পোস্টটা শুরু করি প্রথম আলোর একটি আর্টিকেল উদ্ধৃত করে।
ভারতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত
রাহীদ এজাজ | তারিখ: ১০-১২-২০১০রাষ্ট্রীয় ঋণের আওতায় ভারতের এক্সিম ব্যাংক থেকে পাওয়া ১০০ কোটি ডলারের পণ্য ও সেবা ভারতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কিনতে হবে। এর মধ্যে ৮৫ শতাংশ পণ্য সরাসরি ভারতের কাছ থেকে কিনতে হবে, আর অবশিষ্ট ১৫ শতাংশ কিনতে হবে ভারতীয় ঠিকাদারের পরামর্শে। এ ছাড়া ঋণ চুক্তির আওতায় যেসব প্রকল্পে অর্থায়ন হবে, তাতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগবে।
...
জানা গেছে, গত ৮ নভেম্বর নাদিম পাঞ্জেতানের নেতৃত্বে আসা এক্সিম ব্যাংকের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ইআরডিতে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বৈঠক হয়। বৈঠকে ৮৫ শতাংশ পণ্য ভারত থেকে কেনার বিষয়টি উত্থাপন করা হয়। এ ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ব্যাখ্যা চাইলে এক্সিম ব্যাংকের কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশের কাছে ৮৫ শতাংশ পণ্য বিক্রি করা হবে, তা হবে ভারতে উৎপাদিত। দরপত্রে যেসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে, সেগুলো ভারতে নিবন্ধিত, প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বত্বাধিকারীরাও হবেন ভারতীয় নাগরিক এবং ৫১ শতাংশ মালিকানা হবে ভারতীয়। অন্যদিকে, ভারতের বাইরে থেকে যে ১৫ শতাংশ পণ্য বাংলাদেশ কিনবে, সেটি ঠিক করে দেবে ভারতীয় ঠিকাদারেরাই। সে ক্ষেত্রে তৃতীয় দেশ থেকে কেনা হতে পারে, আবার ভারত আমদানি করেও তা বাংলাদেশে সরবরাহ করতে পারে।ঋণ চুক্তি অনুযায়ী ১০০ কোটি ডলারের জন্য বছরে ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সুদ দেওয়ার পাশাপাশি প্রতিবছর শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ হারে ‘কমিটমেন্ট ফি’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়, বগি ও ইঞ্জিন কিনতে ১৮ থেকে ২৪ মাস লেগে যায়। সে ক্ষেত্রে, পণ্য কেনার আগেই ওই ফি গুনতে হবে বাংলাদেশকে। এ ব্যাপারে এক্সিম ব্যাংকের কর্মকর্তা পরামর্শ দেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকল্প নির্বাচিত করে তা যেন ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এরপর তা যেন এক বছরের মধ্যেই পাওয়া যায়, তার ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে বাংলাদেশকে ওই কমিটমেন্ট ফি গুনতে হবে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ সময় বলা হয়, ১৮ থেকে ২৪ মাস সময় লাগা ছাড়াও ভারতীয় ঠিকাদারেরা যদি কালক্ষেপণ করেন, বাংলাদেশের কী করার আছে। এমন প্রশ্নের উত্তরে নাদিম বলেন, ঠিকাদারদের বুঝিয়ে এক বছরের মধ্যে তা পাওয়ার চেষ্টাটা বাংলাদেশকেই করতে হবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে বৈঠকে জানতে চাওয়া হয়, আখাউড়ায় সেতু নির্মাণে যে সেবা দেওয়া হবে, তার মধ্যে নির্মাণসামগ্রী অন্তর্ভুক্ত কি না। এক্সিম ব্যাংকের কর্মকর্তা জানান, ‘প্রজেক্ট এক্সপোর্ট’ নামের ওই সেবা প্রকল্পের মধ্যে রড, বালু, সিমেন্টসহ সব ধরনের নির্মাণসামগ্রী অন্তর্ভুক্ত। ভারতীয় নির্মাণসামগ্রীর নিম্নমান এবং এসব পণ্য দিয়ে নির্মিত হলে সেতু মানসম্পন্ন হবে না—বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ কথা বলা হলে ভারতীয় ব্যাংকের কর্মকর্তা জানান, চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশকে ভারতীয় নির্মাণসামগ্রীই কিনতে হবে। কারণ, এক্সিম ব্যাংকের শর্ত অনুযায়ী কোনো প্রকল্পের পরামর্শসেবার আওতায় সবকিছু ভারতীয় উৎসের হতে হবে।
মান নিয়ন্ত্রণ নিয়েও নানা প্রশ্ন: বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউটের (বিএসটিআই) সামর্থ্য বাড়াতে ঋণ চুক্তির আওতায় বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি কেনার কথা রয়েছে। ভারত যেখানে জার্মানি, সুইজারল্যান্ডসহ পাশ্চাত্যের বিভিন্ন দেশ থেকে ওই সব যন্ত্র্রপাতি সংগ্রহ করে, সেখানে বাংলাদেশ কেন ভারত থেকে তা সংগ্রহ করবে—বৈঠকে জানতে চান বিএসটিআইয়ের প্রধান। এক্সিম ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক চুক্তির কথা উল্লেখ করলে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক বলেন, ভারতীয় যন্ত্র্রপাতি দিয়ে কখনো বিএসটিআই আধুনিকায়ন সম্ভব নয়। কাজেই এসব যন্ত্রপাতি নেওয়ার দরকার নেই।
নিয়মিত জানাতে হবে: ভারতের দেওয়া ঋণে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক পরিবর্তন কতটা হলো, তা নিয়মিতভাবে জানাতে হবে এক্সিম ব্যাংককে। এ নিয়ে ইআরডির সচিব প্রশ্ন তুলে বলেন, এ বিষয়টির উল্লেখ ছিল না চুক্তিতে। কিন্তু নিজের অবস্থানে অনড় থাকেন নাদিম।
...
[সূত্র]
পরবর্তী সংবাদটিও একই ধাঁচের, কালের কণ্ঠে প্রকাশিত, ১১ ডিসেম্বর তারিখে।
ভারতের সঙ্গে যৌথ বিদ্যুৎকেন্দ্র খুলনায়: ক্ষমতা ২৬৪০ মেগাওয়াট, খসড়া চুক্তিপত্রে পিডিবির স্বার্থ উপেক্ষিতফারুক মেহেদী
বিদ্যুৎ সংকট কাটাতে খুলনায় বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ বিনিয়োগে প্রতিটি ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, (পিডিবি) এবং ভারতের পক্ষে ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কম্পানি (এনটিপিসি) এ বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। মোট ২৬৪০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এ বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পে বাংলাদেশ ও ভারতের সমান অংশীদারিত্ব থাকবে। এরই মধ্যে প্রকল্পের যৌথ বিনিয়োগ চুক্তিপত্রের (জেভিএ) খসড়া তৈরি করা হয়েছে। খসড়া চুক্তিপত্র অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে ভারতীয় সংস্থা এনটিপিসির একচ্ছত্র কর্তৃত্ব থাকবে। ওই সংস্থা অনুমোদন না দিলে প্রস্তাবিত প্রকল্পের কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। খসড়াটি গত ২ ডিসেম্বর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে পাঠানো হয়েছে মতামতের জন্য।
...
পাওয়ার সেলের সাবেক মহাপরিচালক ও বিদ্যুৎ বিশেষজ্ঞ বি ডি রহমতুল্লাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘প্রকল্পটি ভারতীয় স্বার্থ বিবেচনায় রেখেই করা হচ্ছে। ভারতের বাজে কয়লা, তাদের বেকার লোকজনের কর্মসংস্থান, অদক্ষ জনবলকে বিশেষজ্ঞ হিসেবে এখানে কাজে লাগানো হবে। আমাদের দেশের বিশেষজ্ঞরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করলেও এখানে আসছেন ভারতীয়রা।’ তিনি বলেন, ‘পিডিবিতে অন্তত ৬০ জন বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। এখানে খসড়া যা করা হয়েছে, তার খুব একটা পরিবর্তন হবে বলে মনে হয় না।’
...
খসড়ায় আরো বলা হয়, বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর পরবর্তী ৩০ বছরে কোনো করপোরেট কর দেবে না এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র। এমনকি প্লান্ট, যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ, অবকাঠামো নির্মাণসামগ্রী, জ্বালানি আমদানিতেও কোনো রকমের শুল্ক, ভ্যাট, সারচার্জ, আমদানি পারমিট ফিসহ কোনো ধরনের মাসুলও দেওয়া হবে না ওই সময় পর্যন্ত। স্থানীয় বাজার থেকেও বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রয়োজনে কোনো কেনাকাটা করলে তাও শুল্ক-কর-ভ্যাটমুক্ত থাকবে। এমনকি বিদেশি উৎস থেকে এ প্রকল্পের জন্য ঋণ নেওয়া হলে ঋণদাতা আয়কর ও ঋণের সুদের ওপর আয়কর থেকে মুক্ত থাকবে। প্রকল্পে নিয়োজিত বিদেশি সংস্থা তার শেয়ারের পুঁজির মুনাফা স্থানান্তর করলেও তা করমুক্ত থাকবে। প্রকল্পের প্রয়োজনে স্থানীয় বা বিদেশি উৎস থেকে ঋণ নেওয়া অথবা অর্থ সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার, বিনিয়োগ বোর্ড কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা জারি করতে পারবে না।
খসড়া চুক্তিপত্র অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকার প্রকল্পটিকে সাধারণ বীমা করপোরেশনে ইনস্যুরেন্স বা পুনঃইনস্যুরেন্স করাতে বাধ্য করতে পারবে না এবং প্রকল্প কর্তৃপক্ষ চাইলে আন্তর্জাতিক কোনো বীমা কম্পানিতে ইনস্যুরেন্স করাতে পারবে। এমনকি প্রকল্পটি যখন বাংলাদেশের স্থানীয় আইনে চুক্তিবদ্ধ হবে তখন প্রযোজ্য স্ট্যাম্প শুল্কও আদায় করা যাবে না। এ প্রকল্পে যেসব বিদেশি বিশেষজ্ঞ চাকরি করবেন, তাঁদের আয় প্রথম তিন বছর করমুক্ত রাখতে হবে এবং তাঁদের আয়ের ৫০ শতাংশ নিজ দেশে পাঠানোর সুযোগ থাকতে হবে। প্রকল্পে নিয়োজিত বিদেশিদের ওয়ার্ক পারমিটে কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকতে পারবে না।
খসড়া চুক্তিপত্রের ‘সংরক্ষিত ইস্যু’ অংশে বলা হয়েছে, চুক্তিপত্রে যা-ই থাকুক না কেন, এনটিপিসির অনুমোদন ছাড়া প্রকল্পের উন্নয়ন, বিনিয়োগ বা এর শেয়ার, ব্যবসা স্থানান্তর, সম্পদ বিক্রি, অন্য কোনো যৌথ বিনিয়োগ চুক্তি বা নতুন সংস্থায় বিনিয়োগ ইত্যাদি কিছুই করা যাবে না। বোর্ড সভায় ব্যবসায়িক পরিকল্পনা অনুমোদন করা হলেও নতুন পরিকল্পনা প্রণয়ন, ব্যবসা সম্প্রসারণ, অবকাঠামো নির্মাণ, এর ব্যয়, নকশা, বাণিজ্যিক পরিকল্পনা, বার্ষিক বাজেট ইত্যাদি ক্ষেত্রে এনটিপিসির অনুমোদন লাগবে। এ ছাড়া বিল পরিশোধ জিম্মা নির্দেশনার (গ্যারান্টি গাইডলাইন) কোনো পরিবর্তন, প্রশাসনিক, বাণিজ্যিক, পরিচালন ও বার্ষিক বাজেট অনুমোদন, মুনাফার বিপরীতে ডিভিডেন্ড ঘোষণা দেওয়া, বিগত সময়ের খরচের ২০ শতাংশের বেশি খরচ প্রাক্কলন করা, জমি অধিগ্রহণ, ভবন পণ্য বা সেবাসংক্রান্ত কাজে দালালকে কোনো বিল পরিশোধ করা যাবে না এনটিপিসির অনুমোদন ছাড়া।
খসড়ায় আরো বলা হয়, প্রকল্পের মার্জার বা আত্তীকরণ, পুনর্নির্মাণ, সম্পদ স্থানান্তর, প্রকল্পের জন্য অনাবশ্যক কোনো বোঝা তৈরি, প্রকল্প পরিকল্পনায় নেই এমন পরিকল্পনা করা, কোনো পার্টিকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া, জিম্মা থাকা, পেইড-আপ ক্যাপিটালের কোনো রকম পরিবর্তন, বার্ষিক পরিকল্পনার বাইরে নতুন ঋণ নেওয়া, শেয়ার বিভক্তিকরণ, বাড়ানো, কেনা বা বাতিল করা, রাইট ও বোনাস শেয়ার ইস্যু করা, সংস্থার সমঝোতা স্মারক পরিবর্তন, প্রকল্পের জন্য অডিটর নিয়োগ বা বাতিল করা, নতুন কোনো হিসাব নীতিমালা চালু করা, ব্যাংকিং দেউলিয়াত্ব বা অক্ষমতাসহ অন্য কোনো আর্থিক কারণে মামলা করা, প্রকল্পের পরিচালক বা প্রিন্সিপাল অফিসার নিয়োগ, বাতিল বা তাঁদের সম্মানী নির্ধারণ, প্রকল্পের কোনো সহযোগী প্রতিষ্ঠান তৈরি, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া, আইপিও ছাড়া যাবে না এনটিপিসির অনুমোদন ছাড়া।
এ ছাড়া পাঁচ মিলিয়ন (৫০ লাখ) ডলার মূল্যের বেশি কার্যাদেশ দেওয়া, পাঁচ লাখ ডলারের বেশি ব্যয়ে পরামর্শক সংস্থার কার্যাদেশ, ২০ হাজার ডলারের বেশি নয় এমন স্টোরের সামগ্রী, যন্ত্রপাতি, যন্ত্রাংশ ইত্যাদির অবলোপন বা রাইট অফ, এক হাজার ডলারের বেশি নয় এমন নগদ অর্থের অবলোপন, প্রকল্পের কোনো স্টাফের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ১০ হাজার ডলারের বেশি দেওয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রেও ভারতীয় কম্পানি এনটিপিসির অনুমোদন নিতে হবে।
ভারতীয় পক্ষে প্রকল্পের স্বার্থে এনটিপিসির অনুমোদন নেওয়ার যেসব শর্ত প্রস্তাব করা হয়েছে, সে রকম শর্ত পিডিবির পক্ষে প্রযোজ্য হলেও তা করা হয়নি খসড়ায়। অর্থাৎ যৌথ ব্যবস্থাপনার এ প্রকল্পে পিডিবির কোনো বিষয়ে আপত্তি করার কোনো বিধান রাখা হয়নি খসড়ায়।
[সূত্র]
কয়েকদিন আগে শাহরুখ খান বাংলাদেশে এসে মঞ্চে নৃত্য ও রঙ্গ পরিবেশন করে গেছেন, এ নিয়ে সচলায়তনে দু'টি প্রতিক্রিয়া প্রকাশিত হয়েছে [প্রতিক্রিয়া ১, প্রতিক্রিয়া ২]
কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র কিংবা মান নির্ধারক যন্ত্রপাতির সাথে হিন্দি বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান বা হিন্দি সিনেমার কী সম্পর্ক, এটা পাঠক আমাকে করতেই পারেন। সম্পর্ক আছে। আমি ভারতের এক্সিম ব্যাঙ্ক, এনটিপিসি কিংবা শাহরুখ খানকেও কোনো দোষারোপ করতে চাই না। আমি শুধু কৌশলী ভারতের বাণিজ্যফ্রন্টের তিনটি শাখা পাঠকের সামনে তুলে ধরলাম।
আজ থেকে ঠিক তিন বছর আগে সচলায়তনে একটি পোস্ট প্রকাশ করেছিলেন সচল বিপ্রতীপ। "বাঙ্গালী কি হুজুগে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলো?" শিরোনামের ঐ পোস্টে তিনি গত শতাব্দীর চল্লিশের দশকে জনৈক বি. আর. মোল্লার লেখা একটি পোস্টকার্ডের স্ক্যান্ড কপি প্রকাশ করেছিলেন। আজ থেকে সত্তর বছরেরও বেশি সময় আগে মোল্লা সাহেব তাঁর এক আত্মীয়কে লিখেছিলেন,
‘কিন্তু যা করি তাহা কিছুই ভালো লাগে না, কারন আমরা বাঙ্গালী খোদা তাল্লার কাছ হইতে যে কি আনিয়াছি তাহা বলতে পারি না, কারন মুসলমানের হাত হইতে গেল ইংরেজদের হাতে রাজত্ব শিখিতে হইলো ইংরেজি, আবার জোরে যে বাহু বলে আনিয়া স্বদেশ পাকিস্তান তাও আবার রাষ্ট্রভাষা উর্দু হবে। এখন দেখা যায় আমরা বাঙ্গালী চীর কাল শুধু রাষ্ট্রভাষাই শিখিয়া যাইতে হবে। কিসের সংসার উন্নতি কিসের চাকরি, শুধু আনিয়াছি আমার খোদা তাল্লার নিকট হইতে রাষ্ট্রভাষার কপাল। এই আমাদের কাজ কিন্তু খোদা তাল্লাই বিচার করিবে। তবে আমরা বীরের মতো পাঞ্জাবীর উপর আক্রমন করিতে প্রস্তুত হইতেছি। আপনারাও তৈয়ার হন, একবার তাহাদের সাথে লড়িব, জয় নাহয় পরাজয়।’
আমরা যারা বাংলা ভাষাকে দৈনন্দিন জীবনে স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে ব্যবহারের অধিকারকে প্রাপ্য ধরে নিয়েছি, তাদের পক্ষে আরেকটি ভাষার আগ্রাসনের ব্যাপারটা অনুভব করা সম্ভবত একটু মুশকিলই।
গতবছর প্রাগে বেড়াতে গিয়ে অনুভব করেছি, একটা ভাষা না জানার কী সমস্যা। প্রাগ ইয়োরোপের ট্যুরিস্ট অধ্যূষিত শহরগুলোর অন্যতম, সারা দুনিয়া থেকে লোকজন গিয়ে গিজগিজ করে, সেখানে দোকানপাট যারা চালায়, তারা কিছু ইংরেজি জানবে, এটা আশা করা হয়তো ভুল ছিলো না। কিন্তু ইংরেজি, জার্মান, ভাঙাভাঙা ফরাসী বা স্প্যানিশ, চারটা ভাষার একটার জবাবেও প্রাগের দোকানদার খালাম্মারা চেক ভাষা ছাড়া অন্য কিছুতে জবাব দেননি। তাদের দেহভাষা পরিষ্কার ছিলো, কেনার ঠ্যাকা তোমার, কাজেই আমার কথা বোঝার ঠ্যাকাও তোমার। আমি আর আমার বন্ধুরা বোকা বনে গিয়েছিলাম, কিছুটা ক্রুদ্ধও। এটাকে ভাষার আগ্রাসন বলা যাবে না, বড়জোর ভাষাপ্রাচীর বলা যেতে পারে।
এবার উল্টো অভিজ্ঞতার কথা বলি। জার্মান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রর পক্ষ থেকে একবার শেরাটনে এক শিক্ষামেলায় জার্মান শিক্ষা বিনিময় পরিষেবার [ডয়েচার আকাডেমিশার আউসটাউশডিন্সট] স্টলে কামলা খাটতে গিয়েছিলাম। সেখানে দিল্লি থেকে আগত জনৈকা জার্মান যুবতী এবং ভারতীয় যুবককে সাহায্য করতে হবে। এ দু'জনের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে জার্মানই ব্যবহার করছিলাম। শিক্ষামেলা কর্তৃপক্ষ [এরা হোলসেল ধান্দাবাজ] আমাদের সাথে সাদা চামড়ার লোক দেখে গলে গিয়ে এক তরুণ এবং এক তরুণীকে পাঠালেন সাহায্য করার জন্যে। আমার খাটনি তাতে একটু লাঘব হওয়ায় ভালোই লাগছিলো। একটু পর সেই ভারতীয় যুবক আমাকে এসে হাসিমুখে হিন্দিতে বললেন, বাহ, তোমাদের এখানে তো সবাই চমৎকার হিন্দি বলে! আমি তার হাসির আড়ালে দাঁত বার করা তাচ্ছিল্যটুকু দেখে অপমানিত হয়েছিলাম। এবং সত্যিই তাই, সেই তরুণ আর তরুণী ইংরেজিতে কাঁচা হলেও গড়গড়িয়ে হিন্দি বলে যাচ্ছিল সেই ভারতীয় ভদ্রলোকের সাথে। আমি দু'জনকে একটু তফাতে ডেকে নিয়ে বিনয়ের সাথে অনুরোধ করলাম, আপনারা একটু কষ্ট করে হলেও ইংরেজিতে কথা বলুন। তারা আমার অনুরোধ রাখলেন তো না-ই, ঝাঁঝিয়ে উঠলেন। আমি মানুষের সাথে সহজে দুর্ব্যবহার না করলেও প্রয়োজনের সময় পিছপা হই না, আমি তাদের প্রায় ঘাড়ধাক্কা দিয়ে স্টল থেকে বার করে দিয়েছিলাম। কাজটার জন্যে আমি গর্বিত নই, কিছুটা লজ্জিতই। তবে সেই ভারতীয় ভদ্রলোক পরবর্তী আটচল্লিশ ঘন্টায় আমার বা আমার সহপাঠীদের সাথে একটিও হিন্দি শব্দ ব্যবহারের আগ্রহ পাননি।
প্রাগের চেক দোকানদার খালাম্মার সাথে ঢাকা শেরাটনের সেই তরুণতরুণীর মানসপটের পার্থক্য থাকবেই। আমরা বিদেশীবৎসল জাতি, ভিনজাতির কাউকে হাতের কাছে পেলে তাকে নারায়ণজ্ঞানে আপন করে নিতে ক্ষেপে উঠি, চেকরা কমবেশি বিদেশীবিদ্বেষী।
ভাষার আগ্রাসনের দিকটা যদি আমরা এবার এভাবে কল্পনা করি, খোদ বাংলাদেশে বসেই একটা ভাষা না জানার কারণে আমাদের কোনো একটা সেবা বা পরিষেবা বা সুবিধা পেতে প্রবল সমস্যা হচ্ছে, তাহলে পরিস্থিতি কেমন দাঁড়ায়? ইতিমধ্যে এমন একটি ভাষা আগ্রাসী রূপে বাংলাদেশে বিরাজ করছে, ইংরেজি। কিন্তু ইংরেজি সারা পৃথিবীতেই লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কাগুলোর একটি বলে আমরা হয়তো গা করি না। ইংরেজি না জানলে আমরা বাংলাদেশে পড়ালেখা করতে পারবো না বেশিদূর, চাকরিবাকরি পেতে আর করতে অনেক সমস্যা হবে, সামাজিক পরিমণ্ডলে অচ্ছ্যুৎ হিসেবে বিবেচিত হবো, এমনকি হাইকোর্টের রায়ও পড়তে পারবো না, এরকম আরো নানা ভ্যাজাল আছে।
সমস্যা হচ্ছে, ইংরেজির পাশাপাশি প্রবাদের উটের মতো আমাদের তাঁবুতে মাথা গলিয়েছে হিন্দি উট।
আটচল্লিশ সালে জিন্নাহ টপ-ডাউন প্রক্রিয়ায় পাকিস্তানের সব প্রদেশের ওপর রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উর্দু চাপিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। বাঙালি বটম-আপ প্রক্রিয়ায় উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে ছেড়েছিলো। উর্দুর আগ্রাসন আমাদের কাছে পরিষ্কার, কারণ উর্দুর স্বার্থে এদেশে রক্তপাত হয়েছে, রাষ্ট্র মানুষের ওপর গুলি চালিয়েছে। হিন্দির আগ্রাসন নীরব ও কোমল। ঘরে ঘরে কামানের বদলে টেলিভিশনগুলো গুলি ছুঁড়ছে, আমরা সোৎসাহে সেই গুলি সেবন করে যাচ্ছি আফিমের গুলির মতো। কার্টুন নেটওয়ার্ক নামের শিশুপ্রিয় চ্যানেলটির সম্পূর্ণ হিন্দি-ডাবড সংস্করণ এখন বাংলাদেশের শিশুরা বসে বসে দেখছে। তাদের বিনোদনের সুস্থ উপায়গুলো আমরা নষ্ট করছি এক এক করে, তাদের খেলার মাঠ নেই, বন্ধুদের সাথে মিলে হইচই আড্ডা এক্সকারশন নেই, তাদের আছে শুধু স্যারের বাসা, কোচিং সেন্টার আর লোডশেডিঙের ভিড়ে বিনোদনের একমাত্র জানালা, হিন্দিভাষী কার্টুন আর নাচগান। আমাদের অভিভাবকরাও কমবেশি গর্বিত, বাচ্চা গড়গড় করে হিন্দি বলা শিখে গেছে, শিলা কি জাওয়ানি নাচতে পারে এই বাচ্চা বয়সেই! বিয়ের অনুষ্ঠানে হিন্দি গানের সাথে নাচ এখন একটা অবশ্যপরিবেশনীয় আইটেম, দুইদিন পর এটা না করলে ইজ্জত থাকবে না। হিন্দি সিরিয়ালে দেখানো জামা বানানোর জন্যে গাউসিয়াতে লাইন দিচ্ছি আমরা, মোবাইল টেলিফোনে প্রেমাস্পদাকে গদগদ হিন্দিতে আমরাই ভালোবাসা জানাচ্ছি।
এই সমালোচনার জবাবে যারা হিন্দি রসে মজে আছেন, তারা বলছেন, ভালো বাংলা কনটেন্ট তো নেই, হিন্দি দেখবেন না তো কী দেখবেন? এবং তারা রীতিমতো অপমানিত বোধ করেন এই প্রসঙ্গ তুললে। অনুমান করা কঠিন নয়, হিন্দি তাদের কাছে এখন একটি টোটেমে পরিণত হয়েছে। আমরা ইংরেজি পারি না বলে বিদেশী ভাষা হিসেবে হিন্দিকে গ্রহণ করছি উদার হাতে, এবং এ নিয়ে কথা উঠলে তেড়ে আসছি। সমস্যাটা প্রকট হবে তখন, যখন বটম-আপ পদ্ধতিতে আমরা হিন্দিকে দেশের দ্বিতীয় ভাষার কাছাকাছি তুলে আনবো। এখন যেভাবে চলছে, সেভাবে চলতে থাকলে এটা ঘটতে আর বছর আষ্টেক সময় লাগতে পারে। তখন হিন্দি না জানার পরিণতি হবে ইংরেজি না জানার পরিণতির মতোই। আমরা কাজ পাবো না, সমাজে মিশতে পারবো না। দেশ দখল নিয়ে বিম্পি খুব বড় বড় কথা বলে, ট্র্যানজিট করিডর ইত্যাদি বলে চিৎকার করতে থাকে, কখনও শুনিনি, ভারতের এই সংস্কৃতি-কামানের বিরুদ্ধে কোনো কথাবার্তা বলতে। রাজনীতিকদের নাতিপুতিরাও যে হিন্দিরসে হেজেমজে আছে, সেটার উদাহরণ শেখ হাসিনার নাতনি আলিফ লায়লা নানা ছাগলামিতে আমাদের সামনে স্পষ্ট করেছে।
দেশ শুধু ভৌগোলিক সীমার ব্যাপার নয়, মানুষ নিয়েই দেশ। সেই মানুষের মনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলে ভূগোল কে চোদে?
আমাদের সচেতনতার অভাবে এই দেশে বটম-আপ প্রক্রিয়াতেই হিন্দির গোড়া শক্ত হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে এখন টপ-ডাউন প্রক্রিয়াতে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমি চাই, সরকার এই দেশে হিন্দি চ্যানেলের সংখ্যা এবং এয়ার টাইম নিয়ন্ত্রণ করার জন্যে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। শাশুড়ি তার পুত্রবধুর পোঁদে কী কী প্রক্রিয়ায় আঙুল দিচ্ছে, তা হিন্দি ভাষায় না দেখলে আমাদের বিনোদনজগতে কোনো ক্ষতি হবে বলে আমার মনে হয় না। সংবাদপত্রগুলো যে অশ্লীল মাত্রায় কাভারেজ দেয় হিন্দি চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনকে, সেটা বন্ধ করতে হবে। আমাদের দেশীয় চ্যানেলগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে, দেশী প্রোগ্রাম নির্মাতাদের আরো আর্থিক প্রণোদনা দিয়ে ভালো অনুষ্ঠান নির্মাণে উৎসাহিত করতে হবে। আমরা যারা ভোক্তা, তাদের আনুগত্য স্থাপন করতে হবে দেশী অনুষ্ঠান ও কনটেন্টের ওপর।
যদি না করি?
নাদিম পাঞ্জেতান এসে ঠিক করে দেবেন, আমরা কার কাছ থেকে কী কিনবো। এনটিপিসি এসে ঠিক করে দেবে, আমাদের দেশে বিদ্যুৎ খাতে কে কীভাবে বিনিয়োগ করবে। আর শাহরুখ খান এসে হাসিমুখে রঙ্গ করে বলবেন, কোলকাতা নাইট রাইডার্সের জন্য বাচ্চা পয়দা করতে। আমরা সবই চুপ করে মেনে নেবো। কয়েকজন হয়তো বি. আর. মোল্লার মতো ইমেইল বা ব্লগ লিখবেন ইউনিকোড বাংলায়।
উটের পিঠ ভাঙে শেষ পর্যন্ত একটা খড়। আর উটপাখি বালুতে মুখ গুঁজে রাখতে পারে, তাতে ঝড় থামে না।
মন্তব্য
যুতসই লেখা হইছে। অনেক ধন্যবাদ হিমু।
এই কথাটা বোঝাটা এবং বোঝানোটা এই সময়ের জন্য কী যে জরুরী একটা বিষয়!
কি আর বলবো হিমু ভাই! হিন্দী নিয়ে বলার কিছু নাই। হিন্দীভাষীরা খুব ভাল ব্যাবসায়ী, কিন্তু আমরা বাঙ্গালীরা তার থেকেও ভাল হিন্দীভাষী!
--- থাবা বাবা!
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
একজন সরকারী কর্মকর্তা হিসেবে আমি লজ্জিত এ ধরনের চুক্তির কথা শূনে। ধিক। শত ধিক আমাদের বিবেক ও পা চাটা মানষিকতাকে। যে সকল উচ্চপর্যায়ের আমলারা এ সকল চুক্তির খসড়া প্রস্তুত ও অনুমোদন প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত তাদের কোন ক্ষমা নাই।
এই পোস্টটার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। গত দুইদিন ধরে লোকের তোপের মুখে আছি, শারুক্ষান নাচলে আমার কেন চুলকায় সেটা আশাকরি এবার অনেকেই বুঝবে। সমস্যাটা আমার সাথে শারুখের নয়, সমস্যাটা আমার জাতিসত্তার সাথে শারুখের জাতিসত্তার।
_______________________________________________
সিগনেচার কই??? আমি ভাই শিক্ষিৎ নই। চলবে টিপসই???
ভাই কি আর বলব, ২ ধরনের মানুষ আমাদের দেশে। একদল পাকি দালাল , আরেক দল ভারতীয় দালাল। বাংলাদেশীয় দালাল খুব কম লোককেই দেখলাম।
আর এটা তো এখন রীতিমত ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে হিন্দি বলা।
আত্মপরিচয় সংকট মনে হয় কোন জাতি এত বেশি ভুগে না।
তবে সবাইকে যার যার জায়গা থেকে চেষ্টা করতে হবে। আমি, হিমু আপনার সাথে আছি। হিন্দি চ্যানেল বর্জন করলাম (যদিও আমি দেখিনা)
হিন্দীর এই আগ্রাসন শুধু বাংলাদেশে নয়। এবং ভারত এটাকে অনুধাবনও করেছে। এটাকে নাম দেয়া হয়েছে 'সফট পাওয়ার'। কেরালা অঙ্গরাজ্যের থিরুভানাথাপুরাম কনস্টিটিউয়েন্সীর মন্ত্রীসভার সদস্য শশী থারোর এই টেড-ভিডিওটি দেখতে পারেন এ বিষয়ে:
টেড এর এই ভিডিও বর্ণনায় বলা আছে:
এই সফট পাওয়ারের ব্যাপারটি অন্য ভাষার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। যেমন: ইংরেজী। আমরা প্রচুর ইংরেজী ভাষার সাথেও মিশে যাচ্ছি। কলকাতায় বাংলা স্কুল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বা যাবে, চলছে ইংরেজী মিডিয়ামের যুগ। প্রায় একই চিত্র বাংলাদেশে। বাংলাদেশে কয়েকটি ইংরেজী পত্রিকা আছে। আছে বাংলাদেশী ইংরেজী ব্লগ। প্রায় প্রতিটি টিভি চ্যানেলে কমপক্ষে একবার ইংরেজী সংবাদ প্রকাশিত হয়।
যে বিষয়টা আমি ফোকাস করতে চাচ্ছি সেটা হল অন্য ভাষার আগ্রাসন ঠেকাতে হলে আমাদের নিজেদের পিছু হঠে যাওয়া যুদ্ধ ময়দানে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার মাধ্যমে এগোতে হবে। নইলে আবেগের বসে করা হিন্দী বর্জন আন্দোলন সাময়িক সাফল্যের মুখ দেখলেও ভবিষ্যতে এটাতে আর কাজ হবে না। চালু হবে বাংলাদেশী-হিন্দী ব্লগ, বাংলাদেশী-হিন্দী টিভি চ্যানেল ইত্যাদি।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
---আশফাক আহমেদ
আমাদের সরকারকুলের এভাবে সাম্রাজ্যবাদীদের কাছে নতজানু হয়ে থাকার সঠিক কারনটি আজও বুঝে উঠতে পারি না আমি।
প্রায় প্রতিটি বাংলা চ্যানেলেই (BTV-র কথা জানিনা) দেখতে পাচ্ছি হিন্দি নাটকের ন্যাক্কারজনক প্রভাব। গানের সুরেও হিন্দি টান লক্ষ্য করি। এক্ষেত্রে আমরা হয় করছি ইন্ডিয়ার অনুকরণ নাহলে অনুসরণ।
আমি কয়েকজন সাউথ ইন্ডিয়ান ছেলেকে চিনি যারা অন্য হিন্দিভাষীদের সাথে ইংলিশে কথা বলে, মুখের উপর বলে দেয় যে তারা হিন্দি বলে না বা হিন্দি সিনেমা দেখে না। সেখানে আমরা একটা প্রতিবেশি দেশ হয়ে কিসের মোহে ভারতের দিকে তাকায় থাকি? আমি এই মোহটা আসলেই বুঝতে চাই। এটা কি চকচকে ডিজিটাল ছবি নাকি অতি শিক্ষণীয় হিন্দি কন্টেন্ট?
-রু
আপনার সাথে একমত। কিন্তু এই সমস্যার আশু সমাধান হবে এমনটা আশা করা যায় না। বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনীতিতে এমন কেউ নেই যে ভারতের এই সাংস্কৃতিক আগ্রাসন আটকাতে পারবে। আর নিজের বাড়িতে দেখেই একটা জিনিস বুঝেছি, হিন্দি চ্যানেল বন্ধ করতে বললেই এক কথা "আছে বলেই তারা দেখে"। এই হিন্দির ভূত মাথায় এমন উঠেছে, এখন কথা বলে বুঝিয়ে এটা দূর করা যাবে না। চ্যানেলগুলো থাকলেই মানুষ দেখবে। ভারত যে ব্যাখ্যা দিয়ে আমাদের চ্যানেলগুলো তাদের দেশে বন্ধ করে রেখেছে, সেভাবে আমাদের সরকার ও তা করতে পারে। কিন্তু সে ইচ্ছা কবে আমাদের সরকারের হবে সেটা দেখার বিষয়।
দেশের বাইরে হিন্দি উর্দুভাষী বাংলাদেশীর সাথে অনেক দেখা হয়েছে। এইসব রামছাগলরা পাকিস্তানী আর ভারতীয়দেরকে নিজেরাই আগ বাড়িয়ে (দন্তবিকাশ সহ) বলে যে সব বাংলাদেশী-ই হিন্দি বা উর্দু বোঝে। এক পাকিস্তানী আমাকে একবার বলেছে, "তুমি উর্দু বোঝো না, কি আশ্চর্য, এটা কয়দিন আগেও তোমাদের ভাষা ছিলো" - আমার ভাষা যে কোন কালেও উর্দু ছিলো না সেটা ঘন্টাখানেক চেষ্টা করার পরেও ওই ছাগলের মাথায় ঢোকে নি। আরেক ইন্ডিয়ান হিন্দি জানি না দেখে বলেছিলো বাংলাদেশের দ্বিতীয় ভাষা নাকি হিন্দি। দুই জনই আমাকে উপস্থিত এক ডজনেরও বেশী বাংলাদেশীর রেফারেন্স দিয়েছে এবং হাতে নাতে প্রমাণ করেও দেখিয়েছে যে তাদের কথাই ঠিক - আমি হিন্দি উর্দু জানি না আধাশিক্ষিত অপদার্থ হওয়ার কারণে।
যে সব বাংলাদেশী রামছাগল এই সবের জন্য দায়ী তাদেরকে জিজ্ঞেস করে মোটামুটি এক ধরণেরই উত্তর পেয়েছি - "ঠিকই তো, ওটা তো আমাদেরই ভাষা ছিলো ৭১এর আগে" / "আরে ভাই, আমরা সবাই তো হিন্দি জানি, আপনিও জানেন, না জানার ভান করছেন"। এমনকি ২০০১ না কবে যেন বি এস এফ অনুপ্রবেশ করার পরে বি ডি আরের সাথে খন্ডযুদ্ধ হয়ে ১৯ জন মারা গিয়েছিলো, তখনও এক রামছাগল আমাকে বলেছে, "পাশের দেশ একটু আধটু আসতেই পারে, তাই বলে গোলাগুলি করতে হবে?"
এইসব ছাগলগুলোকে শর্ট আর লং কিক মেরে পশ্চিমদিকে পাঠিয়ে দিতে পারলে কিছুটা শান্তি পাওয়া যেত।
হিমুভাইকে ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্টের জন্য।
আমি নিজে মোটামুটি কাজ চালানোর মতো হিন্দি জানি, কিন্তু বলি না। বলার কোনো ইচ্ছাও নাই। কারণ অন্তত আমার কাছে বাংলা হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে মিষ্টি ভাষা (আর আমি একটু বেশিই মিষ্টিভক্ত )।
আমার মনে হয় এখন আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের সময় হয়েছে। আমরা যারা দেশরক্ষায় যুদ্ধ করতে পারিনি তাদের জন্য এটি একটি সুযোগ। আসুন এবার আমরা আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ করি। এবারের যুদ্ধ দেশরক্ষার নয়, ভাষারক্ষার। প্রতিটি বাঙালির কাছে, প্রতিটি বাংলাপ্রেমীর কাছে এ আমার দীপ্ত আহ্বান। আসুন আমরা আমাদের ভাষাকে সমুন্নত রাখি।
কুটুমবাড়ি
ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়রে ভাই। সমিস্যা হলো বেশীরভাগ মানুষ জানেইনা যে ইচ্ছা কী বস্তু!
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
দুর্দান্ত!
কখনো হিন্দী গান শুনি নাই, খুনপসিনা নামে সত্তর দশকের একটা হিন্দী সিনেমা ছাড়া আর কোন সিনেমাও দেখি নাই (তাও সেইটা দেখছিলাম বন্ধুদের পচায়া একটা নাটকের স্ক্রিপ্ট বানানোর জন্য ) । গায়ক গায়িকা লোকজনরেও চিনি না। তার মানে হইলো আজকালকার কনটেমপরারি সংস্কৃতির একটা বিশাল অংশ সম্বন্ধেই আমার আইডিয়া নাই। এইজন্য মাঝে মাঝে আমাকে বিব্রতকর অবস্থায় যে পড়তে হয় তা কিন্তু না। আমি সামলায়া নেই, কারন ওইযে, অনেকে বলে এইটা 'খুউল ফ্যাক্টর' হয়তোবা তাই হবে। সবার থেকে আলাদা থাকার একটা চেষ্টা।
এতো কথা বলার দরকার হইলো কারণ, আইন করে বা প্রটোকল করে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন ঠেকানো যাবে না। আজকাল দেখি হিন্দি সিরিয়ালের অনুকরণে ঠাস ঠাস বজ্রপাতের আওয়াজ, গয়না পরা লোকজন আর বারংবার এক্সট্রিম ক্লোজআপ দিয়ে বোঝাই নাটক বানানো হচ্ছে। এইসব না বানাইলে কি হয়? আমাদের কি এইগুলা দেখা খুব জরুরি? বানানো খুব জরুরী? বাচ্চাদের নাহয় বিনোদন নাই, কিন্তু বাচ্চার বাবামাচাচাদের তো বিনোদনের অভাব নাই। এইজন্য ঠিক করতে হবে সবার আগে নিজেকেই। যেই লোক দেড়লাখ টাকা দিয়ে দুইটা টিকেট কিনে কনসার্ট দেখতে যাবে তাকে কোন শক্তিই পিটায়া ঠিক করতে পারবে না, যদি না তার মধ্যে আত্মসম্মানবোধ না আসে।
এইবার ভুটানে গিয়া এক সাউথ ইন্ডিয়ান ডাক্তারের সাথে আলাপ হইলো, বহুত আলাপ করলাম, দেশসমাজদর্শনঅর্থনীতিপ্রিয়াঙ্কাচোপড়াহিন্দিআগ্রাসন সব কিছু নিয়াই। কথায় কথায় সে আমাকে বলে 'আ'ম ইন্ডিয়ান, আই লাআআআভ বলিউড, বাট দ্যাট ডাজনট মিন উই হ্যাভ টু স্পীক হিন্দি, ম্যান! মাই মাদার টাং ইজ কানাড়া, নট হিন্দি'
এইরকম হইতে পারিনা ক্যান আমরা?
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
"এইসব না বানাইলে কি হয়? আমাদের কি এইগুলা দেখা খুব জরুরি? বানানো খুব জরুরী?"
সবৈ বোঝলাম, কিন্তু আপনে তো 'প্রযুক্তি'র দিকটা ভাইব্যা দেখলেন্না। হিন্দি সিরিয়ালে এই যে মামুলি রিভলবারের গুল্লি খাইয়্যা ভিলেন মাটি থেইক্যা ৫ হাত উপরে উইঠ্যা যায় (উইঠ্যা গিয়া ধরেন আবার ৫-১০ সেকেন্ড ঝুইল্যা থাকে), প্লাস্টিক সার্জারির ঠেলায় হিরু ভিলেন হইয়া যায় - যুগের লগে তাল মিলাইতে আমাগো মা-বোনেগো লইগ্যা 'ঠেকনোলজি'র এইরাম ডেইলি ডোজের দরকার আছে। পেত্যেকদিন তো আর 'রজনিকান্ত' দেখা যায় না, বোঝলেন্না?
বি
কয়েকজনের সাথে শাহরুখ নিয়ে কথা হচ্ছিলো, সেসব মিলিয়ে কয়েকটি পয়েন্ট নোট করলাম:
১। বাংলাদেশে বিনোদন কোথায় ২ ঈদ ছাড়া।
২। ছোটোখাটো কিছু কনসার্ট হয়, কিন্তু এমন বিশাল আকারের কনসার্ট তো আগে হয়নি!
বহু তর্কাতর্কি হয়েছে। বয়স্ক চাচা-চাচী থেকে শুরু করে আমাদের বয়সী বা আন্ডা-বাচ্চা সবার শেষ কথা 'উদার' হতে হবে।
বাংলাদেশে একটা চরম রেগুলেশন দরকার; ব্যান নয়। একটা হতে পারে মূল্য-প্রতিবন্ধকতা বা নঞ মূল্য-প্রতিবন্ধকতা বা এগুলোর সন্নিবেশন। উদার হতে থাকলে কাপড় থাকবেনা নইলে।
এক্সিম ব্যাঙ্কের এ দাবড়ানি যে আসবে, প্রণব বাবুর সাথে চুক্তির পর পর-ই বোঝা গিয়েছিলো সে সময়ের কিছু আর্টিকেল পড়ে। ভারতের স্বল্পসুদে ঋণ দেয়াটা আসোলে ছিলো একটা বিজনেস কেস, যেখানে মূল লক্ষ্য ছিলো এর মাধ্যমে আরো কিছু ডাম্পকে রিসোর্স বানিয়ে তার গতি করা! অর্থনৈতিক চুক্তির পাশাপাশি আরো কিছু চুক্তি বা আন্ডারস্ট্যান্ডিং হয়েছিলো সে সময়, যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বিটিসিএলের সাথে ক্রস-বর্ডার টেলিকম কানেক্টিভিটি এবং ইন্ডিপেণ্ডেন্টের সাথে তথ্য আদান-প্রদান (আরো থাকতে পারে)। ক্রস বর্ডার কানেক্টিভিটি নিয়ে বলতে পারি এটুকুই; এটি মোটেও সুবিধাজনক কোনো আন্ডারস্ট্যান্ডিং নয়, বরঞ্চ বাংলাদেশের খরচে কানেক্টিভিটি হয়ে ইন্টারন্যাশনাল কলগুলোর একটি ক্যারিয়ার হিসাবে বাড়তত সুবিধা পাবে বিএসএনএল (বিস্তারিত বলতে অক্ষমতা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো)।
সবার আগে দরকার, কিছু নেগোশিয়েটর, যারা এ জাতীয় চুক্তির ক্ষেত্রে দেশীয় স্বার্থকে রক্ষা করতে পারবে। তৌফিক এলাহি বা রাজিউদ্দিন রাজুরা কোনোরূপ দর কষতে পারঙ্গম যে নন, তা আবারো প্রমানিত।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
"সমস্যাটা প্রকট হবে তখন, যখন বটম-আপ পদ্ধতিতে আমরা হিন্দিকে দেশের দ্বিতীয় ভাষার কাছাকাছি তুলে আনবো। এখন যেভাবে চলছে, সেভাবে চলতে থাকলে এটা ঘটতে আর বছর আষ্টেক সময় লাগতে পারে।" - আপনার এই প্রেডিকশানের সাথে সম্পূর্ণ একমত। বছর দুয়েক আগে অফিসে একটা পদের বিপরীতে জমা পড়া কিছু রেসিউমে বাছাই করছিলাম। ল্যাংগোয়েজ স্কিল এর কলামে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক আবেদনকারী লিখেছিলেন 'Fluent in English and Hindi'। তখন ব্যাপারটাকে হালকাভাবে নিলেও এখন ভাবতে গিয়ে আতঙ্কিত বোধ করছি !
আশরাফ ভাই, হিন্দি জানা নিঃসন্দেহে একটা ভাষিক দক্ষতার মধ্যেই পড়ে। সিভিতে হিন্দি জানার ব্যাপারটা উল্লেখ করাও দোষের কিছু মনে করি না। কিন্তু সমস্যাটা ঠিক সিভিতে হিন্দিজ্ঞানের কথা উল্লেখ করার মধ্যে নয়, হিন্দি বলার ব্যাপারে মাত্রাতিরিক্ত উৎসাহ আর হিন্দি-না-জানাকে হেয়জ্ঞান করার মধ্যে।
কিন্তু আমি ব্যাপারটাকে একটু অন্যভাবে দেখছিলাম। শিক্ষিত তরুণদের একটা বিরাট অংশ যদি টিভি দেখে রপ্ত করা হিন্দী ভাষার স্কিলকে রেসিউমেতে লেখার মত যোগ্যতা বলে ভাবতে শুরু করে তাহলে ভাষার আত্নীকরণের প্রক্রিয়াটাকে কিন্তু ঠেকিয়ে রাখা যাবেনা। আমরা কি রাজি আছি বাংলা ও ইংরেজীর পরে হিন্দী ভাষাকে বাংলাদেশের মানুষের মুখের ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে?
দক্ষতা এবং আত্মীকরণ, বিষয়দুটোকে আলাদা করে দেখতে হবে। হিন্দি ভাষা জানাটা দোষনীয় কিছু না। তবে কথা হচ্ছে আমরা কেনো হিন্দিতে কথা বলবো। আমরা কথা বলবো বাংলায়। আর বিদেশীদের সাথে কথা বলার জন্যে প্রথম মাধ্যম হবে ইংরেজি। এর পরে আরও অনেক ভাষা আছে যেগুলোকে আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনার প্রথম সারিতে রাখতে হবে; যেমন, ফরাসী, স্প্যানিশ, পর্তুগীজ, আরবী, ইত্যাদি। এগুলো আবার জাতিসংঘের ভাষাও বটে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে হিন্দি এমন কোনও ভাষা না যেটা জানা অপরিহার্য্য বা প্রয়োজনীয়।
তবে রেসিউমেতে হিন্দি ভাষার দক্ষতার কথা উল্লেখ করা যায় ক্ষেত্রবিশেষ। ধরেন যদি আপনি ইনডিয়া, পাকিস্তান বা নেপালের কোনও কমিউনিটি বেইসড কাজের জন্যে আবেদন করেন, সেখানে অবশ্যই রেসিউমেতে হিন্দির উল্লেখ আপনাকে একটু ভ্যালু দেবে। আমি ব্যাক্তিগতভাবে আমার রেসিউমেতে লিখি "মডারেট হিন্দি এন্ড উর্দু স্পিকিং এন্ড আন্ডারষ্ট্যান্ডিং স্কিলস" কারণ আমি মাঝে মাঝেই এই রিজিওনে কাজের জন্যে আবেদন করি এবং আমার কাজ অনেকটা দূর্যোগকবলিত কমিউনিটিকেন্দ্রিক। এখানে হিন্দি/উর্দুর দক্ষতা আপনার পেশাগত উৎকর্ষসাধনেও কাজে দেবে।
======================================
অন্ধকারের উৎস থেকে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
দুর্দান্ত। এই রকম একটা লেখাই খুজছিলাম। শারুখান নিয়া তর্কে বিরক্ত ছিলাম। মানুষরে বোঝানো দায় যে আমরা দীর্ঘমেয়াদি কোমল বিষক্রিয়ার আক্রান্ত।
অনন্ত
ব্যাপারটা কিছুটা কুটনীতি ও দেশপ্রেমের সাথে সম্পর্কিত বলে আমার মনে হয়। এখনের অবস্থা জানিনা কিন্তু ৫/৭ বছর আগেও বাংলাদেশের নাটক কলকাতার নাটকের চেয়ে অনেক উন্নত মানের ছিল। কিন্তু বাংলা টিভি চ্যানেল কিন্তু ওখানে প্রবেশাধিকার পায়নি। এনিয়ে অনেক কথাবার্তা হয়েছিল এবং হচ্ছে। বাংলাদেশের ক্যাবল অপারেটররা ফাউ হুমকিও দিয়েছিল যে এমন চল্লে তারা ভারতের চ্যানেল প্রচার করবে না। আমার বিশ্বাস সেটা করলে খারাপ হতোনা। কারন বাংলাদেশে যে পরিমান ব্যাবসা হয় তা হারাতে রাজি হতোনা স্টার/জিটিভি/সনি ওয়ালারা। কিন্তু টাকা/মুনাফার কাছে দেশপ্রেম কিছুইনা। ঘরে ঘরে হিন্দীর জোয়ারে বাংলা অনুষ্ঠানের অবস্থা সবাই দেখতেই পারছেন...এমন আরেকটি উদাহরন ছিল লুকাস ব্যাটারি যা অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে পড়ায় ট্যাক্স ইম্পোজ করে রপ্তানির বাজার নষ্ট করে দেয় ভারত...... আমরা নিজেরা দেশের জিনিস নিয়ে খুশি হতে না শিখলে অন্যরা সুবিধা নিবেই...
-
বঙ্গসন্তান
এক কথায় অনবদ্য!!
আমি ঠিক এই বিষয়েই একটা লেখা আধা-খেঁচড়া ড্রাফট করে রেখেছিলাম।যাহোক, সেটার প্রয়োজনীয়তা আপাতত আর নেই।
এসব বিষয়ে কথা বলতে গেলে "ভারত-বিরোধি", ভারত নিয়ে অধিক মাত্রায় দুশ্চিন্তাগ্রস্ত এমন কথা অনেকেই প্রকাশ্যে, বন্ধুরা আড়ালে-আবডালে বলে।আমিও মাঝে মাঝে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়ি আসলেই আমায় ভারত ফোবিয়া'য় আক্রান্ত হচ্ছি কিনা।
শেখ হাসিনা ভারত সফর নিয়ে আপনি একটা পোষ্ট দিয়েছিলেন মনে পড়ে।সেখানে ভারতের সাথে মাখামাখির Pitfall নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছিলাম, অনেকটা আশংকা থেকেই, তখনও ক্ষীন আশা ছিলো, "অতটা" বোধ হয় হবে না।এখন দেখি কমই আশংকা করেছিলাম।
১০০ কোটি ডলারের পণ্য ও সেবা ভারতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কিনতে হবে। এর মধ্যে ৮৫ শতাংশ পণ্য সরাসরি ভারতের কাছ থেকে কিনতে হবে, আর অবশিষ্ট ১৫ শতাংশ কিনতে হবে ভারতীয় ঠিকাদারের পরামর্শে। এ ছাড়া ঋণ চুক্তির আওতায় যেসব প্রকল্পে অর্থায়ন হবে, তাতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগবে।
আচ্ছা পৃথিবীর কোন স্বাধীনদেশ অন্যদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের অনুমোদনে প্রকল্পে অর্থায়ন করে; খুব জানতে ইচ্ছা করে
ব্যানানা রিপাবলিক'এর কথা এতোদিন শুনেই এসেছি শুধু; এবার দেখার সৌভাগ্য হলো।আর কি সৌভাগ্য সেটা নাকি লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমারই
বাংলাদেশ!
জাগো বাংগালী ভাগো।"খানসামা","চাশরাশি''রা শুধু আচরণের কারণে হয় না মানুষ; থাকে চিন্তা, ভাবনায়।অবস্থাদৃষ্ট মনে হচ্ছে চাপরাশি মনোভাব তোমার রক্তে মিশে গেছে।
ঋণ না নিলেই তো হয়। এমন কেউ আছে নাকি যে ঝণ দেয় অথচ কোন শর্ত চাপায় না!!
ব্যাংক মারা শিল্পপতিদের দুরস্ত করেন, অন্য দেশের দরজায় মাঙন লাগবোনা।
ইয়ে সব ফাজুল কি বাত ছোড়্ ইয়ার। লেটস রক উইদ ক্যাটরিনা এন্ড/অর শিলা কি জাওয়ানি! আখের, হিন্দি ই তো সবকুছ। হামারা ভারত মহান। হামারা শাহরুখ মহান। বলিউড কি খানোকো রোশনাই মে সারে বাঙ্গালদেস যাব খান খান হো জায়েগা... তাব যাকার সুধরেগা তু!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বঙ্গসন্তান,
ভারতের এন্টি ডাম্পিং এলিগেশান এর বিরুদ্ধে রহিমআফরোজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা'র ডিসপিউট সেটেলমেন্ট বডি'তে অভিযোগ করে এবং ওই ফোরামে জয়লাভ করে। এখন কিন্তু ভারতে বাংলাদেশে তৈরিকৃত ব্যাটারী রপ্তানী হচ্ছে যদিও প্রতিনিয়ত ভারত শুল্কায়নে নানারকম অনুচিত ঝামেলা করেই যাচ্ছে।
আশরাফ,
আমি ঐ উদাহরন দিয়ে বলতে চাইলাম যে ওরা ওদের দেশের পণ্যের বাজারজাত নিশ্চিত করার জন্য যা নয় তাই করতে পারে আর আমরা ভাল জিনিস হলেও দেশের পণ্য এড়িয়ে চলি...
রহিম আফরোজ আবার রপ্তানি করছে জেনে ভাল লাগলো...
-
বঙ্গসন্তান
অন্তর থেকে ধন্যবাদ লেখাটার জন্য।
সব শালারপো একই কথা বলে বাংলায় ভালো অনুষ্ঠান হয় না...সে জন্য তারা হিন্দি অনুষ্ঠান দেখে নিজেকে গর্ভবতী করে....আর এক বিশিষ্ট সংবাদিক আসিফ এন্তাজ রবি এই জন্য শুধু গর্বিত ও না...আমরা যারা প্রতিক্রিয়াশীল তাদের কে এক হাত নিয়েছেন.....মাহমুদুজ্জামান বাবু সম্পর্কে যাচ্ছেতাই বললেন.....তার অপরাধ তিনি কেন এই নিয়ে লেখালেখি করেন...!!! জাকারিয়া স্বপন সাহেব আবার রবিকে সেই লেখার জন্য কোলে তুলে চুমু খেলেন...!!!
tofayel71@gmail.com
লেখাটার জন্য ধন্যবাদ।
এখন মনে হয়, ১৯৫২ সহজ ছিল। ১৪৪ ধারা ছিল, আমরা জানতাম ভাঙতে হবে। আর এখন কি ভাঙতে হবে আর কি গড়তে হবে তা নিয়ে অনেক বিভ্রান্তি। বিশ্বায়ন, সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান ইত্যাদি নানামুখী শব্দ আমাদের নানাদিকে নিয়ে যাচ্ছে। প্রবাসে একটা প্রজন্ম বড় হচ্ছে, যাদের কাছে বাংলা নেই। আবার দেশে একটা জনগোষ্ঠী তৈরি হচ্ছে, যাদের যোগাযোগের মাধ্যম ইংরেজি বা হিন্দি। জানিনা, আইন করে বা জোর করে এই অবস্থার পরিবর্তন করা সম্ভব কিনা, আমি এই ব্যাপারে দ্বিধাগ্রস্ত। আর আইন পাল্টানো আমাদের হাতে নয়। তবে, কিছু জিনিস আমাদের হাতে আছে, আমরা সেগুলো করতে পারি।
অন্য কোন ভাষা নিয়েই আমার কোন আপত্তি নেই। অন্য ভাষা ও সংস্কৃতির অনেক সুন্দর সৃষ্টি আছে, সেখান থেকে শিখতে, জানতে আপত্তি নেই, কিন্তু আগে নিজেরটা জেনে, নিজের ভিতটা শক্ত করে, তারপর। এই শাখা ভক্তরা কতজন "জীবন থেকে নেয়া" বা "হীরক রাজার দেশে" দেখেছেন? হিন্দি-ইংরেজি বিগ-বাজেট ভাষা। অন্যদিকে বাংলা গান, সিনেমা, কবিতা, নাটক, লেখালেখি সবকিছুই লো-বাজেট। তাই বাংলার মার্কেটিং করার দায়িত্বটা আমরাই তুলে নেই না কেন? অনলাইনে, অফলাইনে যতটা পারি ছড়িয়ে দেই আমাদের লালন, রাধারমণ, খান আতা, সাবিনা ইয়াসমিন, জহির রায়হান, রবীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দ, ইলিয়াস কে।
বিদেশে অনেক বাঙালি বাচ্চা বাংলা বলতে বা পড়তে পারে না, কিন্তু বাংলা গান জানে। সবসময় দেখেছি গান খুব সহজে মানুষকে আকৃষ্ট করে। ইলিয়াস বা জীবনানন্দ পাঠে হয়ত কিছুটা পূর্বপ্রস্তুতি প্রয়োজন, কিন্তু সুরের পাঠে কোন পূর্বপ্রস্তুতির দরকার নেই। প্রবাসে বাবা-মা রা বাসায় বাংলা গান বাজাতে পারেন, এভাবে কিছু বাংলা শব্দ, সুর শেখা হবে। আমরা যতটা সম্ভব, যেসব বাংলা গানে কপিরাইট নেই, সেগুলো আপলোড করি, শেয়ার করি। ফেসবুকে বাংলায় লেখা, ব্লগ লেখা, চেষ্টা করা যতটা সম্ভব শুদ্ধ বানানে লেখার, ইংরেজি-হিন্দি না মিশিয়ে কথা বলার, এই ছোট ছোট প্রচেষ্টাগুলো নিশ্চই বাংলা কে সাহায্য করবে।
কেউ যদি একবার আবুল হাসান পাঠের আনন্দটা কী সেটা বুঝতে পারে, সে আর কখনোই শাখার সাথে আপ্রাণ হিন্দি বলার চেষ্টা করবে না। আসুন, বাংলা সাহিত্য, গান যতটা সম্ভব আমরা ছড়িয়ে দেই, ছোটদেরকে বাংলা বই কিনে দেই, বাংলা গান শোনাই। নিজেরা একেকজন যশরাজ বা প্যারামাউন্ট পিকচার্স হই বাংলার জন্য।
গান নিয়ে একটা পর্যবেক্ষণের কথা বলি। এদেশে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান হিন্দি গান ছাড়া হয়ই না বলতে গেলে একদম। সেদিন এক আত্মীয়ের বিয়েতে দেখছিলাম নাচ গান হচ্ছিলো। এবং একটা বাংলা গান বাজছিল... "বন্ধু তুমি কই কই" এই গানটা। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই গানটার সুর ভারতীয় মিউজিশিয়ান প্রীতম তার "আহু আহু আহু" গানে ব্যবহার করেছেন। অর্থাৎ আমাদের সুর ও গান আমরা গ্রহণ করলাম ভারত ঘুরে আসার পরে।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
আপনার সাথে একমত। সন্তানের মাঝে বাংলা সংক্রামক করতে বই বা গান শুধু হাতে ধরায় দিলেই হবে না, ওদের সাথে সময় নিয়ে গল্প/আলোচনাও করতে হবে। একটা ফ্যামিলির জন্য কোয়ালিটি টাইম খুবই জরুরী আর এই সময়গুলোর স্মৃতি অমূল্য।
এটা পুরা ফাঁকা একটা বুলি ছাড়লাম। বাবা মা নিজেরাই তো হিন্দি সংস্কৃতিতে আচ্ছন্ন।
-রু
আইন করে ভাষা বা সংস্কৃতির আগ্রাসন বন্ধ হয়ত পুরোপুরি করা যাবে না কিন্তু কিছুটা নিয়ন্ত্রন করা যাবে অবশ্যই।
সেসাথে অবশই বাংলা ভাষার যে বিশাল সাহিত্য, গান, নাটক, সিনেমা আছে সেগুলোকে প্রমোট করতে হবে নতুন প্রজন্মের কাছে। ইংরেজী শিখলে দোষের কিছু নেই কিন্তু সেটা যেন অবশই নিজের ভাষাটি ভালোভাবে শিখে, জেনে তারপরে হয় এটা নিশ্চিত করতে হবে আমাদেরকেই।
_________________________________________________
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
লেখাটার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
খুবই সময়োপযোগি লেখা হিমু ভাই। এই নীরব আগ্রাসনের ইতিহাস অনেক পুরোনো। এর প্রতিবাদে মেজর জলিলকে জেলে যেতে হয়েছিলো। ইনডিয়ান আর্মি খুলনার পাটকলগুলো থেকে এবং নিউজপ্রিন্ট মিল থেকে কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি নিয়ে গিয়েছিলো তা আমরা খুলনাবাসী ভালো করেই জানি। বেনাপোল-ভ্রোমরা স্থলবন্দরে গেলে দেখা যায় আরও ভয়াবহ চিত্র। ১ কোটি টাকার এলসির বিপরীতে আমদানীশুল্ক ফাঁকি দিয়ে আরও ২০০ কোটি টাকার পণ্য ঢুকে যাচ্ছে। এবং দুঃখজনকভাবে সব সরকারের আমলেই এই আগ্রাসন আরও নতুন মাত্রায় বেড়ে যাচ্ছে। আমাদের এক কলেজের বন্ধু বর্তমানে বেনাপোলের সবথেকে বড় শুল্কসন্ত্রাসী বলেন, চোরাকারবারী বলেন, ক্ষমতাশালী বলেন, ধনী বলেন, তাই। এরা হচ্ছে ইনডিয়ার অর্থনৈতিক আগ্রাসনের সবথেকে বড় বাংলাদেশী বেনিফিশিয়ারী। আর একটা মজার কথা বলি, বেনাপোল এবং ভ্রোমরার অনেক চোরাকারবারী আবার জাতীয় দৈনিকগুলোর প্রতিনিধি। একটা সিএন্ডএফ এজেন্সির আড়ালে চলে এদের কোটি কোটি টাকার খেলা আর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মেরুদন্ড একটু একটু করে ক্ষয়ে যেতে থাকে।
আগেরদিনে মস্তান-সন্ত্রাসীদের হিন্দি/উর্দুতে কথা বলার একটা প্রবনতা ছিলো। এর কারণ একাত্তরপূর্ববর্তীকালে মূলতঃ পাকিস্তানীরাই শহুরে সন্ত্রাসবাদের নেতৃত্বে ছিলো কিছু বাঙালী ট্যান্ডেল নিয়ে। পাকিস্তানীদের বিদায় হলেও সেই উর্দুমিশ্রিত বাংলা কিন্তু এই চক্র থেকে বিদায় নেয়নি। এরপর দেখা যায় হিন্দি সিনেমার প্রভাব। কিন্তু আজ এই ভাষা মাস্তানদের থেকে বিদায় নিয়ে চলে এসেছে তরুন সমাজের কাছে।
ইউনিসেফের একজন ইনডিয়ান সিনিয়র কনসালট্যান্টকে নিয়ে বাংলাদেশের এক গ্রামে গিয়েছিলাম প্রজেক্ট ভিজিটে। ওই এলাকার মানুষ আঞ্চলিক বাংলায় কথা বলেন এবং যা অনেকাংশেই অন্য এলাকার বাঙালিদের কাছে দুর্বোধ্য। কিন্তু যখনই কনসালট্যান্ট মহোদয় হিন্দিতে কথা বলতে শুরু করলেন, অমনি ফোকাস গ্রুপে বসা মহিলাদের মুখে হিন্দি কথার খই ফুটতে থাকলো। কনসালট্যান্ট মুগ্ধ হলেন কিন্তু আমি হলাম না। বলতে বাধ্য হলাম যে আমি তোমাদের আলাপ ফলো করতে পারছি না।
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা প্রদেশে আইন আছে যে কোন চায়নিজ শিশু যদি স্কুলে হোকিয়ান ভাষায় কথা বলে তবে প্রতিবার বলার জন্যে গার্জিয়ানকে ২০ ডলার করে ফাইন গুনতে হয়। উচ্চশিক্ষা বা পেশাগত উৎকর্ষতার জন্যে আমাদের অবশ্যই ইংরেজিটা জানা প্রয়োজন। কিন্তু সরকার কি উদ্যোগ নিতে পারবেন যে স্কুলে-কলেজে হিন্দি বললে জরিমানা আরোপ করার? সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলোতে হিন্দি সিনেমার নাচ-গান বন্ধ করার???
======================================
অন্ধকারের উৎস থেকে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
মোদের গরব মোদের আশা
আ মরি '?' ভাষা!
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
প্রথম আলোর খবরটা দেখেছিলাম।বর্তমানে যে ধারায় প্রথম আলো খবর পরিবেশন করে, তাতে এ খবর প্রথম আলোয় আসাতে অবাক হলেও ভাল লেগেছিল। তবে খবরটি আর অন্যকোন পত্রিকায় না দেখে খারাপও লেগেছিল।
হিমুকে ধন্যবাদ। যারা ভারত বিরোধী কোন কথা বললেই ছন মন করে ঊঠেন যে আমাদের শুধুশুধু ভারত জুজুর ভয় দেখানো হয়, আশা করি তারা একটু নতুন আঙ্গিকে ভাবতে শুরু করবেন।
ভারত সুপারপাওয়ার কেন, ভারত আল্ট্রা সুপার পাওয়ার হয়ে উঠুক, তাতে আমাদের ভয় পাওয়ার কি আছে ? ভয়ের কিছু নেই। ভারত সুপাইরপাওয়ার হয়ে যাচ্ছে বলে, আমাদের পাছার কাপড় তুলে বসে থাকতে হবে এমন মোটেও নয়। কেউ যদি ভারতের কথা অনুযায়ী না চললে বাংলাদেশে ভারতের সামরিক আগ্রাসনের ভয় পেয়েও থাকেন, তাদের জন্য বলি, এটা হবে ভারতের জন্য একটি অগ্নিপরীক্ষা, যে পরীক্ষায় ভারত কখনোই যাবেনা। দূর থেকে ভারতের মাংসবহুল পেশী দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।আমাদের লক্ষ্য যদি হয় যে আমরা আমাদের গতিতে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাব, তাহলে অনেক তড়িঘড়ি করে করা ভুল থেকে আমরা রক্ষা পাই।
অর্থনৈতিক যে আগ্রাসন চলছে, তাতে সরকার একা কিছু করতে পারবে না, সচেতন জনগণের সহায়তা প্রয়োজন রয়েছে, যার বড্ড অভাব। তবে এই সাথে এটাও সঠিক, বর্তমান সরকার যেভাবে, অতি ভারপ্রিয়তাকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে, তাতে সাধারণ জনগণ কিভাবে সরকারকে সহযোগিতা করবে, সেটি আমার বোধগম্যনয়। আমরা বুঝি, এই সরকারের এবনং সরকার প্রধানের ভারতের প্রতি বিশাল দায়বদ্ধতা, তবে, এই দেশের জনগণের কাছে আপনাদের দায়বদ্ধতা কি আরো বেশী নয় ?
বাঙ্গালী কিছু না পারলে, শেষমেষ কিন্তু, এক্কেরে পুটকি মারি দেয়, কথাটা মনে রাখবেন।
আমি একটা বোকার মতো প্রশ্ন করি, এক্সিম ব্যাংকের ঋণকে আওয়াজ ছাড়া ঠাশ করে লাত্থি মেরে এনটিপিসি'র সাথে বিতাড়িত করলে সমস্যা কী?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কম্পিউটার না নিয়েও যেমন 'টিউলিপ কর্পরেশন'কে ৬০ কোটি দেয়া লাগছে, তেমন বিশাল জরিমানা দেয়া লাগবে।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
--
হিমুর অলঙ্করণগুলো খুব ভাল্লাগে।
আজকের আলু পত্রিকা থেকে সরাসরি তুলে দিচ্ছি-
কোটি টাকার প্রতিযোগিতার উপস্থাপক কে?
[i]আগামী বছরের মার্চ মাসে দেশ টিভিতে শুরু হচ্ছে কে হবে কোটিপতি অনুষ্ঠান সনি টিভির কৌন বনেগা ক্রোড়পতির আদলে তৈরি হবে অনুষ্ঠানটি। কে হচ্ছেন এই অনুষ্ঠানের উপস্থাপক?
অনুষ্ঠানের আয়োজকদের কাছ থেকে জানা গেছে, এরই মধ্যে উপস্থাপনার জন্য পাঁচজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বকে বাছাই করা হয়েছে। তাঁরা হলেন নাট্যব্যক্তিত্ব আলী যাকের, আসাদুজ্জামান নূর, আফজাল হোসেন, সুবর্ণা মুস্তাফা এবং শিল্পপতি আনিসুল হক। এঁদের মধ্য থেকে উপস্থাপক নির্বাচনের জন্য মুঠোফোন বার্তার (এসএমএস) সহায়তা নেওয়া হবে। মুঠোফোন বার্তার মাধ্যমে যিনি সর্বাধিক ভোট পাবেন, তিনিই হবেন কে হবে কোটিপতি অনুষ্ঠানের উপস্থাপক।
......একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, কে হবে কোটিপতি অনুষ্ঠান পাঁচটি সেশনে প্রচার করা হবে। প্রতিটি সেশনে একজন করে উপস্থাপক থাকবেন। সেদিক থেকে উপস্থাপক হিসেবে এই পাঁচ ব্যক্তিত্বকেই বিভিন্ন সেশনে পাওয়া যাবে।
আলী যাকের, আসাদুজ্জামান নূর, আফজাল হোসেন, সুবর্ণা মুস্তাফার মত, শক্তিমান অভিনেতা-অভিনেত্রীদের এমন নকল একটি অনুষ্ঠান না করলে কী খুব বেশি ক্ষতি হত?? উনারা তো অনেকের রোল মডেল, উনারাই যদি এভাবে হিন্দিকে প্রমোট করেন তাহলে রাম-সাম-যদু, মদুরা কী করবে??
-হুতোম প্যাঁচা।
কৌন বানেগা ক্রোরপতি, এইটা ভারতের মৌলিক অনুষ্ঠান আপনাকে কে বললো? জার্মানীতে "ভেয়ার ভিয়ার্ড মিলিওন্যার" (ক্যারা ক্যারা মিলিওনিয়ার হৈতে চাও) নামে একটা অনুষ্ঠান প্রচারিত হয় আরটিএল চ্যানেলে। এটা শুরু হয়েছিলো ১৯৯৯-এর ৩রা সেপ্টেম্বর। এখানে দেখতে পারেন উইকির লিংক, তবে জার্মান ভাষায়।
প্রসঙ্গতঃ ভারতে কৌন বানেগা ক্রোরপতি সর্ব প্রথম প্রচারিত হয় ২০০০ সালে।
বলতে ভুলে গেছিলাম, এইটা আসলে বৃটিশদের আবিষ্কার। ৪ঠা সেপ্টেম্বর, ১৯৯৮ থেকে প্রচারিত হয়ে আসছে। আর এখন তো এইটা বিশ্বের অনেকগুলো দেশই তাদের নিজস্ব দেশে, নিজস্ব ধারায় প্রচার করে আসছে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধন্যবাদ, জানা ছিল না।
তবে ভারতের মৌলিক অনুষ্ঠান, সিনেমা কতগুলো হয়, তা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। সেখানকার বাম্পার হিট সিনেমা (হিন্দি) বেশিরভাগই কপি মারা। হালের থ্রী ইডিয়ট কিংবা গজনী যেগুলোর গুণগান শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা সেগুলোও কপি মারা (প্যাচ অ্যাডামস আর মেমেন্টো থেকে)। এরকম আরও আছে।
সমস্যা হচ্ছে আমরা বাঙ্গালিরা আবার সেই হিন্দি থেকেই কপি পেস্ট করি। এ কারণেই বস্তাপচা কাহানিঘরঘরকি, কিউকিসাস্কিকভিবহুকিথা, এইসব সিরিয়ালের আদলে বাংলাদেশেও "গুলশানএভিনিউ" টাইপ সিরিয়াল তৈরী হচ্ছে।
তাই বলছিলাম নূর সাহেব, আলী যাকের রা এটা না করলেও পারতেন। যেমন আনিসুল হক সাহেব সম্পাদকীয়তে হিন্দির গুস্টি উদ্ধার করে, স্বপ্নপাতায় গিয়ে আবার থ্রীইডিয়ট দেখতে তরুন সমাজকে আহবান জানান।
-হুতোম প্যাঁচা
শিবরামের একটা গল্প আছে, "যখন-যেমন, তখন-তেমন"। আনিসুল হক সাহেব মনে হয় ওটাকেই গুরুবাক্য হিসেবে নিয়েছেন।
ওনার আহ্বানের ভাষা ছিলো এমন,
[সূত্র]
এইডা 'ফ্রিম্যান্টেল' এর কনসেপ্ট শো।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
আমি একটা বোকার মতো প্রশ্ন করি, এক্সিমের ব্যাংকের ঋণকে আওয়াজ ছাড়া ঠাশ করে লাত্থি মেরে এনটিপিসি'র সাথে বিতাড়িত করলে সমস্যা কী?
সমস্যা একটাই ঐটা করার মতো মাজার জোর কি "BAL" সরকারের আছে! সরকারকে গালি দেই নাই কিন্তুক BAL মানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বুঝাইছি
কিংবা বীর বাংগালীর কি সেই হ্যাডম আছে!সবডি তো মনে হয় "রাণী মুখার্জির" কোমর দোলানোর'র স্মৃতি চারণ করতেছে।
দেলোয়ার হারামজাদা'রে কষে একটা লাত্থি যদি দিতে পারতাম! ___বাচ্চা একটা কথাও কয়না এটা নিয়ে!
ঘটনা আরো খারাপ হবে কয়দিন পর যখন এয়ারটেল মুম্বাইয়ে " নাচ বেটি নাচ" প্রগ্রামে ভোট বাংলাদেশ থেকে এস,এম,এস করুন মাত্র ২ রুপিয়া'কে লিয়ে, তখন দেখবেন বুড়া-বুড়ি-ছোড়া-ছুঁড়ি-বাপ-মা-ভাই-বোন মিলে মোবাইলের বাটন চাপতে চাপতে হাতে কড়ে ফেলবে।
আমার সহজ হিসাব, আমি বাংলাদেশে যে কোন ভারতীয়/পাকিস্তানী বিনিয়োগের বিপক্ষে।
আপনার মন্তব্যের মূল ভাবের সাথে সহমত থাকলেও আপনার প্রকাশ ভঙ্গি আমার কাছে পুরাই বালছাল মনে হয়েছে। এটা আপনার উল্লেখিত রাজনৈতিক দলের BAL না, বাল বলতে যা বুঝেন, সেইটাই।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
তাই নাকি? আপনার মনে হয় ফরেন পলিসি ১০১ পড়ার টাইম হইছে।
হিমু ভাই, লেখাটা খোমাখাতায় শেয়ার করতে অনুমতি চাচ্ছি।
_________________________________________________
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
ইন্টারনেটে ওপেন(নন পাসওয়ার্ড প্রটেক্টেড) কোন লিংক শেয়ারের জন্য কারও অনুমতি নিতে হয় বলে মনে হয় না।
এই দুই চুক্তি নিয়ে বাংলাদেশে সচেতনতা দেখে আমি খুব খুশী হয়েছি। ব্যাপারটা ভারতের সাথে চুক্তি নিয়ে সামনে এলেও সারা পৃথিবীতে এই ঋণের ব্যবসা অনেক পুরোনো। এর নাম টায়েড এইড (Tied Aid)। ২০০৬ সালের হিসাবে, পৃথিবীর আনুমানিক ৫৮% বৈদেশিক ঋণই এই গোত্রীয়, যেখানে ঋণদাতার কাছ থেকেই ঋণের টাকা দিয়ে কেনা বাধ্যতামূলক থাকে। একটা পেপারে দেখেছি এই ঋণের ফলে দাতা দেশের রাজনোইতিক স্বার্থ হাসিল হয় আর গ্রহিতা দেশের ২০-৩০% প্রকল্প খরচা বেড়ে যায়। ২০০১ সালে উন্নত দেশগুলো মিলে এইধরণের টায়েড এইড দেওয়া বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দেবার আগে আনুমানিক ৭০-৮০% ঋণই ছিল টায়েড এইড। এখনও উন্নয়নশীল দেশ (চিন-ভারত-থাইল্যান্ড) যা বৈদেশিক ঋণ দেয় তা মূলত সবই এইধরণের টায়েড এইড।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ভারত ২০০৩ সাল থেকে আর টায়েড এইড নেয় না, যা বাকি টায়েড এইড ছিল সেই টাকাও ২০০৩-২০০৭ এর মধ্যে প্রি-পে করে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং, সার্বিকভাবেই বাংলাদেশের এই ধরণের ঋণ নেওয়া বন্ধ করা উচিত, সেটা যে দেশের কাছ থেকেই আসুক।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
বাংলাদেশের দাতার খাতায় ভারতের নাম উঠেছে দেখে উষ্টা খেয়ে পড়ে যাচ্ছিলাম। দাতার দাদাগিরির খবর শুনে অবাক হইনি। জানতে ইচ্ছে করছে সরকার অবাক হয়েছে কিনা। পচা সাবানের মার্কেটিং টুল হিসেবে ঋনের ব্যবহার নতুন কিছু না হলেও ভারতের দিক থেকে প্রথম।
ভারতীয় বাণিজ্য কৌশলের পাতা ফাঁদে বাংলাদেশ সানন্দে আটকে আছে বহুবছর থেকেই। সরকার বদল হলেও যে নীতি বদল হয় না। যে কারণে ভারতীয় ডাম্প গাড়ীর বিক্রি অব্যাহত রাখার জন্য বাংলাদেশে গাড়ী আমদানী নীতিমালা নির্ধারিত হয়।
সারা বিশ্বে কাপড়চোপর চা চামড়া বিক্রি করে বছরে যে কয় বিলিয়ন ডলার কামাই করি তার অর্ধেক তো ভারতীয় লোহা লক্কর বর্জ্য আমদানী করার জন্য বরাদ্দ রাখি।
আমরা আমরা খামাকা চিৎকার করি, ওরা ওরা মালাবদল করেই যায়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ঘটনা গুলি শেয়ার না করে পারছিনা
১। নেপালে গিয়েছিলাম ৩১ ডিসেম্বর রাত উদযাপন করতে। ভেবেছিলাম কিছুটা ভিন্ন আংগিকে নতুন পরিবেশে নতুন মানুষদের সাথে মজাই হবে। কিন্তু মোহ ভঙ্গ হল যখন দেখলাম হোটেলের পরধান আকর্ষন শুভ্রদেব আর এক গায়িকা (নাম জানিনা, আগুনের বোন) স্টেজে উঠে হিন্দি গানে মাতিয়ে রাখল!!
নেপাল এখন ঢেকুরও তুলে হিন্দিতে। শুধু ভাষা আর মুদ্রা জয় করে একটা দেশকে কি শাসন আর শোষন করা যায় নেপালকে দেখলে তার কিছুটা আন্দাজ হয়। আসলেই, মানচিত্র দখল করার দিন শেষ।
২। আমার প্রজেক্টে এক তামিল কাজ করত। একটা হিন্দি গানের অর্থ জানতে চাওয়ায় এমন উত্তর দিল আমি ছোট হয়ে গেলাম।
তামিল ভারতেরই একটা রাজ্য। তারপরও তাদেরতো হিন্দি দিয়ে কাবু করতে পারেনাই? এমনকি হিন্দি মুভি গুলি সেখানে নাকি ডাবিং করে দেখান হয়। কারন তাদের সংস্কৃতির জোর।
আসলে ভারত বা হিন্দি বিদ্বেষ দিয়ে এই আগ্রাসন ঠেকানো যাবেনা। নিজেদের সংস্কৃতিকে আগে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
সবই বুঝলাম। কিন্তু কে, কিভাবে? বুঝতে বুঝতেই এক সময় দেখা যাবে আমাদের তরুনরা ফেনসিডিলের, তরুনীরা জিরো ফিগার আর শাহরুখদের, যুবকরা সিক্স প্যাক আর কাটা লাগার, গৃহিণীরা সিরিয়ালের, নেতারা দিল্লীর পীরদের নেশায় বুঁদ হয়ে গেছে, জাগানো যাচ্ছেন॥ আমি নেপালের কথে মনে করি আর ভয় পাই।
ধুগো, ঠিকাছে।মন্তব্যটা "যাচ্ছে তাই" হইছে।"ভড়ং" আর "আদিখ্যেতা" দেখে নিজেরই "কেমন" জানি লাগছে। মন্তব্যে "পরিমিতিবোধ" সবসময় মানা হয়না।হয়তো একটু বেশি প্রতিক্রিয়া দেখাতে গিয়ে প্রকাশটাভংগীটা যুৎসই হয়নি।তারোপর, বাংলাদেশি মানুষ সম্পর্কে এমন ধারণাও পোষন করিনা।
তবে মোদ্দাকথা হলো সরকার নিজে সচেতন না হলে কিংবা সরকারে চাপে না ফেললে চুক্তি ঠেকানো যাবে না।এই দু'টার কোনটাই ঘটবে এমন লক্ষ্ণ নাই।আর আশাও করিনা। শেষ ভরসা ওই তেল-গ্যাস-বন্দর রক্ষা কমিটির বুড়াগুলোই।
বল্গ এক্ষেত্রে কতটুকু ভুমিকা রাখতে পারবে, সময়ই বলে দেবে।
@ব্লগ পাঠক, আপনার কাছে কথাটা নিতান্তই "বালখিল্য" মনে হইতে পারে কিন্তু আমি ভেবেই বলেছি।আমি এমনিতে বিদেশি বিনিয়োগের সমর্থক না।
তবে আমাগো মতো গরীবদেশে "পুজির অভাব", "কর্মসংস্থান তৈরি" এসব বলে সরকার বিদেশী বিনিয়োগকে স্বাগত জানায়।কোম্পানীর উর্ধতন'রা সাধারণ ঐ দেশের লোক হয়।তাদের অনেক মোটা বেতন দেয়া হয় ।তবে ভারত, ক্ষেত্রবিশেষে চীনা কোম্পানি গুলো উর্ধতন তো বটেই, মধ্যপর্যায়েও নিজের দেশের লোক বসায়।কারন বেতনের পার্থক্য খুব বেশি না। ফলে দেখা যায়, নানানরকম সুবিধা তো তারা নেয়ই, বাংলাদেশের মুল যে উদ্দেশ্য যে কর্মসংস্থান, সেখানেও "লবডংকা"। আপনি ঢাকায় এসব দেশের মালিকানায় স্থাপিত প্রতিষ্টানে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন।
পোষ্টে আলোচিত চুক্তিগুলোতেও এইটা দেখতে পাবেন।
তবে আমি জানি আইন করে এইটা করা যাবেনা।ঠিকও হবেনা।অন্যভাবে করতে হবে,
আই,পি,এলে ভারত যেমনে পাকি ক্রিকেটারদের পাত্তা দেয় নাই, ঠিক সেইভাবে।
আমি কোন বিদ্বেষ থেকে কথাগুলো বলি নাই।খাস বৈষয়িক চিন্তাভাবনা থেকে বলেছি।
অনেক বকবক করলাম, এখন ফুটি।
ভাইটি, দেশের মানুষ নিয়ে কোন ধারনা নয়, সংশয় প্রকাশ করা হইছে।
সংশয় কে আজ দুয়েক জনের "ভড়ং" আর "আদিখ্যেতা" বলে মনে হবে, কিছুদিন পর অনেকের তাই মনে হবে। হবে "পরিমিতিবোধ" এর অভাব, যাচ্ছেতাই বলা কিংবা বেশি বেশি!! আমরা সবাই জানব যে, ভারত আমাদের _ মারতেছে কিন্তু ঘুরে দাড়িয়ে প্রতিবাদ করার লোক থাকবেনা। প্রতিবাদের কারন এর চেয়ে, প্রতিবাদের ভাষা নিয়েই চলবে বিস্তর আলোচনা। আবারও বলছি, এ শুধু আমার সংশয়। আর সেটা সতর্কতার জন্যই।
"শেষ ভরসা ওই তেল-গ্যাস-বন্দর রক্ষা কমিটির বুড়াগুলোই"- ঠিক তাই, আর তারা বুড়া বলেই সংশয় হয়, কারন এই বুড়াদের যে স্পর্ধা সেই স্পর্ধার ছিটে ফোটাও নতুনদের মাঝে দেখিনা। এর কি কোন ভবিষ্যত থাকল?
এই ব্লগের লেখকের সাথে উল্লেখিত চুক্তির ব্যপারে আমরা সবাই একমত, হয়ত দেশের বেশির ভাগই হবে, কিন্তু তারপরও আমরা নতজানু। আমরা দেখছি, আমরা শুনছি, আমরা লিখছি, আমরা পরিনামও জানছি কিন্তু এর বিরুদ্ধে যথার্থ (টু দ্য পয়েন্ট) এবং জায়গামত প্রতিবাদ কই? আমরা অপেক্ষা করছি কার জন্য? বেশি দেরি হয়ে যাচ্ছেনা? মূলত এটাই আমার বক্তব্য ছিল। ভাবাবেগ, ভাষাগত ত্রুটি আর ব্লগে বুলি কপচিয়ে দায়িত্বের ইতি টানার জন্য লজ্জিত। (এবারও গুছিয়া লেখা হলনা!)
শুভ কামনা।
ভালো হয়েছে
@বোধকল্প, আপনার মন্তব্য এককথায় চমৎকার।একি সঙ্গে সতর্ক হতে বলে আবার আশাবাদী করে তোলে।
তবে উপরের কথাগুলি আমি নিজের আগে করা মন্তব্য সম্পর্কে বলেছি।
কোনভাবেই আপনার মন্তব্য সম্পর্কে নয়।
আপনার কথা ঠিক আছে। বোধের প্রকাশভংগীর গুরুত্বপুর্ণ তবে বোধটা আরও গুরুত্বপুর্ণ।
তবে আমরা যাই বা যেটাই করিনা কেন, এই বাংলাদেশের মানুষকে নিয়েই করতে হবে।মানুষের উপরে আস্থা হারালে কেম্নে চলবে! জাতিগত জাগরণ কিংবা চরিত্র নির্মান তো শুধু কিছু ব্যাক্তিকে দিয়ে হয়না।
এইযে "তেল-গ্যাস-বন্দর" রক্ষাকমিটির বুড়াগুলো মানুষের আস্থা অর্জন করছে বা করছে, আজ না হোক, কাল না হোক, পরশু কিংবা তরশু মানুষ ঠিক তাদের পাশে দাঁড়িয়ে যাবে।
হয়তোবা এইটা অবার্চিনের অতি-আশাবাদ, তবু আশাই তো মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে।তাই নয় কি!
-সব দেখে শুনে
অনেক দেরি করে পড়া হল। গুছিয়ে তুলে ধরার জন্যে ধন্যবাদ। আর মন্তব্যগুলোও আকর্ষণীয়, বৈচিত্রপূর্ণ আর টু দ্যা পয়েন্ট।
আমার নিজের হিন্দি চ্যানেল বর্জন নিয়ে একটু ব্যক্তিগত অভিমত আছে আর তা হলো, এই চ্যানেলগুলোকে আমি ব্যক্তিগতভাবে রাশিয়ান, অস্ট্রেলিয়ান, অন্যান্য ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ চ্যানেলগুলোর মতোই স্রেফ আরেকটা বিদেশি চ্যানেল হিসেবেই দেখতে শিখেছি। একদা ভীষণ টিভিখোর ছিলাম, তখন অন্যান্য বিদেশি চ্যানেলের যেমন কিছু প্রিয় প্রোগ্রাম নিয়মিত দেখেছি, কিছু হিন্দি প্রোগ্রামও নিয়মিত দেখেছি। আমি এর জন্যে লজ্জিত নই। কারণ আর কে নারায়ণের বিখ্যাত মালগুড়ি ডেইজ-এর উপর ভিত্তি করে করা সিরিয়াল দেখে আমার ক্ষতি হয়েছে বলে মানতে পারি না।
এখন কথা হলো, আমি যে এত টিভি দেখলাম (তার জন্যে বাবা-মার কাছ থেকে প্রচুর বকা-ঝকা কপালে জুটলেও এবং পরীক্ষার রেজাল্ট প্রচুর খারাপ করলেও) আমার দেখবার তালিকায় তো কোন শাশুড়ি-বউয়ের সিরিয়াল ছিল না, নাচানা-গানা আলা গাদা-গাদা হিন্দি সিনেমাও ছিল না, আমি অবশ্য খুব সিলেক্টেড হিন্দি সিনেমা এখনো দেখি আর শাহরুখ দ্য ইন্টারন্যাশনাল ফাউল স্টারের সিনেমাও বেশ কিছু দেখেছি দুঃখজনক হলেও সত্যি। খুব ছোটতেই আমি বেশ ভালো হিন্দি রপ্ত করে নিয়েছিলাম ইংরেজির পাশাপাশি স্রেফ টিভি থেকে আর কিচ্ছু না।
তবে আক্ষেপজনক হল অনেক ছোট থাকতে আমার নিজের হিন্দি বলতে পারি এবং বুঝি এইটা নিয়ে বেশ একটা ছেলেমানুষি গর্ব ছিল, তখন অবশ্য সবাই হিন্দি বলতে বা বুঝতে পারত না কারণ এইরকম ভাবে ভিন্দেশী চ্যানেল দেখার সহজ সুযোগ ছিল না সবার।
কিন্তু শুকুর করি যে তা সত্যি ছেলেমানুষ সময়েই ছিল। কিন্তু এখন কেন আমি ভারতীয় ভিন্নভাষী কাওকে দেখলেই হিন্দি বলার জন্যে উথলে উঠি না?
একজন শিশু কী শিখবে আর তার প্রয়োগ কীভাবে করবে তা নিয়ন্ত্রণ হয় তার পরিবার পারিপার্শ্বিকতা দিয়ে। আমি শিখেছি শিখেছি হিন্দিটা ইংরেজির মতোই আরেকটা ভাষা, এটা দরকার হলেই ব্যবহার করতে হয়। কারণ এখানেও অনেকেই মন্তব্যে বলেছেন খোদ ইন্ডিয়া একটা মাল্টিকালচারাল দেশ, সেখানে এত রকম ভাষা আর সংস্কৃতির সমন্বয়, যেখানে হিন্দি নিজে একটা অংশ মাত্র, আর দক্ষীণ ভারতীয়রা প্রয়োজন হলেও হিন্দি পরিত্যাগ করে নিজেদের ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা আছে বলে।
আমরা কেন পারি না? আমাদের শেখার ত্রুটি বলে। আমরা শুধু ভিনদেশী একটা মাত্র ভাষার চ্যানেল দেখতে শিখছি। কারণ? সেই ভাষাটা কিন্তু আমাদের জন্যে ইংরেজির তুলনায় শেখা সহজ, আমরা ছোট থেকেই ঐ ভাষার চর্চা দেখছি বড়দের শোনা গানে, দেখা সিনেমায়, বিয়ের অনুষ্ঠানে। ইংরেজি বা রাশান তো আর দেখছি না! একটা ভিনদেশী সংস্কৃতির কোনটুকু গ্রহণযোগ্য আরো কতটুকু আমাদের ইতিহাসের সাথে যায় তা আমরা ভাবছি না, আমাদের সন্তানদেরকে ভাবতে শেখাতে চাচ্ছিনা।
আমি মনে করি না জোর-জবরদোস্তি করা কোন সমাধান শিক্ষা সংস্কৃতির ক্ষেত্রে। দরকার নিজেদেরকে ঠিক হওয়া। আগে বুঝতে শেখা আমার নিজের অবস্থান কোথায়, আমার ভাষা, আমার জাতীয়তা, আমার ভবিষ্যৎ, আমার দেশটা কী। ইদানীং অল্পবয়সীদের সাথে আলাপ করতে গেলে ঘুরে-ফিরে মনে হয় এগুলো নিইয়ে যেন সবাই বেশ সন্দেহে আছে। তারা বাড়ি থেকে, স্কুল থেকে, বন্ধু-বান্ধব, বই, বিনোদন মাধ্যম থেকে নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান পাচ্ছে না।
পরিবার পরিজন, শিক্ষকেরা যদি এসব ধারণা দিতে ব্যর্থ হন, আমাদের লেখকেরা যদি ছোটদের জন্যে আকর্ষণীয় বই না লেখেন তাহলে এ সমস্যার সমাধান হবেনা। আমাদের সিনেমা পরিচালকেরা যদি ফারুকীয়া সিনেমা আর নাট্যকারেরা যদি হালকা প্রেমের নাটকই লিখে যান, সাহিত্যিকেরা যদি বইমেলায় কাটতির জন্যে একইরকম চরিত্র আর একই কাহিনি ভাজাভাজা করে ৩০০-এর বেশি বই এক জনমেই লিখে ফেলেন তাহলে হিন্দিটাই বিনোদন হবে বৈকি।
ঘরের গৃহিণী মায়েরা সারা দিনের শ্রম শেষে আত্মীক উন্নয়নের জন্যে গম্ভীর ভারি ভারি জিনিস না দেখে, অবসরে হালকা বিনোদনের আশায় যা দেখবেন, পাশের বাড়ির ভাবির সাথে যা আলোচনা করবেন, ছেলেমেয়েরাও তাই-ই শিখবে! আর তারাও হিন্দি কার্টুন নেটওয়ার্ক দেখেই সাচ্ছন্দ্যবোধ করবে। আমাদের সঙ্গীতজ্ঞরা যদি বিয়ে-হলুদ এগুলোর জন্যে উপযুক্ত আধুনিক আকর্ষণীয় গান না তৈরি করেন, তবে আমরা বিয়েতে হিন্দি চটুল 'ম্যাহেন্দি' মার্কা গান বাজাবোই, কিছু তো বাজানো লাগবে? আর নাচবোও। আমাদের গ্রামে-গঞ্জে বিয়ে উৎসবে বাংলালিঙ্কের অ্যাডের মতোই আমরা ভাংড়ার বাজে অনুকরণে আজকে শত শত বছর ধরে নেচে আসছি না, নাকি?!
অ্যাড নিয়ে দুইটা কথা বলব ভাবি মাঝেমাঝেই। তা ভারতের ঋণ ছাড়া আমরা বাঁচছিলামও না, আর মাথায় কাঁঠাল ভাঙার জন্যে মাথা আর কাঁঠাল দুইই এগিয়ে দিলে কে না খুশি হয়ে তা ভাঙতে অস্বীকৃতি জানায়। তো সেই বছর দশেক ধরেই দেখছি প্রায়, আন্তর্জাতিক পন্যের ইন্ডিয়ান টিভি অ্যাডটাই আমদের এখানেও দেখিয়ে কূল পায় না দেশী চ্যানেলগুলো, এটাও কি চুক্তির অংশ? কারণ আমাদের তো নামী-দামী মডেল আর পরিচালকের অভাব আছে তা বিভিন্ন অ্যাওয়ার্ড দেবার অনুষ্ঠানগুলোর আর পুরস্কার ও নমিনেশন পাওয়া মানুষগুলোর জাঁকজমক দেখলে মনে হয় না! তারুপর আবার দেশের চ্যানেলগুলোর মাধ্যমেই ট্যালেন্ট হান্টের বন্যা বইতে শুরু করেছে! তাহলে একটু কষ্ট করে নিজেদের জন্যে নতুন অ্যাড বানাতে কি এতই খরচ পড়বে কোম্পানিগুলোর যে ইন্ডিয়ানটাই জঘন্যতম ডাবিং সহ আমাদেরকে গলধঃকরণ করতে হবে? ক্যাট্রিনার পোশাক কি আমাদের দেশের আপামর নারী পরিধাণ করে মার্কেটে ঘুরে বেড়ান? বড় জানতে ইচ্ছা করে মাঝেমাঝে।
চেকদের কথা জেনে ভালো লাগলো, তাদের মতো চাইনিজরাও একই ভাবে ইংরেজির থোড়াই পরোয়া করে।
তবে জেনে শান্তি পাওয়া যেতে পারে যে, আমরা এখন দুলাভাইকে 'জিজু' ডাকি!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
নতুন মন্তব্য করুন