ফুটোস্কোপিক হচ্ছে ফুটোস্কোপ দিয়ে দেখা গল্প। সামান্যই দেখা যায়।
: রাক্ষসটা তখন ঘুমাচ্ছিলো নাক ডাকিয়ে।
: তারপর?
: রাজপুত্র তখন তলোয়ারটা দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরে রাক্ষসের বাড়ির পাঁচিল টপকে ভেতরে ঢুকলো।
: তারপর?
: অমনি ঘাউঘাউ করে তেড়ে এলো একটা গোদা নেকড়ে।
: তারপর?
: রাজপুত্র ঘ্যাঁচ করে তলোয়ারটা গেঁথে দিলো নেকড়ের পেটে।
: তারপর?
: নেকড়েটা মরে গেলো।
: তারপর?
: রাজপুত্র তলোয়ারটা বগলে করে রাক্ষসের বাড়ির পায়খানার পাইপ বেয়ে ওঠা শুরু করলো।
: তারপর?
: তারপর রাক্ষসের বেডরুমের জানালা খুলে ঘরে ঢুকলো।
: তারপর?
: তারপর তলোয়ারটা ঘ্যাঁচ করে ঢুকিয়ে দিলো নাক ডাকিয়ে ঘুমানো রাক্ষসটার পেটে।
: তারপর?
: রাক্ষস নাক ডাকা থামিয়ে পেটটা চুলকাতে লাগলো?
: মারা গেলো না?
: না!
: কেন?
: রাজপুত্রও তো তখন তা-ই ভাবছে, কেন মারা গেলো না!
: তারপর?
: রাক্ষসটা ঘুম ভেঙে জেগে উঠে হাই তুলে বললো, রাতবিরাতে এসে তলোয়ারবাজি কচ্ছিস, তোর বাবাকে বলে দেবো কিন্তু!
: তারপর?
: রাজপুত্র কাঁদো কাঁদো হয়ে বললো, তুই মরিস না কেন?
: তারপর?
: রাক্ষস বললো, আমার প্রাণ কী আর আমার শরীরে আছে রে, যে পায়খানার পাইপ বেয়ে উঠে এসে পোঁচ দিয়ে মেরে ফেলবি?
: তারপর?
: রাজপুত্র বললো, কোথায় তোমার প্রাণ?
: তারপর?
: রাক্ষস মিটিমিটি হেসে বললো, আন্দাজ কর দিখি?
: তারপর?
: রাজপুত্র বললো, সাত সমুদ্র তেরো নদীর পারে আছে এক জঙ্গল। সেই জঙ্গল ভর্তি বাঘ। সেই জঙ্গলের ঠিক মাঝে আছে এক জলা। সেই জলা ভর্তি কুমীর। সেই জলার ঠিক মাঝে আছে একটা ছোট্ট দ্বীপ। দ্বীপ ভর্তি মশা। সেই দ্বীপের মাঝে আছে এক কুয়া। সেই কুয়া ভর্তি ব্যাং। সেই কুয়ার মাঝে আছে একটা কৌটো। সেই কৌটোর চারপাশ পেঁচিয়ে আছে একটা সাপ। সেই কৌটোর ভেতরে আছে তোর প্রাণ।
: তারপর?
: রাক্ষস হাই তুলে বললো, বটে?
: তারপর?
: রাজপুত্র বুক ফুলিয়ে বললো, হ্যাঁ, বটে! দাঁড়া, আমি যাবো সেই জঙ্গলে। তারপর বাঘ মারতে মারতে নামবো সেই জলায়। তারপর কুমীর মারতে মারতে পৌঁছবো সেই দ্বীপে। তারপর মশা মারতে মারতে নামবো সেই কুয়ায়। তারপর ব্যাং মারতে মারতে বের করবো সেই কৌটো। তারপর সাপটাকে পেঁদিয়ে মেরে কৌটো খুলে তোর প্রাণ বার করে ঘ্যাচাং করে দেবো, হতভাগা ইশটুপিট!
: তারপর?
: রাক্ষস শুধু ফুড়ুক ফুড়ুক হাসে।
: তারপর?
: এমন সময় ব্যাঙ্গমা আর ব্যাঙ্গমী উড়ে এসে বসলো রাক্ষসের বারান্দার রেলিঙে।
: তারপর?
: ব্যাঙ্গমা বললো, শুনেছিস ব্যাঙ্গমী, রাজপুত্রটা কী বোকা?
: তারপর?
: ব্যাঙ্গমী বললো, হ্যাঁ, এই আধুনিক যুগেও আনপঢ় গাঁওয়ারদের মতো জঙ্গলের মধ্যে জলা, জলার মধ্য দ্বীপ, দ্বীপের মধ্যে কুয়া, কুয়ার মধ্যে কৌটো আর কৌটোর মধ্যে রাক্ষসের প্রাণে বিশ্বাস করে!
: তারপর?
: রাজপুত্র আর রাক্ষস দু'টোই কান খাড়া করে শুনতে লাগলো।
: তারপর?
: ব্যাঙ্গমা বললো, ও কি জানে, রাক্ষসের প্রাণ রিফাত ফারজানার মেমোরি স্টিকে?
...
মন্তব্য
অবশ্য আপনি মেমোরিস্টিকের রেফারেন্স টেনে রিফাতাপুর কপিরাইট ভঙ্গ করছেন।
খাড়ান, এইবার সবাই এসে আপনাকে বকবেন, যে নেভারেস্ট ফেলে এইসব কচ্ছেন কী!
কাকস্য পরিবেদনা
হাহাহাহাহা! আপনাকে অনেক (গুড়) হিমু........
কিন্তু সেই মেমরি স্টিক কোথায় রাখা?
তারাপ কোয়াস
() আপনি এইসব আইডিয়া পান কোথায়? স্বপ্নে পাওয়া?
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
ওহো, ভুলেই গেছিলাম। মেমোরি স্টিকের ইমো'র দাবী জানায়া গেলাম।
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
রিফাতাপুর সাথে মসকরা করচেন দাদা! কত্ত বড় সাম্বাদিক উনি! হবে নারে দাদা এই স্বর্গসাধন! একেতো রিফাতাপুর কাছে যাওয়া, তারপর সেই মেমরি ইসটিক, তারপর সেখান থেকে ওই হতচ্ছাড়াকে বের করা। নাহ, জাঁতির সামনে দেখছি ঘন কালো দীঘল লম্বা তমুসাচ্ছন্ন অন্ধকারময় অমাবস্যা!
আপুমনির কাছ থেকে কে কে কী কী পাইছেন একটু আওয়াজ দিয়েন গো!
বাবাকে বলে দেবো কিন্তু!
বাঁচতে হলে জানতে হবে
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে, সুখের স্রোতে ভাসাও তরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
জঙ্গলের পাইতে পারেন মেমরি স্টিক। বলা যায় না।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
মনে বড় আশা ছিলো, পাবো টারজানাপার মেমোরী ...
_________________________________________
সেরিওজা
রিফাত ফারজানার মেমোরি স্টিক...
আমার প্রথম (গুড়) এইখানেই দিলাম হিম্ভাই।
পলাশ রঞ্জন সান্যাল
হে হে...মেমোরীষ্টিক এর ইমো দেয়ার টাইম হয়া গেছে মনে হয়।
আচ্ছা ব্যাঙ্গমা ব্যাঙ্গমী কি জানে রিফাত ফারজানার মেমোরি স্টিকটাই সেই রুপকথার আমলের কৌটো আর ব্যাঙ্গমা ব্যাঙ্গমী বলতে বোধহয় জানে না যে সেই মেমোরি স্টিকটার সাত ধাপ পাসোয়ার্ড পেরিয়ে তবেই আজকের রাক্ষসের প্রাণের নাগাল পাওয়া যায়।
এরকম একটা লেখা আমাদের উপহার দেবার জন্য হিমুভাইকে ফাটাফাটি ধন্যাপাতা
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
হা হা হা!
-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
আফনার বিরুদ্দে পারুজানা আফার পক্ক লয়া মানহানীর মামলা করুম।
আফনে লুকটা কুউপ ক্রাপ ... কেউ পেত্যাক্কান করলে এমুন কইরা পিত্তিশুদ নিতে অয়না।
অটঃ আফনার বিবাহ কাওয়ার পত্যাশায় রইলাম ... ... ...
===============================================
ভাষা হোক উন্মুক্ত
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
রিফাত ফারজানা আফায় কই? তারে তো দিলেন বিখ্যাত কইরা। বেচারা কি নামে লিখছিল এইডাই ভুইল্লা গেছে মনে হয়!
মোজেজ আব্রাহমভিচ আর কিছু না হউক আমাগোরে কিছু কমেডি গল্প উপহার দিতাছে!
কাজী মামুন
আমার ব্রাট একখান সন্দেহ আছিলো এই মেমোরি স্টিক ব্লগের বহুল প্রচলিত শব্দাবলির মধ্যে ঢুকে যাবে!
হিম্ভাই সেই কাজটা জাস্ট নিশ্চিত করলেন!!
_________________________________________
ৎ
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
যদিও ধারণা করেছিলাম শেষে কিছু একটা হবে, শেষ করার আগে বুঝতেই পারিনি যে কোথায় গিয়ে ঠেকবে। এখানেই গল্পকারের সার্থকতা।
কিছু কিছু বাক্য পড়তে সাধারণ কিন্তু অসাধারণ হিউমারপূর্ণ (বাংলা কী হবে?), যেমন: তোর বাবাকে বলে দেবো কিন্তু!
(গুড়)
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
গুড়ফুড় পাতাপুতা তো হইলো- একখান মেমোরি স্টিকের ইমো দেবার জোর দাবি জানায়া গেলাম।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
মুসা ইব্রাহীমকে আজকে কাকরাইলে অডিট ভবনের সামনের সিগন্যালে এক বিলবোর্ডে দেখলাম। বিলবোর্ডের বিষয়বস্তু- প্রথম আলোতে স্বপ্ন নিয়ে লিখছেন স্বপ্নবাজ মুসা ইব্রাহীম, প্রতি বুধবারে (বুধবারটা আগে বা পরে বসানো ছিল, ঠিক মনে নাই)। ছবি তোলার আগেই সিগন্যাল ছেড়ে দিল তাই মেমরি স্টিকে ছবিটা পাঠাতে পারলাম না।
()
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
হাস্যময় বৎসগণ, তোমরা কি অবগত আছো যে এই হাস্যরসের আড়ালেই বইছে স্মৃতিযষ্ঠি-আহত প্রত্যাখ্যান-বেদনাহত এক যুবকের দু'গণ্ডপ্লাবী অশ্রুধারা?
.........
হিম্ভাই, ফাডায়ালাইসেন!!
হো হো হো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
মেমোরি স্টিক কী ? স্মরণ-ডাণ্ডা ? না কি স্মৃতিদণ্ড !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আমি মেমোরি স্টিকের একটা ইমো দাবি করি। কামেল ও বুজর্গ ব্যক্তি শ্রদ্ধেয় সিমু নাসেরের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ হিসেবে এর কোড দাবি করছি (সিমু) ।
মেমোরী স্টিক নাই। তবে একটা নেমোরী স্টিক দিলামঃ
হা হা হা হা, ফারজানা আপু কি স্টিক টা হারিয়ে ফেলেছেন? আসুন আমরা স্বউদ্যোগে তাকে স্টিক খুজে দেই।
স্বপ্নকথক
মজারু
- মোহনা
নতুন মন্তব্য করুন