হুমায়ূন আহমেদ কি হুমায়ুন আজাদের পুত্রকন্যার কাছে ক্ষমা চাইবেন?

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: বুধ, ৩০/১১/২০১১ - ৩:৪৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাংলাদেশের সর্বাধিক পঠিত উপন্যাসগুলির লেখক হুমায়ূন আহমেদ দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত। চিকিৎসার জন্যে তিনি নিউইয়র্কে আছেন, সেখান থেকে তিনি কয়েক দিন পর পর দৈনিক প্রথম আলোতে ছোটো জার্নাল লিখে পাঠান। হুমায়ূন আহমেদ বহু দিন ধরেই নিজের ব্যক্তিগত জীবনকে পাঠকের সামনে বার বার তুলে ধরেছেন, এই জার্নালগুলোও তার ব্যতিক্রম নয়। একজন লেখক হিসেবে তিনি বোধহয় সেটা করতেও পারেন।

হুমায়ূন আহমেদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আমার আগ্রহ নেই, তারপরও আমি তাঁর লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ি। আমার এক নিকটাত্মীয় ক্যান্সারে মারা গেছেন, একজন হাস্যোজ্জ্বল স্বাস্থ্যবান সুপুরুষ একটু একটু করে একটা জীবন্ত কঙ্কালে পরিণত হয়ে একদিন এক শেষ হেমন্তের দিনে পৃথিবীর পাট চুকিয়ে ফেলেছেন। যত মৃত্যু কাছে এসেছে, তিনি একটু একটু করে পাল্টে গিয়েছেন, তাঁর ভেতর থেকে অচেনা সব মানুষ বেরিয়ে এসেছে, যাদের সাথে কখনো পরিচয় হবে বলে ভাবিনি। আমার সেই নিকটাত্মীয়ের পরিত্রাণের কোনো আশা ছিলো না, ডাক্তাররা তাকে সেই আশ্বাস দিতে পারেননি। হুমায়ূন আহমেদ কিছুটা আশ্বাস পেয়েছেন। আমি বিশ্বাস করি তিনি ক্যান্সারের জটিলতা কাটিয়ে সুস্থ শরীরেই আবার বাংলাদেশে ফিরে যাবেন, লেখালেখি চালিয়ে যাবেন। তারপরও আমি একটা অসভ্য কৌতূহল নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের লেখা পড়ি, আর ভাবি, তাঁর ভেতর থেকেও অচেনা সব হুমায়ূন আহমেদ বেরিয়ে আসবে কি না। আমরা সবাই একটা গোলকধাঁধার ভেতরে ঘুরছি, জানি আচমকা একটা মোড় ঘুরলেই মৃত্যু বেরিয়ে আসবে, কিন্তু যে একটা ঘরে বসে আছে, যার দরজা খুললেই মৃত্যু এসে ঢুকবে ঘরে, তার সাথে তো আমাদের অনেক পার্থক্য। আমার নিকটাত্মীয় লেখক ছিলেন না, শুধু তার আচরণ আর কথাই তার পরিবর্তনের সাক্ষী। হুমায়ূন আহমেদ প্রচুর আবর্জনা লিখলেও তিনি যে কোনো বিচারেই একজন সুলেখক, তাই তিনি যখন এ পরিস্থিতির মুখোমুখি হবেন, নিশ্চয়ই তাঁর লেখায় জিনিসটা ফুটে উঠবে। এক অসুস্থ কৌতূহল নিয়ে আমি তাই তাঁর লেখা পড়ি। কোনো সহানুভূতি, সমবেদনা ছাড়াই। হুমায়ূন আহমেদের বদলে অন্য কোনো ক্যান্সার আক্রান্ত সুলেখক এই জার্নাল লিখলেও আমি একই বিকৃত আগ্রহ নিয়ে লেখাগুলো পড়তাম। সম্ভবত আমার আত্মীয়ের মৃত্যু আমাকে বিকারগ্রস্ত করে ফেলেছে।

কিন্তু সব শেষে এটাই সত্য কথা, আমি অপেক্ষা করছি, অচেনা কোনো হুমায়ূন আহমেদ বেরিয়ে আসবেন কি না।

আমার অপেক্ষা বিফলে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ সম্ভাবনা প্রবল যে হুমায়ূন আহমেদ প্রথম আলোতে কোনো বাণিজ্যিক চুক্তিতেই এই লেখাগুলো লিখছেন। তিনি এমন কিছু লিখবেন না, যা পাঠককে বিকর্ষণ করবে। হচ্ছেও তাই, তিনি ঘুরে ফিরে লিখছেন নিজের সংসারের কাহিনী, তরুণী ভার্যার কথা, সন্তানদের কথা, নিউইয়র্কে ভক্তদের কথা। তাঁর একটি সাক্ষাৎকার দেখলাম ইউটিউব থেকে, বেশ তৃপ্তি নিয়ে ভক্ত-বন্ধুদের প্রতিক্রিয়ার কথা বলছিলেন। তারপরও সব লেখা পড়ে মনে হয়, ভদ্রলোক নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েছেন। এই নিঃসঙ্গতা মানুষের সঙ্গ দিয়ে মিটবে না হয়তো। ইয়োরোপে নতুন কোনো শহরে বেড়াতে গেলে তাদের বড় ক্যাথেড্রাল বা চার্চের ভেতরে ঢুকি ছবি তোলার জন্যে, ঐ বিশাল চার্চে ঢুকলে মানুষের উপস্থিতিতেও নিজেকে একা মনে হয়। হুমায়ূন আহমেদের লেখা পড়ে মনে হয়, তিনিও হয়তো এমন আত্মিক নিঃসঙ্গতায় ভুগছেন এখন। ক্যান্সার হওয়ার কারণে সেই নিঃসঙ্গতার কথা তিনি সঙ্গোপনে এক একটা লেখায় মিশিয়ে দৈনিক পত্রিকায় লেখার সুযোগ করে নিয়েছেন।

দেশ ছেড়ে আসার আগে পড়ছিলাম ওরহান পামুকের দ্য ব্ল্যাক বুক, সেখানে এক রহস্যময় সাংবাদিক চরিত্র থাকে, যে উপন্যাসের আরেক চরিত্র গালিপকে পত্রিকায় জার্নাল লিখে জানায় গালিপের ঘরপালানো স্ত্রীর কথা। উপন্যাসটা এগিয়েছে দুটো কাহিনীর গলি ধরে, বিজোড় পরিচ্ছেদগুলি গালিপের কাহিনী, আর জোড় পরিচ্ছেদগুলি সেই সাংবাদিকের এক এক পর্ব জার্নাল ধরে। অপূর্ব রসাত্মক সেই জার্নালগুলি, অদ্ভুত তাদের বিষয়, এবং আশ্চর্য সূক্ষ্ম সব পর্যবেক্ষণ মিশে আছে তাতে। বসফরাসের তলদেশে একটা গাড়ির কঙ্কালের ভেতরে দুটি পুরুষ ও নারীর কঙ্কালের কাহিনী থেকে শুরু করে কী নেই তাতে? হুমায়ূন আহমেদ জার্নাল লেখা শুরু করার পর ভেবেছিলাম তিনি ওরকম কিছুই হয়তো লিখবেন। পরে দেখলাম, খুব সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণে গিয়ে নিজের পাঠক স্পেকট্রামের বড় অংশকে তিনি হারানোর পথে হাঁটবেন না। তিনি একটা মিষ্টি বিষণ্ণতা নিয়ে লিখছেন তাঁর শিশু পুত্রটির কথা যে মাত্র হাঁটতে শিখছে, তাঁর কন্যাদের কথা যারা তাঁকে ঘিরে থাকে না, তাঁর স্ত্রীর কথা যে সুখেদুঃখে তাঁর পাশে আছে, তাঁর ভক্তদের কথা যারা তাঁকে দুষ্প্রাপ্য দুর্লভ সব খাবারদাবার রেঁধে খাওয়ায়, একজন প্রধানমন্ত্রীর কথা যিনি তাঁকে দেখতে আসেন, আর মাঝে মাঝে দেশে ফিরে একটা ক্যান্সার হাসপাতাল তৈরির স্বপ্নের কথা। শেষ পর্যন্ত তাঁর লেখায় দেখি তিনি আত্মীয়-ভক্ত পরিবেষ্টিত একজন ক্লান্ত, নিঃসঙ্গ মানুষ, ঐ গণ্ডির বাইরে বেরিয়ে আর কিছু লেখার শক্তি তাঁকে পরিত্যাগ করেছে। মন্দিরের ঘানিতে বাঁধা ছিন্নকেশ শিমশোনের মতো তিনি তাঁর লেখার যন্ত্রটিকে ঘুরিয়ে চলছেন। প্রতিটি জার্নালেই তিনি লিখে চলছেন এই একটি গল্পই।

অনেক ছোটো যখন ছিলাম, যখন প্রত্যেকটা দিন একেকটা নতুন দিন ছিলো, তখন দুপুরে আম্মা আমাকে ঘুম পাড়াতো নীল হাতি পড়ে শুনিয়ে। বলতো, তুমি একটা পৃষ্ঠা পড়ো, আমি একটা পড়ি। প্রত্যেকদিন ঐ একটি বই ঘুরে ফিরে পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে যেতাম, তারপরও প্রত্যেকদিনই নতুন লাগতো। কিন্তু এখন কেমন যেন ছকে পড়ে যায় অনেক কিছু, স্বার্থপর পাঠকের মতো নতুন কিছু চাইতে ইচ্ছা করে। হুমায়ূন আহমেদের একনিষ্ঠ পাঠক আমি নই, কিন্তু তাঁকে বলতে ইচ্ছা করে, আপনি এই একটি গল্প বারবার লেখা বাদ দিয়ে আমাদের বলুন তো, আপনি পাল্টে যাচ্ছেন কি না? সকালে ঘুম ভেঙে বালিশে নিজের হৃদস্পন্দনের শব্দ শুনতে শুনতে কি আপনার মনে হয়, আপনি আজ অন্য একজন মানুষে পরিণত হয়ে গেছেন? যদি তাই হয়, তাহলে সেই মানুষটার হাতে কলম তুলে দিন। পাঠকের কথা ভুলে গিয়ে, নিজের বৌ-পোলাপানের কথা ভুলে গিয়ে, মরতে বসেছে এমন এক লোকের মুখ থেকে স্কচ টেপ খুলে দিন। তার অনেক কিছু বলার আছে, আমি নিশ্চিত।

আর খবরের কাগজে নিজের সন্তানদের নিয়ে আনন্দ বেদনার কথা বলার পাশাপাশি, একটু ভাবুন মৌলি আজাদ, স্মিতা আজাদ ও অনন্য আজাদ নামে তিন যুবক যুবতীর কথা। এদের পিতা, হুমায়ুন আজাদকে দুই হাজার চার সালে নৃশংসভাবে আক্রমণ করেছিলো পাকিস্তানপন্থী ঘাতকের দল। ১৮ জুলাই, ২০০৮ সালে হুমায়ূন আহমেদ দৈনিক সমকালকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে (ইমেজ লিঙ্ক) সেই আক্রমণকে প্রকারান্তরে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন।

: বাংলাদেশের লেখকরা কি স্বাধীন?☻
> হ্যাঁ, বাংলাদেশের লেখকরা স্বাধীন।
: তাহলে ড. হুমায়ুন আজাদকে মরতে হলো কেন?
> কারণ যে বইটা তিনি লিখেছিলেন, তা এতই কুৎসিত যে, যে কেউ বইটা পড়লে আহত হবে। তার জন্য মৌলবাদী হতে হয় না।

হুমায়ুন আজাদ হুমায়ূন আহমেদের কলিগ ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। দু'জনেই দু'টি বিভাগের অধ্যাপক। তাঁর ওপর ঐ হামলাকে হুমায়ূন আহমেদ নির্বিকার চিত্তে জায়েজ করে দিয়েছিলেন, এর জন্যে তাঁকে অনুতপ্ত হতে দেখিনি। তিনি তাঁর কন্যাদের সাহচর্য কামনা করে মানুষের অশ্রু মোক্ষণের চেষ্টা করেন জার্নালে, স্ত্রীপুত্রের দুঃখের কথা বলে সহানুভূতি জাগিয়ে তুলতে চান পাঠকের মনে, কখনও কি চিন্তা করে দেখেছেন, হুমায়ুন আজাদেরও তাঁর কন্যাদের বয়সী তিনটি সন্তান আছে? তারাও হুমায়ূন আহমেদের পাঠক। আমি নিশ্চিত নই, হুমায়ূনের সেই সাক্ষাৎকারটি তারা পড়েছেন কি না, কিংবা পড়ে তারা আহত হয়েছেন কি না। পাঠক হিসেবে আমি খুব কষ্ট পেয়েছি। যে লেখাটির কথা হুমায়ূন আহমেদ বলেছেন, ধরে নিচ্ছি সেটি "পাক সার জমিন সাদ বাদ" উপন্যাসটি। পাকিস্তানের জাতীয় সঙ্গীতের প্রথম চরণ ধরে লেখা এই উপন্যাসে হুমায়ুন আজাদ সরাসরি স্পষ্ট ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন বাংলাদেশে জামায়াতি সন্ত্রাসকে, যেটা করার সাহস বা সদিচ্ছা হুমায়ূন আহমেদের কোনো লেখায় দেখিনি। এই উপন্যাসে কোনো কুৎসিত বক্তব্যও আমি এতে খুঁজে পাইনি। যদি হুমায়ূন আহমেদ বা কোনো জামাতি ক্যাডারের কাছে কুৎসিত বলে মনে হয়েও থাকে, তার উত্তরে কি লেখকের ওপর চাপাতি নিয়ে হামলা করা সিদ্ধ হয়? আমরা যদি ধরেও নিই, হুমায়ুন আজাদের লেখাটি কুৎসিত, তবুও বলবো, এর চেয়ে শতগুণে কুৎসিত লেখার লেখককেও আমরা সহ্য করে নেয়ার মতো সমাজ চাই, যেখানে একটি লেখার দায়ে লেখককে চাপাতির কোপে আহত বা নিহত হতে হয় না, এবং দুর্ভাগ্যক্রমে আহত হতে হলেও সে আঘাতকে বৈধতা দেয়ার জন্য আরেকজন লেখক কলম ধরেন না। আমাদের এই চাওয়ার জায়গাটা হুমায়ূন আহমেদ কিছুটা হলেও টলিয়ে দিয়েছেন।

এই তিনজন মানুষকে উদ্দেশ করে কি ক্ষমা চাইবেন, প্রিয় "নীল হাতি"র লেখক? হুমায়ুন আজাদের কিছু আসবে যাবে না, কিন্তু আমরা যারা হুমায়ুন আজাদের লেখা, হুমায়ূন আহমেদের লেখা আর হুমায়ূন আহমেদের সেই সাক্ষাৎকারটি পড়েছি, তারা ভরসা পাবো। বিনিময়ে আপনাকে নতুন করে দেয়ার আর কিছু নেই আমাদের কাছে।


মন্তব্য

তারেক অণু এর ছবি

উত্তম জাঝা! সেরে উঠুন হুমায়ূন আহমেদ, শুরু করুন নন্দিত নরকের মত লেখালেখি আর ক্ষমা, সেটা চাইতে গিয়ে তো বড় হবেন আপনিই!

ফাহিম হাসান এর ছবি

একটা দীর্ঘ নিঃস্বাস ফেললাম। হুমায়ুন আজাদ তার অনাবশ্যক ধারালো জিভের কারণে ছাত্র-শিক্ষক নির্বিশষে কুখ্যাত ছিলেন। তার নিজের ডিপার্টমেন্টের ছেলে-মেয়েরাই তার নানা কটুক্তির শিকার হত।

সে যাই হোক, স্যার সবসময়ই মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে উচ্চকন্ঠ ছিলেন। প্রকাশ্যে বিরোধীতা করতেন। এমন সাহসী লেখকের এমন পরিণতি মানা যায় না। হুমায়ূন আহমেদের বক্তব্য একটা ফালতু উন্নাসিকতা ছাড়া আর কিছুই না।

ক্ষমা আর প্রায়শ্চিত্ত সমার্থক নয় - কথাশিল্পী হিসেবে হুমায়ূন আহমেদ তার লেখায় যতটুকু পারিবারিক আবেগ ঢালেন, তার কিছুই দেখি না গণমানুষের সাংসারিক সমর নিয়ে।

গোলাম মোস্তফা এর ছবি

সহমত পোষন করতে পারলাম না সব কিছুতে, শুটকি মাছকে যে ভালোবাসে সে তার দ্গন্ধের কারনেই ভালোবাসে, শুকিয়ে চুনা লেগে আছে দেখেও শুটকি প্রেমিকেরা বিমুখ হয়না, আর যে শুটকি ভালোবাসেনা সে তা ঐ গন্ধের কারনেই। হুমায়ুন আজাদকে শুধু তার লেখনির জন্যই অনেক উপরে স্থান দিতে হয়, সেটা যদি আপনি শুধু মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে অবস্থানের কারনে বলেন তাহলে খুব অন্যায় হয়ে যাবে। হুমায়ুন আজাদের কবিতা সমগ্র আমার কাছে এই মানুষ্কে অন্য ভাবে পরিচিত করে তোলে। তিনি যার যা প্রাপ্য তাকে তাই দিয়েছেন। তিনি শামসুর রহমানকে নিয়ে লিখেছেন নিঃসংগ শেরপা আবার তার প্রবচন গুচ্ছে শামসুর রহমানকে বলেছেন তিনি নাকি কার সাথে টিভি আর কার সাথে শয্যায় যেতে হয় জানেননা। হুমায়ুন আহমেদের লেখা অনেকের ভালো লাগে, কেনো ভালো লাগে জানিনা, নন্দিত নরকে পড়ার পরে আমার কাছে সেটা আহামরি কিছু মনে হয় নাই (নো অফেন্স প্লিজ) সেটা অনেক ভা্রি লেখা পড়ার কারনে ও হতে পারে, তবে সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য লিখলে হুমায়ুন আজাদ হয়তো বছরে ১২ করে উপন্যাস বের করতে পারতেন, কিন্তু সবাই নিচে নামলে চলবে কেনো। হুমায়ুন আহমেদ আর হুমায়ুন আজাদের মধ্যে তুলনা হয় না কোন, হুমায়ুন আহমেদ মরে গেলে তিনি সাধারন মানুষের মাঝে খুব বেশিদিন বেঁচে থাকবেন বলে মনে হয় না,কিন্তু হুমায়ুন আজাদ বেঁচে থাকবেন এবং আছেন এবং এই বেঁচে থাকার কারন অনেক। আমারা খুব ভাগ্যবান যে মাঝে মাঝে আমাদের মাঝে হুমায়ুন আজাদের মতো মানুষের জন্ম হয় আমাদের দেশে, আবার অভাগা এই জন্য যে আমরা তাদের ধরে রাখতে পারিনা। আমার জীবনের একটা শোকের দিন আজাদ স্যারের মৃত্যু দিবস, মৌলবাদীদের হাতে আক্রান্ত হবার পরের রক্তাক্ত ছবিটি মৃত্যুর অনেক পরেও আমার প্রোফাইল পিকচার হয়ে থাকে।

পথখোঁজা পথিক এর ছবি

চলুক

অন্যকেউ এর ছবি

চলুক

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

ফাহিম হাসান এর ছবি

@ গোলাম মোস্তফা, একটু ধীরে ব্রাদার, একটু ধীরে। শুটকি মাছের সাথে সাহিত্য মেশালে ক্যাম্নে চলবে ব্রো?

হুমায়ুন আহমেদ মরে গেলে তিনি সাধারন মানুষের মাঝে খুব বেশিদিন বেঁচে থাকবেন বলে মনে হয় না,কিন্তু হুমায়ুন আজাদ বেঁচে থাকবেন

এই পোস্টটা কারো সাহিত্যগুণ নয়, বরং একজন জনপ্রিয় লেখকের দায়িত্ববোধ সম্পর্কে বয়ান। মৌলবাদীদের হাতে হুমায়ুন আজাদের মৃত্যু কাম্য নয়। হুমায়ূন আহমেদের মন্তব্যটাও বিবেকবর্জিত, অশোভন। আমার মতে হুমায়ূন আহমেদের এই ধরনের বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত - ব্যস কথা শেষ।

হুমায়ুন আজাদকে শুধু তার লেখনির জন্যই অনেক উপরে স্থান দিতে হয়, সেটা যদি আপনি শুধু মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে অবস্থানের কারনে বলেন তাহলে খুব অন্যায় হয়ে যাবে।

ভালো লেখক, মন্দ লেখক নিয়ে টানেন কেন? আমি আপনার মত হুমায়ুন আজাদের এত কট্টর ফ্যান না। সত্যি কথা বলতে তার বহু লেখাই একঘেঁয়ে মেগালোম্যানিয়ায় ভর্তি। আমি তারে ক্যাম্নে র‍্যাংক করি সেইটা বিবেচ্য বিষয় না। বাংলাবাজারের ফালতু কোন লেখককেও যদি কেউ চাপাতি দিয়ে কোপাইতে আসে আমি তারও প্রতিবাদ করব।

মেঘরং_ এর ছবি

কথাশিল্পী হিসেবে হুমায়ূন আহমেদ তার লেখায় যতটুকু পারিবারিক আবেগ ঢালেন, তার কিছুই দেখি না গণমানুষের সাংসারিক সমর নিয়ে।

চলুক

চরম উদাস এর ছবি

চলুক

নূপুরকান্তি এর ছবি

সেই ক্ষোভটাই আহমেদ উগরে দিয়েছিলেন শেষমেশ, কারণ আজাদ বলেছিলেন অপন‌্যাসের কথা, আবর্জনার কথা।পাতার পর পাতা লেখা আবর্জনার পাঠকও বাংলাদেশে আছে। আবর্জনা বেচা টাকায় এখন চিকিৎসাও সম্ভবপর হচ্ছে। ইলিয়াস বা আজাদ কি পারতেন, পেরেছেন?

রায়হান আবীর এর ছবি

চলুক

কুলদা রায় এর ছবি

লেখাটি অসাধারণ সুন্দর। এত ভালো লেখা আমি বহুদিন পড়িনি। এর প্রত্যেকটি বাক্য এবং শব্দ স্বতস্ফূর্ত। কোনো কষ্টকল্পতা বা ভান নেই। সেল্যুট হিমু।

সেদিন জ্যাকশন হাইটসে গিয়েছিলাম। গিয়েছিলাম দুটো কারণে। ১. দুটো গুরুত্বপূর্ণ বই সংগ্রহ করা এবং ২. গোলাম মুরশিদের সঙ্গে দেখা করা। একটি বই কিনেছি। আরেকটি বই তানভীর ওর বন্ধুর কাছ থেকে সংগ্রহ করে দিয়েছেন।

দিনটি ছিল হুমায়ূন আহমদের জন্মদিন। গোলাম মুরশিদ আসছেন হুমায়ূন আহমদের রং পেন্সিল উদ্বোধন করতে। হুমায়ূন আহমদ আসেননি। তার স্ত্রী এবং বড় ছেলেটা এসে বসে আছে মুক্তধারায়। লোকজন তির তির করে আসছে। দোতলার বইয়ের দোকানটি এত লোককে জায়গা হবে না। বক্তারা হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করছেন। তিনি বাসায় বসে আছেন স্কাইপির সামনে। তাঁর মাথা থেকে টুপি খুলে দেখাচ্ছেন--কেমো থেরাপির কারণে চুল পড়ে গেছে। চুল আবার গজাবে। বেঁচে থাকলে গজায়। তিনি সেরে উঠবেন। লোকজন সত্যি সত্যি তার জন্য দোয়াদরুদ করছেন। সিনেমার নায়িকারও এত ভক্ত নেই।

উপস্থাপক বইয়ের দোকানের মালিক বিশ্বজিৎ সাহা আয়োজনটা ভালোই করেছেন। হুমায়ূন আহমেদের বেশ কয়েকটা ছবি ঝুলিয়েছেন দেয়ালে। বুক সেলফের ফাঁকে। গোটা তিনেক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে। একটাতে দুজনে জলে নেমেছেন। কে কার বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন বোঝা গেল না। আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের সঙ্গে কোনো ছবি নেই। আহমদ ছফার সঙ্গেও নেই। ইমতিয়ার শামীমেরও ছবি দেখা গেল না। আর হরিশঙ্কর জলদাসের সঙ্গে তো থাকার কথাই নেই। সিঁড়িতে জন্মদিনের ব্যানার। আর টেবিলজোড়া হুমায়ূনের বই সাজিয়ে রাখা হয়েছে বিক্রির জন্য। কাউকে কিনতে দেখিনি। এই বইগুলো হয়তো সবাই আগেই কিনে ফেলেছেন। রং পেন্সিল বইটি নিয়েও খুব বেশী আগ্রহ দেখা গেল না। সবাই লেখককে দেখতে এসেছেন।

তিনি যে বাড়িতে থাকেন--সে বাড়িওয়ালাও বক্তৃতা করলেন। বললেন, ভাগ্যিস হুমায়ূন আহমদ অসুস্থ হয়েছিলেন। অসুস্থতার জন্যই তার মতো লোকের বাড়িতে হুমায়ূন আহমদের মতো বিখ্যাত লোক বাসা করে থাকতে এসেছেন। তিনি ভাগ্যবান। হুমায়ূন আহমদকে দেখে তারও লিখতে ইচ্ছে জেগেছে। লেখা কাজটা খুব সহজ কাজ। চুইয়িং গাম চিবানোর মতো জলবৎ তরলং। আশা করছি হুমায়ুন আহমেদের বাড়িওয়ালা জলবৎ তরলং লেখা অচিরেই লিখবেন।

এ্রই অনুষ্ঠানে দরকারী কথাটা বলেছেন লেখকের স্ত্রী । তিনি বলেছেন, হুমায়ূন অনেক বই লিখেছেন। তাঁকে আর না লিখলেও চলবে। কিন্তু তার দুটো শিশু ছেলের জন্য হুমায়ূনকে থেমে গেলে চলবে না। বেঁচে থাকতে হবে। এটা প্রকাশকরা -ভাবছেন না। তারা ভাবছেন--হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে এই সময়ে জমজমাট ব্যবসা করা যেতে পারে। অসুস্থতাকে পূঁজি করে তার লেখার বাজার দর বাড়িয়ে তুলছেন। তাকে শান্তিতেও থাকতে দিচ্ছেন না। যাতা লেখাচ্ছেন। রং পেন্সিল সে ধরনের একটি বই। এই কথাটা আমার পাশে বসা মঞ্জুর আহম্মদ বললেন। তিনি একজন প্রবীন সাংবাদিক ও গল্পকার।

হুমায়ূন আহমেদ আমার বাসার আশেপাশেই আছেন। আমি যে লাইব্রেরীতে যাই--তিনি সেখানেও আসেন। আমার বড়ো মেয়েটা বাংলাদেশের এই একজন লেখকের নামই জানে। ওর ধারণা একদিন এই লেখকে এ পাড়ায় কোনো বাড়ির সামনে দেখতে পাবে। মেয়েটি এ ৩০০ পৃষ্ঠার একটা বই লিখেছে এইট গ্রেডে পড়ার সময়ে বছর দুই আগে। ৫০০ পৃষ্ঠা লেখা টার্গেট। এর মধ্যে তার ল্যাপটপটা ক্রাশ করায় কয়েকটি পৃষ্ঠা মিসিং হয়ে গেছে। বাকীটা লেখার মুড হারিয়ে ফেলেছে। আমার মেয়েটা হুমায়ূন আহমেদ নামের এই বাংলা লেখককে একটি প্রশ্ন করার ইচ্ছে রেখেছে--হারিয়ে যাওয়া লেখা কিভাবে ফেরত পাওয়া যায়?

যারা সত্যিকারের লেখক তাদের সঙ্গে ঈশ্বরের এযোগাযোগ আছে। ঈশ্বর তাঁর নিজের লেখা হাওয়ায় ভাসিয়ে দেন। ভাসতে ভাসতে লেখকের মগজের মধ্যে ঢুকে পড়ে। মাথা থেকে আঙুলের ডগায় অক্ষরের আকারে চলে আসে। আর তক্ষুণি লেখক সেটা লিখে ফেলেন। লেখককে দেরী করতে নেই। আর যারা আরও এলেমদার তারা এই লেখাটি ফেলে রাখলেও যে কোনো সময় বাকীটা লিখতে পারেন। ঈশ্বরের শব্দগুলো তার আসে পাশেই ঘোরাফেরা করে। তারা চলে যায় না। মনোসংযোগ করলেই তারা এসে যাবে। এটাকে ওহি প্রক্রিয়া বলে। এটা আমি আমার মেয়েকে বলিনি। হুমায়ূন আহমেদ বলবেন।

তবে আমার একটা বলার আছে-- কেন তিনি ঈশ্বরের লেখাগুলো পাশ কাটিয়ে প্রথমালোর ফরমায়েসে টুকরোটাকরা লিখছেন? কেন মধ্যাহ্ণ নামের বই লিখছেন না? ফরমায়েসী লেখা তাঁর মতো লেখকের দরকার নেই। ওটা লিখবেন আনিসুল। ওটা লিখবেন মিলন সাহেব। কিন্তু হুমায়ূন আহমদ এই অদরকারকেই দরকার বানিয়ে বসে আছেন। আমার মেয়ে এই বিষয়টি টের পেলে কষ্ট পাবে। তাকে কথাটা বলছি না।

কথাটা হিমু বলে দিয়েছেন। ধন্যবাদ হিমু।

...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

রিপন এর ছবি

আপনার লিখাটাও অসাধারন হয়েছে..

উচ্ছলা এর ছবি

একজন সর্বজন শ্রদ্ধেও মৃত লেখক-কে নিয়ে হুমায়ুন আহমেদের মন্তব্যটি খুবই অবিনয়ী। আবার এটাও ঠিক যে, হুমায়ুন আজাদও অনাবশ্যকভাবেই কর্কশভাষী ছিলেন। মৌলবাদি ইস্যুতে সোচ্চার ছিলেন তো বটেই।

অবিনয়ী আচরন গুনিজনকে শোভা পায় না।

লেখা চমৎকার লেগেছে।

অন্যকেউ এর ছবি

অবিনয়ী আচরন গুনিজনকে শোভা পায় না।

অনন্যসাধারণ একজন মানুষকে সাধারণ্যের মাপকাঠিতে বিচার করা চলে না। আজাদ আমাদেরকে যা দিয়েছেন, সেটা চিরকালীন। এবং সেই অবদানের পেছনে, তাঁর ব্যক্তিগত স্বাধীনতার চরম অনুভব খুব বড়ো একটা ভূমিকা রেখেছিলো। এই স্বাধীনতা, আমরা বিচার করতে চাইলে সেটা আমাদের আত্মশ্লাঘা বাড়িয়ে তোলে হয়তো, কিন্তু আজাদকে স্পর্শ করে বলে মনে হয় না।

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

সুমাদ্রি এর ছবি

আমাদের দেশের লেখকদের পরচর্চা এবং পরনিন্দা সুবিদিত। হুমায়ূন আহমেদ যেমন হুমায়ুন আজাদের উপর আক্রমণকে জায়েজ করে দিয়েছেন, আজাদ স্যারও তসলিমা নাসরিনকে নিয়ে উল্টোপাল্টা অনেক কিছুই বলেছেন, রেফারেন্স দিতে পারবোনা, তবে মনে আছে উনার এক সাক্ষাৎকারে পড়েছিলাম উনি বলছিলেন তসলিমা নাকি নিজের বিরুদ্ধে নিজেই লোক ভাড়া করে মিছিল করিয়েছিল ইত্যাদি। হুমায়ুন আজাদ স্যারের সৎসাহস এর জন্য স্যার আজীবন আমার শ্রদ্ধেয় হয়ে থাকবেন, মৌলবাদের মুখোশ উন্মোচনের জন্য প্রনম্য হয়ে থাকবেন,উনার প্রজ্ঞা অনস্বীকার্য কিন্তু উনিও কি একটু বিনীত হতে পারতেন না। আমাদের দেশে সে ভোলতেয়ার কই যে রুশোকে ঘৃণা করলেও তার লেখা প্রকাশে বাধা দেওয়ায় সবার আগেই প্রতিবাদে মুখরিত হয়ে পড়ে? হিমু ভাই দারুণ একটা লেখা লিখেছেন। হুমায়ুন আহমেদ হয়ত সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে আসবেন, আসুন সেটাই কামনা করি, কিন্তু উনার কলম দিয়ে কখনও " আমার অবিশ্বাস " লেখা হবে এটা আমি বিশ্বাস করিনা।

মুস্তাফিজ এর ছবি

এই লেখাটার দরকার ছিলো।

...........................
Every Picture Tells a Story

guest_writer Neelkomolinee এর ছবি

Lekha khub bhalo hoyeche. Bangla likhte parchina. Etai amar prothom montobbo.

অনীক ইকবাল এর ছবি

আপনার বক্তব্য ভাল্লাগেনি। হুমায়ুন আহমেদ আর হুমায়ুন আজাদ- দু'জনের কেউই আমার পছন্দের লেখকের কাতারে পড়েন না। হুমায়ুন আজাদের ওপর যে নৃশংস হামলা হয়েছিলো- সেটা মেনে নেয়া যায় না কোনোভাবেই। কারো ওপর শারীরিক হামলা কোনো সমাজেই গ্রহণযোগ্য না; সব ধরনের যুক্তিতর্ক আর অজুহাতের উর্ধ্বে সে অপরাধ। সেটা খোলা গলায় স্বীকার করে নিয়েই পরের কথাগুলি বলছি:

আজাদ সাহেবের যদি যা খুশি তাই বলা, এবং তারপর আক্রান্ত না হয়ে বেঁচে থাকার অধিকার থাকে, সে অধিকার হুমায়ুন আহমেদেরও আছে। তিনি যা মনে করেছেন, বলেছেন। সেটার জন্য তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে কেন? হুমায়ুন আজাদের মত ও পথের অনুসারী নয় এমন মানুষগুলোকে তিনি যেভাবে সারাজীবন নগ্ন ও কুৎসিত আক্রমণ করে এসেছেন- সে তুলনায় অন্তত মানুষ হিসেবে হুমায়ুন আহমেদ তো অনেক সভ্য এবং রুচিশীল। হুমায়ুন আহমেদ মধ্যবিত্ত সমাজের মানুষের মুখের ভাষাকে উপন্যাসে নিয়ে এসেছেন- যে কারণে তাঁর উপন্যাস অপন্যাস আখ্যা পেয়েছে। আর অন্যদিকে নিম্ববিত্ত সমাজের অশ্রাব্য গালাগালকে নিতান্ত অশৈল্পিক প্রক্রিয়ায় বইয়ের পাতায় ছাপিয়ে হুমায়ুন আজাদ কালজয়ীতে পরিণত হয়েছেন। এটা যে সমাজে সম্ভব- সে সমাজ আমিও চাই না।

নীলকান্ত এর ছবি

তাইলে কি নিম্নবিত্ত মানুষ না? নিম্নবিত্তই খালি গাল দেয়?
মধ্যবিত্ত সমাজের মুখের ভাষা অনেকেই আনছে উপন্যাসে। হুমায়ুন আজাদ খালি প্রচারণা পাইছে, তাই এই ফালটা দিতে পারলেন।

অশৈল্পিক প্রক্রিয়ার কি দেখছেন একটু উদাহরণ দিলে খুশি হইতাম।

সমাজ আপনারে চাইতেছে না। সমাজ খালি মধ্যবিত্ত, ছাগু আর সুশীল না, নিম্নবিত্ত-ও বটে।


অলস সময়

অনীক ইকবাল এর ছবি

অশৈল্পিক প্রক্রিয়ার কি দেখসি- সেইটা ব্যাখ্যা করার জন্য আমাকে পাক-সার জমিন সাদ-বাদ আবার খুলে বসতে হবে, সেখান থেকে কোট করার জন্য- যেটা করার আমার এই মুহুর্তে ইচ্ছা করতেসে না। একবার পড়সিলাম- এই যথেষ্ট। এধরনের ভাষা আমার পাকস্থলীতে হজম হয় না, তাই যত কম ঘাটাঘাটি করি ততই ভালো। আমার মতে, তাঁর অনেক লেখাই সাহিত্যের পর্যায়ে পড়েনা।

যিনি অন্যের উপন্যাসকে অপন্যাস আখ্যা দিতে পারেন, তাঁর সমালোচনা করারও নিশ্চয়ই মানুষের অধিকার আছে; তাঁর লেখাকে কুৎসিত বলার মানুষের অধিকার আছে। হুমায়ুন আহমেদের যে বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে- সেটা পড়ে আমার মনে হয় নি- যে তিনি হুমায়ুন আজাদকে চাপাতি দিয়ে কোপানো সমর্থন করেছেন। ব্যাপারটা আমার কাছে তিল কে তাল করার মত মনে হয়েছে।

আমি হুমায়ুন আহমেদ- সমর্থক না। তিনি কখনোই কোনো রাজনৈতিক/ধর্মীয়/দার্শনিক ব্যাপারে মন্তব্য করেননি, সব ধরনের বিতর্ক এড়িয়ে গেছেন। আমার কাছে ব্যাপারটা কাপুরুষতাই মনে হত একটা সময়। তবে, একজন লোক লেখক হলেই তাঁকে কেন মৌলবাদ নিয়ে গলা ফাটিয়ে চেঁচাতে হবে, আর না- চেঁচালে তিনি কাপুরুষ হয়ে যাবেন, মৌলবাদের সাপোর্টার হয়ে যাবেন- সেটা আমার বোধগম্য নয়। যার যে জিনিস নিয়ে কথা বলতে ভালো লাগেনা- সে ব্যাপার তাঁর নিশ্চুপ থাকার অধিকার থাকা উচিত।

নিটোল এর ছবি

আমার মতে, তাঁর অনেক লেখাই সাহিত্যের পর্যায়ে পড়েনা।

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

_________________
[খোমাখাতা]

sharma Luna এর ছবি

"পাক সার জামিন সাদ বাদ" এমন কোন ভাষা লেখা হয়নি যা অশুদ্ধ,কুতসিত।তবে নগ্ন বাস্তবতাকে তুলে ধরা হয়েছে।অবস্যই সেটা শৈল্পিকভাবে।সাহিত্যে শৈল্পিকতা নানা ধরনের।ঠিক যেমন ভাস্কর্যের থাকে।এখন ভেনাসের নগ্ন ভাস্কর্য কারো কাছে হারাম কারো কাছে সৌন্দর্যের প্রতীমা।অতএব শৈল্পিকতার বিতর্ক থেকে সকলেরই দূরে থাকা উচিত সে যেমন আপনার আমার বেলায়,তেমনি হুমায়ূন আহমেদের বেলায়ও।সাহিত্যে যখন কড়া সত্য বলা হবে তার চেহারা একটু কড়া হবে বৈকি!তাতে শৈল্পিকতার গায়ে আগুনের নরম আচ আসবে,পুড়বে না।

আর জন্গীবাদের বিরুদ্ধে জন্গী লেখার দরকার আছে।সবাইতো আর গান্ধীজী নয়।তবে দুনিয়ায় গান্ধীরও দরকার,বিপ্লবী চে'র ও দরকার আছে।

ধূসর জলছবি এর ছবি

চলুক

হিমু এর ছবি

পাক সার জমিন সাদ বাদ আপনি আরেকবার খুলে বসুন না। সমস্যা কোথায়?

জ্যোছনা ও জননীর গল্পের ৭৩ পৃষ্ঠা থেকে আমাকে এক পাঠক একটি অংশ কোট করে পাঠিয়েছেন।

"তাইলে একটা শিল্লুক ভাঙ্গানি দেন। কন দেখি স্যার--- "চামড়ার বন্দুক বাতাসের গুল্রি" এইটা কী?"
জানি না। কী?
এইটা হইল গিয়া আপনের--- "পাদ"। পাদে যে শব্দটা হয় সেই শব্দটা হইল গুল্লি। চামড়ার বন্দুক হইল--- "পুটকি"।

আপনার শিল্পজ্ঞান দিয়ে একটু বিচার করে বলেন দেখি, এটা কি শিল্প হলো না অশিল্প?

সজল এর ছবি

২০০৯ এর বইমেলাতে প্রচন্ড ভীড় ঠেলে তাড়াহুড়া করে হুমায়ুন আহমেদের ৫/৬ টা বই কিনলাম পিচ্চি কাজিনদের গিফট দেব বলে। তারপর দুইটা বই র‍্যান্ডমলি নিয়ে পাতা উল্টিয়ে দেখি, মানব বর্জ্যের এক অক্ষরের প্রতিশব্দ দিয়ে ভরা কিছু সংলাপ। বইগুলা আর কাজিনদের দেয়া হয়নি। উনার মনে হয় এই সব ব্যাপারে কিছু ফেটিশ আছে।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

হিমু এর ছবি

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসভিত্তিক উপন্যাস লিখতে গিয়ে হুমায়ূন আহমেদ পাদ, পুটকির মতো ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ শিল্পশোভামণ্ডিত শব্দ ব্যবহার করতে ভোলেননি, কিন্তু নিজামী-গোলাম আযমের মতো শব্দগুলি এড়িয়ে গেছেন। আমি জামাতের আমীর হইলে হুমায়ূন আহমেদের ক্যান্সারের চিকিৎসার পুরা খরচই বহন করতাম।

তুহিন  এর ছবি

"জ্যোছনা ও জননীর গল্প" আসলেই আপনি পড়েন নি। তাই বললেন যে সে খানে গোলাম আযমের কথা নেই। না পড়ে এভাবে এভাবে মন্তব্য করা ঠিক হয় নি। আশা করি অন্য আরেক পাঠক পৃষ্ঠা নাম্বার উল্লেখ করে গোলাম আযমের কথা উল্লেখিত অংশ পাঠাবে এবং তা দেখে পড়ে নেবেন। আমাদের ৫২৪ পৃষ্ঠার উপন্যাস পড়ার সময় ও ধৈর্য কোথায়? যতটা না আছে প্রথম আলোর কলাম পড়ে সমালোচনায় বসে যাওয়ার। একজন কে ওপরে উঠাতে গিয়ে আরেকজনকে নিচে নামানোতে কোন কৃতিত্ব নেই। স্বাধীন বাংলাদেশে আমাদের কপাল ভালো যে আমরা হুমায়ুন আজাদ এবং হুমায়ুন আহমেদ দের মতো কিছু সাহিত্যিক পেয়েছি। চিন্তা করে দেখবেন আমাদের জাতি হিসেবে গর্ব করার মতো খুব বেশি কিছু নেই; যা কিছু আছে সে গুলোকে নিজেরাই গুতিয়ে গন্ধ বের করার অপচেষ্টা না করলেই কি নয়। আমি যেমন মানুষ আপনি ও মানুষ আর তাঁরা ও মানুষ। আমরা কেহই ভুল ত্রুটির উর্ধ্বে নই। আরেকটি কথা আপনার লেখার হাত ভালো। ধন্যবাদ।

হিমু এর ছবি

আপনি একটু কষ্ট করে আমাকে পৃষ্ঠা নাম্বার উল্লেখ করে ঐ অংশটি বলুন না ভাই, কী লেখা আছে? উনি নিজেই সংবাদ সম্মেলন করে হাপুস কেঁদে বলেছিলেন, এই উপন্যাসে তিনি গোলাম আজম বা নিজামীর মতো মানুষদের নাম নেননি। তারপরও যদি লিখে থাকেন, আপনি পৃষ্ঠা নাম্বার উল্লেখ করে জানান, চেক করে দেখি, ভুল আমার না আপনার না হুমায়ূন আহমেদের।

আপনি যদি হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে গর্বিত হন, আমার কোনো আপত্তি নাই। কিন্তু এই গর্ব জাতির ঘাড়ে চাপায়েন না প্লিজ। আর ওনার গন্ধ গুঁতিয়ে বের করা লাগে নাকি? উনি তো দুইদিন পর পর নিজেই দুর্বাসা হয়ে আবির্ভূত হন।

তিতাস এর ছবি

জোছনা ও জননীর গল্প, ২য় খন্ড পৃষ্ঠা নং ২১১ এ গোলাম আযম এর নাম আছে। শান্তি বাহিনীর মিছিলে তাকে দেখা যায় বলে উল্লেখ আছে ।

তুহিন  এর ছবি

এই মুহূর্তে উপন্যাসটি আমার কাছে নেই। কিন্তু গোলাম আযম এর কথা উনি লিখেছেন তা আমি ১০০% নিশ্চিত।
কিন্তু এই গর্ব জাতির ঘাড়ে চাপায়েন না প্লিজ। কেন সমগ্র জাতিটা কি আপনার লিজ নেয়া নাকি?? আপনি এভাবে অনুরোধ করার কে??

হিমু এর ছবি

যে মুহূর্তে বইটা হাতের কাছে পাবেন, এ মুহূর্তে উল্টায় পড়া শুরু করেন। "গোলাম আজম" আর "নিজামী" নাম দুইটা পেলে থেমে পড়েন। পৃষ্ঠা সংখ্যা দেখেন। তারপর একটু কষ্ট করে আমাকে জানান। পারবেন না? না বুঝলে আবার আসবেন, আমি আপনাকে সাহায্য করার চেষ্টা করবো। কিন্তু পৃষ্ঠা নাম্বারসহ যোগাযোগ করতে ভুলবেন না। ত্যানা প্যাঁচাতে চাইলে আপনাকে আর প্রশ্রয় দেবো না, পরবর্তী কমেন্ট করার আগে পৃষ্ঠানাম্বার যোগাড় করে নেবেন। ঠিকাছে?

ব্যক্তিগত মত ব্যক্তি হিসেবেই ডিফেন্ড করতে শেখেন রে ভাই। আমিও জাতির একজন, আমি তো হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে গর্বিত নই। আপনি আপনার পছন্দ-অপছন্দকে জাতির পছন্দ-অপছন্দ বানিয়ে ফেললে তো মুশকিল। আমি যদি বলি জাতি হুমায়ূন আহমেদের জন্য লজ্জিত, আপনি কি মেনে নেবেন?

IVY এর ছবি

চলুক

নীলকান্ত এর ছবি

দুঃখিত, হুমায়ুন আহমেদ হইবো, আজাদ হইয়া গেছে প্রথম কমেন্টে।


অলস সময়

হাসান এর ছবি

"নিম্ববিত্ত সমাজের অশ্রাব্য গালাগালকে নিতান্ত অশৈল্পিক প্রক্রিয়ায় বইয়ের পাতায় ছাপিয়ে হুমায়ুন আজাদ কালজয়ীতে পরিণত হয়েছেন"
ব্যাখ্যা করবেন একটু? মধ্যবিত্তের ভাষা আর নিম্নবিত্তের ভাষা কি বস্তু? অশৈল্পিক প্রক্রিয়াই বা কেমন?
আর "আক্রান্ত না হয়ে বেঁচে থাকার অধিকার" বলতে আপনি কি শারীরিক ভাবে আক্রান্ত হওয়ার কথা বলছেন? হুমায়ুন আহমেদ হুমায়ুন আজাদের ওপর হামলার সাফাই গাইতে চেযেছিলেন- একবার না, অনেকবার, এজন্য এই পোস্টের চেয়েও অনেকগুনে কটুকথা তার প্রাপ্য। হুমায়ুন আজাদ আর যাই করুন, এরকম কোনো অন্যায়ের সমর্থন করেন নাই।

জনৈক বাঙাল এর ছবি

আপনার ধারণা আছে কিনা জানি না- পৃথিবীর ইতিহাসে শারিরীক আক্রমণে কেবলমাত্র "লিখিত" সমর্থন কিম্বা প্ররোচনা দেবার অপরাধে একাধিক ক্ষমতাবান লেখক শাস্তিপ্রাপ্ত হয়েছেন! এখানে তাই হুমায়ুন আহমেদ যে কাজটি করেছেন তাকে এথিক্যালি আপনি খারিজ তো করতেই পারেন না- উলটো তার বিরূদ্ধে আইনতও ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব! তবে, আপনি যেভাবে প্রত্যক্ষ শারীরিক আক্রমণকে সমর্থাদান আর ইন্টেলেকচুয়াল লিখিত আক্রমণ এর মাঝখানে সমান চিহ্ন টানছেন- তাতে করে আপনার যুক্তিবোধ নিয়ে বেশ আশান্বিত হয়েছি! হাসি

সজল এর ছবি

একজন লেখককে তার লেখার জন্য কোপানো ঠিক আছে, এ কথা বলার অধিকার হুমায়ুন আহমেদের আছে বলতে চাচ্ছেন? আপনার মতের লোক যত কম বাইরে ঘুরে বেড়ায় সমাজ তত নিরাপদ।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

অনীক ইকবাল এর ছবি

হুমায়ুন আহমেদ কবে কোথায় কখন কাউকে চাপাতি দিয়ে কোপানো সমর্থন করেছেন- সেটা একটু ব্যাখ্যা করে বলুন। আমি মূল লেখায় এমন কোনো ব্যাখ্যা পাইনি। হুমায়ুন আহমেদের যে তিলসম উক্তিটাকে তাল করা হয়েছে- সেটা আমার কাছে অপর্যাপ্ত মনে হয়েছে।

হিমু এর ছবি

আমি কোট করেছি, কিন্তু আপনার কাছে তিল বলে মনে হওয়ায় আবার পেস্ট করছি।

: তাহলে ড. হুমায়ুন আজাদকে মরতে হলো কেন?
> কারণ যে বইটা তিনি লিখেছিলেন, তা এতই কুৎসিত যে, যে কেউ বইটা পড়লে আহত হবে। তার জন্য মৌলবাদী হতে হয় না।

আমি এই কথাটা পড়ে যা বুঝি, তা হচ্ছে, কারো যদি একটা বই পড়ে সেটাকে কুৎসিত বলে মনে হয়, সে উঠে গিয়ে সেই বইয়ের লেখককে হত্যা করে আসতে পারে। আপনি হয়তো এটা বোঝেননি। আপনার লেখা পড়েও সেটা মনে হয়েছে, যে হুমায়ুন আজাদের উপন্যাসে "গালাগালি" আছে, কাজেই তাকে কোপালে কোনো সমস্যা নাই, আর হুমায়ূন আহমেদ মধ্যবিত্তের ভাষায় কথা বলেন, তাই এই কোপানোকে তিনি প্রকারান্তরে সমর্থন করলেও সেটার দোষ ধরা যাবে না।

যদি গালির কারণে লেখাকে বাতিল করতে হয়, তাহলে আখতারুজ্জামান ইলিয়াসকেও আমাদের বাতিল করে দিতে হবে। আপনি মনে হয় আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের লেখা পড়েননি।

আপনি যদি এমন একটা সমাজ চান, যেখানে আপনার অপছন্দের লেখকদের হরবখত কোপানো হয়, আপনাকে আমরা আমাদের সমাজে দেখতে চাই না। আপনি অসুস্থ।

অনীক ইকবাল এর ছবি

আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের কোন লেখার কথা বলছেন- সেটা বুঝলাম না। আমার তো ধারণা ছিলো- তাঁর উপন্যাস দু'টোই, আর দু'টোই আমি পড়েছি। যাই হোক, আমি আর তর্ক করবো না। আমারও একটু ভুল হয়েছে, মেনে নিচ্ছি। আপনার কোট করা অংশটুকু আবার পড়ে মনে হচ্ছে উপরের প্যাঁচাল পাড়া উচিত হয়নি। আমি ব্যাক্তিগতভাবে হুমায়ুন আজাদের সাহিত্যের ধারাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে অপছন্দ করি, সেটাই হয়তো আমার মন্তব্যে উগরে দিয়েছি, যুক্তিহীন ভাবেই অনেকটা। সেটার জন্য দুঃখিত।

গিয়াস এর ছবি

সমস্যা হচ্ছে যে, হুমায়ুন আজাদ নিয়ে আলোচনা করলে শুধু "পাক সার জামিন সাদ বাদ" এর কথা বলে। এটা ছাড়াও হুমায়ুন আজাদের আরও অনেক বই আছে।আপনি কি "নারী" পড়েছেন ? না পড়ে থাকলে পড়ে দেখেন। আশা করি ভাল লাগবে। "লাল নীল দীপাবলী","কতো নদী সরোবর" এগুলো খুবই তথ্যবহুল বই।

IVY এর ছবি

চলুক

মুন  এর ছবি

সাহস, অকপটতা, প্রতিভা, বিনয়, আপসহীনতা, উদারতা, দেশপ্রেম ইত্যাদি অসাধারণ গুনাবলী মনে হয় কোনো মানুষ একসাথে ধারণ করতে পারেনা। এই অভাগা দেশে যাদের মধ্যে বেশিরভাগ গুনগুলো আছে তাদের হারাতে চাইনা কোনোভাবে মন খারাপ

চলুক

তিথীডোর এর ছবি

হুমায়ুন আজাদের লেখাটি কুৎসিত, তবুও বলবো, এর চেয়ে শতগুণে কুৎসিত লেখার লেখককেও আমরা সহ্য করে নেয়ার মতো সমাজ চাই, যেখানে একটি লেখার দায়ে লেখককে চাপাতির কোপে আহত বা নিহত হতে হয় না, এবং দুর্ভাগ্যক্রমে আহত হতে হলেও সে আঘাতকে বৈধতা দেয়ার জন্য আরেকজন লেখক কলম ধরেন না।

চলুক চলুক চলুক

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সজল এর ছবি

আমরা যদি ধরেও নিই, হুমায়ুন আজাদের লেখাটি কুৎসিত,...

হাসি

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

তিথীডোর এর ছবি

আমরা যদি ধরেও নিই..
হুমম। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অন্যকেউ এর ছবি

চলুক

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

মঈনুল এর ছবি

লেখায় পাচতারা। হুমায়ুন আহমেদ গা বাচানো ভীরু স্বার্থপর মধ্যবিত্ত।আশা করি সুস্হ হয়ে ফিরে বদলাবেন।বাংলাদেশী লেখক অথচ কোনোধরনের রাজনৈতিক সচেতনতা নেই।

দুই দিনের বৈরাগী এর ছবি

হুমায়ূন আহমেদ এর বেশীর ভাগ লেখাই বাংলা সিনেমার স্ক্রিপ্ট। উনি কোন যুক্তিতে হুমায়ুন আজাদ এর লেখাকে কুৎসিত বলেছেন তা জনি না।

সমুদ্র সন্তান এর ছবি

বাংলা সিনেমার স্ক্রিপ্ট কি খারাপ জিনিস?

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

চাপাতিধারীদের চোখে দেখা কুৎসিত অকুৎসিতের আপেক্ষিক নান্দনিকতাকে হুমায়ূন আহমেদ নিজে ধারণ করতে গেলেন দেখি। মানে অনেকটা এমন, জামাতি বা জেএমবি কী, আমারই তো কুৎসিত লেগেছে লেখাটা। অনুভূতিতে আঘাত লাগলে সশস্ত্র প্রতিক্রিয়ার যে চল দেশে বর্তমান আছে, সেটাকেই (হয়তো অজান্তে) প্রাতিষ্ঠানিকতা দিচ্ছেন দেখা যায়। এটাকে হুমায়ুন আজাদের মৃত্যুর প্রতি বাঙালি মধ্যবিত্ত মুসলমানের প্রতিক্রিয়ার প্রতিনিধি বলা চলে। নরম নরম গল্প পড়া মধ্যবিত্ত মুসলমানের ভেতরে নৃশংস প্রতিক্রিয়ার প্রতি যে সমর্থন এখনো বেঁচে আছে, তার ভেতরে ঢুকে তার সাথে কথা বলা এখনো বোধহয় সম্ভব হয় নি। এই মনমানসিকতা এখনও এইরকমই হয়ে আছে।

দ্রোহী এর ছবি

যে সাহিত্যিক নিজের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা বাবার হত্যাকারী রাজাকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পায় না তার সমস্ত অর্জনের উপর ছ্যাড় ছ্যাড় করে মুতে দেই আমি।

স্বাধীন এর ছবি

গুরু গুরু

গোলাম মোস্তফা এর ছবি

গুরু গুরু

আমি শিপলু এর ছবি

কস্কি মমিন! এক্কেবারে ঠিক ।আমিও লাইনে দাড়াইলাম দ্রোহীদা।

আমি শিপলু

পৃথ্বী এর ছবি

চমৎকার বলেছেন।

হুমায়ুন আহমেদ ভাল লিখেন। হুমায়ুন আহমেদ এই দেশের মানুষের মাঝে একজন ডেমিগড। কিন্তু এই মানুষটার মধ্যে পলিটিকাল কারেক্টনেসটা অতিমাত্রায় বেশি। হুমায়ুন আজাদ মানুষের ফালতু সেন্টিমেন্ট আর নিজের প্রেস্টিজের পরোয়া করতেন না। শুধুমাত্র এই একটা কারণেই হুমায়ুন আজাদ চটি লিখলেও আমি তাঁকে অন্যদের চেয়ে সহস্র মাইল এগিয়ে রাখব। যেই লোক চক্ষুলজ্জার কারণে নিজেকে পুরোপুরি প্রকাশ করতে পারে না, সে যতই ভাল লিখুক, আমার দৃষ্টিতে সে লেখক না।

নিটোল এর ছবি

গুরু গুরু

_________________
[খোমাখাতা]

রাজিব মোস্তাফিজ এর ছবি

স্বাধীনতাবিরোধী শর্ষিনার পীরের স্বাধীনতা পদক পাওয়া নিয়ে একটি অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী লেখা হুমায়ূন আহমেদ লিখেছিলেন । তার মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস 'জোছনা ও জননীর গল্প' আমি পুরোটা পড়িনি; তবে সেখানে যে রাজাকারদের ভূমিকার সঠিক চিত্রায়ন হয়নি সেটা মুহম্মদ জাফর ইকবাল বইটির প্রকাশনা উৎসবের সময় বইটির একটি ত্রুটি হিসেবে সমালোচনা করেছিলেন ।

----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!

কল্যাণF এর ছবি

গুরু গুরু

স্বাধীন এর ছবি

লেখার প্রতিটি বক্তব্যের সাথে সহমত চলুক

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

চলুক

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

হুমায়ুন আহমেদের উপন্যাস সমগ্র প্রথম থেকে পড়া শুরু করলে পাঠক ধীরে ধীরে অনুধাবন করতে পারবেন একজন লেখকের "নিজের ভেতরের তাগিদ থেকে লেখা থেকে পর্যায়ক্রমে বানিজ্যিক কারনে লেখা" লেখকের রূপান্তর। নন্দিত নরকে, শঙ্খনীল কারাগার, তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রণে আরও অনেক নাম উল্লেখ করা যাবে (এই মুহুর্তে মনে করতে পারছিনা মন খারাপ )। কিন্তু ধীরে ধীরে তিনি হয়ে গেলেন প্রকাশকের লেখক। ১১০ পৃষ্ঠার বই-১৪০ টাকা। তারপরও মাঝে মাঝে "অপেক্ষা", "মধ্যাহ্ন" "জ্যোছনা ও জননীর গল্প" পড়লে অনুভব করি লেখার শক্তি ওনার আছে কিন্তু উনি লেখেননা পাঠকের জন্য। উনি এখন প্রকাশকের "সোনার ডিম পাড়া হাঁস"। আমি নিশ্চিত নই উনি সচেতনভাবে নিজেকে এমন বদলালেন না অচেতনভাবে। উনি অনেক বুদ্ধিমান মানুষ। সব মধ্যবিত্তের জীবনকে নিয়ে গল্প লেখা যাবে কিন্তু সবাই হুমায়ুন আহমেদ নয়, এইটাই সমস্যা। আমার মনে হয় না উনি আর একবার একটি 'নন্দিত নরকে" লিখতে পারবেন। জয়তু প্রকাশক। এখানে অপ্রাসঙ্গিক হবে কিনা বুঝতে পারছিনা তারপর মনে হচ্ছে আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের কথা। শ্রদ্ধা

হুমায়ুন আযাদ এর "আমার অবিশ্বাস" এ উনি বলেছিলেন যে একটা বা একাধিক বহুতল ভবন নির্মান করা সম্ভব কিন্তু সম্ভব নয় দ্বিতীয় একটা "অবসরের গান" লেখা (হুবহু উল্লেখ করতে পারছিনা, স্মৃতি থেকে লিখছি)। সেই কথার আশ্রয় নিয়ে বলছি, হুমায়ুন আযাদ একজনই। সত্য অনুধাবন করতে পারি আমরা অনেকেই কিন্তু সত্য বলার সাহস কয় জনের থাকে? তাইতো কেউ কেউ স্বৈরাচারী শাষকের সাথে মঞ্চে ওঠে আর কেউ চাপাতির কোপে রক্তাক্ত হয়। লেখক হয়ে ওঠা যত কঠিন তার চেয়েও বেশি কঠিন লেখক হয়ে অস্তিত্ব বজায় রাখা। লেখক থেকে অলেখক না হওয়া।

হিমু ভাইকে ধন্যবাদ এই লেখাটার জন্য। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

ফুয়াদ এর ছবি

হুমায়ুন আহমেদ আসলেই কথাটা বলেছেন কিনা আমি নিশ্চিত না, কারন সাংবাদিকরা অনেক সময় কথাকে একটু পরিবর্তন করে মানেটাই পালটে দেন; কথাটা বলে থাকলে তিনি খুবই খারাপ কাজ করেছেন;

তবে হুমায়ুন আজাদ, প্রথম হুমায়ুন আহমেদকে কথার আক্রমন করেছিলেন; হুমায়ুন আহমেদের 'উপন্যাস' কে তিনি 'অপন্যাস' বলেন যেটা হুমায়ুন আহমেদকে প্রচন্ড আঘাত দিয়েছিল; হুমায়ুন আজাদ , হুমায়ুন আহমেদ কে একটা লেখা উতসর্গ করেছিলেন যার নাম ছিল 'সবকিছু চলে যাচ্ছে নষ্টদের দখলে' যেটার উদ্দেশ্য পরিস্কার ; একই বিশ্ববিদ্যালের শিক্ষক হওয়া সত্তেও সম্পর্কটা কে নষ্ট করেছিলেন সেটা মনে হয় না বল্লেও চলে;

হিমু এর ছবি

সম্পর্ক নষ্ট হলে আপনি একটা লোককে চাপাতি দিয়ে কোপানোকে সমর্থন করবেন?

রাসেল এর ছবি

ভাল লিখেছেন। আশায় আছি , যেন স্যারএর মুখের স্কচ টেপ টা খুলে যায় ...

শেখ মিনহাজ হোসেন এর ছবি

লেখাটা ভালো! ব্যাপারটা আমিও স্বীকার করি! আমার ধারণা যাই লেখক নন্দিত নরকে থেকে শুরু করে মধ্যাহ্ন, মাতাল হাওয়া লিখতে পারেন, তার প্রথম আলোর লেখাগুলো লিখবার প্রয়োজন হয় না।

আর হুমায়ূন আজাদের প্রতি আক্রমণের ব্যাপারটা আমি জানতাম। ব্যাপারটি সত্যিই হুমায়ূন আহমেদের স্বভাবগত আচরণের সাথে বেখাপ্পা! তিনি সাধারণত এমন বিতর্কে জড়ান না! কাজটি খুবই অনুচিত হয়েছে। তবে হুমায়ূন আজাদকে নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের অ্যালার্জির কারণ আছে! কে-উ মানুক আর না মানুক, এটা সত্যি যে, হুমায়ূন আহমেদ অবশ্যই সেই আশির দশকের শুরু থেকেই বাংলাদেশের সাহিত্য-নাটক জগতের এক নাম্বার নাম! হুমায়ূন আজাদ তার জীবদ্দশায় হুমায়ূন আহমেদ কে অপমান করার একটা ব্যবস্থা করেছিলেন।

আজাদ তার "সবকিছু চলে যাবে নষ্টদের অধিকারে" বইটি উৎসর্গ করেন হুমায়ূন আহমেদ এবং ইমদাদুল হক মিলনকে! এবং তাদের লেখাকে "অপন্যাস, আবর্জনা" বলে উল্লেখ করেন! তিনি বুঝিয়ে দেন যে, বাংলা সাহিত্য দুইজন "নষ্ট" মানুষের হাতে আছেন! বিশ বছর ধরে জনপ্রিয়তায় শীর্ষে থাকা একজন মানুষের জন্য ব্যাপারটা হজম করা কঠিন! তা-ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের একজন অধ্যাপকের কাছ থেকে! সেকারণেই সম্ভবত তাদের মধ্যে একটা বৈরী সম্পর্ক ছিল!

হিমু এর ছবি

তার মানে, হুমায়ূন আহমেদ তার সমালোচককে চাপাতি দিয়ে কোপানো সমর্থন করছেন, তাই না? হুমায়ুন আজাদ তো হুমায়ূন আহমেদকে চাপাতি উঁচিয়ে তাড়া করেননি। কর্কশ সমালোচনা করেছেন। হুমায়ূন আহমেদ যদি বলতেন, "যদিও হুমায়ুন আজাদ একটি অত্যন্ত কুৎসিত উপন্যাস লিখেছেন, কিন্তু সেজন্য তার ওপর চাপাতি নিয়ে চড়াও হওয়াকে আমি সমর্থন করি না, আমি এর নিন্দা জানাই", আমার বলার তেমন কিছু থাকতো না। তিনি তো সেটা করেননি। তিনি বরং সাফাই গেয়েছেন, এই কুৎসিত লেখার লেখককে আক্রমণ করতে গেলে মৌলবাদী হতে হয় না, সেই ফতোয়াও দিয়ে দিয়েছেন। লেখা কুৎসিত লাগা বা ভালো লাগা তো ব্যক্তিক অনুভূতি। আজকে যদি হুমায়ূন আহমেদের লেখা কারো কাছে বমনউদ্রেককারী মনে হয়, আর সে যদি হুমায়ূন আহমেদকে গিয়ে একটা চটকানা মারে, আমরা কি সেটা সমর্থন করতে পারবো? সভ্য সমাজে তা সম্ভব?

হাসান এর ছবি

ইমদাদুল হক মিলন "বনমানুষ" উৎসর্গ করেছেন হুমায়ুন আজাদকে(হুমায়ুন আহমেদের নিজের লেখা থকেই জেনেছি যে এটি "সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে" এর উৎসর্গ পত্রের বদলা হতে পারে), আবার তার হত্যাচেষ্টার নিন্দাও করেছেন অকপটে। হুমায়ুন আজাদ ইমদাদুল হক মিলনের কয়েকটি বইয়ের (নাম মনে পড়ছে না পুরোপুরি, একটি বোধহয় "বনমানুষ") প্রশংসাও করেছিলেন, নিন্দাও করেছিলেন বিস্তর। এটাই সভ্য জগতের, বইয়ের আর জ্ঞানের জগতের রীতি।

সহানুভুতি  এর ছবি

আপনার লেখাগুলো অনেক ভাললেগেছে। নতুন করে জানতে পারলাম কার কোথায় গন্তব্য। চালিয়ে যান হিমু ভাই।

চন্দন এর ছবি

হুমায়ুন আজাদকে মন থেকে শ্রদ্ধা করি, এই একজন লেখকের অটোগ্রাফ নিয়ে বই কিনেছিলাম, এই একজন লেখক যে কখনো হিপোক্রেসি করেননি, যা বলতে চেয়েছেন বলিষ্ঠভাবে লেখায় তুলে ধরেছেন সারাজীবন, আর বক্তব্যধর্মী লেখার পাশাপাশি কবিতা/বিশ্লেষণধর্মী লেখাগুলোও ছিলো অনন্য।
আহমেদ, আজাদের লেখা কে 'কুতসিত' বলে গাল দিতেই পারেন, তবে আজাদের এক আনা সাহস আহমেদ এর নেই। আজাদ লিখেছেন যেটা লেখা উচিত, আর আহমেদ লিখেছেন যেটা পাঠকে খাবে, সব দিক ব্যালান্স করে!

সচল জাহিদ এর ছবি

চলুক চলুক চলুক


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

তাপস শর্মা  এর ছবি

গতকালই পড়া হয়ে গেছিল ব্লগ এ। আজ আবার পড়লাম। প্রতিটি বাক্যে সহমত। চলুক চলুক

ধুসর গোধূলি এর ছবি

অনেককেই দেখি এই ইস্যুতে একটা কথাটাই নানাভাবে বলেন। তাদের মূলকথা দাঁড়ায়, হূমায়ুন আজাদ কর্কশভাষী ছিলেন--> তিনি মৌলবাদী/জামাত-শিবির ইস্যুতে জোর গলায় কথা বলতেন--> সুতরাং তিনি চাপাতির কোপ খেয়েছেন, এমন একটা সমীকরণে। যেটা হুমায়ূন আহমেদও বলেছেন।

তিনি সাধারণ মানুষের সাথে কর্কশভাষী- এ কারণে কোনো সাধারণ মানুষ তো তাঁকে রাস্তায় একা পেয়ে চাপাতি রাম-দা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েনি। মৌলবাদী জামাত-শিবির পড়েছে। হূমায়ুন আজাদ যদি সাধারণ মানুষ বা তাঁর ছাত্রছাত্রীর সাথে কয়েক গ্যালন মধু ঢেলেও কথা বলতেন, তখনও মৌলবাদী জামাত-শিবির তাঁর ওপর এই বর্বর, হীন আক্রমন চালাতো।

এখানে, একটা ব্যাপারই আসল। তা হলো, জামাত শিবিরের হূমায়ুন আজাদের ওপর আক্রমন। এবং সেটা কোনোভাবেই সমর্থন করা যায় না। তিনি কারো সাথে মধু বল্লার চাক ভাঙা কথা বললেন নাকি নিশিন্দার রসের কলসী উপ্তা করে তারপর বললেন, সেই কাহিনি তো কোনোভাবেই এর সাথে মিশ খায় না।

দুঃখজনক হলো, বিখ্যাত হুমায়ূন আহমেদ এই মধু আর নিশিন্দার কথা তুলেই হূমায়ুন আজাদের ওপর জামাত শিবিরের মৌলবাদী আক্রমনের ঘণত্ব তুলে দিলেন 'যে কেউ'- এর ঘাড়ে!

ontaratta এর ছবি

অসাধারন লিখেছেন।।তবে আপনার আশায় গুঁড়ে বালি পরবে তাও সত্যি............

নীড় সন্ধানী এর ছবি

হুমায়ুন আজাদের মুখ খারাপ ছিল কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু বাঙালীকে নিয়ে এত অপ্রিয় সত্য কথা আর কেউ বলেনি। তার প্রবচনগুচ্ছের শক্তি হুমায়ুন আহমেদের উপন্যাস সমগ্রের চেয়েও বেশী।

হুমায়ুন আজাদের উপর হামলার ব্যাপারে হুমায়ুন আহমেদের প্রতিক্রিয়াটা প্রমান করেছিল কাক কাকের মাংস না খেলেও বুদ্ধিজীবিরা বুদ্ধিজীবিদের মাংস খায়। ক্ষমা চাওয়ার উপর কোন বাগধারা বাংলা ব্যাকরনে নাই। হুমায়ুন আহমেদও ক্ষমা চাইবেন না। চাইলে শেষবেলায় গুলতেকিন আহমেদের কাছে চাইতে পারেন।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

সপ্তর্ষি এর ছবি

উত্তম জাঝা!

আলকিতা এর ছবি

মানুষ সিংহের প্রশংসা করে, কিন্তু আসলে গাধাকেই পছন্দ
করে......

Shamim Ahmed এর ছবি

শান্তি ! শান্তি !
দয়া করে আজাদ হুমায়ুন এবং আহমেদ হুমাযুনকে একই দাড়িপাল্লায় মাপবেন না। দুজন বাংলা সাহিত্যকে যথেষ্ঠ ভৈবব প্রদান করেছেন। একজন চলে গেছেন আমাদের কাছ থেকে, আরেকজন চলে গেলে বইমেলার ভীড় কোথায় যাবে কে জানে? বহুদিন ধরে যক্ষায় আক্রান্ত এফডিসির দুদর্শার পাশে তারেক মাসুদ সহ স্বাধীন ধারার চলচ্চিত্র নির্মান শিল্পীদের দেয়া কদাচ যদাচ চলচ্চিত্র পেয়েও অন্তত কোনভাবে বাঙালী চলচ্চিত্রের দর্শক হয়ে বেঁচে ছিলাম। তারেক মাসুদকে আমরা হারিয়ে সব হারিয়েছি। জাতি হিসাবে আমরা কি হারাচ্ছি আমরা কখনো তা চিন্তা করিনি। আমরা এতটাই আত্নকেন্দ্রিক স্বার্থপর মানুষ আমরা জাতিতো দুরের কথা নিজের পরিবারের সবাইকে একসাথে নিয়ে একটি একক চিনতার চর্চা্ও করি না।
যা বলছিলাম, আসুন চলে যাবার আগে আমরা হুমাযুন আহমেদ ( আল্লাহ তাকে দীর্ঘজীবি করুন) কে এভাবে বিদায় না দিই। যক্তি তক্ক গল্প করে হুমায়ুন আহমেদের বারটা এ ব্লগে হয়ত বাজাতে পারবেন। শ্রেষ্ঠ সমালোচক পুরস্কার পেয়েও যাবেন ভার্চুয়ালি। ক্নিতু এ পৃষ্ঠার উপর থেকে নিচ পর্যন্ত আপনারা আবার পড়ুন। দেখবেন আমরা এগুতে পারিনি। হিমু তার লিখা লিখে যত না আবেগ মিশ্রিত সমালোচনা করেছেন তার চেয়েও খারাপ হয়েছে তাকে সমর্থন ও অসমর্থনের জোয়ার তুলে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল গেড়ে আমাদের চলার সামর্থ্য ও শক্তি নষ্ট করে। এটা উন্নয়নশীল জাতি হিসাবে আমাদের কাম্য নয়। এর চেয়ে রাজধানীর দুভাগ হওয়া নিয়ে এ রকম লিখা লিখি হলে হয়ত প্রধানমন্ত্রী নতুন করে ভাবতে পারতেন - তিনি ঠিকং অনত ভুলং ( ঠিক অথবা ভুল)

ভাল থাকুন।

আমি হুমায়ুন পাগল পাঠক নই, তবে আমি সদা প্রগতিশীল বাংলাদেশ কামনা করি।

হিমু এর ছবি

আসুন, প্রগতিশীল হই। সহকর্মীকে কেউ চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গেলে সেটাকে হালাল করার জন্য পত্রিকায় সাক্ষাৎকার না দিই। আর সাক্ষাৎকারে সেরকম কিছু বলে বসলে তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করি, ক্ষমা চাই। এ কাজ করলে কি প্রগতির বিপরীতে হাঁটা হবে?

atmkader এর ছবি

সহমত । ব্লগকে কুরুক্ষেত্র করা উচিত না ।

শৌণক  এর ছবি

আমি আজাদ স্যার এর ক্ল্যাসে কখনও যোগ দিই নি । একজন শিক্ষকের কোন কথাটি তিরস্কার আর কোনটি উদ্ধত ভাষা তার মাপকাঠি কি কেউ কি বলবেন ?
আমি কলেজে পড়ার সময়, তখন বাংলাদেশের কোন একটা জাতীয় নির্বাচন কেবল শেষ হয়েছে, দেশের প্রত্যেক সংবাদ পত্রে প্রতিদিনই প্রথম পাতায় কোন না কোন বাংলাদেশির অত্যাচারিত হওয়ার খবর থাকতো। রাজনৈতিক অথবা ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা বশত- কাউকে কুপিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে অথবা কারো ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে অথবা কোন মা/মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে । এমন দিনে একজন স্যার ক্ল্যাসে এসে বললেন, এইগুলো তো স্বাভাবিক । একজন শিক্ষকের কোন কথাটি তিরস্কার আর কোনটি উদ্ধত ভাষা তার মাপকাঠি কি কেউ কি বলবেন ?
আমি কলেজে পড়ার সময়, তখন বাংলাদেশের কোন একটা জাতীয় নির্বাচন কেবল শেষ হয়েছে, দেশের প্রত্যেক সংবাদ পত্রে প্রতিদিনই প্রথম পাতায় কোন না কোন বাংলাদেশির অত্যাচারিত হওয়ার খবর থাকতো। রাজনৈতিক অথবা ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা বশত- কাউকে কুপিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে অথবা কারো ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে অথবা কোন মা/মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে । এমন দিনে একজন স্যার ক্ল্যাসে এসে বললেন, বেশ হয়েছে। এইগুলো তো স্বাভাবিক। এতদিন যারা ক্ষমতায় ছিল তাদের সমর্থকদের এইরকম শিক্ষা হওয়া উচিত ।
বাংলাদেশি হিসাবে সেই প্রথম আমার নিজের উপর ঘৃণা হয়েছিল। আমার স্যার এর সেই ভাষা আমি কিসের অন্তর্ভুক্ত করব- নিন্মবৃত্ত , মধ্যবৃত্ত না উদ্ধত ভাষার ?

Tonmoy এর ছবি

দেখুন , ইংরেজিতে একটা কথা আছে "ফ্রীডম ইজ নট ফ্রী"। কথাটার মানে "স্বাধীনতা ফ্রী পাওয়া যায় না", কিন্তু এখানে আরেকটা কথাও আমাদের মনে রাখা উচিত যে ইউ হাভ ফ্রীডম, দাট ডাজ নট মীন দাট ইউ আর ফ্রী। মানে, আপনি স্বাধীন হলেও আপনি মুক্ত নন, আপনার অবশ্যই অনেক কিছু মেনে চলতে হবে। আপনার কাজের ইফেক্ট যখন অন্যের উপর প্রভাব ফেলে, তখন আপনাকে অবশ্যই অন্যের কথা ভাবার পর ঐ কাজ করতে হবে। তাই, স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলার সময় এবং স্বাধীনভাবে কাজ করার সময় অবশ্যই এই বিষয়্টা মনে রাখা দরকার। যা মন চায় তাই করলাম, এটা স্বাধীনতা না, এটা স্বৈরাচারিতা। আমরা মাঝে মাঝে জাস্ট একটা শব্দ বা একটা নাম বা একটা ত্বত্তকে বিচার বিবেচনা না করেই অনেক কথা বলি যেটা উচিত না। এরকম কিছু শব্দ আছে যেগুলির কিছু এখানেও একইভাবে ইউজ করা হয়েছে।

হিমু এর ছবি

আর মেনে না চললে, আপনি চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে অন্যের স্বাধীনতার সীমারেখা স্পষ্ট করে দিয়ে যাবেন?

উচিত অনুচিত নিয়ে প্রচুর আওয়াজ আপনার লেখায়। সেই আওয়াজগুলোকে উদাহরণসহ একটু স্পষ্ট করুন।

রাজিব মোস্তাফিজ এর ছবি

চলুক

----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!

Hasan Tutul এর ছবি

আজাদ বা আহমেদ যিনিই হোক না কেন, তাদেরকে নিয়ে যত সু ও কুমন্তব্য পোস্ট করা হয়েছে তা লজ্ঝাস্কর। একজন আরেকজনকে পছন্দ নাও করতে পারেন, তাই বলে কী তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে হবে, এটা কোন শিক্ষা?
কোন হত্যাকে কেউ সমর্থন করতে পারে না, এটা সভ্যতার বিপরীত মানুষের কাজ, তাই বলে আমি যা ইচ্ছে তাই ই করতে বলতে লিখতে পারিনা। যেটার কারনে কেউ মনকষ্ট পেতে পারে।
আজাদ বা আহমেদ দুজনেই নিজ অবস্থানে সৃষ্টিশীল মানুষ। যারা সৃষ্টি করে চলেন, তারা সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্যে সাহচর্যে থাকেন, তাদের মগজে ঢুকয়ে দিয়ে সেই কথা গুলো মননেন মাধ্যমে হাত দিয়ে লিখিয়ে নেন।
তাদের নিয়ে এমন গালাগালি কী তাদের কোন ক্ষতির বা লাভের কারণ হয়ে যাবে? তবে কেন এই নিষ্ঠুরতা।
আমি দুজনের লেখা বই দুয়েকটি করে পড়েছি, বিচার করার স্পর্ধা হয়নি যে, ওগুলো সাহিত্য কর্ম কি-না? এ বিচার করতে হলে অনেক বড় পন্ডিত হতে হয়-আমি তা নই। তবে হিমুর ব্লগের লেখাটা অত্যন্ত শক্তিশালী-গাথুনি, গাঢ় নিখাদ বুনিয়াদ। তরতাজা-গা ঝাড়া। এমন লেখা চাই তো।
কিন্তু নোংরা মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকি। হিমু কি কিছুই শেখায়নি এই লেখার মধ্যে দিয়ে? কি শিখলাম আমরা? আমরাসবাইতো আহমেদ বা আজাদের পক্ষের কোন না দায় স্বীকার করে নিলাম না?

হিমু এর ছবি

তাই বলে আমি যা ইচ্ছে তাই ই করতে বলতে লিখতে পারিনা। যেটার কারনে কেউ মনকষ্ট পেতে পারে।

খুব শূন্যগর্ভ একটা কথা। আপনার এই শূন্যগর্ভ কথার কারণে আমি মনোকষ্ট পেতে পারি। আপনি কি তাহলে আপনার কথা বলার বা লেখার অধিকার হারিয়ে ফেলবেন?

দুনিয়ার সব কথাই কারো না কারো মনোকষ্টের কারণ হতে পারে। কিন্তু সেই মনোকষ্টের প্রতিক্রিয়ায় চাপাতি হাতে তার ওপর লাফিয়ে পড়া যায় না। কলমের জোর থাকলে লিখে জবাব দিন, মুখের জোর থাকলে বলে জবাব দিন।

Syed Nurulhuda এর ছবি

হুমায়ুন স্যারের যাঁরা সমালোচনা করছেন- তাঁদের যোগ্যতা দেখে আমি মুগ্ধ। ভালো-মন্দ যাই হোক- তার বিচার করছি; আমারা এযুগে হুমায়ুন স্যার কে পেয়েছি। এর থেকে ভালো এর থেকে উন্নত, আগামীতে আরো শক্তিশালি মানুষ পাবো- যাঁরা আমিত্বের উর্ধব উঠতে পারবেন। নর-নারীর আদিম রস কাম ভোগের ঢেঁকুর তোলা রমন এবং ব্যক্তির নাম-যশ- জয় করে সত্যিকারের পথ প্রদর্শকের ভূমিকা পালন করবেন। হুমায়ুন স্যারের যা দেয়ার তিনি তাই দিচ্ছেন। "হয় তুমি মানুষ কে পথ দেখাবে, না হয়- ভুল পথে পরিচালিত করবে" মানুষের সমালোচনার পাশাপাশি নিজের সমালোচনার মাধ্যমেই ব্যক্তির উন্নতি ও অগ্রগতি সম্ভব। মানুষের জয় অনিবার্য।

ইফতি এর ছবি

অসাধারণ লেখা, ধন্যবাদ। নামের প্রথম অংশ এক হলেও দুই জনের মধ্যে প্রবল বৈপরীত্য। এটা ঘুচবার নয়।

ওয়ারেস এর ছবি

অসাধারণ লেখা ভাই।
সুন্দর সাবলীল শব্দের ছুরি দিয়ে টুকরো টুকরো করে মুখোশ কেটে
এক বিরাট সত্যকে পাঠকের সামনে উন্মোচিত করে দিয়েছেন।

হিমুকে ধন্যবাদ

রাশেদুল ইসলাম রনি এর ছবি

হিমু ভাই, তোমার লিখা বরাবরই ভাল লাগে।

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

হুমায়ুন আহমেদের কাছে আমাদের অনেক চাওয়া, উনি কী পূরণ করবেন!!!

বাংলা ভাষার অসামান্য পণ্ডিত হুমায়ুন আজাদকে আমাদের বড় প্রয়োজন ছিল!!! তবে সমীকরণ ঠিক আছেঃ বাঙালি জাতি তার প্রয়োজনীয় শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করে ফেলে অতি দ্রুতই!!! মন খারাপ


_____________________
Give Her Freedom!

মুন্নুবেগ এর ছবি

হুমায়ুন আহমেদ একজন অসাধারণ লেখক এ বিষয়ে কারো কোন সন্দেহ নেই।কিন্তু সবার আগে তিনি একজন মানুষ।মানুষ হিসেবে তার কিছু সীমাবদ্ধতা থাকবে বা আছে এটা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। ব্যক্তিগত ভাবে হুমায়ুন আহমেদ হুমায়ুন আজাদ কে এক প্রকার অপছন্দ করেন বলেই ধরা জায়।সেই রেশ ধরেই হয়ত তিনি কিছু কথা বলেছেন যা তার মতো লেখকের বেলায় বলা খাটে না।এই কথাগুলি বলা হয়ত যুক্তিসঙ্গত ভাবে উচিত হয় নি,কিন্তু লেখক হিসেবে অপর লেখক কে হেয় করার মানসিকতা যদি হুমায়ুন আজাদের থেকে থাকে,তাহলে হুমায়ুন আহমেদ এর থাকবে না এমনটাও মনে করার কোন কারন নেই।

হিমু এর ছবি

আপনি, এবং আরো অনেকে, যে পয়েন্টটা মিস করে যাচ্ছেন, সেটা হচ্ছে, কর্কশ সমালোচনা করা আর চাপাতি হাতে হামলাকে সমান ধরে নেয়া যায় না। আর মানুষ হিসেবে সীমাবদ্ধতা থাকলে সেই সীমাবদ্ধতার সমালোচনাও থাকবে।

খেকশিয়াল এর ছবি

আপনার লেখার শিরোনাম প্রশ্নের উত্তর দেই - হুমায়ূন আহমেদ কি হুমায়ুন আজাদের পুত্রকন্যার কাছে ক্ষমা চাইবেন? ..মনে হয় না। যে পরিমাণ অন্ধ-ভক্তবৃন্দ দ্বারা তিনি পরিবেষ্টিত, এদের যে নমুনা এখানেই দেখতে পাচ্ছি.. এদের মাঝে থেকে তিনি মনে হয় না আপনার প্রশ্নটা নিয়ে কখনো ভাববেন। তারাই হয়তো ভাবতে দেবে না।

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

বন্দনা কবীর এর ছবি

বেশ কয়েক বার এই পোস্টে ঢুকছি আর মন্তব্য গুলো পড়ে পড়ে হাসছি। হিমুর "আমারে ভিজাইলো কে'?র' মত, "তাই বলে একজনকে চাপাতি দিয়ে হত্যা করাকে সমর্থন করবেন" কথাটি বার বার বলাটাও হিমুর পক্কতার বিরুদ্ধেই যাচ্ছে আমার কাছে।

প্রতিটি মানুষেরই পছন্দ অপছন্দের মানুষ থাকে। আমার রুচি অনেক খারাপ। আমি নিম্নরুচির সাহিত্য পছন্দ করি তাই হুমায়ুন আহমেদকে প্রচন্ড রকম পছন্দ করি আর হুমায়ুন আজ়াদকে প্রচন্ডরকম অপছন্দ করি। আজাদকে যেমন তার ভক্তরা ফেরেস্তার আসনে বসিয়ে রেখেছে তেমনি নিম্নরুচির আহমেদ ভক্তরাও আহমেদকে হৃদয়ের আসনে বসিয়েছে। তো? একজনকে পছন্দ করিনা বলে তাকে যা ইচ্ছা তাই বলাই জায়েজ হয়ে যায়? যা ব্লগ গুলোতে দেখি।

আজাদকে সাহিত্যের পরাকাষ্ঠা বানাতে গিয়ে তাকে পূজো করাটাও একটা আঁতলামি টাইপের স্টাইল হয়েছে খেয়াল করেছি। আজাদের কবিতা সাহিত্য নিয়ে আলোচনা করলেই নিজেকে বিজ্ঞ প্রমান করা সহজ হয় জাতে ওঠা সহজ হয়।

ব্যাক্তিগত কারনেই, আহমেদকে যেমন কাছে থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে তেমনি আজাদকেও। দ্বিতীয় জনকে আমি আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে যে কি পরিমান অপছন্দ শুধু না "ঘৃনা" করি তা আজকে এই পোস্টের মাধ্যমে প্রথম বারের মত জনসম্মুখে বললাম। আগেও বলেছি, তা ব্যাক্তিগত আড্ডায় বা কাছের বন্ধুদের কাছে। কিন্তু আজাদকে যারা পছন্দ করেন তাদেরকে রুচি অথবা সাহিত্য বোঝার জ্ঞান নিয়ে কখনোই কটুক্তি করিনি। এমনকি, কেউ তাকে পছন্দ করেন এটা জানার পরে আজাদের ব্যাপারে একটা নেগেটিভ কথাও বলিনি। আজাদকে নয়, আজাদের ভক্তকে সম্মান করেই। এই লোকটা যে কি পরিমান হিপোক্রেট ছিলেন তা বোধ করি উনার সহকর্মিরা বা বন্ধুহর্গেরাও খুব ভাল করে জানেন।(জ্বিনা, তাই বলে তাকে চাপাতি দিয়ে হত্যা করাটাকে সমর্থন করছিনা। যদিও তিনি ঐ চাপাতির আঘাতেই মারা যান নাই। সরকারি চিকিতসাতে প্রায় সুস্থ্যই হয়ে উঠেছিলেন শেষ মেষ।) (ওরে আল্লাহ আজকে আমার খবরই আছে মন খারাপ )

ব্যাক্তিগত ভাবে আমি কাউকে পছন্দ বা অপছন্দ করতেই পারি। তাই বলে আরেকজনকে মহান দেখাতে চেয়ে আরেকজনকে ছোট করার মত ছোটলোকি আমরা করেই আসছি। ক্রমাগতঃ। আজাদের সেই বিটিভির সাক্ষাৎকারটা এখনো আমার কানে বাজে। ছোট একটা আহমেদ ভক্ত কিশোরীর মনে যে দাগ আজাদ ফেলেছিলেন তা তিনি কিছু দিয়েই মুছতে পারেননি। কখনো তা মুছবারো নয়। এই কারনেই, বাংলার ছাত্রি হয়েও তার ক্লাসও এটেন্ড করতামনা আমি। এমনই অপছন্দ ছিল তাকে।

তাহলে কি দাঁড়াল? আমি আজাদকে অপছন্দ করি বলে, আমি তাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মারাকে সমর্থন করে ফেললাম? নিন এখন আমাকেই দাবড়ানি দিন রে রে করে তেড়ে এসে। যা আমরা করছি-ই।

আর স্যারের যে বক্তব্যটা দেয়া হয়েছে তা যে হুবহু স্যারেরই বলা তার গ্যারান্টি কি? স্যারের প্রতিবাদ না করা? আমাদের অনেক সাংবাদিকই এই দুইজনকে ময়দানে মুখোমুখি করতে পছন্দ করেন।
আজকে যেমন হিমু বিনা উষ্কানিতে করলেন। নইলে এত্তো বছর পরে এই গোরোস্থানের মড়া তুলে আলোচনায় নাম্লেন কেন?

(আর আহমেদকে আজদের সন্তানদের কাছে ক্ষমাই বা চাইতে হবে কেন বুঝলাম না। আমি নাকি বেশি বুঝি। তাও বুঝলাম না যে কেন তাও বুঝলাম্না খাইছে )

যেখানে আমাদের হাতে আলোচনা করার বা কাজ করার গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু রয়েছে। যিনি নেই আর যিনি প্রায় অর্ধেক আছেন কি নেই এর কাতারে, তাদেরকে নিয়ে এই আলোচনাটা করা কি খুব জরুরি ছিল? এই সমর্থক ভাগাভাগিটা কি ঠেকানো যায়-ই না?

অবশ্য...
যেখানে আমরা ঢাকা ভাগ করা ঠেকাতে পারিনা সেখানে আহমেদ আজাদকে ভাগ অথবা ব্যাবচ্ছেদ করাই বা ঠেকাবো কি করে? ঠেকাবোই বা কেন? চলুক ফায়ার। দেখা যাক কয়টা কাক কুক মরে।

(আমার নামে এখন মানহানির মামলা হয়ে যাবার ভয় আছে অথবা আমাকেই ব্যাক্তিগত আক্রমের ") )

হিমু এর ছবি

আপনাকে আক্রমণের হাতছানিগুলো বাদ দিলে আপনার এই সুদীর্ঘ রুহকাঁপানো মন্তব্যে যুক্তি যা পেলাম সেগুলো গুণি।

১. কোট করা কথা যে হুমায়ূন আহমেদ বলেছেন, তার প্রমাণ কী?
উত্তর: উনি কথাগুলো বলেননি, তার কি কোনো প্রমাণ আছে? সাক্ষাৎকার বিকৃত করা হয়েছে, এমন প্রমাণ থাকলে দিন, আমরা দেখি। যদি তিনি সেই কথাগুলো বলে না থাকেন, খুব ভালো লাগবে।

এ কী? আর কোনো যুক্তি তো নাই। আর কী আছে, দেখি।

১. হুমায়ূন আজাদ হিপোক্রিট ছিলো।
২. হুমায়ূন আজাদের পূজা করে লোকে আঁতেল সাজে।
৩. হুমায়ূন আজাদকে আপনি অপছন্দ করেন।
৪. হুমায়ূন আহমেদকে আপনি পছন্দ করেন।
৫. পোস্টলেখক বিনা উস্কানিতে দুইজনকে মুখোমুখি করেছে।
৬. ক্ষমা চাইতে হবে কেন?
৭. আরো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ফেলে কেন এ নিয়ে কথা?

হুমায়ূন আজাদ লোকটা ভালো ছিলো না খারাপ ছিলো, হিপোক্রিট ছিলো নাকি পয়গম্বর ছিলো, তা নিয়ে এই পোস্টে কিছুই বলা নাই। কিন্তু হুমায়ূন আজাদ দুনিয়ার সবচেয়ে খারাপ লোক হলেও তাকে চাপাতি দিয়ে কোপানোকে সমর্থন করা যায় না। লাখো পাঠকের হৃদয়ের মণি কোনো লোক সমর্থন করলেও, সেই সমর্থনের কাজটা জায়েজ হয়ে যায় না। এই পয়েন্টটা ধরতে ব্যর্থ লোকের সংখ্যা কম না, আমি জানি, কারণ প্রচুর লোক শুধু স্কুল-কলেজ-ইউনিতে ভর্তি হয় আর পরীক্ষায় পাশ করে, শিক্ষা জিনিসটার ধারেকাছ দিয়ে না গিয়েই।

হুমায়ূন আহমেদকে ক্ষমা চাইতে হবেই, এ কথাও কেউ বলছে না। তবে ক্ষমা না চাইলে এই কথাটা বছরের পর বছর বিশ্বস্ততার সাথে তুলে লোকজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়া হবে। তবে পাকিস্তানীরাও কিন্তু ঠিক আপনার সুরেই বলে, ক্ষমা চাইতে হবে কেন? আপনি টেনশন নিয়েন না, এই ক্ষমাটমা আপনার মাথার অনেক উপর দিয়ে যায়, চলেন অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে কথা বলি। একটা পোস্ট দিবেন নাকি দুনিয়ার টপ টেন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে?

বন্দনা কবীর এর ছবি

সবার আগে একটা মারামারি হয়ে যাবে বলে দিলাম আমার কথার সাথে ফাকিস্তানিদের কথার মিল করার জন্য :X (গুল্লি করা আজকেই আপনার কাছ থেকে শিখেছি। তাই রাগের মাথায় গুল্লি করে দিলাম গুল্লি (মুখ লাল ইমো সহকারে)
আর... রুহ কাঁপানিটা ভুলতে পারেন্নাই দেখি?! বেশ মজা পাইলাম দেঁতো হাসি

এখন সিরিয়াস বাতচিত...

কে বড় কে ছোট সেই হিসাব করার আমরা কে? যার যার জায়গায় সে সে। আমি যেমন চাইলেও হিমু হতে পারবোনা তেমনি হিমু চাইলেও বন্দনা হতে পারবেনা। তা আমি বা আপনি যতই চেষ্টা করিনা কেন। কারন দুইজনের স্বতন্ত্র মস্তিষ্ক (বিপরিত লিঙ্গটাও ফ্যাক্টর) দুই রকম করে কাজ করবে।

আপনার আমার কোনো বিষয় নিয়ে মতবিরোধ হতেই পারে তাই বলে একে অন্যকে ছোট করার জন্য লেগে থাকবো? মাফ করবেন, এই শিক্ষা কিন্তু স্কুল কলেজ থেকে আমি অন্ততঃ পাইনি। আর বোধের ব্যাপারটাও একেক জনের কাছে একেক পর্যায়ের। আমি যা বুঝি আমি তাই-ই বুঝবো। আপনি যা বোঝেন আপনি তাই-ই বলবেন। ব্যাক্তিগত শব্দটা এই কারনেই।

হতে পারে আপনি যা বলেছেন তা আমি বুঝিনি আবার আমি যা বলছি তা আপ্নিও বুঝতে পারছেন না। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে মোটাদাগে আমরা একই কথা বলছি যে, একজনের সমালোচনা, কঠোর সমালোচনা, কর্কশ সমালোচনা, যাই-ই করিনা কেন। তাকে অপছন্দ বা ঘৃনাও যদি করি তবু মানবিক কারনেই কাউকেই কোপানো সমর্থন যোগ্য নয়।

আহমেদ ভক্ত হিসেবে চোখ বন্ধ না করেও বিশ্বাস করি স্যার এরকম কিছু বলেননি। হ্যা, আজাদ তার বিরুদ্ধে যে ধরনের নোংরা ভাষা সরাসরি ব্যাবহার করতেন তাতে আহমেদের ক্ষেপাটা স্বাভাবিক। তিনি তার উপরে খেপে থেকেই হয়তো সাক্ষাতকারটা দিয়েছিলেন। (এটা ঐ সাংবাদিকও জেনে থাকবে) তারপরেও আমি বিশ্বাস করিনা তিনি এতোটাই ইন্সেন্সিটিভ যে এরকমের একটা হঠকারি মন্তব্য তিনি করেছেন।

আমার জ্ঞানের বহর কম বলে অতো কম ভাবা মনে হয় ঠিক নয় খাইছে শত্রু পক্ষকে নাজুক ভাবা বুদ্ধিমানের কাজ নয়।

আজকে আমি যদি আপনাকে জনসমুক্ষে কটু কথা বলি। না হয় এই পোস্টটাকেই উদাহরন করেই বলি, আপ্নিও সস্তা জনপ্রিয়তাকে/ আবেগকে পুজি করেই আজকের এই পোস্ট দিয়েছেন। কারন আপনি জানেন, এই ব্লগে প্রচুর আজাদ ভক্ত আছেন। তাদের সাপোর্ট আপনি পাবেনই কিংবা আরো কিছু কর্কশ কথা যা শুনতে আপনার ভাল লাগবেনা' আমার কথায় আপনার গাত্রদাহ হবেই একটু হলেও। সামনে হাসি দিয়ে কৌতুক করে অথবা ব্যাঙ্গ করে আমাকে কোনঠাসাও করে ফেলা সহজ আপনার জন্য। যেহেতু আপনি এই ব্লগের জনপ্রিয়তম ব্লগার। এই ক্ষেত্রে কেউ যদি এসে আবদার জানায়, হিমুকে অপমান করার জন্য বন্দনাকে ক্ষমা চাইতেই হবে" তখন কি আমাকে ক্ষমা চাইতেই হবে? না চাইলেই আমাকে লোকের চোখে খারাপ করে তোলা হবে?

সত্যি কথা বলতে কি আপনার পোস্টের শিরোনামটা দেখেই অনেকে বেশি করে ক্লিক করবে (যদিও হিমুর লেখা পড়ার জন্য হলেও লোকে ক্লিক করে) যদি মেনেও নেই স্যার ওই কথা বলেছেন তারপরেও এখানে আজাদের সন্তানদের কাছে তার ক্ষমা চাইবার কি হল? তাহলে তো আজাদেরও আমার কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। ওই কিশোরী বয়সে আমার মনে একটা অধ্যাপকের নোংরা ছবি আঁকবার জন্য !! মানূষ হিসেবে আমরা কেউই ধোয়া তুলসি নই। আহমেদ আজাদও মানুষ। তাই এই বিতর্ক ক্ষান্ত দেওয়াই উচিত তাদের মঙ্গলের জন্যই।

স্যার এখন অসুস্থ্য। তার সুস্থ্য হয়ে ওঠার সম্ভাবনা থাকলেও কিন্তু অসুস্থ্য। তিনি এম্নিতেই খুব একটা ভাল সময়ের মধ্যে নেই। তার যাবতীয় ব্যাক্তিগত কথা পত্রিকার পাতায় দেখতে তার পরিবারও অপছন্দ করছে চূড়ান্তভাবে। বিব্রত বোধ করছে। তারপরেও, রক্ত মাংসের মানুষ হিসেবেই না হয় তার ভুল ত্রুটিগুলো আপাততঃ সরিয়ে রেখে তার ভালটা নিয়ে আলোচনা করি?
আজাদের ভক্তদের কানে যেমন আজাদ সম্পর্কে বলা খারাপ কথাগুলো বিষের মত লাগে তেমন আহমেদ ভক্তদেরও লাগে তাইনা?

ক্ষমা না চাইলে এই কথাটা বছরের পর বছর বিশ্বস্ততার সাথে তুলে লোকজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়া হবে। এই কথাটা বড্ড বেশি আজাদ ভক্তের তেড়িয়া আব্দারের মত লাগ্লো।
কি আর করা!!

নারে ভাই, আমার কলম যথেষ্ট ভোঁতা। হিমুর মত জ্বালাময়ি লিখা লিখতে পারিনা। ম্যাড়মেড়ে আবেগসর্বোস্ব আহমেদিইয় লেখাই আমার সার।

ইয়ে... টপ টেন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু যেন কোনগুলো? এই দেখুন... জানি-ই না তার পোস্ট দেবো কি? আপনার কুবুদ্ধিগুলা দেয় কারা" জাতীয় পোস্টগুলাই ভালু পাই। আপনি ঐগুলাই দেন। খামখা মারদাঙ্গা ভাগাভাগির পোস্ট দেবার কি দরকার বাপু?

ওহ আগে বলা হয় নাই। পোস্টে ঝাঝা গুল্লি দেঁতো হাসি

হিমু এর ছবি

কে বড়, কে ছোট, সেই হিসাব করার আপনি কেউ না হতে পারেন। হয়তো এই হিসাবের জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা, শিক্ষা বা বিবেচনাবোধই আপনার নাই। আপনি নিজেকে এই মাপার কাজ থেকে খুশি মনে দূরে রাখতে পারেন। কিন্তু আপনার পাশে তো আমি দাঁড়াতে রাজি না-ও হতে পারি।

কে বড়, কে ছোট, সেটা মাপার জন্যেও কিন্তু এই পোস্ট লিখিনি। এই পোস্ট পাঠক প্রতিক্রিয়া। উপন্যাস বা ছোটো গল্প পাঠ নয়, জার্নাল আর সাক্ষাৎকার পাঠের প্রতিক্রিয়া। আপনার চোখে যদি হুমায়ূন আহমেদ বড় হন, হুমায়ুন আজাদ ছোটো হন, তো তা-ই সই। আমার তো তাতে বলার কিছু নেই।

আপনি চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করার কথা বলছেন। আমার লেখাটা ঠিক বিশ্বাসের ওপর ভর করে নয়, হার্ড ফ্যাক্টের ওপর। আপনি যদি প্রমাণ করতে পারেন, সমকালের সাংবাদিক হুমায়ূন আহমেদের কথা বিকৃত করেছেন, খুব ভালো তো, প্লিজ গো অ্যাহেড। প্রমাণ হিসেবে আপনার চোখ বন্ধ করা বিশ্বাসের মূল্য কি কেউ দিতে পারবে?

আমি তো আমাকে লোকজন দৌড়ে এসে সাপোর্ট করবে, সেই ভরসায় লিখি না। এই ব্লগে আজাদ ভক্ত কয়জন আছে আমি জানি না, কিন্তু চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করা প্রচুর আহমেদ ভক্ত ব্লগোস্ফিয়ারে আছেন। তারাও আমার পাঠক, এবং তারা যদি বিপক্ষে কোনো যুক্তি দেন, সেটাকে খণ্ডন করার সামর্থ্য আমার আছে। তবে আপনি যেসব রুহকাঁপানো কথাবার্তা বলেন, আপনাকে হাস্যস্পদ করে তোলার জন্যে কি আমাকে মাঠে নামতে হবে, বলেন? আপনি একাই যথেষ্ট। পারলে যুক্তি দিন, না পারলে যুক্তি খুঁজুন। বিশ্বাস ভক্তি এসব নিয়ে দেওয়ানবাগী পীরের দরগায় যাবেন।

আপনি পোস্ট মন দিয়ে পড়েন না, এটা আমি আগেও খেয়াল করেছি। কেন আমি মৌলি-স্মিতা-অনন্যের কাছে ক্ষমা চাইতে বলেছি, সেটা পোস্টে স্পষ্ট। হুমায়ূন আহমেদ নিজের সন্তানদের আর পাঠকদের নিয়ে অনেক টিয়ারজ্যাকার ঘরানার লেখা লিখছেন, তাঁকে স্মরণ করিয়ে দিতে চেয়েছি, তাঁর সন্তানদের মতোই হুমায়ুন আজাদেরও তিনজন সন্তান আছেন, যারা (হয়তো) তাঁরও পাঠক। তাঁদের পিতার ওপর আক্রমণকে হুমায়ূন আহমেদ সমর্থন করেছেন পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দিয়ে। অ্যাপোলজি তাদের প্রাপ‌্য, কারণ হুমায়ুন আজাদ তো ক্ষমা পাওয়ার অবস্থায় নেই। তিনি মৃত। বুঝতে পেরেছেন? নাকি আবার বুঝিয়ে বলতে হবে?

আপনার মনে আজাদ আঘাত দিয়ে থাকলে, তার কঠোর সমালোচনা করে আপনি লিখুন না, কেউ আপত্তি তো করবে না। আপনি যুগের পর যুগ ধরে মানুষকে স্মরণ করিয়ে দিন অধ্যাপক আজাদ আপনার কচি মনে কী দাগা দিয়ে গেছেন। আপনার তো সেই অধিকার আছে পাঠক হিসেবে, তাই না? আপনার মনে আজাদ আঘাত দিয়েছেন দেখে আমরা হুমায়ূন আহমেদের এই চাপাতি-সমর্থনের কথা ভুলে যাবো?

আপনি যেমন হুমায়ূন আহমেদ ভক্ত, আমি সেই মাপের হুমায়ুন আজাদ ভক্ত নই। কিন্তু হুমায়ুন আজাদকে কোপানোর ব্যাপারটা যারা জাস্টিফাই করতে আসে, তাদের আমি ছাগু মনে করি। ব্যক্তি বা লেখক হুমায়ুন আজাদকে আপনি বসে বসে তুলাধুনা করুন, আমি কিছুই বলতে যাবো না। কিন্তু তার লেখা বা কথার কারণে আপনি তাকে কোপানো সমর্থন করলে, এমন কিছু কথা শুনবেন, যেটা শুনতে ভালো লাগবে না।

আপনার স্যার অসুস্থ, আশা করি তিনি সেরে উঠবেন। তার চেয়েও বড় আশা করি, তিনি তার এই কথাটি নিয়ে চিন্তা করবেন, কথাটি ফিরিয়ে নেবে, ক্ষমা চাইবেন। পত্রিকায় ওনার খাওয়া দাওয়া চুল পড়া নিয়ে লিখতে পারছেন যখন, অত অসুস্থ হননি যে এইসব কার্পেটচাপা দিয়ে রাখতে হবে। আপনি ওনার ভালোটা নিয়ে আলোচনা করতে চাইলে করেন, আপনাকে আটকাচ্ছে না তো কেউ।

আবদার তো লোকে অন্যের কাছে করে। আমি তো আর আপনাকে বলছি না স্মরণ করিয়ে দিতে। আমি নিজেই করিয়ে দিতে পারি। আপনি চাইলে সামনে কয়েক বছর ধৈর্য ধরে আমার লেখা অনুসরণ করে দেখতে পারেন।

আমি লোকটা খুপখ্রাপ। মারদাঙ্গাভাগাভাগির পোস্ট দেই। ভালো না লাগলে এসে রুহ কাঁপানো সব মন্তব্য করে যাবেন, কেমন হাসি ?

বন্দনা কবীর এর ছবি

জ্বি জ্বি জ্বি আপনি যথার্থই বলেছেন, কিছু বোঝার যোগ্যতা শিক্ষা আরো কি কি বললেন তার কিছুই নাই আমার। আমিঅ সেই সব সারটিফিকেট বগল দাবা করা ছাত্রদেরই কাতারে পড়ি।
ধন্যবাদ আমার মত মুর্খকে এইটুকু বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য।নিজেকে জ্ঞানের ভান্ডার ভাববার চেয়ে মুর্খ ভাবাটাই আমার কাছে ভাল লাগে। তাতে করে আপনাদের মত জ্ঞানীগুনীজনের কাছ থেকে কিছু শিক্ষা লাভের সুযোগ থাকে। ব্লগে এসে সেই শিক্ষাটা খুব ভাল রকমই হয়েছে। আবারো ধন্যবাদ আয়না দেখানোর জন্য।

জ্বিনা, আমার পাশে আপনাকে আশাও করিনি। মনে হয়ন মানাবেও না। এ অন্য প্রসংগ। বাদ দিলাম।

আমি কাউকেই ছোট-বড় প্রমান করতে চাইনি এটা আপ্নিও বুঝেন্নি। এটাও আমারই ব্যার্থতা।
আসলে আমাকে আমি যতটা ঝগড়ুটে মনে করি ঠিক ততটা ঝগড়ুটে আমি নই। আবেগি মানুষ হলে যা হয়। কোনো বিষয় নিয়ে উত্তেজিত হলে মাথামুথাই গাউলায়ে যায়। ঘিলু ঘুলায়ে গুবলেট হয়ে যায় যুক্তি। মগজে গিট্টু এমন লাগে যে যুক্তি খুজে পাইনা হাতড়ায়ে। অথবা যুক্তিগুলো সাজাতেই পারিনা ঠিক করে। তক্ক করতে গেলে জ্বিহ্ববায় জট লেগে যায়। কাচ্চাকালের মত তো তো করে তোতলাতে থাকি। আর এইখানেই পরাজয় ঘটে আমার। বাজি মেরে যায় প্রতিপক্ষ। এটা অবশ্যই প্রতিপক্ষের দোষ নয়, অবশ্যই আমার। আমারই ব্যার্থতা। তাই তো নিজেই নিজেকে কারো কারো কাছে হাস্যষ্পদ করে তুলি। এতে লজ্জা বা বিব্রত হওয়ারো কিছু নেই। প্রত্যাক্টা মানুষ তো আর সমান ঘিলু নিয়ে জন্মায় না বা ব্যাক্তিত্ব নিয়ে বাঁচেনা। কেউ কেউ বন্দনার মত কম মগজের, যোগ্যতারও হয়। সো, এটাও বাদ দিলাম।

আমি কিন্তু আগেই বলে নিয়েছিলাম, উদাহরন-স্বরূপ। দেখুন দেখি আপ্নিও মন দিয়ে কমেন্টটা পড়েননি। আমি বোকা মানুষ, তাই জায়গামত উদাহরন্টা টানতে পারিনি। তাই কেউ বুঝতেও পারেনি। এটাও আমারি ব্যার্থতা। আমি মানদিক বিকার গ্রস্থ্য। আমি সমাজে থাকার অযোগ্য (শিক্ষাগত অযোগ্যতার মতই), আমার মত মানুষেরা খোলা রাস্তায় যত কম বের হয় ততই মঙ্গল শিক্ষিত লোকেদের জন্য' সব ঠিক আছে। তাই নাহয় থাকলাম দেশের শিক্ষিত ভাই বেরাদরদের জন্য। ঘর থেকেও বের হলাম না, সমাজেও আর হুমকি থাক্লোনা।
ছাগু বলতে যদি শুধুই ছাগল বলেন তো তাও সই। মন খারাপ করবোনা। ছাগল কত্তো উপকারি! কিন্তু ছাগু বলতে যদি জামাত শিবীর ফাকি পন্থি বলে থাকেন তাইলে খবর আছে আপনার। ভীইইইষনইইইই রেগে যাবো। ঠান্ডা মানুষ ক্ষেপ্লে নাকি ভয়ংকর হয় তেমনি জোকার খেপ্লেও নাকি ভয়ংকর হয়। স্পষ্টই রুহকাপানি হুমকি দিচ্ছি বলে দিলাম।

আমি বিশ্বাসি মানুষ। মানুষকে বিশ্বাস্ব করতে ভালবাসি। এটাও আমার দোষ। তাই বলে অন্ধ বিশ্বাসি বানিয়ে দেওয়ান বাগী পীরের দরগায় পাঠিয়ে দেবেন?! এটা কিন্তু বাড়াবাড়ি রকমের অন্যায় হয়ে যায়। এতোটা নিষ্ঠুরতা আমি মোটেও সহ্য করতে পারবোনা। ভ্যা করে কেঁদে দোবো।

আজদকে অপছন্দ করা স্বত্তেও তার পুত্র কন্যাদেরকে আমি ততটাই ভালবাসি বা পছন্দ করি যতটুকু আহমেদের পুত্র কন্যাদের। তাদের বিষয়ে মাথা ঘামানোর কেউ না আমি। হ্যা, আপনি যে বিষয় উল্ল্যেখ করে আজাদের পুত্র কন্যাদের কাছে আহমেদকে ক্ষমা চাইতে বললেন, আবেগি মানুষ হিসেবে আমি এখন (কালকে রাত্তির ম্যাল ছিল/ মস্তিষ্ক উত্তপ্তো ছিল) সেই ব্যাপারটায় সহমত জানাতেই পারি। ক্ষমা উনি চাইবেন এজন্যই যে, আজাদের হত্যা চেষ্টার পর তিনি এই বিষয় নিয়ে লেখেন্নি।যা তার পাঠকদেরকেও বিস্মিত এবং বিব্রত করেছে। হতাশও। তিনি তার লেখকের/ সহকর্মীর দায়ও এড়িয়ে গেছেন।উপরন্তু আজকের এই পোস্টের মুল বক্তব্যের মত বিষয়টাও অনেকের হাতে তুলে দিয়েছেন নিজেকে সাথে তার ভক্তদেরকেও হেনস্থা করবার জন্য। এই জন্যও তার ক্ষমা চাওয়া উচিত।
কিন্তু সমস্যা যে, তিনি অনেক উচিত কাজই করেন্না। নির্লিপ্ত থাকেন কিনা জানিনা নীরব থাকেন। আত্মকেন্দ্রিক চিন্তাভাবনা নিয়ে এতোই জটে থাকেন যে অন্যকে নিয়ে ভাববার অবকাশই পান না। তো এখন কি করতে হবে? তিনি এই ব্লগ পড়েন কিনা জানিনা। তাকে ক্ষমা চাওওয়ার ব্যাপারটা কিভাবে জানানো যায়? আপনাকে সেই দায়িত্বটা দিলে করবেন? বলে দেখুন না... যুদ্ধাপরাধিদের মুখ থেকে "ক্ষমা করো" শব্দটা বের করানো যায় নাই। হয়তো উনার মুখ থেকে বের করানো যেতে পারে। আফটার অল, উনিও একজন আবেগ সরবোস্য মানুষ তার উপরে বয়স হয়েছে রোগাক্রান্ত। ব্যাপারটা মনে হয় সহজেই ঘুচে যাবে। আর শেষ হবে এই জঘন্য, কাঁদা ছোঁড়াছুড়ি।

আমি মানুষটা বোকা অশিক্ষিত নেহায়েত ক্লাউন গোছের হলেও শান্তিপ্রিয়। ঝগড়া ঝাটি, একে অপরকে আক্রমন ভাল লাগেনা। তার উপরে ঝগড়া করে মুখ কালা করে থাক্তেও পারিনা বেশিক্ষন, তাই কিছু পরেই আপোষ রফায় নেমে পড়ি। আজো নাম্লাম স্বভাব মত।

নাহ, আর ভাল্লাগেনা। দেখি এবার একটু বই খাতা নিয়ে বসতে হবে। একখানা ডিগ্রি না হলেই চলছেনা। মানুষ দেখি দামই দিচ্ছেনা। চশমাও একটা কিনতে হবে। চেহারায় গম্ভির ভাব আনতে নাকি ওটা খুব কাজে দেয় ছেলেবেলা থেকেই শুঞ্ছি। স্কুল কলেজ ইউনিতেপড়ে তো কিছুই শিখতে পারিনি মায় বাপ-মায়ের দরগা থেকেও কিসসু না। এবার তবে ব্লগ পড়ে পড়েই শিখি। অল দ্যা বেস্ট বন্দনা... হাসি

হিমু এর ছবি

বিরাট কমেন্ট। উইকেণ্ডে পড়বো। তুলে রাক্লুম।

সাইফুল এর ছবি

আপনি হুমায়ূন ভক্ত সেটা আপনার পুতুপুতু কথাতেই বোঝা যাচ্ছে

রাজি এর ছবি

ভাই আপনি কি আপনার লিখাটা নিজে পড়েছেন?
দয়া করে একটু পড়েন!!

তবে আপনি যথার্থ হুমায়ুন ভক্ত, টপিক বাদ দিয়ে হলেও নিজেকে বর্ননায় ক্ষান্ত দিচ্ছেন না।

হিমু কে ধন্যবাদ।।

স্বপ্ন-হীন এর ছবি

প্রচুর লোক শুধু স্কুল-কলেজ-ইউনিতে ভর্তি হয় আর পরীক্ষায় পাশ করে, শিক্ষা জিনিসটার ধারেকাছ দিয়ে না গিয়েই

গুরু গুরু

চরম উদাস এর ছবি

বন্দনাদি, দুজনকে মুখোমুখি দাড় করানো বা আজাদের গুন গাওয়া বা আহমেদের গীবত করা এই পোস্টের মূল বক্তব্য বলে আমার মনে হয়নি। মন্তব্যে কিছু কিছু জায়গায় আলোচনা সেদিকে চলে গেছে সত্যি কিন্তু পোস্টের মূল বক্তব্য সেটা ছিল বলে আমার মনে হয়নি।
হুমায়ুন আজাদকে কোপানো এবং আমাদের সবার নপুংসকের মতো সেটা শুধু দেখে যাওয়া আমাদের জাতীর জীবনের অন্ধকারতম একটা ঘটনা। আজাদ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভণ্ডই হোক আর আহমেদ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিকই হোক এই ঘটনার কাছে দুটোই তুচ্ছ। আমার দেশের একজন লেখককে লেখার অপরাধে চাপাতি দিয়ে কোপানো হয়েছে এই লজ্জা আমাদের সবার। লেখার মান কি ছিল, বিষয় কি ছিল বাকি সবই তুচ্ছ আমার কাছে।

এখন দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক (এবং মানুষও হয়তো) লেখক হিসেবে হুমায়ূন আহমেদের এর সপক্ষে কলম ধরে কিছু বলা উচিৎ ছিল কিনা সেটা নিয়ে বিতর্ক হতেই পারে। পাঠক হিসেবে আমার নিজের অনুভূতি হচ্ছে, তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আমার তেমন আগ্রহ নেই অথচ আমাকে তার জীবনের পাঁচালী বার বার শুনতে হয়েছে। আমার অতো অগ্রহ নেই এটা জানার তার কন্যারা তাকে কেন ভালোবাসেনা, তার পুত্র কিভাবে হামাগুড়ি দেয়, তার কোন প্রকাশক তার পেছনে কতটুকু ঘুরে, শাওন তাকে মধ্যরাতে উঠে কিভাবে গান শুনিয়ে ঘুম পাড়ায়। প্রিয় লেখকের জীবন সম্পর্কে মাঝেমাঝে দুটি কথা শুনতে আমার আপত্তি নেই, কিন্তু সেই কথাই বার বার দিনের পর দিন শুনতে আমার আপত্তি আছে। আমি শুনতে চাই দেশ নিয়ে তার কথা, মৌলবাদ নিয়ে কথা, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তার কথা এবং সবার উপরে বাংলাসাহিত্যে যেই বিষয়টা নিয়ে কেউ তেমন কাজ করতে পারেনি সেই বীরাঙ্গনাদের নিয়ে তার কথা। এইসব বিষয়ে তার কথা মাঝে মাঝে শুনতে পাবো বলে আর তার ভাষার সরলতায় মুগ্ধ হই বলে বার বার ফিরে আসি তার লেখা পড়তে এবং প্রতারিত বোধ করি। তিনি কি লিখবেন সেটা একান্তই তার সিদ্ধান্ত। সময়ই বলে দেবে কি ঠিক ছিল আর কি ভুল ছিল।

ছোট একটা আহমেদ ভক্ত কিশোরীর মনে যে দাগ আজাদ ফেলেছিলেন তা তিনি কিছু দিয়েই মুছতে পারেননি। কখনো তা মুছবারো নয়।

- আজাদের গায়ের চাপাতির দাগও কোন কিছু দিয়েই মুছা যাবে না। এই দাগ আমাদের সবার গায়েই থেকে যাবে।

তাসনীম এর ছবি

চলুক

এই পোস্টটা দুই হুমায়ূনের তুলনামূলক সাহিত্য আলোচনা নয়। যে বেশি জনপ্রিয় সেটা নিয়ে কারও কোনো দ্বিমত থাকার কথা না।

হুমায়ুন আজাদ আক্রান্ত হওয়ার পরে হুমায়ূন আহমেদের কলম ধরা উচিত ছিল, সেটার বদলে উনি চাপাতির কোপকে প্রকারন্তে হালাল করেছেন। নতুন এক চাপাতিওয়ালার হয়ত আগামীকাল মনে হবে যে কন্যার বান্ধবীকে বিয়ে করে হুমায়ূন আহমেদ "কুৎসিত" কাজ করেছেন...বলা যায় না...হয়ত ওই ব্যাটার চাপাতির কোপটা হুমায়ূন আহমেদের গায়েই পড়বে।

ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের ঊর্ধ্বে উঠে অন্যায় কে অন্যায় বলা উচিত - নইলে যেদিন আপনি নিজে আক্রান্ত হবেন সেদিন উচ্চকন্ঠ হওয়ার জন্য কাউকে পাবেন না।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

বন্দনা কবীর এর ছবি

চলুক আমি আজদ অভক্ত হলেও তার কিছু কিছু কবিতার ভিষন ভক্ত হয়ে পড়ি। তার জন্য কোনো অনুতাপ নেই তার একটা ক্লাসেও এটেন্ড না করার জন্য যেমন নই।

আমি শুনতে চাই দেশ নিয়ে তার কথা, মৌলবাদ নিয়ে কথা, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তার কথা এবং সবার উপরে বাংলাসাহিত্যে যেই বিষয়টা নিয়ে কেউ তেমন কাজ করতে পারেনি সেই বীরাঙ্গনাদের নিয়ে তার কথা। এইসব বিষয়ে তার কথা মাঝে মাঝে শুনতে পাবো বলে আর তার ভাষার সরলতায় মুগ্ধ হই বলে বার বার ফিরে আসি তার লেখা পড়তে এবং প্রতারিত বোধ করি।
হ্যা স্যারের এই বিষয়টা নিয়ে আমরা ভক্তরাও বিরক্ত এবং হতাশ। তার ছোট ভাই যেখানে প্রাণের সংশয় জেনেও কথা বলে যান সেখানে তার না বলাটা আমাদেরও আঁতে লাগে বইকি।

আসলে, দোষ তার যতটুকু তার থেকে বেশি তার প্রকাশকদের। যা তা লিখে দিলেই তা ছাপা হবে জানলে এই অধমও লিখবো। আর, যে আমি এক সময় চরম আর্থিক কষ্টের মধ্যে দিন পার করেছি সেই আমি বানের জলের মত আসা অর্থটাকে হেলা করবো এতোটা মহানও বোধ করি হতে পারবোনা। দুনিয়াতে কেই না চায় ধনে মানে সমৃদ্ধ হয়ে জীবন কাটাতে? বাংলাদেশের কয়জন লেখকের ভাগ্য হুমায়ূন স্যারের মত?

- আজাদের গায়ের চাপাতির দাগও কোন কিছু দিয়েই মুছা যাবে না। এই দাগ আমাদের সবার গায়েই থেকে যাবে। শুধু আজাদ কেন? এই দেশে সংঘটিত যে কোনো অন্যায় রক্তপাতের দাগই আমাদের গায়েই রয়ে যাবে। এ অস্বিকার করা আর নিজেকে অমানুষ প্রমাণ করা সমান।

আজাদকে অপছন্দ করা এক জিনিস আর তাকে হত্যা করতে চাওয়ার কারন অন্য জিনিস। তাদের কর্মের সাথে স্যারের বক্তব্যটা মিশিয়ে তুলে ধরাটাও ভাল লাগেনি।
হিম্ভাই তার পছন্দমতন কথা বলেছেন আমি আমার পছন্দ মতন কথা বলেছি। দুজনের কথা দুজনের অপছন্দ হওয়া মানে কি "আমি চাই তাকে বা তিনি চান আমাকে কুপিয়ে মারা হোক"?! জানিনা বোঝাতে পারলাম কিনা।
ভাল থাকুন।

চরম উদাস এর ছবি

জানিনা বোঝাতে পারলাম কিনা।

- বন্দনাদি, বোঝাতে এবং বুঝতে পারবেন এই আশা আপনার কাছ থেকে করি বলেই এতো কথা বলেছি। আর না হলে আমি সাধারণত হাস্যরস ছাড়া বাকি সকল রসের (রাজনীতি রস, ধর্ম রস, সমাজ রস, জ্ঞান রস ইত্যাদি) ব্যাপারেই চরম উদাস। হুমায়ূন আহমেদ, জাফর ইকবাল, ড ইউনুস, ধর্ম/ হিজাব/কেসাস এর প্রয়োজনীয়তা এবং সচলায়তনে মডারেশনের প্রয়োজনীয়তা ইত্যাদি কিছু বিষয়ে লেখা এলেই মন্তব্যের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যায় এবং এই ফাঁকে দেশের সকল হনুমানরা তামসা দেখতে সচলে ভিড় করে এবং সুযোগ মতো একটু করে বগল বাজিয়ে যায়। কিন্তু এই লেখার বিষয়বস্তু আসলেই আহমেদ বা আজাদের সাহিত্য বা মানবীয় গুণাবলী বিচার নিয়ে নয় বলেই আমার মনে হয়েছে।

হিম্ভাই তার পছন্দমতন কথা বলেছেন আমি আমার পছন্দ মতন কথা বলেছি। দুজনের কথা দুজনের অপছন্দ হওয়া মানে কি "আমি চাই তাকে বা তিনি চান আমাকে কুপিয়ে মারা হোক"?!

- এ ব্যাপারে আমার বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই যে আপনারা কেউই কাউকে কুপিয়ে মারা হোক এমনটা চাইবেন না। কিন্তু ঐযে উপরে বর্ণিত হনুমানদের কেউ এসে যদি আজকে হিমুকে কুপিয়ে যায়, আপনি কি আপনার সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করে সেটার বিরুদ্ধে একটা লেখা দিবেন না? নিশ্চয়ই দিবেন বলে আমার বিশ্বাস। সেই একই আশা যদি কেউ আহমেদের কাছ থেকে করে, সেটা কি খুব বেশী চাওয়া হবে?

বন্দনা কবীর এর ছবি

এই একটা ব্যাপারে আমাকে বা আমার মত এথিক্লেস মানুষকে সঠিক মুল্যায়ন করতে পারার জন্য ধন্যবাদ। হিম্ভাই শুধু না যে কাউকে এই ভাবে কোপানো হলে আমি আর কিছু না পারি চিল্লায়ে ক্ষোভটা অন্ততঃ জাহির করবো আফসোস স্যার তা করেন্ নাই মন খারাপ

সজল এর ছবি

তাদের কর্মের সাথে স্যারের বক্তব্যটা মিশিয়ে তুলে ধরাটাও ভাল লাগেনি।

এখানে হুমায়ুন আহমেদের বক্তব্য কি মেশানো হয়েছে, নাকি মিশেই আছে? হুমায়ুন আহমেদকে স্পষ্টভাবে জিজ্ঞেস করা হয়েছে হুমায়ুন আজাদের নাম ধরে, তার উত্তর হুমায়ুন আহমেদ স্পষ্টভাবেই দিয়েছেন। এখানে কোপানোর সাথে তার বক্তব্য কি বাইরের কাউকে মিশাতে হয়?

ক একজন লেখককে তার লেখার জন্য কোপালো, খ বললো ওই লেখক এত কুৎসিত লিখে যে তাকে কোপানোর জন্য খারাপ লোক হওয়া লাগে না। ক এর দোষের জন্য সে আদালতে বিচারের সম্মুখীন, আর ক এর কাজকে সমর্থন করার জন্য খ-এর সমালোচনাও করা যাবে না?! ক-এর উপর হওয়া অন্যায়টাকে সমর্থন করার জন্য খ-এর কাছ থেকে ক্ষমাপ্রার্থনাও আশা করা যাবে না (আশা করা আর জোর করা দুইটা দুই জিনিস)?

"অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে" দুই জনের জন্যই যদি ঘৃণা বরাদ্দ থাকে, তবে অন্যায় যে সমর্থন করে তার জন্য সমালোচনাটুকুও বরাদ্দ করা যাবে না?

এই পর্যন্ত যদি একমত হয়ে থাকেন, তাইলে প্রশ্ন এই সহজ ব্যাপারটার বিরুদ্ধে বলছেন শুধু খ=হুমায়ুন আহমেদ বলেই?

আর যদি একমত না হয়ে থাকেন, তাইলে কিছু বলার নাই।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

হিমু এর ছবি

আমাদের দেশটা এমপ্যাথিশূন্য লোক দিয়ে ভরা। পরিমল ধর্ষণ করলে এরা বলে মেয়েরই জামা ঠিক নাই, হাসান সাঈদ সুমন তার বৌয়ের চোখে আঙুল ঢুকিয়ে দিলে বলে মহিলারই চরিত্র খারাপ, তারেক মাসুদ মরে গেলে বলে তার ড্রাইভারেরই দোষ ছিলো, হুমায়ুন আজাদ চাপাতির কোপ খেলে বলে এই লোকটাই আগে আমাগো স্যাররে গালি দিছে, অথবা, কোপ খাইছে কিন্তু কোপ খাইয়া তো মরে নাই। দেশে জনসংখ্যা পনেরো কোটি, মানুষের সংখ্যা কত জানি না।

স্বাধীন এর ছবি

চলুক

শৌণক  এর ছবি

গুরু গুরু

স্যাম এর ছবি

.....দেশে জনসংখ্যা পনেরো কোটি, মানুষের সংখ্যা কত জানি না .....

বন্দনা কবীর এর ছবি

কাউকেই কেউ কোপাক যা সে যত বড় সন্ত্রাসি-ই হোক না কেন' এটাই আমি চাইনা আর...

কেউ দোষ করলে আইন আদালত আছে। তারাই বিচার বুচার করে কোপাকুপি ফাসাফাসি করুক আমার আপত্তি নেই।
হ্যা, স্যার ঐ সময়ে তার পক্ষে কলম ধরেন্নাই বলেও আমি ব্যাক্তিগতভাবেও মনক্ষুন্ন হয়েছিলাম আজাদকে অপছন্দ করা স্বত্তেও।
আজকে আমি যে ফালতু একটা বিতর্কে জড়িয়েছি তা কেবলি কিন্তু স্যারকে ভালবাসার কারনেই। অন্ধ ভক্তি নয়। আমার দৃষ্টিতে এটা ভালবাসা, মমতা।এই ভালবাসা থেকেই হয়তো বিশ্বাস করি, এমন মন্তব্য উনি "করতেই পারেন্না"।
বক্তব্য বিকৃত হয়েছে কিনা, এই নিয়ে কখনো তর্ক দেখিনি তাই আগ্রহও হয়নি জানার। এখন দেখলাম। আগ্রহ / কৌতুহল হচ্ছে জানার। জানার চেষ্টা করবো। জানতে পেলে, ভুল হলে ক্ষমা চাইবো। কিন্তু শুদ্ধ হলে কখনোই বলবোনা আসুন ক্ষমা চান আমার কাছে। না এটা মহান সাজার ভন্ডামি নয়। ক্ষমা চাইলেই কেউ ছোট হয়ে যায়না। আমি নিজেও কথায় কথায় ক্ষমা চেয়ে ফেলি ভুল হয়েছে বুঝলেই তার পরেও কেউ আমার কাছে ক্ষমা চাইলে নিজেকেই ছোট ছোট লাগে।

আর যদি একমত না হয়ে থাকেন, তাইলে কিছু বলার নাই।
কিছু বলার দরকার মনে হয় নাই।

ভাল থাকুন

স্বিকার করছি, আজাদকে যারা পছন্দ করে

চন্দ্রবিন্দু এর ছবি

দুই হুমায়ূনকে নিয়ে লিখেছেন। আপনার নাম দিলাম হিমায়ূন। পছন্দ হইসে?

লেখা ভালো হইছে। হুমায়ূনদের কাউরেই পছন্দ করতে পারিনাই। দুর্ভাগ্য আমার। দুর্ভাগ্য জাতির। আজাদের ভাষাতত্বের উপর একটা বই, আর আহমেদের বিজ্ঞানের উপর একটা বই, বহু আগে পড়া, নাম ভুলে গেছি, পড়ে মনে হয়েছিলো উভয়েই অপন্যাসগুলো লিখে নিজেদের আসল প্রতিভাটা নষ্ট করে ফেলছে। আজাদ অবশ্য পাশাপাশি দাবাটাও চালিয়ে যেতে পারতো।

যাক, ব্যক্তিগত মতামত। হুমায়ূন পছন্দ না হলে কী হবে? হিমায়ূন পছন্দ করলাম, এইটাই আজকের একটা পাওনা মনে হচ্ছে। ক্যারি অন। চাল্লু

হিমু এর ছবি

মাথাটা নাড়াইলে কি ঝনঝন আওয়াজ পান ভাইডি?

মামুন এর ছবি

আমরা বাংলাভাষী, SORRY!! কথাটা বলতে আমাদের বড় কষ্ঠ হয়। হুমায়ূন আহমেদও আমাদের মত একজন। উনি যদিও ভাল কিছু লিখেনাই কিন্তু বাংলা সাহিত্যে অনেক পাঠক তৈরী করেছে। ছোটবেলায় তার পাঠক ছিলাম পরে আর ভাল লাগতোনা। এখন আর তার বই পড়িনা। জানাল গুলো পরতাম,এখন তাও আর ভাল লাগছেনা। ঐ যে বললেন সব তার পরিবারের কথা...। অন্তত পাঠক তৈরীতে তাকে সেলুট। "বুকেবুক রেখে" আমি দুই জনকে দুই চেয়ারে বসাতে চাই তাদের সৃষ্টির ভিন্নতার জন্য। চাপাতি হাতে হুমায়ুন আজাদকে হামলা করা আর তার পক্ষে কথা বলা কি সমান অপরাধ? আসুননা হুমায়ূন আহমেদ মাপ না চাইলেও তাকে আমরা মাপ করে দেই তার নাবালক শিশুদের দিকে তাকায়ে!!

হিমু এর ছবি

চাপাতি হাতে হুমায়ুন আজাদকে হামলা করা আর তার পক্ষে কথা বলা কি সমান অপরাধ?

চাপাতি হাতে একজন নিরস্ত্র অধ্যাপককে রাতের অন্ধকারে খোলা আকাশের নিচে কোপানো আর সেই কোপানোকে সমর্থন করা সমান অপরাধ কি না, আপনি নিজে একটু ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করে দেখুন। বাংলা সাহিত্যে পাঠক তৈরি করলে কি এই কোপানোকে সমর্থনের অধিকার জন্মায়? হুমায়ূন আহমেদ আপনাকে ধরে চটকানা মারলে আপনি বাংলা সাহিত্যে পাঠক তৈরির কথা ভেবে চুপ করে থাকবেন?

নাবালক শিশুর বাবা-নানাদের নিয়ে আপনার এই সহমর্মিতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। এখন থেকেই নাবালক শিশুদের বাবা-নানাদের কাছ থেকে দূরে থাকুন। তারা আপনাকে চটকানা মেরে দাঁত খসিয়ে দিলেও আপনি কিছু বলতে পারবেন না।

মামুন এর ছবি

হিমুভাই, আপনি আমার "নাবালক" জোকটাতো বুঝলেনই না। হুমায়ূন আহমেদ যুবতী বউকে কোড করেছিলাম। সহমর্মিতা না, আমরা একটু উত্তম হতে চেয়েছি আর আপনি আমারে খোলা আকাশের নিচে চটকানা মেরে দাঁত খসিয়ে দিলেন মন খারাপ আপনি ভাই ভয়ংকর ঃ০

হিমু এর ছবি

লেখকের "যুবতী বউ"কে নিয়ে জোক করার তো কিছু নাই এখানে। আপনার যুবতী বউকে নিয়ে জোক করে দেখাই? ভালো লাগবে?

তৌফিক জোয়ার্দার এর ছবি

হুমায়ূন আহমেদ পাঠক সৃষ্টি করেছেন (!) আবার ওদিকে অনেক লেখকে অঙ্কুরেই ধ্বংসও করেছেন। তিনি নিজ হাতে হয়ত করেননি; কিন্তু তার অখাদ্যগুলো পড়ে পড়ে পাঠকের intellectual stomach যে দিনে দিনে কেবল 'সেরেলাকে'র উপযুক্ত হয়েই গড়ে উঠেছে, সেই stomach আর কোনদিন 'বড়দের খাবার' খাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে বলে মনে হয়না। তাই ম্যাচ্যুরড লেখার potential ছিল এমন কত সম্ভাবনাময় বাংলাভাষী তরুণ লেখক যে লেখালেখি থেকেই মুখ ঘুরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে তার পরিসংখ্যান হয়ত কোনদিনও উদঘাটিত হবেনা। কী করা, কথায়ই তো আছে, 'বাণিজ্যে লক্ষ্মীর বসতি'। বাণিজ্যবায়ুর উদ্ভ্রান্ত কষাঘাতে সম্ভাবনাময় অসংখ্য লেখকের অপমৃত্যুর জন্য হুমায়ূন আমহেদের 'চানাচুর' টাইপ লেখাগুলোই দায়ী। তাই আমার মনে হয় এ ভদ্রলোক লেখালেখা করে তথাকথিত 'বাংলা সাহিত্যে অনেক পাঠক তৈরী' না করলেই বাংলা সাহিত্যের অনেক বেশি উন্নতি হত। আমি কায়মনে তাঁর লেখালেখির ক্ষান্তির প্রার্থনা করি; নতুন ডাইমেনশনের বাংলাভাষী গল্প/উপন্যাস লিখিয়েদের উদ্ভব হবার অপার প্রত্যাশায়। হুমায়ূন আহমেদীয় অভিশাপমুক্ত রুচিশীল/প্রগতিশীল লেখা বাংলা ভাষার জন্য আশু অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।

'আসুননা হুমায়ূন আহমেদ মাপ না চাইলেও তাকে আমরা মাপ করে দেই তার নাবালক শিশুদের দিকে তাকায়ে!!'
উনারে এই শেষ বেলায় এত গন্ডা নাবালক পয়দা করতে বলসে কে? দেশের জনসংখ্যা সমস্যা নিরসনে পরিবার পরিকল্পনা নীতির মুখের ওপর থুথু ছিটান উনার মত সমাজ অসচেতন 'কলমবাজের' পক্ষেই সম্ভব।

rabbani এর ছবি

অনেকেই মনে হচ্ছে মূল বক্তব্য পাশ কাটিয়ে যাচ্ছেন।
"আজাদ কত বড় মাপের লেখক, কত বিশ্রী তার মুখের ভাষা, কত বড় মৌলবাদ বিরোধী, কত বড় স্পষ্টভাষী এবং
আহমেদ কত জনপ্রিয় অথচ সস্তা, কত মানুষ তাকে পছন্দ করে, বা আগে কত ভালো লিখত এখন কত পচা লিখে কিন্তু সবার সাথে মানিয়ে চলে" -এগুলো আসল পয়েন্ট নয়

পয়েন্ট হচ্ছে আজাদের উপর চাপাতি হামলাকে আহমেদের সমর্থন, এই পোস্টে বলা হয়েছে আহমেদের মাফ চাওয়া উচিত। এটা কি অনুচিত কিছু বলা হয়েছে?

উচ্ছলা এর ছবি

একজন সাহিত্যিককে হত্যা করা হলো। কিভাবে মানুষ এটাকে সমর্থন করে? জাস্টিফাই করে?! আরেকজন সাহিত্যককে (তাসলিমা নাসরিন) দেশান্তরী করা হয়েছে পার্মানেন্টলী। আশ্চর্য !
অথচ গনহত্যাকারীদেরকে, গনধর্ষকদেরকে আদর করে দুধ-কলা দিয়ে গত চল্লিশ বছর ধরে পুষে রাখছি আমরা। ছিঃ

খেকশিয়াল এর ছবি

৭৬ নম্বর মন্তব্যে শুধু অন্ধ-ভক্তবৃন্দ বলছিলাম, এই পর্যায়ে এসে একটু সংযোজন করতে চাই। অন্ধ এবং গাবর ভক্তবৃন্দ

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

সজল এর ছবি

আগে ঘটা নানা ঘটনায় এবং এই পোস্টে অনেকের প্রতিক্রিয়া দেখে বলতে বাধ্য হচ্ছি বাকস্বাধীনতা আমাদের দেশের জন্য একটা অবাস্তব ধারণা। কারো কথায় অন্যের বিশ্বাসে (বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ধর্মীয়) আঘাত লাগলে তার জবাব যে লিখে বা কথা বলে দেয়া যায়, সেটা বুঝার মত মাথা কিংবা গ্রহণ করার মত মন খুব বেশি লোকের নেই। আমার পরিচিতদের মাঝেই হুমায়ুন আজাদকে কোপানো ঠিকই ছিলো এই ধরণের মত প্রকাশ্যে বলেছে অনেকে। তো সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখকতো বেশিরভাগেরই প্রতিনিধিত্ব করেন, উনি এমন কথা বলবেন সে আর আশ্চর্য কী!

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

দ্রোহী এর ছবি

এই লেখার কিছু মন্তব্য দেখলে বোঝা যায় দেশে প্রচুর মনোবিকারগ্রস্থ মানুষ স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ইয়ে, মানে...

হিমু এর ছবি

হুমায়ূন আজাদের মৃত্যুর আগে আর পরে সংসদে বিরাট হাউকাউ করেছিলো সাঈদী। সম্ভবত হুমায়ুন আজাদের ওপর হামলার মামলাতেও তার নামধাম আছে, নিশ্চিত না। এই লোক আবার হুমায়ুন আহমেদের পিতার হত্যার জন্যেও দায়ী হিসেবে অভিযুক্ত। সাঈদী আর হুমায়ূন আহমেদ এক তক্তায় দাঁড়াইয়া হুমায়ুন আজাদের উপর হামলাকে জাস্টিফাই করতেছে, এইটা মনে হয় হুমায়ূন আহমেদের ভক্তের পাল খ্যাল করে নাই।

পাঁঠার দেবতা হওয়ার মধ্যে কি কোনো গ্লানি আছে? হুমায়ূন আহমেদকে সামনে পেলে জিজ্ঞেস করে দেখবো।

দ্রোহী এর ছবি

আপনি কি জানেন ১৯৯৩ সালে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মেজো ছেলে নাসিম সাঈদীর বিয়েতে হুমায়ুন আহমেদ তার লেখা কয়েকটি বই উপহার হিসাবে পাঠিয়েছিলেন?

বিষয়টি নিয়ে সে সময়ে সামান্য সমালোচনাও হয়েছিল। জবাবে হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন যে, একটি তরুণের বিয়েতে উপহার পাঠানোতে তিনি দোষের কিছু দেখেন না।

হুমায়ুন আহমেদের বাবা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা হলেও হুমায়ুন আহমেদ নিজে একজন ছাগু। ব্লগের ফর্মূলায় দেখি ছাগুদের বাপ-দাদারা সবসময় বিরাট বড় মুক্তিযোদ্ধা হয়। হুমায়ুন আহমেদও সেই ফমূর্লায় খাপে খাপে বসে যান। দেঁতো হাসি

সুতরাং, হুমায়ুন আহমেদের মত একটা ছাগুর কাছে কাউকে চাপাতি দিয়ে কোপানো বৈধ মনে হতেই পারে। চোখ টিপি

হিমুর বাপ এর ছবি

অযৌক্তিক লেখা | একটা উদহরন থেকে ব্লগার বুঝে গেলেন যে মৃত্যুর সামনে পড়লে সব মানুষের পরিবর্তন আসে | সেক্ষেত্রে আমিও পাল্টা যুক্তি দিলাম যে আমি একজনকে চিনি যে মৃত্যু সামনে জেনেও পরিবর্তিত হয় নাই | তাহলে proved by contradiction যে লেখক প্রথম তিন প্যারাতে যে cause আর effect অনুমান করেছেন তা সম্পর্কবিহীন | উনি ওরহান পামুকের বই পড়ছেন তাতে আমাদের কি ? ভাব ধরলেন নাকি (এই লেখার সাথে ঐটার তেমন কোনো সম্পর্ক পেলাম না)? মৃত্যুর সামনে পড়েছেন দেখে হুমায়ুন আহমেদ কে কেন ওরহান পামুকের মত লিখতে হবে তাও বুঝলাম না | সমকাল সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল "হুমায়ুন আজাদকে কেন মরতে হলো ?" কিন্তু আমাদের ব্লগার এর লেখা পড়ে মনে হলো প্রশ্ন ছিল "হুমায়ুন আজাদের হত্যাকে কি আপনি যৌক্তিক মনে করেন?" এবং হুমায়ুন আহমেদ সম্মতি সূচক উত্তর দিয়েছেন| শেষ থেকে দ্বিতীয় প্যারাতে ব্লগার লিখেছেন "...সে আঘাতকে বৈধতা দেয়ার জন্য আরেকজন লেখক কলম ধরেন না" ... তাই নাকি? হুমায়ুন আজাদের প্রতি আঘাতকে বৈধতা দেয়ার জন্য হুমায়ুন আহমেদ কলম ধরেছেন নাকি? লেখাটার নাম বলবেন কি?

হিমু এর ছবি

বাপজান, সব মানুষের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসে কি না, জানি না। ডাক্তারের কাছ থেকে আয়ু জেনে প্রত্যেকদিন একটু একটু করে মরেছে, এরকম মানুষ খুব বেশি দেখি নাই। যাকে দেখেছি, তার মধ্যে পরিবর্তন দেখেছি। দাবিও করি নাই, যে সব মানুষের মধ্যে পরিবর্তন আসে। কিন্তু কৌতূহল আছে, হুমায়ূন আহমেদের মধ্যে এই পরিবর্তন আসে কি না। কৌতূহলটা পাঠকের কৌতূহল, এই পরিবর্তনের মুখে পড়ে একজন লেখক কী লেখেন দেখার জন্যে। আপনি লেখা পড়ে বুঝেন নাই বাপজান। বুঝবেন ক্যামনে? তিন চার শব্দের বাক্যে ভাইঙ্গা লিখলে মনে হয় বুঝতেন।

হুমায়ূন আহমেদরে ওরহান পামুকের মত লিখতে হবে (বা আদৌ তিনি লিখতে পারবেন), সেই দাবিও করি নাই গো বাপজান। মানুষ যখন চাপে থাকে, তার পর্যবেক্ষণশক্তি আরো সুবেদী হয়। লেখকের হাত থেকেও তাই আরো সূক্ষ্ম লেখা বের হওয়ার কথা। সেইটা আপনাকে বোঝাইতে পারি নাই বাপজান। বুঝবেন ক্যামনে? আ্পনি হুমায়ূন আহমেদের পাঠক।

সমকালের লেখা পইড়াও যদি আপনার মনে হয়, হুমায়ূন আহমেদ যা কইছেন ঠিকই কইছেন, তাহলে আর সমস্যা কী বাপজান? কুৎসিত লেখা মনে হইলেই এখন থেকে চলেন লেখকরে কোপানোর রেওয়াজ শুরু কইরা দেই। বলেন কারে দিয়া শুরু করা যায়। পাঁচজন কুৎসিত লেখার লেখকের নাম বলেন। আমি দুইটা বলি, আপনি বাকি তিনটা বলেন।

১. এই পোস্টের লেখক
২. হুমায়ূন আহমেদ
৩. ?
৪. ?
৫. ?

হিমুর বাপ এর ছবি

আপনার যুক্তি আপনাকেই ফেরত দিচ্ছি | আমি নাকি একটা ব্যপার বুঝতে পারিনি কারণ আমি হুমায়ুন আহমেদের পাঠক | আপনার লেখার দ্বিতীয় প্যারায় আপনি নিজেই লিখেছেন হুমায়ুন আহমেদের লেখা আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়েন | তাহলেতো আপনিও হুমায়ুন আহমেদের পাঠক | আপনার যুক্তি ব্যবহার করেতো বলা যায় এজন্যেই আপনিও অনেক কিছু বুঝতে পারছেননা | আপনি প্রথমে আপনার লেখায় ধরে নিলেন কেউ একজন বলতে চাচ্ছেন কোপাকুপি জায়েজ আছে এবং সেটার সমালোচনা করলেন | আমি কিন্তু কোপাকুপি ঠিক হয়েছে কিংবা ভুল হয়েছে এই সংক্রান্ত কিছুই আমার মন্তব্যে বলিনি | আপনি আবার তার জবাবে ধরে নিলেন আমিও কোপাকুপি ঠিক আছে বলার চেষ্টা করছি এবং এবার কাকে কাকে কোপানো যায় তার লিস্ট করতে বসলেন | প্রথমে ঠিক করুন আপনি নিজে কি কোপাকুপির পক্ষে না বিপক্ষে | যদি বিপক্ষে হন তাহলে নিজের অবস্থানে স্থির হন | প্রয়োজন ছাড়া কোপাকুপি সংক্রান্ত আলোচনা শুরু করে দেবেন না |

হিমু এর ছবি

বাপজান, আমি ধরে নিবো কেন গো? পরিষ্কার বাংলায় হুমায়ূন আহমেদ তো সেই কোপাকুপির পক্ষে সাফাই গাইলেন। আপনি বাপজান প্রমাণ করতে আসছেন যে উনি এইরাম কিছু কন নাই, উহা পোস্টলেখকের কল্পনা। এখন বাপজান, আপনি আমাকে বলেন, হুমায়ূন আহমেদ যে হুমায়ুন আজাদকে চাপাতি দিয়ে কোপানোকে জাস্টিফাই করেছেন, এটা আপনি পড়ে বুঝেছেন, নাকি বোঝেন নাই? যদি না বুঝে থাকেন, ফ্রেঞ্চ কাট দাড়িটা একটু চুলকায় নিয়ে আবার পড়েন। ফেসবুকে বন্ধুবান্ধবের কাতুকুতু খেয়ে লাফ দিয়ে আলোচনায় ঢুকে পইড়েন না।

মনোজ এর ছবি

হুমায়ুন আহমেদ কি মারা যাচ্ছেন নাকি? তার ক্ষমা চাওয়ার এখনো অনেক সময় বাকি। তিনি পুরোপুরি সুস্থ্য হয়ে উঠবেন। হিমু সাহেবের ধারনা - 'ক্যান্সার মানেই ডেথ' - এই ধারনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। শুরুর দিকে ধরা পরলে এটা নিরাময়যোগ্য (কিছু কিছু ক্যান্সার), যেমনটা হুমায়ুন আহমেদ ধরতে পেরেছেন ও ট্রিটমেন্ট নিচ্ছেন। যথেষ্ট পজিটিভ চিন্তা করেন তিনি। কেন তাকে "মুখের টেপ খুলে" কথা বলতে হবে আমার এটা বোধগম্য নয়, তিনি নিজে তো মনে করছেন না যে তিনি মারা যাচ্ছেন। তিনি তো মারা যাচ্ছেন না আজ বা কাল বা বছর দুয়েকের মধ্যে। হিমু সাহেবের "ক্ষমা চাওয়ার" পয়েন্ট ঠিক থাকলেও তাকে ডেথবেডে কল্পনা করে নেয়া ঠিক হয়নি। মেডিকেল সায়েন্স নিয়ে আপনার কোনো ধারনা আছে বলে মনে হয় না।

আহমেদের প্রথম আলোর কলাম আমি পড়েছি। আমার ভালই লাগছে তার অবসার্ভেশন। আপনার তার লেখার সমালোচনা খুবই গতানুগতিক মনে হয়েছে। আর 'নেম ড্রপ' না করলেও চলবে। ওরহান পামুক আর মারিও ভার্গাস কার কি আপনি পড়ছেন না পড়েছেন সেটা আমাদের শুনিয়ে কোনো লাভ নেই। ওরহান পামুকের কিছু লেখা আমিও পড়েছি। আমার তাকে ওভাররেটেড মনে হয়েছে।

হিমু এর ছবি

না, মৃত্যুশয্যায় শুয়ে লোকে যেভাবে মৌলবির কাছে তওবা পড়ে, সেভাবে ক্ষমা চাইতে বলছি না। ক্ষমা চাইতে বলছি, কারণ তিনি তাঁর নিজের সন্তানদের নিয়ে নাকে কেঁদেছেন সম্প্রতি। সেই নাকেকান্না আমাকে মনে করিয়ে দিয়েছে, অধ্যাপক আজাদেরও সন্তান আছে, তারা হুমায়ূন আহমেদের সন্তানদের বয়সীই। হুমায়ূন আহমেদ সুস্থ হয়ে উঠুন, এবং ঐ ফালতু স্টেটমেন্টটার জন্যে ক্ষমা চেয়ে প্রমাণ করুন যে তিনি শরীর আর মন, দুই দিক থেকেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন, আর সেটা করুন মরার অনেক আগেই।

তিনি নিজে মনে করছেন কি না, নিশ্চিত জানি না। আপনি নিশ্চিত জানেন দেখে বিস্মিত হলাম।

মেডিকেল সায়েন্স নিয়ে সামান্য কিছু ধারণা আছে আমার। ক্যান্সার নিয়েও।

আপনার কী চলবে, কী চলবে না, সেটা ভেবে তো আমি কিছু লিখি না ভাই। তবে হুমায়ূনের পাঠকদের মধ্যে এই হীনমন্যতা কিন্তু নতুন দেখছি না। অন্য লেখকের নাম শুনলেই এরা ভুরু কুঁচকে বলে, হয়েছে হয়েছে এতো ভারি ভারি নাম বকিসনা! কী করবে বেচারারা, পড়েছে শুধু ক্লাস টু-থ্রিতে "আমার বই", বড় হয়ে মকসুদুল মুমেনিন, রসময় গুপ্ত আর হুমায়ূন আহমেদ। একটু কষ্ট করে আমাদের মতো মুখ্যুসুখ্যুদের মুখে অন্য লেখকদের নামোচ্চারণ সহ্য করে নিন ভাইয়া, আমরা আমরাই তো! তারপরও আপনার জ্বলতে থাকা পশ্চাদ্দেশের যন্ত্রণায় অ্যান্টিসেপ্টিক দিয়ে বলি, ওরহান পামুকের নামটা এসেছে জার্নালের কারণে। আমি ভালো কিছু পড়লে সেটার কথা আরো দশজনকে জানাই, বার বার জানাই। আপনার মতো এক-লেখকের-পাঠকেরা তাতে সেন্টু খেলে, আমি বড়জোর চুকচুক করে সরি বলতে পারি।

ওরহান পামুকের কিছু লেখা এমনকি আপনিও পড়েছেন জেনে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। কোন কোন লেখা পড়েছেন? আসেন ওরহান পামুককে নিয়ে গল্প করি।

মনোজ এর ছবি

আপনি সবাইকে ক্রিটিসাইজ করলেও (এবং সেটা খারাপ ভাষায়ই করেন) আপনি নিজে কোনো ক্রিটিসিজম নিতে পারেন না। সবাইকে এক কাতারে ফেলে জেনারালাইজড ভাবে 'রসময়' চটি পড়ুয়া ভেবে নেয়া কি ঠিক? আমি হুমায়ুনের ভক্ত পাঠক নই। তবে যা ঠিক তা বলতে দ্বিধা করিনা। আপনি একাই কি বিদগ্ধ পাঠক? আপনার অধিকাংশ ব্লগেই আমি দেখি আপনি খুব খারাপ টোনে কথা বলেন/মন্তব্য করেন যারাই আপনার সাথে দ্বিমত পোষন করে তাদেরকে। আর এখানের রেগুলার ব্লগার সবাই আপনার পিঠ চাপড়িয়ে কথা বলে এই কারনে - আমার তাই মনে হয়। আপনার লেখা আমি পড়েছি। ব্লগ ভাল লিখলেও সাহিত্য (ব্লগে লেখা গল্প নিয়ে) হিসেবে সেগুলো বই বের করার মত কিছুতেই নয়। এতে বাংলা সাহিত্যের অবনতি হয়। আরো পড়ুন। আপনার গল্প লেখার হাত খুবই কাচা মনে হয়েছে আমার। আগে কিছু সাহিত্য পত্রিকায় আপনার গল্প ছাপুন যেখানে ব্লগের মত নিজে পাবলিশ না করে অন্যদের যাচাই করার দরকার হয়। আশকরি ব্লগের সব কমেন্ট আপনি ভদ্র ভাষায় লিখতে পারবেন - খিস্তি ছাড়া। আপনার "পশ্চাদ্দেশের যন্ত্রণায় অ্যান্টিসেপ্টিক" দিলে কেমন লাগে আপনার কথা কোট করেই।

হিমু এর ছবি

না ভাইয়া, একদমই ঠিক না। আপনি হয়তো সুখময় গুপ্তের লেখাও পড়েছেন। আমার খুব অন্যায় হয়েছে আপনাকে কেবল রসময় গুপ্তের পাঠক বলে। আপনি বলছেন আপনি হুমায়ূনের ভক্ত পাঠকও নন, ঐখানেও আমি ভুল করেছি। শুধু মকসুদুল মুমেনিনটা ঠিকাছে। ঠিকাছে না? নাকি আপনি বেহেশতী জেওর আর কাসাসুল আম্বিয়াও পড়েছেন?

আমি একা বিদগ্ধ পাঠক কীভাবে হবো ভাইয়া বলেন? তবে আমি সেইরকম পাঠক, যে অন্যের লেখায় হুমায়ূন আহমেদ ব্যতীত দ্বিতীয় লেখকের নাম শুনলে গিয়ে "হয়েছে হয়েছে আর ভারি ভারি নাম বকিসনা" টাইপ কথা বলি না। যারা ওগুলো বলে, তারা ভাইয়া, আমার এমপিরি বলে, মকসুদুল মুমেনিন, রসময় গুপ্ত আর হুমায়ূন আহমেদের লেখা পড়েছেই পড়েছে। কোনো মিস নাই। আপনিই প্রথম ব্যতিক্রম হয়তো।

আমি খুবই খারাপ টোনে কথা বলি ভাইয়া। এইটার কারণ হচ্ছে আমি যুক্তি দেয়ার চেষ্টা করি। যুক্তি দিলে টোন থেকে একটা বাজে গন্ধ বের হয়, তাই না?

আপনি একেবারে জায়গামতো হাত দিয়েছেন ভাইয়া। আমার লেখা নিয়ে বই বের হলে বাংলা সাহিত্য ঐদিনই মোটামুটি ধ্বসে পড়ে যাবে। আমি আরো পড়বো ভাইয়া। আমাকে কয়েকটা নাম দাগিয়ে দিন। কোন কোন সাহিত্য পত্রিকায় আমার গল্প ছাপাতে হবে, একটু নাম বলে দিন ভাইয়া।

না ভাইয়া, মাঝেমধ্যে আপনার মতো দুয়েকজন চলে আসে, আপনি আমাকে খিস্তি ছাড়তে বলবেন না। আমি না খেয়ে মরে যাবো।

মনোজ এর ছবি

"আমি খুবই খারাপ টোনে কথা বলি ভাইয়া। এইটার কারণ হচ্ছে আমি যুক্তি দেয়ার চেষ্টা করি। যুক্তি দিলে টোন থেকে একটা বাজে গন্ধ বের হয়, তাই না?" আপনার এই কথাটা ঠিক না। এই ব্লগের অনেকেই যুক্তি দিয়েই কথা বলেন। কারো টোন আপনার মত কলতলার ঝগরাটে বেটিদের মত শোনায় না। মনে হচ্ছে আপনিই রসময় পড়ে খিস্তি শিখেছেন। আপনাকে জানাচ্ছি এ যুগে আর রসময় পড়তে হয় না। আন্দাজের উপর অন্যের কি পড়া, না পড়া সেটা নিয়ে কমেন্ট না করাই বুদ্ধিমানের কাজ। আপনার অতি বাজে সাহিত্যময় গল্পের বই লুতফর রহমান রিটনকে দিয়ে প্রমোট না করালেও পারতেন। 'নেভারেস্ট' ধরনের লেখাই লিখে যান, এর বাইরে শাইন করতে পারবেন বলে মনে হয় না, যতদিন পার্ট টাইম সাহিত্যিক ভান ধরে যাবেন। আপনার এতটা সময় ব্লগে পরে থাকলে আর রিসার্চ টিসার্চ বা ভালো বই পড়ার সময় তো পাওয়া যায় না, ক্রিয়েটিভ কাজ বহুদূর।

দ্রোহী এর ছবি

আপনার অতি বাজে সাহিত্যময় গল্পের বই লুতফর রহমান রিটনকে দিয়ে প্রমোট না করালেও পারতেন।

আপনার বইটা, যেটা লুৎফর রহমান রিটন ভাই প্রমোট করতে রাজি হননি সেটার নাম কী? দেঁতো হাসি

'নেভারেস্ট' ধরনের লেখাই লিখে যান, এর বাইরে শাইন করতে পারবেন বলে মনে হয় না, যতদিন পার্ট টাইম সাহিত্যিক ভান ধরে যাবেন।

এবার বুঝতে পারলাম আপনার মনোকষ্টের মূল কারণ কী! দেঁতো হাসি

আপনার এতটা সময় ব্লগে পরে থাকলে আর রিসার্চ টিসার্চ বা ভালো বই পড়ার সময় তো পাওয়া যায় না, ক্রিয়েটিভ কাজ বহুদূর।

:D। কাইন্দেন না ভাই।

রাসেল এর ছবি

হে মনোজ, ''সাবিতা ভাবী' রসময়গুপ্ত পড়েছেন ? ওখানে একটা চরিত্র ছিল "মনোজ" নামে।।
আপনি ঐরকম গান্দা ।

দ্রোহী এর ছবি

হাহাহা..... কমন পড়ছে। দারুণ জিনিস মনে করায়ে দিলেন। চলুক

বাজি লাগতে পারি আরো অনেকেরই কমন পড়বো। চোখ টিপি

রিসালাত বারী এর ছবি

চোখ টিপি

সাফি এর ছবি

লইজ্জা লাগে

রিসালাত বারী এর ছবি

বেশ বিনোদিত হলাম, মাঝে মাঝে এসে দু-এক্টা মন্তব্য করে যাবেন ভাইয়া হাসি

হিমু এর ছবি

ভাইয়া, আপনি কলতলায় ঝগড়াটে বেটিদের সম্পর্কে বেশ জ্ঞান রাখেন দেখি। আপনি কলতলায় কেন যেতেন?

এত রাগ করেন কেন ভাইয়া? রসময় পড়া কি খারাপ? আপনি যে রসময়-সুখময়-মকসুদুল মুমেনিন পড়েন, এটা কি পাপ? ওগুলো তো বই-ই। আপনি তো মানুষ-ই। মানুষই তো বই পড়ে।

ঠিকাছে, আপনি যখন হুকুম করেছেন, আমার অতি বাজে সাহিত্যময় গল্পের বইগুলি আর লুৎফর রহমান রিটনকে দিয়ে প্রমোট করাবো না। এখন থেকে সিমু নাসের ভাইয়া, আশীফ এন্তাজ রবি ভাইয়া আর আনিসুল হক ভাইয়া আমার বই প্রমোট করবে। এইবার খুশি?

না ভাইয়া, আমি একদমই শাইন করতে পারবো না। পার্ট টাইম সাহিত্যিকের ভান ধরার চাকরিটাও ছেড়ে দিবো। আপনি আমাকে একটা ফুল টাইম সাহিত্যিকের ভান করার চাকরি জুটিয়ে দিন ভাইয়া। রিসার্চ-বইপড়া-ক্রিয়েটিভ কাজ সব করবো। প্লিজ ভাইয়া প্লিজ! গরীবের উপর একটু রহম করেন!

ধুসর গোধূলি এর ছবি
মনোজ এর ছবি

পুরো সময়টা ধরে কিসঅব বালছাল হাবিজাবি বলে গেলেন 'মনোজ' নামে, ঝামেলায় পড়লাম আমি। সচলায়তনে কয়েকটা লেখা লিখেছিলাম, মন্তব্যও করেছিলাম। ভবিষ্যতে আরও লিখতে বা মন্তব্য করতে গেলে যদি পাঠক/ ব্লগার যারা আপনার এইসব মন্তব্য পড়েছেন তারা আমাকে 'আপনি' ঠাওরান, তাহলেই হয়েছে!!
কলতলার ঝগড়াটে বেটি??? বালের জোকস্ করেন মিয়া??? যে মন্তব্যে আপনি এই শব্দ তিনটা উল্লেখ করলেন, সেটাতেই তো আপনি নিজেই ওইরকম আচরণ শুরু করলেন। এটা কি প্রাইমারীর বাচ্চাদের মতন কাইজ্জা করবার জায়গা?? রেগে টং

চরম উদাস এর ছবি

আরে আমি আরও মনোজের কমেন্ট ভেবে নাচতে নাচতে ঢুকে দেখি, আপনে অন্য মনোজ ইয়ে, মানে...
তো আমরা কি বুঝলাম, সকল ফাতরা লোকের নাম মনোজ হলেও সকল মনোজ ফাতরা নয় ... না না ... সকল মনোজ ফাতরা হলেও হলেও সকল ফাতরা মনোজ নয় ... উহু তাও তো হইলনা ... মন খারাপ । ভাই আপনে বরং মনোজ বদলে নাম ইমরোজ, ফিরোজ আর অন্য কিছু না পাইলে চরম মনোজ করে ফেলেন খাইছে

আপনার গল্প লেখার হাত খুবই কাচা মনে হয়েছে আমার

- পরিশেষে যে মনোজের কাছে হিমুর গল্প লেখার হাত কাঁচা মনে হয়, তার কাছ থেকে সাহিত্য বিষয়ে আরও কিছু সোনার ( আই মিন শোনার দেঁতো হাসি ) জন্য আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি।

দ্রোহী এর ছবি

আপনার অধিকাংশ ব্লগেই আমি দেখি আপনি খুব খারাপ টোনে কথা বলেন/মন্তব্য করেন যারাই আপনার সাথে দ্বিমত পোষন করে তাদেরকে। আর এখানের রেগুলার ব্লগার সবাই আপনার পিঠ চাপড়িয়ে কথা বলে এই কারনে - আমার তাই মনে হয়।

খাইছে! হিমু একটু পিছন ফিরে উপুড় হয়ে জামাটা তোলেন দেখি। হালকা চাপড়ে দেই। দেঁতো হাসি

সাফি এর ছবি

হিমুকে বদলে দাউ দাউ দাউ

অন্যকেউ এর ছবি

হুমায়ূন আহমেদ যে লেখালেখি করেন, তা আমার এতই কুৎসিত মনে হয় যে, আমি তার মাথায় ধারালো চাপাতি দিয়ে কোপ দিয়ে মাথা দুই ভাগে ভাগ করে ফেলতে চাই। এজন্য আমার মৌলবাদী হবার প্রয়োজন নাই।

অধিকাংশের সমর্থন পাবার আশা রাখছি।

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

দ্রোহী এর ছবি

অধিকাংশ বাদ দেন, হুমায়ুন আহমেদ নিজেই "ছাফুট" দেবেন।

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

আমরা যদি ধরেও নিই, হুমায়ুন আজাদের লেখাটি কুৎসিত, তবুও বলবো, এর চেয়ে শতগুণে কুৎসিত লেখার লেখককেও আমরা সহ্য করে নেয়ার মতো সমাজ চাই, যেখানে একটি লেখার দায়ে লেখককে চাপাতির কোপে আহত বা নিহত হতে হয় না, এবং দুর্ভাগ্যক্রমে আহত হতে হলেও সে আঘাতকে বৈধতা দেয়ার জন্য আরেকজন লেখক কলম ধরেন না। আমাদের এই চাওয়ার জায়গাটা হুমায়ূন আহমেদ কিছুটা হলেও টলিয়ে দিয়েছেন।

যতদূর বুঝলাম এই লেখাটার মূল বক্তব্য এটাই। আর এই কথাটার সাথে "একমত" হতে কেন মানুষের সমস্যা হচ্ছে আর হু. আহমেদের ভক্ত পাঠকদের এত ক্রদ্ধ প্রতিক্রিয়ার কারণও বুঝতে পারছি না মন খারাপ

স্যাম এর ছবি

চলুক আমিও বুঝলাম না... হিমু তো খুব স্পষ্ট করেই লিখেছে... আবার কমেন্টেও বিস্তারিত ও বারেবারে বলেছে... অবাক ই হলাম - চিন্তিত - হিমুর ওই কথাটাই মনে পড়ছে জনসংখ্যা ১৫ কোটি, মানুষ কয়জন...

রানা মেহের এর ছবি

হুমায়ুন আজাদ খুবই খারাপ লোক ছিলেন।
তার মুখ যেমন খারাপ ছিল তেমনি ছিল তার বেঁচে থাকার ক্ষমতা।মরাটাও ঠিকঠাক করে যেতে পারেন নি।
"তিনি তো মৌলবাদিদের চাপাতির আঘাতে মারা যাননি। সরকারী চিকিতসায় প্রায় সুস্থ্যই হয়ে উঠেছিলেন।"
খুবই খারাপ কাজ হয়েছে। ঐ আঘাতে মারা গেলে বরং হুমায়ুন আহমেদ ভক্তরা তার প্রতি একটু সহানুভুতিশীল হতেন।

আমরা আসলে ঠিক সাভাবিক জাতি নই।আমরা কোন না কোনভাবে বর্বরতায় আনন্দ পাই।তাই হুমায়ুন আহমেদের এইসব বর্বর কথায় সমর্থন জানানোর কিংবা বেনিফিট অফ ডাঊট দেয়ার লোকের অভাব পড়েনা

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

নাসাদ এর ছবি

এখানে হুমায়ুন আজাদের উপর নৃশংস হামলার পর হুমায়ূন আহমেদের প্রতিক্রিয়া স্বরূপ একটা লেখার উল্লেখ করা হয়েছে। লেখাটার কোন অনলাইন লিঙ্ক খুঁজে পাচ্ছি না। কারো কাছে থাকলে আওয়াজ দিয়েন।

দিগন্ত বাহার * এর ছবি

উপরে 'হিমুর বাপ' নিকের ত্যানাওয়ালাকে দেখে আমার মাথায় শব্দটা ঢুকল, 'বাপ'।
স্বভাবসুলভ পারিবারিক কাহিনিপাতে হুমায়ূন আহমেদ প্রচুর 'বাপ বাপ' করেন। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ফয়জুর রহমান আহমেদ নিঃসন্দে ভালোমানুষ ছিলেন। কিন্তু আমার কৈশোরের প্রিয় লেখকের এ জায়গাটা ভাবলে কান্নাকাটি করতে ইচ্ছা করে, তিনি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অসংখ্য লেখা লিখেছেন। অথচ রাজাকারদের বিরুদ্ধে তার অবস্থান আমি খুঁজে পাই না, এক বহুব্রীহিতে 'তুই রাজাকার' ছাড়া। প্রায় পনের-বিশ বছর ধরে 'মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বেশ বড় একটা লেখা লিখব' বলে বলে 'জোছনা ও জননীর গল্প' নামে যা পেলাম সেটা স্বাভাবিক হিপোক্রেট হুমায়ূনকেও ছাড়িয়ে গেছে, যদিও তিনি দাবি করেছেন এ লেখার মাধ্যমে তিনি 'দেশমাতৃকার ঋণ শোধ করেছেন'। পাঠক ধরে রাখার কী নির্লজ্জ প্রচেষ্টা যে হুমায়ূন এ পর্যন্ত তার 'বাপ' হত্যার প্রধান নায়ক দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে নিয়ে টু-শব্দটি করেননি! নিজের 'বাপ' হত্যাকারিদেরকে যে লেখক 'বাঁচার তাগিদে/অবস্থা দৃষ্টিতে/কপাল ফেরে রাজাকারী করতে বাধ্য হয়েছিল' বলে এড়িয়ে যেতে চান তিনি 'সামান্য কলিগের' উপর হামলা নিয়ে কথা বলে পাঠকদের বিভক্ত করবেন কেন? মৃত্যুর দুয়ারেও এই বিজনেস স্ট্র্যাটেজি অটুট...বাহ...

আহসান এর ছবি

আমারব্লগডটকমের ব্লগার 'চোর' একদা বলেছিলেন "কমনসেন্স জিনিসটা খুবই আনকমন"। কথার সত্যতা বুঝতে পেলাম কয়েকজনের কমেন্টে।

১) বাক-স্বাধীনতা ব্যাপারটা কারও কারও এন্টেনার রেঞ্জের বাইরে দিয়ে যায়। আজাদের বাক-স্বাধীনতা আছে কুৎসিত লেখার, আহমেদের স্বাধীনতা আছে প্যান প্যান "অপন্যাস" লেখার। ঠিক একইভাবে আহমেদের স্বাধীনতা আছে আজাদের লেখাকে "কুৎসিত" বলার আর আজাদের স্বাধীনতা আছে আহমেদের রচনাকে "অপন্যাস" বলার, এবং দুই পক্ষের এই কথা চালাচালিই সমর্থনযোগ্য যতক্ষণ পর্যন্ত তা মুখে এবং কলমে সীমাবদ্ধ। কিন্তু আজাদের ওপরে মৌলবাদীদের শারীরিক আক্রমণ আইনের ভাষায় "এসল্ট এন্ড ব্যাটারি", আইনতঃ দন্ডনীয় অপরাধ- আহমেদ সেটাকে জাস্টিফাই করেন কীভাবে ? কতটা নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দিলে একটা টেরোটিস্ট এক্টকে জায়েজ ঘোষণা দেয়া যায় ?

২) আমি সচলের লেখা প্রায়ই পড়ি, পড়ে যা বুঝলাম তা হল- হিমুকে পার্সোনালি হেট করে নীচে উল্লেখিত
# ছাগু # ছুপাছাগু # সুশীল # এলিট শ্রেণী (বিশেষ করে জলপাই) # ইউনুসভক্ত # আলুগ্রুপের লোকজন
উপরেও কারও কারও কমেন্টে কাছার নিচে গুপ্ত ন্যাঞ্জা দেখলাম

৩) কারও লেখা পছন্দ না হলেই তাকে ফিজিক্যালি এসল্ট করা যদি সমর্থনযোগ্য হয় তাহলে বোধকরি এই ব্লগের হিমু, মুখফোড়, অচ্ছুৎবলাই, দ্রোহী আক্রান্ত হলে দেশে শোকরানা নফল নামাজ পড়ার ধুম শুরু হবে- খেকজ

হিমু এর ছবি

আলুর লুকজন আমায় বড় ভালুবাসে। আমিও তাদের খুব ভালুবাসি। মতিউর রহমান আর রোকেয়া রহমান আমার অন্যতম প্রিয় সাংবাদিক। এভাবে আলুর লুকজনকে আমার মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেবেন না। দু'আ করুন আমি যাতে উনাদের পিছনে গিয়ে দাঁড়াতে পারি। না না, কোনো বাজে অর্থ করবেন না। প্লিজ।

স্যাম এর ছবি

চলুক

ধুসর গোধূলি এর ছবি

৩) কারও লেখা পছন্দ না হলেই তাকে ফিজিক্যালি এসল্ট করা যদি সমর্থনযোগ্য হয় তাহলে বোধকরি এই ব্লগের হিমু, মুখফোড়, অচ্ছুৎবলাই, দ্রোহী আক্রান্ত হলে দেশে শোকরানা নফল নামাজ পড়ার ধুম শুরু হবে-

তো আবার কী! কারওয়ান বাজারের মাইর তো মোটামুটি পাক্কা। পীরে কামেল হযরত গোলাপ শাহ্'র মাজারে আমি নিজেই শিন্নি দিমু! শিন্নির ট্যাকা অবশ্য উপরোল্লিখিত প্রমূখদের কাছ থেকে আদায় করা হোলেও হোতে পারে, ছওয়াব বন্টনের আশায়!

দীপ্ত এর ছবি

কাউকে চাপাতি দিয়ে কোপানো (চাপাতি পর্যন্ত যাওয়া লাগবে না, শারীরিক যেকোনো আক্রমণ) অসভ্যতা। ফুলস্টপ।

এখন হুমায়ূন আহমেদ যদি সমর্থন করে থাকেন সেটা, সেটা ভুল। কথা হোল একজন লেখককে পছন্দ করি বলেই কি তার সবকিছু অন্ধভাবে সমর্থন করতে হবে? কিছু মন্তব্য পড়ে খারাপ লাগলো যে লেখকের (হিমু ভাইয়ের) উদ্দেশ্যকে অনেকেই ভাবছেন হুমায়ূন আহমেদকে ছোটো করে দেখা বা ক্ষমা চাইতে বাধ্য করানো এবং সেটার বিরোধিতা করতে গিয়ে প্রকারন্তারে অনেকেই হুমায়ূন আজাদের প্রতি নৃশংসতাটা সমর্থন করছেন । কেন হুমায়ূন আহমেদকে আমরা মানুষ 'হুমায়ূন আহমেদ', যার ভুলত্রুটি হয়, হিসেবে দেখতে পারব না, সেটা চিন্তার কথা। এটা কি যেকোনো কিছুতেই আমাদের নবীপ্রীতির প্রমাণ?

আর দরজা খুললেই মৃত্যু অপেক্ষা করে আছে, এমন মানুষের মনোজগৎ যে কি অন্যরকম তা সৌভাগ্যক্রমে আমরা অল্প কজনই জানি। যদি উনি ূএখন ভুএখনও ল স্বীকার করেনও (যেটা করা উচিৎ) তাহলে সেটা উনার উদারতা হিসেবেই জানবে সবাই। আর যদি নাও করেন, তাতেও তার ভক্ত পাঠক তত একটা কমবে মনে হয়না (তার লেখা নিয়ে তর্ক করতে চাই না, লেখকের লেখনী পছন্দ হওয়াটা ব্যক্তিগত ব্যাপার, উনি যদি বাজারি লেখা (অনেকের মতে) লিখেও পাঠকপ্রিয়তা পান অন্যের কিছুই বলার নাই। পাঠককে আমরা তার মানে এর চেয়ে বেশি ভালো কিছু দিতে পারছি না, বা ভালো কিছু থাকলেও সেটা পাঠকের কাছে পৌছাচ্ছে না ইত্যাদি ইত্যাদি কারণ থাকতে পারে।)

লেখা তো অসাধারণই। এর বাদেও আমার মনে হোল, লেখকের লেখার টোনটা সফটই ছিল। কিন্তু যেসব চাপাতি-দিয়ে-কোপানি সমর্থনকারী কমেন্ট দেখলাম তাতে হতাশ।

হিমু এর ছবি

এতদিন ভাবতাম, হুমায়ুন আজাদকে সাঈদীর কোনো চামচা কুপিয়েছে। এই পোস্টে কিছু সাক্ষর লোকের মন্তব্য পড়ে মনে হয়েছে, অন্য কোনো লোকের চামচাও আজাদকে কুপিয়ে থাকতে পারে।

সাইফুল এর ছবি

জনৈক মাহমানব একদা বলিয়াছিলেন, "হুমায়ূন আহমদের লেখা বুঝিতে হইলে "নূরানী বারো চান্দের ফযিলত" এর জ্ঞ্যানই যথেষ্ট। কিন্তু হুমায়ূন আজাদ বুঝিতে হইলে মাথায় ধুসর পদার্থের আধিক্য আবশ্যক।"

হুমায়ূন আহমেদের ব্যাপক জনপ্রিয়তা বাঙলাদেশের পাঠকদের দৈন্যই প্রকাশ করে। সাহিত্যে পছন্দের মাপকাঠি ব্যক্তিভেদে ভিন্ন এটা মাথায় রেখেই বলছি , যার কাছে হুমায়ূন আহমেদ পূজনীয় আর হুমায়ুন আজাদ বর্জনীয়, তার সাহিত্যের পাঠাভ্যাস কেমন সেটা বুঝতে মাথায় ধুসর পদার্থ তেমন না থাকলেও চলে।

আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই ক্ষমা না চাক। তাতে করে ওর আসল মধ্যবিত্ত চেহারাটা বেড়িয়ে আসবে।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

এই লেখা হুমায়ূন আহমেদ পড়বেন না। তিনি সকল পড়ালেখার উর্দ্ধে!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

হাসিব এর ছবি

সোজা বাংলা বাক্য বোঝে না এইরকম লোকজনের সংখ্যা এরকম বেড়ে যাচ্ছে কেন?

হিমু এর ছবি

মোটা দাগে হুমায়ূন আহমেদের ভক্তদের প্রতিক্রিয়া হচ্ছে এমন:

১. হুমায়ূন আজাদই আগে গিয়ানজাম শুরু করেছিলো। আর কে না জানে গিয়ানজাম করলে মাইরধইর খাইতে হয়?
২. হুমায়ূন আহমেদ স্যার ঐরকম কথা বলতেই পারেন না। আমি বিশ্বাসই করি না উনি এইটা বলছেন।
৩. নাহয় বলছেনই, কিন্তু এই পুরানা প্যাচাল টেনে আনার কী দরকার? আসেন প্রগতি করি, উন্নয়ন করি। বদলে যাউ বদলে দাউ।
৪. ফালতু লেখা। লেখক ভুয়া। ওরহান পামুকের নাম বলে ভাব নিতে চায়। আর স্যার ঐ কথা বলেন নাই।

আশা করি আরো ভক্তমুরিদআশেকানরা স্পেকট্রাম বাড়াবেন। হুমায়ুন আজাদরে কোপানোর ব্যাপারটা সাপোর্ট করে হুমায়ূন আহমেদ কাজটা ঠিক করে নাই, কিংবা তার ক্ষমা চাওয়া উচিত, এই জিনিসটা বলার মতো একজন ভক্তেরও দেখা না পেয়ে দুঃখ পেলাম। সবাই খালি মাই ড্যাডি স্ট্রঙ্গেস্ট কয়। ভালো-মন্দ বিচারের বোধবুদ্ধি মানুষের লোপ পাইছে, সবাই খালি স্যারে কী কয় আপায় কী কয় পীরে কী কয় সেইটা ঠাঠা মুখস্থ বলতে থাকে।

অনাহুত কিংবা রবাহুত এর ছবি

কথা ম্যানিপুলেশনের একটা সীমা থাকলে ভালো হয়। গালাগালি আর শস্তা স্কুল কলেজের এডহোমিনেম ডিবেট সুলভ কথাবার্তার সাথে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তরও আশা করছি লেখকের কাছে-

বাংলাদেশের লেখকরা কি স্বাধীন?
-হ্যাঁ, বাংলাদেশের লেখকরা স্বাধীন।
তাহলে ড. হুমায়ুন আজাদকে মরতে হলো কেন?
-কারণ যে বইটা তিনি লিখেছিলেন, তা এতই কুৎসিত যে , যে কেউ বইটা পড়লে আহত হবে/ তার জন্য মৌলবাদী হতে হয় না।

----------------------------------------------------------------------------------------------

এখানে কোথায় হুমায়ূন আহমেদ চাপাতি দিয়ে কোপানো সাপোর্ট করেছেন দেখিয়ে দিন। তিনি মরার কারণ বলেছেন। চাপাতির কোপ তাকে কেন মারা হয়েছিলো সেটার কি ভিন্ন কোনো(আহত হওয়াটাকে সাব্জেক্টিভ ধরে নিয়ে) কারণ আছে?

আপনার জন্য সাপোর্টের সংজ্ঞার দু পয়সা-
1. To bear the weight of, especially from below.
2. To hold in position so as to keep from falling, sinking, or slipping.
3. To be capable of bearing; withstand: "His flaw'd heart . . . too weak the conflict to support" (Shakespeare).
4. To keep from weakening or failing; strengthen: The letter supported him in his grief.
5. To provide for or maintain, by supplying with money or necessities.
6. To furnish corroborating evidence for: New facts supported her story.
7.
a. To aid the cause, policy, or interests of: supported her in her election campaign.
b. To argue in favor of; advocate: supported lower taxes. (ধরে নিচ্ছি এই সাপোর্টের কথাই বলছেন।)
8. To endure; tolerate: "At supper there was such a conflux of company that I could scarcely support the tumult" (Samuel Johnson).
9. To act in a secondary or subordinate role to (a leading performer).
n.
1.
a. The act of supporting.
b. The state of being supported.
2. One that supports.
3. Maintenance, as of a family, with the necessities of life.

-------------------------------------------

প্রশ্ন উঠতে পারে তিনি কেন এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন নি? সেই প্রসংগেও যাবো। তার আগে পরিষ্কার করুন বিশদে। তিনি কোথায় ও কিভাবে এই চাপাতি দিয়ে কোপানী সাপোর্ট করেছেন এ সাক্ষাৎকারে বা অন্য যে কোনো খানে?

(জানি প্রমাণ করতে পারবেন না এবং নানা ভাবে সেটা নিয়ে ত্যানা পেঁচাবেন তাই তথ্য ম্যানিপুলেশনের মতন গর্হিত অপরাধের জন্য আপনাকে ক্ষমা চাইতেও বলছি না। সেইটুকু কমনসেন্স আপনার ঘটে থাকলে তো হতোই!)

আডিওস.....

হিমু এর ছবি

নেমে পড়লেন মধ্যমাখানা সম্বল করে?

জনাবে আলা, বলেন দেখি, হুমায়ূন আহমেদ কেন মৌলবাদী হওয়ার কথা বলেছিলেন? হুমায়ুন আজাদের মৃত্যুর সাথে পাঠকের মৌলবাদী হওয়া না হওয়ার সম্পর্কটা কোথায় ছিলো? তার ওপর মৌলবাদীদের চাপাতি হাতে আক্রমণেই তো, নাকি?

এখন বলেন তো জনাবে আলা, কুৎসিত লেখা পড়ে আহত পাঠকের বদদোয়ায় লেখক হুমায়ুন আজাদের মৃত্যু হয়েছিলো কি না? নাকি চাপাতি দিয়ে কোপানোর কারণে স্বাস্থ্যের অবনতির কারণেই?

কমনসেন্স আপনার নাই, তাই আপনাকে বাংলা বোঝাতে যাবো না। পীরপূজা করতে থাকেন, মধ্যমাটার জন্য একটা হোলস্টার বানায় নিয়েন।

অনাহুত কিংবা রবাহুত এর ছবি

প্রশ্নের উত্তরে প্রশ্ন করে নির্বোধেরা। আশা করি আপনি নির্বোধ নন। আবারো জিজ্ঞেস করছি-

তিনি কোথায় ও কিভাবে এই চাপাতি দিয়ে কোপানী সাপোর্ট করেছেন এ সাক্ষাৎকারে বা অন্য যে কোনো খানে?

হিমু এর ছবি

প্রশ্নের উত্তর খুঁজে না পেয়ে ত্যানা প্যাঁচায় নির্বোধেরা। এবং আপনি নির্বোধই।

হুমায়ূন আহমেদ পরিষ্কার ভাষায় হুমায়ুন আজাদের ওপর আক্রমণকে বৈধতা দিয়েছেন যে কোনো পাঠকের আহত হওয়ার নিশ্চয়তা দিয়ে, এবং সেই আহত পাঠককে মৌলবাদের দায় থেকে মুক্ত করে। কী সেই আক্রমণ? চাপাতি নিয়ে একটা বুড়া নিরস্ত্র লোককে অন্ধকারে গিয়ে কুপিয়ে আসা।

এখন আপনার মতো বাংলা না বোঝা নির্বোধ এই ত্যানা কতদূর প্যাঁচাবে, সেটা দেখার জন্য গ্যালারিতে বসলাম।

এইবার আমার প্রশ্নের উত্তর দেন।

অনাহুত কিংবা রবাহুত এর ছবি

যাক্‌! আপনার এডহোমিনেমের সুবিস্তৃত পুরীষস্তুপের ফাঁক গলে কিছু যুক্তি নিঃসরিত হয়েছে তবে!

আপনার বক্তব্য-

হুমায়ূন আহমেদ পরিষ্কার ভাষায় হুমায়ুন আজাদের ওপর আক্রমণকে বৈধতা দিয়েছেন-

১.

যে কোনো পাঠকের আহত হওয়ার নিশ্চয়তা দিয়ে

২.

এবং সেই আহত পাঠককে মৌলবাদের দায় থেকে মুক্ত করে।

আর আক্রমণের সংগা হলো-

চাপাতি নিয়ে একটা বুড়া(আপনার দিগন্ত প্লাবিত বাংলা জ্ঞানে দু পয়সা- 'বুড়া' সাধু ভাষায় ব্যবহার্য, চলিততে তা গুরুচণ্ডালি দোষে দুষ্ট) নিরস্ত্র লোককে অন্ধকারে গিয়ে কুপিয়ে আসা।

অর্থাৎ হুমায়ূন আহমেদ কোনো পাঠককে আহত হবার নিশ্চয়তা দিতে পারেন না, কোনো পাঠকই আহত হওয়ার যোগ্যতা রাখেনা(হিটলারের মাইন ক্যাম্পফ পড়ে কোনো ইহুদী তার নিধনের পরিকল্পনা জেনে আহত হতে পারবে না।) এবং সেই আহত পাঠক কে তিনি 'মৌলবাদের দায়' থেকে মুক্ত করেছেন।

প্রথম অংশ নেহায়েতই রাবিশ! আপনার ব্যক্তিগত জাজমেন্টাল অপিনিয়ন। তা নিয়ে আমার বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই স্রেফ হো হো করে হাসা ছাড়া। দ্বিতীয় অংশে আসি-

হুমায়ূন আহমেদ বলেছেন-

কারণ যে বইটা তিনি লিখেছিলেন, তা এতই কুৎসিত যে , যে কেউ বইটা পড়লে আহত হবে। তার জন্য মৌলবাদী হতে হয় না।

অর্থাৎ হত্যেৎসুক 'আহত পাঠক' মৌলবাদী নাও হতে পারে(অবশ্যই আমরা জানি যে, আজাদকে মৌলবাদীরাই মেরেছিলো)। তিনি এখানে কোথাওই বলেন নি যে আজাদকে মৌলবাদীরা মারে নি। তিনি বলেছেন যে, যেকোনো 'আহত পাঠক'ই তাকে মারতে পারে। তিনি এখানে কোথাওই এই মারাকে 'সমর্থন করি' সূচক কিছু বলেন নি; স্রেফ বলেছেন মারতে পারে। এখন তাহলে কি 'আহত অমৌলবাদী(স্রেফ ধর্মগত অর্থেই আপাতত নিচ্ছি) পাঠক' কাউকে মারতে পারেনি বা পারেনা বা পারছেনা বা পারবেনা?(ন্যায়-অন্যায়ের এথিকাল প্রশ্নে যাচ্ছি না, সম্ভাব্যতা অর্থে বলছি) কম্যুনিস্ট পাঠকেরা রাশান লেখকদের গুলাগে পচিয়ে মারেনি? ফরাসী বিপ্লবের পরে অভিজাত লেখককুলদের গিলোটিনে মারা হয়নি?

কাজেই আপনার এই 'সাপোর্ট' করার দাবী এরপরেও প্রমাণিত হয়নি এই সাফাইয়েও। ১ ও ২ এই দুটো পয়েন্ট দিয়ে কখনোই এই স্বীকার্যে আসা যায় না যে হুমায়ূন আহমেদ হুমায়ূন আজাদকে চাপাতি দিয়ে কোপানো সাপোর্ট করেছেন।
-------------------------------------------------------------------------------------------------------------

আর আরণ্যিক নির্বোধের সাথে ভ্রান্ত দুঃস্বপনে যাওয়ার সাধ নেই। আপনার ব্যক্তিগত লেখনীর জন্য দু পয়সা-

স্যাটায়ার দিয়ে সার্কাসের বানরের নাচ সুলভ প্রচুর হাততালি পাওয়া যায় কিন্তু তা লেখনীকে বিকশিত করেনা। বরং এতে করে লেখনীর অবাধগম্যতা বাঁধাগ্রস্থ হয়, অনেক সুক্ষ্ণাতিসুক্ষ্ণ ডিটেইল দেখার ক্ষমতা লেখক হারিয়ে ফেলে লেখক ভোঁতা রসের কারণে(রবিঠাকুরের জাহিরগ্রাম-আহিরগ্রাম নিয়ে লেখা গল্প পশ্য)।

আর কারোকে ব্যক্তিআক্রমনাত্মক সমালোচনা করেও কিছু ফায়দা হয়না। পারলে কন্সট্রাকটিভ ক্রিটিসিজম কিভাবে করে শিখুন(ভালো কথা শুনলে বিপক্ষে গেলে খেউ খেউ করে না উঠে) অথবা নিজেই নিজেকে অতিক্রম করে যান। রবিঠাকুরের কিশোর বয়সে মধুসূদনকে সমালোচনা করার পরে তার পরিণত বয়সের আত্মোপলদ্ধিটুকু তুলে দিলাম-

ইতিপূর্বেই আমি অল্প বয়সের স্পর্দ্ধার বেগে মেঘনাদবধের একটি তীব্র সমালোচনা লিখিয়াছিলাম। কাঁচা আমের রসটা অম্লরস; কাঁচা সমালোচনাও গালি-গালাজ। অন্য ক্ষমতা যখন কম থাকে তখন খোঁচা দিবার ক্ষমতাটা খুব তীব্র হইয়া উঠে। আমিও এই অমর কাব্যের উপর নখরাঘাত করিয়া নিজেকে অমর করিয়া তুলিবার সর্বাপো সুলভ উপায় অন্বেষণ করিতেছিলাম।
------------------------------------
আপনার হৃদরোগজনিত সমস্যা সম্পূর্ণ কেটে উঠুক, বিয়েশাদী করে সুখে শান্তিতে থাকুন এই শুভকামনা জানিয়ে এই পোস্ট থেকে বিদায় নিলাম।

হিমু এর ছবি

আমি হাসছি কেন জানেন? আপনি বিপুল বিক্রম, সময়, "যুক্তি" আর গালাগালি সম্বল করে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রমাণ করতে নেমেছেন, হুমায়ূন আহমেদ হুমায়ুন আজাদের ওপর আক্রমণকে সমর্থন করেননি, কেবল এবং কেবলমাত্র আমার সাথে কলহের আনন্দ চরিতার্থ করার জন্য। আপনার কি লজ্জা লাগছে না একটুও?

কোনো আহত পাঠক কাউকে মারতে পারে, এখানে এই পারা পারঙ্গমতা অর্থে নিচ্ছেন কেন, কেন অধিকার অর্থে নিচ্ছেন না? যে কোনো লোক আজকে সরকারি অফিসে গিয়ে তথ্য চাইতে পারে, এই কথাটার মানে হচ্ছে, সেই লোকের অধিকার আছে তথ্য চাওয়ার, সে উপস্থিত হয়ে চাইতে পারঙ্গম, সেটা তো বোঝাই যায়। আপনি উকিলি প্যাঁচ খাটিয়ে আপনার পীরকে আড়াল করার চেষ্টা না করে, কেন আপনার অর্জিত শিক্ষা আর কাণ্ডজ্ঞান নিয়ে এই জিনিসটা স্বীকার করছেন না, হুমায়ূন আহমেদ এই আক্রমণের কারণ হিসেবে আক্রান্ত ব্যক্তির লেখার বৈশিষ্ট্যকে দায়ী করছেন, দায়ী করছেন সেই লেখার মনে আঘাত দেয়ার শক্তিকেও? একটা লেখার কারণে একজন লেখককে আক্রমণ করা হলে, কোনো সুস্থ মানুষ কি বলতে পারেন, কুৎসিত লেখার দায়ে একটা মানুষ মরতে পারে? কুৎসিত লেখার কারণে পাঠকের মনে আঘাত লাগলে লেখকের মৃত‌্যু হতে পারে? এটাকে জাস্টিফাই করতে চাওয়া কি স্বাভাবিক?

আপনি আমার উপর চটা, খুব ভালো। কিন্তু সেই রাগ ঝাড়তে গিয়ে কেন আপনি আচরণ করছেন একটা তৃতীয় শ্রেণীর ইডিয়টের মতো? গুলাগে একজন লেখককে পচিয়ে মারলে, কিংবা গিলোটিনের নিচে লেখকের মুণ্ডচ্ছেদ করা হলে কি আজকের পৃথিবীতে একটা লেখার দায়ে একজন লেখককে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মারা জায়েজ হয়ে যায়? গুলাগের পৃথিবী আর গিলোটিনের পৃথিবী থেকে কি আমরা এক পা-ও সামনে বাড়িনি? দুই হাজার চারের বাংলাদেশ কি একটা গুলাগ ছিলো? নাকি ফরাসী বিপ্লব চলছিলো তখন? আর আমরা কি কেউ বলতে পারি, গুলাগে মানুষকে পচিয়ে মারা ঠিক ছিলো? গিলোটিনের নিচে নিরীহ লেখকের মুণ্ডচ্ছেদ ঠিক ছিলো? আপনি এই "যুক্তি" দিয়ে প্রমাণ করলেন, আপনি একটা নিকষিত ছাগল।

আমার স্যাটায়ারের ওপর আপনার ক্ষোভ দেখে বুঝলাম, আপনি এবং আপনার মতো আরো কিছু নিকষিত ছাগলকে আমি স্যাটায়ার দিয়ে আহত করতে পারছি। আমি এই কাজ চালিয়ে যাওয়ার আশা রাখি। কোনো এক সন্ধ্যায় চাপাতি হাতে আমাকে কোপাতে আসলে, একা আসবেন। অবশ্য পরিচয় লুকিয়ে যে লোক মধ্যমাচর্চা করতে আসে, তার কাছ থেকে সেই বীরাচার আশা করি না।

ছোটো সংযোজন: গুরুচণ্ডালি শিক্ষা দিতে এলে এ-ও জেনে রাখা ভালো, হনন করার ইচ্ছা যে পোষণ করে তাকে হত্যেৎসুক বলে না, বলে জিঘাংসু। তবে নিকষিত ছাগলদের বাংলা শেখাতে যাওয়া আমার উচিত হবে না।

হিমু এর ছবি

আহারে, বেচারা রবি দত্তবংশের লোকের গায়ে চিমটি কাটতে গিয়েছিলো রে হাসি ... এই বিয়াদ্দোপি মেনে নেয়া যায় না।

পরের ঘাড়ে বন্দুক রেখে যেটা বলতে চাইলেন, যে হুমায়ূন আহমেদের মতো মধুসূদনের তীব্র সমালোচনা লিখিয়া আমি অমর হইবার সর্বাপেক্ষা সুলভ উপায় অবলম্বন করিয়াছি, আমাকে বলেন তো জনাবে আলা, কেন অন্যান্য অমর কেষ্টুবিষ্টু, এমনকি আপনিও, একজন লেখকের ওপর এই আক্রমণের সাফাই গাওয়া নিয়ে আগে কিছু বলেননি? কেন একজন মানুষ এগিয়ে এসে বললো না, এই কথাটা বলা ঠিক হয়নি, এই কথাটা বলা উচিত হয়নি, এমন কথা আমরা সমাজে চাই না? কেন আমার মতো একজন স্যাটায়ারিস্ট, যে আপনার মতো ছাগল-বানর প্রভৃতি নাচায়, তাকে কথা বলতে হয়?

কেষ্টুবিষ্টু লোকজনের তহবন খুলে পড়ায় আপনার মতো নিকষিত ছাগলদের প্রায়ই কুম্ভীরাশ্রু বর্ষণ করতে দেখি, আর আপসোসও থাকে গঠনমূলক সমালোচনা নিয়ে। সমস্যাটা কিন্তু আমার মতো স্যাটায়ারিস্টদের কলমে না, কেষ্টুবিষ্টুদের তহবনে। খোন্দকার দেলোয়ারদের সেলোয়ার খুলে গেলে সেটা টেনে তুলে ধরার জন্য কিছু চামচা সবসময় মজুদ থাকে। আপনি আপনার সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ শক্তির হিল্লোলকে কেষ্টুবিষ্টুদের তহবনরক্ষার কাজে না লাগিয়ে, দেখুন কিছু গঠন করতে পারেন কি না।

বোবার চিতকার এর ছবি

মনে করেন আমি আপনারে প্রশ্ন করলাম-

প্রশ্নঃ আপনে ল্যাদান কেনো?

উত্তরঃ কারণ কাল রাইতে কাঁডল পাতার স্যুপ খাইছি।

তারমানে আপনে ল্যাদাইতেছেন কারণ গতকাল রাইতে কাঁডল পাতা চিবাইছেন, এর ফলে আপনার পেটের ট্রাফিক সিস্টেমের লালবাতি নষ্ট হয়া গেছে! তাই সমানে লাদি বাইর হচ্ছে সবুজ বাত্তির কল্যাণে । এইবার আরেকটা প্রশ্ন করি-

প্রশ্নঃ হুমায়ূন আজাদকে মরতে হলো কেনো?
উত্তরঃ কারণ যে বইটা তিনি লিখেছেন, তা এতই কুতসিত যে কেউ বইটা পড়লে আহত হবে/ তার জন্য মৌলবাদী হতে হয়না।

মানে, হুমায়ুন আজাদ কুতসিত বই লেখার কারণে "যে কেউ" আহত হইছে (মৌলবাদী না শুধু, যে কেউ), আর আহত হইয়া কষ্ট পাইয়া সেই "যে কেউ" চাপাতি দিয়া হুমায়ুন আজাদকে কুপাইয়াছে। হূমায়ুন আহমেদের কথা হইতেছে যে এই রকম "কুতসিত বই" লিখলে এইরকম আহত হইবে এবং কোপাকুপি কোন ইস্যু না। ইস্যুটা হইতেছে কুতসিত বই লিখবা পাব্লিক আহত হইবো আর তুমি কোপ খাইয়া ইন্তেকাল ফরমাইবা হাসি

আপনার ত্যানা প্যাচানি দেখিয়া আমি বেজায় আহত-- তো ভাইডি, আমি যদি আহত হইয়া মনে করেন যুক্তির খাতিরে (লাথি দিতে চাচ্ছিনা, শুধুমাত্র যুক্তির খাতিরে কথাটা বলতেছি) আপনার পুটকি বরাবর একটা লাথি দিবার চাই (চাপাতির কোপ না কইলাম), সেইটা কি জায়েজ হইবো? পিছলায়েন না। তখন নীচের প্রশ্নের উত্তরে হূমায়ুন আহমেদ কি বলিবে--

প্রশ্নঃ অনাহুত বা রবাহুতকে পুটকি বরাবর লাথি খাইতে হইলো কেনো?
উত্তরঃ কারণ, এধরণের কুতসিত ত্যানা প্যাঁচানী দেখলে যে কারও চান্দি গরম হইতে পারে। তারজন্য "বোবার_চিতকার" হওয়ার প্রয়োজন পরেনা।

যাহোক, সহজ বাংলা না বুঝলে এটাই বলি যে কাঁডল পাতা খান ঠিক আছে, তয় মোল্লার লবণ লাগায়া নিয়েন। শরীরে আয়োডিনের মারাত্মক ঘাটতি মনে হইতেছে, পূর্ণ মানসিক বিকাশ এখনও হয়নাই বলে প্রতীয়মান হয়।

দিগন্ত বাহার * এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

ফার্স্ট টাইমার এর ছবি

প্রশ্নঃ অনাহুত বা রবাহুতকে পুটকি বরাবর লাথি খাইতে হইলো কেনো?
উত্তরঃ কারণ, এধরণের কুতসিত ত্যানা প্যাঁচানী দেখলে যে কারও চান্দি গরম হইতে পারে। তারজন্য "বোবার_চিতকার" হওয়ার প্রয়োজন পরেনা।

অসাধারণ! এতোটা মোক্ষম যুক্তি বোধ হয় জীবনেও শুনিনি!
সহজতম যুক্তিগুলো যারা বুঝতে পারে না, বুঝতে চায় না; অথবা বুঝেও না বোঝার ভান করে তাদের জন্য এমন শক্ত ভাষা ব্যবহারই যুক্তিযুক্ত।
প্রতি-মন্তব্যের জন্যে ফাইভ স্টার।

সবজান্তা এর ছবি

আমি যদি বলি

বইগুলি এতোই বালছাল যে সেগুলি লিখলে যে কারো ক্যান্সার হবে, তার জন্য হুমায়ুন আহমেদ হতে হয় না।

ব্যাপারটা মনে হয় একই রকম হবে দেঁতো হাসি

পাঠক এর ছবি

আমি হুমায়ুন আহমেদের ভক্ত নই। তিনি হুমায়ুন আজাদের মৃত্যু নিয়ে কিছু বলেছেন যা তার নিজের মতামত, কারও ভাল লেগেছে কারও লাগেনি। তখন যেহেতু ক্ষমা চাননি আজকে ক্ষমা চাইবার প্রশ্ন আসছে কোথা থেকে। ক্যান্সার হলে ক্ষমা চাইতে হবে?

কেন ক্ষমা চাবেন বা চাননি এটা নিয়ে অনেক তর্ক দেখছি, হতেই পারে। কিন্তু আজ কেন, এটা বোঝার চেষ্টা সফল হল না

হিমু এর ছবি

কবে ক্ষমা চাইলে ভালো হয় বলে আপনি মনে করেন? ক্যালেণ্ডারে একটা তারিখ দাগিয়ে দিন।

না, ক্যান্সার হলে ক্ষমা চাইতে হয় না। কিন্তু ক্যান্সারের উছিলায় নিজের সম্ভাব্য মৃত্যুর ইঙ্গিত দিয়ে নিজের ছেলেমেয়েদের জন্য নাকে কাঁদছেন হুমায়ূন আহমেদ, দৈনিকের প্রথম পাতায় জার্নাল লিখে। এই নাকে কান্নার সূত্রে আমি স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি, অধ্যাপক আজাদেরও হুমায়ূন আহমেদের সন্তানদের বয়সী তিন সন্তান আছে, আর অধ্যাপক আজাদের মৃত্যু নিয়ে হুমায়ূন আহমেদ যে কথাটা বলেছেন, সেটা একজন হত্যাকারীকে সমর্থন করার শামিল। এ জন্যে তিনি ক্ষমা চাইতে পারেন। না-ও চাইতে পারেন। না চাইলে তাঁর প্রচুর ছাগু ভক্ত, যারা মনে করে কুৎসিত লেখা লিখলে একজন লেখককে শারীরিক আক্রমণ করা যায়, তারা হয়তো খুশি হবে। আর ক্ষমা চাইলে, আমার মতো দুয়েকজন, যারা লেখার কারণে লেখকের ওপর শারীরিক আক্রমণ বা সেই আক্রমণের সমর্থনের ঘটনা সমাজে দেখতে চাই না, তারা খুশি হবে। তারা ভরসা পাবে, আমাদের সমাজে লেখকেরা জনপ্রিয়তার চেয়ে ভালো-মন্দ জ্ঞানকে বেশি গুরুত্ব দেন, সেটা দেখে।

অতীতে হুমায়ূন আহমেদ ক্ষমা চাননি, কারণ তিনি হয়তো বুঝতেই পারেননি কথাটা আপত্তিকর। কিংবা ভেবেছেন, আপত্তিকর হলেই বা কে তাঁকে কী বলবে এ নিয়ে? সবাই তো স্যারস্যার বলে মুখে ফেনা তুলতে থাকে। আমাদের সমাজে প্রকাণ্ড সব মাথাভারি পাছাভারি কেষ্টুবিষ্টুরা এ নিয়ে ঘুণাক্ষরেও কিছু বলেননি। শুধু তাই না, অনেকে হয়তো মনে মনে, বা আমার পোস্টের কমেন্টের মাঠে যা দেখছি, সশব্দে সমর্থনও করেছেন। আমি একজন সামান্য পত্রিকা পাঠক, মাথাপাছাভারি বিদ্যাবুদ্ধির ইজারাদারেরা কিছু বলে না দেখে বাধ্য হয়ে এই আপত্তিকর কথাটা তুললাম।

পুতুল এর ছবি

"অপরাধীর অপরাধ যদি হয় পর্বত প্রমান
ক্ষমাকারীর ক্ষমা হয় আকাশ সমান"।

কথাটা অনেক ছোটবেলায় পড়েছেলিম। আহম্মদ আমার শত্রু নন। আযাদও আমার বন্ধু নন। দুজনেই বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। আহম্মদের নন্দিত নরকের মতো উপন্যাস আছে। তিনি কোন ভাবেই ফেলনা নন। বাংলা সাহিত্যের সব চেয়ে জনপ্রিয় কথা শিল্পী তিনি।

"এ বিশ্বে যেইখানে যত উঠে ধ্বনি
আমার বাশিতে সেই সুর বাজিবে তখনি"। (স্মৃতি থেকে কোট করছি ভুল হতে পারে, ভুলটা কারো চখে পড়লে দয়া করে ধরিয়ে দেবেন) কথাটা সম্ভবত বিশ্ব কবির। একজন জনপ্রিয় লেখকের ঘারে কিছু দায়ীত্বও পড়ে। সমাজের সব চেয়ে বড় মানুষদের সমাজের সবচেয়ে আদর্শ মানুষও হতে হয়। যে প্রসংঙ্গে আহম্মদ সাহেব কথাটা বলেছিলেন সভ্য সমাজের মানুষ শত্রুর এমন পরিনতি দেখলে অন্ততঃ লোকদেখানো ভদ্রতার জন্যও তারঁ পরিবার পরিজনদের প্রতি সমবেদনা জানায়।
আহম্মদ সাহেবের কথাটা আর উদৃত করলাম না এখানে। স্বাধীন ভাবে মত প্রকাশের উপড় হামলা হয়েছিল শুধু আযাদের উপড় নয়। একজন লেখকের প্রধান দায়ীত্ব স্বাধীন ভাবে মত প্রকাশের পক্ষ নেওয়া। আক্রমন কে করেছে কী কারণে করেছে সেটা পরোর ব্যাপার।
আহম্মদ সাহেব কোন প্রতিবাদ করননি। সেটাই একটা অপরাধ। একজন লেখক হয়ে তিনি নীরব রইলেন? না নিরব না থেকে তিনি আরো একটু এগেয়ে সেই বিক্ষ্যাত উক্তিটি করলেন। এই নিয়ে আর আগেও সচলায়তনে আলোচনা হয়েছিল। তখন মনের অবস্থা ভাল ছিল না। আহম্মদের উক্তিতে ক্ষুব্দ হয়ে অশোভন ভাষায় তাঁকে আক্রমন করেছিলাম। এই পোস্টের লেখক আমার সে মন্তব্যটি মুছে দিয়ে আমাকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। একজন মানুষকে এভাবে লিখিত আক্রমন করা আমার ঠিক হয়নি।
কিন্তু আহম্মদ সাহেবের ঐ উক্তি কী ঠিক ছিল? ছিল না। যারা আহম্মদ সাহেবকে ভালবাসেন তারা একবার ভেবে দেখুন তো; আপনার বাবা এমন একটা আক্রমনের স্বীকার হয়ে প্রাণ হারালেন। আর আমি এসে বললাম অমুকের বাবাকে মারতে হলে গুণ্ডা হতে হয় না। তাঁর সন্তান হয়ে আপনার/আপনাদের কেমন লাগবে তখন? এখানে পোস্টের লেখক বা আহম্মদ সাহেবের সমালোচনাকারীরা শুধু ক্ষমা চাইতে বলেছে। এটাই আপনাদের কাছে এত বেশী বাড়াবাড়ি মনে হচ্ছে। এবার আপনারা নিজেদেরকে হুমায়ূন আযাদের ছেলে মেয়ে কলাপনা করে দেখুন।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

দিগন্ত বাহার * এর ছবি

আমি পৃথিবীর কবি, যেথা তার যত উঠে ধ্বনি
আমার বাঁশির সুরে সাড়া তার জাগিবে তখনি,
এই স্বরসাধনায় পৌঁছিল না বহুতর ডাক--
রয়ে গেছে ফাঁক...

বিপুলা এ পৃথিবীর কতটুকু জানি - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ধ্রুবনীল এর ছবি

হুমায়ুন আহমেদ আরোগ্য লাভ করুন এটাই সবার প্রত্যাশা। উপরের সাক্ষাৎকারে হুমায়ুন আহমেদ যে মন্তব্য করেছেন তা সত্যি হলে, আমি পোস্টে লেখকের যুক্তির সাথে একমত। এব্যপারে হুমায়ুন আহমেদের বক্তব্য জানতে পারলে ভালো হতো। হয়ত উনি সেভাবে বলতে চান নি, আর সেক্ষেত্রে যদি হুমায়ূন আজাদের পুত্রকন্যার কাছে ক্ষমা চানও, তাতে আমার কাছে অন্তত তিনি ছোট না হয়ে শ্রধবার পাত্রই হবেন।

অ।ট। হুমায়ুন আহমেদের এই লেখায় তাঁর নিজের কন্যাদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে যেভাবে লিখেছেন তাও আমার কাছে শোভন মনে হয়নি। তাছাড়া মেয়েদের যেখানে নিজেদের কথা বলার সুযোগ সীমিত। তাঁর কন্যাদেরকে জায়গায় নিজে হলে, তিনিও কী একই ধরনের আচরন করতেন না?

ধন্যবাদ।

পাঠক maruf raihan এর ছবি

কোনো লেখককে কারো পছন্দ হবে, কারো হবে না। কিন্তু যিনি ক্যান্সারের মতো একটা অসুখে ভুগছেন ও দেশের বাইরে চিকিতসা নিচ্ছেন, তার সমালেঅচনারও একটা সীমা থাকতে হবে। এটা সুরুচি ও সৌজন্যের বিষয়। মৌলবাদীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে বিদেশে চিকিতসা নিয়ে দেশে ফিরে এলে হুমায়ুন আজাদের বাচনে পরিবর্তন এসেছিল।ঘরোয়া আসরে একবার সেটার অনুকরণ শোনানোর জন্য ব্যগ্র অনুরোধ করছিলেন এক তরুণকে হুমায়ূন আহমেদ । আমার অপছন্দ ও আপত্তি তিনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছিলেন সেদিন। আজ হয়তো আরও ভাল করে বুঝবেন কাজটা সেদিন তিনি ঠিক করেননি। তবু এখন তাকে কোনোভাবেই আমাদের কষ্ট দেওয়া সমীচীন মনে করি না। হুমায়ূন আহমেদ সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে আসুন_ এটাই চাওয়া। মারুফ রায়হান, বাংলামাটি, ঢাকা http://www.banglamati.net/

দ্রোহী এর ছবি

মারুফ রায়হান ভাই,

গোলাম আযম বুড়া হয়ে গেছে। ৮৯ বছর বয়স তার। দুইদিন পরে এমনিতেই মরে যাবে। মৃতপ্রায় একজন মানুষকে কৃতকর্মের কথা মনে করিয়ে দিয়ে দুঃখ দেয়ার কোন মানে হয় না। শাস্তি দেয়া তো পুরোপুরি অনুচিত। ঠিক কিনা? চোখ টিপি

আপনাকে কপি করে বলি: একদিন হয়তো গোলাম আযম বুঝবেন কাজটা সেদিন তিনি ঠিক করেননি। তবু এখন তাকে কোনোভাবেই আমাদের কষ্ট দেওয়া সমীচীন মনে করি না। দেঁতো হাসি

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

চলুক

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

sh21 এর ছবি

এই শুরু হয়ে গেল...হুমায়ুন আহমেদকে এখন গোলাম আযমের সাথে তুলোনা শুরু করে দিলেন!!!!!!!????এর ভক্তদেরকে নিশ্চয়ই এখন ছাগু বলা শুরু করবেন...।।দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখকের অবস্থান যদি গোলাম আযম পর্যায়ের হয়, তাইলে কিছু বলার নাই...

হিমু এর ছবি

দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়ে গেলে মানুষ কি ঠিক-বেঠিকের ঊর্ধ্বে উঠে যায়?

ক. হ্যাঁ
খ. না।

টিক দিন। তৃতীয় কোনো অপশন থাকলে যোগ করুন।

হিমু এর ছবি

একটা অদ্ভুত সমাজে বাস করি আমরা। এই সমাজে পরিচিতি আর স্বীকৃতির একটা নির্দিষ্ট স্তর অতিক্রম করার পর যে যা খুশি বলতে পারে, সেটা পাবলিকের সমানুভূতিকে আর স্পর্শ করে না। এই পীরভক্তি কি শোভন? সুরুচি আর সৌজন্য কি আহত হয় না এতে? সুরুচি আর সৌজন্য কেবল আমাকে বজায় রাখতে হবে, হুমায়ূন আহমেদের জন্য সেটা প্রযোজ্য নয়?

হুমায়ূন আহমেদ ক্যান্সারে আক্রান্ত, কিন্তু তিনি তো অচেতন নন। সজ্ঞানে সক্রিয় আছেন, দৈনিকে নিয়মিত জার্নাল লিখছেন। তিনি আইসিইউতে থাকলে তো এই পোস্ট লিখতাম না। আর এই পোস্টে তাঁকে কষ্ট দেয়ার জন্যেও কিছু লিখিনি, বরং পাঠক হিসেবে নিজের কষ্টের কথা জানালাম।

পাঠক maruf raihan এর ছবি

হিমু, আপনার উদ্দেশে ছিল না আমার লেখা। কারো কারো মন্তব্যে আহত বোধ করেই কথাগুলো লিখেছি। লক্ষ্য করেছি, হুমায়ূন আহমেদকে অসৌজন্যমূলকভাবে আঘাত করাই ছিল কারো কারো লক্ষ্য। আমার লেখায় ‌‌'পীরভক্তি' প্রকাশ পেয়েছে নাকি? আমি কিন্তু তার কিংবা তার লেখার ফ্যান নই। বরং সমালোচক। কেবল তার মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বড় উপন্যাস ' জোছনা ও জননীর গল্প' সম্পর্কে অনেক ভালো ভালেঅ কথা লিখেছি। ধন্যবাদ।

হিমু এর ছবি

আমিও দুঃখিত, পীরভক্তি শব্দটা আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। ক্ষমা করবেন।

রুমঝুম ১ এর ছবি

আমি বুঝলামনা এই লেখার মূল বক্তব্য যা ছিল মন্তব্য গুলো তাকে অন্য দিকে নিয়ে গেল কেন? আমি যদি ঠিকমত বুঝে থাকি তাহলে লেখক বলতে চেয়েছেন এই মূহুর্তে হুমায়ুন আহমেদের কলম থেকে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের পাওয়া না পাওয়ার কচকচানি না বরং কিছু মৌলিক অনুভুতি সম্পন্ন লেখা এবং কিছু "সেলফ রিফ্লেক্ট্রি"(সঠিক বাংলা শব্দটা পেলাম না) লেখা বের হতে পারত যেখানে তিনি তাঁর কিছু ভুলও শুধরে নিতে এবং ক্ষমা চাওয়ার প্রয়োজন হলে তাও নিতে পারতেন...তা না করে তিনি নাকি কান্না কেঁদে ইনিয়ে বিনিয়ে সস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়ার চেষ্টাই করে যাচ্ছেন এখনো। এই পোস্টটে কোথাও আহমেদকে ছোট করা হয়েছে তা আমার মনে হয়নি। বরং আহমেদের কাছে আমাদের এক্সপেক্টেশনটার কথাই ত বলা হয়েছে...নাকি আমি বুঝিনি??

sh21 এর ছবি

আপনার বক্তব্য সাংঘর্ষিক। আপনি বললেন এই লেখায় হুমায়ুন আহমেদকে ছোট করা হয়নি, আবার বলছেন লেখক এখানে বলছেন, হুমায়ুন আহমেদ নাকি সস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়ার চেষ্টা করছেন!! একজন লেখক সম্পর্কে "নাকি কান্না কেদে সস্তা জনপ্রিয়তা" অর্জনের অভিযোগ করাকে আপনি অপমান মনে করছেন না?

রুমঝুম ১ এর ছবি

ভাইজান...নাকি আপা, কি বিতর্ক করেন নাকি? কিছু বিতার্কিককে দেখতাম মূল কথা না বুঝে কয়েকটা শব্দ ধরে বিতর্ক করতে। আমি কিন্তু "নাকি কান্না কেদে সস্তা জনপ্রিয়তা" এই কথাটা লেখক বলেছেন তা বলিনি। বলেছি সত্যিকারের অবস্থার কথা যা আহমেদ সচরাচর (এবং এখনো) করে থাকেন। এই পোস্টের লেখক বলেছেন তা কিন্তু বলিনি।

sh21 এর ছবি

আপ্নিও আমার কথা বুঝেন নাই...নাকি কান্না লেখক বলেন নাই...আপ্নি বলছেন। এবং এটা আপনার উপলব্ধি এই লিখাটা পরে। এই লেখাটা পরে যদি আপনার উপলব্ধি হয় যে একজন ক্যন্সার আক্রান্ত মানুষ পত্রিকায় "নাকি কান্না কাদছে(অন্য সব সময়ের মত!!!!???, সস্তা জনপ্রিয়তা পাবার জন্য!!!! " একটা লেখা পরে একটা মানুষ সম্পর্কে এই ধারনা হলে আমি তাকে অপমান করাই বলব। কারণ বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক(এবং ওপার বাংলাতেও খুব জনপ্রিয়) সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য লিখবে এটা আমি ভাবতে পারি না। মানুষ্কে সহানুভূতি করতে শিখুন। কোন মানুষ সমালোচনার উর্ধে না। কিন্তু এখন উনার সময় খারাপ। সুস্থ হয়ে উঠুক...তারপর গাইল দিয়েন।

রুমঝুম ১ এর ছবি

১৭৭ নং কমেন্টটা পড়ুন...জবাব পাবেন। আপনার অযথাচিত উপদেশের জন্য ধন্যবাদ.....

হিমু এর ছবি

দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়ে গেলে মানুষ কি ঠিক-বেঠিকের ঊর্ধ্বে উঠে যায়?

ক. হ্যাঁ
খ. না।

টিক দিন। তৃতীয় কোনো অপশন থাকলে যোগ করুন।

cupper এর ছবি

হুমায়ুন আহমেদ এর মত একজন লেখক প্রতি বই মেলায় চার পাচটি করে বই বের করে। উনি কি বই গুলো নিজে লিখেন না অন্য কার দিয়ে লেখান । জগতে অনেক লেখক আছেন যারা একটি বই বের করতে অনেক সময় নেন।

হিমু এর ছবি

উনি চার-পাঁচটা বই বের করলে সমস্যা কী?

রচি এর ছবি

হিমু ভাই এর সাথে দ্বিমত পোষণ করলেই দেখি তিনি শিক্ষা, রুচি, পড়াশুনার দৌর নিয়ে কটাক্ষ করতে দ্বিতীয় বার ভাবেন না...যদি বলি আমি আজাদের অন্ধ ভক্ত তাহলে এখানে ভাল হয়ে গেলাম(ধরে নেয়া হয় আমি সাহিত্যের কিছুটা হলেও বুঝি),আর বিপরীতটা বললে আমি পীর ভক্ত এবং ছাগু দের দলে তো বটেই।।কেউ আপনার সমালোচনা করল মানেই তো এই না যে আপনি হেরে গেলেন,কিন্তু আপনার প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হয় আপনি সমালোচনা সহ্য করতে পারেন না বইকি।তাহলে কি এই লেখার উদ্দেশ্য ছিল-দ্বিমত পোষণকারিদের খুজে বের করা এবং তাদের যথার্থ ভাবে ধুয়ে দেয়া নাকি আসলেই যা লিখেছেন বিশ্বাস করেন বলেই লিখেছেন?জানি এর পরের তীরটা আমার দিকেও নিক্ষেপ হতে পারে কিন্তু আমার ছোট মাথা দিয়ে এটাই বুঝি সমালোচনা অথবা দ্বিমত পোষণ করার অধিকার সবার আছে,এটাও জানি অশ্লীল ভাষায় মুন্ডুপাত করার অধিকার আপনার ও আছে,করেও ফেলবেন হয়ত বা আনেক ছোট মস্তিষ্কের এই অধমকে চটকানোর যোগ্য না বলে ছেড়েও দিতে পারেন.........।

হিমু এর ছবি

ঠিকাছে, আপনাকে ছেড়ে দিলাম।

sh21 এর ছবি

বুশ আফগানিস্তানে "সন্ত্রাস বিরোধী" যুদ্ধ শুরুর আগে বলছিল, হয় তুমি আমাদের দলের, নাইলে তুমি সন্ত্রাসী। ইনি জুনিয়র বুশ......। হাসি

হিমু এর ছবি

উপন্যাস লেখার দায়ে একজন নিরস্ত্র প্রৌঢ় অধ্যাপককে রাতের অন্ধকারে চাপাতি দিয়ে কোপানো হয়েছে।

ক. এটি ঠিক।
খ. এটি ঠিক নয়।

আপনি টিক দিন। তৃতীয় কোনো অপশন থাকলে যোগ করতে পারেন।

দ্রোহী এর ছবি

গ. পীর যদি বলে এটি ঠিক তাহলে ঠিক। চোখ টিপি

sh21 এর ছবি

এটি ঠিক না। তর্কটা হুমায়ুন আযাদকে কোপানো ঠিক না বেঠিক, সেটাতো না। হুমায়ুন আহমেদ ঐ সাক্ষাতকারে কোপানো সমর্থন করছে কিনা সেটা নিয়ে। এখন যদি কোন বিদেশী বাংলাদেশকে গালি দেয় তাহলে রাজাকার ছাড়া সবার খারাপ লাগবে। কেউ কেউ সে গালি সহ্য করতে না পেরে আক্রমন করে বসবে। যারা সেদিন আক্রমন করছিল তাদের কাছে তাদের বিশ্বাস দেশপ্রেমের মতই জোড়াল। হুমাহুন আহমেদ সেটাই বলছেন। উনি বলছেন একটা মানুষকে আপনি ক্রমাগত উত্যক্ত করতে থাকলে মানুষটা ক্ষেপে গিয়ে আপনার গালে চড় দিবে। এখন উত্যক্ত করা ঠিক নাকি কোপানো ঠিক সেটা উনাকে ঐ প্রশ্নে জিজ্ঞাস করা হয় নি, উনি তার উত্তরও দেন নাই। উনার কথাটা সংক্ষিপ্ত। তাই এর মানে আপনার চোখে একরকম লেগেছে, অনেকের চোখে অন্যরকম লেগেছে। কিন্তু এটাকে নিয়ে বাংলাদেশের জনপ্রিয়তম লেখককে এইভাবে গালাগাল দেওয়াটাওতো জায়েজ না তাইনা?(আর এখানেতো দেখলাম হুমায়ুন আহমেদকে পছন্দ করলেই ছাগু উপাধি দেওয়া হচ্ছে!!!!)...

হিমু এর ছবি

উপন্যাস লেখার দায়ে একজন নিরস্ত্র প্রৌঢ় অধ্যাপককে রাতের অন্ধকারে চাপাতি দিয়ে কোপানো যদি ঠিক না হয়ে থাকে, তাহলে:

ক. এই কোপানোকে সমর্থন করা ঠিক।
খ. এই কোপানোকে সমর্থন করা ঠিক নয়।

টিক চিহ্ন দিন। তৃতীয় কোনো অপশন থাকলে যোগ করুন।

শৌণক  এর ছবি

একজন জনপ্রিয়তম লেখক, যার লেখা সবাই চোখ কান বুজে পড়ে, তার কি নুন্যতম দায়িত্ববোধ নেই ? সে নিজের মতামত প্রকাশ করে লেখার মাধ্যমে আর মতামত প্রকাশের জন্য অপর একজন লেখককে কিভাবে নির্লজ্জ শারীরিক হামলাকে সমর্থন করে? সেটা আবার আপনার মত জ্ঞানী পাঠকরাও সমর্থন করেন ! আর আপানার সমর্থনের কারন যারা আক্রমণ করেছিল তারা বাংলাদেশী... হা হা হা!
আসেন আমার বাংলাদেশী ভাই, গলাগলি করি! আপ্নে যাই বলেন আমার অমত নাই। আপ্নে চাপাতি রেডি করেন...বলেন কাকে কোপাতে হবে ? আমি আপনার পেছনে আছি, আপ্নে আমার বাংলাদেশী ভাই!
মাঝে মাঝে মনে হয় আমরা মনে হয় মধ্যযুগের বর্বরসময়ে বাস করতেছি !

অংকন এর ছবি

হুমায়ুন আহমেদ ক্ষমা চাইব কি, সে ত দেখলাম আইযকা আমেরিকান রা কেন হুক্কুর বারের পবিত্র দিনে বেলাক "ফ্রাই-দে" করে হেই নি আই বেপক ছি(ঃ)ন্তিত

পৃথ্বী এর ছবি

হুমায়ুন আহমেদের আজকের লেখা থেকে,

"শুক্রবার মুসলমানদের জন্য পবিত্র একটি দিন। খ্রিষ্টানদের রোববার, ইহুদিদের শনিবার। সপ্তাহের তিন দিন, তিন ধর্মাবলম্বীরা নিয়ে বসে আছে।
**শুক্রবার মুসলমানদের পবিত্র দিন বলেই কি আমেরিকানরা ‘কালো শুক্রবার’ আবিষ্কার করল?**"

লোকটা একদম রসাতলে চলে যাচ্ছে।

হাসান এর ছবি

দুঃখ! মুসলিম বিদ্বেষী আমেরিকাতেই চিকিৎসার জন্য যাওয়া লাগে। আরবদেশে গিয়ে জমজমের পানি খাইলে চলত না?

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

লেখাটা প্রথম হিমু ভাইয়ের ব্যক্তিগত ব্লগে প্রকাশ হবার সময়ই পড়েছি। এখানেও ফলো করেছি, প্রত্যেকটা মন্তব্য। নতুনভাবে মন্তব্য করার আর কিছু ছিল না। কিন্তু আজকে আলুপেপারে তার লেখা পড়ে মনে হল, যারা কোপাইছে তারাও যদি কোনদিন লজ্জিত হয়, আহমেদ সাহেব মনে হয় কোনদিন হবেন না। একসময়ের প্রিয় লেখক, এটা ভাবলেও এখন মেজাজটা বিলা হয় যায়।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

mimosaguilosa এর ছবি

আহমেদ যখন "হুমায়ূন আজাদকে মরতে হল কেন?" এই প্রশ্নের জবাবে বলছেন " কারণ যে বইটা তিনি লিখেছিলেন, তা এতই কুৎসিত যে, যে কেউ বইটা পড়লে আহত হবে। তার জন্য মৌলবাদী হতে হয় না।" অর্থাৎ হুমায়ূন আহমেদ ধরেই নিচ্ছেন যে বাংলাদেশে কেউ(যে কেউ, শুধু মৌলবাদীরা না) যদি আহত হয় কারো কাজ দ্বারা, সে সেই কাজ যে ব্যাক্তি করেছে তাকে খুন করতে যাবে। এখন, সেই যাওয়াটা বৈধ বা উচিত কি না তা নিয়ে কিন্তু তিনি কিছু বলছেন না! উনি বলছেন এটাই বাংলাদেশের বাস্তবতা! হ্যাঁ, আমি জানি আপনি আপনার পুরাতন প্রশ্নগুলো আবার করবেন - "উপন্যাস লেখার দায়ে একজন নিরস্ত্র প্রৌঢ় অধ্যাপককে রাতের অন্ধকারে চাপাতি দিয়ে কোপানো কি ঠিক? যদি ঠিক না হয়ে থাকে, তাহলে এই কোপানোকে সমর্থন করা কি ঠিক?"

দুইটার জবাবই - "না।" হমায়ুন আহমেদও কোনোটার সমর্থন করেন নি। উনি নিশ্চিত ভাবে জানেন যে জামাত/শিবিরের মৌলবাদীরা ঠিক কাজটা করবে না। কারন সেটা করার জন্য মানুষের বাচ্চা হওয়া লাগে। আপনিও জানেন, আমিও জানি, হুমায়ূন আহমেদও জানেন ওইগুলা মানুষের বাচ্চা না। উনি জানেন ওগুলোর কাছ থেকে সুস্থ্য স্বাভাবিক আচরন আশা করা যাবে না, এরা মুখের কোথায় আহত হলেই শারীরিকভাবে আক্রমন করে। উনি জানেন বাংলাদেশে সেটাই বাস্তবতা। সেই কথাই বলেছেন। ক্ষমা চাইবার প্রশ্ন আসে কেন?!?!

হিমু এর ছবি

আপনি মনে হয় লালকালি দিয়ে অমানুষিক বড় বড় অক্ষরে "আমি সমর্থন করিতেছি" না দেখলে বুঝতে পারেন না, কোন কথায় সমর্থন করা হয়, আর কোন কথায় হয় না। ক্ষমা চাইবার প্রশ্ন কেন আসে, সেই আলাপ তো দুঃসাধ্য।

mimosaguilosa এর ছবি

আপনি দুঃসাধ্য কাজে পিছ পা হন বলে তো মনে হয় না! যেই প্যাশন নিয়ে রাজাকারদের cliche/ফাতরা যুক্তিগুলোর বিরুদ্ধে FAQ তৈরি করেছেন, সেটাতো "Herculean Job"! (I simply adore that post!)।
এইখানে আপনি ধরেই নিচ্ছেন হুমায়ূন আহমেদ যখন বলছেন " যে কেউ বইটা পড়লে আহত হবে" তখন উনি জামাত/শিবিরের কাজকে এক ধরনের বৈধতা দিচ্ছেন, কারন সবাই জানে বাংলাদেশে সবাই জামাত/শিবিরের মত প্রতিক্রিয়া দ্যাখায় না। (ঠিক কিনা?!)। এখন কথা হল গিয়ে হু.আ. যদি মনে করেন যে বাংলাদেশের "যে কেউ" জামাত/শিবিরের মত প্রতিক্রিয়াশীল তাহলে আপনি কি বলবেন? In fact সাক্ষাতকারের এক জায়গায় উনি বলছেন >>
প্রঃ বাংলাদেশে জামায়াতের মৌলবাদী রাজনীতি বন্দ করা উচিত। আপনি কী বলেন?
হু.আঃ আমি কোনো রাজনীতি বন্দ করার পক্ষপাতী নই। সারভাইভ্যাল ফর দ্য ফিটেস্ট। যে ফিটেস্ট, সে সারভাইভ করবে। যে আনফিট সে সারভাইভ করবে না। অর্থাৎ উনি মনে করেন বাংলাদেশে মৌলবাদী রাজনীতি টিকিয়ে রেখেছে এ দেশের মানুষেরাই। তারা না চাইলে এটা থাকবে না। মৌলবাদ বিতাড়নের উপায় কি তার জবাবে উনি বলছেন >>

"বাঙালিদের শিক্ষিত হতে হবে। মাদ্রাসা শিক্ষা নয়, আমি সাধারণ বিজ্ঞান শিক্ষার কথা বলছি। যদি সাধারণ শিক্ষায় বাংলাদেশিরা শিক্ষিত হয়, তাহলে বাংলার মাটিতে মৌলবাদীদের চিহ্ন থাকবে না। অশিক্ষিতকেই একজন মৌলবাদীর পক্ষে সম্ভব ভুল বোঝানো। ধর্মীয় শিক্ষার জন্য তো আমার ঘরই যথেষ্ঠ। মাদ্রাসায় গিয়ে পড়তে হবে কেন? আমাদের যদি যেতে হয়, তাহলে সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়েই শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।" উনি অশিক্ষিত সাধারন বাঙ্গালিকে স্বভাবতই জামাত/শিবিরের প্রতি সহানুভূতিশীল মনে করছেন। উনার ধারনা কতটা ঠিক আমি জানি না। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এবং জানি এ ধারনা ঠিক না। শিক্ষিত অশিক্ষিত নির্বিশেষে কিছু লোক নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থ চরিতার্থের জন্য জামাত/শিবির সমর্থন করে, এবং প্রায় সব লোক আত্মসম্মান বোধের কারনে অন্তর থেকে তাদের ঘৃণা করেন। হু.আ. যেখানে ভুলটা করেছে সেটা হল উনি "যে কেউ এমন করবে" সেটা বলেছেন। সে কারনে উনার পুরো বাংলাদেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। আপনি এটা বুঝতে পারেন নি। আমি প্রথম কমেন্টটা দিয়েছিলাম আপনি নিজেই যেন কথাটা বলেন তার জন্য। "আপনি বুঝতে পারেন নি" এই বাক্যটা যে কাউকে(সে যত বড় গাধাই হোক) বলতেই আমার খারাপ লাগে, আপনাকে বলতেও খারাপ লাগছে। তবু বলতে হল। যদি সহমত পোষণ করেন তাহলে, আপনার লেখার শিরোনাম/বক্তব্য ঠিক করে দিন। হুমায়ূন আহমেদ হুমায়ূন আজাদের ছেলেমেয়ের কাছে আলাদা করে কোন অপরাধ করেন নি, জামাত/শিবিরকে সমরথনও করেননি। কিন্তু উনি মনে করেছেন বাংলাদেশের "যে কেউ" জামাত/শিবিরের মত কাজ করবে। সেটার জন্য তার অবশ্যই ক্ষমা চাওয়া উচিত। বাংলাদেশের মানুষ কোনোভাবেই অমন না।

হিমু এর ছবি

সহমত পোষণ করতে পারলাম না। একটা লোককে কেন মরতে হলো, এইটার জবাবে যখন এক লেখক বলে, সেই মৃত্যুর কারণ ঐ লোকের কুৎসিত লেখা, তাতে করে এই কথা খুবই স্পষ্ট, যে তার মনোলোকে লেখার মানের কারণে লেখকের মৃত্যু ঘটতে পারে, এই কথা প্রশ্নের উত্তরে বলার মতো দৃঢ়বদ্ধ মূল নিয়ে প্রোথিত। আপনি সেটা বুঝতে না পারলে বলতে হয়, আপনি ওপরের কমেন্টটা লেখেননি, আমিও এই পোস্টটা লিখিনি।

mimosaguilosa এর ছবি

আপনার কাছে মনে হচ্ছে উনি বলছেন "লেখার মানের কারণে লেখকের মৃত্যু ঘটতে পারে" অথবা (যেন লেখার হাত-পা আছে!), আমি দেখতে পাচ্ছি উনি বলছেন "আযাদের লেখা যে কাউকে আঘাত করবে, এবং তারা স্বাভাবিকভাবেই তাকে মারতে আসবে"। এখানে আপনার কাছে মনে হচ্ছে আহমেদ জামাত/ শিবিরের কার্যকলাপকে বৈধতা দিচ্ছেন "সাধারন মানুষ যা করবে" তার সাথে তুলনা দিয়ে, আমার কাছে মনে হচ্ছে উনি সাধারন মানুষ যা করে তাকে অবৈধ করছেন জামাত/ শিবিরের কার্যকলাপের সাথে তুলনা দিয়ে। আপনার চিন্তা পদ্ধতি যথেষ্টই স্বচ্ছ, আমার কথার যুক্তিটা আপনার বুঝতে পারার কথা। আপনি চমৎকার একটা বিষয়ের দিকে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন, কিন্তু বিষয়টা পুরোপুরি অনুধাবন করতে পারেন নি, এবং কিছুটা ভুল বুঝেছেন। এবং সেটুকু শুধরে নেয়া আপনার জন্য কোন সমস্যা হবার কথা না। এই লাইন দুটো বললাম ঠিক সেই কারনে, যে কারনে আপনি আশা করেন হুমায়ূন আহমেদ ফালতু বকবকানি ছেড়ে দুনিয়ার সেরা একজন লেখকের মত "অপূর্ব রসাত্মক" কোন লেখা লিখবেন।

হিমু এর ছবি

আপনি তো কথা শুরুই করেছেন, "ক্ষমা চাইবার প্রশ্ন আসে কেন?" দিয়ে। এরপর কথা ঘোরাচ্ছেন, হুমায়ূন আজাদের পুত্রকন্যার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে না, সারা বাংলাদেশের লোকের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে, এবং তদনুযায়ী আমাকে আমার লেখার শিরোনাম পাল্টাতে হবে, এ কথা বলে। আমার কাছে মনে হচ্ছে, আপনি হুমায়ূন আহমেদকে ব্যক্তিবিশেষের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে, এই পরিস্থিতিটাই মেনে নিতে পারছেন না। কেন, সেটা আমি জানি না।

হুমায়ূন আজাদের সন্তানদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার পর যদি হুমায়ূন আহমেদ সারা বাংলাদেশের লোকের কাছে ক্ষমা চান, আমার কোনো আপত্তি নেই তো। আপনি প্রয়োজন বোধ করলে আরেকটা পোস্ট দিন, "সারা বাংলাদেশের লোকের কাছে কি ক্ষমা চাইবেন হুমায়ূন আহমেদ?" শিরোনাম দিয়ে, আমি তো আটকাচ্ছি না আপনাকে।

তবে হুমায়ূন আহমেদ সম্ভবত কারো কাছেই ক্ষমা চাইবেন না। তিনি কোনো লেখায় কন্যার হিজাব নিয়ে হাহুতাশ করবেন, তার পরের লেখায় আবিষ্কার করবেন মুসলমানদের পবিত্র দিনকে আমেরিকানরা কালো শুক্রবার নাম দিয়েছে, ইত্যাদি করে তিনি ধর্মেও থাকবেন, জিরাফেও থাকবেন। সামনে বইমেলা, মানুষ-ছাগল কাউকে চটানো যাবে না।

mimosaguilosa এর ছবি

কেন বিশেষ একটা প্রশ্ন দিয়ে কথা শুরু করেছি সেটা একবার বলেছি, আবার বলছি - আমি যে সিন্ধান্তে পৌঁছেছি তার খুব কাছাকাছি আপনি গিয়েছেন কিন্তু পুরোটা যেতে পারেন নি (সবসময় মাথায় সবকিছু খেলে না, সেটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার)। আমি ঠিক করলাম আমি কি ভাবছি তা আপনাকে জানাই (আমার ভাবনার পুরোটাই আপনার লেখা থেকে শুরু)। আপনি যে কাজটা শুরু করেছেন তা আপনিই সম্পূর্ণ করবেন। লেখা সংশোধন করতে বলা সে কারনেই। আমি আলাদা কোন পোস্ট দেইনি, কারন তাহলে আপনার মুরিদকুল বলত আপনার ideaটাই আমি একটু এদিক-ওদিক করে মেরে দিয়েছি, আরেকদল বলত আপনাকে address না করেই আপনার বিরুদ্ধে polemic চালু করেছি, আমার উচিত ছিল আপনার পস্টের নিচেই বিষয়টা নিয়ে কথা বলা। আর আপনি ব্যক্তি বিশেষের কাছে ক্ষমা চাওয়াতে আমার যে আপত্তির কথাটা বললেন তার জবাব আমি এখন দিতে পারব, কিন্তু আলাদা পোস্ট দিলে দিতে পারতাম না (তখন আপনার সাথে আমার সাথে আমার সরাসরি হয়ত কথাই হত না। যেমন হচ্ছে না আমার কমেন্টের জবাব হিসেবে না দিয়ে, আমার কমেন্টটার ঠিক নিচে যে কমেন্ট করেছে তার সাথে!)। এখন তো তবু সোজা-সাপ্টা কথা বলতে পারছি একজন আরেকজনের সাথে, তখন অনর্থক তির্যক মন্তব্য ছোঁড়া-ছুঁড়ি চলত।
হুমায়ূন আজাদের পুত্র কন্যার কাছে যদি হুমায়ূন আহমেদ ক্ষমা চান তাতে আমার কোন সমস্যা নেই(আমার সমস্যা আছে তা কেন আপনার মনে হল বুঝলাম না! আমি যাকে গোটা দেশের বিপরীতে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছি তার যদি নির্দিষ্ট কোন পরিবারের বিরুদ্ধে করা ভুল থাকে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও দাঁড় করিয়ে দিতে পারব। আর, সারা দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চাইলে আজাদের পরিবারের কাছে ক্ষমা চাওয়ার বাকি থাকেটা কী?)। কিন্তু সাক্ষাতকারে আহমেদ যা বলেছেন তাতে আমি বলতে পারি না যে আজাদের পরিবারের কাছে উনার ক্ষমা চাওয়া উচিত(আমার মনে হচ্ছে আপনিও এখন বুঝতে পারছেন যে আপনি তা চাইতে পারেন না, logically। একটু ভুল করে ফেলেছেন!)। আমি বরং যেটা দাবি করতে পারি সাধারন বাংলাদেশি হিসেবে, তা হল - উনি জামাত/শিবিরের কান্ডজ্ঞানের সাথে আমাদের কাণ্ডজ্ঞানকে এক কাতারে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন, তার জন্য উনার ক্ষমা চাওয়া উচিত। আমার এই সিন্ধান্তে আপনার লেখা থেকেই পৌঁছানো যায়(আমি সেটাই করেছি), সে কারনেই আপনার পোস্টের নিচে এত কথা, সে কারনেই আলাদা পোস্ট নয়।

[হুমায়ূন আহমেদ কি করবেন না করবেন তা দিয়ে কিন্তু আপনি কথা শুরু করেন নি! আপনি সরব বিবেকের মত "কি হওয়া উচিত/হুমায়ুন আহমেদের কি করা উচিত" তা নিয়ে কথা বলছিলেন। আপনার সেই বক্তব্য যেন নিখুঁত হয় আমার যাবতীয় পরিশ্রম ছিল তার জন্য। আপনিই কি একটু কথা ঘোরালেন এখানে?!?! আপনাকে শুধরে নিতে বলছি যাতে আপনার কাজটা সর্বাঙ্গ সুন্দর হয়।আপনি কি ভয় পাচ্ছেন যে আপনি যদি বলেন - "আমার আসলে এটাই বলা উচিত ছিল", তাহলে সবাই বলবে - "হিমু ছেলেটার সব ভাল, কিন্তু বুঝে একটু দেরিতে"? আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন কেউ তা বলতে পারবে না। কারন আমি আপনাকে যেটা করতে বলছি সেটা আপনার উদ্যোগেরই ফসল।]

হিমু এর ছবি

নাহ, আপনার পরিশ্রম পণ্ড হলো।

mimosaguilosa এর ছবি

হতাশ! যুক্তি আপনার কাছ থেকে দেয়ালে বাড়ি খেয়ে ফিরে আসবে, সেটা আশা করিনি। পরিশ্রমটা নিয়ে আফসোস নাই, সেটা আপনাদের কাছ থেকেই শেখা, সবসময়ই যে তা সার্থক হবে না সেটা জানি। কিন্তু সব জায়গাতেই যে সেটা নষ্ট হতে পারে তা জেনে হতাশ। আফসোস লাগছে জিনিসটা কোথায় নষ্ট হল তা ভেবে। এখানে এটা হতে পারে, তা ভাবতেও পারিনি।

হিমু এর ছবি

আপনার দুঃখে আমারও চোখে জল এলো। একটু কাঁদি।

আপনি হুমায়ুন আজাদের প্রতি আহমেদের বিদ্বিষ্ট আক্রমণটাই তো ধরতে নারাজ। আপনার যুক্তি দাঁড়িয়ে আছে ঐ ব্যক্তির প্রতি ব্যক্তির আক্রমণটিকে কৌশলে আড়াল/হালাল করে। ঐ ব্যক্তির ওপর ব্যক্তির আক্রমণটিকে দেখতে পাচ্ছি বলেই আমি চাইছি হুমায়ুন আজাদের সন্তানদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা, আর আপনি সেটাকে আরো জেনেরিক করে নিয়ে যেতে চাইছেন বাংলাদেশের মানুষের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনায়। শুধু তা-ই নয়, আপনি আপনার কথা আমার লেখার শিরোনামে গুঁজে দিতে আমাকে চাপাচাপি করছেন, যেটার নাম আপনি দিচ্ছেন "সংশোধন"। আপনার যুক্তি মেনে নিলে, শুধু বাংলাদেশের মানুষে কেন আটকে থাকা, গোটা দুনিয়ার মানুষের কাছেই ক্ষমা চাইতে বলা নয় কেন?

এই যে আপনি আক্রমণটাকে আড়াল/হালাল করার চেষ্টা করছেন, এটা আমার চোখে একটা অসৎ চেষ্টা। আপনার যুক্তিচর্চা যত না যুক্তি চর্চার খাতিরে, তার চেয়ে বেশি এই অসততাকে আশ্রয় করে। যে কারণে আপনার মন্তব্য শুরু হয়েছে "ক্ষমা চাইতে হবে কেন" এই প্রশ্ন দিয়ে। আপনি কথা ঘোরালেও সেই সুর থেকে সরে আসেননি।

আর কী? ধন্যবাদ।

mimosaguilosa এর ছবি

আমি হুমায়ুন আজাদের প্রতি আহমেদের বিদ্বিষ্ট আক্রমণটা ধরতে নারাজ নই। আপনি যেটাকে শুধু আজাদের প্রতি আক্রমন হিসেবে দেখছেন, আমি সেটাকে বাংলাদেশের "যে কারো" অপমান হিসেবে দেখছি। আপনি যেটাকে শুধু আজাদের মধ্যে সিমাবদ্ধ রাখছেন, সেটা যে বাংলাদেশের "যে কারো" গায়ে লাগার কথা আমি সেটাই দেখিয়েছি। আহমেদ যখন বাংলাদেশের যে কাউকে জামাত/শিবিরের কাতারে দাঁড় করাচ্ছেন, আমি তখন তাদেরকে আজাদের পাশে দাঁড় করাচ্ছি। (বাংলাদেশিরা ছাড়া আর কেউ জামাত/শিবিরের সাথে তুলনায় আহত হবার কথা না, সে জন্য "গোটা দুনিয়ার মানুষের কাছেই ক্ষমা চাইতে" বলছি না।) আপনি বিষয়টাকে আজাদ বনাম আহমেদ হিসেবে দেখিয়ে আরও একটা আকাম করেছেন, দুই পীরের ভক্তদেরই মনের আনন্দে কাদা ছোঁড়া-ছুঁড়ি করার সুযোগ করে দিয়েছেন।(একজন এমন ভক্তও দেখলাম, যে আহমেদের সাফাই গাইতে গিয়ে আজাদ তার কচি মনে কতটা আঘাত দিয়েছিলেন সেটা জানাচ্ছেন। উনার আরেকটা "জোরাল" যুক্তি হচ্ছে যে, উনি আজাদের ছাত্রী হয়েও ঘৃণায় কখনো তাঁর ক্লাস করেন নি! শেষের দিকে বোধয় ক্ষমাও চাইলেন, কিন্তু ততক্ষনে আমার অনেকখানি সময় নষ্ট হয়ে গিয়েছে তার আজাইড়া লেখা পড়তে গিয়ে।)

আজাদের ইস্যুটাকে এভাবে generic করে নেয়ায় সেটার গুরুত্ব কমে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে আপনার? আমি কিন্তু আপনার কিংবা হুমায়ূন আহমেদের মত সাধারন মানুষ(general people)কে এতটা খাটো করে দেখি না!

হুমায়ূন আহমেদের কাজটাকে আমি হালাল করার চেষ্টা করছি এরকম একটা হাস্যকর কথা যখন আপনার কাছ থেকে শুনতে হল, তখন মনে হচ্ছে আপনি যাদের বিরুদ্ধে কথা বলেন তাদের চেয়ে খুব বেশি উন্নত না(এরকম আশাভঙ্গ আমাকে মাঝেমদ্ধেই হতে হয়)। আমি আবারও বলছিঃ হুমায়ূন আহমেদের যে কথার আপনি প্রতিবাদ করেছেন আমি সেটার সম্পূর্ণ একমত, কিন্তু কথাটা কতটা disturbing আপনি তা ধরতে পারেন নি, সেকারনে আপনাকে সেটা বলতে এসছিলাম। এখন মনে হচ্ছে, আপনি নিজে যেটা ধরতে পারেননি, সেটা যত যুক্তি দিয়ে একজন অর্বাচীন আগন্তুক বলুক, তার কাছ থেকে বুঝে নিতে হলে আপনার জাত যাবে বলে মনে করছেন। দুঃখজনক!

আপনার লেখা ভাল, তাই নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে, মানুষ হিসেবে কেমন তা নিয়ে ভাবা যাবে না। আফসোস একটাই, ব্যক্তি হিমুর কারনে লেখক হিমুর কাজে কিছু খুঁত রয়ে যাবে, যেটা উনি যাদের বিরুদ্ধে কীবোর্ডে হাত রেখেছেন, তারা ব্যবহার করবে। শুধু আশাই করতে পারি তা যেন না হয়, সাহায্য করা সম্ভব না। আপনিই সেটা অসম্ভব করে দিলেন।

হিমু এর ছবি

আপনি যুক্তি দিচ্ছেন, আবার তার পাশে "জাত যাওয়া" জাতীয় কথাবার্তা বলছেন বারবার, এটা কি বোঝা খুব কঠিন যে আপনি যত না যুক্তি দিতে এসেছেন, তার চেয়ে বেশি এসেছেন এই বিদ্রুপগুলো করতে?

আপনি বাংলাদেশের "যে কারো" অপমান হিসেবে দেখতে চাইলে, দেখেন বসে বসে, আপনাকে কলারে ধরে তো আমার চোখ দিয়ে দেখাতে চাইছি না। আপনি ঠিক ঐ কাজটাই করতে চাইছেন। আপনার "যুক্তি" আমি মেনে নিচ্ছি না তো, বার বার এসে জাত যাওয়া নিয়ে গ্রাম্য সালিশের টেকনিক না খাটালে কি হয় না? আপনি যদি ঐ পদেরই হন, তাহলে জানাবেন, আমি আপনার ভাষায় কথা বলবো।

আপনাকে কষে একটা থাপ্পড় মারার পর আমি আপনার কাছেই ক্ষমাপ্রার্থী হবো, তাই না? কেউ যদি এসে বলে, এই আক্রমণ গোটা জাতির বিরুদ্ধে আক্রমণ, আপনার কাছে ক্ষমা না চেয়ে জাতির কাছে চাইতে হবে, তখন বুঝতে হবে, যে এ কথা বলছে, সে ঘটনা থেকে থাপ্পড়ের ভিকটিমকেই গায়েব করে দিতে চাইছে। আপনি ঐ কাজই করছেন। বারবার। আর ঘ্যানা প্যাচাল পাড়ছেন যুক্তির কম্বল গায়ে দিয়ে।

আমি উন্নত নই। সম্ভবত আপনার মতো ছদ্মধান্দাবাজ লোকজনের সাথে তর্ক করে সময় কাটাতে হয় বলেই। আপনার মতো লোকজন যুক্তি দিয়ে বোঝাতে আসে যে দোষটা আজাদেরই, যুক্তি দিয়ে বোঝাতে আসে আহমেদ কৈছে তো কী হৈছে, যুক্তি দিয়ে বোঝাতে আসে সে ঐ কথা বলেই নাই, যুক্তি দিয়ে বোঝাতে আসে ক্ষমা চাইতে হবে না, এবং প্রত্যেকেই এই আশা করে যে তাদের যুক্তিগুলি যাচাইবাছাই না করে পোস্টলেখক মেনে নিয়ে তার লেখা পাল্টে দেবে। আমি এই আহ্লাদকে আর প্রশ্রয় দিতে পারছি না।

আমি মানুষ হিসেবে খুবই খারাপ। আমাকে সাহায্য করার জন্য স্বপরিচয় ব্যবহারে ভীত আপনাকে এগিয়ে না এলেও চলবে। আপনার সাহায্যের অভাবে আমি মরলেও সে মরণ শ্যাম সমান।

এই আলাপ এখানে শেষ করছি। প্রত্যুত্তর দিতে গিয়ে সময় নষ্ট করার দরকার নেই। আসুন।

mimosaguilosa এর ছবি

হুমায়ূন আজাদের বিরুদ্ধে আক্রমন কে গোটা জাতির বিরুদ্ধে আক্রমন বললে আজাদ দৃশ্যপট থেকে অন্তর্হিত হন না, বরং আহমেদের জনপ্রিয়তার সামনে তিনি একলা অসহায় হয়ে দাঁড়িয়ে না থেকে, সঙ্গে আরও মানুষ নিয়ে, আরও প্রবলভাবে দৃশ্যমান হন। আপনার এটা ভাল লাগছে না। কেন ভাল লাগছে না তার সম্ভাব্য ব্যাখ্যা এবং আমি "একটা অসৎ চেষ্টা" করছি এমন একটা কথার প্রতিক্রিয়া হিসেবে "জাত যাওয়া"র কথাটা এসেছে। আমার যুক্তির সবচেয়ে বড় যে সুবিধা সেটা হল তাতে আহমেদের পক্ষে পাবলিক সেন্টিমেন্ট তৈরি হয়ে আছে তা দিয়ে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা (নেহাত ছাগু ছাড়া) আর কেউ করতে পারত না, সে আহমেদের যত বড় ভক্তই হোক। "আপনি এখানে একটা আকাম করেছেন" এমন একটা কথার প্রতিবাদ করার জন্যও আপনি এই যুক্তিটা স্বীকার করেন নি।

আমার নিজেরও মনে হচ্ছে আমি জোর করে ভাল কাজ করতে চাইছি। সেটা অভিপ্রেত ছিল না।

আশা করি আমার কমেন্টটা প্রকাশ করা হবে, নইলে আপনি যে চমকপ্রদভাবে আমার যুক্তিটার অপব্যাখ্যা করেছেন, সেটার বিরুদ্ধে আমার কিছুই বলার ছিল না, সবাই তাই মনে করবে। এর পরে আমি আর একটা মন্তব্যও দিব না।

আসি।

হিমু এর ছবি

আপনার যুক্তি শুনে বুঝলাম, প্রবল জনপ্রিয় মানুষের অসদাচরণের বিরুদ্ধে তার অসদাচরণের ভিকটিম একলা দাঁড়াতে পারবে না, তাকে লোক ডেকে এনে বহু আক্রান্তের একজন সেজে কথা বলতে হবে।

কেন? প্রবল জনপ্রিয়তার বিপরীতে কি যুক্তি কাজ করে না? যুক্তির তো সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজন নেই, আজ পনেরো কোটি লোক অযৌক্তিক কথা বললেও সেটা অযৌক্তিক কথাই থেকে যাবে।

আমি আক্রমণকারী আর আক্রান্তকে পাঠকের সামনে তুলে ধরেছি, আক্রমণের প্রকৃতিবর্ণনাসহ। আপনি এটার নাম দিয়েছেন আকাম, কারণ আপনার চোখে পরবর্তী আলোচনা শুধু "দুই পীরের মুরিদ"-এর ঝগড়া। আপনার অসততাও ওখানেই, যেখানে আহমেদ আর আজাদকে আপনি এক পাল্লায় চড়িয়ে দিচ্ছেন, আর আক্রান্তের হয়ে যারা কথা বলছে তাদের বানিয়ে দিচ্ছেন আজাদের মুরিদ। এইখানেও আপনার নোংরামি আরেকবার প্রস্ফূট, যেটাকে আপনি "যুক্তি" নামে ডাকছেন।

আপনি এসেছেন এই নোংরামি চর্চা করতেই, যুক্তি নিয়ে আপনার মাথাব্যথা নাই। মাথাব্যথা থাকলে, হুমায়ুন আজাদের পক্ষে কথা বলার জন্য তার পক্ষে গোটা দেশের মানুষকে জড়ো করার দরকার হয় না।

আমি ছয় বছর ব্লগিঙের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, যুক্তির নামে এই ছদ্মধান্ধাবাজিগুলোর দায় কেউ নিতে চায় না। এ কারণেই তারা আসে পরিচয় লুকিয়ে। আপনি সেই কাপুরুষদের (নাকি মহিলা কাপুরুষ?) দলে একজন মাত্র। এরপর মন্তব্য করতে এলে, স্বপরিচয়ে একটা মন্তব্য করে দেখাবেন। তবে সেই সাহস আপনার, আপনাদের থাকে না, আমি দেখেছি। আপনারা আজাদের উপর যারা রাতের অন্ধকারে ঘাপটি মেরে হামলা করেছে, সেই বর্গের লোক। বাঞ্চ অভ ফাকিং কাওয়ার্ডস।

আসুন।

mimosaguilosa এর ছবি

শুধুই সাহস দেখানোর জন্য এই কমেন্ট করছি না। আপনার কিছু প্রশ্ন আছে, তার জবাব দেবার জন্য এই কমেন্ট করা।

আপনি জানতে চাচ্ছেন "প্রবল জনপ্রিয়তার বিপরীতে কি যুক্তি কাজ করে না? যুক্তির তো সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজন নেই?" উত্তরঃ করে। কিন্তু আপনার লেখায় সেই যুক্তির অভাব আছে। সে জন্য মানুষ দুভাগে ভাগ হয়ে যাচ্ছে। নইলে কখনই "একজন সর্বজন শ্রদ্ধেও মৃত লেখক-কে নিয়ে হুমায়ুন আহমেদের মন্তব্যটি খুবই অবিনয়ী। আবার এটাও ঠিক যে, হুমায়ুন আজাদও অনাবশ্যকভাবেই কর্কশভাষী ছিলেন।" এমন কথা কেউ বলতে পারতেন না। আজাদের বিরুদ্ধে আক্রমনের প্রতিবাদের প্রতিক্রিয়ায় "আজাদও অনাবশ্যকভাবেই কর্কশভাষী" কথাটি বলা একেবারে অপ্রাসঙ্গিক, এবং এটার উল্লেখ বারবার বারবার ঘটেছে আপনার লেখাটার মধ্যকার কিছু ঘাটতির কারনে।

আপনি এর আগের কমেন্টে বলছিলেন যে - দেশের মানুষ ভিক্টিমের পাশে এসে দাঁড়ালে ভিক্টিম গায়েব হয়ে যান। এখন যখন প্রমান হচ্ছে যে ভিক্টিম গায়েব হন না, তখন বলছেন যে - না হোক, তবু দেশের মানুষের দরকার নেই (তারা কি ক্ষতিটা করেছে আমি জানি না।)।

যুক্তির সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজন নেই, কিন্তু সেটা যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় তাতে কি কোন সমস্যা আছে? আপনার লেখার সেটা পাবার কোন সম্ভাবনা নেই। এখন কথা হচ্ছে আমি যেভাবে বিষয়টাকে উপস্থাপন করছি তার দরকার আছে কিনা, তাতে নিরঙ্কুশভাবে সবাই গিয়ে আজাদের পাশে দাঁড়াবে কিনা। হয়ত দাঁড়াবে। কিন্তু যদি নাও দাঁড়ায়, তবু (নেহাত ছাগু ছাড়া) কেউ হুমায়ূন আহমেদকে সমর্থন দিতে পারবে না। আপনার লেখার যে উদ্দেশ্য (আমি ঠিক বুঝে থাকলে সেটা হল আহমেদের কথার জন্য তাকে effectively ক্ষমা প্রার্থনা করতে বলা), সেটাতো এভাবেই কোনরকম digression ছাড়া সবচেয়ে ভালভাবে হচ্ছে! কিন্তু আপনার সেটা ভাল লাগছে না, আপনি নিজেই যেগুলোকে আগে "শূন্যগর্ভ কথা" বলছিলেন, সেগুলোকেই এখন আপনার জরুরি মনে হচ্ছে! (হতভম্ব!) হুমায়ূন আহমেদকে ক্ষমা চাইতে বলার যুক্তিটা সবার বোঝার দরকার নেই? তার বদলে তারা "লেখক হিসেবে অপর লেখক কে হেয় করার মানসিকতা যদি হুমায়ুন আজাদের থেকে থাকে,তাহলে হুমায়ুন আহমেদ এর থাকবে না এমনটাও মনে করার কোন কারন নেই।" এমন কথাই বলে যাবে?!?! আজাদ আর আহমেদকে একপাল্লায় বারবার চড়ানো হয়েছে আপনার লেখার কারনে। আমি যা বলছি তাতে করে তো সেটা করার সুযোগটা বন্ধ করে দেয়া হয়!

আমার নাম মামুন। অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করার সময় বারবার "this username is in use", বারবার এই মেসেজটা দেখতে হয়, তাই এই অভূতপূর্ব নামটা ব্যবহার করি। বিষয়টা আগের একটা মন্তব্যে ব্যাখ্যা করেছিলাম, বেশি বড় হবার কারনে বোধহয় প্রকাশিত হয় নি। আমি অন্তর থেকে আশা করছি আপনি এবার আমার পরিচয়টা এবং জবাবগুলো পাবেন।

আসি।

হিমু এর ছবি

আপনার কথা শুনে মনে হলো, মানুষ দুই ভাগে ভাগ হয়ে যাওয়ার দায় আমার লেখার, আর আপনার কথামতো হুমায়ূন আহমেদকে পুরো বাংলাদেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে বললে আর মানুষ দুই ভাগে ভাগ হতো না। সবাই সুড়সুড় করে আজাদের পাশে গিয়ে আহমেদকে নিন্দা জানাতো। এই ইউটোপিক অনুমিতির ব্যাখ্যা নাই আপনার লেখায়, শুধু একতরফা অভিযোগ আছে, আমার লেখায় যুক্তি নাই।

যুক্তিকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়ে জাস্টিফাই করার যে নোংরামি আপনি করছেন, সেটা অশোভন আর বিরক্তিকর। সংখ্যাগরিষ্ঠ যুক্তি সমর্থন করলে কোনো সমস্যা আমার নেই, কিন্তু যুক্তিকে দাঁড়া করানোর জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠকে লাব্বায়েক বলানোর কোনো প্রয়োজনীয়তাই নেই। এটাকে প্রয়োজনীয় করে তোলার চেষ্টাটাও অপচেষ্টা। সংখ্যাগরিষ্ঠকে পাশে নিয়ে একজন ভিক্টিমকে যদি নিজের ভিক্টিমত্ব পরিস্ফূট করতে হয়, তাহলে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতই নির্ধারণ করে, কোনটি ঠিক আর কোনটি ঠিক নয়। আজকে যদি অধিকাংশ লোক বলে, হুমায়ূন আহমেদ যা কৈছে ঠিকই কৈছে, সেটা ঠিক হয়ে যাবে?

আপনি ছাগলবলদদের মুখের কথা আমার লেখায় গুঁজে বসিয়ে বলতে চাইছেন, ওগুলির দায়ও আমার। কেন? অন্যের মন্তব্যের দায় আমার লেখা কেন নেবে? যে মন্তব্য করছে, তার সাথে কোনো তর্কে আপনি নেমেছেন? নামেননি, এসেছেন আমার লেখার খোঁচ ধরতে। আপনার উদ্দেশ্য ঐ একটাই, আজাদের কাছে আহমেদের ক্ষমাপ্রার্থনার যৌক্তিকতা আড়াল করা। এটাকে আপনি একটা জেনেরিক চেহারা দিতে চাইছেন অন্যায়টার স্পেসিফিক রূপ ঢাকার জন্যই। এবং চূড়ান্ত অশোভন চেষ্টা করে যাচ্ছেন নিজের মুখের কথা আমার মুখে গুঁজে দেয়ার জন্য।

আপনার বক্তব্য আমি বুঝেছি, এই ফালতু যুক্তির সাথে আমি একমত নই। আমার বক্তব্য আমি পাল্টাচ্ছি না। অনুগ্রহ করে, আসুন।

mimosaguilosa এর ছবি

যেখানে আমি বললাম "মানুষ হয়ত আজাদের পাশে দাঁড়াবে", সেখানে আপনি "সবাই সুড়সুড় করে আজাদের পাশে গিয়ে আহমেদকে নিন্দা জানাবে" এমনটা পড়লেন কিভাবে?!?! সেটাতো দরকার নেই। দরকার কেউ যেন শুধু আবেগের বশে যুক্তির বিপরীতে গিয়ে আহমেদকে সমর্থন না করে। অধিকাংশ লোক সমর্থন করে কোন ভুলকে ঠিক বানাতে পারবে না, কিন্তু তারা যেন ঠিক জিনিশটাকেই ঠিক হিসেবে চিন্তা করে, আমি সেটার জন্য চেষ্টা করি। ঠিক মত বলতে পারলে কেউ বুঝবে না(যদি না ভয়াবহ ego problem থাকে) সেটা আমি বিশ্বাস করিনা। ইউটোপিক চিন্তাটার পিছনে এটাই যুক্তি। আপনি সবাইকে ঠিক জিনিশটাকেই ঠিকভাবে দেখানোর এই চেষ্টাটা পছন্দ করছেন না। আপনি কথা বলবেন আহমেদের ক্ষমা প্রার্থনা নিয়ে, আর সবাই মেতে যাবে "আজাদ বনাম আহমেদ" বিষয়ক "el clasico"তে! সেটা বন্ধ করার কোন উপায় যদি কেউ বলতে আসে তাকে শুনতে হবে বিভিন্ন রকম শিক্ষিত গালাগাল!

আপনার বাকি সবগুলো অভিযোগের জবাব দেয়া আছে কয়েকবার করে।

যাই। ("আসি" বলে যাওয়ার জন্যই বোধহয় বারবার ফিরে আসতে হচ্ছে, আর আসতে চাচ্ছিনা।)

হিমু এর ছবি

আপনার বক্তব্য হচ্ছে, আজাদ আহমেদ কর্তৃক আক্রান্ত, এটা বললে পাবলিক আজাদ ওয়ারিয়র্স আর আহমেদ ওয়ারিয়র্সে ভাগ হয়ে পরস্পর কিলাকিলি করবে। আর গোটা বাংলাদেশ আহমেদ কর্তৃক আক্রান্ত বললে হয়য়য়য়য়য়তো লোকজন আজাদের পাশে গিয়ে দাঁড়াবে, তখন আর কোনো আহমেদ ওয়ারিয়র্স তৈরি হবে না। এইটাকে আপনি নাম দিচ্ছেন "ঠিক জিনিস ঠিকভাবে চিন্তা করা", আর এটাকে বলছেন "যুক্তি"।

গোটা ব্যাপারটা বারংবার ব্যাখ্যার পরও দেখতে পাচ্ছি লোকজন আহমেদের পক্ষাবলম্বনের ছাগলামি থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না। সমস্যাটা আহমেদের বিপরীতে আজাদ আছে নাকি বাংলাদেশ আছে, সেখানে না, আহমেদের অন্ধ ভক্তিতে। আ্পনি এই ব্যাপারটা ধরতে শুধু নারাজই নন, যারা ধরিয়ে দিচ্ছে তাদের আজাদের মুরিদ বানিয়ে দিচ্ছেন।

সবাই কী নিয়ে মাতবে, এটা আমার লেখা দিয়ে কি ডিকটেট করা সম্ভব? আপনি কি মনে করেন, আপনার কথা আমার লেখায় জুড়ে দিলে যেসব মন্তব্য বা "মাতামাতি" বা এল-ক্লাসিকো দেখা গেছে, সেগুলো আসতো না? সেগুলো "বন্ধ করার উপায়" আপনার ফালতু যুক্তি?

কেউ শুধু আবেগের বশে যুক্তির বিপরীতে গিয়ে আহমেদকে সমর্থন করলে, তার দায় কি সে নেবে নাকি পোস্টলেখক নেবে? ছাগলবলদদের আবেগের দায় আপনি আমার ঘাড়ে বারবার নির্লজ্জের মতো চাপাতে আসছেন কেন? আপনাকে তো তাদের কথার বিপরীতে কোনো তর্ক করতে দেখছি না।

যান।

চরম উদাস এর ছবি

এইখানে লোকজন যেভাবে হুমায়ূন আহমেদের আয়াতের ব্যাখ্যা দিচ্ছে, এতো প্যাশন নিয়ে হুজুররাও নারীর অধিকার, জিহাদ বা হিজাব বিষয়ে আয়াতের ব্যাখ্যা দেয় না ইয়ে, মানে... । যতক্ষণ পর্যন্ত সন্দেশ এসে "এই পোস্টে সকল বিষয়ে মতামত এসেছে বিধায় মন্তব্যের সুযোগ বন্ধ করা হল" না বলবে, চুলকানি চলছে চলবে খাইছে

হিমু এর ছবি

কিছুদিন পর এইভাবে শুনবো, আজগর আলি শুনেছেন যে মহব্বত আলি শুনেছেন যে কিছলু খাঁ শুনেছেন যে সুইটি বেগম শুনেছেন যে গোলাম আম্বিয়া শুনেছেন যে উগিবুগি কাগামুরা শুনেছেন যে রহমত চৌধুরী শুনেছেন যে পীরানে পীর দস্তগীর বলেছিলেন যে, লুকজন বড় খ্রাপ!

অতএব লুকজন বড় খ্রাপ। পিরিয়ড।

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

হিমুর মূল বক্তব্যের সাথে সাথে আমি একমত। হুমায়ুন আহমেদ একটি ফলস ডিলেমা পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন তার বক্তব্যে। যে কোনো দৃষ্টিকোন থেকে এটি পরিত্যাজ্য। তিনি ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত এটা নিয়ে যে কোনো সময় তাকে প্রশ্ন করা যায়।

হুমায়ুন আহমেদ অসুস্থ হয়েছেন বলে তার কথাটি মেনে নিতে হবে এটা যেমন গ্রহণযোগ্য নয় তেমনি তিনি অসুস্থ বলে তাকে ক্ষমা চাইতে হবে এটাও যুক্তিযুক্ত নয়। অর্থাৎ অসুস্থ হওয়া কারনটির সাথে "ক্ষমা চাওয়া" ক্রিয়াটির যৌক্তিক সর্ম্পক নেই। এই লেখাটি হয়েছে অনেকটা এমন:

হুমায়ুন আহমেদ অসুস্থ।
তিনি আলুতে ব্যক্তিগত বিষয়ে লিখছেন।
সুতরাং এই সুত্রে তার ডঃ আজাদ বিষয়ে ক্ষমা চেয়ে ফেলা উচিৎ।

যোগসুত্র থাকলেই ফলাফল নির্ণয়ে ভূমিকা নির্ধারণ করা যায় না। ডঃ আহমেদের, ডঃ আজাদ বিষয়ে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ এব্যাপারে কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু লেখাটির যৌক্তিক প্যাটার্ণটি গ্রহণযোগ মনে হয়নি আমার কাছে।

হিমু এর ছবি

হুমায়ূন আহমেদ অসুস্থ হয়েছে, সে কারণে তো তাকে ক্ষমা চাইতে বলছি না। নিজের সন্তানদের নিয়ে তার নাকে কান্না আমাকে আজাদের প্রতি তার আক্রমণের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। আমি প্রসঙ্গটা সামনে এনেছি। এই নাকে কান্না তিনি সুস্থ শরীরে কাঁদলেও ক্ষমা চাইতে বলতাম। সেটা ঘটেনি। ক্ষমা চাইতে বলার পেছনে তার অসুস্থতাকে "কারণ" হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে, এমন মনে হওয়ার কারণ কী?

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

প্রথম প্যারায় জানিয়েছো হুমায়ুন আহমেদ অসুস্থ। দ্বিতীয় প্যারায় বলেছ:

তারপরও আমি একটা অসভ্য কৌতূহল নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের লেখা পড়ি, আর ভাবি, তাঁর ভেতর থেকেও অচেনা সব হুমায়ূন আহমেদ বেরিয়ে আসবে কি না।

অর্থাৎ এই অসুস্থতা তার ভিতর থেকে ক্ষমাটা বের করে নিয়ে আসে কিনা সেটা জানতে তুমি আগ্রহী। (অথচ আমার মতে সুস্থ ডঃ আহমেদ হাঁটু গেঁড়ে ক্ষমা চাইলে যোগ্য ক্ষমা হয়। অসুস্থ, দূর্বল মনে "ভুল" করে ক্ষমা চাইলে গ্রহণযোগ্য হবে কেনো? অবশ্য এটা আমার মতামত।)

ষষ্ঠ প্যারায় লাইনটিকে পড়ে মনে হয়েছে, নিজের সন্তানের দুঃখের কথার পাশাপাশি ডঃ আজাদের সন্তানদের দুঃখ তুলনা করে তাকে রিকনসিডার করতে হবে।

আর খবরের কাগজে নিজের সন্তানদের নিয়ে আনন্দ বেদনার কথা বলার পাশাপাশি, একটু ভাবুন মৌলি আজাদ, স্মিতা আজাদ ও অনন্য আজাদ নামে তিন যুবক যুবতীর কথা।

হিমু এর ছবি

"অচেনা সব হুমায়ূন আহমেদ বেরিয়ে আাসার" সাথে হুমায়ূন আহমেদের ক্ষমা চাওয়া না চাওয়ার সম্পর্ক কোথায়??

আমি তো দ্বিতীয় প্যারাতে পরিষ্কার করে বলেছি, এই পরিবর্তন সম্পর্কে আমার কৌতূহল কোন প্রেক্ষাপটে। সেটা তুমি আরেকবার পড়ে নিও। এর সাথে তো ক্ষমা প্রার্থনার কোনো সম্পর্ক আমি উল্লেখ করিনি।

আমার মনে হচ্ছে তুমি আমার লেখা থেকে কিছু খণ্ডবাক্য তুলে "হুমায়ূন আহমেদ অসুস্থ অতএব তাকে ক্ষমা চাইতে হবে" এই কথাটার পেছনে রেফারেন্স হিসেবে তুলে ধরছো। সেটা করলে আমার লেখাটা ঠিকমত পড়া হচ্ছে না, এই অনুযোগই করবো।

দুঃখ তুলনা করার কথাও আমি বলিনি। অন্যের দুঃখের সাথে সমমর্মী হতে বলেছি। আমার সন্তানের দুঃখ দুই কেজি, অমুকের সন্তানের দুঃখও দুই কেজি, এমন উপলব্ধি জাগাতে চাইনি। হুমায়ূন আহমেদ নিজের বাৎসল্যকে দৈনিকের পাঠকের কাছে তুলে ধরছেন, সেই বাৎসল্য আজাদের সন্তানদের প্রতি মৃদু হলেও যদি প্রযুক্ত হয়, তাহলে তার আচরণ নিয়ে আবার চিন্তার অবকাশ জন্মায়, সেটাই বোঝাতে চেয়েছি।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

খানিকটা মিস ইন্টারপ্রেট করেছি সেটা মানছি। তবে আমার মনে হয় অনেক পাঠক একই ধরণের একটা ভুল ধারণা পেতে পারেন। ক্ষমার কারণটা আরেকটু পরিষ্কার করলে কন্ট্রোভার্সি খানিকটা কমতো।

মৌমাছি এর ছবি

এই লেখার বিষয়বস্তু নিয়ে কথা বললে ভাল হয় না? কেন শুধুশুধু অবান্তর কথা কাটাকাটি করছেন, কে বড় কে ছোট এই নিয়ে সবাই? এর মধ্যে ব্যক্তিগত কাদা ছোঁড়া শুরু হয়েছে, অন্যমতকে কবে আমরা সম্মান করতে শিখব কে জানে।আমি নগণ্য পাঠক, অতি আনন্দ নিয়ে দুই হুমায়ুন এর লেখাই পড়ি। দুজনের দৃষ্টিভঙ্গি দুরকম। হতেই পারে, হবারই কথা। এ নিয়ে তর্ক না করে একটা কথাই এ প্রসঙ্গে বলা কি ভাল নয় যে আহমেদ যদি এমন কথা বলে থাকেন তো ভুল করেছেন এবং পাঠক হিসেবে আমাদেরকে তা প্রচন্ড কষ্ট দিয়েছে। যে কোন বিবেকবান মানুষের কাছ থেকে আমরা এতটুকু আশা করতেই পারি যে, যেকোন হত্যাপ্রচেষ্টা তাদের কাছে নিন্দিত হবে, তিনি লেখক হলে তার কাছে দাবিটা আরো বাড়ে। পাঠক অন্ধভক্তের মত না ভেবে একটু যুক্তি দিয়ে ভাবুন, তাহলেই এত কথার প্রয়োজন হয় না।

জাফর ইকবাল এর ছবি

মানুষের অন্তর যখন েলাভ দ্বারা শাসিত হয় তখন সে তার ব্যক্তি, পরিবার এবঙ শ্রেনীর স্বার্থের নানা কেচ্ছা কাহিনী বল্গাহীনভাবে কপচােত থােক। আমাদের এ এক নির্মম পরিহাস যে হুমায়ূন আহমদ'রা তা পারেনি। যেখানে হুমায়ন আজাদ'রা পুরোপুরি না পারলে কিছুটা পেেরছে। যা হুমায়ূন আজাদকে নিয়ে গেছে ভিন্ন মাত্রায়, নিেজর দর্শনে রয়েছে অবিচল আস্তা।

রিফাত এর ছবি

আপনি একটা বিষয় এড়িয়ে গেলেন, হুমায়ূন আজাদ শুধু মৌল বাদের বিরুদ্ধে না, উনি এটা করতে গিয়ে প্রায়শয় ইসলাম কে টেনে এনেছেন। পাক সার পড়ার পর আমার ও মনে হয়ে ছিল একটু কোপায় আসি শয়তান টাকে। এই জন্য আপনি যদি আমাকে মৌল্বাদী বলেন, আমি অবশ্যি মৌল্বাদী। আপনি যদি জামায়াতী আর ইসলাম কে এক কাতারে ফেলে অপমান কয়া শুরু করেন, তার মানে আপনি এই দেশের প্রায় সব মানুষ কেই অপমান করছেন। আর একটা খারাপ কথাও ভাল ভাবে বলা যায়, এই সামান্য কথাটা আপনার মত জ্ঞানী মানুষ বুঝতে পারে নাই হিমু সাহেব।

হিমু এর ছবি

কাঠবলদ রিফাত সাহেব, এইটা তো মগের মুল্লুক না যে আপনার ইচ্ছা হইলো আর একজনরে গিয়া কোপায় আসবেন। আপনার বেশি রাগ হলে আপনি হুমায়ুন আজাদরে শয়তান ডেকে আরেকটা বই লেখেন, কেউ তো মানা করে নাই। লেখার জবাব আপনি কোপায় দিতে চাইলে আপনারে সমাজে চলতে না দেয়াই শ্রেয়। আর সব জামায়াতিই নিজের অপমানরে ইসলামের অপমান বলে চালাতে চায়।

এইবার বলেন, পাকিস্তানরে গালি দিলে আপনার পুটকি জ্বলার কারণ কী? কে রাজাকার আছিল ফ্যামিলিতে? বাপ, চাচা, মামা, দাদা, নানা?

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

ওরে বাবা!
কোন কথার প্রতিবাদ তো কথা দিয়ে দিতে হয় বলেই তো জানতাম।
কথার প্রতিবাদে কাউকে কোপানোর মনবৃত্তি তো অসুস্থ মনের পরিচয়।
রিফাত সাহেব,
দ্রুত মানসিকভাবে সুস্থ হয়ে উঠেন, এই কামনা করি।
সবাই বলে, আমীন।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।