সচলায়তনে এর আগে ভারত বনধ কর্মসূচি নিয়ে বিস্তারিত বলেছেন অনেকে। সংক্ষেপে এই কর্মসূচি সম্পর্কে আবার সবাইকে জানাতে চাই।
১। এই কর্মসূচি সীমান্তে বাংলাদেশী নাগরিকদের ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী কর্তৃক নির্বিচার হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদ হিসেবে পালিত হচ্ছে।
২। ভারত তার অন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর নাগরিকের সাথে এমন আচরণ করে না, তাই আমরা বুঝতে পারি, বাংলাদেশী নাগরিকের সাথে এমন আচরণের পেছনে ভারতীয় রাজনীতিক ও আমলাযন্ত্রের একটি সুস্পষ্ট তাচ্ছিল্য ও ঘৃণা কাজ করে। আমরা দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের একটি বড় বাজার, কিন্তু সেই বাজারে ক্রেতা হয়েও আমরা মার খাই। আমরা তাদের মালও কিনবো, তাদের মারও খাবো, এমনটা চলবে না।
৩। আমরা চাই ভারত আমাদের প্রাপ্য সম্মান দিক। আমাদের আচরণ না পাল্টালে তারা আমাদের সম্মানের চোখে দেখবে না। ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক যেহেতু প্রায় একতরফা বিক্রেতা ও ক্রেতার, তাই ভারতকে প্রতিবেশীসুলভ ভদ্র আচরণ করতে চাপ দেয়ার একটিই উপায়, তাদের বাণিজ্যিক স্বার্থে দাগ কাটা।
৪। ১ মার্চ আমরা তাই একদিনের জন্যে ভারতের সমস্ত পণ্য, সেবা, বিনোদন বর্জনের আহ্বান জানাচ্ছি।
৫। এই আহ্বান খুব বেশি মানুষের কাছে না-ও পৌঁছাতে পারে, কিন্তু এক দিনেই আমরা সবাইকে আমাদের পাশে পাবো, এমনটিও আমরা আশা করছি না। এই বর্জন কর্মসূচি ভবিষ্যতে নিয়মিত পালিত হবে, এবং আরো অনেক বর্জন দিবসের প্রথম দিনটি ১ মার্চ।
৬। এই কর্মসূচি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর মালিকানাধীন কর্মসূচি নয়। এটি ভারত রাষ্ট্রের রাজনীতিক ও আমলাযন্ত্রের বিপরীতে আপনার একার প্রতিবাদ কর্মসূচি। আপনাকে লোকদেখানো মানববন্ধন করতে হবে না, রাস্তায় নেমে কলিজাকাঁপানো বক্তৃতাও দিতে হবে না, শুধু নীরবে ভারতকে প্রতিদিন যে টাকা যুগিয়ে চলছেন, সেটি ১ দিনের জন্য বন্ধ করুন।
প্রশ্ন উঠতে পারে, আমরা অল্প কয়েকজন মানুষ এই কর্মসূচি পালন করলে ভারতের কী এসে যাবে? বাংলাদেশে তারা হাজার হাজার কোটি টাকার পণ্য বৈধ ও অবৈধ পথে বিক্রি করে, আমাদের অল্প কয়েকজনের বর্জনে কী এসে যাবে?
এর উত্তর হচ্ছে, এই বর্জন কর্মসূচিতে আমরা যেন একদিনেই অভীষ্ট লাভের স্বপ্ন না দেখি। আমরা গত চল্লিশ বছর ধরে একটু একটু করে নিজেদের অবকাঠামো পণ্ড করে ভারতের একটি বিরাট বাজারে পরিণত হয়েছি, এবং এই প্রক্রিয়ার এক পর্যায়ে ভারতের চোখে তুচ্ছ একটি জাতিতে পরিণত হয়েছি, যাদের চাইলেই উলঙ্গ করে পেটানো যায়। একদিনে আমরা এই পরিস্থিতি উল্টে ফেলতে পারবো না। এই বর্জন আমাদের হাতে একটি শান্তিপূর্ণ কিন্তু শক্তিশালী অস্ত্র, এর নিয়মিত চর্চা এবং প্রচার আমাদের শক্তিবৃদ্ধি করবে, এবং ভারতের রাজনীতিক ও আমলাযন্ত্রের কাছে ক্রমশ শক্তিশালী বার্তা পৌঁছাবে। বাণিজ্যিক স্বার্থে আঁচড় পড়লে ভারতের ব্যবসায়ীরাই তাদের রাজনীতিক ও আমলাযন্ত্রকে পরিস্থিতি বাণিজ্যিক স্বার্থের অনুকূলে রাখার জন্যে ভদ্র আচরণ করতে চাপ দেবে।
কিন্তু সে জন্যে প্রয়োজন একটি জোরালো বার্তা পৌঁছানো। ভারতের বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে সক্রিয়, তার মধ্যে একটি হচ্ছে এয়ারটেল। এয়ারটেলের গ্রাহকরা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ, যারা একদিনের জন্যে এয়ারটেলের সেবা বর্জন করে এই বৃহৎ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানটিকে একটি সঙ্কেত দিতে পারবেন।
আকাশে মেঘ করলে আমরা তেমন গা করি না, কিন্তু যখন সূর্যগ্রহণ হয়, তখন সেদিকে মনোযোগ দিতে বাধ্য হই। আমাদের উদ্দেশ্য, একদিনের জন্যে বর্জনের মাধ্যমে এয়ারটেল কর্তৃপক্ষকে দৃষ্টিগ্রাহ্য একটি মেসেজ পৌঁছে দেয়া। অর্থাৎ, এয়ারেটেলের আয়ের লেখচিত্রটি যেন এমন হয়,
অন্য সব পণ্য, সেবা, বিনোদনের পাশাপাশি কেন এয়ারটেলকেই বর্জন করতে বলছি? কারণ এই প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক অসংখ্য সাধারণ মানুষ। ভারতের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক হয়তো অল্প কিছু মানুষ, যারা ব্যবসায়িক স্বার্থে ১ দিনের জন্যে ভারত বনধে অংশ নেবেন না, অথবা নিলেও ১ দিনের বর্জনের কারণে দৃষ্টিগ্রাহ্য কোনো মেসেজ সে প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে পৌঁছাবে না। কিন্তু টেলিযোগাযোগ খাতে দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক ও ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে রিপোর্টিং হয়, এবং সেখানে প্রচুর সংখ্যক সাধারণ মানুষের সরাসরি অংশগ্রহণ থাকায় প্রত্যেকের পক্ষেই আলাদাভাবে নিজের কাজটি করা সম্ভব হয়। আমরা চাই, এই শীর্ষস্থানীয় ভারতীয় প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের অপমানিত হবার বিষয়টি উপলব্ধি করুক, এবং ভবিষ্যতে বর্জনের কারণে আর্থিক ক্ষতি এড়ানোর জন্যে বিষয়টি তাদের হাইকমিশনের কাছে তুলে ধরুক।
১ মার্চ রাত বারোটা থেকে ২ মার্চ রাত বারোটা পর্যন্ত এয়ারটেলসহ সকল ভারতীয় পণ্য, সেবা, বিনোদন গ্রহণ থেকে বিরত থাকি, আসুন। বিএসএফের একটি ইনসাস ৫.৫৬ ক্যালিবারের রাইফেলের দাম খোলা বাজারে ৩০০ ইউ এস ডলার, এক একটি গুলি তৈরিতে তাদের ব্যয় হয় আনুমানিক ৫-১০ রূপি। আপনিই হিসাব করে দেখুন, সারা বছর ধরে আপনি ভারতকে বিএসএফের হাতে বাংলাদেশী নিধনের জন্যে কতগুলো রাইফেল আর কতগুলো গুলি কেনার টাকা তুলে দিচ্ছেন। একটি দিনের জন্যে সেই কাজ থেকে বিরত থাকুন।
১ মার্চ ভারত বনধে নিজে অংশ নিন, আপনার পরিজনকেও অংশ নিতে বলুন। রাজনীতিকদের গালি দেয়া খুব সহজ, প্রমাণ করুন আপনি তাদের চেয়ে ভালো, প্রমাণ করুন আপনার গায়ের চামড়া তাদের চেয়ে পাতলা, প্রমাণ করুন নিজের সম্মান আপনি নিজে রক্ষা করতে এগিয়ে আসতে জানেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বেডরুম পাহারা দেয়া সরকারের দায়িত্ব নয়। তাই আপনার বেডরুমে ঢুকে পড়া ভারতীয় বাণিজ্যের হাতিটিকে শনাক্ত করুন, তাকে ঘাড়ে ধরে বেডরুম থেকে বার করে দিন সরকারের সাহায্য ছাড়াই। না পারলে সরকারকে গালি দিয়ে লাভ নাই, আপনিও তাদের মতোই। ধন্যবাদ।
এই বার্তাটি ছড়িয়ে দেয়ার জন্যে কৃতজ্ঞতা জানাই।
এই লিঙ্কে ক্লিক করলে এয়ারটেলের অফিসের ইমেইল ঠিকানা সম্বলিত একটি ইমেইল, আপনার প্রিয় ইমেইল সফটওয়্যার এ খুলে যাবে (জিমেইল ব্যবহারকারীরা এই লিঙ্কে ক্লিক করতে পারেন।) এয়ারটেল বর্জনের পাশাপাশি কেন আপনি এয়ারটেল ব্যবহার থেকে বিরত আছেন, সেটা যদি ইমেইল করে এয়ারটেল কর্তৃপক্ষকে জানানো যায়, তাহলে সেটা আরো ভাল কাজ দিবে বলে আশা করি।
মন্তব্য
এয়ারটেল ব্যবহার করতাম; মাস ছয়েক হচ্ছে ব্যবহার করি না।
ভারত বনধ সফল হোক!
সাথে আছি।
সারা বছরই হোক ভারত বনধ!
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
এই লিঙ্কে ক্লিক করলে এয়ারটেলের অফিসের ইমেইল ঠিকানা সম্বলিত একটি ইমেইল, আপনার প্রিয় ইমেইল সফটওয়্যার এ খুলে যাবে (জিমেইল ব্যবহারকারীরা এই লিঙ্কে ক্লিক করতে পারেন।) এয়ারটেল বর্জনের পাশাপাশি কেন আপনি এয়ারটেল ব্যবহার থেকে বিরত আছেন, সেটা যদি ইমেইল করে এয়ারটেল কর্তৃপক্ষকে জানানো যায়, তাহলে সেটা আরো ভাল কাজ দিবে বলে আশা করি।
ভালো উদ্যোগ।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
আর "১ মার্চ রাত বারোটা থেকে ১ মার্চ রাত বারোটা পর্যন্ত"
-এটা ঠিক করে দিন
ধন্যবাদ, শুধরে দিলাম।
না পারলে সরকারকে গালি দিয়ে লাভ নাই, আপনিও তাদের মতোই।
সহমত।
...........................
Every Picture Tells a Story
সরকারকে গালি দিয়ে নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে গেলে কাজের কাজ কিছুই হবে না । প্রত্যেকে নিজের জায়গা থেকে সচেতন হোন,তাহলেই একদিন হবে,আমাদেরও হবে, অবশ্যই ।
মীরাক্কেল দেখতাম, মাস খানেক আগে যখন তারা তাদের পেজ এ বাংলাদেশের প্রতিযোগীদের প্রতিবাদের আহবান এর ব্লগ এর লিঙ্ক গুলো মুছে দিলো এরপর থেকে দেখা বন্ধ করে দিয়েছি। হিন্দি মুভি/সিরিয়াল দেখায় কোনদিনই উতসাহ পাইনি। সাথে আছি ১ মার্চে।
রিক্তা
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
সাথে আছি হিমুদা।
সুন্দর পোষ্ট। সাথে আছি।
ফেসবুক নোট হিসেবে ব্যবহারের জন্য এই নোটটির ইংরেজী ভার্সন প্রয়োজন। ভারতবন্ধের ব্যাপারটা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়া দরকার।
কাল দিচ্ছি।
একদম সহমত। কাঁচামাল কিংবা খাবারের আমদানীর উপর ভারত বন্ধের প্রভাব একদিনে দেখা কঠিন, কিন্তু এয়ারটেল দিয়ে ভারতের গালে একটা সরাসরি চড় মারা সম্ভব।
সাথে আছি, থাকবো।
ফেসবুকে আমি খুবই কম যাই। সেদিন গিয়ে দেখি একাধিক ইভেন্ট রিকোয়েস্ট এসেছে ১ মার্চ ভারত বর্জনের ডাক দিয়ে। যাদের কাছ থেকে এসেছে তারা যে সচলায়তন পড়ে তা আমার জানা ছিল না।
আরেকদিনের ঘটনা। কথা প্রসঙ্গে সচলায়তন চলে এল। কারো সাথে কোন কিছু মিলে গেলে আমরা যেমন খুশি হই ঠিক তেমন খুশি হয়ে একজন উজ্জ্বল চোখে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে, আপনি সচলায়তন পড়েন?
-আমি নিরুত্তাপ উত্তর দেই, হুম।
যা বলতে চাইছি-- সচলায়তনের বিরাট ভূমিকা আছে। আমরা অনেকে যা ভাবি তার চেয়েও বেশি ভূমিকা আছে। এটাকে হালকা ভাবে নেয়ার কোন কারণই নেই। ছোট হলেও একটা ইমপ্যাক্ট ফেলা যাবে। সেটা আস্তে আস্তে বড় করাও যাবে।
আপনার সাথে কন্ঠ মিলিয়েই বলতে চাই, সচলায়তনের নিরব পাঠকের সংখ্যা অনেক এবং এর অধিকাংশই এই প্রজন্মের (আমার জানা থেকেই বলছি)। সচলায়তনের মাধ্যমে জনমত সৃষ্টি করা সম্ভব।
যারা সারাবছর ভারতীয় ফ্যাশন বিনোদন ইত্যাদিতে বুঁদ হয়ে থাকেন, ভারতীয় ফ্যাশান ছাড়া যাদের ঈদ হয় না, ভারতীয় সিরিয়াল ছাড়া যাদের ভাত হজম হয় না, সেই নির্বোধ মস্তিষ্কগুলোকে জাগিয়ে তোলাও ১লা মার্চের ভারত বর্জনের একটা উদ্দেশ্য।
ওহে নির্বোধগন, জেগে উঠুন, আপনার মাথাটা নিজের দখলে রাখুন, মনে রাখুন আপনার পায়ের নীচে ভারতের নয়, বাংলাদেশের মাটির ভিত, যার দৃঢ়তায় আপনি দাড়িয়ে আছেন। নেশা কাটিয়ে আপনার নিজের দেশের দিকে তাকান। ১লা মার্চের ভারত বর্জন কর্মসূচীর প্রতি হাত উঁচু করুন।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
খুবই সহমত
আমি এ পাড়ায় (ব্লগ পাড়ায়) খুব কমই আসি। যাই হোক, ভারতীয় পণ্য একদিন আনুষ্ঠানিকভাবে বর্জন ঠিক আছে। কিন্তু, প্রতিদিন বর্জনের সাধ্যমত চেষ্টা করা উচিত। আমি আগে মীরাক্কেল দেখতাম, এখন তা বাদ দিয়ে দিয়েছি। আমার জানামতে অন্য যে কোন ধরনের ভারতীয় পণ্য ব্যবহার করা বাদ দিয়ে দিয়েছি।
পণ্য বর্জনের এ আহ্বান কেন শুধু মাত্র সীমান্ত হত্যার কারনে ? তারা যে একের পর এক বাধ তৈরি করে আমাদের চিরসবুজ এ দেশটাকে মরুভুমি করে দিচ্ছে সে বিষয়টা কেন জোড়ালোভাবে উল্লেখ করা হয় না ? আর, আমরা শুধুমাত্র ভারতীয় নীতি নির্ধারকদেরকে একটা ম্যাসেজ দিতে চাচ্ছি না, আমাদের দেশের নাগরিকত্বধারী ভারতীয় চাটুকারদেরকেও একটা জোড়ালো ম্যাসেজ দিতে চাই (যদি তাদের তা বোঝার ক্ষমতা থাকে)।
আর শুধু ভারতীয় নয়, সব ধরনের বিদেশী পণ্যই যতদূর সম্ভব বর্জন করা উচিত দেশের স্বার্থে।
হুম! আছি!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
বর্জন করতে চাইলে আগে একটা এয়ারটেল সিম কিনতে হবে।
আছি।
ঠিক এরকমই চাচ্ছিলাম, আমার খুব ইচ্ছা ১ মাস পর বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্যের মুনাফার স্ট্যটিসটিক টা দেখা। তিনদিন আগে আমি একটা লেখা দিয়েছিলাম সচলায়তনে- ' 'ভারত' : একটি মৌন যুদ্ধের শুরু'. তিনবার পোস্ট করতে হলেও আজকে প্রকাশ হয়েছে. খুবই ভালো লাগলো এই নতুন লেখাটি। আমার বিশ্বাস কিছু একটা লক্ষণীয় আমরা করে দেখাতে পারব।
আরেকটা কাজ করা যেতে পারে। যেহেতু বলছি যে আমরা ওইদিন কোন ভারতীয় পণ্য ব্যবহার করবোনা সেহেতু আমাদের কাছে যদি এয়ারটেল থেকে কোনও ফোন আসে ১লা মার্চ তাহলে আমরা তা রিসিভ না করতে পারি। এবং নিজেদের যত প্রয়োজনই থাক কোনও এয়ারটেল নাম্বারে ফোন না করতে পারি। এইভাবেও যারা সিম বন্ধ করবে না তাদেরকেও অনেকটাই অংশগ্রহণে বাধ্য করা যায়।
এয়ারটেল এবং তার সহযোগী ( এরিকসন , হুয়ায়ে) প্রতিষ্ঠানে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে চাকরিরত বন্ধুদের জন্য সমবেদনা রইলো।
@সাফি
লিঙ্ক এর জন্য ধন্যবাদ ।
এয়ালটেল ওলাদের জানতে হবেত কি জ্ন্য কি হইতাছে ।
বর্জনের সাথে জ্বালাময়ী মেইল ।
ভারত বন্দ সফল হোক ।
সাথে আছি এবং থাকব।
দীপাবলি।
সাথে আছি।
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
সাথে আছি , থাকব।
আছি
আমাদের চামড়া গণ্ডারের নয় !
সাথে আছি।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
@ হিমু - এও জানি, একদিনের বনধ এ তেমন কোন প্রাপ্তি ঘটবেনা। শুরু করাটা প্রয়োজন ছিল, সেটাতো হচ্ছে। তবে এটাকে চালিয়ে নিতে হবে।
জনাব হিমু, ডাক কিন্তু আবারও আপনাকেই দিতে হবে। আপনার ডাক, বাঘের গর্জনের মতো, অনেকদূর ছড়িয়ে যায়। আমরা অবশ্যই আপনার সাথে থাকবো।
অ : ট : আমার ভেতরের আমিকে প্রচন্ড এক ঝাঁকি দিয়ে নাড়িয়ে দেবার জন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ রইলাম।
সাথে আছি।
বছরের পর বছর ভারতের অপমানজনক ব্যবহারের বিরুদ্ধে এক্সট্রিম, হার্ডকোর (শান্তিপূর্ণ) প্রতিবাদী হিসেবে আছি, আজীবন থাকব।
আমি নিজের যাপিত জীবনের অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি, ভারতীয় পণ্য ছাড়া বেঁচে থাকা খুব ভালভাবেই সম্ভব। (নিজেকে ভারতীয় পণ্যের দাস ভাবতেই আল-বূর্জের চূড়ায় উঠে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে ইচ্ছে করে !)
চমৎকার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ হিমুকে।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
হুম।
সাথে আছি।
আর আমার এয়ারটেল নাই।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
সাথে আছি। সাথে নিয়েছি কয়েকজনকে।
দিনে দিনে যারা এবার আসেনি তাদের অভ্যাস বদল হবে, আশা রাখি।
মেণ্টোস, সেন্টার ফ্রেস জাতীয় পণ্যও পরিহার করুন।ধোঁয়া গেলার পর এগুলো ব্যবহারের অভ্যাস অনেকেরই আছে।
যেকোনো অত্যাচার-প্রভুত্বের বিরুদ্ধে সোচ্চার আছি, থাকবো
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
সাথে ছিলাম , এখনো আছি
হে ভারত ! প্রতিবেশীর সাথে এ তোমার কী ধরনের আচরণ? কোথায় গেল 'সার্ক (SAARC)'? তোমার কি মনে নেই মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সাহায্য করার কথা? মনে নেই আরো অনেক ইতিহাস? তুমি কি আমাদের বন্ধু থাকতে চাও না আমাদের কাছে ইতিহাস হয়ে যেতে চাও? হে ভারত! জবাব দাও...
।। অজেয় ।।
বনধ কথাটা হিন্দি না?
না। বাংলা।
তাহলে উইকি'তে শুধরে দেওয়া দরকার না?
"Bandh (Hindi: बंद), originally a Hindi word meaning 'closed', is a form of protest used by political activists in some countries like India and Nepal."
http://en.wikipedia.org/wiki/Bandh
তাছাড়া বাংলাদেশের নামটাও জুড়ে দেওয়া দরকার, এখানেও যেহেতু এখন 'বনধ' হচ্ছে।
বেশ তো, শুধরে দিন। গুজরাটি হরতাল আর কতদিন পালন করবে বাংলাদেশ?
উইকিপিডিয়াতে দেখবেন, সূর্যসেনকেও ভারতীয় বিপ্লবী বলা আছে, বাঙালি কথাটা কেটে দিয়ে। বন্ধ যখন এডিট করবেন, সূর্যসেনের আর্টিকেলটাও এডিট করে দিয়েন।
যতদিন ইংরেজি 'চেয়ারে' বসে বসে 'ব্লগিং' করবেন, ততদিন গুজরাটি 'হরতালও' চলতে থাকবে। কিন্তু বনধ আবার কবে হবে বলা যাচ্ছে না
উইকি'তে এডিট করছি না আপাতত, কারণ ঐ হিন্দি অরিজিন এবং ভারতীয় ঘরোয়া প্রচলন। সূর্যসেনও অক্ষতই থাকছেন। 'ইন্ডিয়ান রিপাবলিকান আর্মি'র এই অধিনায়কের উইকি পেজে কিন্তু তাকে 'prominent Bengali freedom fighter' হিসেবেই পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। বোধহয় বাংলা উইকির কথা বলছিলেন।
যাকগে, এসব ছোটখাট জিনিস নিয়ে ছাগুপনা করে লাভ নেই। পরে একজন যেমন বললেন, বনধ কথাটা কানে লাগছিলো, তাই বললাম। 'ভারত বনধ' সফল হোক।
আমাদের কান এমনই সংবেদনশীল যে নজরুলকেও এডিট করে নবনবীনের গাহিয়া গান সজীব করিব গোরস্থান বানিয়ে ফেলি মহাশ্মশান কানে লাগায়, আর এইটাতো সামান্য উইকিপিডিয়া।
নেন
সাবিহ, ভবিষ্যতে তালগাছ দেখানোর কুমতলব নিয়ে আমার কোনো পোস্টে তর্ক করতে আসবেন না। ধন্যবাদ।
সংসদ অভিধানে আছে:
বন্ধ্ [ bandh ] n a strike, a cease-work movement; closure.
তবে বাংলাদেশে এর ব্যবহার সম্ভবত কম। মূলত পশ্চিমবঙ্গে ব্যবহৃত (আসাম ও কাছাকাছি রাজ্যগুলোতেও?)। সম্ভবত হিন্দিউদ্ভূত।
আরেকটা অভিধানেও দেখলাম।
বন্ধ্ [ bandh ] বি. ধর্মঘট, হরতাল। [হি. বন্ধ্]।
বাংলা একাডেমীর সংক্ষিপ্ত বাংলা অভিধানে পেলাম না।
হিমু ভাই, লেখচিত্রটা ফেইসবুকে শেয়ার দিতে পারি? [আপনার নাম সহকারে]
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
আমার নাম ছাড়াও দিতে পারেন। ধন্যবাদ।
সাথে আছি, থাকব।
আমার আশেপাশের সব্বাইকে জাগ্রত করার চেষ্টা করছি।
সবাইকে কনভিন্স করা কঠিন, তারপরও চেষ্টা করে যাচ্ছি কতজনকে ব্যাপারটা বুঝানো যায়। আজ না হোক কাল একদিন মানুষ বুঝবেই। দেখা যাক।
সবই বুঝলাম! কিন্তু ভাই আপনাদের ফেসবুক পেজটাও কি বন্ধ রাখবেন? সেখানে যে ভারতীয় নর্তক-নর্তকীর পেইজে দেয়া লাইকের ছড়াছড়ি আর ভারতীয় সংগীত শিল্পীদের জয় জয়কার! এই ভাবে ভন্ডামী আর কয়দিন?
"আমাদের ফেসবুক পেজ" কোনটা?
শুরু থেকেই পাশে আছি।
_____________________
Give Her Freedom!
আমি হিমু ভাই এর ভারত বন্ধের ওপর প্রথম লেখাটি পরে সবার প্রথমে যে কাজটি করেছি তা হচ্ছে ফেসবুক এ আমার লাইক দেয়া যাবতীয় ভারতীয় মুভি এবং নায়ক নায়িকার পেজগুলোতে গিয়ে আনলাইক দিয়ে এসেছি। একারনে আমার বলিউড প্রেমি বান্ধবীদের কাছ থেকে কম কথা শুনতে হয় নি এবং তারা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আমাকে পুনরায় বলিউড মুখী করার। তাদের দৃঢ় বিশ্বাস তারা পারবেই।
ভাইকে মেডাল দেওয়া হোক
ভালো উদ্যোগ। কিন্তু শুধু একদিনের জন্য কেন?
কয়দিনের জন্য হলে আপনার সুবিধা হয়?
ভারত বন্ধ আন্দোলনের সাথে এদেশে ভারতীও পণ্য আর কম্পানি গুলোর একটা লিস্টও সর্বস্তরে প্রচার করা উচিত যেন আমরা বাছাই করে সেগুলোকে বর্জন করতে পারি। সাধারন মানুষ আনেকেই জানে না কোনগুলো ভারতীও পণ্য।
একটু চেষ্টা করলেই কিন্তু আমরা সব হিন্দী চেনেল গুলো দেখা বন্ধ করতে পারি | এর জন্যে কি সবার অনেক বেশি কষ্ট করতে হবে? আমার তা মনে হয় না |
আসুন, ১ তারিখ আমরা দেশ এর পণ্য ও সেবা নেই।
সাথে আছি।
শুনলাম এয়ারটেল নাকি পয়লা মার্চ রিচার্জের ওপর ২০০% বোনাস দিচ্ছে, যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল মনে হয়। বাংলাদেশের মানুষকে এরা কি মনে করে কে জানে।
এরকমটা হবে ধরে নিয়েছিলাম।
আজকে আলুর শেষ পাতায় একটা ছোট্ট বিজ্ঞাপন দেখলাম airtel এর-'ফাটাফাটি অফার, বিস্তারিত আগামীকাল'। তখনই সন্দেহ হয়েছিল তারা এরকম কিছু একটা করতে যাচ্ছে।একটা জিনিস নিশ্চিত হওয়া গেল- বনধ শুরু হওয়ার আগেই তাদের গায়ে বাতাস লেগেছে।
বোনাস আমরাও দিব।
আমিও বোনাস অফার দিলাম, মার্চ ১ এর উদ্দেশ্য সফল হইলে আমি এখন থেকে মাসে ২ টার জায়গায় ৩ টা করে লেখা লিখবো সচলে ... কসম
'শর্ত প্রযোজ্য' নয়তো ? সময়কালটা জানালে ভাল হত। এই যেমন, ১, ২, অথবা ৬ মাস ইত্যাদি আরকী !
উদাস ভাইরে ধর রে ধর,ওই টেল ফেলের অফার আরো পাবো,(পাইলেই কি,বোনাস খরচের জায়গাই তো নাই!) কিন্তু এই অফার পামু না। কিন্তু হ্যা,আপনিও আবার নিচে দিয়ে মাইক্রোস্কপিক "শর্ত প্রযোজ্য" লিখে কেটে পড়বেন না তো??
যাক,বুঝা গেল যে অন্তত ভারতীয় গণ্ডারগুলির গায়ের চামড়ায় সুড়সুড়ি লেগেছে,আশাবাদী হইলাম
নাহ কোন ফাইন প্রিন্ট নেই। আসলেই লিখব । যদিও লোকজনের কাছে আমার মতো নগণ্য ব্লগারের একটা করে অতিরিক্ত লেখার চেয়ে এয়ারটেলের আফার অনেক বেশী লোভনীয় হতে পারে। কিন্তু আমি আর কিই বা করতে পারি। আমি তো আর ইন্ডিয়ার পুনম পাণ্ডে না যে অন্য কিছুর লোভ দেখাব
আজ সকালের পত্রিকাতেই দেখলাম। দিয়ে দিয়েছে।
গতমাস থেকে এয়ার টেল বন্ধ করে দিয়েছি।
আইডিয়া এবং উদ্যোগটা ভাল। সাথে আছি। সেদিন কোন ভারতীয় কলম ব্যবহার করব না। কিন্তু শুধু ভারতের বিরুদ্ধে করলেই হবে না। তাহলে কোন একটি ট্যাগ লাগার সম্ভাবনা থাকতে পারে। বিষয়টা ভাবা উচিত।
সচলায়তনে আপনি নতুন এসেছেন বলে মনে হলো মন্তব্যটা পড়ে। কিছুদিন অনুসরণ করুন। ধন্যবাদ।
আছি (Y) (Y)
সাথে আছি!
------------------------------------------------------------------
It is impossible to be a mathematician without being a poet in soul.
আমাদের আত্মসম্মানবোধ জেগে উঠুক, সফল হোক ১লা মার্চের ভারত বনধ।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
উদ্যোগের সাথে আছি শতভাগ। তবে একটি বিষয় আমার কানে লাগলো। সেটা এই "বন্ধ" শব্দটি। আপনি জানেন নিশ্চই যে কলকাতাতে আমাদের দেশের হরতাল কে বন্ধ হিসেবে উল্লেখ করে। তাই এই বন্ধ শব্দটি আমার কানে বাজে। আপনার উদ্যোগকে কোনভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এটি বলছি না সেটা আপনি নিশ্চই বুঝতে পারবেন আশা করি।
আপনার কানে বাজে না এমন একটা শব্দ আপনি ব্যবহার করতে পারেন। গুজরাটি হরতাল আমাদের কানে বাজে না, আইরিশ বয়কট আমাদের কানে বাজে না, ইংরেজি স্ট্রাইক আমাদের কানে বাজে না, বাংলা বনধ যদি আমাদের কানে বাজে, সেটা ভারতগন্ধী মনে হয়, তাহলে আপনার পছন্দমতো একটা নামে একে ডাকুন। একে প্রয়োজনে ফ্লকসিনসিনিহিলিপিলিফিকেশন নামে ডাকুন। কিন্তু কাজটা হলেই হয়েছে। কেউ আপনাকে কলার ধরে জিজ্ঞেস করতে যাবে না এই বেটা তুই ভারত বনধ না ডেকে ভারত বর্জন ডাকলি ক্যান। আশা করি বোঝাতে পারলাম। লেটস হ্যাভ দ্য জব ডান।
আরেকটা জিনিস, আপনি কিন্তু অন্য লোকের হয়ে কিছু করছেন না। এই ব্যাপারটা আমার ইস্যু না। এটা আপনার ইস্যু। ভারতের রাজনীতিক ও আমলাযন্ত্রের অভদ্র অমানবিক আচরণের মুখোমুখি আপনি দাঁড়িয়েছেন। আপনি এই ইস্যু কীভাবে ডিল করবেন, সে সিদ্ধান্তও আপনার। কেউ আপনার কাছ থেকে কৈফিয়ত চাইতে আসবে না, আপনার আমলনামাও নেবে না। দিন শেষে আপনি নিজেই নিজের মুখোমুখি হয়ে স্থির করবেন, কী করতে পারলেন বা পারলেন না। তাই ভারত বনধ নাম নিয়ে তর্ক করতে গিয়ে মূল উদ্দেশ্যটা ভুলে না গেলেই হয়। আপনার ফ্লকসিনসিনিহিলিপিলিফিকেশনের সাফল্য কামনা করি। ধন্যবাদ।
সাথে আছি, লেখাটার একটা ইংরেজি ভার্সন হলে ভাল হতো আরও দূর দূরান্তে ছড়িয়ে দেওয়া যেত
স্বাধীনতার চল্লিশ বছরের মাথায় যখন পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের দেখে অর্গাজম হয় তখন রিচার্জ করলে ডাবল বোনাসের প্রলোভন প্রত্যাখ্যান করে কোন শালা?
অবস্থাটা এমন যে, পেটে পাড়া দিয়ে গু বের করে সেই গু রাঙতা কাগলে মুড়ে দিলে বাঙালী বিনা বাক্যব্যয়ে সেই গু গিলে ফেলবে হাসতে হাসতে, পেটে পাড়া খাওয়া সব অত্যাচার ভুলে গিয়ে!
'গোলাম আযম' মাইরা ফালা ফালা করে ফেলুক, টিস্যু তো ঠিকই দিচ্ছে!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এই প্রতিরোধে যোগ দিতে পেরে এই প্রাকৃতজন গর্ববোধ করছে!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
'ছোট্ট' একটা উদ্যোগকে এয়ারটেল কতটা গুরুত্ব দিয়েছে তার প্রমান হল শুধু আজকের জন্য সারা দেশে ২০০ পারসেন্ট বোনাস ঘোষনা । অথচ আমাদের মধ্যেই অনেকে নিজের এই ক্ষমতা উপলব্ধি করতে পারছেনা । তাদের ধারনা একটা কর্পোরেট কোম্পানীকে বঞ্চিত করে লাভ কি । বা একদিন সিম বন্ধ করলে তাদের কোটি কোটি টাকার ব্যবসায়ে কোনো প্রভাবই পড়বেনা । আবার কেউ কেউ এমন জবাবও দিলো যে সারা বছর ভারতীয় চ্যানেল দেখে ভারতীয় পোষাক পড়ে একদিন লোকদেখানো বর্জন হচ্ছে ! তাদেরকে বলি , আপনি এমনটা ভাবেন বলেই ওরা ব্যবসা করতে পারে । আপনি নিজে লোকদেখানো বর্জন না করে সত্যিকার বর্জন করুন । আপনার একার উদ্যোগে কি আসে যায় এমনটা ভাববেননা । কারন এয়ারটেল নিজেই আজকে লাখ টাকার বিজ্ঞাপন খরচ করে জানিয়ে দিয়েছে তারা কতটা ভীত । আপনার পরিবার দিয়েই পরিবর্তনটা শুরু করুন । এটা শুধু কর্পোরেট কোম্পানীর সাথে লড়াই নয় । এটা আমাদের আত্মসম্মানবোধের লড়াই ।
সহমত; প্রতিবাদ চলুক।
এয়ারটেল ওদের গ্রাফে আজকের দিনটাকে অতি লাভজনক দেখাতে চাচ্ছে। খেয়াল করুন, তারা কিন্তু এই দেশে ব্যবসা করে খাচ্ছে কিন্তু তারপরেও এই দেশের প্রতি তাদের দেশের অন্যায়ের প্রতিবাদে আমাদের পাশে দাড়াচ্ছে না। এখন আমরা ২০০% বোনাসের আশায় নিজেদের পাছার কাপড় তুলে উপুড় হয়ে দাঁড়াব নাকি নিজেদের মেরুদণ্ড সোজা রেখে চলব তা কিন্তু আমাদের হাতেই।
সাথে আছি। ভারত বনধ্ নিয়ে কোন রাজনৈতিক সমন্বয় ছাড়া সবার মধ্যে যে একাত্মতা দেখছি তা খুব আশাপ্রদ। এখানে যে বার্তাটি পরিস্কার তা হল, এ প্রতিবাদ বাংলাদেশের জনমানুষের স্বতঃস্ফুর্ত প্রতিবাদ। বাংলাদেশে ভারতের মোট বানিজ্যের হিসাবে একদিনের এ প্রতিবাদ কিছুই নয়। কিন্তু একটা দেশের যে ব্র্যান্ড ইমেজ থাকে তাতে অতি-দীর্ঘ মেয়াদী প্রভাব ফেলার জন্য এরকম ঘটনা খুবই কার্যকর। ভারতের যেকোন ব্যবসা বুদ্ধি সম্পন্ন নাগরিক বা শুভাকাঙ্খীর জন্য তা বেশ পরিতাপের বিষয়।
সাথেই আছি।
হিন্দি গান, চ্যানেল, মুভি অনেকদিন হয়ে গেল বর্জন করেছি, দিব্যি সুস্থই আছি।
কিছুক্ষণ আগে আমার এ কলিগ এয়ারটেলের টোপ গিলে ১০০ টাকা রিচার্চ করে ফেললো। এতকরে বোঝালাম, আজকে প্লিজ 'বন্ধ' চলছে, এয়ারটেল বন্ধ রাখুন, শুনলইনা। ২০০% বোনাসের লোভ ছাড়তে পারলো না। শেইম!!!!!!!!!!!!
১০০ টাকা মানে ৬০ রূপি। এর মধ্যে যদি ৫ রূপিও ভারতের কোষাগারে জমা হয়, তাহলে আপনার সহকর্মীই হয়তো বিএসএফের পরবর্তী ভিকটিম বাংলাদেশীকে হত্যার জন্যে বুলেটের দামটি যোগালেন।
আম জনতা এইসব বুঝবে না। তারা আজকে রিচার্জ করে ফাটায় ফেলবে। দেখা যাবে এয়ারটেলের রেভিনিউ কার্ভ আজকে উর্ধ্মুখী। হিতে বিপীরিত হয়ে যাবে ব্যাপারটা। এইদেশ এমন দেশ যেখানে এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের দুই মাসের মাথায় তিনি ৩৫ সীট পান। অন্য কোন কি উপায় আছে?
চিন্তা করতে ভাল লাগছে এয়ারটেল ব্যবহার করি না, এমনিতেই।
ভারতীয় কিছু পণ্যের উপর নিজের নির্ভরশীলতা আছে কি না ভাবছি, থাকে যদি সেটার একটা গতি করতে হবে।
লেখালেখি চলুক এ নিয়ে, সচেতনতা বাড়ুক আমাদের, দেশীয় শিল্পই আমাদের প্রয়োজনের সমাধান দিতে সমর্থ হোক।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
আমি ভারতীয় পণ্যের লম্বা লিস্টের কোনটাই ব্যবহার করিনা। এয়ারটেলে সিম পর্যন্ত নাই। বয়কট করে রাগ ঝাড়ার মতো কিছু পাচ্ছিনা!! ধুরররর!!!
পাশের মানুষ গুলকে চেষ্টা করেও দলে আনতে পারিনাই!!!!!!! তো কি হয়েছে ?
হয়ত বহুজন ২০০% লোভ ছাড়তে পারেনি !!!!!!!! তো কি হয়েছে ?
বিশ্বাস করি অন্য কোন মার্চ এ আমরা দ্বিগুন হবো ।
উপরে তদানিন্তন পাঁঠা বলেছেন এটা, আমিও তার সাথে সহমত পোষণ করছিঃ আমাদের যাদের এয়ারটেল নেই, এয়ারটেল থেকে কল এলে ধরব না আমরা। তাকে একটি ক্ষুদেবার্তা দিয়ে জানিয়ে দিতে পারেন কেন এয়ারটেল থেকে আসা কল আপনি ধরবেন না। যেমনঃ "I do not receive calls from Airtel sim as I choose not to participate in enhancing Indian economy, a part of which is spent on bullets to be used at Bangladesh-India border to kill our compatriots. Sorry for the inconvenience." (বা আরো ভালো কিছু)। জরুরী ফোন? বাসায় থাকলে টিএন্ডটি থেকে তাকে কল দিন, বাসায় না থাকলে আপনার অন্য সিমের মোবাইলটি থেকেই দিন না। অন্ততঃ আজকের জন্যে হলেও। আমি আজ থেকে এটা শুরু করছি।
আমার মনে হয় এটা ভাল আইডিয়া হতে পারে। যারা বালটেলের নেশা এখনো ছাড়তে পারছেন না, তাদের উপর সব অ-এয়ারটেল গ্রাহক বা তাদের বন্ধ্-সচেতন একটা ক্রিটিকাল মাস যদি 'রিজেক্ট' বা 'ব্লক' দাওয়াই নিরবচ্ছিন্ন ভাবে এপ্লাই করেন তাহলে ভুয়াটেলের লয়াল গ্রাহকদের এই বদনেশা ছুটা ত্বরান্বিত হবে। আর কান-টানলে-মাথা-আসার মত এর ফল ভুয়াটেলের উপর পড়তে বাধ্য। সরাসরি বর্জন করার পাশাপাশি যারা ভুয়াটেলের সার্ভিস নিজেরা ব্যবহার করেন না তাদের মাধ্যমে এই ঘেরাও টেকনিকটা এ্যাডিশনাল কাজ দিতে পারে। বালটেলের বোনাসের বিপরীতে এটা একরকম 'বোনাস-বন্ধ' হতে পারে বৈকি !
****************************************
আমার বউ কে অশেষ ধন্যবাদ! রবিবার তার জন্য খারাপ দিন কারন সেদিন কোন সিরিয়াল নাই ! হিন্দী সিরিয়াল ছাড়া কিছুই দেখেনা আর আমি ভারতবিদ্বেষি না কিন্তু হিন্দি সিরিয়াল গুলো একদম ই দেখতে পারিনা - যাইহোক কোন জামাইগিড়ি ছাড়াই সে পহেলা মার্চ এর এই প্রতিবাদ মন থেকেই পালন করছে - আর কার কি অবস্থা জানতে মন চাইছে-----
বলে দেন যে, একজন আদম আছে ফলের মধ্যে যার সবচেয়ে প্রিয় হলো আম। শুধুমাত্র একটা আম খাওয়ার জন্য সে তিন দিন তিন বেলা ভাত না খেয়েও কাটিয়ে দিতে পারে। কিন্তু গত ৮ বছর ধরে সে আম খায় না। কারণ তার ওখানে হাতের কাছে যে আম পাওয়া যায় সেগুলো হয় পাকিস্তান থেকে আসা নয় ভারত থেকে আসা।
তারপর আপনার বউকে নিজেই বিবেচনা করতে বলুন, সেই তুলনায় তাঁর হিন্দি সিরিয়াল দেখাটা গুরুত্বের মাপকাঠিতে কোথায় পড়ে!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
সারাটা দিন পার করে দিলাম। সত্যি বলতে কোন সমস্যাই হয়নি। আশা করি চালিয়ে যেতে পারবো। আমার টুকু আমি করে যাচ্ছি। সফলতা আসবেই।
দেশে যারা আছেন তাঁরা যদি নিজেদের আজকের অভিজ্ঞতা এখানে শেয়ার করেন খুব ভাল হয় ।
ভাই, কেউ কি কস্ট কইরা এয়ারটেরলের রেভেনিউ বের করতে পারবেন? আজকের রেভেনিউ ভার্সেস গতকালকের ( বা গত সাত দিনের প্রতিদিনের)। তাহলে একটা সলিড ধারনা হইত, আসলে কত সফল আমাদের আন্দোলন।
/----------------------------------------------------
ওইখানে আমিও আছি, যেইখানে সূর্য উদয়
প্রিয়দেশ, পাল্টে দেবো, তুমি আর আমি বোধহয়
কমরেড, তৈরি থেকো,গায়ে মাখো আলতা বরণ
আমি তুমি, আমি তুমি, এভাবেই লক্ষ চরণ।।
কতটা সফল সেটা বোঝা যাবে অন্যভাবে।
প্রথমতঃ লক্ষ্য করে দেখেন একটা ডিল দেয়া হয়েছে এবারে। সুতরাং এটা একটা ইমপ্যাক্ট ফেলেছে ইতিমধ্যে।
দ্বিতীয়তঃ যদি আগামী মাসে অন্য একটা কোম্পানী কিংবা আগামী বছর একই কোম্পানীকে কেন্দ্র করে এই পদক্ষেপ নেয়া এবং তাদের প্রতিক্রিয়া এখনকার মত কিংবা তারচেয়ে বড় হয় তাহলে সহজেই বোঝা যাবে কতখানি সফল হয়েছে এটি।
তৃতীয়তঃ যদি খুব বড় ইম্প্যাক্ট ফেলে এবং কোম্পানীর ইনটেনশন পজিটিভ হয় তাহলে তারা আলোচ্য বিষয়টি সুরাহা করতে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে। যদিও এটির সম্ভাবনা খুব কম।
একটা শিশুর সাথে তুলনা করলে ভালো বুঝতে পারবেন। শিশুকে আমরা নিয়মিত খাবার দেই। কিন্তু শিশু যদি আকাম করে তাহলে একবেলার জন্য তার খাবার বন্ধ রাখুন। এটা কতখানি ইম্প্যাক্ট ফেলেছে সেটা "পরিমাপ" করা যাবে না। কিন্তু ইমপ্যাক্ট ফেলেছি কিনা সেটা শিশুর আচরন থেকে বোঝা যাবে।
এয়ারটেলের রেভিনিউ ডেটা কি পাবলিক ডোমেইনে পাওয়া যাবে?
খুব শীঘ্রই নতুন এয়ারটেল বর্জন ঘোষণা চাই। কয়দিন বোনাস দিবে?
এয়ারটেল পুরোপুরিভাবে বর্জন করে টেলিটক ব্যবহারে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করা যায় না? এয়ারটেল আর টেলিটকের সুযোগ-সুবিধাগুলো সম্পর্কে যারা জানেন তারা কেউ এদের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে একটা পোস্ট দিতে পারেন যে এয়ারটেল বর্জন করে টেলিটকের সিম ব্যবহার করলে কী কী লাভ-ক্ষতি হবে। টেলিটকও গ্রাহকদের আরো সুযোগ-সুবিধা দেয়ার জন্য এখন এগিয়ে আসতে পারে। যাদের টেলিটকে কানেকশন আছে তাদের মাধ্যমে টেলিটকের ম্যানেজমেন্টকে এরকম প্রস্তাব দিয়ে দেখা যায়।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এভাবে সর্বক্ষেত্রেই দেশীয় পণ্য ব্যবহারের আহ্বান করা যায়।
হিমু ভাই,
আপনাদের কর্মসূচিটির উদ্দেশ্য ও প্রয়োজনীয়তা খুব পরিষ্কার করেই বোঝা গেছে এবং এ বিষয়ে পুরো সমর্থন রয়েছে। কিন্তু আমার প্রশ্ন আছে 'ভারত বনধ' নামকরণটির ব্যাপারে। ভারতে বিরোধীদলগুলো মাঝে মাঝেই ''ভারত বনধ'' পালন করে। এর চরিত্র পুরো আমাদের হরতালের মত। এই ''ভারত বনধ'' পালন করা হয় ভারত সরকারের বিরুদ্ধে। হরতাল/ধর্মঘট/বনধ/অবরোধের দৃষ্টিতে দেখলে মনে হয় একটি দেশের নাগরিকরা তাদের সরকারকে/প্রশাসনযন্ত্রকে চাপ প্রয়োগ করতে এই আন্দোলনগুলোর ডাক দিতে পারে। বিদেশী নাগরিকরাও কি হরতাল/বনধ করতে পারে ভিন্ন দেশে অবস্থান করে? বিদেশী নাগরিকরা পণ্য বর্জন করতে পারে এবং এভাবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন গড়ে তুলতে পারে। বা নিজ দেশে ঐ দেশের দূতাবাসে প্রতিবাদ পত্র প্রেরণ করতে পারে বা দূতাবাস ঘেরাও করতে পারে (এটি অবশ্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে ব্যর্থ করে দিতে পারে)।
ভারতীয় পণ্য বর্জনের এই আন্দোলনকে অন্য কোন জুতসই নামে কি অভিহিত করা যায়, যা কোন বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে না?
জুতসই নাম দ্যান। দিয়ে ঐ নামে ডাকতে থাকেন। বিলাইয়ের নাম পদ্মলোচন না জীমূতবাহন তাতে কী আসে যায়, ইন্দুর মারতে পারলেই হৈছে।
ভারতীয় ছায়াছবি-নাচা-গানা-ভড়ং ভরা সিরিয়াল না দেখে দেখে অভ্যস্ত আমি। কই কখনও তো মনে হয়নি আমার জীবনে 'বিনোদনের' অভাব আছে!
ভারতীয় শাড়ী-চুড়ী আমি অঙ্গে পরিনা। কেউ তো কখনও আমার ফ্যাশনজ্ঞান নিয়ে মন্তব্য করেনি! ঐসব ঝক্কর-মকর কাপড় না পরেও মাশাল্লাহ অনেক আকর্ষনীয়ভাবে নিজেকে সাজানো যায়।
ভারতীয় মশলাপাতি ছাড়াই আমার মা-নানী-খালারা রান্না করতেন। ঐ অমৃত-খাবার খেয়েই তো বড় হয়েছি। আমিও ওসব 'ব্র্যান্ডেড' মশলা ছাড়াই রান্না করতে শিখেছি। ঘরের শত্রু বিভীষণও কখনও বলেনি, আমার রান্না খারাপ একগাদা রেডী-মেড মশলা ঢাল্লেই রান্না ভাল হয় নাকি?! কিছু বেইসিক কৌশল আছে যা খাবারকে দেখতে ও খেতে ভালো বানায়। ইন্ডিয়ান মশলার উপর মোটেই রান্নার কোয়ালিটি নির্ভর করে না।
ভারতের 'দাসী-বান্দী' না হয়েও বেঁচে থাকা খুব ভাল ভাবে সম্ভব। কেম্নে? আমার কাছ থেকে শিখে যান। শেখার জন্য 'ফী' দিতে হবে না।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
@উচ্ছলা, আমিও কিন্তু আপনার দলেরই মানুষ প্রায় ঃ-), প্রায় বললাম কারণ খাবার, শাড়ি বা রদ্দিমার্কা হিন্দি সিরিয়াল ইত্যাদি আপনার সাথে মিলে যায় । কিন্তু, ভারতীয় কিছু বাংলা ছবি দেখি, বাংলা গান শুনি এবং বই পড়ি । তবে তাও ছাড়তে পারি কিন্তু আমার প্রিয় দুজন মানুষের কাজ দেখা এবং পড়া থেকে বিরত থাকতে পারব বলে মনে হয়না । অপর্ণা সেনের ছবি আর নব নীতা দেব সেনের লেখা । এগুলো ছাড়ার দরকার নেই মনে হয় , কি বলেন ?
যতটা কম পয়সা ইন্ডিয়ার পকেটে দেয়া যায়, দেশের জন্য ততই লাভ।
আপনার বই পড়ার অভ্যাসটির প্রতি আমার সম্মান রইল
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
ধন্যবাদ হিমু, ধুসর গোধূলি এবং বাকিদের । সাথে ছিলাম, আছি, থাকবো । কখনো কখনো সচলের কোনও লেখা/মন্তব্য পছন্দ না হলেও গত ২ বছরে সচলয়তন আমার প্রিয়তম বাংলা ওয়েব। কেন সেটা যারা জানেন তাদের বলার প্রয়োজন নাই, আর যারা জানতে চান তারা নিয়মিত সচলয়তনে আসলেই বুঝতে পারবেন।
এইটার এফেক্টের উপর একটা লেখা চাই! আমার ধারনা, অর্থনৈতিক ক্ষতিটা তাদের কম হয় নি।
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
নতুন মন্তব্য করুন