দৈনিক প্রথম আলোর উপসম্পাদক কলামিস্ট আনিসুল হক বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। মুসা ইব্রাহীমের এভারেস্ট জয়ের সংবাদ এবং তদপরবর্তী ঘটনাবলি আমরা পত্রিকায় তার বয়ানে জেনেছি। স্বভাবতই মুসা ইব্রাহীমের এভারেস্ট জয় নিয়ে সংশয় সময়ের সাথে চক্রবৃদ্ধিহারে বহুগুণিত হওয়ায় এ বিষয়ে তার বক্তব্য জানার কৌতূহল আমার জেগে উঠেছে। উদ্যোগ নিয়ে আমি তার মোবাইল নাম্বারটি সংগ্রহ করে তাকে ফো ...
দৈনিক প্রথম আলোর উপসম্পাদক কলামিস্ট আনিসুল হক বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। মুসা ইব্রাহীমের এভারেস্ট জয়ের সংবাদ এবং তদপরবর্তী ঘটনাবলি আমরা পত্রিকায় তার বয়ানে জেনেছি। স্বভাবতই মুসা ইব্রাহীমের এভারেস্ট জয় নিয়ে সংশয় সময়ের সাথে চক্রবৃদ্ধিহারে বহুগুণিত হওয়ায় এ বিষয়ে তার বক্তব্য জানার কৌতূহল আমার জেগে উঠেছে। উদ্যোগ নিয়ে আমি তার মোবাইল নাম্বারটি সংগ্রহ করে তাকে ফোন করি গত ১৯ সেপ্টেম্বর। আনিসুল হক ফোন ধরেন, সাক্ষাৎকারের প্রস্তাবে সম্মত হন এবং একটি অসমাপ্ত সাক্ষাৎকার দেন।
এই সাক্ষাৎকারে কৌতূহলোদ্দীপক বেশ কিছু ব্যাপার উঠে এসেছে, সেই সঙ্গে এভারেস্ট-জয়ের-দাবি বিষয়টি সম্পর্কে সাংবাদিকদের একাংশের প্রচ্ছন্ন দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট হয়েছে।
যিনি নর্থ আলপাইন ক্লাবের সভাপতি, তিনিই যাচ্ছেন পত্রিকার হয়ে মুসার স্টোরি কাভার করতে, তাহলে সাংবাদিকসুলভ দূরত্ব আর বজায় রইলো কোথায়? আনিসুল হক স্বীকার করেছেন, মুসার এভারেস্ট জয়ের সংবাদের পর তিনি এত কিছু চিন্তা করেননি, স্টোরি কাভার করতে চলে গেছেন কাঠমাণ্ডু। আমরা এই চর্চাকে কীভাবে নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা বলে ধরে নেবো? এটির সাথে কি প্রথম আলোর উপসম্পাদকের ব্যক্তিগত স্বার্থও জড়িত নয়?
নিচের ভিডিওতে সাংবাদিকদের সাথে মুসাকে নেপাল তিব্বত সীমান্তে দেখা যাবে। সাংবাদিকসুলভ দূরত্বের ব্যাপারটিও ভিডিওতে স্পষ্ট হবে। সেখানে সকল দূরত্ব ঘুচিয়ে মুসাকে কে কার আগে আলিঙ্গন করবেন, সেই প্রতিযোগিতা চলছে। একে সাংবাদিক সমাবেশ না বলে বন্ধুসভা বলাই ভালো, এবং এই বন্ধুসভা থেকে কোনো অনুসন্ধানী প্রতিবেদন আশা করা বাতুলতা মাত্র।
আনিসুল হকের "কেন প্রমাণ করতে হবে আমাকে বলেন?" আর্তনাদের মধ্যেই এটি স্পষ্ট, এভারেস্ট জয়ের দাবি মানুষের সামনে উপস্থাপনে তাঁরা যত তৎপর, প্রমাণ উপস্থাপনে ঠিক ততটাই নিরুৎসুক। সংবাদপত্রে সাংবাদিকরা একটা কিছু লিখে দিয়ে বসে থাকবেন, সাধারণ মানুষ তার সপক্ষে প্রমাণ চাইলে শুনতে হবে ধমক, "কেন প্রমাণ করতে হবে?" তিনি বলেছেন, একটা দুটো ছবি তো নানা জায়গায় প্রকাশিত হয়েছে। এ কথা স্পষ্ট, প্রথম আলো বাদে এই নানা জায়গা বলতে তিনি বোঝাচ্ছেন সামহোয়্যারইনব্লগের কথা, যেখানে মুসার কতিপয় বন্ধু বেনামে সেসব অস্পষ্ট ছবি আপলোড করেছে। মুসা ইব্রাহীমের এভারেস্ট স্টোরি কি সামহোয়্যারইনব্লগে লিখেছিলেন আনিসুল হক? না, লিখেছিলেন প্রথম আলোয়। তাহলে সেই দাবির সপক্ষে প্রমাণ কেন প্রথম আলোয় প্রকাশিত হবে না? কারণ একটিই, সেসব অস্পষ্ট ছবি, যেগুলো আরো নানা প্রশ্নের জন্ম দেয়, প্রকাশ করে মানুষের মনে সন্দেহ জাগিয়ে তুলতে চায় না পত্রিকাটি। যেহেতু প্রশ্ন আর সংশয় এখন পর্যন্ত অনলাইনেই সীমাবদ্ধ, মুসার সাংবাদিক বন্ধুরা সামহোয়্যারইনব্লগে বেনামে সক্রিয়তার সুযোগটি নিয়ে নানা নিকে সেসব ছবি দেখিয়ে সে সংশয় দূর করার কাজে নেমেছেন। সত্যই যদি এভারেস্ট জয় করে থাকেন মুসা, সেই ছবি তো ঘরে ঘরে শোভা পাওয়ার কথা, কেন এত লুকোচুরি?
পর্বতারোহণ নিয়ে ইতিপূর্বে বাংলাদেশের পর্বতারোহীদের নানা দাবি পরীক্ষা করে দেখা হয়েছিলো কি না, এই প্রসঙ্গটি আনিসুল হক পরিষ্কারভাবে এড়িয়ে গেছেন, তবে মুখ ফসকে এ নিয়ে আগে বিতর্ক হওয়ার কথা বলে ফেলেছেন। তিনি দায় চাপিয়েছেন ইতিপূর্বে যারা এসব খবর প্রকাশ করেছে, তাদের ঘাড়ে। কারা ইতিপূর্বে এসব খবর প্রকাশ করেছিলেন? প্রথম আলো, ডেইলি স্টার আর তার সাংবাদিকেরাই কি প্রকাশ করেননি? অথচ আনিসুল হকই ব্লগের সাথে সংবাদপত্রের পার্থক্য নিরূপণ করতে গিয়ে বলেছেন, সংবাদপত্রে প্রকাশিত কোনো আইটেম তিন-চার হাত ঘুরে সম্পাদিত হয়ে তারপর প্রকাশিত হয়, প্রতিষ্ঠান তার পেছনে দায় নেয়, ব্লগে দায় নেয় শুধু পোস্ট লেখক। এই কথা সত্য, এবং আমরা তাঁর কথা অনুসারেই ধরে নিতে পারি, ইতিপূর্বে পর্বতারোহণের যেসব সংবাদ সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে, সেগুলো তিন চার হাত ঘুরে সম্পাদিত হয়েই প্রকাশিত হয়েছে, এবং প্রতিষ্ঠান সেসব সংবাদের দায় নেবে। কিন্তু সেসব প্রকাশিত খবরে অনুসন্ধানের লেশমাত্র নেই, পর্বতারোহীরা যখন যা বলেছেন, সেটিই প্রকাশিত হয়েছে। কোনো অনুসন্ধান, কিংবা প্রমাণ উপস্থাপনেরও প্রয়োজন বোধ করেননি সাংবাদিকেরা। এভাবে তাদেরই প্রচ্ছন্ন সহযোগিতায় তৈরি হয়েছে নানা পর্বতজয়ের মিথ, যেগুলো একটু খতিয়ে দেখলেই হাজারো অসঙ্গতি বেরিয়ে আসে।
"তিন চার হাত ঘুরে সম্পাদিত হওয়া" একটি সংবাদের প্রতি আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এটি কাঠমাণ্ডু থেকে লিখেছেন সাংবাদিক আনিসুল হক [১], মুসা ইব্রাহীমের কাহিনি বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলছেন:
... তারপর যন্ত্র সেরে গেলে আবার আমি অক্সিজেন টেনে নিলাম বুকের ভেতরে। আমি জীবন ফিরে পেলাম। আট হাজার ৬০০ ফুট পাড়ি দিয়েছি। আর মাত্র ২৪৮ ফুট।
পুরকৌশলী বলেই সম্ভবত আনিসুল হক সবকিছু ফুটে মেপে অভ্যস্ত। এই ত্রুটিটি খুব একটা বড় কিছু নয়, মিটারকে তিনি ফুট বলেছেন কেবল, কিন্তু এই সামান্য ত্রুটি কিন্তু শেষ পর্যন্ত সম্পাদনার মুখ দেখেনি, সরাসরি প্রকাশিত হয়েছে পত্রিকায়। এর অর্থ, হয় পত্রিকার তিন-চার হাত ঘুরে আনিসুল হকের লেখা সম্পাদিত হয় না, কিংবা সম্পাদিত হলেও যিনি বা যারা সম্পাদনা করছেন, তারা এভারেস্টের উচ্চতা সম্পর্কে ধারণা রাখেন না। এঁরাই এর আগে নির্বিকারে প্রকাশ করেছেন ফ্রে পিক জয়ের ভুল তথ্য, চুল্লু ওয়েস্টে তাঁবুতে বসে থাকার পরও সামিট জয়ের সংবাদ, লাংসিসা রি জয়ের মিথ্যা দাবি, অন্নপূর্ণা-৪ জয়ের রূপকথা এবং এখন এভারেস্ট জয়ের সংবাদ।
তরুণ কনট্রিবিউটরদের কথা বাদই দিলাম, ডাকসাইটে কলামিস্টদের কথাই ধরুন। তিন-চার হাত ঘুরে সম্পাদনার পরও দেখি প্রথম আলোতে সিনেমা না দেখেই রিভিউ লিখে ফেলেন সুমন রহমান [৯], আয়ারল্যাণ্ডকে স্ক্যাণ্ডিনেভিয়ায় পাঠিয়ে দেন আবুল মকসুদ [১০], মওদুদির বইকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ বানিয়ে দেন হাসান ফেরদৌস [১১]। প্রথম আলোর এই তিন চার হাতের ওপর কতটুকু আস্থা রাখা যায়?
আনিসুল হক বলছেন, মুসার সাথে কথা বলার পর, দেখা হবার পর তিনি নিঃসন্দেহ, যে মুসা এভারেস্ট জয় করেছে। অথচ উইকিপিডিয়ায় রক্ষিত তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে, এই সংবাদ আসার পরপরই আনিসুল হকের চলচ্চিত্র "থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার" এর ওয়েবসাইটের ওয়েবমাস্টার দেওয়ান কামরুল হাসান মুসার জীবনী উইকিপিডিয়ায় সংরক্ষণের জন্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন [৮]। অর্থাৎ, এ তথ্য ভালোমতো যাচাই করার আগেই একটি মহল মুসার এই জয়ের দাবিকে ফ্যাক্ট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার কাজে নেমে পড়েছে।
আনিসুল হক আরো জানাচ্ছেন, তার কখনও এই সন্দেহ হয়নি যে মুসা এভারেস্টে না উঠে এভারেস্ট জয়ের দাবি করছে। তিনি আরও জানাচ্ছেন, মুসার সাথে যারা উঠেছে তারা কেউ বলেনি যে মুসা ওঠেনি। আনিসুল হক বলছেন, একই বাসে করে তারা এসেছে, তাদের সাথে রেস্তোরাঁয় দেখা হয়েছে, এমব্যাসিতে তারা মুসাকে ফুল উপহার দিয়েছে। যুক্তির ধারাটি দেখুন পাঠক, কেউ কিছু বলেনি, অতএব প্রমাণিত হয়ে গেলো মুসা এভারেস্টে উঠেছে। কেউ যদি বলতো মুসা ওঠেনি, তাহলেই কি প্রমাণিত হয়ে যেতো যে মুসা ওঠেনি? নাকি এ নিয়ে অনুসন্ধানের অবকাশ থাকে? এখানে ফাঁকিটা আবারও সেই সঠিক সূত্র উপস্থাপন না করায়। কারা মুসার সাথে একই বাসে ফিরেছে? ওপরে ভিডিওতেই দেখা যাচ্ছে মুসার বাস থেকে নামার দৃশ্য। যারা মুসার সাথে একই বাসে ফিরেছে, তাদের কয়জন খোঁজ রাখে, মুসা এভারেস্ট জয় করেছে কি করেনি? তাদের কারো সাক্ষাৎকার কি তখন নেয়া হয়েছে? এমন কেউ কি সেখানে থাকার কথা, যে বাস থেকে নেমেই সাংবাদিকদের কাছে ঘোষণা দেবে, মুসা এভারেস্ট জয় করেছে, কিংবা মুসা এভারেস্ট জয় করেনি? মুসার সাথে একই বাসে ফেরা আরোহীরা যে সবাই এভারেস্টে গেছে, তারই বা কী প্রমাণ রয়েছে? আর ঘটনাচক্রে রামডুডল হোটেলে যাদের সাথে মুসার সাক্ষাৎ হয়েছে, তারা সেই ব্রেণ্ডান ও'ম্যাহোনি আর স্টিফেন গ্রিন [৬], সেদিন আচমকা দেখা হয়ে না গেলে তারা দূতাবাসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতও হতো না, এবং একটি রহস্যজনক অধ্যায় অন্ধকারেই থেকে যেতো। আর যারা তার প্রাণ বাঁচিয়েছে, তারা পরে আমন্ত্রিত হলে মুসাকে ফুল উপহার দিতেই পারে। আমাদের দেশেও যদি কেউ দাওয়াত দেয়, আমরা মিষ্টি নিয়ে হাজির হই, কিন্তু তার মানে এই নয়, মেজবানের সমস্ত বক্তব্যের প্রতি আমরা সমর্থন প্রকাশ করি। সেই অনুষ্ঠানে যখন কোনো ভিডিও আর ছবি প্রদর্শন না করেই উপস্থিত সাংবাদিক, এমনকি খোদ রাষ্ট্রদূতও মুসাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন এভারেস্ট জয়ের জন্যে, মাঝপথে অজ্ঞান অবস্থায় মুসার প্রাণরক্ষাকারী দুই যুবক কোন দুঃখে কোনো মত দিতে যাবে? তাদের উপস্থিতিকেই মুসার দাবির সপক্ষে প্রমাণ হিসেবে চালিয়ে দেয়ার এ চেষ্টা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
সাক্ষাৎকারটি যারা শুনলেন, তারা বুঝতে পারবেন, আনিসুল হক টাকাপয়সার প্রশ্ন উঠতেই খুব দ্রুত একটি কারণ দেখিয়ে সাক্ষাৎকারটিকে মাঝপথে রেখে প্রস্থান করেছেন।
তিনি পত্রিকায় স্বহস্তে লিখে দাবি করেছেন, মুসার এভারেস্ট অভিযানের জন্যে প্রয়োজন ছিলো প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা [২]। পর্বতারোহী এম এ মুহিত এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, এভারেস্ট অভিযানে তাঁর ব্যয় হয়েছে ছত্রিশ হাজার ডলার, তিনি যদি সামিট জয় করতে পারতেন, তাহলে সামিট বোনাস দিতে হতো আরো দু'হাজার ডলার, সর্বমোট আটত্রিশ হাজার ডলার ব্যয় হতে পারতো [৫]। মুহিতের দেয়া তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায় কমার্শিয়াল অফারগুলোতেও [৭]। মুহিতের বক্তব্য অনুযায়ী তাঁর অভিযানের ব্যয় ২৬ লক্ষ টাকার সমপরিমাণ। এর প্রায় দ্বিগুণ অর্থের কথা আনিসুল হক কেন লিখলেন কাগজে? তিনি নিজেই এই সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছেন, এই খরচ অডিটেড নয়। যে খরচের কোনো হিসাব নেয়া হয়নি, সে খরচ কেন কাগজে লিখে গ্রহণযোগ্য বানিয়ে দেয়া হচ্ছে? মুসা বলছেন, তার ব্যয় হয়েছে ৪৬ লক্ষ টাকা [৩]। আনিসুল হক টাকার পরিমাণের এই পার্থক্য প্রসঙ্গে বলছেন, এমনটি হতেই পারে, এমনও ব্যবস্থা আছে, যেটিতে পর্বতারোহীকে ঘাড়ে করে নিয়ে যাওয়া হয়, সবচে ভালো থাকার ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। অথচ তিনিই লিখেছেন [১],
১৮ এপ্রিল পর্যন্ত এই অন্তর্বর্তী ক্যাম্পে থাকলেন তাঁরা। ওখানে থাকতে হয় তাঁবুতে। সঙ্গের শেরপারা তাঁবু গাড়েন। রান্নাবান্না করার জন্যও লোক আছে ওই দলেই। খাওয়ার মধ্যে ভাত-ডাল-ডিম।
হিমবাহর ওপর দিয়ে যাওয়া। শেষের দিকে পাথর। খাওয়ার অবস্থা খুব খারাপ। বরফ গলিয়ে পানি খাওয়া। চা, চিঁড়া, চকলেট। এর বাইরে কোনো খাওয়া নেই।
মুসা কি তবে শেরপাদের ঘাড়ে চড়ে এভারেস্টে উঠেছিলেন? তিনি কি শেরপাদের ঘাড়ে চড়ে এভারেস্টে যাওয়ার জন্যে প্রায় কুড়ি লক্ষ টাকা বেশি খরচ করেছিলেন?
এই কথা পরিষ্কার যে লোকে ভালো খাওয়ার জন্যে পর্বতারোহণ অভিযানে যায় না। খরচ বাঁচানো যায় যদি হাই অলটিচ্যুডে পর্বতারোহীরা কিচেন শেয়ার করেন। মুসাও কিচেন শেয়ার করেছিলেন আরো এগারোজনের সাথে। একই রুট ধরে গেলেন তিনি আর মুহিত, দু'জনের সাথেই দু'জন করে হাই অলটিচ্যুড শেরপা [সোম বাহাদুর তামাং [১৩] হাই অলটিচ্যুড শেরপা নন, তিনি বেইস ক্যাম্পেই বসে ছিলেন, এই অভিযানে তার ভূমিকা কী, তা একমাত্র মুসা ইব্রাহীমই বলতে পারবেন], একজনের খরচ হলো ৪৬ লক্ষ, আরেকজনের ২৬ লক্ষ। কীভাবে সম্ভব?
মুসার ভাষ্যমতেই তার অভিযানের তিন চতুর্থাংশ টাকা তিনি সংগ্রহ করেছেন বোনের কাছ থেকে। এ তথ্য সত্য হলে, তার অবশ্যই গরজ থাকতো যতটুকু কম খরচে সম্ভব অভিযান পরিচালনার। মুহিত যদি ২৬ লক্ষ টাকা খরচ করে যেতে পারেন, মুসা কেন পারলেন না?
এই প্রশ্নের উত্তরটি সম্ভবত এমন, প্রকৃতপক্ষে ৪৬ লক্ষ টাকা মুসার এভারেস্ট অভিযানে খরচ হয়নি। কিন্তু আনিসুল হকের আর্টিকেল ও মুসার দাবির পর এই পরিমাণ অর্থই এখন সাধারণ মানুষ ও সম্ভাব্য স্পনসরদের চোখে স্ট্যাণ্ডার্ড হিসেবে বিবেচিত হবে। আর এভারেস্টবাণিজ্যের [১২] আভাসও মিলবে এই শুভঙ্করের ফাঁকি থেকেই। ইতিমধ্যেই শোনা যাচ্ছে, মুসা ইব্রাহীম একজন নারীকে এভারেস্ট অভিযানে পাঠানোর তোড়জোড় নিচ্ছেন, চ্যানেল আইয়ের একটি অনুষ্ঠানে মুসা দর্শকদের সামনে এই ঘোষণাও দিয়েছেন। সে উপলক্ষে স্পনসরদের কাছেও নিশ্চয়ই এই পরিমাণ অর্থই চাওয়া হবে। এই পরিমাণ টাকা যে খরচ হয় না, সেটা এম এ মুহিতের অভিযান থেকেই স্পষ্ট। বাকিটা কোথায় যাবে, কীভাবে ভাগ বাঁটোয়ারা হবে, আমরা শুধু অনুমান করতে পারি।
৪৬ লক্ষ টাকা প্রায় ৬৫ হাজার ইউএস ডলারের সমপরিমাণ। সবচেয়ে বড় যে প্রশ্নটি মনে জাগে, এত টাকা মুসা কী করে বাংলাদেশ থেকে নেপালে স্থানান্তর করলেন? দেশ থেকে আইনানুগ পদ্ধতিতে দেশের বাইরে ডলার নেয়া যায় কেবল ছাত্র অ্যাকাউন্টে, রোগীর চিকিৎসার জন্যে, আর এল/সির বিপরীতে। মুসার পর্বতারোহণ অভিযান তিনটির কোনটির জন্যেই খাটে না। বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের মানি লণ্ডারিং মনিটরিং সেলের কর্তাব্যক্তিদের উচিত এই ব্যাপারটি অনুসন্ধান করে দেখা। কারণ এর আগেও বিপুল অঙ্কের অর্থের কথা মুসা নানা অভিযানের জন্যে উল্লেখ করেছেন, এবং ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ থেকে আরো অনেকেই পর্বতারোহণে যাবেন। মুদ্রা স্থানান্তরের প্রক্রিয়াটি আইনী চ্যানেলে হওয়া বাঞ্ছনীয়, এবং অনিয়মের যথেষ্ঠ সুযোগ ও সম্ভাবনা আছে বলেই মনিটিরিং জরুরি।
আনিসুল হক টাকাপয়সার প্রসঙ্গ উঠতেই দ্রুত সাক্ষাৎকার ছেড়ে চলে গেলেন, নইলে আরো কিছু প্রশ্ন তাকে করার ছিলো। কিন্তু প্রশ্নকারীকে আনিসুল হক "আপনি একটি পক্ষ" বলে তিরস্কার করেন। যতদূর বুঝতে পারি, তিনি প্রশ্ন বা প্রমাণ জাতীয় বিষয় ভালোবাসেন না। তার নমুনা মেলে তাঁর লেখা একটি ছদ্মরম্য লেখায় [৪]:
রবি ঢাকায় যে আমাদের এভারেস্ট জয়ের খবর এসএমএস করে পাঠিয়েছিল, তা কেউ বিশ্বাস করল না। কিন্তু একজন করলেন। তাঁর নাম মিতু। তিনি রবির স্ত্রী।রবি আমাদের জানালেন, ‘মিতু বিশ্বাস করছে আমরা এভারেস্ট জয় করছি। মিতু বিশ্বাস করছে।’
আমার চোখে জল। এই রকম স্ত্রীই তো দরকার, যে স্বামী যা বলবে তা-ই প্রশ্নহীন বিশ্বাস করবে। কেন আমাদের ঘরে ঘরে এই রকম স্ত্রী থাকে না?
আশীফ এন্তাজ রবির এসএমএসের মতো সাংবাদিকরা একটি খবর প্রকাশ করবেন, আর পাঠকগোষ্ঠী রবির সরলস্বভাবা স্ত্রী মিতুর মতো বিনা প্রশ্নে সেই খবর গ্রহণ করে নেবে?
দিন শেষে যা বুঝতে পারি, আনিসুল হক ও তাঁর সমমনা সাংবাদিকেরা একটি প্রশ্নবিমুখ পাঠকজগত কামনা করেন, যেখানে মাদ্রাসার তালেবেলেমদের মতো বিনা প্রশ্নে তাদের লেখাগুলো ফুট-মিটার বিবেচনা না করে গলাধকরণ করা হবে।
প্রসঙ্গ বোঝার জন্যে নিচের দু'টি পোস্ট পাঠকের কাজে আসতে পারে।
নেভারেস্ট: পর্ব ১
নেভারেস্ট: পর্ব ২
তথ্যসূত্র:
[১] "মুসা যেভাবে উঠলেন এভারেস্টের চূড়ায়", ২৭-০৫-২০১০
[২] পাহাড়সমান প্রতিজ্ঞা হার মানল এভারেস্ট, ২৪-০৫-২০১০
[৩] মুসার সাক্ষাৎকার, দেশ টিভি, ৩:০৪
[৪] "আমরা এভারেস্টেরও উঁচুতে উঠেছিলাম...", ০৬-০৯-২০১০
[৫] প্রায়নেভারেস্ট পোস্ট: এম এ মুহিতের সাক্ষাৎকার
[৬] Hands of Australian saved Musa's life
[৭] তিব্বত অভিমুখ থেকে এভারেস্ট অভিযানের খরচ নিয়ে একটি কমার্শিয়াল অফারের তথ্য
[৮] প্রায়নেভারেস্ট পোস্ট: উইকিপিডিয়ায় মুসা এবং একজন দেওয়ান কামরুল হাসান
[৯] মাই নেইম ইজ খান - সুমন রহমানের চলচ্চিত্র রিভিউ (!!)
[১০] টনি ব্লেয়ার, ডিম-জুতা এবং প্রথম আলো
[১১] মওদুদির নিষিদ্ধ গ্রন্থ নিয়ে হাসান ফেরদৌসের কষ্টকথন
মন্তব্য
কেন প্রমাণ করতে হবে? আমি বলছি উঠছে, তো উঠছে। কথা শেষ।
কাকস্য পরিবেদনা
নতুন ক্লাসে উঠার জন্য বা কিছুতে ভর্তির হওয়ার জন্য সার্টিফিকেট না দিয়ে এইরকম কেউ যদি বলে দিত, "আমি বলসি তমুকে পাশ করেছে, করেছে। প্রমাণ আবার কেন!" আফসোস।
এই সিস্টেমটা আগে চালু হলে ভালো হতো। জীবনে অনেক পরীক্ষা দিতে হইছে!
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
একই বাস থেকে নামলেই যদি সব প্রমান হইতো .. তাহলে তো স্কুল বাসে উঠলেই ক্লাস ১০ পর্যন্ত উঠা যাইতো .... ইশ্ কি মিস্ করছি ...
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
একটা জিনিস স্পষ্ট, মুসা এভারেস্ট জয় করুক আর না করুক... প্রচারনা হয়েছে সম্পূর্ণ বানিজ্যিক। পুরোটাই প্রথম আলো গ্রুপের বিজ্ঞাপন। আর টাকা পয়সার যে প্রশ্নটি হিমু ভাই তুলেছেন, সেটা নিয়ে ধরলে তো মুসা আরতারেক রহমান এক সারির অপরাধি।
--- থাবা বাবা!
এটা ঠিক ৮৮৪৮ মিটার উচ্চতায় মানুষের ছবি তোলার অবস্হা নাও থাকতে পারে। আর মুসা শেরপার ঘাড়ে চড়ে উঠুক বা নিজেই উঠুন না কেন উনার ব্যাপরটা ক্লিয়ার করতে এত কি সমস্যা আজও বুঝে পেলাম না।:-(
মুসা ইব্রাহিম একটা সাক্ষাতকার দিলেই সব ঝামেলা মিটে যায়।
আনিসুল হকের বক্তব্যের মধ্যে অনেক অসামঞ্জস্যতা আছে। বিশদ লেখার আশাবাদ ব্যক্ত করলাম।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সাক্ষাতকারে আমরা শুনলাম আনিসুল হক সাহেব আমাদেরকে মুসার কাছাকাছি সময়ে সামিট করেছেন এমন লোকদের ছবি দেখতে বলেছেন! আসুন তাহলে আমরা এমন ছবিও দেখি Max O'Meara সামিট করেছেন ২২মে ২০১০ এ। মুসার আগের দিন সামিট করেছেন, পরের দিন সামিট করেছেন এমন ছবিও আমার কাছে আছে। আসুন আমরা এ ছবিটাই মুসার ছবির সাথে মিলিয়ে দেখি।
আমিও মুসা'র কাছাকাছি সময়ে সামিট করেছেন এমন কয়েকজন এর সাথে কথা বলেছি, মুসা বিষয়ে। হিমু সাহেবের কাজের মাঝখানে হাত বাড়াতে চাচ্ছি না। অপেক্ষা করছি।
হিমু , কাজী মামুন ও অপরাপরদের আসলে মুসার সাথে পূর্বজন্মের শত্রুতা ছিল, তাই ওরা লোক ঠিক করে মুসা ওঠার আগে আগে শেরপাদের টাকা দিয়ে বুদ্ধমুর্তিটাকে বিভিন্ন রঙ এর কাপড় ঢেকে দিয়ে এসেছিল যেটা আবার মুসা নেমে আসার পরে সরিয়ে দেয়া হয়। এ সত্যটি উদঘাটন করতে পেরেই মুসার বন্ধুরা বাল্যসুলভ উৎফুল্লুতায় তামাসা করছে, ছোট ব্লগ বড় ব্লগ বলে বিষয়টাকে ব্লগীয় দ্বন্দ্ব বানানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু আমি ব্লগার নই। "উই আর প্লেয়িং এ সিরিয়াস গেইম"- এটা "থ্রেট" না, ব্যক্তিগত ভাবনার অবস্থান।
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
মুসার এক ঘন্টা পর সামিট করেছেন, এমন এক ব্যক্তির প্রায় এমনই ছবি আছে আমার কাছে। তবে এখন দেবো না। মুসা ভাইয়ার ছবির সাথে পাশাপাশি রেখে দেখাবো।
আগের মন্তব্যে একটা অনিচ্ছাকৃত ভুল আছে। আমি ব্লগস্পট ওয়েবসাইট থেকে বিভ্রান্ত হয়েছি। Max এর সাথে আমার ব্যক্তিগত মেসেজ গুলো ঘাটতে গিয়ে দেখলাম, Max মুসা'র দাবীকৃত দিনেই অর্থাৎ ২৩ এ মে সামিট করেছেন। মুসা'র কিছুক্ষন আগেই সম্ভবত। তিনি মুসাকে দেখেছেনও। আমাকে বলছিলেন-
"Hi Kazi,
I did summit on the 23rd of May, the same day Musa alledgedly summitted. I did see him but only on my way down from the summit and he was very tired and struggling to move.... "
আপাতত এই। কেউ একজন আনিসুল হক সাহেব কে ছবিটা দেখাবেন দয়া করে, সেই সাথে Max'র বক্তব্য। তিনি বুঝতে পারবেন হয়তো কেন আমরা মিথ্যা ভাবছি।
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
মামুন তো দেখি ফাডাইয়া লাইছো !!!
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
১। হক সাহেব হিমুকে একটা গোষ্ঠীভুক্ত করার জন্য মরিয়া ছিলেন কেন?
২। পুরো বিষয়টাকে 'আমরা/আমি বলছি আপনারা বিশ্বাস করেন' ধরনের আবেগীয় অবস্থায় নেয়া হয়েছিল কেন?
৩। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হয় ছাত্রের মেধা যাচাইয়ে। এখন একজন ছাত্র যদি গিয়ে বলে "আমি মেধাবী। আমি বলছি আপনার বিশ্বাস করছেন না কেন? আপনার যদি বিশ্বাস না করেন তাহলে আমি মেধাবী এইটা প্রমানের দায়িত্ব কিন্তু আপনাদের।" ছেলেটার চটাকানা খাবার সম্ভাবনা কতটুকু?
৪। ব্লগকে এক ফুঁয়ে উড়িয়ে দিয়ে হক সাহেব কী বলতে চান?
৫। ফোনের বিলের কথা বলে ইন্টারভিউ খতম করলেন কেন?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
বাংলাদেশে অনেক যোগ্য সাংবাদিক থাকতে পারে, কিন্তু আনিসুল হক আমাদেরকে যথেষ্ঠ হতাশ করলেন। একটি জনপ্রিয় দৈনিক পত্রিকার উপসম্পাদক পর্যায়ের এমন ব্যক্তির কাছ থেকে এত যুক্তিবিবর্জিত ও আবেগের রসে সিক্ত কথাবার্তা আশা করিনি। মুসার এভারেস্ট জয়কে আবেগ দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করার তার যে প্রয়াস সাক্ষাৎকারে শুনলাম তাতে মনে হলো, আরেকটু হলেই হক সাহেব কান্না জুড়ে দিতেন, কেন হিমু বিশ্বাস করছে না যে মুসা এভারেস্টের চূড়ায় উঠেছে। যেন হিমুকে বিশ্বাস করানো গেলেই মুসার অভিযানের সাফল্য প্রমাণিত হয়ে যাবে।
আরেকটি ব্যাপার স্পষ্ট হলো, হক সাহেবের মত সাংবাদিকেরা এখন তথ্যের যাচাই বাছাই করাকে কোনো এক পক্ষের চক্রান্ত বলে ধরে নেন। এটা খুবই ক্ষতিকর প্রবণতা এবং সমাজের জন্য মারাত্মক ব্যাপার। খবরের কাগজে ছাপা সবকিছুই ধ্রুব সত্য নয়, কিন্তু তাকে বিশ্বাস না করলেই বিপক্ষীয় চক্রান্ত বলে ট্যাগ করে দেয়া - এটা আসলে একধরণের ব্ল্যাকমেইল।
আনিসুল হক ব্লগকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেছেন। এতে কিছুই আসে যায় না। বালিতে মুখ যে কেউ গুঁজে রাখতে পারে। তাতে ঝড় থেমে থাকে না।
আনিসুল হক সাহেব বলেছেন তিনি ব্লগ পড়েন না, তবে আমাকে গালি দিয়ে লেখা পোস্ট আর নোটের লিঙ্ক আশীফ এন্তাজ রবি ও মাসকাওয়াথ আহসান তাঁর ওয়ালে ঠুকে দিয়ে আসে।
হা হা হা। মজা পাইলাম।
আনিসুল হক ব্লগ পড়েন না! হাসতে হাসতে পড়ে গেলাম!
আনিসুল হক সাহেব আমার ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্টে ছিলেন। রাসেল(........) ভাইয়ের "উপরি ভালোবাসা নির্মানের ব্যবসা" (লিঙ্ক: http://raselpervez.amarblog.com/posts/54974) লেখায় আনিসুল হকের সমালোচনা ছিলো। আমি সরল মনে সেই পোস্টের লিঙ্ক উনার এফবি দেয়ালে দিয়ে এসেছিলাম। এই অপরাধে উনি আমাকে ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে মুছে ফেলেছেন। না পড়ে নিশ্চয়ই এই কাজ করেননি!
আনিসুল হক যে ফোনে মুসার সাথে কথা বললেন সেটা কী উনি রেকর্ড করেন নাই? সামান্য কারো সাক্ষাতকারোতো (যেহেতু সেটা একজনের বক্তব্য, পরে সে যদি এসে বলে আমি এটা বলি নাই তখন যাতে প্রমাণ করা যায়) সাংবাদিকদের রেকর্ড করার নির্দেশ থাকে। আনিসুল হকেরতো সেটা শুনে তারপর লেখার কথা। এখন আবার আবেগের বশে রেকর্ড করার কথা মনে ছিল না, সেটা বললে সমস্যা! রেকর্ড ছাড়া নিশ্চয়ই উনি মনে করে করে এতগুলা কথা লেখেন নাই! আরেকটা কথা বলি, এই ধরনের তথ্য (সংখ্যা সম্পর্কিত) যখন সম্পাদনা করা হয়, তখন যে লিখেছে তাকে ডেকে এনে যে সম্পাদনা করছে সে আবার তথ্য গুলা ক্রস চেক করে। লেখক যদি অফিসে না থাকে তাকে ফোন করেও জিজ্ঞেস করা হয়, যা লিখেছে জেনে লিখেছে কিনা। আর গুরুত্বপূর্ণ স্টোরি গুলা উপরের র্যাঙ্কের সম্পাদকদের চেক করার নিয়ম এবং সেটাই হয়। কেউই খেয়াল করলো না!
উনি যে আপনাকে বললো, খবর সবসময় চেক করে ছাপানো হয়, ছাপানো উচিত, সেটা যে কতটা সত্য সেটা দেখতেই পাচ্ছি।
মহা পিছলা দেখি আমাদের হক মিয়া!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
হায় হায় ভাই কি বলেন? মুসা'র উঠা নিয়ে কাহীনি আছে ?তাইলে তো বাংলাদেশ ব্যাংকের পরীহ্মায় পুরা ১ মার্ক ধরা খামু।।
আনিসুল হক হতাশ করলেন
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
আনিসুল হকের সাক্ষাৎকারে এই বিষয়টা সবচেয়ে ভালো লেগেছে- আমার কোনোভাবেই নর্থ আলপাইন ক্লাবের মতো একটা পর্বতারোহন সংগঠনের সভাপতি হওয়ার যোগ্যতা নেই !
এখন জনাব আনিসুল হকের কাছে প্রশ্ন,
১. আপনার যখন এরকম কোনো ক্লাবের সভাপতি হওয়ার যোগ্যতা নেই নিজেই বলছেন, তাহলে হয়েছেন কেন?
২. মুসার নামে আপনার কাগজে আবেগপ্রবণ সব রিপোর্ট করে দেশের মানুষকে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়ার জন্য ?
৩. বিভ্রান্তিকর তথ্য কেন বলছি জানেন, সাক্ষাৎকারের একটা অংশে আপনি বলেছেন- পর্বতারোহণ বিষয়ক প্রতিবেদন আপনি মুসা এভারেস্টে উঠার আগে করেননি, তাহলে আপনি কিভাবে সঠিক তথ্য দেশের মানুষকে জানাবেন ?
৪. আপনার নিজের কি মনে হয় না, নর্থ আলপাইন ক্লাবের সভাপতি বানিয়ে মুসা আপনাকে ব্যবহার করেছে ?
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
আনিসুল হক কথা প্রসঙ্গে জাফর ইকবাল স্যারকে উদাহরণ হিসেবে নিয়ে আসলেন।
আমি এইটুকু বলে দিতে পারি, জাফর ইকবাল স্যার কোন বিষয়ে না জেনে কোথাও সভাপতি হয়ে যেতেন না।
আর আনিসুল হক যেভাবে পালালেন তা লজ্জ্বাজনক।
কপাল খারাপ, স্লো নেটের জন্য পুরো সাক্ষাতকারটি শুনতে পেলাম না। যতদূর শুনেছি তাতে করে বলতে হয় আনিসুল হক মন্দ বলেন নি।
কিছু ব্যাপার অবশ্য এমনিতেই পরিস্কর। আনিসুল হক সহ যেসব সাংবাদিকরা নেপাল গিয়েছিলেন, তারা আসলে সাংবদিকতা করতে যাননি, তারা গেছেন বন্ধুর এভারেস্ট বিজয় উদযাপন করতে। যেহেতু তারা সাংবাদিক, তাই তারা লিখেছেন নিজেদের মিডিয়ায়। একজন সচল যদি একটা বড় অর্জন করেন, তাহলে বাকি সচলরা নেটে লিখবেন। সুতরাং এখানে কনফ্লিক্ট অব ইনটারেস্টের বিষয়টা গুরুত্ব পায় না। আদতে প্রথম আলো ছাড়া অন্য কোনো মিডিয়া এইও সংবাদ কাভার করার জন্য নেপালে সাংবাদিকও পাঠাবে না বলেই আমার বিশ্বাস। আনিসুল হক ওখানে গেছেন মুসা ইব্রাহিমের সঙ্গে ব্যক্তি পরিচয়ের সূত্রে, সাংবাদিক হিসেবে নয়। উপ-সম্পাদকের দায়িত্বের মাঝে পড়ে না এমন ইভেন্ট কাভার করা।
আর নর্থ আলপাইন ক্লাবের সভাপতি হওয়ার ব্যাপারে উনার জবাবটাও গ্রহনযোগ্য মনে হয়েছে। আমাদের দেশে সবগুলো ফেডারেশনের সভাপতি আসলে ঐ খেলার সঙ্গে জড়িত না। ( বাফুফের সালাউদ্দিন এবং এরকম মাত্র কয়েকজন ছাড়া)। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ না কোন একটা আছে, সেনা প্রধানের জন্য সংরক্ষিত মনে হয়। নৌবাহিনী প্রধান হলেই উনি সাতার ফেডারেশনের সভাপতি। অন্যগুলোতে রাজনৈতিক নিয়োগ। সভাপতি পদটা প্রায় ক্ষেত্রেই আলংকরিক। বিশেষ করে স্পনসর ম্যানেজ করা জাতীয় কাজে যোগ্য কাউকে দেওয়া হয় এমন পদ। প্রভাবশালী বড় ভাই পাড়ার ক্লাবের সভাপতি নয়তো উপদেষ্টা, এরকম আর কি।
আনিসুল হকের একটি কথা ভালো লাগে নি। ( যতটুকু শূনেছি)। তিনি ধরেই নিচ্ছেন যে সাক্ষাতকারটি নেওয়া হয়েছে পর্বতারোহীদের রেষারেষির জের হিসেবে। কিন্তু এর বাইরেও যে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেন, তিনি এ বিষয়টি ভেবে দেখেন নি।
সহমত।
এ কারণেই পুরো সাক্ষাৎকার জুড়েই তিনি বেশ অসাচ্ছন্দে ছিলেন বলে মনে হল। তবে উনি যেভাবে মুসার এভারেস্ট জয়কে অপরাধ বানিয়ে দিলেন তাতে মনে হচ্ছে বাংলাদেশে যা খুশী তাই অর্জনের দাবী করেই প্রথম আলোর সংবর্ধ্বনা পাওয়া সম্ভব। এক কালের প্রিয় লেখকের এহেন দশায় পীড়িত বোধ করছি।
প্রিয় হক ভাই,
আমি আপনার সাক্ষাৎকার শুনে অত্যন্ত মুগ্ধ। সত্যি বলতে কী, শুনে আমার মনে বিশেষ আশার সঞ্চার হয়েছে। আমি আপনাদের বিখ্যাত পত্রিকায় সাম্বাদিক হিশেবে যোগ দিতে চাই। সাংবাদিকতা বিষয়ে আমার পোস্ট ডক্টরেট আছে। সার্টিফিকেট দেখতে চাইলে যে ডিজাইনের চান, দেখাতে পারব। অভিজ্ঞতাও আছে। প্রমাণ চান? প্রমাণ দেখাতে পারব না, তবে আমাদের পাড়ার বড়ভাইকে ডেকে আনতে পারি, উনি কসম খেয়ে বলতে পারবেন, আমার অভিজ্ঞতা আর যা যা যোগ্যতা লাগে সবই আছে। এরপরও যদি বিশ্বাস না করেন, তাহলে প্রশ্ন করি, আমার যে অভিজ্ঞতা নেই, সে প্রমাণ কি আমি দেব, না কী যে বিশ্বাস করল না, সে দেবে? প্রমাণের দায় কি আমার?
আমার দ্বিতীয় আশার কারণ হল, কথাটা চুপে চুপে বলি, নইলে অন্য পত্রিকার লোকজন খবর পেলে স্কুপ করে ফেলতে পারে। কথাটা হল, আমি প্রথম বাংলাদেশি হিশেবে চাঁদে গিয়েছিলাম, এই একটু আগে পৃথিবীতে ল্যান্ড করলাম। আপনি যদি এখনও আমেরিকায় থেকে থাকেন, তাহলে জলদি একটা মিনিবাস নাহয় হলার ভাড়া করে বাংলাদেশি বন্ধুবান্ধব যারা আছেন তাদের নিয়ে নাসার অফিসের সামনে চলে আসেন। পারলে দু'একটা ফুলের মালাও নিয়ে আসবেন, আর টিভি ক্যামেরা। চাঁদে অভিযানের বিস্তারিত আপনি লিখলে পাঠক খাবে ভাল। সব তথ্য এখন জানাতে চাই না, পাঁচজনে জেনে গেলে মুশকিল। খালি এটুকু জেনে রাখুন, আমার ক্যামেরার ব্যাটারি ফুরিয়ে যাওয়ায় ছবি তুলতে পারিনি। আর আমার কাছে নাসার সার্টফিকেটও আছে।
আমাকে কে কে যেতে দেখেছে? কেন নীল আর্মস্ট্রেঙের ছেলে মোহাম্মদ আর্মস্ট্রং তো আমাকে ফিরতে দেখেছে (আবার জিজ্ঞেস করবেন না, নীল আর্মস্ট্রেঙের ছেলের নাম মোহাম্মদ হয় ক্যামনে, নীল তো মুসলমান হয়ে গেছে, জানেন না? বিশ্বাস না হয় মিশরের সাম্বাদিক ভাইদের জিজ্ঞেস করবেন, ওনাদের পত্রিকাতেই প্রথম এই তথ্য বের হয়।) চাঁদের যেখানটায় আমাদের নবী আঙুলের ইশারায় ফাঁক করে দিয়েছিলেন, যেটা দেখে নীল আর্মস্ট্রং মুসলমান হয়ে গিয়েছিলেন, সেখানে গেলে এখনও আমার পানের পিকের দাগ আর ফেলে দেওয়া বিড়ির গোড়াটা দেখতে পাবেন। কী, বিশ্বাস হচ্ছে না? যে গর্দভ বিশ্বাস করে না, তাকেই প্রমাণ করতে বলুন যে আমি চাঁদে যাইনি। বললেই হল? হুহ্!!
তাহলে কবে যোগ দিচ্ছি আপনাদের পত্রিকায়? আর আপনি মিনিবাস নিয়ে আসছেন তো? আমি কিন্তু এখনও নাসার অফিসের সামনে বসে আছি।
আনিসুল হক বলেছেন, অপরাধীর অপরাধ করেছে, এটা অপরাধী প্রমাণ করবে না। প্রমাণ করার দায়িত্ব অন্যদের।
অনুসিদ্ধান্ত:
১। মুসা অপরাধী।
২। এভারেস্টে ওঠা অপরাধ।
দাদাভাই
আনিসুল হকের সাক্ষাৎকারটা ভীষনভাবে খোন্দকার দেলোয়ারের কথাবার্তার মত মনে হয়েছে।
আমার ভাবতে খুব খারাপ লাগছে এঁর লেখারই দারুন ভক্ত ছিলাম আমি একসময়, বিশেষ করে '৯০-এর দশকের শুরুর দিকে এরশাদ আমলে তার তীব্র স্যাটায়ারিকাল লেখাগুলির। ঐ লেখাগুলির বিষয় প্রায়ই হতো বিশ্ববেহায়া লেজেহোমো বা তার চ্যালাচামুন্ডারা। লেখাগুলি সত্যি দুর্দান্ত ছিল !! আনিস তখন ছিলেন, অন্ততঃ আমার চোখে, দারুন চৌকষ বুদ্ধিদীপ্ত তরুন তুর্কি বিপ্লবী সাংবাদিক ও এক দুর্ধর্ষ স্যাটায়ার-প্রতিভা। ...অথচ কি আশ্চর্য, দুই দশক বাদে আজ সেই তিনিই, এককালের সেই দুর্ধর্ষ স্যাটায়ার-প্রতিভা নিজেই নিজেকে বানিয়ে ফেললেন স্যাটায়ারের এক দুর্ধর্ষ 'বিষয়' ! মিথ্যা, ভন্ডামী, চাতুরী ইত্যাদি একসময় যার স্যাটায়ারের বিষয় ছিল, তিনি নিজেই আজ 'বিষয়' হয়ে গেলেন নিজগুনে - এই দুঃখ আমি কোথায় রাখি!
আনিস একবার তার এমনই এক দুর্দান্ত রক্তহিম করা লেখায় রওশন এরশাদকে লেডি ম্যাকবেথের সাথে তুলনা করেছিলেন। এমনকি রওশনকে দিয়ে লেডি ম্যাকবেথের মতই বারবার হাত ধুইয়েছেন ঐ লেখায়। যারা শেক্সপীয়রের নাটকটা পড়েছেন বা কাহিনীটা জানেন তারা বুঝবেন এর অর্থ কি। আমার আনিসুল হকের কাছে, আমার প্রিয় স্যাটায়ার-প্রতিভার কাছে, প্রশ্নঃ আপনি কি একবারও ভেবে দেখেছেন লেডি ম্যাকবেথ এবং আপনার কল্পিত রওশনের মতো একদিন আপনাকেও হয়তো আপনার কলম আর মুখখানি অনবরত ধুয়ে যেতে হবে - কিন্তু কিছুতেই তা আর তখন নিহত সত্যের রক্ত থেকে মুক্ত হতে পারবে না ? আপনি যতই সব ধুয়ে-মুছে সাফ করতে চাইবেন ততই আরো বেশি করে সেই রক্তপাত হতে থাকবে ? আপনার মতো এমন এক স্যাটায়ার-প্রতিভার এইরকম মর্মান্তিক ট্র্যাজেডির সম্ভাবনা কি আপনার মনে একটুও উঁকি দেয় না ? আমার সনির্বন্ধ মিনতি -- প্লিজ একটু ভেবে দেখবেন!
আরেকটা কথা, আপনি লেখক মানুষ -- শত চেষ্টা করলেও আমাদের বিরোধী দলীয় মহাসচিবের মত সুবক্তা হতে পারবেন না, বরং সামাল দিতে না পেরে মাঝ পথে লাইন কেটে পালাতে হবে। সুতরাং ওনাকে নকল করার চেষ্টাটা আপনার বাদ দেয়াই ভালো। ভক্ত হিসেবে এইটুকুই আপনার প্রতি আমার আবেদন।
সাক্ষাৎকারটা শুনে আমারও তাই মনে হয়েছে...এটাই কী সেই আনিসুল হক!!! সময় মনে হয় সবাইকে প্রতিক্রিয়াশীল করে তোলে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
পুরোটাই শুনলাম।
আনিসুল হকের কন্ঠে গভীর বিস্ময় ও বিষাদ টের পাওয়া গেলো। প্রথম আলোর মতো পত্রিকা যে পর্বতারোহনকে সত্যায়িত করছে, আপামর জনগনের তা নিয়ে ন্যুনতম কোন সন্দেহ প্রকাশ করার কথা নয়
অথচ কোথাকার কোন পামর ব্লগার শুধু সন্দেহ প্রকাশই করছেনা, সন্দেহের সপক্ষের যুক্তি তর্ক ও উপস্থাপন করছে!
এহেন ইচড়েপাকামোতে তিনি খুবই ব্যথিত। তাদের পত্রিকার বাঘা বাঘা কলামিষ্টরা মাঝেমধ্যেই মনগড়া তথ্য সাজিয়ে কলাম লিখে বসেন, উপসম্পাদক- সম্পাদক কারো দায় পড়েনা সেগুলো যাচাই করার। দরকার কী যাচাইয়ের। ভরসা আছে, জনগন বিশ্বাস করবে।
দিন যে বদলাচ্ছে, দিনবদলের শ্লোগান দেয়া মিডিয়ামোঘলরা যদি নিজে সেটা টের না পান তাহলে কি চলে?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
মুসা ইব্রাহিম এভারেস্টে উঠুন বা না উঠুন, সাংবাদিক আনিসুল হকের উপর থেকে আস্থা চলে গেল।
________________________________
মা তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো...
'বার্ডেন অফ প্রুফ' এর ব্যাপারটা হক সাহেব জানেননা এটা অদ্ভুদ মনে হলো। তার যুক্তি অনুসারে যে কেউ কোন কিছু অর্জন করার দাবি করলে তা বগল বাজাতে বাজাতে উদযাপন করতে হবে, কোন ধরনের প্রশ্ন করা যাবে! এ যেন ধর্মান্ধের কণ্ঠে ধর্মগ্রন্থের কাহিনী বলার মত ঘটনা!
love the life you live. live the life you love.
১/ আনিসুল হককে অনেক দ্বিধান্বিত ও ভীত মনে হচ্ছিল।
২/ যুক্তির চেয়ে আবেগের পরিমাণ বেশি ছিল।
৩/ তিনি বলেছেন তাই বিশ্বাস করতে হবে। ব্যাপারটায় ধর্মিয় ফ্লেভার আছে।
৪/ অপরাধ বিষয়ক ফিলোসফিটা ঠিক আছে। অপরাধিকে তার অপরাধের প্রমাণ করতে হয় না বরং দায়টা তাদেরই যারা অভিযোগ করে। প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত "অপরাধি" নিরপরাধ থাকে। কিন্তু মুসা ইব্রাহিম অপরাধি না। সে এক বিশাল অর্জন করেছে। সে এখন নায়কতুল্য। উল্টো তাকেই তার অর্জন প্রমাণ করতে হবে। ব্যাপারটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার মত। যদি তার স্কুল-কলেজের সনদ ঠিক থাকে তো ঠিক আছে। আর যদি জাল প্রমাণিত হয় তাহলে তার ভর্তি বাতিল হয়ে যাবে। এখানে খেয়াল রাখতে হবে জাল প্রমাণিত হওয়ার পরই কিন্তু সে অপরাধি হচ্ছে। এর আগে তাকে তা বলা হচ্ছে না। তাকে শুধু তার অর্জন নিয়ে প্রশ্ন করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এটা করার অধিকার আছে। মুসার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের জনগণ। কারণ তার অর্জন বাংলাদেশকে গৌরবান্বিত করবে।
৫/ যে যুক্তিতে তিনি সাক্ষাৎকার ছেড়ে দিলেন এটা বড় কোনো সমস্যা না। উল্টো হঠাৎ করে সাক্ষাৎকার থেকে চলে যাওয়াতে পরবর্তিতে যে সন্দেহ তৈরি হচ্ছে তার তুলনায় আরো মিনিট কয়েক কথা বলতে পারতেন।
৬/ সবশেষে বলেছেন, টাকা দিলে শেরপারা ঘাড়ে করে চুড়ায় পৌছে দিবে। এটা সত্যি কি না জানি না। যদি সত্যি হয়...... আগে টাকা জমাইয়া লই, তারপর দেইখেন, ঘাড়ে লটকাইয়া এভারেস্টে উঠা প্রত্থম বাঙালি আমি...
অনন্ত
আনিসুল হকের মত লোক এধরণের খাপছাড়া কথা বলছেন, ভাবাই যায়না! পুরো সময়টা জুরেই আমতা আমতা করছিলেন।
-------------------------------------
কেউ যাহা জানে নাই- কোনো এক বাণী-
আমি বহে আনি;
ওনাকে কিছুটা শংকিত বা ভীত মনে হলো, প্রথম আলো আর মুসাকে আলাদা রাখার জোড়ালো চেষ্টাও চোখে পড়ার মতো।
রাশু
আনিসুল হককে ধন্যবাদ। তিনি অনেকগুলো বিষয়ের ওপর খুব ভালো তথ্য দিয়েছেন।
সবচেয়ে জ্ঞানী তথ্য হলো, বিশ্বাসই প্রমাণ!
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
এবং অবিশ্বাস মানেই চক্রান্ত।
আনিসুল হক সাহেব নিজে যে ক্লাবের সভাপতি সে ক্লাবের একজন এভারেস্ট বিজয় করেছেন, সেই নিউজ তিনি নিজে কাভার করেছেন, সেই নিউজ চার-পাঁচ হাত ঘুরে যাচাইয়ের পর প্রকাশ হয়েছে, তারপরও আর্থিক ব্যয় নিয়ে তিনি সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারলেন না - ক্যাম্নেকী??
***********************************************
সিগনেচার কই??? আমি ভাই শিক্ষিৎ নই। চলবে টিপসই???
খুব কষ্ট পেলাম...খুবই কষ্ট পেলাম...আনিসুল হক স্যারের মত একজন মানুষের কাছ থেকে সত্যিই এরকম কথা আশা করিনি ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আশীফ এন্তাজ রবি ও মাসকাওয়াথ আহসান, মুসার দুই প্রোমোটার আমাকে গালাগালি দিয়ে লেখা পোস্ট ও নোটের লিঙ্ক কেন আনিসুল হকের মতো একজন খ্যাতিমান নাট্যকার, কলামিস্ট, কবি, ঔপন্যাসিক, সাহিত্যিক, প্রথম আলোর উপসম্পাদক ও মুসা ইব্রাহীমের পর্বতারোহণ ক্লাবের সভাপতির ফেসবুক ওয়ালে গিয়ে দিয়ে আসেন? আমার প্রতি এদের যে সংঘবদ্ধ আক্রমণ, তাতে কি আনিসুল হকের কোনো মৌন সম্মতি, অনুমোদন বা ইশারা রয়েছে?
আনিসুল হকের অপরাধ বিষয়ক ফিলোসফিটা "অর্ধেক" ঠিক আছে। অপরাধিকে তার অপরাধের প্রমাণ করতে হয় না বরং দায়টা তাদেরই যারা অভিযোগ করে- এটা যেমন ঠিক। তেমনি উনি যা উল্লেখ করেননি তা হলো, অপরাধী যে অপরাধ করেনি সেটা প্রমান করার দায়ভারটা কিন্তু অপরাধীর! অন্যথায় "অপরাধীরা" কখনই স্বপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য "উকিল" নিয়োগ করত ন!!
যাহোক, আনিসুল হকের "অসম্পূর্ণ" সাক্ষাতকারে খুব একটা অবাক হইনি, কারণ জাতিগত ভাবে আমরা দিনকে দিন নিজেদের কে খুব ক্ষুদ্র করে ফেলছি! খ্যাতির ভুত যখন কাধে চাপে তখন নিজের কাজ বা মুখের বাণীকে ইশ্বরের ঐশী বাণী মনে হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়!
তবে আনিসুল হকের নিজের বদলে যাওয়া ও বদলে দেয়ার প্রক্রিয়া টা বেশ!
আমি কালকে না এভারেস্ট থেকে আসলাম, আপনারা দেখেন নাই?
এ ধরনের মন্তব্য এই পোস্টের গুরুত্বকে অনেক হালকা করে দেয় বলে আমি মনে করি। এতে লাভ হয় যারা পোস্ট লেখকের সমালোচক, তাদের।
হক সাহেব, আবেগ দিয়ে 'আমার বগলে চুঁইয়ে পড়া জুছনা' বা 'নিশি ক্যা কান্দে' টাইপ প্রেমোপন্যাস লেখা যায় মাগার কোনো কিছুর পেছনে কোনো শক্ত যুক্তি দাড় করানো যায় না। অবশ্য উনার কাছ থেকে সস্তা আবেগ ছাড়া আর কিছু আশা করাটাও বোকামী ... ... 'আলু ভূত' যার ঘাড়ে চাপে সে তো দেখি আসলেই 'শ্যাষ' হয়ে যায় !!!!
===============================================
ভাষা হোক উন্মুক্ত
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় যে, সাক্ষাৎকারটি যিনি দিয়েছেন তিনি দেশের প্রথম সারির (সম্ভবত) প্রথম দৈনিকটির উপসম্পাদক, কলামিস্ট, নাট্যকার, প্রকৌশলী, এবং একইসাথে একজন জনপ্রিয় লেখক। খুব অসহায় লাগে যখন শুনি সেই ব্যক্তি প্রশ্ন তোলেন, "অর্জনকে প্রমাণ করতে হবে কেন?"- এই বলে অথবা স্পষ্টভাষায় বলেন প্রশ্ন বাদ দিয়ে এই 'অর্জন'কে উদযাপন করতে। আম পাবলিককে যা খুশি তাই খাওয়াতে খাওয়াতে এখন এমন অবস্থা যে স্রোতের বিপরীতে প্রশ্ন আসলেই এখন তা একটি 'পক্ষ' হয়ে যায়। একদিকে ব্লগে প্রকাশিত তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, অন্যদিকে সম্পাদনা আর যাচাই-বাছাইয়ের তিন-চার স্তর পার হয়ে জাতীয় দৈনিকে আসা তাঁর 'ফুট' আর 'মিটার' হয় না। অবলীলায় লিখে দিতে পারেন ৫০ লাখ টাকার কথা, আর কোথাকার কোন ব্লগারের প্রশ্নে তাঁর 'অডিটে'র খড়কুটো আঁকড়ে ধরতে হয়।
বি
সাংবাদিক হিসেবে মুসা'র এভারেস্ট আরোহনের খবর কাভার করতে যাওয়া এবং ক্লাবের সভাপতি সম্পর্কিত প্রশ্নের প্রেক্ষিতে আনিসুল হক বলেছেন
পর্বতারোহন ক্লাবের সভাপতি হিসেবে কী যোগ্যতা থাকা উচিৎ, এই প্রশ্নের সরাসরি জবাব আনিসুল হক দেন নি। তাঁর যোগ্যতা আছে কি নেই, তাঁকে এভারেস্টের চেয়েও উচ্চতায় উঠতে হবে, এমনটাও কেউ বলে নি। তিনি নিজেই সেটা বলেছেন। তিনি জানালেন, 'প্রথমতঃ তরুনদেরকে উৎসাহিত করার জন্য' তিনি এনএসিবি'এর সভাপতি হয়েছেন।
তো তাঁর কাছে আমার প্রশ্ন, এই উৎসাহী করার কাজটা কীভাবে সম্পন্ন করবেন? অর্থ্যাৎ ক্লাবের সভাপতি হিসেবে আপনি ঠিক কী করলে তরুণরা 'বড় স্বপ্ন, বড় কল্পনায়' উৎসাহিত হবে আপনি মনে করেন?
পর্বতারোহিরা দেশে ফিরে আরোহনের যে দাবি করেন তা সাংবাদিকরা কীভাবে পরীক্ষা (যাচাই) করেন, এই প্রশ্নের জবাবে জনাব হক জানালেন, সংবাদপত্র বা সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পূর্বে তা অবশ্যই চেক করা হয়, 'চেক করা উচিৎ'।
আমার প্রশ্ন, মুসা'র এ পর্যন্ত কতোটি পর্বতারোহনের দাবির কথা আপনার পত্রিকা প্রথম আলো প্রকাশ করেছে? সেই দাবিগুলো চেক করার ব্যাপারে (প্রক্রিয়া) আমাদের জানাবেন কী! মানে ঠিক কী ভাবে সেই দাবিগুলো চেক করেছেন!
আমার পরের প্রশ্ন, মুসা'র এভারেস্ট জয়ের যে খবর প্রকাশিত হলো আমাদের দেশের সংবাদ মাধ্যমে, বিশেষ করে প্রথম আলো পত্রিকায়, এই খবরটা প্রকাশের আগে কী কী বিষয় চেক করা হয়েছিলো? কীভাবে? একটু বিশদে বলবেন দয়াকরে।
আপনি বলছিলেন "এর আগে যেগুলো হয়েছে, সেগুলো নিয়েও বিতর্ক..." পুরো বাক্যে কি বলতে চাইলেন যে এভারেস্টের আগের দাবিকৃত পর্বতশীর্ষজয়গুলো বিতর্কিত? যদি তাই হয়, তাহলে সেই ধারাবাহিকতায় এভারেস্ট জয়ও কি বিতর্কিত? না হলে, আগের গুলো বিতর্কিত আর এটা নয় কেনো, খুলে বলবেন কী?
এখানেই এক পর্যায়ে জনাব হক বললেন যে তিনি তো আর এইসব খবর প্রকাশ করেন না, যে যে কাগজ বা যারা যারা এটা (পর্বতারোহনের নিউজ) করেন তাদেরকে জিজ্ঞেস করতে!
আমার কথা, আপনি দেশের একটি সর্বাধিক প্রচলিত পত্রিকার উপসম্পাদক পদে আছেন। একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি। প্রশ্নটা তাই আপনাকে করাই যুক্তিযুক্ত। আপনি উত্তর না দিয়ে, "যে যে করেছে তাকে জিজ্ঞেস" করার উপায় বাতলে দেয়া কি দায়িত্ব এড়ানো নয়?
আপনার লেখায় মুসা'র বুদ্ধমুর্তির সঙ্গে ছবির এবং ছবি তোলার বর্ণনা সম্পর্কে আমার প্রশ্ন, আপনি এতো বিশদ বর্ণনা কীভাবে পেলেন? মুসা দিয়েছে?
সেটা কখন, সমতলে নেমে আসার পর নাকি এভারেস্টে থাকাকালীন!
এতো বিশদ বর্ণনা দেওয়ার সময় মুসা বুদ্ধমুর্তির সাথে ছবির কথা উল্লেখ করেছেন (আপনার লেখায় আছে)। কিন্তু প্রথম আলোতে প্রকাশিত তার যে ছবিটি আমরা দেখতে পাই, সেখানে বুদ্ধ মুর্তির জায়গায় দেখা যায় বেশ কিছু কাপড়ের স্তুপ। মুসা কি আপনাকে 'কাপড়ের স্তুপের' সাথে ছবি তোলার কথা বলেছে নাকি 'বুদ্ধ মুর্তি'র সাথে?
'একটা পক্ষ' বলতে আপনি কী বুঝাতে চাইলেন? আপনি কি চাইছেন সমগ্র বাংলাদেশ একটাই পক্ষ হিসেবে থাকুক? যদি তাই চান তাহলে মুসা যে তার আগের ক্লাব ভেঙে নতুন ক্লাব বানালো, সেটার সভাপতির দায়িত্ব নিলেন কেনো? কেনো সব পর্বতারোহীদের একটাই ক্লাবের মধ্যে রাখার পদক্ষেপ নিলেন না?
এটা করা গেলে তো অন্তত বাংলাদেশের সকল পর্বতারোহী এক বাক্যে আপনার মতো বলতে পারতো, "আমাদের মুসা এভারেস্টে গেছে!" সেটা কেনো হয় নি?
বাংলাদেশের (র্যান্ডম) 'একটা ছেলে' এভারেস্টে ওঠে নি। উঠেছে মুসা। যার পূর্বের আরও কিছু পর্বত জয়ের ব্যাপারে, যেমনটা আপনিও বললেন, বিতর্ক আছে। এভারেস্ট জয় অবশ্যই সেসব পর্বতারোহনের চেয়ে বড় অর্জন। আর এই বড় অর্জনটা প্রশ্নবিদ্ধ থাকুক, এইটা নিশ্চয়ই আপনিও চান না! সেই জন্যই প্রমাণের দরকার আছে।
আপনি বলেছেন,
এভারেস্ট জয় কোনো 'অভিযোগ' নয়। তাই আপনার উক্তি থেকে এই শব্দটি 'দাবি' দ্বারা প্রতিস্থাপন করে নিয়ে আপনার কথাগুলো রিফ্রেজ করে আসুন ঘটনার একেবারে শুরু থেকে চিন্তা করি।
"এইটা তারই দায়িত্ব যে 'দাবি' করেছে যে সে এই কাজটা করেছে।"— এরকম একটা কিছু দাঁড়ায়! এবার বলুন, এভারেস্ট জয়ের ঘটনার যে জন্ম দিলো, যে এভারেস্ট জয়ের দাবি করলো, প্রমাণটাও কি তারই করার কথা নাকি অন্যকারো?
এভারেস্ট জয় অবশ্যই আনন্দের খবর। সেটা নিয়ে হয়তো প্রশ্ন উঠতো না যদি না জয়ের দাবীদার মুসা হতেন। আর যদি না মুসার নামে আগের সব পর্বতারোহনের দাবিগুলো বিতর্কিত হতো!
এতোগুলো সংবাদ মাধ্যম, বিবিসি, ডয়চে ভেলে এদের প্রকাশিত সংবাদের সোর্স কী ছিলো? তারাও কি প্রথম আলো যে সোর্স থেকে এই সংবাদ প্রকাশ করেছে, সেখান থেকেই নেয় নি? তাদের কোনো আলাদা সংবাদদাতা কি নেপালে উপস্থিত ছিলেন আপনাদের সাথে?
মুসার সাথে অল্প কয়েকজন লোকের প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা বললেন। এই "অল্প কয়েকজন লোক" কারা? মুসার সাথে এই অল্প কয়েকজন লোকের প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণই কী, আর তারা 'সন্দেহ'ই বা কেনো করবে?
আপনি এক জায়গায় বললেন
প্রশ্ন এবং উত্তর দুইটাই আপনি বলে দিলেন জনাব আনিসুল হক। ধন্যবাদ আপনাকে।
জ্বী, আমরা যাতে ভবিষ্যতে 'জাতীয় প্রতারণা হাস্যকর পরিস্থিতি'র মধ্যে না পড়ি, সেজন্যই তো মুসা যে এভারেস্টে উঠেছে এটা প্রমাণ করার প্রয়োজন আছে।
আপনি বলেছেন, "পারিপার্শ্বিক নানা প্রমাণ দ্বারা হান্ড্রেড পারসেন্ট কনভিন্সড" হয়েছেন যে মুসা উঠেছে, আপনি কি সেই পারিপার্শ্বিক প্রমাণগুলো সবার জন্য উপস্থাপন করবেন দয়াকরে? আমরা বড় হতে চাই না, আমরাও উদযাপন করতে চাই।
আপনি আমাদের দেশের একজন বিদগ্ধ সাংবাদিক, নর্থ আলপাইন ক্লাবের সভাপতি, সর্বাধিক প্রচলিত পত্রিকা প্রথম আলোর উপসম্পাদক। সবকিছু মিলিয়ে এই ব্যাপারে আপনার লেখার বাইরের একটা বক্তব্য আমরা আশা করতেই পারি। আর তাছাড়া, আপনার সাক্ষাৎকার নেয়ার কারণটা শুরুতেই বলা হয়েছে। আপনি সেটা মেনে নিয়েই রাজী হয়েছেন। আপনি রাজী নাও হতে পারতেন, এটা আপনার এখতিয়ার। কিন্তু রাজী হয়ে একটা চলমান সাক্ষাৎকার থেকে নিজেকে হঠাৎ সরিয়ে নেয়া কি যথাযথ?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হিমু,
আপনার কাছে অকাট্য প্রমাণ আছে যে মুসা এভারেস্টে সামিট করেন নাই, তারপরেও কেন আপনি দেরী করছেন সেই প্রমাণ দিতে। কেন আপনিও মুসা গংদের মত দিচ্ছি দিব করছেন?
কোন এক পোস্টে বা মন্তব্যে ধূরস গোধূলী ভাই/বোন খুব জরুরী একটা বিষয়ের অবতারনা করেছিলেন আর সেটা হল পাঠ্যপুস্তকে মুসাকে বাংলাদেশের প্রথম এভারেস্ট জয়ী হিসেবে অর্ন্তভুক্তি বিষয়ে এবং আমার যদি ভুল না হয়ে থাকে তাহলে সেটা নভেম্বরের আগেই করতে হবে। আপনের সেই অকাট্য প্রমাণ নিয়ে যে কেউ আদালতের সরানপন্ন হয়ে এই হঠকারী বিষয় পাঠ্যপুস্তকে যাতে অন্তর্ভুক্ত না হয় সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পারেন।
তাই আমাদের অনুরোধ থাকবে খুব দ্রুত সেই অকাট্য প্রমাণ যা কিনা মুসার বুকে শেষ পেরেকটা মারবে সেটা প্রকাশ করুন।
আপনার এই পরিশ্রম সার্থক হোক এই কামনাই করছি।
ধন্যবাদ।
বাঙ্গাল
আমার তো কোনো তাড়াহুড়া নাই, মুসার আছে । কাজেই যদি অকাট্য প্রমাণ কারো বের করতে হয়, মুসারই করা উচিত নয় কি? আর মুসার বুকে পেরেক মারার কাজে তো আমি নামি নাই, আমি তার পর্বতারোহণ নিয়ে অসঙ্গতিগুলো শুধু তুলে ধরবো। আপনাদের অনুরোধ তাই রক্ষা করতে পারছি না।
আমরাওত একই কথা বলছি। শুধু অনুরোধ করছি যাতে সেটা পাঠ্যপুস্তকে যাবার আগেই যেন তুলে ধরা হয়। পাঠ্যপুস্তকে ব্যাপারটা চলে গেল, তারপর আপনি প্রমাণ দিলেন সেটা বাংলাদেশের মত একটা দেশে কোন ফল দিবে বলে মনে হয় না।
ধন্যবাদ।
বাঙ্গাল
আনিসুল হক এর মন্তব্য আর অন্যান্য ব্লগ এর বাক্তি গত আক্রমন থেকে বোঝা যাচ্ছে যে ঘটনা প্রবাহ অন্য দিকে নেবার চেষ্টা চলছে। সাধু সাবধান। মন্তব্য এর ব্যাপারে যত্নবান হওয়া উচিত।
হুম, হিমুর এই চিবিয়ে চিবিয়ে নেভারেস্ট পর্বের পোস্ট দেয়াটায় বেশ মজা পাচ্ছি ! একটি গ্রাস মুখে পুরে তা চিবিয়ে চিবিয়ে হজম করে পরের গ্রাসের দিকে এগুনো, চলুক। সত্যটা স্পষ্ট হোক।
স্বর্ণ হলে যত ঝামাই ঘষুক স্বর্ণই বেরোবে। যদি স্বর্ণ না হয় ? এটা রাষ্ট্রকে প্রতারণা করা হবে। তাই ঝামা ঘষা চলুক। দেখা যাক কী বেরোয় !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
কুকাফ শহর ঘুরে আসে
হরিসুদ্দিন খান
সেই খুশিতে চান্নিরাইতে
বাজছে বাইদ্যগান
চেয়ারমেনে পয়সি দিসে
আনছে পালা গান
পালতো জ্বীন তার দাদাজান
আনসার আলী খান
চেয়ারমেনে কয় পরীর কিচ্ছা
মুখে তবক পান
গরীব চাষা খিলায় দন্ত
চুষে হাঁসের রান
হারির কপাল রাজার কপাল
আল্লা মেহেরবান
বুড়াগুলান নাড়ছে মাথা
চুপ থাকে রমজান
দেখছি তারে হাটের ভিতর
বোতল করছে পান
নেশার ঘোরে হরিসে কয়
কুকাফ পরীর গান
কুকাফজয়ী হরিসউদ্দিন
ভীষণ পেরেশান
হুনছি গায়ের পোলাপানও
চাইতাছে প্রমাণ
কিয়ের প্রমান চেয়ারমেনে কয়
বাজাও বাইদ্য গান
পরীর দেশের নূরের পোলা
গ্রামের হরিস খান
পর্বতারোহির দাবি সাংবাদিকরা পরীক্ষা করেন কি না প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বললেন যারা এই ব্যাপারে লেখেন এই প্রশ্ন যেন তাদেরই করা হয়। তাদের একজনকেই তো প্রশ্ন করা হচ্ছিলো। আনিসুল হক যদি মুসা ইব্রাহিমের পক্ষে কলম না ধরতেন তাহলে তো উনার সাক্ষাতকার নেয়ার দরকার পড়তো না।এটা উনার কেন মনে হয়নি?
ব্লগের কোন গুরুত্ব নেই? একদম ঠিক কথা। ব্লগ খুউপ খ্রাপ জায়গা।তো ব্লগ যদি এতোই বাজে তাহলে প্রথম আলোর মতো এতো দায়িত্বশীল পত্রিকা তাদের নিজেদের জন্য একটা ব্লগ কেন খুললো? ব্লগের প্রতি তার কেন এতো বিরাগ?
তার আবেগে ঢলঢল কথা শুনে অবাক হলাম। এটাতো কান্নাভেজা কোন ফিল্ম না যে এরকম আপ্লুত হতে হবে।
আনিসুল হক সাক্ষাতকার অসমাপ্ত রেখে চলে গিয়েছিলেন। তার সাথে আরেকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল কি?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
আনিসুল হকের বক্তব্য শুনে খুবই হতাশ হলাম - ওনাকে অনেক প্রাচীন এবং সাধারন বলেই মনে হল।
চোখের সামনে অনুকরণীয় মানুষগুলোকে অচেনা হতে দেখছি দিন দিন।
ভাল লাগে নাই।
হিমু, তোমার দাবী সত্য হোক বা মিথ্যা, সেটা সময় প্রমান করবে। কিন্তু তোমার এই লেখার হাত ধরে অনেক জানা হচ্ছে, এমনকি জানা বিষয়ে অজানা জ্ঞান সংযোজিত হচ্ছে।
ব্লগ বিষয়ে ওনার নাক সিটকানো দেখে মনে জোর পেলাম। যুগটা বদলাচ্ছে, সেটা হক সাহেবেরা মৃত্যুর আগে টের পেলেও হত! বড় ভাল লাগত।
আমি কিভাবে আই সাক্ষাৎকার টি download করব কি ভাবে?
অসাধারণ লেখা!
ইউটিউব এর ভিডিওটি দেখা যাচ্ছেনা।
হেহেহে পোস্টটা মিস করেছিলাম রে! মজারু লাগলো এখন /শুনতেপড়তে।
আচ্ছা এখন কী হবে এত সব ভক্কর চক্করের? ধুৎ! এতসব ভেবে হবেটা কি!
তারচে' আনিসুল হকের আরেকপ্রিয়পাত্রের মুভির গান শুনেন
নতুন মন্তব্য করুন