ভারত বনধ কর্মসূচির নামটি সম্ভবত এই পোস্টের পাঠকের কাছে ইতিমধ্যে পরিচিত। পরিচিত হয়ে না থাকলে, অনুগ্রহ করে লিঙ্কটিতে ক্লিক করে আমাদের পূর্ববর্তী আলোচনা দেখে আসতে পারেন।
ভারত বনধের প্রস্তাবে আমরা যারা ঐকমত্য পোষণ করেছিলাম, তারা গতকাল ১ মার্চ, ২০১২ তারিখে যে যেখানে রয়েছি, চব্বিশ ঘন্টার জন্য ভারতীয় পণ্য, সেবা ও বিনোদন বর্জন করেছিলাম। এই কর্মসূচিটির কোনো কেন্দ্রীয় সমন্বয় ব্যবস্থা ছিলো না, একটি শিথিল প্রস্তাবের ওপর ভিত্তি করে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা সকলে নিজের মতো করে এটি পালন করেছেন। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীবাহিনী কর্তৃক নির্বিচার হত্যা, নির্যাতন ও হয়রানির প্রতিবাদে আমরা নিজেদের পরিসরে যতটুকু সম্ভব, ভারতীয় বাণিজ্যযন্ত্রকে একদিনের জন্য 'না' বলতে চেয়েছি। এই কাজটি আমরা কতটুকু সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে পারলাম, তা একে অন্যের কাছ থেকে জেনে নিই আসুন। মন্তব্যের পাতায় অনুগ্রহ করে আপনার পর্যবেক্ষণ আর পরামর্শ জানিয়ে যান।
কে কীভাবে বর্জন করলেন, তা কেন আমাদের জানতে হবে?
জানতে হবে ভবিষ্যতে আবারও ভারত বনধের কর্মসূচিটি আরো ব্যাপ্তি, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে পালনের জন্যে। সীমান্তে বিএসএফের হাতে প্রতিটি মৃত্যু, প্রতিটি নির্যাতনের ঘটনার জবাব আমরা দেবো ভারত বনধ করে। আমরা হয়তো গতকাল অল্প কিছু মানুষ এই বর্জনে অংশ নিয়েছি, কিন্তু আমাদের যূথবদ্ধতায় কাজ দিয়েছে, বর্জনের অন্যতম উদ্দিষ্ট ভারতীয় পরিষেবা প্রতিষ্ঠান এয়ারটেল নড়েচড়ে বসেছে, দৈনিক প্রথম আলোর দ্বিতীয় পাতায় পুরো দৈর্ঘ্য জুড়ে তারা গতকালের জন্যে বিপুল পরিমাণ বিশেষ ছাড় ঘোষণা করেছে। আমরা নিজেদের মধ্যে তুচ্ছ বিষয়ে তর্কবিবাদে লিপ্ত থাকি বলে ঐক্যের শক্তি অনুভব করতে পারি না। আমাদের ঐক্যের শক্তি তাই আমরা নিজেদের মুখের দিকে তাকিয়ে আঁচ করতে পারি না, সেটা বুঝে নিতে হয় প্রতিপক্ষের মুখ দেখে।
তাই আসুন, আমরা এই প্রতিবাদের শান্তিপূর্ণ ও কার্যকর পদ্ধতিটিকে কীভাবে আরো শাণিত করা যায়, তা নিয়ে ভাবি, এবং বিএসএফের নির্বিচার অমানবিক আচরণের বিরুদ্ধে আমাদের কণ্ঠস্বরকে শ্রুত করে তুলি। এই প্রতিবাদ, প্রতিরোধের ক্ষেত্র আপনার ঘর, আপনার অফিস, আপনার দোকান-বাজার, আর আপনি একাই বালক ডেভিডের মতো মুখোমুখি হচ্ছেন এক নির্লিপ্ত নিষ্ঠুর গলাইয়াথের।
আমরা ওজন মাপি, রক্তচাপ মাপি, খাবারের ক্যালরি মাপি, মাপি কোরবানির গরুর উচ্চতা, গাড়ির দাম, শেয়ার বাজারের লাভ, আমরা কি নিজেদের আত্মসম্মানবোধকে মাঝে মাঝে পাল্লায় তুলে মাপতে পারি না? ভারত বনধকে আমরা একদিন পালন করে ফুরিয়ে যাওয়া হুজুগের পরিবর্তে যাপিত জীবনে প্রতিবাদের অস্ত্র করে তুলি, আসুন। এবারের সংগ্রাম, আত্মসম্মানের সংগ্রাম।
আপনার অভিজ্ঞতা আর পরামর্শ জানাবেন। ধন্যবাদ।
মন্তব্য
অফিস যাওয়ার পথে এফএম রেডিও চালাতেই শুনতে পেলাম নচিকেতার গান চলছে- সাথে সাথেই ঠিক করলাম যে সব ষ্টেশনে ভারতীয় কোন গান বাজান হবে, সেগুলো আর বাজাবো না। সদ্যই দেশে এসেছি তাই এখনো এসব ষ্টেশন সম্পর্কে তেমন ধারনা নাই। সারাদিন ভারতীয় আর কোনকিছুর সান্নিধ্যে আসতে হয়নাই ভাগ্যক্রমে।
--------------------
অনঘ
ধন্যবাদ হিমু,
এরকম একটা পোষ্ট আপনার কাছ থেকে আশা করেছিলাম । আমরা সবাই জানতে আগ্রহী যারা যারা ভারত বন্ধ পালন করলেন তাদের অভিজ্ঞতা । এ থেকে পরবর্তী কর্মসূচী নির্ধারণ করতে সুবিধা হবে । আর এই বন্ধ যেন একদিনেই আঁটকে না থাকে, আমরা সবাই যেন বন্ধটা নিয়মিত করে তুলতে পারি ।
আমার গতকাল্কের অভিজ্ঞতা তেমন বিশেষ কিছু নেই উল্লেখ করার মত তারপর ও বলছি । আমি নিজে পাকিস্তানি জিনিষ ব্যবহার কোন্দিনই করি না, করার প্রশ্নই নেই, দুএকবার অজান্তে করেছি অতীতে তারপর থেকে প্রতিটা জিনিষ কোথায় উৎপাদিত হয়েছে এই সব ব্যাপার খেয়াল রাখা প্রায় বাতিকের মত হয়ে গেছে । সত্যি বলতে কি ভারতীয় জিনিষ কেনার ব্যাপারে বছর চার পাঁচ আগেও খুব একটা ভাবতাম না । সেটাও এখন প্রায় শুন্যের কোঠায় আনতে পেরেছি । গতকাল তাই নতুন করে কিছু করতে হয়নি আমাকে, তবে প্রচারণার কাজ করেছি আগে থেকেই । গতকাল দেশের আত্বীয়-স্বজন দের ফোন করে করে মনে করিয়ে দিয়েছি আবার এবং তাতে কাজ ও হয়েছে । বুড়োধাড়ি দের থেকে এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা অনেক বেশী সচেতন এই ব্যাপারটা আমাকে বিশেষ ভাবে উদ্দীপ্ত করেছে ।
দুপুরে এক বন্ধু তার এয়ারটেল নাম্বার থেকে ফোন দিল কেটে দিয়ে তার অন্য নাম্বারে ফোন করে বুজিয়ে বললাম। রাতে ফোন দিয়ে কি কি ভারতীয় জিনিস সে বর্জন করেছে তাঁর লিস্ট শোনাতে লাগলো।
একটা লোক ও দলে আনতে পারিনাই ,আফসোস ।
কয়েকজন ভালো সমর্থন দেওয়ার পরেও আসেনাই ,
কিছু লোকের প্রতিক্রিয়া অসম্বব রকম বাজে ছিল !!বলতে চাইনা।
আমার ভারতীয় লিস্টে জা সচারচর ভাবে নিয়মিত থাকে সব ছাড়া ভালইত ছিলাম ।আর ঝা কিছু অনিয়মিত তা ও বর্জন করতে পারি অবলীলায়
আরেক মার্চ এ আমরা দিগুণ হব।।।।
নিজের বন্ধু বান্ধব্ দের মাঝে ছড়িয়েছই যতদূর সম্ভব। শুধু নিজে করলেই তো হবে না। অন্যদেরও এই মহৎ কাজে উদ্বুদ্ধ করতে হবে, তাদের মাঝেও দেশাত্মবোধ, আত্মসন্মানবোধ জাগানোর চেষ্টা করতে হবে। পরিবারে শুরু করতে হবে সবার আগে। প্রথমে একদিন, ধীরে ধীরে নিত্য অভ্যাসে পরিণত করাই আমাদের দায়িত্ব, অবশ্যই বাস্তবতাটাও মেনে চলতে হবে। আপনি আপনার পরিবার, বন্ধুদের এই কাজে আহবান করলেন কিন্তু এমন অনেককেই পাবেন যারা ভারতীয় পণ্য, সেবা ছাড়া জীবন ভাবতেই পারেননা। তাদের বোঝান যে, পুরো না পারলে আংশিক করুন, অন্তত কিছু দায়িত্ব তো পালন হোল।
আমি এই আন্দোলনে সক্রিয় ভাবে আছি আপনাদের সাথে। অনেক আগে থেকেই আমি নিজে এটা করে আসছি, সত্যি বলতে ১০০% আমিও পারিনা, তবে যতটুকু সম্ভব ভারতীয় পণ্য, সেবা বর্জন করার চেষ্টা করেছি, করব, অন্যদেরও বোঝাবো।
এয়ারটেলের ২০০% অফার দেখেই বুঝা যায় তারা চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলো।
সুইজারল্যান্ডে ভারতের জিনিস মানেই থার্ড ক্লাস মাল। কয়টা রেস্টুরেন্ট ছাড়া এদের কিছুই নাই। আমি রেস্টুরেন্টে গিয়ে মুতে আসছি ঘৃণা সহ। ইচ্ছা করতেছিল দোকানের সামনেই মুতি। জিগাইলে কইতাম বর্ডার কিলিং বন্ধ কর নাইলে প্রতিদিন ক্লাসে যাবার আগে তোমাদের দোকানের সামনে মুতে দিয়ে যাব। আফসোস বড় হয়ে গেছি। অনেক চিন্তা করে দেখলাম আমরা ভারতের বাসমতী চাল খাই ওইটা বর্জন করতে হবে তাই গত দুই দিন ভিয়েতনামি চাল খাচ্ছি। আমরা যারা ইউরোপে থাকি তারা ভারতের বাসমতী চালের বিরাট একটা ক্রেতা। সবাইকে অনুরোধ করলাম বাসমতী চালে প্রোডাক্ট অফ ইন্ডিয়া দেখলে বর্জন করেন প্লিজ
ভারতীয় চাল বাদ দিয়া কেবল ভিয়েতনামি চাল খাইতে থাকলে চলবে না (কথার কথা বললাম)।
লং টার্ম গোল হইলো, নিজের দেশের জিনিষ দিয়া এসব জিনিষ প্রতিস্থাপন করা। কেবল মাত্র তাইলেই সুফল আসবে। নাইলে অন্য ক/খ/গ যেকোন দেশের ভারত হয়ে যেতে বেশি সময় লাগবে না।
মুস্তাফিজ ভাইয়ের করা পোস্টারটা কালো ব্যাকগ্রাউন্ডের কারণে আমার ক্ষমতার বাইরে ছিল। ওটা ডাউনলোড করে গিম্প দিয়ে কিছু কেরামতি করাতে ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা আর লেখাগুলো সব বিভিন্ন গভীরতার কালো রঙে করতে পেরেছিলাম। ওটাকে পরে A4 সাইজে প্রিন্ট দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় লাগিয়ে দেই ২৯শে ফেব্রুয়ারী।
যখনই পোস্টারগুলোর সামনে দিয়ে গিয়েছি, কৌতুহলী পাঠক পেয়েছি। সচেতনতার লেভেল বেড়েছে। বাংলায় অমন দৃষ্টিকাড়া সার্বজনিন পোস্টার দরকার বলে মনে হল। গত কয়েকদিন টিভির সামনে গেলেই বাংলাদেশী চ্যানেল দেখেছি বলে মনে পড়ে।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
আমি বন্ধটা আগেই করেছি। তাই গতকাল আর নতুন কিছু করতে হয়নি।
বর্ডার কিলিংক বন্ধ হলেও ভারতের নানা রকমের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এভাবে জোটবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করার পক্ষে আমি।
টিপাই মুখি বাঁধ সহ নান ইস্যুতে এমন পদক্ষেপ নিলে দেশের জন্য ভাল।
আমাদের দেশ, আমরা ভারতের হতে জিম্মি হতে দিতে পারিনা।
আমি নিজে কিছুই ব্যাবহার করি নাই(অজান্তে কিছু হয়ত করতে পারি, কিন্তু তার সম্ভাবনাও খুবই কম), বন্ধুদের লেইস খাইতে দেই নাই, এক বন্ধুর নটরাজ পেন্সিল দিয়ে লেখচিল, তারে আমার ম্যাটাডর পেন্সিল দিয়া দিলাম। বাসাতে এমনিতেও কেও হিন্দি সিরিয়াল দেখেনা কালকে তো আরও দেখে নাই ( আমাদের বাসার সবাই দেশি পণ্য কিনে হও ধন্য এই মন্ত্রে বিশ্বাসী)। আমি শুধু কালকে না প্রথম দিন হিমু ভাইয়ের পোস্ট তা দেখেই, ওই দিন থেকেই ভারতীয় পণ্য ব্যাবহার বন্ধ করে দেব ঠিক করেছিলাম। আমি বলতে পারি আমি যথেষ্ট সফল, আর আমি গত এক মাসে কিছু মিস করেছি বলে মনে হয় না আমার।
নিজের কিছু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। গ্লাসগোতে দেশী খাবারের দোকানগুলো হয় পাকিস্থানী অথবা ভারতীয়। তবে পণ্যগুলো অধিকাংশই ভারতীয়, বিশেষতঃ মসলা। অতএব সাধারণ খাবার অর্থাৎ ভাত বা মাংশ রান্না করতে হলে অবশ্যই ভারতীয় পণ্য ব্যবহার করতেই হবে। সেক্ষেত্রে গতকাল আমি এবং আমার স্ত্রী পুরো উপমহাদেশীয় খাবারই বর্জন করেছিলাম। আমরা দুবেলাতে পাস্তা খেয়ে কাটিয়ে দিয়েছি! এছাড়া আরেকটা বিষয় আমাকে ছুঁয়ে গিয়েছে। আমার স্ত্রী তার স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে ল্যাপটপে বসে ইউটিউব থেকে একটা হিন্দী গান চালিয়ে দিয়েছিল। তারপর সাথে সাথে নিজেই থামিয়ে নিজেকে বলল, "না।" তারপর সে বাংলা গান চালালো। এই যে তার মধ্যে একটা বোধ কাজ করেছে হিন্দী গান না শোনার, এটাই গতকালের কর্মসূচীতে আমার ব্যক্তিগত জীবনে সবচেয়ে বড় পাওয়া ছিল। এই বোধটা যখন ধীরেধীরে আমাদের সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়বে, তখন ভারতীয় পণ্য বর্জনের জন্যে ডাক দিতে হবে না। মানুষ এমনি এমনিই বর্জন করবে।
সাথে আছি। থাকবো।
টুইটার
এমনিতেও তেমন কিছু ব্যবহার করি না তাই নতুন কিছু করতে হয় নাই,এয়ারটেল রাতেই অফ,অপদার্থবিদ্যার সূত্রমতে সারা দিন এরা ওরা ফোন দিসে,পাত্তা দেই নাই। আমার জিনিষপত্রের মধ্যে মেড ইন ইন্ডিয়া আছে একটা ঘড়ি,বাদ।বাসায় দুপুর পর্যন্ত হিন্দি সিরিয়াল অফ রাখতে পারসি,আর ইচ্ছা করেই সারাদিন বাসায় ছিলাম যেন মানুষ আমারে ফোনে খোজে।আমার দেখে মনে হয় এক ছোট ভাই ওর ফোন ও অফ রাখসে,এই তো। আমি কোন রকম আলাদা প্রোপাগান্ডা করি নাই,জানি পোলাপাইন ভাল মানুষের মত কইলে শুনতে চায় না,ফ্রেন্ডরা ফোন অফ কেন জিজ্ঞেস করলে বলসি,নইলে না।আমার মনে হয় ভাই,এই কাজটা আরো করা যায়,মানুষের অংশগ্রহন বাড়তেসে দেখলেই বা ব্যাপারটা ওয়ান শট কিছু ছিলো না দেখলে মানুষ একটু নড়ে চড়ে বসবে,এমনিতে তো কেউ কোন প্রতিবাদ কর্মসুচিতে অংশ নিসে শুনলে সবাই মুখ বাকায়,এই মুখ বাকানি বন্ধ করতে পারলেও যদি কিছু অবোধ আদম সন্তানের বুদ্ধি হয়।
আমার সাথে মিলে গেছে ভাই।
বাসায় একসময়ে হিন্দি চ্যানেল ছিল। ওগুলো কেটে দিয়েছি কয়েকবছর আগে। অস্টিন শহরে বাংলাদেশি দোকান আছে, ওখানে বাংলাদেশি জিনিসপত্র সবই পাওয়া যায়। ভারতীয় চলচ্চিত্রের ভক্ত নই, হাতে-গোনা দুই একটা গান শুনি বা সিনেমা দেখি। ভারতীয় রেঁস্তোরার চেয়ে অন্যান্য দেশের খাবার খেতে বেশি আগ্রহ বোধ করি। মার্কিন চলচ্চিত্র দেখি, হাতের কাছে ভালো কনসার্ট পেলে সেগুলো দেখি। শাহরুখ খানের ধামাকা দেখার আগ্রহ শূন্য।
ভারতীয় বাংলা বই (যেটা আজকাল আর পড়াই হয় না) আর কিছু বাংলা গান ছাড়া ভারতের আর কিছুই ব্যবহার করা হয় না।
এই দুনিয়াটা মস্ত বড়, ভারতকে বাদ দিয়ে বাকি বিশ্ব নিয়ে বেশ ভালো মতোই বাঁচা সম্ভব, আনন্দ বা ভোগের কণামাত্রও বাদ দেওয়ার দরকার নেই। আমরা যেন আত্মসম্মান দিয়ে দাঁড়াই, পকেটের পয়সাটা যেই দেশকে দেব তার আচরণটা যাচাই করেই যেন দেই।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সকাল বেলা ঘুম হইতে উঠিয়া ভুলবশত পেপসোডেন্ট দিয়া দাঁত মাজ়িয়াছি আর কার্য সম্পাদনন করিয়া লাইফবয় দিয়া হস্ত ধৌত করিয়াছি।তাছাড়া আর কোনও ভুল হয়নি।তবে ভগিনিকে এয়ারটেল এর লোভ এ পা ফেলা থেকে নিবৃত্ত করিতে পারি নাই।আফসোস।
বিপিএলে এরশাদের সাক্ষাৎকার নেয়া ওই ভারতীয় মাইয়াডা ছাড়া আর কোনো ভারতীয় পণ্য জ্ঞানত ব্যবহার করি নাই। সাক্ষাৎকারের লিংক দেয়ার জন্য স্বপ্নহারা দায়ী।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ভারতীয় মাইডারে যদি বিনামূল্যে ব্যবহার কইরা থাকেন তাইলে কুন কথা নাই।
য় বাদ পড়ছে বস, জলদি বসান
বসানোর আগেই পইড়া ফেললাম, আমার কী হপে
কী আর করবা, মজা লও
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
মুরুব্বীরে বাদই দিলাম,"ব্যবহার করা" মানে কি আসলে?
মার্চ ১ এ বর্জন করার মতো কিছু পাইনি, তবে যথাসম্ভব চেষ্টা করেছি সচেতনাটুকু ছড়িয়ে দিতে।
ভারতীয় রেস্টুরেন্টে যাওয়া হয়না এম্নিতেও অতো, তারপরও পুরোই বর্জন করার চেষ্টা করবো যতদিন না আমরা যোগ্য সম্মান এবং বিচারটুকু পাচ্ছি। এখানের দুটি সিনেমাহলে ভারতীয় ছবি চলে, আগে দুইবার গিয়েছি। সেটাও পরিপূর্ণ বর্জন এর চেষ্টা করবো। দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে এখানে যেই বাংলাদেশী গ্রোসারি থেকে আমরা কেনাকাটা করি, সেটার নাম ইন্দো-পাক গ্রোসারি। মালিক বাংলাদেশী, যারা কাজ করে বেশিরভাগই বাংলাদেশী, পণ্যও বেশীরভাগ বাংলাদেশী কিন্তু তারপরেও নাম দিয়ে রেখেছে ইন্দো-পাক। ধারণা এতে হয়তো দোকান বেশী চলবে।
ইন্দো-পাক বাংলাদেশি গ্রোসারি এটা জেনেছিলাম বেশ কয়েক বছর আগে। বেশ অবাক হয়েছিলাম। সাংঘাতিক চালু দোকান, এটার নাম এখন বদলে ঢাকা গ্রোসারি দিলেও বিক্রি ঠিকই থাকবে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ইন্দো-পাক এর মালিককে চিনি, কখনো সময় সুযোগ পেলে তার সাথে এটা নিয়ে কথা বলবো। ডালাসেই এখন এটার ৩ টা শাখা, খুব চলে।
ধন্যবাদ হিমু, এই পোস্টটির জন্য।
গতকাল ভারত বন্ধ কর্মসূচী মোটামুটি সফল করতে পেরেছি। সকালটা অবশ্য শুরু হয়েছিলো আম্মুর সাথে তুমুল কথা কাটাকাটি দিয়ে। সকালে আম্মু আগের রাতে মিস হয়ে যাওয়া জি বাংলার কোন একটি সিরিয়াল দেখতে বসেছিলো। আমি গিয়ে সাথে সাথে চ্যানেল পালটে দেই। এতে লঙ্কাকান্ড ঘটে যায়।বিকেলে আম্মুর সাথে আগোরাতে যাই টুকটাক কিছু বাজার করার জন্য। আম্মু তার পাকা চুল ঢাকার জন্য গোদরেজ নুপুর মেহেদির প্যাকেট খুঁজছিলো। আমি আমাদের দেশীয় লীজান মেহেদির প্যাকেট হাতে নিয়ে পুরো বিষয়টা আম্মুকে আবার শান্তভাবে বুঝিয়ে বলি। তখন আম্মু বিষয়টা পারে। সন্ধ্যায় অবশ্য আর হিন্দি সিরিয়ালে চোখ বুলায়নি।
আমি আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, ভারতীয় পন্য ছাড়াই জীবন যাপন সম্ভব।
তাই আজ থেকে প্রতিদিন ১লা মার্চ।
দীপাবলি।
একমাত্র মশলা ছাড়া আর কোন ভারতীয় পণ্য ব্যবহার করতাম না। মশলার একটা বিকল্প ব্যবস্থা হয়েছে সম্প্রতি।
চেষ্টা করেছি সচেতনাটুকু যথাসম্ভব পরিচিতজনের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে। দেশী পণ্য কিনলে নিজের দেশের অর্থনীতিই যে চাঙা হয়, এই ধারণাটাই অনেকের মধ্যে নেই।
স্বদেশী পণ্য, কিনে হও ধন্য।
Stopped buying anything of Indian Origin, which mostly means grocery for us.
Don’t watch Indian Movies, unless pirated copies anyway; no Indian book.
Also stopped entering into any Indian Web page knowingly.
Started this since the first post, and on-going.
To those who dutifully watched the day, lets try to make it year round for all of us.
Thank you all
Ron Ishtiak, Toronto
(বাংলায়)
সচলে কিভাবে বাংলা লিখতে হয় না জানলে এখানে ক্লিক করুন, ধন্যবাদ।
শাফি।
এয়ারটেল ব্যবহার করি না।
মুভি দেখার অভ্যাস নেই, টিভি দেখাও ছেড়েছি বহু আগে।
ভারতীয় বই পড়া কমানোর/ ছাড়ার চেষ্টা করব।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
পুরা ক্লাসে প্রচারনা চালিয়ে দুজনকে দলে টানতে পেরেছি। তাদের এয়ারটেল সিম থাকলেও কাল তা ব্যবহার করেনি। ২৪ ঘন্টা আমরা জ্ঞাণত সব ভারতীয় পন্য বা বিনদোন বর্জন করেছি। আমার এয়ারতেল(এয়ারটেল) সিম নেই। কখনো কিনবনা বলে সিদ্ধন্ত নিয়েছি।
আমার নিজের জীবনের ‘রুলস্’ আমি নিজে তৈরি করি।প্রধানতমটি হল, ‘আমার সাথে যার আচরণ খারাপ তার গালে আমি চুমু দেই না’।
ভারতীয় জিনিসের প্রতি ফ্যাসিনেশান এম্নিতেই ছিল না। ফ্যাসিনেশান জন্মানোর মত 'আহা মরি' তেমন কিছু আমি পাইনি ভারতীয় এটা-ওটায় (সিনেমা, সিটকম, গয়না, শাড়ী, গাড়ী, মশলা, খাবার)। আগ্রহ নিয়ে জানার মত, চর্চা করার মত অন্য অনেক দেশের অনেক উপকরন আমার চারপাশে ছড়ানো আছে। গত কয়েক বছরে আমাদের সাথে ভারতের বর্বর আচরণের কারণে চরম অশ্রদ্ধা এসে গেছে তাদের প্রতি। নিজ দেশের শিল্প, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, মুল্যবোধকে নিজ হাতে গলা টিপে ধ্বংস করে ভারতের ‘সেবা দাস’ হিসেবে বেঁচে থাকতে আমি সগর্বে, সদম্ভে অস্বীকৃতি জানাচ্ছি।
কারন, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি। আমার অনেক ঋণ এ দেশের, এ মাটির প্রতি। এবং আমি 'বেঈমান' নই।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
এয়ারটেল যখন ওয়ারিদ ছিল তখন থেকেই ইউজ করি, তাই এটা ছাড়া এখন কোন অপশন নেই। ভারতীয় কোম্পানিগুলা ছ্যাঁচড়া, এয়ারটেল আসার পরে রাত বিরাতে এমন মেসেজ দেওয়া শুরু করছিল। ২-৩ বার কাস্টোমার কেয়ারে ঝাড়ি দেওয়ার পরে বন্ধ করছে। ভারতীয় কোন জিনিসই আমি কোনদিন ইউজ করি না শুধু বিএসএফের কারনে। আর গান, সিনেমা এইসব ফালতু ছবি দেখার চেয়ে নিজের দেশের সিনেমা অনেক ভালো
১। আমার পর্যবেক্ষণ বলে ভারতীয় পণ্য ব্যবহার করা থেকে বিরত মানুষের সংখ্যা যা হবে ভাবসিলাম, আসলে তার চেয়ে বেশি। এটা একটা পজিটিভ দিক।
পুরো বাংলাদেশের তুলনায় অবশ্য এ সংখ্যাটা খুবই নগণ্য। বিশেষত এবার যেহেতু প্রথম, এই ব্যাপারটা মোটামুটি কিছু ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মাঝেই সীমাবদ্ধ ছিল, আর তাদের পরিবার, বন্ধুবান্ধবদের মাঝে। এই সংখ্যাটা আমরা আস্তে আস্তে করে বাড়াতে পারি। প্রায় ছুটিতেই গ্রামে, কিংবা মফস্বলে যখন যাই, তখন সেখানে এটা সবাইকে বুঝিয়ে বলতে হবে। আমাদের জনসংখ্যার একটা বিশাল অংশ এখানেই বাস করে।
এই ক্ষেত্রে আরেকটা সমস্যা আছে। যেমন বর্ডার এলাকায় ভারতীয় শাড়ি খুবই কম দামে পাওয়া যায়, যদিও তাদের মান ভালো নয়। আমাদের এখানে মানুষ এত গরীব, যে শাড়ি কেনার সময় দেশপ্রেমের বদলে 'সাধ্য' বেশি কাজ করে। এই সমস্যাটার 'লং টার্ম' সলিউশন হতে পারে নিজেই শাড়ির কারখানা খুলে বসা। তবে 'সাসটেইনেবল' অন্য কোন সমাধান ভাবা যেতে পারে। আপাতত আমার মাথায় কিছু নেই।
২। হিন্দী চ্যানেল নিয়ে আমাদের আপত্তি রয়েছে, এবং আমি ধরে নিচ্ছি এটা সম্ভবত পুরোটাই বাণিজ্যিক কারণে। নাহলে রবীন্দ্রনাথকেও আমাদের বাদ দিতে হয়, কিংবা ভারতীয় রাগ গুলো, অথবা ভারতের স্থাপত্য- সবই বাদ দিতে হয়। যা হোক, চ্যানেলগুলো মূল গ্রাহকদের এতদিন আমরা শুধু গালিই দিয়ে এসেছি, কিন্তু তাদের মাঝে 'সচেতনতা' সৃষ্টি করলে যে খুব ভাল কাজে দিতে পারে, তা আজকের দিনটির কারণে বোঝা গেল। এতে করে বাংলাদেশের হিন্দী চ্যানেলের টার্গেট অডিয়েন্স নিজে থেকেই বিবেকের তাড়না অনুভব করবে, এবং চ্যানেল বর্জন করবে।
৩। এই কাজটা করতে পারলে খুবই ভালো হয়, বর্ডারে যদি আমাদের দেশের মানুষের অবৈধ ভাবে প্রবেশ বন্ধ করা যায়। অপরাধীদের বিরত রাখার দায়িত্বটা আইন শৃংখলা রক্ষাকারীদের হাতে ছেড়ে দেয়া উচিৎ। কিন্তু এর পাশেও, অনেক সময়ই পাচারকারী, কিংবা চোরাচালানীদের হাতে পরে সহজ সরল এবং 'সাধারণ' মানুষ অবৈধভাবে বর্ডারে প্রবেশ করে। এটা অসচেতনতার ফল। ব্যক্তিগত ভাবে নিজ নিজ এলাকায় (বিশেষত যারা সীমান্তবর্তী এলাকায় থাকেন, কিংবা সেখান থেকে এসেছেন) যদি এই সচেতনতা সৃষ্টির কোন উদ্যোগ নেয়া যায়, তবে সমস্যাটার সমাধান হলেও হতে পারে।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
নিজের প্রতিবাদঃ রাত ১২টায় লোয়ারটেল সিমখান খুলে রাখি। মাঝে মাঝে খেলার এবং ডিস্কোভারি চ্যানেল দেখার অভ্যাস আছে সেটা বাদ দিই। মানুষকে জানানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করি।
অন্যালোচনাঃ ইন্টারনেট এক্সেস আছে এরকম জনসংখ্যা একদমি বেশি নয়। প্রিন্ট বা এলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সংহতি থাকলে ভালো হত, অনেক অনেক মানুষ জানতো, বিশ্বাস করি তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রতিবাদে অংশও নিত।
লোয়ারটেলকে ভীত-সন্ত্রস্ত করা গেছে, এটা আমাদের অর্জন।
_____________________
Give Her Freedom!
এই স্টিকারের মতো "ভারতীয় পণ্য, চ্যানেল বর্জন করুন" স্টিকার মেরে সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়া যায়
হিমু,
আপনার এই কথাগুলো খুব ভাল লাগল । আমার এক বন্ধু একবার বলেছিল, বাঙ্গালির জাতীয়তাবোধ শুধুই পহেলা বৈশাখে পান্তা ভাত আর ইলিশ মাছ খাওয়ার মধ্যেই সীমিত । কথাটা খুব সত্য । একুশে ফেব্রুয়ারী, পহেলা বৈশাখের মত দিনে সবাই আমরা ভীষন বাঙ্গালী ।
একবার একজনের সঙ্গে তর্ক হয়েছিল মুঠোফোনের রিংটোন নিয়ে । তারমতে সংস্কৃতির কোন সীমানা নেই । তারমত অনেকেই হয়তো আমার মত মানুষকে “অনুদার”, “ছোট মনের মানুষ” মনে করবেন । কারন আমি রিংটোনে বাজাতে হলে বাংলা গানই বাজাব, অন্য কোন ভাষার নয় । সকল ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান দেখাব আমি, যতক্ষন সেই ভাষা ও সংস্কৃতির মানুষ আমার দেশ, জনগন, ভাষা ও সংস্কৃতিকে সম্মান দেখাবে । সংস্কৃতিরও একটা তীব্র রাজনীতি আছে, আছে অর্থনীতি । নিজের দেশ, ভাষা, সংস্কৃতির সঙ্গে যদি দেশের সকল মানুষের আত্মমর্যাদাবোধ জড়িয়ে না থাকে, তাহলে আমরা শুধু অন্য দেশের পণ্যের বাজারই হ’ব । কারুর দোষে নয়, নিজেদের প্রতি নিজেদের সম্মানবোধ না থাকায় ।
আপনাদের এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
সংস্কৃতির সীমানা না থাকলে, ওনাকে একটু বলে দেখবেন কোনো ভারতীয় বন্ধুর মোবাইলে বাংলাদেশী গানের রিংটোন ফিট করতে পারেন কি না।
অনেকেই একদিনের জন্য ভারতীয় পণ্য বর্জন করে দেখেছেন, "আরে ভারতীয় জিনিস ছাড়াও তো দিব্যি চলা যায়" , এই বোধটা আরও ছড়াতে হবে। হঠাৎ করে একদম বন্ধ করে দিলে উইথড্রয়াল সিন্ড্রোম দেখা দিবে, এমন হতে পারে, যে ১লা মার্চ এর মত প্রতি মাসের ১ তারিখে আমরা ভারত বর্জন প্রতিবাদ জানাব। এরপর সপ্তাহে একদিন ভারত কি সম্পূর্ন বিদেশি পণ্য বাদ দিয়ে দেশি পণ্য ব্যাবহার করব। এতে দেশি পন্য ব্যাবহারের চাহিদা ও বাজার তৈরি হবারও সময় ও সুযোগ পাবে।
দুধের শিশুকে বোতল ছাড়ানোর মত বাঙ্গালিকে আস্তে আস্তে ভারতীয় মাই চুষা বন্ধ করাতে হবে।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
শেষ বাক্যে
আপ্নে তো সিরিয়াস বস্ লুকের মত কথা বলেন!
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আশা করি এপ্রিলের ১ তারিখে আরো বেশি সাড়া পাওয়া যাবে এই ব্যাপারে। আমার বাসাতে এমনিতেই ভারতীয় সিরিয়াল আডিক্ট কেউ নেই। বাংলাদেশী চ্যানেলগুলো ছাড়া শুধু খেলা দেখার জন্যেই বিদেশী চ্যানেল দেখা হয়। চেনা পরিচিতদের মধ্যে ২/৩ আন্টি ছিলেন, যারা হিন্দি সিরিজগুলো দেখেন। ছোট ভাইকে বলেছিলাম ১লা মার্চে ওনাদের জন্যে কিছু ভালো বই কিনে নিয়ে যেতে, যেনো দিনটা কাটিয়ে দিতে পারে তারা।
নিজের গণ্ডির মধ্যে যতখানি সম্ভব সবাইকে জানাতে চেষ্টা করেছিলাম। অনেক মানুষ স্বতস্ফূর্তভাবে এই আন্দোলনে সায় দিয়েছেন, এটা দেখতে পেয়ে খুবই আনন্দিত হয়েছি। কিন্তু খোমাখাতার বুকে উল্টো কথাও কিছু দেখেছি। তবে, হয়তো এই প্রথম কোনও ইস্যুতে, তর্ক করার আর নিন্দা জানানোর রুচি হয়নি। কিছু ক্ষেত্রে নিজেকে সামলে রাখাটা সম্ভব হয়নি, যেখানে পণ্য বর্জনের সাথে অন্যান্য 'বিশেষ' জিনিসপত্র যোগ করে পুরো জিনিসটাকে ভিন্ন খাতে চালানোর চেষ্টা দেখেছি, সেখানে প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু সব মিলিয়ে ভালোর দিকটাই বেশি বলব। আর, ব্যক্তিগত পর্যায়ের আন্দোলন এটা, তাই সাড়াটা অন্য যেকোনও কিছুর চাইতে বেশি আশাবাদ যোগায়।
শিশিরকণার ক্রমান্বয়ে আন্দোলন বিস্তৃত করার ধারণা ভালো লাগলো।
সাথে আছি সবসময়।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
পালন করেছি। ইন্ডিয়ান মসলা-পাতিও ব্যবহার করিনি, বিকল্প খুজতেছি।
শাফি।
ভারতীয় পন্য সেবা বিনোদনপ্রেমিকরা কি বিশ্বাস করবেন, কোনরকম ভারতীয় পণ্য সেবা বিনোদন ছাড়া আমি দিব্যি হেসে খেলে ভালো আছি সপরিবারে?
চোখটা এক মিনিট বন্ধ করে আপনার মাথাটা আপনার দখলে আছে কিনা ভাবুন, আর কিছু লাগবে না। এই বর্জন একদিনের নয়, এই বর্জন প্রতিদিন!!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আরে ভাই, এয়ারটেল তো এমনিই বোনাসটা দিতে পারে, সারা বছরের বিভিন্ন সময়ে যেটা এমনিতেই এরা করে থাকে, এটাকে আপনাদের ভয়ে করেছে ভাবছেন কেন। আপনাদের মত মামুলি প্রতিপক্ষের মোকাবেলা করতে এদের বয়েই গেছে।
ভালো পয়েন্ট ধরেছেন তো। বাংলাদেশে এয়ারটেলের গ্রাহকরা কি বলতে পারেন, এয়ারটেল শেষ কবে ২০০% বোনাস দিয়েছিলো?
হয়ত তারা আপনার মত বলদ নয় বলেই মামুলি প্রতিপক্ষ ভাবছে না। কে জানে?
- অন্য ভুবন
একটু কি সহজে বলে ফেললেন না ভাই? আমরা এয়ারটেল এর 'মামুলি প্রতিপক্ষ' নই, আমরা এয়ারটেল এর 'গুরুত্বপূর্ণ গ্রাহক'. আমাদের মন জয় মানেই তাদের ব্যবসায়িক মুনাফা. আর তাই বিমুখ হওয়া গ্রাহকদের ধরে রাখতে/বাড়াতেই তাদের ১ মার্চ এর বোনাস অফার. আপনার জ্ঞাতার্থে, ১ মার্চ এর এই বিশেষ বর্জন এর কথা সুন্দর ভাবেই এয়ারটেল কে জানিয়েছে তার গ্রাহকেরা, ইমেইল এর মাধ্যমে. ভারতের একটা অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের সভ্য প্রতিবাদ এর প্রতীক ছিল এই বর্জন. এয়ারটেলের নিজের স্বার্থে হলেও হয়ত তারাও সরকারী পর্যায়ে এই প্রতিবাদের বার্তাটি পৌঁছে দিতে পারে. আমাদের এই অহিংস লড়াই আপনার মত ব্যক্তি পর্যায়ের কোনো ভারতীয়র সাথে তো নয়, ভারতীয় পররাষ্ট্রনীতির সাথে. আদর্শ নাগরিক হলে আপনারও দেশের যেকোনো অন্যায়ের বিরোধিতা করা উচিত.
- অন্য ভুবন
না রে ভাই, ওনাদের চোখে আমরা মামুলি প্রতিপক্ষই। আশা করি এয়ারটেলের ৬ মিলিয়ন মামুলি গ্রাহক মিলে একদিন সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশী নাগরিক হত্যার প্রতিবাদে এয়ারটেলকে একদিনের জন্য বর্জনের মাধ্যমে সম্মিলিতভাবে রামঠাপ দিতে পারবো। দেখি ঐদিন এয়ারটেল কয়শো পার্সেন্ট বোনাস দেয়।
আপনার মতো ভারতীয়দের মন্তব্যে বাংলাদেশের ব্লগোস্ফিয়ার ভরে উঠুক; তাও যদি আত্মসম্মানবোধের ঘুম ভাঙে, যাদের ওটা এখনও ঘুমন্ত।
ভারতীয় জিনিস এমনিতে ব্যবহার করা হয় না, শুধু মাত্র বাধ্য হয়ে মসলাটা ব্যবহার করতে হয়। কারন কন্টিনেন্টাল দোকানগুলোতে ভারতীয় মসলাই সাধারণত পাওয়া যায়। ভারতীয় মসলা এড়াবার জন্য গত এক মাস খাদ্যাভ্যাস পরিবতর্ন করেছি। আমার ইউরোপিয়ান বন্ধুদের কাছে কৃতজ্ঞ, তারা শিখিয়েছে মসলাদার খাবারের বাইরেও যে শুধু গোলমরিচ আর লবণ দিয়ে সুস্বাদু খাবার হতে পারে।
আমার অন্যান্য বন্ধুদের এই আন্দোলনের ব্যপারে জানাতে চেষ্টা করেছিলাম। অনেকেই সাথে ছিল, অনেকে ছিল না। অনেকে আবার জিজ্ঞেশ করেছে বি.এস.এফ বাংলাদেশীদের মারছে এটা যেমন ঠিক, তেমনি বি.ডি.আর যে সীমান্ত অঞ্চলের ছিন্নমূল ভারতীয়দের মারছে তা নিয়ে কোন কথা হচ্ছে না কেন। নিবিচারে মানুষ মারা তা বি.এস.এফ মারুক বা বি.ডি.আর, ভারতীয় হোক বা বাংলাদেশী সমান ঘৃন্য। বি.ডি.আর এর ভারতীয় হত্যার কোন তথ্য আমার কাছে নেই, তাই জানতে আগ্রহী।
@ন,
একটা ব্যক্তিগত কথা না বলে পারছিনা । ইদানীং একটা কথা বলা আমার প্রিয় অভ্যেসে পরিণত হয়ে গেছে । আমি প্রায়ই কথাটি আমার আশে পাশের মানুষদের বলে থাকি মূলত অতিরিক্ত তেল মসলা যুক্ত খাবার খাওয়াকে নিরুৎসাহিত করতে । আজ আপনাকেও বলি, সুস্বাদু রান্নার জন্য মসলা জাতীয় মাত্র তিনটি জিনিষ হলেই আমি মাছ মাংস মুরগী শাক সবজি সবই রান্না করতে পারি । জিনিষ তিনটি হল, ফ্রেস রসুন, পিয়াজ এবং কাঁচা মরিচ । এর সাথে আরো দু তিনটা বাড়তি জিনিষ, যেমন টক দই, লেবু অথবা কিছু টমেটো (টিনের ভিতর অথবা ফ্রেশ) থাকলে তো কথাই নেই । এগুলো আশা করি অনেকের নাগালের মধ্যেই থাকে । আমার নিজের উদ্ভাবিত মস্লার বালাই ছাড়া চমৎকার ফ্রি চিকেন রেসিপি পেতে চাইলে আমাকে অনুরোধ করতে পারেন (বিশেষ করে প্রবাসী ছাত্র সমাজ)। জানাতে মোটেই কার্পন্য করব না
আমি প্রায়ই মশলা কিনতে ভুলে যাই বলে একেবারে বেসিক মশলা দিয়ে রান্না করে খাই প্রায়ই। আমার দুই পয়সা হচ্ছে, যদি রেড মিট হয়, তাহলে জিরা যোগ করাটা জরুরি। আদা না থাকলে রসুনের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হয়। মাছের ক্ষেত্রে আরেকটা জিনিস সময়মতো যোগ করতে পারলে বাকি সব মশলার দৈন্য ঘুচে যায়, ধনেপাতা।
আমার বাসার খুব কাছেই কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থানের কারনে আমি ১ ও ২ মার্চ বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে কথা বলেছি। তাদের অবস্থান অত্যন্ত ইতিবাচক এবং উৎসাহব্যাঞ্জকও বটে। এই কর্মসূচির একজন সক্রিয় সদস্য ভেবে আমাকে তারা যথেষ্ট উৎসাহ এবং সম্মান দিয়েছে। তাদের কথা, "শুরু হিসাবে ধরলে এটাও অনেক, সার্থকও বলা চলে।"
আমার জানা মতে, এয়ারটেলের গ্রাহকশ্রেণীর একটি উল্লেখযোগ্য অংশই হচ্ছে, ছাত্র-ছাত্রী ও যুবশ্রেণী (বয়সবিন্যাস - ১৯ থেকে ৩০ বৎসর)। এদের কাছ থেকে জেনেছি, এদের অধিকাংশই ১ মার্চ এয়ারটেলের সেবা বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো, এবং সম্ভবত এয়ারটেল কতৃপক্ষও এ ধরনের একটি মেসেজ পেয়েছিলো। এয়ারটেলের ২০০% বোনাস ঘোষণা, অনেকের মধ্যে দ্বীধার সৃষ্টি করে। তবে ১ মার্চ ভারত বনধ এর প্রতি একাত্মতা ও প্রতীকী সমর্থন জানাবার নিমিত্তে তারা বেশ কয়েক ঘন্টা এয়ারটেলের সেবা নেওয়া থেকে বিরত থেকেছে।
@জনাব হিমু, ছাত্র-ছাত্রী এবং যুব শ্রণীর সাথে আলোচনায় যে দিকগুলো উঠে এসেছে সে বিষয়ে কিছু সুপারিশ পেশ করছি :
কর্মসূচির বক্তব্যটি ব্যাপক প্রচারের প্রয়োজন।
যেহেতু বনধ এর প্রচারণা মূলত সচলায়তন ব্লগ ও ফেসবুকের মাধ্যমেই হয়েছে সেহেতু, আমাদের ভাবতে হবে, ফেসবুকগ্রুপগুলোর এ্যাডমিনদের সাথে আলোচনা করে তাঁদেরকে এই কর্মসূচির সাথে সম্পৃক্ত করা যায় কিনা ?কথাটি একারনেই আসলো যে, ফেসবুক ব্যবহারকারী একটি বড় অংশের কাছেও কিন্তু বার্তাটি পৌঁছেনি (ফেস বুক ব্যবহারকারীদের কাছ থেকেই জেনেছি)।
সমমনা অন্যান্য ব্লগগুলোকেও এই আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত করারও একটা উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।
মাঝেমধ্যে এমন কর্মসূচির ডাক দিতে হবে, এতে নূতন নূতন মানুষের সম্পৃক্ততা ও প্রচার বৃদ্ধি পাবে। মানুষের মাঝে সচেতনতাও তৈরি হবে।
সবশেষে বলবো, শুরু হিসাবে এটা সার্থকতা দাবী করতে পারে।
ফেসবুকের এই পেইজটি খোলা হলো ভবিষ্যৎ ভারত বনধ কর্মসূচি সমন্বয় করার জন্য।
বউয়ের সদাইর লিষ্ট হতে মুভ বাম আর ম্যাগী নুডলস বাদ দিয়ে দেশী অল্টারনেটিভ দেশীটা নিয়েছি।
যতটা সম্ভব বর্জন করেছি এবং আপনাদের সাথে আছি।
ভারতীয় পণ্যের প্রতি কোনো প্রীতি নেই। ক্ষেত্র বিশেষে বই এবং সঙ্গীতের সাহচর্য গ্রহণ করা হয়। এদিন তা-ও গ্রহণ করা হয়নি।
নিম্নমানের কারনে এমনিতেই ভারতীয় পণ্যের প্রতি আমার আগ্রহ নেই। ১ মার্চে একজন বৃট বান্ধবী ও ফ্রসেঁ বন্ধুকে নিয়ে আড়ঙ থেকে শপিং করলাম। অবশেষে দুজনকে বাংলাদেশী হান্টার ব্র্যান্ডের ভাল্লুক পান করালাম। বারের লোক বললো হান্টার নাকি খুবই ভালোমানের তেজী ভাল্লুক। বন্ধুরাও পান করে প্রশংসা করলো। আমি নিজে পান না করলেও এতে খুবই খুশী।
তবে স্বীকার করছি, হেগে হাত ধোয়ার সময় দেখি আগের কেনা লাইফবয় ছাড়া অন্য কিছু নেই।
কেরু আমার অহঙ্কার
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
-
****************************************
লাইফবয় ভারতীয়?
না । লাইফবয় ইউনিলিভারের। ইউনিলিভার একটি ব্রিটিশ-ডাচ মালিকানাধীন কোম্পানী। বাংলাদেশে এদের ফ্যাক্টরিতেই ক্লোজ-আপ, লাইফবয় , লাক্সের মত পণ্য গুলো উৎপাদিত হয়। আর বিগ বাবল, সেন্টার ফ্রেশ, মেন্টোস কিংবা এল্পেনলিবেও কিন্তু ভারতীয় নয়। বিশ্বখ্যাত ইটালীয় কোম্পানী পারফেটি-ভ্যান মেল এর প্রোডাক্ট এগুলো আর গাজীপুরেই ওদের ফ্যাক্টরিতে এগুলো উৎপাদিত হয়। http://en.wikipedia.org/wiki/Perfetti_Van_Melle
এয়ারটেলের সিম নাই তাই ওইটা ব্যবহারের কোন প্রশ্নই আসেনি। তবে আমার যে বন্ধুরা এয়ারটেল ব্যবহার করে ওদের ফোন রিসিভ করিনাই এবং ওদের অন্য নম্বরে ফোন করে জানিয়ে দিয়েছি। ওরাও স্বতস্ফূর্ত ভাবে অংশগ্রহন করেছে। ভারতীয় কোন চ্যানেল ও চলেনি বাসায়। প্রসাধনী ব্যবহারেও কখনই ভারত প্রাধান্য পায়নি। তাই ওটাও বাদ পড়ে গেছে আপনাআপনি। আমার মনে হয় আমরা প্রত্যেকেই ব্যক্তিগত ভাবে সফল।
এখন আমাদের আরও বড় পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। আমরা কি আসন্ন এশিয়া কাপ উপলক্ষে কোন উদ্যগ নিতে পারিনা?
এবারের সংগ্রাম, আত্মসম্মানের সংগ্রাম।
--------------------------------------------------------------------------------
একটা ব্যাপার পরিস্কার হলো, ভারতীয় পণ্য না কিনলে খুব বেশী কিছু যায় আসে না, আমার ও আমার পরিবার এর কাছে এইটাই
এই কর্মসূচীর বিশাল আউটকাম। তার উপরে মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডে ভাগ্নীদের জন্য মনোপলি বোর্ড কিনতে গেলাম, দোকানদার 'এইটা ইন্ডিয়ান, কোয়ালিটি' ভালো বলে আমার বউ এর হাতে যে ধরাটা খেলো!! ঝাড়া ১০ মিনিট ফ্রি ঝাড়ি।
মোনোপোলি বোর্ডেও ভারতীয় মোনোপোলি?! জিনিসটা কি আসলেই ভারতীয়, নাকি দেশী জিনিসের উপরেই ভারতীয় তকমা এঁটে বিক্রির চেষ্টা?
একটা চিন্তা মাথায় এলো। ভারতীয় জিনিস কেনাবেচার ফলে প্রত্যক্ষ আর পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশী উদ্যোক্তাদের সাথে কি কোনোভাবে যোগাযোগ করতে পারি আমরা? এদের কথা হয়তো আমরা ঠিকমতো জানি না, বা শুনতে পাই না বলে আমাদের মধ্যে অসচেতনতা বেড়ে উঠেছে। ভোক্তা হিসেবে আমরা যদি বিক্রেতাদের একটা কড়া সিগন্যাল দিতে পারি, এবং সেটা দেশী উদ্যোক্তাদের কাছেও পৌঁছায়, তাহলে পরিহার্য ভারতীয় পণ্যগুলোকে হটানোর কাজটা আরো বেগবান হতে পারে।
এজন্য আমরা কিন্তু আমাদের ক্যামেরাযুক্ত মোবাইল ফোন আর ইউটিউবকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে পারি। আগ্রহীরা ক্ষতিগ্রস্ত দেশী উদ্যোক্তাদের সাথে কথা বলে সেগুলোকে বোধ হয় ইউটিউবে আপলোড করে দিতে পারেন!
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
নিঃসন্দেহে একটি ভাল প্রস্তাব। যাঁদের সুযোগ আছে, এটা নিয়ে তাঁদেরকে ভাবতে অনুরোধ জানাচ্ছি।
ভাল প্রস্তাব । এই ফিল্ডের লোকজনের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারলে ভাল হয় । হয়ত অনেক জিনিষই উঠে আসবে যা আমরা ভোক্তা হিসেবে জানিনা । এতে করে অনেক দিক নির্দেশনা পাওয়া যাবে বলে আমার ধারণা ।
আমি কোন সমস্যা বোধ করিনি। পোষাকে তাঁত বেশি পড়ি। হিন্দি সিরিয়াল তো দুই চক্ষের বিষ। জিপি ব্যবহার করি, তাই এয়ারটেল কি করলো তাতে কিছু যায় আসেনা।
আসলে নির্ভরশীলতা অনেকটাই মানসিক।
তবে পেঁয়াজ, বুট ইত্যাদির ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ লাগবে।
আরো বেশি মানুষ সম্পৃক্ত হোক।
পেঁয়াজ, বুটের দেশী বিকল্পের সংস্থান করা কঠিন, কারণ আমাদের কৃষিজমি প্রায় সম্পৃক্ত পর্যায়ে ব্যবহৃত হয়। পুরো দেশের পেঁয়াজের চাহিদা যদি দেশীয় পেঁয়াজ দিয়ে করতে হয়, অন্য কোনো শস্য কম ফলাতে হবে। একই কথা বোধহয় ছোলার ক্ষেত্রেও খাটে। কিন্তু যেসব পণ্য-সেবা-বিনোদন পরিহার করলে আমাদের দেশে তার টেকসই বিকল্প বিকশিত হতে পারবে, সেগুলো বর্জনে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে হবে।
আমরা সীমিত পরিসরে ১ দিনের বর্জনে বেশ কিছু উপলব্ধি অর্জন করতে পেরেছি, আশা করছি ভবিষ্যতে আরো ব্যাপক পরিসরে দ্বিতীয় দফা ভারত বনধে আরো অনেক নতুন আইডিয়া, সম্ভাবনা আর মোডুস অপেরাণ্ডি উঠে আসবে। নিজের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোটাই হোক প্রথম ধাপ। সেটা করতে গিয়ে কী সমস্যা উঠে আসে, সেগুলোকে সমাধান করার বা টপকে যাওয়ার জন্যে কী করা দরকার, বিকল্পের সংস্থানের ক্ষেত্রে কী করতে হবে, এই ব্যাপারগুলো নিয়ে জিজ্ঞাসা আর উত্তর আমাদের মধ্যে থেকেই উঠে আসতে হবে।
লাভ কিছুটা হলেও হয়েছে্।আশেপাশের মানুষ যাদেরকে দেখতাম হিন্দী নিয়ে আহ্লাদিত, তারাও (অবশ্যই কেউ কেউ) আগ্রহ নিয়ে ব্যাপারটায় অংশ নিয়েছে দেখে খুশী হয়েছি।এয়ারটেলের সিমটা অফিসিয়াল বলে বাধ্য হয়ে ব্যবহার করতে হল, নাহলে ভারত বর্জন ভালমতই করেছি।অবশ্য শচীন টেন্ডুলকার বাদে ভারতের আর কিছু নিয়ে মুগ্ধ হইনা ইদানীং,আমার জন্য কাজটা তেমন কঠিন ছিলনা!!!
রাহাত
যাদের জন্য কাজটা বেশ কঠিন ছিলো, তাদের বক্তব্যও শুনতে চাই। এমন কেউ কি আছেন?
আমার জন্য কিঞ্চিত কঠিন তো বটেই। আমি কাজ করি একজন ভারতীয় পিশাচ গোত্রের, খাটাশ শ্রেণীর, কিপটার হাড্ডি, ছোটলোক মহিলার আন্ডার এ। এ খাটাশ মহিলা উঠতে বসতে চলতে ফিরতে দিনে ১০০ বার আমার কাছ থেকে টাকা কাটে এবং এরচেয়েও বিরক্তিকর ব্যাপার হচ্ছে কানের কাছে হিন্দি নামক বিদঘুটে একটি ভাষায় ঘেন ঘেন করে যায় নিরন্তর। আমার প্রবাস জীবনের সবচেয়ে বিরক্তিকর অভিজ্ঞতা হচ্ছে ভারতীয় এবং পাইক্কারা ধরেই নেয় যে আমরা তাদের সাথে হিন্দি/উরদু তে কথা বলব।
এ কাজটা ছেড়ে নতুন কাজ পাওয়া একদিনে সম্ভব নয়। তবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
আমার অফিসেও কয়েকটা ভারতীয় আছে যাদের সাথে বাঙ্গালীরা দিব্যি হিন্দীতে বাতচিৎ চালায়।একারনেই ভারতীয়গুলো এমনটা ভাবে।এমনই এক ভারতীয় একবার আমাকে হিন্দীতে দীর্ঘ ভাষণ দেয়ার পর আমি তাকে বললাম যে আমি হিন্দী বুঝিনা (ডাহা মিথ্যে অবশ্যই ),এরপর থেকে সে ভদ্রভাবে ইংরেজী বলে।প্রথম রাতেই বেড়াল মারা যাকে বলে আর কি! -রাহাত
হিন্দি বা ভারতীয় বাংলা চ্যানেল দেখি না। কিন্তু ডিসকভারি, ন্যাট জিও, যি স্টুডিও, এইচ বি ও-সবগুলোতেই ভারতীয় বিজ্ঞাপন দেয়। টিভি কখনো খুললে এগুলোই দেখা হয়। এখানে কী করা যায়?
আমরা কি প্রত্যেকে কিছু কিছু এ-ফোর পেপার এ ভারত বনধ এর পোস্টার ছাপিয়ে বিলি করতে পারি? সাধারন মানুষ সহজে জানতে পারবে। একটা printer-friendly version থাকলে ভাল হয়।
সচলদের কাছে একটা জিনিস জানতে চাচ্ছি। আমার বিশেষ মানুষটি পশ্চিমা দেশে পশ্চিমা পরিবেশে বড় হওয়া এবং ভারত বর্জনের মত আইডিয়াল গুলো তাকে বুঝানো বেশ কষ্টকর। সে দিনে রাতে ভারতীয় ডিজাইনের জামা কাপড় খুঁজে বেড়ায় এবং ইন্ডিয়ায় শপিং এ যাবার প্ল্যান করে। এ ধরণের পরিস্থিতেতে কিভাবে কারো মধ্যে কিছুটা বোধ এর সঞ্চালন করা যায় সে ব্যাপারে কিছু উপায় বাতলে দিলে কৃতজ্ঞ থাকবো
তিনি ভারতীয় ডিজাইনের জামা কাপড় খুঁজে বেড়ান কারণ এই জিনিসগুলো তার চোখের সামনে বিজ্ঞাপিত। আমার বোনও আমাকে ফোন করে তাঁর বান্ধবীদের এই একই সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন। তিনি যে সমাধানটা বের করেছেন, সেটা হচ্ছে কোনো এক চ্যানেলে বিপাশা হায়াত দেশী সিল্কের শাড়ি পরে নিয়মিত উপস্থাপনা করেন, সেটি তাঁর বান্ধবীকে দেখতে বলেছেন। সেই প্রোগ্রাম দেখে তাঁর বান্ধবী বিশেষ পুলকিত হয়ে ভারতীয় জামাকাপড়ের বদলে অনুরূপ শাড়ি কেনার জন্যে এখন প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আপনিও একই কায়দা অনুসরণ করে দেখতে পারেন। আমার বোন অনুরোধ করেছিলেন, দেশের রূপালি পর্দার তারকারা যেন দেশীয় জামাকাপড় পরে পর্দায় হাজির হন, এ নিয়ে কিছু লিখতে। মেয়েদের জামাকাপড় নিয়ে আমার জ্ঞান হিমাঙ্কের কাছাকাছি বলে সেটা আর করে উঠতে পারিনি।
তবে আপনার বিশেষ মানুষটি যদি সীমান্তে নির্বিচার মানুষ হত্যার ব্যাপারে বোঝানোর পরও উদাসীন থাকেন, তাহলে সমস্যাটা অন্য জায়গায়। সেটার সমাধান আমরা দিতে পারবো কি? পশ্চিমা দেশে বা পশ্চিমা পরিবেশে বড় হওয়াটা এখানে অপ্রাসঙ্গিক, দুনিয়ার সব জায়গাতেই সভ্য মানুষ নির্বিচার হত্যাকাণ্ডকে প্রত্যাখ্যান করতে আর তার প্রতিবাদ জানাতে শেখে।
নতুন মন্তব্য করুন