বুলডোজারের কথা ভুলে যান। জানালা দিয়ে ফেলে দিন এক্সক্যাভেটরকে। সাগরের নিচ দিয়ে টানেল খোঁড়ার ড্রিলটাকেও পুঁতে ফেলুন ডাস্টবিনে। আসুন তিনটি যন্ত্র নিয়ে ভাবি। তারপর রক-সিজর্স-পেপার অ্যালগরিদমে এগিয়ে দেখি, এদের মধ্যে আসলে কে সবচেয়ে তাকতধারী।
যন্ত্র নং ১: ষড়যন্ত্র
যন্ত্র নং ২: রাষ্ট্রযন্ত্র
যন্ত্র নং ৩: পরিমল জয়ধরের যন্ত্র
রক সিজর্স পেপার খেলেছেন যারা, তারা জানেন, আপাতদৃষ্টিতে সবচেয়ে দুবলা বলে মনে হয় যাকে, সে সবসময় দুবলা নয়। কাঁচি কাগজকে কাটে, কাগজ পাথরকে ঢাকে, পাথর আবার কাঁচিকে বাড়ি মেরে ভর্তা করে ফেলে। তাই এই তিন যন্ত্রের শক্তি পরীক্ষার জন্যে আমাদের একটাকে অন্যের মুখোমুখি করাতে হবে।
পরিমল জয়ধরের যন্ত্রকে খুবই নগণ্য বলে মনে হতে পারে। ক্লাস টেনে পড়া এক নাবালিকার ওপর সে এই যন্ত্র প্রয়োগ করেছে। আমরা একে ধর্ষণ বললেও মেয়েটির স্কুলের অধ্যক্ষা বেগম হোসনে আরা জানিয়েছিলেন, এটি পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে সাধিত যৌনসঙ্গম। যদিও আইন নাকি বলে, আঠারো বছরের কম বয়সী কোনো নাবালিকার যৌনাঙ্গে শিশ্ন স্পর্শ করামাত্র সেটি ধর্ষণ হিসেবে বিবেচিত হবে। নাবালক নাবালিকাদের যৌন সঙ্গমে সম্মতির কোনো আইনগত অধিকারই নেই। হোসনে আরা খোদ প্রধানমন্ত্রীর বান্ধবী হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়ে থাকেন, এখন তার কথা বড় না আইন বড়, কে জানে?
এখন চলুন রাষ্ট্রযন্ত্রকে পরিমলযন্ত্রের মুখোমুখি করাই। আমরা দেখতে পাই, অনেক পানি ঘোলার পর পরিমলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। পরিমল তাদের কাছে কবুল করেছে, স্কার্ট আর টপস পড়ার "অপরাধেই" সে তার নাবালিকা ছাত্রীর ওপর চড়াও হয়েছে। কিন্তু রাষ্ট্রযন্ত্র পরিমলযন্ত্রের সামনে থাকার সাহস পাচ্ছে না। রাষ্ট্রযন্ত্র আকারে বিরাট হলেও অরক্ষিত, স্কার্ট আর টপসও তার ঠিক জায়গামতো নেই। ওদিকে পরিমল গোপালগঞ্জের সন্তান, কখন সে তার যন্ত্র নিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্রের কোন অরক্ষিত রন্ধ্রের ওপর হামলা চালায়, কোনো ঠিক আছে? তাই পরিমলযন্ত্রের প্রাথমিক রক্ষাবর্ম অধ্যক্ষা হোসনে আরাকে যে স্কুল কমিটি খারিজ করেছে, সেই স্কুল কমিটিকেই রাষ্ট্রযন্ত্র খারিজ করে দিয়েছে। সম্ভবত কমিটিও স্কার্ট আর টপস পড়ে কাজে নেমেছিলো।
ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে নামান পরিমলযন্ত্রকে। হুঁ। রাষ্ট্রযন্ত্রই জানাচ্ছে, পরিমলযন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। বাংলাদেশে আপাতত বিএনপি-জামায়াতেরই ষড়যন্ত্রের মৌসুম চলমান। তারাই নিশ্চয়ই পরিমলের নুনুটি পয়মাল করার জন্যে ক্ষেপে উঠেছে। না না না, এভাবে চলতে দেয়া যায় না। কাজেই ষড়যন্ত্রের হাত থেকে পরিমলযন্ত্রকে রক্ষার দায়িত্বও রাষ্ট্রযন্ত্রই হাতে নিয়েছে। রাষ্ট্রের একটা হাস্যকর চতুর্থ স্তম্ভ আছে, যেটা মাটি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারছে না আর, বাকি তিন স্তম্ভের ওপর ভরসা করে ঝুলছে শিথিল বিশেষাঙ্গের মতো, তার নাম মিডিয়া, মিডিয়ার রাঘববোয়ালরাও এখন পরিমলযন্ত্র রক্ষায় হাতে আর কলমে তেল মেখে নিয়েছেন। পরিমল আর পরিমলবান্ধব হোসনে আরার বিরুদ্ধে বেশ আন্দোলন চলছে, সেটাকে একদিকে পুলিশ আর অন্যদিকে সাংবাদিক পাঠিয়ে কাবু করার কাজ চলছে।
শেষমেশ কোনো যন্ত্রই পরিমলযন্ত্রের বিরুদ্ধে টিকতে পারছে না। পরিমল জয়ধর ছাত্রলীগ করতো, গোপালগঞ্জের সন্তান, গোপালগঞ্জের আলোহাওয়ায় তার যন্ত্রটি বেড়ে উঠেছে, স্কুল কর্তৃপক্ষ বলুন আর রাষ্ট্রযন্ত্র বলুন, সবাই সেটার গোড়া ধরে উঁচিয়ে রেখেছে। পরিমলের বিচি কমসেকম তিন ইঞ্চি পুরু টাইটেনিয়াম প্লেটে আবৃত, কার সাধ্য সেখানে চিবি দেয়? ওখানে মিসাইল মারলে পরিমল বড়জোর হেসে বলবে, কাতুকুতু লাগে।
হোসনে আরার বান্ধবী হোন আর না হোন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিশ্চয়ই অতীতবিস্মৃত হননি। মায়া চৌধুরীর ছেলে দীপু চৌধুরীও তাঁর গত শাসনামলে এক নিরীহ মোবাইল ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা করে নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়িয়েছিলো বলে খবরের কাগজে পড়েছিলাম আমরা। পরের স্টিন্টে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসতে পারেননি। ক্ষমতায় এসে জোট সরকারের পাণ্ডারা শেখ হাসিনার সভায় গ্রেনেড মেরে যখন দুই ডজন মানুষ মেরে ফেললো, দীপু চৌধুরী তখন ঐ তল্লাটে ছিলো কি? সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাপটে শেখ হাসিনাকে যখন দেশ ছাড়তে হলো, তখন কি দীপু চৌধুরী কোনো কাজে এসেছিলো তাঁর?
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি ভবিষ্যতে যদি ক্ষমতায় আসতে না পারেন, পরিমল জয়ধরগোষ্ঠী আপনার উপকারে এগিয়ে আসবে কি? দীপু চৌধুরীর মতো তারাও লাপাত্তা হয়ে যাবে না? আপনি তো পরিমলের একার ভোটে ক্ষমতায় আসেননি, আসবেনও না। কনকোফিলিপ্স চুক্তি আপনার পুনর্বার ক্ষমতায় আসা নিশ্চিত করবে কি? মাগুরছড়ায় অক্সিডেন্টালকে তো আপনার অতীত সরকারের সচিব তৌফিক এলাহী চৌধুরী ছাড় দিয়েছিলো, পেরেছিলেন তার পরের স্টিন্টে ক্ষমতায় আসতে? আসবেন তো মানুষের ভোটেই। পরিমলের মতো একটা ছুঁচোকে বাঁচাতে গিয়ে কতগুলো মানুষের মন নষ্ট হচ্ছে, একটু কি তাকিয়ে দেখবেন?
পাবলিক যন্ত্র নয়। সে কারণেই পাবলিকের সামনে ষড়যন্ত্র, রাষ্ট্রযন্ত্র, এমনকি মহা কাবিল পরিমলযন্ত্রও খুব নগণ্য হয়ে যায় মাঝে মাঝে। তখন ক্ষমতা থেকে যদি সরে দাঁড়াতে হয়, তখন ষড়যন্ত্র থেমে থাকে না, রাষ্ট্রযন্ত্রও না। পরিমলযন্ত্রটিকে আর ক্ষমতাবান না করে, শাস্তি দিন। একটি আক্রান্তা কিশোরী আর তার বন্ধু-অভিভাবককে ভরসা দিন, যে আপনি তাদের ছায়া দিতে জানেন।
আর না পারলে, ইতিহাস যে বারবার পুনরাবৃত্ত হয়, সেটা নিজে ভুগে আর মানুষকে ভুগিয়ে পুনর্বার প্রমাণ করে ছাড়ুন। ক্ষমতায় গিয়ে পরিমলের ওপর তো আর বিএনপি-জামায়াত হামলা করবে না, তাই না? দীপু চৌধুরীর ওপর যেমন করেনি।
পুনশ্চ: পরিমল যদি কোনো শাস্তি না পায়, তাহলে তার যন্ত্রটির আদলে একটি সৌধ নির্মাণ করা হোক ঢাকা শহরের কোথাও। পরিমল, হাসান সাঈদ সুমন, এদের প্রচুর নীরব ভক্ত আছে দেশে। তাদের তো মাঝেমধ্যে কোথাও ফুলটুল দিতে ইচ্ছা করে। হোক না সিকো, তারাও তো ভোটার।
মন্তব্য
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
আরে নীরব কি বলেন? এদের রীতিমত সরব ভক্তকূল নিয়ে দুনিয়া ভরে যাচ্ছে!
জোশ!
-মেফিস্টো
দীর্ঘদিনের বিরতির পর আপানার পোষ্ট দেখেই মন ভাল হয়ে গেল।
রাষ্ট্র যদি অপরাধীকে শাস্তি না দিয়ে আড়াল করার চেষ্টা করে তার ফল কখনোই ভাল হতে পারে। ধর্ষক পরিমলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
love the life you live. live the life you love.
দুর্দান্ত
অলস সময়
হিমু অন ফায়ার
ক্ষোভের জলে আরো আগুন দিলেন - এইটুক টের পেলাম। আর বাকিটা সময়ই বলে দেবে, এবং সময় বদলেই দেয়। ধন্যবাদসহ শুভেচ্ছা জানবেন হিমু ভাই!
খুদাপেজ শেখ হাসিনা। আপনি বিদেয় হলে আর খারাপ লাগবে না এখন!
আর দুবছর পরেই জামাত-বিএনপি ক্ষমতায় যাবে। ভাবতেই নোংরা লাগছে!!!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
একদম আমার মনের কথা লিখেছেন জনাব।
"নহি যন্ত্র, নহি যন্ত্র, আমি প্রাণী..." এই কথাটা কি মানুষ আর বলতে সাহস করছে না?
দারুণ
পরিমলের যন্ত্রকে রাষ্ট্রযন্ত্রের অংশ হতে না দেবার কথা পড়লাম, বিসিএস নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে, অখুশী নই। এখন আইন অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক বিচারটাই আশাকরছি। তবে বাংলাদেশের আইনযন্ত্র যেহেতু একলা একলা দাঁড়াইতে পারেনা, ইম্পোটেন্সীতে ভূগে, তাই পরিমলযন্ত্রের আইনযন্ত্র কতৃক ছ্যাঁচা খাওয়ার ব্যাপারটি বিচারিক দীর্ঘসূত্রিতায় আক্রান্ত হবার সম্ভাবনাই বেশী।
যে কারণে ম্যাডাম জিয়া ও বি,এন,পি এই চুক্তির বিরোধীতা করেনি, সেই একই কারণেই হাসিনা এই চুক্তি করছেন। এই চুক্তি অনুযায়ী গ্যাস জাতীয় গ্রীডে আসতে (গ্যাস প্রাপ্তির শর্তসাপেক্ষে) অন্তত ৬-৭ বছর লেগে যাবার কথা এবং কোনভাবেই হাসিনার বর্তমান আমলে জাতীয় গ্রীডে গ্যাস যুক্ত করতে পারবেনা। তারপরেও চুক্তিটি হবে, কারণ আম-কাঁডল জনতাদের ভোটের পাশাপাশি সাদা-দালানের-ধলাআপা-কালাভাইদের শুভদৃষ্টি ছাড়া "গরীবের বউ সকলের ভাবী"-সদৃশ বাংলাদেশের ক্ষমতায় আরোহন অনেকটাই অসম্ভব বলে মনে হয় (যদিও আপনি বললেন "আসবেন তো জনগণের ভোটেই")। আর বাংলাদেশী ভাসুরদের নাম আর আপাতত নিতে চাচ্ছিনা।
ধন্যবাদ।
সাংবাদিকেরা জাতির বিবেক— এরকম একটা ধারণা বেশ শক্তপোক্তভাবেই প্রচলিত হয়ে ছিলো আমাদের মাঝে এতোদিন ধরে। কিন্তু আজকাল আলু পেপার কালু পেপারে সাংবাদিক নামের কিছু বকরির বকরবকর দেখে সেই ধারণা বিবেক থেকে নামতে নামতে একেবারে বর্জ্যে গিয়ে ঠেকেছে। এদের সাথে পাল্লা দিয়ে মাঠ দখলের লড়াইছে আছে টিভি সাংবাদিকেরাও। উদাহরণ—
একজন সাংবাদিক যখন নিউজ কাভার করতে গিয়ে 'দিস ইজ নান অব মাই বিজনেস' বলে আংরেজীর বুলি ছুটিয়ে ফুটানি মারায় তখন পা থেকে হাইহিল জুতা খুলে তার মুখের মানচিত্র বদলে দেয়াটাই হতো সবচেয়ে যুক্তিসঙ্গত কাজ। এর সাথে আবার কীসের কথা? সাংবাদিকতার এথিক্স যে জানে না, সে কীসের সাংবাদিক? এইসব অথর্ব, প্রতিবন্ধী দিয়েই কর্তারা তাদের চ্যানেল চালায় আজকাল?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
# নোংরামির শীর্ষে আছে জনকন্ঠ:
সূত্র: ১৪ জুলাই, জনকন্ঠ।
১৫ জুলাই এ জনকন্ঠের শিরোনাম "ভিকারুননিসার নতুন অধ্যক্ষ মঞ্জুআরা, পরিস্থিতি শান্ত"
রিপোর্টের ফাঁকে ফাঁকে গুঁজে দিয়েছে, "তবে গণমাধ্যমে ছাত্রীদের আন্দোলনকে পুঁজি করে কিছু ব্যক্তির কর্মকান্ড সম্পর্কে খবর প্রকাশ হলে ছাত্রী ও অভিভাবকরা বিভক্ত হয়ে পড়ে। উস্কানিদাতাদের কর্মকান্ড নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেক অভিভাবক।"
আহা! আকাশে বাতাসে শান্তির পরশ! আর এখন পর্যন্ত ছাত্রী-অভিভাবকদের বিভক্তির কথা শুনি নাই।
অবশ্য ভালো রিপোর্টও করেছেন অনেক সাংবাদিক। এই রিপোর্টটা দেখুন।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
সাধে কি আর পাব্লিক ঐটারে 'যৌনকন্ঠ' নাম দিছে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ঘ্যাচাং------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
চিন্তা করেন, "আপনের বোন রেইপড্ হলে আপনি কই করতেন!" এই প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিক বলে, "দিস ইজ নান অব মাই বিজনেস"। কতো বড় রামছাগল! আংরেজী ফুটানোর আগে বাংলা শিখ শালা মর্কটের দল।
জনকণ্ঠ অনেক আগেই ফাউল পত্রিকার হিসাবে চলে গেছে। কয়দিন পর মানুষ দেওয়ানবাগী আর জনকণ্ঠ কিনে পড়বে ফাউল বিনোদনের আশায়।
গোপালগঞ্জের মায়রে বাপ। গোপালগঞ্জগিরি ফলানোর জন্য আর বগুরার মহত্ব বয়ান করার জন্য এদেরকে বাংলাদেশের মানুষ ভোট দেয়, সরকারে বসায়! লাত্থি দিয়া যখন নামায়া দিবে তখন গোপালগঞ্জের পরিমল আর গোপাল ময়রারা শেখ হাসিনারে তুলে ধরে রাখবে নে!
যারা এবার শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হবার সুযোগ করে দিয়েছে, সংবিধান নিয়া নানা মকারি করে ইতোমধ্যেই তাদের আস্থা হারাতে বসেছেন শেখ হাসিনা। এবার তাঁর গুণধর পরিমল আর পেয়ারের বান্ধবী হোসনে আরা'কে ফেরেশতা বানাতে গিয়ে নিজেকে বাতিল বলে নিজেই ঘোষণা দিয়ে দিবেন। সরকারের অধীনে নির্বাচন দিলেও প্রধানমন্ত্রী থাকা যায় না, খালেদাও পারেনি। শেখ হাসিনাও পারবেন না। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য দরকার বিপুল জনসমর্থন। দুঃখজনক হলেও সত্যি এটা পরিমল কিংবা হোসনে আরা না, আসবে সাধারণ জনগণের কাছ থেকেই।
শেখ হাসিনা এই ধ্রুব সত্যটা উপলব্ধি করলেই হয় এখন।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ওই সাংবাদিক মহোদয় সম্ভবত যোনীর স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। হোক না সে তার মা, বোন বা স্ত্রীর যোনী। আসেন তার এই বিশ্বাসে শ্রদ্ধা জানাই।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
এর আগেও জয়নাল হাজারী, ডাক্তার ইকবাল, আরও নানান ঘটনাই ঘটেছে।
শুধু দেশের নেতা-নেত্রীদের না, আমাদের সাধারণেরও স্মরণশক্তি খ্রাপ... এরাই আমাদের মা-বাপ, ভবিষ্যতেও এদেরকেই আমরা জেতাবো।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ঐ সাংবাদিককে কষে একটা চটকানা মারা দরকার ছিল তার নোংরা, ইতর মুখে।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আলুও পিছিয়ে নেই। মিউচুয়াল হোসনে আরাকে সরানোর পিছনে এখনো তারা রাজনীতি খুঁজছেন। আজকের রিপোর্ট পড়লে মনে হতে পারে আম্বিয়া ম্যাডামের চক্রান্তে পরিমলকে ফাঁসানো হয়েছে। সদা উত্থিত চতুর্থ স্তম্ভ!
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
# পুলিশের এজহারে নাম থাকা সত্ত্বেও হোসনে আরার কোন শাস্তি পাওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
# এখনো হোসনে আরা অপসারিত হয় নি। সে ছুটিতে আছে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মঞ্জু আরা বেগম।
# এর আগে অধ্যক্ষ হিসবে নিয়োগপ্রাপ্ত "আম্বিয়া খাতুন" এর নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করা হয়। [প্রক্রিয়াগত দিক থেকে অবশ্য তার নিয়োগ সম্ভবত অবৈধই ছিল] উল্লেখ্য তিনি ১৯৭৭ সাল থেকে এই স্কুলের শিক্ষক। ফেইসবুকে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের স্মৃতিচারণ থেকে জানা যায় তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন।
সবচেয়ে কুৎসিত ব্যাপারটা হল - সম্পূর্ণ ঘটনাটিকে রাজনৈতিক খাতে প্রবাহিত করা হয়েছে। রাত্রে বেলা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা পোস্টারিং করেছে "আম্বিয়া খাতুন" জামাতের লোক। উনি পর্দা করেন বলে জামাতের সিল মারাটা সহজ হয়। অন্যান্য শিক্ষক যারা প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করে - তাদেরকে বি.এন.পির লোক বলে দাবী করা হয় ???
---------------------------------
সাংবাদিকতার নমুনা: সরাসরি স্কুলের ছাত্রীদের মুখ থেকে শুনুন
"হুমকি দিয়ে গেলো এনটিভি আর দেশটিভিঃ ছাত্রীদের ক্রমাগত বেয়াড়া প্রশ্ন করে যাচ্ছেন সাংবাদিকরা।
এক সাংবাদিক বললেন, "আপনারা ক্লাস বর্জন করলেন কেনো?"।
জবাবে এক ছাত্রী বললেন "আপনার বোন রেইপড হলে আপনি কি করতেন?"
সাংবাদিকঃ দিস ইজ নান অব মাই বিজনেস। আমি হলে ক্লাস করতাম।
ছাত্রীঃ আপনারা আছেন আমাদের বারবার একই প্রশ্ন করছেন। আমাদের অবস্থা বুঝছেন না। সকাল থেকেই তো নিউজ নিচ্ছেন। কই? পাবলিশ তো করছেন দায়সারাভাবে।
সাংবাদিকঃ তো! আমি কি করতে পারি?
ছাত্রীঃ তো! পাবলিশ হচ্ছে না কেনো? টাকা খেয়েছেন? নাকি উপরের চাপ?
এই কথা শোনার পর রাগ করে বেরিয়ে গেলেন এনটিভি আর দেশটিভির সাংবাদিকরা। যাবার আগে জানিয়ে গেলেন "এখন দেখবা তোমাদের নিউজ কিভাবে যায়। তোমাদের সাহস কমানোর সময় এসেছে।"
সূত্র
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আমরা পড়লাম। আমরা আপনার সাথে সহমত। কিন্তু যাদের পড়া দরকার - সেসব যন্ত্রদানবদের কানে এগুলো কীভাবে ঢুকবে ? প্রধানযন্ত্রের কাছাকাছি যাবার ক্ষমতা আমাদের মত ক্ষুদ্র যন্ত্ররা কীভাবে পাবে ? আমার পড়ব- আমরা লিখব-আমরা ছি ছি করবো- আমরা গর্জাবো কিন্তু বধির যন্ত্রের কানে আমাদের গর্জন কীভাবে পৌছুবে?
dhik amader.... jara blog r facebook e likhe voraye feltesi...
haa...ami desh er baire thaki.... akhn jodi vaben desh er baire thaki bole ai kotha bolte partesi...vabte thaken
dhik amr nijekeo
desh e giye eder ak jon er nongra sorir e juta marte partesi na dekhe
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
হিমু রির্টানস
বরাবরের মতই ধারালো এবং জোরালো লিখা।
ফিরে এসেই ফাটিয়ে দিয়েছো। সচলে প্রান ফিরে এলো।
--------------------------------------------------------------------------------
সহমত।
"রাষ্ট্র যদি অপরাধীকে শাস্তি না দিয়ে আড়াল করার চেষ্টা করে তার ফল কখনোই ভাল হতে পারে"।
ধন্যবাদ।
এম আব্দুল্লাহ
যন্ত্র কি কখনো যন্ত্রণাকাতর হয়?
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
আমার একখানা আরজি পেশ করতে চাই।
পরিমল যন্ত্র খানাটিকে (অ মানুষ এবং উহার যন্ত্র সহ) ঢাকা সহ দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ শহরে একখানা লম্বা খাম্বার সাথে সর্বনিম্ন ৩৬৫ একটানা ঝুলিয়ে রাখা হোক। এতে করে কেউ কুর্নিশ করতে চাইলে তাও পারবে, কেউ থুথু মারতে চাইলে তাও পারবে।
সাইদের আইনজীবি তাকে মিডিয়ার কাছে পরকীয়া সংক্রান্ত গল্প ফাঁদার কথা শিখিয়ে দিয়েছিল, কারণ ওই আইনজীবি আর দশটা বাংলাদেশীর মত খুব ভাল করেই জানে বাংলাদেশে স্ত্রীর পরকীয়ার কাছে স্বামীর সাত খুনও মাফ হয়ে যায়। এখন পরিমল পুলিশের কাছে বলছেন যে ওই ছাত্রীটি স্কার্ট আর টপস পড়েছিল বলেই সে তাকে ধর্ষণ করেছে। সাম্প্রতিককালে ফেসবুকেও অনেক ফ্যান পেইজ দেখছি যেখানে বীর বাঙ্গালী পুরুষ মেয়েদেরকে "ভদ্র" পোশাক না পড়লে ধর্ষণ(ইউফেমিজম হিসেবে অবশ্য "tease" করার কথা বলা হয়েছে) করার হুমকি দিচ্ছে। সাম্প্রতিক ট্র্যাজেডিগুলো বাঙ্গালীর মনস্তত্ত্বকে পুরা নাঙ্গা করে দিয়েছে।
আমার কোন মেয়ে হলে আমি ভুলেও তাকে এই দেশে বড় করব না।
ফায়ার ফায়ার...
ঝাঝা
অনেকদিন পর লিখলেন হিমু ভাই......................
jotil bolechhen
ব্রিলিয়ান্ট! দুর্ধর্ষ লিখেছেন ভাই!
রাষ্ট্র যন্ত্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে সুসম্পর্কের হাত ধরে সৃষ্ট ক্ষমতা, প্রভাব ও শক্তির বলে এই পিশাচিনী-ডাইনী তার বেজন্মা বয়ফ্রেইন্ড (Boyfriends) দেরকে যে কোনো সূ্যোগে লেলিয়ে দিতে পারে কারো কন্যা অথবা বোনের সর্বনাশ করার জন্য!!
তাই সাবধানতার নিমিত্তে এই ভন্ড-পিশাচিনীকে অতি অবশ্যি চিনে রাখা দরকার।
মনে রাখবেন, জাহাঙ্গীরনগরের মানিকের সেঞ্চুরি দিয়ে এদের যাত্রা শুরু, তারপর থেকে এরা আর থেমে নেই। সেঞ্চুরিয়ান মানিক এদের আদি ও সফল পিতা। মানিকের আদর্শ-ই এদের আদর্শ!!
মানিকের আগে হয়তো তার পিতা বা পিতামহ বা কোনো পুর্বপূরুষ আরো বড় কোনো রেকর্ড করে থাকতে পারে, কিন্তু মানিক-ই সর্বপ্রথম মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষন করে তার সেঞ্চুরি উৎযাপন উপলক্ষে মিষ্টি খেয়ে ও বিতরণ করে!! এবং এরা মূলতঃ সেই সফল মানিক-এর উত্তরসূরী। অতএব, ‘সাধু সাবধান’!!
বেশ কিছুদিন বিরতিতে একটা অসাধারণ এবং সময়োপযোগি লেখা দিলেন হিমু। পাঁচতারা তো দিলামই, অপশন থাকলে বেশি দিতাম।
সব যন্ত্র চালাতে একটা অপারেটর লাগে। পরিমলের যন্ত্র যেমন পরিমল চালায়; তেমনি পরিমলের মতো আবেগশুন্য একটা মানুষরূপী যন্ত্রকে অবাধ প্রশ্রয়দানের মাধ্যমে চালায় তার মালকিন হোসনে আরা; আর হোসনে আরার মতো একটা নীতিবিবর্জিত মনুষ্যরূপী যন্ত্রদানবীকে অবাধ প্রশ্রয়দানের মাধ্যমে চালায় তার প্রতিষ্ঠানের সভাপতি বা তার কোনও এক বোজম বন্ধু।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
হিমু, অনেকদিন পর আপনার লেখা দেখে ভাল লাগল ।
খুব মন খারাপ লাগে দিনের পর দিন শুধু এই রকম মন খারাপ করা খবর পড়ে পড়ে । মেয়ে হয়ে জন্মানো যে কী ভীষন ভয়াবহ হতে পারে, তা শুধু আমরা মেয়েরাই জানি । বিশেষ করে বাংলাদেশের মত দেশে । যেখানে রাষ্ট্র, সরকার, সমাজ, সংস্কৃতি সবকিছু মেয়েদের বিরুদ্ধে । শুধুমাত্র মেয়ে হয়ে জন্মানোর প্রায়শ্চিত্ত করতে করতে জীবনের সব শক্তি ফুরিয়ে যায় ...কিছু আর করা হয়ে উঠে না । ভেবে দেখুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা রুমানা, ভিখারুন্নেসা কলেজের ছাত্রীকেই যদি এভাবে ভুগতে হয়, তাহলে দরিদ্র, শিক্ষাহীন, প্রান্তিক নারীদের কী অবস্থা?
দূঃখজনক যে তথাকথিত শিক্ষিত পুরুষরাও মুক্ত হতে পারেনি দুর্বিনীত অশিক্ষার অন্ধকার থেকে । ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, অনেক পুরুষ এখনো মনে করে নারীর অধিকার কোন "আজব" কিছু । তাদের মনস্তত্ত্বে নারীর অধিকার এখনো মানবাধিকার নয় । পুরো সাংস্কৃতিক পরিবর্তন না হলে, কিছুই বদলাবে না । সেই দিন যে কবে আসবে...
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী নারী, বিরোধী দলীয় নেত্রী নারী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নারী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী নারী,সংসদ উপনেতা ও নারী, আরো আছেন অগ্নিকন্যা মতিয়া চৌধুরী, হোসনে আরা, আম্বিয়া আপা, মঞ্জু আপা, মুন্নি সাহা ( এ টি এন)। ভিকির ঘটনায় এদের কেউ চুপ, কেউ পরিমলের পক্ষে, কেউ বিপক্ষে, কেউ গোটা বিষয়টার রাজনীতিকরনে ব্যস্ত, কেউ দেখে ও না দেখার ভান করে আসছেন ! এত্ত বড় একটা ঘটনা ঘটার পরেও দেশের নারী সমাজের মাথারা এক হতে পারছে না!! কারন ওই মেয়েটির সম্ভ্রমহানীকে তারা নিজেদের বা নিজেদের মেয়েদের সম্ভ্রমহানী বলে ভাবতে পারছে না !( কি দুঃখজনক!!)!শুধুমাত্র পুরুষরা কবে পরিবর্তন হবে এই আশায় বসে থাকলে দিন ফুরাবে না আপু। পুরুষদের ঘৃণা করুন, গালি দিন কিন্তু ভিতরে ভিতরে নিজেরা ও সংঘটিত হন। এক নারীর অপমান সব নারীর অপমান - এটা সবখানে ছড়িয়ে দিন অথবা অন্য যদি কিছু করতে হয় সেটা ও ভাবুন। তা না হলে দেখবেন কোন একদিন সমস্ত পুরুষ সমাজ নারীর স্বাধীনতা দেবার জন্য আপনাদের দোরগোরায় হাজির হলেও আপনারা নিজদের মধ্যে ভাগ হয়ে গেছেন! ! কেউ বলছেন চাই, কেউ চাই না , কেউ আবার মিউচুয়ালী চাচ্ছেন !! সেদিন যেন কাউকে দেখতে না হয়। ২০ বছর যাবত নারীরা এই দেশে ক্ষমতায়। আরো হয়ত থাকবে ২০ বছর। একটা উদাহরণ, যৌতুকের জন্য বছরে যত নারী প্রাণ দেন তত গুলা ফাঁসী কি পরের বছর কার্যকর হয়? কেন হয় না? আদালতে তো আর পুরুষ সমাজ নেই। দুই নেত্রীকে এক হতে বলুন। নারী নির্যাতনের জন্য কঠিন থেকে কঠিনতর আইন পাশ করুন। সমাজ পরিবর্তন হবে না মানে! হয়ে বাপ বাপ করবে। আজকে যে যৌতুকলোভী স্বামী স্ত্রী কে হত্যা করছে কাল থেকে আর করবে না, কেন জানেন? কারন তার কাছে তার স্ত্রীর জীবনের কানা কড়ি মূল্য নেই কিন্তু নিজের জীবনের মূল্য আছে। শুরু করেন নারী হয়ে নারী নেত্রীদের উপর প্রেসার দেয়া, তারপর সবাই একহয়ে শুরু করুন পুরুষদের বিরুদ্ধে আন্দোলন, ন্যয্য অধিকার এর জন্য। তবে ঘুনে ধরা সমাজ ব্যবস্থায় কতটুকু স্বাধীনতা আপনারা পাবেন তা বলতে পারবনা আপু, তবে আপনারা যদি এক না হন, এটলিস্ট বেসিক ব্যাপারগুলাতে, আপনারা কোন দিনই স্বাধীনতা পাবেন না।আজ যদি ঘটনাটি ঘটার সাথে সাথে হোসনে আরা তার মিউচুয়াল থিওরীর জন্ম না দিত, সাহারা খাতুন বলত যে পরিমলের বিচার না হলে আমি মন্ত্রী থাকব না ( এটা কিন্তু খুব ইজি স্টান্ট ছিল, পরিমল অন্যায় করেছে, তার বিচার হবে, মাঝখান দিয়ে উনি নাম কামাতে পারতেন। উনি সেটাও করলেন না ! আফসোস...), মতিয়া চৌধুরী উনি এসে রাস্তায় যদি দাড়াঁতেন .........তাহলে ভাবতাম এটলিস্ট আপনাদের দিন বদলের শুরু, এখন মনে হচ্ছে এখনো বহু দূর। আপানাদের জন্য শুভকামনা ।
সময়োপযোগী লেখা. ধন্যবাদ এই সাহসীকতার জন্য. তবে প্রশ্ন হলো আমরা কত দিন এই নির্লজ্জ ঘটনাটা মনে রাখব. অল্প কিছু দিন পরেই হয়তো অন্য কোনো ঘটনা এটাকে আমাদের স্মৃতি থেকে সরিয়ে দিবে. কিন্তু মেয়েটি কি পারবে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে কিম্বা আমরা কি তাকে তার জীবন ফিরিয়ে দিতে পারব?
সময়োপযোগী লেখা. ধন্যবাদ এই সাহসীকতার জন্য. তবে প্রশ্ন হলো আমরা কত দিন এই নির্লজ্জ ঘটনাটা মনে রাখব. অল্প কিছু দিন পরেই হয়তো অন্য কোনো ঘটনা এটাকে আমাদের স্মৃতি থেকে সরিয়ে দিবে. কিন্তু মেয়েটি কি পারবে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে কিম্বা আমরা কি তাকে তার স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দিতে পারব?
জসিমউদ্দিন মানিকের কথা কি আপনাদের মনে আছে? মনে আছে তাকে তার দলীয় সরকার কীভাবে রক্ষা করে ইতালী না কোথায় যেনো পাঠিয়ে দিয়েছিলো? সেই সময় কালে মানিকের দলীয় বুদ্ধিজীবি-সুশীল মহল বলে পরিচিত কতিপয় হারামজাদা কী কী বলে সাফাই গেয়েছিলো - সেসব মনে আছে? মনে কি আছে আপনাদের মানিকের ঘটনাকে বানোয়াট আর সরকারকে বেকায়দায় ফেলার ষড়যন্ত্র বলে কারা পত্রিকাতে লম্বা লম্বা কলাম লিখেছিলো? সেই সময় মিডিয়া, পুলিশ, প্রশাসনের ভূমিকার কথা মনে আছে?
যদি এসব কিছুই আপনার জানা না থাকে বা মনে না থাকে তাহলে ইন্টারনেটেই একটু ঘাঁটাঘাঁটি করুন। খোদ সচলায়তনেই অনেক তথ্য পাবেন। নব্বই দশকের শেষ ভাগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া প্রতিবেশী-সহকর্মী-আত্মীয় বন্ধুটিকে জিজ্ঞেস করে আরো বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।
আইন-প্রশাসন-রাষ্ট্র প্রত্যেকটি যন্ত্রই এখনো পর্যন্ত ধর্ষক সহায়ক। ধর্ষণ প্রমাণ করা তাই দুরূহ, ধর্ষিতার ন্যায়বিচার প্রাপ্তি তাই কালেভদ্রে ঘটা ঘটনা। সে কারণে পরিমল, তার আরো পাঁচ সহকর্মী বা হোসনে আরাদের শেষ পর্যন্ত কিছুই হবে না। ধর্ষকদের সহায়ক পার্টিজান মিডিয়ারাও বিচার দূরে থাক, নিন্দারও বাইরে থাকবে।
ফেসবুকে দেখলাম প্রাসঙ্গিক বিবেচনায় নটর ডেম কলেজের ঘটনাটাও আলোচনায় এসেছে। সেখানে গোটা ব্যাপারটা কীভাবে ধামাচাপা দেয়া হয়েছিলো, অপরাধীকে কীভাবে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিলো, প্রতিবাদকারীদের কীভাবে শাস্তি দেয়া হয়েছিলো সেটা যারা জানেন তারা এটাও বুঝতে পারবেন যে, এক্ষেত্রেও ঘটনাপ্রবাহ কোন্ পরিণতির দিকে যাবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
সব সময় যা হয়ে এসেছে বলে এবারও তাই হবে বলে হাল ছেড়ে দিলে হবে? এই মেয়েগুলা কোমর বেধে লেগেছে নতুন উদাহারন সৃষ্টি করবে বলে, শুধু ব্লগোস্ফিয়ার এ গলা না ছেড়ে তাদের সাথে রাস্তায় নামুন। পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে গেলে সরকারযন্ত্র লেজ গুটাতে বাধ্য হবে। যত সহজে ব্যাপারটা চাপা দিতে পারবে ভেবেছিল সরকার, তত সহজে কিন্তু পারছে না, নতুন নতুন অস্ত্র ছাড়তে হচ্ছে। লেগে থাকলে এক সময় তাদের খেল খতম হতে বাধ্য।
ছাত্রী- অভিভাবকরা একাট্টা আছে, সাধারন মানুষেও তার সাথে যুক্ত করতে হবে যথাসম্ভব। অনেক প্রভাবশালী পরিবারের মেয়েরা পড়ে এই স্কুলে, তাদের সমর্থনটাও গুরুত্বপূর্ণ।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
শিশিরকণা, আমি প্রতিবাদ-প্রতিরোধের পথটা ছাড়তে বলিনি। জাহাঙ্গীরনগরের ইতিহাস পড়লে যে কেউ জানতে পারবেন প্রতিবাদ-প্রতিরোধ কী ফল দিতে পারে। তবে সত্য হচ্ছে অতো আন্দোলন-সংগ্রাম-ত্যাগ-তিতিক্ষার পরও এমনকি জাহাঙ্গীরনগরের ধর্ষকদেরও ফৌজদারী আইনে শাস্তি হয়নি; যদিও অপরাধগুলো ফৌজদারী অপরাধই ছিলো। আমি আগের ঘটনাগুলোর কথা বলে এই হুঁশিয়ারীটা দিতে চাইছি।
প্রতিবাদ-প্রতিরোধের সাথে আইনী লড়াইটা জারী থাকুক। আর কেউ না হোক ভিকারুন্নিসা'র প্রাক্তন ছাত্রী যারা এখন আইনজীবি হিসাবে কাজ করছেন তারা এই ব্যাপারটাকে শক্ত হাতে হ্যান্ডেল করে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আমি আপনার সাথে একমত হয়ে এই কথাটা আবারও বলতে চাই। আমরা কাছ থেকে দেখেছি জাহাঙ্গীরনগরে কি হয়েছে। তৎকালীন ভিসি আলাউদ্দীন তখনও বিশ্বাস করেনি, এখনও করেনা ঘটনা ঘটেছিলো। যে ১৩ জনের বিরুদ্ধে শাসতির সুপারিশ করা হয়েছিলো তাদের কারো কোন বিচার হয়নি, হবে কিভাবে মানিক এর ভাই ছিলো তৎকালীন ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট, প্রক্টর ছিলো দুলাভাই, মানিককে বিশেষ তরিকায় সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় ইটালি পাঠানো হয়েছিলো, যে ৬ জন ছিলো মূল আসামী তাদের প্রত্যেককে ধরে ধরে সরকারী চাকুরীতে ঢোকানো হয়েছিলো। আরো শুনবেন? বলতে গেলে রাতে আর ঘুমোতে পারবোনা, ঘুম আসেনা এইসব কথা বলতে গেলে। কিছুদিন আগে যে তানভীর আহমেদ সিদ্দীকিকে জাহাঙ্গীরনগর থেকে বের করে দেয়া হলো সে আবার ঢাকা সিটি কলেজে জয়েন করেছে, আমরা তাহলে কি পেলাম?
সবচাইতে বড় সমস্যা হচ্ছে সবকিছুহচ্ছে ফর দ্যা টাইম বিইং, টাইম শেষ, ইস্যূর একটা সমাধান হলো-সবাই আবার যার যার ঘরে ফিরে যাচ্ছে। বিএনপি আমলেও কি হয়নি কিংবা হবেনা?
রাষ্ট্র যখন দলের ভাগাড় এ পরিণত হয় তখন সমস্যার ভিত্তিমূল উপড়ে না ফেললে সেসব ঘটতেই থাকবে। নিশ্চিত থাকুন পরিমল একদিন ছাড়া পাবে, হোসনে আরার কিছুই হবেনা - কারন রাষ্ট্রযন্ত্র তাদের রক্ষা করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবে। ইতিহাস অন্তত তাই বলে, প্রশ্ন হচ্ছে এবারও কি আমরা ইতিহাস পুনরাবৃত্তি করতে দিব নাকি নতুন ইতিহাস রচিত হবে?
বাদবাকি সময় আর আমাদের হাতে!! ধন্যবাদ ষষ্ঠপান্ডব ভাই!
খাসা লিখেছেন !!!!পরিমলের যন্তর আসলেই বড় মারাত্মক বস্তু হে
পরিমলযন্ত্রের সমর্থকরা তো ভালই জয়ঢাক পেটাচ্ছে, তারা তো বিভিন্ন সামাজিক সাইট এ দল খুলে সদলবলে মেয়েদের মার্জিত আধুনিকতা শেখাতে ব্যাস্ত, আমি ভাবি হিটলারের মতো যদি ওদের একটা দল হয় তাহলে ওরা কি পরিমলের খাড়া দন্ডের ছবি নিয়ে নাচবে আর লাফাবে, অসাধারণ লাগবে দেখতে, সদলবলে সবার দন্ড উঁচিয়ে একদল জংলী নর্তন কুর্দন করছে, সভ্য সমাজের অসভ্য বাসিন্দা বলে কথা ...
ধর্ষকদের একান্ত আপন জন পরম বন্ধু গোলাম আজম নিশ্চিন্তে ঘরে বসে আছেন। আর ক্ষমতাসীন্ রা মক্তিযুদ্ধের একমাত্র পরিবেশক বলে দাবী করেন। চেতনার অ থেকে চন্দ্রবিন্দু পর্যন্ত নাকি আওয়ামিলীগ! বাঙ্গালী/বাংলাদেশী মল্লযুদ্ধে প্রজন্ম দ্বিধাগ্রস্থ। সমাজতন্ত্র আর মক্তবাজার অর্থনীতি, পঞ্চদশ সংশোধনী সব কিছু মিলিয়ে আর ভাল কিছু হবে এহেন আশা করাটা দুরাশা। পরিমল ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। মুক্তবাজার আমাদের সব মুল্যবোধ চেতনার শিকড় উপড়ে ফেলেছে।দাসত্বের শেকল ছিন্ন না করে কাঁদা ছোড়াছুড়ি করে লাভ নেই। আগে আমাদের মনের বন্ধন উন্মুক্ত করতে হবে । সময়টা যাবতীয় বিচ্ছিন্নতার , তাই সামষ্টিক প্রয়াশ ছাড়া সমাজ পরিবির্তন হবে না । ঘুরে ফিরে রুমানা/পরিমল/সড়ক দূর্ঘটনা ......................
আমি আরেকটা প্রস্তাব দিতে চাই । হোসনে আরা আর ওর বান্ধবীকে স্কার্ট আর টপস পরাইয়া পরিমলের কাছে বাংলা পড়তে পাঠানো হোক ।
বহুতদিন পরে হিম্ভাই
জটিল হইছে
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ!
সচ্চরিত্র ফুল আমি যত বাগানের মোড়ে লিখতে যাই, দেখি
আমার কলম খুলে পড়ে যায় বিষ পিঁপড়ে, বিষের পুতুল!
হিমু, অনেকদিন পর আপনার লেখা দেখে ভাল লাগল । সময়োপযোগী লেখা. ধন্যবাদ - healthwise how are you? good luck!
ধন্যবাদ লেখককে।
এখন থেকে সন্তানকে স্কুলে ভর্তির আগে জেনে নিন এখানে এই ধরনের যন্ত্র আছে কিনা। কারণ স্কুল কত ভালো তারচেয়ে জানা উচিত শিক্ষকরা কতটা ভালো। এটা প্রমাণিত যে ছাত্রছাত্রীরা ভালো ফল করে তাদের মেধা এবং কোচিং এর গুনে কিন্তু নমি হয় স্কুলের।
আসুন আমরা হাতেহাত রেখে আমাদের সন্তানদের জন্য সুরক্ষা বেষ্টণী তৈরী করি যেখানে তারা নিরাপদে বেড়ে উঠতে পারে। যেমনটি ছিলো আমাদের ছোট বেলায় পাড়ার সবাই সবাইকে লক্ষ্য রাখত, বিপদে সবাই এগিয়ে আসত আমরা বেড়ে উতাম এক নিরাপদ পরিবেশে।
সবার জন্য শুভ কামনা রইল।
নতুন মন্তব্য করুন