উৎপল শুভ্র, অ্যালা এট্টু থামেন

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: মঙ্গল, ২২/০২/২০১১ - ৭:৩৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এই লেখার শুরুতে যেটা পরিষ্কার করা প্রয়োজন, আমিও উৎপল শুভ্রের মতোই ক্রিকেটমূর্খ। খেলাটা দেখি, উপভোগ করি, কিন্তু একটা ক্রিকেট টিমের ক্যাপ্টেনসি করার যোগ্যতা আমার নাই।

তবে লিডারশিপ আর মিডিয়া প্রেশার নিয়ে আমার ধারণাটা ক্রিকেটজ্ঞানের চেয়ে স্বচ্ছ। উৎপল শুভ্রের মতোই।

উৎপল শুভ্রের লেখা আমার ভালো লাগে না। ক্রীড়া সাংবাদিক যখন ক্রীড়া মাতবর হয়ে ওঠার চেষ্টা করে, লেখায় রিপোর্টিঙের চেয়ে যখন সালিশির সুর বেশি স্পষ্ট হয়ে ওঠে, আগামাথা না বুঝে লাইনের পর লাইন হাবিজাবি যখন লিখে যায় কেউ, তখন পাঠক হিসেবে বিরক্তি লাগে। আমার পাঠক জীবনের বয়স আড়াই দশকেরও বেশি, উৎপল শুভ্রের লেখক জীবনের চেয়ে সেটি অনেক বড়, বিস্তৃত ও বৈচিত্র্যময়। কাজেই পাঠক হিসেবে আমি কিছু কথা বলতেই পারি।

এ যাবত উৎপল শুভ্র তার লেখায় যত ক্রিকেটমূর্খতার পরিচয় দিয়েছে, তার প্রস্থচ্ছেদ নিয়ে আমি বসতে চাই না। আমি ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১১ তারিখে প্রথম আলোতে প্রকাশিত তার একটি সাক্ষাৎকার দিয়ে শুরু করতে চাই। সেখানে সাকিবকে করা শুভ্রের প্রশ্নগুলো পর পর সাজাচ্ছি পাঠকের সুবিধার জন্যে।

  • টসে হেরে ফিল্ডিং নেওয়ার পর প্রতিপক্ষ ৩৭০ রান করে ফেললে কথা তো হবেই। আপনার জবাবটা কী হবে?
  • পরে বোলিং করায় সমস্যা বলছেন, আগে বোলিং করেও তো ভালো কিছু হলো না। কোথায় এলোমেলো হয়ে গেল সব?
  • আমজনতার মুখে মুখে একটা কথা ফিরছে, বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাটিং করলে ভারত চাপে পড়ে যেত। আপনি একমত?
  • ঠিক আছে, আপনি ক্রিকেটীয় যুক্তিবুদ্ধি দিয়েই সিদ্ধান্তটা নিয়েছেন। কিন্তু ভারতীয় ব্যাটিং-তাণ্ডবের সময় কখনো ‘ভুলই করলাম কি না’ মনে হয়নি?
  • আলোচনাটা কি টিম মিটিংয়ে হয়েছে, নাকি টিম ম্যানেজমেন্টের মধ্যে?
  • প্রশ্নটা আবার করছি, ভারত ৩০ ওভারেই ২ উইকেটে ১৬৯ করে ফেলার পর সিদ্ধান্তটা ঠিক হয়েছে কি না, এ নিয়ে নিজের মধ্যে একটুও দ্বিধাদ্বন্দ্ব দেখা দেয়নি?
  • সিদ্ধান্তটা বুমেরাং হয়ে যাওয়ার মূল কারণ কী?
  • ৩৭০ হয়ে যাওয়ার প্রত্যক্ষ কারণ তো বীরেন্দর শেবাগ। ও যখন ওভাবে মারছিল, অসহায় লাগছিল না?
  • শেবাগ যেদিন খেলে, সেদিন তো ফিল্ডিং সাজানোই কঠিন...
  • শেবাগীয় তাণ্ডবের সময় নিজেকে উদ্দীপ্ত রেখেছেন কীভাবে?
  • এই ম্যাচ নিয়ে এমন হাইপ, মাঠভর্তি দর্শক—টস করতে নামার সময় কি একটু নার্ভাস লাগছিল?
  • ৩৭১ টার্গেট হয়ে গেলে অধিনায়কের কী-ই বা বলার থাকে! তার পরও জিজ্ঞেস করি, ব্যাটসম্যানদের আপনি কী বলেছিলেন?
  • কিন্তু শেষটা কি ভালো হলো? শেষ ৫ ওভারে মাত্র ১৯ রান, তিন শ হলে মানসিকভাবে আরেকটু চাঙা থাকতেন না?
  • এই ম্যাচের পর দলের অবস্থা কী?

[সূত্র]

এই সাক্ষাৎকারের পদে পদে সাকিবের মুখ থেকে বের করার চেষ্টা করা হয়েছে যে টসে জিতে ফিল্ড করার সিদ্ধান্তটা ভুল ছিলো। এইখানে আমার একটা প্রশ্ন, আমরা কি সাকিব আল হাসানকে বিনা যোগ্যতায়, বিনা প্রশিক্ষণে, বিনা বিশ্লেষণে বাংলাদেশ দলের ক্যাপ্টেন হিসেবে মাঠে পাঠিয়েছি? টসে জিতে কী করতে হতো, সেটা কি সাকিব বাংলাদেশের কোনো আবুল-কুদ্দুস-সোলায়মান বা উৎপল শুভ্রের চেয়ে কম বোঝে? খেলাটা তো সে তার দল নিয়ে খেলতে নেমেছে, এবং এই ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের পর আরো পাঁচটা ম্যাচ এই রাউন্ডে সাকিবের নেতৃত্বে খেলা হবে, সেগুলোতে ইতিবাচক ফল হলে সামনে আরো। দেশের মাটিতে চলমান একটা বিশ্বকাপে জাতীয় দলের ক্যাপ্টেনের মুখ থেকে নিজের পছন্দসই কথা বের করার চেষ্টার নাম ক্রীড়া সাংবাদিকতা?

আমরা কি কেউ বুঝতে পারছি, সাকিব নামের এই ২৩ বছরের পোলাটার কান্ধে কী পরিমাণ প্রেশার আমরা দিয়ে রেখেছি? পাঠক, নিজের ২৩ বছরের কথা চিন্তা করুন। কোথায় কীসে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, দিচ্ছেন, দেবেন? কী আকারের জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করছিলেন? এই যুবকের হাতে আমরা ষোলো কোটি মানুষের পতাকা তুলে তাকে খেলতে নামিয়েছি, খেলার পরপরই উৎপল শুভ্র গোছের ক্রিকেটমূর্খদের ঘ্যানঘ্যান প্যানপ্যানের মুখে বিব্রত হবার জন্য?

কেউ যদি মনে করেন, সাকিবের চেয়ে ক্রিকেট বেশি বোঝেন, ঘরে বসে হাউকাউ না করে মাঠে গিয়ে করে দেখান। বিশ্বকাপ ক্রিকেটে যারা দর্শকের সারিতে বসে, তাদের মধ্যে একজনও সাকিবের চেয়ে কোনো অংশে বেশি যোগ্য নয়। যোগ্য হলে সে দর্শকের সারিতে বসে থাকতো না। তবে যে কেউ ক্রীড়া সাংবাদিক হতে পারে, এটা উৎপল শুভ্রকে দেখে বোঝা যায়।

একটা চলমান টুর্নামেন্টে জাতীয় দলের ক্যাপ্টেনকে এইভাবে মিডিয়া লিঞ্চিঙের চেষ্টার তীব্র নিন্দা জানাই। সাকিব টসে জিতে ব্যাটিং করুক আর ফিল্ডিং করুক, কাজটা তাকেই করতে হয়, এবং বিপুল বিশাল চাপ কাঁধে নিয়েই করতে হয়। ২৩ বছর বয়সে উৎপল শুভ্রের একটা কুতকুত টিমের নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতাও ছিলো না, আর সে নেমে গেছে বাংলাদেশের জাতীয় দলের ক্যাপ্টেনের টসে জিতে নেয়া সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিলো, সেটা তারই মুখ থেকে চাপ দিয়ে বের করার কাজে।

বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে শহর থেকে ফকির খেদানো হয়েছে শুনলাম। এখন আমি দাবী জানাচ্ছি, উৎপল শুভ্র এবং উৎপল শুভ্রজাতীয় অকালকুষ্মাণ্ড, যারা ক্রীড়া সাংবাদিকতায় এসে সিনে সাংবাদিকদের মতো গুটিবাজি আর গুড় লাগানো ছাড়া গত ষোলো বছরে আর কিছু করতে পারেনি, তাদের শহর থেকে দূরে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন অবস্থায় বাকিটা সময় ডিটেনশনে রাখার, অথবা রাষ্ট্রীয় মিশনে লিবিয়ায় পাঠিয়ে দেয়ার (শুনেছি ওখানে নেট ফোন সব বন্ধ)। খেলোয়াড়দের বিনা চাপে খেলতে দিন, তাদের সেরা খেলাটা আমাদের উপভোগ করতে দিন। জাতীয় দলের ক্যাপ্টেনকে যদি উঠতে বসতে এইসব উৎপাতের মুখোমুখি হতে হয়, তাহলে তার কাছ থেকে আমরা সেরা খেলা আশা করবো কীভাবে?

উৎপল শুভ্ররা, অ্যালা থামেন। কলমের মুখ খাপে ঢুকিয়ে চুপচাপ বিশ্বকাপ দেখেন। আমরা টাইগারদের সাথে আছি, রামছাগলদের সাথে না। ম্যাৎকার আর লাদিবর্ষণ থামান, আমাদের ক্যাপ্টেনকে বিরক্ত করবেন না।


মন্তব্য

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

দিব্যেন্দু দাস,
অনুপম ত্রিবেদি আপনার মন্তব্যের জবাবে তাঁর মন্তব্য দেননি। তিনি মন্তব্য করেছেন উৎপল শুভ্রের উদ্দেশ্যে। সচলের মন্তব্যের ধারা লক্ষ্য করুন কোন মন্তব্যের জবাব কোনটা বুঝতে পারবেন। আচমকা একটা মন্তব্য নিজের ঘাড়ে টেনে নিয়ে জ্বলে ওঠার কোনো কারণ নেই! নিজের ভুল বুঝতে পারবেন সেই আশা রেখে গেলাম। (আপনার নামের বানান ভুল হয়ে থাকলে দুঃখিত। ইংরেজি দেখে সঠিকটা জানার উপায় ছিলনা।)

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সাইদ এর ছবি

জটিল লিখছেন ভাই।

আমরা টাইগারদের সাথে আছি, রামছাগলদের সাথে না। ম্যাৎকার আর লাদিবর্ষণ থামান, আমাদের ক্যাপ্টেনকে বিরক্ত করবেন না

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

শুভ্র সাহেবের বিখ্যাত হতে ইচ্ছে করে। সেই যোগ্যতা ওনার নাই। তাই উনি আমাদের ক্যাপ্টেনকে হেনস্থা করার চেষ্টা করে প্রমান করতে চান যে উনিও সাকিব আল হাসানের মতো বড় মাপের কেউ, যে তাকে যা ইচ্ছা বলতে পারে!!!

শুভ্র সাহেব, থামেন! আপনি না থাকলে এই দেশের কিচ্ছু যায় আসে না (বরং অনেকের ধারণা উপকার হয়!)। কিন্তু সাকিব আল হাসানের একটা নখের ক্ষতি হলেও আমাদের অনেক যায় আসে!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অতিথি লেখক এর ছবি

শুভ্র সাহেব, থামেন! আপনি না থাকলে এই দেশের কিচ্ছু যায় আসে না (বরং অনেকের ধারণা উপকার হয়!)। কিন্তু সাকিব আল হাসানের একটা নখের ক্ষতি হলেও আমাদের অনেক যায় আসে!

একমত।

--- নুশান

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

পয়লা লাইন পড়ে হাসতে হাসতে শেষ...
একজন সাংবাদিককে অবশ্যই কাজটা করে দেখাতে হবে না। কিন্তু সাংবাদিকতার নামে পুলিশী জেরা করতে পারে না। আর সাকিব একা না, টিম মিটিংয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হইছিলো।
আর এখন আমি মনে করি এই পোলাপানগুলার পাশে থাকা উচিত... ভুল করলেও তাদেরকে মানসিক সাপোর্টটা জারি রাখতে হবে।

এই সাক্ষাতকারের পরে সাকিব তো চাইবো সারাজীবন টস হারতে... অথবা জিতলে কী সিদ্ধান্ত নিতে হবে তাই নিয়া টেনশনে পড়বো। যতোটা না খেলায় জেতার জন্য, তারচেয়ে বেশি সাংবাদিক মোকাবেলার ডরে

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

হিমু এর ছবি

ক্রিকেটাররা যেহেতু জনগণের করের টাকায় পরিচালিত বিসিবির আন্ডারে খেলে, তারা মানুষের বিভিন্ন জিজ্ঞাসার উত্তর দিতে বাধ্য। কিন্তু একটা সময় তো আছে? টুর্নামেন্ট শেষ হোক, এরপর পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ হবে। তখন প্রশ্নের তোড়ে সাকিবকে উল্টিয়ে ফেলে দিক পারলে। টুর্নামেন্ট চলাকালীন এই মাতবরির কোনো ইতিবাচক ফল থাকতে পারে না। সাকিব সাক্ষাৎকারেই জানিয়েছে যে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হবার একটা চিন্তা খেলার মাঠে তাদের মধ্যে কাজ করে। এটা কেন হবে? আমরা খেলোয়াড়দের শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্যে ফিজিওথেরাপিস্ট রেখেছি, কিন্তু তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকটাও তো দেখতে হবে। ম্যালেরিয়াবাহক মশা, ফাইলেরিয়াবাহক মাছি, নিপাহবাহক বাদুড় ও টেনশনবাহক উৎপল শুভ্রের হাত থেকে খেলোয়াড়দের রক্ষার দায়িত্ব বিসিবির নেয়া উচিত।

অতিথি লেখক এর ছবি

ম্যালেরিয়াবাহক মশা, ফাইলেরিয়াবাহক মাছি, নিপাহবাহক বাদুড় ও টেনশনবাহক উৎপল শুভ্রের হাত থেকে খেলোয়াড়দের রক্ষার দায়িত্ব বিসিবির নেয়া উচিত
গড়াগড়ি দিয়া হাসি

--- নুশান

অতিথি লেখক এর ছবি

"টেনশনবাহক উৎপল শুভ্রের"

চমৎকার বলেছেন।হা হা হা

----সৌম্য

সুবোধ অবোধ এর ছবি

ম্যালেরিয়াবাহক মশা, ফাইলেরিয়াবাহক মাছি, নিপাহবাহক বাদুড় ও টেনশনবাহক উৎপল শুভ্রের হাত থেকে খেলোয়াড়দের রক্ষার দায়িত্ব বিসিবির নেয়া উচিত।

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

সিডন্স যেমন বলেছে, "টসে জিতে ব্যাটিং নিলেও সমালোচনা করেন, ফিল্ডিং নিলেও। আমরা তাহলে কী করবো?"
আগেরবার এই উটপোঁদ শুভ্রই বিশাল এক রিপোর্ট লিখে ফেলেছিলো টসে জিতে ব্যাটিং নেয়ার জন্য (একই কন্ডিশনে)। সেখানে সে সাকিবের ব্যাটিং এবং বোলিং ব্যর্থতার খুব বাজেভাবে, নোংরাভাবে সমালোচনা করেছিলো। অথচ তার পেয়ারের আশরাফুল যখন পাকিস্তানের বিপক্ষে চার মেরেই আউট হয়ে গেলো, উটপোঁদ লিখলো, "আশরাফুল আউট হলো একটা 'ভালো' বলে"। আরে রামছাগল, আশরাফুলের সাথে খেলতে নেমে কি প্রতিপক্ষের বোলার'রা খালি ভালো বলই করে? আর বাকিদের বেলায় রসগোল্লা দেয়?

উটপোঁদের পোঁদে মনেহয় আলু পেপারে বালছাল রিপোর্ট লিখে নিজেকে বিশাল বড় কিছু ভেবে বসার ভূত সওয়ার হয়েছে। সে চাইছে দলের নানা ডিসিশনে যেনো তাকে রাখা হয়। তাকে জিজ্ঞেস করে যেনো সাকিব-সিডন্স-তামিম'রা মাঠের ডিসিশন নেয়। শালা বলদ কোথাকার!

বিসিবি'র কাছে আবেদন জানাবো, তারা যেনো এই টুর্নামেন্ট চলাকালীন কঠোর হয়। অন্তত সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে। সাংবাদিকরা কোনো খেলোয়াড়কে প্রশ্ন করতে চাইলে সেই প্রশ্ন বিসিবি হয়ে আসতে হবে। এইটুকু সাবধানতার দরকার আছে, বাংলাদেশের ক্রিকেটকে বাঁচাতে চাইলে।

এইসব ক্রিকেটমূর্খ ক্রীড়া সাংবাদিকেরা বাংলাদেশ দলের সম্ভাবনা নষ্ট করতে বদ্ধ পরিকর। এদের হাত থেকে যেনো বাংলাদেশ দলকে বাঁচানোর উদ্যোগটা গ্রহণ করে বিসিবি।

অতিথি লেখক এর ছবি

অসধারন হয়েছে। লাইক কইরেছি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গুরু গুরু হাততালি

-------সৌম্য

guest writer rajkonya এর ছবি

হিমু ভাই, আপনার লেখা খুব বেশি পড়িনি। তবে দুয়েকটা যা পড়েছি, খুব ভাল লেগেছে। আপনার মন্তব্যগুলোর তো আমি রীতিমত ভক্ত!

আমার খেলাধুলা একদম ভাল লাগে না। খুব যে বুঝি তাও না। এই নিয়ে লেখাও খুব বেশি পড়া হয়ে উঠে না। তারপরেও উৎপল শুভ্রের লেখা আমার ভাল লাগে। খুব বেশি পড়ি নি। আর সেদিনের খেলার পরে আমার মনের প্রশ্নগুলাই তো তিনি করলেন সাকিবকে!

হিমু এর ছবি

উইথ অল ডিউ রেসপেক্ট, আমাদের মনের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে বেড়ানো টুর্নামেন্টের মাঝখানে জাতীয় দলের ক্যাপ্টেনের কাজ না। ঐ কাজের জন্য টুর্নামেন্টের পরে বহু সময় পড়ে আছে। আমরা তাকে এখন প্রশ্নে প্রশ্নে জর্জরিত না করে আসল কাজে মনোনিবেশ করার ব্যাপারে সহযোগিতা করলে তিনি সেটা ভালোভাবে করতে পারেন।

guest writer rajkonya এর ছবি

সাকিব কেন আগে ফিল্ডিং নিল?

আমার মত মাথামোটাকে এটা আপনি কীভাবে বুঝাবেন?

আপনার লেখার উদ্দেশ্যটি বুঝতে আমার অসুবিধা হয় নি। আচ্ছা না হয়, খেলার শেষেই আমরা সাকিবকে আচ্ছামত ধোলাই দেব। কিন্তু, ধোলাই দেবার মত কোন অঘটন ঘটিয়ে সাকিবের দল যেন আমাদের নিরাশ না করে! ইয়ে, মানে...

হিমু এর ছবি

কারণ সে তার কাজটা আপনার আমার চেয়ে ভালো বোঝে। আগে ব্যাটিং নিয়ে হারলে এই উৎপল শুভ্র আর আপনি বলতেন, এই গ্রাউণ্ডে আগে বাংলাদেশ একই কণ্ডিশনে আগে ব্যাটিং নিয়ে এতবার হেরেছে, এই হয়েছে সেই হয়েছে, কেন সাকিব আগে ব্যাটিং নিলো, ধোনি তো বলসিলো সে আগে ফিল্ডিং নিবে ... ইত্যাদি।

guest writer rajkonya এর ছবি

এইসব আমি বলতাম নারে ভাই। ক্রিকেট বিষয়ক উপাত্ত আমি বুঝিও না, পড়িও না। এগুলো নিয়ে চুল চেরা বিশ্লেষণ তো দূরের কথা!

এ কাজটা আপনার আর উৎপল শুভ্রের উপরেই ছেড়ে দিলাম।

তবে আগে ব্যাটিং নিয়ে হারলে মনের ভেত্বে।এত খচ খচ করত না। এটা হল আমার মত মাথামোটা মানুষের মনের কথা। এটাকে এত গুরুত্ব না দিলেও চলবে।

Pial এর ছবি

একদম িঠক কথা ।

guest writer rajkonya এর ছবি

হয়ত আমার কথা কারো ভাল নাও লাগতে পারে। তবুও বলছি,

আমাদের দলের ক্যাপ্টেন কোন যা তা ক্যাপ্টেন না, যে তাকে সামান্য কটা প্রশ্ন করলেই মানসিক চাপের মধ্যে পড়ে যাবে। সাক্ষাৎকারটা আমি পড়েছি। সাকিবও একদম যথার্থ উত্তর দিয়েছে। আমরা একজন যোগ্য ক্যাপ্টেন পেয়েছি, সেই সাথে সাক্ষাৎকারটাও ছিল উপভোগ্য।

হিমু এর ছবি

এটা হচ্ছে ঈভ টিজারদের অজুহাত। "সামান্য কয়টা শিস দিলেই একটা মেয়ে বিরক্ত হবে কেন?" সাকিবকে "সামান্য" কয়েকটা প্রশ্ন করে কাবু করা যাবে না অতএব তারে পদে পদে এইসব ফালতু প্রশ্ন করে বিরক্ত করা জায়েজ, এটাই বলতে চাইছেন?

guest writer rajkonya এর ছবি

আচ্ছা, আচ্ছা, আচ্ছা, ভাই হিমু,আমারই ভুল হয়েছে। সেজন্য আমি দুঃখিত। এবার আমি ঠিক করে বলছি।

এই সাক্ষাৎকারের ফলে আমাদের ক্যাপ্টেনের মানসিক অবস্থা অত্যন্ত দূর্বল হয়ে গিয়েছে। এর প্রভাব পরবর্তী খেলাতেও আমরা দেখতে পাবো। দলের বাজে পারদফর্মেন্সের জন্য দায়ী হল, কোথাকার কোন উৎপল শুভ্র!

এবার খুশি?

হিমু এর ছবি

আপনি ঠিক কী বিষয়ে লেখাপড়া করেছেন, একটু জানাবেন কি? মানে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা কতদূর?

guest writer rajkonya এর ছবি

আমি কোন বিষয়ে পড়ালেখা করেছি? অবশ্যই খেলাধুলা নিয়ে না, :-/

আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা? আপনার চেয়ে অনেএএএক কম।

হিমু এর ছবি

আপনি এই কম শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে যে বাচ্চাদের স্কুলে পড়াতে থাকেন, এটা নিয়ে কি ক্লাস নেয়ার সময় বিব্রত থাকেন? বাচ্চাদের ঠিকমতো পড়াতে পারেন তো?

guest writer rajkonya এর ছবি

বাচ্চারা তো আর জানে না যে, আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা এত কম! তাই বাঁচোয়া। খাইছে
---------------------------------------------------------------------
উৎপল শুভ্র এই ধাঁচের প্রশ্ন করেছে বলে তো আমার মনে হয় নি। কি জানি, আমি তো আবার আপনাদের মত এত শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন নই। তাই হয়ত বুঝতে পারছি না।

হিমু এর ছবি

কিন্তু বাচ্চাদের পড়াতে গিয়ে আপনার নিজের মধ্যে কি দ্বিধাদ্বন্দ্ব দেখা দেয় না?

guest writer rajkonya এর ছবি

দ্বিধাদ্বন্দ্ব

বলতে আপনি কী বুঝাচ্ছেন?

যদি সত্যিই আপনি এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়ে থাকেন, তবে বলছি। আমি খুব অল্পদিন হল শিক্ষকতায় পেশায় এসেছি। এখনো শিক্ষক হয়ে উঠিনি পুরোপুরি। তারপরেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অনেক ভালবাসা, শ্রদ্ধা আর সম্মান পেয়েছি। মাঝে মাঝে মনে হয় আমি কি সত্যিই এসবের যোগ্য?

এত আমার প্রাপ্য ছিল নাতো!

____________________________________
আচ্ছা, উৎপল শুভ্রর জায়গায় আপনি থাকলে সাকিবকে কী ধরনের প্রশ্ন করতেন? খুব জানতে ইচ্ছে করছে।

হিমু এর ছবি

শিক্ষকতার মতো কঠিন পেশায় না গিয়ে নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী কোনো কাজে গেলে মানসিকভাবে চাঙা থাকতেন না?

guest writer rajkonya এর ছবি

আমি আমার প্রশ্নের উত্তর পাই নি।

হিমু এর ছবি

অভিভাবকদের মুখে মুখে ফিরছে, আপনাকে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া ঠিক হয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষের। আপনার কী অভিমত?

guest writer rajkonya এর ছবি

আমাকে অভিভাবকেরা তো শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন নি! তারপরেও স্কুল কর্তৃপক্ষের উচিত অভিভাবকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমি আমার দায়িত্ব কতখানি পালন করিনি তা যাচাই করা। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত তা সেটা যতই আমার বিরুদ্ধে যাক, মেনে নিতে হবে।
-----------------------------------------------
ভালই ক্ষেপেছেন দেখি! খাইছে

হিমু এর ছবি

আমি ক্ষেপিনি একটুও। মহান উৎপল শুভ্ররা প্রশ্নগুলোই ঘুরিয়ে করলাম আপনাকে। এক ক্লাস থেকে বেরিয়ে আরেক ক্লাসে ঢোকার আগে এই ধরনের প্রশ্ন কানের কাছে রোজ কেউ করতে থাকলে সেগুলোর প্রভাব আপনার শিক্ষাদানের ওপর কেমন পড়বে বলে মনে করেন? বিশেষ করে প্রশ্নোত্তর যদি কয়েক লক্ষ লোকের কাছে পরিবেশিত হয়?

guest writer rajkonya এর ছবি

দুরকমভাবে আমি প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারি আমি।

১.আমি সেক্ষেত্রে ব্যাপারটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেব। আমি আমার সর্বত্তম জিনিষটাই শিক্ষার্থীদের দেবার চেষ্টা করব। এতে তো মনে হয় ভালই হবে।নিজের ভুলগুলো সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হওয়া ভাল।

অথবা

২. উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবে যদি কেউ আমাকে অপদস্ত করার চেষ্টা করে, সেটা বোঝার মত বুদ্ধি আমার থাকা উচিত। সেক্ষেত্রে ঐসব লোকদের কথা এক কান দিয়ে ঢুকিয়ে আরেক কান দিয়ে বের করে, নিজের কাজে মনোনিবেশ করব।
--------------------------------------
আপনার কাছে সাক্ষাৎকার দিয়ে নিজেকে বিখ্যাত বিখ্যাত মনে হচ্ছে! দেঁতো হাসি

হিমু এর ছবি

এর অর্থ তো তাহলে এ-ই, যাদের কথা এক কান দিয়ে ঢুকিয়ে আরেক কান দিয়ে বের করে দিতে হয়, তাদের কথা বলাটা আসলে জরুরি না?

উৎপল শুভ্র হচ্ছে এই কিসিমের লোক।

guest writer rajkonya এর ছবি

আমি শুধু এটাই বলতে চাইছি যে, এ ধরনের সাক্ষাৎকার সাকিবকে মানসিক চাপে রাখবে কথাটা ঠিক নয়। কেন না, সাকিবেরা মানসিক চাপ কীভাবে মোকাবেলা করতে হবে সেটা খুব ভালই জানে। তা নয়ত, ওরা এত বড় বড় আসরে খেলে কী করে? সাক্ষাৎকার দিয়ে তাকে চাপের মধ্যে পড়তে হবে কেন? কী অদ্ভুত যুক্তি! আমাদের ক্যাপ্টেন কী এতই দূর্বল?
তবুও আপনার কথার পরিপ্রেক্ষিতে না হয় ধরে নিলাম, ভদ্রলোকের এই সাক্ষাৎকার নেওয়া উচিত হয় নি। সেক্ষেত্রে ভারতের বিরুদ্ধের ম্যাচের পরে কী ধরনের প্রশ্ন সাকিবকে করা উচিত ছিল বলে আপনি মনে করেন?

হিমু এর ছবি

সাকিব তো দুই হাতে চটকানা মেরে মশাও মারতে পারে খুব ভালো, তাই বলে কি তাকে রাতে মশারি-কয়েল-অ্যারোসল ছাড়াই ঘুমাতে যেতে হবে?

সাকিবরা বড় বড় আসরে খেলে খেলার মাঠের চাপ নিয়ে, যেটা মোকাবেলা করাই তার কাজ। খেলার মাঠের বাইরে, ক্রিকেট সম্পর্কে আমরা যারা কম বুঝি, তাদের মধ্যে মিডিয়াসালিশে বসে দোররা খাওয়ার চাপ তাকে নিতে হবে কেন? আর সাকিব আপনার আমার মতো বয়স্ক নয়, তার বয়স মাত্র ২৩, নার্ভ ঠিক রাখা এই বয়সে খুব মুশকিল। আর এইটা গলির ক্রিকেট না, বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ, হোম গ্রাউণ্ডে হাজার হাজার মানুষের সামনে প্রচণ্ড মানসিক চাপ নিয়ে খেলতে হয়। মিডিয়াসালিশ নিয়ে সাকিবকে কেন দুর্ভাবিত হতে হবে? আর এইসব সাক্ষাৎকার তো একটা দুইটা নেয়া হচ্ছে না, যে কোনো খেলার আগে পরে গিয়ে খেলোয়াড়দের মোরাল নষ্ট করার চেষ্টা চলছে দিনের পর দিন। এগুলো আবার কিছু লোক "উপভোগ"ও করে!

ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচের পরে আলাদা করে সাকিবের কাছে জানতে চাওয়ার কিছুই নেই আমার, আমি তার খেলা পুরোটাই দেখেছি।

আপনি জানেন কি না জানি না, ব্রায়ান লারা একবার সাক্ষাৎকারের মাঝখানে প্রচণ্ড বিরক্ত হয়ে উৎপল শুভ্রকে বিদায় করে দিয়েছিলো। উৎপল শুভ্রের জায়গায় থাকলে আমি সাকিবকে কী প্রশ্ন করতাম, আমি জানি না, তবে সাকিবের জায়গায় থাকলে শুভ্রকে দারোয়ান ডেকে বের করে দিতাম।

guest writer rajkonya এর ছবি

সাকিবের বুদ্ধিদীপ্ত উত্তরগুলো কি আপনারও ভাল লাগে নি নাকি?
নাকি শুধু প্রশ্নগুলোই পড়েছেন, উত্তরগুলো পড়েন নি?
তবে, আমি এটা বাজি ধরে বলতে পারি, এ সাক্ষাৎকারে সাকিবের আত্নবিশ্বাসে একটুও চিড় ধরায় নি। আর ধরবেই বা কেন?

হিমু এর ছবি

সাকিবের উত্তর নিয়ে এই পোস্ট নয়, উৎপল শুভ্রের প্রশ্ন নিয়ে। সাকিবের দেয়া উত্তরে শুধু তার আত্মবিশ্বাসই ফুটে ওঠেনি, বিরক্তিও স্পষ্ট হয়েছে। আমি আমার দেশে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে আমার ক্রিকেট ক্যাপ্টেনকে টুর্নামেন্টে বিরক্ত বা বিব্রত অবস্থায় দেখতে অনিচ্ছুক।

guest writer rajkonya এর ছবি

আপনি যেমন সাকিব না, তেমনি সাকিবও আপনি না। তাই এই বয়সেও আপনি নিজের নার্ভ ঠিক রাখতে পারেন না। সাকিবকে দেখে শেখেন। মাত্র ২৩ বছর বয়সের একটা ছেলে কিভাবে ঠাণ্ডা মাথায় এত বড় বড় আসরে খেলা খেলে। সামান্য একটা সাক্ষাৎকারে আপনার নার্ভ ছিঁড়ে যেতে পারে, কিন্তু সাকিবের না!

হিমু এর ছবি

ব্রায়ান লারাকে দেখে শিখলে কেমন হয়? কীভাবে ক্রিকেটমূর্খ সাংবাদিকদের হাঁকিয়ে দিতে হয়, সেটা লারার মতো টপ-গ্রেড ক্রিকেটার শিখিয়ে দিয়ে গেছেন তো!

ধুসর গোধূলি এর ছবি

guest writer rajkonya লিখেছেন:
আর সেদিনের খেলার পরে আমার মনের প্রশ্নগুলাই তো তিনি করলেন সাকিবকে!

এবং,

উটপোঁদ শুভ্র লিখেছেন:
আমজনতার মুখে মুখে একটা কথা ফিরছে, বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাটিং করলে ভারত চাপে পড়ে যেত। আপনি একমত?

এই দুইটা উক্তির ক্ষেত্রে এক ক্রিকেট লিজেন্ড থেকে উদ্ধৃত করি,

"ক্রিকেটে মাঠে থাকার একজন অধিনায়ক যে সকল সিদ্ধান্ত নেন তার শতকরা নব্বুই ভাগই গ্যালারিতে বসে থাকা দর্শকের (আমজনতা) পক্ষে নেয়া সম্ভব। পার্থক্যটা নির্ধারিত হয় বাকি দশ ভাগে। সেখানেই গ্যালারিতে বসা একজন দর্শক আর মাঠে নামা একজন অধিনায়কের মধ্যে পার্থক্য।"

আশাকরি, বুঝতে পেরেছেন। আর এই কথাটা যে কতোটা সত্য সেটা যারা কখনো কোনো ক্রিকেট দলের (যতো ছোটই হোক) হয়ে মাঠে নেমেছেন, নেতৃত্ব দিয়েছেন তারা হাড়ে হাড়ে টের পেয়ে থাকবেন।

আমরা যেনো গ্যালারিতে বসা দর্শকের সর্বোচ্চ নব্বুই ভাগ ক্রিকেট জ্ঞান নিয়ে মাঠে নামা অধিনায়কের শতভাগ জ্ঞানকে চ্যালেঞ্জ না করে বসি!

sanjida shahid এর ছবি

onek e joss hoisa lekhata..amar onek mon kharap lagto jokhon manush "bhool decision" r eita niye matra otirikto kharap ktha r tease korto..lekhatar jonno thanks.. দেঁতো হাসি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এইটা কে রে? চেনা চেনা লাগে হাসি
অভ্র ব্যবহার করে বাংলায় লেখাটা রপ্ত করে ফেলেন, আখেড়ে কাজে লাগবে

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

রেশনুভা এর ছবি

খুব ভালো লিখেছেন। উটপোঁদের হাত থেকে আসলেই রেহাই চাই।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

একটা চলমান টুর্নামেন্টে জাতীয় দলের ক্যাপ্টেনকে এইভাবে মিডিয়া লিঞ্চিঙের চেষ্টার তীব্র নিন্দা জানাই।

সে সঙ্গে আজকের এ লেখাটির প্রতিও পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সাকিব শহীদ মিনারে না যাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে - উৎপল সুশীলতার মোড়কে যে বিষেদাগার করলো, তার জন্যও নিন্দা জানাচ্ছি।

হিমু এর ছবি

সাকিবরা যে ‌একটা বিশ্বকাপ ক্যাম্পে আছে, এই সেন্সটাই নাই এই বেকুবের। ও হয়তো অফিস আওয়ারে কারওয়ানবাজারে কাঁচা বাজার সেরে নেয়, ভেবেছে দুনিয়ার সবাই কাজের মধ্যে এদিক ওদিক ঘুরে আসতে পারে। ছাগল একটা।

অতিথি লেখক এর ছবি

জটিল...
খাঁটি কথা...
হাততালি

--- নুশান

তাসনীম এর ছবি

দুইট প্রশ্ন করতে ভুলে গেছেন উনি।

১। ভারতকে প্রথম ব্যাটিং করতে দেওয়ার পেছনে মনমোহন সিং এর কোনো চাপ ছিল কিনা?

২। ৩৭০ চেইজ করার সময় আশরাফুলের অভাব বোধ করেছেন কিনা?

আমি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ছাড়া অন্য সময়ে ফলো করি না। উৎপল সাহেবের প্রশ্নগুলো উকিলের জেরার মত লেগেছ। সাকিবের উত্তরগুলো একদম যথার্থ হয়েছে। মিডিয়াকে এভাবে হ্যান্ডেল করা সহজ কাজ নয়।

সব মিলিয়ে আমরা যোগ্য একজন ক্যাপ্টেন পেয়েছি।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

দেবাশীষ ভট্টাচার্য্য এর ছবি

হিমু ভাই, এক কথায় অসাধারণ...

প্রশ্ন করার অধিকার আছে সবারই কিন্তু সেই কাজটা করার ও একটা সময় আছে. এই গাধা গরু রিপোর্টার গুলা যে কেন এই জিনিস টা বুঝে না তাই আমি বুঝি না. ধইরা ধইরা চাবকানো উচিত এইগুলা রে.

অতিথি লেখক এর ছবি

আমাদের বোলারদেরও তো বাচ্চা বয়স। এত বড় একটা টুর্নামেন্টে খেলছে, বলতে গেলে ওরাই আসল উদ্বোধন করেছে। সারা বিশ্ব তাকিয়ে আছে তাদের দিকে। প্রথম কয়েক ওভার আশানুরূপ হয়নি, রান বেশি দিয়ে ফেলেছে, ইউকেট পায়নি। তারপরেও যেভাবে আমাদের টাইগাররা পুরোটা সময় ফাইট দিয়ে গেছে, তাও আবার ইন্ডিয়ার মতো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে, আমি খুবই ইম্প্রেসড। এদেরকে নিয়ে এত সমালোচনা করার কি আছে আমার মাথায় আসছে না। -রু

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

উৎপল শুভ্র আদতেই "উৎপাত শুভ্র"তে পরিণত হয়েছে। সাকিবকে করা প্রশ্নগুলো দেখে মনে হয় যেন উনিই বাংলাদেশ ক;রিকেট দলকে ফান্ডিং করছেন!! টসে জিতে ঠিক করেছে না ভুল করেছে এই প্রশ্নে যেকোন ম্যাচে বিশেষজ্ঞ/অবিশেষজ্ঞ নির্বিশেষে ৫০-৫০ ভাগ হয়ে যাবে। খেলা শেষ হবার পর আর এসব নিয়ে টানা-হেঁচড়ার অর্থ নাই। তবে সাকিবও সাংবাদিক (উৎপাৎ মহাশয়কে লক্ষ্য করেই হয়তো) ভালোই খোঁচা দিয়েছে।;)

শুভ্র যা শুরু করেছে, এটাকে উৎপাত বই কিছু বলা ঠিক না। কাল দেখলাম প্রথম আলোতে বিশাল বিজ্ঞাপন ছাপিয়েছে, বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে কোন কোন মহান ক্রিকেটার প্রথম আলোতে লিখবে সেটা নিয়ে। সেখানে এক কোণায় "বিশিষ্ট ক্রীড়া সাংবাদিক" হিসেবে নিজের খোমাও ঝুলিয়ে দিয়েছেন তিনি!!

সাথে জুটেছে তার স্যাঙাৎ তারেক মাহমুদ নামে আরেক স্বঘোষিত ক্রীড়া সাংবাদিক।এরা দু'জন মিলে ঠিক কি কারণে আশরাফুলকে নিয়ে রিপোর্ট লিখে, সেটা আমার মাথায় ধরেনা। এদের হয়তো এখনও ধারনা যে আশরাফুলকে নিয়ে প্রতিবেদন ছাপলে সেটা টক অভ দ্যা টাউন হবে।

আশরাফুল বিষয়ে এই দুই উৎপাত জাতের সাংবাদিক নতুন এক অসভ্যতামি শুরু করেছে। এরা ইদানিং বাংলাদেশের ম্যাচের তিন চারদিন আগেই ঘোষনা দিয়ে ফেলে যে আসছে ম্যাচে আশরাফুল নামছে। ভারতের ম্যাচে দেয়নি কারণ সে ম্যাচের আগে ওরা আঁচও করতে পারেনি যে আশরাফুল নামছেনা! চোখ টিপি
অথচ কে কে নামছে সেটা সাংবাদিকদের পক্ষে জানা সম্ভব বড়জোর ম্যাচের আগের দিনের সম্মেলনে।
আমার মনে হয় এটাও টিম ম্যানেজমেন্টের উপর একটা চাপ তৈরী করার জন্য উৎপাৎগোষ্ঠীর একটি কূটকৌশল। এসব খবরের ফলে টিম ম্যানেজমেন্ট ভাবতে পারে যে, দল কোন অঘটনে পড়লে সাংবাদিকরা "আশরাফুলকে নামানোর সিদ্ধান্ত বদল"কে দায়ী করে খবর ছাপবে।

আপাতত টিম ম্যানেজমেন্টের উচিত এই উৎপাতদেরকে খেলোয়াড়দের ধারে কাছে ঘেঁষতে না দেয়া।

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

হিমু এর ছবি

মেট্রিক পাশ পোলাপানগুলি আলু অফিসে কনট্রিবিউটরের কামলা খাটতে খাটতে একসময় ক্রীড়া সাংবাদিক, উপফিচারসম্পাদক এইসব হয়ে যায়। ফলে ফটকামিটা যতটা শেখে, লেখাপড়া ততটা হয় না। বাংলাদেশে ক্রীড়া সাংবাদিকতার একটা অন্ধকার অধ্যায় চলমান, যেখানে পাকি ক্রিকেটারদের ব্লোজব দিয়ে দিনের পর দিন অশ্লীলরকমের ভক্তিগদগদ আর্টিকেলের ফাঁকে ফাঁকে দেশী ক্রিকেটারদের নিয়ে গুজব গসিপ গুড়লেপন গুটিবাজি চলে শুধু। এই মহাবলদামির পুরোভাগে আছে আলুপেপারের এইসব উটপোঁদের দল। রাজ্জাকের একটা সাক্ষাৎকারে এই বেটারা দলের অন্যদের বিরুদ্ধে রাজ্জাককে বলার জন্য কীভাবে উসকেছে দেখলে বমি করে দেবেন। রাজ্জাক চরম স্মার্টভাবে হ্যাণ্ডল করেছে ব্যাপারটা, একটা নেতিবাচক কথাও বলেনি। আমাদের ক্রিকেটারদের এইসব অর্ধশিক্ষিত বিটকেল সাংবাদিকদের সংক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য টীকা দিতে হবে।

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

শুনছি উৎপল শুভ্র পাকিস্তান দলের বেশ গুনমুগ্ধ সাপোর্টার ... সে কি পিআলোর ক্রীড়া পাতার সম্পাদক? ... শুধু নিজে সাপোর্ট করে দেখে কি সে প্রতিদিন কয়েক কলম পাকি দলের আবজাব খবরাখবর ছাপাবে?

আজকে পাকিস্তানের পাশাপাশি সাউথ আফ্রিকা, উইন্ডিজেরও খেলা আছে। সাউথ আফ্রিকা এবারের কাপে শিরোপার অন্যতম দাবীদার। তারওপর বাংলাদেশ দলের গ্রুপে আছে। উইন্ডিজ তো আরো ইম্পর্টেন্ট! বাংলাদেশের গ্রুপে তো আছেই, আমাদের মূল টার্গেটগুলার একটা। এদের প্রথম খেলা নিয়া কোনো বাতচিতই নাই, পাকিস্তানের কোন ছাগল কোন ছাগলস্তান শহর থেকে খেলতে আসা প্রথম প্লেয়ার এই নিয়া একটা আধকলাম রিপোর্ট ছেপে দিছে!!

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

অতিথি লেখক এর ছবি

হিমু ভাই, আমি আপনার এই কমেন্টটার জন্যে অপেক্ষা করছিলাম। যদিও আমি এক্সপেক্ট করছিলাম যে উটপল শুভ্রর পাকি প্রেমের ব্যাপারটা আপনার মুল লেখায় থাকবে।
পাকি ক্রিকেটের কথা উঠলেই দেখি উটপল শুভ্র কাপর খুলে পিছন দিক হয়ে দারিয়ে যায় আর এই ব্যাপারটা সবাই জানে এবং কোনো রহস্যজনক কারনে সবাই চুপ করে থাকে। আমি নিশ্চিত যে বাংলাদেশে গেম্যানশিপ চালু থাকলে এই শালারপু "আফ্রিদি ম্যারি মি" লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়া দারায় যেত।

--
কালো ও সাদা

reventOn WAN এর ছবি

আজব!! এরপরও দেখি উৎপাতটা ঠিক কাজ করেছ তা প্রমান করতে চায় কেউ কেউ !!!!
লজ্জার মাথা খায়া তরক চালায়া যায় | অ্যাঁ

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই লেখাটা জটিল হইছে। এই সময় অইসব ফাল্ তু লোকেদের আমাদের টিম এর কাছেই যেতে দেয়া উচিত না।

ওডিন এর ছবি

উৎপল শুভ্রের জন্য ভার্চুয়াল 'গালে হাত বুলিয়ে দেয়া আদর' হিসেবে একটা ছোট্ট ভিডিও দেঁতো হাসি

জয় বাংলা! কোপাও মামা...

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আবার দেখ দাদা, দুইজনাই একই কথাই ভাবছিলাম, আমিও একই ভিডিও শেয়ার করে ফেলেছি! পেজ রিফ্রেশ করেছিলাম না তাই তোমারটা চোখে পড়ে নাই। আমারটা মুছে দেই। হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

যুধিষ্ঠির এর ছবি

উৎপাত শুভ্র জাতীয় ক্রীড়া সাংবাদিক অন্য দেশেও আছে। আরেকটা যেই দেশে সাংবাদিকরা সেই দেশের খেলাধুলার বারোটা বাজায়ে দিসে, সেইটা হলো ইংল্যাণ্ড। ফুটবল, ক্রিকেট, টেনিস - সবগুলাতে এমন হাইপ তৈরী করে যে কোন টুর্নামেণ্টের আগে! বেচারা অ্যাণ্ডি মারের ক্যারিয়ারই মোটামুটি ধ্বংসের পথে এখন। ফুটবল টীমের কথা আর নাই বললাম - প্রতি বিশ্বকাপের আগে ওদের পত্রিকা পড়ে ধারণা হয় ইংল্যাণ্ড ছাড়া পৃথিবীতে আর কারও ফুটবল খেলাই বৃথা। আশরাফুলের মত প্রতিভাবান খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্সের ক্রমাবণতির প্রধান কারণ হলো উৎপাত শুভ্রের মায়া জড়ানো-স্বপ্ন দেখানো অবাস্তব সব রিপোর্টিং। এই কারণেই এইসব উৎপাত শ্রেনীর লোকদের অংকুরেই থামানো উচিৎ।

[একটু সাইড টপিক।] এটুকু অবশ্য স্বীকার করি, এইবারের ইংলিশ ক্রিকেট টীমটা বেশ ইম্প্রেসিভ, এবং তারা এই টুর্নামেণ্টে আসলেই শিরোপার অন্যতম প্রধান দাবিদার (আমার নিজেরই বিশ্বাস হচ্ছে না ইংল্যাণ্ড সম্পর্কে আমার মুখ থেকে এই কথাটা বের হইলো!) - যদি ওদের মিডিয়া ওদের জিততে দেয় আর কী।

হিমু এর ছবি

উৎপল শুভ্রকে ইংল্যাণ্ডে রপ্তানি করা হৌক!

হাসিব এর ছবি

ইংল্যান্ডের সাথে ইন্ডিয়াও আছে একই কাতারে।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আমার পাঠক জীবনের বয়স আড়াই দশকেরও বেশি, উৎপল শুভ্রের লেখক জীবনের চেয়ে সেটি অনেক বড়, বিস্তৃত ও বৈচিত্র্যময়। কাজেই পাঠক হিসেবে আমি কিছু কথা বলতেই পারি।

দেঁতো হাসি

একটা চলমান টুর্নামেন্টে জাতীয় দলের ক্যাপ্টেনকে এইভাবে মিডিয়া লিঞ্চিঙের চেষ্টার তীব্র নিন্দা জানাই।

হক কথা!

ওডিনদা যে ভিডিওটা শেয়ার করেছে, আজকে সেইটা দেখে মন ভরে গেছে। এগুলোই হলো আমাদের তরফ থেকে এইসব উটকো সাংবাদিকদের জন্যে দাঁতভাঙা জবাব। দেশের মানুষ আছে বাংলাদেশ টিমের সাথে, হারুক, জিতুক, সবসময়ে!

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

হাসিব এর ছবি

হিসাব খুব সোজা। বাংলাদেশের ক্রিকেট কর্তৃপক্ষ খেলোয়াড়, কোচ ইত্যাদি নিয়ে একটা টিম বানিয়েছে বিশ্বকাপে ক্রিকেট খেলার জন্য। সাকিব নিজে যোগ্যতার বলে ক্যাপ্টেন হয়েছে। সে নিজে নিজের কাজটা বোঝে এবং তাকে সহায়তা করার জন্য বিশেষজ্ঞরা টিমের মধ্যেই আছে। বাইরের কারো উপদেশ নেবার কোন দরকার তার নেই। বিশেষ করে এমন কেউ যার মাঠে নামার কোন অভিজ্ঞতা নেই।

আমি জানি না ক্রিকেট বোর্ড কীভাবে সাংবাদিকদের বিশ্বকাপ চলাকালে ক্রিকেটারদের আশে পাশে ঘেষতে দিচ্ছেন। অতিরিক্ত চাপ উৎপন্ন করা ছাড়া এরা কোন নতুন অবদানের যোগ্যতা রাখেন না। মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম (স্মৃতি প্রতারণা না করলে) যদ্দুর মনে পড়ে একসময় ডেইলি স্টারের স্পোর্টস সেকশনে কাজ করতেন। পরে ২০০৩-০৪ এর দিকে বিসিবিতে যোগ দেন। সে সময় উৎপল শুভ্র ছিলেন প্রথম আলো স্পোর্টসের বিভাগীয় সম্পাদক। রাবিদ ইমামকে পুরনো সম্পর্ক সরিয়ে রেখে আরো একটু পেশাদারি দৃঢ়তা দেখাতে বলি। খেলোয়াড়েরা যাতে মিডিয়া মারফত অতিরিক্ত চাপের মুখে না পড়ে সেটা দেখা তার পেশার কর্তব্যের মধ্যে পড়ে বলেই জানি।

হিমু এর ছবি

খেলোয়াড়দের এলাকাকে মশা, মাছি, বাদুড় ও উটপোঁদমুক্ত ঘোষণা করা হৌক।

রিদোয়ান এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সুবোধ অবোধ এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

দেখুন আগে ফিল্ডিং নেক আর ব্যাটিং, কথাটা একি হত। শেবাগ কি পরে ব্যাট করলে ১৭৫ করত না? ওই দিনটা ছিল শেবাগ এর। আর ওই দিন বাংলাদেশ ভালো খেলেছে। সূতরাং কাদা ছোরাছুরি না করে আসেন উতপোঁদ এর মতন কিছু ঢিলা পোঁদকে টাইট করার ব্যবস্থা করি।

প্রথম আলো ও তার সাংবাদিক দের পাত্তা না দিলেই চলবে।

---- সৌম্য

অতিথি লেখক এর ছবি

গত বছর বাংলাদেশের ইংল্যান্ড সফরের সময় তারেক মাহমুদের সঙ্গে দেখা, কথাবার্তার এক পর্যায়ে তার সরল স্বীকারুক্তি ইংল্যান্ড ছাইড়া যাইতে মন চাচ্ছে না। খাইছে

-একাত্তর

আলমগীর এর ছবি

পাণ্ডবাদার সাথেই মনে হয় ফেসবুকে কথা হচ্ছিল: সাকিব আমার দৃষ্টিতে বাংলাদেশের সেরা দলনায়ক যার মধ্যে সব ধরণের গুণ যথাযথ মাত্রায় বিদ্যমান। দলনেতা হওয়ার পর অন্যদের মতো সে হাস মারা শুরু করেনি। তার নিজের খেলার দক্ষতা ঠিক রেখেই সে দল সামলানোর মতো মানসিক চাপ নিতে পারছে, মেজাজ ঠিক রেখে মিডিয়ার সাথে কথা বলতে পারছে। আর তার বয়স মাত্রই ২৩। প্রায় চারশ রান তাড়া করে ২৮৩ করা আমার প্রত্যাশার মাপে অনেক ভাল স্কোর।

সোজা কথা: সে যদি মনে করে টস জিতে বোলিং নিবে, কোচের যদি তাতে সম্মতি থাকে তাতে কারো কোন সমস্যা হওয়া উচিৎ না। যদি মনে করে শেষ দিকে পাওয়ার প্লে নিবে, নিক। তাকে তার মতো সিদ্ধান্ত নিতে দিই আমরা।

অন্ধকার মানুষ এর ছবি

ভাল লিখেছেন । সাকিবদের উচিত এদের এড়িয়ে চলা...............

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

সময়োপযোগী লেখা। আমাদের সবাইকে দামাল ছেলেদের পাশে দাঁড়াতে হবে। সাহসে ওদের বুক ভরে দিতে হবে। কোন দ্বিধা-সঙ্কোচ যাতে ওদের ছুঁতেও না পারে। প্রথম ম্যাচে ওরা যেভাবে লড়েছে সেটিতো বীরের লড়াই বলেই মনে হয়েছে আমার। এ যেন হেক্টর লড়ছেন একিলিসের সাথে। পরাজয়ে ডরে না বীর।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

যথার্থ বক্তব্যে সহমত। উত্তম জাঝা!

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

উৎপল শুভ্র, আমার অত্যন্ত প্রিয় একজন ক্রীড়া কলামিস্ট। তার কলাম খুব সম্ভব প্রথম পড়েছিলাম 'ভোরের কাগজে' অথবা অন্য কোথাও- ঠিক মনে নেই- তবে এটা নিঃসন্দেহে মনে আছে, মুগ্ধ হয়েছিলাম।

আমি স্পোর্টস ফ্যান। ক্রিকেট লিটারেচারের ফ্যানও বটে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকেই আমি মনে করি, দীর্ঘদিন ধরে শুভ্র সাহেবের লেখা পড়ে আমার ভালো লেগেছে। ভালো লেগেছে তার 'ষোলো তারকার মুখোমুখি', 'সেই সব ইনিংস', 'ভেজা উইকেটে', ' বিশ্ব যখন ফুটবলময়'; এইসব বইগুলো।

উপরের কথাগুলোই বুক ফুলিয়ে বলবার জন্যে, সত্যি বলি, আমি বন্ধুমহলে- যাদের প্রত্যেকেই ক্রিকেট ফ্যান- সাম্প্রতিক অতীতে তোপের মুখে পড়েছি অনেকবার। অতি আবেগে নিতান্ত ম্যাদামারা ক্রিকেটারদের 'বাংলাদেশের স্টিভ ওয়াহ' জাতীয় উপাধি দিয়ে তিনি আমার বন্ধুদের শ্রদ্ধা হারিয়েছেন। " সাংবাদিকেদেরও বাজার করতে হয়।" আমার এই যুক্তিও বেশিদিন ধোপে টেকেনি তার অতি আবেগীয় লেখার তোড়ে।

...একজন সাংবাদিক অধিনায়ককে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই পারেন, এমন কি টুর্নামেন্ট চলাকালীন সময়েই দলের ভুলত্রুটি চিহ্নিত করে সমালোচনা করতে পারেন- তাতেও আপত্তি নেই। তবে সেটা গঠনমূলক হওয়াই কাম্য। আজকের রিপোর্টটি পড়ে আমি বেশ আতঙ্কিত হয়েছি। অধুনা ক্রিকেটে টিম ম্যানেজমেন্ট-কোচ-খেলোয়াড়দের সম্মিলিত ম্যাচপূর্ব মিটিং-এই ঠিক হয়ে থাকে টসে জিতলে কি করণীয়। অধিনায়ক কেবল মাঠে গিয়ে সেটা মুখে বলেন। অতএব, দোষ দিতে চাইলে সেটা সকলের ঘাড়ে চাপানোই উচিৎ। সাকিব আল হাসানের কাঁধে এখন ষোল কোটি মানুষের প্রত্যাশার চাপ। তিনি ভুল করলেও আমরা তাদের পাশেই আছি, তাদের ভুলের হয়ে সাফাই আমরাই গাইবো।

শ্রদ্ধেয় উৎপল শুভ্র, অনুগ্রহ করে আমরা যারা এখনো আপনার ভক্ত পাঠক, তাদের কথা ভেবে লিখুন। ক্রীড়াসাহিত্য আর ক্রীড়াঅপসাহিত্য এক জিনিস নয়। বাংলাদেশ জাতীয় দলের উপর আপনার অধিকার আমাদের চাইতে বেশি নয়; যা বেশি- সেটি হলো আপনার দায়বদ্ধতা। আপনার কলম চাইলেই আরো ভালো কিছু লিখতে পারে। নগণ্য পাঠকের এই দাবি খুব বেশি নয় নিশ্চয়ই।

ফাহিম হাসান এর ছবি

উৎপল শুভ্রের রিপোর্টের একাংশ -

"হাতেগোনা দু-একজনকে বাদ দিলে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বইটই পড়ার অভ্যাস খুব একটা আছে বলে শোনা যায়নি কখনো।"

এরকম অপ্রাসঙ্গিক, উৎকট সরলীকরণ তার পক্ষেই সম্ভব।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

অসাধারণ লেখা হিমু। পুরাপুরি একমত। এই লোকের এখন থামা দরকার।

BhalobasarTanpura এর ছবি

ভাইজান, অসাধারন একটা লেখা। আমার মনে হয় যারা পজিটিভ চিন্তা করেন, তারা সবাই আপনার মতো করেই ভাবছে। আমি প্রথম থেকেই একটা ব্যাপার এ ভয় পাচ্ছিলাম যে আমরা যেন কোন ভাবেই খেলোয়াড়দের মানসিক চাপের উপর না রাখি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে কিছু মানুষের জন্য সেটাই হচ্ছে।

পল্লব এর ছবি

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

বন্ধই তো দেকলাম

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

পল্লব এর ছবি

ইয়ে, মানে... আমি তো দেখতে পারি। মেসেজও করতে পারি।

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

অতিথি লেখক এর ছবি

এই খবরটি দেখুন

ভোদাইটার সাংবাদিকতার নমুনা দেখুনঃ "মাঠে এসে কাল সাকিব আল হাসানের কাছে প্রথম শুনলেন খবরটা, ‘আপনি পরের ম্যাচে খেলছেন।’ একটু পর নেটে ব্যাটিং করতে যাওয়ার সময় কোচ জেমি সিডন্সও ডেকে বললেন, ‘আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দলে আছ তুমি।’"

বাংলাদেশ দলের প্র্যাকটিসে ১৫ জন খেলোয়াড়, কোচ, ফিজিওদের পাশাপাশি অষ্টাদশ ব্যাক্তি হিসেবে কি উদপোঁট শুভ্রকেও নেয়া হয় নাকি? তা না হলে সে এসব খবর পায় কোত্থেকে? দুদিন পর শুনবো জিমি সিডন্স আশরাফুলকে স্বপ্নে দেখা দিয়েছেন আর বলেছেনঃ "প্যাড পরে ফেলো বাছা, কাল তুমি খেলছো"

"১৯ ফেব্রুয়ারি ভারত ম্যাচের আগেও আশরাফুল ভালোভাবেই আলোচনায় ছিলেন। একটা পর্যায়ে তো এমনও শোনা গিয়েছিল, সাত নম্বরে নাঈম ইসলামের পরিবর্তে আশরাফুল থাকবেন একাদশে। " কোথায় শোনা গিয়েছিল উদপোঁট ভায়া যদি দয়া করে আমাদের জানাতেন... নাকি উনার কাছে আশরাফুলকে দলে নেয়া হবে এমন তথ্যবাহী গায়েবী আওয়াজ আসে?

"আশরাফুলকে নিয়ে যে রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা হচ্ছে তাতে টিম ম্যানেজমেন্টের সুস্থ চিন্তার প্রকাশ ঘটছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।" ... ২৫ তারিখ আয়ারল্যান্ডের সাথে না খেলালে উদপোঁট দাবী করবেন, দলের কোচ অধিনায়ক, টিম ম্যানেজমেন্ট সবাই আশরাফুলকে দলে চান, কিন্তু তারপরও কোন এক রহস্যময় প্রভাবশালী ব্যাক্তির অঙ্গুলিহেলনে আশরাফুলকে দলে নেয়া হচ্ছেনা।

পলাশ মুস্তাফিজ

হিমু এর ছবি

রজস্বল না হলে আশরাফুলের আর কপালে প্যাড পরা নাই।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

মুসা এর ছবি

এই গাধা টা যদি ক্রিকেট বুঝতই, তাহলে টস নিয়ে এত প্যানপ্যান ই করত না। এটা বোঝা কষ্টের না যে এই পিচ এ ব্যাটিং পরে করাই লাভজনক। ছাগল।

তবে একটা বেপারে আমি লেখক এর সাথে একমত নই। সাকিব নিঃসন্দেহে ভাল ক্যাপ্টেন, কিন্তু বাংলাদেশ যখন আশরাফুল কে দীর্ঘদিন ক্যাপ্টেন হিশেবে রেখেছিল, আমার সন্দেহ হয় আমরা বুঝে যোগ্য মানুষ কেই ক্যাপ্টেন বানিয়েছিলাম কিনা! আশরাফুল কে ক্যাপ্টেন বানানোর আগে তার যোগ্যতা কতটুকু বিশ্লেষণ করা হয়েছিল, আর কতটুকু প্রশিক্ষন দেয়া হয়েছিল, আমার বেশ সন্দেহ আছে। সেটা ইতিহাস, সাকিব এর মধ্যেই প্রমান করেছে তার যোগ্যতা - অন ফিল্ড এবং অফ ফিল্ড।

অতিথি লেখক এর ছবি

বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়ে আসলেই আমাদের খেলয়ারদের এইভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করা উচিত নয়। সম্পুর্ন চাপমুক্ত থেকে তাদের খেলতে দেওয়া উচিত। তবে সাকিব কিন্তু উত্তর গুলাও দিসে বাঘের বাচ্চার মতই।

সচল জাহিদ এর ছবি

উৎপল শুভ্ররা, অ্যালা থামেন। কলমের মুখ খাপে ঢুকিয়ে চুপচাপ বিশ্বকাপ দেখেন। আমরা টাইগারদের সাথে আছি, রামছাগলদের সাথে না। ম্যাৎকার আর লাদিবর্ষণ থামান, আমাদের ক্যাপ্টেনকে বিরক্ত করবেন না।

চলুক চলুক চলুক


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি যতটুকু জানি, উ্ৎপল শুভ্র এর বাবা পুলিশে চাকরি করতেন, তাই স্বভাবতই তিনি এত বছর সাংবাদিকতা করলেও সাক্ষাৎকার আর জেরার মধ্যে পার্থক্য বুঝেন না।

আবির আনোয়ার এর ছবি

চলুক চলুক চলুক

Asif এর ছবি

দারুন!!!!

অপছন্দনীয় এর ছবি

আমি ক্রিকেট নিয়ে আগ্রহী নই। তবে এটুকু বলতে পারি যে এমনকি মাঠে বা খেলার আগের কোন সিদ্ধান্ত যদি ভুলও হয়ে থাকে, তা-ও এই ধরণের বিরক্তিকর প্রশ্ন করা স্পিরিটের ক্ষতি ছাড়া আর কিছু করবে না।

দ্রোহী এর ছবি

আমি এই লেখায় তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি বাংলাদেশের ক্রিকেটের সর্বময় কতৃত্ব উটপোঁদ শুভ্রের হাতে তুলে দেয়াই মঙ্গলজনক হবে।

সাকিব আল হাসানকে এখন থেকে মোবাইল ফোন নিয়ে খেলতে নামতে হবে। টসে জেতা মাত্র উটপোঁদের পোঁদে মোবাইল ঠুকে জিজ্ঞেস করতে হবে ফিল্ডিং নেবে নাকি ব্যাটিং নেবে। প্রতিবার বোলার বদলের আগে উটপোঁদকে ফোন মারতে হবে। কখন পাওয়ার প্লে নিতে হবে সেটাও ঠিক করে দেবে উটপোঁদ।

সবচেয়ে বড় কথা, উটপোঁদ শুভ্রের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে জাতীয় দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়ের নামের শেষে "উটপোঁদ কালা" জুড়ে দিতে হবে।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই দ্রোহী, আমি আপনার মন্তব্যের সাথে একশ এর উপর দেড়শ ভাগ একমত। বাংলাদেশের ক্রীড়াজগতের মহানায়ক, বাংলাদেশের ক্রিকেটের জাতির পিতা উত্পাত শুভ্র’র পরামর্শ ছাড়া আমাদের ক্রিকেট দলকে এক পা ও চলতে দেয়া উচিত হবে না। অবশ্যই উত্পাত শুভ্রকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অপরিহার্য অংশ ঘোষণা করে আমাদের সংবিধানে একটি সংযোজনী যোগ করা উচিত। এটা বাংলাদেশ সরকারের একটি মহান দায়িত্ব। সরকার উত্পাত শুভ্রকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ ঘোষণা করে সংবিধানে সংশোধনী না আনতে পারলে অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ করতে হবে। সারা দেশ ও জাতি এ বিষয়ে একমত। অতএব, আজ বিশ্ব ক্রিকেটের এই মহান যজ্ঞে সারা বাংলাদেশের এক দফা এক দাবী - ‘সাকিব-তামিম বেইল নাই, নেতা মোদের উত্পাত ভাই’।
তরিকুর সজীব

জোছনাহত নাগরিক এর ছবি

আমাদের দেশের reporter রা আজ কাল indian media কে অনুসরণ করছে।জিতলে সিদ্ধান্ত ঠিক, আর না জিতলে ভুল।ওরা একবার সাকিব কে আকাশ এ তুলে আর একবার গলা চেপে ধরে।
আর হাবিবুল বাশার এর কথা কি বলব ...........................
আমার দেখা সব চেয়ে বাজে প্লেয়ার অ্যান্ড কাপ্তান...............
ও কিনা বলে সিদ্ধান্ত ভুল..................আর এক পাকিস্তানি ঘুসখোর রাজাকার আমির সোহেল বলে একই কথা...র এই সব গুলো ছাপা হই প্রথম আলো।আমি প্রথম আলোর ভক্ত ছিলাম।কিন্তু এই ধরন এর আচরণ
দেখে সত্যি মনক্ষুণ্ণ হইয়াছি।

অতিথি লেখক এর ছবি

আশরাফুল কে ক্যাপ্টেন হিসেবে দেখতে চান কি না সাকিব কে এই প্রশ্ন করতে বাকি রাখছে উৎপাত মূর্খ। তার খায়েশ ছিল এই সমালোচনার সুযোগে বয়ফ্রেন্ড আশরাফুল কে আবার ক্যাপ্টেন বানানো, নাকি?
সাকিব এর উত্তর গুলো ভাল লেগেছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু

-অতীত

অতিথি লেখক এর ছবি

যেদিন সাকিবের এই সাক্ষাৎকার ছাপিয়েছে সেই দিনেরই প্রথম পাতায় প্রথম আলোর স্ব-বিজ্ঞাপন-

"বিশ্বকাপে জিততে হলে প্রথম আলোর বিকল্প নেই"

তারপর সবশেষে লিখছে-
"দেশের সেরা ক্রীড়া পাতা মানেই প্রথম আলো।
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ক্রিকেট লেখক উৎপল শুভ্রর নেতৃত্বে আছেন পবিত্র কুন্ডুসহ নিয়মিত ক্রীড়া লেখকেরা।"

হাসব না কাঁদব বুঝতে পারছি না............এরা নিজেদের কি মনে করা শুরু করেছে???????

-ডাঃ আতিকুল হক

হিমু এর ছবি

উটপোঁদ্দা আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নাকি? তা এই খ্যাতিটা কীসে? স্বমেহনে?

স্বমেহনের একটা সীমা থাকা উচিত। জাতীয় দৈনিকে এহেন নির্লজ্জ আত্মদামামাবাদন সুশিক্ষার পরিচয় হতে পারে না। এইসব টয়লেটে আয়নার সামনে বিগ লেবোওস্কি ঢঙে করাই ভালো।

দ্রোহী এর ছবি

জানেন না বুঝি? বাংলাদেশ এখন মধ্যপ্রাচ্যে উট রফতানি করে।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

উৎপল বাবুর কথাবার্তায় সাকিবের বিরক্তি এবং সেই বিরক্তিজনিত কারনে পারফর্মেন্সে নেতিবাচক প্রভাব পড়লে তা দলের পারফর্মেন্স খারাপ করবে। দলের পারফর্মেন্স খারাপ মানে দেশের পারফর্মেন্স খারাপ। উৎপলের কটুসাক্ষাৎকারের দরুন যদি বাংলাদেশের পারফর্মেন্স খারাপ হয়, তবে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করার দাবি রাখছি।

সে মূলত দেশের স্বার্থবিরোধী কাজে নিয়োজিত আছে। হুশিয়ার সবাই।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

রঙ্গহীন এর ছবি

চিন্তার কারন নাই, মামলা হয়ে গেছে।

dibyendu das এর ছবি

I lovely to see that bangladesh is another cricket fanatic country like India. One thing you
people should remember it is easier to comment after the incident took place. After winning
the toss Sakib has taken the decision of batting taking into consideration of dew factor and
I think he was correct because Dhoni would have taken the same decision against australia in
similar situation. And about the Indian batting is concern accept it or not in their day they
are the best especially in the sub continent . This batting will click 9 out of 10 times in the
subcontinent situation and 6 out of 10 in out side the subcontinent. Can you remember in
2003 final against Australia? Saurav had done the same thing after winning the toss. So it
not the right time to criticize your team, they need your support, stand by them. Bangladesh
is improving. Do you think your team will win the world cup 2011 or 2015, please do not
expect too much. First hope to play well then win will come automatically. And lastly I would
like to bring to notice the test matches performance of bangladesh. Sorry to say the
performance in test is not like the ODI. I observed that those are good test playing countries
are also very good on ODI see from 1975-1983 west Indies was no. 1 they won 2 world cup,
India is average during 1983-2003, they won 1 and lost 1 and semi in 2. Same thing happend
in case of australia too. So support your team, they are a good side. Sakib, Tamim, Kayis,
Mammudulla are very good players they can enter in any team especially Sakib and Tamim.
Good Luck Bangladesh. I would like to share one thing , My mind says we will not see any
upset this time may be. thanks to all from India.

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

দিব্যেন্দু, কেউ আপনার মন্তব্যের জবাব দিলে সেটা কোথায় কিভাবে দেখা যেতো সেটা আপনাকে বোঝানোর জন্য এই মন্তব্যটি করলাম।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

এই ব্যাটার মনে হয় নাইপ্তামি না করলে পেটের ভাত হজম হয় না। আজাইরা একটা ফাউল লোক ...

উৎপল শুভ্ররা, অ্যালা থামেন। কলমের মুখ খাপে ঢুকিয়ে চুপচাপ বিশ্বকাপ দেখেন। আমরা টাইগারদের সাথে আছি, রামছাগলদের সাথে না। ম্যাৎকার আর লাদিবর্ষণ থামান, আমাদের ক্যাপ্টেনকে বিরক্ত করবেন না।

এক্কেলে পার্ফেক্ট ... উটপোঁদ ব্যাটা সাবধানে থাক ... নইলে ধইরা কোপায়া দিমু কোপাও মামা...

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

অতিথি লেখক এর ছবি

বাংলাদেশ টীমকে ইচ্ছাকৃতভাবে খাটো করার, খেলো করার, অযোগ্য-ভীত-হাস্যস্পদ প্রতিপন্ন করার, ডিস্ট্যাবিলাইজ ও ডিমরালাইজ করার আলু পত্রিকার অত্যন্ত সুচিন্তিত ও পরিকল্পিত সাবভার্সিভ ট্রোজান-হর্স মিশনটা এখনো থামে নাই বলেই মনে হচ্ছে। তাদের কৌশলটা যেন এইরকম -- খেলোয়াড়দের মনে প্রতিপক্ষ সম্পর্কে ভয়ভীতি ঢুকিয়ে দেও, সিদ্ধান্ত-গ্রহণ প্রক্রিয়ায় মনে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব-সংশয় ঢুকিয়ে দেও, আত্নবিশ্বাস ও আত্ন-মর্যাদাবোধের মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেও, চাপ সৃষ্টি করে ঢুকিয়ে দেও মিডিয়া-লিঞ্চিংয়ের আতঙ্ক -- এবং এইভাবে তাদের ডিমরালাইজ করে খেলার আগেই অর্ধেক হারিয়ে দেও। আর পাব্লিকের সামনে তাদের একদল হাটু-কাঁপাকাঁপি করা, ভীত-সন্ত্রস্ত অযোগ্য জোকার হিসাবে উপস্থাপন কর।

তা নইলে খেলা চলাকালীণ সময় দিনের পর দিন, ছিনে জোঁকের মত লেগে থেকে বারংবার একই রকম টাটকা-ক্ষত-খোঁচানো চাপসৃষ্টিকারী ডিমরালাইজিং (এমনকি আমার মতে অপমানকর) প্রশ্ন করা কেন ?? এই পোস্টে তার কিছু নমুনা দেখেছি উপরে। কিন্তু এটা ২১ তারিখের। উপরে হিমুর উদ্ধৃত প্রশ্নগুলির সাথে ২৩ তারিখের আলুতে উৎপাতের চ্যালা তারেক মাহমুদের নেয়া শফিউল ইসলামের সাক্ষাৎকারের প্রশ্নগুলি তুলনা করলে ঐ একই প্রচ্ছন্ন কমন থীম বা গোপন-অসদুদ্দেশ্য পাওয়া যায়।

সাকিবকে উৎপাতের প্রশ্ন (বোল্ড/ইটালিক্স/আন্ডারলাইন আমার) :-

* টসে হেরে ফিল্ডিং নেওয়ার পর প্রতিপক্ষ ৩৭০ রান করে ফেললে কথা তো হবেইআপনার জবাবটা কী হবে?
* পরে বোলিং করায় সমস্যা বলছেন, আগে বোলিং করেও তো ভালো কিছু হলো না। কোথায় এলোমেলো হয়ে গেল সব?
* আমজনতার মুখে মুখে একটা কথা ফিরছে, বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাটিং করলে ভারত চাপে পড়ে যেত। আপনি একমত?
* ঠিক আছে, আপনি ক্রিকেটীয় যুক্তিবুদ্ধি দিয়েই সিদ্ধান্তটা নিয়েছেন। কিন্তু ভারতীয় ব্যাটিং-তাণ্ডবের সময় কখনো ‘ভুলই করলাম কি না’ মনে হয়নি?
* আলোচনাটা কি টিম মিটিংয়ে হয়েছে, নাকি টিম ম্যানেজমেন্টের মধ্যে?
* প্রশ্নটা আবার করছি, ভারত ৩০ ওভারেই ২ উইকেটে ১৬৯ করে ফেলার পর সিদ্ধান্তটা ঠিক হয়েছে কি না, এ নিয়ে নিজের মধ্যে একটুও দ্বিধাদ্বন্দ্ব দেখা দেয়নি?
* সিদ্ধান্তটা বুমেরাং হয়ে যাওয়ার মূল কারণ কী?
* ৩৭০ হয়ে যাওয়ার প্রত্যক্ষ কারণ তো বীরেন্দর শেবাগ। ও যখন ওভাবে মারছিল, অসহায় লাগছিল না?
* শেবাগ যেদিন খেলে, সেদিন তো ফিল্ডিং সাজানোই কঠিন...
* শেবাগীয় তাণ্ডবের সময় নিজেকে উদ্দীপ্ত রেখেছেন কীভাবে?
* এই ম্যাচ নিয়ে এমন হাইপ, মাঠভর্তি দর্শক—টস করতে নামার সময় কি একটু নার্ভাস লাগছিল?
* ৩৭১ টার্গেট হয়ে গেলে অধিনায়কের কী-ই বা বলার থাকে! তার পরও জিজ্ঞেস করি, ব্যাটসম্যানদের আপনি কী বলেছিলেন?
* কিন্তু শেষটা কি ভালো হলো? শেষ ৫ ওভারে মাত্র ১৯ রান, তিন শ হলে মানসিকভাবে আরেকটু চাঙা থাকতেন না?
* এই ম্যাচের পর দলের অবস্থা কী?

উপরেরটার সাথে মিলিয়ে দেখুন ২৩ তারিখের আলুতে শফিউলকে তারেকের কিছু প্রশ্ন :--

  • কাকে বল করতে ভয় লাগে ?
  • ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের অভিজ্ঞতার পর একটু কি ধাক্কা খেলেন?
  • উদ্বোধনী ম্যাচ বলে একটু চাপে ছিলেন বোধ হয়...
  • সামনে শেবাগের মতো একজন ব্যাটসম্যান...প্রথম বল করার সময় কী চিন্তা কাজ করছিল?
  • প্রথম বলে বাউন্ডারি খাওয়ার পরই কি বেশি নার্ভাস হয়ে গিয়েছিলেন?
  • গ্যালারি ভর্তি দর্শকও নিশ্চয়ই চাপ হয়ে দাঁড়িয়েছিল...
  • প্রথম ম্যাচ হারায় বিশ্বকাপ নিয়ে মানুষের আগ্রহ যেন একটু কমে গেল!
  • ভারতের যেমন শেবাগ, আয়ারল্যান্ডের তেমন কেউ আছে?
  • প্রথম ম্যাচে হার বাকি পাঁচ ম্যাচে কীভাবে প্রভাব ফেলতে পারে?

কিছু কি মিল পাওয়া যাচ্ছে ? পাওয়া গেলে তারেকের ২১ তারিখে প্রকাশিত 'বাজে বোলিং নয়, ভালো ব্যাটিং!' শীর্ষক রিপোর্টটাও দেখতে পারেন। এই লেখাটারও ঘুরে ফিরে মূল থীম হচ্ছে ভারতীয় ব্যাটস্ম্যানরা (এক্ষেত্রে শেবাগ) কত দুর্ধর্ষ, অপ্রতিরোধ্য, 'দানবীয়', তান্ডবীয় বীরপুরুষ একেকটা আর বাংলাদেশের বোলাররা ভালো ব্যাটসম্যানদের সাথে লড়াই করতে অক্ষম কত আত্নবিশ্বাসহীন, মেরুদন্ডহীন, নিমকমপুপ গোহারা পোলাপাইন সব তা তাদের নিজেদের মুখ থেকেই বের করে নেয়া ! তারেকের এই রিপোর্ট একাধিক বোলারের নেয়া সাক্ষাৎকারের বিশেষ উদ্দেশ্যে নির্বাচিত অংশের একটা কোলাজ বলা যেতে পারে। মধ্যে মধ্যে নিজের চালিয়াতি টিপ্পনী গুঁজে দিয়েছেন পুরো জিনিষটাকে নিজের মত রঙ দেয়ার জন্য। তিনি ঐ বোলারদের কারো বক্তব্যই পুরোটা ছপেননি, ছাপেননি তাদের সাহস বা সংগ্রামের কথা। স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে, বেছে বেছে ছেপেছেন তিনি নিজেই চালাকি করে নিরন্তর খুঁচিয়ে-খুঁচিয়ে জেরবার করে বের করে আনা শুধু ঐ অতিক্ষুদ্র অংশগুলিই -- যেগুলিতে কেবল খেলোয়াড়দের ভয়-ভীতি-দ্বিধা-দ্বন্দ্ব-আত্নসংশয়-আত্নবিশ্বাসহীনতা-ব্যর্থতা-অক্ষমতা-ফোবিয়া এগুলিই খালি প্রকাশ পায় ও ফলাও হয়। সেইসাথে অবশ্যই তার নিজের কিছু ফাত্রামি টিপ্পনির মশলা মধ্যে-মধ্যে। তার টিপ্পনীর কিছু নমুনা এরকমঃ

...মানসিকভাবে ভেঙে পড়েননি বলে দাবি বোলারদের।

কেন, তারেক 'দাবি' শব্দটা জুড়লেন কেন এর মধ্যে ? সন্দেহ আছে ? 'ভেঙে' পড়লে খুশি হতেন ? 'দাবি' শব্দটা তো কারো কোন বক্তব্যে (বিশেষ করে এই রকম কনটেক্সটে) নেতিবাচক সন্দেহ বা মিথ্যা-প্রমানিত-হলে-খুশি-হবো জাতীয় এ্যাটিচ্যুড থেকে ব্যবহার করা হয়। প্রতিপক্ষ দেশের খেলোয়াড়ের বেলায় এই শব্দটা হয়তো ব্যবহার করা যায়। বাংলাদেশ টীম কি ওনার বা আলু পেপারের প্রতিপক্ষ/শত্রু দেশের টীম ??

...বিপদে বা ভয় পেলে আমি এটা করি। তখন ভয় কেটে যায়।’ শফিউলের ভয় এদিনও কেটেছে। কিন্তু শেবাগের সামনে কেউ ভয় পেলেই কি আর না পেলেই কি! যে দিনটা তাঁর, সেদিন সব বলকেই কচুকাটা করবেন, এটাই তো শেবাগ!

তাহলে আর কি, শেবাগ কে দেখলেই বাংলাদেশের বোলারদের প্যান্ট ভিজিয়ে মাঠ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া উচিৎ এই কি বলতে চাইছেন তারেক ? এটাই তাদের শেখাতে চাইছেন ?

আলুর পিঠে ছুরি মারা ঘরভেদী বিভীষনীয় মিশন সম্পর্কে আমার এখন আর সন্দেহ নেই। কিন্তু আমার অবাক লাগে, পাকি বা ভারতীয়রা যখন কোন খেলায় ব্যর্থ হয় - তখন কেন তারা এইরকম প্রশ্ন বা মন্তব্যগুলি বারে বারে করে না ? পাকিপ্রেমে তারা যতটা মাতোয়ারা, নিজদেশের ছেলেদের প্রতি তার কিয়দংশও কেন নাই তাদের ? এর সাথে কি আলুর খালুর উলফা-আইএসআই কানেকশানের কোন সম্পর্ক আছে (জাস্ট আ জোক হাসি ) ?

মনমাঝি

অতিথি লেখক এর ছবি

আলুর বেপারীর জাহাজের খবর নিতে হয় না। আর উটপোঁদ শুভ্র তো গোটা টীমের অন্দরমহলের খবর জানতে ব্যতিব্যস্ত। আশরাফুলিও প্রেমের জোয়ারে প্রতিদিন আলু পত্রিকায় তিনি যে কাহিনী ফাদেন তার সাথে কেবল হিন্দি চ্যানেলের ডেইলী সোপের চিত্রনাট্যেরই তুলনা চলে। পাবলিক সেন্টিমেন্ট কচলিয়ে আর কত? খবরের পাতার সাথে ফিকশনের পার্থক্যটা রইলো কোথায়! উটপোঁদ শুভ্রের কাজ খেলার কভার দেয়া। ডিসিশন আম্পায়ারের দায়িত্ব তাকে দেয়া হয়নি। আশরাফুলের ক্যারিয়ার উটপোঁদের উদ্ভট কলাম আর উৎপাতে উদ্বায়ী হওয়ার পথে। সাকিবের পেছনে তার আদাজল খেয়ে লাগার রহস্য আমার জানা নেই। তবে এইটুকু বুঝতে বাকি নেই তার আশার গুড়ে বালি পড়ছে। সাকিবকে দেশবাসীর কাছে হেয় প্রতিপণ্য করে, টীমের মনোবল ভেঙ্গে দিয়ে উটপোঁদ শুভ্র কোন স্বার্থসিদ্ধে লিপ্ত! উটপোঁদ নিজেকে অনেক বড় ক্রিকেটবোদ্ধা মনে করেন। গরু পিটিয়ে মানুষ করা যায় না। আগে ভাবতাম বাংলাদেশকে হারানোর জন্যে এক অশোকা ডি সিলভাই যথেষ্ঠ। এখন দেখছি ঘরের শত্রু বিভীষন! উটপোঁদ আর তারেক মাহমুদ থাকতে শ্রীলংকা পর্যন্ত যেতে হবে না। টীমটার জন্যে মায়া হয়। হতদরিদ্র দেশটার গর্ব করার তেমন কিছুই নেই। এই টীমটা আমাদের হাহাকার ভরা জীর্ণ-শীর্ণ বুকটা গর্বে ভরে দেয়। অথচ তাদের কাটা পড়তে হয় এই সব হলুদ সাংবাদিকতায়। উটপোঁদ শুভ্র সাকিবের সামনে একি প্রশ্নের হাজারটা রূপ দেখালেন। উটপোঁদ শুভ্রের কাছে আমার একটা প্রশ্ন আছেঃ আপনি যেভাবে নিজের গায়ে “আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন” এর তকমা লাগিয়েছেন তার পেছনে বাংলাদেশ ক্রিকেটের অবদান কতটুকূ? নাকি আপনাকে বিশ্ব আলু পত্রিকার “বিশিষ্ঠ” ক্রীড়া সাংবাদিক হিসেবে আগে থেকেই কোলে নিয়ে রেখেছিল! শুধু যোদ্ধে বিরোধিতা করলেই রাজাকার হয় না। তার আরো অনেক রূপ আছে। বিষয়টা মাথায় রাখবেন।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

উটপোঁদ শুভ্রের কাছে আমার একটা প্রশ্ন আছেঃ আপনি যেভাবে নিজের গায়ে “আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন” এর তকমা লাগিয়েছেন তার পেছনে বাংলাদেশ ক্রিকেটের অবদান কতটুকূ?

"গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল", এরকম একটা বাগধারা পড়েছিলাম ছোটবেলায়! তখন এর প্রায়োগিক দিক না বুঝলেও এখন বুঝি। উটপোঁদ শুভ্রদের দেখলেই।

এই উটপোঁদ হলো বউচি থেকে শুরু করে কাবাড্ডি পর্যন্ত সর্বক্রীড়াবিশেষজ্ঞ। কথিত আছে, ২০০৬ সালে জার্মানিতে বিশ্বকাপ কাভার করতে এসে নাকি কায়জার্সলাউটার্নে বসে বার্লিনের ম্যাচের লাইভ কাভারেজ লিখে দেশে পাঠাইছিলো। আর আলু পেপারও সেইটা ফলাও করে ছাপছে, "বার্লিন থেকে উটপোঁদ শুভ্র!"
কই যাইতাম!

হিমু এর ছবি

এই ছাগলগুলি যখন পাকি ক্রিকেট নিয়ে রিপোর্ট করতে বসে, অর্গাজম ঠেকিয়ে রাখতে পারে না। বাক্যে বাক্যে তেল। মাঝে মাঝে মনে হয়, আলুপেপার আইএসআইয়ের টাকায় চলে, এই গুজবটা হয়তো পুরোপুরি ভুল না, অন্তত স্পোর্টস সেকশনে কিছু পাকি গর্ভস্রাব নিশ্চিতভাবেই সক্রিয়।

maksuda এর ছবি

হাহ্ হা হা, লেখক আসলে বুঝতেই পারেননি উৎপল শুভ্র’র আসল উদ্দেশ্য! সেটা আসলে একেবারেই উল্টো। ক্রিকেটে যে কোনো বড় দলের বিপক্ষে ছোট দলের জয়ের সহজতম সূত্র হলো, আগে ব্যাট করে আড়াইশ’র বেশি রান কর, তারপর শুরুতেই দুতিনটা উইকেট তুলে নাও...। বাংলাদেশের জয়গুলোও বেশিরভাগ এসেছে এই সূত্র মেনেই। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেও সেটাই হওয়ার কথা। তারচেয়ে সাকিবদের রাতের শিশিরতত্ত্ব যদি বড় সত্য হতো তাহলে এই বিশ্বকাপেই অন্য সব দল টসে জিতে ব্যাটিং নিত না। উৎপল শুভ্র সেদিন তাঁর লেখায় নগ্নভাবে চেষ্টা করেছেন সাকিবের ভুল সিদ্ধান্তটাকে সঠিক প্রমাণ করতে। শুধু নিজে নয়, সেদিন তথাকথিত আরো এক বিশেষজ্ঞকে দিয়েও এ কথাই বলিয়েছেন। সেই বিশেষজ্ঞ এমনই বিশেষ-অজ্ঞ যে অন্য একটি পত্রিকায় তিনি বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল গড়তে গিয়ে ১৫ জনের দলে রেখেছিলেন সাকলায়েন সজীব নামের এক বাঁহাতি স্পিনারকেও। বাংলাদেশ দলের ভালো আমরাও চাই, কিন্তু সেই ভালো চাওয়ার অর্থ এই নয় যে কোনো বিশেষ খেলোয়াড়কে দেবতার আসনে বসাতে হবে। তার জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ আশরাফুল, আশার ফুল থেকে যিনি এখন গণধিকৃত! এমনকি যে হাবিবুল বাশারের কল্যাণে এক সময় বাংলাদেশ এক চাকার গাড়ি ছিল, গত বিশ্বকাপে সেই তিনিও কী কম গালাগাল খেয়েছেন? সাকিব-তামিমদেরও ফর্ম একদিন খারাপ হবে, আমরা তখনো তাঁদের পাশে থাকব। কিন্তু শুধুমাত্র পারফর্ম করার সুবাদে দলের ভেতরে যা ইচ্ছে তাই করার স্বাধীনতা থাকবে কারো, এটা দলের জন্য কোনোভাবেই ভালো কিছু বয়ে আনবে না। উৎপল শুভ্রকে তাই অনুরোধ, সাকিব-তামিমদের আশরাফুল বানাবেন না, প্লিজ...

হিমু এর ছবি

হাহ হা হা মাকসুদা. আপনি উটপোঁদের আসল উদ্দেশ্য দেখি একেবারে গুলে খেয়ে বসে আছেন!

তাসনীম এর ছবি

উপরের মন্তব্যে গুলো দেখে সামান্য একটু জুড়ে দিতে হোলো।

উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবে যদি কেউ আমাকে অপদস্ত করার চেষ্টা করে, সেটা বোঝার মত বুদ্ধি আমার থাকা উচিত। সেক্ষেত্রে ঐসব লোকদের কথা এক কান দিয়ে ঢুকিয়ে আরেক কান দিয়ে বের করে, নিজের কাজে মনোনিবেশ করব।

সমস্যা হচ্ছে এই লোক যেনতেন কেউ নন, দেশের টপ পত্রিকার ক্রীড়া লেখক। আমার আর আপনার প্যানপ্যান শুনবে দুই একজন লোক, এর এই লোকের উৎপাত সারা দেশের লোক শুনবে। উইথ গ্রেট পাওয়ার কামস গ্রেট রেসপন্সিবিলিটি। এই মূল্যবান কথাটি বলেছেন আঙ্কল বেন। বেন সাহেবের ভাতিজা এই কথাটি মেনেই হিরো হয়েছেন।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

guest writer rajkonya এর ছবি

শুনলে শুনবে। তাতে আমাদের সাকিব সাকিবই থাকবে । এতটুকুও কমবে না।
আপনারা মনে হয় শুধু প্রশ্নগুলোই পড়েছেন। সাকিবের উত্তরগুলো কি দেখেন নি, নাকি? এতে কি মনে হয় সাকিব মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে?

আমারও খুব জানার ইচ্ছে, ভারতের বিরুদ্ধে ঐ ম্যাচের পরে ঠিক কী ধরনের প্রশ্ন সাকিবকে করা উচিত ছিল?

হিমু এর ছবি

মানুষ তো একটা প্রশ্ন শুনে "ভেঙে" পড়ে না। উটের পিঠ ভাঙে শেষ পর্যন্ত একটা খড়। এই যে ক্রমাগত খুঁচিয়ে সাকিবের মুখ থেকে নিজের পছন্দের কথা বের করার চেষ্টা, এটা তো একটা ছোটোলোকি। আর ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচে সাকিব দেখিয়ে দিয়েছে একজন ক্যাপ্টেনকে কেমন খেলতে হয়। বাংলাদেশ চমৎকার খেলেছে সেদিন। কোনো অপরাধে বা ভুলে নয়, বাংলাদেশে হেরেছে প্রতিদ্বন্দ্বী অনেক শক্তিশালী ছিলো দেখে। এই ফ্যাক্টটাকে গোপন করে পরাজয়টাকে "সাকিবের ভুল" হিসেবে দেখানোর যে মরিয়া চেষ্টা শুভ্র করেছে, সেটা নিন্দনীয়। কারণ এই ধরনের জেরার মুখে আরো পাঁচবার পড়তে হবে জেনে মাঠে একজন ক্যাপ্টেন আলগা বিরক্তি আর দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকে। কী ধরনের প্রশ্ন করা উচিত, এটা কোনো সেনসিবল প্রশ্ন নয়, বরং কী ধরনের প্রশ্ন করা থেকে বিরত থেকে ক্যাপ্টেনকে তার টুর্নামেন্টটা নির্ভার হয়ে খেলতে দেয়া ভালো, সেটা নিয়ে আলোচনা চলতে পারে।

এইবার বলেন, আপনি একটা বাচ্চাকে ক্লাসে এক ঘন্টা সাদা দেয়ালের দিকে তাকিয়ে থাকার শাস্তি দিয়েছিলেন। কেন দিয়েছিলেন?

অতিথি লেখক এর ছবি

বিনীতভাবে বলছি, আপনার সাথে একমত যে সাকিবের জবাবগুলো খুবই প্রফেশনাল ছিল। মানসিকভাবে উনি যে ভেঙ্গে পড়েননি তা বোঝা যায়। কিন্তু তাই বলে কি এটা উনার মানসিক দৃঢ়তা যাচাই করার উপযুক্ত সময়? টুর্নামেন্ট চলাকালীন কোন প্রশ্নোত্তর পর্বই প্রয়োজন ছিল না। বড়জোর একটা হাল্কা আলাপচারিতা চালানো যেত; হারজিতের মধ্যে দিয়ে সবাই যে তাদের সাথে আছে সেটা মনে করায় দেওয়া, নতুন ম্যাচগুলো নিয়ে ভাবনা, উনাদের কে উজ্জীবিত রাখতে আমরা মানে আমজনতা কী করতে পারি জানতে চাওয়া যেতে পারে, সর্বোপরি দেশের মানুষকে উনারা কোন মেসেজ দিতে চায় কিনা।
-রু

guest writer rajkonya এর ছবি

রু,
আপনার মত যদি সবাই ভাবতে পারত!
ধন্যবাদ আপনাকে।

শহীদুল্লাহ এর ছবি

উতপল সাহেব যদি প্রশ্নটা একবার করতেন তাহলে কোন সমস্যা ছিলোনা। কিন্তু উনি বারংবার একই প্রশ্ন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কি বের করতে চাইলেন সেটাই বুঝতে পারলামনা।

তাসনীম এর ছবি

আপনি পোস্টের মূল বক্তব্য মনে হয় ধরতে পারছেন না। একটু অন্য কথা বলি - আমার এক বন্ধুকে আমেরিকার একটা লিগ্যাল ব্যাপারের ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছিল। প্রোসেসটার নাম হচ্ছে ডিপোজিশন। মূলত একটা হচ্ছে উকিলের জেরা।

সারাদিনের জেরা শেষে সে জানাল পুরো দিনে উকিল তাকে মূলত একটাই প্রশ্ন করছে। নানান ভাবে, নানা এঙ্গেল থেকে। তাকে বলানোর চেষ্টা করেছে যে ভুলটা তারই।

উৎপল সাহেবের প্রশ্নগুলো নিয়েই কথা হচ্ছে - সাকিবের উত্তর নয়। সাকিবের উত্তর একদম খাঁটি স্পোকসম্যানের মত হয়েছে। কিন্তু নিজের দেশের ক্যাপ্টেনকে টুর্নামেন্ট চলাকালে দেশের সবচেয়ে বড় পত্রিকার সবচেয়ে প্রভাবশালীর সাংবাদিকের এই জেরার দরকার ছিল কি?

আরেকটা ব্যাপার টসে জিতে কী নেওয়া হবে সেটা আগে থেকেই ঠিক করা থাকে। অধিনায়ক সেটা জানান দেন মাত্র। এই তথ্য উৎপল সাহেবের না জানার কথা না।

ঠিক একই প্রশ্ন উৎপল করতে পারতেন, কিন্তু অন্য ভাবে।

এছাড়াও আরও অনেক ভ্যালিড প্রশ্ন ছিল। বাংলাদেশ প্রায় চল্লিশ ওভার পর্যন্ত প্রায় সমানতালে লড়ে যাচ্ছিল। শেষ দশ ওভারে সাংঘাতিক পিছিয়ে পড়ে। সেগুলোর কারণ জানা যেত।

এই নিয়ে লেখা আরেকটা ব্লগের মন্তব্যের কিছু অংশ তুলে দিচ্ছি।

১০ ওভারে: ভারত ৬০/০, বাংলাদেশ ৬৮/১
২০ ওভারে: ১২৯/১, ১১৮/১
৩০ ওভারে: ১৯৪/২, ১৬৯/২
৪০ ওভারে: ২৭৬/২, ২৩৬/৪
শেষ ১০ ওভারে: ভারত ৯৪ রান, আমরা মাত্র ৪৭ রান!

এমনকি ৪০ ওভারের সময়ও আমরা মাত্র ৪০ রান পিছিয়ে ছিলাম, হাতে ছিলো ৬ টি মহামূল্যবান উইকেট। সাথে আরেকটি তথ্য যোগ করা যায়, ইন্ডিয়া পাওয়ার প্লে নিয়েছিলো ওই ৪০ ওভারের ভিতরেই (৩৪-৩৯) আর আমাদের পাওয়ার প্লে হাতেই ছিলো। এসব জিনিস বিবেচনায় নিলে আমাদের ব্যাটিংয়ের প্রশংসায় গা ভাসানো যায় না। শেষের দিকে এসে আমরা স্রেফ অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করেছি।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

guest writer rajkonya এর ছবি

না, ভাই তাসনীম। এতক্ষণে মনে হল আমি আসলেই বুঝতে পারিনি, এই পোস্টের মূল বক্তব্য। আর আইনের মত ঘোরপ্যাঁচালো জিনিশের নাম শুনলেও আমার মাথা ব্যাথা করে। আমি আর ডিপোজিশনে যেতে চাই না।! তবে রাসায়নিক পদার্থের কিছু ডিপোজিশন ঘটে মনে হয়, ঐটুকুই আমার জ্ঞান। :ঃ-/তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে, আপনারা পুরো ব্যাপারটাই বেশি গুলিয়ে ফেলেছেন। আর আপনাদের সাথে আমিও মন খারাপ

এবার হিমু ভাই...

হা হা হা,
আমি কি কখনো এই শাস্তি প্রয়োগ করেছি নাকি? চিন্তিত তাও আবার এক ঘণ্টা? :-?আপনি মনে করিয়ে দিলেন। এখন থেকে এই শাস্তি দেওয়া যায় কি না, সেটা নিয়ে ভাবছি। চিন্তিত এই শাস্তি দিলে শিক্ষার্থীর মনে ক্ষতিকর কী কী প্রভাব পড়ে?
-----------------------------------------------------------------------------------------
আচ্ছা, হিমু ভাইয়া, আপনার এই পোস্টে তো অনেক মন্তব্য পড়েছে। ১০০টিরও বেশি। আপনি আর কতগুলো মন্তব্য চান? (আমার খুব ক্ষুধা লেগেছে। আর মন্তব্য দিতে পারছি না। সারাদিন আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়াটাই আমার কাজ না।)

হিমু এর ছবি

হ্যাঁ, আপনি নিজেই গৌতমের পোস্টে ফলাও করে বলে এসেছিলেন, নইলে জানবো কীভাবে?

একটা ছোটো বাচ্চা ২০-৩০ জনের ক্লাসে বিরক্ত করলে আপনি তাকে তার চোখের উপর চাপ পড়ে, এমন একটা শাস্তি অবলীলায় দিয়ে দ্যান। কেন দ্যান? বিরক্ত হয়েই তো? আর সেখানে ষোলো কোটি লোকের ক্রিকেটিং নেশনের ক্যাপ্টেনকে গিয়ে বিরক্ত করে যেই উৎপল শুভ্র, তাকে কী শাস্তি দেয়া উচিত?

আপনার যেমন সারাদিন আমার প্রশ্নের উত্তর দেয়া কাজ হতে পারে না, সাকিবেরও তেমনি টুর্নামেন্ট চলাকালে সাংবাদিকদের ফালতু প্রশ্নের উত্তর দেয়া কাজ হতে পারে না। আমার পয়েন্ট এটাই।

বাই দ্য ওয়ে, আপনার স্কুলের অভিভাবকরা জানে তো, আপনি এ ধরনের শাস্তি দেন যে? বাচ্চাদের চোখের ওপর চাপ পড়ে কিন্তু। ছোটো ছোটো বাচ্চাদের কাছ থেকে শুধু সম্মান আর ভালোবাসা আদায় করলেই হবে না, তাদের চোখের স্বাস্থ্যের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

guest writer rajkonya এর ছবি

আর আমার ক্লাসে মাত্র ২০-৩০ জন নয়, কমপক্ষে ৫০ জন শিক্ষার্থী থাকে। অনেক ক্লাসে ৬০ জনেরও বেশি। আর বরসন্ধিকালীন ৬০ জন শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণ করে, ক্লাসে পড়ানোর আর সবার সামনে ৬০টা বাঘ নিয়ে সার্কাসে খেলা দেখানো (খেলা দেখানোর আগে খেলা শেখানো) অনেক ক্ষেত্রে একই রকম।
---------------------------------------------------------------------------------------------------------
আচ্ছা, আমি মন্তব্য করলে সেটা পোস্ট হতে এত সময় লাগে কেন?

guest writer rajkonya এর ছবি

কোন কিছুর দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখের উপর যদি চাপ পড়ে তাহলে আমাদের বই পড়া, টিভি দেখা, বোর্ডের লেখা দেখা, সুন্দর কোন ফুল/পাখির দিকে তাকিয়ে থাকা, অথবা, সুন্দরী কোন মেয়ের দিকে তাকিয়ে থাকা বন্ধ করে দিতে হবে দেখছি!

দ্রোহী এর ছবি

সুন্দর ফুল/পাখির দিকে তাকিয়ে থাকা অথবা সুন্দরী কোন মেয়ের দিকে তাকিয়ে থাকার সাথে সাদা দেয়ালের দিকে মুখ করে দাঁড় করিয়ে রেখে শাস্তি দেবার পার্থক্যটুকু কি বুঝতে পারছেন না?

হিমু এর ছবি

এই মহিলা যে উটপোঁদের ফ্যান, এটা বিচিত্র কিছু নয়। উটপোঁদের জনভিত্তি কোথায়, সেটা পরিষ্কার করার জন্যে ওনাকে ধন্যবাদ।

guest writer rajkonya এর ছবি

দু;খ হচ্ছে, আমি হিমু ভাইয়েরও ফ্যান। মন খারাপ

guest writer rajkonya এর ছবি

ঠিক আছে, তাহলে ওদের এখন থেকে জানালা দিয়ে বাইরে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে বলব।

দ্রোহী এর ছবি

আমার কেন জানি মনে হচ্ছে আপনি বিষয়টাকে মজা হিসাবে নিচ্ছেন।

বিদেশে বাচ্চাদের স্কুলে শিক্ষিক হবার জন্য "ওয়ার্কিং উইথ চিলড্রেন" নামে একটা লাইসেন্স নিতে হয়। এই লাইসেন্স অনেকটা ডাক্তারি লাইসেন্সের মত। সামান্য ভুলের কারণে সারাজীবনের জন্য শিক্ষকতা করার লাইসেন্স হারায় অনেক মানুষ।

আমাদের দেশে এইসবের বালাই নেই। থাকলে সাদা দেয়ালের সামনে দাঁড়া করিয়ে শাস্তির দেবার পক্ষে যে কথাগুলো ঘ্যানঘ্যান করে বলে যাচ্ছেন এবং পাঠকদের আপত্তিটুকু নিয়ে ক্রমাগত মজা করে যাচ্ছেন সেগুলোকে গুরুতর অপরাধ হিসাবে গন্য করা হত।

অনার্য সঙ্গীতের মত আমারও মনে হচ্ছে আসলেই আপনার সমস্যা আছে।

guest writer rajkonya এর ছবি

খুন না করেও খুনি অপবাদ জুটল আমার।

আমি কেন শাস্তি দেবার পক্ষে ঘ্যান ঘ্যান করতে যাব? তাই যদি হত তাহলে শিক্ষার্থীদের ডায়রিতে অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে মারধোর যেন না করা হয় এ জাতীয় কথা লিখে দিতাম না।
আপনারা বার বার এটাই প্রমাণ করতে চাইছেন আমি শিক্ষার্থীদের সাদা দেয়ালের সামনে তাকিয়ে থাকার শাস্তি দিয়ে থাকি। আর তাই আমার সমস্যা আছে।
আমি কি আসলেই ওদের কখনো এই শাস্তি দিয়েছি? আমি শুধু এই শাস্তির কথা শুনেছি আমার ট্রেইনিং করতে গিয়ে। সেটাই তো বলেছিলাম মাত্র। সেটাকেই যদি পক্ষে ঘ্যান ঘ্যান করা মনে হয় তাহলে কিছুই বলার নেই। শাস্তি দিতে কারোরই ভাল লাগে না। শুধু তাই না, শাস্তি দিতে গেলে ক্লাসের অনেকটা সময় নষ্ট হয়ে যায়। একটা ক্লাসে একজন শিক্ষককে অনেকগুলো দায়িত্ব পালন করতে হয়। তাদের পূর্ব পাঠ যাচাই, বাড়ির কাজ আদায়, আজ যা পড়ানো হবে তার জন্য শিক্ষার্থীদের মানসিক ভাবে তৈরি করা, ক্লাস পরিচালনা, ক্লাস নিয়ন্ত্রন, পাঠ প্রদান, শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন, বাড়ির কাজ প্রদান। এর মধ্যে তুচ্ছ ব্যাপার নিয়ে শিক্ষার্থীদের শাস্তি প্রদান করে ক্লাসের সময় নষ্ট করার মানে হয় না। তবে একটা ক্লাস সুন্দরভাবে পরিচালনার সময় দু/একজন পাজি শিক্ষার্থী থাকেই ক্লাসটা পণ্ড করার তালে। এবং তারা সচেতনভাবেই দুষ্টামি করে থাকে। এদেরকেও যদি বলেন নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না, সেক্ষেত্রে কি আর বলব? (আবার নিয়ন্ত্রণ করার কথা বলেছি দেখে এটা ভেবে বসার কারণ নেই যে শারিরীক শাস্তি দিয়েই শুধু নিয়ন্ত্রণ করার কথা বলছি।) একটি ক্লাস কিভাবে সুন্দর করে পরিচালনা করা যায় তার অনেক উপায় ইতোমধ্যেই বের করা হয়েছে। সেগুলোর কিছু কিছু আমি জানি। ক্লাসে প্রয়োগ করার চেষ্টাও করি। তবে সব তো আর জানি না!

পেশটা আমার শিক্ষকতা হলেও আমি কিন্তু কাউকে কিছুই শেখাই না। কেন না, কেউ কাউকে কিছু শেখাতে পারে না। যা শেখার নিজে নিজেই শিখতে হয়। আমি শুধু শেখার ব্যাপারে সাহায্য করি আর শেখার পরিবেশটা তৈরি করে দেই। এইটুকুই। আর নিজেও সারাক্ষণই শিখছি। আমি যতটা না শিক্ষক তার চেয়ে বেশি শিক্ষার্থী।

আমি তো আর আপনাদের মত এত দেশ বিদেশ ঘোরা মানুষ নই। তার উপর আপনাদের মত এত শিক্ষাগত যোগ্যতাও নেই। সেজন্যই আপনাদের কাছ থেকে পাজি শিক্ষার্থীদেরকে ক্লাসে নিয়ন্ত্রণ করার কিছু উপায় জানতে চাইছিলাম। নিশ্চয়ই আপনাদের কাছ থেকে আরো সুন্দর, সুচিন্তিত ও প্রয়োগযোগ্য মতামত পাব।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

কোন কিছুর দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখের উপর যদি চাপ পড়ে তাহলে আমাদের বই পড়া, টিভি দেখা, বোর্ডের লেখা দেখা, সুন্দর কোন ফুল/পাখির দিকে তাকিয়ে থাকা, অথবা, সুন্দরী কোন মেয়ের দিকে তাকিয়ে থাকা বন্ধ করে দিতে হবে দেখছি!

আমি এবার সত্যিই অবাক হচ্ছি আপনার চিন্তাভাবনার প্রসারতা দেখে। আপনি এটা বুঝতে পারছেন না শাস্তি দেয়ার সাথে এই উদাহরণগুলোর পার্থক্য কোথায়?

দু:খিত, কিন্তু আপনাকে আমি অনুরোধ করবো বিষয়টা নিয়ে অত্যন্ত গভীর ভাবে চিন্তা করতে; বিশেষ করে আপনি যদি বাচ্চাদের পড়ানোর মতো কঠিন কাজটি করেন। বাচ্চাদের পড়ানো প্রথাগত শিক্ষাদানের বাইরে আরো কঠিন একটা কাজ।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

এই শাস্তি দিলে শিক্ষার্থীর মনে ক্ষতিকর কী কী প্রভাব পড়ে?

পোস্টের সঙ্গে মন্তব্যটি যায়না। এটি সম্পূর্ণ অফটপিক। কিন্তু আপনাকে এই কথাটি জানানো প্রয়োজন। একজন শিক্ষক হয়ে যদি আপনি জানতে চান সাদা দেয়ালের দিকে তাকিয়ে থাকতে বাধ্য করলে একটি শিশুর মনে কী প্রভাব পড়তে পারে, তাহলে আমি বলব দয়া করে শিক্ষকতা ছেড়ে দিন। আপনি যদি সত্যি এরকম শাস্তি কখনো দিয়ে থাকেন তাহলে আপনার চিকিৎসা হওয়া প্রয়োজন। আপনি মানসিকভাবে অসুস্থ!

এখন থেকে এই শাস্তি দেওয়া যায় কি না, সেটা নিয়ে ভাবছি।

আপনার কাছে যেসব শিশুরা শিখতে আসবে তাদের জন্য মায়া লাগছে। সত্যি কথা বলতে তদের কথা ভেবে আমি আতঙ্কিত!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

হিমু এর ছবি

সঙ্গীত, আপনার যদি কখনো সুযোগ হয়, তাহলে মিউনিখের অদূরে ডাখাউতে যাবেন। ওখানে জার্মানির প্রথম কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প, ডাখাউ কনৎসেনট্রাৎসিওনসলাগার আছে। পেটার বুখমান নামে এক ক্যাথলিক পাদ্রী আমাদের সেটি ঘুরিয়ে দেখিয়েছিলেন আজ থেকে সাত বছর আগে। কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পের পেছন দিকে একটি দুই মানুষ উঁচু ধূসর দেয়াল আছে, যেটার গায়ে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করা হতো ক্যাম্পের পলায়নেচ্ছুক কয়েদীদের। এই কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে প্রচলিত প্রায় প্রতিটি শাস্তি সাক্ষীদের কাছ থেকে জেনে নিয়ে ডকুমেন্ট করা হয়েছে। তার মধ্যে একটা শাস্তি ছিলো, এই ফায়ারিং স্কোয়াডের দেয়ালের দিকে সারাদিন হাঁটু গেড়ে বসে তাকিয়ে থাকার শাস্তি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা কম নিয়েও মাস্টারি করা যায়, তবে মানবিক গুণাবলী পুরোদস্তুর থাকা উচিত। দুটোই কম থাকলে অন্য কোনো পেশা, যেমন ক্রীড়া সাংবাদিকতা বেছে নেয়া যায় বোধহয়।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

হিমুভাই, আমার খুব পছন্দের বিষয় বলেই আমি সাইকোলজির উপর দীর্ঘ পড়াশোনা করেছি। আমি খুব স্পষ্টভাবেই জানি ব্যাপারটা কীরকম। আমি খুব জেনেবুঝেই ওনাকে মানসিকভাবে অসুস্থ বলেছি। এটা ব্যক্তি আক্রমণ বলে উনি আমার বিরুদ্ধে সচলায়তনে অথবা অন্য যে কোথাও অভিযোগ করতে পারেন তা জেনেই। কারণ এটি সত্যি কথা! আমি রেফারেন্স টেনে প্রমাণ করতে পারবো আমি আবেগের বশে কিছু বাড়িয়ে বলে বসিনি। আমি সত্যি সত্যিই ওনার ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবে আতঙ্কিত!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

guest writer rajkonya এর ছবি

গৌতম ভাইয়ের পোস্টে আমি এ ধরনের কথা বলেছি নাকি? এটা তো অন্য পোস্টের কথা! শারিরীক শাস্তি এড়ানোর জন্যই এধরনের শাস্তির কথা আমি আমার ট্রেইনিং থেকে শুনেছি। এটাই আমি ঐ পোস্টে বলেছিলাম। সেখানে একজন জানতে চেয়েছিল, এই শাস্তি দিলে কত ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে তা আমি জানি কি না! কিন্তু পরে ঐ পোস্টে আর মন্তব্য করা যায় নি বলেই প্রশ্নের উত্তরটা জানতে পারিনি। এখানে আপনি এই প্রসংগটা প্রাসঙ্গগিকভাবে (আপনার বেলায় প্রাসংগিক) টেনে আনলেন বলেই আমি অপ্রাসংগিকভাবে (আমার বেলাতে অপ্রাসংগিক) জানতে চেয়েছিলাম ক্ষতিকর প্রভাবের কথা।
আর এ ধবনের শাস্তি তো আমি দেইও নি। শিক্ষার্থীদের তো শাস্তি আমরা দিতেও চাই না। ঠিক আছে, আপনারাই বলুন হাঁড়ে হাঁড়ে বদমায়েস শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে শাস্তি না দিয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়? (আপনাদের শিক্ষকদের কথা ভেবে আমার মায়া লাগছে)।

প্রসঙ্গগত আরেকটি অপ্রাসংগিক প্রশ্ন করতে ইচ্ছে, আপনারা শিক্ষকতা পেশায় আসছেন না কেন? অথবা ক্রীড়া সাংবাদিকতার মত পেশায়?
------------------------------------------------------------------------------------------------
তারচেয়েও বড় কথা, আমি তো বললামই, যে, এই সাক্ষাৎকারটি কোথাকার কোন উৎপল শুভ্রর নেওয়া ঠিক হয়নি। খাইছে
-------------------------------------------------------------------------------------------------
হিমু ভাই, আপনার নেওয়া একটা সাক্ষাৎকার কিন্তু আমার শোনার সৌভাগ্য হয়েছিল। খাইছে চোখ টিপি

হিমু এর ছবি

আপনাকে রগ কাটার প্রশিক্ষণ দিলে মনে হচ্ছে আপনি বাচ্চাদের রগ কেটে দিয়ে বলবেন, রগ কাটলে মনের ওপর কী ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে?

আমরা শিক্ষকতা কিংবা ক্রীড়া সাংবাদিকতা পেশায় গেলে আপনার আর উৎপল শুভ্রের কী হবে, ভেবে আর যাওয়া হয়নি।

আর অতীতের পোস্ট পড়তে থাকুন,.আরো সাক্ষাৎকার শুনে দেখুন, কীভাবে সাক্ষাৎকার নিতে হয়। শেখার অনেক কিছু পাবেন চোখ টিপি । জানার কোনো শেষ নাই।

guest writer rajkonya এর ছবি

কি যে বলেন না, হিমু ভাই! আপনি এত শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে কেন শিক্ষকতার মত পেশায় আসতে যাবেন? তবে আমার তো আপনাদের মত এত যোগ্যতা নেই। তাই জানতে চাইছিলাম, পাজি আর দুষ্টু শিক্ষার্থীদের ব্যপারে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত?
এই সাক্ষাৎকার পড়ে আপনার নার্ভের যে অবস্থা দেখতে পাচ্ছি! ওদের দুষ্টামির কবলে পড়লে না জানি কী করতেন!
----------------------------------------------------------------------------------
জ্বী ভাইয়া, এখন থেকে শুধু আপনার নেওয়া সাক্ষাৎকার শুনেই শিখব কীভাবে সাক্ষাৎকার নিতে হয়। খাইছে

হিমু এর ছবি

পাজি আর দুষ্টু শিক্ষার্থীদের উৎপল শুভ্রের আর্টিকেল ১০ বার খাতায় লিখতে দেয়া উচিত।

কিছু কিছু জিনিস একবার ঘটলেই নার্ভের উপর চাপ পড়ে, রোজ রোজ ঘটার প্রয়োজন হয় না। আপনার গৃহশিক্ষক হুজুর আপনাকে একবার জাপটে ধরার পর আপনার যেমন নার্ভের ওপর চাপ পড়েছিলো। এই সাক্ষাৎকারটাও সেরকমই ধরে নিতে পারেন।

guest writer rajkonya এর ছবি

দুঃখ হচ্ছে, হিমু ভাই। আমি আপনার ফ্যান ছিলাম। :'(

হিমু এর ছবি

আপনার মতো ফ্যান হারিয়ে হাউমাউ কান্দোন আইসা পল্ল :'(

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার গৃহশিক্ষক হুজুর আপনাকে একবার জাপটে ধরার পর আপনার যেমন নার্ভের ওপর চাপ পড়েছিলো।

হিমু, উপরের উক্তিটি করার জন্য আপনার মাফ চাওয়া উচিত। -রু

হিমু এর ছবি

আপনার ঔচিত্যবোধের দুই পয়সাও দাম দিতে পারলাম না, দুঃখিত।

অপছন্দনীয় এর ছবি

আমি দুঃখিত হিমুভাই, এই একটা ক্ষেত্রে আপনার আচরণে আপত্তি না জানিয়ে থাকতে পারলাম না। হুজুরের ব্যাপারটা টেনে না আনলেও চলতো।

হিমু এর ছবি

আপনি যখন আমার সাথে আমার নার্ভে চাপ পড়া নিয়ে কিছু বলতে আসবেন, এটা জেনে আসবেন যে আমি আপনাকে প্রত্যুত্তরে এমন কিছু বলবো, যাতে করে নার্ভে চাপ পড়ার ব্যাপারটা আপনার কাছে একেবারে দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়। অন্যের নার্ভে চাপ পড়া নিয়ে ফোড়ন কাটতে গেলে, এটা হচ্ছে রুল অব এনগেজমেন্ট। এটা পছন্দ না হলে কিছু করার নাই।

আবির আনোয়ার এর ছবি

হিমু ভাই আপনাদের কথার মাঝখানে গুড় লাগানোর জন‌্য দুঃখিত। রুল অব এনগেজমেন্ট নিয়ে বলার কিছু নেই, সে ব্যাপারে আপনার কথাই ঠিক তবে নার্ভে চাপ ফেলার জন্য হুজুরের ব্যাপারটা না টেনে অন্য কোন উদাহরন ব্যাবহার করলে ভাল হত।

মণিকা রশিদ এর ছবি

হুম! পাজী ও দুষ্টু শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে কী কি করতে হব!এই বিষয়ে আমার সামান্য লেখাপড়া আর অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, জানতে হবে কেন শিক্ষার্থী এরকম করছে! আমি পাঁচ থেকে ছয় বছরের বাচ্চাদের এখন পড়াই; আগে পড়াতাম ১২ থেকে ১৬ বছর বয়সীদের। ক্লাসে আগে ছিল ৪০ /৪৫জন , এখন গড়ে ২৫ জন গড়ে। ্কোনদিন শারিরীক বা মানসিক শাস্তি দেবার দরকার হয়নি। শিশু মনস্তত্ব বলে একটা বিষয় আছে, তার সাথে আছে চাইল্ড গাইডেন্স (বাংলাটা ঠিক মনে পড়ছে না) বলে আরো একটা বিষয়। সামান্য মনোযোগ দিয়ে এই দুটি বিষয় বুঝতে চেষ্টা করলে একজন শিক্ষককে আর শাস্তির দিকে যেতে হয়না বলেই আমার বিশ্বাস।

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আর এ ধবনের শাস্তি তো আমি দেইও নি। শিক্ষার্থীদের তো শাস্তি আমরা দিতেও চাই না। ঠিক আছে, আপনারাই বলুন হাঁড়ে হাঁড়ে বদমায়েস শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে শাস্তি না দিয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়?

কী ধরনের শাস্তি দিয়েছিলেন? "হাড়ে হাড়ে বদমাশ" কথাটি শিক্ষক হয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে কি বুঝেশুনে ব্যাবহার করলেন! তাও জনসমক্ষে!? অ্যাঁ

(আপনাদের শিক্ষকদের কথা ভেবে আমার মায়া লাগছে)।

এখন ভাবলে আমারো লাগে। এজন্যই বুঝতে পারি কীরকম উঁচু মাপের মানুষ ছিলেন তাঁরা। আমার বেশিরভাগ শিক্ষকের কথা মনে হলে এখনো শ্রদ্ধায় নত হয়ে আসি। আপনার শিক্ষার্থীদের এরকম সুখকর অভিজ্ঞতা তৈরি হবেনা ভেবে খারাপ লাগছে!

প্রসঙ্গগত আরেকটি অপ্রাসংগিক প্রশ্ন করতে ইচ্ছে, আপনারা শিক্ষকতা পেশায় আসছেন না কেন? অথবা ক্রীড়া সাংবাদিকতার মত পেশায়?

আপনার কেনো মনে হচ্ছে এখানে আপনি ছাড়া আর কেউ শিক্ষকতা অথবা সাংবাদিকতা করেননি!? না জেনেই এরকম সিদ্ধান্ত কেনো নিয়ে ফেললেন!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনারাই বলুন হাঁড়ে হাঁড়ে বদমায়েস শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে শাস্তি না দিয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়?

এক্জন শিক্ষক তার শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে কিভাবে এইরকম কথা বলতে পারে।অনেক সাহস করে দেশে ফিরে যাচ্ছি।কিন্তু আপনার মন্তব্য পরে ত ভয়ই লাগছে।নিজের সন্তানদের কি তাহলে আপনার মত শিক্ষার্থীদের প্রতি অশ্রদ্ধাশীল, অবিবেচক শিক্ষক এর হাতে তুলে দিয়ে ওদেরকে মানসিক ভাবে অসমথ করে দিতে যাচ্ছি।শিক্ষার্থীদের প্রতি আপনার বক্তব্য এবং মনভাব খুবই আপত্তিকর।

প্রসঙ্গগত আরেকটি অপ্রাসংগিক প্রশ্ন করতে ইচ্ছে, আপনারা শিক্ষকতা পেশায় আসছেন না কেন?

--আপনাকে জানাচ্ছি আমি নিজেও আপনার পেশার ই এক্জন যদিও বাচ্চাদের না তারপর শিক্ষার্থী হিসাবে সবার ই সম্মান প্রাপ্য সে বাচ্চা ই হোক আর বড়ই হোক।
-জলতরঙ

ধুসর গোধূলি এর ছবি

ব্যায়ামবীরদের কুস্তি সাইড লাইনের দিকে চলে যাচ্ছিলো দেখে টেনশন হচ্ছিলো। আউট হয়ে গেলে তো পিরোবলেম। তবে এখন আবার মাঝমাঠ থেকে শুরু হয়েছে। শোকর আলহামদুলিল্লাহ্‌।

অতিথি লেখক এর ছবি

গতকাল উটপোঁদ শুভ্রের কাছে একটা প্রশ্ন রেখেছিলামঃ আপনি যেভাবে নিজের গায়ে “আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন” এর তকমা লাগিয়েছেন তার পেছনে বাংলাদেশ ক্রিকেটের অবদান কতটুকু? আসলে উটপোঁদ শুভ্র যেই ক্রিকেটকে পুঁজি করে এতদূর এসেছেন এখন নিজেকে জাহির করার জন্য সেই ক্রিকেটের থালা ফুটো করার চেষ্টায় নেমেছেন। আমরা ব্রিটিশ মিডিয়াকে দুয়ো দেই তাদের হাইপ তৈরী করার স্বভাবের জন্য। অথচ তারা এর সাথে আরেকটা কাজও করে। বিপক্ষ দলের ভূলগুলো খূঁজে বের করা এবং তাদের দূর্বলতা ধরিয়ে দেয়া। নিজের দলের মধ্যে কৃত্রিম দূর্বলতা তৈরী করা নয়। দলকে মানসিক শক্তি না দিতে পারলে অন্তত মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করা কোনোভাবেই ঊচিত নয়।

- দৃঢ়

হিমু এর ছবি

উটপোঁদের কিন্তু আন্তর্জাতিক পরিচিতি আছে। কারণ ব্রায়ান লারা তাকে দেখলেই চিনে ফেলার কথা, এই সেই লোক যাকে সাক্ষাৎকারের মাঝপথে তিনি কানে ধরে খেদিয়ে দিয়েছিলেন। এরকম আরো কয়েকটি দেশের আরো কিছু খেলোয়াড় ও সাংবাদিক হয়তো তাকে বিদেশের রাস্তাঘাটে বিচিত্র কর্মকাণ্ড কিংবা কথাবার্তার কারণে শনাক্ত করতে পারবেন। কিন্তু পরিচিতি আর খ্যাতি দুটো যে সবসময় সমার্থক নয়, সেটা তো বুঝতে হবে।

পাঠক চিজ এর ছবি

টস দি‌‌য়েই যদি হারা জেতা হয় তাহলে খেলার দরকার কি ? কোমরে জোর নেই তাই হেরেছি । আসল কথা হল, আমাদের ভাল মানের দুজন বোলার দরকার । ২৩ বছরের সাকিবের দল বেশ ভাল খেলে ২৮৩ করেছে । উটপোঁদের এটা বুঝার কথা নয়। কারন উনি উটপোঁদ ।

দ্রোহী এর ছবি

আশা করছি সাকিব আজ মাঠে নামার আগে উটুদাকে ফোন ঠুকে তার আদেশ-নির্দেশগুলো জেনে নেবে।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

হা হা হা. মনে হয় তাই করেছে; টসে জিতে তো ব্যাটিং নিল চোখ টিপি

ferioala33 এর ছবি

আজকে চরম খেলছে ব্যাটা অ্যাশের বাচ্চা!!!

হিমু এর ছবি

উটপোঁদের ষড়যন্ত্র সফল।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

@ssrafool

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

রিপন মজুমদার এর ছবি

উৎপলের উৎপাত আর কত? শিরোনামে এমনই একটি টপিক পড়েছিলাম যা গত শুক্রবারের ম্যাচের আগে সাকিবের কাছে পৌঁছানোর কোন উপায় না পেয়ে পুরো লিখাটি কপি করে মেইল করেছিলাম বিসিবিকে। এখন এই লিখাটি পড়ে মনে হচ্ছে, আগামী শুক্রবারের ম্যাচের আগে এটাও সাকিবের নিকট পৌঁছানোর দরকার।

টপিক তো বটেই, কমেন্টগুলোও সাকিব কে অনুপ্রাণিত করবে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।