আগেই উল্লেখ করেছিলাম, মুসা ইব্রাহীমের এভারেস্ট জয়ের কোনো সপক্ষে সুস্পষ্ট প্রমাণ দিতে পারে, এমন কোনো ছবি বা ভিডিও আমজনতার দৃষ্টিগোচরে আনা হয়নি।
পরিবর্তে মুসা এবং মুসার পৃষ্ঠপোষক মিডিয়াগোষ্ঠী আশ্রয় নিয়েছে একটি কৌশলের। সর্বত্র মুসার অন্নপূর্ণা-৪ অভিযানের ছবি এভারেস্ট প্রসঙ্গে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের অনেকেই জানেন না, কোনটি কোন অভিযানে গিয়ে তোলা ছবি। আলাদা করে না বললে বোঝার উপায়ও নেই।
এই কদর্য কৌশলটির কিছু প্রমাণ এই পোস্টে উপস্থাপন করছি।
বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখার আগেই কাঠমাণ্ডুর ত্রিভূবন এয়ারপোর্টে মুসাকে সংবর্ধনা দেয়ার জন্যে কী কূট কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে মুসা ইব্রাহীমের সাঙ্গপাঙ্গরা।
ছবিটিতে ধরা ব্যানারে দেখতে পাবেন, পাহাড়ের পটভূমিতে তিনটি ছবি। মাঝখানের দীর্ঘ ছবিটি মুসার অন্নপূর্ণা-৪ অভিযানে গিয়ে তোলা একটি ছবি থেকে ক্রপ করা। মূল ছবিটিতে তৌহিদ হোসেনও সাথে ছিলেন।
ব্যানারে ডানদিকে আমরা দেখতে পাচ্ছি মুসা ইব্রাহীমের একটি ক্লান্ত ছবি, কোন একটি তাঁবুর ভেতরে। বিবিসি বাংলা তাদের ২৫ মে, ২০১০ তারিখের রিপোর্টে এ ছবিটি প্রকাশ করেছিলো [১]। প্রকৃতপক্ষে ছবিটি তোলা হয়েছে অন্নপূর্ণা-৪ অভিযানে, মূল ছবিতে দেখুন মুসার পাশে সারিন প্রকাশ প্রধানকে দেখা যাচ্ছে।
সেক্ষেত্রে প্রশ্ন হচ্ছে, মুসা কেন তার এভারেস্টের কোনো ছবি সরবরাহ করলেন না? ধরে নিলাম বিবিসিকে তিনি এভারেস্টে তোলা কোনো ছবি দিতে অরাজি, কিন্তু ঢাকায় তার বন্ধুদের কাছে তো স্বাগতম ব্যানারের জন্যে এভারেস্টের ছবি সরবরাহ করতে কোনো বাধা নেই। নেপালে অবস্থান করছিলেন যতক্ষণ, এভারেস্টের কোনো ছবি বাংলাদেশের কোনো মিডিয়ায় প্রকাশ পায়নি। ১৮ জুন, ২০১০ তারিখে তিনি ডেইলি স্টারে একটি অস্পষ্ট ছবি প্রকাশ করেন এভারেস্টে তোলা বলে। ঐ ছবিটিও যে এভারেস্টে তোলা হয়েছে, এমন কোনো সুস্পষ্ট প্রমাণ মুসা দিতে পারেননি।
শুধু তা-ই নয়, দেশে ফেরার কয়েক সপ্তাহ পর মুসাকে সংবর্ধনা দেয়ার ব্যবস্থা করেছিলো তার ভক্তের দল। সেই ভক্তের দলকেও মুসা সরবরাহ করেছেন তার অন্নপূর্ণা-৪ অভিযানের ছবি।
এবার আসুন আমরা ছবিতে মুসার পেছনে টাঙানো ব্যানারে পর্বত অভিযানের ছবিটি মন দিয়ে দেখি।
এই ছবিতে মুসা ইব্রাহীম, তৌহিদ হোসেন ও সারিন প্রকাশ প্রধানকে দেখা যাচ্ছে। সাথে আরো দুই শেরপা, ছবি তুলছেন আরেক শেরপা।
উল্লেখ্য, নেভারেস্ট সিরিজের প্রথম পর্বে মুসা ইব্রাহীমের অন্নপূর্ণা-৪ নিয়ে বক্তব্যের অসঙ্গতি আমি তুলে ধরে দেখিয়েছি, তিনি সত্য কথা বলছেন না।
মুসা এভারেস্ট শীর্ষে তোলা কোনো ছবিই দেখাতে পারছেন না, যা তার এভারেস্ট শীর্ষজয়কে প্রমাণ করতে পারে। প্রায় চার মাস হতে চললো, বাংলাদেশ তার কথিত প্রথম এভারেস্টজয়ীর এভারেস্ট শীর্ষে তোলা কোনো ছবি বা ভিডিও দেখতে পায়নি।
সম্ভবত, এমন কোনো ছবি বা ভিডিওর অস্তিত্বও নেই। তার শেয়াল পণ্ডিতের মতো বারেবারে ঝুলি হাতড়ে বের করে আনতে হয় অন্নপূর্ণা-৪ এর পাদদেশে তোলা কয়েকটি ছবিকেই। আর এ কাজ করে তিনি পার পেয়ে যাচ্ছেন সরলচিত্ত অডিয়েন্সের পর্বত সম্পর্কে পর্বতপ্রমাণ অনভিজ্ঞতার জোরেই।
তথ্যসূত্র:
মন্তব্য
মুসাকে নিয়ে যখন আপনার সিরিজ লেখাগুলি পড়ি তখন একটা প্রশ্নই বার বার মাথায় ঘুরে
প্রথম আলো না হয় এখন নিজেদের ইজ্জত রক্ষার্থে মুসার গপ্প জমাট বাধতে সহায়তা করবে কিন্তু প্রথম আলোর প্রতিদ্বন্দ্বী পত্রিকাগুলার এই মিথ্যাচারকে এক্সপোজ করতে এতো অনাগ্রহি কেন ? আমাদের দেশের কোন পত্রিকারেই অনুসন্ধানী খবর নিয়ে কাজ করতে আগ্রহি দেখি না ডেইলি নানা দলের নেতা কর্মির বক্তব্য রংচোঙে মাখিয়ে প্রকাশ, পত্রিকার মালিকের স্বার্থবিরোধীদের সাথে ঘেউ ঘেউ করা মধ্যেই এদেশের সাংবাদিকতা আবদ্ধ
অনুসন্ধিৎসু
শুনেছি তার স্ত্রী কোন এক আদালতের বিচারক।
সেই আদালতে মুসার প্রতারনার অভিযোগ এনে মামলা ঠুকে দিলে কেমন হয়?
হা হা হা। গুড় জব, হিমু। রিয়েলি গুড জব, দিনে দিনে আপনার ভক্ত হয়ে যাচ্ছি,বস। ক্যারি অন। মন্তব্যটি প্রকাশ হবে তো?
গরীবের ঘরে হস্তীর পাড়া! সাক্ষাৎকার নিতে চাইলাম বস, আপনি তো রাজি হৈলেন না। গুড় জব চলমান থাকবে আপনাদের দোয়ায়, ছুবহানাল্লাহ।
দিল ঠান্ডা তো দুনিয়া ঠান্ডা
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
ভাই, এভারেস্ট বিজয়ের ছবিসমূহ ঈদের পরে প্রকাশ করা হবে- এইরকম একটি মন্তব্য আপনাদের তরফ থেকে অন্য একটি ব্লগে পড়েছিলাম। ছবিগুলো কবে দেখতে পাবো ?? ...
_________________________________________
সেরিওজা
রবি, হিমুর গুড় জবের কথা বাদ দেন, গুড জবের কথাও বাদ দেন। যতটুকু জানি মুসা আপনার খুব ভালো বন্ধু, আপনি সম্ভবত মুসাকে রিসিভ করতে নেপালও গিয়েছিলেন। আপনার কাছে জানতে চাই, মুসা এভারেস্টের চূড়ায় উঠছেন এইরকম কোনো ছবি কি আপনি নিজে দেখেছেন, অথবা আপনারা ? আর মুসা যদি সত্যি সত্যিই এভারেস্ট সামিট করেন তাহলে এভারেস্ট চূঁড়ার বৌদ্ধমূর্তির সাথে কি তিনি কোনো ছবি তুলেননি, এভারেস্ট সামিট করে কেউ চূঁড়ার বৌদ্ধ মূর্তির সাথে ছবি তুলবেন না এটা আমি বিশ্বস করি না, মুসা নিশ্চয়ই তুলেছেন ? এখন যদি বলেন মুসার ক্যামেরা নষ্ট হয়ে গেছে, তখন আরেকটা প্রশ্ন, তার সাথে ২০/২৫ জনের একটা দলও ছিলো। মুসারে বলেন সবকিছু পরিস্কার করতে, ছবিগুলো বের করে দেখাতে। এটা না করলে জাতির সাথে বেঈমানী করার জন্য কেউ না কেউ দেখবেন তার বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিয়েছে, সেটা আমি হতে পারি, আপনি হতে পারেন ( না, আপনি হওয়ার সম্ভবনা কম ), অথবা অন্য কেউ হতে পারে ! আলু পটল কি তখন তার সাথে থাকবে ?
হিমু, চলতে থাকুক, স্যালুট...
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
মুসার বন্ধুরা দেখি মহা ধান্ধাবাজ। এদের কেউ কেউ আবার খোমাখাতায় দেখি দারুণ সরব। আরেকজন আলুর স্যাটায়ার লেখক এই পর্বগুলোর বিরুদ্ধে আরেকটি ব্লগে লিখে চলেছেন। যদিও ওনার ব্যক্তিগত ধান্ধাবাজির কথা আর লিখলাম না।
অসাধারণ আপনার লেখনী ।চালিয়ে যান। দেশের মানুষ এই ধান্ধাবাজদের কিছু বলে না কেন?
"গুড় জব" চলমান থাকুক। এভারেস্ট নিয়ে পর্বত প্রমাণ সংশয়ের অবসান হোক।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এভারেস্ট জুচ্চোরদের মুখোশ যথাশীঘ্রই উন্মোচন করতে হবে। ইন্টারেস্টং ব্যাপার হচ্ছে উইকিতে Timeline of climbing Mount Everest আর্টিকেলে এই তথ্য দেওয়া আছেঃ Journalist Musa Ibrahim, 30, claimed to be the first person from Bangladesh to summit. Actually the ascent is doubted by some, so it needs to be reconfirmed properly.
সত্যান্বেষী
I would like to inform that I added the last line with proper reference! anyone can change the wiki temporary but not my reference!
এবার সময় কফিনে শেষ পেরেকটি ঠোকার...
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে, সুখের স্রোতে ভাসাও তরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
এভারেস্টের উপরে তোলা হয়েছে এমন একটি ছবি প্রথম আলোতে প্রকাশিত হয়েছিল। পরবর্তীতে মুসার ব্লগেও ছবিটি ছিল (বা আছে)। সেই ছবিটি নিয়ে বিশ্লেষণের অবকাশ আছে। ঐ ছবিতে যা দেখা যায় তাতে চূড়া চূড়া একটা ভাব আছে। কিন্তু কেন যেন ঐ ছবিটি কোথাও ব্যবহার করা হয়না। কেন কেন কেন? এর জবাব মিলবে কি?
নেভারেস্ট এর তৃতীয় পর্বে ঐ ছবিটির বিশ্লেষণ উপস্থাপন করা হবে। দুই আঙুল তুলে ভি চিহ্ন দেখিয়ে যত্রতত্র সামিট দাবি করা মুসা ইব্রাহীমের যে একটি পুরনো অভ্যাস, সেটির সচিত্র প্রমাণও উপস্থাপন করা হবে।
আরো উল্লেখ করা প্রয়োজন, ঐ ছবিটি প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয়েছিলো নেভারেস্ট প্রথম পর্ব লেখার পরদিন।
আমি ভাবছি এব্যাপারে আদালতের শরণাপন্ন হয়ে মুসাকে প্রমাণ করতে বলা যায় কি না?
@আশীফ এন্তাজ রবি- আপনি মনে হয় ব্যঙ্গ করলেন
আগেও এই মন্তব্যটা করেছিলাম। মুসার অন্নপূর্ণা-৪ অভিযানের ছবির মতো সর্বত্র এটা কপিপেস্ট করে চালিয়ে দেবো।
খালি বাঙ্গালকে হাইকোর্ট দ্যাখান। নিচে একটা খবর পেস্ট করলাম। দৈনিক কালের কণ্ঠের ২৩ অগাস্ট, ২০১০ সংখ্যা। পড়েন মন দিয়ে।
ড ড় হয়ে যাওয়ায় ক্ষমাপ্রার্থী। তয় একেবারে খারাপ হয় নাই। গুড হয়ে গেছে গুড়। এই রকম ছোটোখাটো ভুল আমার প্রায়ই হয়। যাই হোক, হিমু ভাই, আমি খুব আগ্রহ নিয়ে আপনার এই কিংবদন্তিতুল্য সিরিজটি পড়ছি। আমার মতো প্রায় মূর্খ লোকজনের সাক্ষাৎকার নিলে আপনার লেখাটির ওজন কমতো বলে আমার ধারণা, তাই সাক্ষাৎকার দিতে রাজি হইনি। ব্যাপারটি ব্যক্তিগতভাবে না নিলে খুশিই হবো।
তবে আপনার এই পর্বটির ব্যাপারে আমার কিছু বক্তব্য আছে। এইচবিও তে জোশ একটা মুভি হচ্ছে ....সেটা শেষ করে এনার্জি থাকলে কথাগুলো বলবো। আশা করি এই মন্তব্যসহ পরের মন্তব্যটিও প্রকাশিত হবে। ভবদীয়- আশীফ এন্তাজ রবি
আমিও আশা করছি আপনি প্রকাশযোগ্য মন্তব্য করে কোনো ভ্রান্তি থাকলে ধরিয়ে দেবেন।
সাক্ষাৎকার দিতে গেলে যে বিরাট শিক্ষিত হতে হয় না, সেটা টিভিতে মুসা ইব্রাহীমের কথা শুনে উপলব্ধি করেছি। এইচবিওর মুভিটা দেখা শেষ করে স্কাইপে চলে আসেন। আমরা আমরাই তো, লজ্জা কী?
ধুর মিয়া আপনি পুরাই বেরসিক!
এইচ বি ও'র ম্যুভির গুরত্ব বুঝেন!! এই ম্যুভি শেষ হইয়া গেলে এরপর আর পাইবো কই! (এক মাসে কয়েকবার রিপিট হয় যদিও, অবশ্য ম্যুভির নাম কইলে জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আমরা, ডাউনলোড লিঙ্ক অথবা ডি ভি ডি একতা কিন্নাই পাঠাইতাম!)
অফলাইনেই কথা কয় না, আর আপনে ডাকেন অনলাইনে! এরপর কথা না কইলেও হইবো সচলের দোষ- "আমরা কইছি সচল মন্তব্য ছাপায় না!"।
পিঠ আর কতদিন এভাবে বাচাই রাখতে পারে এইতাই দেখার অপেক্ষায় আছি।
কাজী মামুন
প্রথম আলোর খবর অনুযায়ী, এইচবিওতে রবি ভাইয়া দেখছেন দ্য রুইনস।
আরে ধুর হিমু ভাই আপনে ব্যপারটা বুঝেন নাই। এইটা বিশাল ভয়ের একটা ছবি। প্রাচিন মায়ান রুইনস এর ভিতরে একটা গাছ থাকে, সেইটা আবার মোবাইল ফোনের রিঙটোন নকল কইরা মানুষরে অ্যাট্রাক্ট করে। তারপর সেই মানুষগুলাকে কচকচ করে খেয়ে ফ্যালে ঢোলকলমি গাছের মতো। এই ছবি দেখলে যেকোন সুস্থ মানুষের ডরে এক্কেরে হাত পা শক্ত হয়ে যাবে। কতক্ষন অজ্ঞান হয়ে থাকাও অস্বাভাবিক না।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
এখানে একটা যদি আছে কিন্তু - "এইচবিও তে জোশ একটা মুভি হচ্ছে ....সেটা শেষ করে এনার্জি থাকলে কথাগুলো বলবো"
"জরুরী কাজে বাইরে যাচ্ছি রাতে ফিরে উত্তর দিব" - দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেল
আমরা আম জনতা আশা করছি সিনেমার শেষতক আপনার এনার্জি টিকে থাকবে। না থাকলে হরলিকস খেয়ে অথবা একটা ঘুম দিয়ে সকালে উঠে লিখতে পারেন। আমরা অপেক্ষায় থাকলাম।
________________________________________________
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
এইচবিও'র সস্তা হরর সিনেমা বাদ দিয়ে আমরা এতোগুলো মানুষ একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্পষ্ট করে দেয়ার আহবান জানাচ্ছি আপনাকে, সেটার মূল্য দিন।
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
রবি দা, আমি যদি দাবি করি যে আমিও এভারেস্ট গেছিলাম তা কি আপনি বিশ্বাস করবেন? না করলে কেন করবেন না? কোন পত্রিকা কাভার করে নি বলে?
আমি ফেইস বুকে নর্থ আলপাইন ক্লাবের দেয়ালে মুসাকে তার এভারেষ্ট বিজয়ের ছবি আপলোড করার জন্য বেশ কয়েকবার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু সে কোন রেসপন্স করেনি পরে মেজাজ গরম করে লিখেছিলাম যে, তাহলে বাতাসে যা শোনা যাচ্ছে তাই কি সত্য? ভেবেছিলাম অপমানিত বোধ করলে সে হয়তো জবাব দিবে কিন্তু দেয়নি। এভারেষ্ট জয়ের দাবীর এই অসংগতিগুলো আরো বড় কোন ফোরাম এ (হতে পারে কোন জাতীয় দৈনিক পত্রিকা) প্রকাশিত হওয়া দরকার। তখন হয়তো সে এড়িয়ে যেতে পারবেনা। সত্য সমুন্নত থাকুক সে যাই হোক।
অচিন পাখি
অনেক ক্ষেত্রেই জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোর এখন হাত-পা-কলম-বিবেক সবই বাঁধা। তাই ব্লগেই ভরসা করতে হবে, অচিন পাখি।
এভারেস্ট জয়ের সপক্ষে কোনো সুস্পষ্ট প্রমাণ থাকলে এতো দিনে কোথাও না কোথাও প্রকাশিত হতো! নাই বলেই বন্ধু বেরাদরদের নিয়ে এই তেনা প্যাচানী...কিন্তু তেনা তো ছিঁড়তে বসেছে!
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
রবি সাহেবের লেখা পড়লাম। মিছা ভাইয়ের বন্ধু বান্ধবীরা রঙ্গ তামাসায় যেরকম সময় দেন সেখান থেকে ২মিনিট সময় নিয়ে এভারেস্টে তোলা ছবি দিলেই তো ল্যাঠা চুকে যায়!
লেখাটি পড়লাম।
"নেভারেস্টের প্রথম পর্বে লেখার শুরুতে তিনি চারটা বৃত্ত ( এর মধ্যে একটি বড় বৃত্ত এবং তিনটি ছোট বৃত্ত ) একেঁ বুঝিয়ে দিয়েছেন মুসা কতবড় প্রতারক।"
যাকগে। পার্ট টাইম সাংবাদিক এবং ফুল টাইম ভাবুক এর ভাষায় বলতে গেলে বলতে হয়,
-বিচ্ছু/কেঁচো ফান ম্যাগাজিন হতে পুরোনো কৌতুক আওড়ে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন মুসা ইব্রাহীম এভারেস্টে উঠেছেন...
_________________________________________
সেরিওজা
সানডে সাহেব তো দেখি সব কিছুই চোখ বুইঞ্জা মুখস্ত মারেন পেপার পত্রিকায় যেমন মারেন আরকি!
পয়লা লাইনেই তো ঘাপলা। উইন্সবার্ডেন বলে কোনো শহর নাই জার্মানীতে। তবে ফ্রাংকফুর্টের কাছে যে শহরের নাম তিনি বুইললেন সেইটা হলো ভিসবাডেন, হেসেন প্রদেশের রাজধানী।
রেসিডেন্ট এভিল দেখতে দেখতে ওয়াটাইতাছি সানডে সাহেব এইচবিওতে গরম মুভি শ্যাষ কইরা আর কী কী মুখস্তবিদ্যা হইতে ছাড়তে আসেন।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
যাক মুভিটা শেষ হলো, শেষটা তেমন ভালো লাগলো না। জঘন্য। যাই হোক, হিমু ভাই মূল আলোচনায় আসি। আপনি বলেছেন
---
বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখে এয়ারপোর্টে মুসাকে সংবর্ধনা দেয়ার জন্যে কী কূট কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে মুসা ইব্রাহীমের সাঙ্গপাঙ্গরা। ছবিটিতে ধরা ব্যানারে দেখতে পাবেন, পাহাড়ের পটভূমিতে তিনটি ছবি। মাঝখানের দীর্ঘ ছবিটি মুসার অন্নপূর্ণা-৪ অভিযানে গিয়ে তোলা একটি ছবি থেকে ক্রপ করা।
-----
এক্ষেত্রে আমার মোটে ৪টি বক্তব্য আছে।
বক্তব্য নং ১- ছবিটি বাংলাদেশের এয়ারপোর্টের ছবি না। ছবিটা কাঠমুন্ডু এয়ারপোর্টের বাইরে তোলা। কাজেই আপনি যে বলেছেন , বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখে এয়ারপোর্টে মুসাকে সংবর্ধনার কি কূট কৌশল .... কথাটা এ বেলা ঠিক করে নিন এভাবে ...নেপালের পাথুরে মাটিতে পা রেখে মুসাকে সংবর্ধনার কি কূট কৌশল .....
বক্তব্য নং ২ - এবার আসা যাক কূট কৌশলের বিষয়টিতে । নেপাল থেকে মুসাকে ঢাকা উড়িয়ে নিয়ে যাবার জন্য একটা বিশেষ আয়োজন করে ইয়াংওয়ান গ্র“প। সেটি হচ্ছে তারা তাদের নিজস্ব ছোট একটি বিমানে করে ঢাকা থেকে মুসার স্ত্রী এবং পুত্রকে উড়িয়ে কাঠমুন্ডু নিয়ে যাবে। ঐ একই বিমানে মুসাকে তুলে নিয়ে আবার ঢাকা ব্যাক করবে। আর আমরা মানে মুসার ভ্রমণসঙ্গীরা ফিরবো বাংলাদেশ বিমানের নিয়মিত ফ্লাইটে।
নির্ধারিত দিনে আমরা মুসাসহ কাঠমুন্ডু বিমান বন্দরের সামনে অপেক্ষমান। মুসা বেশ আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে। অনেক দিন পর সে তার স্ত্রী পুত্রকে দেখবে, তার বাড়তি আগ্রহ থাকা স্বাভাবিক। বিমানটি যথাসময়ে এলো। চমৎকার একটা পারিবারিক পুর্নমিলনির আবেগঘন দৃশ্য আমরা দেখলাম। যাই হোক, প্রাথমিক আচারটা পার হবার পর, হঠাৎ করে ইয়াংওয়ান গ্র“পের পাইলট তার সাথে থাকা একটি ব্যানারের ভাজ খুলে মেলে ধরলেন। আমরা ব্যানারটি দেখলাম। সেখানে লেখা এ হিরোয়িক রিটার্ন অব মুসা ইব্রাহীম ফ্রম দ্যা টপ অব দি ওয়ার্ল্ড। ওয়ার্মলি ওয়েলকাম বাই ফ্যামিলি মেম্বার। স্পন্সর বাই : ইয়াংওয়ান গ্র“প। ব্যানারটি তারা ঢাকা থেকে নিজেরাই ডিজাইন করে নিয়ে এসেছিল। সেই ডিজাইনে মুসা ইব্রাহীমের তিনটি ছবি ছিল। এই তিনটি ছবি তারা কোথা থেকে কালেক্ট করেছে, তারাই ভালো বলতে পারবে। তবে তখন মুসার নাম লিখে গুগলে সার্চ দিলে যে ছবিটি সবচেয়ে বেশি আসতো , সেটি হচ্ছে অন্নপূর্ণা ৪ এর ছবি। যেখানে মুসা জাতীয় পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে আছে।এই ছবিটি যে কেবল ইয়াংওয়ান গ্র“প ব্যবহার করেছে তা না, বাংলাদেশের প্রায় সকল পত্রিকাও এই ছবিটি ছাপিয়েছে। কারণ, খবর এসেছে মুসা এভারেস্ট জয় করেছে। তখনো কারও কাছে এভারেস্ট সামিটের ছবি এসে পৌছায় নি। কেননা মুসা তখনও সমতলে নেমে আসেন নি। কাজেই একজন পর্বতারোহীর সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক এবং সহজলভ্য ছবিটাই ব্যবহার করেছে। আমি নিজেও এই কান্ড করেছি। মুসাকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআরে ৩টি বিশাল ডিজিটাল ব্যানার ছাপানো হয়েছিল। সেখানে মুসার বেশ কয়েকটি ফাইল ফটো ব্যবহার করা হয়েছে। এই কৌশলটা আমরা প্রায়ই করি। দলীয় কোন্দলে গভীর সংকটে খালেদা জিয়া - এই স্টোরিটা ছাপার সময় খালেদা জিয়ার কোন বিষন্ন সময়ে গালে হাত দেয়া ছবি আমরা ছাপাই। ছবিটা অবশ্যই পুরনো কোনও ছবি। মুসার ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে। এই ব্যাপারটিকে যখন হিমু ভাই কূট কৌশল হিসেবে ব্যাখ্যা করেন, তখন আসলে বলার কিছুই থাকে না। ব্যাপারটিকে যখন ব্যাখা করা হয় এভাবে যে আয়োজক এবং মুসা পরস্পরের যোগ সাজশে এই রকম একটি পুরানো ছবি প্রকাশ করছেন, তখনও ব্যাপারটি নিয়ে বলার কিছুই থাকে না।
৩য় বক্তব্য : মুসাকে যারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ডাকেন, তারা মুসাকে কী দিয়ে সংবর্ধনা জানাবেন এটা একান্তই তাদের বিষয়। ব্যনারের রং কালো হবে না হলুদ হবে, ফুলটা রজনীগন্ধ্যা হবে না গোলাপ হবে - এটি কী মুসার পক্ষে সম্ভব আগে থাকতে আয়োজকদের বলে দেয়া। মুসা কি আয়োজকদের বলবে- ভাই আমি নীল রং পছন্দ করি, ব্যানারের রং যেন নীল হয় । আমি বকুল ফুলের মালা পছন্দ করি, খবরদার গাঁদা ফুলের মালা যেন আমাকে না দেয়া হয় । যে কারণে ঢাকা ইউনিভার্সিটির এলামনাইয়ের ছবিতে আমরা আবিষ্কার করি স্বয়ং মুসা ইব্রাহীমের নামের বানান ভুল আছে, দীর্ঘ ই কারের জায়গায় হ্রস্ব ই কার পড়েছে।
৪র্থ বক্তব্য : জীবিকার খাতিরে আমি যুগান্তরে চাকরি করি। সেখানে আমার বেশ কয়েকটি দায়িত্বের একটি হচ্ছে বিচ্ছু নামক একটি ফান ম্যাগাজিন সম্পাদনা করা। কাজেই আমি হয়ে গেছি জাতীয় ভাড়।আপত্তি নেই। জীবিকার খাতিরে মুসার স্ত্রী জজিয়তি করেন। তাকে নিয়ে মন্তব্য কলামে কত কথাই তো লেখা হচ্ছে। এই রকম একটি সমৃদ্ধ লেখায় ব্যক্তিগত আক্রমণ না চালালেই কী নয়?
মুসাকে যারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ডাকেন - তাঁরা কেন মুসার সাথে এভারেস্টের ছবি পায়না ? কেন তাঁরা বা আপনি নিজেও পুরাতন ছবি ব্যবহার করলেন?
খালেদা জিয়ার নতুন ছবি থাকলেও কি পুরাতন ছবি ছাপান?
বেশ, নেপালের মাটিতেই যে ব্যাপারটি ঘটেছে, সেটাই শুধরে দিচ্ছি। তবে ঘটনাটা যে জুন ১, ২০১০ এ ঘটেছে, সেটা তো আপনিই বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন।
ব্যানারে ছবির আকার দেখে বোঝা যায়, ছবিটা নেয়া হয়েছে হাই রেজোলিউশন ফরম্যাটেই। যে পাইলটের কথা বলছেন, দেখতে পাচ্ছি ইনি মুসার আপন ভগ্নিপতি রাশিদুল হাসান। তিনি যদি মুসার অন্নপূর্ণা-৪ এর এবং বেইস ক্যাম্পে তোলা ছবির হাই রেজোলিউশন সংস্করণ পেয়ে থাকেন, একটু ব্যাখ্যা করবেন কি, কেন এভারেস্টের ছবিটি তিনি পেলেন না? আপনি কি বলতে চাইছেন, মুসা সেই ছবি নিজের পরিজনকেও পাঠাননি?
ঢাবির অনুষ্টানেও একই কথা খাটে। অন্নপূর্ণা-৪ এর এত হাই রেজোলিউশন ছবি তো যদু-মধু-কদুর কাছে পাওয়া যাওয়ার কথা নয়। এই ছবি এসেছে মুসার ব্যক্তিগত সংগ্রহ থেকেই, তাই না? তিনি নিজে সরবরাহ না করলে আয়োজকেরা পাবে কোত্থেকে?
আর ব্যক্তিগত আক্রমণের কথা আপনার মুখে শুনে হেসে ফেললাম। একটু কষ্ট করে সামুতে গিয়ে দেখুন তো, আপনি আমার পোস্টের জবাবে কীভাবে ব্যক্তি আক্রমণ করে একটা তামাশা পোস্ট ফেঁদে বসেছিলেন! সজল খালেদ আর আমাকে এক তাঁবুতে ঢুকিয়ে দিয়ে দোস্তো বানিয়ে দিলেন, যাতে করে আমার বিশ্লেষণধর্মী পোস্টটিকে "সজল খালেদের দোস্তো কর্তৃক প্রোপাগাণ্ডা"র চেহারা দেয়া যায়। সাধু সাজার আগে একটু সাধু হই আসুন।
খুবই খুশি হবো যদি স্কাইপে একটা সাক্ষাৎকার দেন। বস্তুনিষ্ঠ প্রশ্নই করতে চাই, আপনি কার দোস্তো বা কোন পত্রিকায় চাকরি করে জাতীয় ভাঁড়ামো করেন, এ ধরনের অপ্রাসঙ্গিক বিষয় আসবে না। মুসার বন্ধু হিসেবে এইটুকু উপকার আপনি তার জন্যে করতেই পারেন।
উনার সাক্ষাৎকারের অপেক্ষায় রইলাম। তার ও আগে এ প্রশ্নের উত্তরের ও।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
"যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার ১০১ কারণ ছিল। প্রথম কারণটা হচ্ছে বারুদ ভেজা ছিল। বাকি একশটা কারণ শোনার কোনও প্রয়োজন নাই।"
উপরে বর্ণিত আপনার প্রতিটি যুক্তি বর্ণে বর্ণে সত্য। কিন্তু ভাইয়া, এই দীর্ঘ উত্তরের পরিবর্তে এভারেস্টের চূড়ায় মুসা ইব্রাহীমের একটি স্পষ্ট ছবিই কি আপলোড করা যেতো না ??...
বিশ্বাস করুন, আমরা বিশ্বাস করতেই চাই মুসা ইব্রাহিম নেভারেস্ট নয়- এভারেস্টেই উঠেছেন। কিন্তু যাবতীয় সন্দেহের প্রশ্নের আড়ালে থেকে যখন হাস্যকৌতুক নিয়ে এভারেস্টের চুড়োয় কাউকে তুলে দেয়া নিশ্চিত করা হয়, তখন সেটা সন্দেহ জমিয়ে কঠিন বরফ করে কেবল- এক ঢোঁকে গিলে ফেলা যায় এমন কোল্ডড্রিঙ্কস- করে না ..
_________________________________________
সেরিওজা
ব্যক্তি আক্রমন! ভুতের মুখে রাম নাম!
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
সানডে ভাই, আমার রেসিডেন্ট এভিল দেখাও শেষ। এইটা দুই নম্বরটা দেখলাম। প্রথমটায় নাইকাটারে উহুলালা মনে হইলেও এইখানে একটু ম্যান্দামারা মনে হইছে। যাইহোক, আসেন আপনের বক্তব্যে আসি।
এইটা তো রোযার মধ্যে বকরি ঈদের ছাগল কুরবানী দেয়ার মতো ব্যাপার হয়ে যাবে। এইটা নিয়ে কথা বলা দরকার না? আপনে কী কন?
আর আপনি এতো রঙ-বেরঙের কথা জানেন, এতো কিছু বলেন, মোজেসকে বলেন না কেনো তার একটা উজ্জ্বল ঝলমল একটা ফটুক আপনের মাধ্যমেই ছড়িয়ে দিতে। তাইলে তো পাবলিকও খুশ, আপনেও খুশ। হযরত মোজেস এব্রাহিমোভিচ আল এভারেস্টিও খুশ।
হে হে পাঁচ লাখ টাকা কম না সানডে ভাই, না কী কন! আর তার ফাইভ পারসেন্টও তো ম্যালা!
তো এইবার আপনে কন, আপনে কোনটা করেন, ফান নাকি ভাঁড়ামো
মোজেসের স্ত্রী জজিয়তি করেন। তিনি নিশ্চয়ই জানেন এইটার মানে কী! তিনি একজন বিচারক। ন্যায় প্রতিষ্ঠা করেন তিনি সমাজে। কিন্তু তাঁর নাকের ডগায় থেকেই তাঁর হাজবেন্ড মোজেস যখন এভারেস্টে ওঠার অন্যায় দাবী করে যাচ্ছেন, তখন তিনি জনাব আনিসাইলের মন্ত্রমতো "সোয়ামি যাহা বলিবে তাহাই বেদবাক্য বলিয়া মানিয়া লইতে বাধ্য থাকিবো" না হয়ে নিজের জীবিকার প্রতি সম্মান রেখেই তো এর প্রতিবাদ করতে পারেন বা পারতেন!
আপনার জানামতে তিনি কি সেটা করেছেন? তিনি কি তাঁর স্বামীকে প্রমাণহীন ক্লেইম করতে নিরুৎসাহিত করেছেন? নাকি তিনিও একজন এভারেস্ট জয়ীর স্ত্রী হিসেবে গর্বে মাথা উঁচু করে চলেছেন সবার সামনে দিয়ে! তো, এক্ষেত্রে তাঁর জজিয়তি কোথায় গেলো, আমাকে বলবেন তো সানডে ভাই!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
- -
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
এইডা খাসা (গুড়) হইছে ধুগো। দেখি ভাইজান কি উত্তর দেয়।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
মন্তব্য অতিশয় (গুড়) হইছে।
অনন্ত
এখন সমৃদ্ধ স্বীকার করতেছেন, একদিন তো আপনিই একটা তাঁবু চুরির গল্প ফেঁদেছিলেন ?
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
রবির এই মন্তব্য লাইকাইলাম; কারণ, এটা খুবই অর্থবহ মন্তব্য। আমি শুধু একটা অংশ উদ্ধৃত করি:
এ থেকে বুঝা যায়, কোনো সূত্র থেকে খবর এসেছে; কিন্তু আমাদের সাম্বাদিকেরা তা যাচাই-বাছাই না করেই মুসার এভারেস্টে চড়ার খবর ছাপিয়ে দিয়েছেন। অথচ এখন মুসাকে নাকি বাচ্চাদের পাঠ্য বইয়েও চড়িয়ে দেয়া হবে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
পর্ব তিন এর জন্য অপেক্ষা করছি।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
রবি যেহেতু এই পোস্টে আবার উদ্ভাসিত হবে, তাই একটু অফটপিকঃ
ঈদের পরেই মূসার আলোকচিত্র প্রদর্শনী হবে আশা করা যাচ্ছে।
ঈদের পরেই টা কয়দিন পরে?
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
প্যাচাল বন। রবি ভাইসাহেব, জলদি মুসার নেমে আসার কাহিনীসহ স্পষ্ট ছবি আপ করেন কোথাও। দুর্মুখ হিমুর মুখ বন্ধ করা দরকার। আগে ইজ্জত বাঁচাতে হবে। সেইটা খোয়া গেলে পরে আর ছবিগুলো বিক্রিও করা যাবে না। তাওয়া গরম থাকতে রুটি ভেজে ফেলা দরকার। খোলামনে এই উপদেশটা দিয়ে গেলাম।
যাউগ্গা, একটা অফটপিক। মুসা কি আপনারে ছবিগুলো দেখাইছে?
________________________________________________
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
যাউগ্গা, আমিও অফটপিকে আপনারে একটা ধাঁধা দেই। কন দেখি, সানডে ভাই আপনার এই প্রশ্নের সত্য উত্তরও দিতে পারবে না, মিথ্যা উত্তরও দিতে পারবে না। কিন্তু কেন?
- মনমাঝি
হেহে একটাই পারে না দেখাইতে আবার ছবি'গুলা', কি যে কন্না হাসিব্বাই!
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
রবি ভাই, এই যে এত কথা চলতেছে, তারপরও ছবি দেখান না কেন? ছবি না থাকলে মুসাকে বলেন যে স্বীকার করুক যে সে এভারেস্টে গেছিল, কিন্তু ছবি নাই। তাহলেই তো চুকে যায়।
"মুসার পাশে সারিন প্রকাশ প্রধান" এই ছবিটা কি এভারেস্টে উঠার সময় তোলা নাকি এভারেস্ট থেকে নামার সময় তোলা? যদি এভারেস্ট থেকে নামার সময় তোলা হয় তাইলে ধরে নেওয়া যায় যে এভারেস্টের আগায় ব্যাটারি ফুরাইয়া যাওয়ার কাহিনীটা মিছা।
সত্যান্বেষী
মুসার সাথে কথা বলতে চাইলে, আড্ডা দিতে চাইলে, সাক্ষাৎকার নিতে চাইলে ৫ লক্ষ টাকা লাগে আর পাবলিক কেমনে আশা করে বিনা পয়সায় এভারেষ্ট এর ছবি দেখাইবো? এই গুলা ন্যাশনাল ট্রেজার, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে তালা দেওয়া আছে। পুলিৎজার আর ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো অব দ্য ইয়ার এর ক্যান্ডিডেট। পুরস্কার গুলা পাইয়া নেউক তারপর দেখাইবো নে; তবে টিকেট কাইটা দেখতে হবে।
খুবই আনন্দ পেলাম এই পোস্টটা দেখে। আমি ভাবতাম ব্লগে ব্লগেই আপনাদের বিচরন। কিন্তু এখন বুঝতে পারছি সচলের বাইরেও আপনাদের পদচারনা নেই। এর বাইরেও একটা জীবন আছে যে জীবন দোয়েলের ফড়িংয়ের।
সামহোয়ান ইন বাঙলাদেশে তো অনেক আগেই বিডিআইডল আর দুরন্ত স্বপ্নচারীর পোস্টে মুসার এভারেস্টের বেশ কিছু ছবি আছে এখন খুজতে গিয়ে দেখলাম। আসলে চোখ বন্ধ করে ঘুমালে কাউকে জাগানো সম্ভব নয়। ছবি সব আপনাদের পাতে নিয়ে গিয়ে দিয়ে আসতে হবে, একটুও খুজে দেখবেন না। ছবি পাতে না আসলেই এইটা নিয়ে বিশাল পোস্ট দিয়ে দেবেন। আজব সব আবদার আপনাদের।
মুসা আইডিবি ভবনে এভারেস্ট থেকে আসার পর যে সাংবাদিক সম্মেলন করেছিল সেখানে সে শতাধিক ছবি প্রদর্শন করে। প্রতিটি ছবি কোথায় তোলা, কী পরিস্থিতিতে তোলা সেগুলো সে ব্যাখ্যা করে। আমার মতো অনেক সাংবাদিকই সেদিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। অনেকে মোমোরি স্টিক দিয়ে মূসার কাছ থেকে সেসব ছবি নিয়েও গেছেন। আমার কাছেও আছে সেসব ছবি। চাইলে সেসব নিতেও পারেন। আপনি চোখ বন্ধ করে আছেন বলে অযথাই দেখতে পাচ্ছি না, দেখতে পাচ্ছি না বলে চেচামেচি করবেন না।
এখানে ও এখানে পাবেন বেশ কিছু ছবি।
আমি যতটুকু জানি মুসা তার ছবি নিয়ে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে আলিয়সে একটি প্রদর্শনী করবে। আর অচিরেই আসছে সকল ছবি, লেখা নিয়ে মূসা ইব্রাহীমের ওয়েবসাইট।
আপনি যে ছবির লিন্ক দিয়েছেন সেখানে তো এমন কোনো ছবি নেই সাম্বাদিক আপা। এটা ভেবে অবাক লাগতেছে, আপনি একজন সাম্বাদিক হয়ে পাহাড়ে তুষার দেখে কিভাবে বুঝে ফেললেন এটা এভারেস্ট ? এটা তো আর গ্রীণরোড বা কাওরান বাজারের কোনো রাস্তা না, যে আমরা দেখলেই চিনে ফেলবো।
আপনার জন্য উপরে একটা ছবি দিয়েছি, মুসা যদি এমন কোনো ছবি কোথাও দেখাতেন তাহলে এমন বিতর্কের সৃষ্টি হতো না, কিন্তু তিনি তা পারেননি ! আনিসুল হক আশা করছি আপনার থেকে বড় সাম্বাদিক, মুসার এভারেস্টে সামিটের পর যখন প্রশ্ন উঠে মুসা এভারেস্টে গেছেন কিনা তখন তিনি লিখেছিলেন, এভারেস্ট চূঁড়ায় স্থাপিত বৌদ্ধমূর্তির সহিত ছবি উঠালে বিশ্বাসযোগ্য হয় যে এভারেস্ট সামিট করা হয়েছে। তিনি আরো লিখেছিলেন, বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে কয়েকটা ছবি, এভারেস্টের চূঁড়া থেকে পাশ্ববর্তী চূঁড়ার ছবি পেছনে রেখে বৌদ্ধমূর্তির পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে হয়।
আপনার কাছে প্রশ্ন, আপনি কি এমন কোনো ছবি আজ পর্যন্ত দেখেছেন ? যদি দেখে তাহলে ছবিটি জনসমক্ষে উপস্থাপন করে জাতিকে উদ্ধার করেন।
অফটপিক : হলিউডের কিছু গ্রাফিক্স ডিজাইনার খুব ভালো ছবি এডিট করেন। তারা চাইলে আপনি চাঁদে গেছেন এই ছবিও বানিয়ে দিতে পারবে !
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
দ্বিতীয় লিংকে কিছু মজার জিনিস দেখলাম।
হয়তো বুদ্ধ মূর্তির সাথে মুসার ছবি আছে, সেটা উনি আসছে ছবি প্রদর্শণীতে দেখাবেন। কিন্তু আপনার দেয়া লিংকে গিয়ে নতুন কোন ছবি দেখলাম না। এগুলো আগেই দেখা এবং অনেকেই এগুলোর অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে। শুধু একটি ছবি (আমি সহ) অনেকের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারে যেটার ব্যাকগ্রাউন্ডে একটি পাহাড়ের চূড়া দেখা যাচ্ছে, প্রথম ছবিটি।
আমার এখনো আশা যে মুসা নিজে কিছু বলবে। কেন বুদ্ধ মূর্তির সাথে ছবি নাই বা কেন তিনি এভারেস্টের মাথায় উঠে চারপাশের কোন ছবি তোলেন নি। ধরে নিলাম চূড়ার উপরে ভীড়ের কারণে মূর্তির কাছে উনি যেতে পারেননি, কিন্তু চূড়ায় উঠে তো চার পাশের ভৌগলিক দৃশ্যের ছবি উনি তুলতে পারতেন। সেগুলো কি তুলেছেন না তোলেন নি? ধরুন মুসার দাবী সত্য ধরে নিয়েই সংশয়বাদীদের সন্দেহ দূর করার জন্যই আমার এই প্রশ্ন। আপনি মুসার ক্যামেরায় তোলা সেরকম একটা ছবি দেখাতে পারলেই আমি খুশী হবো।
এই অংশ পড়ে হাসতে হাসতে চেয়ার ভেঙ্গে ফেলার অবস্থা।
এভারেস্টের চূড়ায় যদি এতোই ভীড় থাকে, তাইলে এভারেস্ট চড়া এতো ক্রেডিটের ব্যাপার হয় কেমনে? এমনই ক্রেডিটের ব্যাপার যে পাঠ্য বইয়ে তা নিয়ে লেখা হবে আর লুঙির মডেল হয়ে ইনকামের কথা বাদ দিলাম, ৫ মিনিটের জ্ঞানগর্ভ বক্তিমায় ৫ লাখ টাকা ইনকাম!
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ভীড় যদি না-ই থাকবে তো...
ভাবতেছি ঐখানে একটা ঝালমুড়ির দোকান খুলে বসলে ক্যামন হয়?
জনগণ ঝালমুড়ি খেতে খেতে অপেক্ষা করবে "ত্যারা নাম্বার ভি আয়েগা" পর্যন্ত। আচ্ছা, ঐখানে তো টোকেনের একটা মেশিনও বসানো যায়। যে আগে টিকিট নিবে সে আগে ছবি তুলতে পারবে। প্রতি টিকেন পাঁচ টাকা, একদাম।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ঝালমুড়ির পাশাপাশি ব্যাটারির ব্যবসাও ভালো চলবে। আর একটা ডিজিটাল ক্যামেরাও রাখতে পারো, যদি কেউ ভুল করে ক্যামেরা বাসায় ফেলে আসে...ব্যবসা ভালোই চলবে মাশাল্লাহ...দোকানের নাম দিও "দ্য নিউ এভারেস্ট ঝালমুড়ি এন্ড ক্যামেরা হাউজ"। গুরুজনের দোয়া রইল।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার কাছ থেকে ছবিগুলো সংগ্রহ করতে হলে কী করতে হবে?
কাকস্য পরিবেদনা
১. মুসা যদি আপনার মতে শত শত ছবি দিয়েই থাকে তাহলে ডেইলী স্টার কেন মুসাকে নিয়ে স্টোরি করার সময় সামিটের মাত্র একটা ছবি যেটা বোঝাও যায় না, সেটা শুধু কাভারে দিয়ে বাকি সব এভারেস্টের বেস ক্যাম্পের রাস্তা-ঘাটের ছবি ছাপায়?
২. সাংবাদিকরা যদি মুসার সেইসব ছবি নিয়েই থাকে তাহলে মুসাকে নিয়ে প্রতিটা লেখায় কেন এতদিন পরও ছবি মুসা ইব্রাহিম কর্তৃক সরবরাহকৃত লেখা হয়? এমনকি ডেইলী স্টারও ছবি দেখতে পায় না?
৩. আপনি শত শত ছবি নিয়ে এত মাস ধরে বসে আছেন!! আর কোন স্টোরি করেন নাই মুসাকে নিয়ে!!! সেই সাংবাদিক সম্মেলন কাভার করে এসে নিশ্চয়ই কিছু লিখেছিলেন, সাথে নিশ্চয়ই ছবিও ছাপিয়েছিলেন, আমাদের সেটার লিঙ্ক দেন, সামুর লিঙ্ক দিয়ে কী হবে।
৪. যে প্রথম আলো, পহেলা বৈশাখের পরদিন এক পাতা ভরে উদযাপনের ছবি ছাপায় সেই প্রথম আলো মুসাকে নিয়ে এক পাতা ছবি ছাপাতে পারলো না? শত শত ছবি পাওয়ার পরো?
আপনি ছবি হাতে নিয়ে হাত-পা গুটিয়ে বসে আছেন কেন সেটাও ঠিক বুঝতে পারলাম না।
নুসদিন।
আপনার কথাবার্তার সাথে সিমু নাসেরের কথাবার্তার প্রচুর মিল। আপনারা কি আত্মীয় নাকি?
রিফাত ফারজানা আপা, মুসার ছবি সামু ব্লগের চিপা থেকে আমাকে খুঁজে বের করতে হবে কেন? আইডিবিতে মুসার কাছ থেকে মেমোরি স্টিকেই বা সংগ্রহ করতে হবে কেন? কয়টা লোক সামুতে যায় আর কয়টা লোক আইডিবিতে যায়? সেই ছবিগুলো পত্রিকায় কেন প্রকাশিত হবে না? এত এত লোক ছবি পেলো, বলদা সাংবাদিকগুলিই খালি পেলো না বলতে চাইছেন?
আপনার কাছে মেমোরি স্টিকে করে তোলা ছবিগুলো কালবিলম্ব না করে royesoye অ্যাট জিমেইল ডট কম বরাবর পাঠান। তারপর বাকি কথা বলি।
হিমু ভাই, সচল এর একটা বেপার খুব খারাপ লাগে, সেটা হলো, যখন আপনাদের (there are some, those who are expert at it, but blind when they have done it) কোনো অপছদের কম্নেট থাকে, তখন খুব 'ব্যক্তিগত আক্রমন' এই জাতিয় কথা শোনা যায়, 'ছাগু' বা এই জাতিও title এর কোনো অভাব হয়না- তবে আপ্নারা করলে বোধহয় ওই অভদ্রতাটা legal হয়ে যায়-
যাইহোক, মুসা এভারেস্ট উঠে নাই, শুনতে শুনতে কান পচে যায়, আজ পর্যন্ত আসলেই কিছু প্রমান কি আপনি দেখাতে পারছেন আপনার কথার justification হিসেবে ? কিছু didactic argument ছাড়া আরতো তেমন কিছহু দেক্লাম না...
আর মুসাকে যাদের prove দেয়ার কথা সে তাদের সেইটা দিয়ে তার সনদ জোগাড় করেছে, that does not mean যে আপ্নাকেও সে তার সবগূলো প্রমান দেয়া লাগবে তার কথা prove জন্য-
আর নেভারেস্ট-৩ তে সব কিসুর । আছে, অনেক দিন ধরে সুন্তেসি, হয়ত এটা বলতে বলতে আরো কিছু 'ব্যক্তি আক্রমন' এর পোস্ট দেবেন (like one Dewan Kamrul), এবং সব শেষে যখন দেখবেন আর কিছু হাতে নাই, তখন হয়ত কোনো technical কারনে নেভারেস্ট-৩ এক্টা নেভার published পোস্ট হিসেবে declare করবেন- আমার এই কমেন্ট post করবেন কিনা যানি না...যাইহোক চিরাচরিত বাংগালি কাদা ছোড়া ছোড়ি দেখতে দেখতে ক্লান্ত।
সাকিব সাহেব, আপনি যেরকম তেড়ে এসে অভিযোগ করলেন, তাতে খুশি হলাম। এবার নাকটা একশো আশি ডিগ্রি ঘুরিয়ে মুসার দিকে তাকিয়ে দয়া করে জানাবেন, মুসা যে এভারেস্টে উঠেছে, এমন কোনো প্রমাণ মুসা আজ পর্যন্ত জনসমক্ষে আনতে পেরেছে কি না। এই যে ফস করে বলে দিলেন,
আপনি কি জানেন সনদ কীভাবে যোগাড় করা হয়? কোনো ধারণা আছে? নাকি মুসা বলেছে সে প্রমাণ দাখিল করেছে, আর আপনি অমনি বিশ্বাস করে নিলেন? আপনার সমস্ত আর্গুমেন্টই তো বিশ্বাসের ওপর ভর করে দাঁড় করানো। যে যুক্তিগুলো আমি দিয়েছি, সেগুলো একটু খণ্ডন করে এসে তারপর কথা বলবেন তো।
মুসা আমাকে প্রমাণ দিতেও বাধ্য, কারণ সে গোটা জাতির কাছে এসে একটা দাবি করেছে। সে যদি কেবল তার ইয়ার দোস্তোদের কাছে এই দাবি করতো, আমি আমার মূল্যবান সময় নষ্ট করতাম না এই ব্যাপারটা নিয়ে ইনভেস্টিগেট করতে। আর মুসা এমন কোনো হরিদাস পাল নয় যে তার কীর্তি সম্পর্কে প্রশ্ন উঠলে সে উত্তর দেবে না। উত্তর না দিলে ধরে নিতে হবে উত্তর তার কাছে নেই। কথা বোঝা গেলো?
দেওয়ান কামরুলকে নিয়ে লেখা পোস্টটা কোন দিক থেকে ব্যক্তি আক্রমণ?. ওখানে কোনো অসত্যভাষণ, কিংবা কোনো ফাঁক থেকে থাকলে ধরিয়ে দিন। ব্যক্তির নাম এলেই কি সেটা আক্রমণ পোস্ট হয়ে যায় নাকি?
একটা পোস্ট গুছিয়ে লিখতে যথেষ্ট সময় লাগে। এটা তো আর মুসার মোটিভেশন বাণিজ্যের স্পিচ না যে বসলাম আর লিখে ফেললাম। আপনার যদি নেভারেস্ট সিরিজের তৃতীয় পর্ব পড়ার জন্যে অপেক্ষা সহ্য না হয়, আপনি সসম্মানে অন্য কোনো কাজে মন দিতে পারেন, আমার আপত্তি নাই। যার ধৈর্য আছে সে এসে পড়ে যাবে। আমি লিখবো যখন আমি লেখার সময় আর সুযোগ পাবো। একই ফালতু কথা আপনার মতোই আরেক আদম এসে রটানোর চেষ্টা করছিলো যে নেভারেস্ট ২ আর লেখা হবে না। কাজেই, বুঝতেই পারছেন, এই রাস্তায় হেঁটে ফল পাবেন না।
আপনি তো কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি দেখে ক্লান্ত। এক কাজ করুন। মুসার ছবি আঁকা চে গেভারেস্ট গেঞ্জি পরে ঘুম দিন। ঘুম থেকে উঠে আপনার এভারেস্টজয়ীকে জিজ্ঞাসা করবেন, সামিট থেকে নেমে আসার বর্ণনা সে লেখেনি কেন? কী সমস্যা লুকিয়ে আছে ঐ কাহিনীতে? তারপর এসে কমেন্টে জানিয়েন, মুসা ভাইয়া কী জবাব দিলেন।
সাকিব,
মুসা যে এভারেস্টে উঠছে এটার প্রমাণ হিমুকে দেওয়ার কোনো প্রশ্নই উঠে না। কিন্তু মুসা যখন একজন বাংলাদেশীর পরিচয়ে এভারেস্ট সামিট করেছেন এবং দেশের মিডিয়া বেশ কিছুদিন তারে নিয়া নাচানাচি করছে, সেই হিসেবে তার উচিৎ ছিলো এভারেস্ট চূঁড়ার বৌদ্ধমূর্তির সঙ্গে তোলা ছবিটা মিডিয়ায় প্রকাশ করা।
মুসা এভারেস্টে সামিট করেছেন এই খবর শুনে একজন বাংলাদেশী হিসেবে গর্ব করে মুসাকে নিয়ে আমি আমার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলাম- কনগ্রাচুলেশন মুসা ইব্রাহিম, আমরা আপনার গর্বিত। সেই আমিই এখন বিশ্বাস করি না মুসা এভারেস্টে গেছেন ! এই বিশ্বাস না করার পেছনে অনেক কারণ আছে, সবচেয়ে বড় কারণ, তিনি এভারেস্টে সামিট করেছেন অথচ এভারেস্টের বৌদ্ধমূর্তির সঙ্গে তার কোনো ছবি নেই, আমি কিভাবে বিশ্বাস করবো মুসা এভারেস্টে গেছে ?
আমার এক অর্থনীতিবিদ বন্ধু লন্ডন থেকে দেশে ফিরেছে, কথা প্রসঙ্গে সে বললো, কেউ যদি বাংলাদেশে ব্যাংকে একটু নাড়াচাড়া করে তাহলে মুসা মানি লন্ডারিং আইনে বড় একটা মামলা খাইতে পারে ! তার যুক্তি, মুসা বলেছেন এভারেস্ট সামিট করার জন্য তার পঞ্চাশ লাখের মতো টাকা লাগছে, কিন্তু এই বিশাল পরিমাণ টাকা তিনি দেশের বাইরে কিভাবে নিয়ে গেলেন ? যদি হুন্ডির মাধ্যমে টাকাটা বিদেশে নেন, তাহলে তো এভারেস্ট জয়ের আগেই তিনি দেশের সঙ্গে প্রতারণা করে ফেলেছেন, আমার বন্ধুর কথা কি করে ফেলে দেই বলেন ?
হিমু'র এই সিরিজ নিয়ে আপনি লিখেছেন, কিন্তু যে আমি একদিন মুসাকে স্যালুট করেছিলাম, সেই আমিই আজ বিশ্বাস করি না মুসা এভারেস্ট সামিট করেছেন, কেন জানেন, হিমুর এই নেভারেস্ট সিরিজটা পড়ে !
মুসা আমাদেরকে প্রমাণ দেখাতে পারেননি বলেই হিমুকে আজ কষ্ট করে একটি কাজ করতে হচ্ছে, যদি কখনো হিমু প্রমাণ করে ফেলতে পারে মুসা এভারেস্টে ( তার লেখা এবং যুক্তিতে ইতিমধ্যে এটা প্রমানিত সত্য ) উঠেননি, তাহলে এটা সামিট করার থেকে কম কিছু না, একজন প্রতারককে তখন আমরা ধরতে পারবো, জাতি হিসেবে আমাদেরকে লজ্জিত করার জন্য আমরা মুসাকে আজীবন ঘৃণা করতে পারবো।
মুসা যদি এভারেস্টে উঠেই থাকেন, তাহলে তার এভারেস্ট সামিটের দিন থেকে এত বিতর্ক এত লেখালেখি হচ্ছে, তারপরও তিনি কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি, দেওয়ার চেষ্টাও করেননি। সাহস থাকলে তো তিনি এখানে এসে আমাদের সাথে যু্ক্তি তর্কে বিষয়টা খোলাসা করতে পারতেন, অথবা কেন ছবি উঠাননি সেটা বলতে পারতেন, যেহেতু রবি
( আসিফ এন্তাজ রবি ) এখানে কমেন্ট করেছেন, সেহেতু এখানে যে এত লেখালেখি হচ্ছে এটা মুসার অজানা থাকার কথা না, তাহলে তিনি নীরব কেন ?
নাকি নীরবে নীরবে চুপিসারে প্রথমবারের মতো ( আমি বিশ্বাস করি মুসা এখনো এভারেস্টে উঠেননি) এভারেস্টে চলে যাবেন, তারপর ছবি তুলবেন, তারপর এসে বলবেন, এই দেখেন আমি এভারেস্টে গেছিলাম, আমি এভারেস্টে সামিট করছিলাম !
হিমু যা লিখছে, সব বানোয়াট, সজল খালেদ যা বলছে সব ভূয়া, ইনাম আল হকের সন্দেহ অমুলক, আমাকে নিয়ে ব্লগে ব্লগে আপনাদের টানাটানি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত !
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
দারুন বোলেচেন।।।।
এইটা আমি লাইকাইলাম।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
সনদ একটি ভ্রান্ত ধারমা মাত্র। আমার কব্জাতেও এভারেস্ট বিজয়ের অরিজিনাল সনদ আছে, যেটায় নাম আছে ইভা রহমান, গোলাপি, সিমু শেরপা, এন্তাজ লেপচার নাম, দলনেতা হিসাবে আছে আনিসাইলের নাম।
একটা কথা স্পষ্ট বলে যাই, হিমু কোন কারনে নেভারেস্ট সিরিজ বন্ধ করলেও (আপনার ধারণানুযায়ী) মুসার দাবীর অসংগতি নিয়ে লেখা আসা বন্ধ হবেনা।
...........................
Every Picture Tells a Story
একটি, কেবল মাত্র একটি স্পষ্ট, প্রমাণ হিসেবে অকাট্য ছবি চাই। আপনার দেয়া লিঙ্ক অনুসরণ করে দেখা যায়, দু জায়গাতেই একই ছবিগুলো দেয়া, যেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়।
_________________________________________
সেরিওজা
হ, যেই জীবনে মাথা খাটানির কোন প্রয়োজন নাই। সরি ভাই, আপাতত মানুষের জীবন নিয়ে বেশ আছি।
তো ছবিগুলান আপ করেন জলদি। আমি আপনার দলে। হিমুরে আজকে দেখেই ছাড়বো আমরা।
________________________________________________
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
আপনাকে একটা অফার দেই আমি। আপনি এভারেস্ট সামিটের ছবি চান আপনার? ছয়মাস লাগবে না। কেবল ছয়দিনেই আমি আপনাকে কয়েকশত ছবির (তাও বিভিন্ন এ্যাঙ্গেলে) মালিক বানিয়ে দেবো। বুদ্ধমুর্তি কেনো, চাইলে আপনার পাশের বাড়ির টেমার মার কাঁধ জড়িয়েও, দাঁত কেলিয়ে, ভি- দেখিয়ে সামিট করতে পারবেন। কোনো ব্যাপারই না। কেবল আপনার একটা উজ্ঝ্বল ঝলমলে ফটুক আমার কাছে পাঠায়ে দিয়েন।
কিছু মনে কইরেন না, একটা কথা বলি। অন্যান্য সব সাংবাদিক ভাইদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি। আগে জানতাম সাংবাদিকতায় যেতে হলে বিবেকের দিক থেকে, বুদ্ধিমত্তার দিক থেকে চৌকস হতে হয়। কিন্তু আজকালকার সাংবাদিকদের দেখে মনে হচ্ছে বান্দরের হাতে খন্তার ভার চলে যাচ্ছে আস্তে আস্তে। সামনে যে কী হয়, একমাত্র খোদা-ই জানেন!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আর অচিরেই আসছে সকল ছবি, লেখা নিয়ে মূসা ইব্রাহীমের ওয়েবসাইট।
"অচিরে" বলতে কতটা টাইমস্প্যান বোঝানো হচ্ছে?
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
আমি শুধু একটা জিনিস বুঝি না, কেউ একজন কইলো সে এভারেস্ট জয় করে ফেলছে আর প্রমাণ/অপ্রমাণ করার দায়িত্ব পড়লো পাবলিকের ওপর! আমাদের প্রাইমিনিস্টার আর আপোষহীন আবালও কে অভিনন্দন জানাতে পিছিয়ে পড়ে এই ভয়ে পুরা ইতিহাস বানায়া ফেলছে। উইকি পর্যন্ত এই রেফারেন্স, অথচ তার কোনো প্রমাণই নাই।
প্রমাণ ছাড়া মিডিয়ার চাপাবাজিতেই তারা পারলে এভারেস্ট ক্যান, মঙ্গল গ্রহেও পৌঁছে যাবে।
প্রথমালুতে টিকতে হলে মনে হয় ইতরামিতে ফার্স্টক্লাস থাকতে হয়।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আমি তো মঙ্গলগ্রহে প্রায়ই যাই ....
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
মুসার বদনাম হুয়ে
হিমু ভাই তেরে লিয়ে,
মুসা ঝান্ডু বাম হুয়ে,
হিমু ভাই তেরে লিয়ে...।
হিমু ভাই গানটা হিন্দী দাবাং ছবির একটা পার্টি সং এর এদিক ওদিক।
যেমনে কাপড় খুলতেছে...পরে তো আর... :D
Mr. Rabi, If the pilot of the Yangwan Group's Aeroplane did not get the image of Everest summit because Musa wasn't able to make the Everest summit photo available due to time constraint then what constraint kept him away from making the summit photo available to YOU for the later honoring congregations?? Surely all of you got enough time for a simple photo exchange, don't you?? Then why did you say that "আমি নিজেও এই কান্ড করেছি। মুসাকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআরে ৩টি বিশাল ডিজিটাল ব্যানার ছাপানো হয়েছিল। সেখানে মুসার বেশ কয়েকটি ফাইল ফটো ব্যবহার করা হয়েছে।" I hope Himu Bhai will clear out the discrepancy with a more profound base along with the dates of the ceremonies and the time gap.
Mr. Rabi, I am no one to you. But you know what? when I was at my school I used to participate in a lot of quizzes and everywhere everytime I used to ask my buddies or seniors that is it seriously true that no one has summitted the Everest yet?? And the answer always made me feel bad. The news of Musa Ibrahim made me too happy. And I want to have my happiness free of all the stains.
Mr. Rabi, Post A Clear Photo of Everest Summit With Unquestionable Proof.
এটা মনে হয় চুঁড়ার ওপরে মুসার ছবি:
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
এইটা চূড়ার ছবি না। দেখেন না মোজেস এর মুখে মাস্ক নাই। এইটা হইলো সামিটের আগের "হিলারি স্টেপ" এ তোলা ফটুক। এইখানে হিলারি ক্লিনটন তাঁর গ্রীষ্মকালীন অবকাশ যাপন করেন (পেছনের বাঙলোর ছাদ দ্রষ্টব্য)। তাই তাঁর নামানুসারে এই জায়গার নাম।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
তিব্বত দিয়ে গেলে কি হিলারী স্টেপ পাওয়া যায়? আমার জানা ছিলো নেপাল দিয়ে উঠলে এই স্টেপটা পড়ে।
আপনার রসিকতায়
...এইবার বলি একটা কথা, মুসা নাকি খুব মজা পাইতাছেন তার against এইসব comments পড়ে, atleast তার একজন বাসার সদ্যসের সাথে কথা বইলা তাই sure হয়া গেসে. (i personally talked with that person)
...সব ছবি নিয়া বা প্রমান নিয়া তিনি নাকি খুব তাড়াতাড়ি সবার সামনে আস্তেছেন-এমনকি মানহানির মামলা করার চিন্তাও উনার মাথাতে ভালো মতই আছে- উনি এইটা আশা করেন নাই, যে বাংলার মানুষ এত critical হয়ে গেছে-
রাজিব, আপনি কি তৌহিদ হোসেন রাজিব? তৌহিদ হোসেন রাজিব হলে আপনার একটা সাক্ষাৎকার নিতে চাই।
বাংলার মানুষকে ভোদাই ভেবে যা খুশি তাই দাবি করে বসা ঠিক না।
রাজিব ভাই, হযরত মোজেস এব্রাহিমোভিচ আল এভারেস্টি'র মানহানির মামলার কথা শুনে ডরের চোটে হাইগা মুইতা ভাসায়া দিতাছি! এখন আমাদেরকে কে দিবে আশা, কে দিবে ভরসা! আমাগের তো সানডে-মানডে সব কোলোজ হৈয়া গেলো!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমারে কয়েকখান এভারেস্টের ফটু বানিয়ে দেন্না
মুস্তাফিজ ভাই বলেছেন আমারে একখান সাট্টিফিকেট দেবেন
আপনার প্রোফাইল পিকটা দিয়েই কাম চালাইতে পারবেন। বলবেন যে অমাবস্যার রাতে সামিট করসেন।
আমি দুর্ভাগ্যক্রমে পানি খাচ্ছিলাম আপনার এই কমেন্ট টা পড়ার সময়... হাসতে হাসতে বিষম খেলাম....
হিমু, দুর্দান্ত রকমের রসময় মন্তব্য করার যে কী অসাধারণ ক্ষমতা আপনার... আপনার একেকটা হিউমারাস মন্তব্য পড়ি আর চমৎকৃত হই; আর বলা বাহুল্য অনেক হাসতে পেরে মনটাই ভাল হয়ে যায়।
হিমু ভাই, আপডেট কী? আশীফ এন্তাজ রবি কি সাক্ষাৎকার দিতে রাজী হয়েছেন? মুসা সাহেব না হয় পাহাড়ে উঠে পাহাড়সম হয়ে গেছেন, কিন্তু রবি সাহেবের ঘটনাটা কী? উনার কথা বলতে আপত্তি কোথায়? কেনো এই লুকোচুরি লুকোচুরি ...
নাহ, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রবি ভাইয়া আমাকে স্কাইপে যোগ করে বাধিত করেননি। এইচবিও চ্যানেলটা বাংলাদেশে বন্ধ না হলে মনে হয় উনাকে সাক্ষাৎকারে রাজি করানো যাবে না। রোজই তো নানা সিনামা দ্যাখায়।
আসুন নারা তুলি ...
এক দফা এক দাবি
মুসার দোস্তো আশীফ রবি
সাক্ষাৎকার চাই, দিতি হবি
এভারেস্ট নেভারেস্ট বিতর্কে আশীফ এন্তাজ রবির কমেন্টগুলো বড়ই উপাদেয় ( হতে বাধ্য, গুড় মেশানো তো!) হচ্ছে। রবি আমার পূর্বপরিচিত, একসময় আমরা আলপিন ( নর্থ আলপাইন না কিন্তু, খিয়াল কইরা) এ কাজ করেছি, পরবর্তীতে আমি প্রথম আলোর আলো হইতে নিজ উদ্যোগে বঞ্চিত হইলেও রবি ভাই দীর্ঘদিন সেখানে আলোকপ্রাপ্ত হয়েছেন, যদিও বর্তমানে তিনি যুগান্তরে আছেন, প্রথম আলোতে উনার আলোপ্রাপ্তি দীর্ঘ হয় নি। একই কাহিনী হয়েছে মুসা ইব্রাহিমের বেলাতেও, উনি কিন্তু অন্যান্য পত্রিকায় কাজ করলেও প্রথম আলোয় উনার গুরুজনরা উনাকে চাকুরি দেননি। যাক, সেসব কথা আসলে প্রাসঙ্গিক না এখানে।
এই পোস্টের কয়েকটা কমেন্টের লিংক ধরে আমিরবির সামুতে দেয়া পোস্টটি পড়লাম। রসিকতার মান নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না, রসিকতাটা আপেক্ষিক একটা ব্যাপার।
তবে রসিকতার ফাঁকে উনি আসল যে কথাটি বলেছেন, সেটিতে কিন্তু কোনো মিথ্যা নাই। তিনি লিখেছেন:
কিন্তু রবি, একটা কথা কিন্তু রে ভাই স্বীকার করেই নিতে হবে যে, আপনার গল্প অনুযায়ী হিমু দূরবর্তী আকাশ দেখছেন এবং যে বর্ণনা দিচ্ছেন। সজল হয়তো তাবু দেখতে পারেন, কিন্তু এতে করে হিমুর আকাশ দেখা এবং বর্ণনা করাটা মিথ্যা হয়ে যায় না। যুক্তির স্টেপগুলো আরেকটু ভালো হলে পড়তেও আরাম, পড়াতেও আরাম
--
আমি বুঝতে পারছি না বিষয়টার একটা সহজ সমাধানের দিকে গেলে কী সমস্যা? নেভারেস্ট সিরিজে যে কথাগুলো এসেছে, তার আজকের একটা উত্তর আপনি কমেন্টে দিয়েছেন, এভাবে নেভারেস্টের বাদবাকি বিষয়গুলো নিয়েও একটা সিরিজ আপনি এখানেই লিখতে পারেন, এখানে লিখতে না চাইলে আপনি যেকোনো জায়গায় লিখে ( এমনকি প্রথম আলো ব্লগেও লিখতে পারেন ) এখানে লিংক দিয়ে যেতে পারেন। আমরা আগ্রহীরা সেটা পড়ে নিতে পারব।
রসিকতা আমরা নিশ্চয়ই পরে করতে পারব, মুসা ইব্রাহিমও না হয় সাক্ষাতকার দিতে পারেন নাই ( যদিও না দিতে পারার কোনো কারন আমি বুঝতে পারছি না, পারলে বুঝাইয়া দিয়েন একটু )কিন্তু আপনি কষ্ট করে সামুতে লিখেত পারেন, এবং সচলায়তনেও কমেন্ট করতে পারেন, আপনি কেন একটু কষ্ট করে সাক্ষাতকার দিতে রাজি হয়ে যান না ?
মুসার কিছু ছবি দেক্লাম যেগুলা চূড়ায় তোলা (in samu), এবং আমার কাছে মূর্তির সাথে ছবি তোলার বেপারটা believable মনে হয়েছে-
এটা খুব একটা সাভাবিক ঘটনা buddish monk দের জন্য, পাহাড়ের গায়ে মন্ত্র লেখা কাপড় টানানো- আপনারা যদি কখনো ভূটান যান তাহলে এই জিনিষ দেকতে পাবেন। তাই পাহাড়ের মাথায় মূর্তির থাক্লেও সেটা অই ধরনের কাপড়ের জন্য দেখতে না পারাটা অনেকটা natural।
আর যদি আপনারা দেখাতে পারেন ওই দিন summit করা বাকিদের মূর্তির সাথে ছবি আছে, এবং সেখানে মূর্তি দেখা যাচ্ছে তাহলে অবশ্য অন্য কথা।
সাকিব, আপনি ঠিকই বলছেন। পাহাড়ের অনেক জায়গায় এই প্রেয়ার ফ্ল্যাগ টাঙানো থাকে। শেরপারাও সাথে করে নিয়ে যায় পূজার জন্যে। পাঁচরঙা এই প্রেয়ার ফ্ল্যাগ ছাড়া তিব্বতে কোনো পূজা হয় না।
কিন্তু মুসার ছবিতে আপনি ঐ প্রেয়ার ফ্ল্যাগ ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাননি। আপনাকে বলা হয়েছে এভারেস্টের চূড়ায় এরকম প্রেয়ার ফ্ল্যাগ আছে, আপনি বিশ্বাস করে নিয়েছেন, প্রেয়ার ফ্ল্যাগ = এভারেস্ট।
আপনি আমাকে গোটা পঞ্চাশেক প্রেয়ার ফ্ল্যাগ পাঠালে আমি এই শীতে কাসেলের হাবিখটসভাল্ডের পাহাড়ের চূড়ায় একটা মোটা জ্যাকেট আর একটা মাস্ক নিয়ে উঠে ঠিক মুসার ছবিটার মতোই একটা ছবি তুলে আপনাকে পাঠাতে পারবো। আপনি আমার এভারেস্ট জয়কে তখন কীভাবে খণ্ডাবেন, সেই চিন্তায় আছি।
আপনার শেষ বাক্যের জবাব নেভারেস্টের তৃতীয় পর্বে পাবেন।
আমার সুস্পষ্টভাবে মনে পড়ছে , প্রথম আলোর "স্বপ্ন নিয়ে " পাতায় মুসা লিখেছেন , "কাপড়ে ঢাকা থাকায় বুদ্ধ মূর্তির সাথে ছবি তোলা হয়নি " (একজাক্ট ভাষাটা অন্যরকম হতে পারে , কিন্তু কথাটা এটাই ছিল) । এরপর দেখি ছবি নিয়ে তিনি নিজেই লুকোচুরি খেলছেন । ঘটনা তাহলে কি দাঁড়াচ্ছে ? আনিসাইল চাপাবাজটা মুসার সাথে কনসাল্ট না করেই চাপা পিটিয়ে বেড়ান নাকি ?
আপনারা তর্ক করুন ঠিক আছে, কিন্তু মানুষের নাম বিকৃত করে কেন? রবি এন্তাজ সামুতে হিমুকে ব্যক্তি আক্রমণ করেছে তাই এখন এখানে তাকে পাল্টা আক্রমণ ঠিক সেটা মানতে পারছি না। হিমু যথার্থভাবেই যথাস্থানে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকথার জবাব দিয়েছে। রবির ক্ষেত্রেও দিতে পারে।
রেস্ট্রিক্টেড:
r
একটা অফটপিক মন্তব্য করছি - সম্ভবত প্রথম আলোর ই (বা মুসাবান্ধব মিডিয়া/তার কোন বন্ধুদের লেখায়) কোন একটা লেখায় পড়েছিলাম যে চূড়ায় উঠে ক্যামেরার ব্যাটারী শেষ হয়ে যাওয়ায় কোন ছবি তোলা যায়নি। তখন লিংক টা সংরক্ষণ করে রাখিনি।
আমার মত অন্য কেউ কি পড়েছিলেন ব্যাপারটি? পড়লে কেউ কি লিংক বা কোন সূত্র দেবেন?
আমি নিশ্চিত যে এমন কিছু একটা পড়েছি, এখন পড়ছি যে ছবি দেয়া হয়েছে/বা আসছে। ছবি নিয়ে দুইবারের দুইরকম কথাই কিন্তু সন্দেহের জন্য যথেষ্ট।
গুড়-মুড়ি-চিড়া-চা খাওয়া শেষ। শেষ পর্ব চাই জলদি।
জলদি পাবেন না। ব্যস্ত আছি একটু, সময় লাগবে।
এই পোস্টে রসচ্ছলে করা অনেকগুলো মন্তব্য আমি অপ্রাসঙ্গিক বিবেচনা করে মুছে দিচ্ছি। সংশ্লিষ্টদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। নেভারেস্ট ও প্রায়নেভারেস্ট পোস্টগুলোতে প্রাসঙ্গিক আলোচনা ধরে রাখার জন্যে আপনাদের কাছে সানুনয় অনুরোধ জানাচ্ছি।
মুসা নাকি তার ছবি নিয়ে দৃক আর অলিয়সে প্রদর্শনী করবেন। অপেক্ষায় থাকলাম
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
মুসা ইব্রাহীমের যে শতাধিক ছবি রিফাত ফারজানা আপা মেমোরি স্টিকে করে নিয়ে এসেছেন বলে দাবি করছেন, সেগুলো তিনি আমাকে এখনও মেইল করেননি। আমি সাগ্রহে অপেক্ষা করছি। তাঁর আসল নাম রিফাত ফারজানা না হলেও কোনো সমস্যা নেই, ছবিগুলো মেইলে পেলেই আমার চলবে।
এই যে ব্লগে এতো-শত কথা হচ্ছে। কিন্তু মুসা চুপ! মন্তব্য করতেও কী তিনি টাকা দাবী করেন? মুখ ফুটে বলে দিলেই হয়- তেমন হলে সচলপ্রিয় জনগণ চাঁদা তুলে সে ব্যবস্হা নিবে। নাকি সেই নভেম্বর পর্যন্তই অপেক্ষা করতে হবে সবাইকে?
না জানি মুসা নভেম্বরে কী বোমাটাই ফাটান! হিরোশিমা নাগাসাকির হাল হয় কিনা সচলের সেই চিন্তায় আছি।
মুসা এভারেস্ট জয় করেছে কিনা এ নিয়ে আমার বেশ ভালো সন্দেহ আছে।উনি মিথ্যা কথা আগেও বলেছেন, মিথ্যা সামিটের দাবী করেছেন, তাঁর কথার মূল্য নেই আর আমার কাছে। নেভারেস্ট সিরিজ যুক্তির বাইরে যাচ্ছে না বলেই আমি মনে করছি, তাই অবিশ্বাস আরো পোক্ত হচ্ছে।
এবার অন্য কথায় আসি। ধরে নিলাম, মূসা প্রমাণ ও করলেন তিনি এভারেস্ট বিজয়ী, একেবারে HD ফুটেজ, GPS লগ দিয়ে সব সন্দেহ উড়িয়ে দিলেন তবুও আমি আনন্দে লাফিয়ে উঠবো না।
কারন এই ঘটনা নিয়ে আনিসুল হক/আলু এন্ড কোং যে ধরনের নির্লজ্জ প্রচারণা চালিয়েছে , তাতে বাংলাদেশ নয়, তাদের আমিত্ব ই ফুটে উঠেছে বার বার। আর মূসার কাজকর্মে আমার মনে হয়েছে বাংলাদেশ ধ্বজা নয়, উনি গেছেন কিছু মার্কেটিং ফার্মের প্রতিনিধি হিসেবে, এভারেস্ট বিজয় দিয়ে নিজের আখের গুছিয়ে নেবার জন্য।
বাংলাদেশের প্রথম এভারেস্ট বিজেতা আরেকটু নির্লোভ, নিরহংকার এবং সত্যবাদী কেউ হলে ব্যাক্তিগতভাবে আমার ভালো লাগবে।
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
(গুড়
সজল
শোনা যায় মুসা ইব্রাহিম নাকি ভাত খেয়ে এভেরেস্ট জয় করেছিলেন, পেপারে পড়েছিলাম। low elevation এর diet আর high elevation এর diet তো একরকম হতে পারে না। যদি তিনি ভাত খেয়ে এভেরেস্ট জয় করে থাকেন, তাহলে সেটাও আমাদের জন্য অনেক বড় অর্জন।
মুসা ইব্রাহিমের বক্তব্য প্রকাশিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
মনে হচ্ছে মুসা ইব্রাহিম সচলে একটি সাক্ষাতকারই দেবেন।
আগ্রহী পাঠকরা এ বিষয়ে নজর রাখতে পারেন।
এই পোস্টে কেউ নাকি কমেন্ট করে না। তাই, লেখককে একটা তাড়া দিলাম। "গোয়েন্দা ঝাকানাকা ও টারজানাপার গোল্ডফিশ মেমোরি স্টিক রহস্য" আসবে কবে ??
_________________________________________
সেরিওজা
মন্তব্য সংক্রান্ত ওনার মন্তব্য পড়ে ব্লগে লেখালেখি সম্পর্কে ওনার ধারণা কতটা তা বোঝা যায়।
সম্ভবত রিফাত আপুর কাছের ছবিগুলো কপিরাইট করা। আর একারণেই... যতক্ষণ মুসা ভাই ছবি না দিচ্ছেন......ওই অমূল্য ছবিগুলো কেউ ফাঁস করে দিতে পারছে না।
তাহলে ধরে নিতে হবে, সামু ব্লগে যে কয়েকটা ঝাপসা ছবি এভারেস্টের ছবি হিসেবে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে, সেটা মুসা ইব্রাহীমের অনুমোদনেই ঘটেছে। তিনি সামুতে আপলোড করার অনুমোদন দিলে পত্রিকাতে কেন ছাপান না, কিংবা ফ্লিকারে কেন তোলেন না, কিংবা নিজের ফেসবুকেই বা কেন তোলেন না? ওনার বিজয়ের খবর তো আর সামুব্লগে লেখা হয় নাই, প্রথম আলো মারফতই জাতিকে জানানো হয়েছে। ছবির বেলায় শুধু সামুর হাইকোর্ট দেখানো কেন রে বাবা?
মুসা ইব্রাহীম, তার বন্ধু আশীফ এন্তাজ রবি বা সিমু নাসের আমাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন, কিন্তু আনিসুল হক তো ঠিকই একটু আগে একটি বলিষ্ঠ ও দৃঢ়চেতা সাক্ষাৎকার দিলেন আমাকে।
ও ভাই রিফাত ফারজানা, কাউকে কি শেষমেশ ছবি পাঠাতে পাল্লেন? মেমোরি স্টিক জাম হয়ে যায় নাই তো?
আনিসুল হক সাহেব কে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ। হিমু তো রাক্ষস নয়, অন্যরাও নির্ভয়ে মনের কথা বলে ফেলুন। ইশ আমার ইন্টারভিউ কেউ নিতে চায়না
এটা দারুণ একটা সংবাদ। আনিসুল হককে অভিনন্দন। অপেক্ষায় থাকব মুসা ইব্রাহিমের সাক্ষাৎকার।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অসাধারণ। এই তো শুরু। সাক্ষাৎকারটা খুব শিঘ্রই শুনতে চাই।
চমৎকার খবর!
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
হিমু ভাই, আনিসুল হক এর সাক্ষাতকারটি শুনতে চাই। সম্ভব?
- নির্জন অরণ্য
হিমু ভাই, আপনার ঠিকনায় পাঠিয়েছে মনে হয় তাই 'রয়ে সয়ে' আসছে...
-নির্জন অরণ্য
সাক্ষাৎকারটা শুনতে চাই।
ছবি দিতে এত অনীহা কেন সেটাই বুঝতে পারছি না।
_________________________________________
ৎ
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
এইমাত্র সামুতে এই লেখাটা পড়লাম। এ ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কি?
http://www.somewhereinblog.net/blog/Fusion5/29247245
আমি সিমু নাসের ও পল্লব মোহাইমেনকে সাধুবাদ দিতে চাই, যে ফিউশন ফাইভ নিকটিতে তারা আবার সক্রিয় হয়েছেন। পাশাপাশি এ-ও জানিয়ে রাখতে চাই, আনিসুল হক আমাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বলে তারা প্রথম আলো অফিসে বসে যে হকের ওপর রাগারাগি করেছেন, সে সংবাদও কানে এসেছে।
সিমু-পল্লবের আলতুফালতু বিশেষণপ্রয়োগ নিয়ে কোনো মন্তব্য নেই। তবে প্রশ্নের উত্তর দিতে চেষ্টা করার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।
সমস্যা হচ্ছে, অন্নপূর্ণা-৪ এর শীর্ষটা মুসা ইব্রাহীম নিজেও দেখেননি। এটির শীর্ষ ঠিক কতটা খাড়া আর সংকীর্ণ জানলে তিনি এরকম একটা প্রায় সমতল জায়গায় দাঁড়িয়ে সামিট ক্লেইম করে ছবি তোলার সাহস করতেন না। হোয়াইট আউটের দোহাই না দিয়ে, পৃথিবীর বাকি সামিটিয়ারদের মতো সামিটে দাঁড়িয়ে পেছনের দিকচক্রবালসহ ছবি দেখাতে পারলে ভালো হতো। মুসার অন্নপূর্ণা-৪ এর ছবিতে এক একজনের গগলসে ক্যামেরাম্যানের প্রতিবিম্ব দেখা যাচ্ছে, আর ওনারা শোনাতে এসেছেন হোয়াইট আউটের গল্প।
তৌহিদ হোসেনের সাথে সেদিন আলাপ হলো। সে সাক্ষাৎকার নিয়েও একটা প্রায়নেভারেস্ট পোস্ট আসবে। আরও জেনে খুশি হবেন, অন্নপূর্ণা-৪ এর মতো বিপজ্জনক শীর্ষ পর পর দু'বার চড়তে গিয়ে ব্যর্থ হওয়া দু'জন এভারেস্টারের সাথেও আলাপ হয়েছে, তাঁদের সাক্ষাৎকারও শোনাতে চাই আপনাদের। বেইস ক্যাম্প থেকে পাঁচদিনের মাথায় কেন অন্নপূর্ণা-৪ জয় করে নেমে আসা সম্ভব নয়, সেটা তাঁদের মুখ থেকে শুনবেন।
লিয়াজোঁ অফিসারের কথাটা উঠেছে বলে খুব ভালো লাগলো। অন্নপূর্ণা-৪ এর বেইস ক্যাম্পে যখন যান মুসা ইব্রাহীম, সারিন প্রকাশ প্রধান ও তৌহিদ হোসেন, তাঁদের সাথে কোনো লিয়াজোঁ অফিসার ছিলো না। বিস্তারিত শুনতে চান নিশ্চয়ই? আসছে, আসছে।
অন্য লোকের পর্বতজয়ের ছবি ঝাপসা, অতএব আমার ঝাপসা ছবিও পর্বতজয়ের প্রমাণ, এই যুক্তিটা ফালতু হয়ে গেলো না? এমন কি হতে পারে না, তাদের পর্বতজয়ের দাবি নিয়েও প্রশ্ন তোলা যায়?
পর্বতচূড়া ফুটবল মাঠের মতো না বলেই তো মুসা ইব্রাহীমের অন্নপূর্ণা-৪ নিয়ে সন্দেহ। অন্নপূর্ণা-৪ একটা খুবই খাড়া পিক। শেষ ৩০০ মিটার অকল্পনীয় রকমের খাড়া, এবং শেষ এক হাজার মিটার ভয়ানক কঠিন সেরাক ও কর্নিসের কারণে। এ দু'টি কী জিনিস, সেটা মুসা ইব্রাহীম বা সিমু-পল্লব জানেন বলে মনে হয় না। গুগল মারার অনুরোধ রইলো। অথবা কিছুদিন ধৈজ্জ ধরেন, এই অধমই সচিত্র লিখবে।
সময়ের হিসাবে যে জিনিসটা সিমু-পল্লব বেমালুম চেপে গেলেন, সেটা হচ্ছে অ্যাক্লিমাটাইজেশন। তৌহিদ হোসেন বেইস ক্যাম্পে যাবার পর উচ্চতাজনিত কারণে মাথাব্যথায় কাবু হয়ে ছিলেন। খোদ মুসাই লিখেছে, এবার এভারেস্টে বারো হাজার ফিটের নায়ালামে গিয়ে তারও মাথাব্যথা শুরু হয়েছিলো। কী করে তিনি ঊনিশ হাজার আর একুশ হাজার ফিট উচ্চতায় উঠে আবার নেমে এসে দিন দুয়েক জিরিয়ে অ্যাক্লিমাটাইজ করেছিলেন, সেগুলো বিস্তর লিখেছেন। অপ্রশিক্ষিত, নবাগত তৌহিদ হোসেন অ্যাক্লিমাটাইজ না করেই ধুপধাপ উঠে যাবেন ১৫ হাজার ফিট থেকে ২৪ হাজার ৬৮১ ফিট, এটা দয়া করে মুসার শিশুপুত্র রাইদকে ঘুম পাড়ানোর সময় শোনাবেন। অন্নপূর্ণা-৪ এ লোকে সাধারণত তিনটা ক্যাম্প করে, এবং প্রায়ই মাঝে ইন্টারমিডিয়েট ক্যাম্প করতে হয়। শেরপারা কী করে ক্যাম্প ১ থেকে এত এত মালপত্র কোনো ল্যাডার ছাড়া রক বাট্রেসের ওপর এতগুলো ক্রিভাস পার করে ২১ হাজার ফিট ওপরে ক্যাম্প-২ তে তুললেন? তাদের কাছে তো ল্যাডার ছিলো না। আর অন্নপূর্ণা-৪ এ লোকে ক্যাম্প-২ করে ঊনিশ হাজার ফিট উচ্চতায়, বাইশ হাজার ফিটের কাছাকাছি করে ক্যাম্প-৩। এর মাঝে ইন্টারমিডিয়েট ক্যাম্পিং করতে হয় কয়েক দফা। অ্যাজমা রোগী মুসা এমন কোনো সুপারম্যান না যে এইসব নিয়মকানুন ওনার জন্য খাটে না।
আর পেমবা শেরপার সঙ্গে দেন মুসা ইব্রাহীম আর তৌহিদ হোসেনের তুলনা? পেমবা তো শেরপা, জন্মাইছে পাহাড়ের হাই অলটিচ্যুডে। প্লিজ হাসায়েন না। তারচে বরং অন্নপূর্ণা-৪ এক্সপিডিশনের ভিডিও সিডিটা ছেড়ে দেখেন, সারিন কীভাবে বেইস ক্যাম্পে মাথাব্যথায় কাবু তৌহিদ হোসেনের শুশ্রুষা করছে।
অন্নপূর্ণা-৪ এ গাড়ি চলে নিশ্চয়ই। সিমু-পল্লব মনে হয় একেবারে সামিট পর্যন্তই গাড়ি নিয়ে যাবেন এবার। তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে, যদি সামিট পর্যন্তও গাড়ি থাকতো, তবুও পাঁচদিনে যেতে পারতেন না তাঁরা। অ্যাক্লিমাটাইজ করার জন্য একটু উঠে আবার নিচে নেমে আসতে হতো। সবকিছুই ম্যানেজ করা যায়, অ্যাক্লিমাটাইজ করার ব্যাপারটা যায় না। ১৯৫০ সাল থেকে ২০১০ সাল, এই ষাট বছরে মানুষের ফিজিওলজির এমন কোনো বিশাল পরিবর্তন হয়নি, যে অ্যাক্লিমাটাইজ না করে একটা সাড়ে সাত হাজার মিটারের পর্বতের পিকে চলে যাওয়া যাবে। এন ডি জয়ালের নাম শোনেন নাই সিমু পল্লব, ইনি ভারতের মাউন্টেনিয়ারিঙের পুরোধা। মেজর জয়াল অ্যাক্লিমাটাইজ না করে কামেটশৃঙ্গে চড়তে গিয়ে মারাই গিয়েছিলেন। তৌহিদ আর মুসা যতদূর জানি আন্ডারওয়্যার প্যান্টের নিচেই পরেন এখনো। যেদিন ওপরে পরা শুরু করবেন, আমরা অ্যাক্লিমাটাইজেশনের প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলা বন্ধ করে দিবো।
একটা কাজ করি আসেন। মুসাকে সোম বাহাদুর তামাঙের বদলে পেমবা শেরপা বা আপা শেরপার সাথে কোথাও পাঠিয়ে দেখি, ওনার দৌড় কতদূর। কারণ এ পর্যন্ত সোম বাহাদুর ছাড়া মুসা কোনো পিকে চড়েন নাই। সোম বাহাদুরের সাক্ষ্য ছাড়া চুলু ওয়েস্টে মুসা সনদ পেলেন কীভাবে? আর সেই সাক্ষ্য দেবার পর সোম বাহাদুর সৎ থাকে কীভাবে? ধরলাম সজল খালেদও মুসার মতোই অসততা করেছেন চুলু ওয়েস্টে, তাতে করে সোম বাহাদুর তো সৎ হয়ে যায় না।
তবে এম এ মুহিতের দেখা না দেখা আসলেই কোনো ব্যাপার না। এটা নিয়ে কিছু লিখেছি বলেও মনে পড়ে না।
পরের পর্ব লেখার আগে একটু প্রিপারেশন নিয়ে লিখলে ভালো হয়। অ্যাটলিস্ট আমার খাটনিটা কম হয়। কারণ লোকে এসে আমাকে লিঙ্ক দিয়ে আমার মন্তব্য জানতে চাইবে। এতগুলো ভুল ধরিয়ে দিতে গেলে বেহুদা খাটনি বাড়ে।
সিমু-পল্লব ভায়েরা আমার, রিফাত ফারজানার নিকটা ব্যবহার কইরেন না আর, প্লিজ। নিজ নামে এসে কমেন্ট দিয়ে যেয়েন। আপনার স্বনামেই স্বাগত জানবেন।
পুরো লেখাটাইতো দেখি "খোঁজ নিয়ে জেনেছি" আর "অনুসন্ধান করে পেয়েছি" দিয়ে ভরা। কিন্তু কোন সূত্র দেওয়া নেই। ফিফার পোষাকে পল্লব মোহাইমেন কোথাকার কোন পীর যে সূত্র ছাড়া তার কথা বিশ্বাস করতে হবে?
মুসার মোটিভেশন বাণিজ্যের দিকটা উনি দেখভাল করে থাকেন শুনলাম। আজ একটি বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এ ব্যাপারে সাক্ষাৎকার দিলেন। অডিওসহ এ ব্যাপারে পোস্ট আসবে শিগগীরই।
আর ফিউশন ফাইভ ওরফে সিমু-পল্লবের হাঁটুসরকার আমলের পোস্টগুলোও মনে হয় একটু পড়ে দেখা দরকার।
ভাইজানেরা তখন ফরমাইয়াছিলেন,
[সূত্র]
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা সম্পর্কে জনমনে আতঙ্ক ও বিভ্রান্তি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে তারা লিখেছিলেন,
[সূত্র]
এবার তারা পোঁ ধরেছেন, মুসা এভারেস্ট জয় করেছে। কিন্তু কেন? কারণ জানতে হলে এই আধখানা পোস্ট পঠিতব্য।
অপেক্ষায় আছি...
প্রতিনিয়ত চিনছি নিজেকে
অলস সময়
Maskwaith Ahsan এর নরম কথা
http://www.youtube.com/watch?feature=player_embedded&v=isiAIiOy73I
আবার পড়লাম! এতদিন পরেও মুসার এভারেস্ট এর ছবি আমার চোখে পরেনি! কারও পরেছে? কোন লিঙ্ক?
আসলেইতো কোন লিঙ্ক আর আসে নাই! ঘটনা কি?
নতুন মন্তব্য করুন