বুদ্ধিজিগোলো কথাটা ব্যবহার করার সমস্যা হচ্ছে, ট্যাটনারা এসে ত্যানা প্যাঁচাবে। জিগোলো হওয়া কি খারাপ? নিজের শরীরের বিনিময়ে কাউকে যৌন আনন্দ দেয়া কি খারাপ? কিংবা আমি কি জিগোলোদের ডাইনিশিকার করতে চাই? এর আগে একবার কতিপয় আত্মবিস্মৃত ব্যক্তিকে সাহিত্যবেশ্যা বলায় কিছু ট্যাটনা এসে বেশ্যাদের দুঃখে কেঁদে মাটিতে গড়াগড়ি শুরু করেছিলো। হায় হায়, বেশ্যাদের গালি দেয়া হচ্ছে। সমাস বলে যে একটি ব্যাপার রয়েছে, সেই ব্যাপারটি তারা স্বীকার করতে নারাজ। মৃগ আর শাখামৃগ কদাপি এক নয়, যেমন নয় বেশ্যা আর সাহিত্যবেশ্যা, জিগোলো আর বুদ্ধিজিগোলো। বেশ্যা বা জিগোলোদের প্রতি আমার বাড়তি কোনো অনুরাগ বা বিরাগ নেই, যেমন নেই অ্যালুমিনিয়াম কারখানার ঢালাই মিস্ত্রি কিংবা রেস্তোরাঁর বাবুর্চিদের প্রতি। তবে সাহিত্যবেশ্যাদের ভালো পাই না। আরো খারাপ পাই বুদ্ধিজিগোলোদের।
আমি এই পোস্টে কথা বলবো ফারুক ওয়াসিফকে নিয়ে। তিনি বামপন্থী কথাবার্তা লেখেন, কিছুদিন আগ পর্যন্ত আচরণেও বামপন্থী ছিলেন, এখন প্রথম আলোতে বাম-বাম গন্ধঅলা আর্টিকেল অনুবাদ করেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি পাঁচ-ছয়জন সদস্যবিশিষ্ট একটি রাজনৈতিক দলের গোদা ছিলেন, প্রচুর আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন বলে শোনা যায়। পুলিশের মার খেয়েছেন, সেনাবাহিনীর মার খেয়েছেন, মাস্তানদের মার খেয়েছেন, কিন্তু কদাপি আন্দোলন থেকে সরে আসেননি। পুঁজিবাদের মাকে ভালোবেসেবেসে তিনি প্রতিনিয়ত ঝাঁঝরা করে ফেলতেন তখন। তিনি বাংলার একজন ছোটোখাটো চে গুয়েবাড়া। একটা মোটরসাইকেলের অভাবে তিনি সশস্ত্র বিপ্লবের পথে রওনা হতে পারেননি।
সম্প্রতি বাংলার গুয়েবাড়া মশাই সামুব্লগে মেহেরজান চলচ্চিত্রটির জন্যে জান লড়িয়ে দু'খণ্ডের একটি রিভিউ প্রসব করেছেন। তাঁর স্ত্রী, ফারজানা ববি মেহেরজান চলচ্চিত্রটির সাথে জড়িত ছিলেন বলেই ফারুক এই কাজে নামলেন কি না, তা নিশ্চিত করে বলা যায় না, কিন্তু বুদ্ধিজিগোলোবৃত্তির এক অনুপম নিদর্শন তিনি রাখতে পেরেছেন, এ কথা বলতে কুণ্ঠিত হওয়া চলে না। আমাদের মুরুক্ষু ভেবে বিভিন্ন স্বঘোষিত শিক্ষাগুরু গোছের লোকজন প্রচুর কীওয়ার্ডকণ্টকিত লেখা ছাপান পত্রিকায়, বুদ্ধিজিগোলোপনা আমাদের সামনে তাই নতুন কিছু নয়। কিন্তু ঘাগুরাও আশা করবো সাবধান হয়ে যাবেন, দেয়ারস আ নিউ শেরিফ ইন টাউন।
ফারুক ওয়াসিফ লিখেছেন [১],
মেহেরের ভালবাসা কেন বাঙালি মুক্তিযোদ্ধা পাবে না? বাঙালি নারীর ভালবাসা চিরতরে সর্বাবস্থায় বাঙালি পুরুষই পাবে। কড়া জাতীয়তাবাদী পুরুষ ইগো এর ব্যতিক্রমকে অজাচার (ইনসেস্ট) ভাবে।
আমরা লেখার শুরুতেই টের পেয়ে যাই, পাকিস্তানী সেনার প্রতি বাঙালি নারীর যে বগলকল্পিত প্রেম এই চলচ্চিত্রের আপাত উপজীব্য, তার সাথে দ্বিমতের পথটিতে র্যাবের মেটাল ডিটেক্টরের মতো তিনি জাতীয়তাবাদী আর পুরুষ ইগোর আর্চওয়ে বসিয়ে দিয়েছেন। ওপথে গেলেই ট্যাঁ ট্যাঁ করে উঠবে সঙ্কেত, তুমি হালার ভাই কড়া জাতীয়তাবাদী পুরুষ ইগোতে আক্রান্ত। এইজন্য ধর্ষক পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর সদস্যর প্রতি বাঙালি নারীর প্রেমরে তুমি দ্যাখতারো না। বাংলার গুয়েবাড়া বিস্মৃত হয়েছেন, এই প্রেম ধর্ষিতা নারীদের চলচ্চিত্রায়নের নামে এক নির্মম বিদ্রুপ। এই বিদ্রুপের প্রতিবাদের ওপর তিনি চুন দিয়ে লিখতে চাইছেন, "ইগো"। আর কে না জানে, ইগো নিয়ে কথা তুললে লোকে পিছিয়ে যায়? তবে বাংলার গুয়েবাড়াকে আমি জানিয়ে রাখি, আমার ইগোতে আঘাত লেগেছে। কারণ আমার ধর্ষিতা পূর্বনারীরা প্রেম বাঞ্ছা করতে পাকিস্তানীদের কাছে যাননি, পরিকল্পিতভাবে যুদ্ধের কৌশল হিসেবে লক্ষ লক্ষ নারীকে ধর্ষণ আর যৌন অত্যাচার করে গেছে পাকিস্তানীরা। এই গোটা সত্যকে এড়িয়ে, সাত-আট মাসের গর্ভিনী তরুণীদের বাঙ্কার থেকে অর্ধমৃত আর মৃত অবস্থায় উদ্ধারের চিত্রকে পাশ কাটিয়ে, গোলাপি প্রেমের কাহিনী যখন আপনি "বীরাঙ্গনাদের নিয়ে সিনেমা" ট্যাগ মেরে শোনাবেন, আমার অহম আক্রান্ত হয়। বীরাঙ্গনাদের কাঁধে এই অজাচারের অভিযোগ দুইদিনের বৈরাগী ফারুক ওয়াসিফরা যখন চাপিয়ে দিতে আসে, আমি প্রতিবাদ করি।
গুয়েবাড়া মশাই একবার শুরু করলে সহজে থামেন না। তারপর আমরা দেখি,
মেহেরজান ছবি থেকে কী প্রমাণ করার দায়িত্ব আমাদের? যা আমরা আগে থেকেই বিশ্বাস ও বন্দনা করি, এ থেকে তারই নিশ্চয়তা চাইছি কি? মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সব গল্প-কবিতা-চলচ্চিত্র-বর্ণনা-বক্তব্য কি সরকারি লাইন অনুযায়ীই হবে? এ বিষয়ক যাবতীয় ভাবনা-চিন্তা-শিল্পের বাঁধা ছক মজুদ আছে কোথাও? সবার দায়িত্বই হচ্ছে সেই ছককে পাহারা দিয়ে যাওয়া এবং কেবল তারই মনোছবি কপি করে সৃজনশীলতার মেহনত বাঁচানো?
মুক্তিযুদ্ধের পরিকাঠামোকে এবার ফারুক ওয়াসিফ দিলেন "সরকারি লাইন"এর ট্যাগ। পাকিস্তানীরা আমাদের আক্রমণ করেছে, আমাদের হত্যা করেছে, ধর্ষণ করেছে, বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে, টান দিয়ে ছিঁড়ে ফেড়ে ফেলেছে শিশুদের, এসব কি সরকারি বক্তব্য, নাকি একটা জাতির অভিজ্ঞতা? এই সমন্বিত অভিজ্ঞতা থেকে যে চিত্রটি আমরা পাই, সেটিকে দলে-পিষে "মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা" "বীরাঙ্গনাদের সিনেমা" ট্যাগ মেরে প্রচারের অধিকার কি কারো আছে? উত্তর হচ্ছে, অধিকার আছে। এবং দর্শকের অধিকার আছে সেই প্রচারকে প্রতিরোধ করার। যে জাতিব্যাপী অভিজ্ঞতাকে "বাঁধা ছক" বলে আপনি তুচ্ছ করলেন, সেই "ছক" বিকৃত করাকে আমরা অবশ্যই প্রতিরোধ করবো। "সৃজনশীল" হতে গিয়ে একটি জাতির ওপর ঘটে যাওয়া নির্মমতম অবিচারের ইতিহাসের গণেশ উল্টে দেয়া যায় না, তিরিশ মিনিটে দুনিয়া কাঁপানোর চালিয়াতি সব জায়গায় চলে না।
ফারুক বলছেন,
ওদিকে সিনেমা হলে পাবলিক টাকা দিয়ে টিকিট কিনে ছবি দেখে পয়সা উসুল মনে বাড়ি যাচ্ছে, কথা বলছে। ব্লগ-ফেসবুকের নারায়ে তকবির তাদের কাছে পৌছাচ্ছে না। সেটা পৌঁছে দিতেই প্রথম আলো বিজ্ঞাপন দিয়ে বিতর্ক আয়োজন করে তাদেরও টেনে আনছে। একটা কিছু হচ্ছে।
প্রথম আলোতে রুবাইয়াত হোসেনের নামে ছাপা হওয়া লেখাটা কে লিখে দেয়ার খ্যাপটা পেয়েছে, এবার একটু একটু যেন আন্দাজ করা যাচ্ছে। ব্লগ-ফেসবুকে যত প্রতিবাদ, সব এবার "নারায়ে তাকবির" বানিয়ে দিলেন বাংলার গুয়েবাড়া! অথচ ব্লগে তো ফারুক ওয়াসিফ নামটিও অপরিচিত নয়। কয়েক দিন পরপরই তো একটা ছোটোখাটো বিপ্লব করে ফেলেন তিনি ব্লগের পাতায়। আজকে তিউনিসিয়া তো কাল ফিলিস্তিন। আজ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের বিকৃত উপস্থাপন নিয়ে সব প্রতিবাদ তার কাছে "নারায়ে তাকবির" হয়ে গেলো?
গুয়েবাড়া মহাশয়ের কলম চলছেই,
মেহেরজানের মূল ক্রাইসিস
ধর্ষক ও ধর্ষিতা, নিহত ও হত্যাকারী কীভাবে পরস্পরকে ভালবাসতে পারে? প্রথমত, উভয়ের মন থেকে ঘটনাটির স্মৃতি মুছে ফেলে যুদ্ধ ও সংঘাতের বাইরের জমিনে তাদের নিয়ে যেতে পারলে। অর্থাৎ অভিজ্ঞতাটা এবং ইতিহাসটাকে নাই করে দিলে, সেই শূণ্য সময়, সেই ফাঁকা স্পেসে তাদের মিলবার একটা সুযোগ থাকলেও থাকতে পারে। এবং সেই ভালবাসার সাক্ষি হতে হলে দর্শকদেরও সব ভুলে যেতে হয়, চলে যেতে হয় ইতিহাস, ভূমি, মানুষ আর স্মৃতির বাইরের সেই শূণ্যস্থানে।কিন্তু স্মৃতি, যন্ত্রণা, ভয় ও ঘৃণা দ্বারা ভারাক্রান্ত একটি গ্রামে কীভাবে তা সম্ভব? সম্ভব নয় বলেই ভালবাসাটা হয় অপরাধী এবং পাত্রপাত্রীদের হতে হয় অভিযুক্ত। তারা হারিয়ে যায় এবং প্রত্যাখ্যাত হয়। সেই নিষিদ্ধ প্রেম হওয়ার আরেকটি পথ হলো, সময়কে উল্টোদিকে প্রবাহিত করে খোদ নির্যাতনের ঘটনাটিকে অতীতেই রদ করা, ঘটতে না দেওয়া। কিন্তু এ দুটোর কোনোটাই সম্ভব নয়। সম্ভব একমাত্র ভবিষ্যতে, যখন উভয় পক্ষ একটা রিকনসিলিয়েশন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে গিয়ে নতুনভাবে মানবিক বন্ধন নির্মাণ করবে, সৃষ্টি করবে নতুন ইতিহাস এবং নতুন বাস্তবতা।
এইটুকু পড়ে স্তব্ধ হয়ে যাই। চোখে বাজে "রিকনসিলিয়েশন প্রক্রিয়া" কথাটি। যে ধর্ষিতা মাতার ধর্ষণকারীদের বিচার চেয়ে চিৎকার করছি আমরা বছরের পর বছর, তার কানে তার সন্তান ফারুক ওয়াসিফ ফিসফিস করে বলছে, রিকনসিলিয়েশন করে নিন আম্মা। যেই পাঠান কর্পোরাল আপনাকে প্রত্যেক দিন ধর্ষণ করেছে, তার সাথে রিকনসিলিয়েশন করে নতুনভাবে মানবিক বন্ধন নির্মাণ করুন, সৃষ্টি করুন নতুন ইতিহাস, এবং নতুন বাস্তবতা। সেই ধর্ষিতা মাতার আরেক সন্তান হয়ে আমি স্তব্ধ হয়ে দেখি এই দৃশ্য। এ কোন ফারুক ওয়াসিফ? এ কি সেই লোক, যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণশতকী মানিকের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলো? যে লিখেছিলো এই সচলায়তনেই [২],
কিন্তু আমরা নিরুপায়। এমনকি ভয় পাওয়ার সামর্থ্যও যেন লোপ পেয়েছিল। আমাদের ফেরার পথ ছিল না। কেন ছিল না তা দেশবাসী জানে, আজ তা ইতিহাস। আমরা আমাদের কয়েকজন সহপাঠীর ওপর বীভৎস ধর্ষণের বিচারের জন্য মরিয়া হয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বসে ছিলাম; হিংস্র হায়েনার ঘেরাটোপের মধ্যে গায়ে গা লাগিয়ে, মেষশাবকের দলের মতো। তার আগে পেরিয়ে আসতে হয়েছে অনেক কাঁটায় ছাওয়া দীর্ঘ পথ।
এ কি সেই ফারুক ওয়াসিফ? কেন ধর্ষণকারীর বিচার হবে না, শাস্তি হবে না, কেন আমার ধর্ষিতা পূর্বনারীদের রিকনসাইল করতে হবে? পাঞ্জাব থেকে আগত কোনো যুবক তো লিখছে না এ কথা, লিখছে প্রথম আলোর সাংবাদিক ফারুক ওয়াসিফ! বামহুঙ্কারে দশদিক কাঁপিয়ে পদে পদে পুঁজিবাদের জননীর সাথে সঙ্গমরত ফারুক ওয়াসিফ আজ কী পুঁজি করে রিকনসিলিয়েশন কথাটা হাত ফস্কে লিখে ফেললেন? এটি কি কর্মস্থলের দোষ? এই কথাটি কি তিনি আজকাল ঘনঘন শুনতে শুনতে শেষ পর্যন্ত নিজেও লিখে ফেললেন?
তারপর সম্বিত ফিরে পাই। বুঝতে পারি, বড় দৈনিকে কিছু পোষা বামকুত্তা দরকার হয়, যারা সপ্তাহে সপ্তাহে বাম ঘেউ দেবে। বাম-বাম ভাব করা লোকজনকে তাতে করে মাথায় হাত বুলিয়ে সঙ্গে রাখতে সুবিধা। এই বামকুত্তার চাকরির ফাঁকে ফাঁকে খ্যাপ মেরে কিছু ছাগলের ম্যাৎকার দেয়াও ফ্যাশনদুরস্ত জিনিস। ইফ ইউ ক্যান্ট বিট দেম, জয়েন দেম।
রুবাইয়াত হোসেনের প্রতি তাই আহ্বান, রাসূলের উপদেশ স্মরণ করুন। ঘাম শুকিয়ে যাবার আগেই বুদ্ধিজিগোলোবৃত্তির মজুরি পরিশোধ করে দিন বাংলার চে গুয়েবাড়াকে। জাহাঙ্গীরনগরের এই প্রাক্তন বিপ্লবীকে অল্প কিছু দিয়ে বিদায় করে অপমান করবেন না। উনি যেন অন্তত একটা মোটরসাইকেল কিনতে পারেন, তারপর আরিচা রোডে দুয়েক মাইল চালিয়ে এসে রচনা করতে পারেন আরেকটি মোটরসাইকেল ডায়রিজ। নাকের বদলে নরুণ পেয়ে আমরা অভ্যস্ত, বিপ্লব না হলেও বই তো পড়তে পাবো।
ফারুক ওয়াসিফকে বিনীত প্রশ্ন, রেটটা কত? বাঘাদা, হীরা কত নিলে শুনি? কতটুকু নিলে জাহাঙ্গীরনগরে সেই আন্দোলনের বিনিদ্র রাতগুলো ভুলে গিয়ে এরকম একটা লেখা নামানো যায়? কতটুকু নিলে রিকনসাইল করা যায় মানিকের সাথে? ক্যাম্পাসে আপনার বোনের ধর্ষণকারীর সাথে?
১. মেহেরজান: যুদ্ধ ও ভালবাসার মালিকানার মামলা ১
২. আবার ইতিহাস সৃষ্টি করছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় : এই মূহুর্তে
মন্তব্য
'মেহেরজান' নিয়ে ফারুক ওয়াসিফের কাছ থেকে এমন লেখা আসাই স্বাভাবিক। তিনি আরেক শর্মিলা বোস ইয়াসমিন সাইকিয়ার কঠিন ভক্ত। তার লেখা বাংলায় অনুবাদও করেছেন। আমার সাথে এর আগে সাইকিয়া নিয়ে সচলে তর্ক-বিতর্কও হয়েছে-
http://www.sachalayatan.com/faruk_wasif/22979
মুক্তিযুদ্ধ বিক্রি আর বিকৃত করে ছবি বানিয়ে সুকৌশলে যেই ম্যাসেজ ঘরে ঘরে পৌছানোর চেষ্টা করা হচ্ছে তাতে উদবিগ্ন হবার যথেষ্ঠ কারণ রয়েছে। জাতীয়তাবাদ/নারী বৈষম্যমূলক কথা বলে তাকে আড়াল করার চেষ্ঠা করলে স্পষ্টতই লেখকের উদ্দেশ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। ফারুক ওয়াসিফের লেখা ভাল লাগতো তাই আরো আশাহত হলাম।
ওয়াসিফ ভাই, বলেই ফ্যালেন না। আমরা আমরাই তো।
ঐ লেখাটার প্রথম মন্তব্যেই চোখ আটকে গেল,
"কৌশিক বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ প্রশ্নে আম বাঙালির একটা কঠোর সংস্কার আছে, তুমুল কনজার্ভেটিভ একটা অবস্থান। আমিও অনুদার - মুক্তিযুদ্ধ প্রশ্নে উগ্রতাকেই বাই ডিফল্ট অবস্থান মানি।
ফারুক ওয়াসিফ বলেছেন: ঠিকাসে, সেটা দরকার মতো আমিও করি। সতর্ক থাকলেই হলো "
দরকার মতো ??
আগেরটা সরিয়ে দিয়ে হলেও এই লেখাটা প্রথম পাতায় দেয়া দরকার।
গুয়েবাড়ারা শেষ পর্যন্ত গুয়ে বাড়া দেবেই। এটাই চিরন্তন সত্য।
রিকনসিলিয়েশন?!
আহা এইসব লোকের মায়েরা যদি জানতেন তাঁরা ধর্ষিত হলে তাঁদের সন্তানেরা ধর্ষকের সঙ্গে তাঁকে মিটমাট করে নিতে বলবে, তাহলে নিশ্চয়ই তাঁরা আত্মহত্যা করে হলেও এরকম সন্তানের জন্ম থামিয়ে দিতেন! এইসব লোকের মায়েদের জন্য, বোনেদের জন্য আমার করুণা হয়!!!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
মুখ দিয়ে একটা কথাই বেরিয়ে গেলো, "শিট"।
এক বেদে'কে ছোটবেলায় সাপ খেলা দেখানোর সময় বলতে শুনেছিলাম, "এই প্রাণীকে মারবেন না। মারলেও যেখানে সেখানে ফেলে রাখবেন না। কারণ, পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ, পঁচা, অসহ্য দুর্গন্ধ তৈরী হয় সাপের মরা শরীর থেকে।"
কে যেনো বলেছিলেন, বাংলাদেশের বামেরা পঁচে গেছেন। আর আজকে মনে হচ্ছে শৈশবের সেই বেদের কথাকে ভুল প্রমাণ করে বাংলাদেশের পঁচে যাওয়া বামদের মরা শরীর থেকে উৎকট, অসহ্য, বাজে দুর্গন্ধ বেরিয়ে আসছে যা সাপ মরার দুর্গন্ধকেও হারিয়ে দিচ্ছে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হিমু ভাই, "গত আড়াইশ বছরের ইতিহাসের ভুল ও বিকৃতি সংশোধন" এর ব্যাপারটা মিস করসেন। কেউ কি আমারে এট্টু বুঝায়ে কবে এইডার মানে কি?!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
যখন চারিদিকে রব উঠেছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার, ঠিক তখনই এই কথার মধ্যমে উনি আসলে কি ইঙ্গিত করছেন? উনি কি বলতে চাইছেন "আসুন আমরা সব ভুলে রাজাকারদের বুকে জড়িয়ে ধরি, রিকন্সিলিয়েশনের ফাটা পাখা দিয়ে ৭১'এ আমাদের মারা যাওয়া গো*টায় বাতাস করি"। এই লোকের মুখ দিয়ে কোনও এক সময় বিপ্লবের কথা বেরিয়েছে, এই কথা বিশ্বাস করতে পারছি না।
মাহফুজ খান
বামপন্থীদের বিকৃত ও বিক্রীত হতে দেখেন নি, এমন মানুষ কি খুব বেশি আছেন? সব বামপন্থীর ক্ষেত্রে এই কথা প্রযোজ্য তা বলছি না, তবে আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ বলে, তারা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ।
মূল লেখা পড়ে যা বলতে ইচ্ছে করছে, তা লিখলে মডারেশন পার হতে পারবে না। তাই যথাসম্ভব ভদ্র ভাষায় বলি - ফারুক ওয়াক...সিফকে ধিক্কার।
মেহেরজান সিনেমার জন্য কোমরভাঙা কমিউনিস্টের ইন্সপিরেশন রুবাইয়াত কোত্থেকে পেলেন আন্দাজ করতে পারছি।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
জঘন্য রকম বাজে এই লেখাটাকে যথাযথ মনোযোগের সাথে বিচ্ছেদ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ, হিমু ভাই। ফেসবুকে লেখাটার লিংক দেখেছি, পড়েছি। একবার ভেবেছিলাম গিয়ে লিখে আসি "ভাড়ায় খাটা লেখা মনে হচ্ছে", কিন্তু সেটাও রুচিতে কুলালো না। ফারুক ভাইয়ের লেখা আমি মনোযোগ ও মুগ্ধতার সাথেই পড়তাম। আজ যখন দেখলাম ওনার পরাণ শুধু সোমালিয়ার জলদস্যুদের জন্যই কাঁদে, বীরাঙ্গনাদের জন্য না, তখন লেখক নামের বাটপারিত্ব খুব কষ্ট দিলো। মিলাতে কষ্ট হয় যে এই মানুষটাই জাহাঙ্গীরনগরের ধর্ষকদের নিয়ে লিখতেন, সোচ্চার হতেন।
প্রতিটা মানুষেরই একটা বিক্রয়মূল্য থাকে। ফারুক ওয়াসিফ তাঁর বিক্রয়মূল্য প্রদর্শন করলেন এই নির্লজ্জ অ্যাপোলজিস্ট লেখায়।
আফসোস, আমাদের বুদ্ধিবেশ্যাদের মূল্য বড়ই কম।
ফারুক ওয়াসিফের লেখার বঙ্গানুবাদটা ভালো হয়েছে। ফারুক ওয়াসিফের লেখা পড়ে আমি যেটা বুঝতে পেরেছি, উনি সিনেমটা দেখেই রিভিউ লিখেছেন। সম্ভবত এ কারনেই লেখাটি তিনি ব্লগে দিয়েছেন। মুভি না দেখে রিভিউ লিখলে সেটি প্রথম আলোতেই ছাপা হতো, যেরকম আগেও হয়েছে।
-
পাকিস্তানের সঙ্গে প্রেম কোথাও নয়, কখনোই নয়।
স্বপ্নে এবং দুঃস্বপ্নেও নয়, এমনকি স্বপ্নদোষেও নয়।
ফারুক ওয়াসিফের লেখাটা আগে চোখে পড়েনি। স্তব্ধ হয়ে গেলাম। অনেক ধন্যবাদ হিমু।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
শিরোনামটা লা-জওয়াব।
ফারুক ওয়াসিফের কাছ থেকে এই লেখা আশা করিনি।
রিকনসিলিয়েশান! ফাকিং রিটার্ডটা বলে কি!!! ফারুক ওয়াসিফ এর লেখার লগে তেমুন একটা চিনপরিচয় নাই! প্রথমালোতে মাঝে মাঝে নতুন জেনারেশনরে দিকনির্দেশনা দিয়া খুব ভারী ভারী লেখা ল্যাখেন মাঝে মাঝে। যেহেতু আমিও সো কল্ড ডিজুস জেনারেশনের পুলা, তাই ওইসব পড়িটিড়ি না। আর ব্লগে নতুন, আর ব্লগের ইতিহাসটিতিহাস তেমুন জানিনা, আর সত্যি কথা হইলো জানার ইচ্ছা নাই, কিন্তু লিঙ্ক পইড়া বুঝলাম উনি খুব বড় বিপ্লবী আছিলেন। কেডা জানি কবে কইছিলো বিপ্লবীদের বেঁচে থাকতে নাই, নাইলে ওরা প্রতিক্রিয়াশীল হয়া যায়। কথাটা যেই কয়া থাকুক তারে স্যালুট।
আমি যেইরকমই হই, আমার বুদ্ধিশুদ্ধি ঈনটেলেকচিউয়াল লেভেল পড়ালেখা শিক্ষা যেইরকমই হোক, আমি মানুষের বাচ্চা, আমার পক্ষে আমার দাদাচাচাচাচতোভাইদের যারা মাইরা ফালাইছে তাগো লগে রিকনসিলিয়েশন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়া গিয়া নতুনভাবে মানবিক বন্ধন নির্মাণ করা সম্ভব না। মাফ করবেন। আমি কুত্তাবিলাইয়ের বাচ্চা না।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
ডিজুস জেনারেশনের লেখাটা নিয়া সমালোচনা করতে চাইছিলাম। কি ভাইবা করা হয় নাই।
রুবাইয়াতের পাকি ফাক-ফ্যান্টাসি (শব্দটাকে bowdlerize করতে গিয়েই বোধ হয় ফোক-ফ্যান্টাসি বলেছেন রোবায়েত-মাহমুদুজ্জামানেরা) 'মেহেরজান' ছবিটাকে কেন্দ্র করে একে একে সব পাকিচোদের চেহারাই বেরিয়ে পড়ছে।
তবে যা বুঝতে পারছি, যুদ্ধাপরাধীদের ক্রয়ক্ষমতা অনেক বেশি। রুবাইয়াতের শয্যায় দু'একটা পাকিফাকার পাঠিয়ে যেমন তাকে দিয়ে মতলবী গবেষণা প্রকাশ বা চলচ্চিত্র তৈরি করানো যাচ্ছে, তেমনই কথিত বাম তথা বাংলার গোয়ায়বাড়া ফারুক ওয়াসিফদের দিয়েও তাদের পক্ষে অদূর ভবিষ্যতে 'রিকনসিলিয়েশন প্রক্রিয়া'র প্রস্তাব প্রসব করানো সম্ভব হচ্ছে। এসব পাকিচোদের সংখ্যা যে খুব একটা বাড়ছে, তা হয়ত নয়, তবে রাজাকারদের গারদে ঢোকানোর পর এদের অনেকের মুখোশই খসে পড়তে শুরু করেছে। আমাদের জন্য সেটাও কম প্রাপ্তি নয়। বাঙালি ছুপা রুস্তম পাকিচোদদের চেহারা নতুন করে চিনতে পারছে। ফারুক ওয়াসিফরা চালিয়ে যান হে, সরষের তেলের বোতল নিয়ে লুঙ্গি তুলে বসে থাকুন, ভাগ্য ভাল থাকলে একদিন নিশ্চয়ই কোনও এক পাকিসোনা পেয়ে যাবেন।
নিতান্তই গেরস্ত মানুষ, চারপাশে কেবল
শস্যের ঘ্রাণ পাই।
বুনোহাঁস লিখেছেন-
হুম। অন্তত একটা কিছু যা হোক ঠাহর করা গেল হয়তো।
তবে যাই বলুন না কেন, পরিচালকের খুঁত ধরলে আমি তা মানতে পারছি না দুঃখিত।
দেখুন না গোটা শীতকালটা কেমন ভাল রিপ্রেজেন্ট করেছে, কথাবার্তা পর্যন্ত কুয়াশায় মুড়ে দিয়েছে!
না ভাই, আপনারা বড় বেশি প্রতিক্রিয়াশীল।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
লেখাটা পড়ে স্তব্ধ!
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা।
----------------------------------------------------------------------------
এ ধরনের বামদের আমি মিল্লাতবাম বলি।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
"মিল্লাতবাম"
(কপিরাইট: আলমগীর ভাই)
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
ফারুক ওয়াসিফ বলেছেন
WTF
গান্ধি এবং মুজিব তৈরী করা এতই সস্তা....!!
বাংলার গুয়েবাড়াকে উপযুক্ত হাদিয়া দিলে উনি সালমার চরিত্রেও ঝাঁসির রাণী লক্ষ্মীবাঈ আর মেরি উলস্টোনক্র্যাফটের আইডিয়ার নির্যাস খুঁজে পাবেন, ওয়াসিম খানের চরিত্রে পাবেন আলেকজাণ্ডার দ্য গ্রেট আর মঙ্গল পাণ্ডের আইডিয়ার নির্যাস, মেহেরজানের মধ্যে পাবেন ওয়ান্ডারল্যান্ডের অ্যালিস আর অ্যান ফ্রাঙ্কের আইডিয়ার নির্যাস। দেবে আর নেবে, মিলাবে মিলিবে।
ফারুক ওয়াসিফের পল্টিবাজির ঘটনা অবশ্য এই প্রথম না। সচলায়তনের ব্যানের পিছনে কে ছিলো, কেনো ছিলো সেটা জানা সত্ত্বেও সামহোয়্যারইন ব্লগে গিয়ে ঠোঁট ফুলিয়ে নানা নিন্দা মন্দ করেছেন সচলায়তনের নামে।
মাঝে মাঝে এখানে ওখানে লেখা দেখি বাম বাম গন্ধওয়ালা 'কেমন কেমন জানি' ধরণের লেখা। ভুঁরু কুঁচকে ভাবি লেঞ্জা কি দেখা যায়? ভাবি হয়ত আমারই বোঝার ভুল হবে।
কিন্তু ফারুক ওয়াসিফ এইবার নিজেকে প্রমান করে দিলেন:
ধিক আপনাকে ফারুক। ধিক।
মিথ্যা বলবো না, সচলায়তনের অনেক পুরোনো কিছু লেখা পড়তে গিয়ে এই লোকের কিছু লেখা ভাল লেগেছিল। ...চেহারা বদলায়?! নাকি চেহারা একই থাকে, শুধু মুখোশটা খুলে পড়ে?! ... তবে কাজের কথা হলো...এইসব কলাম লেখকেরা, 'বুদ্ধিজীবী'রা এইসব লেখা টেখা লিখে আমার/আমাদের মতো বোকাসোকা আমজনতার অন্তত একটা উপকার করে...কোনোরকম বাড়তি কথা বা সন্দেহের অবকাশ না রেখে পরিষ্কারভাবে নিজেদের চিনিয়ে দেয়, চিহ্নিত করে দেয়...
উনি বুঝেছেন যে বিপ্লবকে দীর্ঘজীবি করতেও পুঁজির দরকার
ফেসবুকে দেখলাম পরিবেশকরা নাকি এই ছবি নামিয়ে নিবেন, এই বিষয়ে কোনো খবর দেখলাম না। কেউ বিস্তারিত জানেন কী?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
খবরটা এখানে
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
রিকন্সিলিয়েশন?
বাহ্ ফারুক ওয়াসিফ সাহেব এসব লিখছেন আজকাল?
মেরুদিন্ডহীন, নপুংশকটা নিজেই তো নিজের তথাকথিত 'বাম বিপ্লব'-এর সাথে রিকন্সিলিয়েশন করে আজ এই প্রতিক্রিয়াশীল অবস্থানে এসেছে। কিন্তু সবাইকে কেনো এই অবস্থানে সে ডাকছে? যেখানে মূল বিষয়বস্তু হলো আমাদের মুক্তিযুদ্ধ!
আমার বাবা-ভাইয়ের রক্ত, আমার মা-বোনের সম্ভ্রম নিয়ে কোনরকম 'রিকন্সিলিয়েশন' করতে আমি পারবো না। ফারুক ওয়াসিফ, তোর মা-বোনের সম্ভ্রম নিয়ে তুই বানিজ্য কর, আমি, আমরা তোর মতো ইতর না।
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
সবাইকেই দেখি কেনা যায়
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
মানতে পারলাম না ফারুক ওয়াসিফ। একেবারেই না।
না আপনার লেখা, না এই লেখার লেখক হিসেবে আপনাকে।
প্রকৃতপক্ষেই আহত বোধ করছি।
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
খুবই আহত হলাম । একাত্তরে যাঁরা আপনজন হারিয়েছেন, তাঁরা কেউ কি "রিকনসিলিয়েশনের" জন্য তৈরী হয়েছে? আমরা কেউ কি তৈরী হয়েছি?
"যুদ্ধ ও ভালবাসার" নাম করে পুরো জাতিকে অবমাননা করার অধিকার রুবাইয়াতকে কে দিল?
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
ফারুক ওয়াসিফরে চিনছিলাম জাহাঙ্গীরনগরে...আন্দোলনে....বাম করুক আর যাই করুক...ধর্ষকদের বিরুদ্ধে যেই কণ্ঠ আর আন্দোলনের প্রাবল্য ছিল তার দেখি বাটির দুধ খাওয়া পোষা বিড়ালের ডাক হয়ে গেছে!!! হায় হায়!!! কষ্ট পাইলাম...ফারুক ওয়াসিফের অধঃপতন হৈছিল জানতাম...এতোটা ভাবি নাই...
এহন তো শরম লাগতাছে...এর লগে আন্দোলন করছিলাম!!! বউয়ের কথা আর টেকার কাছে মানুষ এমন হৈয়া যায়??!! মানিক বিরোধী ফারুক এ না...ইম্পসিবল...সেই লোক মইরা গেছে বহুত দিন আগেই..!!!
আশীর্বাদ চলচ্চিত্র ছবি নামিয়ে ফেলেছে।
তবে আর নিয়ে কাজ নাই
এবারে চলো পালাই...
সতর্ক থাকুন
...........................
Every Picture Tells a Story
ফারুক গুয়েবাড়া যে কোনো সার্কাসশিল্পীকে কাবু করার মতো দক্ষ ডিগবাজ। রাস্তায় ডুগডুগিকুশল বানরও এমন পল্টি দিতে পারে না।
নিজের স্ত্রীর মালকিনের পরিচালিত বিশ্বের উদ্ভটতম সিনেমা মেহেরজানের জন্যে ব্যাপক কালিস্খলনের বছর দেড়েক পর গুয়েবাড়াদা লিখেছেন,
[সূত্র]
গুয়েবাড়াদা বছর বছর এইভাবে লব্জ পাল্টে কাভি ধর্ম কাভি জিরাফ করে বেড়ালে তো মুশকিল। কখনো তিনি বিস্মৃতিকে অবিচার বানিয়ে দেবেন, আবার কখনও উদ্ভট হোগাকল্পিত ভালোবাসার সাক্ষী হওয়ার জন্যে বিস্মৃতির ময়দানে বাদামবুট খেতে চলে যাবেন ... এ তো বড় মুশকিল দেখছি।
গুয়েবাড়াদা একটা মোটরসাইকেলের অভাবে যেমন বিপ্লব করতে পারছেন না, তেমনি পারছেন না একটা ডুগডুগির অভাবে প্রচুর বানরকে বেকারত্বে ঠেলে দিতে। আমরা গুয়েবাড়াদাকে একটা ডুগডুগি চান্দা তুলে বা গ্রামীণ ব্যাঙ্ক থেকে ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে কিনে দিতে পারি কি? বানর রিহ্যাবিলিটেশনের জন্য কোনো এনজিও কাজ করে থাকলে তারা গুয়েবাড়াদার সাথে যোগাযোগ করুন।
এর ঢোলের পিঠ কয়টা...??? যাই হোক নিজের মুখোশ নিজেই খুললে মানুষের কষ্ট কম হয়...
এতদিন পরে লেখাটি পড়লাম কিন্তু মুখে থুথু জমে যাচ্ছে যে !
ফারুক ওয়াসিফ কে ধিক্কার।
নতুন মন্তব্য করুন