মুহম্মদ বিন তুঘলক নির্বোধ ছিলেন না। ভারতবর্ষে নির্বোধ সুলতানের পক্ষে ছাব্বিশ বছর দিল্লির সুলতানাত শাসন করা সম্ভব কোনো কালেই ছিলো না। তর্কশাস্ত্রে সুপণ্ডিত বহুভাষী এই শিল্পী সুলতান যুদ্ধের ময়দানেও কুশলী ছিলেন। সাম্রাজ্য চালাতে আর বাড়াতে গেলে যে নৃশংসতার প্রয়োজন হয়, তা-ও তাঁর ছিলো। কিন্তু মুহম্মদ বিন তুঘলকের গুণের কথা বাঙালির মুখে মুখে ফেরে না, ফেরে তাঁর প্রশাসনিক খামখেয়ালের গল্পই, বাগধারায় যাকে আমরা বলি তুঘলকি কাণ্ড।
উঠলো বাই তো কটক যাই, এমন বায়ুতাড়িত সিদ্ধান্ত না নিলেও, দিল্লি থেকে দেড় হাজার কিলোমিটার দূরে দেবগিরিতে রাজধানী স্থানান্তরের যে উটকো হুকুম সুলতান করে বসেছিলেন, তার পেছনে খুব ঠাণ্ডা মাথার বিবেচনা কাজ করেছে বলে আমাদের মনে হয় না। মুহম্মদ বিন তুঘলক যখন তখতে বসেছেন, তখন সুলতানাতের পশ্চিম সীমান্তে আর আগের মতো উৎপাত নেই, আফগান-মঙ্গোলরা নিজেদের অন্য হাঙ্গামায় ব্যস্ত, আর সুলতান তাঁর সীমানার ঘাঁটিগুলোকে নিয়ন্ত্রণও করতেন লৌহমুষ্ঠিতে। পশ্চিম সীমান্ত তুলনামূলকভাবে শান্ত থাকায় তুঘলক সাম্রাজ্য বিস্তারের চেষ্টা করেন দক্ষিণ দিকে, যেখানে প্রতাপশালী সব হিন্দু রাজ্য সগৌরবে দিল্লির আধিপত্যকে কাঁচকলা দেখিয়ে যাচ্ছে। মুহম্মদ বিন তুঘলক চিন্তা করেন, যদি তিনি রাজধানীকে আরো দক্ষিণে, ভারতবর্ষের আরো কেন্দ্রে নিয়ে যান, তাহলে সেখানে বসে দাক্ষিণাত্যের রাজ্যগুলোকে তিনি আরো জুত করে কাবু করতে পারবেন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে তিনি গোটা রাজধানী দিল্লি থেকে দৌলতাবাদে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেন। দৌলতাবাদ দুর্গ সম্ভবত চতুর্দশ শতাব্দীতে পৃথিবীর সবচেয়ে সুরক্ষিত দুর্গগুলোর একটি ছিলো, কিন্তু দেবগিরি দিল্লির মতো মহানগর ছিলো না। সুলতানের নিজের বিলাসের সুযোগ সেই শহরে নিশ্চিত হলেও, তাঁর পাত্র-অমাত্যবর্গের জন্যে দৌলতাবাদে রম্যহর্ম্যের সুবন্দোবস্ত ছিলো না। আর দিল্লির সাধারণ মানুষ ও সৈন্যদের জন্যে জীবনধারণের যে নিত্যব্যবহার্য রসদ, তা যোগাতেও দৌলতাবাদ ব্যর্থ ছিলো। মুলতান থেকে দৌলতাবাদে বদলি হতে অস্বীকৃতি জানানোয় ক্রুদ্ধ সুলতান কিশলু খাঁ নামে এক সেনাপতিকে সুদূর মুলতানে গিয়ে দমন করেছিলেন। দৌলতাবাদ নিয়ে এই অসন্তোষ কিশলু খাঁর একার মনেই ছিলো, এমনও নয়। ফলে সুবিধা করতে না পেরে দুই বছরের মাথায় আবার মুহম্মদ বিন তুঘলক পাইকলস্কর ও জনতাকে সঙ্গে নিয়ে দিল্লি ফিরে আসেন। দিল্লি থেকে দৌলতাবাদের এই আপডাউন যাত্রায় অসংখ্য মানুষের মৃত্যু ঘটে। দিল্লিতে রাজধানী পুনর্প্রতিষ্ঠার পরও সেটিতে প্রাণের স্পর্শ ফিরে আসতে সময় লাগে। ইবনে বতুতা লিখেছিলেন, দিল্লিতে পা রেখে আমার মনে হয়েছিলো আমি এক ঊষর মরুতে এসে পড়েছি।
তুলিশিল্পী মুহম্মদ বিন তুঘলক চমৎকার নকশা করা নানা মুদ্রাও বাজারে ছেড়েছিলেন। দাক্ষিণাত্য থেকে সোনাদানা লুট করে এনে তিনি ঠিক করেন, স্বর্ণমুদ্রায় তিনি এবার সোনার পরিমাণ বাড়িয়ে দেবেন। মুদ্রার নকশা সুলতান নাকি নিজেই বাতলে দিতেন। তাঁর মুদ্রানকশার ক্ষুধা মেটাতে তিনি নানারকম সিকি আধুলিও বাজারে ছাড়েন। বাজার থেকে সোনা আর রূপা তুলে রাজকোষে জমা করতে তিনি তামা আর কাঁসার মুদ্রা নকশা করে লোক ভোলানোর ধান্দাও করেছিলেন। মানুষ তাঁর সেই ফিকিরে পা দেয়নি। মুহম্মদ বিন তুঘলকের রাজকোষে সেই ব্যর্থ প্রকল্পের উপজাত হিসেবে পড়েছিলো স্তুপের পর স্তুপ তামার মুদ্রা, তাদের অপূর্ব সব শৈল্পিক কারুকাজ সত্ত্বেও।
মুহম্মদ বিন তুঘলকের গল্প আমাদের যা শেখায়, তা হচ্ছে, শাসক কত বড় তর্কশাস্ত্র পণ্ডিত, কত বড় ভাষাবিদ, কতবড় তুলিশিল্পী, তা সাধারণ মানুষ মনে রাখে না। এমনকি শাসক কত বড় সুনিপুণ যোদ্ধা, বা পররাজ্যজয়ে কত কুশলী, সেটাও লোকে দীর্ঘ মেয়াদে গিয়ে মনে রাখে না। মানুষ মনে রাখে শাসকের কারণে সাধারণ মানুষের জীবনে হয়রানির কথা। মুহম্মদ বিন তুঘলক একজন যোদ্ধা হিসেবে দুর্ধর্ষ ছিলেন, যুদ্ধশাসনে আর সমরপরিকল্পনাতেও সুদক্ষ ছিলেন, কিন্তু সাধারণ মানুষের কথা তিনি ভাবেননি। নিজের নকশাস্পৃহা চরিতার্থ করার কাজে সাধারণ মানুষের সাড়া তিনি পাবেন না, এই সত্যও তিনি উপলব্ধি করতে পারেননি। সাধারণ মানুষের মনোভাব অনুধাবনে তাঁর এই ব্যর্থতা, এই নির্লিপ্তি সাতশো বছর পরও তাঁকে শাস্তি দিয়ে চলছে মানুষের মুখে মুখে তুঘলকি কারবার শব্দযুগলে।
আমার কৌতূহল, এই উদ্ভট সিদ্ধান্ত কি সুলতানের স্বকপোলকল্পিত? তিনি নিজে একদিন সকালে উঠে ডিমভাজা দিয়ে পরোটা খেতে খেতে আচমকা সিদ্ধান্ত নিলেন, কাইলকাই যামুগা দৌলতাবাদ? নাকি তাঁর কোনো নায়েব, কোনো ওয়াজির, কোনো উচ্চাকাঙ্খী আমলা তাঁকে এই প্ররোচনা দিয়েছিলো? সুলতান-সম্রাটরা সবসময়ই কিছু রত্ন পরিবেষ্টিত থাকেন, যারা তাঁকে নানা সংবাদ, পরামর্শ আর দার্শনিক কচকচি শোনায়। সাধারণ মানুষের সংসর্গরহিত এই প্রবলপ্রতাপ শাসকেরা নিজের ইন্দ্রিয়ের বর্ধিতাংশ হিসেবেই ব্যবহার করেন তাঁর পারিষদবৃন্দকে। ইতিহাসের কলমের আড়ালে কি সেই এক বা একাধিক পরামর্শদাতার নাম চাপা পড়ে গেলো, আর সেই পরামর্শে পটে যাওয়া সুলতানকে ইতিহাসের যূপকাষ্ঠে বলি দিতে হলো এতো তর্কশাস্ত্র, এতো হেকিমি এলেম, এতো ক্যালিগ্রাফিতে পারদর্শিতার সুনাম, আর নিজেকে পরিচিত করতে হলো শতাব্দীশ্রেষ্ঠ ভাঁড় হিসেবে? সুলতান কি দিল্লির প্রাসাদে বসে সেই কালান্তক গ্রীষ্মের দিনটিতে আঁচ করতে পেরেছিলেন যে তিনি যার কুবুদ্ধিতে পটতে যাচ্ছেন, সেই লোক সেই কুবুদ্ধির দায় বহন করবে না, ইতিহাস সুলতানের স্কন্ধেই যাবতীয় দায়ভার ন্যস্ত করবে বিশ্বস্ত হাতে?
কিংবা ধরুন কৌরবদের কথা। অন্ধ ধৃতরাষ্ট্রের সাথে মেয়ের বিয়ে দেয়ার আগে গান্ধারের রাজা সুবলকে এক জ্যোতিষী বলেছিলো, দুর্যোগ এড়াতে চাইলে আগে তোমার মেয়েটাকে একটা ছাগলের সাথে বিয়ে দাও, যাতে ধৃতরাষ্ট্র তার দ্বিতীয় স্বামী হয়। জ্যোতিষীর পরামর্শে কান দিয়ে রাজা সুবল গান্ধারীকে একটি ছাগলের সাথে বিয়ে দেন। ত্রিভুজগোষ্ঠীর আনন্দিত হওয়ার কারণ নেই, বিয়ে হওয়ার অব্যবহিত পরই সদ্যপরিণীত জামাতাকে রাজামশাই কোৎল করেন। গান্ধারীর সাথে সেই ছাগলটি ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলো কি না, জানি না, তাই ত্রিভুজগোষ্ঠীর আনন্দিত হওয়ার ন্যূনতম কারণটিও ঢ্যাঁড়া কেটে বাদ দিতে হয়। ধৃতরাষ্ট্র পরে এই তথ্য জেনে গেলে সক্রোধে রাজা সুবলকে গুষ্টিশুদ্ধু বন্দী করেন। নিজের শ্বশুরকে হত্যা করলে বদনাম হবে, তাই একেবারে জানে না মেরে গান্ধারের রাজ পরিবারকে প্রতিদিন মাথা পিছু এক গ্রাস করে খাবার দেয়া হতো। প্রবল প্রতিহিংসাপরায়ণ গান্ধাররাজ ব্যাপারটা বুঝতে পেরে ঠিক করেন, তিনি শোধ নেবেন। পরিবারের সকলের খাবার একত্র করে তিনি তা খেতে দেন নিজের সর্বকনিষ্ঠ পুত্র শকুনিকে। তার আগে এক আঘাতে শকুনির একটি পা মটকে দিয়ে বলেন, এই খোঁড়া পা তোকে প্রতিশোধের কথা মনে করিয়ে দেবে। বাপ-মাকে খুন করার শোধ নিতে কুরুরাজ্য ধ্বংস করাই তোর জীবনের লক্ষ্য। এবার পেট ভরে খা। সুবল রাজার পরিবার না খেয়ে অন্ধকূপে পড়ে পড়ে মরে গেলেও শকুনি কোনোমতে প্রাণে বেঁচে যায়। টিংটিঙে খোঁড়া শকুনির মাথা ছিলো খুব পরিষ্কার, তাই পরবর্তীতে সে ধৃতরাষ্ট্রের বড় ছেলে দুর্যোধনের উপদেষ্টার পদ অলংকৃত করে। পিতা সুবলের ঊর্বাস্থি দিয়ে শকুনি তৈরি করে সেই পাশার ছক্কা, যা তার আদেশ মান্য করতো। সেই পাশার ছক্কা সম্বল করেই যুধিষ্ঠিরকে দুর্যোধনের সাথে পাশা খেলতে বসিয়ে পাণ্ডবদের রাজ্য থেকে শুরু করে বৌ, সবই হস্তগত করে শকুনি। এ অজানা নয়, যে এমনটা ঘটলে একটা বিরাট যুদ্ধ লাগবেই। সেটাই ছিলো শকুনির উদ্দেশ্য, কুরু-পাণ্ডবে কিলাকিলি লাগিয়ে কুরুরাজ্য পয়মাল করা।
সহদেব শকুনিকে কুরুক্ষেত্রে হত্যা করলেও পুরাণ শকুনি মামাকে ক্ষমা করেনি। কুবুদ্ধি দেয়ার কাজে সুদক্ষ লোককে আজও শকুনি মামা ডাকে লোকে। যেখানেই প্রবল ক্ষমতাধর ব্যক্তি আছে, সেখানে রাজনৈতিক মহাকর্ষের টানে শকুনি মামারাও দলে দলে এসে জুটে যায়। সেই উপদেষ্টা শকুনিরা যে কুবুদ্ধি দেন, তা শাসকবর্গের হ্রস্বমেয়াদী স্বার্থে কাজে লাগে, কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে তাদের ঊরুভঙ্গই ঘটায়। পৌরাণিক শকুনিরা সহজে পক্ষত্যাগ করতেন না, সাথে থেকেই আলগোছে পিঠে ছুরি মারা খাওয়ার বন্দোবস্ত করে যেতেন, বর্তমানের শকুনির মামারা হেসে খেলে দলও পাল্টে ফেলেন। কে যে কখন কার সাথে থেকে কী বুদ্ধি দিচ্ছে, সেই কীর্তির দাগ খুব মন দিয়ে অনুসরণ না করলে শাসক গোষ্ঠী পিঠে ছুরি খাওয়ার জন্যে পিঠ পেতে দেয়া ছাড়া আর কিছু করতে পারে না। আর ইদানীং সেই ছুরি খাওয়ার জন্য তারা আর নিজেরা পিঠ পাতেন না, ছুরি গিয়ে পড়ে সাধারণ মানুষের পিঠে। তারাই ভোগে, তারাই মরে, তারাই শাসকের অবিমৃষ্যকারিতার খেসারত দেয়, যেমন দিয়েছে সেই মুহম্মদ বিন তুঘলকের আমলেও।
ইতিহাসের ছাত্র-গবেষকদের জন্যে ইতিহাসের শকুনিসন্ধান এক আগ্রহোদ্দীপক বিষয় হতে পারে বলে আমি মনে করি। বড় বড় রাজা-সম্রাট-সুলতান-নওয়াব-প্রধানমন্ত্রীদের ছোটোখাটো আইনস্টাইন ভেবে নেয়ার কোনো কারণ নেই, বরং তাদের সু- ও কুবুদ্ধি দিতে বহুসংখ্যক শকুনি মামা যে যুগে যুগে তাঁদের চোখ-কানের নাগালেই বহাল থাকতেন, এমন হওয়াই বেশি স্বাভাবিক। ইতিহাসের শকুনি মামাদের শনাক্ত করা এবং ইতিহাসের পাঠকের কাছে তুলে ধরার কাজটি ইতিহাসবেত্তাদেরই করতে হবে।
তাই আমরা জানতে চাই, কে সেই লোক, যে আজ থেকে দুই দশক আগে বাংলাদেশকে তথ্য পাচার হয়ে যাওয়ার অজুহাত দেখিয়ে বিশ্বের তথ্য মহাসড়কে উঠতে বাধা দিয়েছিলো? এই অপসিদ্ধান্তের দায় তৎকালীন বিএনপি সরকারকে যেমন নিতে হবে, তেমনি এই শকুনি মামাটিকেও খুঁজে বের করতে হবে। আমরা জানতে চাই, ঢাকা সিটি করপোরেশনকে দুই ভাগে ভাগ করে দলরাজনৈতিক ফায়দা লোটার কুবুদ্ধি মহাজোট সরকারকে কে দিলো? এই কুবুদ্ধির কুফল আওয়ামী লীগ একা ভোগ করবে না, ঢাকাবাসীসহ সারা দেশের মানুষই করবে। তাই এর রাজনৈতিক দায় আওয়ামী লীগকে যেমন নিতে হবে, পাশাপাশি আমাদের চিনে রাখতে হবে সেই বুদ্ধির জনক শকুনি মামাকেও। ইতিহাসের স্বার্থেই।
মন্তব্য
অসাধারণ লেখা! অভিভূত হয়ে পড়লাম!
আর একটা কথা, আমার নানা প্রায়ই মনে করিয়ে দিতেন,
"ইতিহাস থেকে আমরা এই শিক্ষাই পাই যে ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না!"
ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেবার সৌভাগ্য হোক আমাদের।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
নানা খুবই সত্যি বলতেন। আজ নিজেদের দিকে তাকালে সেটাই বুঝতে পারি।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ঐ মামুর বুটারা সবসময় আড়ালেই থেকে যায়, সামনে পড়লে পাবলিক ছিঁড়ে ফেলবে এই ভয়ে।
facebook
। জাস্ট ফাটাফাটি । তবে আবারও হিমুর ফাঁসি দাবি করলাম। এই মানুষটা ভালু লোকনা ।
গান গাইতে গাইতে এই দুনিয়ার সব মমিন ভাগাইতাছে। কই কি মমিনহীন এই সংসার, আহা আহা
সুপরামর্শক বাছাই করা, সুপরামর্শকে আমলে নেয়া এবং কুপরামর্শকে অগ্রাহ্য করা- লিডারশীপের একেবারে কোর স্কীলের অর্ন্তভুক্ত। কুপরামর্শকে প্রশ্রয় দেয়া সরাসরি নেতৃত্বের ব্যর্থ্যতা। আমার লীডার খুব সরল মনের, দেশ-অন্তপ্রান, খালি তার চারপাশে বিষবলয়ের মতো কুউপদেষ্টারাই তাকে বাস্তবতা থেকে দূরে সরিয়ে রাখছে- এধরেনর গাবগাছীয় গান মৌলবাদীরা চিরকালই গেয়ে এসেছে তাদের কগনিটিভ ডিজোনেন্সকে প্রশম করতে।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
লেখাটা যে কথা বলতে বলতে শুরু হয়ে যে দিকে গড়িয়ে শেষ হলো, বুঝলাম, এক হিমু সাহেবের পক্ষেই সম্ভব এরকম টুইস্ট দেয়া এবং সেই সাথে পাঠকের মনে চিন্তার খোরাক যোগান।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
ধন্যবাদ
হিমুর লেখা বরাবরেই মতোই উপভোগ্য। তবে এবারের বিষয়টা অসাধারন। একজন শাসকের কাছ থেকে সবসময় ভালো এবং কল্যাণকর কাজ বাই ডিফল্ট প্রত্যাশিত থাকে বলেই তাদের মন্দ কাজগুলো সবকিছুকে ছাপিয়ে ইতিহাসে স্থায়ী হয়ে যায়। এবং এটা খুবই সত্যি যে বর্ণচোরা পারিষদবর্গ এই অপকর্ম বা অকল্যাণকর কাজগুলোর বহুলাংশে মন্ত্রণাদাতা।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
কুবুদ্ধি দেয়ার লোকের অভাব হয়না। আমি বুঝে পাইনা, কেমন করে এইসব গাঁজাখুড়ি প্রস্তাব পাস হয়। শকুনি মামাদের সংখ্যা কত?
আইজ আমি আগেই বুচ্ছি, টুইস্টটা কি...
এইসব রাজনৈতিক প্যাচাল আমার মোটেই ভাল্লাগে না, যদিনা তা হিম্ভাই লিখে।
কিছুই বলার নেই।
_________________
[খোমাখাতা]
চরম
দারুণ ! লেখার স্টাইল ও বিষয়ের সমন্বয় অসাধারণ !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
কুবুদ্ধি গুলা কি এরা বুঝে শুনে দেয়, নাকি আন্দাজে মান্দাজে?
জনগনের স্ট্যাটাস এখন একেবারে তেলাপোকার পর্যায়ে চলে গেছে।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
ফার্নেস অয়েল দিয়ে রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট এর বুদ্ধিটা যে আমলা/রাজনীতিকের মাথায় প্রথম এসেছে তাকেও চিনে রাখাটা জরুরী। আরপিপি গুলি দু'ধারী তলোয়ারের মত। তেল আনতে হচ্ছে বিদেশ থেকে, তারপর কম মূল্যে বিক্রি করছে। আবার উৎপাদিত বিদ্যুৎ কিনছে বেশি দাম দিয়ে। লাভটা নিয়ে যাচ্ছে ভাগ্যবান পাওয়ার প্লান্ট মালিকেরা।
লেখার জন্য
তেলাপোকাইতো। wall-e র তেলাপোকার মতো। শেষ পর্যন্ত এই তেলাপোকারাই এই নষ্ট পৃথিবী আকঁড়ে থাকবে।
চোরায় না শনে ধর্মের কাহন"
আমাদেরকে ইতিহাস শুনিয়ে কোনোই লাভ নেই, কারন,
আমরা ইতিহাস থেকে কখনোই কিছু শিখিনা।'
এই বিষয়ে আরো বেশি কথা, ততধিক কাজ হওয়া দরকার। এই ফাজলেমিটা যেভাবেই হোক বন্ধ করা দরকার।
হাল আমলে কুবুদ্ধির পেছনে পয়সা মারার মতলব থাকে। দুটো সিটি কর্পোরেশন হলে টাকার মারার স্কোপ বাড়বে। ভাঙা রাস্তা না ঠিক করে ফ্লাইওভার আর পাতালরেল বানালে লাভ অনেক বেশি হয়।
তুঘলকের আমলে একই সিস্টেম ছিল কিনা কে জানে। যেই মুভিং কোম্পানি রাজধানী সরিয়ে নেওয়ার কনট্রাক্ট পেয়েছিল তার সিইওর এই পরামর্শ দেওয়ার কারণ আছে বলে মনে হয়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
ইসস এই জামানায় সত্য ভক্ত প্রহলাদদের বড়ই অভাব অনুভূত হইতেছে। আর কত বিভীষনীয় যুগ কাটামু।
ভালো লাগলো লিখা।
সরকারী কুবুদ্ধিদাতাদের আমি শকুনির সাথে তুলনা করবো না। শকুনি নিজের পরিবারের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে চেয়েছে। এখানে তার নিজের লাভের কিছু ছিল না।
আমাদের সরকার বাহাদুরদের যারা কুপরামর্শ দেয় তারা আগাগোড়া নিজেদের পকেটের কথা চিন্তা করেই কাজ করে। এই দুইদলের ড্রাইভিং ফোর্স আলাদা, যদিও ফলাফল একই দাঁড়ায়।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
লেখা পড়ে ভালো লাগলো।
আওয়ামী সমর্থক হবার এই এক ঝামেলা; সোজাসুজি সমালোচনা করবে তারও মুরোদ থাকে না; ত্যানা প্যাঁচায়া হিল্লী-দিল্লী মায় কুরুক্ষেত্র ঘুরিয়ে এনে মিনমিন করা; আর হুক্কাহুয়া করনেওয়ালারাও হুক্কাহুয়া লাগিয়ে দেয় সাথে সাথে; একেবারে হীরকরাজার দরবার!
এর চাইতে ঢাকা ভাগ সমর্থন করা ভালো... ডঃ হাসিনার ইচ্ছা ঢাকা ভাগ করবেন, তো করেছেন; কার বাপের কি বলার আছে, উনি নিজেই যখন জাতির জনকের কন্যা!
উনার মুরগী উনি ন্যাজে কাটুন কি মাথায় কাটুন; এত জ্বলে কেন বাপু!
এখন উনার দুই ভাগের মধ্যে একটা ঢাকা ওয়াল তুলে দেয়া উচিত; ভবিষ্যতে যাতে সেটা ভাংগবার জন্য আরেকটি ইস্যু বানানো যায়।
জয়বাংলা!
-অর্ক
বাংলাদেশে সাংবাদিকতার প্রবাদপুরুষ মাহমুদুর রহমান ভাইয়ার কাছ থেকে সোজাসুজি সমালোচনার একটা কোর্স করবো ভাবছি। আপনি কয়েকটা সোজাসুজি সমালোচনার লেখা দাগায় দেন না ভাইয়া, পড়ে শিখি?
সে আশা আর নেইকো, শেখার বয়েস চলে গ্যাচে, মনন যে নেই তা বলাই বাহুল্য!
দাদা এবার একালের গব্বর সিং হিসেবে অদ্বিতীয়ম হয়ে উটচেন।
তা বেশ, আগের গব্বর নাহয় বিলেতে ছিলেন, আর একালের অবতার জর্মনীতে।
হায়েল ফ্যাসীজম, জয় বাংলা।
- অর্ক
ছিছি, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সুযোগ্য সন্তান দেশনেতা তারেক জিয়াকে গব্বর সিং বললেন? খুব দুঃখ পেলাম ভাইয়া। ভাবলাম আপনি শওকত মাহমুদ ভাইয়া, মাহমুদুর রহমান ভাইয়া, শফিক রেহমান ভাইয়াদের সিরাম ঝাঁঝালো সব সোজাসুজি লেখা দাগিয়ে দিবেন। এখন বলছেন শেখার বয়স চলে গেছে। কতই বা বয়স আমার? তারেক জিয়া যদি ৪৫ বছর বয়সে তরুণ নেতা হতে পারেন, আমার শেখার বয়স, মনন, মমিন এগুলি কেন চলে যাবে? আপনি দাগিয়ে দিন ভাইয়া। আমি দরকার হলে রাত জেগে পড়ে পড়ে শিখবো।
বাতিল্দাকে পড়ে মনে ...
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
সাব্বাস। রহস্যের পর্দাফাঁস, ফ্যাসিস্ট হিমুর অন্দরের কথা টেনে বের করে এনেছেন, এতদিন কি অন্ধকারেই না ছিলাম। আপনিই মনে হয় সেই জগৎবিখ্যাত রহস্যভেদী গাব্রিয়েল মগাদিশু চৌরাসিয়া যাকে আমরা সবাই এতদিন খুঁজে খুঁজে হয়রান হচ্ছি। কি সৌভাগ্য!
আউমি লীগ সাপুটার বলে শুধু বকাবকিই করে, কেউ একটা মুজিব কোট কিনে দেয় না
আর দুঃখু করেননারে ভাই, চক্ষু মুছে দু একটা কোটের মায়া ভুলে ঝাপায় পড়েন দেখি। ধরেন দুই একটা লেখা শেষ করতে হপে, আবার জোড়া বিবির সন্ধানতো শেষ হয় নাই, তারুপর বান্দাদের জন্যে ওয়াজের ক্যাছেট?
আর কম্বোল? ওটা লাগবে না?
যাহোক, আপনার জ্ঞানের পরিধী দেখে স্থম্ভিত হতে হতে পাখা হয়ে গেছি। পদধুলি দেন।
(প্রচণ্ড শির চালনা হপে? )
পর্দার পেছনে থাকা এই কুশীলবদের চেহারাটা বাইরে কেউ যেচে এনে দেবে না; টেনে বার করতে হবে এদের। রাজনীতিকরা যদি নিজেরা বার না করে, তাহলে দায়িত্বটা কার ওপরে এসে বর্তায়? জনতার ওপর না বোধ করি। সাংবাদিকদের ওপর? অথবা এই কাজে আলাদা ধরণের কিছু মানুষেরই কি দরকার হবে?
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী এইসব সিদ্ধান্তের সাথে জড়িত দলিলদস্তাবেজ তলব করা যায়। সাংবাদিকরা চাইলে আমরা হয়তো ভেতরের খবর জানতে পারবো। আমজনতা সরকারী অফিসে গিয়ে তথ্য তলবের ব্যাপারে বোধহয় খুব দক্ষ নয় এখনও।
"আমজনতা সরকারী অফিসে গিয়ে তথ্য তলবের ব্যাপারে বোধহয় খুব দক্ষ নয় এখনও"। এইটা বোধহয় আমজনতার কামও না। এইটা সাংবাদিকদেরই কাজ। আমাদের সংবাদপত্র আর টেলিভিশন চ্যানেল গুলা বোধহয় ইহজগতের জন্য জিনিষপত্র আর পরজগতের জন্য ইসলামী সওয়াল ও জবাব বিক্রী করতে বিজি আছেন।
না রে ভাই, কিছু কিছু জিনিস আসলে আমজনতাকেও সক্রিয়ভাবে আদায় করতে হবে। যুদ্ধ জিনিসটা যেমন শুধু জেনারেলদের ওপর ছেড়ে দেয়া যায় না, তথ্য জিনিসটাও শুধু সাংবাদিকদের ওপর ছেড়ে দিলে হবে না।
সরকারী অফিসে গিয়ে তথ্য চাইলে আগে কয় বস্তা স্বর্ণমুদ্রা তাদের টেবিলে ঢালতে হবে? Access to Information ধারণাটাই বাংলাদেশে খাটে না।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
মাঠের বাস্তবতাটা কেমন, তা জানি না। ব্যাপারটা আমপাবলিকের জন্য কাজীর গরু হতেও পারে। তবে সাংবাদিকদের সাথে মনে হয় গিয়ানজাম করার সাহস পায় না। প্যারাসিটামল সিরাপের বিষক্রিয়ায় শিশুমৃত্যু সংক্রান্ত যাবতীয় দলিল যে গায়েব হয়ে গেছে, এটা কিছুদিন আগে ডেইলি স্টারে এসেছিলো, তারা তথ্য তলব করে এই উত্তর পেয়েছে।
সাধারণ পাবলিক যদি এই কাজটা শুধু সাংবাদিকদের ওপর ছেড়ে দেয়, তাহলে মনে হয় রোকেয়া রহমান অধ্যুষিত খবর নিয়েই আমাদের সন্তুষ্ট থাকতে হবে।
সরকার ইদানিং মুঠোফোনে মেসেজ পাঠিয়ে যাচ্ছে ক্রমাগত। তথ্য অধিদপ্তর থেকে দাপ্তরিক আবেদনের মাধ্যমে 'তথ্য' উত্তোলন করা যাবে এরকম কথা লেখা আছে তাতে। সেইমতো সরকারি ওয়েবে গিয়ে কোনও মর্মোদ্ধার করতে পারলাম না অবশ্য। দপ্তরে সরাসরি গিয়ে দেখবো একবার কী অবস্থা।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
পুরাণ ইতিহাসের আলোকে বর্তমানের অবিমৃশ্যকারিতার বাঙ্ময় বিশ্লেষণ- অসাধারণ, অসাধারণ। একটা গুরুতর নাগরিক আন্দোলন কি গড়ে তোলা যায়না? এ বিষয়টা কেমন যেন লেখালেখিতে সীমাবদ্ধ মনে হচ্ছে। কিছু সিরিয়াস এ্যাকশন দরকার- জগন্নাথের ইস্যুটার মত।
"ঢাকা সিটি করপোরেশনকে দুই ভাগে ভাগ করে দলরাজনৈতিক ফায়দা লোটার কুবুদ্ধি মহাজোট সরকারকে কে দিলো? এই কুবুদ্ধির কুফল আওয়ামী লীগ একা ভোগ করবে না, ঢাকাবাসীসহ সারা দেশের মানুষই করবে। তাই এর রাজনৈতিক দায় আওয়ামী লীগকে যেমন নিতে হবে, পাশাপাশি আমাদের চিনে রাখতে হবে সেই বুদ্ধির জনক শকুনি মামাকেও।"
হাসিনা-খালেদার ওপর তোমার এতটা অনস্থা কেন, যে তাদের তুঘলকির পেছনে শকুনি মামা খোঁজাখুঁজি করছ? কেন, এই দুইজন ভদ্রমহিলার বিবেচনাহীনতা কি এতটাই খাটো, যে তারা নিজে থেকে কোন তুঘলকি করতে পারেনা?
একটা গুবরে পোকা একটা বিষ্ঠার দলাকে ঠেলে ঠেলে বহুদূর নিতে পারে। কিন্তু ঐ বিষ্ঠার দলাটা তার নিজের প্রণীত হয় না সাধারণত। অন্য কোনো কামেল আদমি সেইটা প্রসব করে।
দারুণ তথ্য-সমৃদ্ধ সুলিখিত প্রবন্ধ, একটানে পড়ে ফেলা যায়। কোন বানান ভুল নেই, এমনকি ছাপাখানার ভূতেরও কোন আসর হয়নি। লেখকের ষ্টাইলেরও প্রশংসা না করে পারা যায় না - দীর্ঘ ভণিতার শেষে আসল বক্তব্যটির চকিত আবির্ভাব। অথচ এতক্ষণ কিন্তু ভণিতাকে ভণিতাই মনে হয়নি।
ভবিষ্যতে সচলে প্রকাশনার মান এরকমটাই আশা করব।
মুহম্মদ বিন তুঘলুকের বাপ গিয়াসুদ্দিন তুঘলুক দিল্লির কাছে তুঘলুকাবাদে প্রায় ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ জায়গাজুড়ে একটা বিশাল দুর্গ-নগরী বানিয়েছিলেন, সম্ভবত ১৩২১ সালে। এত বড় দুর্গ-নগরী যে তার ৫২টি সিংহদুয়ার ছিল, বাইরের দেয়াল ছিল ৪৫ ফুট পর্যন্ত, আর ভেতরে ছিল আলাদা আবাসিক এলাকা , অমাত্যবর্গের আলাদা অভিজাত এলাকা, সিটাডেল, ৭টি বিশাল ভূগর্ভস্থ জলাধার আর ভূগর্ভস্থ শস্যাগার, সুড়ঙ্গ-কমপ্লেক্স, ইত্যাদি ছিল। ২০০৫ সালে এর ধংসস্তুপে গিয়েছিলাম।
এত বিশাল যে স্থাপনা, জনগনের রক্ত চুষে কত অকল্পনীয় ব্যায়ে যে এটা নির্মিত হয়েছিল খোদাই মালুম -- অথচ শত শত বছর দূরে থাকুক, মাত্র ৪-৫ বছরের মাথায় নাকি এত বড় দুর্গ-শহর পরিত্যাক্ত হয়েছিল। এখন সেটা ধ্বংসস্তুপ। ঢাকা নিয়ে যে এত বড় বড় তুঘলুকি পরিকল্পনা হচ্ছে, ঢাকারও কি ঐ একই তুঘলুকি পরিণতি হবে ?
****************************************
ঢাকা মাত্র দুই ভাগে বিভক্ত হবে শুনে আমি একটু অবাকই হয়েছি। কমপক্ষে আট ভাগে ভাগ হওয়া দরকার আছে ঢাকার। একসাথে একজনের পক্ষে এতবড় একটা শহর খাওয়া সত্যিই খুব কষ্টকর। তাছাড়া ভোক্তার সংখ্যা গত বিশ বছরে বত্রিশগুন হয়েছে। তাদের কথাও ভাবতে হবে।
গনতন্ত্রের একটা অসুবিধা হলো একজনকে ৫ বছর পাতে বসিয়ে রেখে পেছনে থালা হাতে দশজনকে দাড়িয়ে থাকতে হয়। এই অসুবিধা দুরীকরণে ঢাকা কেন সম্ভব হলে দেশের সবগুলো মেট্রোপলিটনকে টুকরো টুকরো করে ভাগ করে দেয়া হোক এবং দুইবছর পরপর খাদক বদল করা হোক। ভাগাভাগি নিয়ে কামড়াকামড়ি অন্তত কমবে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
সরকার বাহাদুর নাকি বীরশ্রেষ্ঠ, বীরউত্তম, বীরবিক্রম ও বীরপ্রতীক উপাধির নাম পরিবর্তন করতে যাচ্ছে? এমনটা কি কেউ শুনেছেন?
শকুনি চেনা দরকার, তবে কতটা গর্দভ (এবং/অথবা) দুর্বৃত্ত হলে এই রকম পরামর্শ কাজে লাগানো যায় সেটাও ভাববার বিষয়।
শকুনির পেছনের কাহিনী জানা ছিলো না, মনে হয় ছোটদের মহাভারতের বাইরে মহাভারত পড়া হয়নি বলে। এখনতো ব্যাটাকে মহাপুরুষ মনে হচ্ছে। অনেক ধন্যবাদ এই কাহিনী জানানোর জন্য।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
মারাত্মক! শকুনিরা যুগে-যুগে, দেশে-দেশে, অফিসে-অফিসে, বাড়িতে-বাড়িতে, ঘরে-ঘরে...
একটা যুক্তি শুনলাম, এইটা নাকি মনোপলি ভাঙতে আর ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করতে করা হইতেছে!
তাইলে দেশটাও দুই ভাগ হয়ে যাক? ওইসবে কখনো উন্নয়ন হয় না...ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ কেম্নে হইব ঠিক বুঝলাম না...যেখানে দেশে সরকার বলতে এক আফা ছাড়া কেউ নাই...আফাই সব! এইটা হবু চন্দ্রের দেশ হয়ে গেছে...একেক সময় একেক্টা ফন্দি/আজব জিনিস উদয় হয় মাথায়! কথা নাই বার্তা নাই, কাল্কা এইরাম হবে!!!
যেই ট্রাডিশন রেখে যাচ্ছেন উনারা, যুবরাজ আসলে হয়তো একেকদিন ঘুম থেকে উঠে বলবেন আজকে দেশের সবার হাগা বন্ধ...বা আজকা কেউ সামনে দিয়া হিসু করতে পারবে না!
এখন ময়মনসিংহ-গাজীপুর-নরসিংদী এগুলাতে ঢাকাকে ছড়িয়ে দিলে সমস্যা কী? দেশের নাম বাংলাদেশ...ঢাকা না! দরকার হলে ময়মন্সিং রে গুছিয়ে ঢাকার চেয়ে বড় করে সুন্দর রাজধানী করা যায়...রাজশাহীরে করা যায়..চট্টগ্রামকে করা যায়...ঢাকা রক্ষার বা বালছালের যত চেষ্টাই করুক, ওইটা একটা ডেড সিটি...পুরা ভেঙ্গে না গড়লে কখনো ভাল কিছু হবে না...আর ওইটা পৃথিবীর একমাত্র সিটি যেখানে সকালে আর বিকালে ইনকামিং যানজট থাকে...দুনিয়ার সব জায়গায় মানুষ সাবার্বে থাকে কাজের জন্য ডাউন্টাউন যায়, ঢাকাতে মানুষ থাকে, কাজ করতে ঢাকার বাইরে যায়!
একছোটভাইয়ের উক্তিঃ "দেশ টা অলরেডি দু ভাগে বিভক্ত ১. ঢাকা (সব শিক্ষিত আর টাকা ওয়ালা লুক এখানে থাকে), ২. ঢাকার বাইরে বাকি বাংলাদেশ (সন্দ্বীপ, চুয়াডাঙ্গা, হবি গঞ্জ আব যাব মোখলেছপুর, কুদ্দুস গঞ্জের অশিক্ষিত, মঙ্গা পোড়া লুক )| ঢাকাকে বাঁচালেই বাংলাদেশ বাঁচবে |"
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
কেউ ভুরুঙ্গামারীর কথা বলে না কেনু কেনু কেনু?
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
ক্রমাগত কেবল ক্ষুদ্র-ই হয়ে যাচ্ছি আমরা। ধৃতরাষ্ট্রের মতো অন্ধ নই, তবু চারপাশের হাল দেখে মনে হয় বরং চোখটা বুজেই থাকি।
ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ মানে যে জন্মদিনের কেক কিংবা বানরের পিঠাভাগের মতো যা খুশি কেটে টুকরো করা নয়, এটা এই শকুনিগুলার খুলিতে ঢোকাতে হবে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ভাই সন্দ্বীপ আমার নানা বাড়ি, চুয়াডাঙ্গা দাদা বাড়ি; থাকি ঢাকায়। আপনার কমেন্টে সবগুলারই উল্লেখ আছে দেখে যুগপত পুলকিত ও বিভ্রান্ত হয়ে পড়লাম
ওইটা এক ছোটভাই কইছে...অরে জিগামু নে...
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
সকাল থেকে একটা কার্টুনের আইডিয়া মাথায় ঘুরছে, যেটা এমন:
একটা বড় গামলাকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-- একপাশে লেখা আছে হাসনাবাগ, আরেকপাশে মুজিবনগর। উপরে একটা বড় ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সুজন্দারে তলব করা হউক
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
শেখ হাসিনার কুনু দোষ নেই। ভালু মানুষ শেখ হাসিনাকে দুষ্টু লুকেরা ভূলভাল পরামর্শ দিয়ে খারাপ কাজগুলো করিয়ে নিচ্ছে।লেখার টোনটা এরকমি লাগলো।
হাসিনা আর খালেদার দোষ তো স্বতসিদ্ধ। ক্ষমতার লোভের দোষ, স্বজনপ্রীতির দোষ, দুর্নীতির দোষ। কিন্তু এরা এতো উদ্ভাবনকুশলী না যে এই বুদ্ধিগুলি নিজেরা ভেবে ভেবে বের করবে। একেক ইস্যুতে একেক কুবুদ্ধিমান তাদের এই কুবুদ্ধি পরিবেশন করে। সেই কুবুদ্ধিমানকে আমরা শনাক্ত করতে না পারলে দুইদিন পর তারেও মাথায় তুলে নাচি।
একটা উদাহরণ দিই। জনশ্রুতি আছে, ক্ষমতা জবরদখলের পর জিয়াউর রহমানকে তার চামচারা বললো, স্যার আপনাকে তো দেশের মানুষ শেখ মুজিবের মতো করে চেনে না। আপনাকে মানুষের কাছে যেতে হবে, নিজের খোমা দেখাতে হবে। জিয়া বললেন, সরকারের পয়সায় ক্যামনে এইটা করা যায় খবর লাগাও। এক তরুণ মেধাবী আমলা এসে তাকে বুদ্ধি দিলো, স্যার আপনি সরকারের পয়সায় খাল কাটতে বাইর হন। গ্রামে গঞ্জে লোকে আপনাকে সামনাসামনি দেখতেও পাবে, আবার আপনি যে দেশসেবা করছেন, সেইটাও বুঝবে।
খাল কেটে যে হাতিঘোড়া কিছুই উদ্ধার হয়নি, সেটা আমরা এখন জানি। কিন্তু জিয়ার স্বার্থ উদ্ধার হয়েছিলো। সেই তরুণ আমলার নাম মহিউদ্দিন খান আলমগীর বলে শুনেছি। এই নামে এক আদম এখন লীগের নির্বাচিত সাংসদ।
আপনি এত বড় বড় কথা লিখেছেন কিন্তু আপনাদেরই একজন সংগী করাচী শহর থেকে বাংলাদেশে ব্লু বেনড কল নামে একটি ধাপপাবাজ সংগঠন প্রতিষঠা ও পরিচালনা করছে। তার নাম মাসকাওয়াত আহাসান, তিনি আপনাদের বলগেই লিখালিখি করেন।
এই বেপারে আপনার মনতবব কি?
বড় বড় কথা কী বললাম আবার?
বাতিলদা বিকল পোঁদহারার হয়ে এম্পি ইলেকশনও করেছিলেন। ব্লু ব্যান্ড কলের কুবুদ্ধি উনি দিবেন না তো কে দিবে? আর উনি আমাদের সঙ্গী ছিলেন, মস্তানি করতে গিয়ে বহিষ্কৃত হয়েছেন। এখন উনি আমার ব্লগে ভাড়াটে ভাঁড় হিসেবে সময় দিয়ে থাকেন।
লেখাটা দারুণ হয়েছে।
ম্যাডামরে কেউ কুবুদ্ধি দেয় বলে আমার মনে হয় না। ম্যাডাম নিজেই ব্যাপক জ্ঞানী।
একটা সুবুদ্ধি বা কুবুদ্ধি না বদবুদ্ধি এসেছে মাথায়।
পুরো বাংলাদেশকে দুই ভাগে ভাগ করা হোক। হাস্নাবাদ আর পুতুলনগর। তারপর সেখানে সব্বাই সুখে শান্তিতে দিন গুজরান করবে। যেহেতু ব্যক্তি মালিকানাধীন দেশ, তাই সেখানে নির্বাচন নিয়ে কাউলা কাউলি থাকবেনা।
কেউ কাউরে খাবলা মারতে যাবেনা। শব্দ দূষণ হবে না। বংশ পরম্পরায় দেশের ক্ষমতা হস্তান্তর হবে।
জনগণের একটু কষ্ট হতে পারে। কিন্তু এইটুকু কষ্ট না করলে ঋণ শোধ হবে কেমনে?
খাবার হিসেবে শুধু ঢাকা সিটি কেন, যে কোন খাবার ২ টুক্রা করলে চাবাইতে সুবিধা
হিমু ভাই, দুই দশক আগে যে মামাটির কথা জানতে চেয়ে ছিলেন তার নাম নাকি 'জামিলুর রেজা চৌধুরী'। যদিও আমি শিওর না তবে IUB এর সব IT ছাত্র নাকি একথা জানে। আমাকে এরকমই একজন পাশকরা ছাত্র অস্ট্রেলিয়া থাকতে জানিয়েছিল।
আমি শুনেছি সেনাবাহিনীর এক মেজর নাকি সিকিউরিটি ইমপ্যাক্ট নিয়ে প্রেজেন্টেশন দিয়েছিলো, সেটার ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত হয়।
জামিলুর রেজা চৌধুরীর ওপর অনেকেই ক্ষ্যাপা, হয়তো মাঝেমধ্যে সঙ্গত কারণেই। কিন্তু উনি তথ্য মহাসড়কে এই ল্যাংড়া যুক্তি দেখিয়ে বাংলাদেশকে উঠতে বাধা দেবেন, এটা আমার কেন যেন বিশ্বাস্য মনে হয় না। কারণ আইটি খাতে সেই অগ্নিযুগে বাংলাদেশ পা রাখলে এ ব্যাপারে তিনি অন্যতম পরামর্শক হিসেবে সক্রিয় হতে পারতেন। পাগলও নিজের ভালো বোঝে। জামিলুর রেজা চৌধুরী আর যা-ই হোন, খুব শার্প লোক।
তারপরও, এ ব্যাপারে খোঁজখবর হোক। সাংবাদিকেরা সিস্টেম্যাটেক্যালি খোঁজ নিলে অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে বলে বিশ্বাস করি।
যাহ! শেষ পর্যন্ত ভাগ হয়েই গেল! এত তড়িঘড়ির কোন কারণ বুঝলাম না। খুবই আজব লাগতেসে।
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
ডিভাইড অ্যান্ড রুল। দুই টুকরাতেই যদি বিরোধী দল সমর্থিত প্রার্থী মেয়র হয়ে যায়, সরকার কী করে দেখার জন্য গ্যালারিতে পপকর্ন নিয়ে বস্লুম।
কী ডিভাইড করলো আর কীই বা রুল হবে? ডিভাইড অ্যান্ড রুল এর জন্য তো ওয়ার্ডগুলাই যথেষ্ট! আমার মাথায় কিসুই ঢুকতেসে না। দুই টুকরায় বিরোধী দল সমর্থিত প্রার্থী মেয়র হইলেও তাও ভাল, কিন্তু যদি দুই টুকরায় দুই দলের হয়? আ্যডমিনিস্ট্রেশন চলবে ক্যামনে? মারামারি কইরাই তো কূল পাবে না!
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
ইরাদ ভাইয়া কোন খণ্ড থেকে দাঁড়াবেন, সেটাই ভাবনার বিষয়। কই গো বলদিয়ার জমিন্দার ভাইয়া, আপনি আছেন নাকি ধারেকাছে? কোন টুক্রার মেয়র পদে দাঁড়াবেন গো ভাইটু?
আমাদের নীতিনির্ধারকদের ডিএনএ টেস্ট করে মুহম্মদ বিন তুঘলকের অধঃস্তন পুরুষ কিনা পরীক্ষা করে দেখা দরকার।
লেখা
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
@ তৌফিক জোয়াদ্দার #৫৪
জোয়াদ্দাররা কেন সবাই কুষ্টের চূয়াডাংগাথ্থে আইসে, সেডা বোজলাম না। দ্যাশের তো বেমেলা জায়গায় জোয়ার হয় !
মাগুরাতেও কিছু আছে ভাইটি। তবে গ্লোবালাইজেশনের যে জোয়ার চলছে তাতে সব জায়গাতেই সবকিছু পাওয়া যায়, দুখ্খু করেননা।
ধন্নবাদ ... অনেক কিছু জানা হইল...
ভাইরে কি অধভুত পরিপাক তন্ত্র, আর খাবার তরিকা... কত ভাবেই না উপভগ করা যায়... আহারে
--------------------------
কি চমৎকার দেখা গেল
নতুন মন্তব্য করুন