প্রথম সন্ধ্যাটির কথা মনে আছে স্পষ্ট। খালের দুই পাশে খাড়া পারে সটান ভুরু কুঁচকে দাঁড়িয়ে প্রকাণ্ড সব ঋজু নাম না জানা বৃক্ষ, তাদের পাতার আড়ালে লুকানোর নিরর্থক চেষ্টা করছিলো আমার পিছু নেয়া চেরা চাঁদ, তাই আমার ছোট্টো ডিঙিযাত্রার পুরোটাই ছিলো গাছের পাতার বীভৎস সব ছায়ায় রঞ্জিত। সরু খালে নিরুদ্বিগ্ন কুমীরের মতো লগির ঠেলায় ভেসে চলছিলো আমার ডিঙি, যতক্ষণ পর্যন্ত পারুলবালার ঘর বরাবর খালের পাশে একটা হিজল গাছের গোড়ায় লাল কাগজে মোড়ানো হারিকেনটা এসে না দাঁড়ালো। পারুলবালা রেখে গিয়েছিলো সেই লণ্ঠন, হয়তো সূর্য ডোবার পরপরই।
আমি লণ্ঠনটা উঠোনে নামিয়ে রেখেই পারুলবালার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ি, তারপর তার সাথে মিলিত হই। খোলা আকাশের নিচেই, তার খোলা উঠোনেই, তার বাড়ির পাশের প্রকাণ্ড কয়েকটি সুপারি গাছকে সাক্ষী রেখেই। উদ্দাম সঙ্গম করি পারুলবালার সাথে, তার তরুণী শরীরটি পিষ্ট হয় আমার প্রাবল্যে।
সঙ্গম শেষে পারুলবালা সুখী হয়, হাসে, আমরা দুজনেই আমাদের পিঠ উপহার দিই মাটিকে, আর আকাশকে দিই দৃষ্টি। সেখানে কিছু তারা পারুলবালাকে প্রশ্ন করে মিটমিট করে, মূর্খ পারুলবালা তারার ভাষা বোঝে না। সে শুধু ভেতরের স্বপ্নের কথা শোনে, একটি শিশুর জন্যে লোভে কাতর হয়ে সে ভুলে যায় আর সব ভাষা, এমনকি আমার ভাষাও। তাকে একাধিকবার প্রশ্ন করি, কেমন লাগলো এই সঙ্গম, সে হাসে, অন্য কোনো ভাষায় অন্য কারো অন্য কোনো প্রশ্নের উত্তরে। কিন্তু বিশ্বাসঘাতক নক্ষত্রদের প্রশ্ন আমি পড়তে পারি, তারা পারুলবালাকে চিৎকার করে বলছে অন্য এক পৃথিবী থেকে, পারুলবালা, তোমার কি সন্তান হবে?
পারুলবালার পাশে শুয়ে শুয়ে বাতাসের সাথে সুপারি গাছের পাতার বচসা শুনি, পারুলবালার ঊষ্ণ নরম দুটি স্তন তার নিঃশ্বাসের ছন্দে বারে বারে বোবা চোখে ফিরে দেখে আমাকে, অন্ধকার ভেদ করে। আর আমার হাঁটুর ওপর দিয়ে একটা ঘিনঘিনে পিচ্ছিল কী যেন মন্থর গতিতে চলতে থাকে।
আমি ছিটকে উঠে বসি, কী ওটা? কী?
পারুলবালা মাটিতে চিৎ হয়ে শুয়েই হাসে রিনিঝিনি। সাপ, বাস্তুসাপ। ওর নাম বাসুকী।
মাটিতে নামিয়ে রাখা লণ্ঠনটি যতদূর পারে, আলো ফেলে দেখায় বাসুকীকে। একটি বয়স্ক চন্দ্রবোড়া, ধীর আলস্যে পারুলবালাকে টপকে কোথায় যেন হারিয়ে যায় অন্ধকারে। আমার বুকটা কেঁপে ওঠে। বলি, কামড়াবে না?
পারুলবালা হাসে, বলে, জানি না।
পারুলবালা কাত হয়ে শুয়ে আমাকে আবার আহ্বান করে। তার জঙ্ঘা রঙিন হয়ে ওঠে লণ্ঠনের আলোয়, আমি আবার উত্থিত হই। কিন্তু এবার আর উঠোনে নয়, পারুলবালাকে পাঁজাকোলা করে তুলে নিয়ে যায় তার ঘরে, তার শূন্য ঘরে, যেখানে আর কেউ নেই, যেখানে পারুলবালা একটি শিশুকে চায়। পারুলবালার একলা বিছানায় তাকে শুইয়ে আমি আবার প্রবিষ্ট হই তার ভেতরে, আবার সঙ্গম করি, বারবার, অনেকবার। পারুলবালা তৃপ্ত হয়, সে শীৎকার করে, আর হাসে, আমার অজানা কোনো ভাষায়, অজানা কারো অজানা কোনো প্রশ্নের উত্তরে।
রাতে বিদায় নিই পারুলবালার কাছ থেকে, সে বিছানায় শুয়ে থাকে হাসিমুখে, অন্ধকারে জেগে থাকে তার চোখের জমিন, দুসারি শুক্তিশুভ্র দাঁত। আমি উঠোনে নেমে লণ্ঠন উঁচিয়ে বাসুকীকে খুঁজি। তাকে না পেয়ে ফিরে যাই আমার ডিঙির কাছে। খালের জলে আবার আমার পিছু নিতে থাকে পঙ্গু চাঁদ।
বার বার ফিরে আসি পারুলবালার কাছে, কয়েক দিন পর পর। পারুলবালার বাড়ির কাছে খালের ধারে রেখে যাওয়া লণ্ঠনটি পরিচিত হয়ে ওঠে ক্রমশ, ভোল পাল্টে আমার পেছন পেছন চলতে থাকে চাঁদ, একদিন একেবারে গায়েব হয়ে যায় সে। সেদিন উঠোনে পারুলবালাকেও দেখি বিমর্ষ মুখে।
তার কামনা ছিলো, তার রজস্রাব থেমে যাবে, একটি বিশুষ্ক সপ্তাহ এসে তার কানে জানাবে তার সন্তানের সংবাদ। কিন্তু তেমন কিছু হয়নি, পারুলবালার শরীর চলছে তার নিজ ছন্দে। কারণটা আমি জানি, কিন্তু কথা বলার জন্য তো আমি পারুলবালার কাছে আসিনি। আমি আমার শিশ্নটি উদ্যত করে পারুলবালাকে বিদ্ধ করি শুধু, বারে বারে। বলি, হবে। সময় লাগবে।
সঙ্গমের পর আকাশের দিকে তাকিয়ে পারুলবালাকে স্বপ্ন দেখাই, বলি পারুল, তোমার শিশুটি যখন আসবে, তখন তুমি কীভাবে খবর দেবে আমাকে?
পারুলবালা হাসে। আমি জানি, এ হাসি আমার প্রশ্নের উত্তরে নয়। পারুলবালার ভেতরে তার গোপন স্বপ্ন কথা বলছে তার সাথে, অবিরত।
আমি বলি, পারুল, তোমার জন্য একটা কবুতর এনে দেবো? তার পায়ে একটা চিঠি বেঁধে আমাকে পাঠিও?
পারুলবালা পাশ ফিরে আমার বুকের ওপর একটা হাত রাখে। বলে, আচ্ছা।
তারপর আবার মৈথুনে ফিরে যাই আমরা।
সেই রাতে পারুলবালার বাড়ি থেকে ফিরে সরকারকে চিঠি লিখি আমি। বলি, কবুতর লাগবে। প্রতিটি ঘরের পারুলবালার জন্যে কবুতর লাগবে। কবুতর ছাড়া পারুলবালা অচল, একাকী, দুর্বল।
সরকার আমার কথায় রাজি হয়। রাজি না হয়ে তার উপায়ও নেই। কয়েক মাসের মধ্যে গ্রাম আর শহর ছেয়ে যায় কবুতরে। তারা উড়তে থাকে দিগ্বিদিক, প্রত্যেকেরই আছে নিজস্ব বার্তা আর গন্তব্য।
আমি পারুলবালার কাছে ফিরি। দেখি উঠোনের অন্ধকারে সে বসে একাকী, উদ্বিগ্ন।
আমি লণ্ঠন উঠোনে নামিয়ে রেখে পারুলবালাকে বুকে টেনে নিই। তার স্তনবৃন্ত যতটা না জাগে আমার পীড়নে, তারচেয়ে বেশি জেগে ওঠে কোনো শিশুর ঠোঁটের জন্য। আমি পারুলবালাকে শোষণ করি দীর্ঘক্ষণ, তারপর মিলিত হই। পারুলবালা কেবল সঙ্গমের ফাঁকে ফাঁকে কাতর স্বরে বলে, হলো না তো, হলো না।
আমি অঢেল বীর্য দিয়ে যাই পারুলবালার জরায়ুতে, রাতের পর রাত, আর তাকে স্বপ্ন দেখাই। বাতাস আর বৃষ্টি এসে পারুলবালার সুপারি গাছে দূর সাগরের খবর জানিয়ে যায়, বাসুকী নিরুদ্বেগে বুকে হাঁটে আমার আর পারুলবালার শরীরের ওপর দিয়ে।
একদিন কৌতূহল হয়, বলি, বাসুকী কি মাদী সাপ, না মদ্দা?
পারুলবালা হেসে শুধু বলে, জানি না।
আমি বলি, তুমি ওকে চেনো না?
পারুলবালা ভাবে কিছুক্ষণ, তারপর বলে, জানি না। ও তো আছে, আমার জন্ম থেকেই। এই সুপারি গাছের মতো, এই খালের মতো, কেবল জানি আছে। সবসময় একই রকম।
আমি বলি, তাহলে বাসুকী মদ্দা সাপ।
পারুলবালা ফিসফিস করে বলে, কিংবা আমার মতো মাদী!
আমি শিহরিত হই, উত্থিত হই আবার, তারপর আবার পারুলবালার ভেতরে ডুব দিই। পারুলবালা কাতর শীৎকারে রাতের পর রাত আমার কানে কানে বলে, হলো না তো!
পারুলবালার শরীরের চক্র ভাঙে না। দিন যায়, বছর ঘোরে। কিন্তু পারুলবালার শরীর পুরনো হয় না। কী এক মাদক স্বপ্নের চাপে পারুলবালা তরুণীতর হয়, তার স্তন দু'টি দৃঢ়ই থাকে, তার নিতম্বও অটুট থাকে, তার মসৃণ ঊরু দুটি মসৃণতর হয়ে আমার জানুদেশ আলিঙ্গন করে।
একদিন পারুলবালাকে বলি, তোমার শিশুটি ভূমিষ্ট হলে, তার মুখে মধু দেবে না পারুল?
পারুলবালা হাসে, লণ্ঠনের কাঁচ যেন পড়ে খান খান হয় উঠোনে, বলে, হ্যাঁ, মধু দেবো, মধু!
আমি বলি, হ্যাঁ, তোমার শিশুটির জন্যে মধু লাগবে।
সে রাতে ফিরে আসি, সরকারকে চিঠি লিখি। বলি, মধু লাগবে পারুলবালাদের শিশুদের জন্যে। সরকার রাজি হয়। আমার লোকেরা মধুর চাষ শুরু করে সব সরষে ক্ষেত আর পদ্মদীঘির পাশে। নিযুত অর্বুদ মৌমাছি সারা দেশ চষে মধুসঞ্চয় করে।
পারুলবালার কাছে ফিরি কয়েক মাস পর, মধুর আয়োজন শেষ করে। ঘাটে একটি ক্লান্ত লণ্ঠনের মুখ আমাকে দেখে একটু উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। তাকে বহন করে নিয়ে তার আলোয় পারুলবালার মলিন কালিমাক্লিষ্ট মুখটি দেখি। সে নিরুচ্চারে আমাকে জানায়, হলো না কিছু।
উত্তর করি না, শুধু সঙ্গমে মেতে উঠি, পারুলবালার রসসিক্ত শরীরটিকে পিষ্ট করি, ভোগ করি, উপভোগ করি। সুপারি গাছের ওপর দিয়ে হিংস্র মুখ ব্যাদান করে একটি পরিচিত চাঁদ, বাসুকী মন্থর হয়ে অতিক্রম করে আমাদের।
পারুলবালার হাসি জাগিয়ে রাখি। দিনের পর দিন। বছরের পর বছর। তার ভেতরের স্বপ্নও বৃদ্ধ হয় না, একই ভাষায় কথা বলে পারুলবালার সাথে। অন্ধকারে চিত হয়ে শুয়ে হাসে পারুলাবালা, আর আমার কথায় সায় দিয়ে যায়। তার অনাগত শিশুটির জন্যে আমি একে একে সরকারের সাথে বসে আয়োজন করি সুমিষ্ট পানি, স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টিকর দধি, বেল কাঠের ঝুমঝুমি, রেশমের কাপড়। বন্দরে বন্দরে ভেড়ে আমার ময়ূরপঙ্খী নাও।
পারুলবালা তরুণীই থেকে যায় চাঁদের মত, আর বাসুকীর মত, আর আমি ক্রমশ বৃদ্ধ হই। আমার বাণিজ্য বাড়ে, সাম্রাজ্য বাড়ে, বাড়ে বার্ধক্যও।
একদিন তাই পারুলবালার তন্বী শরীরটিকে শেষবারের মতো সঙ্গমক্লান্ত করে উঠে ক্লান্ত, অপরাধী গলায় বলি, পারুল, আমি যাই।
পারুলবালা মাটিতে শুয়ে বলে, হলো না তো!
কপালের স্বেদ মুছে পারুলকে জানাই সত্য কথাটি, যা জানানো হয়নি এত বছরে। বলি, পারুল, হবে না। তোমার কোনো সন্তান হবে না। তুমি বন্ধ্যা।
পারুল ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়ায়, আমার মুখোমুখি হয়। অবিশ্বাসে মাখা তার মুখটি আমাকে প্রশ্ন করে, কী বলছো তুমি বৃদ্ধ?
আমি বলি, পারুলবালা, তুমি বন্ধ্যা। তোমার কোনো সন্তান হবে না। আমি চলে গেলে অন্য কোনো তরুণ বণিক এসে যদি তোমায় প্রলুব্ধ করে, প্রতিশ্রুতি দেয়, সে তোমাকে সন্তান দেবে, তুমি তাকে বিশ্বাস করো না।
পারুলবালা স্তব্ধ চোখে তাকিয়ে থাকে আমার দিকে। তার শূন্য গর্ভের শূন্যতা গর্ভ ছাড়িয়ে প্রবাহিত হয় তার চোখে, আর অনুরণিত হয় তার ঘরের শূন্যতায়। সেখানে হাহাকার করে যায় বাতাস, অনেক টুকরো প্রতিশ্রুতি দীর্ঘশ্বাস গোপন করে।
আমি বলি, আজ আমি সত্য বলছি পারুল। বিদায়। আর আসবো না।
যে স্বপ্ন এতদিন পারুলবালার শরীরে তার জরাকে ঠেকিয়ে রেখেছিলো, সে স্বপ্ন চূর্ণ হয়। একটি অজাত শিশু কেঁদে ওঠে পারুলবালার ভেতরে কোথাও, আর চাঁদের আলোয় দেখতে পাই, তার স্বপ্নভারাতুর রূপসী মুখটিতে সমুদ্রমগ্ন জঙ্গলের মতো এক অলীক ভাটার টানে জেগে উঠেছে জরার শেকড়। আমার চোখের সামনে বৃদ্ধা হতে থাকে পারুলবালা, মুহূর্তের পর মুহূর্ত জুড়ে।
আমি ফিরে আসি। দেখি বাসুকীকে, কোনো এক অন্ধকার থেকে ব্যাকুল হয়ে পারুলবালার দিকে ছুটে চলছে সে তার সমস্ত দেহ দিয়ে।
আমি ঘাটে এসে আমার ডিঙি ভাসাই জলে। প্রতিশ্রুতি সবাই দিতে পারে, কিন্তু প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাসের অধিকার কেবল পারুলবালার।
ধূর্ত চাঁদ আমার পিছু ছাড়ে না। ঘাটের পাশে ফেলে আসা পারুলবালার লণ্ঠন বিষণ্ণ নতমুখে নিভে যায়।
পারুলবালার বাড়িতে আর ফেরা হয় না আমার। আমি ডুবে থাকি আমার কবুতর, আমার মধু, আমার দধি, আমার মিষ্টি পানি, আমার রেশমে। লোকমুখে শুনি, পারুলবালার শরীরটি জরার ভারে পরিণত হয়েছে একটি হাস্নুহানা ঝাড়ে, সেখানে তাকে সঙ্গ দেয়, কিংবা প্রহরা দেয় একটি নিঃসঙ্গ চন্দ্রবোড়া, আর পারুলবালার স্বপ্নের টুকরোগুলো রাতের পর রাত জেগে কাঁদে ফুল হয়ে।
স্থির করি, একটা জাদুঘর বানিয়ে সেখানে রাখবো তাদের।
মন্তব্য
চমৎকার গল্প, হিমু।
অট: শহীদুল জহিরের কিংবা ইলিয়াসের গল্পগুলো পড়তে গেলে কিছু কিছু শব্দের পুনরাবৃত্তি চোখে পড়ে আর মাথায় গেঁথে যায়। এই গল্পে যেমন সঙ্গম শব্দটা। আটবার এসেছে। কিন্তু লেখার চমৎকারিত্বে আর মাথায় গাঁথানোর জন্য শব্দটার কোনো বিকল্প নাই।
চমৎকার!
একটা সাইড নোট। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান মতে শিশুদের মধু দেয়া উচিৎ না।
হুম, পড়তে গিয়ে এটা আমারও মনে হয়েছে
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ঘ্যাচাং------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
অসাধারন, এক কথায় অসাধারন।
এই গল্পটি পড়ে খুব সুতীব্র ভাবে আমার লিখতে ইচ্ছা করছে। কী লিখতে চাই, তা আমি জানি। জানি, সেটা লিখে রাখার মতো শব্দ নেই আমার। ...
গল্পকারকে অভিনন্দন। বড় ভালো লাগলো গল্পটা।
অসাধারণ একটা গল্প পড়লাম।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হিমুর কিছু গল্প একসময় পাঠ্যবইয়ে স্থান পাবে-- ছাত্র-ছাত্রী-শিক্ষক সেই গল্পের ভাব সম্প্রসারণ করবে। পাঠ্য বইয়ে না গেলেও রিডিং লিস্টে উঠবে, আমি নিশ্চিত। আরো অনেক কিছুই হবে।
চমৎকার, নিখুঁত!
আপনি বেশি করে গল্প লিখেন না কেন?
ধন্যবাদ!
বেশি করে গল্প লিখলে হাফুদারা কাঁদে। এজন্য কম কম করে লিখি।
রিসেন্টলি মানুষের জন্ম প্রক্রিয়া নিয়ে আমার মনে ব্যাপক বিষাদের জন্ম হয়। আমার মনে হয় দুটি মানুষের বীভৎস কামউন্মাদনা আর কুৎসিত কিছু ব্যবহার ও শব্দের আদান প্রদানে, কোন রকম শুদ্ধ পবিত্র আবেগ বা চিন্তা ভাবনা ছাড়াই- মানুষ জন্ম নেয় নিচ্ছে। রাস্তায় বের হয়ে মানুষ দেখলে কিংবা নিজেকে আয়নায়, আমি সেই সব দৃশ্য দেখতে পেতাম পাই। ভালবাসার ফসল নাকি কাম এর? শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি নাকি সস্তা অতি? মাথা ঝাকিয়ে তোলপাড় করে ফেলি, কিন্তু দৃশ্যগুলো দূর করতে পারি না। ... পরে অনেক ভাবনাচিন্তায় মনে হলো, শুরুটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। একটা মানুষ কিভাবে জন্ম নিলো তাতে কি বা আসে যায়? সে জন্ম নিয়ে কি করলো সেটাই আসল। একটু স্বস্তি পেলাম পুরোপুরি নয়। আপনার এই লেখাটা সেই স্বস্তির ফাউন্ডেশানে আরেকটা শক্তপোক্ত পাথর দিলো, ধন্যবাদ অসংখ্য।
... অসংখ্য ধন্যবাদ আবার।
পারুলবালা একটা সন্তান চেয়েছিলো আগাগোড়া প্রতি মুহূর্ত। সে একটা শরীর চায় নি, তার শরীরকে নেভানোর জন্য। সে মিলন চায়নি, যার ফসল একটা শিশু হলে হোক্ গে। পারুলবালা, তুমি কোথাও আছো তো এই দুনিয়ার?
প্লিজ থেকো।
*
অসাধারণ গল্প
চমৎকার...।
অসাধারণ। অভাগা দেশ আমার, পারুলবালা।
গল্পটি খুব ভালো লেগেছে।
অসাধারন গল্প! অসাধারন মেটাফোর! পুরাটা ভিজুয়ালাইজ করা যায়... মুভি বানানোর কোন প্ল্যান থাকলে এই গল্প নিয়ে বানাইয়েন...
ম্যাজিক রিয়েলিজম...
পারুলবালাদের সন্তান কখনো হয়না, হবেনা। পারুলবালাদের সন্তান হলে মিষ্ট পানি, স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টিকর দধি, বেল কাঠের ঝুমঝুমি, রেশমের কাপড় এসবের জন্য আয়োজন থেমে যাবে, বন্দরে বন্দরে ভিড়বেনা আমাদের ময়ূরপঙ্খী নাও।
মাঝে মাঝে কবিতা আর গল্প বোঝার আনন্দ দিগ্বিদিক জয়ের মত মনে হয়, যদিও বোঝাটা আমার নিজের মত করে, গল্পকার হয়ত পড়ে থাকে তার থেকে অনেক দূরে।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
মনের অব্যাক্ত অনুভূতি গুলা এইরকম তীব্রভাবে লিখতে পারেন বলে আপনারে আমার ঈর্ষা হয়।
পারফেক্ট!
অট: আগেও অনেকবার এটা নিয়ে কথা হয়েছে, কিন্তু আমার কোনদিন বোঝা হবে না যে কেন আপনি গল্প / উপন্যাস না লিখে অন্য হাজারটা বিষয়ে ফোকাস ছড়িয়ে দেন। সামর্থ্যের কি অসীম অপচয়। ইংরেজিতে Picking the right battles বলে একটা কথা আছে। সব যুদ্ধ একা লড়তে যাওয়ার মানে হয় না।
ধন্যবাদ।
অফটপিক: ভুল যুদ্ধ ভেবে যুদ্ধ এড়িয়ে যেতে যেতেই আজকে আমাদের এই দশা। কাউকে না কাউকে লড়তে হবেই। আপনিও যোগ দিন, আমাকে আর একা লড়তে হবে না।
অ্যাতো ভালো!
চমৎকার ! ধরা যাক দু-একটা ইঁদুর এবার
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
বেশি বেশি গল্প উপন্যাস লেখতে হবে, এমন আবদার করছি না। সবতেই ছড়িয়ে থাকুক আপনার মেধার পরিশ্রম, তাতে লাভ আমাদেরই। মাসে অন্ততঃ একটা এমন নিখুঁত টানটান গল্প পেলেই খুশি থাকবো ভাইয়া। আপনার শব্দেরা উড়াউড়ি করুক নিজস্ব স্বাধীণতায়। ভালো থাকুন। বড় হয়ে আরো বড় লেখক হন সে প্রার্থনা
শুভাশীষদা, মুর্শেদ, রু, সুহান, তাসনীম ভাই, পিপিদা, মনোজ, নৈষাদদা, আ্নন্দী, আসমা খান, রোকসানা রশীদ, জাহিদ ভাই, প্রদীপ, সারওয়ার রেজা, অনিন্দ্য, আয়নামতি --- সবাইকে অশেষ ধন্যবাদ।
আপনার মেটাফোর টোনের এই গল্পটিই মনে হয় সর্বোৎকৃষ্ট। আরও বেশি করে গল্প লিখুন।
কী চমৎকার একটা লেখা! শুধু ঘোড়া দিয়েই মাৎ করে দিলেন।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
অসাধারণ হিমুভাই!! স্তব্ধ করে দেবার মত অসাধারণ! এমন আরো আসুক।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
গল্পটা পড়ে এবং বুঝতে পেরে আনন্দ পেলাম। অসাধারণ!
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
হায়রে আমার দেশ!
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
অসাধারণ!
love the life you live. live the life you love.
চমৎকার গল্প, সেসাথে ভাবনার খোরাকও প্রচুর।
আরো এধরনের গল্প লিখুন।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
দুঃখীনি দেশ আমার!!
আমিও তাই বলি, সবাই পারে না ভাই, আপনি পারেন...এরকম যে আরো চাই!
গল্প ভালু পাইলাম না। মানী লোকেরা সঙ্গম করে না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
প্রথম পড়ে কিছুক্ষণ স্থবির হয়ে ছিলাম।
গল্প পড়ে যত আনন্দ, বুঝতে পেরে আনন্দ তার দ্বিগুন। যদিও বুঝতে পারা বা না পারার ব্যাপারটা অনেকখানি আপেক্ষিক।
দ্বিধাহীনভাবেই বলতে পারি আপনি বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করে চলেছেন।
পথ চলা অব্যহত থাকুক।
অসাধারণ!
খুব সুন্দর!
"প্রতিশ্রুতি সবাই দিতে পারে, কিন্তু প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাসের অধিকার কেবল পারুলবালার।" লাইনটা না হলেও চলত মনে হয়।
কাঁচ > কাচ [কাঁচ ব্যবহৃত হয় কাঁচা অর্থে। যেমন- কাঁচকলা]
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
অদ্ভুত গল্প একটা!
অনেকদিন বাদে এত সেরিব্রাল কিন্তু এমন নিরাসক্তভাবে বয়ে চলা একটা গল্প পড়লাম৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
যুধিষ্ঠিরের সঙ্গে সহমত। হিমু হয়ত তাঁর বিবেচনায় ভুল যুদ্ধে জড়িয়ে সময় নষ্ট করছেন না, তবে আমরা যারা নির্বিবাদী সাহিত্যভোজী, তাদের কাছে এই মানের গল্প বা উপন্যাস তাঁর কাছ থেকে আরও বেশি পরিমাণে আশা করি। কেননা এরকম গল্প লিখবার ক্ষমতা কেবল তাঁরই আছে।
এরকম টানা মোহনীয় গদ্য, রূপের সঙ্গে রূপকের, শব্দের দ্যোতনার সঙ্গে কাহিনীর জলপ্রবাহের মত এগিয়ে চলা আজকালকার গল্পে প্রায় নেই বললেই চলে। কোথাও ধাক্কা খায় না, টাল খায় না, এমন নিটোল পরিমিত গদ্যবোধ, অসাধারণ-অভাবিতপূর্ব সব রূপকের এমন অনায়াস ব্যবহার, আর ভাষার ওপর এমন সপাট শাসনও আজকাল দুর্লভ। এক অদ্ভুত ঘোরের মধ্যে একটানে পড়ে ফেললাম। পড়তে গিয়ে কেন জানি আমার ছেলেবেলার প্রিয় লেখক মাহমুদুল হকের কথা মনে পড়ল।
হিমুর এ ধরনের গল্প যতবার পড়ি, ততবারই মনে হয় এটাই তাঁর প্রকৃত বিচরণক্ষেত্র। বিশ্বসাহিত্যে চিরকালই নানারকম ভাঙাগড়া চলে এসেছে, একেক সময় একেক সাহিত্য নতুন স্বরে ডেকে পাঠকের ঘুম ভাঙিয়েছে। কিন্তু বাঙলাসাহিত্যে ভাঙার হাটটাই কেবল চোখে পড়ে, গড়ার আয়োজনটা তেমন করে দেখতে পাই না। হঠাৎ হঠাৎ হিমুর গল্প এসে কেন জানি কানটাকে উঁচিয়ে তোলে, কেবলই মনে হয় এই তো গড়ার শব্দ শুনতে পাচ্ছি।
হিমু তাঁর নানারকম যুদ্ধ আর সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিন, আমাদের আরও বেশি করে সময় দিন গল্পে আর উপন্যাসে। জগতসংসারে সত্য উন্মোচন আর প্রতিষ্ঠার যুদ্ধে গল্পউপন্যাসের ধার প্রবন্ধের চেয়ে কম কীসে? এই একটি মাত্র গল্প কাঁপিয়ে দিতে পারে যে-কোনও অসতর্ক পাঠকের চিত্ত, নিতান্ত নির্মোহের ভেতরও জাগিয়ে তুলতে পারে অসম্ভব প্রতিরোধ আর প্রতিবাদের তীব্র তাড়না। পারুবালারূপী বাংলাদেশের জরাগ্রস্ত শরীরটাকে সারিয়ে তুলতে যে-ব্যাপক মোহমুক্তি আর চিত্তশুদ্ধি প্রয়োজন, আর জন্য এই গল্পের চেয়ে বড় জমিন আর কোথায়?
আপনার কলম আরওতর ক্ষুরধার হোক, এই প্রত্যাশায়।
অসাধারণ
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
আপনার লেখনীশক্তিতে আগেও মুগ্ধ হয়েছি, আবারো দারুণ মুগ্ধ হলাম।
কিছু শব্দ সরাসরি ব্যবহার না করে পাঠকের চিন্তাশক্তির উপর ছেড়ে দিলে কেমন হতো!?
অসাধারণ গঠন, চলন ও বর্ণনা নিয়ে লেখাটি দারুণ লাগল। আপনি অবশ্য সব সময়ই চমৎকার লিখেন।
কবি মৃত্যুময়,
খুবই ভাল লাগল গল্পটা। এরকম একটা গল্প পড়ার অপেক্ষায় ছিলাম বহুদিন। সঙ্গমই এই গল্পটার মূল বিষয় হয়েও কেমন নিরাসক্তভাবে আসে আর যায়। আর আজকালকার শারদীয়া-দেশ-আনন্দবাজার-সানন্দা এ সবের গল্প-উপন্যাসে কেবলই দেখি, একটা গল্পকে স্রেফ বড়োদের গল্প বানানোর জন্যই খানিকটা শরীর-দৃশ্য নিয়ে আসা, বা খানিকক্ষণ উত্তেজনায় সুড়সুড়ি দেবার জন্য। বিরক্ত হয়ে উঠেছিলাম। গল্পের মূল উপজীব্য হিসাবেই যে সঙ্গম-দৃশ্য আসতে পারে, সস্তা উত্তেজনা জাগানোর জন্য নয়, এটা প্রমাণ করে দেবার জন্য ধন্যবাদ, হিমুভাই। বাকি মেটাফোর ইত্যাদির প্রশংসা তো অন্যরা করেই গেছেন।
গল্প ভাল লাগল। এই গল্পের মূল সার্থকতা এই যে কন্টেক্সটা না জানা থাকলেও গল্প হিসেবে এটা স্বকীয় সত্ত্বা বহন করে।
অফটপিক
@হিমু ভাই---
"আবুল হাসানকে নিয়ে একটা বিরাট পোস্ট লেখা আমার দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগামী বছর লিখবো। সেই পোস্টে কিছু বিস্ময় থাকবে পাঠকদের জন্যে, কথা দিচ্ছি"।-----
তারিখ: শুক্র, ২৭ নভ ২০০৯, ০৪:৩৮ AM
এটা কি আমরা মিস করেছি নাকি আপনি সেটা জানবার খোয়াইশ হয়...।।
না, আর লেখা হয়নি। আবুল হাসান চিকিৎসার জন্যে পূর্ব জার্মানি এসেছিলেন জীবনের অন্তিম অধ্যায়ে, সেই সময়ে তাঁর হাতে লেখা কিছু অপ্রকাশিত কবিতা আমার সংগ্রহে আছে। তবে এ নিয়ে লেখার পরিকল্পনা পিছিয়ে দিয়েছি। পরে কোনো একসময় গুছিয়ে লিখবো। আপনি যে পোস্ট থেকে উদ্ধৃতি দিলেন, সেখানেই তো মন্তব্য করতে পারতেন, অন্য পোস্টে অফটপিক মন্তব্যের তো দরকার পড়ে না।
আমিও অপেক্ষায় আছি দীর্ঘদিন
অন্তত কবিতাগুলো পড়ার অপেক্ষায়
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ভাস্বর, ফাহিম হাসান, স্পর্শ, সজল, ওডিন, তারাপ কোয়াস, পাগল মন, দিগন্ত বাহার, বলাইদা, শিমুল, নিলয় নন্দী, স্বাধীন ভাই, বুনোহাঁস, দময়ন্তী, কী কমু, আলবাব, দিফিও, মৃত্যুময়, কৌস্তুভ, সাফি --- সবাইকে ধন্যবাদ সময় করে গল্পটা পড়ার জন্য।
গল্পটা পড়ে মুহুর্তের জন্য কবিকুলশিরোমণি আল মাহমুদের "জলবেশ্যা" গল্পটির কথা মনে পড়ে গেল।
এ নিয়ে তৃতীয়বারের মত পড়লাম, মুগ্ধতার রেশ এখনো লেগে আছে। স্যালুট!!
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
আল মাহমুদ কবিকুলশিরোমণি নাকি!
কেম্নে?
কোন বিচারে?
জানতে চাই
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
"কবিকুলশিরোমণি আল মাহমুদ" এটা বেশ উদ্ভাবনি কথা। অন্তত গুগল মামু তাই বলছে।
"তোতা কাহিনী" বা "কর্তার ভুত" গুরুদেব কোন প্রেক্ষিতে লিখেছিলেন জানি না, তবে জানি গল্পগুলো আজো যেমন প্রাসঙ্গিক আরো একশ' বছর পরেও তা প্রাসঙ্গিক থাকবে। এই গল্পটার বর্তমান প্রেক্ষিত যাই হোক না কেন, গল্প বলেই যখন মানুষ আজকের প্রেক্ষিতের কথা বিস্মৃত হবে গল্পটা তখনো প্রাসঙ্গিক থাকবে।
বর্তমানের ঘটনাবলী নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা-বিশ্লেষণ বর্তমানের মানুষদের কাজে লাগে, উপকার হয়। আর বর্তমানের ঘটনাবলী নিয়ে লেখা একটা শক্তিশালী গল্প ভবিষ্যতের মানুষদেরও কাজে লাগে, উপকার হয়। সময় ও প্রেক্ষিত পালটে যাবে, কিন্তু ইতিহাস বার বার নানা রূপে ফিরে আসবে। সাহিত্যের শক্তিটা এখানেও।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আমারো "জলবেশ্যা'র কথা মনে হয়েছিল। গল্পটা ভালু পাইলাম। তবে মানী লোকটার আবারো মানহানি... খোদায় ক্ষমা করলেও কিছু বান্দা করবে না আপনারে...
গল্পে ডিটেইলিং গুলা দুর্দান্ত। একটা ছবি তৈরি করার চিন্তা করতে পারেন।
কিছুই বলার নাই...
স্রেফ অসাধারণ... স্যালুট
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
গল্পটা চমৎকার। গল্প তৈরির আয়োজন নেই কিন্তু গল্প আছে। যদি ভিজুয়ালাইজেশেন হয় তাহলে একই দৃশ্য বারবার ফিরে আসবে। মনে পড়ে অনেকদিন আগে একটি নাটক দেখেছিলাম সংসারে সংগ্রামরত এক মেয়ের জীবন নিয়ে। খুব অল্প সময়ে কেবল একই দৃশ্যের ব্যবহারে মেয়েটির মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন-বিবর্তনের ধারাবাহিকতা দেখানো হয়েছিল। তবে গল্পটি হিমু উত্তম পুরুষে না লিখে নামপুরুষে লিখলে এর মনোদৈহিক আয়োজনটি পরোক্ষ উদ্দীপকের কাজ করতো বলে মনে হয়। আসলে গল্পটি এতটাই ভালো যে, এসব আলোচনা অর্থহীন। শুধু আলোচনা হতে পারে এর ম্যাজিক বা মেটাফরিক মর্মার্থ নিয়ে নিয়ে।
--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।
অসাধারণ একটা গল্প পড়লাম, মন্তব্য একটু দেরীতে করলাম অবশ্য। যখন থেকে তার লেখা পড়ছি, তখন থেকেই হিমু আমার প্রিয় লেখকদের একজন তার লেখনীর গুনে। কিন্তু বুঝিনা তিনি এতো কম গল্প লেখেন কেনো!
আচ্ছা হিমু, পারুলবালা কি এক বিধবা নারী ছিলো?
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
হিমু ভাই দুখিঃত অফটপিক বিষয় আনার জন্য...।।আবার ঐ লেখাটা সেদিন দেখলার আবার ঐ দিনই আপনার এই লেখাটা পড়লাম ...। আমি ভাললাম ওখানে কমেন্ট করলে হয়ত আপনি নোটিফাই হবেন না...।। সে জন্যই এখানে করেছি...। ঐ লেখাটা মিস করেছি কিনা সেটাও জানি না...।।
লেখাটির অপেক্ষা করেই আছি যে.....
নতুন মন্তব্য করুন