পত্রিকার দৈনিক দৈন্য: ভারতীয় বিনোদনযন্ত্রে তেল দেয়া থামান

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: মঙ্গল, ২৪/০১/২০১২ - ১০:৫৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আনিসুল হক বাংলাদেশের জনপ্রিয় কলামিস্ট ও চলচ্চিত্রনাট্যকার। ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত কৌতুক দিয়ে পত্রিকার আধপাতা বোঝাই করে তিনি রাজনৈতিক স্যাটায়ার লেখার ব্যর্থ চেষ্টা করে যাচ্ছেন অনেকদিন ধরে। পাশাপাশি তিনি নিজেও কিছু কৌতুক সৃষ্টি করেন, সেগুলো আরো উপভোগ্য হয়। যেমন, গরুর রচনা লেখার মতো করে সবকিছুতেই তিনি নিজের প্রভুখণ্ড (মাস্টারপিসের বাংলা আর কি) "মা" উপন্যাসটির বিজ্ঞাপন করেন। মুক্তিযোদ্ধা কাজী কামাল উদ্দিনের মৃত্যুর পর তাঁর স্মৃতিচারণ করতে গিয়েও আলগোছে পাঠককে জানিয়ে দেন, তাঁর "মা" উপন্যাসটি একেবারে দিল্লি থেকে ইংরেজিতে অনূদিত হচ্ছে [১]। সাথে "মা" উপন্যাস লিখতে গিয়ে কিছু বাহাইন্ড দ্য সিনস আখ্যান। জলেস্থলেঅন্তরীক্ষে সব প্রসঙ্গেই তিনি বাবা লোকনাথের মতো "মা" উপন্যাসটিকে টেনে আনতে প্রভূত পারঙ্গমতা অর্জন করেছেন। প্রথম আলোতে শাহাদুজ্জামানও আনিসুল হকের দেখাদেখি জার্নাল লেখার ছলে "ক্রাচের কর্নেল" উপন্যাসটির বিজ্ঞাপন করা শুরু করেছিলেন [৬], কিন্তু এই কাজে আনিসুল হকের মতো লম্বা ইনিংস খেলার ধৈর্য বা রুচি সম্ভবত তাঁর হয়নি, তিনি দুয়েক পশলা বিজ্ঞাপন করেই ক্ষান্ত দিয়েছেন। আনিসুল ভাইয়া "মা"-কে বিজ্ঞাপিত করছেন বছরের পর বছর ধরে। সম্ভবত এরচেয়ে মহত্তর কিছু লেখার আশা তিনি আর করেন না। প্যারিসের যেমন আইফেল টাওয়ার, নিউইয়র্কের যেমন স্ট্যাচু অব লিবার্টি, আনিসুল হকেরও তেমনি "মা"।

আমি সবাইকে আহ্বান জানাই, আপনারা "মা" উপন্যাসটি কিনুন। এটি মন দিয়ে পড়ুন। এর প্রশংসা করুন। বাংলা একাডেমী ও অন্যান্য গণ্যমান্য মুরুব্বিরা "মা" উপন্যাসটিকে পুরস্কৃত করে আনিসুল হককে বছরের পর বছর ধরে কলাম লেখার অভিনয়ে এর বিজ্ঞাপন-ঢোলটি বাজানোর খাটনি থেকে নিষ্কৃতি দিন। এতে তিনিও আত্মবিপণনের গ্লানি থেকে মুক্তি পাবেন, কলামটিকে বিজ্ঞাপনমুক্ত রেখে দেশ ও দশ নিয়ে মনোনিবেশ করতে পারবেন, কিংবা অন্যসব গুরুত্বপূর্ণ লেখার জন্যে জায়গা ছেড়ে দিতে পারবেন। উইন-উইন সিচুয়েশন পাবো আমরা।

আপনারা হয়তো ভাবছেন, আমি আনিসুল ভাইয়ার বদনাম করার জন্যেই লিখতে বসেছি। ওনার কৌশলেই দেখাচ্ছি মুরগি আর খাওয়াচ্ছি ডাল। না, প্রিয় পাঠক ও অধিকতর প্রিয় পাঠিকারা আমার! আমি আনিসুল ভাইয়াকে পছন্দ করি বাংলাদেশে ভারতীয় বিনোদনযন্ত্রের বিরুদ্ধে তাঁর দীর্ঘকালব্যাপী অবস্থানের কারণে। পত্রিকায় একমাত্র তাঁকেই নিয়মিত ভারতীয় চ্যানেল-সিনেমার কুপ্রভাব নিয়ে লিখতে দেখি। বাংলাদেশের সংস্কৃতির ইজারাদারের সংখ্যা কম নয়, কিন্তু ঐ কেষ্টুবিষ্টুরা এ ব্যাপারে আসমানে খোদার মতোই নীরব ও মৌনতাপ্রিয়। আনিসুল হক কিছু বি-গ্রেড সিনেমার চিত্রনাট্যকার হতে পারেন, কিন্তু তাঁর উদ্বেগ আর এ নিয়ে তাঁর সরবতা এ-গ্রেডের [২]।

এর আগেও আনিসুল হক ঢাকার বিলবোর্ডে ভারতীয় চলচ্চিত্র তারকাদের মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতি নিয়ে বলিষ্ঠ আপত্তি তুলেছিলেন, আমাদের দর্শকমানসের ওপর ভারতীয় চ্যানেলগুলোর কুপ্রভাব নিয়ে তিনি কিছুদিন পরপরই আমাদের কাছে অরণ্যে রোদন করেন। এই অবস্থানে তাঁর তুল্য অন্য কোনো লেখককে আমাদের পত্রিকায় সরব দেখি না। হতে পারে সেটা আমারই অজ্ঞতা, অনেক লেখকই হয়তো এসবের বিপক্ষে বলে বলে ফাটিয়ে ফেলেন, আমি হয়তো দেখতে ব্যর্থ হই, কেবল আনিসুল ভাইয়াকেই দেখি। আপনাদের সন্ধানে লিঙ্ক থাকলে আমার অজ্ঞতা দূর করবেন, এই আশা রাখি।

এই একটি কাজের জন্যে আনিসুল হককে আমি অকুণ্ঠ প্রশংসায় আক্রান্ত করতে চাই। বাংলাদেশের অসংখ্য পাতলাবই পাঠক যাঁকে ঈশ্বরজ্ঞান করেন, সেই হুমায়ূন আহমেদ পর্যন্ত বাংলাদেশে ভারতীয় চলচ্চিত্র ঢোকানোর সমর্থনে কলম ধরেছিলেন [৩], আর আনিসুল হক সাহস করে এগিয়ে এসে মৃদু গলায় হলেও এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করেছিলেন [৪]। লেখক-কলামিস্টরা প্রায়শই অনলগর্ভ সব কলাম প্রসব করেন, কিন্তু এই ইস্যুতে সবাই বিশ্বনাগরিক হয়ে যান, একটা সৌম্য ঋষিজনোচিত নীরবতা পালন করেন। ব্যতিক্রম আনিসুল হক। তাঁকে সাধুবাদ জানাই।

কিন্তু পত্রিকায় কাজ করতে গেলে সম্ভবত মাঝেমধ্যে স্ববিরোধী আচরণ করতে হয়। মুক্তিযুদ্ধে আজাদের মা-কে নিয়ে উপন্যাস লেখা আনিসুল হককেই যেতে হয় মুক্তিযুদ্ধের মুখে জুতো মারা তৃতীয় শ্রেণীর চলচ্চিত্র মেহেরজানের প্রোমোশনের অংশ হিসেবে অভিনেত্রী জয়া বচ্চনের সাক্ষাৎকার নিতে [৫]। জয়া বচ্চনের সেই সাক্ষাৎকার প্রকারান্তরে এই কদর্য সিনেমাটির ভুঁইফোঁড় নির্মাতা রুবাইয়াত হোসেনের স্তুতির ছদ্মবেশ। কলম ধরতে হয় আনিসুল ভাইয়াকেই। আমি এ পর্যন্ত কোথাও একাত্তরের নির্যাতিতাদের চরম অসম্মান করে নির্মিত এই চলচ্চিত্র নিয়ে আনিসুল হকের মৃদুতম আপত্তি, সমালোচনা বা তিরস্কার দেখিনি। সিনেমাটি নিয়ে প্রথম আলো যে নজিরবিহীন প্রচারণা করেছে, একই দিনে দর্শকের সমালোচনা ও নির্মাতার জবাব ছাপিয়ে সাংবাদিকতার আলখাল্লা তুলে ভেতরের ন্যাংটা চেহারা দেখিয়ে দিয়েছে, তাতে বোঝা যায়, এর সমর্থন প্রথম আলোর উঁচু পর্যায়ে, যাকে টপকে মুক্তিযোদ্ধা আজাদের মাকে নিয়ে উপন্যাস ফেঁদে বসা আনিসুল হকের কিছু বলার সাধ্য হয়তো নেই। লেখকের নানা সীমাবদ্ধতা থাকে, তাই আনিসুল ভাইয়ার এই অক্ষমতাকে আমরা দ্রুত কার্পেটের নিচে চাপা দিয়ে দিতে চাই। দেখতে চাই, তিনি মুক্তিযুদ্ধ প্রসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা আজাদের মাকে নিয়ে লেখা তাঁর উপন্যাস "মা"-এর ঘন ঘন বিজ্ঞাপন করছেন। বীরাঙ্গনাদের বিদ্রুপ করে নির্মিত মেহেরজান নিয়ে তাঁর হিরন্ময় নিস্তব্ধতাকে আমরা সহ্যসীমার ভেতরে থাকা কাপুরুষতা হিসেবে ক্ষমা করে দিতে পারি।

কিন্তু ভারতীয় টিভি সিরিয়াল আর সিনেমার অত্যাচার নিয়ে আনিসুল হকের বলিষ্ঠ প্রতিবাদ তাঁর ডেস্ক থেকে কয়েক মিটার দূরে বিনোদন পাতার কাণ্ডারীদের কান জয় করতে পারছে না, কিংবা কান জয় করতে পারলেও মন জয় করতে পারছে না। দেশের সবচেয়ে বেশি পাঠকের কাছে পৌঁছে যাওয়া এই পত্রিকাটিতে প্রতিদিন ভারতীয় অনুষ্ঠানের সময়সূচি আর ভারতীয় তারকাদের কিচ্ছা ছাপা হয়। এই জিনিস চলে দৈনিক। প্রতিটি দিন কোনো না কোনো ভারতীয় তারকার বগল বা পেট মুদ্রিত হয় এখানে। শুধু প্রথম আলোকেই কেন দোষ দেবো আমরা, কোনো জাতীয় দৈনিকই কি এই রুচির দৈন্য থেকে মুক্ত? আমি জানি না, আমাকে আলোকিত করুন।

পত্রিকাগুলো আমাদের বদলে যেতে বলে রোজ রোজ, আমরা কি আশা করতে পারি, তারা নিজেরা বদলানোর খুব সহজ একটা পদক্ষেপ নেবে? পত্রিকায় ভারতীয় সিনেমা-অনুষ্ঠান-তারকাদের উপস্থিতি কমিয়ে শূন্যে আনতে পারবেন তারা?

অজুহাত হিসেবে বলা যায়, দর্শক দেখে বলেই তারা এসব ছাপেন। কিন্তু সেটা নিতান্তই অজুহাত। পত্রিকার কাজ শুধু দর্শক পাঠকের চাহিদা যোগানো নয়, জনরুচি নির্মাণও পত্রিকার কাজ। জনরুচিতে দীর্ঘমেয়াদে ভারতীয় অনুষ্ঠান-সিনেমা-তারকাদের গ্রহণযোগ্যতা নির্মাণে বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিকগুলির ভূমিকা অন্যতম। আনিসুল হকের মতো কলামিস্টেরা অরণ্যে রোদন করে কুর্তা ভিজিয়ে ফেলেও লাভ নেই, যদি পরিবর্তনটা তারা নিজেদের মিডিয়া হাউস থেকে শুরু করতে না পারেন। নিজের পত্রিকায় পাতা ভরে ভারতীয় তারকা কী খায় কোথায় ঘুমায় এইসব ফালতু খবর ছাপিয়ে মানুষকে ভারতীয় বিনোদনের ব্যাপারে সংযমী আর দেশমুখী হতে বলা যায় কি? ভণ্ডামি হয়ে যায় না?

আজকের নাজুক পরিস্থিতি একদিনে তৈরি হয়নি, আপনাদের সক্রিয় অংশগ্রহণে গত পনেরো বছরের ফসল আজ আমাদের ঘরে ঘরে। পরিস্থিতি পাল্টাতে হবে আপনাদেরই সক্রিয় বর্জনের মাধ্যমে। বাংলাদেশের তাবত জাতীয় দৈনিকের প্রতি করজোড়ে অনুরোধ করি, ভারতীয় বিনোদনযন্ত্রে তেল দেয়া থামান (শিরোনামে ব্লোজব লিখেছিলাম, সুরুচির স্বার্থে সেটা কেটে তেল লিখলাম, যদিও তারা যা দেন সেটা তৈলাধিক মনোরম সার্ভিস)।

আনিসুল হকের প্রতি আবারও নতশির সাধুবাদ, ভারতীয় বিনোদনযন্ত্রের বিরুদ্ধে তাঁর নিয়মিত প্রতিবাদী অবস্থানের জন্য।


তথ্যসূত্র:

[১] কাজী কামালের হাতঘড়ি, আনিসুল হক, প্রথম আলো | তারিখ: ১৭-০১-২০১২

[২] আসুন, ভারতকে এই একটা ক্ষেত্রে অনুসরণ করি, আনিসুল হক, প্রথম আলো | তারিখ: ২০-০৯-২০১১

[৩] বহুত দিন হোয়ে, হুমায়ূন আহমেদ, কালের কণ্ঠ, ৬ মে ২০১০

[৪] 'কেন রুখে দাঁড়াতে হয়?', আনিসুল হক, প্রথম আলো | তারিখ: ২৭-০৫-২০১০

[৫] জয়ার সঙ্গে এক বিকেল, আনিসুল হক, প্রথম আলো | তারিখ: ০৫-১১-২০০৯

[৬] তাহেরের বিচার, শাহাদুজ্জামান, প্রথম আলো | তারিখ: ০৩-০৯-২০১০


মন্তব্য

বাপ্পীহা‌য়াত এর ছবি

চলুক

রাইহান এর ছবি

আপনি ভারতীয় পণ্য বর্জন করে দেশীয় ব্যবসায়ীদের মনোপলী করার সুযোগ দিতে চাচ্ছেন। হুমায়ুন ভাই কিন্তু বলেছেন ইসলামে মনোপলী নিষিদ্ধ মন খারাপ

ফাহিম হাসান এর ছবি

পিএইচডিধারী হুমায়ূন আহমেদ যদি উইকিতেও "মনোপলি" -এন্ট্রিতে গুঁতো মারতেন তাহলেও এরকম বকোয়াজ করতেন না। মনোপলি মার্কেট তখনই হয় যখন একজন মাত্র বিক্রেতা তথা যোগানদাতা থাকেন। ট্রেইড প্রোটেকশান আর মনোপলি এক কথা নয়।

তিথীডোর এর ছবি

মনোপলি মার্কেট তখনই হয় যখন একজন মাত্র বিক্রেতা তথা যোগানদাতা থাকেন। ট্রেইড প্রোটেকশান আর মনোপলি এক কথা নয়।

চলুক
হ।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

হিমু এর ছবি

কামরুল হাসান কথিত বিশ্ববেহায়া এরশাদের পর হুমায়ূন আহমেদকেই দেখি জালেম দুনিয়ার পথে নানা পিচ্ছিল জায়গায় ইসলামের তক্তা পেতে হেঁটে পার হতে। ওদিকে কাগজে লেখেন, তাঁর প্রিয় পানীয় মার্গারিটা [১]। মার্গারিটা সম্পর্কে ইসলামের কী বিধান?

[১] সূত্র

বোবার_চিতকার এর ছবি

ইসলামের কথা বলিতে গেলে বক্তা ইসলাম পালন করেন কি না সেটা মূখ্য বিষয় নয়। বরংচ, বর্তমানের ছাগুসদৃশ বহুত শ্রোতার কাছে বক্তার খ্যাতিই মূখ্য। বক্তার দুনিয়াদারীর খ্যাতি যত বেশী হয়, ছাগুগুলার জিহাদের লাডি তত শক্ত হইয়া খাঁড়ায়া যায় ।

ইদানীং ছাগুদের প্রিয় পাত্র হুমায়ূন আহমেদ!

ফাহিম হাসান এর ছবি

দেশের সংবাদপত্রের বিনোদন পাতায় বলিউডি পাড়ার টুকরোতম সংবাদটাও প্রকাশিত হয়, টক-ঝাল-মুখরোচক সংবাদ পরিবেশনে সম্পাদকরা যে নিষ্ঠা ও পরিশ্রমের স্বাক্ষর রাখেন তা অন্য ক্ষেত্রে বড়ই দুর্লভ।
- এই দৈন্য কবে ঘুচবে কে জানে!

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

প্রথম আলোর বিনোদন পাতায় 'বলিউড' নামের আলাদা সেকশন আছে। সেখানে এই মুহূর্তের খবর -
কারিনার খানাপিনা
ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে
মল্লিকার কাছে হারলেন বিদ্যা
‘প্রেমের মূল্য’ দিচ্ছেন জ্যাকুলিন!
লারার মেয়ে সায়রা?

জাগরুক এর ছবি

প্রথম আলোর বিনোদন পাতায় 'বলিউড' নামের আলাদা সেকশন আছে। সেখানে এই মুহূর্তের খবর -
কারিনার খানাপিনা
ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে
মল্লিকার কাছে হারলেন বিদ্যা
‘প্রেমের মূল্য’ দিচ্ছেন জ্যাকুলিন!
লারার মেয়ে সায়রা?

এই ব্যাটারা আমাদেরকেও উটপাখি বানিয়ে পুটু মারার ধান্দায় আছে।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

কোনো একটা পত্রিকা একা বলিউড বাদ দিয়ে কাটতি কমানোর ঝুঁকি নেবে না। দিলে সবাইকে একসঙ্গে বাদ দিতে হবে। সেটা অসম্ভব বলেই মনে হচ্ছে।
ভোটার হতে দিতে জ্ঞান বুদ্ধি রুচি বিবেক কিছুই লাগে না! ক্রেতা হতেও না। ব্যবসাও ভোটের মতো, এখানে পাঠকের দেশত্ববোধের কোনো মুল্য নেই। মূল্য কেবল পাঠকের সংখ্যার।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

হিমু এর ছবি

য়্যাঁ? তারমানে, উটপাখি হতে হয় ব্যবসা করতে গেলে???

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

হুঁ। তবে প্রথমালো হওয়া ব্যবসায়ী হওয়ার পরের ধাপ। একেবারে নির্বাণ না পেলে প্রথমালো হওয়া যায় না।!

একটা বিষয়, অন্তত বিনোদনে বলিউড বর্জন করা কিন্তু কঠিন না। দশটা পত্রিকার ফিচার এডিটররা নিজেরা সিদ্ধান্ত নিলেই পারে। (আশা করছি বড় পত্রিকাগুলো গুপ্ত'দাকে নিজেদের প্রতিযোগী ভাবে না!)

সমস্যা হচ্ছে, মহান ফিচার এডিটরদের কাছে আজাইরা ব্লগারদের কথায় পাত্তা দেয়া অসন্মানজনক!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

হিমু এর ছবি

হুঁ, তারা আনিসুল ভাইয়াকেই পোঁছে না। আনিসুল ভাইয়ার উদাত্ত আহ্বানকে দুই টাকা দাম দেয় না। আর আজাইরা ব্লগাররা তো সেইদিনের যোগী।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

মজার ব্যপার হচ্ছে, পত্রিকাগুলোর ফিচার বিভাগের হর্তার্কতা ডালপালা চামচিকা অনেকেই কিন্তু ছোট/বড় পর্দার সঙ্গে জড়িত! কেউ স্ক্রিপ্ট লেখে, কেউ গান/জিঙ্গেল লেখে, অভিনয় করে, পরিচালনা করে, প্রযোজনা করে, পরামর্শ দেয়, উঠতি নায়িকাদের সঙ্গে প্রেম করে, ইত্যাদি ইত্যাদি। নিদেন পক্ষে সবার সঙ্গে মিডিয়াকর্মিদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক থাকে! ভারতীয় মিডিয়ার আধিপত্য কমলে লম্বা দৌড়ে সবারই লাভ!

আফসোস, কেউ ভালোবাসা বোঝে না!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

হিমু এর ছবি

বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হওয়ার অনেক জ্বালা।

শিবলী এর ছবি

চলুক

কল্যাণ এর ছবি

গুল্লি ইয়েস বাঘ মামা, ইয়েস!!!

চমৎকার পয়েন্ট না বলে পারা গেলো না যদিও আপনি বাহবা পাওয়ার বা পিঠচাপড়ানি পাওয়ার আশায় লেখেন না বলেই মনে হয়।

এইটা পরিস্কার যে প্রথম আলু একটা ১০০ভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। প্রথম আলোর কোন সামাজিক দায়বদ্ধতা নেই, যেটা আছে সেটা পয়সা কামানির পর যদি কিছু করা যায় তাইলে ঠিকাছে নাইলে খুদাপেজ। আমাদের দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বিষয়ে যারা পড়ে, তারা বিদেশী কর্পোরেট হাউজ, ব্যাঙ্ক, সেল কোম্পানি এই সব যায়গায় ইন্টার্নিশীপের বদলে আলুপেপারে গেলে বরং ভাল ভাল কায়দা কানুন শিখতে পারত। সব কিছুকে বিক্রি করার এবং সেগুলো থেকে ফয়দা গোটানোর যে অপূর্ব কায়দা তাদের জানা আছে তা অবিরামস্মরণীয় এবং পুরস্কার পাওয়ার মত নিঃসন্দেহে।

আগের লাঙ্গল যেদিক যায়, পিছের লাঙ্গলও নাকি সেদিকেই যায়। আলুপেপারে মনে হয় পিছের লাঙ্গলকে আগের লাঙ্গলের পিছে পিছে যাইতেই হবে, এইটা সংবিধিবদ্ধআবশ্যিকপূর্বশর্ত। একটা জিনিস ভালু হইছে, সেটা হইল বড় বড় ভন্ড খুঁজতে আর কষ্ট করার দরকার নাই, সোজা আলুফিসে গেলি চলে। অবশ্য ইন্টারনেটের কল্যাণে আর সেই কষ্টটাও করার দরকার পড়ে না।

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

সাফি এর ছবি

আনিসুল হকের মা উপন্যাস আমার খুবই পছন্দের একটা উপন্যাস। এই ব্লগের পাঠকরা যারা উপন্যাসটি এখনও পড়েননি সময় প্রকাশনীর ওয়েবসাইট থেকে বিনামূল্যে ডাউন্লোড করে নিয়ে পড়তে পারেন। মূল লেখা প্রসঙ্গে বলি, আমি প্রথম আলো নিয়মিত পড়ি। সে সুবাদে গদ্যকার্টুন এবং অরণ্যে রোদন ও নিয়মিত পড়া হয়। এই কলামগুলোতে মা বইটি নিয়ে বিজ্ঞাপন অপ্রাসঙ্গিকভাবে এসেছে এমনটা আগে মনে হয়নি। ব্লগে উল্লেখিত সূত্র থেকে কাজী কামালকে নিয়ে ওনার লেখাটা আরেকবার পড়লাম। লেখাটা আগে পড়া হয়েছিল, তাই মনে করতে পারছিলাম না "মা" এর বিজ্ঞাপন লেখায় কিভাবে এসেছে। সেই উদ্দেশ্যেই দ্বিতীয়বার পড়া। দ্বিতীয়বার সচেতনভাবে পড়ে যেটা মনে হল - প্রথমবার চোখে পড়েনি কারণ অবচেতন মন থেকেই হয়ত লেখার এসব অগুরুত্বপূর্ণ অংশ ফিল্টার হয়ে যায়। তাই এই জিনিসটা তেমন মাথা ঘামানোর মত কিনা সেটা নিশ্চিত না। একই প্রসঙ্গে আনিসুল হকের ক্রিকেট বিষয়ক লেখাগুলোর কথা উল্লেখ করা যায়, যার পাশাপাশি প্রথম আলোতেই উন্মুক্তভাবে পাকিপ্রেম প্রদর্শন করা হয়। এই বিষয়টা নিয়ে ওনার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করার চেষ্টা করে কোন সাড়া পাইনি। নেতানেত্রীদের জবাবদিহিতা আশা করলেও পত্রপত্রিকারা নিজেদের জবাবদিহিতার ব্যাপারে যে আন্তরিক নয় সেটা সহজেই বোধগম্য।

লেখার মূল প্রসঙ্গে একমত। মিডিয়া বা বিনোদন পাতাগুলোয় ভারতীয় তারকাদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মত। এই ধারাবাহিকতায় লাইভ অনুষ্ঠানেও এসে তারা এখন অংশ নেওয়া শুরু করেছেন। খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যন্ত সেই অনুষ্ঠানে ভূস্থিত হয়ে পুলকিত বোধ করেন। পত্রিকারা এর বিরুদ্ধে আন্তরিক হলে সেটা তাদের কাজেও প্রতিফলিত হতে হবে।

হিমু এর ছবি

আনিসুল ভাইয়ার বিজ্ঞাপনগুলি নীরব ঘাতক। রিলায়েন্স গ্রুপ স্পনসর্ড সিনেমায় দেখেছিলাম, নায়িকা রিলায়েন্সের নেট কানেকশন ব্যবহার করে নেটে ঢোকে, নায়ককে রিলায়েন্সের ফোন দিয়ে এসেমেস করে, রিলায়েন্সের জ্যুস-দুধ-তরকারি খায়। আমার মতো বদ লোকজন সেগুলির নিন্দেমন্দ করে আর কি।

দাঁড়া আমিও একটা পেমের বই লিখে পেত্যেক পোস্টে বিজ্ঞাপোন্দিবো আনিসুল ভাইয়ার স্টাইলে। আমার গল্পে নায়িকা আমার বই পড়বে। নায়ক আমার বই টেবিলের পায়ার নিচে দিয়ে টেবিল উঁচু করবে। খলনায়িকা আমার বই দিয়ে লজ্জা ঢাকবে। খলনায়ক আমার বই কেড়ে নিয়ে খলনায়িকাকে লজ্জায় ফেলবে। নায়কের বাবা নায়কের ছোটো ভাইকে আমার বই দিয়ে পিটাবে। নায়িকার ছোটো বোন বইমেলায় গিয়ে আমার বই কিনে দিতে বলবে বয়ফ্রেণ্ডকে। আইতাছি খাড়া।

নিটোল এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

_________________
[খোমাখাতা]

guest_writter এর ছবি

গুল্লি

atahar এর ছবি

হো হো হো

সাফি এর ছবি

এরকম কন্টেন্টে ঘুঁটে দেওয়া বিজ্ঞাপন-ই এখন বেশী জনপ্রিয়। নায়ক নায়িকারা যখন ইন্টারভিউ দিতে যায়, তখন তাদের প্রিয় সাবান লোশান পারফিউম হিসেবে কিসের নাম বলবে তা বলে বিজ্ঞাপনদাতা(নায়ক নায়িকার অনুষ্ঠানের না) ঠিক করে দেন। এমনকি নাটক সিনেমাতেও খেয়াল করলে দেখবেন নায়ক নায়িকা শুধু পেপ্সি খায় নইলে শুধু কোকাকোলা খায় দেঁতো হাসি

হিমু এর ছবি

চল আমরা আনিসুল হকের "মা" এর বিজ্ঞাপনের বিজ্ঞাপন করি দেঁতো হাসি । সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিবো, আপনি কি আজ আনিসুল ভাইয়ার "মা"-এর বিজ্ঞাপনটি পড়েছেন?

সাফি এর ছবি

আজ্কেও দিয়েছেন নাকি!!!!

হিমু এর ছবি

এক কলাম-ইঞ্চি জায়গা খালি পেলেই তো উনি "মা"য়ের বিজ্ঞাপন শুরু করেন। বইয়ের নাম আসলে এমনই হওয়া উচিত। ছোটোখাটো। আনিসুল ভাইয়া কিন্তু ওনার "প্রতি বৃহস্পতিবারে আমাদের বাড়িতে চোর আসে" বইটার বিজ্ঞাপন মোটেও করেন না। বইয়ের নাম নিতেই তো এক কলাম এক ইঞ্চি গায়েব হয়ে যাবে, বাকি কথা কই বলবেন?

রাজিব মোস্তাফিজ এর ছবি

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাকি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ?

----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!

সাফি এর ছবি

সাহারা খাতুন

সালমিন এর ছবি

শাহরুখ খান লাইভে তাপস গেছিলো, সাহারা খাতুন কোন অনুষ্টানে গেছে?

রেদওয়ান বাশার এর ছবি

সাফি, মূল আলাপের সাথে সম্পর্কহীন একটা প্রশ্ন তোর কাছে ... 'মা' উপন্যাসটা খুবই পছন্দের হবার কারণগুলা বলতে পারিস? বইটা বের হবার আগেও এর পাবলসিটি কম হয় নাই। অনেক আগ্রহ নিয়ে পড়তে বসছিলাম, সেই উত্তেজনাতেই কিনা কে জানে, বেশ হতাশ হইছিলাম। কাহিনীটা মনকে নাড়া দিয়ে যেতে বাধ্য, কিন্তু সেই কাহিনীকে উপজীব্য করে উনি একটা শক্তিশালী উপন্যাস লিখতে ব্যর্থ হইছেন বলে মনে করি। আনিসুল হক কে আমার কাছে একজন দূর্বল লেখক মনে হয়, ওনার লেখনীর দূর্বলতাগুলা বরং নন-ফিকশনে অনেকটা ঢেকেঢুকে রাখা যায়, গল্প-উপন্যাসে সেটা সম্ভব হয়না। আমি ধন্দে পড়ে যাই সবাইকে এত উচ্ছসিত প্রসংশা করতে দেখে। যেদিন জাফর ইকবাল স্যার 'আনিসুল প্রথম-আলোতে চাকরি করে বলে কেন 'মা' প্রথম-আলো পুরষ্কারের জন্য বিবেচিত হবেনা?' এই প্রশ্ন তুলে একটা লেখা লিখলেন, আমি ধরে নিসিলাম তাইলে হয়তো আমিই বুঝিনা লেখার ভালো-মন্দ...
ফুলার রোডে উদয়ন স্কুলের সামনে শেখ হাসিনার প্রথম সরকারের আমলে একটা ভাস্কর্য তৈরির দায়িত্ব পান তার স্কুলবন্ধু (যিনি আবার সিরাজ সিকদারের বোনও বটে) শামীম সিকদার। বিনয়ের সাথেই বলি, ভাস্কর্য ব্যাপারটা খুব খারাপ বুঝিনা, এখানে আমি অত ধন্দে পড়িনা... ওর থেকে কুৎসিত কোন ভাস্কর্য আমি কোনদিন দেখি নাই, এবং ভবিষ্যতেও যেন দেখতে না হয় সেই কামনা করি...আমার দুঃখ হয় যে ওই ভাস্কর্যের বিষয়বস্তু আমাদের মুক্তিযুদ্ধ (পরে আরো কিচছু যোগ করে আরো খিচুরি হইছে। শিল্পী মুক্তিযুদ্ধকে পুঁজি করে ফায়দা নিতে চাইছেন, এমন ভাবনা মনে উঁকি দিলে রাগ লাগে...আমার ওই ভাবনা যদি ভুলও হয়, শিল্পীর নিয়ত যদি খাঁটিও হয়, আমার এই অভিযোগ থাকবে যে শিল্পী ওরকম একটা রাস্তার মোড়ে, ওরকম একটা বিষয়বস্তু নিয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়ে যথেষ্ট যত্ন বা সাধনা সহকারে তার দায়িত্বটা পালন করতে পারে নাই। (আর সেই যোগ্যতাই যদি তার না থাকে, তাইলে কমিশনটা তার পাওয়া উচিত হয় নাই)... যেটা বলতে চাই, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমাদের যথেষ্ট সংখ্যক মানোত্তীর্ণ কাজ নাই, এটা অবশ্যই আফসোসের ব্যাপার, আমি আশা রাখি সেরকম কাজ সামনে নিশ্চয়ই হবে...কিন্তু সেই শূন্যস্থান পূরণ করার তাগিদে সাধারণ মানের কাজকে আমরা অসাধারণ বলে বসি না তো?
প্রশংসা মেপেই দেয়া উচিত, কমও না বেশিও না...আনিসুল হককে যেমন ভারতীয় বিনোদন বা ক্রিকেট বিষয়ে তার অবস্থানের জন্য নতশিরেই ধন্যবাদ দেয়া উচিৎ।

হিমু এর ছবি

আমি "মা" উপন্যাসটা পড়িনি। তবে "এতদিন কোথায় ছিলেন" নামে আনিসুল ভাইয়ার একটা উপন্যাস মন দিয়ে পড়েছিলাম। পাঠপ্রতিক্রিয়াও লিখেছিলাম। পাঠক হিসেবে আমার সৎ ধারণা, আনিসুল হক উপন্যাস লিখতে পারেন না। উনি কলাম লিখে শুরু করেছিলেন, অন্ধকারের একশো বছর নামে একটা সাহসী উপন্যাসিকা লিখে খ্যাতি পেয়েছিলেন, ইতিহাসভিত্তিক উপন্যাস লিখতে নেমেছিলেন সাহস করে (আয়েশামঙ্গল), তারপর কলাম লেখায় ফিরে গেছেন। এরপর পাতিনাটক পাতিসিনামা লিখছেন। কিন্তু ওগুলোর জন্যে কি ধরেন বাংলা একাডেমী পুরস্কার বা একুশে পদক এসব মেলে? এ কারণে খেটেখুটে "মা" লেখা আর কি। এতোদিন নানা বাধাবিঘ্নের কারণে পুরস্কারটা তিনি জুতমতো বাগাতে পারেননি। কিন্তু গতকালই শ্রদ্ধেয় আনিসুজ্জামান স্যার, যিনি আলুর বদলে যাউ বদলে দাউ ভাঁড়ামির শিকার হয়ে সৈকতে আলুর ব্যানার হাতে নিয়ে অসহায় দাঁড়িয়ে থাকেন, কিংবা দুনিয়া কাঁপানো তিরিশ মিনিট নামে আরেকটা ট্র্যাজিক কমেডি শোতে কাটা সৈনিক হয়ে মঞ্চে নামেন, বাংলা একাডেমীর সভাপতি হয়েছেন।

আনিসুল ভাইয়া, প্লিজ এইবার একটা পুরস্কার পান। আমরা দরকার হলে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে একাডেমীকে বলি ওনাকে একটা পুরস্কার দিয়ে তৃপ্ত করতে। তবুও যদি উনি নিজের লেখায় উঠতে বসতে "মা"য়ের বিজ্ঞাপন বন্ধ করেন। একটা বয়স্ক মানুষ, কী পরিমাণ অবিবেচক হলে দিনের পর দিন ধরে এই ছদ্মবিজ্ঞাপন চালিয়ে যেতে পারে? ওনাদেরই তো পত্রিকা, চার রঙে দুই বিঘৎ বাই দুই বিঘৎ করে উনি রোজ বিজ্ঞাপন দিক না। দেশ ও দশ উদ্ধারের নাম করে ফাঁকফোঁকর দিয়ে উনি নিজের বইয়ের বিজ্ঞাপন করেই যাচ্ছেন করেই যাচ্ছেন। কোনো গ্লানির লেশমাত্র নাই। এই হচ্ছে আমাদের লেখকের নমুনা, আমাদের চোরডাকাতঠগবাটপাররা না জানি কত ভয়ানক!

সাফি এর ছবি

বাশার, উপন্যাস হিসেবে মা কেমন এই বিচার তো আসলে করিনি, কাহিনীর বিচারেই আমার কাছে মা উপন্যাস খুবই পছন্দ। এই বিষয়টা নিয়ে অন্য কারো লেখাও আমি আগে পড়িনি, তাই একদিকে যেমন আজাদ আমাকে উদ্দীপ্ত করে অন্যদিকে আজাদের মা আমাকে কাঁদায়, তাঁর দৃঢ় সংকল্প আমাকে প্রেরণা দেয়। সাহিত্য বা উপন্যাসের বিচারে মা কেমন সেই বিচার করার ক্ষমতা আমার তেমন একটা নেই, তবে কাহিনীর বিচারে মা আমার প্রিয় উপন্যাসগুলোর একটি হয়েই থাকবে।

হিমু এর ছবি

বাশার কি জাফর ইকবালের লেখাটার লিঙ্ক দিতে পারেন?

সাবেকা এর ছবি

বাংলাদেশে এমন কোন পত্রিকা আছে কিনা আমার জানা নেই যাতে বলিউডের কেচ্ছা কাহিনী নিয়মিত ছাপা না হয় । মাঝে মাঝে ধন্ধে পড়ে যাই এটা কি বাংলাদেশী পত্রিকা নাকি ভারতীয় । আপনার লেখার সাথে সহমত,কিন্তু ফলাফলটা অরণ্যে রোদন ছাড়া কিছু হবে বলে মনে হয় না । এসব কিছুর জন্য জাতি হিসেবে আমরা নিজেরাই দায়ী ।
আমাদের কিছু কিছু সমস্যা বড় বেশী গভীরে ঢুকে গেছে,আপনি যদি ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বলেন,তবে ছাগুরা তাদের দলভুক্ত ভেবে তালি বাজাবে, অন্যদিকে অন্ধ লীগ প্রেমীদের কাছেও আপনি একই রকমভাবে চিহ্নিত হবেন । দেশপ্রেম বলতে আমরা পাকী প্রেম এবং ভারত প্রেম দিয়ে বিচার করি, আমাদের মধ্যে সত্যিকারের বাংলাদেশ প্রেমী কেন যেন মনে হয় লন্ঠন জ্বালিয়ে খুঁজতে হবে । যতদিন পর্যন্ত এই মানসিকতার পরিবর্তন না হবে ততদিন এরকমই চলতে থাকবে হয়ত । আমি নিজে বিদেশে থেকেও খুঁজে খুঁজে দেশী দোকান থেকে বাংলাদেশে প্রস্তত জিনিষ কিনি,সেটা আঁচার ই হোক আর কাপড় ই হোক ।

দ্যা রিডার এর ছবি

" দেশপ্রেম বলতে আমরা পাকী প্রেম এবং ভারত প্রেম দিয়ে বিচার করি, আমাদের মধ্যে সত্যিকারের বাংলাদেশ প্রেমী কেন যেন মনে হয় লন্ঠন জ্বালিয়ে খুঁজতে হবে " --- সহমত ।
বাংলাদেশে দেশপ্রেম টা একটা মৌসুমি উন্মাদনার মত , দুই দিন খুব লাফিয়ে ৩ দিনের দিন সব শান্ত । আশেপাশের মানুষজন এর কথা শুনলে মনে হয় , পাকিস্তান বিরোধিতা করা মানেই যেন ভারতের দালালি । কিছু কিছু মানুষের অবস্থা দেখলে ভয় হয় , এরা ভারত কে রীতিমত পূজা করে বলেই আপাতদৃষ্টিতে প্রতীয়মান হয় । এক কালে , বাঙালি দের কাছে বিদেশভ্রমন মানেই ছিল ভারত । ভাবখানা এমন , যেন ভারত দেখনি তো কিছুই দেখনি । যাই হোক , দেশ হিসেবে ভারতের বিশদ্গার আমার উদ্দেশ্য নয় । বাংলাদেশ যেভাবে ভারতের পণ্য বাজারে পরিণত হয়েছে , সেটি যথেষ্ট উদ্বেগের বিষয় । আর পত্রিকার ভূমিকার কথা তো বলাই বাহুল্য । এ থেকে উত্তরণের জন্য এখনি পদক্ষেপ নেয়া জরুরি । ভারতের পদলেহনকারি জাতি হিসেবে গড়ে উঠা আমাদের কাম্য নয় ।

তদানিন্তন পাঁঠা এর ছবি

আমার যদি ভুল হয় তাহলে আশা করি সেটা কেউ বলে দিবেন। তবে আমার কেন জানি মনে হচ্ছে যে আমরা আমাদের মুল ব্যপারটা থেকে সরে যাচ্ছি। আমি আমার চিন্তার পক্ষের পয়েন্টগুলো বলি-

১। আমাদের মুল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের সাথে ভারত যে আচরণ করে যাচ্ছে, বিশেষ করে বিএসএফ - তার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো।

২। এই বিরোধিতা প্রকাশে আমরা আপামর জনসাধারণ সহজে যা করতে পারি ওই দেশের সব কিছু (ভাল বা মন্দ) বর্জন, সেটা করেই আমরা প্রতিবাদ জানাব বলে একমত হয়েছি। কারন রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে যারা করতে পারতেন তাঁরা কিছুই করবেন না।

৩। আমি কখনই বলছিনা যে পরনির্ভরশীলতা ভাল। আমাদের দেশের জন্য ভারতীয় আগ্রাসন যেমন খারাপ ঠিক ততটাই খারাপ অন্য যে কোনও দেশের এই ধরনের একক আগ্রাসন। পুরো ব্যাপারটাই এমন হওয়া উচিৎ যে, ব্যবহার্য যা আমাদের দেশে উৎপাদিত হয় যা ব্যবহার যোগ্য মানের, তার অন্য কোনও (যে দেশেরই হোকনা কেন) ভাল / খারাপ ভারসন থাকলেও তা দেশীয়টার চাইতে অনেক বেশি দাম ধার্য করা। এবং আমাদের মানসিকতাটাও এমন হতে হবে যে টাকা থাকলেই আমি অন্য দেশেরটা কিনব না। যদি মোটামুটি গ্রহণযোগ্য দেশি জিনিস থাকে তবে সেটাই আগে কিনব। তবে দেশীয়পণ্যকে বাজার পাওয়ায় দাওয়ার জন্য সব কিছুর দূয়ার বন্ধ করে দেয়াটাও বোধহয় হটকারী হবে। আমি অন্তঃত জানি যে সেবা প্রকাশনী যদি বিশ্ব সাহিত্যকে আমাদের দেশে না নিয়ে আসতো এই ভাবে, তবে এই আজকের আমার অনেকাংশেই আর আমি হয়ে উঠা হতোনা। যদি আমি রবীন্দ্রনাথকে জানার সুযোগ না পেতাম, ভ্যানগগ না চিনতাম তাহলে আমি আমি হতাম না। এমনকি আমি এটাও মনে করি যে হালের ক্যামেরন বা স্পিলবার্গ বা নাম না মনে থাকা অনেকেই সত্যজিত রায়ের যায়গা না নিতে পারলেও খুব একটা পিছিয়ে নেই আমার মনের উঠোনে। (দেশের প্রিয়দের কথা বললাম না কারন এখানে বিদেশের আগ্রাসনের কথা আসছে)

৪। আমরা একটা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে এক মত হয়েছি। এই আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়াতেই একে একে আসবে আমাদের কী কী বাদ দেয়া উচিৎ, বা উচিৎ নয়। এই ১ মার্চের প্রতিবাদে একদিনের জন্য নাক চোখ বুঁজে সব বাদ দেয়া অথবা পরবরতীতে আবার বিএসএফ কিছু করলে তার পরদিনই আবারো এই কাজটা করা হচ্ছে আমাদের প্রতিরোধের হাতিয়ার। এইটাকে যদি আমরা এই মুহূর্তে আমাদের ভবিষ্যতে দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনায় কি করব তার সাথে এক করে ফেলি তবে এই প্রতিবাদটা এর নিজস্ব স্বকীয়তা হারায় বলে আমার মনে হয়।

আমার প্রস্তাব এই - কে কী করেছে বা কী করা উচিৎ ছিল তা না হয়ে আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিৎ সবাইকে এই ১ তারিখের বনধ এ সামিল করার চেষ্টা করা। এর পরের ধাপে এগুলো আসুক না হয় আলোচনার টেবিলে। আবারও বলি, 'আমার যদি কোথাও বোঝার ভুল থেকে থাকে তবে তা জানতে আগ্রহী।' ধন্যবাদ সবাইকে। ১ মার্চ ২০১২ -র আন্দোলন সফল হোক।

হিমু এর ছবি

দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়েও এই ফাঁকেই আমাদের কথা বলতে হবে।

মূল মিডিয়া ভারতীয় বিনোদনযন্ত্রকে একটা পরোক্ষ নৈতিক অনুমোদন দেয়। এই অনুমোদন ভারতীয় বিনোদন ভোগ আর উপভোগকেও ত্বরান্বিত করে। এই অনুমোদন না পেলে যে ভোগ-উপভোগ করা যায় না, তা বলছি না, কিন্তু সেটার গ্রহণযোগ্যতাও তৈরি হয় না। প্রচুর কিশোর চটি পড়ে, প্রচুর তরুণ পর্ন দেখে, মূল মিডিয়া কিন্তু এই যৌন-বিনোদনের ধারাকে র‍্যাটিফাই করে না। তাই এর সামাজিক গ্রহণযোগ্যতাও তৈরি হয় না। কিন্তু মূল মিডিয়া অনায়াসে অর্ধনগ্না ক্যাটরিনা কাইফের নাভির ছবি ছাপিয়ে সেটাকে মৃদুপর্ন হিসেবে সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য করে তোলে। আপনি দেখবেন, হিন্দি সিনেমায় ইদানীং যেসব যৌন উত্তেজক আইটেম নাচ তৈরি করা হয়, সেটা বাড়ির ছেলেবুড়ো সবাই একসঙ্গে বসে নির্বিকারে দেখে। আপনি একটা ইংরেজি ছবির চুম্বনের দৃশ্য দেখতে দিন, বুড়োর হ্যাকছিছি করে চ্যানেল পাল্টে দেবে বা পিচ্চিদের খেদিয়ে নিজে মনোযোগ দিয়ে দেখবে। এই পার্থক্য কেন? পার্থক্য মূল মিডিয়ার অনুমোদনে। ফলে আমরা একটা আপাতনির্দোষ চুম্বনদৃশ্যকে ফেলে দিচ্ছি নিষিদ্ধ প্রায়পর্নের কাতারে, আর পিচ্চিকাচ্চি পাশে রেখে নির্বিকারচিত্তে ক্যাটরিনার পাছার খাঁজ দেখে যাচ্ছি। মূল মিডিয়া একে আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য, ভোগযোগ্য আর উপভোগযোগ্য করে তুলছে।

এই কথাগুলো নিয়ে আলোচনা ১ মার্চের আগেই আমাদের করা প্রয়োজন। আমরা এগুলো নিয়ে কথা বলি না। আনিসুল হক বাদে এত্ত বড় পত্রিকা পেত্থমালোতে আরো কোনো কেষ্টুবিষ্টু সমোসকৃতির মাইবাপ এসে কিছু বলে না। দুই হাজার কোটি টাকা মুখের কথা? টাকার অভাবে গ্যাস কমপ্রেশার বসাতে পারি না আমরা, সেতু বানাতে পারি না, রাস্তা সারাতে পারি না, পাওয়ার প্ল্যান্ট বসাতে পারি না, বিদ্যুতের দাম দশ পয়সা বাড়ালে ঘেউ ঘেউ করতে থাকি, আর বছরে দুই হা-জা-র কো-টি টাকা দিয়ে দিচ্ছি হিন্দি সিরিয়ালের বালছাল দেখার জন্য?

তদানিন্তন পাঁঠা এর ছবি

ধন্যবাদ হিমু ভাই। পরিষ্কার হলো কিছুটা। ঠিক আছে মানলাম যে এর ভিতরেই আমাদের বলতে হবে। আর মিডিয়ার তৈরি করা গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে যা বললেন তাতে পুরোটাই একমত।

তাহলে এবার এই বলার ব্যপারটা আরেকটু পরিষ্কার হয়ে নেই। আমরা চাই বা না চাই এই দেশে আনিসুল হক বা হুমায়ূন আহমেদ এবং আরো অনেকেরই অনেক অন্ধ ভক্ত আছে। ব্যক্তি হিসেবে এ দু'জনের কাউকেই খুব একটা পছন্দনা করলেও (যদিও হুমায়ূন আহমেদের পরিবারের বেশির ভাগদেরই আমি খুবই পছন্দ করি) এঁদের কোনও কোনও লেখা সত্যি মনে দাগ ফেলে দেয় আমারও।

যা বলতে চাচ্ছি তা হলো এই প্রতিবাদে এবং প্রতিরোধে আমাদের বাংলাদেশের আপামর (ছাগু (এই শব্দটাতে আমার আপত্তি হলো ছাগলদের অপমান করা হচ্ছে এদের সাথে তুলনা করে তাই। দেঁতো হাসি ) বাদে) জনসাধারণের সহযোগিতা লাগবে। সেই যায়গাটায় পৌঁছান আমাদের পক্ষে যতটা কঠিন এঁদের পক্ষে ততটা সহজ। তাই এঁদের এবং এঁদের মতো অন্যদের এই ভাবে গালাগালি না করে যোগাযোগ এবং যুক্তির মাধ্যমে যদি এই রাস্তায় আনা যায় সেটা অনেক বেশি কাজে দেবার কথা। আমার মনে হয়না হুমায়ূন আহমেদ সিনেমার পক্ষে বলেছেন বলেই টিপাইমুখ অথবা বিএসএফ এর পক্ষেও বলবেন। উনি যদি না লিখতে চান এই ব্যপারগুলোয় তাহলে বরঞ্চ আমাদের উচিৎ কোনও ভাবে তাঁকে দিয়ে লেখানোর ব্যবস্থা করা। গায়ে মাথায় হাত বুলিয়ে হলেও। বাংলাদেশের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য একটু কুটনৈতিক রাস্তায় হাঁটা আর কি। হাসি

হিমু এর ছবি

পরিষ্কারের নামে ঘোলা করে দিলেন তো। ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে বলতে চাইলেন আমি আনিসুল আর হুমায়ূনকে গালি দিয়েছি? কোথায় বলুন তো? মৃদু সমালোচনা করেছি বৈকি, গালি তো দিইনি। এনারা তো নবী রসূল না যে এই মৃদু সমালোচনাও করতে পারবো না, নাকি?

এইবার এই লেখাটা পড়ুন। শিরোনাম ভারত জুজু, লিখেছেন হুমায়ূন আহমেদ।

বাংলাদেশের স্বার্থ উদ্ধারের জন্যে এদের মতো প্রকাণ্ড কেষ্টুবিষ্টুদের অঙ্গসংবাহন করে দিতে হবে কেন? ওনারা কি অন্য রাষ্ট্রের নাগরিক? হুমায়ূন আহমেদ তো জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের জ্যেষ্ঠ বিশেষ উপদেষ্টা। কোনদিন না জানি বিএসএফের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর জন্য আমাদের মন্ত্রীদেরও গায়ে মাথায় হস্তক্ষেপ করতে হয়।

তদানিন্তন পাঁঠা এর ছবি

হুয়া-র এই লেখাটা আমার পড়া ছিলনা। আমি আমার পূর্বোক্ত মন্তব্যর জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। লিঙ্কটি দেয়ার জন্য হিমু ভাইকে ধন্যবাদ।

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

চলুক চলুক


_____________________
Give Her Freedom!

কাঁঠালের আমসত্ব  এর ছবি

এ বিষয়ে আমার একটি প্রস্তাব রয়েছে যা অনেকের কাছে হাস্যকর বলে মনে হতে পারে। আমার মতে বিনোদন পাতায় ভারতীয় (বিশেষত বলিউড) তারকাদের উপর সংবাদের আধিক্য থাকার অন্যতম মূল কারণ হল অর্থনৈতিক। বাংলাদেশের চলচিত্র শিল্পী, সঙ্গীত শিল্পী, মডেল বা এধরণের তারকাদের নিয়ে আমাদের যে আগ্রহ নেই তা নয় কিন্তু তারপরও আমরা বিভিন্ন পত্রিকার ও ম্যগাজিনের বিনোদন পাতায় ভারতীয় তারকাদের নিয়ে সংবাদের আধিক্য দেখতে পাই কেন?
আমার মনে হয় ভারতের তারকাদের উপর খবর ও ফিচার ইন্টারনেট থেকে সহজেই (বিনামূল্যে) সংগ্রহ করে অনুবাদ করে (সে অনুবাদেও যে অনেক ভুল থাকে সে কথা বিভিন্ন ব্লগে অনেকবার বলা হয়েছে) দেয়া যায়। ছবিও কোন ব্যপার না। শুধু টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে/অনলাইন ডেস্ক/ডেস্ক রিপোর্ট ইত্যাদি নামে দিয়ে দিলেই হল।
অন্যদিকে বাংলাদেশের তারকাদের উপর কোন সংবাদ করতে হলে একদিকে সময় বেশী লাগে এবং তারকাদের কাছে যেতে হয় ও অর্থ খরচ হয়। আবার ছবি পাওয়াও দুষ্কর। বিনোদন পাতা ও ফিচার পাতার জন্য কোন পত্রিকাই খুব বেশী খরচ করতে চায়না। তাই ক্যাটরিনা কাইফের উপর ২০০ বা ২,০০০ শব্দের উপর একটি লেখা দেয়া কোন ব্যপার না কিন্তু জয়া আহসানের উপর তা করা অনেক কষ্টসাধ্য ও ব্যয়সাপেক্ষ। ফলে দেখা যায় যে ক্যাটরিনা কাইফের উপর একই সংবাদ, সাক্ষাৎকার বা ফিচার বিভিন্ন পত্রিকায় একটু এদিক সেদিক করে আসে কিন্তু জয়া আহসানের উপর কোন সংবাদ, সাক্ষাৎকার বা ফিচার এক পত্রিকার আসলে অন্য পত্রিকায় আসেনা।
তাই আমার প্রস্তাব হল, এমন একটা ওয়েবসাইট করা দরকার যেখানে বাংলাদেশী তারকাদের উপর বিভিন্ন সংবাদ, প্রতিবেদন, সাক্ষাৎকার ইত্যাদি থাকবে এবং প্রচুর ছবি থাকবে এবং যে কোন পত্রিকা, ম্যগাজিন বা (নিউজ) ওয়েবসাইট তা বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবে। এতে করে বাংলাদেশী তারকাদের কাভারেজ অনেক বৃদ্ধি পাবে ও ভারতীয় তারকাদের কাভারেজ কমে যাবে বলে আমার মনে হয়।
এ ধরনের একটি ওয়েবসাইট বানানো, তা চালিয়ে যাওয়া ও নিত্যনতুন কন্টেন্ট যোগ করা খুবই ব্যয়সাধ্য ও কষ্টসাধ্য। কিন্তু করা গেলে বোধহয় অনেক ভাল হত আমাদের দেশের জন্য।

হিমু এর ছবি

সাধু! সাধু!

খুবই ইনজিনিয়াস! পত্রিকাগুলোর কাছে ফোটো-কনটেন্ট সরবরাহের ব্যবসাও খুলতে পারেন কেউ, যেখানে ন্যূনতম একটা ফি দিয়ে পত্রিকাগুলো সাবস্ক্রাইব করবে, তারপর নির্দিষ্ট সংখ্যক ছবি সংগ্রহ করতে পারবে। বাকিটা তারকাদের সাথে ফোনে কাজ চালিয়ে নেবে। এতে করে কনটেন্ট যে সংগ্রহ করছে তারও খরচ উঠে কিছু লাভ থাকবে, পত্রিকাগুলোও সারা বছর সস্তায় ছবি পাবে।

কিন্তু বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী সম্বাদিগেরা কি এই লাইনে হাঁটবে?

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বাংলাদেশের তারকাদের উপর সংবাদ করতে হলে সময় বেশি লাগে না, তাদের কাছে যেতেও হয় না, অর্থও খরচ করতে হয় না। সবকিছুই খুবই সহজে পাওয়া যায়। বাংলাদেশের কোনো পত্রিকা চাইলে তারকারা নিজের টাকা খরচ করে পত্রিকা অফিসে গিয়ে ফটোসেশন করে দিয়ে আসেন... ফটোসেশন শুধু না, অ্যাওয়ার্ড দেওয়া, গোলটেবিল বৈঠক বা এমনি দাওয়াতেও ডাকলেই হাজির হন...
মধ্যম সারির তারকারা তো নিজেরাই উল্টো সবসময় যোগাযোগ রেখে চলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে...

কিন্তু ক্যাটরিনায় যে গ্ল্যামার আছে গো দাদা
আর পাঠক খায়ও ভালো...
ক্ষুধার্থকে অন্ন দেওয়ার মতো মহৎ কাজ করার জন্য তো পত্রিকাগুলোকে ধন্যবাদই দিতে হয় চোখ টিপি

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

জিজ্ঞাসু এর ছবি

‍পত্রিকাগুলো আমাদের বদলে যেতে বলে রোজ রোজ, আমরা কি আশা করতে পারি, তারা নিজেরা বদলানোর খুব সহজ একটা পদক্ষেপ নেবে?

প্রথম আলো পত্রিকাটি কিন্তু বদলেই যাচ্ছে। তবে সেটা ইতিবাচক নয়। হয়ত বড় হয়ে গেলে সবকথাই শুধু উপদেশের পর্যায়ে চলে যায় নিজে মানার বাধ্যবাধকতা তখন থাকে না!! গুণগত মানের প্রতি প্রথম দিকে তাদের যতটা যত্নবান হতে দেখেছি তারচেয়ে এখন তারা কর্পোরেট একটা রূপ গ্রহণ করার চেষ্টায় রত।

___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে

ধ্রুবনীল এর ছবি

এক দশক আগেও পত্রিকাগুলি এত নির্লজ্জভাবে ভারতীয় সেলিব্রেটিদের নিয়ে বেহায়াপনা করতো না, এখন বিনোদন পাতাগুলি দেখলে বুঝা যায় না দেশী না ভিনদেশী পত্রিকা পড়ছি। খবর আর ছবি সুত্রের উল্লেখ না করে এমনভাবে প্রকাশ করে যেন এটা তাদের নিজেদের সংগ্রহ।

চমৎকার লেখা, ধন্যবাদ।

সৃষ্টিছাড়া এর ছবি

চলুক

রানা মেহের এর ছবি

প্রথম আলোর বিনোদন পাতা আর সানন্দা অনন্দবজর এর বিনোদন পাতার মাঝে বিশেষ কোন পার্থক্য নেই

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

আশফিক অনিক এর ছবি

খুব ভালো লাগলো! ভারতীয় 'বিনোদন আধিপত্য' আকাশ ছুঁয়েছে!

সজল এর ছবি

শুধু কি পেপারওয়ালা? এখানে দেখুন বিপিএল এর কীর্তি।

তিনি বলেন, “৫০০ টাকা হলেও সাধারণ গ্যালারির টিকেটের মূল্য দর্শকদের জন্য
সহনীয় হওয়ার কথা। কারণ দর্শকরা এক টিকেটে দুটি ম্যাচ দেখা ছাড়াও সংগীতানুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবেন। তাছাড়া প্রতি দিনই মাঠে বলিউডের তারকাদের উপস্থিত থাকার কথা। রানী মুখার্জি, প্রীতি জিনতা ও প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সঙ্গে এরই মধ্যে কথাবার্তাও হয়েছে এ ব্যাপারে।”

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

হিমু এর ছবি

আশা করি আনিসুল ভাইয়া আইভরি কোস্ট থেকে ফিরে এর প্রতিবাদ করে আলুতে লিখবেন।

আরমান আরজু এর ছবি

হিমুকে ধন্যবাদ সময়োপযোগী এ লেখাটির জন্য।

হিমু এর ছবি

আনিসুল ভাইয়া আজ জাহাঙ্গীর সাত্তার টিঙ্কু, সাগর সরওয়ার, মেহেরুন রুনি ও হুমায়ূন ফরীদি, এই চার মৃত মানুষের কাঁধে চড়ে "মা" এর বিজ্ঞাপনী সাইনবোর্ড টাঙালেন।

মন মাঝি এর ছবি

পড়লাম। কাণ্ডজ্ঞানহীণ বেহায়া আত্নবিজ্ঞাপনের একটা জ্বলন্ত নিদর্শন!

আশ্চর্য লাগে ভাবতে এই ভদ্রলোকই একসময় এর্শাদামলে বিশ্ববেহায়ার বেহায়াত্ব নিয়ে কত ধাঁরালো স্যাটায়ারিকাল লেখা লিখেছেন - ব্যাঙ্গবিদ্রুপের ছুরিতে ফালাফালা করেছেন বিশ্ববেহায়ার ভণ্ডামী, শঠতা আর আত্নপ্রচারম্যানিয়া। ভাবতে মজা (এবং বিতৃষ্ণা) লাগছে - কোনভাবে যদি (ধরেন টাইম মেশিনে) সেই পুরনো আনিস ভাইয়াকে বর্তমানে এনে আজকের এই নতুন আনিসের লেখাগুলি পড়ানো যেত - তাহলে পুরান আনিস ভাইয়া কি নিজের ভবিষ্যৎ রূপটির কমিক আত্নপ্রচারম্যানিয়া দেখে একই রকম ধাঁরালো স্যাটায়ারিকাল পিস লিখতে পারতেন? পারা তো উচিৎ - বর্তমানের জন তো ম্যাটিরিয়ালের কোন অভাব রাখছেন না!

****************************************

হিমু এর ছবি

একটা "অ"প্রাসঙ্গিক ছড়া পড়েন।

কাব্য এর ছবি

ভাই, বুকে হাত দিয়ে বলেন তো 3 idiots বের হওয়ার পর তা ভারতীয় বলে বর্জন করেছিলেন কি না। কিংবা "ভালোবাসি তাই" নাটক টি দেখেন নাই ভারতীয় airtel এর দেখে, অথবা পেয়াজ, গরু খাওয়া বাদ দিয়েছেন ভারত থেকে আসে বলে। বলতে পারেন ভারত থেকে না আনলে দেশে উৎপাদন বাড়বে, কিন্তু পুরো দেশের ভার মিটানোর জন্য আমাদের দেশে কি যথেষ্ট জায়গা আছে? আমদানী আমাদের করতেই হয়, সেটা কাছের কোন দেশ থেকে করলেই তো আমাদের নিজেদের জন্য ভালো। আর এমন তো না যে আমরা আর কোন দেশ থেকে কিছু নিচ্ছি না।
বলতে পারেন যে ভারতীয় সংস্কৃতি আমাদের টাকে নষ্ট করছে। এখানে দোষ টাকি ভারতের, না আমাদের? আমরা কি শুধু বাংলা আর হিন্দি এ শুধু দেখি? ইংরেজি মুভি কি আমরা দেখি না, নাকি ইংরেজি কালচার টাই আপনাদের কাছে বাইবেলের মত, অন্য গুলো চটি!! আমাদের দেশের এখন বেশির ভাগ ছেলেই এখন চুল খারা করে রাখে(স্পাইক), ওষ্টের নিচে হাল্কা কেশ রেখে দেয়, কান ফুটো করে। এগুলো কি আমরা ভারত থেকে শিখেছি না অন্য সংস্কৃতি থেকে আমরাই অনুপ্রাণিত হচ্ছি? leave together, love after sex এসব টার্ম ও নিশ্চই ভারত আমাদের শিখায় নি। কালচার প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হয়, এখন আমরা যদি একটা বিশেষ কালচার এর পিছে ছুটি তো সমস্যা আমাদের নিজেদের। ভারত বর্জন করলে ভারতের খুব একটা ক্ষতি হবে না আমাদের কিছু আমদানী খাতের দাম বেড়ে যাবে, হয়তো কিছু উৎপাদন বাড়বে কিন্তু তা যথেষ্ট হবে না। আর আমরা তখন western কালচারের প্রতি আরো বেশি ঝুকে যাবো।
আমাদের অন্য কালচার অণুকরণ না করে অন্য কালচার দেখে নিজেদের কালচার সমৃদ্ধ করা উচিত ছিলো যা আমরা করি নি।এখন যে দরি বেয়ে আমরা উঠছি তা যতই ঠুনকো হোক না কেন কেটে দিলে আবার উঠাটা অনেক কঠিন হয়ে যাবে।

হিমু এর ছবি

ভাই কাব্য, আমি সাধারণত আপনার মতো কাঠবলদদের মন্তব্যের উত্তর দীর্ঘায়িত করি না। কিন্তু আপনি অর্ধশিক্ষিত হলেও আমার ধারণা, আরো অনেক অর্ধশিক্ষিতের প্রতিনিধিত্ব করেন। এই তাবত অর্ধশিক্ষিতদের মনেই হয়তো আপনার মতো চিন্তা গুঞ্জরিত হয়। তাই আমি ধৈর্য ধরে আপনার কাঠবলদামি ভাবনাপ্রসূত জিজ্ঞাসাগুলোর উত্তর দিচ্ছি।

প্রথমেই বলি, থ্রি ই্ডিয়টস সিনেমাটি আমি দেখিনি। তবে দেখা শুরু করেছিলাম। আধঘন্টা বহুকষ্টে ধৈর্য ধরে যখন দেখলাম, এটা ইন্টারনেটে বিভিন্ন চুটকির ওয়েবসাইট থেকে যোগাড় করা চুটকি জোড়াতালি দিয়ে গড়ে ওঠা সংলাপভিত্তিক একটা সিনেমা, তখন বন্ধ করে দিয়েছি। আমি শেষ ভারতীয় চলচ্চিত্র দেখেছি মণিরত্নমের "যুবা", যেটা সম্ভবত স্প্যানিশ চলচ্চিত্র আমোরেস পেরোস-এর অনুকরণে নির্মিত। না, তখনও বর্জন করিনি, কারণ বর্জন করে সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যার ভাবনাটি আমার মাথায় তখনও আসেনি। এখন এসেছে, সেটা নিজে অনুসরণ করার চেষ্টা করছি, অন্যকেও বলছি।

"ভালোবাসি তাই" নাটকটিও আমি দেখিনি, কারণ আমি নাটক দেখি না। ভালোবাসাবাসির নাটক সিনেমা কিছুই দেখি না, সেইটা বাংলা হিন্দি ইংরেজি জার্মান ফরাসি স্প্যানিশ যা-ই হোক না কেন।

পেঁয়াজ বা গরু খাওয়া আমাকে বাদ দিতে হয়নি কারণ আমি প্রবাসে থাকি। কিন্তু পেঁয়াজ বা গরু খাওয়া বাদ দেয়ার কথাও আমি বলছি না। আমাদের দেশের কৃষি উপযোগী ভূমির ব্যবহার প্রায় সম্পৃক্ত, আমরা চাইলেও অনেক কৃষিজ প্রোডাক্টে স্বয়ম্ভর হতে পারবো না। পেঁয়াজ বা গরু ভারত আর মায়ানমার থেকে বাজারের স্বাভাবিক স্রোতেই বাংলাদেশে আসে। পেঁয়াজ বা গরু বাংলাদেশী পেঁয়াজ বা বাংলাদেশী গরুর বাজারকে ধ্বংস করেনি, সাপ্লিমেন্ট করছে শুধু। যেসব ভারতীয় পণ্য, সেবা, বিনোদন আমাদের দেশের পণ্য, সেবা, বিনোদনকে প্রায় প্রতিস্থাপন করতে চলেছে, সেগুলোকে বর্জন করতে বলেছি। আপনি এখন জানতে চাইতে পারেন, আমি প্রবাসে বসে কোন ভারতীয় পণ্য বর্জন করি। উত্তর, চাল আর মশলা। ভারতীয় বাসমতি চাল খাবো না বলে সুরিনামের মোটা চাল খাই আর আড়াইগুণ দাম দিয়ে রাঁধুনির মশলা কিনি, কয়েক বছর ধরেই। আমার হিন্দি বা কলকাত্তাই সিনেমা বা অন্য অনুষ্ঠান দেখার অভ্যাস নাই, ওগুলি না দেখলেও আমার পাছা চুলকায় না। যাদের চুলকায়, তারা বর্জন না করলেও আমার কিছু বলার নাই, আমি বারবার ঘ্যানঘ্যান করে বর্জন করতে বলতে পারি শুধু।

"ইংরেজি কালচার" বলে একক কোনো "কালচার" এর অস্তিত্বের কথা আমি জানি না। তবে বুঝি, এর অস্তিত্ব কাঠবলদদের ভাবনায়। আপনি সেরকম একজন কাঠবলদ। আরো বুঝতে পারছি, লিভ টুগেদার বা ভালোবাসাকালীন সঙ্গম আপনার চোখে বিরাট পাপ বিশেষ। এই জিনিস আমাদের ভারত বা হলিউড শেখায়নি, এই জিনিস বহুদিন ধরে চলে এসেছে, ইদানীং কেবল রূপালি পর্দায় এর গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হওয়ার কারণে হঠাৎ করে আপনার আশেপাশে আরো কাঠবলদদের মাঝেও জিনিসটা জাহির হচ্ছে বেশি করে, এ-ই যা। একটু কষ্ট করে পাশের বস্তিতে যান, দেখবেন সেখানে লিভ টুগেদার একটা আকচার ঘটনা। তারাও কিন্তু সেগুলো ভারত বা হলিউড থেকে শেখেনি। আপনার বাসায় হয় না দেখে গোটা দুনিয়ার কোথাও হতে পারবে না, এমন তো কোনো বাধা নেই, তাই না? আপনার পছন্দ না হলে আপনি নিজে লিভ টুগেদার আর "লাভ আফটার সেক্স" (মনে হয় সেক্স আফটার লাভ বলতে গিয়ে প্যাচ লাগিয়ে ফেলেছেন ভাইডি) করা থেকে বিরত থাকুন এবং অন্যকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।

আপনার যদি মনে হয়, হলিউডি কালচারের পিছনে না ছুটে ভারতের কালচারের পিছনে ছুটলে আমাদের লাভ হবে, আপনি ছুটতে পারেন। আপনার মতো অন্য কাঠবলদদের নিয়ে ছুটতে পারেন। আমার পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি নাই। আমি আমার পাঠকদের বুদ্ধিমান মনে করি, বুদ্ধিমান ভেবেই তাদের উদ্দেশ করে মাঝেমধ্যে এটাসেটা পোস্ট করি, কাঠবলদরা আমার লেখা পড়ে সাড়া দেবে, এই দুরাশা না করেই। তবে অন্য কালচার "দেখে" যারা নিজেদের কালচার "সমৃদ্ধ করে" তাদের কাছ থেকে সাবধানে থাকতে হয়, এটা বুঝি, কারণ তাদের কালচারের পাত্র একেবারেই শূন্য। ফকিরেরও কালচারের পাত্র খালি থাকে না, কাঠবলদদের থাকে। আপনি ভারতীয় কালচারের বাল বেয়ে উঠে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে পারলে, করে যান, শুভকামনা রইলো। আপনার প্রত্যুত্তরের জায়গা এই পোস্টে আর হবে না, তাই মন খারাপ করে ঝগড়া করতে চাইলে বাড়ির লোকের সাথে করুন। ধন্যবাদ।

সাই দ এর ছবি

চলুক

হিমু এর ছবি

আজ পুলিশের হাতে প্রহৃত চার সহকর্মীকে নিয়ে লেখার ফাঁকে "মা" এর বিজ্ঞাপন করলেন আনিসুল ভাইয়া।

সচল জাহিদ এর ছবি

অত্যন্ত স্থুল ও হাস্যকর বিজ্ঞাপণ।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

ক্রেসিডা এর ছবি

স্ক্রিপ্ট ক্যামনে লেখে জানি না; বেশ কয়েক বছর আগে দুই বন্ধু মিলে "সেনোরা" এর একটা ফানি এড বানাইছিলাম। সত্যি সত্যি না কিন্তু; মস্তিস্কে। যাই হোক, বন্ধুর গালফ্রেন্ড এর আব্দার ছিল, আনিসুল হক এর অটোগ্রাফ সহ বই লাগবো। কি করার, বন্ধু সম্পর্ক ও মন রাখতে একটা বই কিনলো। "মনে রেখ প্রিয় পাতা"। এইটার দাম ও কম, তো, যখন অটোগ্রাফ নিতে গেল, উনি নাম জিজ্ঞেস করলেন, যে বইয়ে কার নাম লিখবেন। বন্ধু বললো বান্ধবী (প্রেমিকা) এর নাম । অটোগ্রাফ দিতে দিতে তার একটা প্রশ্ন ছিল - "তোমরা কি মা বইটা পড়েছো?" ..

যাকগে- মনে মনে বিজ্ঞাপন এর কথা দিয়ে শুরু, সেটা বলেছি - কারন তখন দুজন মিলে মনে মনে আর একটা বিজ্ঞাপন বানাইছিলাম।

ব্যাকগ্রাউন্ডে করুন মিউজিক; একটা এতিমখানায় লেখক গিয়েছেন তাদের সাথে তার ছোট বেলার গল্প করতে। ছোট ছোট মুখ, নিষ্পাপ চাহুনি, লেখক নিজেও তার আছরে আরো নিষ্পাপ হয়ে গেলেন।

ক্লোজ ক্যামেরা.. লেখকের চোখ ভেজা ভেজা; আরো ক্লোজ,

হঠাৎ ডুকরে কেঁদে উঠলেন.. বলে উঠলেন - " ওরে কে বলেছে তোরা এতিম? কে বলেছে তোদের মা নেই?" বলে একটা বই বের করে দিলেন তাদের সামনে..

ক্যামেরা তখন হাতে জুম করা... আরো কাছে... "মা" বই এর দৃশ্য।

শেষ দৃশ্য: "সবার জন্যে মা (আনিসুল হকের "মা")

----

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

হিমু এর ছবি

দৈনিক প্রথম আলোর প্রথম পাতায় গত মঙ্গলবার ছাপা হয়েছিলো একটি খবর, শিরোনাম, মাতৃত্বকালীন ছুটি বাড়লে জন্মহারও বাড়বে! - মনে করে বিজিএমইএ। বিজিএমইএর বক্তব্য বিবমিষা উদ্রেক করে। নিজের উপসম্পাদকীয়তা যে পত্রিকায়, তার প্রথম পাতায় এ খবর আসার পরও জলেস্থলেঅন্তরীক্ষে "মা"য়ের বিজ্ঞাপন দিতে দিতে হয়রান হয়ে যাওয়া আনিসুল হককে দেখলাম না মাতৃত্বের এই প্রকট অপমান নিয়ে টুঁ শব্দ করতে। নাহয় নিজের ফেসবুক পেজে দুই লাইনেই কিছু বলতেন?

ইডিপাসের পর "মা"য়ের ফায়দা লুটতে দেখছি আনিসুল হককেই। ইডিপাসের সাথে তার তফাৎ হচ্ছে ইডিপাস জানতো না কিছু।

ক্রেসিডা এর ছবি

চলুক

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।