প্রথমে একটা ভিডিও দেখি আমরা। এটি ইতিমধ্যেই বহুলপ্রচারিত, এক গরুচালানীকে ধরে বিবস্ত্র করে লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছে ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফের কয়েক জওয়ান, তার এগারো মিনিটব্যাপী অসম্পাদিত দৃশ্য।
পশ্চিম বাংলার অনন্দবজর পত্রিকায় [১] এই ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ার পেছনে পাকিস্তানী গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের কালো হাত থাকার আশঙ্কা ব্যক্ত হয়েছে। খবর পড়ে নয়াদিল্লির ভাবনা যা জানা যায়, তা হচ্ছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ক্রমবর্ধমান মিষ্টি পড়শীয়া প্রেমের বৃহস্পতি যখন তুঙ্গাভিমুখী, তখন পাড়ার যমদূত মস্তান দাদা হয়ে আইএসআই এই উলঙ্গ চলচ্চিত্র ছড়িয়ে দুটি প্রেমিক হৃদয়কে আহত করার চক্রান্ত চালাচ্ছে। অনন্দবজর যুক্তি হিসেবে সীমান্তের ঐ অঞ্চলে মৌলবাদী শক্তি, বাংলাদেশের ভেতরে দৌড়ের ওপর থাকা জামাত আর কলকাতায় পাকিস্তানী হাই কমিশনার শাহিদ মালিকের আগমনকে তুলে ধরেছে।
কিন্তু অনন্দবজরের রিপোর্টে বিএসএফের এই মারধরের সমালোচনার কোনো গন্ধ নেই, তার ভিডিও ছড়িয়ে পড়া নিয়েই তাদের যত মাথাব্যথা। সুরটা এমন, নাহয় ন্যাংটা করে মেরেছেই, তাই বলে ভিডিও ছড়িয়ে দিবি রে পাগ্লা?
আমরা দুইদিন পরপরই সীমান্তে বিএসএফের হাতে বাংলাদেশী নাগরিকের মৃত্যুর খবর পাই। ভারতীয় পত্রিকায় ছাপা হয় বিজিবি ও বাংলাদেশী চোরাচালানী আর আতঙ্কবাদীদের খবর। ঐসব গোলাগুলি বা মারধরের ভিডিও আমরা দেখতে পাই না বলে দুই বিপরীত মেরুর খবর নিয়ে আমরা নানা হাউকাউ করি। সেই হাউকাউ সামাজিক মিডিয়ার অলিখিত নিয়মে সূচকীয় হারে কমে আসে। একদিন, বড়জোর দুইদিন থাকে আমাদের চোটপাটের আয়ু। তারপর যেই লাউ, সেই কদু।
ভারতীয় সীমান্তসেনারা সবসময় বলে, তারা আত্মরক্ষার জন্যে গুলি ছোঁড়ে। আমাদের র্যাবও ক্রসফায়ারের অজুহাত হিসেবে ঐ কথাই বলে। কাণ্ডজ্ঞানের বলে আমরা এই আত্মরক্ষার অজুহাতকে অবিশ্বাস করতে শিখেছি। গরু হোক আর ফেনসিডিল হোক, সশস্ত্র বিএসএফের সাথে কিশোর-তরুণেরা লুঙ্গির নিচে কামান-বন্দুক নিয়ে চালানের মাল বাঁচাতে যুদ্ধ করবে, এই গল্প বিশ্বাস করি না আমরা। এই ভিডিওতেও আমরা দেখেছি, আরো অনেক লোক গরু নিয়ে নির্বিঘ্নে চলে যাচ্ছে, ধরা পড়েছে এক যুবক। তার লুঙ্গি বিএসএফ আমাদের খুলে দেখিয়েছে, আমরা কোনো অস্ত্রশস্ত্রের আলামত দেখিনি। আত্মরক্ষার জন্যে তাকে ন্যাংটা করে পেটাচ্ছে না বিএসএফ, পেটাচ্ছে বিশুদ্ধ ধর্ষকাম চরিতার্থ করার জন্য। চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে তারা ছয় সাতজন মিলে ফুটখানেক খাটো এক নিরস্ত্র গ্রামবাসীকে উলঙ্গ করে সাপমারা ধোলাই দিচ্ছে।
আমাদের প্রতিক্রিয়া প্রথমেই ধাবিত হয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিকে। ব্লগে-ফেসবুকে দীপু মণিকে খুব তিরস্কার করি আমরা। নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে মহাজোট সরকারকেও একচোট ধুই। ধুই না শুধু নিজেকে। এই কথা সত্য, বর্তমান সরকার ভারতের প্রতি যথোপযুক্ত দৃঢ়তার সাথে বাংলাদেশের স্বার্থ উপস্থাপনে ও চরিতার্থ করতে বিফল হয়েছে বহুবার। কিন্তু সেই বিফলতা নাগরিক হিসেবে আমাদের নিজেদের দায়ভারকে হালকা করে না।
বিএসএফ কি একই ভাবে সীমান্তে কোনো চীনাকে পেটাতে পারবে? কোনো নেপালী বা ভূটানীকে? কিংবা শ্রীলঙ্কার কোনো নাগরিককে নিজের দেশের জমিতে উলঙ্গ করে মারবে? একজন আফগান বা একজন তাজিককে? এমনকি, একজন পাকিস্তানীকে?
আমার ধারণা, তারা তা করবে না। আমাদের দেশের লোককে বিএসএফ এভাবে পেটায় বাংলাদেশীদের ব্যাপারে তাদের সামাজিক ধারণা, প্রশিক্ষণ, নির্দেশনা আর অভিজ্ঞতার ওপর ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে। বিএসএফ বাংলাদেশীদের সমপর্যায়ের মানুষ জ্ঞান করে না। পৃথিবীতে বহু বড় দেশের সাথে ছোটো গরীব দেশের সীমান্ত রয়েছে, সেখানে সীমান্ত রক্ষীরা কিশোরদের গুলি করে মারে না, যুবকদের ন্যাংটা করে পিটায় না। এই মার বিএসএফ গরুচালানীদের দিচ্ছে না, এই মার ভারতের আমলাযন্ত্র দিচ্ছে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের নাগরিককে। যেভাবে আমাদের দেশে কাজের লোক পিটায় কিছু মাদারচোদ আর তাদের বৌ। এই পীড়নের পেছনে সবচেয়ে বড় যে চালিকাশক্তি, সেটা যত না ঘৃণা, তারচেয়ে বেশি তাচ্ছিল্য।
এই তাচ্ছিল্য কি একদিনে তৈরি হয়েছে?
না। এই তাচ্ছিল্য তৈরি হয়েছে দশকের পর দশক ধরে। আমাদের দেশের লোক আজ মার খাচ্ছে আমাদের আত্মসম্মানজ্ঞানের সামগ্রিক অভাবের কারণে। আমরা বছরের পর বছর ধরে নির্বিকারভাবে ভারতের বাজারে পরিণত হচ্ছি আমাদের মোটা চামড়ার কারণে। ভারতের আমলাযন্ত্রের চোখে আমরা গরীব ছোটোলোক, যাদের মূল কাজ ভারতের পণ্য ক্রয় ও ভোগ। না, ভুল বললাম, গরীব প্রতিবেশীও নয়, ভারতের আমলাযন্ত্র আমাদের দেখে বারান্দার নেড়িকুকুর হিসেবে, পান থেকে চুন খসলে যাকে পিটানো বা নিধন করা যায়।
আমরা প্রচুর হাঁকডাক করি, আবার মারলে খবরাছে গোছের হুমকিধামকি দিই, তীব্র নিন্দা জানাই, সরকারকে গালি দেই, মন্ত্রীকে গালি দেই, কিন্তু নাগরিক হিসাবে আমাদের সামগ্রিক, পরিকল্পিত, দীর্ঘমেয়াদী কোনো প্রতিরোধ কি আছে? আমরা কি নাগরিক হিসেবে একজোট হয়ে ভারতের আমলাযন্ত্রকে কোনো সঙ্কেত দিয়ে জানাতে পেরেছি, যে আমরা কুকুর নই, আমরা মানুষ, প্রাপ্য সম্ভ্রম আমাদের দেখাতে হবে?
আমি মনে করি আমরা পারিনি।
আমাদের সিংহভাগ লোক, যারা ফেসবুকে ব্লগে পত্রিকায় টিভিতে চিৎকার করে গলার রগ ফাটাচ্ছে, তারা সকালে ঘুম থেকে উঠে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত ভারতের আমলাযন্ত্রের চোখে বাংলাদেশকে ছোটো করার কাজ করে যাচ্ছে সমানে। আমরা নির্বিকারভাবে ভারতের পণ্য ভোগ করছি, ভারতের সেবা ভোগ করছি, ভারতের টিভি দেখছি, ভারতের সিনেমা খাচ্ছি, নিজেদের ঘরোয়া উৎসবে পর্যন্ত আপাদমস্তক ভারতীয় সাজে সেজে হিন্দি গানের তালে হিন্দি সিনেমায় দেখানো কৌশলে পাছা নাচাচ্ছি। আর ফেসবুকে-হাটেমাঠে বলছি এই সরকার ভারতের দালাল।
ভারতের পণ্য-সেবা-ফূর্তি কিছুই যখন আমরা বিসর্জন দিতে পারছি না, একটা দিন এই ভোগের ঢলে বিরতি দিয়ে কি আমরা ভারতের আমলাযন্ত্রকে একটা সঙ্কেত দিতে পারি, যে আমাদের ন্যাংটা করে পিটানোকে আমরা ভালো চোখে দেখি না?
সোপা-পিপার বিরুদ্ধে উইকিপিডিয়ার ডাকা উইকি বনধের উদাহরণটা দেখুন। সিনেটে সোপা-পিপার প্রতি সমর্থন প্রত্যাহৃত হবে, এমন আভাস পাওয়ার পরও কিন্তু উইকি কর্তৃপক্ষ পিছিয়ে আসেনি, তারা ২৪ ঘন্টার জন্য উইকি বনধ ডেকে অহিংস মৌন প্রতিবাদ জানিয়েছে। এবং তাতে কাজও হয়েছে। সারা পৃথিবী জুড়ে লোকে টের পেয়েছে (মার্কিন আইন প্রণেতারাও), সোপা-পিপার মস্তানি চলবে না।
আমরাও একই কাজ করতে পারি। সারা দেশ জুড়ে আমরা একটি নির্দিষ্ট দিনে ভারতের পণ্য-সেবা-ফূর্তি বর্জন করে হাবিবুর রহমান নামে ঐ গরীব লোকটা, যে আপনার পাতে পরিবেশনের জন্যে গরু আনতে দারাপুত্রপরিবার ফেলে প্রাণ হাতে করে সীমান্ত টপকে ভারতে গিয়েছিলো, তাকে নগ্ন করে পশুর মতো পেটানোর প্রতিবাদ জানাতে পারি।
গরীব মার খায় দেখে আমাদের গায়ে লাগে না, কারণ আমরা নিশ্চিন্তে থাকি, আমরা ভদ্রলোক, আমাদের তো কিছু হবে না। আজ হাবিবুর গরু আনতে মার খেয়েছে, আমরা চুপ করে আছি। কাল আপনি বাবার চিকিৎসা করাতে বা বউকে নিয়ে হানিমুনে যাওয়ার পথে ভারতের মাটিতে একই রকম মার খাবেন না, সেটা বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন?
হাবিবুর রহমান একজন গরু চোরাচালানী, কারণ আপনি গরু খান। হাবিবের উলঙ্গ নিতম্বে লাঠির বাড়িটা আপনার গালেও এসে পড়েছে। টের পান?
মার্চ ১ হোক আমাদের ভারত বনধের দিন। এই দিন আমরা ভারতের কোনো জিনিস কিনবো না, ভারতের কোনো সেবা নেবো না, ভারতের কোনো চ্যানেল দেখবো না। আগের আটত্রিশ দিন আসুন আমরা এই ডাক ছড়িয়ে দিই, সবাইকে জানাই। পরিচিত সবাইকে বলি, নিজেদের আত্মসম্মানের কথা স্মরণ করিয়ে দিই। আমরা কুকুর নই, আমরা মানুষ। আমাদের মানুষের মর্যাদা দিতে হবে। শুধু তা-ই নয়, এখন থেকে সীমান্তে একজন বাংলাদেশীও যদি নিহত বা আহত হয়, আমরা পরদিন বাংলাদেশে ভারত বনধ পালন করবো।
পারবেন? না পারলে প্যান্টের নিচে পাছার চামড়াটা মোটা করুন। কারণ বিএসএফের পরবর্তী ন্যাংটো ভিকটিম আপনিই।
[১] মারের ছবি প্রচারে পাক-হাতই দেখছে নয়াদিল্লি, প্রেমাংশু চৌধুরী, ২০-০১-১২, অনন্দবজর
মন্তব্য
শেয়ার দিলাম। কিছু বলার নাই। সব কিছুই বলে দিয়েছেন। অন্যায় অন্যায়ই হয়...
ডাকঘর | ছবিঘর
লেখাটা খুব ভালো হয়েছে সন্দেহ নাই. কিন্তু আপনার লেখা পরে আমার এমন কেন মনে হচ্ছে যে আপনি খুব রেগে আছেন আর চিন্তা করছেন একটা কিছু করতেই হবে সেটা যাই হোক না কেন যেমন ই হোক না কেন.
আপনার মন্তব্য পড়ে আমার মনে হলো, আপনি তেমন একটা রাগও করেননি, কিছু করতে হবে এমনটাও ভাবছেন না। কী আর করা।
প্রিন্ট করে কপি করে অফিসে সবাইকে দিলাম, এডমিন এর মৃদু আপত্তি ছিল, গায়ে মাখিনি...।
ভাবছি sms করবো সব বন্ধুদের,
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
@এলোমেলো মেঘ , রেগে না যাবার হেতু কি একটু বলবেন ?
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
রেগে থাকার জন্য নিশ্চয় ভাইয়াকে দোষ দেয়া উচিত হবে না। হ্যাঁ, আমাদের কিছু করতেই হবে, সেটা যেভাবেই হোক না কেন। প্রয়োজন এটা
সূচনার।
@এলোমেলো মেঘ
লেখাটা ভালো হয়েছে নাকি খারাপ সেটা কিন্তু বিষয় নয়, বিষয়টা আমরা ধরতে পারছি কিনা সেটাই বিষয়। এটা নিয়ে তো তর্কের কোন অবকাশ নেই। আমাদের মেরুদন্ড বলে যদি এখনও কিছু থেকে থাকে তাহলে তো চিন্তা করাই উচিত যে 'একটা কিছু করতেই হবে সেটা যাই হোক না কেন যেমন ই হোক না কেন'।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
লেখার জন্য ধন্যবাদ আর আহবানে সংহতি হিমু ভাই । ফেবুতে শেয়ার করলাম ।
সীমান্তের ঘটনা নিয়ে রাষ্ট্র চিন্তিত নয়-স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম
বিধায়, আমাদেরই এগিয়ে আসতে হবে । হোক ১ মার্চ ভারত বনধ ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
চমৎকার প্রস্তাব।ক্যাবল অপারেটর ভাইদের বলি আপ্নারাই ইন্ডিয়ান চ্যানেল বর্জনে সর্বাধিক সহযোগিতা করতে পারেন।
শেয়ার দিলাম বস।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
তারপরও আমরা আনন্দ প্রকাশিত বই কিনবো। বাংগাল মুল্লুকে বই বিক্রি না হলে যেই মহান লেখকেরা ধ্বসে যাবে, সেইসব চামারেরা কোন কথা বলবে না তবু আমরা বোচকা ভরে ভরে তাদের বই কিনে বাড়ি ফিরবো...
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
সহমত। সরকারের প্রতিবাদ যখন বিবৃতিতে সীমাবদ্ধ, প্রতিরোধ আসতে হবে আমাদের থেকেই।
আজ মন্ত্রী আমাদের আশ্বস্ত করেছেন...ব্যাপারটা নিয়ে তাঁরা চিন্তিত নন।
যাই মান্দার গাছের লগে ঘষে ঘষে নিজের পিছন দিকটা একটু মোটা করে নিই।
কারণ আমার পাছা নিয়ে আমি বেশ চিন্তিত।
মান্দার গাছের দাল এ কাজ হবে তো??
অন্য ভাল কন উপায় থাকলে বলেন...।।
আমিও আছি
...আজ বানিজ্য মেলায় গেয়েছিলাম | সাথের বন্ধু কোনো কিছু চিন্তা না করেই ভারতের দোকানে ঢুকে যাচ্ছিল, তাকে থামালাম | বললাম, অন্তত: বানিজ্য মেলায়ও যদি এদের দোকান বয়কট করতে পারি আমরা সবাই মিলে, তাহলে হয়ত নিজেদের মাঝেও যাদের এখনো চামড়া খুব বেশি মোটা, তারা লক্ষ্য করবে, পাশের জনকেও নিরুৎসাহিত করবে | পাশেই হাটছিল এক যুগল, তারা ঢুকতে গিয়েও থেমে গেল, কিন্তু আরো ক'জন যুবক বেশ একটা তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে ঢুকে পড়ল | ...আমাদের নিজেদের মাঝেই নব্য রাজাকারের ছড়াছড়ি
সহমত জানাই
...কিন্তু কেবল ১ মার্চ না, বরং আমার সহমত সীমান্তে আর যদি কোনো একজন বাংলাদেশীকেও কোনো বি এস এফ নিহত দুরে থাক আহত পর্যন্ত করে তার বেলা
"মার্চ ১ হোক আমাদের ভারত বনধের দিন। এই দিন আমরা ভারতের কোনো জিনিস কিনবো না, ভারতের কোনো সেবা নেবো না, ভারতের কোনো চ্যানেল দেখবো না। আগের আটত্রিশ দিন আসুন আমরা এই ডাক ছড়িয়ে দিই, সবাইকে জানাই। পরিচিত সবাইকে বলি, নিজেদের আত্মসম্মানের কথা স্মরণ করিয়ে দিই। আমরা কুকুর নই, আমরা মানুষ। আমাদের মানুষের মর্যাদা দিতে হবে। শুধু তা-ই নয়, এখন থেকে সীমান্তে একজন বাংলাদেশীও যদি নিহত বা আহত হয়, আমরা পরদিন বাংলাদেশে ভারত বনধ পালন করবো।
পারবেন? না পারলে প্যান্টের নিচে পাছার চামড়াটা মোটা করুন। কারণ বিএসএফের পরবর্তী ন্যাংটো ভিকটিম আপনিই।"
স্যালুট বস ।
১ মার্চ ভারত বন্ধ । সাথে আছি । শেয়ার দিলাম । আমার এক বন্ধু উপরোক্ত ঘটনা প্রেক্ষিতে বলে --- " বি এস এফ এ পিটাইসে , মাইরা ত ফালায় নাই । এইডা লইয়া এত প্যাঁচালের কাম কি ? শালা , তুমি অবৈধ ভাবে গরু আনবা, ঘুষ ও দিবানা আর পিটাইলে সইতে পারবা না ক্যান ? তোমারে মাইরা ফালায় নাই এইডা তোমার কপাল । সীমান্তের অই পারে অবৈধ ভাবে গেলে ত শুট করার কথা। " আমাদের সেই বন্ধুকে জায়গায় ফেলে আমরা কয়েকজন চলে আসি। চড় দিতে মন চাচ্ছিল তাই । " এমন আত্মসম্মান হীন লোকজনে ভর্তি কেন আমাদের চারপাশটা ?
সংহতি প্রকাশ করলাম।
তবে শুধু এক দিন নয়, অন্তত এক মাসের জন্যে ভারত বনধ চাই। পুরা মার্চ মাস ভারত বনধ ঘোষণা করা হোক।
দু:খের বিষয়, ইদানীং বাস-ট্যাক্সী সব ইন্ডিয়ান। আমার ডেইলী লং ডিসট্যান্স জার্নিতে এগুলো বাদ দেওয়া কঠিন। একসময় কিন্তু ভেহিকলগুলো ইন্ডিয়ান ছিল না। চোখের সামনে এই বাজারটা দখল হয়ে গেল, দায়ী আমরাই। আর স্পোর্টস আর রিয়্যালিটি চ্যানেলগুলোর ইন্ডিয়ান ফিড আসে বাংলাদেশে। এ ব্যাপারেও কিছু করা দরকার। এর বাইরে আর কোন ইন্ডিয়ান প্রোডাক্ট ইউজ করি না।
শুধু ১ টি দিন কেন... ৩৬৫ দিন কেন নয়??? শুধু ভারতীয় পণ্য কেন... অন্য সব দেশের পণ্য কেন নয়???
আমাদের দেশে যা পাওয়া যায়/ উৎপন্ন হয়/ দেখান হয় ইত্যাদি... তার সমতুল্য অন্য দেশের পণ্য কি সারা বছর আমরা বর্জন করতে পারিনা (যতদূর সম্ভব)???
একবার নিজেকে অন্তত প্রশ্ন করতে পারিনা আমরা...... সকালে ঘুম থেকে উঠা থেকে শুরু করে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত কতটুকু দেশী পণ্য আমরা ব্যবহার করি?...কতটুকু দেশী খাদ্য আমরা গ্রহন করি?... কততুকু দেশী ভাষা বা সংস্কৃতির প্রকাশ করি নিজ আচরণে?
স্বদেশ প্রীতি- ভাষা প্রীতি শুধুমাত্র একটি দিনের নয়... একটি মাসের নয়... এটা আমৃত্যু চর্চার বিষয়... চিন্তায়-চেতনায়, চলনে-মননে উপলব্ধির বিষয় !!!
১ দিনের জন্যে আপনার পরিচিত সবাইকে রাজি করান। ৩৬৫ দিনের জন্য করতে গেলে আগে ১ দিন দিয়ে শুরু তো করতে হবে।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
প্রচন্ড ভাবে সহমত।
আমাদের শ্রমিক (পড়ুন ঝাড়ুদার, দোকানদার )'রা মধ্যপ্রাচ্যে কচুকাটা হয়; আমরা মেনে নেই। কুযুক্তি সাজাই, অন্যায় করলে এমনি হয়। এদের রেমিট্যান্স নিতে কিন্তু আটকায় না।
বিএসএফ ঠ্যাঙ্গায়। আমরা ভাবি, 'বেটা গরুচোর'। এই গরুচোর না থাকলে আমরা কোরবানি করে ধর্মোদ্ধার করতাম কেমনে?
একবছর হজ্জ্ব না করলে কি হয়? চুরির পয়সায় আমরা হজ্জ্ব করবো। বেহেশ্তে যাবো। আপনে বাঁচলে বাপের নাম।
আমরা ভারতীয় পণ্য বর্জন করবোনা। কারণ আমরা কোমরভাঁঙ্গা বিনয়ী। আমাদের রসনা লকলকে।
আসেন আমরা ভাতৃত্ত্বের নিদর্শন স্বরূপ পশ্চাদ্দেশের বস্ত্রন্মোচনপূর্বক পরবর্তী লাথি খাওয়ার জন্য অপেক্ষা করি।
১লা মার্চ কেন বুঝলাম না, ১লা ফেব্রুয়ারী থেকেই শুরু হোক...
আমি আপনার প্রস্তাব সমরথন করছি।
সহমত । ফেবুতে শেয়ার করলাম।
এলোমেলো মেঘের কথাটা খুব অদ্ভুত লাগল। এরপরও যে রাগবে না তার হরমোনে সমস্যা আছে বলে মনে করি ।
উচিত শিক্ষা দিতে সবাই Airtel সিম ফেলে দিন। অন্ত:ত ১ তারিখের জন্য হলেও।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
শুধু ১ তারিখের জন্য কেন, এটা ৩৬৫ দিনের জন্য অর্থাৎ পার্মানেন্টলিই ফেলে দেয়া যায়! দেশে কি আর অপারেটর নাই ? অন্য কোন অপারেটরে সুইচ করলে খুব কি অসুবিধা হবে আসলেই? আমার মনে হয় না।
আমার মতে এক্ষুনি চিরতরে ফেলে দেয়ার মত আরো জিনিষ আছে যেগুলি এক্ষুনি বর্জন/বিসর্জন করলে মোটেও ইতরবিশেষ কিছু হবে না। এসব ক্ষেত্রে বন্ধটা ১লা মার্চে সীমাবদ্ধ না রেখে ১-৩৬৫ আমরা করতেই পারি।
****************************************
সঙ্গে আছি
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আমাদের একজন মানবাধিকার চেয়ারম্যান আছে না? মিজানুর রহমান।
এই গরুচোর পিটানোর ঘটনায় উনার অনুভূতি জানতে মনচায়।
হিমু ভাই, মনের কথাগুলো বলেছেন, অনেক ধন্যবাদ। একটু আগে দেখলাম স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেছেন সীমান্তে যা কিছু ঘটছে তা নিয়ে রাষ্ট্র চিন্তিত নয়। সব কাজ ফেলে রেখে শুধু এদিকে দৃষ্টি দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলেও সরকার মনে করে না। আমরা বিন্দুমাত্র প্রতিরোধও দিতে পারি না এটা ভাবলে হতাশা আসে।
হিমু ভাই, ২০১২ এর একুশে বইমেলায় ভারতীয় লেখকদের বই প্রকাশ বন্ধ করলে কেমন হয়? চেষ্টা করে দেখা যায় কি? এরা তো সারাবছর মুখিয়ে থাকে আমাদের মেলায় বই প্রকাশ করবে বলে। যদি বন্ধ করা যেত তাহলে হয়তো এদের মুখ দিয়ে কথা বের হয়ে আসতো। আমাদের দেশের মানুষ ইলিশ খেতে পায় না, অথচ কলকাতার বাবুদের পাতে এর অভাব হয় না।পূজোতে খরচের কথা চিন্তা করে আমাদের ভালো কিছু জোটে না, কলকাতায় কয়েক'শ টন ইলিশ সরকারের পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে যায়। কলকাতার লেখকরা বাংলাদেশে ঘুরে যেয়ে ওখানে বসে এখানকার আতিথেয়তার গল্প করেন, সুস্বাদু খাবারের স্মৃতিচারণ করেন, কিন্তু আমাদের সাথে যে অন্যায়গুলো হচ্ছে প্রতিনিয়ত তা নিয়ে কয়জন দু'কলম লিখেছেন খুঁজে পাওয়া যায় না। একুশে মেলায় বই প্রকাশ বন্ধ হোক, তাঁদের বই কেনা বন্ধ হোক, স্টার প্লাস বন্ধ হোক, শাড়ি-লেহাঙ্গার বাজার বন্ধ হোক অত্যাচারের প্রতিবাদে এবং আরো একটি কারণে, ওই টিভি সিরিয়ালগুলো শাড়ি-লেহাঙ্গার জন্য অপরিমিত বায়না এবং নষ্টামি ছাড়া আর কিছু দিতে পারেনি আমাদের......... হিমু ভাইকে ধন্যবাদ।
বানিজ্য মেলায় ভারতীয় স্টল বর্জনের আইডিয়াটা ভালো।
লেখা শেয়ার দিলাম।
আসুন আসছে বই মেলায় একদিন বা এক সপতাহ ঐ বাংলার বই কেনা বন্ধ করি
সহমত এবং সাথে আছি।
"ভারত বনধ" একটু অদ্ভুত শুনাচ্ছে, মনে হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে আমদানী করা শব্দ। সম্ভবত ওরা হরতাল দিলে বলে "বনধ"। হিন্দিতে বনধ্ বলে একটা শব্দ আছে,বাংলায় কি এই শব্দটি আছে? বয়কটের জন্য অন্য কোন বংলা কি নেই?
প্রয়োজনে বয়কট ব্যবহার , করবো তবু বনধ না।
হ্যাঁ, ওরাই বনধ বলে। সে কারণেই ব্যবহার করা। আর হরতাল যদি বলতে পারেন, বনধ নিয়ে আপত্তি করার কোনো মানে হয় না। হরতাল গুজরাটি শব্দ, বনধ বাংলা।
সহমত।
সাথে আছি।
এবার যশোর সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা
আজকেই তো তবে ভারত-বনধ শুরু হওয়া উচিত...
বানিজ্য মেলাতে ইন্ডিয়ান প্যাভিলিওনের সামনে বিক্ষোভ হোক
শুধু মার্চ ১ না সবদিনই হোক আমাদের ভারত বনধের দিন। ওদের জানিয়ে দেয়া দরকার দিনে দিন বহু বাড়িয়াছে দেনা শুধিতে হয়বে ঋণ।
আজব এক দেশ ভারত, বিশ্বে খুব দেশ আছে যার প্রতিটি প্রতিবেশীর সাথে এমন বাজে সম্পর্ক।
বিএসএফের অন্যায় রুখতেই হবে।
facebook
ভারতীয় পণ্য পরিহার করে এই জঘন্য কর্মের জন্য ভারতীয়দের প্রতি আমাদের ঘৃনা ও প্রতিবাদ প্রকাশ করব, সহমত প্রকাশ করলাম।
কিন্তু এই জাতীয় বক্তব্য যখন নিজেদের দেশের একটি প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রথম সারির কারও কাছ থেকে আসে তার প্রতিবাদে কি করব বলতে পার !!!
একই বিষয় দেখি আমরা বাংলাদেশ-ভারত টিপাইমুখ ইস্যুতে। নিজেদের কোন রকম গবেষনা ব্যাতিরেকে আমাদেরই সন্তানরা আমাদের শোনায়, এ বাঁধ শুধু ভারতের তৈরি করাই উচিত নয়, বাংলাদেশের উচিত ভারতকে চাপ দেওয়া, যাতে বাঁধটি তাড়াতাড়ি তৈরি হয়।
এ সবই আমাদের পররাষ্ট্রনীতির দৌর্বল্যের প্রকাশ। আমরা নিজেদেরকে সমর্পন করেছি অন্যের হাতে, আর তাই আজ আমাদের দেশের নদী ভরিয়ে অন্য দেশের লরি যাবার পথ তৈরী হয়, যেখানে অধিকার জড়িত সেখানে একটি নদীর হিস্যার বিনিময়ে আমরা ট্রানজিট দিয়ে দেবার জন্য বসে থাকি।
কিছুই বলার নেই।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
দিকে দিকে ভাদারা ফেলিতেছে বিষাক্ত নিঃশ্বাস
..... ব্যর্থ পরিহাস।
পিপি আর জাহিদ ভাইয়ের কমেন্টে
"দিকে দিকে ভাদারা ফেলিতেছে বিষাক্ত নিঃশ্বাস"
হুমায়ূন আহমেদ লিখেছেন-"প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিলি্ল গেলেন। কিছু চুক্তি ভারতের সঙ্গে আমাদের হয়েছে। রাজনীতির একটা ধারা গলা ফাটিয়ে চিৎকার শুরু করলেন, বাংলাদেশ শেখ হাসিনা বিক্রি করে দিয়ে এসেছেন। লাভ-ক্ষতি কী হয়েছে আমি জানি না। আমি একটা জিনিসই জানি, বাংলাদেশ বিক্রি হবার না। শেখ হাসিনা কিংবা বেগম খালেদা জিয়া কেউ এই কাজটি করতে পারবেন না। ভারত জুজুর ভয় দেখানোর পুরানো খেলা কেন আমরা এখনো খেলছি?
ক্ষমতাধর যে রাষ্ট্রটি আমাদের পাশে, তার সাহায্য আমাদের ক্ষমতাবান হবার জন্য প্রয়োজন। তারা আমাদের নৌবন্দর ব্যবহার করবে, করুক। বন্ধুত্বের হাত আমাদের অবশ্যই বাড়াতে হবে। সারাক্ষণ 'ভারত সব নিয়ে নিল' বলে চিৎকার-চেঁচামেচির কিছু নেই। আমরা বার্মার মতো রুদ্ধ রাষ্ট্র হতে চাই না।
বলা হয়ে থাকে, একটি দেশের লেখকরা সেই দেশের আত্দা। এটা অনেক বড় কথা, আমি নিজে তা মনে করি না। অনেক দুষ্ট লেখক আছেন, দেশের আত্দা হবার তাঁদের যোগ্যতা নেই। দেশের সাধারণ একজন মানুষ হিসেবে আমি পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি_বন্ধুত্বের যে পথে আমরা এগুচ্ছি সেটাই শুদ্ধ পথ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন।"
সূত্র: ভারত জুজু, হুমায়ূন আহমেদ,কালেরকন্ঠ ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
বিএসএফ এর হাতে বাংলাদেশীরে মার খেতে দেখে আমাদের সবার এতো রক্ত গরম হলো কেন বুঝলাম না? এটাতো কোন অস্বাভাবিক অথবা নতুন ঘটনা না! ঘটনা হল...এবার ভিডিওটা প্রকাশ হয়েছে কোনভাবে...এর চেয়ে খারাপ ঘটনা সীমান্তে সবসময় হচ্ছে!
ওই লোককে লুঙ্গী তুলে যখন পিটালো তখন আমাদের খারাপ লাগছে... আর যখন ডাবল দামের Lays Chips এ কামড় বসাই অথবা ঈদের সময় মাজাক্কালী কিনতে হাজার হাজার টাকা খরচ করি তখন আমাদের দেশপ্রেম কোথায় থাকে? ফেসবুক স্ট্যাটাসে দেশপ্রেম না দেখিয়ে নিজের 'লুঙ্গী আর শাড়ী' সামলানো উচিত।
উলঙ্গ মার আমরা সবাই প্রতিনিয়ত খাচ্ছি, অন্যভাবে। বুঝার সামর্থ্য নাই। আমার চার বছরের ছোট কাজিনটা যখন হিন্দীতে কথা বলে ওঠে তখন তার বাবা-মা'র চোখে তাদের স্মার্ট মেয়ের জন্য যে গৌরবের ঝিলিক দেখা যায় এর চেয়ে বড় অপমান তো উলঙ্গ মার খাওয়া নয়! আমাদের পণ্য তাদের বাজারে যেতে হাজারো বাধা, অথচ হিন্দী সিরিয়ালের মেয়েদের আস্বাভাবিক চমকদার কাপড়-গহনা দেখে আমাদের এক রঙ্গীন চশমা পড়া প্রজন্ম তৈরী হয়। আর ভারতের জন্য তৈরী হয় প্রতিযোগিতাহীন এক খোলা বাজার! বিনা ক্লেশে তাদের পণ্যের মন ভূলানো বিজ্ঞাপন আমাদের মানুষ গিলছে। আর সাংস্কৃতিক আগ্রাসনে আষ্টে-পৃষ্টে বন্দী হয়ে পড়েছি আমরা। সেটা গত বছর শাহরুখ খানের আগমনেই টের পাওয়া গেছে।
নানা কারনে সভ্যতা নিমিষে ধ্বংস হতে পারে, কিন্তু সংস্কৃতিকে ধ্বংস করা এক দীর্ঘ প্রক্রিয়া। আর যদি কোন কারনে সংস্কৃতি ধ্বংস হয় তবে সেই জাতির আর ভবিষ্যত অস্তিত্ব রক্ষা করা যায় না। আমরা মনে হয় সেই প্রক্রিয়ায় আছি... এই নিশ্চুপ বিষক্রিয়ার কাছে হার মানছি সবাই!
আপনাকে স্যালুট এই আহবানের জন্যে। কিন্তু ৭১ এর ধর্ষিতার আত্মচিৎকার বন্ধ হওয়ার আগে যেই জাতি শকুনের হাতে রক্তে কেনা পতাকা তুলে দেয়... তাদের কাছ থেকে এই সামান্য(!) ব্যাপারে সচেতনতা প্রত্যাশা করা বোকামী। খুব শীঘ্রই আমরা নতুন কোন সমস্যা/ঘটনা/অস্থিরতা নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়বো... আবার ভুলে যাব, আবার মার খাব...
আমরা তো ক্ষিপ্ত হতে ভুলে গেছি...
সহমত !
মনে পড়ে খুব ছোটোবেলায় গ্রামে যেতাম। নবান্নের ধানের কারণে চারিদিকে মৌ মৌ গন্ধ । উঠানে মলন মলছে বাড়ির রাখাল। কষ্ট লাগল সেই দৃশ্যটা মনে ওঠায়। মৌ মৌ গন্ধে আর পিঠা খাও্য়ার চিন্তায় আমি সুখ ওনুভব করলেও গরুর চোখে ঠুলি পরিয়ে কি কষ্টটাই না আমরা গরুকে দিয়েছি।চোখে ঠুলি পরে গরু গুলো খুটির চারপাশে ঘুরছে আর ঘুরছে। ওরা ছিল "সিষ্টেমের" বলি।
আজ আমরা রাষ্ট্রের সাধারন নাগরিক। নিজেকে ওই গরুর থেকে আলাদা কিছুই মনে হয় না।
সাথে আছি।
ভারতের পন্য খেয়ে, ভারতের চ্যানেল দেখে, ভারতের পোষাক গায়ে দিয়ে, ভারতের গাড়ি দিয়ে দেশ সয়লাব করার মাধ্যমে যারা প্রতিদিন ভারতকে পাছা মারতে দেন, এই ভিডিওটা তাদের সকলকে দেখানো জরুরী। তবু হুশ হবে কিনা সন্দেহ আছে। নইলে ভারত খালি বাংলাদেশের পাছা মারে কেন আশেপাশে এত দেশ থাকতে? দোষ তো আমাদের পাবলিক আর সরকার দুটোরই। সান্ধ্যা আসরে ভারতের চ্যানেল না দেখে যাদের ভাত হজম হয় না, সেই সব পাবলিকের।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
চীনের কাছে যখন পোঙামারা খায় তখন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রক খানিকটা কেঁউকেঁউ করে, কিন্তু বড়দাদা'কে কিছুই করতে পারে না। তারপর আঘাতপ্রাপ্ত পৌরুষ একটু চাঙা করে নিতে নরমসরম ছোটভাইয়ের উপর একটু হাতের সুখ করে নেয়। শালারা...
বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক ভারত রাষ্ট্রের নরোমসরোম ছূডূবাই মনে হবার কারণটা কি?
সেটা কি আপনি জানেন না? আপনি বরং এ বিষয়ে আমার চেয়ে বেশি খোঁজখবর রাখেন বলেই মনে হয়। পাওয়ার-এর তারতম্যই তো 'ভাই'দের পেকিং অর্ডার ঠিক করে দেয়। আর নরমসরম ব্যাপারটা নিয়ে তো উপরে হিমুদাই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এই প্রসঙ্গটায় ভারতের আগে 'সাম্প্রদায়িক' ট্যাগটা আসছে কী ভাবে? আর কোন মাপকাঠিতে ভারত সাম্প্রদায়িক কিন্তু বাংলাদেশ নয়?
বাংলাদেশ ভারতের ছোট ভাই কেন?
পাওয়ার এর তারসতম্যে কেন ভাইয়ের সম্পর্ক নির্ধারিত হয়?
চীনের সীমান্ত রক্ষীরা কি ভারতের নাগরিকদের দল বেঁধে পেটায়?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
কেন ভাই মার্চ ১ এ শুধু একদিনের জন্যে কেন? এটাতো আরও আগেই শুরু করা উচিত ছিল। ভারত যখন একটার পর একটা স্বার্থান্বেষী নীতি আমাদের উপর চাপায় দিল, ফেলানিকে মেরে ২০ঘন্টা কাটা তারে ঝুলায় রাখল তখন কেন আপনাদের মধ্যে এই অনুভূতি জাগ্রত হইলনা। আর আজকে আসছেন মার্চ ১ এ তাও আবার মাত্র একদিনের জন্যে ভারত বনধের নাটক দেখাইতে। এইসব হুজুগে নাচার অভ্যাস বাদ দেন। পারলে সারাজীবনের জন্যে ভারতকে বয়কট করেন!!!
ভাই যত সহজে বলেলন
ভাল ভাবে চিন্তা করে দেখেন তো ব্যপারটা কত জটিল। ভারতীও পণ্যে আমাদের বাজার সয়লাভ, তাছাড়া একমাত্র আভ্যন্তরিন উৎপাদন হটাৎ করে সারা দেশের চাহিদা মেটাতে হিমসিম খাবার কথা। সারাজীবনের জন্যে ভারতীয় পণ্য বাদ দিতে চাইলে নিজেদের তৈরি করতে হবে, আস্তে আস্তে এগুতে হবে। হুজুগে নাচতে চাইলে হবে না। এবং আমরা ভারতীয় পণ্য আমদানি বন্ধ করলে ভারতে আমাদের বাজার (যত ছোটই হোক) হারানোর সমুহ সম্ভাবনা, সেটার ক্ষতি সামলে উঠার মত অর্থনীতিও দরকার আমাদের। ব্যপারটা জটিল ও দীর্ঘমেয়াদি। তারথেকে ১ দিন বা ১ মাস সবার জন্যেই তুলনামুলক ভাবে সহজ ও প্রাকটিক্যাল বলেই আমার বিশ্বাস। ১ দিন- পহেলা মার্চকে সফল করুন, সবাই ইমপ্যাক্টটা সামলানোর প্রাথমিক ধারণা পাবে, তারপর দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। আসুন নিজেদের তৈরি করি।
শাফি।
আমরা কারা, আর আপনি কে? আপনি কি আমাদের থেকে আলাদা কেউ? মাটি ফুঁড়ে বের হইছেন মহামানব?
১ মার্চ ভারত বনধে অংশগ্রহণ করলে করেন, না করলে নাই। ঝাড়ি চোদাইতে আসবেন না। আমরা ১ মার্চ দিয়ে শুরু করতে চাই, মানুষের সাড়া পেলে এই কাজ আরো ঘন ঘন হবে, পরিসরও বিস্তৃত হবে। আর আপনি কোন লাটের বাঁট আসছেন ঝাড়ি নিতে? আপনার বাসায় টিভিতে হিন্দি চ্যানেল চলে না?
মনের কথা বলেছেন।
শাফি।
যেভাবেই হোক না কেনো, ভারত বর্জন আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে। মনে রাখবেন, সবাই সবার নিজস্ব অবস্থান থেকে এই সংগ্রাম শুরু করলে ফল আসবেই ... অন্যের জন্য বসে থাকবেন না, নিজেই শুরু করুন।
কলেজে পড়ি তখন, এক বড় ভাইয়ের কাছ থেকে শুনলাম যে নাপালে নাকি পুরোপুরি ভারতীয় সংস্কৃতী চলে। ওখানের লোক নিজের ভাষা ফালে হিন্দিতেই কথা বলে। তখন খুব আশ্চর্য হয়ে ভেবেছিলাম যে কিভাবে একটা দেশ এরকম করে বদলে যায়! আজ চোখের সামনেই এটা প্রতি মূহুর্তে দেখতে হচ্ছে। ভেবে দেখুন একবার আপনার পরবর্তি প্রজন্মের কথা, যে সংস্কৃতী নিয়ে এতো অহংকার আপনার সেই সংস্কৃতীকেই ভুলে তারা হারিয়ে যাচ্ছে আরেকটা উটকো ঢেউয়ে !!! ভেবে দেখুন একবার ... আসুন আজই এই বয়কট শুরু করি আর ছড়িয়ে দেই সবার মাঝে। আমার দেশের মানুষের সাথে এই বন্য আচরণ সহ্য করতে পারবোনা।
১ মার্চ পর্যন্ত এই পোস্ট স্টিকি করা হোক ... প্লিজ !!!
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
একদম ঠিক। নেপালে নেপালী ভাষার চেয়ে হিন্দী চলে বেশী, নিজেদের গানের চেয়ে হিন্দী গান বিক্রি হয় বেশী, রাস্তাঘাটে প্রতিটি গাড়ী ভারতীয়, মার্কেটে প্রতিটি দোকানদার ভারতীয়, দোকানে প্রতিটি মাল ভারতীয়, নেপালী রুপীর চেয়ে ভারতীয় রুপী রাস্তাঘাটে মানুষ প্রেফার করে। এক ভয়াবহ অবস্থা, মোটামুটি ভারতের অর্থনৈতিক কলোনীই বলা চলে নেপালকে। বাংলাদেশকেও এইরকম করার খায়েশ দাদাদের পুরোনো, হিন্দী চ্যানেল হিন্দী গান সস্তা নিম্নমানের ভারতীয় গাড়ী ইত্যাদী দিয়ে দেশ সয়লাব করে দেয়া বাংলাদেশকে নেপাল বানানোর পথে কিছু ধাপমাত্র।
তবে আমার ব্যাক্তিগত মতামত নেপালীরা জাতিগতভাবে পরাধীন থাকতে পছন্দ করে, আজকের ভারতময় নেপালের পেছনে নেপালীরাও অনেকাংশে দায়ী। ইংরেজ আমলে সিপাহী বিদ্রোহের সময় গুর্খারা ইংরেজের পক্ষে লড়ে বাকী ভারতীয়দের কচুকাটা করেছিল...তাইতো আজ গুর্খা রেজিমেন্টের ব্যাপক সুনাম। ইংরেজ আমলে বাঙ্গালীদের সুনাম ছিল বোম মারার, এদের এত সহজে বশ করা যায়নি। তাই আমার বিশ্বাস বাংলাদেশ একদিন ঠিক ভারত ঠেকিয়ে দেবে। ভুলে যাবেননা আপনি আমিই বাংলাদেশ।
১ মার্চ হরতাল পালন করা হউক। ফেসবুকে শেয়ার দিন ঠিক কিভাবে আপনি ভারতীয় পণ্য না কিনে হলেন ধন্য।
..................................................................
#Banshibir.
"তবে আমার ব্যাক্তিগত মতামত নেপালীরা জাতিগতভাবে পরাধীন থাকতে পছন্দ করে, আজকের ভারতময় নেপালের পেছনে নেপালীরাও অনেকাংশে দায়ী।"
এই লেখাটি পড়ে দেখতে পারেন। ভারতের সিকিম দখল ও গোর্খাল্যান্ড নিয়েও একটু নাড়াচারা করুন। আপনার ব্যাক্তিগত ধারণা বদলাতে পারে।
"ইংরেজ আমলে সিপাহী বিদ্রোহের সময় গুর্খারা ইংরেজের পক্ষে লড়ে বাকী ভারতীয়দের কচুকাটা করেছিল...তাইতো আজ গুর্খা রেজিমেন্টের ব্যাপক সুনাম।"
ঠিক আছে। কিন্তু আজকে গুর্খাদের সবচাইতে বড় দলটি কোন দেশের জন্য অস্ত্র ধরে? সেখানে কাঠমন্ডুর কিছু করার আছে?
ধন্যবাদ, পড়ে দেখলাম। ধারণা পালটাবার মত লিখা নয়, বিভিন্ন সনে কিভাবে নেপালীরা স্বাধীনতা সংগ্রাম করেছে তার বিতং বর্ণনা। ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় প্রায় প্রতিটি রাজ্যে এরকম সংগ্রাম বহুদিন থেকে চলে আসছে, স্বাধীন সবাই হতে চায়। স্বাধীন থাকার মানসিকতা সবার থাকেনা এইটা আমার পয়েন্ট ছিল। আমি যখন দেখেছিলাম একটি স্বাধীন রাষ্ট্র তার কেন্দ্রীয় ব্যাংকছাপা নোটের পাশাপাশি গান্ধীর ছবিওয়ালা নোট বাজারে চলতে দেয়, তার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যখন দেশীয় ব্যবসায়ীদের সর্বনাশের কথা চিন্তা না করে অবাধ ভারতীয় ব্যবসার পারমিট দেয় তখন আমার তাদের জন্য দুঃখ হয়। নেপাল ল্যান্ডলকড দেশ, চীন ও ভারতের মত শক্তিশালী বদমাইস প্রতিবেশীর আবহমান চিপা খেয়ে তাদের মাথা নিচু করে থাকা অভ্যাস হয়ে গেছে বলে আমার মনে হয়।
..................................................................
#Banshibir.
আমাদের অনেকেই অনেক ভারতীয় পন্নের নাম জানি। কিন্তু সবাই সবগুলোর নাম জানিনা। অনেকেই আছেন যারা ইচছা থাকা সত্ত্বেও এই উদ্যোগের সাথে যুক্ত হতে পারবেন না শুধু পন্নের নাম না জানায়। তাই, এই সব পন্ন গুলর নাম সংবলিত একটি post আশা করছি।
সপ্ন দেখি, এই উদ্যোগ সফল হবে।
একমত। ভারতীয় পণ্যের তালিকা সম্বলিত একটা পোস্ট দরকার।
সহমত
আপনি নাম কম্পাইল করে পোস্ট দিন একটা।
http://www.sachalayatan.com/swopnohara/42919#comment-482655
এখানে ভারতীয় পণ্যের তালিকা সম্বলিত ৫ টা পোস্টের লিঙ্ক দেওয়া আছে।
সংহতি
সংহতি জানাচ্ছি...
ভাই, হতভম্ব হয়ে গেলাম। অসম্ভব আহত আত্মসম্মান নিয়ে ঝিম মেরে আছি। ইচ্ছে করছে ওয়াশিংটন ডি.সির ভারতীয় হাই কমিশনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট করি। ভারতীয় শুধু নয়, বিদেশী যেকোন পণ্যই পারতপক্ষে ব্যবহার করিনা; যখন দেশে থাকি। সবার কাছে অনুরোধ একদিনের প্রতীকি পণ্যবর্জন নয়; ভারতীয় এবং অন্য যেসব দেশের যেসব পণ্যের বাংলাদেশি বিকল্প আছে সে সব পণ্যই চিরস্থায়ীভাবে বর্জন করি। নিজের সম্মান নিজে অর্জন করতে না পারলে প্রতিবেশী কখনোই এগিয়ে এসে সম্মান দিয়ে যাবেনা। আমাদের অসম্মানের জন্য বহুলাংশে আমরাই দায়ী। এ সম্মান আমাদেরকেই পুণরুদ্ধার করতে হবে।
কী শুরু করলেন? ভারত না, ১লা মার্চের মধ্যে আপনে ব্লগে লেখালেখি বন্ধ করাবেন, দেইখেন!
আর পুরান মিডিয়া অবশ্যই আপনার এই আহ্বানের খবর না ছাপিয়ে আরেকটা জ্বালাময়ী বিপ্লবের অনুবাদ ছাপাবে।
সাঁইতিরিশ দিন সময় আছে। এর মধ্যে আমরা নিজেরা পরিচিতদের মধ্যে প্রস্তাবটা ছড়িয়ে দিই, তাদেরও বলি ভূত-থেকে-ভূতে কায়দায় ছড়িয়ে দিতে। পুরান মিডিয়ার অপেক্ষায় আমরা বসে থাকবো না।
এই কর্মসূচি ছড়িয়ে পড়ুক সবখানে, জড়িয়ে ধরুক সবাইকে।
আমরা মিছিলেই আছি।
একদিনের জন্য পুরো সীমান্ত জুড়ে মানব বন্ধন করলে কেমন হয়?
আমাদের সরকারের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী অবশ্য বলেছেন --
সীমান্তে যা কিছু ঘটছে তা নিয়ে রাষ্ট্র চিন্তিত নয়। সব কাজ ফেলে রেখে শুধু এদিকে দৃষ্টি দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলেও সরকার মনে করে না।
গার্ডিয়ানের এই রিপোর্টটাও এখানে প্রাসংগিক ---
উইকির বিএসএফ নিয়ে ভুক্তির লিংক থেকে ---
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
আব্বু আম্মু কে বলব। আমি নিজে পাকি বা ভারতীয় পণ্য পারতপক্ষে ব্যবহার করিনা। শেয়ার দিলাম। বেশ দেরিতে পোস্টটা দিলেন, বার বার সচলে আপডেট দেখতে এসে দেখি "নট ইয়েট"। ধন্যবাদ।
শাফি।
ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু কিভাবে আসে এবং এর বিকল্প কি হতে পারে -- এই টপিকটা নিয়ে কি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বা ডকুমেন্টারি করা যায় ?
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
এক বছর কোরবানি বন্ধ রাখতে পারবে ধর্মপ্রাণ মুসলমান?
আমি দেশি তাঁতের কাপড় পড়ি। পাকিস্তানী / ভারতীয় লন, চিকেন, আরও হাবিজাবিতে অঙ্গ শোভিত করিনা। আমাদের বান্ধবীরা এই শোক নিতে পারবে।
মা চাচীরা হিন্দী সোপ না গিলে থাকতে পারবেন।
ভাই, অর্থনীতির চাইতে বড় হোল আমাদের 'ফকিন্নী' মানসিকতা বদলাতে হবে।
কোরবানি বন্ধ রাখার কি দরকার? ভারত থেকে গরু আনার পুরো চেইনটা নিরীক্ষা করে পুরো প্রক্রিয়াটাকে স্বচ্ছ্ এবং আইনসিদ্ধ করুক না দুইদেশের সরকার! এতে বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত আর উচ্চবিত্তের একটু বেশি দামে গরু কিনতে হবে?-হোক না। আর বাংলাদেশের এত ভালো ভালো এতগুলো টিভি চ্যানেল, হিন্দি চ্যানেলগুলো বন্ধ করে দেয় না কেন সরকার? আমাদের কোনো চ্যানেল তো ভারতে চলে না! আমরা ফকিন্নী, তার চেয়ে বড় ফকিন্নী হোল আমাদের সরকার।আমাদের সীমান্তরক্ষীকে বিএসএফ নির্যাতন করে দাঁত ভেঙে দেয়, আর আমাদের ফকিন্নীশ্রেষ্ঠা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলে -- তাকে অতিথির মত রাখা হয়েছে। আমাদের বেহায়া সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক আর মুখপাত্র দেশের জানমাল রক্ষায় তাদের দায়িত্বের কথা ভুলে নির্লজ্জের মত বলে -- এমন ঘটনা ঘটতেই থাকবে; এতে বিচলিত হওয়ার কিছু নাই। আমাদের জ্ঞানপাপী পররাষ্ট্র উপদেষ্টা পত্রিকায় কলাম লিখে আমাদের বোঝাতে আসে টিপাইমুখ বাধ হলে আমাদের কি লাভ হবে। আমাদের আরেক জ্ঞানপাপী অর্থ উপদেষ্টা আমাদের বোঝাতে আসে -- ট্রানজিটের জন্য মাশুল চাওয়া হবে পাপ। এমনভাবে দেশ চালালে আগামী নির্বাচনে হেরে যখন দৌঁড়ের উপর থাকতে হবে, কোন ভারত বাপ তখন বাঁচাতে আসে দেখব!
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
অর্থাৎ বৈধ পথে আনা ভারতীয় পণ্য ব্যবহারে আপনার আপত্তি নাই। তাহলে তো ভালই হোল। তেল, সাবান, শ্যাম্পু, পেঁয়াজ, কাপড়, গাড়ী তো বৈধ পথে এলসি খুলেই আনা। আর এইসব পণ্য আমাদের কাজেও লাগে। তবে আর ভারতীয় পণ্য বর্জনের কি দরকার?
এই প্রতিবাদ জাতি হিসেবে আমাদের অহংবোধ সমুন্নত করার জন্য। রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য না। আমি তাই মনে করি।
ধন্যবাদ।
আপত্তি আছে! নিচের কথাগুলো বলা হয়েছে সমস্যাটার একটা রিয়েলিস্টিক সমাধান ভেবে বের করার জন্য। তবে আসল সমস্যা সেটি নয় -- আসল সমস্যা ভারত সরকার আর বিএসএফের এ্যাটিচ্যুডে এবং আমাদের সরকারের নির্লিপ্ততায়!
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
আর কিছু না পারেন ১ মার্চ পর্যন্ত পোস্টটা সচলায়তনের কপালে ঝুলিয়ে রাখবেন আশা করি
সংহতি!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
সবচেয়ে বেশী প্রভাব ফেলছে ভারতীয় টিভি চ্যানেলগুলো, বিশেষকরে হিন্দি সিরিয়াল। ক্যাবল অপারেটররা এই চ্যানেলগুলো বন্ধ করে দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
বউয়ের সব ভারতীয় কসমেটিকস আজই ডাস্টবিনে। আমার দুই চাক্কা ফালাইতে মনচায় কিন্তু পারতাম না । তয় ঐদিন চালামুনা। প্রতিবাদ জাড়ী থাকুক বছর জুড়ে।
ওয়ালটন এর দুই চাক্কা আছে কিন্তু। দেশে তৈরী।
একটি চমৎকার লেখা পড়লাম। লেখককে ধন্যবাদ।আমি লেখকের মত ও অনুভূতির সঙ্গে সহমত োষণ করছি।
সাথে আছি।
ফেইসবুকে শেয়ার দিলাম
লেখাটা ছড়িয়ে দিই।
ভারতের যে কয়টি সংস্থা (১) এর নিন্দা করেছে তাদের ধন্যবাদ জানাই। মানবতার বিষয়টি অন্তঃতপক্ষে এদের মাথায় এসেছে।
মার্চটা একটু দূরে হয়ে গেলো। অ্যাভেইলিবিলিটি বায়াসের কল্যানে মার্চ আসার অনেক আগেই সবাই এটা ভুলে যাবে। ২১ শে ফেব্রুয়ারীর মত করে ১২ই ফেব্রুয়ারী করা যেতে পারতো। বইমেলার মধ্যে বড়সড় একটা প্রটেস্ট দেখানো সম্ভব হতো।
আমারও তাই মনে হল। আমাদের দুর্বল স্মৃতিশক্তিতে মার্চ পর্যন্ত এটার বাষ্প উবে যাবার কথা।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আমরা ২১ ফেব্রুয়ারীতেই করিনা কেন? '৫২ এই দিনের বিসর্জন তো শুধু মায়ের ভাষা নয়, নিজের অস্তিত্বের জন্য ছিল... আজ তো আমরা পরোক্ষভাবে সেই অবস্থাতেই দাঁড়িয়ে...
একুশে ফেব্রুয়ারী এমনিতেই অনেক তাৎপর্যপূর্ণ ইভেন্ট। এর মাঝে এটাকে নিয়ে আসলে ১) একুশে ফেব্রুয়ারীকে মলিন করা হয় ২) এই ইভেন্টের গুরুত্ব কমার সুযোগ হয় ৩) একুশকে 'ব্যবহার' করা হচ্ছে বলে মনে হতে পারে।
একমত,মার্চ আসতে আসতে আরো কত কি হয়ে যাইতে পারে,এর কথা দেখা যাবে এক দুইজন বাদে কারোর খেয়াল নাই।চিন্তাটা যখন মাথায় তুলেই দিয়েছেন তখন শুভস্য শীঘ্রম ভালো হত না?
বইমেলার চিন্তাটা ভালো,এবং যথেষ্ট সম্ভাব্য (কারণ ব্লগ গুলিতে ঘুরে মনে হয় মাঝে মধ্যে দ্যাশে বই কেনা/পড়া মানুষ এরাই আসে,আমরা ঢেউটিন)।
সব কিছুর পরেও কাজ কি হবেরে ভাই?আমি-আপনি না হয় এয়ারটেল **** বইলা দুই-চারদিন সিম অফ রাখলাম,বা চেঞ্জ করলাম,টিভি দেখাও এক রকম বাদ দিলাম,কিন্তু তার পরে? সবার বাসায় মা-বোন আসে হিন্দি সিরিয়ালের পাগল,দেশ ভর্তি আবাল পোলাপাইন আছে প্রেমের টানে দড়ি ছিড়ে যায় যাদের,তাদের কি করবেন? আমাদের রাজনিতিবিদদের মোটা হইসে পাছা আর আমাদের মোটা হইসে চোখ-কান,দুনিয়া রঙিন লাগে।কইষা গালে চটকানা দিতে হইব,এই এক দিন ভারতীয় মালসামাল অফ রাখলে যদি চটকানাটা লাগে বেজন্মা গুলির >_<
মার্চ ১ পর্যন্ত মনে রাখাটাকেই প্রথম হার্ডল ধরে নিন।
ক্যালেন্ডারে দাগাইয়া রাখসি,যদি বাসায় থাকি তাইলে আর ভুলার চ্যান্স নাই আশা করা যায়
এটা নিয়েই ভয় পাচ্ছি... এর মধ্যে না আবার নতুন কোন সমস্যা/বিপদ এসে হাজির হয় আমাদের সামনে...
তবে সবাই মিলে চেষ্টা আর প্রচারনা চালাতে পারলে অবশ্যই সফল করতে পারবো... এজন্য ফেসবুক/ব্লগে প্রচারের পাশাপাশি সাধারন মানুষের(যারা এর কোনটিতেই যুক্ত নয়) মধ্যে সচেতনতা তৈরীর জন্য কাজ করা উচিত। এক্ষেত্রে উপায় কি?
পােশ আিছ
better late then never
সংহতি প্রকাশ করছি। সামাজিক নেটওয়ার্কগুলোতে একযোগে ক্যাম্পেইনটি চালালে ভাল হয়। সেখানে টুইটার বা ফেইসবুকে নিজেরা কোন জিনিষটি বর্জন করলাম তা জানালে একটি শক্ত মেসেজ পাঠানো যেতে পারে (বিশেষ করে যদি জনপ্রিয় লোকজনকে উদ্বুদ্ধ করা যায় একাজে)।
তবে আমিও মোর্শেদের মত মনে করি এটি ১লা ফেব্রুয়ারীতেও সম্ভব ছিল।
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
সংহতি প্রকাশ করছি। নিরব পাঠক বরাবর, এবার আর চুপ থাকতে পারলাম না। একটু এগিয়ে আনলে ভাল হয় হিমু ভাই। এখান থেকেই শুরু হোক প্রতিবাদ। ফেব্রুয়ারী ১২ দূরে ও না কাছে ও না , আমার মতে ভাল দিন।
'ভারত বনধ' কে 'ভারত বর্জন' দিয়ে প্রতিস্থাপন করলে কেমন হয়?
হুম.........
ভালো উদ্যোগ। সাধারণ নাগরিক হিসেবে এমন একটা কিছু আমাদের আরো আগেই শুরু করা দরকার ছিলো। তবে, বেটার লেট দ্যান নেভার।
উদ্যোগটা চমৎকার হলেও কিছু ব্যাপারে আমার একটু সংশয় আছে। প্রথম সংশয়ের ব্যাপারটা এরই মধ্যে অনেকে বলে দিয়েছেন- তারেক মাসুদের মতো পরিচিত এবং পছন্দের মুখের মৃত্যুই যখন আমার উদ্বায়ী মস্তিষ্ক থেকে হারিয়ে যায়, সেখানে মার্চ এক অনেক দূরের পথ। আরো আগে করা যায় কিনা ভাবা দরকার।
আরেকটা ব্যাপারে আমি একটু চিন্তিত- এর ইম্প্যাক্ট আদৌ হবে কিনা। শুধুমাত্র একদিন টিভি চ্যানেলসহ অন্যান্য ভারতীয় পণ্য বর্জন আসলে ভারতীয় ব্যবসায়ী সমাজকে কতোটা চিন্তিত করবে। সবাই যদি একাত্ম হয়ে একদিনের জন্য শুধু চ্যানেলই বর্জন করে, টিভি চ্যানেলের আদৌ কোন ক্ষতি হবে? ২রা মার্চ থেকেই সবাই পূর্ণদ্যোমে আবার দেখা শুরু করবে। একদিনের দর্শক হারানোতে তারা খুব বেশি কাতর হওয়ার কারণ দেখছি না। আর তাছাড়া ভারতীয় চ্যানেলের দর্শকগোষ্ঠী সারা বাংলাদেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছে। এই আন্দোলনের খবর হয়তো বড়কিছু শহরের বাইরে কোথাও যাবেও না। টিভি চ্যানেল ছাড়া অন্য কোন ধরনের পণ্য বর্জনের ক্ষেত্রেও, মাত্র একদিনের প্রভাব আসলে কতোদূর ? ভারতীয় পণ্য, হিমানি নবরত্ন তেল যদি আমি মাত্র একদিন না কিনি, তাদের কি আদৌ ক্ষতি হবে?
বর্জনের এই সংস্কৃতিটাকে কি আরো একটু দীর্ঘায়িত করা সম্ভব? কিংবা আর কোনভাবে কি একটু জোরালো করা সম্ভব, যাতে অর্থনৈতিকভাবে একটা চাপ আমরা সৃষ্টি করতে পারি ?
অলমিতি বিস্তারেণ
আমাদের সারা দেশের মানুষই তোমার লাইনে চিন্তা করে। যখন দেশে নীতিমালার তোয়াক্কা না করে পাইকারি হারে ভারতীয় চ্যানেল প্রদর্শন শুরু হয়, তখনও নিশ্চয়ই কর্তৃপক্ষ এরকমই ভেবেছিলো, এর ইম্প্যাক্ট আদৌ হবে কি না।
কপাল ভালো মুক্তিযোদ্ধারা একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ করতে গিয়ে ভাবেন নাই, একটা অপারেশনে বেরিয়ে দুই তিনটা পাকি সেনা মারলে ইম্প্যাক্ট আদৌ হবে কি না। এই লাইনে ওনারা ভাবলে আমাদের খবরই ছিলো।
একদিনেই ইম্প্যাক্ট ফেলা যায় না নিশ্চয়ই। সব কাজেরই শুরু বলে একটা ব্যাপার থাকে। ইম্প্যাক্টের জন্যে ধারাবাহিকতা লাগে।
আমি সম্ভবত আমার চিন্তাটা লিখে বোঝাতে পারি নাই
আমি বলতে চাইছি, টিভি চ্যানেল বাদে অন্য যেসব ভারতীয় পণ্য আমরা কিনে থাকি- সেগুলি কি আমরা প্রতিদিনই কিনে থাকি ? প্রসাধনীসহ আরো যেসব পণ্যের নাম মনে করতে পারছি সেগুলির অধিকাংশই নিত্যদিনের কেনার তালিকায় থাকে না। কাজেই মাত্র একদিনের বর্জন আসলে কোন অর্থনৈতিক কোন প্রভাব ফেলবে কিনা সেইটা নিয়েই জানতে চাচ্ছিলাম, কারণ যেই একদিন আমরা বর্জন করলাম সেইদিন হয়তো আমরা এমনিতেই ওই প্রোডাক্টটা কিনতাম না।
এই সিম্পল প্রশ্নটার সাথে কেনো মুক্তিযুদ্ধকে মিলায়ে ফেললেন, সেইটাও আসলে বুঝি নাই।
আমি বলি নাই যে এইটা কইরেন না, বা অন্য কিছু। আমি শুধু বলতে চাচ্ছি, এই আইডিয়াটাকে আরো একটু শক্ত করা যায় কিনা কোনোভাবে, যাতে এর ইম্প্যাক্টটা ভারতীয় কতৃপক্ষ টের পায়।
অলমিতি বিস্তারেণ
এইবার বুঝলাম। তোমার প্রথম কমেন্ট পড়ে মনে হয়, তুমি বলতে চাইছো, যেহেতু ইমপ্যাক্ট বড় হবে না এইসব করে ফায়দা নাই।
এক দিনের বর্জনে সব পণ্য, সব সেবা বা সব ফূর্তি এফেক্টিভলি "বর্জন" করা যাবে না, কারণ ঐদিন হয়তো আমরা এমনিতেও সেগুলো ব্যবহার থেকে বিরত থাকতাম। কিন্তু কিছু পণ্য, কিছু সেবা, কিছু ফূর্তি বর্জন করা যাবে। সেদিন হয়তো আমরা বিকল্প দেশী পণ্য, দেশী সেবা, দেশী ফূর্তি ব্যবহার করবো।
এর ইমপ্যাক্ট রেডিয়াসটা ছোটো হবে, কারণ প্রথমবার হয়তো আমরা খুব বেশি মানুষকে পাশে পাবো না। কিন্তু যদি ভারত বনধকে আমরা একটা চর্চায় পরিণত করতে পারি, সময়ের সাথে ইমপ্যাক্ট রেডিয়াসটাও বাড়বে।
সাধারণ মানুষ চাপ না দিলে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেবে না। আজকের পরিস্থিতি একদিনে যেহেতু তৈরি হয় নাই, একদিনে সেটার নিরসনও সম্ভব না। কিন্তু নিরসনের চেষ্টা একটা দিন দিয়ে শুরু করতে হবে।
বড় পরিসরে ভারতীয় পণ্য, সেবা আর ফূর্তির বিকল্প তৈরি করতে সরকারের পক্ষ থেকে পলিসি পর্যায়ে পরিবর্তন আনতে হবে। সেটা করার জন্যে সরকারের কোনো মাথাব্যথা আছে এমন নমুনা দেখি না। পাবলিককেই সোচ্চার হতে হবে। নৈরাশ্য সংক্রামক, কাজেই কী করা যাবে, সেটাই আলোচিত হওয়া দরকার।
ট্রু। এই বিষয়ে আর কথা না বাড়াই, বরং একটু ভেবে দেখি যে কীভাবে ব্যাপারটার তীব্রতা বাড়ানো যায়।
অলমিতি বিস্তারেণ
যারা ব্যাপারটা একবার করতে পারবেন, দ্বিতীয়বার তাদের জন্যে সেটা করাটা অনেক সহজ হয়ে যাবে। অন্যরাও উৎসাহ পাবে।
আমাদের যাদের মনের কথা কম বেশি অভিন্ন, তারা যেন একটু মনে রাখি আমরা কী করতে চাচ্ছি- " আমাদের অভ্যাস থেকে ভারতীয় পণ্য ও সেবা কমিয়ে/সরিয়ে দিতে শুরু করব, ব্যবহার করতে চেষ্টা করব বাংলাদেশি কিছু "
দিনের শেষে একবার নিজেকে জিগ্যেস করুন সবাই আজকে কতটুকু পারলেন।অল্প করে হলেও শুরু তো করি নিজে।
আমাদের চামড়া মোটা, স্মৃতিশক্তিও দুর্বল। কেউ অপমান করলে গায়ে লাগে না, লাগলেও ভুলে যাই। আটত্রিশ দিন পর গিয়ে বর্জনের কর্মসূচি যদি আমরা পালন করতে পারি, সেটা আমাদের নিজেদের আত্মসম্মানের চর্চার হোমওয়ার্কের মতো হবে।
এই আটত্রিশ দিন ধরে আমরা শুধু ব্লগে-ফেসবুকে নয়, আমাদের পরিচিত গণ্ডির মধ্যে ব্যাপারটা নিয়ে আলাপ করতে পারি, মানুষের সাথে মত বিনিময় করতে পারি, আরো নতুন আইডিয়া উঠে আসবে, সেগুলো কাজে লাগানোর ব্যবস্থা করতে পারি। স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় যে অস্বাভাবিক ভারতনির্ভরতা তৈরি হয়েছে, সেটা উপলব্ধি করতে পারবো আমরা এই বর্জন কর্মসূচিতে।
ফেব্রুয়ারি মাস বইমেলায় মানুষের ঢল থাকে। আমরা সারা ফেব্রুয়ারি প্রচারণা চালাতে পারি। এ কারণেই মার্চ ১ কে বেছে নেয়া। কর্মসূচিটা যত বড় হবে, আমাদের পক্ষ থেকে দেয়া সঙ্কেতটিও তত জোরালো হবে। ধন্যবাদ।
ঠিকাছে
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
পহেলা মার্চ পর্যন্ত এই উৎসাহ ধরে রাখা একটা বিশাল শিক্ষা হবে আমাদের জন্য।
আরেকটা লাভ হবে এই সময়ের মাঝে মন থেকেই হয়তো অনেক খুদে ভারতীয় পণ্য আমরা ব্যবহার করা বাদ দিতে পারবো।
সংহতি জানাই।
'বনধ' শব্দটাতে আমারও একটু খটকা লাগছে। মনে হচ্ছে হিন্দি ভাষা থেকে অনুবাদ করা হয়েছে। অন্য কোন শব্দ ব্যবহার করা যায় কি?
আমার মতে মার্চ মাসটাই ঠিক আছে। ফেব্রুয়ারী এমনিতেই খুব কাছে, সবার কাছে হয়তো বার্তা পৌছাবে না। তাছাড়া সবাই ভুলে যাবার আগে একটা প্রতিবাদ প্রদর্শন করে ফেলা উচিত, এরকম বললে মনে হয় একটা দায়সারা ভাব আছে। কোনরকমে একটা কিছু করতে পারলেই দায়মুক্তি পাওয়া যাবে, এমন ভ
আগে একটা মন্তব্য ভুলবশত অর্ধেক লিখেই সাবমিট করে দিয়েছি। এখন বুঝতে পারছি না কতটুকু লিখেছিলাম।
শেয়ার দিলাম...আমার সাধ্য দিয়ে কিছু করার চেষ্টা করবো
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
সঠিক প্রস্তাব। নেটের বাইরে এই ডাক নিয়ে কিভাবে কাজ করা যায়, আইডিয়া সেয়ার প্লিজ।
অফিসে আর পারিবারিক পরিমণ্ডলে মানুষদের বুঝিয়ে বলুন। তাঁদেরও বলুন সক্রিয়ভাবে তাঁদের পরিচিতদের জানাতে। ব্যস।
আমি এই লেখাটার বিষয়বস্তু গতকাল সারাদিন আমার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলাম. আমরা মোটামুটি একমত হয়েছি আমাদের অবশ্যই কিছু করতে হবে. তবে সেটা কোনো রাগ বা ঘ্রিনা থেকে নয়. একধরনের ক্ষোভ আর আমাদের নেতাদের তোষণ নীতির প্রতিবাদ হিসেবে. আমি নিজে বেক্তিগত ভাবে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি. সেগুলো বলছি.
১. আমার দেশ এ আমার আত্মীয়দের বলব তারা যেন অন্তত একমাস ভারতীয় সকল চ্যানেল দেখা থেকে বিরত থাকে.
২.ভারতীয় যেকোনো পণ্য কেনা থেকে অন্তত ১ মার্চ বিরত থাকে.আমি নিজে বেক্তিগত ভাবে কোনো ভারতীয় পণ্য বেবহার করি না. তাই এটা নিয়ে বলার কিছু নাই.
৩. ফেসবুক এ একটা গ্রুপ ওপেন করে সেটাতে লোকজন কে আহবান করা যেন ভারতীয় গান অবস্য আমি হিন্দী গান এর প্রতি জোর দিতে চাই প্রচার এবং এবং প্রসার থেকে বিরত থাকে.
তবে আমি যে বিষয়টা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করি তা হলো আমাদের আরো স্ট্রাটেজিক হতে হবে. একদিন এ এই তাচ্ছিল্লপনা বা আগ্রাসন দূর করা যাবে না. দীর্ঘমেয়াদী একটা পরিকল্পনা, একটা চমত্কার সুশিক্ষিত জাতি ছাড়া এই তাছিল্লবোধ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না.সর্বোপরি আমাদের পলিটিকাল লিডার রা যতদিন পর্যন্ত গদির আশায় ভারত অথবা পাকিস্তান কে তোষণ করতে থাকবে ততদিন পর্যন্ত এইসব পরিকল্পনা একটা বিছিন্ন প্রতিবাদ ছাড়া আর কোনো সুফল বয়ে আনবে বলে আমার খুব একটা দৃঢ় বিশ্বাস নেই. তারপরেও আমি এটা করব এবং সকলকে করতে বলব.
ইম্প্যাক্ট এর কথা জানিনা। তবে চেষ্টা করতে দোষ কী?
সংহতি, হিম্ভাই!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
বিএসএফ কর্তৃক সীমান্তে ঘটিত প্রতিটা ঘটনাই কতোটা নির্মম হতে পারে, তার ছোট্ট একটা ট্রেইলার ১২ মিনিটের এই ভিডিওটা। যখন খবরে পড়ি, বাংলাদেশের সীমানায় ঢুকে সীমানার আশেপাশে খেলতে থাকা কয়েকজন কিশোরকে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ, তখনই বুঝতে পারি এই ধরে নিয়ে যাওয়া পোলাও-কোর্মা খাওয়ানোর উদ্দেশে নয়। কিন্তু সেটার আঁচ আমাদের গায়ে লাগে না।
ফালানি নামের কিশোরীর গুলিবিদ্ধ নিথর দেহ আটকে থাকে সীমানার কাঁটাতারে, খবরটা পড়ার সাথে সাথে অনুধাবন করার চেষ্টা করি কতোটা কষ্ট হয়েছিলো কিশোরী ফালানি'র। কিন্তু অতোটুকুই, যেহেতু ফালানি আমাদের চাচাতো-মামাতো-তালতো সম্পর্কের কেউ না। সুতরাং, সেই আঁচটাও তেমনভাবে লাগে না আমাদের শরীরে। আমরা ভুলে যাই, কর্তাদের নামে। ইন দ্য সেক অফ ফাকিং ওল্ডার-ইয়ঙ্গার ব্রাদারহুড!
পি চিদাম্বরম, স্বরাস্ট্রমন্ত্রী হলেও সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যার খবর নাকি তার গোচরে ছিলো না! অথচ, সেই চিদাম্বরমই ঢাকায় এসে জানিয়ে গেলেন, সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে, আই রিপিট- 'কমিয়ে আনার লক্ষ্যে' বিএসএফ এর হাতে 'প্রাণঘাতি নয়' এমন অস্ত্র দেয়া হবে। দেয়া হয়েছেও শুনেছি। কিন্তু বাংলাদেশী হত্যা কি বন্ধ হয়েছে? কালকেও মরলো একজন 'গরীব নরোমসরোম কালা দুবলা ছূডুভাই'। চিদাম্বরমের মতো ভারত রাস্ট্রের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি যখন সীমান্তে হত্যা 'বন্ধ করা'র চেয়ে 'কমিয়ে আনা'র ওপর জোর দিচ্ছেন, তখনই আসলে বুঝা যায় 'ডাল ম্যায় কুছ কালা নেহি, সবকুছই কালা হ্যায়'।
আমি, আপনি সীমান্তে যাচ্ছি না। যাওয়ার প্রয়োজনও পড়ছে না। কিন্তু আমার-আপনার মতো কেউ যাচ্ছে, কাউকে যেতে হচ্ছে বাধ্য হয়ে, কেউ থাকছেই সীমান্তের আশেপাশে। মারা পড়ছে তারাই। বিবস্ত্র অবস্থায় নির্যাতিত হচ্ছে তারাই। আমরা কি কিছুই করবো না! ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে বাংলাদেশী সাধারণ নাগরিকের নিহত হওয়ার ঘটনা পেপার-পত্রিকায় পড়ে সোৎসাহে ভারতীয় টিভি চ্যানেলের নব ঘুরানোতে ব্যস্ত হয়ে পড়বো! এতোটাই স্বার্থবাদী হয়ে গেছি আমরা!
একদিনে সবকিছু বদলায় না, বদলাবেও না। কিন্তু বদলের শুরুটা একদিনেই হয়। সেই একদিন ১লা মার্চ। আসুন, নিজেদের শিরদাঁড়া বলে যে জিনিসের অস্তিত্বটা এখনো আমাদের দেহে আছে, সেটার জানান দিই একজন বাংলাদেশী হিসেবে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মার্চ ১ হোক আমাদের ভারত বনধের দিন। এই দিন আমরা ভারতের কোনো জিনিস কিনবো না, ভারতের কোনো সেবা নেবো না, ভারতের কোনো চ্যানেল দেখবো না। আগের আটত্রিশ দিন আসুন আমরা এই ডাক ছড়িয়ে দিই, সবাইকে জানাই। পরিচিত সবাইকে বলি, নিজেদের আত্মসম্মানের কথা স্মরণ করিয়ে দিই। আমরা কুকুর নই, আমরা মানুষ। আমাদের মানুষের মর্যাদা দিতে হবে। শুধু তা-ই নয়, এখন থেকে সীমান্তে একজন বাংলাদেশীও যদি নিহত বা আহত হয়, আমরা পরদিন বাংলাদেশে ভারত বনধ পালন করবো।
সহমত
পহেলা মার্চের অনেক দেরি। দেখা যাক ততোদিন পর্যন্ত আমাদের প্রতিজ্ঞার অবস্থা কী হয়।
বর্জনের পাশাপাশি এই ধরনের বর্বরোচিত ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদন এবং প্রমানগুলো আপনাদের বন্ধু-বান্ধব মহলের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহলে ছড়িয়ে দিন যাতে করে বিশ্বের মানুষ জানতে পারে কোথায় কি হচ্ছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কাছেও আমরা আসুন এগুলো পৌছে দেই।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
শতভাগ সমর্থন। ভারতীয় পন্যের তালিকা করলে বুজতে সুবিধা হত। আরেকটা ব্লগে পন্যের লিষ্ট করা যেতে পারে যা নিয়মিত আপডেট হবে। কারন অনেকেই জানেনা কোনটা কোথাকার পন্য। আমার কথাই বলি, আগে জানতাম না Raymond ইন্ডিয়ান কম্পানি। জানার পর আর অইটার পাশ দিয়েও যাইনা।
সহমত, শুরুতো করতেই হবে কিছু একটা দিয়ে। আর কত? তবে, একটা খুব সাধারন (কমন - এর সঠিক বাংলা কি হবে? ) সমস্যায় পড়লাম আজকে কয়েকজনের সাথে এইটা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে।
কমবেশি সবার কাছেই 'বনধ'টা হিন্দি শব্দ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত, এইটা যে বাংলা শব্দ বলতে বলতে অস্থির হয়ে গেছি। শেষে বয়কট শুরু করছি।
মহাত্মা গান্ধীর দেখানো পথেই শুরু হোক তাঁর দেশের অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন।
নামের চাইতে কাজটা জরুরী। "বর্জন" শব্দটি ব্যবহার করা যেতে পারে। সবার কাছে অনুরোধ, আপনার পরিচিতজনদের উদ্দ্যোগের কথাটি জানান। আমি ব্যক্তিগত ভাবে কোনো ভারতীয় পণ্য ব্যবহার করি না। কিন্তু আমার বউ আমেরিকাতে বসেও হিন্দী গান, হিন্দী সিরিয়ালে মশগুল। বড় সমস্যায় আছি।
এই ভিডিওটা দেখা যাক। এর ভাষা অহমীয়া। এর ভিত্তিতে বাংলাদেশের শিল্পের এমন কোন জায়গা নেই যেখানে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিনীয়োগ নেই। বসুন্ধরা-সাকাচৌ কে আমরা চিনি, তাই এর মজমা বুঝতে পারবো। কিন্তু গুয়াহাটির পুলাপান সাকা-বসু চেনেনা। তারা জানবে বাংলাদেশের শিল্প মানেই উলফার টাকা।
এই প্রথম একনাগাড়ে কাউকে অহমীয়া বলতে শুনলাম। জানতাম যে বাংলার কাছাকাছি ভাষাটা কিন্তু শোনা হয়নি কখনো। বাংলায় অবহেলিত "নিযুত" শব্দটির বহুল ব্যবহার লক্ষ্যণীয়।
আপনার কথা ঠিক এই নিউজ দেখলে মনে হবে ঢাকা শহর উলফার টাকার উপর দাঁড়িয়ে আছে।
..................................................................
#Banshibir.
সংহতি
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
একটা আইডিয়া মাথায় আসলো, একটু ভেবে দেখতে পারেন।
বছর দুয়েক বা তিনেক আগে ষোলই ডিসেম্বর কিংবা ছাব্বিশে মার্চের আগ দিয়ে প্রথমবারের মতো ফেসবুক ছেয়ে গিয়েছিলো লাল সবুজের ছবিতে। এরপর থেকে নিয়মিতই হচ্ছে, তবে সেবারের বিস্তৃতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। এছাড়াও কোন একবছর (দুঃখিত, সাল মাস আমার তেমন মনে থাকে না ) একুশে ফেব্রুয়ারির আগে ফেসবুকের প্রোফাইল পিকচার হিসেবে ছিলো সবার নামের আদ্যাক্ষরের বাংলা বর্ণটি।
এবারও ভারতীয় পণ্য বর্জনের একটা ফেসবুক প্রোফাইল পিকচার আমরা ব্যবহার করলাম, যেই প্রোফাইল পিকচার ছড়িয়ে পড়বে সবার প্রোফাইলে। এর আরো একটা ভালো দিক হচ্ছে, কার্যত কে কতোটা বর্জন করতে পারবেন জানি না, কিন্তু অন্তত অনলাইনেও এই বিরোধিতার একটা তীব্র রূপ আমরা দেখতে পাবো। আর যেহেতু ফেসবুকের মতো ওপেন এবং গ্লোবাল প্ল্যাটফর্মে ব্যাপারটা ঘটবে, আমাদের বিদেশি বন্ধুরাও হয়তো জানবে।
আইডিয়াটা ভেবে দেখার অনুরোধ থাকলো।
অলমিতি বিস্তারেণ
আমিও ভাবছিলাম। কিন্তু এখনই নয়। মার্চের কয়েকদিন আগে শুরু করতে হবে! এখন করলে লোকে ভুলে যাবে!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আইডিয়াটা বেশ ভালো।
বর্জনের কাজটা আমাদের নেটের বাইরের ধুলাবালির দুনিয়াতে থেকে করতে হবে। বাস্তব দুনিয়াতেও বর্জনের সাথে সংহতির একটা চিহ্ন থাকা দরকার যেটা বর্জক গোষ্ঠী ব্যবহার করবেন। ১ মার্চ বিশেষ কোনো রঙের পোশাক (যেমন নীল) পরা যেতে পারে, কিংবা ছোটো কোনো ব্যাজ।
সুজনদাকে বলে দেখি, এই বর্জনের জন্য একটা বিশেষ লোগো এঁকে দিতে।
এইখানে অনেকেই সহমত-সাথে আছি-ফেসবুক গ্রুপ খুলতেছি-স্ট্যাটাস দিলাম-শেয়ার করলাম বলছেন। আগে মা-খালা-চাচি-ফুপু-ভাবি-মামী দের কাছ থেকে টিভির রিমোট দখল করেই কাজটা শুরু করা হোক। ঈদপূজায় ইন্ডিয়ান ডিজাইনার ড্রেস কেনা বাদ দিয়ে শতাব্দি-রঙের কাপড় কিনেন, দেশি চিপস কুড়মুড় করে খান, আমার মত বিকেলবেলা হাঁটতে বের হয়ে ক্যাডবারি সিল্ক না কিনে অন্য চকলেট কিনেন। হিন্দি সিনেমা কি না দেখলেই না? হিন্দি গান শোনাটা কি খুব দরকার?
গলা ফাটানোর সাথে সাথে কাজও করতে হবে। হ্যান করলাম ত্যান করলাম হ্যান করুম ত্যান করুম বলে বললেই হবে না। অ্যাকশন, ম্যান, অ্যাকশন।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
আমরা যেভাভে ভারতের সাংস্কৃতিক দাস তাতে ওরাতো আমাদের নেড়ি কুত্তা ভাবতেই পারে! নেড়ি কুত্তা যেমন লাত্থি-গুতা খেয়ে কেঁউ কেঁউ করে, একটু পরেই আবার পা চাঁটে আমরাও তাই! দুদিন মনের রাগ থাকেব, তারপর আবার সারাদিন হিন্দি চ্যানেলের সামনে বসে থাকব, বিয়ে-অনুষ্ঠানে হিন্দি গানের তালে তালে খ্যামটা নাচ নাচব, হিন্দিতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিব। আমাদের মত বেহায়ার কপালে এরকম লাত্থি-গুতাই জোটবে। শুধু একদিন বর্জন কেন? সেটা কি লাগাতর হতে পারে না?
বাঙ্গালী মধ্যবিত্ত এরশাদের মতই বিশ্ববেহায়া! আসুন আরো বেশী বেশী হিন্দি চ্যানেল দেখি আরে হিন্দিতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিই! আর শ্লোগান তুলি
"ওরে নেড়ি কুত্তার দল
হিন্দি গিল গল গল !"
খুব কুন্ঠার সাথে একটা কথা বলি।
আমার ফেইসবুকে কজন ভারতীয় বন্ধু আছেন। একমাত্র দময়ন্তীদি ছাড়া আর কাউকেই দেখলাম না বিএসেএফ এর এই আচরনের প্রতিবাদ জানিয়ে কিছু লিখতে।
আমরা আমাদের মতো করে কাজ করে যাবো। তবু অন্তত সচল পড়েন যেইসব ভারতীয়রা তারা কি পারেন না তাদের স্বদেশী ভাই বন্ধুদের এই বর্বরতার কথা জানাতে?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
খুবই ভাল আইডিয়া মেহের আপু, ভারতীয় সচল পাঠকদের অনুরোধ করছি এই বর্বরতার কথা ছড়িয়ে দিতে।
আমি
সংহতি। এর মাধ্যমে আমরা একটা ম্যাসেজ দিতে পারবো যেটা এর আগে দিতে পারি না, ম্যাসেজটা দেওয়া খুব দরকার। সবাই সংহতি জানাক এই কামনা করি।
_____________________
Give Her Freedom!
আমি এইমাত্র একটা কাজ করলাম...
আমার এয়ারটেল সিম এ শেষবারের মত টাকা ভরলাম। এবং আমার পরিচিত সবাইকে এসএমএস করলাম...
ভূত থেকে ভূতে সিস্টেম হিসাবে কাজ দিবে এটা...
_____________________
Give Her Freedom!
I am not going to use this Airtel number anymore PROTESTING continous BSF brutality on our people in the border . I encourage you to boycott their products as much as you can till they are not Sorry for all the killing in last several years.
I will be available in this number from now on +88019....
কপি পেস্ট করে সবাইরে পাঠানো শুরু করলাম। কৃতজ্ঞতা স্বীকার ছাড়া। নিজগুণে ক্ষমা করবেন।
ধন্যবাদ।
,
১লা মার্চ সকল ভারতীয় পন্য ও চ্যানেল বর্জন করুন। বাসায় ঐ দিন জ্যাক খুলে রাখব, তারপরও কেঊ হিন্দী চ্যানেল দেখলে তার খবর আছে! নগ্ন করে পিটানো গরু-চালানী,থেতলে দেয়া বিজিবি সদস্য আর ফেলানীর ঝুলন্ত লাশকে যারা উপহাস করে তারা মানুষের বাচ্চা না। কষ্ট লাগে এটা ভাবতে যে পিলখানার ঘটনার মধ্য দিয়ে বিজিবি-র সাঙ্গগঠনিক ও নৈতিক ভিত্তি গুড়িয়ে গেল,আর আমরা চেয়ে চেয়ে দেখলাম। এখন বলা কী অন্যায় হবে? বিদ্রোহী সদস্যদের শাস্তি দাও, হত্যাকারীদের মৃত্যুদন্ড দাও। কিন্তু কীন আগপিছ চিন্তা না করে আচমকা নাম আর পোশাক পালটে আমাদের কী লাভ হল??
আপনার মতো চিপা দিয়ে এসে ঘোলাপানিতে দুইটা মাছ মেরে যাওয়া লোকজন কি বলতে পারবে, নাম আর পোশাক না পাল্টালে কী হাতিঘোড়া লাভ হতো?
কোন খোঁয়াড়ের লোক ভাই আপনি, আকাট ছাগু না ফরহাদ মগবাজার?
কাউকে না কাউকে তো আন্দোলনের ডাক দিতেই হবে। আপ্নি এই কাজটি করেছেন।
সাথে আছি শুধু শরীক হবার জন্য নয়, নিজের গরজে, বিবেকের তাড়নায়।
বাংলাদেশ থেকে হ্যাচকা টানে ইন্ডিয়ান কেবল-চ্যানেল গুলো বন্ধ করে দিতে পারলে কতদিক দিয়ে কত উন্নতি হত, বেকুব সরকার এটা আরো কবে রিয়ালাইজ করবে?
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
অনেকেই ভুলে যাওয়া নিয়ে শঙ্কিত, মার্চের ১ তারিখ আসতে আসতে ভুলে যাব কেন? খেতে কি ভুলে যাই? যারা কম্পিউটারে বাংলা টাইপ করে বাংলা ব্লগে মন্তব্য করতে পারে তারা ভুলে যাবে কিভাবে? ইয়ার্কি? ওই সব ভুলে যাওয়া টাওয়া বাদ, বাঞ্চোতগুলারে একটা শক্ত ঠেলা দেওয়ার সর্বাত্মক প্রস্তুতি শুরু হোক। বিদেশে যারা আছেন তাদের একটা কথা মনে করিয়ে দেই, ভারতীয় দোকান খুঁজে খুঁজে মসলা সহ বিভিন্ন খাবার দাবার, জামা কাপড় কেনার অভ্যাসটা ছাড়েন দেখি এইবার।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
লেখাটা বেশ সময়োপযোগী এবং দরকারি। মার্চের এক তারিখে নিজের দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই সবাইকে ভারতীয় পণ্য বাদ দিতে বলব। আর আমি নিজেতো বরাবরই দেশী পণ্য থাকলে ভারতীয় পণ্য এড়িয়ে যাই। কিন্তু ভারতীয় সস্তা গাড়ির ব্যাপারে আমার একটা ভিন্নমত আছে। আমার ধারনা যতদিন না আমরা নিজেরা গাড়ি উৎপাদনে যেতে পারছি না ততদিন অন্তত আমাদের জাপানি গাড়ির তুলনায় ভারতীয় গাড়ি ব্যাবহার করাটাই ভালো। এতে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হচ্ছে। এমনকি অন্য সব ভারতীয় পণ্যের ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য। অর্থাৎ বাজারে দেশী জিনিস না পেলে ভারতীয় জিনিস কেনা যেতে পারে। কারন আমিতো মনে করি একটা চায়নিজ পণ্যের চেয়ে একটা ভারতীয় পণ্য কেনাটা তুলনামুলক ভাবে আমাদের জন্যে ভালো।
ভারতের বাদামবুট যে কিনে খায়, সেও ভাবে সে জাপানি বাদামবুট না কিনে ভারতীয় বাদামবুট কিনে খেয়ে বিদেশী মুদ্রা সাশ্রয় করছে। বাদামবুট যে দেশীও হতে পারে বা পারতো, সেইটা ভাবে না।
হুমম,,,একমত।
পেন্সিলভাইয়ের যুক্তি বুঝলাম না। কোন দিকথেকে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হচ্ছে?
যদি ধরেও নেই জাপানি গাড়ির দাম > ভারতীয় গাড়ির দাম, তারপরেও -
গুণগত মানে জাপানি গাড়ি টেকসই ও ফুয়েল এফিসিয়েন্ট। এর depreciation cost অনেক কম হবে।
খালি ফিক্সড কস্ট দেখলেই চলবে ??? প্রতি মেইল হিসেবে যে খরচ সেইটা কী হবে? একটা আন্দাজ থেকে মতামত দিলেই তো হবে না।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ভারতীয় গাড়িগুলো সাধারনত কম সিসি হয়, স্বাভাবিক ভাবেই সেগুলো এনার্জি এফিসিয়েন্ট হবে। তবে মেইনটেনেন্স কস্টের কথা বললে, ব্যাপারটা আরেকবার হিসেব করতে হবে। যদি খরচ বেশি হয় তাহলে ভারতীয় গাড়ি না কেনায় ভালো। আমার ব্যাক্তিগত কোন ভারত প্রীতি নেই। তবে নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করার ব্যাপারটাও আমার পছন্দ না।
পার্টস আর মেইনটেন্যান্সের পেছনে আপনার লাভের গুড় চলে যাবে রে ভাই। গাড়ির ব্যবসায় কিন্তু সবচেয়ে বড় আয় হয় পার্টস খাতে। আপনি টাটা বা মারুতি গাড়ি কিনেই তো আর খাল্লাস হচ্ছেন না, আপনাকে টাটা আর মারুতির পার্টসও কিনে যেতে হবে যতদিন আপনার গাড়ি টুকরা না হচ্ছে। মেইনটেন্যান্সও ঘন ঘন করতে হবে। এখন সবাই গাড়ি সিএনজিতে কনভার্ট করে ফেলে। গ্যাস সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটার থার্মাল স্ট্রেস বেশি। সিএনজিতে চলার জন্যে তো এসব গাড়ির এনজিন আর কুলিং সিস্টেম ডিজাইন করা হয় না। থার্মাল স্ট্রেসের কারণে ঘন ঘন গাড়ি গ্যারেজে পাঠাতে হবে, পার্টস পাল্টাতে হবে। ভুক্তভোগী হিসেবেই বলছি।
আর বাংলাদেশে জ্যাম দরজা দিয়ে ঢুকলে এনার্জি ইফিশিয়েন্সি জানালা গলে বেরিয়ে যাবে।
তারচেয়ে ভালো বাস নামানোর জন্য সরকারকে চাপ দিন, যাতে গাড়িতে চড়তে না হয়।
কোন হিসাবে চায়নীজ মালের থিকা ভারতীয় মাল ভাল হইল Pencil ভাই?
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
ভাই, আমিতো ঐটা মিন করিনাই। আমি বুঝাইতে চাইছি ভারতের জিনিস কেনা বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয়। মানে চীন একটু দূরে আর ভারততো আমাদের পাশেই। পরিবহন খরচটাওতো কম লাগে।
Pencil ভায়া, আসুন ভারতীয় গাড়ি কিনলে কিভাবে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হয় দেখাই-
ধরা যাক, একটা জাপানী গাড়ি ৩০০০০ ডলার টাকা দাম তাই ভারতীয় নতুন গাড়ি কিনা ভালো ৩০০০ ডলারে
বছরে ৫০০০ নতুন ভারাতীয় কিনলে খরচ হয়: ১৫,০০০,০০০ ডলার
বছরে ৫০০০ নতুন জাপানী গাড়ি কিনলে খরচ হতো ১৫০,০০০,০০০ ডলার
অনেক সাশ্রয়!
এবার আসুন নতুন জাপানী না কিনে একটু পুরোনো জাপানী গাড়ি কিনি। ১০ বছরের পুরোনো জাপানী গাড়ির দাম পড়ে ৬০০ ডলারের মতো।
বছরে ৫০০০ নতুন ভারাতীয় কিনলে খরচ হয়: ১৫,০০০,০০০ ডলার
বছরে ৫০০০ পুরোনো জাপানী গাড়ি কিনলে খরচ হতো ৩,০০০,০০০ ডলার
কতো সাশ্রয়?
ওই ৩০০০ ডলারের ভারতীয় গাড়িগুলোর আয়ু কতো বছর? ৩ বছরের পর তাদের গায়ে মরিচা বাদে কিছু দেখা যায়? দেশে মারুতির টেক্সিক্যাব আর টাটার ম্যাক্সি চলতো কবছর আগেও। এখন দূরবীন দিয়েও খুজে পাওয়া যায়না তাদের অস্তিত্ব। স্রেফ ভাগাড়েই আস্তানা গেড়েছে। এদেশকে ভারতীয় গাড়ির ভাগাড় বানাবার প্রক্রিয়াটা বরাবর চলছে যে কোন সরকারের আমলেই। বিএনপি ভারতের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে গলা ফাটালেও তাদের আমলেই দেশে ভারতীয় তিন চাকার সিএনজি টেক্সিতে সয়লাব হয়ে গিয়েছিল। ১ লাখ টাকার সিএনজি ট্যাক্সি ৪ লাখ টাকা ব্যয় করে কিনেছে মানুষ।
জাপানী গাড়ির ক্ষেত্রে পুরোনো কথাটি ভারতীয় নতুন কথাটির চেয়ে ১০ গুন বেশী মজবুত। তবু আমাদের সরকার মহোদয়েরা এমনভাবে কর ধার্য করে যাতে ৪ বছরের বেশী পুরোনো জাপানী গাড়ি কিনতে না পারে। ৪ বছরের রিকন্ডিশনড গাড়ির দাম ভারতীয় গাড়ির চেয়ে বেশী। মরার উচ্চ কর ধার্য করে তার দাম আরো বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। নতুন গাড়ির কর কমিয়ে রাখা হয়েছে কারণ জানা আছে নতুন জাপানী গাড়ি কেউ কিনবে না সামর্থ্যের কারণে। ফলে ভারতীয় গাড়ির বাংলাদেশের বাজার দখল করতে সুবিধা হয়। মজার ব্যাপার হলো নিউজিল্যান্ডের মতো দেশেও ১২ বছরের পুরোনো জাপানী গাড়ি আমদানী করার সুযোগ আছে। কিন্তু বাংলাদেশের খান্দান এত উঁচু হয়ে গেছে যারা ৪ বছরের বেশী পুরোনো গাড়িতে চড়লে পেট খারাপ হয়।
পুনশ্চ: আমাদের একটি ২২ বছরের পুরোনো টয়োটো করোনা গাড়ি আছে, যেটি এখনো যে কোন ভারতীয় নতুন গাড়ির চেয়ে শক্তিশালী ও দৃষ্টিনন্দন।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
জটিল
হিসেবে খরচ বেশি হলে কিনলাম না ভারতীয় গাড়ি। তবে আমার প্রশ্ন হচ্ছে, ভারত কিভাবে পোষাচ্ছে নিজেদের গাড়ি ব্যাবহার করে? ওরা কেন জাপানি গাড়ি আমদানি করে না?
পুনশ্চ: আমাদের একটি ১৪ বছরের পুরোনো টয়োটো করোলা গাড়ি আছে, যেটি এখনো যে কোন ভারতীয় নতুন গাড়ির চেয়ে শক্তিশালী ও দৃষ্টিনন্দন।
ইকোনমি অব স্কেইল দিয়ে। সারা ভারতে ভারতীয় গাড়ির ক্রেতার সংখ্যা অনেক, বেশি ইউনিট উৎপাদন করলে মাথাপিছু খরচ কম পড়ে। তাছাড়া ভারত সরকারের পলিসিই হচ্ছে বিদেশী গাড়ি আমদানি না করে নিজের দেশের গাড়ি উৎপাদন শিল্পে প্রণোদনা দেয়া।
আর ভারতে পাবলিক ট্র্যান্সপোর্ট সিস্টেম বাংলাদেশের চেয়ে অনেক ভালো।
লেখক হুমায়ূন আহমেদ কালের কন্ঠ পত্রিকায় "ভারত জুজু" নিয়ে একটা কলাম লিখেছেন। সেখান থেকে কয়েকটা লাইন কোট করছি -
অন্ধ-বধির এইসব লেখক/বুদ্ধিজীবীর এই উপলব্ধি নতুন কিছু নয়। বিভিন্ন সময়ে তারা কিছু বাণী প্রসব করেন যাতে নানা বিভ্রান্তিমূলক কথা/তথ্য থাকে। হুমায়ূন ফুরিয়ে গিয়েছে অনেক আগেই। এখন সে ফালতু-বাতিল মাল। কিন্তু তার একটা নির্দিষ্ট পাঠক শ্রেণী আছে যারা তার বক্তব্যকে বেদবাক্যের মত মানে। এই অন্ধ পাঠক শ্রেণীর কাছে যে বক্তব্যটা যাচ্ছে তা ভুল ও বিপদজনক।
ক্ষমতাধর প্রতিবেশিকে তোয়াজ করার কিছু নেই। কূটনৈতিকভাবে ও রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে এ ব্যাপারটার নিষ্পত্তি প্রয়োজন। ভারতের পণ্য ও সেবা যতসম্ভব বর্জন করব এটাই হোক আমাদের আদর্শিক অবস্থান।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
হুমায়ূনের মতো বাতিল মালদের এখন দরকার নানা গোষ্ঠির সহায়তা। ওনার মন্তব্যে দিলাম।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
হাসিনাকে তোয়াজ না করে চললে কি আর জাতিংঘে পরামর্শ দাতার পদ পাওয়া যায়। বাপকে রাজাকাররা মেরেছিল বলে পাকিস্তানের উপর খুব রাগ, আমেরিকার উপর সেই রাগ থাকে না কেন? আর কোন দেশ ছিল না চিকিৎসার জন্য?
১ মার্চ তো অবশ্যই। তবে আমি এই মুহূর্ত থেকেই সম্ভাব্য সমস্ত ক্ষেত্রে ভারতীয় পণ্য-সেবা-বিনোদন বর্জনের পক্ষে। আমি গতকাল রাত থেকেই ব্যক্তিগত ও পারিবারিক পর্যায়ে এটা শুরু করেছি।
.......................................................................................
Simply joking around...
সংহতি।
'''''''''''
তৃপ্তি আমার অতৃপ্তি মোর
মুক্তি আমার বন্ধনডোর
শুধু ব্যক্তিগত পর্যায়ে করলে বিচ্ছিন্ন আন্দোলনই থেকে যাবে.. ম্যাস মিডিয়াকে খুব 'তেল' দিয়ে হলেও, রুই কাতলাদের ধরে ফলাও করে প্রচার করা দরকার.. ভারতের কাছে যেনো মেসেজটা পৌছে!
যাক, বুঝতে পারলেন যে দেশের স্বার্থে কোনো কিছু করাতে হলে ম্যাস মিডিয়াকে সহজে পাশে পাওয়া যাবে না, তাদের "খুব তেল" দিতে হবে।
ধন্যবাদ সুন্দর পোষ্টের জন্য।
ভারত কখনই বাংলাদেশের তো দূরের কথা উপমহাদেশের কোন দেশেরও মঙ্গল চায় নি। ভৌগলিক দিক থেকে সুবিধার কারণে ভারত যা খুশি তাই করে যাচ্ছে।
আজ সকালে অফিসে গিয়েই সহকর্মীদের সাথে বিষয়টা নিয়ে আলাপ করেছি এবং তারা সকলেই আমাদের এই প্রস্তাবের সাথে একাত্মতা ঘোষনা করেছেন। তাদেরকে অনুরোধ করেছি, তাদের পরিবার এবং বন্ধুমহলেও বিষয়টা ছড়িয়ে দিতে। আমার ভাগ্নে তাদের মেডিক্যাল কলেজে তার বন্ধুদের সাথে বিষয়টা বলেছে। ওরাও একমত। প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
কর্মসূচীর সাথে সহমত। একটা বিষয়, একদিন বর্জনের ধারণার পিছনে আমি যতদূর বুঝি "বাংলাদেশ ভারতকে বর্জন করলে তাদের একদিনের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ" টা বুঝিয়ে দেয়া। সেটার খাত অনুয়ারী কিছু পরিমাপযোগ্য ইফেক্ট দেখাতে পারলে ভালো হত। উদাহরণস্বরূপঃ ক্যাবল অপারেটরদেরকে অনুরোধ করা যায়, ওইদিন ভারতীয় চ্যানেল প্রচার থেকে যেন বিরত থাকে। তাতে সম্প্রচার খাতে ওরা কত রেভিনিউ হারালো সেটার একটা হিসাবে পেলো।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
দাদাদের দাদাগিরি ঠেকানোর মোক্ষম অস্ত্র হতে পারে এই "ভারত-বনধ"। অহিংস কিন্তু ইফেক্টিভ তার প্রমাণ গান্ধী রেখে গেছেন আংরেজ সাম্রাজ্যের দেয়ালে ফাটল ধরিয়ে। সেই একই অস্ত্র দাদাদের ওপর এপ্লাই করা উচিত। ১৬ কোটির মার্কেট দাদাদের হাতের নাগালের বাইরে নিতে পারলে বেশ বড়সড় একখানা ** মারা দেয়া যাবে।
মজার ব্যাপার হলো হাবিবুর গরু আনতে গিয়ে মার খেয়েছে। সবাই ভারতীয় সাবান শ্যাম্পু মসলা টিভি চ্যানেল এর কথা বলছে, গরুর কথা কেউ বলে না। ভারতীয় গরু না আসলে আমাদের কোরবানী ঈদ এর সময় তো কোরবানীর পশু পাওয়া যাবে না। আর সারাবছর যা গরু খাওয়া হয় তার ও বড় অংশ ভারতীয়। কাউকে কটাক্ষ করা আমার উদ্দেশ্য না, আজকের দিনে পণ্য বর্জন কতটা কাজের আর ফিসিবল সেটা ভাবার ব্যাপার আছে। সারাবছর ভারতীয় গরু খেলাম আর দু-চার টাকার জিনিস বর্জন করে মনে মনে আত্মতৃপ্তি পেলাম, এতে কোন কাজের কাজ হবে না।
আমরা বছরে কয় কোটি টাকার ভারতীয় গরু খাই, সেটা একটু জানিয়ে যান পারলে। কেবল টিভি চ্যানেলের জন্যে দিই দুই হাজার কোটি টাকা। মোবাইল খাতে এয়ারটেলকে কতো দিই, জানি না। চকলেট-বিস্কুট-জামাকাপড়সহ আরো বালছাল খাতে আরো কয়শো কোটি টাকা যায়, সেটাও জানি না।
তাই অন্য সবকিছুকে দুইচারটাকার জিনিস বানিয়ে গরুর উপর ঝাল ঝাড়াকে অজ্ঞতাপ্রসূত মন্তব্য ধরে নিলাম। গরুকে আমরা বর্জনের লিস্ট থেকে বাদ দিতে বলছি না, কিন্তু গরু বিশাআআআআল খাত, আর বাকিগুলি খুচরা, এই ধরনের বলদা কমেন্ট আশা করি না।
পরিসংখ্যান দিতে পারবো না, তবে বর্ডার দিয়ে যে পরিমান জিনিশ চোরা পথে বাংলাদেশে ঢুকে, অর্থমূল্য আর বাংলাদেশীদের তার উপর নির্ভরশীলতা বিবেচনা করলে গরু এক নম্বরে। একটা পরিবার বা একজন মানুষ বছরে যে পরিমান টাকা খরচ করে, আপনি চিন্তা করে দেখেন অন্য খাতের খরচ কতোটা ভারতের অর্থনীতিতে যায় আর হাজার লাখ টাকা দামের গরু কিনে কোরবানীর সময় এবং সারা বছর অন্য সময়েও, তার অর্থমূল্য কত। আমার কথা হলো আমাদের নির্ভরশীলতা কমাতে হবে, যেনো চোরাচালানী না করা লাগে। ইলেক্ট্রনিক্স জিনিস বা গাড়ির জন্য আমরা ভারতের উপর তেমন নির্ভরশীল না বা ওগুলো বাংলাদেশের বাজারে তেমন বাজারে জনপ্রিয় ও না। সাবান শ্যাম্পু টিভি চ্যানেল বর্জন করে আমরা হয়তো একটা আত্মতৃপ্তি পাবো কিন্তু এতে আমাদের পরনির্ভরশীলতা কতটুকু কমবে? অবশ্যই ছোট বড় সব আমরা বর্জন করবো কিন্তু গরুর কথা পাশ কাটায়ে গেলে সেটা ওই 'বিপ্লবী দের বিদেশী মদ আর সিগারেট না খেলে বিপ্লবে জোর আসে না' টাইপ হয়ে যাবে। আশা করি ভারতীয় গরু না খেলেও আমাদের মুসলমানিত্ব বজায় থাকবে। আমীন।
ভারতীয় গরু বর্জনের ব্যাপারে সহমত। কিন্তু "গরুর কথা কেউ বলে না তাই বর্জন করে কী লাভ" গোছের কথার সাথে একমত না। সাবান শ্যাম্পু টিভি চ্যানেল বর্জন করে আমরা খালি আত্মতৃপ্তিই পাবো না, কয়েক হাজার কোটি টাকা আমদানি-চোরাচালানিতে না দিয়ে নিজেদের আভ্যন্তরীণ সাবান শ্যাম্পু টিভি খাতে ব্যয় করতে পারবো।
বোধ করি গরুর পাছায় 'born and brought up in India' লেখা সিল থাকলে বাংলাদেশী মুসলমানের দেশপ্রেম আর ঈমান আরো জাগ্রত হবে।
এই উছিলায় বাংলাদেশী মুসলমানের মুসল্মানীত্ব জেগে উঠেছে।
এক ছেলের লেখাঃ 'ব্যক্তিগতভাবে ভারতীয় পণ্য বর্জন আমার জন্য কখনোই কঠিন ছিলনা, আমার বাবা সামথিং মেইড বাই মালাউন বুঝলেই উল্টা দিকে হাঁটতেন, আমিও দুনিয়ার যেইখানেই যাই মেইড বাই মালাউন এড়িয়ে চলি একশত ভাগ।'
তার এক অমুসলিম বন্ধুর কমেন্টঃ 'নটরডেমের বিদ্যাসাগর স্যার এর বাসায় কেমিস্ট্রি পড়ার টাকা তোর কোন বাপ দিসে'
খুউব খেয়াল করে।
খুউব খেয়াল করলাম।
ছাগলবলদের কাছে ভারত মানে "মালাউন"। আমার কাছে ভারত মানে বড় প্রতিবেশী, যার সাথে নানা দর কষাকষি চলবে সবসময়। প্রতিবেশীর আচরণ প্রতিবেশীসুলভ না হলে আমরা তাকে স্মরণ করিয়ে দেবো, প্রতিবেশীসুলভ আচরণ কেমন হওয়া উচিত। কূটনৈতিক চ্যানেলে সেটা জানিয়ে প্রত্যাশিত ফল পাওয়া না গেলে, সামাজিক চ্যানেলে জানাতে হবে। জানানোর উপায় বর্জন। কোথাকার কোন ছাগু তার ফেসবুক ওয়ালে কী লাদি ছেড়েছে, সেটা দেখে এই বার্তা দেয়া থেকে আমরা পিছিয়ে আসবো না। আপনার যদি বর্জনে রুচি না থাকে, আমার আপত্তি নাই। কেউ কাউকে জোর করছে না।
হিমু ভাই আমি ভারতীয় কোনকিছুর উপরে নির্ভরশীল না। আমি দেশে থাকি না তাই আমার জন্য ব্যাপারটা খুব সহজ। তবে বাংলাদেশে যারা থাকে তাদের জন্য এটা সহজ হবে না। আমার মনে হয় বর্জনের চেয়ে, আমরা এমন কিছু করি যেন বর্ডার এলাকার ওই গরিইব মানুষটার চোরাই পথে জিনিষ আনতে না হয়। বর্জনের আগে আমরা দেশে গরুর খামার করার ব্যবস্থা করি, ফ্যাক্টরি-ইন্ডাস্ট্রি করি তাহলেই বর্জন সফল হবে।
১ দিনের জন্য ভারতীয় পণ্য বর্জন করতে গিয়ে আমাদের নাভিশ্বাস উঠছে, এই প্রপঞ্চও আমাদের জন্যে শিক্ষণীয়।
১ দিনের জন্য বর্জন করি আসুন। ফ্যাক্টরি ইন্ডাস্ট্রি করার পথে ওটা প্রথম ধাপ ধরে নিন।
হিমু ভাই, শুধু হিন্দী স্যাটেলাইট চ্যানেল বন্ধ করেই যদি বছরে ২০০০ কোটি টাকা সাশ্রয় করা যায় তাহলে আমাদের সংবাদ মাধ্যমের তো নিজেদের উদ্যোগী হয়ে এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার কথা। এখানে ফাঁকটা কোথায় বলে মনে করেন বা আপনার কোন ধারণা আছে কি। এই তথ্যটার সত্যতা যাচাই করার পর থেকে খুব চুলকানি দিচ্ছে।
@জ়নৈক চন্দন..আপনি ত কথা বেশি বলেন। আমাদের উদ্দেশ্য ১লা মার্চ প্রোগ্রাম সফল করা, সেটার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, আপনি কি করছেন? উপকারে আসতে না পারলে কেটে পড়ুন, রাজাকারের ধর্ম নাই।
শেয়ার দিলাম । লেখকের প্রতি - কিন্তু রাগ জতই হউক, অস্রাব্ব শব্দ চঅন বাদ দিতে হবে। তা না হলে প্রফেশ্অনাল দুনিয়াতে আমরা প্রতিবাদের দিক থেকেও পিচিএ থাকব। পরবরতি লেখা গুলঅতে এতা খেয়াল রাখবেন।
অশ্রাব্য শব্দ নিয়ে আপনার সাথে আমার মতের মিল হবে না। প্রফেশন্যাল দুনিয়ায় প্রতিবাদ করে এগিয়ে যাওয়ার মত কিছু পোস্ট আপনি নিজেও দিন, উদাহরণ সৃষ্টি করুন। ধন্যবাদ।
আমি আগে ফালানির ওই মৃত্যুর ঘটনা দেখিনি. হাবিব এর পুরো উলঙ্গ করা দৃশ্যটা তা আমি শেষ করতে পারিনি .অর্ধেক তা দেখেই আমার ভীষণ অস্থির লাগছিল.কাল রাত এ ঘুম হয়নি আমার. রাত তিনটায় এই ছড়াটা মাথায় আসল. হয়ত এটা কিছুই হয় নাই. কিন্তু এরচেয়ে অন্য ভাবে প্রতিবাদ করার ভাষা আমার জানা নাই. তবে আমি জানি এটা শুধু একদিন এর জন্য মধে সীমিত থাকলে কোনো ফলপ্রসু হবে না. এবং এটাও জানি পানিতে নেমে কুমির এর সাথে বিবাদ করা চলে না. আমাকে একজন অদ্ভুত একটা যুক্তি দিলেন. যুক্তি শুনে হাসব না কাদব বুঝলাম না. তিনি একজন বাংলাদেশী এবং ডাক্তার. তিনি বললেন, আমাদের দেশে পুরুষ রা বউ পিটায় এবং সেই বউ কে ওই স্বামীর সাথেই ঘর করতে হয় . চমত্কার যুক্তি. আমার মনে হয় যার বোধ নিয়ে তাকে বুঝানো যায় না কিন্তু যার বুদ্ধি নেই তাকে বুঝানোর জন্য একটু বুদ্ধি দিতে হই. আমাদের দেশ এ বোধহীন মানুষের সংখ্যা অনেক যেটা অনেক বেশি ক্ষতিকর
বুকে আগুন চোখে আগুন
আগুন চারিদিকে
সেই আগুনে পুড়িয়ে দিব
বিএসএফ তোকে
ফালানি মরে হাবিব কাঁদে
কষ্ট রাখার জায়গা নাই
১ মার্চ ভারত বন্ধ
এই অঙ্গীকার করতে চাই
আপনাকে মুগের ডাল দিয়ে খাসির গোস্ত রান্না করে খাওয়াবো। কচুর শাক দিয়ে ইলিশের মাথা রান্না করে খাওয়াবো। কিন্তু প্লিজ, প্লিজ এই ধরনের ছড়া লেখা বন্ধ করেন। বিএসএফের কোনো ক্ষতি হবে না, কিন্তু আমার মাথাটা চক্কর দিয়ে উঠেছে এই ছড়া দেখে।
তারচেয়ে একদিনের জন্য ভারত বর্জন করুন। পণ্য-সেবা-ফূর্তি। ফলপ্রসূ হয় কি না সেটা পালনের পর বোঝা যাবে।
ভয়াবহ বানান।
এই বানানে লিখলে বক্তব্য বুঝাতে পিছিয়ে থাকবেন। পরবর্তী মন্তব্যগুলোতে এটা খেয়াল রাখবেন আশা করি।
বানান ভুল এর জন্য ক্ষমা চাইছি. কারণ আমার বাংলা টাইপ করার ক্ষেত্রে একটু অসুবিধা হচ্ছে অনেক দিন থেকেই. হিমু, খাসির গোস্ত আমি খাই না তেমন একটা. 'বোধহীন' বলতে গিয়ে বোধ নিয়ে বলে ফেলেছি. এছাড়া আর কোথায় বানান ভুল হয়েছে বুঝলাম না. সেটাও কথা না কথা হলো আমি ভারত বর্জন করেছি অনেক দিন থেকেই. মুশকিল হলো আমার পরনের একটা শাড়ি আছে যেটা আমার এক কলিগ আমাকে গিফট করেছিলেন যখন তিনি ভারতে বেড়াতে গিয়েছিলেন. ভাবছি সেটা পুড়িয়ে মনের জ্বালা জুরাব কিনা. যদিও হয়ত পাগলামি ছাড়া কিছুই না. কিন্তু ফালানি'র ছবিটা আমি গতকালই দেখলাম এবং চোখ এর সামনে থেকে কিছুতেই সরাতে পারছি না. আমার কষ্ট এখানে ফেস বুক এ মেসেজ দিলাম, ইভেন্ট ওপেন করলাম, লোকজন কে একত্রিত হওয়ার জন্য যা যা করার দরকার চেষ্টা করে যাছি তেমন কোনো সাড়া নাই.
আপনি মনে হয় নিজেই হাজারখানেক লোককে একত্র করতে চাইছেন। সেটা না করে পাঁচজনকে বলুন (ভাইবোনবাপমাখাতিরেরমানুষ)। তাদের আবার বলুন আরো পাঁচজনকে বলতে, একইভাবে আরো পাঁচজনকে বলার অনুরোধসহ।
হিমু ভাই, আমার কাছে এলোমেলো মেঘ বোনের পদ্ধতিটাই ফলপ্রসু মনে হয়েছিল। জেনুইন, ফেক একাউন্ট মিলিয়ে ২০০ ফ্রেন্ড এর ওয়াল এ আলাদাভাবে লিঙ্কটা শেয়ার করেছিলাম। আমি হতভম্ব হয়ে গেছি, ক'টা লাইক ছাড়া একজনও স্প্রেড দিলনা! শিক্ষিত ফেসবুক ইউজার বাঙ্গালীদের এই অবস্থা হলে আপনি ফ্যামিলি পর্যায়ে সাফল্য আশা করেন কিভাবে? আমি চরম অপমানিত, নিজের এবং আপনার জন্য, ভুল পথে জিনিসটা পাচার করার জন্য। বাঙ্গালীর প্রাপ্য আসলে এটাই। কে যেন জ্ঞানপাপী শব্দটা ব্যবহার করেছিল, আমরা আসলেই তাই। বাঙ্গালীর এটাই প্রাপ্য। প্রতিনিধি তো আমরাই বেছে নিই, ভুল হাতে নিজের দায়িত্ব তুলে দিলে পরিণাম তো আমাদেরই ভোগ করতে হবে। আসেন পাছার চামড়া শক্ত করি বরং।
৫ জনকে দলে টানেন না ভাই। দিনে ৫ জন করে দলে টানেন।
এরা বাইস্ট্যান্ডার এফেক্টে আক্রান্ত। যেহেতু তাদের বন্ধুদের "কেউ কেউ" বিষয়টা নিয়ে একটিভ, তাই বাকিদের সচেতন না হলেও চলবে। এদের উদ্বুদ্ধ করুন এই বলে যে, কেউ কেউ একটিভ চলে চলবে না। সবাইকে একটিভ হতে হবে। এই ভিডিওটা শেয়ার করে দেখতে পারেন কাজ হয় কিনা।
মুর্শেদ ভাই, সুন্দর...posted, দেখি বাঙ্গালীর চামড়া কতটা মোটা। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
@হিমু ভাই, আমার বাসায় আম্মার হিন্দি সিরিয়াল প্রীতি নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। বলেও লাভ হয়নি। অতঃপর সরাসরি লেখাটা পড়ালাম...কাজ হচ্ছে!!
আর বাকি মাত্র ৩৬ দিন।
ওপরে চিলতে রোদের ৫২ নং মন্তব্যের সাথে একমত প্রকাশ করছি।
লেখকের প্রস্তাব যুক্তিযুক্ত। একদিনের জন্য হোক বা তিনদিনের জন্য হোক আমাদের উচিত একযোগে ভারত বর্জন করা। এজন্য রাজনৈতিক দলগুলো এক হতে পারবে না। সাধারণ মানুষকেই করতে হবে। আমি মনে করি যাদের সামর্থ্য আছে তাদের উচিত সবসময়ের জন্য ভারতীয় পণ্য বর্জন করা।
যেসব বাংলাদেশীরা আমেরিকার বিভিন্ন স্টেইটে প্যাটেল ব্রাদার্স, সব্জিমণ্ডীতে বাজার করেন তারাও সজ্ঞানে কয়েকদিনের জন্য এসব দোকানে বাজার করা বন্ধ করতে পারেন। তবে তা অবশ্যই করতে হবে দলবেঁধে, ব্যানার পোস্টার নিয়ে। তাতে মিডিয়ায় ব্যাপারটা আসবে। যেহেতু অন্যসব জায়গার চেয়ে নিউইয়র্কে জনঘনত্ব বেশি তাই নিউইয়র্কের প্যাটেল ব্রাদার্স, সব্জিমণ্ডী জাতীয় দোকানগুলোর সামনে অবস্থান ধর্মঘট করা যায়। একইভাবে যারা বিভিন্ন দেশে আছেন তারাও সেদেশের মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করে এ ধরণের প্রতীকী প্রতিবাদ জানাতে এগিয়ে আসতে পারেন।
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
কিন্তু যেসব বাংলাদেশীরা ভারতে আছেন তারা কিভাবে করবেন প্রতিবাদ?
একটা ইন্টারেস্টিং জিনিস দেখুন। একজন ভারতীয় বাংলাদেশে বসেই বহুলাংশে বাংলাদেশ বর্জন করে চলতে পারবেন। একজন বাংলাদেশী বাংলাদেশে বসেই ভারত বর্জন করতে হিমসিম খেয়ে যাচ্ছে, ভারতে বসে বর্জন করা তো দিল্লির মতোই দূরবর্তী ঘটনা।
এটা একটা সমস্যা হয়ে গেল.....চেষ্টা করব ভারতীয় বন্ধু বান্ধবদের কাছে সত্য গুলো তুলে ধরার।
শেয়ার দিলাম।
হিমু ভাই , সাথে আছি।
"সাথে আছি" ইজ নট এনাফ এনি মোর, ভাই। ভূত থেকে ভূতে কায়দায় প্রতিদিন নতুন তিনজন বা পাঁচজনের সাথে এই প্রসঙ্গে আলাপ করুন। উদ্যোগটার কথা জানান। তাদেরও বলুন একই ভাবে তিনজন বা পাঁচজনের সাথে কথা বলতে, এবং তারা যাদের সাথে কথা বলবে, সেই লোকগুলোও যেন প্রতিদিন তিনজন বা পাঁচজনের সাথে এ নিয়ে আলাপ করেন।
এই প্রতিবাদ তো আমার বা সচলায়তনের একার প্রতিবাদ না। এই প্রতিবাদের কোনো মালিকানা নাই। এটা বাংলাদেশের মানুষের প্রতি ভারতের আমলাযন্ত্রের উন্নাসিক অমানবিক দৃষ্টিভঙ্গির বিরুদ্ধে আপনার ব্যক্তিগত প্রতিবাদ। আপনি আমার বা সচলায়তনের সাথে কেন আছেন? আপনি নিজের প্রতিবাদী অবস্থানে দাঁড়ান, অন্যদের ডাকুন। ধন্যবাদ।
ভাইয়া, আমি ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনের সাথে কথা বলেছি । ওরা সবাই সম্মত হয়েছে এবং ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি ।
শুনেছিলাম মন্ত্রনালয় গুলো ইজারা দিয়েই পরিবারগুলো ক্ষমতায় আসে। তো এই বাংলাদেশের কপালে কি আর হবে?
আপনাদের সাথে আছি।
আরেকটা।
http://www.prothom-alo.com/detail/news/219587
১ মার্চ এর বনধে আপনি আছেন ? দেশে আসছেন ?
আমি আছি তো অবশ্যই, তবে দেশে আসছি না। এই বনধ দেশে এসে পালন করতে হবে, এটা কেন মনে হচ্ছে আপনার? ভারতীয় পণ্য-সেবা-ফূর্তির গ্রাহক আমরা সারা দুনিয়া জুড়েই।
@হিমু ভাই আপনি দেশের বাইরে থাকেন জেনে খুব বিচলিত হলাম। কারণ আমিও ধারণা করেছিলাম আমাদের মানববন্ধন জাতীয় একটা কর্মসূচী থাকবে। একটা ফিজিক্যাল এক্সিসটেন্স ছাড়া আন্দোলনকে সফল করা খুবই কঠিন আর আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে সেটা আরও সত্য, আমরা ত মনে প্রাণে এখনও সেই পর্যায়ের শিক্ষিত না। আমার বন্ধুদের মধ্যে দেখলাম অনেকেই ইভেন্ট জয়েন করে আবার ইভেন্ট ছেড়ে চলে গেছে। এটার একটা কারণ হতে পারে এডমিন এর পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট কোন দিক নির্দেশনা না থাকা। ভাই প্লিজ মাঝে মাঝে আপডেট দিয়ে চিন্তামুক্ত রাখবেন।
মানববন্ধন কর্মসূচি করে কী হবে? বিশ পচিশ জন লোক হাতে হাত ধরে ব্যানার নিয়ে দুই ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে বাড়ি চলে যাওয়ার চেয়ে যে যার মতো করে ভারতীয় পণ্য-সেবা-ফূর্তি বর্জন করাটা কি শ্রেয়তর নয়?
আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ভারতীয় ব্যবসায়ী গোষ্ঠীকে বর্জন করে তাদের রোজগারে একটা ডেন্ট বা নচ তৈরি করা, এবং এই নচের প্রতি তাদের মনোযোগ আকর্ষণ করা। সেটার জন্য মানববন্ধন করা লাগে না। এমনকি বাসা থেকেও বের হওয়া লাগে না, যে যার জায়গায় বসেই করতে পারেন।
ami dukkhito english a likhar jonno. kintu amar kache banglay lekhar kono bebostha bortomane nei. ami akta jinis bujte chacchi. ami amar ak sohopathike 1 march bharotiyo ponno borjoner kotha bolle se bollo, ata kivabe sombhob? amader khabar pray sob jinis chal, piyaj, rosun, goru sob-e bharot theke amdani korte hoy. tahole ki oidin na kheye thakbo?
ami bujte parini uttorta ki debo. apnara ektu deben?
a hasnat
সচলে কনট্রোল + অল্ট + পি চাপলেই আপনি ফোনেটিক লেআউটে বাংলা লিখতে পারবেন।
এই প্রশ্নগুলো যাতে আমাদের মনে জাগে, সেজন্যেই কিন্তু ১ দিনের বর্জন কর্মসূচির কথা সবাইকে জানানো জরুরি। আমরা নিত্যব্যবহার্য অনেক জিনিসের জন্যে ভারতের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি। এর কিছু অংশ স্বাভাবিক নিয়মে (যেহেতু আমাদের দেশে কৃষিজমি ক্রমশ সীমিত হয়ে আসছে, সব খাদ্যদ্রব্য আমরা নিজেরা ফলিয়ে কুলাতে পারবো না, কিছু জিনিস আমদানি করতে হবেই), আর বাকিটা হচ্ছে আমাদের কর্তৃপক্ষীয় বেহায়াপনা, ভোক্তা উদাসীনতা আর ভারতীয় বাজারের বিপণন কৌশলের কারণে। ঐ বাকি অংশটা নিয়েই আমরা নিজেরা সচেতন হতে চাই এবং অন্যদের সচেতন করতে চাই।
আমরা ভারতের ক্রেতা। কিন্তু ক্রেতার মর্যাদা আমরা পাচ্ছি না। তাদের মালও কিনবো, তাদের মারও খাবো, এ তো চলতে পারে না। ১ দিনের জন্যে ভারতীয় পণ্য বর্জন করলে আমরা সেগুলোর বিকল্প সম্পর্কে হাতেকলমে জানতে পারবো, এবং এই বর্জন কর্মসূচি যদি আমরা ভারতীয় আমলাযন্ত্রের দুর্ব্যবহারের জবাব হিসেবে চালাতে পারি, তাহলে ক্রমশ আমরা বুঝতে পারবো, ভারতের কোন পণ্যগুলো ছাড়াই আমরা চলতে পারি। যেসব বিকল্প দেশেই রয়েছে, সেগুলোর বিকাশেও তখন আমরা মন দিতে পারবো। আশা করি বোঝাতে পারলাম। ধন্যবাদ।
গ্রামীণ জীবনযাত্রার স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের জন্য প্রচারাভিযান বা CSRL-এর বার্ষিক সাধারণ সভা ২০১২-তে ছিলাম দুই দিন এ সপ্তাহের শুরুতে। অনেক কথাই আলোচনা হলো সেখানে। রাষ্ট্রীয় নীতির বিষয়েও সেখানে কথা এসেছে। সরকার কৃষক বাঁচাতে কতটুকু উদ্যোগী তা'ও আলোচনা হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপন্য আমদানীর ক্ষেত্রে ইনডিয়াকে যেভাবে শুল্ক সুবিধা দেওয়া হয় সেটা বাংলাদেশের কৃষকের উঃপাদিত কৃষিপণ্যের লাভজনক মূল্য প্রাপ্তিতে অন্যতম একটা প্রতিবন্ধকতা। এর পাশাপাশি মধ্যস্বত্ত্বভোগী চক্রের দৌরাত্ম এবং প্রোডাক্ট ভ্যালু চেইনে কৃষকের অংশগ্রহন না থাকাটাও একটা কারণ। পাশাপাশি বীজের জন্যে বৈদেশিক নির্ভরশীলতাও একটা বিষয়। গতবছর চিনের ঝলক ধান বীজ এবং সিনজেন্টার টমেটো বীজের কারনেও কৃষকেরা চরমভাবে দূর্দশায় নিপতিত হয়েছিলো।
কথা হচ্ছে আমরা স্বতস্ফুর্তভাবে ১ মার্চ ইনডিয়ান সবকিছু বর্জন করবো। আশা করবো এই প্রতীকি বর্জন ইনডিয়ার সরকারী পর্যায়ে পৌঁছবে এবং ইনডিয়ার সরকার সীমান্তে বাংলাদেশী নির্যাতনের বিষয়টা গুরুত্বের সাথে নেবে (!) এবং এটা বন্ধে ব্যবস্থা নেবে। তবে যেহেতু আপনি পয়েন্টটা তুললেন, সেহেতু মনে করছি আমাদের সরকারের অনেক কিছুই করার আছে। এমনিতেই প্রতিবছর বাংলাদেশের মোট কৃষি জমির ১% হারে অকৃষি জমিতে রূপান্তরিত হচ্ছে। এর পরও যদি সরকার ইনডিয়া ও চীনকে স্বল্পশুল্কে বা শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা দিতে কৃষি সেক্টরকে ধ্বংস করে, তা খুবই দুঃখজনক এবং ভবিষ্যতের জন্যে উদ্বেগজনক।
CSRL সম্পর্কে জানতে http://www.csrlbd.অরগ/ এখানে ক্লিক করুন।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
এর ওপর একটা স্বতন্ত্র পোস্টই হতে পারে।
বীজ নিরাপত্তা নিয়ে একটা আলাদা লেখা দিতে পারেন।
ফুড ইঙ্ক. ডকুমেন্টারীটার কিছু অংশে বীজ সংরক্ষন, বিপনন, মধ্যস্বত্তভোগীদের দৌরাত্ম নিয়ে কিছু কথা-বার্তা আছে। আগে না দেখে থাকলে, দেখতে পারেন।
সমোয়পোযোগী লিখা।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
এই মৌন আনদোলন কারো জন্য হতে পারে ভারত কে উচিত জবাব দেয়া, কারো জন্য হতে পারে দেশের স্বার্থ রক্ষা করা- দায়িত্ব স্বরূপ/ ভালবাসা স্বরূপ, তারপরও হোক আমাদের নিজের ভুমিকা।
এবার নিজেদের কাঁধে কিছু দায়িত্ব নেই. দেশকে লাভবান করি, দেশকে শক্তিশালী, আত্মনির্ভরশীল করি. সরকারের কর্তাব্যাক্তিদের আশায় বসে না থেকে নিজেরা কিছু করি. সরকার, প্রশাসন, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক দের গালমন্দ চলতেই থাকবে. নিজেরা কী করতে পারতাম, আর কী করলাম সেটা এখন ভেবে দেখুন সবাই।
নতুন মন্তব্য করুন