১.
ভোরবেলা কুকুরের গম্ভীর হিংস্র ডাকে ঘুম ভেঙে গিয়েছিলো, আবছাভাবে মনে করতে পারলেন চৌধুরী মেহমুদউল্লাহ সিকান্দার। সম্ভবত তখনই চিঠিটা রেখে গেছে কোনো শালা শুয়ারের বাচ্চা, মনে মনে ভাবলেন তিনি।
কালু ডাকাতের কাজ, কোনো সন্দেহ নেই। বড় তুলোট কাগজে গোটা গোটা হরফে ফারসীতে লেখা চিঠি। কালু ডাকাতের দলে শিক্ষিত মুনশি আছে একজন, শুনেছিলেন তিনি রায়পাহাড়ের জমিদার অনিন্দ্য রায়চৌধুরীর কাছে ...
১.
ভোরবেলা কুকুরের গম্ভীর হিংস্র ডাকে ঘুম ভেঙে গিয়েছিলো, আবছাভাবে মনে করতে পারলেন চৌধুরী মেহমুদউল্লাহ সিকান্দার। সম্ভবত তখনই চিঠিটা রেখে গেছে কোনো শালা শুয়ারের বাচ্চা, মনে মনে ভাবলেন তিনি।
কালু ডাকাতের কাজ, কোনো সন্দেহ নেই। বড় তুলোট কাগজে গোটা গোটা হরফে ফারসীতে লেখা চিঠি। কালু ডাকাতের দলে শিক্ষিত মুনশি আছে একজন, শুনেছিলেন তিনি রায়পাহাড়ের জমিদার অনিন্দ্য রায়চৌধুরীর কাছে। তবে হাতের লেখা দেখে নয়, কালু ডাকাতকে সনাক্ত করার সহজ উপায় হচ্ছে মরা হাঁস। হুমকি চিঠির সাথে একটা হাঁসের গলা কেটে পাঠায় সে।
নায়েব যতীনবাবু গম্ভীর মুখে দাঁড়িয়ে আছেন পাশে। চৌধুরী সাহেব গলা খাঁকরে বললেন, "ফারসী পড়া আসে না আমার। চিঠিটা পড়ো সরকার।"
যতীন সরকার মুখের গাম্ভীর্য অটুট রেখে চিঠিটা পড়তে শুরু করলেন। সামান্য সুর করে একটি একটি ফারসী বাক্য পড়ে শেষ করে তার পর বাংলায় তর্জমা করে বলে যেতে লাগলেন, "জমিদার সাহেব, কুশল জানবেন। ... খোদার ইশারায় আমার বাইশ হাজার টাকার প্রয়োজন হইয়াছে। ... কার্তিক মাসের মধ্যেই টাকাটি সংগ্রহ করিব। ... অযথা বাধা প্রদান করিয়া গরীবকে কষ্ট দিবেন না। ... আপনার স্নেহধন্য, কালু শেখ।"
চৌধুরী সিকান্দারের মুখ অন্ধকার হয়ে এলো রাগে। কার্তিকের শেষ সপ্তাহে কোম্পানির খাজনা পরিশোধ করতে যাচ্ছেন তিনি। গুণে গুণে বাইশ হাজার টাকা।
ক্রোধান্ধ চৌধুরী হুঁকার নল মাটিতে আছড়ে ফেলে উঠে দাঁড়ালেন। "চার নৌকা লাঠিয়াল সঙ্গে নাও সরকার! বন্দুক যা আছে সব সাথে যাবে!"
যতীন সরকার গম্ভীর মুখে মাথা ঝোঁকালেন শুধু। নদীপথে কালু ডাকাত কালবৈশাখীর মতোই তীব্র আর পূর্বাভাসের অযোগ্য।
"রায়পাহাড়, সরিষাবন, মহুয়াকাঠি আর বারুদগাছার জমিদার সাহেবদের কাছে লোক পাঠাও। খবর পাঠাও, ধলিয়াদির জমিদার, সিকান্দার পরিবারের বড় ছেলে মেহমুদউল্লাহ কালু শেখের শির উপহার চান। যিনি দিতে পারবেন, তার আগামী বছরের খাজনা সিকান্দাররা শোধ করবে!"
যতীন সরকার অস্ফূটে বললেন, "কিন্তু ... সে যে অনেক খরচান্ত পড়বে রাজামশাই ...!"
চৌধুরী মেহমুদউল্লাহ বাঘের গর্জনে বললেন, "খরচকে সিকান্দাররা ভয় করে নাকি? কালু শেখের কল্লা তশতরিতে করে কাছারি ঘরে সাজানো দেখতে চাই আমি!"
যতীন সরকার ম্লান মুখে বললেন, "লোক পাঠাচ্ছি।"
২.
কার্তিকের এক কৃপণ চাঁদের ভোরে চৌধুরী সিকান্দারের বজরার সাথে চারটি বড় নৌকা বোঝাই পেশীবহুল লাঠিয়াল বাহিনী ভেসে পড়লো যমুনায়। চৌধুরী সাহেব তার গুলিভর্তি ফরাসী রাইফেলটি বজরার শয়নকক্ষে তৈরি রেখেছেন।
৩.
কালু ডাকাতের নাম অকারণেই কালু রাখা হয়েছে, দলের অন্য যে কোনো ডাকাতের চেয়ে তার গায়ের বর্ণ উজ্জ্বল। এ কারণেই ডাকাতি করার সময় কালু গায়ে কাঠকয়লার গুঁড়ো মেখে যায়।
সেদিন সন্ধ্যায় কালু কোনো অঙ্গারপ্রসাধন ছাড়াই বল্লম হাতে সংক্ষিপ্ত হুকুম দিলো শুধু, "চল!"
কুড়িজন ভয়ঙ্করদর্শন ডাকাত ক্ষয়াটে চাঁদের নিচে দ্রুত পায়ে বেরিয়ে এলো ধলিয়াদীর জমিদারের কাঁঠালবাগান ছেড়ে। গত তিনদিন ধরে তারা এই বিরাট বাগানের ভেতরে লুকিয়ে আছে মানুষের চোখ ফাঁকি দিয়ে।
চারদিক অন্ধকার, বহু দূরে রাক্ষসপুরীর মতো জেগে চোখ মিটমিট করছে জমিদারবাড়ি। কালুর সাগরেদদের মধ্যে চাঁই খগা ফিসফিস করে বললো, "ওস্তাদ, টাকাপয়সা তো সব নিয়ে বেরিয়ে গেছে জমিদার। খালি বাড়িতে কী ডাকাতি করবেন?"
আরেক সাগরেদ আলি মিয়া হিসহিস করে বাতাসের স্বরে বললো, "সোনাদানা আছে না? যতো সোনার গহনা আছে সব লুটে আনবো!"
কালু হাসে নিঃশব্দে। অন্ধকার রাতের বুকে ফুটে ওঠে একসারি ঝকঝকে দাঁত।
৪.
জমিদারবাড়ির নিজস্ব প্রহরীরা কালু শেখের ডাকাতদলের মুখোমুখি হবার যোগ্য নয়। তাদের একজন পেটে বর্শা নিয়ে লুটিয়ে পড়লো, একজনের মস্তক প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলো হাঁসুয়ার কোপে, বাকিরা ঊর্ধ্বশ্বাসে পালালো। বিনা শোরগোলো।
কালু বল্লম হাতে মস্ত কয়েক লাফে সিঁড়ি ভেঙে উঠে গেলো দোতলায়। জমিদারের ছোটো বউ রুখসানার ঘর সেখানেই, সে জানে।
ছোটো একটা বিষের শিশি আঁচলে রাখা দস্তুর জমিদারগৃহিণীদের, রুখসানা নিতান্ত নবীনা বলে চর্চাটা আত্মস্থ করে উঠতে পারেনি। কালুর প্রচণ্ড লাথিতে দরজার শিথিল খিল ভাঙার শব্দে বিছানায় জেগে উঠে সে অনুভব করলো, ভুল হয়ে গেছে।
ঘরের ভেতর একটা প্রদীপ টিমটিম করে জ্বলছে, মাটিয়ে শুয়ে থাকা বুড়ি দাসী রুখসানাকে জড়িয়ে থরথর করে কাঁপছে। কালু বুড়িকে দরজার বাহিরে বেরিয়ে যেতে ইশারা করলো হাত দিয়ে। বুড়ি নড়লো না।
কালু গমগমে স্বরে শুধু বললো, "যা!"
বুড়ি দাসী খোঁড়াতে খোঁড়াতে চোখের জল মুছতে মুছতে ছুটে বেরিয়ে গেলো। কালু হাতের বল্লমটা খিলের ঘাটে বসিয়ে দরজা বন্ধ করে ঘুরে দাঁড়ালো।
কালুর সঙ্গীরা যখন চৌধুরী মেহমুদউল্লাহর প্রথমা স্ত্রীর ঘরে ঢুকে সিন্দুক খোলার জন্য হুমকিধামকি দিচ্ছে, কালু তখন অন্যকিছু লুণ্ঠনে ব্যস্ত। সোনা লুট করতে সে আসেনি আজ।
৫.
রুখসানার শিশুপুত্রটির গায়ের বর্ণ উজ্জ্বল বলে আর তেমন শোরগোল হলো না। সাত বছরে পা দেয়ার পর মস্ত হাতিতে চড়ে তাজ মাথায় ধলিয়াদীর সীমানা ধরে এক চক্কর মেরে এসে পিতার পা ছুঁয়ে কদমবুসি করলো চৌধুরী মেহরাবউদ্দিন সিকান্দার।
৬.
সিকান্দার পরিবারের সন্তানেরা আজ যখন সংসদ নির্বাচনে নামেন, তখন যুগের ধারা অনুসরণ করতে ভোলেন না। ওয়েবসাইটে বিরাট বংশলতিকা ঝোলান, সম্রাট বাবরের বংশধর তারা। বাবর থেকে শুরু করে চৌধুরী মাশরুফ মোহসিন সিকান্দার পর্যন্ত একের পর এক দেদীপ্যমান গুম্ফবান সিংহপুরুষের নাম আর তৈলচিত্র শোভা পায় সেই ওয়েবপেজে।
দেশের লোকজনের বোঝা উচিত, চাকরবাকরদের ছানাপোনাদের দিয়ে রাজনীতি চলে না। দেশ চালাতে হলে আওকাৎ থাকতে হয়, রক্তে বহমান থাকতে হয় যথাযোগ্য খানদানের কণা। ধলিয়াদীর সিকান্দাররা এমনই এক পরিবার।
দলে দলে ভোট দিন।
মন্তব্য
জানতাম, আসতেছে!
কেবল একজন জারজের পক্ষেই সম্ভব মাতৃভাষাকে অপমান করা।
কুটুমবাড়ি
উঁহু, 'ঠাকুর সাহাবের' মাতৃভাষাকে বরং ওঁরা জমিনদার ক্লাসের ভাষা করে কত সম্মান দেন! ইংরিজিকেই বরং তুশ্চু করে চাকরবাকরদের (হুকুম দেবার) ভাষা করে রেখেছেন।
হিমু ভাই, জব্বর হইছে
--শাহেদ সেলিম
অনুমান করতেছিলাম যে আসতেছে...
আপনে হালায় আসলেই বস পাব্লিক...
এই যাহ্ আবার চাকর বাকরের ভাষায় কথা বলে ফেল্লাম... কী আর করা, আমি তো তিন পুরুষের উপরে কাউরে চিনি না... যাদের চিনি সবাই "চাকর" শ্রেণীর!!!
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এই তাইলে মিসিং লিঙ্কের কারন
ফার্সি তর্জমা করে বলি 'ধো ডালা'
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
এই তো দিলেন ভজগট পাঁকিয়ে। জনাব, আপনার বোধহয় জমিদার পরিবারের কথ্য ভাষা সম্পর্কে বিশেষ ধারণা নেই।
তবে... এসব আপনারা জানবেনই বা কি করে।
ফর ইয়োর কাইন্ড ইনফরমেশন, এখানে 'নৌকা' নয়, 'নৌকো' হবে।
'কালু শেখের কল্লা' নয় 'কালু শেখের গর্দান' হবে।
জমিদারের বাড়ির গল্প লিখবেন, ভাষাটা ঠাকুরবাড়ির মতো হচ্ছে কিনা, সে ব্যাপারটা দ্যাখা আপনার দায়িত্ব।
ভাষা সংশোধনের পর মূল বক্তব্যে আসি, সেটা হচ্ছে, নায়েব ভদ্রলোকের সাথে পুরো কথপোকথন টাই আসলে ভুল ভাষায় করা হয়েছে। সঠিক ভাষাটা হবে ইংরেজি। কারণ, সাধারণত, জমিদার বাড়ির লোকজন চাকর বাকরের সাথে ইংরেজিতেই কথা-বার্তা চালিয়ে থাকেন।
ধন্যবাদ।
............................................................................................
স্বপ্ন আমার জোনাকি
দীপ্ত প্রাণের মণিকা,
স্তব্ধ আঁধার নিশীথে
উড়িছে আলোর কণিকা।।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
লাইকাইলাম!
হুঁ গিয়ানজাম পাকিয়ে দিয়েছিনু ...
হেহেহ!!!
লাইকাইলাম!!
---------------------
আমার ফ্লিকার
---------------------
আমার ফ্লিকার
আমিও আপনার সাথে একমত। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই ধরণের অতীব উচ্চ বর্ণের জামিন্দার বংশিয় খাটি আদমদের আসা উচিত। অনেক দিন ধরেই আজমপুর গোরস্থানের দারোয়ানদের লীলাখেলা দেখলাম, এইবার এই তেনাদের কপিনৃত্য দেখিতে চাই।
আর ইয়ে চাকর শ্রেণীর ভাষায় কথা বলিয়াছি বলিয়া মাফ করিয়া লইবেন। অন্য শ্রেণীর ভাষা যে এই অধম জানে না।
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
_________________________________________
সেরিওজা
জমিদার সাহবে মনে পড়ে একবার উদারচেতা হিসেবে ব্যাপক পাবলিসিটি পেয়েছিলেন!
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
সেইরকম হয়েছে!!!!
বাহ বাহ দারুন!!!
মোহনা
ভোট তো দিমুই। না নামেও তো খারায় একটা। গতবারও দিছিলাম ও না ব্যাটারে - হালারপুতে পাশ করতে পারে নাই, চাকরের জাত মনে হয়।
লেখনীর মাধ্যমে এই রকম শক্ত চড় দেবার আপনার এই অদ্ভুত ক্ষমতাটা আমাকে মুগ্ধ করে...
কে এই সিকান্দর?
মুকাদ্দর কা সিকান্দর সাহেবকে পাবেন এখানে।
দুইন্যাটা এই যো জিতা ওহি সিকান্দর সাহেবদের কারণেই এখনো পানসে হয়ে যেতে পারে নাই। যুগ যুগ জিও মেরে লাল।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এই বিনোদনটা আগে মিস হয়ে গেছিলো ... ... চরম। আসলেই চিড়িয়াখানায় একটা আলাদা খাঁচা দরকার।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
হে হে হে
এই মালরে চিড়িয়াখানায় বসানোর সিদ্ধান্তে আমার ব্যাপক আপত্তি আছে। আমি চাই না, এর আগমনে অন্য প্রাণীরা চিড়িয়াখানা ছেড়ে এক কাপড়ে বেরিয়ে যাক!
তার চেয়ে এরে ধরে মেয়রই বানায়ে দেন। না না, ঢাকার না। বালিয়াদি বলদপুরের। তারপর দেখেন বিটিভিতে তার হাদুমপাদুম। চিড়িয়াখা হৈলে গাঁও গেরামের মানুষেরা এই বিনোদন পাবে না। বিটিভি মাশাল্লা কাউয়ার চরেও আছে। ওদের জীবনেও তো আল্লাদ-আনন্দের দরকার আছে!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কিছু মিস করছি কি? লিংক দেয়া যায়?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
http://www.sachalayatan.com/ragib/35561#comment-372874 দেখেন।
মলিয়াদির চোদুরি বংশের লোকজন এই "অকমান" সইবে না।
বংশলতিকার গোড়া আদম থেকে টেনে নামিয়ে বাবর করায় তীব্র প্রতিবাদ।
কাকস্য পরিবেদনা
আহারে, প্রথমবার কিছু না জেনে পড়ে মিচকি হেসে চলে গিয়েছিলাম। এইবেলা ওই লিঙ্কটা পড়ে ভাল করে হেসে নিলাম!
এই বেলা একটু হেসে নেই।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আমার বিলুপ্ত হৃদয়, আমার মৃত চোখ, আমার বিলীন স্বপ্ন আকাঙ্ক্ষা
love the life you live. live the life you love.
সাতসকালে অফিসে বসে হাসতে হাসতে শেষমেষ এক কলিগের সামনে ধরা খাইলাম।
বংশের লতাগুলা যে এমন নির্মল বিনোদন বিতরণ করে, জনাবের জামিনদারী ইংলিশে দেয়া বক্তব্য টোফেল-আইএল্টসের বই ঘাইঁটা তরজমা কইরা না বুঝতে পারলে তো সেইটা জানাই সম্ভব হইতোনা!
ইদানিং ডিফারেন্সিয়েশন/ইন্টিগ্রেশন নিয়া কাজ করতেছি। একটু অংক কষলাম মনে মনে।
এই জমিনদারপুত্ররে ডেরিভেটিভ ধইরা ফুল সিস্টেমরে ইন্টিগ্রেট করতে গিয়া তো আঁৎকাইয়া উঠলাম।
জমিনদারপুত্রের পিতার মতো তার আশপাশের পান্ডবগোর অফস্প্রিং স্যাম্পলগুলাও যদি এইরকম চলিষ্ণুবিনোদনকল্পদ্রুম হয়, তাইলে এগোর যোগফল কি চিজ হইতে পারে (যারা উত্তরাধিকারসূত্রে ক্ষমতায় বসবো একসময়), ভাবতে গিয়া পিপাসা পাইলো।
যাই বরং, একটু চা খাই।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
চ্রম হইছে। দ্রুম দ্রুম দ্রুম..............তোপধ্বনি!
আমার এক আত্মীয়া ধর্ষিতা হবার কারণে সবার সাথে হাসিতে সামিল হতে পারলামনা, দু:খিত। উপমাটা বোধহয় অন্যভাবেও দেওয়া যেত।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
প্রথমে তো বুঝি নাই কি হইছে। আসল ঘটনা পড়ে মনে হইছে বেটা পাগল।
গান শোনেন।
জমিদারনন্দনের ব্যাপারটা আগে খেয়াল করি নাই।
-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
হবে গো বদ্দা।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ঐ! শুরুটায় ঘাবড়ায়া গেছিলাম।
জবর হৈছে!
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
কেউ কষ্ট করে এটা ইরাদ আলীর কপালে এটে দিয়ে এসেছেন নাকি? আর সাথে বোনাস হিসাবে পোঁদে একটা লাথি দিলে আরো ভালো হয়।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আচ্ছা, কালু শেখের অফিশিয়াল বংশধরদের কি হবে ? তারা ভোট পাবে না নির্বাচনে দাঁড়ালে ?
এই গল্পটাকে একদম উড়িয়ে দিতে পারছি না কারন এর সাথে আমার পরিবারে প্রচলিত একটা কাহিণীর খানিকটা মিল আছে ! কোন এক গুরুজন-স্থানীয় আত্নীয়ের মুখে শুনেছিলাম ছয়-সাত পুরুষ আগে আমাদের পূর্বপুরুষরা নাকি, না জমিদার নয়, ডাকাত ছিলেন ! ও হ্যাঁ, আপনার গল্পের কালু শেখের মতই গৌরবর্ণ ও বিশালদেহী। এমনকি আমার পিতা-পিতামহ পর্যন্ত। তো ঐ পূর্বপুরুষ নাকি কোন এক সুন্দরী জমিদার নন্দিনীকে লুট (আমার ঐ গুরুজনের ভাষায় স্বেচ্ছায় 'ইলোপ') করে নিয়ে বিবাহ করে অন্য অঞ্চলে গিয়ে জঙ্গল কেটে বসতি স্থাপন করেন। আমরা নাকি তারই বংশধর।
এই পারিবারিক কাহিণীটা যদি সত্যি হয়, তাহলে তো বলতে হয় আমার শরীরেও ডাকাত+জমিদারি রক্ত আছে। কে জানে, রক্তের জমিদারি অংশের সূত্রে হয়তো আমার দেহে (আপনার গল্পের ফর্মুলা অনুযায়ী) হযরত আবু বকর কেন, কারবালার যুদ্ধে বেঁচে যাওয়া ইমাম হাসান-হোসেনদের একমাত্র বংশধর জয়নাল আবেদীনের সূত্র ধরে খোদ নবীবংশের রক্তই প্রবাহিত, এবং সেই সূত্রে হযরত ঈব্রাহীম, নূহ নবী, থেকে শুরু করে বাবা আদম পর্যন্ত। কিম্বা আরো আগে পর্যন্ত....(গাছ নয়, তারো অনেক উপর দিকে) ! আর এই দিকে ডাকাত অংশের রক্ত ধরে দস্যূ রত্নাকর, মহাঋষি মহামুনি বাল্মীকি (যিনি তরুন বয়সে দস্যু ছিলেন) থেকে শুরু করে দেবরাজ ইন্দ্র পর্যন্ত পর্যন্ত তাবৎ মুনি-ঋষি-দেবাদিদেবের রক্ত বইছে ( সুনীলের একটা উপন্যাসে যদ্দুর মনে পড়ে দেবরাজ ইন্দ্রকে ইরান/মধ্য-এশিয়া থেকে আসা এক আর্য দস্যুদলের সর্দার বলেই দেখানো হয়েছিল। সুনীতিকুমারে বই পড়লেও অনেকটা সেইরকমই মনে হয়)।
তাহলে, আমার প্রশ্ন এত রাক্তিক যোগ্যতা থাকার পর আমি কেন পারব না ঢাকার মেয়র পদে নির্বাচিত হতে ? এমনকি প্রধানমন্ত্রী ? দিবেন না ভাই ও বোনেরা আমাকে দলে দলে ভোট ?!
আচ্ছা ঠিক আছে, আমার সাথে নবীবংশ/বাবা আদম (বা তৎপূর্ব) / দেবরাজ ঈন্দ্র এদের আত্নীয়তার দাবী যদি নেইমড্রপিং মনে হয় আপনাদের, তাহলে সেটা বাদই দেন। আমি তো এ্যাট লিস্ট হালালজাদা ! :-D
সৈয়দ শেখ মোহাম্মদ জালালুদ্দিন ঠাকুর ডাকিয়াতি
(হালালজাদা ডাকাত-মার্কায় দলে দলে ভোট দিন!)
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
লেখা বরাবরের মতোই চরম!
রাগিবের পোস্টটা আগে পড়া ছিলো না, ধুগোরে ধইন্যাপাতা। এখন পইড়া চোদ্রি সা'বের কমেন্ট থেইক্যা ব্যাপক বিনোদন পাইলাম। এই মালটারে "জাতীয় ভাঁড়" আখ্যা দেওনের জোর দাবি জানায়া গেলাম।
এত কাণ্ড ঘটে গেল--টেরই পেলাম না। আমার আস্ত জমিদার ইচ্ছে ছিল বাল্যকাল থেকে। চোদরি হুজুরের ফটোক আছে? দেখবার ভারী সখ।
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'
ছবি দেখতে চান, আমরা হইলাম 'চাকর' এর জাত, তাই হারপিক দিয়া চোখ মাইজা আসেন নাহলে রূপের ঝলকানিতে চোখ গইলা যাইব
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
কালু ড়ক্স ড়োক্সানা...
_______________________________________________
সিগনেচার কই??? আমি ভাই শিক্ষিৎ নই। চলবে টিপসই???
এতদিনে বুজলাম, এগুলি মাল দুইন্যাতে পয়দা হয় ক্যাম্নে।
হেহে ...
অট: রায়পাহাড়ের জমিদারের অন্য কোনো নাম পাওন গেল না
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
ফেসবুকে এ্যাডের ঠেলায়...
আমি মেঘের দলে আছি, আমি ঘাসের দলে আছি
অলস সময়
খুবই মজা পাইলাম। তবে আশঙ্কা, নারী-অপমানের মামলায় ফেঁসে যেতে পারেন।
কামরুল হাসান রাঙা
'বলিয়াদির বলদ' এর প্রতি কোনো ইঙিত যদি এই লেখায় থাকে, তাহলে এই লেখার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এরকম দুষ্প্রাপ্য ধরনের বিনোদনকে নিয়ে সচলে একটি সাক্ষাতকার প্রকাশ করা হোক।
টোফেল কিংবা আইএলটিএস এর মতো বলদিএস নামে একটি পরীক্ষা দিয়ে জমিদারী ভাষা শিক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
-
( ইয়ে, এতদিনে বুঝলাম সরকার কেন ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন খালি পিছিয়ে দিচ্ছে।)
মজা পেলাম না। ইরাদকে গালাগালি করাটা স্বাভাবিক মনোভাবেরই বহিঃপ্রকাশ(আমিও করেছি), কিন্তু তাঁকে পরিশীলিত ভাষায় নিয়ে এসে পরিবারের আত্মীয়স্বজনের মধ্যে রক্তের দোষ জাতীয় ব্যাপার স্যাপার খুঁজে বের করাটা এবং সেজন্য পরিবারের একজন মহিলা শ্রেণীকে ধর্ষণ করানোতে ঠিক কি আত্মগরিমা প্রকাশ পেলো বুঝলাম না।
'তর মায়েরে তমুক লুচ্চা লাগায়ে পয়দা করছে, আর তুই বনেদীয়ানা *দাস' জাতীয় কথা আড্ডাবাজিতে, মারামারিতে হয়তো বলে গায়ের ঝাল মেটানো যায় কিন্তু যতই তার পরীশিলিত রূপ দেখানো হোক না কেনো, তা ঐ পুরুষতান্ত্রিক বনেদীয়ানাই শুধু প্রকাশ করে।
প্রতিবাদ, স্যাটায়ারের মূল কি আরো যথাযথ করা যেতো না? সচলায়তনের মত উঁচুমানের প্লাটফর্মে এটুকু প্রত্যাশা তো আমরা আমপাঠকেরা করতেই পারি।
ধন্যবাদ।
**
ফালতু
প্রথম পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, "ইরাদ" এলো কোত্থেকে? ইরাদ শব্দটিই গল্পে কোথাও ব্যবহৃত হয়নি। আপনি যদি এটা গল্পে গুঁজে নিয়ে পড়েন, সেটা আপনার সমস্যা। লেখককে এর মাঝে টানবেন না।
দ্বিতীয় পর্যবেক্ষণ, আত্মগরিমা প্রকাশের জন্যে কেউ গল্প লেখে বলে জানি না। আপনার সন্ধানে এমন আত্মগরিমাপ্রকাশবাচক গল্পের নমুনা থাকলে আমাকে দিতে পারেন, পড়ে দেখতে আগ্রহ বোধ করছি।
তৃতীয় পর্যবেক্ষণ, জমিদারি ব্যবস্থাটা খুব কড়াভাবেই পুরুষতান্ত্রিক ছিলো। পারলে পাঁচজন নারী জমিদারের নাম বলে যান। পুরুষতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিয়ে গল্প লিখতে গেলে সেটাতে তো পুরুষতান্ত্রিকতাই আসবে।
চতুর্থত, হ্যাঁ, প্রতিবাদ বা স্যাটায়ারের মূল আরো যথাযথ করা যায়। কিন্তু গল্পটা তো কোনো কিছুর প্রতিবাদে নয়। স্যাটায়ারও ঠিক নয়। বংশ নিয়ে গর্ব করাটা এতো স্থূল একটা চর্চা, যে এর লুপহোলগুলোও স্থূল, সেটাই দেখানোর চেষ্টা করা। সূক্ষ্মতা সবসময়ই এক্সপেনসিভ, অপাত্রে বর্ষণের অর্থ হয় না।
পাঠকের প্রত্যাশার কোনো পরিসীমা নেই ভাই ফালতু। তাই মাঝে মাঝে পাঠককে হতাশ হতে হয়।
ইরাদ কে?
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
ইরাদ চিনি না, তবে ইরাদা চিনি। তেনার ইরাদা খুবেকটা সুবিধার মনে হৈতাছে না!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
(৩৭.১ নং কমেন্টের আলোকে)
প্রথমেই আলোচনার জন্য ধন্যবাদ।
১. স্যাটায়ার অবশ্যই সাব্জেক্টিভ হবে, আর তাকে অব্জেক্টিভ হিসেবে নেবেন পাঠকেরা
স্যাটায়ারের উদ্দেশ্যই তো এই। নাহলে সেটাতো বায়োগ্রাফি বা কুৎসারচনা হতো, স্যাটায়ার হতো না তাইনা? এখন অরওয়েল যতই দাবী করুন যে তিনি এনিমেল ফার্ম গবাদিপশু নিয়ে লিখেছেন, তাতে করে কি তার কমিউনিজম বিরোধী লেখাটি পাঠক অন্যভাবে নেবে? আপনার এখানেও তাই এই পাঠকের স্বতঃস্ফূর্ত অব্জেক্টিভ ধারণা 'ইরাদ'কেই বেছে নিয়েছে। বলতে পারেন তার দায় কী লেখকের? হ্যাঁ ও না। সাহিত্য রচনার ক্ষেত্রে লেখককে এইটুকু স্বাধীনতা সবাইই দেবেন, কিন্তু এর প্রভাবের প্রভাবক হিসেবে তার দায়কেও এড়াতে তিনি পারবেন না। তাই আলোচনায়, সমালোচনায় এই অব্জেক্টিভ অংশগুলো তার মুখেই গুঁজে দেওয়া হবে/হয়, আইনী/সামাজিক/নৈতিক সমস্যাতে পড়লেও জবাবদিহি তাকেই করতে হবে/হয়। বলতে পারেন এটা নিছক গল্প হিসেবে ভাবতে দোষ কি? স্যাটায়ার নাও তো হতে পারে? সেক্ষেত্রে গল্পের শেষের তিন প্যারা কিন্তু সম্পূর্ণ মিসগাইড করছে আমাদের, তাইনা? অবশ্য এটাও সাব্জেক্টিভ।
২. আত্মগরিমা যে আপনার প্রকাশ পেয়েছে তাতো কোথাও বলিনি! স্যাটায়ারের মূল যে
মেসেজ বা উপলদ্ধি তা নিয়ে বলেছি। অর্থহীন, হাস্যকর বনেদীয়ানায় আমাদের
আমপাবলিকের মনে যে হাস্যকৌতুক ও বিরক্তি সম্বলিত বোধের উদয় হয় তার বহিঃপ্রকাশ কি স্রেফ ওই ছিদ্রান্বেষী ধর্ষকামী আত্মগরিমা? এটাই বুঝিয়েছি।
৩. গল্পের জমিদারকেন্দ্রিক পুরুষতান্ত্রিকতা নিয়ে তো পুরুষতান্ত্রিক বনেদীয়ানা বলি নি! যে গালিটির(আগের কমেন্ট পশ্য) পরিশীলিত রূপের ভাবসম্প্রসারণ এই গল্প তার উদ্দেশ্য কিংবা মনোভাবকেই বুঝাচ্ছি। অর্থাৎ একজনের বনেদীয়ানার ফাঁপা কলসী ভাঙতে আমরা আরেকটি শ্রেণী(নারী)কে প্রকারান্তরে নিচে নামাচ্ছি আমাদের গহীন ধর্ষকামকে প্রকাশ করে(ধর্ষণ সাহিত্যে খুবই সাধারণ একটি বস্তু। কিন্তু তার উদ্দেশ্য যদি হয় বনেদীয়ানাকে হাস্যকর করতে চাওয়া, তাহলে প্রতিবাদতো করাই যায়, তাইনা? । এই যে সুপ্ত পুরুষতান্ত্রিক আধিপত্য, একেই বুঝিয়েছি।
৪. ঐ যে বলেছি অব্জেটিভ। অবশ্যই তাই আমার সাথে আর দশজন পাঠকের মনোভাব,
মতামত, চাহিদা নাও মিলতে পারে। আমিও একে অস্বীকার করিনা কিংবা একে উঁচু/নিচু
কোথাওই স্থান দেই না। আমি স্রেফ কেন মজা পাইনি তা আগের কমেন্টে জানিয়েছিলাম এবং সে কারণে একটি আবেদন জানিয়েছিলাম। এইতো!
আবারও ধন্যবাদ
**
ফালতু
পাঠক তার কল্পনার কাছা খুলে ম্যারাথন দৌড়ানোর অধিকার রাখেন। কিন্তু সেই ম্যারাথনের দায়ভার লেখকের কাঁধে চাপাতে যাওয়ার চেষ্টাটা কিছুটা হলেও হাস্যকর। আজকে এক পাঠক যদি এসে বলেন, ডাকাতের নাম কালু শেখ, এতে করে আওয়ামী লীগকে হেয় করা হয়েছে, তখন লেখক কি দায় নেবেন? কিংবা কালুর নাম ফালুর সাথে মেলে, এতে বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী আপোষহীন রাজনীতির শঙ্খশুভ্র দেয়ালে কালিমা লেপন করা হয়েছে, তখনও কি লেখক দায় নেবেন? পাঠক যেন এতটুকু পরিণত হন, নিজের কল্পনার দায়ভার নিজে নিতে যেন পিছপা না হন, এটাই কামনা।
আপনাকে একটা লেখা মিসগাইড করতে পারলে, সেটার দায় তো আপনারও কম নয়। আপনি মিসগাইডেড হবেন কেন?
ধর্ষকাম শব্দটা স্যাডিজমের অনুবাদ হিসেবে এসেছে। গল্পে কোনো স্যাডিস্টিক চরিত্র বা আচরণ তো আমার পাঠক চোখে ধরা পড়েনি। ধর্ষণের সাথে ধর্ষকামকে গুলিয়ে ফেললে তো চলবে না।
গল্পে এটাই বোঝানো হয়েছে, বংশগতি, বিশেষ করে সুদূর অতীত যেখানে জড়িত [গল্পে দেখুন, কোম্পানি আমলের কথা বলা হয়েছে, অর্থাৎ সিপাহি বিপ্লবেরও আগের ঘটনা], খুব একটা সুনিশ্চিত ব্যাপার নয়। আর জমিদারদের নিয়ে লেখা হয়েছে গল্প, হর্টিকালচার নিয়ে নয়। বাংলার জমিদারির ইতিহাসে ডাকাতি, খুন, ধর্ষণ, উচ্ছেদ, অগ্নিসংযোগ কি খুব বেমানান কিছু?
"যেহেতু গল্পে ধর্ষণ আছে, অতএব এখানে নারীকে টেনে নিচে নামানো হয়েছে", এটা খুবই অপরিণত অনুসিদ্ধান্ত হয়ে গেলো না? নারী এখানে ভিকটিম। ভিকটিম হওয়া কি "নিচে নেমে" যাওয়া? আমি তো বরং আপনার চোখটিকেই পুরুষতান্ত্রিক দোষে দুষ্ট দেখছি। আপনি কি নিহত ব্যক্তিকেও "নিচে নামিয়ে" দেবেন? ছিনতাইয়ের শিকার পথচারীও কি তাহলে আপনার চোখে "নিচে নেমে" যায়? প্রশ্ন করতে পারেন, নারী এখানে কেন ভিকটিম। উত্তর হচ্ছে, আবারও, গল্পটা জমিদারি নিয়ে, হর্টিকালচার কিংবা অরিগামি নিয়ে নয়। জমিদারি আমলে নারী প্রবল পুরুষতান্ত্রিকতার চাপে আচ্ছন্ন ছিলো। সে যে সেই সময়ে বরাবরই ভিকটিম, সেটা বোঝার মতো পরিণতমনস্ক পাঠক না পেলে আমারই দুর্ভাগ্য। যদি পুরুষ গর্ভধারণ করতো, হয়তো কালু শেখ চৌধুরী মেহমুদউল্লাহকেই ধর্ষণ করতো। গল্পটা বংশগতির ভেতরে সমস্যা নিয়ে, কাকের বাসায় কোকিলের ডিম নিয়ে, নারীকে সালোয়ার ধরে টেনে নিচে নামানোর জন্যে নয়। আর যে রামছাগলেরা বংশগতির মহিমার দামামা পিটাতে গিয়ে কেবল বংশের পুরুষ সদস্যদের নাম আওড়ায়, একটু লক্ষ করলেই বুঝবেন, তাদের চোখে নারীর কী অবস্থান। এই রামছাগলরা যখন গল্পের উপজীব্য, তখন তাদের চোখে যে নারী গর্ভধারণের যন্ত্র ছাড়া অন্য কিছু নয়, সেটাও গল্পে ফুটে উঠতে বাধ্য।
আর একটা ব্যাপার। লেখককে গল্প থেকে বিচ্ছিন্ন করে গল্প পড়তে পারা জরুরি। লেখক গল্পে চরিত্র হিসেবে উপস্থিত থাকেন না। আমি একজন বৃদ্ধ শিশুধর্ষণকারীকে নিয়েও একটি গল্প লিখতে পারি, সেখানে সেই বৃদ্ধ বা শিশুটির জায়গায় আমাকে কল্পনা করে নিলে অপরিণত পাঠকদের ভিড়েই গিয়ে ঢুকতে হবে। লেখক বীক্ষক, চরিত্র নন। চরিত্রের দোষগুণ লেখকের ওপর চাপাতে চাওয়াটা হয় মূর্খামি, নয়তো মতলববাজি। ধন্যবাদ।
আমি দুটি আপ্তবাক্য সদা মেনে চলি।
১. বুদ্ধিমানের জন্য ইশারাই যথেষ্ট।
২. আলোচনা কোথায় থামতে হয় সেটা জানা আলোচকের অন্যতম বড় ও দরকারী একটি গুণ।
তাই আমার দুটো কমেন্ট ও আপনার প্রতুত্তর(শেষেরটিতো অনেকাংশেই অসংলগ্ন) বিবেচনা করে আমি এখানেই থেমে গেলাম। যা খুশি ভেবে নিতে পারেন তাতে
ধন্যবাদ।
আপনি পরিণত পাঠক হলে দ্রোহী'র ৭১ নম্বর কমেন্টের পরেই আপনার ডাইনেবামে চেপে যাওয়া উচিত ছিল।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
সবকিছু আবার মনে করিয়ে দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
হাসিনা, খালেদা, রওশন, বেনঞ্জির, মমতা (তৃণমূল), ডাকু মর্জিনা, বেদের মেয়ে জোসছোনা, ঝাঁসির রানী লছমী বাই, এলিজাবেথ, মিস কিটকিটি, বেগম আমিনী, ফরিদা আকতার, সাজেদা চৌধুরানী, হেলেন জেরিন খান ব্লা ব্লা ব্লা। আরও কমু?
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'
ইরাদরে কই পাইলেন, ঐটাতো একটা ভ্রান্ত ধারমা। এইটা নিতান্তই একটা নির্দোষ মজার গফ! ইরাদ সাহেবকে ব্যঙ্গ করে লেখার যোগ্যতা যেমন এখানে কারো নাই, তেমনি এমন ওজনদার ব্যক্তিকে কটাক্ষ করে লেখা কোন পোস্ট ধারণ করার শক্তিও সচলাযতনের নেই। ভুল বুঝে আপনে নবাবজাদা ইরাদের সাথে মিল খুজে পাইলে 'উনি' মাইন্ড খাইয়া বাকশক্তি হারায় ফেলতে পারেন। ভবিষ্যত মেয়র পদপ্রার্থী ইরাদ সাহেবকে তাই এই নির্দোষের গল্পের মাঝে খুঁজে পাওয়ার আপনার প্রতি রইল তেব্র দিক্কার , এখন উনার দরকার জনসমর্থন, আবার এইদিকে উনি চাকরকুলের ভাষায় কথা বলেন না, মহিলা সরকারও সমর্থন করেন না। সেই সাথে উনি আবার বিশাল ঠিকুজির অধিকারী, উনার ধুলির ধরায় নামায় আনার সময় আপনার বুক একটুও কাঁপল না, আপনার উপরে তো গজব পড়ব নবাবজাদার!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ওয়েল, শব্দ হিসেবে 'ধর্ষণ' আর 'অন্যকিছু লুণ্ঠন'- এর মধ্যে পার্থক্য আছে মনেহয়। শালীনতার নিক্তিতে শব্দের ওজনে, উপস্থাপনে। গল্পের অন্য অংশ ছেড়ে কেবল 'ধর্ষণ' শব্দের প্রতি জোর দিয়ে মন্তব্য করা হলে গল্পের মূল প্রতিপাদ্য আড়ালে চলে যায়। সেটা যাতে না হয়, সেজন্য মজার ছলেই আমার উপরের মন্তব্যটা করা। এই মজাটা ধরতে অনেকেই ব্যর্থ হয়েছেন দেখা যাচ্ছে, কারণ গল্পের মধ্যে 'ধর্ষণ' বের করার চেষ্টা এর চেয়ে সহজ!
গল্পে (এই লেখার ট্যাগ-এ 'গল্প'ই দেখতে পাচ্ছি, 'স্যাটায়ার' না) 'অন্যকিছু লুণ্ঠনের' কথা আসতে পারে কি-না সেইটা আবার অন্য প্রসঙ্গ।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আচ্ছা, আপনি মন্তব্যে শব্দটির ব্যবহারের বিষয় নিয়ে কথা বলছিলেন তা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছিলাম।
আর আসলেই এটা কিন্তু ঠিকই যে অন্যকিছু লুন্ঠন মানে আসলে এই তথাকথিতঅতীবজরুরিবংশগৌরব তথা অনেক রকম বিষয়ই হতে পারে ভূলুণ্ঠিত হবার!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
হুম
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
হুম
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
হাসতে পারিনি।
যাক, কেউ একজন বুঝলো।
কি বুঝলো? আপনেই বা কি বুঝলেন? আমাদের ও বুঝতে সহায়তা করেন!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
মন্তব্য পাল্টালেন কেন? প্রথম মন্তব্যটা তো ঠিকই ছিল। ভাঁড়কে ভাঁড় দেখানোর জন্য ধর্ষণ আনতে হয়না। নারী অধিকার নিয়ে বড় বড় কথা বলার সময় সবাইকে পাওয়া যায়। আবার সেই নারীকে নিয়েই ঠাট্টা করতে কেউ ছাড়ে না।
সাহিত্যে/গল্পের প্রয়োজনে অশ্লীলতা আসতে পারে। আসতে পারে ধর্ষণ, হত্যা, যে কোন কিছুই।
বাস্তব দুনিয়ায় ঘটতে থাকা বাজে বিষয়গুলো গল্পে না আসলেই দুনিয়াটা পাক সাফ হয়ে যাবে এমন তো না। আবার এই গল্প পড়ে কেউ দৌড়ে গিয়ে ধর্ষন-খুন করে বসলে তার দোষ লেখকের উপর বর্তাবে এমনও হতে পারে না।
আগাথা ক্রিস্টি কথায় কথায় লাশ ফ্যালে। তাকে যদি বলা হত কথায় কথায় এত লাশ ফ্যালা খারাপ কাজ এটা আর করা যাবে না। তাহলে এরকুল পোয়ারোর কি দশা হত ভাবুন দেখি!
পবিত্র গ্রন্থ বাইবেলে খোদা নূন্যতম আড়াই মিলিওন লাশ ফেলেছেন। নূহের মহাপ্লাবন, সডোম ও গমুরাহ, মিশরের ফার্স্ট বর্ন চাইল্ডদের সহ আরো বিভিন্ন ঘটনাকে হিসাবের খাতায় ধরলে প্রায় ২৫ মিলিওন লাশ ফেলেছেন খোদা।
হিমুর গল্পে একটা ধর্ষনের ঘটনার বর্ণনায় আপনার মনে হয়েছে নারী অধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। তাহলে বলুন বাইবেলে ২৫ মিলিওন প্রাণ হত্যায় মানবাধিকার কতটুকু লঙ্ঘন হয়েছে?
সাহিত্যকে হিজাব পরানোর প্রচেষ্টা জারি থাকলে অচিরেই পৃথিবীতে তালেবানী সাহিত্য [স্থূল অর্থে] ছাড়া আর কিছু পয়দা হবে না।
কাকস্য পরিবেদনা
বস মন্তব্যে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
খুন, হত্যা দেখার অভিজ্ঞতা তো হয়নি, তাই হয়তো গায়ে লাগে না। ধর্ষিতা দেখার অভিজ্ঞতা আছেতো, তাই সাহিত্যে দেখলেও স্বাভাবিক ভাবে নিতে পারিনা।
এই মন্তব্যের পরে বাজে প্যাচাল থামা উচিত ছিল।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
নারী-পুরুষ সকল চরিত্র লেখকেরই সম্পত্তি, তিনি তাদের নিয়ে যা খুশি করতে পারেন। গল্পের প্রয়োজনে খুন-জখম-ধর্ষণও আসতে পারে। কিন্তু যখন এটা নিয়ে পাঠককে হাহাপগে (চিয়ার) করতে প্ররোচিত করা হয়, তখন তা করতে পারি না (আমি আরেকজন মানুষ তো, আমি অন্যরকম ভাবতেই পারি, নাকি?)।
আর সাহিত্য-ফাহিত্য পরের কথা। এখানে জমিদার সাহেবকে দেওয়ার ছিল চটকানা , কিন্তু দেওয়া হল সুড়সুড়ি। ঐখানেই ব্যাজার হলাম।
সেম হিয়ার
হিংসা ! হিংসা !! চাকর-বাকরের জাত তো জামিন্দারগোরে হিংসা করবেই !
জমিদারির সাথে ঠাটটাও চলে গেলে কিসের বংশ ! আসল জমিদার চেনার একটাই তো উপায়- জমিদারি গেলেও ঠাট যায় না। আমি নিশ্চিত বংশ ঠিকই ছিলো, কিন্তু ছোটলোকেরাই এই বংশকে বাঁশ বানিয়ে ফেলেছে ! জমিদাররা বংশকে বংশই বলে, চাকর-বাকরেরা বলে বাঁশ !
তয় জমিদার বাহাদুরেরা জানে বংশের লতিকা থাকে। যা জানে না, তা হলো বাঁশের থাকে ধারালো আইক্কা ! হা হা হা !!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
পোষ্টে এবং প্রদত্ত লিংকের বিনোদনের ধাক্কায় চেয়ার থেকে পড়ে যাবার দশা হয়েছে..........গোপনে জানিয়ে রাখি........সিরিয়াসলি আমি কিন্তু নবী বংশ..............হযরত আদম আমার পূর্বপিতা, আমার কি জাতিসংঘের সভাপতি পদে নির্বাচন করা উচিত না?
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আমাগো তাইলে একটু ভাষা শিক্ষা দেন গুরুদেব! নবী বংশের লগে কিভাবে কথা কইতে হয়, তা তো জানি না
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আমরা তো আদম টু বলদিয়া বংশলতিকা পাইলাম তার সাইটে। আরো জানার জন্য আপনাকে শিম্পাঞ্জী টু আদম লিংকে যেতে হবে। শিম্পাঞ্জীর ভাষা নাসারা ইংরেজের চেয়ে খান্দানী নিশ্চিত।
যদি আরো প্রাচীনকাল ধরতে হলে আপনাকে আ্যামিবা টু শিম্পাঞ্জী পর্যন্ত হিসেব করতে হবে।
শফিকুলকে ছাড়িয়ে যাওয়া একটা চিড়িয়া পাওয়াতে বিনোদন দ্বিগুন হয়ে গেছে। তবে যাই বলেন, বংশদন্ডের গন্ধ শুঁকে ব্লগে এসে বিনোদিত করার জন্য তাকে ধন্যবাদ দেয়া উচিত।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ইয়ে গল্প হিসাবে এইটা আপনার অন্যগুলোর (যেমন মোস্তফা গহব্বরের গল্পটা) 'লেভেলে' যায় নাই।
'ডাকাত' শব্দটা আসার সাথে সাথে বোঝা গেছে কী ঘটতে চলেছে। তাই টুইস্টটা আসে নাই।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
গল্পডা পইড়া মজা পাইছি...তয় আস্লি জনিন্দাররা খুব ব্যাক্তিত্বপূর্ণ আছিল ক্যাডা কইছে?
ভাল লাগে নাই। উপহাসের পাত্রটি একজন নির্যাতিতার বংশধর বলে মনে হওয়া মাত্র তার বংশধারার বাড়াবাড়ি নিয়ে উপহাস করা কঠিন হয়ে গেল। হয়তো আমার বুঝার ভুল, হয়ত আপনার লেখার অসাবধানতা।
হিমুর ৫৬ নম্বর মন্তব্য দ্রষ্টব্য।
না বুঝলে দ্রোহীর ৭১ নম্বর .......
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
কমেন্ট দু'খানা দেখলাম। দু'টাই জ্ঞানী মন্তব্য। হিমুর মন্তব্য পরে প্যাঁচ খেলাম। আর দ্রোহীর মন্তব্য ঠিক আমার মন্তব্যের জবাবে যায় না।
একটু অন্যভাবে বলি, আমার মন্তব্যটা ঠিক গল্পের প্রথম অংশ (১-৫ প্যারা) নিয়ে না। বাস্তব গল্প। লেখক তুলে ধরতেই পারেন।
কিন্তু ষষ্ঠ প্যারায় দেখা যায়, লেখকের উদ্দেশ্য গল্প বলা না। তাঁর উদ্দেশ্য স্যাটায়ার। তাঁর একটা বক্তব্য আছে। প্রশ্ন হল, সেই বক্তব্য জানাতে লেখক কেন এই গল্পের অবতারণা করলেন? এই গল্পের দরুণ কি তার উপসংহারটা জোরালো হল, নাকি দুর্বল হল?
যদি বলেন জোরালো হল, তাহলে আমার কিছু বলার নাই। স্যাটায়ার সফল। আর যদি বলেন এই গল্প থেকে এই উপসংহার টানাটা ঠিক হয়নি, তাহলে বলব, আমার খারাপ লাগাটা সাহিত্যের ফর্মূলায় ফেলে ব্যাখ্যা করা গেল।
ভাই অথবা আপা, আপনার তো শুরুতেই ভুল, আপনে ধরেই নিয়েছেন গল্পটা 'কাউকে' কটাক্ষ করে লেখা, ফলে 'তার' বংশলতিকা নিয়ে টারজানের মত ঝুলাঝুলি করা হয়েছে বলে মনে হয়েছে , সেটা কাটায় উঠেন, গল্পের মূলসুর ধরতে পারবেন। নাহলে ধোয়া আর কুয়াশার মাঝে কিছু দেখতে চাইলে ভুল ভাল দেখতেই পারেন।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
নারীদের সম্পর্কে একটা অত্যন্ত সম্মানের জিনিস পাইলাম এখানে পেইজের শেষের দিকে:
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
হা হা হা!
এক্কেবারে আদম টু বলদিয়া!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
ওই জীবনী ব্লগ তো বাধিয়ে রাখতে হয়।
বেচারা বোধহয় আরো যা বলতে পারে নাই তা হলো সৃষ্টিকর্তা আদমকে সৃষ্টি করেছেন বলদিয়া জমিনদার বংশের জন্য। কলমে কুলায় নাই।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
হুম! দেশের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃত্বে এইসব কুলাঙ্গারদের বসানোর দায় আমরা কি এড়াতে পারি?
/সৃাধীন মনন
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
নতুন মন্তব্য করুন