এভারেস্ট জয়ের দাবির প্রায় সাড়ে চার মাস পর মুসা ইব্রাহীমের এভারেস্ট সামিটের ছবিগুলো পূর্ণ রেজোলিউশনে সংগ্রহ করেছেন আরিফ জেবতিক।
মুসা ইব্রাহীমের সামিটের অধিকাংশ ছবিতেই পেছনের দিগন্ত দৃষ্টিগোচর হয় না। যে দু'টি ছবিতে পেছনের দিগন্ত দেখা যায়, সেগুলো পূর্ণ রেজোলিউশনে সংগ্রহ করে আমরা আবার বিশ্লেষণ করেছি।
ছবি দু'টি যদি কোনোভাবে সম্পাদিত না হয়, তাহলে এ কথা স্পষ্ট যে দু'টি ছবিই কমপক্ষে ৮,৭৫০ মিটারের অধিক উচ্চতা থেকে তোলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে মুসা ইব্রাহীমের এভারেস্ট জয়ের সপক্ষে এ ছবি দু'টি জোরালো এগজিবিট হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
এ সংক্রান্ত ইমেজ রেণ্ডার করে আগামী শনিবার এ পোস্টে সংযোজন করা হবে।
নেভারেস্ট সিরিজে যে সন্দেহ আমি এতদিন প্রকাশ করে আসছি, তার ভিত্তি মুসা ইব্রাহীমের অতীত কার্যক্রম, যথাক্রমে ফ্রে পিক ও চুলু ওয়েস্ট সম্পর্কে অসঙ্গতিপূর্ণ দাবি [১], লাংসিসা রি সম্পর্কে অসঙ্গতিপূর্ণ দাবি [২] এবং অন্নপূর্ণা-৪ সম্পর্কে প্রচুর বিভ্রান্তিকর তথ্যসহ অসঙ্গতিপূর্ণ দাবি [৩], সর্বোপরি জুন মাসে নেয়া তার দুই প্রাণরক্ষাকারী, ব্রেণ্ডান ও'ম্যাহোনি ও স্টিফেন গ্রিনের সাক্ষাৎকার [৪], যে সাক্ষাৎকারে ব্রেণ্ডান মুসাকে চূড়ার আশেপাশে কোথাও দেখেননি বলে জানান, এবং স্টিফেন মুসাকে সেকেণ্ড স্টেপে দেড় ঘন্টা বসে থাকার সময় নিচে নেমে আসতে দেখেননি বলে জানান। কয়েকদিন আগে পুনর্বার তাদের সাথে এ ব্যাপারে যোগাযোগ হবার পর দু'জনেই এ বিতর্কে জড়িত হতে তাদের দ্বিধার কথা জানিয়েছেন। ব্রেণ্ডান বলেছেন, সাংবাদিকরা তার সাথে যোগাযোগ করেছেন, এবং তার পরিষ্কার কোনো স্মৃতি নেই, তবে মুসার আচরণ ও তার শেরপার বক্তব্য শুনে তার মনে হয়েছে, মুসা এভারেস্টে চড়েছেন। স্টিফেন জানিয়েছে, সে মুসাকে নেমে আসতে দেখার কথা মনে করতে পারছে না, কিন্তু সে নিজে যেহেতু এভারেস্টে চড়েনি, তাই এ বিতর্কে সে কোনো ভূমিকা রাখতে চাইছে না।
দীর্ঘ চার মাস ধরে আমি এ ব্যাপারে পর্বতারোহীদের সাক্ষাৎকার নেয়ার চেষ্টা করেছি, ছবি সংগ্রহ করেছি, ত্রিমাত্রিক মডেলে মুসার ছবি বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করে প্রমাণ খোঁজার চেষ্টা করেছি। আমি সন্তুষ্ট যে অবশেষে যুক্তি এবং বিশ্লেষণের আলোকেই একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্তে আসতে পেরেছি, কোনো মিডিয়াগোষ্ঠীর চাপিয়ে দেয়া কথার ভিত্তিতে নয়। ছবিগুলো যদি আরো আগে জনগণের জন্যে উন্মুক্ত করে দেয়া হতো, তাহলে আরো আগেই এই বিশ্লেষণ সম্পন্ন করা সম্ভব হতো।
এই তিন মাস ধরে প্রশ্ন করতে গিয়ে আমি কিছু মানুষের আক্রমণের শিকার হয়েছি। প্রশ্নবিমুখ এই মানুষদের হতাশ করে আমি জানাতে চাই, বাংলাদেশে পর্বতারোহণের চর্চা সমাপ্ত হয়নি, কাজেই নেভারেস্ট সিরিজটিও বন্ধ করার কোনো কারণ আমি দেখতে পাচ্ছি না। ভবিষ্যতে আবারও যদি কেউ কোনো অসঙ্গতিপূর্ণ দাবি করেন, আমি এই সিরিজ আবারও শুরু করবো। আপনারা যতবার প্রমাণ ছাড়া কোনো দাবি করবেন, ততবারই আমি প্রমাণ চেয়ে প্রশ্ন তুলবো।
যারা এই সিরিজটি গত তিন মাস ধরে অনুসরণ করে আসছেন, সেই পাঠকবর্গকে ধন্যবাদ জানাই। সেইসাথে সকল পর্বতারোহীকে অনুরোধ জানাবো, তারা যেন তাদের দাবিকে ভবিষ্যতে হাই-রেজোলিউশন ছবি / ভিডিও / জিপিএস লগ / অল্টিমিটার রিডিংসহ প্রমাণের প্রস্তুতি নিয়েই দাবি উত্থাপন করেন।
ধন্যবাদ।
তথ্যসূত্র:
[১] প্রায়নেভারেস্ট পোস্ট: ফ্রে পিক ও চুলু ওয়েস্ট জয়ের অসঙ্গতিপূর্ণ দাবি
[২] প্রায়নেভারেস্ট পোস্ট: লাংসিসা রি জয়ের অসঙ্গতিপূর্ণ দাবি
[৩] প্রায়নেভারেস্ট পোস্ট: অন্নপূর্ণা-৪ জয় প্রসঙ্গে প্রচুর অসঙ্গতিপূর্ণ দাবি
মাশ্রুম বস,
হিমু ১৯ কিলোমিটারকে ২১ কিলোমিটার বলে মারাত্মক ভুল করে ফেলেছে। অনুশোচনায় দগ্ধ হয়ে এখন সে গড়াগড়ি দিয়া কানতেছে।
এভারেস্ট চূড়া থেকে চোমো লোনজো চূড়ার দূরত্বটা আসলে ১৯১০১৬৫৯ মিলিমিটার। আশা করতেছি ত্যানা প্যাঁচানি এইখানে শেষ করবেন।
আপনে হিমুর থ্রিডি মডেল পেলেন কোথায় যে আপত্তি জানাবেন? থ্রিডি মডেল বা ছবি বিশ্লেষণ করার দায়িত্বে আমি নিয়োজিত। আপনার যে কোন প্রশ্ন আমাকে জানান। চেষ্টা করবো আপনার প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে।
জ্বি বস, হিমুর হয়ে ইনিয়ে বিনিয়ে, গড়াগড়ি করে কান্নাকাটি আমিও করতেছি। কিন্তু কথা হচ্ছে মুসা ইব্রাহীম যে নর্থ আলপাইন রুট ধরে এভারেস্টে উঠলেন সেইটা গত চারমাসেও খুঁজে পেলাম না।
আমরা যে ধরে নিলাম মুসা ইব্রাহীম নর্থকোল/নর্থইস্ট রিজ ধরে এভারেস্টে উঠেছেন তা যদি সত্যি না হয় তাহলেতো আমাদের সব কাজ বিফলে গেল।
এ বিষয়ে আপনার অভিজ্ঞতাপ্রসূত সাহায্য আশা করছি।
চোমো লোনজো কোথা থেকে কেমন দেখায় তার জন্য এখনই কাইন্দেন না বস। আর ক'টা দিন সবুর করেন রসুন বুনেছি।
আপনার দেয়া নতুন তথ্য ( সামিট হতে চোমোলঞ্জ এর দুরত্ব) ঠিকাসে।
ঠিকাছে!!!!!! বলছেন কি?????? মিলিমিটারের ঘর ঠিকাছে কিনা সেটা পরীক্ষা করার জন্য আপনাকে লেজার দিয়ে মেপে দেখতে হবে। সেটা না করেই ঠিকাছে বলে দিলেন?
আমি সন্তুষ্ট যে অবশেষে যুক্তি এবং বিশ্লেষণের আলোকেই একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্তে আসতে পেরেছি, কোনো মিডিয়াগোষ্ঠীর চাপিয়ে দেয়া কথার ভিত্তিতে নয়। ছবিগুলো যদি আরো আগে জনগণের জন্যে উন্মুক্ত করে দেয়া হতো, তাহলে আরো আগেই এই বিশ্লেষণ সম্পন্ন করা সম্ভব হতো।
সহমত।
-
যারা ভবিষ্যতে এভারেস্ট জয় করতে কিংবা উত্তরমেরু জয় করতে কিংবা এরকম সাহসী কাজে যাবেন, তারা যদি দয়াকরে প্রমান সংগ্রহ ও প্রকাশের ব্যাপারটিকে গুরুত্ব দেন, তাহলে নেভারেস্ট সিরিজ এবং সিরিজের আলোকে অনেক মানুষের যৌথ উদ্যোগ ও শ্রম-সময়ের বিনিয়োগটি স্বার্থকতা পাবে।
একটি চমৎকার গবেষনা শুরু করায় হিমুকে ধন্যবাদ এবং গুরুত্বপূর্ণ ইনপুট দেয়া; তর্ক ও আলোচনায় বিভিন্ন পয়েন্ট উথাপন করায় মুস্তাফিজ ভাই, স্পর্শ, জ্বিনের বাদশা, দ্রোহী, অচ্ছুৎ বলাই, যিনি আমাকে ছবি সংক্রান্ত প্রচুর তথ্য মেইলে পাঠিয়েছেন, একটি ছবি ফটোশপে করে বৌদ্ধমূর্তির অবস্থানও দেখিয়েছেন-কিন্তু নামটি জানাননি, সেই সচল পাঠক; এবং অতিথি মাশরুফ যিনি ভূতাত্ত্বিক কিছু ব্যাপারে আলো ফেলেছেন সহ সবাইকে ধন্যবাদ।
-
নেভারেস্ট শুধু এভারেস্ট বিষয়ক তর্কের জন্য স্মরণীয় থাকবে না, কিছু মানুষের জিঘাংসা কোন পর্যায়ে যেতে পারে ব্লগের ইতিহাসে নেভারেস্ট প্রতিক্রিয়ায় লিখিত এরকম কিছু পোস্টের জন্যও স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
সবাই এভারেস্ট চূড়ায় ওঠতে পারবেন না সেটা সত্যি, তবে আরেকটু সহনশীল ও যুক্তিবাদী হিসেবে একটি উচ্চতায় আমাদের সবার মননকে আমরা তুলতে পারব, সৃষ্টিকর্তার কাছে এটুকুই প্রার্থনা। আমীন।
১। ৪৪ অ ৪৪.১.১ মন্তব্যের সাথে সহমত। মডারেটরদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
২। বিরুদ্ধ মন্তব্য অনেক সময়ই প্রকাশ করা হয় না, এই অভিযোগ সত্যি।
অতিথি নিকে যারা মন্তব্য করবেন তাদের পরিচয় এবং ইমেইল ঠিকানা সংরক্ষণ করার পরামর্শ দিতে চাই। বিরুদ্ধমত/মন্তব্য যারা প্রচার করতে চান তারা নিজের পরিচয়ে (বা নিকে) এসে করলে সেটা পাঠক হিসেবে আমার কাছে বেশী গ্রহণযোগ্য।
আমি শুরু থেকেই সবগুলো লেখা পড়েছি। মন্তব্য করতে চেয়েও করিনি অনেকবার, শেষটা দেখতে চেয়েছিলাম। আজ শেষটুকু দেখে গৌরববোধ করছি, বাঙ্গালী হিসাবে। আজকে আরো দশজনের মত আমিও ছিলাম, মুসা ভাইয়ের ছবি প্রদর্শনীর অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠান শেষে, মুসা ভাইকে পিঠ চাপড়ে আসলাম সম্পূর্ণ মন থেকে। (অফটপিক- জুনিয়র মুসা ইব্রাহীমের মাথায় হাত বুলাবার লোভ টাও সামলাতে পারিনি)
ধন্যবাদ হিমু ভাইকে, ধন্যবাদ মুসা ভাইকেও
মুসা ইব্রাহিম সম্পর্কে কম বেশি জানি ।
আজকে আপনি হয়ত মেনে নিলেন মুসা ইব্রাহিম হিমালয়ে উঠেছেন কিন্তু বাংলাদেশের যারা ওই পথের পথিক তাদের অনেকেই এখন ও বিশ্বাস করেন না মুসা হিমালয়ে উঠেছেন । এর মধ্যে সেই ব্যক্তিটি ও আছেন যার হাত ধরে মুসা প্রথম বরফে পা রাখেন । হয়ত একদিন প্রমাণ মিলবে মুসা হিমালয় উঠেনি, হয়ত প্রমাণ মিলবে না । তাতে হয়ত আম জনতা গর্ব বোধ করবে হয়ত করবে না । কিন্তু, ওই পথে যারা হেঁটেছেন তাদের কেউই কখনও বিশ্বাস করবেনা মুসা হিমালয়ে এ বাস্তবিক ভাবে উঠেছেন । কারন মুসা আসলে হিমালয় এ উঠেন নাই । কথা টা মনে রাইখেন । আমি সেই পথের অনেকেই চিনি, মুসা সহ । অনেক আগ থেকেই ।
নেপাল মাউন্টেন্যারিং এসোসিয়েশনও বিশ্বাস করে না। তাদের এভারেস্টজয়ীর তালিকায় নিশাত ও মুহিতের নাম আছে, মোজেসের নাই। মোজেসরে তারা ধাক্কা দিয়ে হিমালয় থেকে ফেলে দিয়েছে। আজকে একাত্তর টিভিতে দেখলাম মোজেস এখন এগুলি অন্য বাংলাদেশি পর্বতারোহীরা ষড়যন্ত্র করে নেপাল মাউন্টেন্যারিং এসোসিয়েশনকে ভুল বুঝিয়ে করিয়েছে বলে কান্নাকাটি জুড়ে দিয়েছে।
জনাব,
বর্তমানে এই বিষয়ে আপনার বক্তব্য জাতি জানতে চায়!
না জনাব, জাতি তো টিভিতে এই নিচের প্রতিবেদনটা দেখে।
এখন পর্যন্ত মুসার পক্ষে সবচেয়ে বড় যুক্তি "মুসা আমার বন্ধু"। দ্বিতীয় যুক্তি "বিডিনিউজ খারাপ"। যদিও এই নিউজের সোর্স ৭১ টিভি।
মন্তব্য
"আমি মুসার কিছু ছবি পেয়েছি (আরিফভাইকে ধন্যবাদ), যার অন্তত ২টা কনফার্ম এডিটেড, আরো কিছু ছবি পেলে আশা করি পর্যাপ্ত স্যাম্পল পেয়ে যাবো। এরপরে কার্যকারণ বিশ্লেষণে আরো নিঁখুত হওয়া যাবে।" বলছিলেন অছ্যুৎ বলাই।
আপনি কি এখন মুসার এভারেস্ট সামিট নিয়ে সন্দেহযুক্ত নাকি একেবারেই মুক্ত?
ফ্রে পিক, চুলু ওয়েস্ট, লাংসিসা রি আর অন্নপূর্ণা-৪ এর ধারাবাহিকতা অনুসরণ করছি বলে আমি এখনও সন্দেহমুক্ত নই। কিন্তু এভারেস্ট জয়ের সপক্ষে মুসার দেয়া ছবি দু'টি, যদি অসম্পাদিত হয়ে থাকে, জোরালো প্রমাণ।
কার পক্ষে ইতিবাচক? মুসার এভারেস্ট জয়ের দাবির পক্ষে না 'মুসা এভারেস্ট জয় করেনি' আপনার এ দাবির পক্ষে?
অ্যাঁ!!!!!!!!
পোস্ট পড়ে কী বুঝলেন তাহলে!!!
কাকস্য পরিবেদনা
আমি এই সিরিজের ভূমিকা থেকেই বলে আসছি, মুসা ইব্রাহীম এভারেস্টে চড়েছেন, অথবা মুসা ইব্রাহীম এভারেস্টে চড়েননি, এমন কোনো স্টেটমেন্ট আমি দেবো না। আমি তার যাবতীয় পর্বতারোহণ কার্যক্রমের অসঙ্গতিগুলো সামনে তুলে ধরবো। আপনি কৌশলে এসে আমার দাবি বলে যে স্টেটমেন্টটা তুলে ধরলেন, সেটা কোথায় দাবি করেছি, কষ্ট করে লিঙ্ক দিয়ে দেখান।
আমি বলছি, ছবিগুলো ত্রিমাত্রিক মডেলে কমপক্ষে ৮,৭৫০ মিটারের ওপর থেকে তোলা বলে দেখা যাচ্ছে। এটি একটি ইতিবাচক ফল, যা মুসার এভারেস্ট জয়ের দাবিকে সমর্থন করে।
মুসা ইব্রাহীম এভারেস্টে চড়েছেন, অথবা মুসা ইব্রাহীম এভারেস্টে চড়েননি, এমন কোনো স্টেটমেন্ট আমি দেবো না -আপনি এমনটা স্টেটম্যান্ট দিয়েছেন বটে, তবে প্রতিটি নেভারেস্ট সিরিজে ইনিয়ে বিনিয়ে আপনি বলার চেষ্টা করেছেন যে মুসা এভারেস্ট জয় করেনি। আপনি কিছু ভক্তও জুটিয়ে ফেলেছেন (উদা-ধুসর গোধুলী, দ্রোহী, বলাই - এখন বলবেন না যার যার বুঝ তার কাছে, আপনি তাদের ভক্ত হতে বলেননি)। অনেকেই আপনার সন্দেহের সঙ্গে একাত্মতা ঘোসণা দিয়েছন।
আপনার গবেষণার শুরুতেই উচিত ছিল যেভাবেই হোক প্রথমেই মুসার ছবিগুলো সংগ্রহ করা। আপনি কেন পারেননি কিংবা আপনাকে কেন দেয়নি কেউ এটা আমার জানার বিষয় না।
যাইহোক, মুসার দাবি প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে বলে (যদি আপনি এরপরে অকার্ট কোনো প্রমাণ হাজির না করেন) আমি খুশি।
আমি আপনার রম্যের এবং ব্রগারদের কমেন্টের প্রত্যুত্তরের খুব ভক্ত।
এ জন্যেই বলছি, একটু পরিশ্রম করুন। আমার মুখে আপনার কথা গুঁজে না দিয়ে, লিঙ্ক দিন, বা কোট করুন।
যাদের নাম আপনি আমার "ভক্ত" হিসেবে চালিয়ে দিচ্ছেন, তাদের সাথে আমি গত সাড়ে চার বছর ধরে একসঙ্গে এক প্ল্যাটফর্মে ব্লগিং করে আসছি। তারা আমার ভক্ত নন, সহব্লগার। তারা আমাকে বা আমার সন্দেহকে নয়, আমার প্রশ্ন এবং যুক্তিকে সমর্থন দিয়েছেন, এভাবে দেখুন ব্যাপারটাকে। এবং আমি নিশ্চিত, আমি অযৌক্তিক কিছু বললে তারাই সবার আগে এসে আমাকে চ্যালেঞ্জ করবেন।
আপনার কথার সুর ধরেই বলি, মুসা ইব্রাহীমের শুরুতেই উচিত ছিলো এভারেস্টের প্রত্যেকটি ছবি হাই রেজোলিউশনে ফ্লিকারে আপ করে দেখানো। কেন তিনি দেখাননি, জানি না, তবে ধারণা করছি সেসব ছবিতে স্পনসরের নাম আছে, তাই কোনো আর্থিক স্বার্থ জড়িত। তবে সেটার বিবেচনা আমরা করবো না। কারণ প্রমাণ সংগ্রহ করা আমার দায় নয়, প্রমাণ দেখানো মুসা ইব্রাহীমের দায়। এই দায় তিনি এভারেস্টের ক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত বহন করতে বাধ্য হয়েছেন, তবে এর আগের ক্লেইমগুলোর ক্ষেত্রে সম্ভবত পারবেন না।
রম্য গল্প নয়, আবারও কোনো বড় তর্কে আপনার নিকটির উপস্থিতি আশা করবো। ভালো থাকবেন।
আপনার নেভারেস্ট সিরিজ আর সেখানকার কমেন্টগুলোই লিংক। আলাদা করে দেওয়ার কিছু নেই।
আপনার নেভারেস্ট সিরিজটি দারুণ। এরপরে অন্তত আর কেউ এভারেস্টে চড়লে উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়া নেমে আসবে না। এজন্যে আপনাকে সাধুবাদ জানাই। বাঁকাভাবে নিবেন না, সত্যিই বলছি।
তবে আপনি নেভারেস্ট লিখতে শুরু করলেন মুসার পূর্ববর্তী অসততা নিয়ে। প্রথমেই পাঠক ধারণা পেয়ে গেল মুসা জালিয়াতি করলেও করতে পারে। এসব ক্ষেত্রে পাঠকরা কোনদিকে যেতে পারে ধারণা করা সম্ভব, যথারীতি নেভারেস্ট হিট। কিন্তু আপনার জায়গায় আমি হলে প্রথমেই যে কোনোভাবেই হোক মুসার এভারেস্ট জয়ের দাবিকৃত ছবি (আরিফ জেবতিক দিয়েছেন, যদিও এরও আগে সামুতে একই ছবিগুলো দেখেছি) সংগ্রহ করে গবেষণায় নামতাম। তারপরে সিদ্ধান্তে আসতাম, এর আগেও মুসা অসততা করেছেন এবং এবারও তিনি এভারেস্ট জয় করেননি। অথবা পূর্বে অসততা করে থাকলেও মুসা এবার এভারেস্টে সত্যিই চড়েছেন।
মুসার অসততা নিয়ে সিরিজ শুরু করেছেন কারণ আপনি বিশ্বাস করেছেন মুসা এভারেস্ট জয় করতে পারে না। স্পন্সরদের ঝামেলার কারণে ছবি প্রকাশে বিলম্ব ঘটছে এটা আপনি এখন বলছেন অথচ গবেষণার শুরুতে ভাবেননি। এটা কেমন কথা? আপনি নেভারেস্ট শুরু করতে পারতেন কেন ছবি দেওয়া হচ্ছে না এটা দিয়েই। প্রেশার দেয়া যেত মুসাকে ছবি আপলোড করার জন্য। শেষপর্যন্ত সবাই কিন্তু ছবিগুলোই প্রথমে দেখতে চেয়েছে।
যাই হোক, আপনি নেভারেস্ট ৩ এ অনেক কিছু আনবেন বলেছেন। সেটা শীঘ্রই আমরা দেখতে পাব।
নামলেন না কেন ভাই? আমার জায়গাটা নিতে আপনার সমস্যা কোথায় ছিলো? কেন আপনি নেভারেস্ট ০ লেখার পরপরই মুসা ইব্রাহীমের ছবি সংগ্রহ করে আমাদের সবার সামনে তুলে ধরলেন না ?
হ্যাঁ, মুসার এর আগের চারটি পিকের দাবিতে অসঙ্গতি খুঁজে পেয়েছি আমি। সেগুলো সম্পর্কে বিশদ খোঁজখবরও করেছি। সেগুলো নিয়ে লিখেছি, এবং এখনও যেহেতু সব লেখা সম্পূর্ণ হয়নি, আরো লিখবো। সেগুলো অপ্রাসঙ্গিক কি? আপনি কি বলতে চান, মুসা ফ্রে পিক, চুলু ওয়েস্ট, লাংসিসা রি আর অন্নপূর্ণা-৪ এ উঠেছেন, এমন নিশ্ছিদ্র প্রমাণ আছে আপনার কাছে? প্রকাশ করুন। সচলেই পোস্ট দিতে পারেন সেগুলো নিয়ে।
মুসা ইব্রাহীম, বা অন্য যে কোনো পর্বতারোহী, যতক্ষণ পর্যন্ত ছবি না দেখাবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি তার দাবি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করবো। এটাই সবচেয়ে সঙ্গত অবস্থান। ছবি প্রকাশ করার পর সে অবস্থান থেকে সরে আসা যায়। কিন্তু সে কেন সাড়ে চার মাস ধরে ছবি প্রকাশ করলো না, এ প্রশ্ন একবারও আপনাকে করতে শুনছি না। আপনি যদি মনে করেন, মুসার প্রমাণের কোনো দায় নেই, তাহলে এখানে কথা বলাই নিরর্থক।
আর, আপনার তো সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ছিলো, আপনার প্রস্তাবিত পদ্ধতিতে একটা কিছু লেখা। কোথাও লিখেছেন কি? লিঙ্কটা দিন, পড়ে আসি।
আমি নামব কেন? আমি তো মুসার এভারেস্ট জয় বিশ্বাস করেছি। পরে ব্লগে বিভিন্ন ছবি দেখে বিশ্বাস পোক্ত হয়েছ। আমি তো গবেষণার প্রয়োজন অনুভব করেনি, লিখব কেন?
আপনার নেভারেস্ট পড়েই আমি মুসার পূর্বের অসততা সম্পর্কে আলোকিত হয়েছি। বিশ্বাসও করেছি।
আরিফ জেবতিকের ছবিপোস্টের পর মুসার এভারেস্ট নিয়ে একটা সিদ্ধান্তে আসা গেছে। ছবি সম্পাদিত কিনা, আদৌ চূড়ার উপর থেকে তোলা কিনা সব কিছু যাচাই বাছাই হয়ে গেছে। এরকম একটি পোস্ট হতে পারত নেভারেস্ট সিরিজের প্রথম এবং একমাত্র পোস্ট।
[sb]আচ্ছা আপনিই বলুন, মুসার আগের অসততা নিয়ে আপনি নেভারেস্ট সিরিজ শুরু করলেন কী মনে করে?[/sb]
আপনি না নামলে, যে নেমেছে তাকে আপনি আপনার মতো করে কেন ভাবতে বলছেন?
প্রথমে দরকার প্রমাণ, এই কথাটা বুঝতে পেরেছেন তো? তাহলে এই কথাটায় স্থির থাকুন। তারপর নেভারেস্টের পোস্টগুলো পড়ে আসুন। দেখবেন, প্রমাণই চেয়েছি পোস্ট আর কমেন্টে। প্রমাণ দেননি মুসা। এখন যে দিয়েছেন, তা-ও বাধ্য হয়ে দিয়েছেন। নেভারেস্ট সিরিজটা না লিখলে প্রমাণের ধারই ধারতেন না। আগেও ধারেননি।
নেভারেস্ট সিরিজের আপনার প্রস্তাবিত প্রথম আর একমাত্র পোস্টটি আপনি লিখলেন না কেন? ছবি সংগ্রহ করে ব্যাখ্যা করলেই তো পারতেন। কেন আমি ছবি সংগ্রহ করতে পারলাম না, এই প্রশ্ন আমাকে যদি করেন, আমারও পাল্টা প্রশ্ন থাকবে, কেন আপনি সাড়ে চার মাস আগেই ছবিটি সংগ্রহ করে দেখালেন না?
সচলে সামুর ট্যাগগুলো কাজ করে না। বোল্ড করার জন্যে টেক্সট বক্সের ওপর দেখুন বাটন আছে।
আমি নেভারেস্ট পুরোদমে লিখতে শুরু করেছি জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে। এর আগের এক মাসে আমি প্রচুর অসঙ্গতি পেয়েছি মুসার বিভিন্ন সময়ের দাবিতে। সেগুলো তুলে ধরাই আমার উদ্দেশ্য ছিলো। ভবিষ্যতেও অসঙ্গতি পেলে তুলে ধরবো। সেসব অসঙ্গতিকে দূর করার মতো ব্যাখ্যা আপনার কাছে থাকলে এসে দিয়ে যাবেন।
ভাই প্রশ্নবিমুখ নন,
নেভারেস্ট সিরিজে হিমু কি আশেকানে মজলিশ খুলে বসেছে যে এটা পড়ে তার ভক্ত হতে হবে?
আমি প্রতিভাকে স্যালুট জানাই। ভালো লিখতে পারাকেও এজন্য স্যালুট। এই ক্যাটেগরীতে আমার স্যালুট পাওয়ার মতো লেখক সচলে অনেকেই আছেন, হিমু একা না।
তবে কোনো প্রতিভার জন্য কাউকে স্যালুট দিতে সেই লোকটির ভক্ত হওয়া লাগে না। হিমুর সাথে আমার চিন্তা-ভাবনার মিলও আছে, অমিলও অনেক। জীবনের প্রায়োরিটির দিকটায় মনে হয় অমিল সবচেয়ে বেশি, জীবনের স্টাইলেও অমিল অনেক। যেমন, হিমু স্পিন বোলার, আমি পেস লাইক করি, টার্নের চেয়ে ইয়র্কারকেই আমি লক্ষ্যভেদের উপায় হিসেবে বেশি প্রায়োরিটি দেই।
নেভারেস্ট সিরিজে আমি মনে হয় হাতে গোণা দুয়েকটি পোস্ট পড়েছি। যা মন্তব্য দিয়েছি, তাতেও মুসার এভারেস্টে ওঠা- না ওঠাটা আমার কাছে তেমন গুরুত্ব পায় নি। মানুষের জীবনের অর্জনের বিষয়ে আমি অনেকটা মাখন-ক্যাটেগরীর মানুষ, পানির সাথে লবণের যুদ্ধে আমার তেমন আগ্রহ থাকে না। তাই বাংলাদেশের কোনো অর্জনে গৌরববোধ করতে হলে সেটাকে বিশ্বের প্রেক্ষিতে বিচার করি, প্রতি বছরে শয়ে শয়ে (নাকি, হাজারে হাজারে?) লোক এভারেস্টে উঠছে আর একজন বাংলাদেশী সেই কাজ করে দেশকে কতোটা গৌরব এনে দিতে পারে, তার ট্যানজিবল হিসেবটা লাফ দিয়ে ওঠার মতো গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় না। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সিরিজ জয় বরং অনেক বড়ো একটা অর্জন। সুতরাং নেভারেস্ট সিরিজে আমার আগ্রহই খুবই সামান্য, আর লেখার প্রেজেন্টেশনও আমার জন্য খুব আগ্রহোদ্দীপক না, এই সিরিজ পড়ে লেখকের ভক্ত হওয়া তো অনেক পরের ব্যাপার।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
প্রশ্ন করার অধিকারটি বিশেষভাবে মৌলিক, এবং সকলের জন্য, সকলের পক্ষে সংরক্ষিত। অনেক কৃতজ্ঞতা।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
প্রিয় হিমু ভাই, আমি নেভারেস্ট সিরিজের একজন অনুসরণকারী। আমি মনে করি, আপনার মনে যে প্রশ্নের উদ্ভব হয়েছিল, তা গোটা দেশবাসীর মনেও হয়েছিল। আপনি নিজে অগ্রবর্তী হয়ে শত বাধা বিঘ্নের মুখেও সত্যের অনুসন্ধান করেছেন, মূল্যবান সময় এর পেছনে ব্যয় করেছেন সে জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
এই ছবিগুলো কেন কেবল মুসা ইব্রাহিমের বন্ধুরাই পাবেন, কেন দেশবাসীরা পাবেন না আমি এই প্রশ্ন করতেই পারি, তবে যাই হোক শেষ পর্যন্ত যে অনেক চাপের মুখে ওগুলো আলোর মুখ দেখল, আমরা অল্প পেয়ে খুশী বাঙালীরা তাতেই খুশী।
নেভারেস্ট সিরিজ থেকে আমি বুঝলাম যে, সাংবাদিকরা কি পরিমান চাপের মুখে কাজ করেন... হ্যাটস অফ ফর হিমু এন্ড জার্নালিজম...
পর্বতারোহণ নিয়ে সাংবাদিকরা কোনো চাপের মুখে এ যাবৎ কাজ করেছেন বলে আমি মনে করি না। পর্বতারোহণ নিয়ে এ পর্যন্ত যতগুলো রিপোর্ট হয়েছে, প্রায় সবই হচ্ছে পর্বতারোহীদের নিজেদের দাবি। সাংবাদিকরা সেগুলো চেকব্যাক করেননি। তবে আশা করি, ভবিষ্যতে করবেন। কারণ যদি আবারও অনিরীক্ষিত, অপরীক্ষিত স্টোরি সামনে আসে, প্রমাণ চেয়ে বা অসঙ্গতি ধরিয়ে দিয়ে আবারও কীবোর্ড ধরবো।
তবে অন্যান্য অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে তারা যে চাপের মুখে থাকেন, তাতে সন্দেহ নেই।
মুসার এভারেস্টের ছবির মতো বাকি প্রশ্নগুলোর উত্তরও আশা করি আরিফ জেবতিক বা অন্যান্যরা সংগ্রহ করবেন। ৬৫ হাজার ডলার মুসা কীভাবে বাংলাদেশ থেকে নেপালে পাঠালেন, এ প্রশ্নটা পাশ কাটানোর চেষ্টা করছেন সবাই। উত্তর পাবো, আশা করি।
তখন কী? হুণ্ডি কি ব্যক্তিবিশেষে জায়েজ নাকি?
তখনও কি আমরা প্রশ্ন করি?
ব্যাপারটা কি আমাদের প্রশ্ননির্ভর? আপনি হয়তো ছিনতাইকারীকেও কোনো প্রশ্ন করেন না, তাতে কি ছিনতাই হালাল হয়ে যায়?
আপনার ও সচলায়তনের প্রকাশিত বই এর টাকা কোন ব্যাংক মারফত বাংলাদেশে পাঠানো হয় এই প্রশ্নের জবাব দেবেন কি?
সেই পদ্ধতিটি কি হুনডি না অহুনডি
প্রশ্নকারক
আমার একট বই-ই প্রকাশিত হয়েছে এ যাবত, সেটির প্রকাশক শস্যপর্ব। আপনি হয়তো জানেন না ব্যাপারটা, বই প্রকাশনার খরচ সাধারণত প্রকাশক বহন করেন। আমার বইটি তার ব্যতিক্রম নয়।
সচলায়তনের প্রকাশিত বই এর খরচ অবশ্য প্রকাশক বহন করেননি, সে টাকা কোন ব্যাঙ্কের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে, আমি তখন জানাবো, যখন আপনি আমাকে জানাবেন, মুসা ইব্রাহীমের ৪৬ লক্ষ টাকা ঠিক কী সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিতে দেশের বাইরে গিয়েছে। কুইড প্রো কুও।
আপনে উত্তর দিসেন,
"আমি তখন জানাবো, যখন আপনি আমাকে জানাবেন, মুসা ইব্রাহীমের ৪৬ লক্ষ টাকা ঠিক কী সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিতে দেশের বাইরে গিয়েছে"
আমার প্রশ্নের সাথে মুসার টাকার কি সম্পর্ক? এটা কেন তেনা পেচানি ধরা হবে না? আপনে কি মুসার ছবি নিয়ে ঘুরানোর মতো একটা কাজ করলেন না এই কমেন্টে?
লোককে প্রশ্ন করে উত্তর না পেলে নেভারেস্ট সিরিজ নামে, আমরা করলেই "কুইড প্রো কুও"। সরি, প্রশ্ন করে দুঃখিত..
নেভারেস্ট ০-তে লিখলেন,
"বিশ্বাসের মতো অবিশ্বাসও গড়ে ওঠে আপাতদৃষ্টিতে তাৎপর্যপূর্ণ, কিন্তু অপ্রমাণিত তথ্যের ওপর। মুসা ইব্রাহীমের এভারেস্ট শীর্ষ জয় নিয়ে আমার প্রাথমিক উচ্ছ্বাস কেটে যায় দুয়েকটি তথ্য জেনে। যেহেতু নিছক সন্দেহের বশে কোনো বড় প্রাপ্তিকে উড়িয়ে দেয়া যায় না, আমি তাই প্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা শুরু করি। গত ৫ সপ্তাহে আমি আমার অবিশ্বাসের সপক্ষে এবং বিপক্ষে কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছি, সাক্ষাৎকার নিয়েছি এই ঘটনার সাথে পরোক্ষভাবে জড়িত কয়েকজন ভিনদেশী পর্বতারোহীর। "নেভারেস্ট" সিরিজে আমি ৫টি পর্বে এ তথ্যগুলো তুলে ধরবো।"
নেভারেস্ট লেখার যদি এই উদ্দ্যেশো হয় তাহলে কেন
"৬৫ হাজার ডলার মুসা কীভাবে বাংলাদেশ থেকে নেপালে পাঠালেন", এই প্রশ্নটা জরুরী হল এখন?
পর্বতারোহন থেকে মানি লন্ডারিং এ লাফ দেওয়াটা আশা করি উদ্দ্যেশ্যমূলক না..
হ্যাঁ, প্রশ্নটা জরুরি তো বটেই। এভারেস্টের আড়ালে, কিংবা প্রেয়ার ফ্ল্যাগের আড়ালে এ প্রশ্নটা চাপা পড়া উচিত না। আপনি যদি মনে করেন, এ ব্যাপারে আপনি কোনো কিছু জানতে চান না, তাহলে আমার কোনো আপত্তি নাই। কিন্তু আমার কৌতূহল রয়েই গেছে।
ডট ডট ডট
প্রশ্নকারক ভাই, আপনার যুক্তি আমারও যুক্তি।
হিমু তার বইয়ের জন্য টাকা নিয়েছে তার মামা শ্বশুরের কাছ থেকে, মামা শ্বশুরের ভাগ্নীকে যৌতুকের দায়ে অত্যাচার করার ভয় দেখিয়ে। আর হিমুর যেহেতু বাংলাদেশে কেউ থাকে না, সুতরাং তার মামা শ্বশুরই এক্ষেত্রে ভরসা ছিলো। নাইলে তো হুন্ডির মামলায় হিমু ফেঁসে যেতো!
তো এইবার হিমুর ব্যাপারটা তো বুঝা গেলো, কেমনে তার গোডাউন গোডাউন ভর্তি বই ছাপা হইলো। এইবার আপনে বলেন, হযরত মোজেস এব্রাহিমোভিচ আল এভারেস্টির কোন মামা শ্বশুর নেপালে থাকে যার কাছ থেকে সে টাকা নিয়ে এভারেস্টে গেছে?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মোসেস তো নিজেই বলেছে যে এই টাকার বিরাট একটা অংশ বোনের এ্যাকাউন্ট থেকে নিয়েছে। আমি সিওর না বোনের এ্যাকাউন্ট ঢাকায় নাকি কাঠমান্ডুতে।
রাতঃস্মরণীয়
নেভারেস্ট নিয়ে সমস্ত সিরিজে সবচাইতে বাজে ব্যাপার ছিলো ধুগোর মন্তব্য গুলো...সামান্যতম ভদ্রতার বালাই না দেখিয়ে, আপনি আপনার মতের বিপরীত লোকদের আক্রমন করেই চলেছেন +নাম বিক্রিত করা। ধুগো অনেক পুরাতন একজন ব্লগার, আপনার কাছ থেকে আসলে আরো সংযত ব্যবহারই আশা করা যায়। আর শেষ দিকে যোগ হয়েছে কাজি মামুন নামে আরেক অতিথির মন্তব্যগুলো। আপনারা কি মনে করেননা যে আপনাদের অই প্রতিউত্তর অনেক সময় বাজে আকার নিয়েছে? হিমু হয়ত অকাট্যভাবে বলেনি মুসা এভারেস্ট এ উঠেনি, কিন্তু ধুগো আর মামুন একদম প্রথমদিন থেকেই কনক্লুশন টেনে বসেছিলেন, এটা আপনাদের অনেক মন্তব্য থেকে বোঝা যায়।অনেক ব্লগের থেকে সচল এর পরিবেশ ভালো, আমরা যারা লিখতে হয়তো পারিনা, কিন্তু পরতে পছন্দ করি, আমরা আশা করতেই পারি এখানে অন্য ব্লগের মত ব্যক্তি আক্রমন না হয়ে শুধু যুক্তি দিয়েই সব কিছুর সমাধান হবে।
আর হিমু, ধরুন এক লোক দাবি করলো সে হিমালয় এ উঠেছে, কিন্তু আপনি মনে করলেন সে মিথ্যা বলতে পারে, তাই অকাট্য প্রমান না নিয়ে তার বিরুধে কোনো charge তোলা কি ঠিক? সে আগে মিথ্যা বলেছে, তাই শুধু এটার উপর ভিত্তি করে কোনো অকাট্য প্রমান ছাড়াই তার বিরুদ্ধাচারন করাটা মনে হয় এই কারনে ঠিকনা, কারন তার একটা ব্যক্তিগত লাইফ আছে...আর মুসার টাকা কিভাবে ট্রান্সফার হলো তা অডিটের দাবি জানাই, কারন সে এখন একজন আইকন, তার কাছ থেকে মানি লন্ডারিং আইনের অন্যথা আশা করিনা।
আমি চার্জ তুলিনি, সংশয়ের কথা জানিয়েছি। সেটা আমি জানাতেই পারি, যদি কোনো সর্বজনগ্রাহ্য প্রমাণ না পাই। আর মুসা ইব্রাহীমের ব্যক্তিগত লাইফ নিয়েও আমার কোনো আগ্রহ বা এনক্রোচমেন্ট নেই, তাই ওটা অপ্রাসঙ্গিক। অকাট্য প্রমাণ দেখতে না পেলে আমি সংশয়ের কথা বলে যাবো। এটাকে বিরুদ্ধাচরণ যদি মনে করেন, তাহলে অকাট্য প্রমাণ দিন, ব্যস, হয়ে গেলো।
আর যে আগে অসঙ্গতিপূর্ণ দাবি করেছে, তার সম্পর্কে সংশয় ঘনীভূত হওয়াই কি স্বাভাবিক নয়?
আপনিই কি উপরের মন্তব্যকারী 'প্রশ্নকারক'? যদি হন, তাইলে কোনো কথা নাই। ভূতের মুখে রামনাম শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা, নতুন কীর্তন শোনান।
আর যদি আপনি উপরের প্রশ্নকারক না হোন, তাহলে একটু মিলিয়ে দেখেন ধুগো কখন এবং কোন অবস্থায় আপনার অভিযোগ করা পন্থায় মন্তব্য করে।
সবাই তো আর আপনার কিংবা আনিসুল হকের মতো বিশ্বাসী না। যে মুসা'র মতো এক জোচ্চোর পর্বতারোহী বললো সে এভারেস্টে উঠেছে আর অমনি বগল বাজিয়ে বাজি ফোটাতে লেগে গেলো সবাই।
মূলতঃ এভারেস্টে মুসা উঠলো নাকি ঈসা উঠলো, সেইটা কোনো কালেই আমার মাথাব্যথা ছিলো না। এখনও নেই। বাংলাদেশের কেউ একজন উঠেছে, এটাই বড় কথা। কিন্তু সেই একজন বাংলাদেশীর পরিচয়ে যখন মুসার কার্যকলাপ বের হতে থাকে থলের ভেতর থেকে, তখন নিজেকে অসহায় মনে হয়। একজন নীতিহীন, বোধহীন, ফাউল প্রজাতির মানুষ কী করে বাংলাদেশের মতো পবিত্র নামকে নিজের নামের সাথে জড়াতে পারে? গরীবের বউ, সবারই ভাবী। বাংলাদেশের নামটাকে নিজের পসারের জন্য এমনকি মুসার মতো চিড়িয়াও ব্যবহার করতে শুরু করে।
শুরুর দিকে মুসার দাবির বিপরীতে অবস্থান করা বাংলাদেশের কয়েকজন পর্বতারোহীর "আমি" কেন্দ্রিক কথাবার্তা শুনে ভালো লাগে নাই বলে সরাসরি এই ভালো না লাগার কথা জানিয়েছিলাম। জানিয়ে ছিলাম এইজন্য যে এই লোকগুলিই পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচুতে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। যাদের মধ্যে অপরের জন্য বিন্দুমাত্র সৌজন্যবোধ নাই, যারা নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বকে জয় করতে পারে না, যাদের মধ্যে অপরের পশ্চাতে সর্বদা অঙ্গুলি প্রবিষ্টকরণেচ্ছা পরিলক্ষিত হয়, তারা যায় এভারেস্ট জয়ে! তাও বাংলাদেশের নামটাকে সাথে নিয়ে। কী রকম অপমানজনক কথা! মজার কথা হলো, এইটা যে একটা চরম অপমানের ব্যাপার, এইটাও মুসারা জানে না।
বাংলাদেশের মানুষকে পাইকারী হারে মুসারা ভুদাই মনে করে। এভারেস্ট জয় করলো, আসলো, দাবি করলো- ব্যস হয়ে গেলো। কয়েকজন সঙ্গী-সাথী জাতীয় দৈনিকে চোখ ছলছল করা একের পর এক গল্প লেখলো। ব্যস, প্রমাণ হয়ে গেলো এভারেস্ট জয়ের। এর মধ্যে কেউ কেউ প্রমাণ দেখতে চাইলে, প্রশ্ন তুললে তার খবর হয়ে গেলো। মুষলধারে উপদেশবাণী আসতে থাকলো, "কোন লাইনে, কী উপায়ে চাইলে কী মিলিবে"!
এক নেভারেস্ট সিরিজ লিখার অপরাধে হিমুর সাথে মুসা চণ্ডালের মতো কথা বলে। এভারেস্টজয় কথাটার মানে বুঝে মুসা? ওর মতো একজন চণ্ডালকে কেনো বাংলাদেশের প্রথম এভারেস্টজয়ী হিসেবে মেনে নিবো আমি? একজন চণ্ডাল তো বাংলাদেশের আইকন হতে পারে না। আমরা তো জাতিগত ভাবে এতোটা নীচে এখনও নামি নি।
মুসার বন্ধুবান্ধবেরা একটা বাচ্চা মেয়েকে পর্যন্ত রেহাই দেয় নি তাদের ফালতু, থার্ডক্লাস মকারি থেকে। স্বনামধন্য লুৎফর রহমান রিটন-কেও বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হয় নি, কেবল তিনি নেভারেস্টের লেখক হিমু'র বইয়ের মোড়ক উন্মোচনে কিছু কথা বলেছিলেন বলে। পদে পদে সচলের প্রত্যেক সদস্যকে রীতিমতো পাইকারী দরে প্রায়ই ভুট্টাভাজা করা হয় অত্যন্ত কদর্য ভাষায়।
আর আপনি যাত্রাপালার বিবেকের মতো এইখানে আসছেন ধুগোর খুত ধরতে?
শোনেন বস, আমি এভারেস্টজয়ী না। আমি জাতির বিবেকের দায়িত্বও নেই নাই। বাংলাদেশকে নিজের নামের সাথে জড়ায়ে কোনো কিছু দাবিও করি না। বাংলাদেশের সাধারণ পাবলিকের গোয়ায় পা দিয়ে নিজের মাথা উঁচুও করি না। সম্পূর্ণ স্বাধীন মানুষ আমি, একজন স্বাধীনচেতা বাংলাদেশী। যতোক্ষণ পর্যন্ত না একজন নিজের অর্জনকে বাংলাদেশের সঙ্গে না জড়াবে ততোক্ষণ আমি চুপ করে থাকবো। কিন্তু কোনো বাটপার যদি নিজের অর্জনকে বাংলাদেশের নামের সাথে জড়ানোর ধৃষ্টতা দেখায়, আমি আপনার মতো মিষ্টি কথার বুলি পকেটে নিয়ে চুপ করে থাকতে বাধ্য নই। যদি কোনোদিন উপরের গুণাবলীগুলো আমার আয়ত্বে আসে, তখন আপনার মতো মিষ্টভাষী হওয়ার চেষ্টা করবো নি। তার আগ পর্যন্ত আমারে আমার মতোই থাকতে দেন নাহয়।
আর আপনি যাত্রা পালার বিবেকের মতো হঠাৎ উপস্থিত হয়ে আমার কনক্লুশন নিয়ে মাথা ঘামায়েন না। হুদাই পেরেশান হবেন। তারচেয়ে মুসাকে গিয়ে টিপস দেন, খানিকটা 'ডেকোরাম' যেনো শিখে নেয় পরবর্তী কিছু দাবী করার আগে। ২৬ লাখ টাকার একটা প্রজেক্ট আছে না ওর সামনে, ক্লাইম্বিং ওয়াল বানানোর?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ছিনতাইকারী টাইপ বহু উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। তেনা পেচানোই হবে।
কিন্তু আমার কথা হলো, যদি আপনি জানতে পারেন, মুসা হুন্ডি করে বা দালালদের মাধ্যমে টাকা নেপালে নিয়েছেন তখন কি তাকে আইনের আওতায় আনার জন্য পোস্ট লিখবেন? যদি আপনি জেনে থাকেন কোনো প্রবাসী স্টুডেন্ট হুণ্ডির মাধ্যমে টাকা আনা নেওয়া করছেন তখন কি আপনি তার চৌদ্দগুষ্টির ঠিকানা সমেত পোস্ট দিবেন? সবগুলোর উত্তর যদি হ্যা হয় তবে মুসার মানি লণ্ডারিং আইনে বিচার চাই।
মুসা হুণ্ডি করে টাকা নিয়ে গেছেন, এ কথা কিন্তু আমি বলছি না । বলছেন আপনি। আমি বলছি, এ ব্যাপারটাও মুসার পরিষ্কার করা উচিত।
কোনো প্রবাসীর চৌদ্দগুষ্টির ঠিকানা নিয়ে আমার আগ্রহ নাই, কারণ প্রবাসীর কাজের দায় তো আর তার চৌদ্দগুষ্টির নয়।
আর আপনি যদি মানি লণ্ডারিং আইনে কারো বিচার চান, সেটা হওয়া উচিত ফ্যাক্টনির্ভর। আমাকে করা কোনো প্রশ্নের ইতিবাচক উত্তরনির্ভর হওয়া উচিত নয়। তাই না?
ইমো দেওয়ার কিছু নাই। হুণ্ডি করে নিয়ে গেছে এটা যে শিওর না হয়ে উদাহরণ হিসেব বলছি সেটা আপনি বুঝতে পারছেন।
বৈধ চ্যানেলে টাকা আনা না নেওয়াটাই সবচেয়ে বড় ফ্যাক্ট। মুসা আজকে সেলিব্রেটি বলেই তার হিসাব চাইব আর ইয়ার দোস্তদের কিংবা পরিচিত কারোরই খবর জানতে চাইব না সেটা কী ঠিক?
আপনি যদি সেলিব্রিটিদের হিসাবের ঊর্ধ্বে মনে করেন, সেটা আপনার বিবেচনা। আপনার মতো করে চিন্তা করার কোনো দায় পড়েছে আমার?
মুসা সেলিব্রটি আর তাকে হিসাবের উর্ধে মনে করলাম কই? বরং মুসার সাথে আমজনতার ব্যাপারেও সমান বিচার চাইলাম।
আশীফ এন্তাজ নাকি?
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
আবার্জিগস!
কাকস্য পরিবেদনা
এটা কেমন কথা বললেন ভাই/আপা! অনেক প্রবাসী হুন্ডি করে বলে মুসাও করবে! ভালো বলেছেন। হুন্ডি যেই করুক না কেনো তা আইনের চোখে অপরাধ এবং সে অপরাধ এভারেষ্ট কেনো, পায়ে হেঁটে চাদে গেলেও ইনডেমনিফাই হয়না। অপরাধ যেই করুক না কেনো, তা অপরাধ।
রাতঃস্মরণীয়
হুন্ডি করাটাই অপরাধ, মুসা আর যেই হোক। কিন্তু আমরা সবক্ষেত্রেই সরব কিনা এটাই ছিল আমার প্রশ্ন।
আসলে আপনি লজিক্যাল স্পিরিটে কথা বলছেন না। নিচে উদাহরণ দিচ্ছি, আমাকে তার উত্তর বলেন-
১. গু তো সব মাছই খায় তাহলে শুধু পাঙ্গাসের দোষ হয় কেনো?
২. বাংলাদেশে তো শত শত ব্লু ফিল্ম তৈরী হয়, তবে শুধু ××র একার দোষ হয় কেনো?
দাম ও স্বাদের হিসেবে পাঙ্গাস মাছ একটা হাই লেভেলের মাছ আর ××ও একজন সেলিব্রিটি মডেল-অভিনেত্রী। আমরা হাইফাই বা সেলিব্রিটিদের ভালো এবং মন্দ দুটো দিকই বড় করে দেখি।
মুসা পাঙ্গাস বা ××, দুটির থেকেই অনেক হাইলেভেল সেলিব্রিটি। কাজেই তার বিষয়গুলো আলোচনাতে বড় হয়ে আসবেই। আর যেহেতু এই লেখাটা মুসাকে নিয়ে, তাই এখানে মুসার কথাই বারবার আসবে, তারেক-আরাফাত-মামুনের নাম আসবে না।
রাতঃস্মরণীয়
এই মন্তব্যের কিছু অংশ মুছে দেয়ার দাবী করে মডারেটরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির গন্ডি ভেতরে থাকবার জন্য যে আপোশহীনতা, অধ্যবসায় বা শক্তির প্রয়োজন, সেটা পর্বতারোহন না হোক, ফেলনা নয়। অভিনন্দন। সামনে আরো উঁচু চ্যালেঞ্জ আসবে।
এই কথাটা ব্যাপক লাইকাইলাম! এটা আমাদের অধিকার বলে মনে করি! ভবিষ্যতে যে যেইখানে যা অর্জন করুক যেন এ ঘটনাগুলো মাথায় রাখেন এবং সঠিক ভাবে প্রমাণ হাজির করেন, তাতে অযথা আমজনতার মাঝে দ্বিধা-দ্বন্দ উতপত্তি থেকে রেহাই পাবেন, আমরাও পরিষ্কার মনে আমাদের অর্জন নিয়ে গর্ব করতে পারব।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ব্যক্তিপরিচয় এবং সম্পর্কের উর্দ্ধে উঠে, প্রশ্ন এবং তার উত্তর অনুসন্ধানের জন্য।
যুক্তির জয় হোক।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
স্পর্শ, আমি আগেও উল্লেখ করেছি, মুসা ইব্রাহীমের সাথে আমার পূর্বপরিচয় নেই, অনুরাগ বা বিরাগও নেই। তাই সম্পর্ক বা ব্যক্তিপরিচয় এখানে অপ্রাসঙ্গিক। মুসার ইয়ারদোস্তোরা সামুতে দেখলাম বলার চেষ্টা করছে, আমরা পূর্বপরিচিত এবং এগুলো নেহায়েত ইগো-সংঘর্ষ। আপনার এই মন্তব্য যাতে আবারও বিভ্রান্তির সূচনা না করে, সেজন্যে আবারও ব্যাখ্যা দিলাম।
দুঃখিত। আমি আসলে এভাবে ভাবিনি।
আমি জাস্ট বলতে চেয়েছিলাম, আপনি কিছুই পারসোনালি নেন নি। সে জন্য আপনার প্রতি শ্রদ্ধা। সামুব্লগে না যাওয়ার কারণে এসব মিথ্যা অভিযোগ সম্পর্কে আমি অভিহিত ছিলাম না।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
চমৎকার হিমু ভাই! শ্রদ্ধা।
যুক্তির জয় হোক!
হিমু তোমাকেও ধন্যবাদ এই সিরিজটির পেছনে সময় দেবার জন্য। সিরিজের সব লেখাগুলিই পড়েছি মনোযোগ দিয়ে, যদিও মন্তব্য করা হয় নাই। মুসার এভারেষ্ট জয়ের পক্ষে বিপক্ষে মন্তব্যে সবার যুক্তি তর্কগুলো বেশ ভাল লেগেছে, তবে যখন তা যুক্তির দরজা পেরিয়ে আবেগ বা ব্যক্তি পর্যায়ে চলে গিয়েছে তখন হতাশ হয়েছি। ভাল লাগল তোমার এই কথাগুলিঃ
বুয়েটে ২০০১ বা ২০০২ এর দিকে পঞ্চম বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের বিতর্ক প্রতিযোগীতার আয়োজক ছিল বুয়েট ডিবেটিং ক্লাব। সেই আসরের মোটো ছিলঃ
আমাদের লেখালেখি বা বিতর্কে এই কথাটির প্রতিফলন ঘটুক সবসময়।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
সচল জাহিদ ব্লগস্পট
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আরিফ ভাই ছবি প্রকাশের আগে মুসার এভারেস্ট শীর্ষে তোলা ছবি এবং বিভিন্ন জায়গায় মুসার এভারেস্ট শীর্ষে আরোহন নিয়ে প্রশ্ন উঠে। হিমু নেভারেস্ট সিরিজ লেখার আগে অনেকেই এই প্রশ্নটি তুলেন। কিন্তু কারো কথাই বাজার ধরতে পারেনি, সবাই উড়ো কথা বলে মুসার এভারেস্ট শীর্ষে উঠা নিয়ে বিতর্কটাকে বাতাসে উড়িয়ে দিযেছে। কিন্তু একমাত্র হিমু তার নেভারেস্ট সিরিজ দিয়ে মুসার অভিযান যুক্তি এবং নানারকম বিশ্লেষণে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিলেন, যেটা আমার মতো অনেকেই বিশ্বাস করেছেন। মুসার অনেক কাছের লোককেও আমি দেখেছি বিষয়টি নিয়ে দোনামনা করছেন। কিন্তু হিমু নেভারেস্ট শুরু করার পর মুসা এই ব্যাপারে কোথাও কোনো বক্তব্য দেননি। তার কৃতি বন্ধুরা অন্য ব্লগে হিমুকে নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন, নেভারেস্ট লেখার কারণে হিমুকে নিয়ে বড় বড় সাংবাদিক ব্যঙ্গ করে গল্প কবিতা ফেঁদেছেন, কিন্তু কেউ এসে মুসার পক্ষ থেকে এমন কোনো যুক্তি বা লেখা দিতে পারেননি- যা দেখে নেভারেস্ট সিরিজের পাঠক বিশ্বাস করে মুসা এভারেস্ট শীর্ষে গেছেন।
একবার বিশিষ্ট সাংবাদিক রিফাত ফারজানা এসে হম্বিতম্বি করে নাই হয়ে গেলেন, আশীয় এন্তাজ রবি এসে যুদ্ধ চালিয়ে গেলেন, নামে বেনামে অন্য ব্লগে কেউ কেউ বড় বড় অনুসন্ধানী পোস্ট ও প্রতিবেদন লিখলেন, কিন্তু কারো লেখা নেভারেস্টের কাছাকাছি যেতে পারলো না ! এই কারণে আমরা ( এই দলে অনেক বড় বড় সাংবাদিক আছেন/ ফান ম্যাগাজিন বা ফিচার সাংবাদিক না ) হিমুকে আদর্শ কলমসৈনিক মনে করে নেভারেস্ট সিরিজকে এভারেস্টের উচ্চতায় নিয়ে গেলাম। দেশের অনেক বড় বড় সাংবাদিককে বলতে শুনেছি- কোনো পেশাদার সাংবাদিককে এসাইনমেন্ট দেয়া হলেও নেভারেস্টের মতো একটা সিরিজ লিখতে পারতো কিনা সন্দেহ আছে!
হিমু নেভারেস্ট লিখতে গিয়ে অনেক কষ্ট করেছেন, আমরা এই সিরিজের পাঠক ছিলাম, সচলের বাইরে অনেকেই গভীরভাবে সচলে চোখ রেখেছেন নেভারেস্ট সিরিজ পড়ার জন্য, রিফাত ফারজানা ছবি দেননি, কিন্তু আরেক সচল আরিফ জেবতিক মুসার এভারেস্ট ছবি সচলে প্রকাশ করে বিশ্লেষণধর্মী লেখা দেওয়ার পর মুসার এভারেস্ট জয় বিষয়ক সন্দেহ অনেকের মন থেকেই দুর হয়ে যায়। কিন্তু এতদিন পর ছবি প্রকাশের পেছনেও কারণ খুঁজতে গেলে নেভারেস্ট সিরিজ থাকবে সবার উপরে, হিমু থাকবেন এভারেস্টে না চড়েও পর্বতারোহণের বড় একজন বিশ্লেষক হয়ে।
অন্যদিকে হিমুর নেভারেস্ট সিরিজের কারণেই হয়তো মুসা ইব্রাহিমকে এখন আর আমজনতার প্রশ্নবানে জর্জরিত হতে হবে না, পর্বতারোহণের তার সাবেক বন্ধুদের কথা শুনে কেউ আর মুসার দিকে সন্দেহের আঙ্গুল তুলবে না। কারণ, কোনো একটা বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায় খুব সহজেই, কিন্তু হিমুর মতো নেভারেস্ট লেখা যায় না। আর এই কারণেই মুসা ইব্রাহিম বিতর্কের উর্দ্ধে উঠে প্রথম বাংলাদেশী এভারেস্ট জয়ী ।
অভিনন্দন হিমু।
অভিনন্দন মুসা ইব্রাহিম।
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
যেই প্রশ্নগুলো সাংবাদিকদের করা উচিত ছিলো, সংবর্ধনা দেওয়ার আগে সরকারের তরফ থেকে যেই প্রমাণগুলো চাওয়া উচিত ছিলো, সেগুলো সামনে দেখতে পেয়েছিলাম হিমু ভাইয়ের এই শ্রমলব্ধ সিরিজে। অনেক, অনেক অভিনন্দন এই সিরিজের জন্য। কাজে "ফাঁকি" দেওয়া অনেকেই হয়তো শিখতে পারলেন কীভাবে যাচাই-বাছাইয়ের কাজ করতে হয়।
"সম্পাদিত" ছবি হওয়ায় একটু খচখচ থেকেই যায়। তবে, ঐ "ফার্স্ট স্টেপ", "সেকেন্ড স্টেপ"গুলোর উচ্চতা দেখেই মাথা ঘুরে যাওয়ার যোগাড়। অভিনন্দন রইলো। সম্ভব হলে মূল ছবিগুলো দেখতে চাই।
এই পোস্টের স্পিরিটকে স্যালুট জানাই...
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে, সুখের স্রোতে ভাসাও তরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
শেষ কথা এটাই।
শ্রমসাদ্ধ একটি সিরিজ শেষ হয়েছে সে জন্য হিমুকে অভিনন্দন।
হিমু ভাই,
আমি এই নেভারেস্ট সিরিজটি শুরু থেকেই পড়ে আসছি।শুধু একটা কথাই বলি,সুতীব্র বিচার-বিশ্লেষণের পর একজন খাঁটি যুক্তিবাদীর মতই আপনি যখন প্রমাণ পেয়ে সন্তষ্ট হয়েছেন তখনই নির্দ্বিধায় পোস্টে লিখেছেন যে মুসা ইব্রাহিমের এভারেস্ট জয়ের পক্ষে ওই ছবিগুলো জোরালো প্রমাণ।আপনি যে সত্যিকার অর্থেই সত্যানুসন্ধান করছিলেন,নিছক ঈর্ষা বা বড় কোন অর্জনকে খাটো করার হীন প্রয়াস থেকে নয়-এটা তার জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ।
প্রবীর ঘোষের লেখায় পড়েছিলাম যে যুক্তিবাদীরা নমনীয়,যত্যি যদি স্রষ্টার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ তারা পায় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তার অস্তিত্ব মেনে নিতে তাদের কোন আপত্তি থাকবেনা।এটি যদিও সেরকম কিছু নয়,তারপরেও বলব,প্রমাণ পাবার পরেও এভাবে সত্যকে মেনে নিতে অনেক বড় বুকের পাটা আর উদার মনের দরকার হয়-যেটা খুব কম মানুষেরই আছে।আপনার সততাকে শ্রদ্ধা জানাই।
এই অধমের সেই ছোটবেলা থেকে ইচ্ছা এরকম পর্বতারোহন করবার।ভবিষ্যতে যদি কখনো সুযোগ হয় তাহলে এরকম অভিযানে যাবার আগে অবশ্যই অবশ্যই আপনার সাথে দেখা করে যাবো শুধু এটা নিশ্চিত হবার জন্যে যে কিভাবে আমার পর্বতা্রোহনের দাবীর সাথে অকাট্য প্রমাণও আনতে পারি।
আপনার এ লেখা ভবিষ্যত পর্বতারোহীদের জন্যে বিরাট সম্পদ হয়ে দাঁড়াবে ঠিক এই কারণেই।
আমি জানি এখন অনেকেই আপনাকে বিদ্রুপ করবে তবে অন্ততঃ আমি আপনাকে সশ্রদ্ধ চিত্তে সেলাম জানাই।
সাবাস মুসা ইব্রাহীমের এভারেস্ত জয়-সাবাস হিমুর সততা!
কোনো সামিটে চড়লে নিজেকে ফ্রেমে রেখে একটা প্যানোরামিক সুইপ নেবেন। ভিডিও করতে পারলে আরো ভালো। ফিরে এসে এগুলো ফ্লিকারে আর ইউটিউবে তুলে লিঙ্কসহ একটা পোস্ট দেবেন কোনো ব্লগে। যদি জিপিএস সাথে থাকে, লগ ফাইলটা কোথাও আপ করে লিঙ্ক দিয়ে দেবেন। আপনার নিজের চেহারার চেয়ে জরুরি আপনার পেছনে ভৌগোলিক ফিচারসহ দিগন্ত। সেগুলো যাতে ওভারএক্সপোজড বা আন্ডারএক্সপোজড হয়ে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। ডিজিটাল ক্যামেরায় তো ছবি ডিসপ্লেতে দেখাই যায়, কাজেই ছবি তোলার পর চেক করে নেবেন, সঠিক এক্সপোজার এলো কি না।
আপনার উদার প্রশংসার জন্যে ধন্যবাদ।
মুসার বরং আপনাকে ধন্যবাদ দেয়া উচিত। এই সিরিজের কারণে তার এভারেস্ট বিজয় নিয়ে সংশয় দুর হতে যাচ্ছে। নতুবা তার ট্র্যাক রেকর্ড বার বারই এভারেস্ট বিজয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করত।
ব্যক্তিগত ভাবে নেভারেস্ট সিরিজ এর লেখক কে ধন্যবাদ কারণ এই লেখাগুলো না পড়লে অনেক কিছুই অজানা থেকে যেত! এধরনের লেখা আমাদের বর্তমান সমাজের জন্য খুবই দরকার কারণ আমাদের সব কিছুতেই ভেজালে ভরে গেছে! যারা ভেজালকারী তারা জানে যে, আমাদের সমাজে আমজনতাকে ভুং-ভাং দিয়ে বোঝানো ওয়ান-টুর ব্যপার আর তারা এটাও জানে এত সমস্যার বাংলাদেশে অন্যের তোষামোদী যতটুকু সহজ ঠিক ততটাই কঠিন নিজের খেয়ে-পড়ে ভেজালকারীর মুখোশ উন্মোচন করা! অনেক সাংবাদিকের জন্যও নেভারেস্ট সিরিজটি একটি উত্সাহ হতে পারে কারণ অনেকেই চায়ের টেবিলে বসেই তাদের দায়িত্বটি শেষ করে ফেলেন (আশাকরি সাংবাদিক সমাজ নাখোশ হবেন না, আপনারা সবাই কিন্তু একই রকম না !
লেখকের সমালোচনা করলে যা বলতে হয় তা হলো মাঝে মধ্যে নিজের মেজাজ বা রাগের বহিঃপ্রকাশ কিছু কিছু মন্তব্যে প্রকাশ পেয়ে গেছে (হয়ত টগবগে বয়সের কারণে যা সংযত হলে আদর্শটা আরেকটু উচুঁতে অবস্থান করত (অবশ্য অনেকেই বলবেন যে লেখক আগে অন্যের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলেন, কিন্তু তারপরেও লেখক তো !
এ ব্লগ সে ব্লগ ঘুরতে ঘুরতে বুঝতে পেরেছি, অনেকেই নিজের ব্লগের বাইরের ব্লগগুলোকে তেমন একটা আমল দিতে চান না! সচলায়তন এর অনেকেই অন্য ব্লগে লিখেন না! ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি এতে কিন্তু "ভালো" কিছু হচ্ছে না, বরং খারাপের চর্চা টা অনেক ক্ষেত্রেই বেড়ে যাচ্ছে যা সামগ্রিক ভাবে ব্লগ কালচার তথাপি সমাজের জন্যই মঙ্গলজনক কিছু না! তাই সবাইকেই অনুরোধ করব নিজ ব্লগে লেখার পাশাপাশি, চোখের সামনে যদি কখনো অন্য কোনো ব্লগ আসে আপনারা আপনাদের মন্তব্য দিয়ে আসবেন অন্যথায় অনেক খারাপ কিছুই ফাঁকা মাঠে গোল হয়ে যেতে পারে!
পুনশ্চ: আশঙ্কা হচ্ছে এখন না আবার বিভিন্ন ব্লগে কে কত নীচ, হঠ ইত্যাদি ইত্যাদি আলোচনা শুরু হয়!
অনেক আগে থেকেই আমি আপনার এই সিরিজ ফলো করছিলাম। আর অপেক্ষায় ছিলাম আপনার এই দিনের। অনেক অনেক অভিনন্দন হিমু আপনাকে যে শেষ পর্যন্ত আপনার বিপক্ষে গেলেও সত্যটা আপনি স্বীকার করেছেন। এমন সাহসও সবার থাকে না। তবে আপনাকে আমি অনেক উদার চিত্তের ভেবেছিলাম। আপনার এই মিনমিন করে কথা বলাটা ভালো লাগলো না।
আমি যতটুকু পড়েছি মুসার এভারেস্ট জয়ের খবর আসার পর আপনি এই হিমুই সচলে ব্যানার আপ করেছিলেন। আবার আপনিই সেটা নামিয়েছিলেন। খুব খুশি হবো বাংলাদেশের এভারেস্টজয়ীর প্রতি সম্মান দেখিয়ে একবারের জন্য হলেও সচল মুসার সেই ব্যানারটি আবার আপ করবে। এটা সত্যিই সচলের জন্য একটা বড় ব্যাপার হবে।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। মুসা ইব্রাহীমের জন্যও প্রানঢালা অভিনন্দন আর ক্ষমা চাই তাকে বিব্রতকর কিছু পরিস্থিতিতে ফেলার জন্য।
সম্মান দেখিয়ে মুসার জন্যে আরেকটি ব্যানার হয়তো আমি নিজেই নকশা করতাম, যদি এই গোটা অনুসন্ধানের কাজে কোনো সহযোগিতা তিনি বা তার বন্ধুরা করতেন। আমি প্রশ্ন উত্থাপন করে তাদের কাছ থেকে গালিগালাজ ছাড়া আর কিছুই পাইনি। কাজেই দুঃখিত।
হিমুকে তার একনিষ্ঠ সত্যানুসন্ধানের জন্য অভিবাদন জানিয়ে গেলাম! সেই সাথে তীব্র ধিক্কার সেই সব মুখোশধারীদের যারা যুক্তির উত্তরে ব্যাক্তি আক্রমণে আমোদিত হয়!
স্যালুট টু দ্যা স্পিরিট।
সজল
ভবিষ্যতে নাম-বেনামী পত্রিকার কোন খবরই যাচাই না করে, প্রমাণ ছেড়ে কেবল আবেগের বশে প্রকাশের আগে সাংবাদিকেরা অন্ততঃ একটু ভাববেন...
নেভারেস্ট সিরিজ এবং এর সম্পর্কিত আলোচনা থেকে এইটিই চাওয়া...
_________________________________________
সেরিওজা
অবশেষে!!
আমি অবশ্য একটু দুঃখিত নেভারেস্ট ০৩ পড়তে না পারার কারনে।
কাজী মামুন ভাই এ সংক্রান্ত কোন এক পোস্টে আমাকে একটু খারাপভাবে উপস্থাপন করায় আমি নেভারেস্ট পোস্টগুলোতে আর মন্তব্য করিনি। কিন্তু অনেক উৎসাহী জনতার মত ঠিকই অনুসরণ করে গিয়েছি দিনের পর দিন।
হিমু ভাইয়ের কাছে আমার একটা প্রশ্ন আর একটা ছোট্ট নিবেদন-
প্রশ্নটা হল ব্র্যান্ডন ও'ম্যাহনি এর সঙ্গে যদি আপনার জুন মাসের শুরুতে যোগাযোগ হয়ে থাকে এবং সে মুসার সামিট সম্পর্কে নিশ্চিত নয় একথা তখনই জেনে থাকেন তবে সে তথ্যটি সরাসরি তখনই না দিয়ে আপনি অন্যান্য পোস্টগুলো দিলেন কেন?
আর নিবেদনটা হল, যেহেতু মুসার এভারেস্টে সামিটের ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ ও ধারাবাহিকভাবে পোস্ট প্রদানের মাধ্যমে আপনি মুসাকে মানসিকভাবে কিছুটা হলেও যন্ত্রণা দিয়েছেন এবং চার মাস পরে আপনি নিশ্চিত হয়েছেন যে এভারেস্টের উপরে মুসা কর্তৃক প্রদান করা ছবিগুলোতে আসলে মুসাই ছিলেন; অতএব আপনি মুসার কাছে দুঃখ প্রকাশ করবেন তাকে এতদিন ধরে মানসিক যন্ত্রণা দেবার জন্য।
ভালো থাকবেন।
ব্র্যাণ্ডন আর স্টিফেনের সাথে যোগাযোগের পরও আমি সময় নিয়েছি অন্যান্য সূত্র সংগ্রহের জন্যে। ব্র্যাণ্ডনের সাথে কথা হয়েছে জুনের শুরুতে, স্টিফেনের সাথে জুনের শেষে। অন্যান্য ফ্যাক্ট সংগ্রহ আর পরীক্ষা করতেও সময় লেগেছে। এই সময় নিরবচ্ছিন্নভাবে দেয়া সম্ভব ছিলো না, কয়েক সপ্তাহ ধরে হয়তো একটা ফ্যাক্ট চেক করতে হয়েছে।
আপনার নিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করছি, কারণ এই চার মাস ধরে আমি নিজের জন্যে রাখা সময় মুসার পাঁচটি পর্বতারোহণের ক্লেইম নিয়ে গবেষণার কাজে ব্যয় করেছি। তার একটির সপক্ষে মুসা নিতান্ত বাধ্য হয়ে প্রমাণ প্রকাশ করেছেন, তা-ও তৃতীয় ব্যক্তির মাধ্যমে, বাকি চারটির ক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য ও যুক্তি রয়েছে। তার সাথে কথা বলার জন্যে যোগাযোগ করেছি, তিনি কথা বলতে অসম্মতি জানিয়েছেন। তাই মুসার কাছে দুঃখপ্রকাশের প্রশ্নই আসে না। বরং এখনও অন্নপূর্ণা-৪ নিয়ে অনেক কিছু লেখার আছে আমার। সেগুলো এই উইকেণ্ড আর সামনের উইকেণ্ড মিলিয়ে লিখবো।
নিবেদন রাখা না রাখা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এটা মানুষের উদারতার ব্যাপার।
একটা ব্যক্তিগত অনুরোধ করি। নেভারেস্ট সংক্রান্ত সকল পোস্টগুলো মন্তব্যসহ যদি আপনি একটা ই-বুক আকারে প্রকাশ করেন এবং একটা সারমর্ম/বিশ্লেষণ (পর্বতারোহীদের কী করা প্রয়োজন/কী নয়) তাহলে মনে হয় সবারই উপকার হতো।
আর আপনার বই/লেখালেখি/ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ফিফা গং যা করেছে তা আমার ভালো লাগেনি এ কথাটা জানিয়ে রাখলাম। একই সঙ্গে সচলায়তনে মুসা/রবি/আনিসুল হক এদের নাম বিকৃত করে লেখাটাও খুব ভালো লাগেনি। বিশেষত বর্তমানে কাজী মামুন ভাইকে সামু ব্লগে যেসব নামে ডাকা হচ্ছে তা আমার পছন্দ হচ্ছে না, প্রতিবাদও করতে পারছি না ওখানে কমেন্ট অ্যাকসেস নেই বলে। আশা করি ভবিষ্যতে সবাই এ ধরনের কাজ করতে দু'বার ভাববেন।
কোনো সামিট দাবির ক্ষেত্রে প্রমাণের জন্যে একটা স্ট্যাণ্ডার্ড প্রস্তাব করতে চাই, সেটা পরে সময় পেলে লিখবো। ই-বুক হিসাবে প্রকাশের প্রয়োজন নেই বোধহয়, ট্যাক্সোনমিতে ক্লিক করলে লেখাগুলো একসাথে চলে আসে।
হিমুকে ধন্যবাদ। তার প্রশ্ন তোলার কারনে পর্বত আরোহন সম্পর্কে বহু কিছু জানতে পেরেছি। সেই সাথে বিশেষ করে র্স্পশর কারনে ছবি বিশ্লেষন সম্পর্কে আনেক কিছু জেনেছি। আমি খুবই খুশি যে শেষ পর্যন্ত এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে, মুসা ইব্রাহিম আসলেই এভারেস্ট জয় করেছেন। কিন্তু একটা কথা না বলেই পারছি না, হিমুর পোস্ট যতটাই যুক্তিভিত্তিক ছিল, তার সহব্লগারদের অনেকেরই মন্তব্য ছিল ততখানি যুক্তিহীন ও আক্রমনাত্নক। বিশেষ করে মুসার নাম বিকৃতি। আগেও আনেকেই এই ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছিলেন। আমি আবার জানালাম। আপনাদের মত শিক্ষিত, সচেতন লোকেদের কাছ থেকে এ ধরনের কাজের বদলে শুধুমাত্রা হিমুর মত যুক্তিপুর্ন পোস্ট ও মন্তব্য আশা করছি। পরিশেষে, মুসাকে অভিনন্দন আবারো।
আমি অন্যদের মতো নেভারেস্ট পর্বগুলোর গাদাখানেক প্রসংশা করে কী-বোর্ড ভাংবো না... মূসা ভাই সাধু হয়ে হিমালয়ে গেলেন নাকি এভারেস্ট জয় করে এলেন সেটা নিয়েও কিছু বলার দরকার নেই, সে সব যুক্তি ও প্রমানের ব্যাপার।
কিন্তু মূল কথা যেটা বলতে চাচ্ছি, সেটা হলো নেভারেস্টে করা প্রশ্নগুলো ও মূসা ভাইয়ের বক্তব্যার অস্পষ্টতা। এই খটকা ও লুকোচুরী নিয়ে তোলা প্রশ্নগুলো কিন্তু সত্য!
প্রশ্নগুলোই গুরুত্বপূর্ণ, মুসা কি করলো তাতে এই ক্ষেত্রে কিছু আসে যায় না।
--- থাবা বাবা!
পোস্টে সাধুবাদ। আমার মনে হয়েছে এই গবেষণাটা যতটা মুসার সফলতাকে সামনে আনল তার চে' অনেক বেশি হিমুর পরিশ্রম আর সফলতার গাঁথা হয়ে রইল।
কিভাবে কারো পর্বত জয় (বা চন্দ্রজয়, ঐটা নিয়েও অনেক কথা আছে) যাচাই করতে হবে বা প্রমান চাইতে হবে সেই বিষয়টা তুলে ধরার কৌশল হিমু শুধু আমাদের মতন আম-জনতাকে নয় বরং হক সাহেবদের মতন প্রথিতযশা (...) সাংবাদিকদেরও শিখিয়ে পড়িয়ে দিতে পেরেছে। অবাক হই যখন একটা পত্রিকার উপসম্পাদক বলেন, 'মুসা বলল তাই বিশ্বাস করেছি, ওকে দেখে মনেই হয় নি যে, সে মিথ্যা দাবী করবে'!!!!!!!!
এই ধরণের আবেগ সাংবাদিকতার জন্য এবং সাংবাদিকদের জন্য কলঙ্কজনক বলেই মনে করি। আ.হক এই কলঙ্কটা লেপে দিলেন সন্দেহ নাই। এরপরে কেউ সাংবাদিকদের নিয়ে হাস্যরস করলে সেটার দায় উনি এড়াতে পারবেন না।
হিমুকে
________________________________________________
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
________________________________
মা তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো...
আমি খুবই খুশি যে শেষ পর্যন্ত এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে, মুসা ইব্রাহিম আসলেই এভারেস্ট জয় করেছেন।
ধন্যবাদ আরিফ জ়েবতিক সংসয় দূর করার মত ছবি দেখানর জন্য।
হিমুকে ধন্যবাদ,তার প্রশ্ন তোলার জন্য।কারণ তার প্রশ্নগুলো (কূট) সন্দেহ তৈরী করলেও ভবিষ্যতে এইধরনের বিষয় গুলো নিয়ে তথ্য প্রচারের আগে সংবাদ মাধ্যম গুলো আরো বেশী পেশাদারিত্বের পরিচয় দিবে...।
১. নেভারেস্ট/প্রায়নেভারেস্ট শুরু করা ও চালিয়ে নেবার মত শ্রমসাধ্য কাজের জন্য হিমুকে ধন্যবাদ। এটা না হলে বুঝতাম না এই অভাগা দেশের লোকদের ঠকানোর আরও কত উপায় বাজারে আছে। আমি আশা করবো আজকের পোস্টের মানে এই নয় যে এই সিরিজ শেষ। অন্তত অন্নপূর্ণা-৪ আর অন্যান্য আরোহণে অসদোপায় অবলম্বন আর অন্যায় দাবীর ব্যাপারে মুসা ইব্রাহীমের কাছ থেকে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা যতদিন না আসে, ততদিন তো অবশ্যই।
২. পর্বতারোহন বা এরকম অন্য কোন দাবীকে প্রশ্ন করা পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও ঘটে, এটা মোটামুটি স্বাভাবিক ঘটনা। নেপালের পেমবা দরজী'র কাহিনী আছে। খোদ আমেরিকাতে মাউণ্ট ম্যাকিনলিতে প্রথমবার কে উঠেছিলো সেই বিতর্ক এর পরেরজন অনেক মাস পরে উপরে গিয়ে এভিডেন্স দেখে না আসা পর্যন্ত চলেছে, তারপরও শেষ সমাধান হয় নি। এরকম অনেক উদাহরণ আছে, তবে সম্ভবত: যেটা বাংলাদেশ ছাড়া আর কোথাও হয় নি, সেটা হলো পর্বতারোহীর এই চ্যালেঞ্জের ব্যাপারে "মাইণ্ড খাওয়া", আক্রান্ত বোধ করা, ব্যাপারটাকে ব্যক্তিগতভাবে নেয়া, আর প্রমাণ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে এরকম বলা যে পারলে প্রমাণ করুন আমি যাই নি! সবচেয়ে বড় কথা, যে লোকটি এর আগে অনেকবার অসততার পরিচয় দিলো, মিথ্যা দাবী করলো, তার পক্ষে এরকম দাবী করা যে এইবার আমি আসলেই উঠেছি, প্রমাণ দেবো না, কিন্তু আমাকে বিশ্বাস করেন - এটা স্রেফ হাস্যকর। ইনি প্রথম আলোর পৃষ্ঠপোষকতা না পাওয়া কেউ হলে এই ছাড়টা পেতেন না। আজকে যদি আমি বা আপনি এইরকম দাবী করতাম মুসার বিতর্কিত আরোহনের আগে, আমি নিশ্চিত মুসা নিজেই প্রমাণ চেয়ে প্রথম আলোর পাতা ভরিয়ে দিতেন।
৩. আমি ব্যাক্তিগতভাবে এখনও সন্দিহান মুসা আসলেই সামিট করেছেন কি না। অনেক কারণে। আগের আরোহনগুলো নিয়ে অসততা, ছবি প্রকাশ না করা, সাড়ে চার মাস পরে নানান হাত ঘুরে ছবি আসা, সে ছবি ডক্টরড কি না... এইসব। স্পনসরদের জন্য ছবি তুলেছেন বলে ছবি ছাড়েননি, এটাও হাস্যকর ঠেকে। আর তাছাড়া আমি যদি ওই স্পনসরদের একজন হতাম, আমি ওইরকম ব্যাকগ্রাউণ্ড জ্বলে যাওয়া, জায়গার পরিচয়মূলক এভিডেন্স ছাড়া ওইসব ছবি দেখে মুসাকে পয়সা দিতাম না। আমার ধারণা, স্পনসররা অনেকেই এটুকু বুদ্ধি ধরেছেন মাথায়, আর সে কারণেই হয়তো পয়সা দিতে চাচ্ছেন না।
৪. ছবিগুলো বারোহাত ঘুরে প্রকাশ হওয়াতে, আর তার ভিত্তিতে হিমুর আজকের পোস্টের কারণে মুসা বাহিনীর গৌরবে বুক চাপড়ানোর কিছু দেখি না। মুসার এভারেস্ট আরোহন দিনশেষে যদি সত্যি হয়েও থাকে, সেটা পর্বতারোহী হিসেবে তার আগের বিতর্কিত আরোহনগুলোকে বৈধতা দেয় না। এমন লোককে জাতির মোটিভেটর হিসেবে মেনে নিতে আমি আমার সন্তানকে অন্তত শেখাবো না।
মুসা সাহেব আগের অসাধুতাকে বর্তমানের সাধুতার আড়ালে নিয়ে গেছেন, সেই সাথে একটা অ্যটিটুড দেখাচ্ছেন, যেটা আমার সহ্য হয় না।
ধর্মীয় কাহিনীতে পড়েছিলাম, বিশাল ডাকাত যখন সাধু হয়ে যায়, তখন কি হয় (নিজাম আউলিয়া)।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
আলাদা মন্তব্য লিখতে গিয়েও লিখলাম না। আপনার মতো এতো গুছিয়ে বলা আমার সাধ্যের বাইরে বলেই। এই পোস্ট প্রকাশকে দেখলাম কয়েকজন "হিমুর ভুল স্বীকার" হিসেবেই দেখতে ব্যস্ত, বাকিরা সেটায় তাল দিতে।
আমি মনে করি, একজন ব্যক্তি হিমুর চেয়ে নেভারেস্ট সিরিজের আবেদন অনেক বেশি। ব্যক্তি হিমু মুসার ব্যাপারে কী মনে করে সেটা নেভারেস্ট সিরিজের প্রতিপাদ্য না। নেভারেস্ট সিরিজ এগিয়েছে তার নিজস্ব ধারায়। শেষও হবে নিজস্ব ধারাতেই। মুসা আর তার বন্ধুবান্দবের মতো লেখকের ইচ্ছানুযায়ী তার সমাপন প্রত্যাশিত ছিলো না। মুসা এবং তার বন্ধুবান্ধবেরা এটা থেকে শিখে নিবে আশাকরি।
আপনার ৪ নাম্বার পয়েন্টের সাথে সর্বান্তকরণে সহমত পোষণ করলাম। আমার এন্ডোর্সমেন্টে যদিও কিছু আসে যায় না, তথাপি আমি মুসাকে সন্দেহাতীত এভারেস্টজয়ী হিসেবে মেনে নেবো না।
আর আমার নিজের স্কুলে আমার বেশ ভালো এক্সেস আছে। প্রয়োজনে আমি সেটা কাজে লাগাবো, আমার ভেতরের প্রশ্নের কথা স্কুলের শিক্ষার্থীদের জানাবো। তাদের পাঠ্য বইয়ে মুসাকে এভারেস্টজয়ী হিসেবে উল্লেখ থাকলেও আমি তাদের সামনে মুসার প্রশ্নবিদ্ধ এভারেস্ট জয়ের বিশদ তুলে ধরবো। গোটা বাংলাদেশের শিশু কিশোরেরা না জানুক, অন্তত একটা স্কুলের কিছু শিক্ষার্থী জানবে মুসা এবং তার প্রশ্নবিদ্ধ এভারেস্ট জয় সম্পর্কে। এবং আমার ধারণা আমার এই পথে আমি একা নই...।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হিমুর স্পিরিটের প্রশংসা করতেই হয়। ওয়েল ডান হিমু।
গুড স্পিরিট।
অনন্ত
হিমুকে নেভারেস্ট পর্বগুলো লেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। তবে অভিনন্দন কিছু ভিন্ন কারণে।
প্রথমত, আমাদের ভেতর বৈজ্ঞানিক চিন্তার ধারাটা চারিয়ে দেওয়ার জন্য। আমরা এমন একটি বিশ্বাসপ্রবণ সমাজের মানুষ যে আমাদের মনেই থাকে না, যে-কোনও সত্যই গ্রহণ করতে হয় যুক্তির নিরিখে। আসলে বিশ্বাস করার জন্য তো মগজ লাগে না, কান থাকলেই হয়। মগজ লাগে প্রশ্ন করতে। যিনি বা যাঁরা যাচাই না করে বিশ্বাস করেন, তারা তাঁদের মগজের প্রতি অবিচার করেন। আমি আজ পর্যন্ত কোনও গরু বা বেড়ালকে প্রশ্ন করতে শুনিনি, তবে কিছু কিছু মানুষকে করতে শুনেছি। অনেক বইতেও পড়েছি, যেগুলো মানুষেরই লেখা। পশুর সঙ্গে আমাদের পার্থক্য তো কেবল কানে নয়, ঐ মগজটুকুতেও। আপনি শেখালেন, মগজের ব্যবহার কীভাবে করতে হয়। আনিসুল হকদের মত বাঘা সাংবাদিকেরাও মগজের ব্যবহারকে পাত্তা না দিয়ে কীভাবে ভুল তথ্য, মিথ্যা ঘটনা আর ভ্রান্ত বিশ্লেষণকে অবলীলায় উপসম্পাদকীয়ের নামে ছাপিয়ে দিচ্ছেন দেশের সর্বাধিক প্রচারিত দাবিদার পত্রিকায়, তার নমুনা আমরা এই সচলায়তনেই অনেকের (আপনারও) সতর্ক অনুসন্ধানীতে দেখেছি। আপনি এই পোস্টগুলোতে নিছক যুক্তির ওপর ভরসা করে কী অবলীলায় প্রশ্ন তুলে তার জবাব সন্ধান করে গেছেন, সেই চেষ্টা আমাদের ভেতর খুব সহজলভ্য নয়। এ পোস্ট থেকে সাংবাদিকদের জন্য চিন্তার খোরাক আছে, অবশ্য যদি তাঁরা কানের চেয়ে মগজের প্রতিই বেশি আগ্রহী হন।
দ্বিতীয়ত, আপনি প্রথম থেকেই একইভাবে নিরপেক্ষ অথচ প্রশ্নমান থাকার চেষ্টা করেছেন। শুরুতেই আপনি বলে নিয়েছেন, মুসার এভারেস্ট জয় নিয়ে সন্দেহ পোষণ কিছু প্রশ্নের জবাব পাওয়ার জন্য, তাকে মিথ্যাবাদী বানানোর জন্য নয়। মুসার অতীত মিথ্যাচারী স্বভাবের কারণে তাকে 'এভারেস্টের বেলায়ও নিশ্চয়ই আগের মতই মিথ্যা বলেছে' ধরে নেওয়াটা অনেকের কাছে 'পূর্ব থেকে ধরে নেওয়া' একপেশে ধারণা মনে হতে পারে, তবে আমার মনে হয়েছে, আপনি প্রশ্নের জবাব না পাওয়া পর্যন্ত ছাড় না দেওয়ার দৃঢ়তায় অটুট থাকতে চেয়েছেন বলেই এহেন অনড় মনোভাব দেখিয়েছেন। যুক্তির পক্ষে থাকার জন্য এটাই সবচে উত্তম পন্থা। তবে সেই দৃঢ়তা প্রকাশে যে মাঝে মাঝে ব্যক্তিগত আবেগ বা ইগোর প্রকাশ ঘটেনি, তা কিন্তু নয়। মুসা এভারেস্ট জয় করতে পারেন, কিন্তু নিজের ভেতরকার ভীরুতাকে জয় করতে পারেননি বলেই আপনার প্রশ্নের মুখোমুখী হওয়ার সাহস দেখাননি। তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষী ও বন্ধুরা যুক্তির চর্চায় নিতান্ত দুর্বল, তাই তাঁরা আলোচনার খাত ব্যক্তিকলুষতার দিকে টেনে নিয়েছেন বারবার। তাতে আপনিও মাঝে মাঝে উষ্ঞ হয়ে পড়েছেন। মানুষ হিশেবে এটুকু বিচ্যুতি হয়ত ক্ষমার্হ, তবে ভবিষ্যতে চাইলে আপনি তা অতিক্রম করতে পারবেন বলেই মনে করি আমরা। যুক্তিবানেরা দুর্বল মানুষের ব্যক্তিআক্রমণে খুব একটা প্রভাবতি হন না বলেই জানি। এই যে শেষাবধি যুক্তির কাছে আপনি আপনার যাত্রা আপাত শেষ করলেন, এ তো সেই মগজেরই জয়।
তৃতীয়ত, সত্যকে যাচাই করার একটা বৈজ্ঞানিক ধারা চালু করার জন্য। অ্যাকাডেমিক গবেষণার জন্য এটি নতুন কিছু নয়, যা আপনি বিদেশে এসে পড়াশুনোর জন্য হামেশাই করছেন হয়ত। তবে প্রতিদিনকার বস্তুবিশ্বে এর প্রয়োগ ততটা উচ্চৈঃস্বর নয়। বিশেষ করে বাংলাদেশের সংবাদপত্র জগতে বা স্বাভাবিকভাবে আমাদের সমাজে বা ব্যক্তিচিন্তায় যুক্তিনিষ্ঠভাবে কিছু যাচাই করে দেখার চেষ্টাটা একেবারেই দুর্লভ। যে কারণে আমাদের ইতিহাস এত ঘনঘন বিকৃত হয়। আমাদের জীবদ্দশাতেই দেখে যাই, কীভাবে একাত্তরের খুনীধর্ষণকারীরা ধর্মের মুখোশের আড়ালে এক প্রজন্মেই খুনীর আসন থেকে জাতীয় নেতায় পরিণত হয়। আপনি ধাপে ধাপে প্রতিটি দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি যাচাই করে দেখার চেষ্টা করেছেন। তার জন্য মাউন্টেনিয়ারিং ছাড়াও প্রয়োজনমত ফটোগ্রাফি, জৌগ্রাফি, জৌমেট্রি, অপটিক্স, ইন্টারোগেশন ইত্যকার সবরকম বিদ্যা প্রয়োগ করে ফরেনসিক সাক্ষ্য যোগাড়ের চেষ্টা করেছেন। তার ফলে আমরা সচলদের ভেতর থেকে দুর্দান্ত সব সুপ্ত প্রতিভার সমাবেশও দেখলাম। এখানেও সেই মগজের জয়জয়কার। এখানে কোথাও কোথাও হয়ত কারও কারও ব্যক্তিগত আবেগ আর ইগো উঁকি দিয়ে গেছে, তবে ঐটুকুও মানুষ হিশেবে ক্ষমার আওতায় পড়ে। আপনার পৌরোহিত্যে সচলায়তনে এমন একটি সজীব আলোচনা গত মাস তিনেক জিইয়ে রাখার জন্যও ধন্যবাদ পাওনা রয়ে যায়।
আমরা বিশ্বাস ক'রে ক'রে মগজের বারোটা বাজিয়ে রেখেছি অনেক আগেই। এর জন্য আমাদের বহুপ্রজন্মের ধর্মীয় বাতাবরণ অনেকাংশে দায়ী। প্রশ্ন করাকে ধর্মগুলো সুতীব্রভাবে নিরুৎসাহিত করে (বলাই বাহুল্য, গুমর ফাঁক হওয়ার ভয়ে। মগজ নয়, ধর্মের কদর কানে। ধর্মগুলো তাই মগজওয়ালা মানুষের চেয়ে কানওয়ালা জন্তুদের বেশি আকৃষ্ট করে)। ধর্মের প্রসঙ্গ আসায় ভাববেন না ধান ভানতে শিবের গীত গাইছি, আমাদের যুক্তির প্রতি সীমাহীন ভীতি বা ক্ষমার অযোগ্য অনুৎসাহ কিন্তু এই ধর্মেরই অবদান। একুশ শতক এসে প্রথম দশকও চলে যাচ্ছে, কিন্তু আমাদের চৈতন্যোদয় হচ্ছে বলে লক্ষণ দেখা যাচ্ছ না। এখনও আমরা বিজ্ঞানমনষ্ক হতে ভয় পাই, সত্যের গলা আবেগের আঙুলে টিপে ধরতে পারাকেই বিজয় মেনে সুখী হই। আপনার পথ ধরে ভবিষ্যতে সচলায়তনে এরকম আরও প্রশ্নমুখর, অনুসন্ধানী পোস্ট আসুক, এসে আমাদের মগজের ব্যবহারটুকু শিখিয়ে যাক, সে প্রত্যাশা আমরা করতেই পারি।
পরিশেষে, এই পোস্টের কল্যাণে আমরা অন্যান্য সচলদের যে চমৎকার বিশ্লেষণী ক্ষমতার উন্মেষ দেখতে পেলাম, তার জন্য তাঁরাও অভিনন্দনের যোগ্য। আপনার লেখা ভবিষ্যতে আরও ক্ষুরধার হোক, নৈর্ব্যক্তিকতায় আরও ঋজু ও আরওতর রসবোধে জারিত হোক, সে কামনা করছি।
আশা করি আমার মন্তব্য কারও রসভঙ্গের কারণ হবে না।
FANTASTIC !
এখনো পর্যন্ত হিমু সাহেবের কাজের প্রতি মনে হয় সেরা ট্রিবিউট। মন্তব্যকারী নিজেও কম না
"মুসা এভারেস্ট জয় করেছে", এটা অবিশ্বাস বা বিশ্বাস কোনটাই করিনি, বসে ছিলাম সলিড প্রমানের জন্য। হিমুর যুক্তি গুলো অসাধারন ছিলো (উপরন্তু মুসার অতীতের সামিট জয়ের বিভ্রান্তিকর ইতিহাস), তাই অবিশ্বাসের দিকেই হয়ত পাল্লাটা ঝুকেছিলো। আর মুসার ছবি নিয়ে টালবাহানা ও যথেস্ট বিরক্তিকর আর সন্দেহজনক ঠেকছিলো। হিমুকে ধন্যবাদ এই কারনে যে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা কেমন হতে পারে আর কেমন হওয়া উচিত তা সে অনেক তথাকথিত ঝানু সাংবাদিকদেরকে শিখিয়ে দিয়েছেন (যদি তারা আসলেই শিখে থাকেন)। আর মুসার বন্ধু দাবি করে যারা হিমুর প্রশ্ন করাকে এবং প্রশ্ন করার অধিকারকে যুক্তির আলোকে মোকাবেলা না করে ব্যক্তিগত আক্রমন আর বাউলি কেটে এড়িয়ে যাবার মাধ্যমে প্রতিহত করতে চেয়েছেন তারা আসলে মুসার কতটুকু বন্ধু তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। ধন্যবাদ হিমুকে তার ক্লাসিক হয়ে উঠা প্রায়নেভারেস্ট সিরিজের জন্য যা সকল তার্কিকদের জন্য অবশ্য পাঠ্য আর আভিনন্দন মুসাকে।
মুসা ইব্রাহিমকে এভারেস্ট জয়ের জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছি। এই নেভারেস্ট সিরিজের মাধ্যমে যে তার এভারেস্ট জয় সম্পর্কে সবার সংশয় কেটে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যত পর্বতারোহীরা কী করা প্রয়োজন তা জানতে পারছে সেজন্য হিমুরও ধন্যবাদ প্রাপ্য। সংশয় কাটানোর ব্যাপারে স্পর্শের বিশ্লেষণগুলোতেও আমি খুব ইম্প্রেসড। নেভারেস্ট সিরিজটা যদি শুরু থেকে এ পথে আগানোর সুযোগ পেতো (যেটা মুসা গংদের ছবি নিয়ে অসহযোগিতার কারণেই হয় নি বলে আমার ধারণা) তবে হয়তো এতো বিতর্ক ও তিক্ততার সৃষ্টি হতো না।
যাই হোক, স্পর্শের কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আমি চোমোলোনজের আরেকটা ছবি ওভারলে করেছি যা থেকে মুসার এভারেস্ট জয়ের ব্যাপারে বেশ কনভিন্সড।
নিচের চোমোলঞ্জের ছবি কোনো এক অভিযাত্রী সামিট থেকে তু্লেছেন-
এটাকে মুসার ছবিতে চোমোলোনজের সাথে ওভারলে করে জোড়া দিয়ে নিচের ছবি পেলাম-
ছবি দু'টো যে প্রায় একই জায়গা থেকে তোলা তা জুম করে দিগন্তরেখার সাথে মিলিয়ে বোঝা যায়। নিচের ছবিতে বৃত্তাকৃত জায়গায় খাঁজ কাটা দিগন্তরেখা খেয়াল করুন-
মুসার ছবিতেও জায়গা দু'টোর দিগন্তরেখা একইরকম-
এখন দু'টো ছবি একসাথে-
যুক্তির দ্বন্দ্বে মুক্ত বাংলাদেশ......
ঠিক যতটা অবাক হয়ে নেভারেস্ট পড়া শুরু করেছিলাম। তার চেয়েও বেশি অবাক হয়ে শেষ করলাম।
কল্পনায় সূত্র গুলো আগেই সাজিয়ে নিয়ে গোয়েন্দা-তদন্ত সিরিজ লেখা আর লেখক নিজেই রিয়েল টাইমে সূত্র খুজে খুজে সেগুলো লিপিবদ্ধ করে জনসমুক্ষে প্রকাশ করার সাহস করা চারটিখানি কথা নয়। লেখকের সেই সাহস দেখে অবাক হয়েছিলাম। প্রতিদিন ব্লগ খুলতাম প্রচন্ড উত্তেজনা নিয়ে। এই বুঝি নতুন একটা পোস্ট এলো।
কিছুতেই অগ্রাহ্য করা যায় না এমন সব যুক্তি প্রমান দিয়ে এই অদ্ভুত লেখাটা আমার মতই কেউ এক জন টেবিলে বসে লিখছে ভেবে অবাক লাগতো! তার কাছে এফবিআই এর কার্ড নেই যে দেখালেই লোকজন সুরসুর করে সব বলে দিবে। তারপরো সে কিভাবে কিভাবে সংশ্লিষ্ট সব কিছুর খবর ঠিকই বের করে ফেলছে। যাদের অটোগ্রাফ যোগার করতেই খবর হয়ে যায়। তাদের সাক্ষাতকারও তিনি কেমন করে যেন যোগার করে ফেলছিলেন!
এই সব উত্তেজনা আমার কেটে যেতে লাগলো, যখন দেখলাম পোস্টের নিচে সব কিছু প্রমান হবার আগেই কেউ কেউ এমন সব নিন্ম মানের রসিকতা করে মন্তব্যে দিচ্ছিল যে ভাব দেখে মনে হচ্ছিলো এই 'রহস্য গল্পটা' বুঝি তারা আগেই পড়েছেন। শেষটাও তারা জানেন! গল্পের কেন্দ্রিয় চরিত্রের শেষ দৃশ্যে প্রতারক প্রমানিত হবে সেটা নতুন পঠকদের জানান দিতেই বুঝি এধরনের মন্তব্যে ভাসিয়ে দিচ্ছিলেন পোস্ট গুলো।
আমার কেন যেন মনে হচ্ছিলো লেখকেরও মৌন সম্মতি আছে তাতে। ঠিক তখনি আমার কাছে রিয়েল টাইম তদন্তের আমেজটা হারাতে শুরু করে। লেখক কে আমারে কাছে মনে হতে থাকে একরোখা, জেদি এবং নিজের ধারনা প্রমানে ব্যাকুল একজন। সব কিছু মিলিয়ে মনে হচ্ছিলো। হয়ত এখন সত্যি সত্যি কেউ প্রমান নিয়ে এলেও লেখক বুদ্ধি করে নানান অজুহাত দেখিয়ে বলবে- এগুলি দিয়ে কিছুই প্রমান হয় না।
আমার সব ধারনা পাল্টে দিল এই পোস্টটি। সুন্দর করে যুক্তি দিয়ে অন্য কেউ কিছু বোঝানোর পর সেটা কে মেনে নিয়ে নিজের পূর্ববর্তী ধারনার বাইরে আসাটাই প্রসংসার দাবে রাখে। সেখানে নিঃস্বংকোচে ঠিক আগের পোস্ট গুলোর মতই নেভারেস্ট ট্যাক্সোনমি ব্যাবহার করে পোস্ট দিয়ে আপনার এখনকার অবস্থান নেভারেস্টের পাঠাকদের কাছে পরিস্কার করে রীতিমত ঘোষনা দিয়ে প্রকাশ করার মত বড় মন দেখে মুগ্ধ হলাম।
রকিবুল ইসলাম কমল
ব্যাপক কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হয়ে যাবার পরও যুক্তিতর্কের মাধ্যমে একটা সলিড ডিসিশনে পৌঁছুনো যাচ্ছে। দেখতে ভাল লাগছে। খুব সভ্য একটা ব্যাপার। বিজ্ঞান দীর্ঘজীবি হোক।
যুক্তির/সত্যের জয় হোক।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
প্রথমত আবারও অভিনন্দন মুসা ইব্রাহিমকে!
আবারও বলছি কারণ এর আগেও অভিনন্দন জানিয়েছিলাম কিন্তু মুসা ও তার বন্ধুদের আচার আচরণ কথা বার্তা এবং অপর্যাপ্ত প্রমানাদি উপস্থাপন অনেক সাধারণ পাঠককেও সন্দেহের দিকে ঠেলে দিয়েছিল।
প্রগতিশীলরাই নিজেদের ভাবনা এবং বিশ্বাসকে প্রতিনিয়তঃ যুক্তিদ্বারা যাচাই বাছাই করে নিতে পারে, প্রশ্ন করে নিতে পারে। অন্ধবিশ্বাসীরা পারে না। ড. ইউনুস সাহেব কে যেমন প্রশ্ন করা যায় ১৮% সুদের মাধ্যমে গরীবের রক্ত চুষে আপনি নোবেল পেলেন কি করে, নোবেলটা শান্তিতে কেন, অর্থনীতিতে নয় কেন, তেমনি, বড় অর্জন এবং পূর্ববর্তী অভিযানের অসততা বিবেচনায় মুসাকেও প্রশ্ন করা যায় কি কি প্রমান আছে আপনার কাছে? আপনার অভিযানের এইসব অসংগতি কেন?
মূল প্রশ্নের যথাযথ উত্তরে না গিয়ে মুসার বন্ধুদের বিষয়টাকে ব্লগীয় দ্বন্দ্ব বানানোর ঘৃন্যতর চেষ্টা, নানা অসংগতির পাশাপাশি মুসার নিরবতা সন্দেহকে তীব্র করেছে নিঃসন্দেহে। 'ছোট ব্লগ' 'বড় ব্লগ' এমন কিছু দৈব্য ভাবনার উৎপাদন করে জল ঘোলা করেছেন এবং অহেতুক ব্লগারদের উত্তেজিত করেছেন। যাই হোক, দেরিতে হলেও মুসা'র বোধোদয় হয়েছে যে, না পর্যাপ্ত তথ্য প্রমানাদি ছাড়া পার পাওয়া যাবে না। পৃথিবীটা এখন অনেক ছোট।
আর আমাদের সাংবাদিকেরা কতটা সতর্কতা ও বিচক্ষনতার সাথে সংবাদ পরিবেশন করেন তাও এখন প্রশ্নবিদ্ধ। তারা আরো দায়িত্বশীল হবেন এই প্রত্যাশা রইলো। ব্লগার প্রতি আহবান, ব্লগের ব্যবহারকারী যত কমই হোক, আনিসুক হক সাহেব ব্লগকে যত ছোট করেই দেখুন না কেন, ব্লগ অনেক শক্তিশালী একটা মাধ্যম, আপনার সুস্থ ভাবনা, এবং সুষ্ঠ যুক্তি দ্বারা ব্লগকে সাজান। ছোট্ট ছেলেটির মতো করে "রাজা তোমার কাপড় কোথায়?" এই প্রশ্নটি করার জন্য ব্লগই এখন আমাদের মাধ্যম। এর আগে একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যাং-রেপ এর একটি ঘটনাও মিডিয়া এড়িয়ে গিয়েছিল, আমার একটি ব্লগকে কেন্দ্র করে পরবর্তীতে মিডিয়া সরব হয় এবং নূন্যতম হলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টাতে নজর দিতে বাধ্য হয়।
মুসাকে অভিনন্দনের পাশাপাশি ধন্যবাদ হিমুকে যে সাধারনের মনে উত্ত্বাপিত প্রশ্নগুলোকে ভেবেছেন, যাচাই বাছাই করেছেন বিভিন্ন রকম অসংগতি তথ্য প্রমানাদি এবং রেফারেন্স সহকারে উপস্থাপন করেছেন। পর্বতারোহন সম্পর্কে অনেক সাধারন মানুষেরও অভিজ্ঞতা হয়েছে। মুসার হয়ে আরিফ জেবতিক কে ধন্যবাদ মুসার ছবি গুলো পৌছে দেয়ার জন্য এবং সংগতিপূর্ণ তথ্য প্রমানাদি উপস্থাপনের জন্য। ধন্যবাদ সকল ব্লগারকে মূল্যবান সময়ক্ষেপনের জন্য বিভিন্ন সময় পক্ষ-বিপক্ষে নানারকম আলোচনার জন্য।
সন্দেহ আসবে, প্রশ্ন থাকবে, যুক্তির জয় হবে।
"অবিশ্বাস চিন্তার স্বাধীনতারই নামান্তর"।
শুভকামনা সবার জন্য।
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
প্রিয় মডারেটর,
ধুসর গোধূলি এর ৪.১.১.১.১.১.১.২ মন্তব্যটির
"এইবার আপনে বলেন, হযরত মোজেস এব্রাহিমোভিচ আল এভারেস্টির কোন মামা শ্বশুর নেপালে থাকে যার কাছ থেকে সে টাকা নিয়ে এভারেস্টে গেছে?"
এই লাইনে মুসা ইব্রাহিমের নাম বিকৃতি করা হয়েছে যা অশ্লীল ও অশিষ্ট
সচলায়তনের নীতিমালা বলে,
"৩. সচলায়তনের সদস্য হিসেবে একে অপরের প্রতি দলবদ্ধ আক্রমণ, অশিষ্ট মন্তব্য প্রভৃতি থেকে বিরত থাকতে হবে। "
এবং নিরুৎসাহিত করে,
- "অশ্লীল লেখা পোস্ট করা"
- "অবমাননাকর লেখা ও মন্তব্য"
- "অমার্জিত ভঙ্গিতে যেকোন প্রকাশ যা বক্তব্যকে হালকা করে, লেখার মান - ক্ষুণ্ণ করে"
নীতিমালার এই নির্দেশনা মেনে আমি ধুসর গোধূলি এর ৪.১.১.১.১.১.১.২ মন্তব্যটি আপত্তিকর বলে বিবেচনার জন্য উত্থাপন করলাম এবং কেন তার বিরুদ্ধে মডারেশন বিধি প্রয়োগ করা হবে না জানতে চাইলাম
প্রশ্নকারক
শোনেন বস, কারো বগলের ঘ্রাণ শোঁকার আগে নিজের বগলের ধারে কাছে নাকটা একটু নিয়েন আগে। যে কমেন্টের কথা এখানে কথা বললেন, সেইটার উপরে আপনের কমেন্টটা আবার পড়েন। তারপর শিখেন ক্যামনে প্রশ্ন করতে হয়, কী প্রশ্ন করতে হয়, কোথায় প্রশ্ন করতে হয়!
হেরপর ধুগোর নামে কমপ্লেইন কৈরেন। দেখা যাচ্ছে আপনার বক্তব্য আগুপিছু না ভেবে 'পছন্দ' করার মতো মানুষও বিদ্যমান। এটা কি আপনার প্রতি আনুগত্য নাকি ধুগোর প্রতি বৈরাগ্য, সঠিক বোধগম্য না।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধূসর গোধূলী লিখেছেন:
"শোনেন বস, কারো বগলের ঘ্রাণ শোঁকার আগে নিজের বগলের ধারে কাছে নাকটা একটু নিয়েন আগে।"
আপনি কি অশালীন টোন ছাড়া কথা বলতে পারেন না? সিরিয়াস বিষয়ে সিরিয়াসলি কথা বলাই শোভন, শোভনতার চর্চায় কেউ পস্তায় না..
প্রিয় মডারেটর,
নিম্নোক্ত লাইনে জনাব ধূসর অশোভন ভঙ্গিতে আমাকে কমপ্লেইন করা নিয়ে ধমকে দিলেন।
"শিখেন ক্যামনে প্রশ্ন করতে হয়, কী প্রশ্ন করতে হয়, কোথায় প্রশ্ন করতে হয়! হেরপর ধুগোর নামে কমপ্লেইন কৈরেন।"
এটা আপত্তিকর, এবং একজন সচল হিসাবে তিনি এইভাবে কাউকে ধমকাতে পারেন না। আপত্তি জানাবার আগে তার অনুমতি নিতে হবে, এটা মনে হয় কেউই সভ্য নিয়ম বলে স্বীকার করবেন না।
---
পুরা নেভারেস্ট সিরিজের মেরিট কিছুটা হলেও নষ্ট হয়েছে এই জাতীয় অশোভন ও অশিষ্ট মন্তব্যের জন্য। সচল কর্তৃপক্ষকে এই জাতীয় অশিষ্টাচার নিরুতসাহিত করতে অনুরোধ জানাই।
প্রশ্নকারক
এ ব্যাপারে আমার বক্তব্যঃ
১। ভাল লাগলো মুসা ইব্রাহীম সত্যিই এভারেস্ট জয় করেছেন জেনে। সন্দেহ সত্যি হলে একজন বাঙালি হিসেবে খুবই লজ্জিত হতাম।
২। হিমু ভাইকে ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা সিরিজ সময় নিয়ে লেখার জন্য। শৈশবে তিন গোয়েন্দা পড়ে যেমন মজা পেতাম, ঠিক সেই অনুভূতিটাই ফিরে এসেছিল। অকাট্য যুক্তি সবসময়ই পছন্দ করেছি। কাউকে না কাউকে এই যুক্তিগুলো বা প্রশ্নগুলো উত্থাপন করতেই হত।
৩। সবাই বুঝলো যে ব্লগীয় সংস্কৃতিটা কত শক্তিশালী। পত্রিকায় একটা লেখা দিয়েই পার পেয়ে যাওয়া যায়। কিন্তু ব্লগে লেখা ডিফেন্ড করতে হয়। থাকে মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য। আশা করি সবাই এখন থেকে এই মাধ্যমটিকে শ্রদ্ধার সাথে দেখবে।
-------------------------------------
কেউ যাহা জানে নাই- কোনো এক বাণী-
আমি বহে আনি;
মুসা ইব্রাহীম এভারেস্ট শীর্ষে আরোহন করতে সক্ষম হলেও নিজেকে এভারেস্টের উচ্চতায় উন্নিত করতে ব্যার্থ হয়েছেন। দুরন্ত স্বপ্নচারীর সাথে ওনার কথোপকথনের যে নমুনা সামুতে দেখেছি তা দুঃখজনক। শারীরিক পরিশ্রমকে জয় করে ওনার এভারেস্ট বিজয়ে ওনাকে অভিনন্দন।
সেই সাথে হিমু ভাই, আরিফ ভাই, জ্বিনের বাদশাহ, স্পর্শ, অচ্ছুৎ বলাই আরো যেসব ব্লগার নিজেদের মূল্যবান সময় ব্যয় করেছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা রইলো। কোন কিছু দাবী করলে তার সপক্ষে প্রমাণ দেবার/চাওয়ার মানসিকতা আমাদের হোক। ধন্যবাদ সবাইকে।
বিশ্বাসী এপ্রোচের চেয়ে বৈজ্ঞানিক এপ্রোচ অনেক বেশি আকর্ষনীয়। তাই এই সিরিজটাও প্রচন্ড আকর্ষনীয়।
বিশ্বাসী ও বৈজ্ঞানিক এপ্রোচের বিষয়টা বুঝতে সামহোয়্যারে এস. এম. মাহবুব মুর্শেদের এই ব্লগটি আমার কাজে লেগেছিলো (আজ আবার গুগল করে বের করলাম)।
আশা করি সাংবাদিকের কাজ যারা করেন, তারা সত্যিকারভাবেই সাংবাদিক (সত্যানুসন্ধানী) হয়ে উঠবেন।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
কখনো মন্তব্য না করলেও নেভারেস্ট সিরিজ শুরু থেকেই নিয়মিত ফলো করছিলাম।
সেই প্রথম দিনই মুসা ইব্রাহীমকে অভিনন্দন জানিয়েছি। আবারো জানাচ্ছি। আজীবন জানিয়েই যাবো।
আমি সবসময়ই নিঃসন্দেহ ছিলাম তার বিজয়ের ব্যাপারে।
মুসার এভারেস্ট জয়ের ব্যাপারে প্রথম সন্দেহ প্রকাশ করে সজল খালেদ। তিনি অভিজ্ঞ পর্বতারোহী, তাকেই আমি সবচেয়ে বেশি আমলে নিতাম, কিন্তু কয়েকদিন পরেই সজল তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে মুসাকে অভিনন্দন জানান। তবু সন্দেহ চলতে থাকে। হিমু শুরু করে নেভারেস্ট। এখানে শুধু পর্বতারোহন না, গণিতশাস্ত্র থেকে শুরু করে হেন কোনো বিদ্যা নাই যা কাজে লাগানো হয়নি। নানান সফটওয়্যার ব্যাবহার করা হয়েছে পর্যন্ত... এক অর্থে ভালোই হয়েছে।
হিমুকে ধন্যবাদ, মুসার অর্জনটাকে প্রশ্নাতীত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
হিমুর এই সিরিজটিকে আমি পজিটিভ অর্থেই দেখে এসেছি এতদিন, এখনো দেখছি। কিন্তু একে কেন্দ্র করে যেসব ব্যক্তি আক্রমণ আর নোঙরামি হয়েছে, সেগুলো সত্যিই কষ্টকর!
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ওয়েল ডান হিমু ভাই।
প্রশ্ন করার সাহস ও বুদ্ধি সবার থাকে না, আপনার আছে।
মুসার হিমালয়-জয়ের ব্যাপারে শুরুতে বিশ্বাসীদের দলে ছিলাম, পরবর্তীতে সেটা নিয়ে সংশয়ে পড়েছি। কিন্তু সবসময়েই চেয়েছি সেই সংশয় কেটে গিয়ে সত্যটা বেরিয়ে আসুক। অবশেষে সেটাই হলো। নেভারেস্ট সিরিজের কল্যাণে মুসা-র কি লাভ ক্ষতি হয়েছে জানি না, কিন্তু আপনার সাহসিকতা আর উদারতাকে লম্বা স্যালুট।
-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
এবং সেইসাথে পরিশ্রমটুকুকেও !
হিমুকে অনেক অভিনন্দন, মুসাকে এভারেস্টের গলোদেশ থেকে চূড়ায় উঠতে সাহায্য করার জন্য। প্রমাণের দায়িত্ব মুসার, হিমুর না, মুসার অতীত যেহেতু প্রশ্নবিদ্ধ তাই তাকে অভিনন্দন জানানোটা সত্যিই মুসকিল।
মুসার বন্ধুরা তার জাংগিয়া ধৈরা টানাটানি না করে যদি ছবিটা ছাপাতেন তবে সাড়ে চার মাস আগেই চূড়ায় চড়তে পারতেন মুসা।
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
সাফি ভাইয়ের এই কথাটা খুবই সত্য - মুসা ইব্রাহীম এভারেস্ট শীর্ষে আরোহন করতে সক্ষম হলেও নিজেকে এভারেস্টের উচ্চতায় উন্নিত করতে ব্যার্থ হয়েছেন।
জনাব মূসা খুব সহজেই নিজের জন্য একটা অনেক অনেক বড় অবস্থান তৈরি করে নিতে পারতেন। কিন্তু তার নিজের ও বন্ধু মহলের অবিবেচকের মতো পদক্ষেপগুলো তাকে অনেক নীচেই শুধু ঠেলে নিয়েছে। তবুও তাকে অভিনন্দন, ব্যক্তি হিসেবে তার নিজের সাফল্যে - এই দেশের একজন সন্তান হিসেবে নয়। কারণ এরকম বিশাল অর্জন করে এতো সংকীর্ণ মানসিকতার কোনো মানুষকে আমি আমার দেশের নামের সাথে জড়াতে চাইনা।
হিমু ভাইকে এই অক্লান্ত পরিশ্রমের কাজটির জন্য সেল্যুট। আপনার এই সিরিজটা নিতান্ত কোনো সাদামাটা ব্লগ ছিলোনা, এটা একটা ম্যুভমেন্ট তৈরি করেছে - সত্য প্রমানের দায় দাবীকারির। তবে খুবই দুঃখের সাথে লক্ষ্য করেছি এই 'প্রমান' চাওয়ার প্রক্রিয়াটিকে অনেকেই এতো নীচ ভাবে নিয়েছেন!!! এছাড়াও জনাব মূসা'র 'জম্বি' বন্ধুগুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে এই সচলের কেউ কেউও যথেষ্টই বিরক্তিকর আচরন করেছেন। যাই হোক, এতে বরং অনেক লাভই হয়েছে - সত্যকে জানতে চাওয়ার দাবী আদায়ে কতটা যুক্তি ও তথ্য প্রয়োগ করে এগিয়ে যাওয়া যায়, তা শিখতে পেরেছি।
নেভারেস্ট সিরিজ থেকে শুধু এভারেস্ট জয়ের প্রমানই নয়, আরো অনেক বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। আশা করছি ঐসকল বিষয় নিয়েও আমরা সামনে আরো তথ্য ও যুক্তি নির্ভর লেখা পাবো। ব্লগের জয় হোক, সত্যের জয় হোক।
===============================================
ভাষা হোক উন্মুক্ত
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
স্যালুট!
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
হীমু ভাই , ফাটিয়ে দিয়েছেন। নেভারেস্ট এর প্রতিটি যুক্তিই আমি আমার ভালও লেগেছে। প্রায় নেভেরেস্ট এ আপনই ্যেভাবে প্রমান করলেন সেটা দারুন লাগলো। এক কথায় পোস্টটি অকাট্য । আপনি প্রশ্ন করাতেই সেটা সম্ভব হয়েছে, না হলে জানা হত না কত কিছু! নেভারেস্ট অ প্রায়নেভারেস্ট এর সবগুলও সিরিজ এর মাদ্ধমে আপনি আস্তে আস্তে এগিয়ে যাচ্ছিলেন যুক্তির হাতধরে ফলাফল এর দিকে । আর সেই ফলাফল্ এলো আপনার ই নেভারেস্ট এ না হয়ে প্রায় নেভারেস্ট এ বলে সামন্য অভিমান আছে আপনার ফ্যান হিসেবে।
স্পর্শ ভাই এর জ্যমিতিক প্রয়োগ ও সহজ সুন্দর গানিতিক ব্যাখ্যা যে কত সুন্দর ভাবে একটি সত্যকে প্রকাশ করলো! নাসা , গুগল বা কোন বইদেশিক প্রতিষ্ঠান এর সাহায্য কিংবা প্যারালাক্স পদ্ধতি ছারাও যে সহজ গানিতিক প্রয়োগ করে ফলাফল নির্নয় করা যায় সেটা আমরা দেখতে পেলাম।
স্পর্শ ভাই কে অভিনন্দন
নেভারেস্ট সিরিজকে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার অনুকরণীয় বলছেন অনেকে। অন্য আরো অনেক কিছু নিয়েই এরকম সিরিজ আসবে হয়তো ভবিষ্যতে। তাই আমার চোখে এই সিরিজ নিয়ে দূর্বলতা আর ভবিষ্যতে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন সিরিজ কেমন হতে পারে তাই নিয়ে দুপয়সা যোগ করে যেতে চাই...
নেভারেস্ট নিঃসন্দেহে একটা অনুসন্ধানী পোস্ট। কিন্তু আমার চোখে এর কিছু দূর্বলতা আছে। প্রথমত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের কোনো ইতি/নেতিবাচক এ্যাপ্রোচ থাকা উচিত না। তাতে পাঠকের মনে প্রথমেই একটা ধারণা তৈরি হয়ে যায়। অনুসন্ধানকারীরও আগে পাঠক নিজের মনের অজান্তেই একটি সিদ্ধান্তের পথে যাত্রা শুরু করে।
আমার মনে হয়েছে নেভারেস্ট সিরিজটিতে এই দূর্বলতা প্রকট। শিরোনামটাই একটি নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করতে যথেষ্ট।
ধারাবাহিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের আগেই প্রতিবেদক সব তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করবেন, যাচাই বাছাই করবেন, বিশ্লেষণ করবেন। পুরো ব্যাপারটা নিশ্চিত না হয়ে পাঠকের সামনে হাজির করবেন না। এটা প্রতিবেদকের দায়িত্ব। ধরা যাক আমি খবর পেলাম যমুনা নদীতে পানি নেই। কিছু সূত্র থেকে নিশ্চিত হয়ে আমি "নাযমুনা" নামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করতে শুরু করবো না। আমি অবশ্যই আগে সব খোঁজখবর নিয়ে নিশ্চিত হয়ে তারপরেই তা পাঠকের দরবারে হাজির করবো। একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন, বিশেষ করে তা যদি হয় ধারাবাহিক, তা লেখার সময় সবার আগে যেটা মাথায় রাখা দরকার, পাঠক যেন বিভ্রান্ত না হয়।
তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করার দায় প্রতিবেদকের। কে সহযোগিতা করলো না করলো সেটা পাঠক হিসেবে আমি শুনতে রাজী না। আমি ধরেই নিলাম সবাই খারাপ, আমি প্রতিবেদকের উপর আস্থা রাখছি জন্যই সিরিজটা আগ্রহ নিয়ে পড়ছি।
প্রশ্ন করা জারি থাকুক... যুক্তি জারি থাকুক, তর্ক জারি থাকুক। প্রশ্ন ছাড়া কোনোকিছুই গ্রহণযোগ্য না হোক।
যুক্তিতেই মুক্তি হোক
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হিমু ভাই, শনিবার চলে যাচ্ছে। এখনো রেন্ডার করা ইমেজ দেখতে পেলাম না।
‘আমরা আবার বিশ্লেষণ করেছি’ বলতে কি স্পর্ষ ও তানভীরের ছবি ম্যাচ করা বুঝিয়েছেন? নাকি আপনি নিজে অন্য কিছু করেছেন?
আপনি কি কোন জিওগ্রাফিকাল সফটওয়ার ব্যবহার করেছেন? যদি করে থাকেন তাহলে কোন সফটওয়ার ব্যবহার করেছেন? যতদূর জানি আপনি বুয়েট থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছেন, সেক্ষেত্রে কোন প্রকার প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাকগ্রাউন্ড ছাড়া আপনার বিশ্লেষণ করা ভৌগলিক তথ্য বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে কতটুকু গ্রহনযোগ্য?
আশা করছি প্রশ্নগুলোর সদুত্তর পাবো।
সময় করা মুশকিল। একটু ধৈর্য ধরেন।
মডেল রেণ্ডারিং এবং অ্যানালাইসিসের কাজে আমাকে যিনি সহযোগিতা করেছেন, তিনি একজন ভূতত্ত্ববিদ। রেণ্ডারড ইমেজ যখন সংযোজন করবো, তখন সফটওয়্যারের নাম, বিশ্লেষণের মেথড আর তথ্যের উৎসও জানাবো।
প্রিয় রাশেদুল হাসান,
হিমু যে ভূতত্ত্ববিদের কথা উল্লেখ করেছে সে মানুষটি আমি। ভাই, শনিবার চলে গিয়ে রবিবার এসে পড়েছে। মুসা ইব্রাহিমের তোলা ছবি দেখার জন্য যদি চার মাস অপেক্ষা করতে পারেন তাহলে আমাদেরও কয়েকটা দিন সময় দিন। ত্রিমাত্রিক মডেলিং সম্পর্কে ধারণা থাকলে নিশ্চয়ই জানেন একেকটা মডেল রেণ্ডার করতে কতদিন সময় লাগে। গত কয়েক মাস যাবৎ অবসর সময়ের একটা বিশাল অংশ ভৌগলিক ডেটা রেণ্ডারিংয়ের পেছনে খরচ করেছি। এ কাজের জন্য তো কোন পয়সা পাচ্ছি না ভাই। ঘরের খেয়ে যখন বনের মোষ তাড়াচ্ছি তখন একটু ধৈর্য্য না ধরলে চলবে?
"আমরা আবার বিশ্লেষণ করেছি" বলতে আমাকে ও হিমুকে বোঝানো হয়েছে। স্পর্শ ও তানভীর ভাই আলাদাভাবে বিশ্লেষণের কাজটি করলেও পদ্ধতি মূলত একই। তবে তারা অন্য সামিটিয়ারের তোলা ছবির সাথে দিগন্তরেখা মিলিয়েছেন আর আমরা মিলিয়েছি ডিজিটাল টপোগ্রাফি ডেটা থেকে তৈরি করা ত্রিমাত্রিক মডেলের সাথে।
এ কাজে যে সফটঅয়্যারগুলো ব্যবহৃত হয়েছে সেগুলো হচ্ছে:
1. ESRI ArcGIS 9.2
2. ESRI ArcGIS 10
3. ERDAS Imagine 8.4
আপনাকে আশ্বস্ত করার জন্য জানাতে চাই যে ভৌগলিক ডেটা বিশ্লেষণের ব্যাপারে আমার প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও বাস্তব অভিজ্ঞতা রয়েছে। সুতারাং "আমাদের" বিশ্লেষণ করার তথ্যের অথেনটিসিটির ব্যাপারে আপনাকে আশ্বস্ত করতে পারি। তাছাড়া ডেটাগুলো পাবলিক ডোমেইন ডেটা। তাই আমাদের বিশ্লেষণ সঠিক কিনা তা আপনি নিজেই পরীক্ষা করে দেখতে পারবেন।
কাকস্য পরিবেদনা
নেভারেস্ট এক অনন্য সিরিজ, বাংলা ব্লগের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে এটি। তবে লেখককে কিছু কথা বলতে ইচ্ছা করছে... প্রথমত মুসা ইব্রাহিম এভারেস্ট জয় করেছে কি করেনি সেটা না নিশ্চিত হয়েই আপনি কিভাবে নেভারেস্ট নাম দিয়ে সিরিজ শুরু করেন? এ অধিকার আপনাকে কে দিয়েছে? পুরোটা সময় জুড়ে আপনি আপনার লেখায়, মন্তব্যে যাচ্ছেতাই ভাবে পাঠককে বোঝাতে চেয়েছেন আপনার হাতে আছে কোন এক ট্রাম কার্ড আর সেটি দিয়ে আপনি প্রমান করবেন মুসা এভারেস্টে সামিট করেননি...পাঠক বিভ্রান্ত হয়েছে।
দ্বিতীয়ত, নেভারেস্ট সিরিজের প্রতিবাদ করেছে অনেকেই ( যদিও বেশির ভাগ প্রতিবাদই ছিল অপরিণত) এর অনেকগুলোই আপনি মডারেটর হিসেবে আসতে দেননি ব্লগে...চিত্ত যেথা ভয়শুন্য সেখানে আপনার এত কীসের ভয়? এত যুক্তির কথা বলেন, অথচ পালটা যুক্তি আটকে দিতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা কখনো করেননি। পুরো সিরিজ জুড়েই মন্তব্যের ক্ষেত্রে আপনার অধৈর্য্য, স্বৈরাচারী মনোভাব আমাদের অনেকের জন্য পীড়াদায়ক ছিল।
ভবিষ্যতে এধরণের সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে সিরিজ লেখার ক্ষেত্রে আপনি আরো সহনশীল, মার্জিত ও সচেতন হবেন বলে আশা করি।
আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে, কোথাও একটা অধিকারদেনেঅলা কর্তৃপক্ষ আছে যারা পোস্টের শিরোনাম ঠিক করার ব্যাপারে অধিকার ইস্যু করেন, চাইনিজ আর্মি ক্যাম্পের লিয়াজোঁ অফিসারের মতো।
সচলায়তনের নীতিমালাটা পড়ে আসুন মন দিয়ে। আপনি যদি আশা করেন, আপনি নিক ভাঁড়িয়ে গালাগালি করতে আসবেন, আর সেগুলো এখানে প্রকাশিত হবে, তাহলে আপনি হতাশ হবেন।
না, ভবিষ্যতে আমি আপনার মাপের জুতো পায়ে দিয়ে হাঁটবো না। আমি সংশয় থাকলে প্রকাশ করবো, আপনি সেই সংশয়ের বিপরীতে যুক্তি আর প্রমাণ দিয়ে যাবেন। ঠিকাছে?
আপনি যা খুশি বলবেন তাতেতো কেউ আপত্তি জানাচ্ছে না। আপত্তি তখনই আসছে যখন আপনি অন্যের অধিকারে আঘাত করছেন। যথাসময়ে ছবি না প্রকাশ, মুসা ইব্রাহিমের সাক্ষাৎকার দিতে অস্বীকৃতি, ব্লগোস্ফিয়ারে তার বন্ধুদের অপরিণত আচরণ, স্বপ্ন নিয়ের ফিচারে অনেক জরুরী বিষয় এড়িয়ে যাওয়া- আপনার সন্দেহের যথেষ্ট অবকাশ ছিল এটা আমি মেনে নিচ্ছি, ইনফ্যাক্ট এই ব্যপারগুলো নিয়ে আমি এখনও সন্দিহান। তবে লেখক হিসেবে আপনি হয়ত সব তথ্যগুলো একবারে হাতে নিয়ে মাঠে নামলে এই বিভ্রান্তিগুলো তৈরি হত না। আর যদি এর আগে লেখা শুরু করতেনও তবে একটা নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে শুরু করলে হয়ত ব্যপারটা আরো শোভন হত। বিশেষত আপনি আপনার লেখার কমেন্ট গুলোতে যথেষ্ট পরিমানে যথেচ্ছচারী আর আক্রমনাত্মক ছিলেন সবসময়।
আপনি এখন সবাইকে ছুটাচ্ছেন হুন্ডি আর অন্নপূর্ণার দিকে। আগের পর্বগুলোতেও আপনি সবাইকে বলেছেন এই সামিটে কোন মিডিয়া গ্রুপের কতটা অবদান, কতটা লাভ, কাদের কাদের স্বার্থ জড়িত এসব নিয়ে। এ বিষয়গুলো অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ এবং নেভারেস্ট সিরিজে এগুলো অবশ্যই আসতে হবে তবে এই সিরিজের মূল ফোকাসকে এড়িয়ে এসব নিয়ে আলোচনা কতটা যৌক্তিক ছিল তা একবার ভেবে দেখবেন। মূলত এভারেস্টের সামিট করা না করাকে ফোকাস করে যে সিরিজের শুরু সেখানে জুন মাসে পাওয়া ব্রেণ্ডান ও'ম্যাহোনি এবং স্টিফেন গ্রিনের সাক্ষাৎকার এখন পর্যন্ত আপনার কোন পর্বে আসেনি। মুসা আপনাকে সাক্ষাৎকার দেননি, ছবি দেননি, তারবদলে তার বন্ধুদের অনেক ভাড়ামো আমরা সচলায়তনে বা অন্যান্য জায়গায় দেখেছি- এটা আমরা মেনে নিচ্ছি। তবে ছবি/প্রমাণ হাতে আসার আগেই আপনি আপনার আগের পর্বগুলোতে বা মন্তব্যগুলোতে যেভাবে যথেচ্ছভাবে স্পেকুলেশান করে গেছেন, সেটা কতটা যৌক্তিক ছিল সেটা দয়া করে একবার ভেবে দেখবেন। আপনি লেখক আর আমরা পাঠক...কমেন্ট বক্সে আমাদের লেখা আর আপনার লেখার মধ্যে অনেক অনেক পার্থক্য সবাই আশা করে। তবে আপনাকে অভিনন্দন নেভারেস্টকে শেষ পর্যন্ত এভারেস্ট বলতে দ্বিধা করেননি। সিরিজের এমন নেতিবাচক নাম আর নেতিবাচক স্পেকুলেশানগুলো না থাকলে হয়ত আজ এতদিন পর যুক্তি বা তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে এভারেস্টকে এভারেস্ট বললে আমরা পাঠকদের জন্য ব্যপারটা আরো সুখকর হত।
নিক ভাড়ানোর অযুহাতে বিপরীত যুক্তিকে আটকে দেয়াটা সচলায়তনের নীতির সাথে কতটা মানানসই তা ভেবে দেখা দরকার। আপনার জুতা পায়ে দিয়ে আপনি যত পারেন হাটুন, তবে একটা পাবলিক স্পেসে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আর একটু বিনয়ী হওয়াটা খুব জরুরী বলে আমি মনে করি।
ফয়সাল সাহেব, আপনি যদি একটু ভালো করে আমার পোস্ট পড়েন, দেখবেন সেখানে চারটি লিঙ্ক আছে। তার শেষেরটি স্টিফেন আর ব্রেণ্ডানের সাক্ষাৎকারের। ক্লিক করে পড়ে আসতে পারেন। আর অনুগ্রহ করে একটু মন দিয়ে পোস্ট পড়ে তারপর কথা বললে সুবিধা হয়।
আর "বিভ্রান্তি" বলছেন কাকে? মুসা ইব্রাহীমের এই প্রমাণবিমুখতাকে? এর দায় আপনি সংশয়ীদের কাঁধে চাপাতে চাইছেন কেন?
আপনি বারবার আপনার শোভনতা, বিনয়, সহনশীলতার মাপগুলো আমার ওপর আঁটাতে চাইছেন। সংশয় প্রকাশ করা অশোভন? প্রমাণবিমুখতাকে প্রশ্ন করা অবিনয়ী? দুঃখিত, আপনার মতো করে চিন্তা করি না আমি। আপনি চাইছেন আমি আপনার মতো করে ভেবে লিখবো। কেন?
আমি যা লিখেছি, তথ্যসূত্র দিয়ে লিখেছি। এভারেস্টবাণিজ্য তো শেষ হয়নি, এখনও চলমান, এবং গোষ্ঠীবিশেষের স্বার্থ যে তাতে চরিতার্থ হচ্ছে, সেটাও অসত্য হয়ে যায়নি।
"হুণ্ডি" নিয়ে আমি কিছু বলছি না, আমি জানতে চাইছি একটা সঙ্গত প্রশ্নের উত্তর। সেটা আপনার কাছে অগুরুত্বপূর্ণ হলে আপনি পাত্তা না দিলেই পারেন। অন্নপূর্ণা-৪ নিয়ে যে বিপুল অসঙ্গতি আমি খুঁজে পেয়েছি, সেগুলো নিয়েও লিখবো, এতে সমস্যা কোথায়? আপনি সেগুলোর প্রত্যুত্তরে কোনো প্রমাণ বা যুক্তি পেলে এসে দিয়ে যাবেন, তাহলেই তো হলো।
কোনো কিছু নিয়ে সংশয় প্রকাশের অবকাশ থাকলে সংশয় প্রকাশ করবো। এটার যৌক্তিকতা আপনার কাছে না থাকতে পারে, আমার কাছে আছে।
আপনার সুখস্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করা আমার কাজ নয়। আমি তো আপনার বেতনভোগী লেখক নই, তাই না? আমার লেখায় অস্বাচ্ছন্দ্য বোধ করলে আপনি পড়বেন না, কিংবা এসে বলে যাবেন সে কথা। কিন্তু কীভাবে লিখলে আপনি সুখ বোধ করবেন, তা আমাকে ডিকটেট করতে আসবেন না।
নিক ভাঁড়িয়ে মা বাবা তুলে গালি দেয়াকে যদি বিপরীত যুক্তি বলেন, আপনি ভুল জায়গায় এসেছেন।
বারবার বিনয় কথাটা শুনে মনে হচ্ছে আপনি বিনয় বলতে ধরে নিয়েছেন বিগলিত অবস্থাটি। আমি হাতজোড় করে গলবস্ত্র হয়ে লোকজনের পায়ে ধরে বলবো, পায়ের ধূলার সাথে প্রমাণ দিয়ে আমাকে ধন্য করুন। বিনয়ের এই ধারণাটি আমি সমর্থন করি না। এটা আপনার পছন্দ না হলে, আমার কিছু করার নেই।
এই দাবী যথার্থ এবং তার প্রমানও আছে। আমি সামুতে ফিফার লেখা "মুসা ইব্রাহীমের এভারেস্ট জয় : অবশেষে ভুল স্বীকার এবং কিছু কথা" তে একটা মন্তব্য করেছিলাম (মন্তব্য নং : ৪৪ ) যেখানে হিমুর রিপোর্টিং এর ব্যাপারে কিছু সমালোচনাও ছিল। মন্তব্যটা প্রাসংগিক মনে হওয়ায় এই পোষ্টেও মন্তব্যটা পোষ্ট করেছিলাম । কিন্তু সচলের মর্ডারেশন বোর্ড তা আজও প্রকাশ করেনি। অথচ হিমুর রিপোর্টিং এর পিঠ চুলকানি প্রশংসা ঠিকই প্রকাশ পাচ্ছে। সচল যে ভিন্নমত প্রকাশে অচল তার সবচেয়ে বড় প্রকাশ এখানেই । আর হিমু নিজেই একজন মর্ডারেটর হওয়ার সন্দেহের তীর তার দিকেই বেশি যায়।
- সাদাকালোরঙ্গিন
"৫৭.১ | হিমু | মঙ্গল, ২০১০-১০-১২ ১৯:০১
মুসার ভি দেখানো ছবিটিতে এভারেস্ট থেকে উত্তর-পূর্ব ও পূর্ব দিকের পাহাড়সারি দেখা যাচ্ছে। এটি ক্যাম্প-৩ থেকেও তোলা সম্ভব।
কীভাবে নিশ্চিত হলাম বলি। নাসার একটি ডেটাবেজ থেকে এই অঞ্চলের ভৌগোলিক মডেলটি নামিয়ে রেণ্ডার করা হয়েছে। মুসার ক্যামেরার স্পেক শিট থেকে তথ্য নিয়ে তার ক্যামেরার হরাইজোন্টাল অ্যাঙ্গল অব ভিউ বার করা হয়েছে। সেটি মডেলে বসিয়ে সিমুলেট করে দেখা হয়েছে, নর্থকোল-নর্থইস্ট রিজ রুটের কোন কোন জায়গা থেকে চোমো লোনজো মুসার ক্যামেরার ফ্রেমের সমান ফ্রেমে দেখা যায়। ৭৮০০ এর পর যে কোনো এলিভেশন থেকেই চোমো লোনজো দেখা যায়। এভারেস্ট থেকে চোমো লোনজো ২১ কিলোমিটার দূরে। চার-পাঁচশো মিটারের ব্যবধানে যে প্যারালাক্স এরর হবে, তা অতি ক্ষুদ্র, এবং ছবিটার একটা অংশ (সম্ভবত) ইচ্ছাকৃতভাবে বার্নট রাখার কারণে সেটি পরীক্ষা করা আরো দুঃসাধ্য।"
হিমু ভাই ,
১। এভারেস্ট সামিট থেকে চোমোলঞ্জ এর দুরত্ব ২১ নয়, ১৯ কিঃমি।
২। নর্থকোল রিজ রুটের কোন কোন স্থান থেকে সমান দেখা বলতে আপনি যা বুঝিয়েছেন সেটা ঢালাও হয়ে গেলো। তবুও বলতে হবে অন্য কোন স্থান এর ছবি র সাথে আপনি চোমোলঞ্জ কে সামিট এর পার্সপেক্টিভ থেকে পেলেন ?
আপনার মেথড টি পরিষ্কার নয়, এটা স্পর্শের ব্যাখ্যা করা প্রজেক্টিভ জিওম্যাট্রি এর সাথে অস ং গতি পূর্ন ।
এই ভুল গুলো কি আপনার অবহেলায় না আপনি যে ভুত্ববিদ কে দায়িত্ব দিলেন তার ভুজ?
আসা করি উত্তর জানাবেন।
মেথডে কী অসঙ্গতি পেলেন, সেটা বলুন, শুনি। আর স্পর্শের ব্যাখ্যা করে প্রজেক্টিভ জিওমেট্রির সাথে এই মেথডের সংঘর্ষ কোথায়, সেটাও শুনতে আগ্রহী।
এভারেস্টের নর্থকোল-নর্থইস্ট রিজের রুটের বিভিন্ন পয়েন্টের কোঅর্ডিনেটস খুঁজে বের করে মডেলে বসানো হয়েছে, আর সেখানে বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে চোমো লোনজো কীভাবে দেখা যাবে, সেটা খুঁজে বের করা হয়েছে। মুসা ইব্রাহীম হাই রেজোলিউশন ছবি হস্তান্তর করার আগ পর্যন্ত ফিচার ম্যাচ করা হয়েছে পত্রিকায় প্রকাশিত লো রেজোলিউশন ছবিতে পাওয়া চোমো লোনজোর ফিচারের সাথে। সেই ফিচারের সাথে ৭৮০০ মিটার থেকেই সাদৃশ্য পাওয়া যায়। তবে প্যারালাক্স ম্যাচ করানোর জন্যে চোমো লোনজোর সাথে অন্য কয়েকটি রিজলাইন স্পষ্টভাবে দেখা যাওয়া দরকার, যেটা লো রেজোলিউশন ছবিতে সম্ভব নয়। হাই রেজোলিউশন ছবি হাতে আসার পর আবার পরীক্ষা করে দেখেছি, এবং ফলাফল জানিয়ে দিয়েছি। সেখানে খুব ঝাপসা হলেও পেছনের একটি রিজলাইন দেখা যায়। বুঝলেন?
লো রেজোলিউশন ছবি দিয়ে আপনি অন্য কী মেথডে ম্যাচিং করাতে পারতেন, শুনতে আগ্রহী আমি। তারপর "ভুল" বা "অসঙ্গতি" গোছের শব্দ নিয়ে আপনার সাথে আলোচনা করতে চাই।
হিমু ভাই,
আপনি ১ম ভুলটির ব্যাপার -এ আপনার উত্তর জানাননি।
আপনি যে মন্তব্য টি করেছিলেন সেটি হাই-রেজ্যুলেশান ছবি প্রকাশ করার পরের, আরিফ জেবতিক এর পোস্ট এর ।
অসঙ্গতিটি হচ্ছে,
"নর্থকোল-নর্থইস্ট রিজ রুটের কোন কোন জায়গা থেকে চোমো লোনজো মুসার ক্যামেরার ফ্রেমের সমান ফ্রেমে দেখা যায়। "
আপনার এই লাইনটি কে ঢালাও মনে করছি।
আপনি প্রশ্ন করতেই পারেন, কিন্তু আমি আপনার তদন্ত করার যোগ্যতা নিয়ে জানাচ্ছি। জানতে চাই আপনার দেয়া (২১ কিঃমি) তথ্যের সুত্র।
আমি একই সাথে আপনার ৩ডি মডেল এবং আপনার জ্যিওগ্রাফিকাল তথ্য গুলো তে আপত্তি জানাচ্ছি।
আমার ভুল বানান এর জন্য I'm sorry। ঠিক আছে। ঃ)
আপনার জন্যে আবার সরল করে বোঝাই।
১. লো-রেজোলিউশন ছবির সাথে মডেলে রেণ্ডারড ছবি ম্যাচ করা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, চোমো লোনজোর রিজলাইন একটা বিরাট রেঞ্জে একই রকম দেখা যায়।
২. হাই রেজোলিউশন ছবি চাওয়া হয়েছে। বার বার। পাওয়া যায়নি।
৩. আরিফ জেবতিক হাই রেজোলিউশন ছবি নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন। কিন্তু ফ্লিকারে সেটা আকারে ছোটো হয়ে আসে। সেটা থেকে পরিষ্কার দেখা যায়নি।
৪. অন্য সূত্র থেকে অবশেষে হাই রেজোলিউশন ছবি সংগ্রহ করা হয়েছে।
৫. পুনর্বার মডেল রেণ্ডার করা হয়েছে, এবার চোমো লোনজোর পেছনের বহু দূর এলাকাসহ, কারণ হাই রেজোলিউশন ছবিতে চোমো লোনজোর পেছনে আবছা রিজলাইন দেখা যায়। এরকম মডেল রেণ্ডার করতে একটা সাধারণ কম্পিউটারে সাত-আট ঘন্টা সময় লাগে, কখনো কখনো আরো বেশি। মডেল রেণ্ডার করে দু'টি ছবি ম্যাচ করতে আমাদের কয়েকদিন সময় লেগেছে।
৬. সেই রেণ্ডারড ইমেজের সাথে হাই রেজোলিউশন ছবি ম্যাচ করা হয়েছে। এবার দেখা গেছে, হাই রেজোলিউশন ছবির পেছনের দিকে আবছা রিজলাইন দেখা যায়, যেটা ৮,৭৫০+ মিটার উচ্চতা থেকে ম্যাচ করা শুরু করে, তার নিচে গেলে আর করে না। অর্থাৎ, ছবিটা কমপক্ষে ৮৭৫০ মিটার উচ্চতা থেকে তোলা।
৭. এভারেস্টের ছায়ার ছবিটাও একই ভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে।
৮. এরপর পোস্ট দিয়েছি।
এবার আপনার মন্তব্য সম্পর্কে আমার পর্যবেক্ষণ শুনুন।
১. আপনি এই মেথডটাকে চ্যালেঞ্জ করছেন নিউমেরিক্যাল ভুল ধরার চেষ্টা করে। মেথডটা ইমেজ ম্যাচিং এর। তাই আমি যদি কোনো তর্কে চোমো লোনজো থেকে এভারেস্টের দূরত্ব ১৯ হাজার মিটার, ২০ হাজার মিটার বা ২১ হাজার মিটারও লিখে থাকি, ইমেজের কিছু যায় আসে না। কারণ ইমেজটা রেণ্ডার করা হয় ডেটাসেট থেকে, ম্যানুয়াল ইনপুট থেকে নয়। ডেটাসেটেও তথ্য থাকে অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশের বিপরীতে উচ্চতা হিসাবে। আর তথ্যসূত্রের ব্যাপারে বলি, ডেটাসেট যোগাড় করা হয়েছে নাসার শাটল রেডার টপোগ্রাফি মিশন থেকে।
২. আপনি আমার থ্রিডি মডেল দেখেননি, আপত্তি জানাচ্ছেন কীসের ভিত্তিতে? আপনার উদ্দেশ্য হচ্ছে, আপনি আমার বিশ্লেষণ পদ্ধতিটিকে ত্রুটিপূর্ণ দেখানোর চেষ্টা করছেন। আপনাকে হতাশ করবো, কারণ বিশ্লেষণ পদ্ধতিটি স্পর্শ আর তানভীর ভাই যেভাবে করেছেন, তেমনই। পার্থক্য হচ্ছে, তারা বিশ্লেষণ করেছেন অন্য অভিযাত্রীদের তোলা ছবি থেকে, ভাগ্যক্রমে চোমো লোনজোর সেরকম ছবি পাওয়া গেছে। পাওয়া না গেলে, কীসের সাথে মেলাতেন তারা? আমরা অন্য অভিযাত্রীদের তোলা ছবি নয়, বরং ভৌগোলিক মডেলের সাথে ম্যাচ করানোর চেষ্টা করেছি, যেখানে ক্যামেরার মডেল ভিন্নতার কারণে উদ্ভূত ভিন্ন হরাইজোন্টাল অ্যাঙ্গল অব ভিউয়ের ব্যাপারটিকে মোকাবেলা করার প্রয়োজন হয় না।
আপনি আপত্তি জানাতেই পারেন, আপনার আপত্তির ওপর ভিত্তি করে ভৌগোলিক মডেলিং আর ফিচার ম্যাচিং পদ্ধতি তো আর পাল্টাবে না।
ভাই মাশ্রুম,
আপনার সুবিধার্থে এভারেস্টের চূড়া (45N4927083095757 UTM ) থেকে চোমো লোনজোর চূড়া (45N5106503089515 UTM ) পর্যন্ত দূরত্ব নিচে দিলাম।
ছয় দশমিক ঘর পর্যন্ত দেয়া সংখ্যাগুলো থেকে মিলিমিটারে দূরত্ব বের করে নেয়া সম্ভব। আশা করছি দূরত্ব বিষয়ক প্রশ্নের উত্তর যথাযথভাবে দিতে পেরেছি।
হিমালয়ান গাইডসের তথ্যানুসারে মুসা ইব্রাহীম এভারেস্টে উঠেছেন নর্থ অ্যালপাইন রুট ধরে।
যদিও অনুসন্ধানে হিমালয়ে নর্থ অ্যালপাইন রুট নামে কোন রুট খুঁজে পাওয়া যায়নি। "নর্থ অ্যালপাইন" মূলত মুসার ক্লাবের নাম।
অনুসন্ধানের খাতিরে ধরে নেয়া হয়েছে মুসা ইব্রাহীম এভারেস্টের উত্তর দিক থেকে সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় রুট নর্থকোল-নর্থইস্ট রিজ রুট ধরে এভারেস্টে আরোহণ করেছেন। পেছনের দিগন্তকে হিসাবে না ধরলে নর্থকোল-নর্থইস্ট রিজ রুটের একটা বিশাল অংশ থেকে চোমো লোনজোকে প্রায় একই রকম দেখায়। [মডেলগুলো প্রকাশ করলে দেখে নেবেন]। সুতারাং, কথাটা ঢালাও হলেও একেবারে ভুল না।
ভৌগলিক তথ্য বিশ্লেষণের কাজটুকু আমি করেছি। এ বিষয়ে আমার প্রাতিষ্ঠানিক ও বাস্তব ক্ষেত্রে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাছাড়া, ডেটাগুলো পাবলিক ডোমেইন ডেটা। যে কেউ চাইলে নিজের উদ্যোগে আমাদের বিশ্লেষণের ফলাফল যাচাই করে দেখতে পারেন।
আপনি যে থ্রি-ডি মডেল ও জিওগ্রাফিক্যাল তথ্যগুলো প্রকাশ করার আগেই আপত্তি জানিয়েছেন তার ভিত্তি কী?
কাকস্য পরিবেদনা
সত্য আর যুক্তির জয় হোক!
হিমু ভাই, স্যালুট!
@হিমু
ধ্যনবাদ আপনাকে। কিন্তু যে ভুল করেছে আমি তার কাছ থেকে জানতে আগ্রহী
আপনার ইমেজ ম্যাচিং পদ্ধতি নিয়ে নয় আপনাকে সন্দেহ করছি। নাসা , স্পেইস সাট্যেল ইত্যাদি রাখুন, আপনার উল্লেখ করা ২১ কিমি দুরত্ব যে ভুল ছিল সেটাই বলুন স্পস্ট করে।
[quote হিমু]"১. আপনি এই মেথডটাকে চ্যালেঞ্জ করছেন নিউমেরিক্যাল ভুল ধরার চেষ্টা করে। মেথডটা ইমেজ ম্যাচিং এর। তাই আমি যদি কোনো তর্কে চোমো লোনজো থেকে এভারেস্টের দূরত্ব ১৯ হাজার মিটার, ২০ হাজার মিটার বা ২১ হাজার মিটারও লিখে থাকি, ইমেজের কিছু যায় আসে না।"
[/quote হিমু]"৬. সেই রেণ্ডারড ইমেজের সাথে হাই রেজোলিউশন ছবি ম্যাচ করা হয়েছে। এবার দেখা গেছে, হাই রেজোলিউশন ছবির পেছনের দিকে আবছা রিজলাইন দেখা যায়, যেটা ৮,৭৫০+ মিটার উচ্চতা থেকে ম্যাচ করা শুরু করে, তার নিচে গেলে আর করে না। অর্থাৎ, ছবিটা কমপক্ষে ৮৭৫০ মিটার উচ্চতা থেকে তোলা। "
আপনি ইমেজ ম্যাচিং করে ৮৭৫০ নিউমেরিকাল ভ্যালু বের করতে পারলেন,
আর যে চোমোলঞ্জের ইমেজের সাথে ম্যাচ করালেন তার দুরত্ব উল্লেখ করলেন ২১ কিঃমি( আসলে ১৯ কিঃমি) !
আমি আপনার পদ্ধতি কে নয় আপনার ৩ডি মডেল এর ন্যুমেরিক ভ্যালু ( দুরত্বের)একি সাথে আপনার জ্যিওগ্রাফিকাল তথ্য ও আপনার যগ্যতা আপত্তি যানিয়েছি।
@ ভাই দ্রোহী
"পেছনের দিগন্তকে হিসাবে না ধরলে নর্থকোল-নর্থইস্ট রিজ রুটের একটা বিশাল অংশ থেকে চোমো লোনজোকে প্রায় একই রকম দেখায়। [মডেলগুলো প্রকাশ করলে দেখে নেবেন]। সুতারাং, কথাটা ঢালাও হলেও একেবারে ভুল না।"
হিমুর হয়ে আপনার এই ম ন্তব্য টি ইনিয়ে বিনিয়ে কারও ইচ্ছা/ অনিইচ্ছা কৃত ভুল কে আরাল করার চেষ্টা মাত্র।
আপনার দেয়া নতুন তথ্য ( সামিট হতে চোমোলঞ্জ এর দুরত্ব) ঠিকাসে।
আপনি