সম্প্রতি শওকত আলী খান হীরণ নামে এক আদম বিয়ের আসরেই যৌতুক আদায়ের জন্য চাপাচাপি করতে গিয়ে ফিরতি স্ট্রোকে সদ্য পরিণীতা স্ত্রীর কাছ থেকে তালাক খেয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। শুনলাম, এই ব্যাটা প্রথম আলোর বন্ধুসভার কেষ্টুবিষ্টু, ডিজিটাল পটুয়াখালির প্রণেতা (মানে সাথে ল্যাপটপ আছে আর কি), স্থানীয় প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি সমাজের অ্যানালগ ও ডিজিটাল দুই ধরনের উন্নয়নের সাথে জড়িত ব্যক্তিটি বিয়ের মঞ্চ থেকে পেছন তুলতে না তুলতেই একটা মোটর সাইকেল, একটা ফ্রিজ আর একটা টেলিভিশনের জন্য এত বেয়াকুল হলেন কেন, কে জানে! কিন্তু তার কপালে বিশদ আলেখ্যি লিখিত, সেটা মোটামুটি স্পষ্ট। শিক্ষা-সংশ্লিষ্ট দু'টি মন্ত্রকের মন্ত্রীদের কাছ থেকেই এ ব্যাপারে বিভাগীয় ইসকুরু টাইটের আভাস এসেছে।
ফেসবুক-বন্ধু সানজীব হোসেনের সৌজন্যে এ সংক্রান্ত আইনটিও চোখে পড়লো। যৌতুক বিরোধী আইন ১৯৮০-এর চতুর্থ সেকশন অনুযায়ী,
"If any person, after the commencement of this Act, demands, directly or indirectly, from the parents or guardian of a bride or bridegroom, as the case may be, any dowry, he shall be punishable with imprisonment which may extend to 1[ five years and shall not be less than one year, or with fine, or with both]."
কাজেই আইনও শওকতের বিপক্ষে।
আইনের ব্যাপারটা জেনে মনটা খ্রাপ হয়ে গিয়েছিলো, কারণ দীর্ঘদিনের শখ বিয়েতে যৌতুক হিসেবে একটা এফ এম রেডিও, রেডিওর রিচার্জেবল ব্যাটারি আর ব্যাটারির চার্জার আদায় করার। পাপিষ্ঠ শ্বশুরের দল সে সুযোগ আর রাখলো না। আমাকে অডাসিটি দিয়ে রেকর্ড করে নিজের গান শুনেই কাল কাটাতে হবে।
এই খবরের সিরিজ পড়ে আরেকটা জিনিস ভাবছিলাম। মুসলিম সমাজে দেনমোহরের চর্চা চালু আছে। পরিবারের বয়স্ক সদস্যরা এই দেনমোহর নিয়ে দরকষাকষি করে বিপুল আনন্দ পান দেখেছি। আমি দেনমোহর জিনিসটার ইসলামী ব্যাখ্যা জানি না, তবে এটাকে ছেলেদের জন্য একটা অ্যাডমিশন ফি এর মতো মনে হয়েছে আমার কাছে, যেটার পরিশোধ পদ্ধতি নিয়ে নানা মুনির নানা মত আছে। এই ফি কেউ ভর্তির আগে (কথাটাকে বাজেভাবে নেবেন না) আংশিক পরিশোধ করেন, কেউ আবার সাক্ষী রেখে স্ত্রীর কাছ থেকে মওকুফ পান, গয়নাগাটি দিয়ে উসুল সংক্রান্ত কিছু হাবিজাবিও নাকি আছে।
দেনমোহর আমরা কেন দিয়ে থাকি? এটা কি যৌতুকের মতোই একটা অসম্মানজনক চর্চা? নাকি এটা মেয়েদের অধিকারের মধ্যে পড়ে?
দেনমোহর সংক্রান্ত একটা ভাবনঝড় উঠুক। পক্ষে বিপক্ষে নানা যুক্তিতর্ক শুনতে ইচ্ছুক। যমজ বোন (নন-সিয়ামিজ) বা দেখতে প্রায় একরকম দুই খালাতো বোনদের জন্য কোনো কনসেশন প্যাকেজ আছে কি না, সে ব্যাপারে দ্বীন-শরিয়তে কী লিখিত, তা-ও জানা দরকার। ভর্তি ফি-র জন্যে বিশ্বব্যাঙ্কের সাথে যোগাযোগ করতে হবে, নাকি গ্রামীণ ব্যাঙ্কের সাথে, সেটাও আলোচনা থেকে স্পষ্ট হবে, এই খায়েশ পোষণ করি।
মন্তব্য
বিয়ে হইলো চাকা আর যৌতুক/দেনমোহর হইলো গিয়া টিউব। টিউব যত ফুলবে চাকা ততোই লাফঝাঁপ দিয়ে চলবে।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
ফাটবেও ততধিক সশব্দে।
এই জন্যই তো স্পেয়ার চাকা লাগে।
facebook
সহমত
এলা ঘুইরা আহি।
শাফি।
এভরি গার্ল হ্যাজ আ প্রাইস... দ্যাট ইজ দা প্রাইজমানি
সত্যি? বাহ। কমদামী মেয়ে আছে আপনার খোঁজে? কয়েকটা কিনতাম। আমার ল্যাবে পরীক্ষা-নিরিক্ষার কাজে লাগত!
বাই দ্য ওয়ে, আপনি কি নারী? আপনার দাম কতো?
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
অনার্যদা কি শোনাইলেন এটা , ল্যাবে কি পরীক্ষা-নিরিক্ষা করেন একটু বিশদ বলতেন যদি!!!
দাম বেশি না কম ওটা তো বাবা মা ঠিক করবে... হরি পোদ্দারে একটা ডায়ালগ আছেনা "Everything was supposed to be to keep Lily Potter's son safe. Now you tell me you have been raising him like a pig for slaughter--"
আমার মনে হয় ইসলামে দেনমোহর বিষয়টা আসছে বিবাহ বিষয়ক আরবীয় সংস্কৃতি থেকে। আরব বর্বররা নারীদেরকে আর দশটা পন্যের মতই মনে করত; আর এমন একটা জীবন্ত পন্য আপনি আজীবন আপন ইচ্ছেমত রসিয়ে রসিয়ে ভোগ করবেন ত তার কিছু বিনিময় মূল্য নিশ্চয়ই দিতে হবে! এখান থেকেই মনে হয় দেনমোহরের সূচনা। আমার ধারনা এই দেনমোহর বিয়ের সময়ই পরিশোধ করা হত, কিন্তু যুগে যুগে এর বিবর্তনের ফলে এখন বাকিতেও নারী কিনতে পাওয়া যায়। আপনি ভাবেন একজন বিত্তবান পুরুষ চড়া দেনমোহর দিয়ে বিয়ে করলেন তারপর তার আবার বিয়ে করার খায়েশ হল তখন উনি প্রথম স্ত্রীর থোড়াই কেয়ার করবেন (নগদ টাকা দিয়ে কেনা)? আর এ কারনেই ধনী আরবদের বউয়ের সংখ্যা গুনতে কেরানী লাগে।
তবে একদিক দিয়ে চিন্তা করলে আমাদের সমাজব্যবস্থায় দেনমোহরের একটা ভালো দিকও আছে। এই দেনমোহর পরীশোধের ভয়ে অনেকে স্ত্রী তালাক থেকে বিরত থাকে (তবে এই নিমরাজীর সংসার টিকা না টিকার মধ্যে কতটা তফাৎ আমার জানা নাই)। স্ত্রীর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই আমাদের মুরুব্বিরা দেনমোহর নিয়ে এমন দরকষাকষি করেন বলেই আমার মনে হয়। ইদানিং আবার বেশী দেনমোহর ধরা একটা স্ট্যাটাসে পরিনত হয়েছে।
ভায়ের কি কোন জমজ বা দুই খলাত বোনরে একসাথে বিয়ে করার খায়েশ জাগছে নাকি? জানতে মুঞ্চায়-
খায়েশ না রে ভাই, দ্বীনের কাফেলায় এক বিবি নিয়ে চলা বড় দুরূহ। পদে পদে শুধু বাতিলের ইশারা, তাগুতের হাতছানি, বেদাতের মোহজাল। দু'আ করুন যাতে আপনার ভাবীদের নিয়ে এইসব পরাভূত করে নেক রাহে চলতে পারি।
যদি টাকা দিয়ে বউ কিনতে হয়, তাহলে বউ আর বেশ্যার মধ্যে কি পার্থক্য রইলো?
দেনমোহর যৌতুকের থেকে কোনো অংশে কম না মানে পীড়ন করার ক্ষেত্রে। আমি মনে করি এইটা বিয়েতে গার্জেন দের অহেতুক নাক গলানোর আর ঝামেলা পাকানোর একটা উপলক্ষ্য ছাড়া আর কিছু না
যৌতুক বন্ধ করো
দেনমোহর বন্ধ করো
যৌতুকের ক্ষেত্রে বর বদমাশেরা অনেক ক্ষেত্রেই একটা উদাস মৌনব্রত পালন করে দেখেছি। ব্যাপারটাকে পরিবারের বয়স্কদের ঘাড়ে চাপিয়ে নিজে গায়ে ফুঁ দিয়ে ঘোরে। দেনমোহরের ক্ষেত্রে মেয়েরাও কি তাই করে?
মেয়েদের কথার কোন দাম নাই। মুরুব্বিদের ক্যাচক্যাচালির নিচে সব চাপা পড়ে যায়। বেশির ভাগ মেয়েকে দেখে মনে হয় না দেন মোহর নিয়ে এদের কোন মাথা ব্যাথা আছে, এটা বাকির খাতায় ফাকি হিসেবেই ধরে নেয় শিক্ষিত অশিক্ষিত সব মেয়ে।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
নিচে রু বলতেছে আগাম দিতে হয়। আপনি বলতেছেন বাকির নাম ফাঁকি। ঘটনাটা কী? ছেলে দেয়, লেকিন মেয়ে পায় না, টাকাটা তাহলে গ্যালো কই?
যেই লোক দেখানো এমাউন্টটা ঠিক করা হয় ওটা বাসর রাতে দেওয়ার সাধু নিয়ম। চলতি নিয়ম হচ্ছে বাসর রাতে বৌকে আহ্লাদী গলায় বলতে হবে, ওগো দেনমোহর মাফ করে দাও না। ব্যস!
আহ্লাদ তো বেশক করবো। কিন্তু দেনমোহর পরিশোধের অপরাধটা আমার ঘাড়ে ক্যান এসে চাপ্তেছে আমি সেইটা বুঝতে অপারগ। বিয়েশাদিতে তো দুই পক্ষই সমান রিস্ক নিয়ে জয়েন করবো। সেই উট-তাঁবু-খোরমা-খেজুরের যুগ তো ফুরাইছে। আপনার ভাবীদের আমি তালাক দিলে তারা যে সমস্যায় পড়বে, আপনার ভাবীরা আমাকে তালাক দিলে তো আমিও সেই সমস্যাতেই পড়বো।
আর ধরেন (আল্লাহ না করুন), আপনার ভাবীরা যদি আমার মতই নেকবন্দ মুমিন হয়? তারা যদি কোনো হাদিস বের করে শেষ দিরহামটুকুও পরিশোধের মাসালা দেখান? তখন শরিয়তের কী বিধান? মমিন তখন কী করবে?
নারে ভাই! আপনাকে যে বিয়ে করবে সে হাজারগুণ বেশি রিস্কের মধ্যে থাকবে। এইটুকু অন্তত এপ্রেশিয়েট করেন।
আপনারা দুইজন কি চামে এই নেককারকে মন্দ বললেন? এইসব কি ভালু?
ভাবসিলাম একজোড়া জর্মন ভাবী পামু। সেই খুশিতে সামনের শীতে "বেঁচে থাকুক সর্দিকাশি" টাইপের একটা পোস্ট পড়ব সচলে। কিন্তু এখন দেখি পাক্কা ইমানদার সাইজ্জা যৌতুক আর দেনমোহরের হিসাব খুইলা বসছে। ক্যামনে কি??
এভাবে বলবেন না। আল্লাহপাক নারাজ হন।
হিম্ভাই একজোড়া জর্ম্মন বউ এর সাথে সাথে খান কয়েক নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট যৌতুক পাইলে দেশ উপকৃত হইত ।
এফ এম রেডিও নিয়ে অ্যাকটিভ থাকতে চাই, তাই বলে একেবারে রেডিওঅ্যাকটিভিটির হাঙ্গামায় আমাকে জড়াতে চাচ্ছেন?
হ, রেডিও এক্টিভ এফেম মেথড খিক্ক
প্রকৃত মমিন তখন হাত খুলে দেনমোহর পরিশোধ করে...অশেষ নেকী হাসিল করবে।
যৌতুকের ক্ষেত্রে ছেলেরা উদাস মৌ্নব্রত পালন করে, তার কারন ইদানীং কালে শিক্ষিত(!) ছেলেরা এহেন ব্যাপার নিয়ে দরকষা-কষি করতে লজ্জাবোধ করে। শ্বশুর বাড়ির জিনিস হজম করার পর বলে-------"আমিতো নিজ থেকে কিছু চাইনি, উনারা খুশি হয়ে দিয়েছেন। না নিলে মনে কষ্ট পাবেন।তাই নেয়া।" এটা হলো শ্বশুরবাড়ি থেকে প্রাপ্ত উপহার সামগ্রী হালাল করার একটা সর্বজন গৃহীত পন্থা।
আর মেয়েদের কথা বলছেন...দেনমোহরের ব্যাপারে তাদের মতামত যাচাই করা হলে তবেই না মতামত প্রদানের বিষয়টি বিবেচিত হবে।
যমজ বন বা প্রায় একরকম খালাতো বোনের দেনমোহর অকশন স্টাইলে নির্ধারিত হবে। যেই মেয়ের গুণ বেশি তার দেনমোহর তত বেশি।
আগে একটা মন্তব্য করলাম ওয়ার্ড ভেরিফিকেশনের প্যাঁচে পড়ে হারায় গেল। আবার লিখতে পারছি না, দুঃখিত। অল্প কথায়, দেনমোহরকে খুব অসম্মানজনক চর্চা হিসাবে দেখি। বলা হয়ে থাকে পরে যদি ডিভোর্স হয়ে যায়, মেয়েটার একটা খুঁটি হিসাবে দেনমোহর থাকবে। ডিভোর্সের পর একটা মেয়ের স্বাবলম্বী হয়ার যোগ্যতা না থাকলে, এক হাঁড়ি টাকা নিয়েও সে পানিতেই পড়বে। তার উপর একজনের ঘর থেকে যদি বের হয়ে আসতে হয় আবার তার কাছ থেকে টাকা নেওয়া কী লজ্জাজনক ব্যাপার না?
দেনমোহর কি ডিভোর্স ইনস্যুরেন্স পলিসি হিসেবে ব্যবহৃত হয়? মানে তালাক দিলে সাথে টাকা দিতে হবে? নাকি এই টাকা আগাম দিয়ে শাদি করতে হবে?
আগাম দিতে হবে। বাকির নাম ফাঁকি।
আপনার দুই ভাবীর একজন, কিংবা ওয়ার্স্ট প্রোবাবল সিনারিওতে দুইজনই যদি আমাকে তালাক দেয়, তখন আমি কই যাবো? আবার যমজ কিংবা প্রায় একই রকম দেখতে খালাতো বোন সন্ধানের রাহাখরচা কি তখন আমার শ্বশুরেরা আমাকে দিবেন? ঐরকম কোনো ক্লজ নাই?
একটা সুপরামর্শ দেই। এরকম নিঃস্বার্থ বুদ্ধি এই যুগে আপনাকে আর কেউ দিবে না। প্রথমে একটা বিয়ে করেন, যৌতুকসহ। যৌতুকের পরিমান হবে তিন দেনমোহর এবং আপনার রাহাখরচার সমান। কেন কী বললাম আপনি নিজেই এখন বুঝে নেন।
গ্রামীণ ব্যাঙ্কের শুরুর দিককার মতো, বুচ্ছি। জোবরা গ্রামে পাত্রী খুঁজতে হবে মনে হচ্ছে।
হেল্লেগা মূল সাপ্লাই-ইন্সটলেশন-কমিশনিং কন্ট্রাক্টের পরপরই একখান এসএলএ নেগোশিয়েট কইরা সাইন করা উত্তম। আপটাইম, ডাউন্টাইম, পেনাল্টি, হেল্প ডেস্ক, ইনভয়েসিং, রিনিউয়াল ইত্যাদি ইত্যাদি ব্যাকটি কাভার ।
শোনা হাদিসঃ
বিয়ের দেন মোহর পরিশোধ বা মাফ করা না হলে বিয়ে হালাল হয় না এবং যেই সমস্ত সন্তানাদি হয় সেইগুলা সব জারজ। - কোঁন রেফারেন্স দিতে পারবো না।
একটা মুস্লিম বিয়ের কাবিন নামা খুলে দেখেন, এর মর্মোদ্ধার করার চে আইন্সটাইনের রিলেটিভিটি থিওরির ভুল ধরা অনেক আরামের কাজ। কাবিনের ইংলিশ ট্রান্সলেশন আরেক লেভেলের জোকস।
আরবী মতে বাপ এতদিন খাওয়ায় পরায় মানুষ করছে, তার একটা খরচ গেছে না? দেন মোহর দিয়ে পিতাকে সেই মূল্য পরিশোধ করা হয়। দেন মোহর পায় মেয়ের বাপ। বাংলাদেশে তাও ভালো টাকাটা মেয়ের প্রাপ্য হয়, পায় ক'জনা যদিও সন্দেহ আছে। এখানে তাই দেন মোহর কেবল একটা ফ্যামিলি স্ট্যাটাসের পরিচায়ক ভ্যালু।
দেনমোহর যে এত কোটি এত লক্ষ এত হাজার ও 'এক টাকা' হতে হয় সেটা জানেন তো?
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
কোটি লক্ষের ঘরের টাকা বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে নিবো, আর হাজার ঘরের টাকা গ্রামীণ ব্যাঙ্ক থেকে। এক টাকা আমার কাছে আছে।
ঐটাও বৌয়ের থেকে ধার নেন।
জমজ বিয়ে করলে কি দেন মোহর এত লক্ষ "দুই টাকা" হবে?
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
এক টাকা কনসেশন পাবো না? ইরাম মাক্ষিচুস শ্বশুর যদি কিসমতে পড়ে, খবরই আছে। দেখা যাবে রাতের বেলা ফোন দিয়ে বলতেছে, বাবা তোমার কাছে যে এক টাকা পাই, সেইটা মনে করে কালকে নিয়াইসো, আর চা-চু খায়া যায়ো।
জীবনে প্রথম এই কথাটা শুনলাম!
এইটা আরবী স্টাইল। বেদুইন গো দেশের প্রথা। এই রঙ্গ ভরা বঙ্গ দেশে কয়টা মেয়ে দেনমোহরের টাকা চর্মচক্ষে দেখে? উসুল হিসেবে গলায় যে সোনার শিকল পরিয়ে দেয়া হয় ঐটুকুতেই খুশি থাকতে হয়।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
আমি মনে করি আমাদের দেশে দেনমোহর একদিক থেকে ভাল। এই যেমন গ্রামে অল্প বয়সী, অল্প শিক্ষিতা মেয়েদের তার দরিদ্র বাবা বিয়ে দিয়ে থাকেন শুধু একটু ভাত- কাপরের নিশ্চয়তার জন্য, আর সেই মেয়েও বিয়ের পর সেই স্বংসারে গাধার খাটুনি খাটে, নিজ স্বংসারের উন্নতির জন্য। কিন্তু স্বামী মহোদয় হানিমুন পিরিয়ড পার করলেই তার চোখ পরে পাশের ক্ষেতে কাজ করা জরিনার উপর(বা বউয়ের যমজ বোনের উপর )। তখন বেচারী স্ত্রীর উপর বাড়ি ফিরেই শুরু হয় ১২৩ এর নির্যাতন ... তখন ফলাফল যাই হোক (হোক না তা নিমরাজীর স্বংসার, থাকা- খাওয়া তো পাওয়া গেল) সেই মহিলার দেনমোহরটুকুই থাকে শেষ ভরসা।
এই দেনমোহর দিয়ে অল্প শিক্ষিতা, অল্প বয়সী মেয়েটা কী করবে? এই কয়টা টাকা তাকে কীসের নিরাপত্তা দিবে?
@ রু, ধরুন, দেনমোহর ১০হাজার টাকা। ধরুন, সেই মহিলাও একটু ঘিলু নিয়ে চলাফেরা করে বা আশেপাশে বুদ্ধি দেয়ার কেউ আছে, তাহলে সে এই টাকায় ৩টা হাঁস ও ২টা মুরগি কিনবে, এসবের পালন পোষণ তারা বাই বর্ন শিখে সো নো টেনশন, আর মনে করেন হাতে বোনা বাঁশের জিনিস বানাবে এবং ধীরে ধীরে... এক সময় নিজেই দাঁড়িয়ে যাবে, আমি তাই আশা করি
আর হাঁ আজ বিয়ে করে কাল বিদায়, এমন বান্দাদের জন্য দেনমোহর একটা উচিত শিক্ষা
যৌতুক না নিয়ে আংশিক বাকীতে বিয়ে করছিলো আবুল হোসেন। দেনমোহরের একাংশ এডজাস্ট করা হয়েছিল স্বর্ন দিয়ে। আবুল বউকে বলে রেখোছিল কোনদিন বড়লোক হলে দেনমোহরের বাকীটাও পরিশোধ করে দেবে। কিন্তু আবুল হোসেনকে আর বড়লোক হতে হয়নি। সেদিন দানু মিয়ার দোকানে স্বর্নের দাম শুনে খুশীতে লাফিয়ে উঠলো সে। হিসেব করে দেখলো স্বর্নের মূল্য বৃদ্ধির কারণে তার বাকী দেনমোহর আপসেই পরিশোধ হয়ে উপচে পড়ছে এখন।
ব্যাপারটা এরকম।
আবুল যখন বিয়ে করছিল স্বর্নের দাম ছিল ১০ হাজার টাকার কম। দেনমোহর ছিল ৩ লাখ। বিয়েতে দশ ভরি স্বর্ন দিয়েছিল বউকে। সেই হিসেবে স্বর্নের দাম ১ লাখ টাকায় দেন মোহরের ১/৩ অংশ পরিশোধ হয়ে যায়। বাকী ছিল দুই লাখ টাকা। বউকে ফুসলিয়ে দুলাখ টাকা পাওনা ঠেকিয়ে রেখেছে এতকাল। এখন স্বর্নের ভরি ৬০ হাজার হয়ে যাওয়ায় তার প্রদত্ত ১০ ভরি স্বর্নের বর্তমান দাম ৬ লাখ টাকা। সুতরাং সে বউয়ের কাছ থেকে আরো তিন লাখ টাকা ফেরত পেতে পারে। বিগলিত খুশীতে একটা সিগারেট কিনে সুখটান দিতে দিতে বাড়ি ফিরে যায় আবুল।
চমৎকার আইডিয়াটা ঘরে গিয়ে বউকে জানাতেই বউ ঝাঁটা হাতে তেড়ে এসে বললো, "মিনসের মিনসে আমারে তালাক দিয়ে আরেকটা বিয়া করার খায়েশ হইছে তোর আমি কি বুঝি না? আমাকে বিয়ে করছিলি ৩০ ভরি স্বর্নের দামে, দিয়েছিলি ১০ ভরি। এখনো ২০ ভরি বাকী। এক দানাও মাফ নাই কেয়ামত পর্যন্ত। তোর ফন্দী ফিকির আমি বাইর করতেছি।"
নিরাপত্তার খাতিরে আবুল হোসেন সেই রাতে ফুটপাতে রাত্রি যাপন করলো।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
এক হৃদয়হীনার কাছে, হৃদয়ের দাম কি আছে?
আপনাদের এস.এস.সি পরীক্ষার সিলেবাসে আবদুল্লাহ ছিলো না? ওইখানে পড়েছিলাম আবদুল্লাহর শ্বশুর মসজিদ শেষ করার জন্য মেয়ের মৃত্যুর পর তার কাছ থেকে দেনমোহরের টাকা আদায় করেছিলো। এই লেখা দেখে মনে পড়লো
আবদুল্লাহর শ্বশুর কি বাই এনি চান্স কোনো ক্ষুদ্র ঋণ কোম্পানির সাথে জড়িত ছিলো?
পোষ্টের সাথে পুরো সম্পর্কিত না, তবুও বলার লোভ সামলাতে পারলাম না।
সৌদিদের বহুবিবাহের যুক্তি শুনলাম গত কাল সৌদি ল্যাবমেটের কাছে। মজার যুক্তি, শোনেন কয়েকটা,
১। যে পুরুষ একটা বিয়ে করে সে আসলে মহিলার জীবন-যাপন করে, কারন বৌ প্রেগনেন্ট হলে সে প্রেগনেন্ট হয়, বউয়ের পিরিয়ড হলে তার পিরিয়ড হয়। কারন এই বউ ছাড়া তার কোন অপশন নাই।
২। দুইটা বিয়ে করা লোকের অবস্থা কিছুটা ভালো, ৩টা হলে অপশন কিছুটা বেশি। (এক্ষেত্রে পাঠা দিয়ে উদাহরন দেয়া হয়)
৩। ৪টা বিয়ে যে করে সে প্রতিদিনই নতুন জামাই।
৪। সৌদিতে এখন মেয়েদের সংখ্যা বেশি, সো মেয়েরা অবিবাহিত থাকলে সমাজে অনাচার বেড়ে যাবে, সো সমাজিক দায়িত্ব পালনের জন্য হলেও কমপক্ষে ২টা বিয়ে করতে হবে।
৫। মহিলাদের সেক্সুয়ালী একটিভ লাইফ পুরুষদের তুলনায় কম (গোশত-পেস্তা-কাজু খাওয়া সৌদি পুরুষদের তুলনায় তো আরও কম), সো একজন পুরুষ কেন এক মহিলার সাথেই নিজের লাইফ শেষ করে দেবে, তার কি সাধ-আহ্লাদ নাই। তাই আরও বিয়ে করা দরকার।
দেনমোহর পরিশোধ না করে স্ত্রী সহবাস করা সহি হবে না। সুতরাং, ক্ষুদ্র ঋণ ছাড়া আপনার ব্যাচেলরত্ব ঘোঁচার কোন সম্ভাবনা দেক্তে পাচ্ছি না।
শাশুড়িদের কোলেইটারাল দেখিয়ে কোনো সাধারণ ব্যাঙ্ক থেকে কি ঋণ পাওয়া যাবে না?
দিলেন তো পাওনার কথা মনে করায়ে! সেই ১০ বছর আগে আধেক শোধ করে বিবাহ করলো সে আমারে। হালাল সংসারের আশায় লজ্জাসরম রেখে শুরুর দিকে দু'একবার মনে করায়েও দিলে বলতো- আছে মেলা হইবে এলা। এখন তো আমিও ভুলছি সেও ভুলছে। তাইলে এই হালাল রোজগার কি আমার আর পাওয়া হবেনা ? তার সঙ্গে আমার বড়ই সুখের সংসার। প্যাঁচে ফেলে আদায়ও সম্ভব না। তাইলে কি হবে? হালাল দাম্পত্য কেমনে হবে? আমার এতগুলা টাকা! কি করি এখন?!পিলিজ উপায় বলেন....................।
নিকটস্থ গ্রামীণ ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করুন ...
শুনসি যৌতুক হিন্দু আইনে প্রবর্তিত আর দেন মোহর মুস্লিম আইনে-
হিমু ভাই গোপন তথ্য দেই। অমিতাভ বচ্চনের যময নাতনি পাইপ লাইনে আছে।
সিরিয়াল দিয়া দেখতে পারেন। দেন মহোরের ঝামেলা নাই। যৌতুক পাবেন ম্যালা।
তারা অন্তত বিবি আয়েশার বয়সী না হলে তো প্রস্তাব পাঠানো যাবে না, আরো ছয় বছর কি মমিনকে অপেক্ষা করিয়ে রাখা সমুচিত হবে?
বিগ বি আপনার মত নাত জামাই পেলে হাত ছাড়া করবেন কি না সন্দও আছে। উনাদের তো ছয় বছর অপেক্ষার নিয়ম নাই।
এইরাম শাশুড়ি পাওয়ার জন্যে তো মমিন এইটুক স্যাক্রিফাইস করতেই পারে।
বিবিদের ডায়াপার নয়, বরং শায়াপার খুলতেই মমিন বেশি আগ্রহী। আপনার সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
যাঃ জমজ নয়, একপিস ছানি হয়েছে| এই একটু আগে নিউজে এলো|
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
হীরন মিয়ার এফবি ঘটতে যায়ে লিঙ্কানুলিঙ্ক এক মেয়ের প্রোফাইলে যায়ে দেখি সেই মেয়ে আরেকজনের ওয়ালে লিখসে, please do something for Hiron bhai!
সম্ভবত উনি বিরাট মনোকষ্টে আছেন হীরন ভাইয়ের মতো সচ্চরিত্র, নিষ্পাপ, নিপীড়িত, নিগৃহীতর জন্য...
আজব লাগলো, কিভাবে মেয়েরা এই যুগেও এতোটা পুরুষবাদী আছে দেখে... যেমন, ওই মেয়ে বা হীরনের ফুপু।
যৌতুকের মতো দেন মোহর নিয়েও বেশিরভাগ পরিবারে প্রচুর নোংরামী হয় বিয়ের আগে। এমনও দেখসি, এক মহিলা তার মেয়ের বিয়ের কথা পাকা করার সময় জোর গলায় জানায়, "পনেরো লাখের নিচে আমার মেয়েকে দিবোই না!" (হুবহু এই কথাটাই বলসিলো, এক ফোঁটাও বানানো না... সম্ভবত ফিক্সড প্রাইজ)
আবার এমনো দেখসি, আমার খুব ক্লোজ একটা ফ্রেন্ড তিন বছর প্রেম করে বিয়ের সময় নিজেই ওর ফ্যামিলিকে প্রচুর প্রেশার দিসে হাই-ফাই যৌতুক দেয়ার জন্য। আবার ওর ফ্যামিলিও ছেলের ফ্যামিলিকে প্রেশার দিসে, একবারে দেন মোহরের ছয় লাখ টাকা বিয়ের দিন পরিশোধের জন্য। মোটামুটি ব্যবসায়িক পরিবেশ (তিন বছরের প্রেমের 'সফল' পরিনতি)!
দুইটা উটের চামড়ার মশকে টাকা ভরে বালিশ বানিয়ে সেইটা দিয়ে বরপক্ষ আর কনেপক্ষ মাইরপিট করতে পারে। যে জিতবে সে দুইটা বালিশই নিয়ে যাবে।
জনাব হিমু, আমার ধারনা এসম্পর্কে আপনার যথেষ্ট জ্ঞান আছে।
মুসলিম বিয়েতে দেনমোহরের দুইটি ভাগ আছে। (১) মোয়াজ্জেল (২) মউয়াজ্জেল। নির্দিষ্ট দেনমোহরের একটি অংশ অলঙ্কারাদির মূল্য বাবদ পরিশোধিত বলে গন্য হয়। অপর অংশটি নগদে দেয়। দেনমোহর সম্পূর্ণ পরিশোধ ব্যতিরেকে স্ত্রীকে স্পর্স জায়েজ নয়। নগদ অংশটি নিদেনপক্ষে বাসরঘরে স্ত্রীর হাতে সমর্পনপূর্বক তাঁকে স্পর্সের অধিকার জন্মে।
বলতে পারেন দেনমোহর হচ্ছে তাঁকে সারা জীবন ব্যবহারের ক্রয়মূল্য(তাঁর ইচ্ছাসাপেক্ষে)। সে সময়ে ক্রীতদাসীকেও যৌনকর্মে ব্যবহার করা জায়েজ ছিল। মুহাম্মদ তাঁর জীবদ্দশায় এ ব্যবস্থা রদ করেননি। বলা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে পুরাতন পেশা গণিকাবৃত্তি। সেক্ষেত্রে তাঁর ইচ্ছাসাপেক্ষে অর্থমূল্যে তাঁর সময়ের কিছুটা অংশ ক্রয় করা হয় তাঁকে যৌনকর্মে ব্যবহারের জন্য।
মন্তব্যের আরেকটি বিষয় সমপর্কে অতি সামান্য জ্ঞান থেকে বলছি, প্রাচীণকালে আরবের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে কন্যাপণের প্রচলন ছিল ( এখনও আছে কিনা জানিনা)। এতে বিয়ের জন্য বরকে কন্যার পিতাকে কন্যার ধার্য্যমূল্য পরিশোধ করতে হত। পুরাকালে এতদঞ্চলে শস্যের বিনিময়ে স্ত্রী লাভের প্রথা চালু ছিল।
ভুলত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন।
দেনমোহর যে নিতান্ত ছেলের হাতের মোয়া(জ্জেল) নয় এটাই বুঝতে পাল্লুম। ধন্যবাদ।
ক্রিকেটার শাহাদাতের ভিউ পয়েন্টটা জান্তে মঞ্চায়!
--------------------------------------------
বানান ভুল হইতেই পারে........
আমার পরিচিত একজন দেশের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠানে 'শিক্ষালাভ' করেছে, 'লাখে একটা হয়' এমন পুরুষকে বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ী থেকে 'আশানুরূপ' 'উপহার' না পাওয়ায় সালিশ বসিয়ে আক্ষেপ করতে দেখেছি।তার অভিযোগ, মেয়েকে কেন 'ফকিরের মত' (৮ভরি স্বর্ণালঙ্কার, খাট-পালঙ্ক-সোফাসেট-আলমারিসহ প্রয়োজনীয় যাবতীয় আসবাবপত্র,সাংসারিক ইলেক্ট্রনিক গেজেট ইত্যাদি সহযোগে) শ্বশুরবাড়ী পাঠানো হল?? তাঁকে মনে করিয়ে দেয়া হল, বিয়ের আগে তাঁর এবং তাঁর পরিবারের কাছে যৌতুক-চাহিদা বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে,সে কিছুতেই যৌতুক নেবেনা বলে দাবী করে।
তাঁর উত্তর, 'তিন ধরণের ছেলে আছে, ১) যে হাজার সাধাসাধি করলেও কিছু নেবেনা এবং কিছু দিলে তা ফেরত পাঠাবে। ২) যে নিজে থেকেই তাঁর চাহিদা জানাবে এবং তা আদায় করবে। ৩) যে মুখে বলবে যে সে কিছুই নেবেনা, কিন্তু তাঁকে দিতে হবে।তাঁর চাহিদা বুঝে নিতে হবে।জিঙ্গেস করলে হবে না। এতে তাঁকে ছোট করা হয়।'!!!
হায়!প্রথম দুইজন তো চেনা যায়,তৃতীয়দল কে চেনার যন্ত্র কোথায় পাওয়া যাবে?
মনে হয় এফ এম রেডিও দ্যায় নাই দেখে মাইন্ড কর্ছে।
@শীঃ আপনার মন্তব্যটি পরিষ্কার বুঝলাম না। কে সালিশ বসিয়ে আক্ষেপ করেছিল ছেলে না মেয়ে।
এত সুন্দর একটা যুগপোযোগি টপিক নিয়ে হিমুদা লিখলো, কিন্তু ধর্মীয় রেফারেন্স টেফারেন্স দিয়ে এটাকে জাস্টিফাই করনেওয়ালা কেউ এখন ও এই ব্লগে কোন মন্তব্য করে নাই, তাইলে কেম্নে কি হোল। এ সম্পর্কিত হাদিসগুলা নিয়ে আলোচনা, সমালোচনা শোনার অপেক্ষায় থাকলাম, যেহে্তু আমার নিজের এ ব্যাপারে তেমন কোন জ্ঞান নেই।
বন্দনাদি, এই বিষয়ে কেউ ধর্মীয় রেফারেন্স টানবে না। কারন কুরআন এ বলেছে স্ত্রীকে স্পর্শ করার আগে তার দেন মোহর দিয়ে দিতে। আর গয়না দিয়ে দেন মোহর শোধ এইটা দেন মোহরের বাঙ্গালী রূপান্তর।
যারা মেয়েদের বঞ্চিত করতে চায় তারা এই বিষয়ে কিছুই বলবেনা। কারন ইতিহাস যাই হোক এইটা মেয়েদের প্রাপ্য। আর আমাদের দেশে এইটা একটা প্রথা। কোন বিবাহিত মেয়েই মনে হয়না দেনমোহর আদায় করেছে।
কতিপয় মুসলিমাহ মাঝেমধ্যেই আমার পোস্টে এসে নখড়ামো করেন। আজ তাঁদের কাউকে না দেখে দুক্ষু পেলুম। দেনমোহর সম্পর্কে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কী বিধান দিয়েছেন, পরিষ্কার হচ্ছে না।
জেহাদী জোশে দেনমোহরকে ডিফেন্ড করতে কেউ এলো না!
পোষ্ট দেয়াটাই মনে হয়য় ব্যর্থ হয়ে গেলো!
আইনের হিসেবে দেনমোহর আর যৌতুকে তো পার্থক্য থাকা উচিত না।
আপনার দেয়া আইনের কপি থেকে: ...irectly or indirectly, from the parents or guardian of a bride or bridegroom, as the case may be, any dowry,... তার মানে বর/বউ কেউ একজন চাইলেই আইন প্রযোজ্য। এখন থাকল dowry কী জিনিস! অক্সফোর্ড ইংরেজি কাগু বলছে, Dowry is an amount of property or money brought by a bride to her husband on their marriage.
দেনমোহরও তো যৌতুকের হিসেবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলেই মনে হচ্ছে! (আমি আপনার বৌমারে এই অন্যায় কখনোই করতে দেবোনা! আমার 'ফরানের ফাখি'রে আমি কেম্নে জেলের ভাত খাওয়াই! প্রয়োজনে জীবন দিয়ে দেব তাও দেনমোহর দিমুনা!)
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
দেন মোহরের জন্য কখনো কোন ছেলেকে অত্যাচারিত হতে হয়েছে কি? আমি শুনি নাই, কারো জানা থাকলে দয়া করে জানাবেন।
হয়তো আমিই হবো প্রথম মজলুম। আখবারে আমার তাসবীর ছাপা হবে। শিরোনাম হবে, দুই হৃদয়হীনার কাছে, হৃদয়ের দাম কি আছে?
কেন হবেন? আপনি মুমিন মুসলমান। বিয়ে হওয়ার আগেই দেনমহর পরিশোধ করে দিবেন। অন্তত এই ব্যাপার নিয়ে অত্যাচারিত হবেন না, অন্য কোন কারণে হতে পারেন।
যাই হোক, ধুসর গোধূলির মৌনতা সন্দেহজনক ঠেকছে।
শিট, আমার চোখে সমস্যা আছে। কোথাও মৌ দেখলেই সেটাকে যৌ পড়ি। তাই মন্তব্য দেখেই লাফ দিয়ে প্রতিমন্তব্য টাইপ করছিলাম। পরে ভালো করে খেয়াল করে দেখি মৌনতা
সমস্যা আপনার চোখে না মাথায়।
এই পোস্টের টাইটেলই তো যৌ দিয়া। ভুল হতেই পারে। হিমুকে বলেন যৌতুক বদলে মৌতুক করতে।
মৌন মিছিল হলে কিন্তু সাবধান!
facebook
শিট, আন্না হাজারে তাহলে এতদিন মৌনব্রত পালন করে আসছে??
মৌনকুহর নামে একজন হাচল আছে। এসে দিবেনে আপনাদের সবাইরে দৌড়ানি।
সবকিছুর মত যৌতুক এরও জেন্ডার থাকা উচিত ! তাই কপট বুদ্ধিমানরা মনে হয় ফিমেল ভার্সন হিসেবে "দেনমোহর" এর জন্ম দিয়েছেন কিন্তু নামকরণ টা যৌতুক এর মত কৌতুক পূর্ণ হয়নি....আমরা চরম উদাসী মনোভাব নিয়ে আকিকা করে নুতন নামকরণ করতে পারি "মৌতুক" তাতে করে পূর্বের নামকরণের মধ্যে যে নগ্ন ভিক্ষাবৃত্তির দুর্গন্ধ (দেন+মোহর) আছে সেটা ঘুচে যাবে....
যৌতুক-মৌতুক তোরা একসাথে মর , তোরা কচু খা...
উদাস লোকটা অমানুষ!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আপ্নে মানুষ না
প্রতিমন্তব্যটা দেখতে চাই
পোস্টে কিছু ব্যাপার উঠে আসছে দেখলাম, দেন্মোহর এবং এর মালিকানা। অনেকেই দাবি করেছেন এই দেন্মোহরের নামে দেয়া সম্পদের মালিকানা প্রায়ই কন্যার পিতা (পক্ষান্তরে মা ও আত্মীয়-স্বজন) হন ও ওনারা বিয়েকে (ও বিয়ের বর-কনেকে) বাজার-পণ্য করে দেন্মোহর-যৌতুকের দর-দাম করেন, অনেক অবিভাবক প্রইস ফিক্সট করেদেন!
যতদূর জানি (খুব অল্পই জানি) ইসলামে দেন্মোহর কে উপহার হিসেবে দেখা হয়। 'ডাওরি' বা পণ নয় তবে, মেন্ডেটরি গিফ্ট। বিয়েতে বর-কনের পরিবারে বিয়ে নিয়ে ফাইনান্সিয়ালি কোন চাপ সৃষ্টি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার কথাও বলা আছে, বিয়ের অনুষ্ঠান, দেন্মোহরের ব্যাপারে। (তৎকালিন সময় অনুযায়ি) যুদ্ধ বন্দী(নি) বা দাস(ঈ) দের দেন্মোহর (Mahr/Faridah) হিসেবে তাদের স্বাধীনতার কথা বলা আছে, অর্থ্যাত বর্তমানের দেন্মোহর যদি মেয়েদের অসহায়ত্ব থেকে বাঁচানোর জন্যে বা তাদের স্বাবলম্বি করে তোলার জন্যে হয়ে থাকে তবে সেটা ভাল বলেই আমার ধারণা। ডিভোর্স হয়ে গেলে দেন্মোহরে দেয়া সম্পদ ফেরত নেয়া বারণ আছে, দেন্মোহর সম্পুর্নরুপে কনের। কনের আজ্ঞায় সে সম্পদ কনের বাবা বা স্বামী কর্য হিসেবে অথবা এম্নি নিয়ে নিতে পারবে। দেন্মোহর মাফ বা ফিরিয়ে দেয়ার অধিকার কনের আছে বলেই এক ওয়েব সাইটে পড়লাম। দেন্মোহরের একাংশ মাফ করে দেয়া বা ফিরিয়ে দিলে বর সেটা নিতে পারবে,
(লিংক ১)
(লিংক ২)
বাংলাদেশ বা উপহাদেশের কালচারে হয়ত দেন্মোহর দরদাম করা ডাল-ভাত, নিয়ম পরিবর্তিত হতে হতে আজ এপর্যায়ে আসছে, আজ সকলেই ব্যাবসায়ি, যে যেভাবে পারছে গ্রস প্রোফিট বাড়াচ্ছে। ইসলামে যৌতুক নাই, দেন্মোহর (Mahr/Faridah) আছে।
শাফি।
ম্যাণ্ডেটরি গিফট কথাটা একটা ভালো অগজিমোরোন।
বউ মাফ করে দিলে সেই টাকা দিয়ে মৌজমস্তি করার জন্য আরেকটা বিয়ে করা জায়েজ হোলেও হোতে পারে।
কিন্তু বিষয়টা এত সহজ না। আল্লাহপাক কী বলছেন দেখেন:
এইখানে আল্লাহপাক বলতেছেন মাস্তি করার জন্য দ্বিতীয় বিয়েতে প্রথম বিয়ের দেনমোহর খরচ করা যাবে না। তাহলে মাস্তি করুম ক্যামনে? ট্যাকা কি গাছে ধরে?
এইগুলা বে-ইনসাফ না?
প্রথম বউয়ের মাফ করে দেওয়া দেনমোহরের টাকা দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করা জায়েজ না। এদিকে দ্বিতীয় বিয়ের দেনমোহরের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ টাকা না থাকলে "মোহাম্মদ আশরাফুল" মুঠ করে কতদিন বসে থাকা সম্ভব? তাইলে উপায় কী?
আল্লাহপাক বলেন:
সুতরাং দেখা যাচ্ছে ঘরে কাজের মেয়ে [দাস-দাসী] থাকলে কোন সমস্যা নাই।
এখন দেখা যাক দাস-দাসী বিয়ে করার ক্ষেত্রে দেনমোহরের বিধান কী।
দেনমোহরের কোন সর্বোচ্চ সীমা নাই। তবে সর্বনিম্ন সীমা আছে। তা হচ্ছে ১০ দিরহাম। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ~২১০ টাকা।
দশ দিরহামের বিষয়টা একটা দুর্বল হাদিস দিয়ে উল্লেখ করা হয়:
২১০ টাকা দেনমোহর দিয়ে দাস-দাসী বিয়ে করে যাতে সারাজীবনের জন্য সামাজিক মর্যাদা খোয়াতে না হয় তার জন্য মু'তা বিয়ের সুযোগ আছে।
সহি মুসলিম শরীফের ৮ নং বইয়ের ৩২৫৩ নং হাদিস কী বলে দেখেন:
সুতরাং, দেখা যাচ্ছে এক রাতের জন্য মূ'তা বিয়ের সুযোগ আছে। খরচ ও খুব বেশি না, মাত্র ২১০ টাকা।
কিন্তু আফসোসের বিষয় হচ্ছে মূ'তা বিয়ে সুন্নী মুসলিমদের মধ্যে নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। যদিও শিয়া মুসলিমরা এখনো তা জারি রেখেছে।
সেই হিসাবে অবিবাহিত সুন্নী বালকেরা বড়সড় চিপায় পড়েছেন। যথেষ্ট পরিমাণ টাকা পয়সা না থাকলে দুই জমজ বোন বা একইরকম দেখতে খালাতো বোন বিয়ে করার সুযোগ নাই।
খোদার রাহে চলতে গিয়ে যে খোদ খোদার তরফ থেকে এইরাম অসহযোগ আন্দোলনের মুখোমুখি হতে হবে, আগে ভাবি নাই। নাস্তিক জীবনে ফিরে যাবো কি না ভাবতেছি।
এইটা কোন কথা হইলো বলেন? যদি ত্রিভুজ কেনার সামর্থ্য থাকে তবে আর বিয়ের দরকার পড়ে?
যৌতুকের উদ্ভব ঠিক কবে তা কেউ জানে না। ব্যবিলনিয়ান সময়েও যৌতুকপ্রথা প্রচলিত ছিল। কালের আবর্তে ব্যবিলন থেকে গ্রীস হয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ঘুরে এশিয়া হয়ে ভারতীয় উপমহাদেশ ঘুরে তা বাংলাদেশের হীরন সাহেবের ঘরে ঢুকে পড়েছে।
যদিও ইসলামে যৌতুক প্রথার প্রচলন নাই তারপরও যৌতুক নিলে বাঙালি মুসলমানদের ধর্মানুভূতি আহত হয় না।
দেনমোহরের উদ্ভব ইহুদিদের সময়ে। মোহর শব্দটা হিব্রু থেকে এসেছে। এর অর্থ হচ্ছে "purchase money"। দেনমোহর জিনিসটা ইসলাম ইন্ট্রোড্যুস করে নাই। ইসলাম-পূর্ব আরব পৌত্তলিকদের মধ্যে দেনমোহর বাধ্যতামূলক ছিল। দেনমোহর সাধারণত কন্যার অভিভাবককে পরিশোধ করা হতো।
মহানবীর জন্মের সময়ে আরবে দেনমোহরের কিছু অংশ কন্যাকে পরিশোধ করা হতো। বাকি অংশ যথারীতি কন্যার অভিভাবক পেতো। সাধারণত দেনমোহরের সমুদয় অর্থ পরিশোধ করার পরই কপালে বউ জুটতো।
ইসলামে দেনমোহর ইন্ট্রোড্যুস করার সময় এর অর্থ বদলে নিয়ে "purchase money" থেকে "bridal gift" করা হয়েছে। এ অনেকটা পুলিশের পোষাকের রং বদলে দুর্নীতি প্রতিরোধ করার মত।
সোজা কথায়, ইসলামী আইনে যৌতুক প্রথার প্রচলন নাই তবে বাঙালি মুসলিম হিসাবে যৌতুক নিলে ক্ষতি নাই। আর দেনমোহর ইসলামী আইন হলেও তা মূলত ইহুদি-পৌত্তলিকদের বানানো নিয়ম। মক্কা বিজয়ের পর কাবা ঘর দখল করে পৌত্তলিকদের মূর্তি বের করে দিয়ে আল্লাহর ঘর ঘোষনা করার মতোই পৌত্তলিকদের নিয়ম খানিকটা বদলে নিয়ে ইসলামী আইন হিসাবে ঘোষনা হয়েছে।
আমার এক আত্মীয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে। মেয়েরা দর কষাকষি করে ১৯ লক্ষ টাকা দেনমোহর ঠিক করার পর তা উল্লেখ করে চুক্তির একটি ড্রাফট কপি পাঠিয়েছে - সাথে ইসলামী এক বই যেখানে দেনমোহর নিয়ে কিছু আলোচনা আছে। এবং মজার ব্যাপার হলো যে তারা ৪ লক্ষ টাকা অ্যাডভান্স চেয়েছে। এতে বর বেচারা খুবই রাগান্বিত এবং বিচলিত যে আর আগানো ঠিক হবে কি না। এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট জ্ঞানের অভাব রয়েছে অনেকেরই।
মুদ্রার ওপিঠে আরেকটি বিষয় - মনে হয় ব্রাত্য রাইসুর একটা নোট পড়লাম যেখানে বলা হয়েছে যে বাবার বাড়ি থেকে অহরহই কন্যাকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা হয়। তাই যৌতুককে অনেক সময় কন্যার জন্যে হিতকর হিসেবে দেখা হয়। সেই নোটে যৌতুক বিরোধী আন্দোলনের পাশাপাশি কন্যার বিয়ের পূর্বেই তার সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিশ্চিত করার জন্যে আন্দোলন করার কথা বলা হয়।
হুমম, ঠিক হায়, দেনমোহরের কুফল নিয়ে একটা ঠাডাঝরানো ইসলামী বই লিখবো ছদ্মনামে।
মাশাল্লাহ, দ্বীনের প্রতি আপ্নার আগ্রহ আর আস্থা দেখে আশান্বিত হইলাম তরুণ সমাজ এখনও বখে যায়নাই। নিশ্চয়ই আপনার জন্য রয়েছে উত্তম জাঝা। আসুন আমরা সকলে দলে দলে ইসলামের পতাকাতলে শামিল হয়ে দোজাহানের অশেষ নেকি হাসিল করি।
জাজাকাল্লাহ খায়রান
অ-ট - এক চাকায় যেখানে চারটে টিউব লাগানো বিধান আছে, সেখানে আপনি মাত্র দুটি টিউবের ব্যাপারে কেন আগ্রহী সেটা জানালে বাধিত হতাম
এক চাকায় চারটে টিউব? তারমানে চার চাকায় ষোল টিউব লাগানো জায়েজ?
মাশাল্লাহ!
একটা ফাটলে আরেকটা? নাকি একসাথে চারটা? কঠিন হিসাবের বিষয়
ইউনিসাইকেলের চাকা
আমার ধারণা টিউব আস্তে আস্তে লাগানো ভালো। মানে,
প্রথম টিউবে 'প্রাকটিস মেকস আ ম্যান পারফেক্ট' হওয়ার পর দ্বিতীয় টিউব,
তারপর 'প্রাকটিস মেকস দ্য পারফেক্ট ম্যান ডিল্ডো' হলে তৃতীয় টিউব এবং
'প্রাকটিস মেকস দ্য ডিল্ডো রণ জেরেমি' হওয়ার পর চতুর্থ টিউব লাগানো ভালো।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
কারণ চৌবাচ্চা যমজ (নন-সিয়ামিজ) কিংবা দেক্তে প্রায় এক্রকম চারটি খালাতো বোন খুঁজে পাওয়া খুবৈ মুশকিল।
আমি অনেক উচ্চশিক্ষিত ছেলেদের দেখেছি যারা মুখে মুখে বলে যৌতুক একটা ঘৃণ্য প্রথা আবার তারাই কিন্তু বিয়েতে উপহার সামগ্রী একটু কম পেলে খুবই নারাজ হয়। আর তার প্রভাবটা গিয়ে পড়ে নতুন বউ এবং শ্বশুর বাড়ির লোকজনের উপর।তাই এদের জন্য যৌতুক না বলে বরং উপঢৌকন কথাটাই বেশি মানানসই।যৌতুক বললে তাদের আবার আতে ঘা লাগে,উচ্চশিক্ষিত মার্জিত ছেলে বলে কথা!
তাই আমরা অশিক্ষিত,স্বল্পশিক্ষিত পাত্রদের ক্ষেত্রে বলব যৌতুক আর উচ্চশিক্ষিতদের ক্ষেত্রে বলব উপঢৌকন !
কথাটা বলা যায় কি,নাকি এখানেও আপনাদের আতে ঘা লাগবে?
পোস্ট এবং কমেন্ট উভয় পড়িয়াই বিয়াপক বিনুদিত হইলাম।
হা খোদা...তুমি হিমুভাইয়ের জইন্য একজোড়া যমজ হুরপরী পাঠায়া দাও; পৃথিবীতে যে জমজ মানবীদের বড়ই আকাল চলিতেছে.........সকলে বলেন.........আমীন.........ছুম্মা আমীন।
মন্তব্য প্রতিমন্তব্য পড়তে পড়তে একটা কথা মনে হল..নিমতলীতে আগুন লাগার পরে মাননীয় প্রধানমন্তী যে দুজন মেয়েকে নিজের মেয়ের মতন করে বিয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন এবং একটি সুন্দর দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন, আর তিনি যে তাদের আপন মার থেকে কোনো অংশে কম নন তার প্রমাণ দেখাতে গিয়ে দুকন্যার স্বামীদেরকে পর্যাপ্ত পরিমানে উপধৌকন দিয়ে সাজিয়ে দিয়েছিলেন, পেপার পত্রিকাতেও মহাসমারহে ফলাও করে বেশ কয়দিন ধরে এই খবর এসেছিল। যৌতুকের জাতীয় সিকৃতী!!!
যমজ বোন (নন-সিয়ামিজ) বা দেক্তে প্রায় একরকম খালাতো বোনদের সন্ধান পেলে তাদের মাকানে গানপাউডার দিয়ে আগুন লাগায় দিবো নাকি, ভাবতেছি।
কোথায় সবাই ভাব গাম্ভীর্য নিয়ে আলোচনা করবে, তা কি না ঠাট্টা তামাশা করতেই ব্যস্ত।
দুনিয়াতে চারপাশে আজ এত জ্বেনা, এত ব্যভিচারের সাবাব এখানেই নিহিত। মমিন বাঁচানোর কোনো উৎসাহই নাই এদের।
আপনি প্লিজ নাস্তিক ফর্মে ফেরত যান। আপনার এই পিছলা খোদাভক্তি আর সহ্য হচ্ছে না!
সত্যের রাহে একবার যখন নেমেছি, দুটি বিবি হাছিল না করে আর উঠছি না।
আরবী মাহর(مهر ) শব্দের অর্থ হলো সীল বা স্ট্যাম্প। ওইযে হুজুরদের ওয়াজে প্রায়ই শোনা যায় না অন্তরে মোহর মেরে দিয়েছেন! একটা মেয়েকে নিজের সম্পত্তি বানানো বা যৌনসম্পর্কের জন্য মূল্যপরিশোধের আনুষ্ঠানিক প্রতীক হলো এই দেনমোহর; তুলনায় বলা যায় জমি কেনার সময় নির্দিষ্ট টাকার স্ট্যাম্প পেপারে দলিল রেজিস্ট্রির ব্যাপারটি। খারাপ ভালোর কোনো ব্যাপার নেই, আত্মসম্মান আর ধর্মীয় চেতনার পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতার পাল্লায় প্রায় সব বাঙালিই পড়ে; কাজেই হাসিমুখে এই দেনমোহর(মুসলিম) কিংবা যৌতুক থুক্কু গিফট দিতে/নিতে কেউই আপত্তি করেনা। দেনমোহরের প্রায় কাছাকাছি সংস্করণ হলো খ্রিস্টানী বিয়ের পূর্বের ম্যারেজ প্রিনাপের ব্যাপারটা; যদিও বাধ্যতামূলক না।
আর আপনার যমজ বা কাজিন বিয়ের খায়েশ থাকলে হিন্দুমতে করতে পারেন। মুসলিম আইনে একত্রে বোন বিয়ে করা যায়না। খ্রিস্টান বা জুডাইজমে তো একাধিকই যায়না। অবশ্য ডিমাণ্ড শিথিল করে সিয়ামিজ চাইলে কি হবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত না; যদিও বিষয়টা(যমজ বোন, একত্রে কাজিন)আন হিসেবে নিতেও বেশ গা ঘিনঘিন করছে, তবে রুচি বহুমাত্রিক!
আর হিন্দুমতে একত্রে বোনের বিয়ের ইতিহাস বড্ড দুঃখের ইতিহাস! কুলীন বর্ণপ্রথার অভিশাপ সেটি(বিভূতির ইছামতি পশ্য)। উপযুক্ত পাত্র না পাওয়াতে প্রায়ই বুড়োহাবড়া কারো সাথে একাধিক বোনের বিয়ে দেওয়া হতো। মরার পর একধাক্কায় সবাই বিধবা। এটা নিয়েও ফান করাটাকে বেশ কুৎসিত মনে হলো। অবশ্য এখানেও যার যথা অভিরুচি! আফটার অল, আপনি ফান করতে পারলে আমিও আমার অভিমত জানাতেই পারি।
বেস্ট উইশেস এন্ড গুডলাক উইথ ইয়োর টুইন ম্যারেজ!
বৌদ্ধ ধর্মমতে যমজ বিবাহের একটা ব্যাখ্যা দিয়ে সেটা নিয়েও ফান করাকে কুৎসিত বলতে ভুলে গেলেন তো। একটু সায়েন্টোলজিও চেক করে দেখেন, ঐ মাজহাবেও আপনি অভিরুচি নিয়ে ঘ্যানানোর আরেকটা উছিলা পেতে পারেন।
মেহেরবানি!
আরে নাহ্ কিযে বলেন! ঘ্যানানোর অধিকার কি আর সকলেরই সমান! আর ইচ্ছা থাকিলেই উপায় হয়, ধর্ম কি তারে রুধিতে পারে? আপনি যমজ/কাজিন শাদীমুবারকের সহি নিয়ত করে খাস দেলে চেষ্টা জারী রাখেন.... আল্লাহপাক চাহেতো হয়ে যাবে মর্মন্দের তরীকাও এস্তেমাল করতে পারেন; পাবন্দীই তো বড় কথা।
জাজাকাল্লাহ খায়রান!!!!!
আবারও মেহেরবানি দিতে হবে?
বিয়ে করতে তো ধর্মমত লাগবেই; তাছাড়া কেমন অক্সিমরন হয়ে যাচ্ছে না! নির্ধার্মিকের বিয়ের প্রয়োজন কি?(কদর্থে না নিলেই প্রীত হবো) সামাজিক আচারপালন? নাকি তামাকও খাবেন আবার ডুডুও ছাড়বেন না?
কিছু বলদ টাইপ পাবলিক আছে (কদর্থে নিয়েন না, এরা আসলেই বলদ), এরা মনে করে নির্ধার্মিকের বিয়ের প্রয়োজন নাই, তারা তামাক আর ডুডু একত্রে পান করে কাজ চালায়। ফ্যাক্ট হচ্ছে ধার্মিকের বিয়েশাদির প্রয়োজন যেই জায়গায়, নির্ধার্মিকের প্রয়োজনও সেইখানেই। নির্ধার্মিকেরা এই বলদীয় বিশ্বাসে টোকা দিতেই মনে হয় জোরেসোরে বিয়েশাদি করে। নির্ধর্ম মতে শাদি করার অপশনও সদাশয় সরকার বাহাদুর করে রেখেছেন ।
হে নির্ধার্মিক ভ্রাতঃ, ধরা তো খেয়েই গেলেন- সিভিল ম্যারেজ করলে আবার দেনমোহরের পেছনে দৌড়াদৌড়ি করছেন কেন? বাংলাদেশের সিভিল ম্যরেজ বিয়ের এক্টটা ভ্রাতঃ ব্রাহ্মদের বিয়ের জন্য করা হয়েছিলো তৎকালীন হিন্দুমতে বিয়ে হয়না বলে। সেজন্যেই তো বললুম, তামাক আর ডুডু একসংগে খাচ্ছেন কেন? চোরাগলিঘুঁজি দিয়ে বিয়ের প্রয়োজনটা কি নির্ধার্মিকের? কমিটমেন্টে ঘাটতি আছে বলে? না সমাজ ছ্যা ছ্যা করবে এই ভয়ে? আর ধার্মিকরা বিয়ে করে ধর্মের বিধান আছে বলে। নির্ধার্মিকেরা সেই একই কারণে বিয়ে করে জানতুম না তো? সাধে কি আর বলছি তামাক আর ডুডু কোনোটাই ছাড়তে পারছেন না। হে হে।
পাক্কা মুমিনকে নির্ধার্মিক বানাতে এত ক্ষেপে উঠেছেন কেন ভ্রাতঃ? আমিও মতিউর রহমান ভাইয়ার মত ওবায়দুল হকের দস্তে দস্ত মিলিয়ে এক গামলা থেকে ইফতারি খেয়ে মাগরিবের নামাজ পড়া মুমিন মুসলমান হতে চাই। আর দেনমোহরের পিছনে দৌড়াচ্ছি না, দেনমোহরের সামনে দৌড়াচ্ছি। রাসূলে পাকের মতো তেরোখান করার পারমিশন না থাকলেও চারখান করার তো আছে, তার থেকে দুইখান করতে চাইতেই আপনার মতো কলমা পড়া দ্বীনী ভাইয়েরা এসে অভিরুচি নিয়ে কান্নাকাটি করছেন দেখে টেমশম খেয়ে গেলাম!
ধর্মে বিধান না থাকলে ধার্মিকেরা বিয়ে করতো না ? সব ধার্মিক ধর্মপালনের সুকঠিন চেতনা থেকে বিয়ে করেন নাকি? মাশা আল্লাহ! দ্বীনী ভাইদের কমিটমেন্টের জোর দেখে খুব ভালো লাগছে।
স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্ট, ১৮৭২ টা একটু মন দিয়ে পড়ে তারপর নাহয় আবার আপনার প্রথমা, সরি, মধ্যমাখানা এস্তেমাল করবেন ভ্রাতঃ ? নাহলে আপনি আমি মিলে নির্ধার্মিকদের গুমনাম করবো কীভাবে, বলুন?
এইবার খাস দেলে এই মুমিনের জন্য দু'আ করুন, যাতে সে আপনার সাথে বসে তামুক, আর ঘরে ফিরে ডুডু পান করতে পারে।
একটু নাক গলাচ্ছি কিছু মনে করবেন না। বিয়ে শুধু ধার্মিকদের জন্য এমন ভাবার কোন কারণ আছে কি? বিয়ে একটা সামাজিক বন্ধন। বিভিন্ন ধর্মভেদে বিয়ে করার ভিন্ন রীতি রয়েছে। মুসলিমরা কবুল বলে, হিন্দুরা আগুনের পাশে ঘোরে, অন্য ধর্মের কথা জানি না; কোন জংলী গোত্রের মধ্যে হয়তো নারকেল ফাটিয়ে বিয়ে করার পদ্ধতি প্রচলিত আছে। নিজের রীতিতে বিয়ে না হলে যদি আমার অনুমোদন না পায়, তাহলে আমার চোখে শুধু মুসলিমরাই বিয়ে করে। হিন্দু, খৃস্টান, বৌদ্ধ কারোটাই বিয়ে না। আর অন্য রীতির বিয়ে যদি আমি মানি, তবে কোর্টে যেয়ে সামাজিকভাবে একজনের সাথে জীবন কাটানোর অঙ্গীকার করাটাকেও আমার বিয়ে হিসাবে মানতে হবে।
ভাইয়া, আপনি মনে হয় জরুরি কাজে বাইরে গেছেন। কিংবা কোনো কিছুতে শান দিচ্ছেন। একটা জিনিস একটু বলেন না ভাইয়া, এই যে বললেন দেনমোহর আর যৌতুকের মধ্যে খারাপ ভালোর কোনো ব্যাপার নাই, এটা আত্মসম্মান-ধর্মীয়চেতনা-সামাজিকদায়বদ্ধতার ইয়ে, তো ভাইয়া, যৌতুক বিরোধী একটা আইন তাহলে দেশে আছে কেন? আপনার কি মনে হয় না, ঐ আইন বাঙালির আত্মসম্মান-ধর্মীয়চেতনা-সামাজিকদায়বদ্ধতার একেবারে গোড়ায় শমশেরের আঘাত করছে?
তা ভাইয়া, কী নিসিলেন যৌতুক? ঘড়ি, রেডু না বাইসাইকেল? নাকি হীরণ মিয়ার মতো টিভি-ফ্রিজ-মোটর সাইকেল? দেনমোহর কি শোধবোধ করছিলেন ধর্মীয় চেতনামতে? একটু বলেন না ভাইয়া। আপনাদের কাছ থেকেই তো শিখে আমাকে দ্বীনের রাহে চলতে হবে।
প্রিনাপ একটু অন্যরকম জিনিষ, যৌতুক/দেনমোহরের সাথে তুলনা করা যায় না। মূলত বিয়ে পরে স্পাউসের সম্পত্তিতে ভাগ পাবে না অথবা প্রচলিত আইনের থেকে কম পরিমানে ভাগ পাবে এমন অঙ্গীকার করে প্রিনাপ করা হয়।
দেনমোহরের প্রয়োজন এই যুগে আদৌ কি রয়েছে? বিয়ের আগ দিয়ে একটা নাটক করা হয় শুধু শুধু। ধর্মের নাম দিয়ে ধর্মকেই বালখিল্য করে তুলছি আমরা।
দেন্মোহর ইসলামের বিধান, যৌতুক ইসলামের বিধান না।
দেন্মোহর নির্ধারণে পাত্রের আর্থিক অবস্থা বিচার করাটা প্রধান শর্ত এবং বিয়ের সময়ই তা পরিশোধের বিধান। দেন্মোহরের মালিক কেবল মাত্র কনে। বিয়ের সময় কনের মুখ দিয়ে “দেন্মোহর মাফ করে দিলাম” বাক্য উচ্চারিত হলেও তা মাফ হয়ে যায়না। কনের প্রত্যক্ষ সম্মতিতে বিয়ের সময় বর পক্ষের দেয়া সোনাদানার দাম দেন্মোহরের সাথে সমন্নয় করা যায় কিন্তু এটা নিয়ে অভিবাবকদের সিদ্ধান্ত বেআইনী।
...........................
Every Picture Tells a Story
নাহ, যমজ বোনের অপশন খোদ সিইও এসে সূরা নিসায় [৪:২৩] বাতিল করে দিয়েছেন। প্রায় একরকম দেখতে দুই খালাতো বোন এখন একমাত্র অপশন। দুই সেট অভিভাবককে এই দেনমোহর সংক্রান্ত মুলামুলি থেকে দূরে রাখার কাজটা করতে হবে। এরচেয়ে লোকমান হত্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়া সোজা। আইনের পথে চলা এত কঠিন কেনু কেনু কেনু?
আমি একটু ভুল করেছি
দেন্মোহর নির্ধারণে পাত্রের আর্থিক অবস্থা বিচার করাটা প্রধান শর্ত এবং বিয়ের সময়ই তা পরিশোধের বিধান। এর জায়গায় হবে "দেন্মোহর নির্ধারণে পাত্রের আর্থিক অবস্থা এবং মেয়ের সামাজিক অবস্থান বিচার করাটা প্রধান শর্ত এবং বিয়ের সময়ই তা পরিশোধের বিধান, অভিবাবক পর্যায়ে নির্ধারিত দেন্মোহরের পরিমান নিয়ে কনের আপত্তি আছে কীনা তা বিবাহের আগেই জেনে নেওয়া উত্তম।"
...........................
Every Picture Tells a Story
পুরাই তিস্তার পানিচুক্তির মত জটিল বিষয়। একটা হুদাইবিয়ার সন্ধি করে ফেলতে হবে সুমায় থাক্তে থাক্তে।
সেই পথ আমাদের লীলেন'দা দেখিয়ে দিয়েছেন। সময় থাকতে উনার পরামর্শ নিন।
...........................
Every Picture Tells a Story
ভ্লাদু লীলেনদা ফেসবুকে খালি মজলুম স্ট্যাটাস দেয়। প্রত্যেদিনই দেখি ওনার ওয়ালে ফল্গুধারা। তার ছত্রে ছত্রে শুধু গার্হস্থ্য জুলুম জবরদস্তির আভাস। তাঁবুর শান্তি রক্ষার্থে তাই ভ্লাদিমির ইলিচ লীলেনের পরামর্শ না নেয়াই মুমিনের জন্য উত্তম মনে করি।
নতুন মন্তব্য করুন