অবসরপ্রাপ্ত পাকি লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাদের আলির একটি আর্টিকেল দৈনিক প্রথম আলোতে অনুবাদ করেছেন বাংলাদেশের অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর ইসফাক ইলাহী চৌধুরী। গত বারোই ডিসেম্বর লেখাটি [১] সম্পাদকীয় পাতায় প্রকাশিত হয়।
নাদের আলি অবশ্য সচলায়তনের পাঠকদের কাছে নতুন কোনো নাম নয়। সচল সাঈদ আহমেদ তাঁর একটি লেখায় [২] এ বছরের সতেরোই মার্চ ঢাকায় অনুষ্ঠিত একটি ওয়ার্কশপে নাদের আলির নিজের বর্ণনা তুলে ধরেন। প্রথম আলোতে প্রকাশিত অনূদিত লেখাটিতে যা বক্তব্য, সেই একই কথা নাদের আলী সেখানে বলেছিলেন। এ বছরের ২০ মার্চ দৈনিক সমকালে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারেও [৩] তিনি প্রায় একই বক্তব্য দিয়েছিলেন।
কর্নেল (অব.) নাদের আলির বক্তব্যের চমক একটি জায়গাতেই, তিনি ১৯৭১ এ গণহত্যায় অংশগ্রহণকারী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন অফিসার হিসেবে বাংলাদেশীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। যুদ্ধে অংশ নেয়া অন্য কোনো পাকিস্তানী অফিসারদের কাছ থেকে গণহত্যার দায় স্বীকার করে এ ধরনের ক্ষমা প্রার্থনা আগে সম্ভবত আসেনি। দুয়েকজন পাকিস্তানী অফিসার এই গণহত্যায় অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়ে শাস্তির মুখোমুখি হয়েছিলেন, কিন্তু সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী আর কেউ ক্ষমা চায়নি।
আলি নিজেকে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর অফিসার হিসেবে দোষী বলে স্বীকার করছেন, কিন্তু তাঁর দাবি, তিনি নিজে কোনো নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা বা অত্যাচার করেননি। তাঁর দায় বাহিনীর অংশ হিসেবে বাহিনীর অপরাধের দায় পর্যন্তই। যুদ্ধের কিছু পরিস্থিতির বর্ণনা তিনি দিয়েছেন, সেখানে তাঁর সহকর্মীদের কীর্তিকলাপের কিছু নমুনা তুলে ধরা হয়েছে।
কর্নেল আলির এই ক্ষমাপ্রার্থনাবাচক লেখাটিকে সাঈদ আহমেদ উল্লেখিত ওয়ার্কশপের লিখিত বক্তৃতার স্ক্রিপ্টের অনুবাদ বলেই মনে হয়। ডিসেম্বর মাসে আলি স্বতপ্রণোদিত হয়ে আবার নতুন করে একে ডেইলি স্টার বা প্রথম আলোতে পাঠিয়েছেন কি না, আমি জানি না। যদি পুরনো লেখারই অনুবাদ হয়ে থাকে, যদি তারা ডিসেম্বর মাসে মিডিয়ার মুক্তিযুদ্ধ মৌসুমে লেখাটিকে সমাধি থেকে তুলে এনে ছাপিয়ে থাকে, তাহলে আমাদের ধরে নিতে হবে, ১৯৭১ এর জন্যে পাকিস্তানিরা অনুতপ্ত, এমন একটি আবহ এই পত্রিকাটি তৈরি করতে চাইছে। এই চেষ্টা নতুন কিছু নয়, মেহেরজান শিরোনামের চরম জঘন্য একটি চলচ্চিত্রের নির্লজ্জ প্রোমোটিঙের কাজে তারা ঘরোয়া ও পোষা বুদ্ধিজীবীদের দিয়ে "পাকিরাউ ভালু" প্রোপাগাণ্ডা চালিয়ে আসছে বছরের শুরু থেকেই। পাকিরাউ ভালু, তার সাথে আলু --- এই অনুচ্চারিত স্লোগানকে আমরা মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন প্রবন্ধ আর খবরের মাঝে বিভিন্ন লাইনের ফাঁকফোকরে ছায়া-বক্তব্য হিসেবে দেখি।
কর্নেল নাদির আলি সমকালকে দেয়া সাক্ষাৎকারে [৩] জানাচ্ছেন, তিনি যখন একাত্তরের এপ্রিলে যুদ্ধে নামেন, তখন তিনি তরুণ, ক্যাপ্টেন থেকে মেজর পদে উন্নীত হয়েছেন কেবল। প্রথম আলোকে দেয়া সাক্ষাৎকারে [১] তিনি বলছেন, একাত্তরের সেপ্টেম্বরের শেষে তিনি কর্নেল (লেফটেন্যান্ট কর্নেল) পদে উন্নীত হন। আর সব সাক্ষাৎকারেই তিনি বলছেন, তিনি কোনো গণহত্যায় অংশগ্রহণ করেননি, নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা বা অত্যাচার করেননি।
হয়তো কর্নেল আলি সত্য কথাই বলছেন, কিন্তু আমার বিনীত জিজ্ঞাসা, কমাণ্ডো বাহিনীর অধিনায়ক হয়ে কোনো গণহত্যা বা নিরস্ত্র মানুষ হত্যা/অত্যাচার থেকে বিরত থেকে, কী করে তিনি মেজর থেকে চটজলদি লেফটেন্যান্ট কর্নেলে পদোন্নতি পেলেন? পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে পাঞ্জাবি অফিসারদের পদোন্নতি একটু তাড়াতাড়িই হতো এবং এখনও হয়, কিন্তু তাই বলে এতো দ্রুত? ঊর্ধ্বতনদের দেয়া গণহত্যার আদেশের প্রতিবাদ করতেন বলে আলি জানিয়েছেন, সাঈদ আহমেদের লেখা [২] থেকে আমরা জানি, একদিন তিনি প্রতিবাদ জানাতে ধুতি পরেও কর্মস্থলে হাজির হয়েছিলেন। এইসব করে কি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীতে ১৯৭১ এ মেজর থেকে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে প্রমোশন পাওয়া সম্ভব?
আমি সংকোচ ছাড়াই বলতে চাই, কর্নেল আলির কথা আমি বিশ্বাস করি না। আমি মনে করি, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অংশ হিসেবে তিনিও গণহত্যায় অংশ নিয়েছিলেন। এই কথা স্বীকার করলে হয়তো তাঁর সমস্যা হতে পারে, কিংবা তিনি নিজের মানসিক শান্তির জন্যেই হয়তো এই আত্মপ্রবঞ্চনামূলক ফ্যান্টাসিকে সত্য বলে জানছেন। তাঁর ক্ষমাপ্রার্থনার আন্তরিকতা নিয়ে আমি কোনো প্রশ্ন তুলছি না, কিন্তু নিজেকে গণহত্যা থেকে বিযুক্ত একজন অফিসার হিসেবে যেভাবে তিনি উপস্থাপন করছেন, সেটি সঠিক নয় বলে আমি মনে করি। মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিকথায় আমরা তাঁর ইউনিটের কীর্তিকলাপ সম্পর্কে অবগত হতে পারবো হয়তো।
কর্নেল আলি দাবি করছেন, তিনি পূর্ব পাকিস্তানে সংঘটিত গণহত্যা দেখে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে উন্নীত হয়ে পশ্চিম পাকিস্তানে ফেরার পর পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন, স্কিটসোফ্রিনিয়ায় আক্রান্ত হন এবং ১৯৭৩ সালে মানসিক প্রতিবন্ধী হিসেবে সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি পান। এর পর তিনি নিজেকে একজন কবি ও গল্পকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন ধীরে ধীরে।
কর্নেল আলির প্রতি আমার আরো একটি বিনীত জিজ্ঞাসা, আপনি এই চারটি দশক কোথায় ছিলেন? সমকালের সাক্ষাৎকার [৩] থেকে জানতে পারি, ২০০৭ সালে তিনি বিবিসি উর্দু সার্ভিসে পূর্ব পাকিস্তানের গণহত্যার বিবরণ তুলে ধরেন। এর আগে তিনি এ বিষয়ে সোচ্চার হয়েছেন বলে আর কিছু আমরা জানতে পারি না।
তাহলে কি ধরে নেবো, পাকিস্তানে জিয়াউল হক আর বাংলাদেশে জিয়াউর রহমান-এরশাদের শাসনামলে এ নিয়ে কথা বলার কোনো প্রয়োজন অনুভব করেননি এই পাঞ্জাবি কবি ও গল্পকার? পাকিস্তানে বেনজীর ভূট্টো আর বাংলাদেশে খালেদা জিয়ার শাসনামলেও তিনি মুখ খোলার দরকার মনে করেননি? পাকিস্তানে নওয়াজ শরীফ আর বাংলাদেশে শেখ হাসিনার আমলেও তিনি মুখ খোলার সাহস পাননি? পাকিস্তানে পারভেজ মুশাররফ আর বাংলাদেশে খালেদা জিয়া-নিজামীর শাসনামলেও তিনি মুখ খোলা সমীচীন মনে করেননি? তিনি সোচ্চার হলেন কেবল মুশাররফের ক্ষমতার অস্তগমনের সময়, ২০০৭ এ এসে, যখন বাংলাদেশে গদি থেকে আলির একসময়ের যুদ্ধ-ময়দানের সহায়তাকারীরা নেমে পড়েছে?
কিংবা হয়তো খামোকাই এই প্রশ্ন করছি আমি। পাঞ্জাবে হয়তো শুধু কবি আর গল্পকারের চাহিদাই আছে, নিজেদের অপরাধ নিয়ে কথা বলার মানুষের চাহিদা নেই। পাঞ্জাবিরাই তো বালুচিস্তান আর বাংলাদেশের কসাই টিক্কা খানকে নিজেদের গভর্নর হিসেবে পেয়েছিলো। কর্নেল আলি বলছেন, পাঞ্জাবে নাকি আরো বহু মানুষ তাঁর মতোই লজ্জিত। এই লজ্জিত মানুষগুলিকে খুঁজে বের করতে না পেরে সেই কুমীরশাবকের মতো কয়েকটি মুখকেই বাংলাদেশের মানুষদের সামনে তুলে ধরার মহান মিশনে নেমেছে উটপাখির আদর্শে বলীয়ান প্রথম আলো। তারা কখনও আসমা জাহাঙ্গীর, কখনও হামিদ মির, কখনও নাদের আলিদের খুঁজে এনে দুঃখ প্রকাশের লেখা ছাপায়, ক্ষমা প্রার্থনার লেখা ছাপায়। আর বলতে চায়, পাকিরাউ ভালু। এই পাকিরাউ ভালু ছায়া-স্লোগানের নিচে আড়াল হয়ে যায় ক্রমাগত রাষ্ট্রীয় ক্ষমা প্রার্থনায় অস্বীকৃতি জানিয়ে আসা পাকিস্তান রাষ্ট্রের চেহারা। প্রথম আলোর উটপাখি চোখে ধরা পড়ে না যা, তা ছাপা হয় দৈনিক সমকালে, ১৫ মে, ২০১০ সালের খবরে [৪]।
পাকিস্তানের অন্তর্জ্বালা!মুক্তিযোদ্ধাদের নামে গুলশানে দুটি রাস্তার নামকরণের প্রতিবাদ জানিয়েছিল ইসলামাবাদ
আবদুল মজিদ
গুলশানে পাকিস্তান হাইকমিশন সংলগ্ন দুটি সড়কের নামকরণ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে হওয়ায় পাকিস্তানের দারুণ গাত্রদাহ হয়েছে। অন্তর্জ্বালা অন্তরে না রেখে ইসলামাবাদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামে রাস্তার নামকরণের আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ পর্যন্ত জানিয়েছে। পাকিস্তান মনে করে এটি বাংলাদেশের 'উদ্দেশ্যমূলক ও উস্কানিমূলক' কাজ। পাকিস্তান ২০০৮ সালের ১২ অক্টোবর প্রতিবাদ জানালেও দুই দেশের সরকার এতদিন তা গোপন রেখেছিল। সে সময় ইসলামাবাদে বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনারকে তলব করে প্রতিবাদপত্র হস্তান্তর করে পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আমরা অনুভব করি, পাকিস্তান রাষ্ট্রের মনোভঙ্গি ১৯৭১ থেকে এক চুল পরিবর্তন ঘটেনি। একটা দুইটা নাদের আলি ক্ষমা চাইতে পারে, সেই ক্ষমা প্রার্থনাকে আমরা স্বাগতও জানাবো, কিন্তু সেই ক্ষমা প্রার্থনার গণ্ডি নিতান্তই ব্যক্তির পরিসরে সীমাবদ্ধ। প্রথম আলো চায় পাকিস্তানকেই নাদের আলি হিসেবে উপস্থাপন করতে। আমরা নাদের আলির মধ্যে পাকিস্তানকে দেখতে পাই না, শুধু নাদের আলিকেই দেখি।
দৈনিক সমকালে দেয়া সাক্ষাৎকারে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তাদের বিচারের বিষয়ে কর্নেল আলির পাকিস্তানি সেনাকর্তার পরিচয়টি কবি ও গল্পকারের চামড়া খুলে বেরিয়ে এসেছে। পত্রিকার ভাষায় [৩],
পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নত করতে গেলে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত সদস্যদের বিচারের বিষয়টি সামনে আসবে উল্লেখ করায় সাবেক কমান্ডো কর্নেল এ ব্যাপারে সরাসরি উত্তর না দিয়ে বলেন, অভিযুক্ত অনেকেই এখন মৃত। এ ব্যাপারে বিস্তারিত তার জানা নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তবে তিনি সে সময়ের ঘটনাবলির জন্য পাকিস্তান সরকারের আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করা উচিত বলে মনে করেন।
অর্থাৎ, নাদের আলির চোখে পৃথিবীতে শুধু গণহত্যা চলতে পারে, আর সেই গণহত্যার জন্যে ক্ষমাপ্রার্থনা চলতে পারে, অপরাধীদের বিচারের স্থান নাদের আলির বিবেচনায় নেই। আমাদের উটপাখি দৈনিকটিও পাকিস্তানের দুঃখী চেহারাটিকেই নাদের আলি-হামিদ মিরদের ডেকে এনে বড় করে দেখাতে আগ্রহী, তার ক্ষমা প্রার্থনায় অনাগ্রহী বিচারে বিরোধী চেহারাটিকে আড়ালে রেখে।
আর লেখার মাঝে কর্নেল আলি মৃদু কিন্তু পরিষ্কারভাবে দাবি করেছেন, বাংলাদেশে মৃতের সংখ্যা বাড়িয়ে বলা হয়। কর্নেল আলির দেশের লোকজন হামুদুর রহমান কমিশন নামে এক হাস্যকর চ্যাটের বালের কমিশন গঠন করে মৃতের সংখ্যা নিরূপণ করেছিলো মাত্র ছাব্বিশ হাজার, যেখানে কেবল পঁচিশে মার্চের ক্র্যাকডাউনেই মৃতের সংখ্যা পঁয়ত্রিশ থেকে ষাট হাজারের মধ্যে হবে বলে অনুমান করেন বিদেশী সাংবাদিকসহ ঢাকাবাসীরা। হামুদুর রহমান কমিশন যখন কাজ চালায়, তখন টিক্কা খান ছিলো পাকিস্তানের সেনাপ্রধান, কমিশন টিক্কার নামে কোনো অভিযোগই তোলার সাহস পায়নি। কর্নেল নাদের আলিরা বাংলাদেশে এসে বাংলাদেশীদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার সঙ্গে বলতে চায়, গণহত্যায় নিহতের সংখ্যার হিসাব আমাদেরটা ভুল, তাদেরটা ঠিক।
ব্যক্তিগতভাবে, কর্নেল আলি, আপনাকে আমি ক্ষমা করছি না। আপনি বাংলাদেশে সভা-সেমিনার কম করে সেগুলো পাকিস্তানে বেশি করুন, পাকিস্তানের বর্তমান প্রজন্মকে জানান পাকিস্তানের অতীত অপকর্মের কথা। আপনি পাঞ্জাবের কবি, ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত পাঞ্জাব বাংলাকে অর্থনৈতিকভাবে চুষে খেয়েছে, তার জন্যে পাঞ্জাবিদের লজ্জিত হতে উদ্বুদ্ধ করুন। পাকিস্তান আমাদের কাছে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ক্ষমা প্রার্থনা করুক, আমাদের ক্ষতিপূরণ দিক, যুদ্ধাপরাধী সেনাকর্তা ও যুদ্ধে মদদ দানকারী বেসামরিক আমলাদের বিচার করুক, তারপর কর্নেল সাহেব, আমরা বিবেচনা করে দেখবো, আপনাদের ক্ষমা করা যায় কি না।
আমার এই লেখাটি শেষ করছি কবি ফয়েজ আহমদ ফয়েজের কবিতার কয়েকটি লাইনের ওপর মূত্রত্যাগ করে:
কব নজর মেঁ আয়েগি সবজকি বাহার
খুঁন কে দাঁগে ধুলায়ে তো কিতনা বারসাতোঁ কে বাদ
হামকো কাহতে তেরে আজনাবি ইতনি মুলাকাত কে বাদ।’
এই লাইনগুলো আপনি বা দৈনিক প্রথম আলো বা মেহেরজান, আপনারা যতবারই উর্দু-বাংলা-ইংরেজিতে আওড়ান না কেন, লাভ নাই। কবিতা আউড়ে হাত থেকে রক্তের দাগ মোছা যায় না। আপনি আমাদের বড় হতে বলছেন কর্নেল সাহেব, বলছেন আসুন সব ভুলে একে অন্যের পাশে দাঁড়াই, কিন্তু আমরা আর কত বড় হবো? আপনাদের আগে মানুষ হতে হবে।
তথ্যসূত্র:
[১] "একাত্তরের ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে আমি মাফ চেয়ে নিচ্ছি’", দৈনিক প্রথম আলো
[২] "একজন নাদির আলি এবং পাকিস্তানে কাউন্টার ন্যারেটিভ", সচলায়তন
[৩] "গোলাম আযম-ফ কা চৌধুরীরা মুক্তি বাহিনী আ'লীগ ও হিন্দুদের হত্যার তাগিদ দিত", দৈনিক সমকাল
মন্তব্য
"পাখাপোমাচু"
প্রথম আলোতে লেখাটি পড়ার পর মনে হয়েছিল আপনি এটা নিয়ে লিখবেন। আমি একাত্তুরকে কাছে থেকে দেখেছি।নাদের আলির কথা আমার একদম বিশ্বাস হয়নি।
আপনার বক্তব্যের সাথে একমত।
গোলাম আযমের বিচারে এই লোকরে রাজসাক্ষী করা যায় কিনা?
আলুর আর্টিকেলের নীচে লেখা "অনুবাদ: এয়ার কমোডর ইসফাক ইলাহী চৌধুরী (অব.)" কিন্তু কোথা থেকে অনুবাদ সেটা বলা নাই। লেখাটা পড়ার পরেই সাঈদ ভাইয়ের ব্লগের কথা মনে পড়ছিল, মনে হচ্ছে, দুই লেখার সূত্র অভিন্ন
পাকি রা মানুষ হবে না। আর এদের দোসর দের দেখলে নিজের উপরেই ঘৃণা লাগে। মনে হয় এইসব লেখালেখি কথাবার্তা বলে কোন লাভ নাই। এদের কয়েক্টাকে নিয়ে মরতে পারলেও শান্তি। আপনার লেখার জন্য ধন্যবাদ জানবেন।
রাস্তাঘাটে চরে বেড়ানো পাকি ধরে এনে বলবে "এইতো দ্যাখো, সরি বলছে" আর মেনে নিবো- এই সব পাড়ার ঢিল মারামারিতে চলে, দুইটা দেশের মধ্যে, বিশেষ করে ক্ষতিপুরণের আর গনহত্যার বিচারের ব্যাপার যেখানে জড়িত, সেখানে না। এক সিন্ডি শিহানের জন্য যেমন ইরাকে করা আমেরিকান অন্যায় ভুলে যাওয়া যায় না, তেমনি নাদের আলি আর পাদের আলির কথায় পাকি অন্যায় ভোলা যাবে না। গনহত্যার বিচারের জন্য জন্য ইসরায়েল দরকার পড়লে অন্যদেশের আইনকে কলা দেখিয়ে নাৎসি ধরে এনেছে, এক শিন্ডলার ভালো ছিলো বলে রিকনসিলিয়েসনের গুয়ে পা দ্যায় নাই। সরি হিমু ভাই, আপনার লেখায় এইসব কথা নিজেই বলেছেন, কিন্তু দেখিয়া শুনিয়া ক্ষেপিয়া গিয়াছি, যাহা আসে কই মুখে।
আপনার কথা খুব ই ভাল লেগেছে। শাবাশ !
আংরেজি লেখক নাঈম মোহাইমেন কিন্তু এই ব্যাপারে আফসোস কর্ছেন। কারণ নাদের আলি কিংবা ফয়েজামেদফয়েজের মতো মানবদরদীদের কথা শর্মিলা বসুর 'ডেড রেকোনিং' এ নাই। কি দুঃখ! কি দুঃখ!
Bose’s interviews and citations fail to include Pakistanis who spoke out against army atrocities, not even mentioning the 40 Pakistanis who were awarded honours by the Bangladesh government for their role in speaking out in 1971. Dissident voices included lt gen Sahabzada Yaqub Khan and major Ikram Sehgal (both of whom resigned from the army in protest), air marshal Asghar Khan, Baloch leader Mir Ghaus Bazinjo, NAP leader Khan Abdul Wali Khan, advocate Zafor Malik, journalists Sabihuddin Ghousi and I A Rahman, professor M R Hassan, Tahera Mazhar, Imtiaz Ahmed, as well as those jailed for dissenting views on 1971, including Sindhi leader G M Syed, Malik Ghulam Jilani, poet Ahmad Salim and Anwar Pirzada of the Pakistan air force. Bose blanks out the work of colonel Nadir Ali, who reported verbatim his commanding officer’s instructions: “Kill as many bastards as you can and make sure there is no Hindu left alive… Kill the Hindus. It is an order for everyone.”She does not engage with the dissident poetry of Shaikh Ayaz, Habib Jalib, Ajmal Khattak, and Faiz Ahmed Faiz’s iconic Stay Away From Me: Bangladesh I (“How can I embellish this carnival of slaughter,/how decorate this massacre?”) and Bangladesh II. There is also no mention of feminist voices such as Nighat Said Khan, and Neelam Hussain.
'পাকিরাউমানুষ' ভাবনায় কাত হয়ে নাঈম সাহেব হালকা ভুলও কর্ছেন। শাহাব্জাদা ইয়াকুব খানের কথা কিন্তু বসুর বইতে আছে। বইয়ের শুরুতে শর্মিলা বলেছেন- প্রায় তিন ডজন পাকিস্তানি সেনা (যারা বাংলাদেশ যুদ্ধ করতে গিয়েছিল) তার সাথে কথা বলতে রাজি হয়েছে। বইয়ের শেষে তেত্রিশ জনের নাম দেয়া আছে। সেখানে শাইখা-র নাম আছে।
নাঈমের দুঃখে কাতর হয়ে ইয়াসমিন সাইকিয়া তাঁর সম্প্রতি প্রকাশিত বইতে (Women, War, and the Making of Bangladesh: Remembering 1971) নাদের আলির কথাবার্তা বেশ জায়গা জুড়ে লিখেছেন। একাত্তরের বাংলাদেশের নারীদের ওপর নেমে আসা ধর্ষণের বিবরণ বইতে আছে। বিহারি নারীদের ওপর নেমে আসা অত্যাচার/ধর্ষণের কথাও সমান পাল্লায় মেপে উল্লেখ করেছেন। শর্মিলা বসু সূত্র (ধর্ষণ-হত্যা-খুন দুই পক্ষই করেছে। কেউ একটু কম কেউ একটু বেশি- এই আর কি!) ইয়াসমিন সাইকিয়া খুব একটা দ্বিমত করেন না বলে মনে হচ্ছে।
ইয়াসমিন সাইকিয়ার বই থেকে নাদের আলির অংশটুকু স্ক্যান করে তুলে দিলাম। নাদের আলি কখন কি কয়, আর আলু কি ছাপে তার একটা তুলনা করা যাবে।
ইতিহাসের সত্যভাষণে (???!!!) সাহায্য করার জন্য পাকিস্তানিদের প্রতি ইয়াসমিন সাইকিয়ার বিনম্র কৃতজ্ঞতা দেখুন এখানে।
"বইয়ের শুরুতে শর্মিলা বলেছেন- প্রায় তিন ডজন পাকিস্তানি সেনা (যারা বাংলাদেশ যুদ্ধ করতে গিয়েছিল) তার সাথে কথা বলতে রাজি হয়েছে। "
এই লাইনটিকে যদি এভাবে পড়া যায়:
বইয়ের শুরুতে শর্মিলা বলেছেন- প্রায় তিন ডজন পাকিস্তানি সেনা (যারা বাংলাদেশ যুদ্ধ করতে গিয়েছিল) তার সাথে বিছানায় যেতে রাজি হয়েছে।
সচলে কোন ভাগ্যগণক নাই? কিংবা পলের মতন কেউ যার থেকে আমরা মতিউরের ভবিষ্যত সম্পর্কে জানতে পারি? লোকটা যে আসলে কী এখনও বুঝলাম না।
...........................
Every Picture Tells a Story
পাকিস্তানের শুয়োর আর বাঙলাদেশের নব্য শুয়োরদের মধ্যে আমি কোন পার্থক্য পাই না। আফ্রিদিরে বিয়া করার জইন্যে যহন প্লাকার্ড লইয়া মাঠে যায় তখন খালি কইতে ইচ্ছা করে, আমরাও পারি!
আর এইসব ক্ষমা প্রার্থনা ফালতু জিনিস। আকাম কইরা ক্ষমা প্রার্থনায় আমি বিশ্বাসী না। আর ঐসব আকাম যদি ৭১র মতন ম্যাসিভ স্কেলে হয়। বাঙলাদেশের উচিত ছিল পাইক্কাগো লগে সবরকম সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করা। না আমগোর শুকরশাবকেরা(রাজনীতিবীদেরা) স্বীকৃতি দেওয়া সত্বেও ইসরাইলের লগে সম্পর্ক রাহে নাই। রাখছে পাইক্কাগো লগে।
বাঙলি জাতির জাতিসত্বার মইধ্যেই সমস্যা আছে। এইডা কেউ মানুক আর মানুক। ইতিহাস এইডাই সাক্ষি দেয়।
পাখাপোমাচু
এদের সাহস দেখে তো অবাক হতে হয়!!! আমার দেশের বীরদের নাম পুরো দেশ জুড়ে থাকবে,ওরা আপত্তি করার কে??? আর,এই আপত্তি এতো ধামাচাপা দেওয়ার মানেই বা কী???
নাদের আলিদের বড় করতে গিয়ে নিজের গলাটা যে বালির মধ্যে সেঁদিয়ে যাচ্ছে সে খেয়াল আছে প্রথম আলোর?
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
হ, খেয়াল আছে ?
facebook
জটিল মন্তব্যরে ভাই!
নাদেরদের ক্ষমাপ্রার্থনার মুখে আমি মূত্রত্যাগ করলাম... ৪০ বছর পরে আসছেন ক্ষমা চাইতে
আমিও ভাই আছি আপনার লগে.........।।
কোন পাকিদের আর তাদের সমর্থকদের ক্ষমা করতে পারে না বাংলাদেশ। যারা ক্ষতিগ্রস্থ সেই সময়ের তারা কি পারবে ক্ষমা করতে? আমার নানী পারবে তার তিনটা ছেলে মেয়ের হত্যাকারীদের ক্ষমা করতে? একটা পরিবারের সব কিছু যেই রাজাকাররা লুট করেছে তাদের কি করে ক্ষমা করে কেউ? আমার নানী ঘৃণা করেছে সারা জীবন কিন্তু বিচার পাননি। আমার মা ঘৃণা করে যাচ্ছেন এখনো বিচার চোখে দেখেননি। আমি দেখবো কিনা জানি না। সেই সময়ের অত্যাচার নির্যাতনের সাক্ষী আমাদের পরিবার। তাই এখন পাকিরাউ ভালু শুনলে গা কেমন গুলিয়ে যায়। চিৎকার করে বলতে ইচ্ছা করে এ কেমন দেশ আমাদের? নিজের মা বোনের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে বলে পাকিরাউ ভালো?
বেহায়া, বেশরম যে!
তাই "নিজের মা বোনের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে বলে পাকিরাউ ভালো" !
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
পাকালু'র স্বপ্নদোষ সীমা ছাড়াচ্ছে!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
নাদের হোসেনরা কি বলে তাতে আমাদের কিচ্ছু আসে যায় না। পাকিস্তান জাতটাই এরকম। কিন্তু আমার দুঃখ লাগে তখন, যখন দেখি এদেশের সুশীলবেশী ছাগুরা এদের পশ্চাদ্দেশে তৈল মর্দন করে। এদের মোটিভ কী?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
নাদের দাবী করে যে 'অপারেশন বরিশাল' (২৫/২৬শে মারচ) এর সময় জিয়া ও এরশাদ দুজনেই বরিশালে ছিল ও এই অপারেশনের পরেই তারা দুইজন সেখান থেকে পলায়ন করেছে।
এটা ঘটনা হলে 'ড্রাম উঠে ঘোষনা' থিওরী এবনং '৭১ এর পুরোটা সময় এরশাদ পশ্চিম পাকিস্তানে ছিল' থিওরী - এর দুইটাতেই সন্দেহ বাড়ে।
সুপার লেখা।
আমি যদি কোন কমপ্লেক্স ছাড়াই সোজা মানুষ সোজা চিন্তা করে বলি যে নাদের আলি হয়তো ব্যতিক্রম, কিন্তু উনার ক্ষমা চাওয়ার পর ও কি এত বড় গনহত্যা মাফ করে দিব আম্রা?তাহলে তো শহীদ দের সন্তান্দের কাছে আজিবন আসামী হয়ে থাকব। আর মাফ করার জন্য আমি আপনি কে ? আওয়ামী লীগ, বুদ্ধিজিবি, সেক্তর কমান্ডার্স রাও মাফ করার ক্ষমতা রাখেন না। কেন প্রথম আলো 'উদাহরণ' ফেলে 'ব্যতিক্রম' কে promote করছে। একটা সামান্য পত্রিকাকে এত বড় ম্যানডেট কেউ দেইনি আমরা.........।
ধন্যবাদ হিমু..
পাকিস্থানীরা কোনদিনও তাদের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত না।
একই কাজ তাদের সেনাবাহিনী সুযোগ পেলে আবারও করবে।
প্রথম আলোয় বিজয় মাসে এ ধরনের লেখা ছাপানো সিদ্ধান্ত বিস্ময়কর এবং ক্ষমা অযোগ্য।
এই কর্নেল বাংলাদেশের গনহত্যা দেখে মানসিক রোগ গ্রস্থ হয়েছে এটা আরেক মিথ্যাচার।
এটা সম্ভব না। তার মানসিক রোগের লক্ষন আগেই ছিল, সেটা যখন প্রকাশ হবার তখন হয়েছে। চল্লিশ বছর আগে দেখা কোন গণহত্যার ব্যাখ্যা এখানে খাটে না। কারন তিনি সমীকরনের বীপরিতে ছিলেন, তাকে বেয়োনেটের মুখে দাড়াতে হয়নি; তার অসুখের সুত্রপাত অন্য জায়গায়, যা এই পান্জ্ঞাবী কবি হয়ত বলতে চাইছেন না। আমাদের প্রজন্মের পাকিস্থানীরা মনে করে তারা এখনো আমাদের ধর্মের মাসতুতো ভাই। তারা জানেই না তাদের পুর্বপুরুষদের অপকর্মের কাহিনী। আমার এক সহকর্মী যার নানা চট্টগ্রাম রেলওয়ের কর্মকর্তা এবং তার বাবা বাংলাদেশে পড়াশুনা করেছিল বলে দাবী করে, সে নিজেও জানেনা কি হয়েছে, আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তোমার বাবা কিছু বলেনি , তার মতে তার বাবার একমাত্র স্মৃতিচারণ চট্টগ্রামে থাকাকালীন তাদের শানশওকত।
শুধুমাত্র নির্বোধ না হলে পাকিস্থানী এক আর্মি অফিসারের একাত্তর সম্বন্ধে স্মৃতিচারণ কেউ বিশ্বাস করবে। স্বাধীনতার লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হওয়া, আমদের দেশকে ধ্বংশ করা, আমাদের এই পুর্ব প্রজন্ম স্বাধীনতার ইতিহাসকে রোমান্টিকতার আবরনে ঢাকার একটা বিকৃত কুটকৌশলে নেমেছে। কাজী মাহবুব হাসান (http://kmhb.wordpress.com/)
খবরটা আলুতে দেখার পর প্রথম যে কথা মনে হয়েছিলো তাহলো খান×ীর পোলারা(আলুরা) ব্যাণ্ড এইড এর সাথে মলম ফ্রী দিচ্ছে!
love the life you live. live the life you love.
এই নাদের আলি ক্ষমা চাওয়ার কে? তারে তো আমার আলু পত্রিকার সাজানো দালাল মনে হয়। যেখানে পাকিদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই জানে না তাদের ’'৭১ সালের কীর্তিকলাপ, সরকার থেকে মানুষকে এখনও রাখা হয়েছে অন্ধকারে, সেখানে দুই চারজন ক্ষমাপ্রার্থী (যাদের সাথে পাকালু’র যোগাযোগ সবচেয়ে বেশি) এইখানে সেইখানে মাঝে মাঝে ক্ষমার ধোঁয়া তুলে কি হবে? আমি একটা জিনিস বুঝি না, ক্ষমাপ্রার্থী সবাই পাকালু’তে লেখে কেন?দেশে কি আর পত্রিকা নাই? আর দেশের ভিতরে যেইগুলি আছে, অইগুলিরই তো এখনও ক্ষমা চাওয়ার মানসিকতা তৈরি হয় নাই। গতকালও দেখলাম গোয়াজমের আস্ফালন। সে ১৯৭১ সালে যা করছে তা নিয়ে সে মোটেও লজ্জিত না, বরং সরকার এখন তাদের নিয়ে যা করছে সেটা নিয়ে নাকি সরকারের লজ্জিত হওয়া উচিৎ। এইসব নিয়া আলুর কোনও শব্দ নাই।
_________________
[খোমাখাতা]
ডিসেম্বরের ৯ তারিখে কর্নেল আলির একটা লেখা ছাপা হয়েছে এখানে।
বাংলাদেশ জেনোসাইড আর্কাইভে এই লেখা পোস্ট করা হয়েছে চলতি বছরের জানুয়ারির ৩ তারিখে। সেখানের সোর্স চিবি দিলে এই লিঙ্ক আসে। যদিও উপ্রে ২০১১ সালের ডিসেম্বরের ৯ তারিখ লেখা, কিন্তু কমেন্ট দেখে মনে হচ্ছে এটা আপানো হয়েছে ২০১০ সালের ডিসেম্বরের ১৬-১৭ তারিখের দিকে।
নাদের আলি জানুয়ারিতে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে যে বক্তব্য দিয়েছিল সেটার লিঙ্ক এখানে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে নাদের আলীর পিছলা বক্তব্য-
নাদের কাগু একই কুমীরের ছানা সব জায়গায় পোস্টায় মনে হয়।
নাদের আলী অবশ্যই তার এই মিথ্যাচারের জবাব পাবে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
নাদের আলীদেরকে এভাবেই সবসময় সমুচিত জবাব দেয়া হবে।
আপনি অ্যাটেনবরো হয়ে পাহাড়ে যেয়ে বসে থাকলে এইগুলা দেখবে কে?
পাখাপোমাচু
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
পড়লাম।
নাদের আলি কিছু করেননি।
পাকিস্তান ভালোবেসে তাকে মুক্তিযুদ্ধ শেষ হতে না হতেই প্রমোশন দিয়ে কর্ণেল বানিয়ে দিয়েছিল
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
আরেক কমাণ্ডো অফিসার, তৎকালীন লেফটেন্যান্ট কর্নেল জেড এ খান তার একটি বইতে শেখ মুজিবকে গ্রেফতারের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। সেখানে কোনো নাদের আলির কথা নেই। কর্নেল নাদের আলি শেখ মুজিবকে গ্রেফতারে নিজের অংশগ্রহণের কথা বলে বেড়ান। দুইজনের একজন মিথ্যা বলছেন।
নতুন মন্তব্য করুন