ডুবিয়ে তরী ঝাঁপিয়ে পড়ি

কীভাবে এদেরকে এসব উদ্ভট কাজ করা থেকে নিষ্কৃত রাখা যায়!?!

টিভির সাউন্ড মিউট করে রাখলে রবি প্রেতলোক পরিত্যাগ না করে মর্ত্যলোকে আবার ফিরে আসতে চাইতেন

পুরোই ব্লাসফেমি!

কেন, ত্রৈলোক্যনাথ যে বলেছিলেন, ভূত মরে মার্বেল হয়?

হাফমজুর বা ভিভার সঙ্গে পরিচিত নই। কী অমূল্য রতন আমার সঙ্গোপনে রহিয়া গেল, তাহাই ভাবিতেছি...

হাফমজুর জটিল বলেছেন।

মাহফজুর রহমান এটিএন বাংলার হর্তা কর্তা। মিডিয়া জগতের লোক। তার তো জানা উচিত জোর জবরদস্তি করে কাউকে দিয়ে গান গাওয়ানো যায় না। তা কথা হল, ইভা রহমান গান করুক তাতে আপত্তি নাই, কিন্তু সেটা শিখে এসে করলে কি অনিষ্ট হত? পয়সা কড়ির তো অভাব নাই, বাসায় ওস্তাদ রেখে গত দশ বছর শেখার জন্য সাধনা করলে মনে হয় সেটার ফল পাওয়া যেত। শুধু শুধু লোকজনের কাছ থেকে বিদ্রুপ কুড়ানোর চেয়ে এই সব ভড়ং বরং বাদ দেয়া উচিত। গানের ব্যাকগ্রাউন্ডে ব্যাংকক-নিউইর্য়ক- ঢাকার লোকেশন ছাপ মারার চেষ্টা যে খুবই হাস্যকর সেটা মাহফুজুর বা ইভার কানে কানে হলেও কেউ কি বলে না ?

নামের বানান ভুল আছে... এইটা ডিভা রহমান হবে

হাহাহাহাহাহাহাহা.. জব্বর দিয়েচেন বাহে...

পুরাই গুল্লি

হাফমজুরের সাইজ তো কমসে কম আড়াই মজুরের সমান। তাইলে হাফমজুর নাম হইলো ক্যামনে?

হিমু ভাই, ভিভা নামক আন্দিজ পর্বতধারী কোকিলকন্ঠী ফাঁটাকুমড়ার কথা তো বললেন। কিন্তু রাবীন্দ্রিক ফ্যাশন নামে আলুতে যেসব আলুথালু সাইজ দেখলাম সেগুলো না দেখাইয়াই রবির ভুতুড়ে হৃৎপিন্ডখানিকে বন্ধ করা উচিত হয়নাই। ভুতের কি সাধ-আহলাদ বলে কিছু নাই। তাও আবার গুরুদেবের ভুত। আলুতে আইলে হয়তো আদর করে রবিরে একটা ফ্যাশন ধরায় দিতো। ফ্যাশনের নাম গুরুদেবের ভুতের আড়ং, সংক্ষেপে গুতং। যারা এর মডেল হতো, তাদের দেখে হয়তো রবির ভুতুড়ে হৃদয় কুচ কুচ হোতায় যাইতো।

অতীত

ভূত মরলে মার্বেল হয়

এখানে কমেন্ট করা বহু ঝামেলার ব্যাপার হুইয়া দাঁড়াইয়াছে তথাপি, ভাল লাগা জানাইয়া গেলাম।

বন্দনা কবীর

মাঝে মাঝে নিজে-ই বিষ খেতে ইচ্ছে করে। এ অনাচার আর সহ্য হয়না । লেখা চরম।

দারুণ লেখা।

তোফা তোফা!
রবির বিজ্ঞাপনে ঢাকা সয়লাব, জ্বলে উঠুন আপন শক্তিতে

চমৎকার লেখা ।
সত্যি রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে এবার মিডিয়ার কিছু আদিখ্যেতা দেখে মাথা ঠিক রাখা মুশকিল হয়ে পড়েছিল।
সব সময় দেখলাম রবীন্দ্রচর্চা থেকে যারা দূরে থাকে, রবীন্দ্রসঙ্গীত নিয়ে নাক সিটকায় বা এর বদলে সহজে জনপ্রিয়তার জন্য অন্য পথ ধরে হাঁটে তারাই কোনভাবে একটু পরিচিতি পেলেই রবীন্দ্রসঙ্গীত নিয়ে বাহাদুরি দেখানোর ইচ্ছা পোষণ করে। যেন এটা না করলে শেষ পর্যন্ত আর জাতে উঠতে পারবে না। এরই নিকৃষ্টতম নমুনা এই ইভা স্যরি! ভিভার ক্যারিকেচার। কোন এক চ্যানেলে রবীন্দ্র প্রাণিত পোষাকের ফ্যাশন শো যেটা আজকের নকশায়! সম্ভবত বেরিয়েছে একই রকম জঘন্য মনে হয়েছে।
সত্যি রবিবাবু মরে গিয়ে বেঁচেছেন।

এটা নাকি ইভা রহমানের গাওয়া রবীন্দ্র সঙ্গীতের দ্বিতীয় অ্যালবাম!!

উপমহাদেশের অন্যতম খ্যাতি সম্পন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের একজন মহান শিল্পীকে (!!!) নিয়ে এই সব হাস্যরসের তেব্য পেত্যিবাদ ও দিক্কার জানাই !!!!! আগে এইডা দেখেন সবাই।

ভিডিও দেইখা প্রথমে ভাবছিলাম বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংগীত পুরষ্কার 'কাদাকার এওয়ার্ড' (মানে পাবলিক ক্ষেইপ্যা কাদা দিছে আরকি) বিজয়ী ইভা রহমান। পরে দেখলাম, ঘটনা সাংঘাতিক, কালাকার এওয়ার্ডও তিনি হাতিয়েছেন, কিসের জোরে সেকথা নাইবা বললাম। যাক উপমহাদেশের রুনা লায়লা, গুলাম আলী দের পাশে এখন ইভা রহমানের নাম শোভা পাবে !!!

ভূত মরলে শর্মিলা বসু হয়। তবে নিজের গানের 'সাধ শত ধর্ষন' দেখতে দেখতে ভূতক্রিয়া স্তব্ধ হয়ে অক্কা পাওয়া রবীন্দ্রভূতের কি হয়, তা আমিও জানি না।

কোথায় পড়েছিলাম বা শুনেছিলাম উনি নাকি দেশ-বিদেশের বড়বড় শিল্পীদের থেকে তালিম নিচ্ছিলেন। রবীন্দ্রসংগীতের কনফারেন্স না কি যেন একটা হয়েছিলও মনে পড়ছে। অবশ্যই এটিএন বাংলা এবং তার পরিচালক এর প্রধানপৃষ্ঠপোষক ছিলেন।

লোকটা যে গান গাইতে পছন্দ করে তাতে তো কোন সন্দেহ নাই। মানুষরে নিয়ে এত তামাশা কেন ভাই।

স্বর্গবার্তার সাম্প্রতিক এডিশনে প্রকাশ, রবি প্রেতধাম ত্যাগ করার পর এখন নিশ্চিন্তে তার তানপুরায় শান দিয়ে চলেছেন। ভিভা রহমান প্রেতধামে প্রবেশ করিবামাত্রই ডুয়েট ট্যাঙ্গো নৃত্য (এখানে গল্পের শিরোনাম খানা তেলওয়াৎ করিতে হইবে পাঠকে) শুরু করিবার বাসনায়...

আইয়ুব খান আর তার এদেশিয় চামচারা রবীন্দ্র সঙ্গীত আর রবীন্দ্র চর্চ্চা নিষিদ্ধ করে বাঙালীকে রবিঠাকুরের নাম ভোলাতে চেয়েছিলো। হাঁটুতে বুদ্ধিওয়ালা মূর্খের দলের কাছ থেকে এরচেয়ে ভিন্ন কোনো উদ্যোগ আশা করা যায় না। যাকগে, সে দফা রবিঠাকুরের নাম ভোলানো তো যায়ই-নি বরং তিনি আরো প্রবলভাবে বাঙালীর চেতনায় জাগ্রত হয়েছিলেন। এখন এই কর্পোরেট বৈশ্যদের যুগে রবীন্দ্রনাথকে একটা বাজার চলতি ফ্যাশন বানানো আর এক্সপেরিমেন্টের নামে ক্রমাগত রবীন্দ্রধর্ষণের মাধ্যমে আইয়ুব খানদের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার একটা চেষ্টা লক্ষ করা যাচ্ছে। তবে, আমি হতাশ নই। কর্পোরেট বেশ্যাদের নিজস্ব ধর্ম অনুযায়ীই অল্প কিছুদিন পর তারা এই রবীন্দ্রদলন থেকে আর টাকা কামাতে না পেরে নতুন কিছুর দিকে ঝুঁকবে। প্রকৃত রবীন্দ্রপ্রেমীরা তাদের এই উল্লম্ফনে আগেও ছিলো না, এখনো নেই।

আহারে ... ..

লন একখান গান দেখেন (শুনেন + দেখেন)

হা হা হা ..... দারুন লিখছেন ভাইডি।

ভাবতেছি বাংলাদেশে যাদুর কাঠির হাত বদলের সিস্টেম কি? এই হাফমজুর রহমান বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আসরে জাকিয়ে বসে, আবার রবীন্দ্র সার্ধশতবর্ষে সপরিবারে ঢুকে পড়ে, তার এই যাদুর কাঠির উৎস সম্পর্কে কেউ জানেন? শুধু কি গান? পঁচিশে বৈশাখে এটিএন বাংলায় এক ঝলক দেখলাম উপমহাদেশের বাঘাবাঘা রবীন্দ্র গবেষকদের সাথে বসে রবীন্দ্র সঙ্গীত নিয়ে তাত্বিক আলোচনা করছেন ইভা রহমান!!!!!!!!!

অল্পের উপর দিয়ে ছাইড়া দিলেন। আরেকটু দেয়া উচিৎ আছিলো।

বুইড়া তো সিডি দেখেই কাইত দেখি, গানটা না শুনেই!

ভাবতেছি আমি একটা রবীন্দ্রসঙ্গীতের অ্যালবাম বার করুম

আপ্নে লোক্টা বেজায় খ্রাপ!

ভাল বলেছেন, সকলের সাথে একমত পোষন করছি।

আজকেই শুনলাম হাফমজুর ভাই আরেকটা টিভি চ্যানেল এর ৯৯ শতাংশ শেয়ার কিনেছে। 'বিজয় টিভি' নামের ঐ চ্যানেল আসলে অবস্থা ভয়াবহ দিকে টার্ন নিতে পারে। ঘটনা যদি সত্য হয় তাইলে ডিভা রহমান আর হাফমজুর এর মর্ডান লাইলি মজনুর প্রেমের জ্বালাতনে টিকে থাকা যাবে মনে হয়না। মানুষের ভালোবাসা যে নয়েজ ছড়াতে পারে এরা দুইজন তার প্রমাণ.....

ইভাও রবীন্দ্র সঙ্গীত গায়! বিধাতা আর কত কষ্ট দিবেন আমাদের!!

আমি এই বেডির কোন আস্তাগান শুনি নাই

আবার!

দেখিলাম এবং শুনিলাম ডিভা, হাফমজুর আর ৩৬ নং মন্তব্যের লিঙ্ক এর গান।
ফ্যাশন সোর ছবি দেখে মেজাজ খারাপ হয়ে ছিল আরো আগে থেকেই।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্য আরো ধৈরয্য কামনা করলাম।
লেখককে ধন্যবাদ।