের হাতে পৌছানোর ব্যাপারে। আপনার সাথ কথাও বলেছিলাম। সিরিজ শেষ হলে আপনার ইচ্ছা অনিচ্ছার কথা জানাবেন।
শুভকামনা রইলো।
কাজী মামুন
অনেক ধন্যবাদ! সেই কবে থেকে ওয়েট করে ছিলাম এই পর্বের জন্য!
মুসা তো এই সিরিজ পড়ে। কিন্তু উত্তর করে না। কেনু?
---------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
তাই নাকি? কিভাবে জানলেন!
আর পড়লেই বা কি! তাঁর কিছু বলার থাকলে তো আর সিরিজ লেখা বন্ধ করতো না! শুধু জেনে রাখুক সত্য স্বীকার করে ক্ষমা না চাইলে আজীবন কী ঘৃণার পাত্র হয়ে সে থাকবে!
কাজী মামুন
মুসার ইব্রাহীমের এভারেস্ট জয়ের দাবী যদি মিথ্যে প্রমানিত হয়, তবে মুসার চেয়ে প্রথম-আলো বা আনিসুল হকদের রেপ্যুটেশনাল রিস্কটা অনেক বেশী। একজন ব্যক্তি অসৎ হতে পারে, তবে প্রাতিষ্ঠানিক অসততা একটি প্রচার মাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য এক বিশাল আঘাত। সুতরাং প্রথম-আলো বা আনিসুল হকদের জেনে শুনে মিথ্যে প্রচারের এমন ঝুঁকি না নেয়ারই কথা। তবে সম্প্রতি প্রথম আলোতে প্রকাশিত কিছু প্রবন্ধে তথ্যগতভ্রান্তির যে নমুনা দেখা যাচ্ছে, তাতে করে ওদের তথ্যযাচাইয়ের দক্ষতা নিয়ে সন্দেহ এসে যায়। সুতরাং মুসার বক্তব্য ও সার্টিফিকেটকেই তথ্যযাচাইয়ের ভিত্তি ধরে প্রথম-আলো গ্রুপ যদি এভারেস্ট জয়ের দাবী হজম করে থাকে, তাহলে চক্রাকারে আবার রেপ্যুটেশনাল রিস্কের বিষয়টি সামনে চলে আসে। এবার অযাচিত তথ্য প্রচারের রেপ্যুটেশনাল রিস্ক। এখন মুসার ইব্রাহীমের এভারেস্ট জয়ের দাবী মিথ্যে, এটি যদি প্রথম-আলোর দৃষ্টিগোচরও হয়, তবে তাদের উপায় থাকে মুসাকে কার্টুনিস্ট আরিফ বানিয়ে দেয়া অথবা যা হবার হয়েছে ভেবে সব চেপে যাওয়া। নিজের অবস্থান, যুক্তি বা আবেগের বিপরীতে হলেও অপ্রিয় সত্য প্রকাশের বা মেনে নেয়ার গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি আমাদের আছে বলে মনে হয়না। সুতরাং, মুসা ইব্রাহীম ও প্রথম-আলো সব সময় এই নেভারেস্ট ধারণার বিপরীতেই থাকবে বলে আমার ধারণা।
অনেক বিষয় থাকে যেগুলো সম্পর্কে তথ্য ও বিশ্লেষন দিয়ে সংশয় উপস্থাপন করা যায়। পুরোপুরি প্রমান করা যায় না। নেভারেস্ট সিরিজ আমাদের সংশয়কে গভীরভাবে ঘনীভুত করবে। নেভারেস্ট কেবল অমুকে এটা বলেছে, তমুকে সেটা বলেছে জাতীয় আমাদের প্রচলিত কায়দার “সুস্পস্ট” প্রমানের প্রচেস্টা নয়। বরং এটি এমন একটি পরিশ্রমসাধ্য গবেষনাভিত্তিক সংশয় যার প্রেক্ষিতে এই পর্বের শুরুতে দেয়া উদ্ধৃতিগুলো গভীর ভাবে প্রযোজ্য। দায়িত্ব এখন মুসার। মুসা পারে এই সংশয়গুলোকে খন্ডন করতে অথবা পারে প্রথম-আলোর রেপ্যুটেশনাল রিস্কের সুবিধে নিয়ে প্রসঙ্গটাকে এড়িয়ে যেতে। আমাদের প্রচলিত সংস্কৃতিতে সততার আশা দূরাশা। তাই মুসা হয়তো ফুলের জলসায় নীরব হয়েই থাকবে আর আমরা পড়ে থাকবো গভীর, সুগভীর এক সংশয় নিয়ে।
জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
মুসার এভারেস্ট জয় শেষমেষ কেচ্ছাতেই যদি পর্যবসিত হয়ে থাকে, (অবস্থাদৃষ্টিতে এটাকে খন্ডানো এখন রীতিমত দুরুহই বটে) ,তাহলে প্রকারান্তরে আরেকটি প্রশ্ন চলে আসে, এই ম্যামথ হোক্সের নাটের গুরু কয়জন।মূল ব্যাপারটা আসলে কাদের মাঝে সীমাবদ্ধ? মুসার কথা বাদই দিলাম, এমন কেউ কী নেই ,যিনি খানিকটা বুকের পাটা দেখিয়ে এই প্রহেলিকা ঘোঁচাবেন? ঘটনা সম্পর্কে জ্ঞাত সবাইই কী কোন না কোন ভাবে লাভবান হয়েছেন?
অদ্রোহ।
দয়া করে কেউ বলবেন না যে এভারেস্ট জয়ের সত্যতা নিয়ে যে প্রশ্নগুলো উঠেছে তার খবর মুসা ইব্রাহীমের কানে পৌছায় নি। মুসার কাছে যদি অকাট্য প্রমাণ থাকে তাহলে তিনি সেগুলো সবার সামনে হাজির করতে দেরি করছেন কেন? নাকি তার মতে প্রথম আলোতে প্রকাশিত ছবিটাই সব সংশয় দূর করার পক্ষে যথেষ্ট? তেমন ভাবার ভুলটা তার জন্য না করাই ভালো।
ছালা থেকে প্রমাণ বের করার জন্য তো কোনো সময় লাগার কথা নয়, কিন্তু তথাকথিত এভারেস্ট জয়ের দুমাসেরও বেশি সময় হয়ে গেছে, অথচ কোনো ভিডিও লগ, কিংবা চূড়ার স্পষ্ট কোনো ছবি এখনো আমরা দেখতে পাই না।
যতই দিন যাচ্ছে ততই যে সন্দেহ বাড়ছে। এই সিরিজের তৃতীয় পর্বের অপেক্ষায় আছি।
আমরা বন্ধু ব্লগের একটি পোস্টে প্রথম আলোর অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় সম্পাদক (?) শওকত হোসেন মাসুম বলেছিলেন,
এই একটা কথা কিন্তু অনেক বড় একটা ছবি স্পষ্ট করে। ব্লগে ব্লগে জবাবদিহি কিন্তু সেই পাবলিকের কাছেই জবাবদিহি। এই পাবলিকের কাছেই মুসা দাবি রেখেছেন যে তিনি এভারেস্ট জয় করেছেন, এবং এই দাবিকে সাবস্ট্যানশিয়েট করার দায়িত্বও তার। ব্লগ এমন কোনো জঘন্য জায়গা নয় যে এখানে একটা সঙ্গত প্রশ্ন উত্থাপিত হলে তার উত্তর দেয়া যাবে না। কিন্তু প্রথম আলোর মিড-এশেলনের সাংবাদিকরা মানুষের কাছে জবাবদিহিতার ব্যাপারটাকে ব্লগে বসেই তাচ্ছিল্য করছেন। তাদের মনোভাব হচ্ছে এমন, "আমরা বলসি এভারেস্টে উঠসে, তো উঠসে, আবার কীসের জবাবদিহি?" এই কথাটা তাই শুধু মাসুম ভাইয়ের কথা নয়, এই কথাটা সাংবাদিকদের একটা অংশের মনের কথা, যারা স্বচ্ছতা আর জবাবদিহিতার নিয়ন্ত্রণের রাশটা নিজেদের মুঠোয় দেখতে চান। মাসুম ভাইকে তাঁর লেখনীর গুণে [স্বনামে] আমি অনেক পছন্দ করলেও তাঁর এই কথাটি পছন্দ করতে পারিনি।
ব্লগে ব্লগে জবাবদিহি করার দরকার কী? প্রথম আলো'তেই করুক না। সেখানেই মুসা তার এভারেস্ট বিজয়ের উপর উত্থিত প্রশ্নগুলোর চাপা ভাঙা জবাব দিক প্রয়োজনীয় প্রমাণ দিয়ে। তার মতো সেলেব্রিটির তো ব্লগে জবাবদিহির প্রয়োজন পড়ে না।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এই যে এতো কষ্ট করে লেখক এতো তথ্য যোগার করছেন এবং এতো যুক্তি দিয়ে বোঝাবার চেষ্টা করছেন মুসা ইব্রাহীম হিমালয়ে চরেন নাই এর প্রকৃত কারন কি সত্য সাধনা নাকি কোন ব্যাক্তিগত ক্ষোভ ? কেউ কোন কৃতিত্ব দেখালে সাধারনত আমরা উচ্ছসিত হই । কিন্তু সেই প্রথম থেকেই দেখছি এই লেখক এর ফুটো খুজে বেড়াচ্ছেন । আসল ঘটনা কি ? লেখকের মনে কি বিশেষ জ্বালা আছে কিনা এই ব্যাপারটা আমাকে ভাবাচ্ছে । প্রথম লেখাটায় আমি একটু আগ্রহী হয়েছিলাম , এখন মনে হচ্ছে পেছনে কোন অন্য কারন আছে ।
লেখক ফুটো খুব ভালোবাসেন। তাই তিনি কেবল ফুটো খুঁজে বেড়ান। লেখক খুবই খারাপ লোক। কিন্তু স্বীকার করবেন হয়তো, যে লেখক ফুটো খুঁজে পেয়েছেন। একটা দু'টো নয়, অনেকগুলো, যেগুলোর ভেতর দিয়ে উট ঢুকে যেতে পারে। "লেখক কেন ফুটো খুঁজে বের করলেন", এ নিয়ে আপনি গবেষণা শুরু করুন। আমরা ফুটোগুলো নিয়ে গবেষণা করি।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
কৃতিত্বের প্রমাণ কই?
ধরা যাক উদ্দেশ্য খারাপ।
কিন্তু তাই বলে বক্তব্য তো আর ভুয়া হয়ে যায় না।
বক্তব্য পছন্দ না হলেই আমরা উদ্দেশ্য খুঁজতে যাব?
লেখকের মনে সন্দেহ এসেছে- তিনি তার সন্দেহের ভিত্তি গুলো বর্ণনা করেছেন।
আমি এখনো মুসার সততায় আস্থা রাখছি, তবে সন্দেহের ভিত্তিগুলোকেও কিন্তু বাতিল করে দিতে পারছি না।
কিছুই প্রমানিত নয়। তাই সকল পক্ষের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই আমাদের ভাবনাগুলোকে প্রকাশ করতে হবে।
ধরা যাক আপনি ঈমানদার, ধর্মে গভীর বিশ্বাস। আর আমি সংশয়বাদী, ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে শত প্রশ্ন আমার মনে। এই চরম বৈপরিত্যের মাঝেও কিন্তু পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আলোচনা চলতে পারে। শর্ত একটাই- আলোচনাকে আপনার বিশ্বাসের উপর আঘাত বলে ভেবে নেয়া চলবে না। এখানেও তাই। আমরা পরস্পরবিরোধী কিছু বক্তব্য আলোচনা করছি। কিন্তু সব পক্ষের উপর শ্রদ্ধা রেখে।
জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আচ্ছা, পত্রিকায় যত অনুসন্ধানী রিপোর্ট আসে, এ সবই কি তাহলে কোনো খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা? সাংবাদিক কিংবা সম্পাদকের কি কোনো "অন্য কারণ" বা "আসল কারণ" থাকে ঐসব অনুসন্ধানী রিপোর্ট লেখার পেছনে? নাকি তারাও "সত্য সাধনা" করেন?
Kabir [অতিথি] (যাচাই করা হয়নি) ভাই, আপনি জায়গামতো আলো ফেলেছেন। যাকে বলে একেবারে প্রথম আলো। এইটা লেখকের ব্যক্তিগত ক্ষোভই আসলে। কারণ লেখকও ঐসময় বিখ্যাত শেষ আঁধার পত্রিকার জনৈক উপসম্পাদক বেমিসাল শুক্কুর সাহেবের তত্ত্বাবধানে তার বাড়ির পেছনের সাড়ে তিন ফুট চুউচ্চ পিঁপড়ার ঢিবিতে আরোহন করেছিলেন। কিন্তু মুসার এই এভারেস্টের ডামাডোলে পড়ে লেখকের এই ঐতিহাসিক বিজয় ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে। এইটা লেখক কেমনে সহ্য করেন, আপনেই বলেন।
স্বনামধন্য এভারেস্ট জয়ী মুসার ছিদ্রান্বেষণকারী লেখককে কইষ্যা মাইনাস দেই চলেন।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মুসার নৈতিক চরিত্র শক্ত থাকলে উনি চুলু ওয়েস্ট জয়ের যে সার্টিফিকেট ফেরত দিয়ে আসতেন। বিষয়টা এরকম যে আমি পরীক্ষায় এ্যাটেন্ড করিনি, কিন্তু রেজাল্ট বেরিয়েছে আমি পাস করেছি। এবং এটা দেখেও বিষয়টা আমি পরীক্ষককে অবহিত না করে চেপে গেলাম। হায়রে সেলুকাস!
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
১. মুসা চুলু-ওয়েস্টের ব্যাপারটা নিয়ে তার দলের লোকজনের সাথে কনফ্রন্টেশনে যায়নি।
২. সার্টিফিকেশন অথরিটিকে সত্য কথাটা বলেনি।
৩. দেশে ফিরে এসে মিডিয়ার সামনে সত্য কথাটা বলেনি।
কেবল যখন বলা হয়েছে, সজল খালেদ আর এম এ মুহিত সামিট করেছে, মুসা আর নূর মোহাম্মদ করেনি, কেবল তখনই সে প্রতিবাদ করা শুরু করেছে। অর্থাৎ, মুখ খুলেছে যখন কেবল নিজের স্বার্থে টোকা পড়েছে।
দারুণ...
অনেক অপেক্ষার পর দ্বিতীয় পর্ব পেলাম। হিমু ভাইকে অশেষ ধন্যবাদ সত্য খোঁজার পেছনে এত সময় ব্যায় করে আমাদের কৌতুহল মেটাতে এগিয়ে আসায়।
আর হাসিবের সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে বলতে চাই,
নবীন পাঠক
shahriarsajib@gmail.com
এভারেস্ট জয়ের সার্টিফিকেট কি টাকা দিয়ে কেনা যায়?
আগে কি এমন কোন নজির আছে?
যদি সময় হয় তাহলে এই লিংকটাতে গিয়ে আর্টিকেলটা পড়তে পারেন।
মুসার সামিটের সত্যতাকেন্দ্রিক ব্যাপারগুলান মনে হয় দে জা ভ্যু
এই লিংক থেকে কয়টা লাইন এক্সট্রাক্ট করলাম। হয়তো প্রাসঙ্গিক।
সার্টিফিকেট সরাসরি টাকা দিয়ে কেনা যায় কি না, এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে একমাত্র ট্যুর অপারেটররা, যেহেতু তারা মক্কেলের হয়ে সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে।
সার্টিফিকেট ইস্যু নিয়ে এভারেস্টনিউজের এই লিঙ্কটি পড়ে দেখতে পারেন, প্রকৃত চিত্র স্পষ্ট হবে।
প্রচণ্ড পরিশ্রম হয়েছে লিখতে বোঝা যাচ্ছে। তবু একটু হতাশ, ভাবছিলাম সাক্ষাৎকারগুলা শুনতে পাব। আগের পর্বে যত ফ্যাক্ট ছিল, এ পর্বে তা পুরো অনুপস্থিত, আছে কেবল যুক্তি। যুক্তি দিয়ে এভারেস্ট জয় অপ্রমাণ করা কঠিন। কৈলাশ তামাং মুসার আতিথ্য নিয়ে কক্সবাজার ঘুরে গেছে তার মানে সুবিধা নিয়েছে- একটু বেশী হয়ে যায়। যাক, পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
সাক্ষাৎকারগুলো লিখিত, তাই শোনার সুযোগ নেই, পড়তে পারবেন।
এভারেস্ট/নেভারেস্ট দুটোই আমি ফ্যাক্ট আর যুক্তি দিয়ে বোঝার চেষ্টা করছি। তবে যুক্তি দিয়ে এভারেস্ট জয় অপ্রমাণ করা কঠিন না যদি যুক্তিটা হয় ফ্যাক্ট-প্রসূত।
১. এখানে ছবিটা ফ্যাক্ট। কিন্তু মুসার দাবিতে সেই ফ্যাক্ট অনুপস্থিত।
২. সাক্ষী একজন ফ্যাক্ট। কিন্তু সাক্ষীর সততা নিয়ে যা হিমু বলছে, তা কিন্তু ফ্যাক্ট নির্ভর।
৩. নিদর্শন একটা ফ্যাক্ট। কিন্তু আপাতত: তা মুসার দাবিতে অনুপস্থিত।
৪. আরোহনকারীর বিশ্বাস যোগ্যতা নিয়ে হিমু যা উপস্থাপন করছে (যেমন চুলু-তে না উঠেও সনদ নেয়া সংক্রান্ত স্বীকারোক্তি), তা তো ফ্যাক্ট-ই, তাই না?
এবার একটা ফ্যাক্ট ছাড়া যুক্তি দেই---
স্মৃতি যদি সত্যিই কলুষিত হয়, তখন নিজের স্বপ্ন আর অন্যের সাফল্য মিলিয়ে শীর্ষ জয়ের "সাফল্যের-স্মৃতি" নিশ্চই তৈরি করা সম্ভব। এক সময় ব্যক্তি নিশ্চই বিশ্বাসও করা শুরু করবে।
-----------
চর্যাপদ
-----------
চর্যাপদ
সাইদ ভাই
If presence of a fact f proves something x,
absence of f does NOT necessarily disprove x.
আমার যুক্তির ক্ষুদ্রজ্ঞান এই বলে।
হিমু যুক্তি দিলো, দেশের বাইরে অতগুলা টাকা নেয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি লাগছে নিশ্চয়ই, সে কাগজগুলা কই? কাগজগুলো থাকলে সেটা মুসার জন্য ফ্যাক্ট। না থাকার মানে এই না যে, সে টাকা নিয়ে যায়নি বা পর্বতে চড়েনি।
[চিকিৎসা আর শিক্ষার কারণ ছাড়া বৈধভাবে দেশের বাইরে টাকা নেয়া প্রায় অসম্ভব। মুসা হিমালয়ে পর্বতে যে গেছে সেটা তো সত্য? সেখানে ঢুকতেই তো শুনলাম জনপ্রতি ১০,০০০ ডলার ফি দিতে হয়! মুসা হয়ত হুন্ডি করে নিয়েছে টাকা, তাই কাগজপত্র নাই।]
আপনি যে লিংক থেকে ইংরেজি লেখাটুকু কোট করলেন, তার পাশের আরেকটা লিংকে আছে
আগের দিনে আমরা মনে করতাম ছাপার লেখা মিথ্যা হয় না, এখন অবস্থা দাঁড়িয়েছে ওয়েব সাইটে যা থাকবে তাই বিশ্বাস্য। এ দুটো সাইট নেপাল-ভিত্তিক নয়, একটার কর্তৃপক্ষ কারা তার কোন নিদর্শন নেই, আরেকটাতে কয়েকটা নাম লেখা আছে। আমি এদেরকে ফ্যাক্ট মনে করি না।
হিমু সিরিজের ভূমিকাতে বলেছিল, 'মূসা এভারেস্ট সামিট করেছে' এটাকে ভুল প্রমাণ করার কোন উদ্দেশ্য নেই। তার মনে সন্দেহ জেগেছে, তাই স্টাডি করেছে।
স্টাডি যদি ভুল হয় (এবং মুসা দেখায় যে সত্যি সত্যি সে সামিট করেছে), এতেও তার কাজটার গুরুত্ব কমে যাচ্ছে না।
৪নং পয়েন্টকে স্বীকারোক্তি বলছেন কেন? সজল খালদের সাথে তার শত্রুতা, সেজন্য তাকে অপদস্থ করার জন্যই সেটা করেছে। মুসা চুল্লুজয়ের 'দাবী' করে ধরা খায়নি। সেটা খেয়েছে সজল খালেদ, মুসা ধরা দিয়েছে। তবে, সার্টিফিকেট নেয়ার বিষয়ে তার নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়।
আলমগীর ভাই, কাগজ থাকা বা না থাকার মানে ঐ প্রতিষ্ঠানটির সাথে লেনদেন বা যোগাযোগের প্রমাণ থাকা বা না থাকা, টাকা নিয়ে যাওয়া না যাওয়া বা পর্বতে চড়া না চড়া নয়। আমি টাকার প্রসঙ্গ তুলেছি টাকার অঙ্ক সম্পর্কে পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করতে। তবে এই পোস্টে মন্তব্যের ঘর থেকে জানা গেলো, আরেকজন পর্বতারোহী জনাব মুহিত ২৫ লক্ষ টাকা নিয়ে গেছেন একই পথ ধরে। ২৫ লক্ষ আর ৪৬ লক্ষ টাকার মধ্যে তফাত বেশ বড়সড়, এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা খুঁজতে পারি আমরা। আশা করি আপনি এই টাকার ব্যাপারটাকে মুসার এভারেস্ট জয়কে প্রমাণ বা অপ্রমাণ করার সাথে গুলিয়ে ফেলবেন না।
খুব আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছিলাম। মাঝে একবার ভেবেছিলাম হয়তো চা খাওয়া আর শেষ হবে না। বহু খাটুনীর কাজটা করেছেন, কথা রাখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
মজার ব্যাপার হলো মুসা ইব্রাহিম হিমালয়ের মতো শীতল রইলেন! আমরা তার শীর্ষজয় নিয়ে সংশয় সন্দেহ করছি, এতে যেনো তার কিছুই আসে যায় না! কোন একটা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেখলাম; মুসা ইব্রাহিম দর্শকদের উদ্দেশ্য করে বলছেন- আপনারা জোড়ে বলুন "বাংলাদেশ"। না জয় বাংলা, না বাংলাদেশ জিন্দাবাদ। যাতে সবদিক খোলা থাকে। কৌশলটা খুব নতুন লাগল। সাধারণ ভাবে আমরা এই দুটো শুনেই অব্যস্থ। যাক নতুন একটা যোগ করলেন তিনি।
তাঁর নিজের জবানিতে শীর্ষজয়ের মূর্হুতে না প্রিয়তমা স্ত্রীর কথা না সন্তানের কথা মনে এলো! এলো প্রিয় বাংলাদেশের কথা। সেটা খুবই স্বাভাবিক। দেশের কথা নিশ্চই মনে আসবে। তাই বলে স্ত্রীর কথা বাদই দিলাম, সন্তানের কথাটা মনে আসবে না! হতে পারে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশে এইসব মানবিক ব্যাপার এখনো ঠিক জনপ্রিয় হয়েউঠে নি। কিন্তু যে বোন তাঁকে এতোগুলো টাকা দিয়ে এভারেষ্টে পাঠালো তাঁর কথাও না! সব আমি করেছি আর আলু পেপার শক্তি দিয়েছেন। কারণ আমি যা বলি যে কোন মূল্যে তা করি। এতো বড় সাফল্যে আমি মুসা ইব্রাহিমের সাফল্য ছাড়া আর কারো কোন সহযগীতার জন্য কৃতজ্ঞতা বা ধন্যবাদ জানাতে দেখলাম না। এখানে ঠিক মানবিক কোন ব্যাপার নেই। আনন্দের অশ্রু নেই। আছে মাত্র বার লাখ টাকা দেয়া আলু পেপার। স্পন্সরদের লগো নিয়ে ছবি তোলার কথা কিন্তু মনে আছে। আর আছে বাংলাদেশ বাংলাদেশ বলে জিকির তোলা। এমন জনপ্রিয় শ্লোগান হলেই আলু পেপারের জন্য প্রচারটা সহজ হয়।
সে জন্যই এমন বেহায়াপনা জনপ্রিয় কথাগুলো বলে চলেছেন অনবরত, বাংলাদেশ হিমালয় জয় করেছে। উঠতে বসতে যতো বেশী পারাযায়, ততবেশী বার দেশের নাম জপা। জনপ্রিয়তার এতো কাঙ্গাল মানুষ কেমনে হয়!
মানবিক দিক থেকে বিশ্লেষণ করলে ব্যাপারটা যে সাজানো সেটা খুব সহজেই বোঝা যায়। কিন্তু আমাদের কোন চয়েজ নেই। আর একটা সৎ লোক আমরা মাংগনা পাইলাম আর কী।
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
এইডাই মূল কথা। এইডাইতো আমাগো দ্যাশের ট্রেডমার্ক(ক্ষমতাধারীগো)!
অ.ট. মন্তব্যের খাতায় জনাদুয়েক ছাগুর বাসনা বাহির হইতাছে বেশ প্রবলভাবে!
যাদের পর্বতারোহণ সম্পর্কে ধারণা আছে, তারা কি বলতে পারে এভারেস্টে উঠতে ৪৬ লাখ টাকা লাগতে পারে কি না ... এটা তো প্রায় ৬৫ হাজার ডলার হল। এত খরচা?
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
যতটা জানি তা হলো নেপাল দিয়ে উঠলে খরচ এর দেড়গুন।
ওরে বাবা, বলেন কি? এই টাকা ঘুষ দিলে তো নেপালী কি তিব্বতী যে কোনো সংস্থা আমাকেই এভারেস্ট বিজয়ী বলে সার্টিফিকেট দিয়ে দেবে। আর মুসা নাহয় বাংলাদেশে প্রথম বলে আলোচনায় আসছে, আমার ক্ষেত্রে সে সমস্যাও নেই
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
কানাঘুষা শুনা যায় যে এই টাকা নাকি সরকারের কাছে ফিরত চায়ে আবদার করা হইছে। তবে শুনা কথায় কান দিতে নাই।
সাক্ষাৎকার পড়ার অপেক্ষায়।
কি মাঝি, ডরাইলা?
অফটপিকের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।
অসম্ভব বাজে পোস্ট। কারণ এটা এবং আগের পর্ব মন্তব্যসহ পড়তে রাত পার হয়ে বেলা হয়ে গেল ... ... .... শুধু পড়তেই এই অবস্থা! তাও সব লিংকে যাই নাই। ... ...বাপরে!
এতই বাজে পোস্ট যে পড়া শেষ না করে উঠতেই পারলাম না। যাই চা খেয়ে .... .... সব়্যি, সব়্যি .. রমজান মাসে দিনে এসব খাওয়া দাওয়ার কথা প্রকাশ্যে বলতে নাই।
রগরগে ডিটেকটিভ উপন্যাস হয়ে যাচ্ছে দেখছি ...
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
চমৎকার বিশ্লেষণ। দেখা যাক। পরে পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
সাক্ষাতকার পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম ।
তবে মসেস এবারও যে নির্লজ্জের মত চুপ করে বসে থাকবেন এবং আমারা তার কাছ থেকে কোন ক্লারিফিকেশন পাব না তা বলাই বাহুল্য
সাক্ষাৎকার গুলো শোনার ব্যবস্হা থাকলে ভালো হতো কিন্তু হিমুভাই।
করা সম্ভব সেটা?
এটা ঠিক যে আপনার প্রথম পর্বটি এটার চেয়ে বেশী তথ্যবহুল হয়েছে। আপনি মূলত এই পর্বে প্রথমালোতে প্রকাশিত মুসা এবং তদীয় সম্পর্কিত বিভ্রান্তিকর সংবাদের প্রমান দিয়েছেন। প্রথম এবং ৩য় পর্বের স্বমন্বয়ক হিসেবে পোস্টা ঠিকাছে কিন্তু সামগ্রিক সিদ্ধান্তে আসার জন্য এই পোস্টের যুক্তি সমূহ যথেষ্ঠ নয়। তাই আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম, সেখানে মূল তথ্য প্রমানের অপেক্ষায় রইলাম।
সাক্ষাতকারগুলো কি অডিও ফরম্যাটে নেয়া সম্ভব ছিলো না? তাহলে আরো জোরালো প্রমান হতো সেটা। হিমু ভাই, এক্টা অনুরোধ, আপনি কিভাবে এইসব প্রমাণসমূহ সংগ্রহ করলেন, সে বিষয়েও ছোটখাট একটু জানান দিবেন দয়াকরে!
আর শওকত হোসেন মাসুম ভাইয়ের বক্তব্যটা আহত করলো। প্রথমালোতে চাকরি করেন বলেই কি তিনি এমনটা ভাবেন নাকি তিনি সত্যি সত্যিই মনে করেন যে, এভারেস্ট জয়ের সত্যতার ব্যাপারে জাতির কাছে মুসার কোন দায়বদ্ধতা নেই?
এইখানে একটা ব্যাপার খেয়াল রাখা দরকার - ব্লগার হিমুর কোনো দায় পড়ে নাই তথ্যপ্রমাণ হাজির করে মুসা যে এভারেস্টে উঠেন নাই সেটা প্রমাণ করার। তিনি যেটা করেছেন সেটা হচ্ছে মুসার অন্নপূর্ণা ও এভারেস্ট অভিযান সম্পর্কিত কিছু ফ্যাক্ট, তথ্য ও লজিকের মধ্যে যে ইয়া বড় গর্ত আছে সেটা ধরিয়ে দেয়া এবং ফলশ্রুতিতে সন্দেহ পোষণ করা। সে রকম মালমসলা নেভারেস্ট সিরিজের প্রথম দুই পর্বে যথেষ্ট পরিমাণেই আছে বলে আমার মনে হয়েছে। প্রমাণ হাজির করার দায়টা আদতে যিনি দাবি করেন তার, তাই মুসা ইব্রাহীমকেই প্রমাণ করতে হবে যে মুসা ইব্রাহীমই প্রথম বাংলাদেশী এভারেস্ট জয়ী।
আমি একটা কথা সহজে বুঝি, মুসা এভারেস্টে উঠেই নাই। যে ছেলে অন্নপূর্ণা জয় করে এসে হাস্যোজ্জ্বল ছবি ছাপায় সে কিনা এভারেস্ট জয় করে এসে, এভারেস্ট শীর্ষে থাকা বৌদ্ধমূর্তির সাথে নিজের ছবি তুলবে না এটা আমার বিশ্বাস হয় না।
মুসার এভারেস্ট বিজয়ের গল্পটা পুরোটা ভাওতাবাজি। যদি সে সত্যি সত্যি এমন কিছু সে করেই থাকে তাহলে এত প্রশ্ন এত সমালোচনা হওয়ার পরও কেন সে এমন কোনো প্রমাণ হাজির করছে না, যা দেখলে সব বিতর্কই থেমে যাবে!
সেদিন ফেসবুকে আমার এক বন্ধুর কমেন্টের জবাবে মুসা লিখছে, আপনার মা আপনার জন্ম যখন হচ্ছে সেই প্রসবকালীন সময়ের কোনো ছবি কি আমি দেখতে চাইলে দেখাবেন?
মুসার কাছে আমার বন্ধুর প্রশ্ন ছিলো, এত সমালোচনার পর আপনি কেন এভারেস্ট শীর্ষে তোলা বৌদ্ধমূর্তির সাথে কোনো ছবি এখনো মিডিয়াতে প্রকাশ করছেন না?
মুসার উত্তর শুনে আপনাদেরও নিশ্চয়ই বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা না, আমার বন্ধুর প্রশ্নে ও যে খেপে গিয়েছিলো !
অথচ এমন প্রশ্ন তো আমরা করতেই পারি, নাকি ?
মুসা যদি সত্যি সত্যি এভারেস্ট জয় না করে, তাহলে হজ্ব করার সময় মুসলমানেরা শয়তানের উপরে যেমন পাথর ছুঁড়ে মারে, তেমনি বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের মাঝখানে মুসাকে রেখে ওর উপরেও সম্মিলিত পাথর মারা উচিৎ।
১৬ কোটি মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য এই শাস্তিটাও অনেক কম।
পরবর্তী পর্বে ব্রেণ্ডান ও'ম্যাহোনির সাক্ষাৎকার দেখতে চাই। উনি যে এভারেস্টে সামিট করেছেন এমন কোনো ছবি হলে আরো ভালো হয়।
--------------------------------------------------------------------------------------------------
আপনার এই পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
এই মন্তব্যটির একটি স্ক্রিনশট কি দিতে পারেন?
সমস্যা এক্টাই, কয়েকদিন সবাই ভুইলা যাইবো এই সবের কথা। সব আবার স্বাভাবিক হৈয়া যাইবো, মুসা আর হিমালয়ের কথা কেউ মনে রাখবো না। কিন্তু ইতিহাসে লেখা থাকবো প্রথম এভারেস্ট জয়ী হিসাবে এই মিথ্যাবাদীর নাম
এতো কিছুর পরও কি মুসা মুখ খুলবেন না?
হিমুকে ধন্যবাদ এই পরিশ্রমসাধ্য লেখার জন্য
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
মুসা মুখ খুলেছে তো। এই যে—
এতোদিন হয়ে গেলো মুসা সমতলে নেমে এসেছে। কোথায় সেইসব ছবি, কোথায় সেই ভিডিও? মুসা আর তার মিটুন'দা কি ভুলে গেলেন ছবি আর ভিডিওর কথা?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
উদ্ধৃতি
'আপনার জন্ম যখন হচ্ছে, সেই প্রসবকালীন সময়ের কোনো ছবি কি আমি দেখতে চাইলে দেখাবেন?'
লাজবাব প্রশ্নই বটে!! যাক বাবা, তাও তো মুখ খুললেন..
অনেক ধন্যবাদ হিম্ভাই, পরবর্তী পর্বের জন্য সাগ্রহ অপেক্ষা...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
দুর্বল মস্তিষ্কে যা বুঝলাম তা হচ্ছে মুসা ইব্রাহিম কষ্ট করে এভারেস্টে উঠে বুদ্ধমূর্তি প্রসব করে এসেছেন।
কি মাঝি, ডরাইলা?
আর দেখেন আমার পাপী মস্তিষ্ক পুরো এভারেস্ট চূড়াই মনে করেছিলো!
আমার দিলেই ময়লা।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অপরাধ মার্জনীয়!
অনেক দিন পর প্রাণ খুইলা হাসলাম!
আপনার এই স্টেটাস শেয়ার না কইরা পারলাম না!
কাজী মামুন
আমার বন্ধু অবশ্য পাল্টা কমেন্ট লিখছিলো, আপনার আম্মা বুঝি আপনের জন্মের সময় প্রসবকালীন ছবি তুলে রাখছিলো ? ওইটা দেখাইলে, আমারটাও দেখামু !!!
মুসা ইব্রাহিম যদি সত্যিই এভারেস্টের চূড়ায় উঠতেন তাহলে প্যান্ট খুলে জাঙিয়ায় ব্র্যান্ডের ছবিও তুলে আনতেন প্রমাণ হিসাবে।
কি মাঝি, ডরাইলা?
ধুর মিয়া! বুদ্ধমুর্তির কসম- আমি এইরকমি একটা কমেন্ট করুম ভাইবা এখানে ঢুকলাম।
যা বুঝলাম- এখন থেকে কথাও গেলে পাশে বুদ্ধমূর্তি না রাইখা নিজের ছবি তোলা যাইবো না। ফুটোপ্রেমিক ছ্যাঁদাসন্ধানীতে দ্যাশ গিজগিজ করতাছে। কখন দেখুম পোস্ট আয়া পড়ছে- ওডিন কি আসলেই মোহাম্মদপুর কাঁচাবাজারে বাজার করেনঃ একটি ফুটোস্কোপিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
Himu bhai,
apni ki everest chorar cheshta kore bartho hoisen naki ???
ei loker upor ato akrosh er karon ki ???
kidding, looks like, u have some evidence against his "false" claim.. opekkhay thaklam....
কিডিং করছেন বললেও প্রচ্ছন্ন খোঁচা কিন্তু আছে আপনার মন্তব্যে। মূল কথা কিন্তু ব্যক্তিগত আক্রোশ প্রাসঙ্গিক নয়। অনুসন্ধানী রিপোর্টের তাগাদা কি ব্যক্তিগত ব্যর্থতা বা আক্রোশ থেকে আসে?
আসলে প্রমাণহীন এতো বড়ো একটি দাবী কোনো যুক্তিবাদী মানুষ প্রশ্নাতীতভাবে মেনে নিতে পারে না। পারলে তাকে যুক্তিবাদী বলা যায় না।
"If I target or wish something to do, mind it- I will do it by any means"
মুসার এই অ্যাবাউট মি ফেসবুকে পইরা আমি তো পিলান করতেসিলাম ওরে দিয়া ফিজিক্স বা কেমিস্ট্রি কোন একটাতে নোবেল জয় করানোর..ও পারত..চাইলেই পারত...বাট এই হিমুভাই সব গুবলেট কইরা দিল!কইষা মাইনাচ..
কয়দিন পর শিউর মুসার অ্যাবাউট মি তে সংশোধনী আসবে..
"When you cant make it,just fake it!"
আমি লক্ষ করছি, প্রাসঙ্গিক আলোচনা করার অনুরোধ করা সত্ত্বেও আলোচনার মুখ ঘুরে যাচ্ছে ব্যক্তি-উদ্দিষ্ট বিদ্রুপ আর ব্যঙ্গোক্তির দিকে। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। হয় আমার যুক্তির সপক্ষে আরো যুক্তি দিন, নয়তো আমার যুক্তির বিপক্ষে যুক্তি/প্রমাণ হাজির করুন। অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য সরিয়ে দেয়া হবে। ধন্যবাদ।
হিমুকে অসংখ্য ধন্যবাদ সিরিজটা পুনরায় চালু করার জন্য।
আমি বিশ্বাস করি সত্য জানার অধিকার আমাদের আছে এবং কেউই সত্যকে আমাদের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখতে পারবে না। যদি প্রমানিত হয় মুসা ইব্রাহীম এভারেস্ট শীর্ষে না উঠেই বিজয়ীর দাবি করছেন ইতিহাস তাকে আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করবে অন্যদের মতই।
অ.ট.-মন্তব্যকারী হিসাবে আরেকজন আসিফকে দেখতে পাচ্ছি। আসিফ নামটা যথেষ্ট কমন মনে হচ্ছে।
এরকম একটি খবর আমাদের জন্য চরম আনন্দের - এটা অনস্বীকার্য, কিন্তু সেই ঘটনাটা যদি মিথ্যা, বানোয়াট হয় তবে তা চূড়ান্ত লজ্জার বিষয়। লেখার দুটি পর্ব পড়ে সেই লজ্জা এবং তার সাথে উপড়ি হিসেবে ক্ষোভ অনুভব করছি। কারণ লেখকের যুক্তি ও তথ্যগুলো যথেষ্টই যাচাই-বাছাই করা, যা সহজে উপেক্ষা করার মতো নয়।
মুসা সাহেবকে ব্লগে ব্লগে জবাবদিহি করতে হবে কেনো? তার পেয়ারু প্রথমালুতে যুক্তি খন্ডন করে ও যথাযথ প্রমান উপস্থাপন করে একটা লেখা দিলেই তো সব লেটা চুকে যায়। আসলে বুকে বল কম থাকলে দুটো কথা বলার আগে কয়েক গ্লাস পানি খেয়ে নিতে হয়। আচ্ছা, মুসা সাহেবকে পানি খাওয়ার টাইম দেয়া যেতে পারে ... তবে তা অবশ্যই সঙ্গতিপূর্ণ সময়ে হতে হবে।
সব দেখে মনে হচ্ছে, ভবিষ্যতে আলু অফিসে একদিন গিয়ে 'গোয়েবলস' -এর একটা প্রমান সাইজের পোর্ট্রেইট লাগিয়ে দিয়ে আসতে হবে ... ... ...
===============================================
ভাষা হোক উন্মুক্ত
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
যদি মুসা এভারেস্টে না উঠতে পারেন তাহলে জাতিকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য তার শাস্তি হওয়া উচিৎ।
পত্রিকা খুললেই পড়ি হাইকোর্টে নানা বিষয় নিয়ে নানা জন রিট করেন। যদিও রিট জিনিষটা কি আমি খুব একটা বুঝি না। কোনো দেশপ্রেমিক ভাই কি মুসার এভারেস্টে উঠা বিষয়ে হাইকোর্টে একটা রিট করতে পারেন না ?
তখন হয়তো হাইকোর্ট রুল দিতে পারে মুসাকে এভারেস্ট চূঁড়ায় উঠার ছবি প্রমাণ হিসেবে দেখানোর জন্য !
এ পর্বটা একটু দেরিতে পড়লাম।
আপনার নেভারেস্ট-০১ পর্ব পড়েই কেন যেন হাইপোথিটিক্যালি নিশ্চিত ধারণা পোষণ করছি যে মুসা ইব্রাহীম আদৌ এভারেস্টে উঠেন নি। সহযোগী গং মিলে গুল মেরে দেশবাসীকে প্রতারণা করেছেন। তবু অপেক্ষায় ছিলাম কোথাও কোনো প্রমাণ তিনি হাজির করেন কিনা। আফসোস হচ্ছে যে গর্ব করার মতো এতোবড়ো একটা ইভেন্টকে শেষ পর্যন্ত প্রতারণা হিসেবে মেনে নেয়ার দিকেই যেতে হচ্ছে।
তবে প্রতারণা হলেও মুসা'র বিশাল একটা অর্জন হয়েছে। তারকা-ব্যক্তি হিসেবে দেশে পরিচিতি পেয়ে গেছেন, যা কোটি টাকা খরচ করেও অনেকে পান না।
নায়ক আর খলনায়ক, শব্দ দুটোর মধ্যে কমন অংশটা হচ্ছে নায়ক। আসলে একবার নাম ফাটলে পরে জুতা মারলেও নাকি নাম মুছে না, নাম আরো ফাটে ! হা হা হা !
৩য় পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
দ্বিতীয় পর্ব পড়লাম। মুসার বক্তব্য অনেক আগেই আশা করেছিলাম, এখানে অথবা প্রথম আলোতে, এখনো পাইনি।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মুসার পর্বতারহণ নিয়ে লেখা দুটি পর্বই আমার দেখা সচলায়তনে হিমুর সেরা পোস্ট বলা যায়। তাই হিমুকে তার অত্যন্ত পরিশ্রমী লেখার জন্য ধন্যবাদ। দুটি পর্বেই উত্থাপিত যুক্তি গুলো মুসার এভারেস্ট বিজয়কেই প্রশ্নবিদ্ধ করেনি, সত্য গ্রহনে মানুষের বিশ্বাস যে কতভাবে প্রতারিত হতে পারে সেই বিষয়টিকে স্বরণ করিয়ে দিয়েছে।
আশাকরছি মুসা কিংবা তার পক্ষে যারা বিভিন্ন ব্লগে এভারেস্ট বিজয় সম্পর্কে নিয়মিত আপডেট দিয়েছিলেন তারা যুক্তি খন্ডন করবেন।
এক্ষেত্রে জেসমিনের প্রস্তাবটিও ভেবে দেখা যেতে পারে ।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
যেহেতু দেশের মিডিয়া মুসাবন্দনে স্পন্দিত, সেহেতু সত্যসন্ধানে এগিয়ে আসতে পারে বিকল্প মিডিয়া। মুসাকে ব্যাকআপদানকারী মিডিয়া যেহেতু মুখ খুলছে না, আপনার কাছ থেকে কি আশা করতে পারি মুসা'র দাবীর প্রেক্ষিতে প্রমাণগুলোর চাহিদা অন্যান্য মিডিয়া(গুলো) পৌঁছে দেবে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের কাছে! মুসা সে চাহিদা যোগানে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশের মানুষই সিদ্ধান্ত নিবে তারা মুসার দাবী টিকিয়ে রাখবে কি রাখবে না!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এখানে দুটি আলাদা বিষয়কে আমরা যেন এক করে না ফেলি।
প্রথমটি হচ্ছে মুসার পর্বতারহণ নিয়ে তথ্য প্রমানের সত্যতা, অন্যটি গনমাধ্যমের সত্য অনুসন্ধানে অথবা সত্যপ্রকাশের সততা ও নির্ভর যোগ্যতা। তাই প্রথম বিবেচ্য বিষয়- মুসার পর্বতারহণ বিষয়ে তথ্য ও উপাত্তগুলো কতটুকু সত্য ও গ্রহনযোগ্য সেটি প্রমান করা। দ্বিতীয় বিষয়টি হলো কোন মিডিয়াতে এই তথ্য উপাত্তগুলো সত্যতা যাচাই না করে অতিরঞ্জিত ভাবে উপস্থাপিত হয়েছে কিনা অথবা পাঠককে বিভ্রান্ত করা হয়েছি কিনা সেটি অনুসন্ধান করা।
আমরাও চাই মুসার এভারেস্ট জয়ের দাবীটি টিকে থাকুক। মানুষের বিশ্বাসের যেন স্বপ্নভঙ্গ না হয়। তবে সাধারণ মানুষের মনে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাব দিয়েই মুসাকে তাঁর বিরত্বের প্রমান করতে হবে, এক্ষেত্রে কোন ছাড় নেই।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
রঞ্জিত আর অতিরঞ্জিত কি আবার, মুসা তো কোনো প্রমাণই দেয় নাই। কোথাও না। কোনো পত্রিকায় না, কোনো সাক্ষাৎকারে না, এমনকি যেসব জায়গায় সে সম্বর্ধনা নিয়ে বেড়াচ্ছে সদর্পে, সেখানেও না। তার মৌখিক দাবী আর একটা আবঝাব ঝাপসা, কতোগুলা রঙচঙ মার্কা সালু কাপড়ের মাঝে একটা মোটে ছবি ছাড়া (সেটা আবার সামিটে তোলা কি-না সেই নিয়েও আছে সন্দেহের যথেষ্ট অবকাশ) মুসা এখন পর্যন্ত "প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে এভারেস্ট জয়" করার দাবীর সপক্ষে কোনোই প্রমাণ দিতে পারে নি কিংবা দেয় নি।
এই যে এই কথাগুলো, এই কথাগুলো তো মানুষের কানে পৌঁছানো দরকার। মানুষ কেনো একটা মিথ্যেকে (অথবা প্রমাণহীন সত্য) আঁকড়ে ধরে থাকবে! সর্বসাধারণের এই ভুলটা ভাঙানোর জন্যই দরকার একটি দায়িত্বশীল মিডিয়া। যেটা নিয়ে এগিয়ে আসতে পারেন আপনি, আপনারা।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এত বিরাট (!) একটা কাজ করার পর তার প্রমাণ লুকিয়ে রাখা হাস্যকর। তবে বাংলাদেশে হাস্যকর বিষয় নিয়েই বাণিজ্য হয় সবচেয়ে বেশি। প্রথমালুর এই বিনিয়োগও ভালোই বাণিজ্য এনে দিয়েছে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
মনটাই খারাপ হয়ে গেল। এটা ইবরাহিম না করলেই পারতো? আলু এত এত কিছুর প্রমাণ দেয়, ম্যারিকা থেকে ডকুমেন্ট নিয়ে আসে আর এই জায়গায় ধরা খাইল?
-আশীষ
এখন মনেই হচ্ছে যে মুসা চূড়ায় ওঠেনি। সেটা যদি সত্যিও হয়, জাতিগতভাবে আমাদের মোরাল এই পর্যায়ে পৌঁছায়নি যে আমরা আশা করবো একটা সময়ে মুসা বা তার সঙ্গীসাথীরা এসে সত্য স্বীকার করবেন, ক্ষমা চাইবেন। যেটা হবে, হচ্ছে, সেটা হলো ব্লগকে বা লেখককে বা তাঁর গবেষণাকে খাটো করে দেখানোর চেষ্টা চলবে, মৌনীব্রত ধারণ করা হবে, আর হয়তো একদিন এটা ভুলেই যাবে সবাই এই আশায় থাকা হবে। আলুপেপারের লোকজন তো ভালো করেই জানেন আমরা বেশিদিন কিছু মনে রাখি না। তাই আমার আশঙ্কা বা হতাশা হলো, এতকিছুর পরও হয়তো শেষমেষ সত্যটা নিশ্চিত করে জানা হবে না।
# চুলু ওয়েস্ট থেকে ফিরে আসার পর (মুসা তখনো বিএমটিসি'র সদস্য) এনাম আল হক মুসার সার্টিফিকেট নেয়ার কথা শুনে বলছিলেন, "এমন সার্টিফিকেট আমাকে কেউ দিলে আমি তা ছিড়ে ফেলে দিতাম"।
# এম এ মুহিতকে এভারেস্ট অভিযানের সব খরচ বাবদ ২৫ লক্ষ টাকা দেয়া হয়েছিল। বিশ্ববিখ্যাত গাইডের প্রতষ্ঠান ছাড়া এই খরচ হতে পারে সর্বোচ্চ ষোল-বিশ লক্ষ টাকা।
- সজল খালেদ
কোন খাতে কেমন খরচ হয়, একটু কি ধারণা দিতে পারেন?
এমন তথ্যবহুল লেখার জন্য হিমু ভাই কে ধন্যবাদ।
লেখাটা পড়ার পর মনে হচ্ছে যে, কেউ যেন অন্ধকারে থাপ্পর দিয়া গেছে ........
আমি প্রথমালোর প্রকাশ কাল থেকেই এটার নিয়মিত পাঠক, না জানি মুসার মত আরো কতো ভুল ভাল ঘটনা আমরা হজম করেছি এই পত্রিকার কল্যানে ........
হিমু ভাই এবং বাকি ব্লগাররা সবাই মিলে মু ই-কে বহু অনুরোধ করার পরেও সে মুখ খুলছে না। কারণ সে জানে যে সে ঠক, এটা ব্লগাররা বুঝে গিয়েছে। তাদের কাছে সে কিছুই প্রমাণ করতে পারবে না। তাই চুপ করে থাকাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। কয়জন আর সচলায়তন-এর ব্লগ পরে। দুইদিন পরে সব থেমে যাবে। আর তার পক্ষে রয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ পত্রিকা গোষ্ঠী। দেশের অধিকাংশ মানুষের কাছে তো সে বীরই রইল।
তাই সবার কাসে আমার অনুরোধ, সকল বন্ধুদের কাছে এই ব্লগ এর লিঙ্ক পেস্ট করুন (অবশ্যই আমিও করব)। সেই সাথে ফেসবুক এ নতুন একটি গ্রুপ হয়েছে, তাতেও জয়েন করতে পারেন। লিঙ্কটা দিয়ে দিলাম।
http://www.facebook.com/group.php?gid=121238247925175&v=wall
আমি প্রতিদিন মুসার ই-মেইল আর ফেসবুক-এ গুতো দিব, যদি বিরক্ত হয়ে সে জবাব দিতে এগিয়ে আসে। তার নাম দুইজন মহান নবীর নাম ধারণ করে, এতটুকু সাহস তো সে দেখাতেই পারে। সবাইকে বলছি, প্রমাণ সংগ্রহ করতে থাকুন, এরই মাঝে হিমু ভাইও নিশ্চয়ই পরবর্তী খন্ডটি প্রকাশ করবেন। তখনই আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনিত হতে পারব। সব প্রমাণ পেয়ে গেলে এই জালিয়াতকে আদালতে হাজির করা কোনো বাপার হবে না।
আমি এ দেশে এভারেস্ট বিজয়ী নেই একথা মেনে নিতে রাজি আছি, কিন্তু এভারেস্ট জয়ের নাম করে বাণিজ্য দেখতে রাজি নই।
সদস্যনাম: বাঙালী হাসিব
ই-মেইল:
চূড়ার উপর তোলা দাবীকৃত ছবিটি যে ভূয়া বা অন্য কোথাও তোলা সেটা আগে প্রমাণ করতে হবে।
মুহিতের সঙ্গে মাঝে একদিন দীর্ঘক্ষণ কথা হয়েছিলো। বেশ আগ্রহ নিয়েই কথা বলেছিলাম ব্যর্থ এ অভিযাত্রীর সঙ্গে। আপনার লেখায় ডিটেইলে সব তথ্যই এসেছে। আমি শুধু সারিন প্রধানকে নিয়ে কিছু শেয়ার করতে চাই। এই নেপালীর সঙ্গে মুসার সখ্যতা অ্যাডভান্স ট্রেনিংয়ের সময়। চুল্লু ওয়েস্ট অভিযাত্রায় তার সুপারিশেই সারিনও যুক্ত হয়েছিলো। তার ওপর ভার ছিলো অভিযাত্রীদের টাকা-পয়সা ও থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা আয়োজনের। সারিনের বিলিং সিস্টেমে একটা বড় ধরণের ফাক আবিষ্কার করেন সজল খালেদ। এই নিয়ে মুসার সঙ্গে তার তিক্ততার শুরু। সারিনের শঠতা উন্মোচনের পর মুসা যদিও বাকিদের পক্ষ নিয়েছিলেন, বন্ধূর নয়। কিন্তু সেই মিত্রতাই শেষ পর্যন্ত টিকে আছে। হিমালয়ান গাইডস এবং মুসার যোগসূত্রও সে। চুল্লু ওয়েস্ট জয়ের সে ঘটনা শেষে বিষয়টা নতুন করে সাংঘর্ষিক রূপ নেয়। ফলে বিচ্ছিন্নতা। তবে একটা তথ্য মুহিত জানিয়েছেন যে পরদিন মুসা নিজে একবার চেষ্টা করার কথা বলেছিলেন, কিন্তু শেরপারা রাজী হননি। সবচেয়ে জরুরী হলো ১০০ জনের একটা গ্রুপেও যদি একজনও সামিট করে সবাই সফল বলে সনদ পায়।
এই সনদের ক্ষেত্রে শুনেছি (মুহিতের মুখে) শেরপাদের সাক্ষ্যটাই প্রাধান্য পায়। প্রচলিত মিথ, শেরপারা মিথ্যা বলে না। তবে সামগ্রিক অর্থে পর্বতারোহীদের গাইডদের শেরপা বলা হলেও তারা একটি ভিন্ন গোত্র। সোম বাহাদুর যেমন তামাং এবং তার এভারেস্ট সামিট করার কোনো রেকর্ড নেই। লোকটি যথেষ্ট সন্দেহজনক, যেমন কোনো এক অভিযাত্রায় তিন শো ফিট আগেই নাকি সে সামিট ডিক্লেয়ার করে। এমনকি ব্যর্থ ও হতাশ মুহিতকে তার শেরপা নাকি আরেকটু উচুতে সে সামিট করেছে এমন সনদ পাইয়ে দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছিলো।
আপনার একটি কথায় আমি একমত যে অবরোহনে মুসার জান বাঁচানো দুই অভিযাত্রী হতে পারে এই রহস্যের মিসিং লিংক। এক্ষেত্রে একটি সাজানো নাটকের গন্ধও পাওয়া যায়। মুসার সঙ্গে রামডুডল রেস্তোরায় সেসময় উপস্থিত একজন জানিয়েছেন দুই অস্ট্রেলিয়ানের একজন রীতিমতো অভিনয় করে দেখিয়েছেন কিভাবে মুসার প্রাণসংশয় ঘটেছিলো। তার বক্তব্যের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টটি ছিলো এসময় শেরপারা তাকে ত্যাগ করে নেমে যাচ্ছিলেন!! মুসা মারা যাচ্ছেন, মুমুর্ষ পর্বতারোহীদের পাশে শেরপাদের থাকতে নেই এমন একটি গল্পের আবহ তৈরী করা হয়েছিলো। পুরা ঘটনাটা মুসা তাই নাকি অভিব্যক্তিতে শুনে গেছেন। এ ঘটনা সত্যি হলে অবশ্যই মুসার উচিত ছিলো এই দুই বিদেশীকে বরং শেরাপাদের চেয়ে প্রাধান্য দেওয়া। কৃতজ্ঞতার সূত্রাবলী কিন্তু সে নির্দেশনাই দেয়। কিন্তু কাহিনীকে বিশ্বাসযোগ্য একটা টুইস্ট দেওয়া এই নটদের নামটা পর্যন্ত আমাদের জানা নেই (জানলাম আপনার সূত্রে)।
পুরো ঘটনাটা একটা অসাধারণ সাজানো চিত্রনাট্য হতে পারে। হিমু যেভাবে এগোচ্ছেন তাতে আমি আশাবাদী এর শেষটা তিনি দেখে ছাড়বেনই।
আপনার লেখা পড়লে মাঝে মধ্যে হেসে ফেলি, অমি রহমান পিয়াল।
এটা একটা বিরাট ধোঁকাবাজি কথা। গ্রুপের অন্যেরা সামিট করেছে, কিন্তু নিজে করতে পারেনি, এমন একজন বিদেশী পর্বতারোহীর সাক্ষাৎকার আমি নিয়েছি। এই "একজন করলে সবাই সফল" গোছের কথাবার্তা আমি বাংলাদেশের পর্বতারোহীদের কাছ থেকেই কেবল শুনতে পেলাম।
মুসা ইব্রাহীমের সার্টিফিকেটঃ
মিসেস আনা মারিয়া'র সার্টিফিকেটঃ
ঠে
তফাৎ চোখে পড়ে কি? লাল দাগ দ্রষ্টব্য।
বি দ্র ঃ “এই টা আমার পোষ্ট না” “নাহুয়াল মিথ” এর পোষ্ট (সামু ব্লগ ) আমি খালি কপি পেষ্ট করছি
আমরা মুসা ইব্রাহীমের ছবিগুলো মুসা ইব্রাহীমের কাছ থেকেই আশা করি। অন্য কেউ মুসা ইব্রাহীমের সার্টিফিকেট বা এভারেস্টের ছবি দেবে কেন? মুসা এসব ছবি পত্রিকায় ছাপাতে পারেন বা ফেসবুকে আপলোড করতে পারেন।
আমাদের অফিসে এমপ্লয়ি মোটিভেশনের এক প্রোগ্রামে একটা নাটকের আয়োজন করা হয়। মুসা ইব্রাহিম তাতে পাঁচমিনিটের এপিয়ারেন্সের জন্য পাঁচলাখটাকা দাবি করেন। পরে মুসার পরিবর্তে অন্য এক সেলিব্রিটিকে নেয়া হয়।
পাঁচ মিনিটের জন্যে পাঁচ লক্ষ!
ব্যবসাটা তাহলে এমন!
আপনাদের অফিসের কেউ যদি এ ব্যাপারে কথা বলতে সম্মত হন [প্রয়োজনে তাঁর এবং তাঁর প্রতিষ্ঠানের পরিচয় গোপন থাকবে], তাহলে আমি বিস্তারিত শুনতে আগ্রহী। আমার জিমেইল ঠিকানা royesoye অ্যাট জিমেইল।
ভাই কনফিডেন্স লাগে। সত্যজিৎ রায়ের মহাপুরুষ ছবিটা দেখসেন না? ওরে মহাপুরুষ বলা হইলো ক্যান? স্রেফ ওর কনফিডেন্সের জন্য।
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি'র তাদের এমপ্লোয়ি মোটিভেশনের জন্যে মুসা ইব্রাহীমের সাথে যোগাযোগ করে তাদের এজেন্সি'র মাধ্যমে। এজেন্সিকে মুসা'র বর্তমান ম্যানেজার, মতান্তরে অ্যাডভাইজার পল্লব মোহাইমেন জানান, 'মুসা এসব কাজের জন্য ৫ লাখ টাকা নিয়ে থাকেন।' উক্ত হাদিয়া'র পরিমান কমানোর (অথবা আরো বেশি প্রচারনা, একই অর্থে) জন্যে সেই কোম্পানি তাঁর সাথে যোগাযোগ করে সরাসরি। ফলাফল ছিলো খুব-ই তিক্ত। আত্ম-অহমিকাবোধ (সাথে গ্রামীনফোনের সাথে হ'লেও হ'তে পারে চুক্তি'র গন্ধ) আলোচনাকে শুরুতেই নষ্ট করে দেয়।
অতিথি লেখক-কে ধন্যবাদ এ প্রসঙ্গের অবতারনার জন্যে।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
আমার ঢাকার এক 'মৌলোভী' সিনিয়র বন্ধু জানালেন বাংলাদেশের বিখ্যাত এক নায়িকার এবং এক গায়িকার রেট ১৫,০০০.০০ করে। এর মধ্যে ৫,০০০.০০ পিম্প পায় আর ১০,০০০.০০ তারা পায়।
এরা দুজনেই দেশব্যাপী যথেষ্ঠ জনপ্রিয় এবং মানুষ তাদের ভালোবাসে। মোটিভেশনের জন্যে তাদের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে। কম টাকায় ভালো সার্ভিস পাওয়া যাবে।
৫ লাখ দেওয়ার পর যদি মোসেস ভূয়া প্রমানিত হয় তখন ওই প্রতিষ্ঠানের সমস্ত কর্মী ও ব্যবস্থাপনা ডিমোটিভেটেড হয়ে যাবে, আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি।
রাতঃস্মরণীয়
ভোক্তাসন্তুষ্টি কি নায়িকা ও গায়িকা দুজনেই করতে পারবেন? নাকি সখীদের জন্যে আলাদা খরচ
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
হিমু, স্বীকার করি আমার দৈন্যতা। আমার লেখালেখি হাস্যকর। মাঝে মুসারে নিয়া তার অর্জনে কোনো সংশয় না রেখে একটা পোস্টও আমি লিখছি। কিন্তু কথা হইলো আপনার লেখাটা আমারে ভাবাইছে নতুন কইরা। আর উপরে যা লিখছি তার পুরাটাই মুহিত এবং খানিকটা আশীফ এন্তাজ রবির মুখে শোনা কথা। রবি মুসার বন্ধু, তাকে রিসিভ করতে নেপাল গেছিলো, রামডুডলেও ছিলো। মুহিত আমারে যা বলছিলো তার প্রেক্ষিত ছিলো চুল্লু ওয়েস্টে না উইঠাও মুসা কেমনে সনদ পাইলো। তার জবাব ছিলো ওইটাই, যে গ্রুপ অ্যাডভেঞ্চারে একজনের সামিটও সবার বলে কাউন্ট হয়। যাহোক, মুহিত কিছু ইন্টেরেস্টিং কথাও বলছিলো। তার মধ্যে একটা ছিলো মিডিয়ায় মুসার বর্ণনার অসঙ্গতিগুলা। তার অন্যতম হলো একজন এডভেঞ্চারিস্টের লেখালেখিতে তার সেই এডভেঞ্চার ও রোমাঞ্চগুলাই প্রাধান্য পায়। এখানে মুসা বারবার আলাপ করতেছে তার কত টাকা খরচ হইছে, কিভাবে টাকা জোগাড় করছে, কত টাকা দেনা শোধাইতে হবে এইসব। সেই এইটহাজারমিটার ডট নেট (!) নামে একটা ওয়েবসাইটের কথাও বলছিলো প্রাসঙ্গিকক্রমে যেখানে মুসার অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ বলে একটা লাইন আছে। মুসা সামিট ক্লেইম করার একই দিন রুশ একটা অভিযাত্রী দলও নাকি সেখানে গেছিলো (সেভেন সামথিং নাম গ্রুপটার) যেখান অভিযাত্রী ছিলো ২৫ জন। মুহিত তাদের সঙ্গে কথা বলছে, মুসারে তারা দেখে নাই। ২৫ জনের কেউ না!!
ভালো থাকবেন।
আপনার কমেন্টে আপনি মুসার প্রাণরক্ষাকারীদের নট বললেন দেখে হেসেছিলাম, পিয়াল ভাই। মুসা মহারাজ সাধু হলো আজ ওরা আজ নট বটে! আগামী পর্ব পর্যন্ত একটু ধৈর্য ধরি আসেন।
আপনার আগের লেখাটা পড়েছিলাম মন দিয়ে। সেখানে দেখেছিলাম আপনি মুহিত সাহেবকে নেপাল দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। অথচ মুসার জবানিতে জানা গেছে উনিও তিব্বত দিয়েই চেষ্টা করেছিলেন, একবার মুহিতকে তিনি দূর থেকে দেখেছিলেনও। মুহিত কি আপনার সাথে সাক্ষাৎকারের সময় জানতেন যে একজন অমি রহমান পিয়াল ভালোমতো খোঁজখবর না করেই লিখে বসেছিলেন,
[সূত্র]
আর পিয়াল ভাই, মুসার বন্ধুদের সাক্ষ্য আসলে লবণের দানা হাতেই দেখতে বাধ্য হচ্ছি। মুসার এমন কোনো বন্ধু আছেন কি, যিনি নিজের "মুসার বন্ধু" পরিচয় ভুলে সাংবাদিকতার পরিচয় রাখতে পেরেছেন ২৩মে এর পর থেকে?
ভালো থাকেন আপনিও। রাজকন্যাকে হিমু মামার হয়ে আদর করে দিয়েন।
ধরেন, আমি খুব নামী দামী একটা গ্রুপের সাথে সামিট করতে গেলাম। যাওয়ার সময় হাতুড়ি মার্কা গুটি সূতার কয়েক কার্টুন সাথে কইরা নিয়া গেলাম। এইবার বেসক্যাম্পে গিয়া কইলাম, "বাবারা, এইবার তুমরা আগে বাড়ো। আমি এইখানে আরাম করি। আল্লায় তোমাগোরে কামিয়াব করুক। আমিন"। তারপর গুটি সূতার কার্টুন খুইলা সাথে নিয়ে একমাথা তাগড়া দেখে একজনের কোমরে ভালো করে গিট্টু দিয়ে গুটির এই মাথা হাতে নিয়ে, কাঁথামুড়ি দিয়া স্টার প্লাসে "পালকো কি ছাঁও ম্যায়" দেখতে বইসা গেলাম। এইবার ঐ তাগড়া জোয়ান কোনোমতে সামিট কইরা বসলো আর তার কোমরে সামিট করা অবস্থায় হাতুড়ি মার্কা গুটি সূতার এক মাথা লাগালো থাকলো। এখন এই সূতার আরেক মাথা, বেসক্যাম্পে আমার হাতে আছে বইলা আমিও কি সামিট করছি দাবী করতে পারুম?
শাস্ত্রমতে তো এরম হওয়ার কথা। শুনলাম মহামতি মুসা নাকি এই কথা কইয়া বেড়ায় যে দড়ির মাথা কোমরে নিয়া সামিট করলে, দড়ির ঐ মাথায় হাতিঘোড়া যা যা বান্ধা আছে, সবারই সামিট হইয়া যায়।
আল্লার দুনিয়ায় কী বিচিত্র তামশা! সবাই বলেন সুভানাল্লাহ!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ফাউল কথা।
ঐ গ্রুপটার নাম সেভেন সামিটস্ ক্লাব, ২৩শে মে ওদের ১০জন সামিট করে, তার ভেতর দুই জন রাশান (Mikhail Turovsky , Andrey Filkov), ঐ গ্রুপে আরো একজন রাশান ছিলো যিনি চোখের সমস্যার কারণে সামিটের কাছে থেকেও নেমে আসতে বাধ্য হন। ২৪শে মে ঐ গ্রুপের দ্বিতীয় দল সামিট করে, তার ভেতর একজন রাশান (Lena Gorelik)।
যা হোক আমার বলার উদ্দেশ্য কিন্তু সেটা না, সেখানকার পরিস্থিতি এমনই যে একজনের পক্ষে ভিনদেশি কাউকে মনে রাখাটা অসম্ভব ব্যাপার যদি না একই দলে থাকে কিংবা বিশেষ পরিস্থিতির উদ্ভব হয়। তবে এটা ঠিক যে এডভান্স বেস ক্যাম্পের পর থেকে কে কী করেছে বা না করেছে তার প্রমাণ/রেকর্ড কোথাও না কোথাও ঠিকই পাওয়া যায়।
...........................
Every Picture Tells a Story
একটা ক্ল্যারিফিকেশন দিয়া যাই ওই নট কথাটার। আমার কেনো জানি মনে হইতেছিলো এইটা যদি সাজানো চিত্রনাট্য হয়, তাহলে তাতে ওই দুই বিদেশীর ভূমিকাও অভিনেতার। ধরেন হিমালয়গ্রুপ এদের ভাড়া কইরা পাঠাইলো কাহিনীটারে আরেকটু বিশ্বাসযোগ্য রূপ দিতে। রামডুডলে একদল বাঙালীর সামনে তারা বললো- আরে তুমি! তুমি বাইচা আছো! সবাই আগ্রহ নিয়া জানতে চায় ক্যামনে কি। তারা বললো উপর থিকা নামার সময় তারা দেখে মুসা মৃতবৎ পইড়া আছে জান যায় যায়, শেরপারা সে মারা যাইতেছে ভাইবা নাইমা যাইতেছে। একজন দৌড় দিয়া তার পাইপ মেরামত করলো, আরেকজন পাওয়ার জেল খাওয়াইয়া দিলো। মুসা বাইচা গেলো। এখন কাহিনী কি সাক্ষ্য দেয়? মুসা নামার সময় এইটা ঘটা মানে সে উঠছিলো। এইটা স্রেফ একটা অনুমানমাত্র। স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ নাই। আর ওই লেখাটা আসলে রবির সঙ্গে একদিন আড্ডা দ্য়োর পরপর লেখা। মূল কথাটা ছিলো এত বড় অর্জনের পর মুসা প্রথম আলোর হইয়া গেলো, অথচ তারা তারে পাত্তাই দেয় নাই। মানে সেটায় শোনা কথার ভার বেশী ছিলো, কোনো ডাবলচেকিং ছিলো না। ওইটা আমার স্টাইল আসলেই না। ভিতরের আরও কিছু কথা বলি। প্রথম আলো চাইছিলো মুহিত আর মুসারে একসঙ্গেই প্রমোট করতে। আনিসুল হকের সঙ্গে এনামুল হকের সেই বৈঠকে একটা ঐক্যমত হইছিলো বটে, কিন্তু রাতের বেলা আনিসুল হকরে একটা এসএমএস পাঠানো হয় যাতে মুসার শারীরিক কিছু ত্রুটির কথা বলা হইছিলো যা পর্বতারোহনের অনুপযোগী, বিশেষ করে এভারেস্টের উচ্চতায়। এরপর প্রথম আলো সরাসরি তারে স্পন্সর করতে আগ্রহ দেখায় নাই। (এই অংশটুকু শিমু নাসেরের কাছে শোনা)। যাহোক, আমার লেখা বাদ দেন, আপনের তৃতীয় পর্ব জলদি ছাড়েন।
তৃতীয় পর্বে আশা করি ব্যাপারটা ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে পারবেন।
আপনার বন্ধু সিমু নাসের দেখলাম অন্যত্র বলছেন, আমি যেহেতু জার্মানি-প্রবাসী কাজেই আমার কথার কোনো মূল্য নাই। শুনে খুব দুক্কু পাইসি। আগে এমনটা জানলে উচ্চশিক্ষার জন্য কারওয়ানবাজারের সিএ ভবনের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার চেষ্টা করতাম। দেখি ডেনমার্ক যামুগা। আনিসুল ভাইয়া ঐ দ্যাশ থেকে কিছুদিন আগে আলুতে অনেক কথা লেখালেখি করেছেন, ডেনমার্ক মনে হয় হালালরাজ্য।
সিমু নাসেরকে অনুরোধ, মুসার যে সার্টিফিকেটটি উনি সামহোয়্যারইনে দিয়েছেন, সেটি যদি একটু কষ্ট করে আমাকে royesoye অ্যাট জিমেইল ডট কম বরাবর মেইল করতেন, কৃতার্থ হতাম। জার্মানি-প্রবাসী বলে আশা করি হেলা করবেন না। সৈয়দ মুজতবা আলীর দোহাই লাগে, পিলিজ!
ভারতের তেহেলকা ডট কমের মত কিছু দরকার। যারা হিমালয়ান গাইডস এর কাছে মক্কেল সেজে হিমালয় বিজয়ের জন্য পয়সা সাধতে পারে ..
মুসার বন্ধু আশীফ এন্তাজ রবি এক চমৎকার কানেকশন বের করেছেন। তাঁর ধারণা, সজল খালেদ আমার বন্ধু। আমরা "দুই বন্ধু" মিলে মুসার পেছনে লেগেছি। সিমু নাসের যে জার্মান কানেকশনের কথা বলছেন, সেটা মনে হয় এটাই। এই যুক্তির আলোকে বলা যায়, সিমু নাসের ও আশীফ এন্তাজ রবি শায়েখ আবদুর রহমানেরও বন্ধু, তারাও একত্রে বাংলাদেশে ছিলেন। যদিও সজল খালেদ শুনেছি ২০০৬ সালে বাংলাদেশে ফিরে গেছে, আর আমি জার্মানিতে এসেছি ২০০৭ এ। কিন্তু সজল খালেদ জার্মানির মাটি-পানি-হাওয়া এমনভাবে মুসাবিরোধিতা দিয়ে দূষিত করে গেছে [যে বিরোধিতাও আবার মুসার ভাষ্যে শুরু হয়েছে সে জার্মানি থেকে দেশে ফেরার পর], যে জার্মানিতে যে আসে সে-ই সজলের বন্ধু আর মুসার শত্রু হয়ে যায়। শুনেছি আশীফ এন্তাজ রবিও গত বছর জার্মানিতে এসেছিলেন, উনি কীভাবে যেন বেঁচে গেছেন এই ভাইরাস থেকে।
ভেবে ভালো লাগছে, কিছুদিন পর হয়তো সৈয়দ মুজতবা আলীর সাথেও আমার বন্ধুত্ব হয়ে যাবে। উনিও এককালে জার্মানিতে ছিলেন। রবি সাহেবের কাছে অনুরোধ, গরীবের দিকে এট্টু নজর দিয়েন। কোনোভাবে যদি আলীসাহেবের দোস্তো বানিয়ে দিতে পারেন, ভাইডি ... ।
মুবারাক হো, বাধাই হো...
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মুজতবা আলী কে আমার সালাম দিয়েন!
রবি সাহেব নিজেই এক বিরাট কমেডি!! তার লেখা এবং মন্তব্যগুলো দেখলেই এটা বোঝা যায়! তবে আমরা যে ফিকশান নয় বরং ফ্যাক্ট নিয়ে কথা বলছি এটা উনি বুঝতে পারেন নি। খুব যত্নের সাথে তিনি মন্তব্যে করা আমাদের প্রশ্নগুলো এড়িয়ে গেছেন!
একজন আবার অভিযোগও করছিলেন যে সচলে আলোচনা করবো কিভাবে, ওখানে মন্তব্য পছন্দ না হলে প্রকাশ করা হয় না। আমি বললাম সমস্যা কোথায় আপনাদের যদি লাগসই কোনো উত্তর থাকে তাহলে অন্য কোথাও যুক্তি সহকারে পোস্ট দিন না!!
কাজী মামুন
সচলায়তন সামহোয়্যার ইনের মতো নয়। অনেকে মনে করেন, যাই একটা বাঁকা কথা বলে আসি, তারপর মন্তব্য করে সেটা প্রকাশিত হতে না দেখে হতাশ হন। আমি যেসব যুক্তি দিয়েছি, সেগুলো খণ্ডন করে মন্তব্য করলে প্রকাশিত হবে না কেন? কিংবা প্রশ্নের উত্তর দিলে সেটাই বা কেন অপ্রকাশিত থেকে যাবে? মুসাকে গালাগালি কিংবা আমাকে বকাবকি করলে সেটা প্রকাশিত হতে দেখতে চাওয়াও তো ঠিক নয়।
আর প্রশ্নগুলোর উত্তর আসা উচিত মুসা ইব্রাহীমের কাছ থেকে। সিমু বা রবির কাছ থেকে নয়।
রবি বেশ রসিক মানুষ, কিন্তু হাসি থেমে যাবার পর প্রশ্নগুলো আমরা আবার করবো। সে প্রশ্ন তিনি যে রসিকতা দিয়ে ঢাকার চেষ্টা করবেন, সেটা শুনেও আমরা হাসবো। তারপর সে হাসি থেমে যাবার পরও কিন্তু পুরনো প্রশ্ন আবার করবো ... এভাবেই চলবে, যতক্ষণ পর্যন্ত উত্তর না আসে।
আমার সার্টিফিকেট সম্পর্কিত লেখার পর গতকাল সিমু নাসের সাহেব সামুতে সার্টিফিকেট আপলোড করেন,(প্রসঙ্গত, এতদিনকার আমাদের এত সব প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে এবং আমার পোস্ট এর বিষয়বস্তু না পড়েই) তবে আমার পোস্টের মূল প্রতিপাদ্য যে ছিল সার্টিফিকেট নয় বরং খবরের কাগজের প্রকাশিত তথ্য'র সাথে মূল সার্টিফিকেট এর অসংগতি এটা সিমু নাসের এবং মুসা বন্ধু রবি সাহেব বেমালুম এড়িয়ে গিয়েছেন। আর আমার লেখায় আমি স্পষ্ট করে বলেছিও অন্য সকল অসংগতির পাশাপাশি সার্টিফিকেট অসংগতি...তারা সার্টিফিকেট আপলোড করে কি অন্য অসংগতিগুলো মেনে নিয়েছেন, এটা বোঝাতে চাইলেন?
যাই হোক ঐ ছবি আপলোড করার পর সিমু নাসের সাহেব কে আমি প্রশ্ন করেছিলাম তাহলে ডেইলি স্টার যে তথ্য দিল সার্টিফিকেট সম্পর্কে সেই সার্টিফিকেট টা গেল কোথায়?
সিমু নাসের সাহেব পত্রিকার ভুল বা বিভ্রান্তি এসব কিছুতে না গিয়ে আমার প্রশ্ন টা এড়িয়ে গেলেন ফান করার চেস্টা করে-
তিনি বললেন-
তিনিও মুসা'র মতো বুদ্ধমুর্তি প্রসবের জোকস করছেন মনে হয়!
কাজী মামুন
সার্টিফিকেট নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর মুসা ইব্রাহীমের দুই বন্ধু [আশীফ এন্তাজ রবি তার সহপাঠী, সিমু নাসের সহকর্মী] রবি ও সিমু সক্রিয় হয়ে সার্টিফিকেটটি আপলোড করার জন্যে ধন্যবাদার্হ হতে পারেন কিন্তু। মুসার সহযোগিতা ছাড়া কাজটি সম্পন্ন হয়নি বলেই ধরে নেয়া যৌক্তিক। সার্টিফিকেটটি এখন সবার চোখের সামনে, এবং সন্দিহান পক্ষ সার্টিফিকেট পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। একই সক্রিয়তা ও দ্রুততার সাথে তারা যদি মুসার এভারেস্টের ছবি [বুদ্ধমূর্তির সাথে] ও ভিডিও আপলোড করতেন, তাহলেই তো অনেক প্রশ্নের পথ বন্ধ হয়ে যেতো।
সার্টিফিকেটটির অস্তিত্ব বা খাঁটিত্ব নিয়ে আপাতত কোনো আপত্তি আমার নেই, যদিও একটি প্রশ্ন মনের মধ্যে রয়েছে, সেটি নিয়ে আমি পরে লিখবো। আমি জানিয়েছি, কীভাবে ও কী পরিস্থিতিতে সার্টিফিকেট সংগৃহীত হয়। এবং অতীতেও যে সার্টিফিকেটধারী ব্যক্তির দাবি অসত্য প্রমাণিত হয়েছে, তার সূত্রও আমি লেখায় দিয়েছি।
তবে আমি বিস্মিত, একজন পর্বতারোহী কেমন করে নিজের পর্বতারোহণের ছবিগুলো আপলোড না করে সার্টিফিকেটটিকে বারবার ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছেন। যতজন পর্বতারোহীর সাক্ষাৎকার আমি নিয়েছি, তারা প্রায় সবাই অত্যন্ত উদারতার সাথে এভারেস্টের ছবিগুলো হয় মেইলে সরবরাহ করেছেন, নয়তো ফেসবুকের অ্যালবামের হদিশ দিয়েছেন, নয়তো নিজের ওয়েবসাইটের ঠিকানা দিয়ে দেখে নিতে বলেছেন। ২০১০ সালে এসে মুসা ইব্রাহীমের এভারেস্টের একটি মাত্র ঝাপসা ছবি বাদে আর কোনো কিছুই দেশবাসীর দেখার সুযোগ হলো না, এটা কি সন্দেহের উদ্রেক করে না?
নিয়মতান্ত্রিক উপায় হচ্ছে বেইস ক্যাম্প, অ্যাডভান্সড বেইস ক্যাম্প, ক্যাম্প ১, ২, ৩, ৪ ... এভারেস্ট পর্যন্ত ছবি তোলার। আমরা দেখতে পাচ্ছি না। বলা হচ্ছে, মুসা নাকি কোনো এক সংবাদ সম্মেলনে যাবতীয় ছবি ও সকল প্রশ্নের যাবতীয় উত্তর দিয়েছেন। এই ছবি ও প্রশ্নোত্তরের কোনো প্রমাণ আমরা পত্রিকার পাতায় পাইনি। আর সাংবাদিকদের পর্বত সম্পর্কে বিদ্যার দৌড় নিয়েও আমরা আশাবাদী হতে পারি না, কারণ এর আগেও প্রচুর প্রেস কনফারেন্স হয়েছে, চুল্লু ওয়েস্ট কিংবা অন্নপূর্ণা-৪ এর সময়, সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তর আসল ঘটনা উন্মোচনে কোনো কাজে আসেনি। প্রশ্ন যেসব তারা করেন সেগুলো হচ্ছে, "এভারেস্ট জয়ের পর আপনার অনুভূতি কী?" গোছের। এগুলো সত্যানুসন্ধানের জন্যে কতটুকু উপযোগী, আমরা জানি। যেখানে একজন ভণ্ড পীর দু'টি শিশুকে নিপীড়ন করলে তার স্পষ্ট আট-দশখানা ছবি প্রথম আলোয় ছাপা হয়, সেখানে বাংলাদেশের কথিত এভারেস্টজয়ীর একটা মাত্র দায়সারা ঝাপসা ওভারএক্সপোজড ছবি দিয়ে জাতিকে বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, ইহাই এভারেস্ট, খাইলে খান নাইলে ফুটেন?
মুসা ইব্রাহীম "এভারেস্ট" থেকে নিচে নেমে আসার বর্ণনা লিখতে এত কুণ্ঠিত কেন? তিনি এতকিছু লিখছেন পত্রিকায়, আর কিছু যৌক্তিক প্রশ্নের মুখোমুখি হলে নিজে উত্তর না দিয়ে লেলিয়ে দিচ্ছেন দুই দোস্তোকে, যারা এই পোস্টের লেখকের জার্মানিতে অবস্থান করা নিয়ে বিদ্রুপ করছেন ক্রমাগত। জার্মানিতে বাস করলে কি আমার প্রশ্নগুলোর মেরিট কমে যায়? আর একটা যুক্তি তারা দেখাচ্ছেন, দূরে বসে আমি লিখেছি, অতএব এগুলো গ্রহণযোগ্য নয়। এর উত্তরে শুধু বলতে পারি, ২০১০ সালের পৃথিবী অনেক ছোটো। মিজানুর রহমান খান যদি ঢাকায় বসে জেনারেল জ্যাকবের সাক্ষাৎকার নিতে পারেন, কাঠমাণ্ডুতে বসে কমল আড়িয়াল যদি ময়মনসিংহে মুসার স্ত্রীকে ইমেইল করতে পারেন, আর এভারেস্ট বেইস ক্যাম্পে বসে মুসা ফোন করতে পারেন কাঠমাণ্ডুতে আনিসুল হককে, তাহলে জার্মানিতে বসেই চার মহাদেশের সামিটিয়ারদের সাক্ষাৎকার নেয়া সম্ভব, তাদের কাছ থেকে ছবি আর ফুটেজ সংগ্রহ করা সম্ভব, এবং মুসার প্রথম আলোতে প্রকাশিত বক্তব্য আর অপ্রকাশিত সব ঘটনা তদন্ত করা সম্ভব। এর জন্যে একটু ধৈর্য লাগে, একটু বুদ্ধি লাগে, আর লাগে সদিচ্ছা। খোঁজখবর না নিয়ে নেভারেস্ট সিরিজ লিখতে আমি বসিনি।
মুসা ইব্রাহীম চাইলে স্কাইপে একটি ছোটো সাক্ষাৎকারে বসতে পারেন আমার সাথে। সিমু-রবি বড়জোর কিছু হাস্যরসাত্মক পোস্ট দিতে পারবেন, প্রশ্নের উত্তর তাতে মিলবে না। যিনি এভারেস্ট জয় করেছেন বলে দাবি করেন, প্রশ্নোত্তরকে তার এত ভয়?
ময়মনসিংহে নাগরিক সংবর্ধনা নিতে গিয়ে দেখতে পাই মুসা ইব্রাহীম বলছেন,
[সূত্র]
কাজেই মুসা, একটা সাক্ষাৎকার হয়ে যাক। যে কথাগুলো বলছেন না বা বলতে সাহস পাচ্ছেন না, সেগুলো নিয়েই কথা হোক। আপনার অভিধানটা উল্টেপাল্টে দেখা হয়ে যাবে। আত্মবিশ্বাস রাখুন, পারবেন। আমার স্কাইপ এবং জিমেইল অ্যাডি royesoye , যোগ করে নিয়ে একটা মেইল করতে পারেন।
স্টার ম্যাগাজিনের এলিটা যে মুসাকে নিয়ে ফিচার করলো সেটাতেও তো সামিটের এর ওই একটা ছবি। বাকি সব রাস্তা-ঘাটের ছবি দিয়ে রাখসিলো আর একটা ছবি ছিল দাঁত বের করে দাঁড়িয়ে থাকা ছবি (সম্ভবত অফিসে তোলা)। এভারেস্টে উঠা নিয়ে ফিচার আর আসল ছবিই নাই প্রেস কনফারেন্স যদি করেও থাকে, তাহলে ডেইলি স্টার কেন সেই সব ছবি ছাপালো না? আর ফিচার অনেক পরে লেখা হইসে। মুসা কী একবারো বলে নাই যে, আমি তো প্রেস কনফারেন্সে ছবি দিসি সেই গুলা দিও। ফিচার নিশ্চই মুসাকে দেখিয়েই ছাপানো হইসে। আর আমার যতদুর মনে পরে ফিচারে লেখা ছিল ফোটো কারটেসিঃ মুসা ইব্রাহিম। তার মানে ইচ্ছা করেই দেয়নি।
# পর্বতারোহন অভিযানে দলের একজন সামিট করলে সবার সামিট হয় এবং সবাই সার্টিফিকেটের দাবিদার হয়, একথা সত্যি না। তবে দলের আরোহীদের যে কোন একজন সামিট করলেই অভিযান সফল হয়েছে একথা মেনে নেয়া হয়, ব্যাক্তিগত সনদ পায় শুধুমাত্র সফল আরোহীরা।
# বড় অভিযানের খরচ সাধারনত ‘ঠিকা’ নেয় এজেন্সী। এজেন্সী চেষ্টা করে সব কাজের ঠিকা নিতে, অনেক সময় সেটা আংশিক হতে পারে। এজেন্সীগুলোও মাঝে মাঝে ক্লায়েন্টদের অন্য এজেন্সীর কাছে মুরগী হিসাবে গছিয়ে দেয়ার চেষ্টায় থাকে। সব খরচের মধ্যে থাকে মূলতঃ
এয়ারপোর্ট - হোটেলে গাড়ি, আনুমানিক ৮ দিন ৩*-৫* হোটেলে থাকা খাওয়া, ক্লাইম্বিং পারমিট, প্রযোজ্য হলে ফরেস্ট পারমিট, ইন্সুরেন্স (গাইডদের’ও ইন্সুরেন্স করতে হয়), কাঠমান্ডু থেকে স্থানীয় বিমান টিকেট, ট্রেকিং’এর যাবতীয় পারমিট, ট্রেকিং রুটে লজের খাবার, বেসক্যাম্পে বেশ কয়েক সপ্তাহের থাকা খাওয়া (বড় অভিযানে সাবার আলাদা তাবু থাকে, কিচেন শেয়ার করলে খরচ কম হয়), নিজস্ব হাই অল্টিচুড গাইড, হাইক্যাম্প ফুড, ক্লাইম্বিং রোপ, প্রয়োজনে হেলিকপ্টার রেসকিউ ইত্যাদি।
সাধারনত ব্যাক্তিগত ক্লাইম্বিং গিয়ার, পানীয়, মেডিসিন, স্যাটেলাইট ফোন, সামিট বোনাস ও অন্যান্য ব্যাক্তিগত খরচ নিজের বহন করতে হয়।
# ২৩ তারিখ থেকে কার কি অবস্থান ছিল, তার স্ন্যাপশটসহ অনেককিছু সংরক্ষন করা আছে
- সজল খালেদ
কোন খাতে কতো খরচ হয়, সেটা জানা জরুরি। ছেচল্লিশ লক্ষ টাকা তো অনেক টাকা। আপনি বলছেন মুহিত গেছেন পঁচিশ লক্ষ টাকা নিয়ে। খাতগুলোতে আলাদা করে খরচ না বললে এই দু'টি স্টেটমেন্টের কোনটি সঠিক, সেটা বোঝা যাবে কী করে?
সজল খালেদ আর হিমু দুজনেই জার্মানীতে থাকার সুবাদে যদি একে অপরের বন্ধু হন তাহলে পায়খানা করার সুবাদে আমিও বারাক ওবামার বন্ধু।
কি মাঝি, ডরাইলা?
ব্যক্তিগত খরচ ও গাইড বাদে বাকী সব খাত বাবদ এজেন্সীভেদে ২০ থেকে ৩০ হাজার ইউএস ডলার লাগে। গাইডভেদে খরচ হয় ১৫০০ থেকে ৩০০০ ইউএস ডলার।
-সজল খালেদ
সেদিন ছবির হাটে শুনলাম, মুসার বন্ধুরা, (আপনি তো জানেন, ওখানে মুসার কোন বন্ধুরা আড্ডা মারেন) বলাবলি করছে, সবকিছুর পেছনে ঐ খালেদের হাত আছে, নির্ঝর নামের একটা ছেলের কথা শুনে মনে হলো সে নিজেও মনে হয় মুসার সাথে এভারেস্ট সামিট করে ফেলছে, তো ভাই আপনেরে একটা থ্যান্কু, এই গাঞ্জা বিষয়টা যে পুরোপুরি গাঞ্জা এটা মনে হয় আপনিই প্রথম দাবি করছিলেন ?
হিম ভাই, আপনি আবার মাইন্ডাইয়েন না...
______________________________
বৃষ্টির মধ্যে রোদ হয়ে তুই
পাতার গায়ে নাচ
কষ্টের রঙে সুখ হয়ে তুই
আমার মাঝে বাঁচ...
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
নেভারেস্ট পড়তে পড়তে সম্প্রতি দুই তুমুল আলোচিত তরুনের নামই মাথায় পাশাপশি এসে যাচ্ছিল -- মুসা আর অভ্র-র মেহদী। দুজনের মধ্যে যতই তুলনা করছিলাম - ততই স্তম্ভিত হচ্ছিলাম দুজনের মধ্যে 'হিমালয়সম' পার্থক্য দেখে!
আমার কেন জানি মনে হচ্ছে মুসার এভারেস্টজয়ের দাবি করার আগে মেহদীর নাগাল পাওয়ার সার্টিফিকেট জোগাড় করা উচিত। সেটাই বরং তার জন্য অনেক বড় অর্জন হবে। নেভারেস্টের লেখক ও পাঠকরা একবার যদি এই দুজনের অর্জন-প্রাপ্তি-চরিত্র-ব্যক্তিত্ব নিয়ে মনে মনে একটা প্রতিতুলনা করে লিস্ট বানান, আমার মনে হয় তারাও স্তম্ভিত হবেন।
মুসা ইব্রাহীম প্রসঙ্গে নেপালে তার অভ্যর্থনা জানাতে সমাগত আশীফ এন্তাজ রবি ও সিমু নাসেরের একটি সাক্ষাৎকার নিতে আমি আগ্রহী। আশা করছি তারা সাড়া দেবেন। রেকর্ডের খাতিরে বলে রাখছি, এ পর্যন্ত মুসা ইব্রাহীমের কাছ থেকে সাক্ষাৎকারের ব্যাপারে কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি, অসঙ্গতিগুলো নিয়েও তিনি কোথাও কিছু বলেননি বা লেখেননি।
মুসা ইব্রাহীম যদি দোষী প্রমানিত হন তবে তার এই প্রতারণা একটি জাতীয়
পর্যায়ের ভয়াবহ প্রতারণা হিসাবে স্থান পাবে। বিডিআর এর ডিএমডি তৌহিদ যেমন
জেনারেল শাকিলসহ অনেককে খুন করার পরেও মুখে গামছা বেধে প্রধাণমন্ত্রীর
সাথে দরাদরির মিটিং করে সারাক্ষন মিথ্যা বলেছিলেন, জনাব ইব্রাহীমের
প্রতারণা বরং তার চাইতেও বড়। তিনি শুধু প্রধাণমন্ত্রীর সাথে ব্যাক্তিগত
সাক্ষাত নয়, স্মরনকালের সবচাইতে বড় মিথ্যা মিডিয়া নিউজ তৈরি করে সমস্ত
জাতীকে ধোকা দেয়ার জন্য দোষী স্যাব্যস্ত হবেন।
প্রমানীত হলে এই দোষের শাস্তি জাতীয় পর্যায়ে হওয়া উচিৎ। এই শাস্তির দায়
কিছুতেই এড়াতে পারবেন না জনাব ইব্রাহীমের ক্লাবের সভাপতি জনাব আনিসুল হক
ও তার বন্ধুরা, যারা তার মিথ্যাচারে সচেতন সাহায্য করেছেন। চালাক সম্পাদক
মতিউর রহমান সম্ভবত চেষ্টা করবেন সব দোষ জনাব মুসা ইব্রাহীম ও জনাব
আনিসুল হকের কাধে চাপিয়ে পত্রিকা বাচানোর জন্য। তবে সেই চেষ্টা সফল হবে
কিনা জানিনা।
জেসমিনের সাথে আমি একমত। এখন মোক্ষম সময় এই সন্দেহ নিয়ে একটি মামলা করার।
সন্দেহ নেই, এই মামলা স্মরনকালের সবচাইতে আলোচিত মামলা হবে। মুসা সাহেব
উপযুক্ত প্রমাণ না দেখাতে পারলে হিমু সাহেবের কাজ অনায়াসে এই মামলা
জিতিয়ে দিতে পারবে। সামান্য একটি অখ্যাত মামলা সংবিধানের পঞ্চম সংশোধণী
বাতিল করার ক্ষমতা রাখে, তার তুলনায় এই মামলা তো অনেক সাধারন।
উৎসাহী কয়েকজন আইনজীবি কি এগিয়ে আসবেন? সরকারী কোন আইনজীবিও সরকারের
পক্ষে এই মামলা করতে পারেন। নিশ্চিন্ত থাকুন,মুসা সাহেবের স্ত্রী সহকারী
জজ হলেও আপনারা অনেক সচেতন মানুষের সহায়তা পাবেন।
- নওরোজ
নওরোজ ইমতিয়াজ?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নওরোজ দেখে আপনার মনে হইলো নওরোজ ইমতিয়াজ? আমার তো প্রথমে নওরোজ কিতাবিস্তানের কথা মনে পড়লো।
কি মাঝি, ডরাইলা?
খালি বাঙ্গালকে হাইকোর্ট দ্যাখান। নিচে একটা খবর পেস্ট করলাম। দৈনিক কালের কণ্ঠের ২৩ অগাস্ট, ২০১০ সংখ্যা। পড়েন মন দিয়ে।
আশা করছি, এই বুধবার "স্বপ্ন নিয়ে" পাতায় মুসা ইব্রাহীম তার "এভারেস্ট" থেকে নেমে আসার রোমহর্ষক কাহিনী বর্ণনা করবেন। সেইসাথে এভারেস্টে বুদ্ধমূর্তির সাথে তোলা তাঁর ছবিগুলো প্রথম আলোতে প্রকাশ করবেন। শুভস্য শীঘ্রম। এভারেস্ট জয় করেছেন তিন মাস হয়ে গেলো, অথচ একটা স্পষ্ট ছবি পেলাম না আমরা! ভিডিও তো দূরের কথা!
হিমু ভাই, আজকে তো পেপারে দেখলাম মু.ঈ.রে নিয়া নিত্য উপহার টি-শার্টও বের করে ফেলেছে। ভাইজান ভালোই দেহাইলো......
সার্টিফিকেটের পাশাপাশি এই টি-শার্টটিকেও হয়তো মুসা ইব্রাহীম অকাট্য প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করবেন। বলবেন, দ্যাখো, এভারেস্টে না উঠলে কি নিত্য উপহার আমার হুলিয়াসহ গেঞ্জি বের করতো?
কিন্তু আসল ছবিগুলোই তো বের হচ্ছে না। এভারেস্টে মুসা ইব্রাহীম। সেগুলোও কি নিত্য উপহারের টিশার্টে আসবে?
হে হে...ভাল বলছেন। তার সব ছবি ভিডিওর স্বত্ত্ব বিভিন্ন কোম্পানী কিনে নিছে বোধহয়
এটা একটা ফালতু গুজব। ছবি আর ভিডিও থাকলে তো কিনবে?
নিত্য উপহারের দোকানে কাচঁ দিয়ে বাঁধাই করা মুসা আর তার দুই শেরপার ছবি ও রাখা হয়েছে।
ঐ ছবিটা কি এভারেষ্টের চূঁড়ায় তোলা, ছবির পাশে কি এমন কোনো তথ্য আছে ? নাকি এমনি এমনিই ঝুলিয়ে রাখছে !
______________________________
বৃষ্টির মধ্যে রোদ হয়ে তুই
পাতার গায়ে নাচ
কষ্টের রঙে সুখ হয়ে তুই
আমার মাঝে বাঁচ...
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
আমারোতো একই কথা, সেটা কি এভারেস্ট এর চূড়ায় নাকি রাস্তার ধারে দাঁড়ানো ছবি।
ছবিটা তো আপনি দেখছেন ? ব্যাকগ্রাউন্ডের কিছু বোঝা যাচ্ছে না নাকি ?
______________________________
বৃষ্টির মধ্যে রোদ হয়ে তুই
পাতার গায়ে নাচ
কষ্টের রঙে সুখ হয়ে তুই
আমার মাঝে বাঁচ...
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
আমি কখন বললাম যে আমি ছবিটা দেখেছি! আমি প্রথম আলোর করা নিউজটা তে যা লেখা সেটা বললাম। লাল একটা টি-শার্টে মুসার ক্যালানো দাঁত বের করা মাথা লাগানো দেখতে যাওয়ার বা কাঁচের মধ্যে কী পজিশনে ছবি তুলে রাখসে সেটা দেখে সময় নষ্ট করার মত সময় আমার নাই।
নিত্য উপহাররে এগারো হাজার টাকা দিলে বাঘের ছবি বুকের মধ্যে সাটাইয়া দিয়া হে আপনারও টি শার্ট ছাপাইয়া দিবো ভাইজান, টি শার্টে কোনো লাভ হবে না, বাঙ্গালি এখন মুসা বৌদ্ধ মূর্তি জড়াইয়া ধইরা আছে এমন ছবি দেখতে চায় !
_______________________________
বৃষ্টির মধ্যে রোদ হয়ে তুই
পাতার গায়ে নাচ
কষ্টের রঙে সুখ হয়ে তুই
আমার মাঝে বাঁচ...
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
ঐরকম স্পেশাল এফেক্টের জন্য "বাংলার কিংকং" ছবির স্পেশাল এফেক্ট ডিরেক্টরের সাথে যোগাযোগ করা ছাড়া তো উপায় দেক্তেসিনা। মুসার পরিচিত ঝানু ফোটোশপার অবশ্য আছে অনেকেই। সিমু নাসের, আশীফ এন্তাজ রবি, এনারা ফান ম্যাগাজিনে এক দশকের ওপর সময় ধরে কাজ করছেন, ফোটোশপে এনাদের হাত শুনেছি খুব পাকা। আপনি চাইলে মুসামূর্তি জড়িয়ে ধরে আছে স্বয়ং বুদ্ধ, এমন ছবিও ওনারা হয়তো হাজির করতে পারবেন।
হিমু ভাই
৩য় পর্বের জন্য আর কত দিন অপেক্ষা করতে হবে?
মুসার কথা তো সবাই ভুলে যাইতেসে...অবশ্য ভাই আমগো বাঙ্গালির স্বভাব ই এমন।কয়েক দিন কাও কাও, এরপর সব নাই।
আরো কয়েকদিন লাগবে। আমি একটু ইনজুওরড। সেটা না সারা পর্যন্ত লিখতে বসতে পারছি না। আপনি পারলে মুসারে গিয়ে একটু হুড়া দ্যান, তার এভারেস্ট থেকে নামার বর্ণনা সে কবে লিখবে।
মুসার কথা চাইলেও আপনাকে ভুলতে দিবে না আলুগোষ্ঠী। আপনি কি জানেন মুসা ঈদের দিন প্যান্ট পরবে?
হা হা হা...
তারকার ঈদসাজ বলে কথা।
না জেনে উপায় আছে!
সবই বাণিজ্য। পেপসোডেন্টের অ্যাড এখন কে করে কারো জানা আছে?
মুসার বাংলা উইকি পেইজ দেখলাম অচিরেই মুছে দেয়া হবে। ইংরেজিটা বহাল তবিয়তে আছে। আমাদের প্রাইমিনিস্টার আর খালেদা ম্যাডাম মোটামুটি প্রতিযোগিতা করে তাকে অভিনন্দন জানিয়ে বিষয়টা পোক্ত করেছেন।
একটা জিনিস কিছুতেই মাথায় আসে না। কেউ যদি এভারেস্টে চড়ার মতো একটা শ্রমসাধ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ (অনেকের কাছেই, যদিও আমার কাছে এর তেমন গুরুত্ব নেই) কাজ করে, তাহলে তো পুরো ট্রিপ (এইটারে সামিট বলে নাকি?) এর অডিও-ভিডিও-স্টিল পিকচার-ডায়েরী দিয়ে সয়লাব করে ফেলবে। ডিজিটাল যুগে ডোজিটাল ক্যামেরার মতো সহজপ্রাপ্য এবং প্রায় খরচাবিহীন যন্ত্রের ব্যবহার না করে এভাবে সব-জানি-কিন্তু-কমু-না নীতি ফলো করলেই বুঝা যায় জিনিসটায় ঘাপলা আছে।
এটা তো আর ঈশ্বরে বিশ্বাসের মতো ব্যাপার না যে, কইয়া দিলাম, শুনলে শুনো, নাইলে ফুটো। এটা তো পুরা জাগতিক ব্যাপার। প্রমাণ ছাড়া দাবি করলাম, পারলে এভারেস্টে যাই নাই, এইটা প্রমাণ করো - এই নীতি চলে না। তবে ত্রিভুজ আসলেই একটা লিজেন্ড, কোনো অ্যাঙ্গেলই বাদ রাখে নাই।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
হিমু যে ব্যবসায়িক লাভালাভের বিষয়টাকে একটা কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছিল সেটা এখন প্রমাণিত হচ্ছে।
হিমু ব্যবসায়িক লাভালাভের কথা বলছিলেন, এখন তো দেখি মুসা ঈদের কাপড়টাও ফ্রি নিতেছেন ! এখানে যে হাসিমুখ ছবি, এরকম একটা ছবি এভারেস্ট চূঁড়ায় সুযোগ পেলে কি তুলতে মিস করবে মুসা ?
______________________________
বৃষ্টির মধ্যে রোদ হয়ে তুই
পাতার গায়ে নাচ
কষ্টের রঙে সুখ হয়ে তুই
আমার মাঝে বাঁচ...
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
পুরো ঘটনায় মুসার ভূমিকা প্রধানত মডেলিংই, ব্যবসায়ের মালিকানায় তার শেয়ার হয়তো খুব বেশি না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ঈদে পরিধেয় পোশাক নিয়ে তারকা মিস্টার মোজেস ইব্রাহিম আল এভারেস্টি বলেছেন-
... আর আপনি?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এই প্রতিবেদনটা দেখে যারপরনাই বিরক্ত লাগছিল। এরা যে আরো কী কী করবে...!
এভারেস্ট প্লাটফরমের আজকে ইতি ঘটসে। এইবার অন্নপূর্ণাতে উঠবে। আশা করি এইটা দুই মাস প্যাঁচাবে, তারপর যদি ওর মেমরি ফেরত আসে, আরে আমিতো এখনো এভারেস্ট থেকে নামি নাই! মজার কাহিনী হল আজকে লিখসে, মুসার পরিবারের সবার ধারণা ছিল, 'পর্বতারোহণ কোনো সুস্থ চিন্তার অধিকারী সভ্য মানুষের কাজ না'
নিত্য উপহারে তিন শেরপার সাথে মু.ঈ.'র যে ছবি টাঙানো হয়েছে তাতে শেরপাদের পরনে নিত্য উপহারের টি-শার্ট। সুতরাং সে ছবি এভারেস্টের উপরে হবার কোনো চান্সই নাই যদি না আলুপত্রিকা দাবী করে যে অভিযানের আগে তারা নিজেদের ব্যানারের সাথে সাথে নিত্য উপহারের টি-শার্টও দিয়ে দিয়েছিলো........
ভাই কি যে সব বিটকেলে কথা বলেন না!!
মুসা পর্বতের কাছে না যাওয়ায়
পর্বতই হয়তো মুসার কাছে গিয়ে হাজির হয়েছে, কে জানে...
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সিমু নাসের আমার কাছে সাক্ষাৎকার দিতে অসম্মতি জানিয়েছেন। আশীফ এন্তাজ রবির সাথে যোগাযোগ করে ওঠা যায়নি, আশা করবো তিনি সম্মত হবেন।
একটা স্ট্যাটাসের ব্যাপার আছে না?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
সিমু নাসেরই নাকি সামহোয়ারইনে লোকাল টকের নিকে পুস্টাইতো?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
হয়ত আপনারা পড়েছেন। তবুও আবার দিলাম, লিঙ্কটি। আর একটা কথা মার মনে হচ্ছে, আচ্ছা? নীল আর্মস্ট্রং কি সত্যিই চাঁদে গিয়েছিলেন?
http://www.somewhereinblog.net/blog/bdidol/29186378
মুসা যদি ভন্ডামি করে থাকে তবে তার ক্ষমা নাই। বাংলার মাটিতে তার বিচার হবে ইনশাল্লাহ।
আচ্ছা, হিমালয়ান গাইডস এর ওয়েব সাইটে মুসার বিশেষ এবং একক এন্ট্রিটাতে একটা ব্যাপার কি কেউ খেয়াল করে দেখেছেন?
" Musa used the North Alpine route on the Tibetan side to conquer the top of the world."
নর্থ আল্পাইন রুট? এরকম কোন রুট কি আদৌ হিমালয়ে আছে নাকি? গুগল সার্চ দিয়া তো কিছু পাইলাম না। পর্বতারোহীরা তো দেখি নর্থ কল (north col) অথবা নর্থ রিজ (north ridge) নামের একটা রুটের কথা বলে!
নর্থ আল্পাইন তো জানি মুসার ক্লাবের নাম! তাড়াহুড়া করতে গিয়া কি ক্লাব এর নাম আর রুট এর নাম গুলায় ফেলল?
খাইসে!
হিমু ভাই, চালায়া যান। আমরা আরো কিছু ঘোমটা উন্মোচিত হওয়া দেখতে চাই।
ভাইজানেরা, বিষয়টি পড়ে আমার ক্যানো যেনো ভীষণ ভয় করছে...!
@ রেজা য়ারিফ
কিসের ভয় করছে?
শেখ ইসমত
আপনার মতো নির্লজ্জকে মেইল করতেও ঘেন্না লাগে, তারপরও করলাম। এখন মেইল চেক করে মুসার ছবি দেখে নিজের ভুল স্বীকার করুন। দয়া করে বৃত্ত এঁকে আমাকে আবার পল্লব মোহাইমেন বানিয়ে দিয়েন না।
আহা রাগ করেন কেনু? পল্লব মোহাইমেনও একজন কামেল ও বুজর্গ ব্যক্তি। নাম শুনলেই দরূদ পড়তে মন চায়।
কিন্তু রিফাত ফারজানা ভাইয়া, মেইল চেক দিলাম। আসেনি তো কিছু। আবার পাঠান।
রিফাতাপু, আপনি এখনো দেশে আছেন !!!!!!
আমি আরো মনে করছিলাম আপনি মেমোরী স্টিক আনতে এভারেস্টে গেছেন কিনা !!!
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
দারুন লিখেচেন। চালিয়ে য়ান।।।
এক কালে শুনতাম 'দেশ বিজয়', 'প্রেমের বিজয়'। এখন শুনি 'সমুদ্র বিজয়', 'এভারেষ্ট বিজয়', 'বিরোধী দল বিজয়'। সামনে শুনবো 'সমতল বিজয়', 'বনভূমি বিজয়'। আরো কতো বিজয় যে শুনতে হবে এই সব পত্রিকার কারসাজীতে। আমি আগে যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করতাম, সেখানকার এক গবেষক ৩ ভার এভারেষ্ট এ গিয়েছে। এক বার উত্তর মেরু, আর একবার অ্যান্টার্কটিকাতে গিয়েছে ম্যারাথন দৌড়ানোর জন্য। সে নিজের টাকাতে যেত, কিন্তু কোম্পানী থেকে স্পনসর পেতো ক্যান্সার চ্যারিটিতে দেয়ার জন্য। তার এভারেষ্ট যাওয়া, উত্তর মেরু বা অ্যান্টার্কটিকাতে যাওয়া নিয়ে এখানকার কোন পত্রিকাতে কিছু দেখতামও না। আমাদের দেশে মুসাকে নিয়ে শুধু মাতামাতিই ছিলনা, প্রথম আলো আর আনিসুল হক তাকে বানিয়ে দিলো আমাদের তরুন সমাজের আদর্শ্য হিসাবে, তাকে দেখে অনুপ্রানিত হয়ে দেশের তরুন সমাজ নাকি এভারেষ্টে চড়ে আমাদের দেশের চেহারাই পাল্টে দিবে!
নতুন মন্তব্য করুন