পর্যটন শিল্পে বেলুন

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: রবি, ০১/০৪/২০১২ - ১২:১৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সচলায়তনের যুবরাজ মাঝেমধ্যে কর্মসূত্রে পার্বত্য চট্টগ্রামে আকাশপথে যাতায়াত করেন। কয়েকদিন আগে তিনি কিছু ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। একটা আইডিয়া আমার মাথায় কামড়াচ্ছিলো অনেকদিন ধরেই, যুবরাজের তোলা ছবিগুলো দেখে ভাবলাম, এ নিয়ে কিছু লিখি।

ছবিগুলো যুবরাজের অনুমতিক্রমে শেয়ার করছি আপনাদের সাথে।

কর্ণফুলি নদী

শাহ আমানত সেতু

বগা লেক, বান্দরবান

কাপ্তাই লেক, রাঙামাটি

ছোট হরিণা, রাঙামাটি

এক দশক আগে বান্দরবান ও রাঙামাটিতে ট্রেকিঙের সূত্রে বহু দুর্গম ও নয়নাভিরাম জায়গা দেখার সুযোগ আমার হয়েছে, কিন্তু সেসব অভিযান যথেষ্ট কষ্টসাধ্য ছিলো। ট্রেকিং বা হাইকিং বাংলাদেশে এখন মোটামুটি জনপ্রিয় হলেও পর্যটনের একটা ক্ষীণ ধারা হিসেবেই রয়ে গেছে। সিংহভাগ মানুষই চায় বেড়াতে গিয়ে কিছু আয়েশ করতে। বারো কেজি ব্যাকপ্যাক নিয়ে টানা ২১ ঘন্টা পায়ে হেঁটে ৬০-৭০ কিলোমিটার পাহাড়ি পথ টপকে কোথাও যাওয়ার মতো তেল বেশিরভাগ পর্যটকেরই থাকে না। তবে এ কারণেই হয়তো পার্বত্য চট্টগ্রামের বেশ কিছু জায়গা এখনও ছবির মতোই সুন্দর রয়ে গেছে। কারণ বাঙালি পর্যটকরা কোথাও গেলে সেই জায়গাটা যথেচ্ছ নোংরা করে দিয়ে আসে।

এই দুর্গম অথচ অদ্ভুত সুন্দর জায়গাগুলো বিনা দূষণে পর্যটকদের ঘুরিয়ে দেখানোর জন্যে তপ্তবায় বেলুন একটি উপযুক্ত বাহন হতে পারে।

বেলুনের নানা সমস্যা আছে। খুব বেশি লোক এতে চড়তে পারে না, বিমানের মতো একে ইচ্ছামতো যেদিকে খুশি নিয়ে যাওয়া যায় না, চলতে হয় বাতাসের মর্জিমাফিক, গতিবেগও ধীর। কিন্তু বেলুন অপারেট করার খরচও কম, প্রোপেন ট্যাঙ্ক আর শিখোদ্গীরক (ফ্লেম থ্রোয়ার) এর মেইনটেন্যান্স খরচও খুব বেশি নয়, আনুষঙ্গিক যেসব গিয়ার লাগে, সেগুলো একটা স্মার্টফোনেই আজকাল থাকে (জিপিএস, অলটিমিটার)। একটা মোটামুটি রেঞ্জের রেডিও আর ফার্স্ট এইড কিটসহ নিশ্চিন্তমনে বেরিয়ে পড়া যেতে পারে। নিতান্ত যদি কপাল খারাপ থাকে, তাহলে বড়জোর বেলুন নিয়ে কাপ্তাই লেকে ক্র্যাশ ল্যাণ্ড করতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে মাথাপিছু একটা করে লাইফ জ্যাকেট রাখলেই চলবে। বেলুন তালের মতো হুড়মুড়িয়ে আকাশ থেকে পড়ে না, তাই পড়ে মরার ভয় কিছুটা কম।

বেলুন পর্যটন সেবা শুরু করতে বেশ কিছু টাকা লাগবে ঠিকই, কারণ বেলুনের কাপড়, বেতের ঝুড়ি, প্রোপালশন গিয়ার এসব হয়তো শুরুতে বাইরে থেকে আমদানি করতে হবে। কিন্তু যদি এই সেবাখাত দাঁড়িয়ে যায়, তাহলে এর সবকিছুই দেশের ভেতরে উৎপাদন করা সম্ভব। অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় মানুষের অভাব তো নেই দেশে, যারা কিছু টাকাপয়সা খরচ করে ওপর থেকে আমাদের দেশের সুন্দর জায়গাগুলোকে আকাশ থেকে দেখতে চান। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি ও করিডোর ব্যবহারের শিডিউল সংগ্রহ করে দেশের অনেক জায়গায় বেলুন পর্যটন শুরু হতে পারে। যেহেতু বেলুনে খুব বেশি মানুষ একসাথে উঠতে পারে না, তাই দুই-তিনজনের গ্রুপ নিজেদের মতো করে কয়েক ঘন্টা আকাশে ঘুরে বেড়াতে পারেন, যা কক্সবাজার বা কুয়াকাটা বা সুন্দরবনে সম্ভব নয়।

বেলুন পাইলট হওয়ার জন্যে কিছু প্রশিক্ষণ প্রয়োজন হতে পারে, কিন্তু সেটিও খুব কঠিন কিছু নয়। বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত পাইলট বা সিভিল এভিয়েটরদের সাহায্য নিয়ে সেটিও আয়োজন করা সম্ভব।

বেলুন ভ্রমণ আমাদের পর্যটন শিল্পকে ত্রিমাত্রিক করে তুলতে পারে, যা দেশের ভেতরের ও বাইরের পর্যটকদের আকর্ষণ করবে। একটু সাহস আর সদিচ্ছা লাগবে শুধু ব্যাপারটা চালু করতে।

আমি সমস্যার দিকগুলো দেখতে পাচ্ছি না, কিন্তু আপনারা নিশ্চয়ই পাচ্ছেন। মন্তব্যের মাঠে সেগুলো ধরিয়ে দিন। ধন্যবাদ।


মন্তব্য

ইশতিয়াক এর ছবি

সমস্যা তো গোড়ায়। এত কিছু কে করবে? পর্যটন কর্পোরেশন তো ঘুমায়।

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

হাততালি দারুন আইডিয়া।
তবে বেলুনের অপারেটরদের আগে ভালো করে ট্রেনিং দিতে হবে।

সাম্য এর ছবি

আইডিয়াটা চমৎকার এবং ছবিগুলোও অসাধারণ সুন্দর। তবে আপাততভাবে যে দুটো সমস্যার কথা মাথায় আসল, তা হলঃ
১) "বিনা দূষণে" সম্ভব কি? লোকজন দেখবেন বেলুনে চড়ে চিপস/চকলেট খেয়ে তার প্যাকেট নীচে লেকে ফেলে লেক দূষিত করবে।
২) বেলুন পাইলটের/যাত্রীদের মধ্যে কেউ যদি বিশেষ সুবিধার লোক না হয়, সেক্ষেত্রে অনাকাঙ্খিত কিছু ঘটার সম্ভাবনা।

হিমু এর ছবি

১. বেলুনে চড়ার আগে কিছু প্রোটোকল তো থাকবেই। চিপস চকলেট পানির বোতল, শার্প/ব্লান্ট অবজেক্ট, ইনসেনডিয়ারি বহন নিষিদ্ধ করে দিলেই হবে। আমি অবশ্য ভাবছিলাম বমির কথা।

২. এই সমস্যা তো সর্বত্র। বেলুন কেন, রিকশাই কি এই সমস্যা থেকে মুক্ত? তবে বেলুন পাইলটের উপর মস্তানি করার মতো কাঠবলদ বেশি থাকার কথা না।

cresida  এর ছবি

ওয়াও অসাধারন সব ছবি। একদম জীবন্ত। আপনার লেখাও চমৎকার। পড়তে যেয়ে একঘেয়েমি পেয়ে বসে নি। আর আইডিয়াটা চুরি করার মতো।আই মিন, এই আইডিয়া চুরি করে মানুষকে একটু ভিন্নভাবে প্রকৃতি দেখার সুযোগ করে দেয়া এর সাথে বিজনেস টাও সম্ভব। আমরা হুজুগে বিশ্বাসী বাঙালি কিনা, সো নতুন কিছু খুব আগ্রহভরে গিলতে থাকি।

নেটএ অবশ‌্যই সার্চ দিয়ে দেখবো, ব্যাপারটা আয়োজন করা কতটা সোজা বা্ কঠিন। যদি দেখি সামর্থ্যে কুলায়, তবে আইডিয়াটা অবশ্যই চুরি করে নেব।

এটা সমস্যা কিনা জানি না, বা আদৌ সমস্যা হিসাবে দাড়াবে কিনা সেটাও জানিনা, বেলুন জার্নি আর অলওয়েজ ওয়েদার ডিপেনডেন্ট। আর আমাদের দেশের ওয়েদার ফোরকাষ্ট নিয়ে সব মহলেই একটা কৌতুক কাজ করে।

ভালো থাকবেন।

cresida

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

অত্যন্ত ভালো একটি উদ্যোগ হতে পারে।
তবে যেকোন বিনিয়োগকারীই টাকার অংকটা জানতে চাইবেন বা লগ্নি, লাভ, ক্ষতি, সময়, লোকবল, বিপনণ ইত্যাদি। তবে কত টাকা ব্যয় হতে পারে সে বিষয়ে একটু আলোকপাত করা দরকার। যেমন, বেলুনের ক্রয়মূল্যসহ আমদানী ও সংরক্ষণ ব্যয় মাসে/বছরে কত হতে পারে। ব্রেক-ইভেনে যেতে কত দিন লাগতে পারে। রুট ম্যাপ বা ভ্রমন সীমানা কতটুকু হতে পারে, ফ্লাইং প্যাড বা ল্যান্ডিং প্যাড কোনটা হতে পারে। আসলেই এই যন্ত্র কিভাবে কাজ করে? তাও আরেকটু বিস্তারিত জানা দরকার। হিমু ভাই বা অন্য কারো জানা থাকলে মন্তব্যে জানাতে পারেন।

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

আরেকটা কথা, লেখাটার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এইরম আর যা যা আপনাকে কামড়ায় সেগুলা নির্দ্বিধায় আমাদের জানাতে পারেন। আমরা (যারা পর্যটন ব্যবসার সাথে জড়িত আছি তারাতো বটেই)সহ অন্যারাও এই ধরনের দারুণ আইডিয়া কাছে লাগিয়ে তাদের আইডল-মানি ব্যবহার করতে পারে।
ছবিগুলো অসাধারন!

হিমু এর ছবি

আপনার সব আইডল মানি আমাকে দিয়ে দেন। আমি সেই মানিকে কাজে লাগিয়ে ঘাম ছুটিয়ে ফেলব।

নামনাই এর ছবি

নট ফিজিবল। ছেলেমানুষি। (টেক দিস ফ্রম এন এক্সপার্ট, আজাইরা কেউ নই)

হিমু এর ছবি

আপনি আজাইরা তো বটেই, ফাউল লোকও। কিছুদিন আগে খামাখা ভারতীয় সেজে একগাদা কমেন্ট করলেন, আজকে আসছেন ফাঁপর নিতে। এক্সপার্টিজ গোয়া দিয়ে ভরে বিদায় হন। প্রক্সি দিয়ে মস্তানি সামুতে গিয়ে কইরেন।

জুয়েল দেব এর ছবি

ছবিগুলো অসাধারণ। আমার বাড়ি রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায়। চট্টগ্রাম থেকে গাড়িতে প্রায় ৬ ঘন্টা লাগে। বেলুন দিয়ে গেলে কতক্ষণ লাগবে ভাবছি। আর যদি বেলুন জায়গামত ল্যান্ড করাতে না পারি, তাহলে বর্ডার পার হয়ে একদম মিজোরাম চলে যাব। আপনার লেখাটা ভালো লেগেছে।

হিমু এর ছবি

বেলুন দিয়ে খুব বেশি দূরত্ব অতিক্রম করা যাবে না (বাতাসের গতিবেগের ওপর নির্ভর করে, সেইসাথে বিভিন্ন অলটিচ্যুডে ওঠানামা করতে হয় দিক পরিবর্তন করার জন্যে), তবে সেটা হবে আকাশ দূরত্ব। মাটিতে একটা রাস্তা এঁকেবেঁকে যায়, তাই সড়কপথে চলাচলের সাথে বেলুনের চলাচল ঠিক তুলনীয় নয়। তাই বেলুনের টেক অফ আর ল্যাণ্ডিং পয়েন্টগুলোও কাছাকাছিই থাকবে। মূল আকর্ষণ তো যাত্রাপথটুকুতেই।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আমি মাঝে মাঝে ভাবি-- যদি কোনদিন প্রধানমন্ত্রী বা সেরকম কিছু হতে পারি তো হিমুকে রাখব প্রধান-পরিকল্পক হিসেবে।

ভাবনাটা কিন্তু সত্যি, যদিও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা শূন্য (অলমোস্ট শিওরলি)

হিমু এর ছবি

কিন্তু টাকাপয়সা যে সব যোগাযোগ আর টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে মন খারাপ ?

অমিত এর ছবি

তুই সেটাই প্রথমে পরিকল্পনা করবি কিভাবে সব টাকা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে আনা যায় হাসি

হিমু এর ছবি

তুই আমাকে দত্তক নিয়ে নে। এখনও সুমায় আছে।

মন মাঝি এর ছবি

আমার ধারণা পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনি এটা করতে দিবে না।

****************************************

হিমু এর ছবি

সম্ভাবনা প্রবল। একমাত্র সম্ভব যদি কোনো অবব্রিগেডিয়ারের সুন্দরী কন্যা আমার এই পোস্ট পড়ে তার বাবাকে এই বেওসার বুদ্ধি গছায়।

মন মাঝি এর ছবি

বান্দরবানে কেবলকারের মত আরও অবভিয়াস এক্টিভিটিই পালে বাতাস পেল না - এমনকি একমাত্র যেটা ছিল সেটাও মনে হয় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বন্ধ করার কারনটা জানি না, তবে মনে হয় অনুমান করতে পারি।

আরেকটা ব্যাপার খারাপ লাগে, এসব জায়গায় বেশির ভাগ ভাল ভাল স্পটই সরকার/সরকারের অংশবিশেষ আর বাঙালিদের হাতে। টুরিস্ট ব্যাবসায়ে স্থানীয়রা কোন চান্সই পায় না। পেতে দেয়া হয় না।

****************************************

হিমু এর ছবি

কেবলকারে জীবনে একবারই চড়েছি, আর তারপর মনে হয়েছে, বাংলাদেশের জন্যে এই জিনিস আসলেই নয়। জিনিসটা যথেষ্ট মেইনটেন্যান্স দাবি করে। এদিক সেদিক হলেই গেছে।

ধুসর জলছবি এর ছবি

হো হো হো কন্যাকে সুন্দরী কেন হতে হবে? চিন্তিত

হিমু এর ছবি

সেয়্যাক ব্রাট ইতিহাস

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সবচেয়ে ভালো হতো ঢাকা শহরে ছোট ছোট বেলুন সার্ভিস চালু করা গেলে। জ্যামের এই শহরে উড়াল দেওয়া ছাড়া আর গতি নাই।

ব্যাপারটা ভাবতেই দারুণ মজা লাগছে। সুযোগ থাকলে আমি অবশ্যই বেলুনে চড়ে সারাদেশ ঘুরতে চাই...

প্রকল্পটা সম্ভাবনাময় সে বিষয়ে সন্দেহ নাই। কিন্তু এই প্রকল্প চালু করতে অনুমতিসংক্রান্ত নানান হ্যাপা সামলাতে হতে পারে...

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

হিমু এর ছবি

দেখবেন নৌবাহিনীর আপত্তিতে সব পয়মাল হয়ে যাবে হাসি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সিভিল এভিয়েশন আপত্তি তুলতে পারে আকাশপথে গিয়াঞ্জাম করার অপরাধে
আর আমাদের দেশে স্পর্শকাতর স্থাপনা বেশি... বেলুনের মতো খোলা উড়ন্ত জান নিয়ে সেসব স্থাপনার উপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সুযোগ থাকলে সিকিউরিটি সমস্যাও হতে পারে

তবে ব্যাপারটা সত্যিই পছন্দ হইছে। উড়াল দিয়ে বান্দরবন চলে যেতে ইচ্ছে করছে... মন খারাপ

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

হিমু এর ছবি

আপনি যেমন ভাবছেন, এটা ঢাকা টু বান্দরবান ট্রিপ হবে, ব্যাপারটা তেমন না। বান্দরবান থেকে টেক অফ করে হয়তো থানচি হয়ে আবার ফিরে এলো, যদি ফিরতি বাতাস পায়, এমন হবে। বেলুনের গতি তো বাতাসের গতির মতো হবে, ঢাকা থেকে বান্দরবান যেতে শান্ত আবহাওয়ায় একদিন লেগে যাবে।

শুধু পার্বত্য চট্টগ্রামই নয়, সিলেট-মৌলভিবাজার-নেত্রকোণা-শেরপুর এসব জায়গাতেও বেলুন রাইড খুব চমঁৎকার হওয়ার কথা। পাহাড়, নদী, জলাশয়, জঙ্গল, ক্ষেত সব আছে এদিকে।

মন মাঝি এর ছবি

অনুমতিসংক্রান্ত নানান হ্যাপা সামলাতে হতে পারে...

হ্যাঁ, এবং তখনই হাড়ে হাড়ে বুঝবেন হাউ ম্যানি প্যাডি হাউ ম্যানি রাইস! হাসি

****************************************

মাহমুদ.জেনেভা এর ছবি

খারাপ না আইডিয়াটা
এখানে সেলেভ মাউন্টেন থেকে শহরের উপর ঘুরতে লাগে ২৫ ফ্রাঙ্ক আর হেলিকপ্টার দিয়ে ঘুরতে লাগে ১৫০ ফ্রাঙ্ক সুতরাং মধ্যবিত্ত পর্যটকদের জন্য বেলুন কাজের হতে পারে
বেলুন পাইলটের চাকরিটা আমার অদ্ভুত লাগে! দিনের বেশির ভাগ সময় আকাশে পাখিদের সাথে
ছোট বেলায় অনেকই পাইলট হতে চায় তাই যারা না পারে বেলুন পাইলট হয়ে স্বাদ মেটানো হয়ে যাবে দেঁতো হাসি

শামীম এর ছবি

শুধু বেলুন শুনলেই এদিক সেদিক চলে যাওয়ার ভয় লাগে। তার চেয়ে হট-এয়ার এয়ারশিপ করা গেলে বেশি ভাল হত মনে হয়। এইগুলা দিয়ে ঢাকায় মিনিবাস সার্ভিস কিংবা যে কোনো জায়গায় খেয়াপারাপার সার্ভিস দেয়া যায় শয়তানী হাসি
http://en.wikipedia.org/wiki/Thermal_airship

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

দ্বিতীয় ছবিটার একটা মিনি সংস্করণ চাই আমার...

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

হিমু এর ছবি

তার জন্য একটা মিনি নজরুল তৈরি রাখেন আগে।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

দেখতে তো বড়সড়ই আছে... আমি তো ভাবছিলাম মিনি সাইজের একটাতে আমরা সপরিবারে এঁটে যাবো...

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

বস্ ছবিটা সচল সালতামামির জন্য চাইতেছেন নাকি চোখ টিপি

বাউলিয়ানা এর ছবি

চমতকার চিন্তা-ভাবনা।

শুধু বর্ডার পার হয়ে যাবার একটা আশঙ্কা থাকে। পার্বত্য চট্টগ্রামের, বিশেষ করে রাঙ্গামাটি, বান্দরবনের কাছেই দুটো আলাদা দেশের বর্ডার।

নৈষাদ এর ছবি

চলুক

আশরাফ এর ছবি

"হিমু" আর "বেলুন" দেখে প্রথমে অন্য কিছু ভাবসিলাম শয়তানী হাসি
পরে ক্যাটাগরীতে গিয়ে দেখি সিরিয়াস ব্যাপার।
বেলুন পর্যটনটা ভাল একটা আইডিয়া।
বাঞ্জি জাম্পিং টাইপের আরো অনেককিছুই হতে পারে।
কিন্তু পর্যটন সংস্থাকে দিয়ে কিছু হবে বলে মনে হয়না।
আবার বাংলাদেশের বেসরকারী পর্যটন ব্যবসার গলাকাটার প্রবণতা দেখে ভয় লাগে। তৌকিরের নক্ষত্রবাড়ি কিংবা নাজিমগড় এর যে ট্যারিফ রেট, আমার মনে হয় নর্থ আমেরিকার অনেক কটেজের ট্যারিফ রেট তার চেয়ে কম।
ভাল সবকিছু সাধারণের নাগালের বাইরে মন খারাপ

অতিথিঃ অতীত এর ছবি

হিমু ভাইয়ার আইডিয়াটা চমৎকার। পর্যটন শিল্পে দেশের জায়গাগুলো বিশেষত পার্বত্য চট্টগ্রামের জায়গাগুলো বেলুন ভ্রমণ খুবই উপভোগ্য একটা বিষয় হতে পারে।

এ বিষয়ে আপাতত দুইটা জিনিস মাথায় আসছে।

১ পরিবেশগত ভাবনা। আমার মনে হয় আমাদের মানসিকতা যথেষ্ট খারাপ। হয়তো পাহাড়ী এ জায়গাগুলো দুর্গম এবং এখানে যাওয়া আসা সহজলভ্য নয় বলেই এইগুলোর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এখনও অটুট আছে। কক্সবাজারের বিষয়ই দেখুন। কিছুদিন আগেই ঘুরে আসলাম। সৈকতের পানি এত নোংরা, প্রায় লাল বর্ণ ধারণ করেছে। আর সঠিক কোনো পরিকল্পনা না থাকায় ব্যাঙ এর ছাতার মতো সব হোটেল বিক্ষিপ্তভাবে গজিয়ে উঠছে। আর ব্যবহৃত বিভিন্ন রকম বর্জ্য পদার্থ এখানে ওখানে ফেলে সৈকতের পরিবেশটাই নষ্ট করে ফেলছে। সেন্টমার্টিন ঘুরতে গিয়েও একই অবস্থা দেখলাম। জাহাজে ডাস্টবিন আছে, অথচ প্রায় সবাই চিপস এর প্যাকেট, খালি পানির বোতল সব সাগরের/নদীর পানিতে ফেলছে। আবার অত্যুৎসাহী কিছু লোকজন সমানে চিপস উড়িয়ে গাংচিলদের খাওয়াচ্ছে। জাহাজে যাবার সময় ঝাকে ঝাকে গাংচিল এই চিপস এর পিছু নেয় যা দেখতে বেশ ভালোই লাগে। কিন্তু এইগুলো কি ওদের খাবার? কিংবা এই জিনিস তাদের শরীরে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ফেলছে কিনা কে জানে? আমি তো একদিন দেখলাম, এরকম তো দৈনিকই হচ্ছে। ঠিক এরকম মানুষসৃষ্ট ব্যাপারগুলোই ঘটতে পারে পাহাড়ি এলাকাগুলোতে। যেমন মনে হয়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ধরেন বেলুন ভ্রমণের ব্যবস্থা নিলো। তখন দেখা যাবে বিক্ষিপ্তভাবে এখানে ওখানে পাহাড় কেটে মোটেল-হোটেল করে ফেলছে, আর অফার দিচ্ছে, "এখান থেকে বেলুনে নীলগিরি মাত্র দুই মিনিট"। আর দেখা যাবে মানুষ সেই লোভে আগে সেসব জায়গায় যাবে, বর্জ্য ছিটাবে এবং সেসব জায়গার ভ্যালু বাড়িয়ে দিবে।

২ যেহেতু বেলুন ভ্রমণ আদতেই নতুন বিষয়, এবং এর উড্ডয়ন, নিয়ন্ত্রণ, অবতরণ একটু অন্যরকম; তাই এটা শুরু করার আগে যে যায়গার জন্যে এটা করা হবে তাকে আগে সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রস্তুত করা উচিত। যেমন হিমু ভাইয়া ইতোমধ্যে বলেছেন, পানিতে পড়লেও যেনো রিস্ক না থাকে সেজন্যে লাইফ জ্যাকেট দেয়া। ঠিক তেমনিভাবে, দুর্ঘটনাক্রমে যদি বেলুন পাহাড়ের কোথাও দুর্গম এলাকায় হারিয়ে যায় তাহলে যেনো দ্রুত উদ্ধার সম্ভব হয়। বেলুনে জিপিএস থাকবে, কিন্তু যেখানে আছে, সেটা জানার পরে যেনো দ্রুত সেখানে যাবার উপায় থাকে। এজন্যে পুরো পর্যটন এলাকা আগে ভালোভাবে প্রস্তুত করে নিতে হবে।

তবে সবকথার শেষ কথা, পর্যটন কর্তৃপক্ষ আর পর্যটক উভয়েরই উপর নির্ভর করছে এ পরিকল্পনার সাফল্য।

অতীত

জি.এম.তানিম এর ছবি

ছবিগুলো এত সুন্দর! আমি আকাশযান থেকে ছবি তুললে সব ঘুলা ঘুলা হয়ে যায়!

বেলুন বা বেলুনপ্লেন (শামীম ভাইয়ের দেওয়া ছবির) হলে দারুণ হবে! অবজলপাইতনয়া এখনও এই পোস্ট পড়ে না কেনু!

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

তানজিম এর ছবি

বেলুন দেখেই ভয়ে পালিয়েছে।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আপনার আকাশযান আর এই ব্যক্তির আকাশযানের পার্থক্যটা মনে হয় খেয়াল করেননি। উনি কি আর এটিপি/ফকারে চড়ে ছবি তুলেছেন? অলটিচিউড খেয়াল করেন, হেলি থেকে তোলা।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আইডিয়া দারুণ! আমি যা বলতে এসেছিলাম, সেটা শামীম ভাই আগেই বলে দিলেন। অবশ্য প্র্যাকটিকাল সমস্যাগুলো নিয়ে ভাবতে হবে (মূলত অনুমতি নিয়ে ঝামেলা)। পার্বত্য চট্টগ্রামেই যে করতে হবে তা না, একটু উচ্চতা থেকে দেখার সুযোগ অনেকেই নিবে। সিলেট বা রাজশাহী বা খুলনায় হলেও সমস্যা নেই। স্থানীয় কেউ যদি এমন কিছু করতে পারে, মন্দ হয় না।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

কঙ্গো ও উগান্ডা জুড়ে গারাম্বা ন্যাশনাল পার্ক, কেনিয়ার মাসাই মারা সাফারী, তাঞ্জানিয়ার সেরেঙ্গাতি সাফারীতে এইসব বেলুন পর্যটনের ব্যবস্থা আছে। বেলুন পর্যটনের জন্যে পর্যটককে অপেক্ষাকৃত উচ্চমূল্য প্রদান করতে হলেও সেটি সেখানে অত্যন্ত জনপ্রিয়। তাই ধারণাটি নিছক মন্দ নয়।

বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত পাইলট বা সিভিল এভিয়েটরদের সাহায্য নিয়ে সেটিও আয়োজন করা সম্ভব।

বিমানবাহিনীর পাইলটগন সাধারণতঃ প্রশিক্ষণ শুরু করেন উচ্চগতির ট্রেনিং বিমান দিয়ে। পরবর্তীতে যুদ্ধবিমান চালনার জন্য (যা কিনা আরো উচ্চগতির) তারা 'জেট কনভার্শন' করেন। মাসাই মারায় বেলুন সাফারী পরিচালনাকারী একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষনের সীমিত সুযোগ আমার ভাগ্যে জুটেছিল। সেই ধারণা থেকে বলতে পারি বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত পাইলটদের অভিজ্ঞতা বেলুন পরিচালনা কিম্বা এর পাইলটিংইয়ের ক্ষেত্রে কতটুকু লাগসই হবে তা পুনর্বিবেচনা সাপেক্ষ।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

হিমু এর ছবি

তা-ও ঠিক। কিন্তু বেলুন ল্যাণ্ডিং করানোর বেসিক ব্যাপারটা ওনারা খুব সহজে বুঝবেন। সেইসাথে একেক অলটিচ্যুডে বাতাসের অভিমুখ আর বেগ যে পাল্টে যায়, সেটা বুঝে বেলুন অপারেট করা, থার্মাল কাজে লাগানো, এগুলোও ওনাদের জন্য সহজ হওয়ার কথা। আর পাইলটদের আসলে যে জিনিসটা একেবারে শুরুতেই ট্রেইন করানো হয়, সেটা হচ্ছে একই সাথে অনেকগুলো ভ্যারিয়েবল নিয়ে কাজ করা, এটাই আসলে দরকার। ব্যাপারটা যদি বাংলাদেশে শুরু করা যেতো, তাহলে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ একটা লাইসেন্সিং বা সার্টিফিকেশন কোর্সও চালু করতে পারতো, প্রয়োজনে বিদেশ থেকে প্রশিক্ষক এনে।

অরফিয়াস এর ছবি

আইডিয়াটা ভালো।

আবহাওয়া সংক্রান্ত কোনো সমস্যা থাকছে কি? সব মৌসুমে চলাচলের উপযুক্ত হবে কি? বিশেষ করে বর্ষা ও ঝড়ের সময়গুলোতে?? এছাড়াও শীতে ঐ অঞ্চলগুলোতে ভালো কুয়াশা থাকে।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

হিমু এর ছবি

সব মৌসুমে অপারেট করা হয় না সাধারণত। কালবৈশাখী সিজনে বেলুন নিয়ে ওপরে উঠলে খবরই আছে, একেবারে বার্মা পাঠিয়ে দেবে। বাংলাদেশে ঝড়ের দুইটা সিজন আছে, প্রাগবর্ষা আর বর্ষাতীত, এগুলো এড়িয়ে অপারেট করা যেতে পারে। বিশেষ করে শরত আর বসন্ত, এই দুই ঋতুতে তো ওপর থেকে মারাত্মক সুন্দর লাগার কথা।

অরফিয়াস এর ছবি

হ্যাঁ, ঠিক বলেছেন, এই দুই মৌসুমে পাহাড় আর জঙ্গল এর রূপ অসাধারণ !!

একটি নির্দিষ্ট রুটে বেলুন ব্যবহার করে ঘুরে বেড়ানোর আইডিয়াটা দারুন !! শুধুমাত্র সেনাবাহিনীর স্পর্শকাতর জায়গাগুলো রুটে না থাকলেই হবে।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

হিমু এর ছবি

এই গুগল আর্থের যুগে সেনাবাহিনী বেলুন নিয়ে হাস্যকর স্পর্শকাতরতা না দেখালেও পারে। ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্রের একগাদা স্যাটেলাইট সারাদিন ধরে ছবি তুলছে যেখানে, সেখানে বেলুন আটকিয়ে মশা মেরে ঐ গরজে কামান বিপ্লব মারিয়াছির কি কোনো অর্থ হয়? প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকেও বেলুনিং প্রোটোকোলে অন্তর্ভুক্ত করা যায়।

তাছাড়া ওয়েদার বেলুন ষাট হাজার ফিট ওপর থেকেও ছবি তুলতে পারে। আমার ধারণা বাংলাদেশের আকাশসীমার ওপর প্রচুর ভারতীয় ওয়েদার বেলুন প্রায়ই ছবি তুলে বেড়ায়। আমাদের স্পর্শকাতর স্থাপনার লুঙ্গি স্পেস এজ থেকেই উত্তোলিত অবস্থায় আছে।

অরফিয়াস এর ছবি

হ্যাঁ, তাতো আছেই, কিন্তু জানেনইতো এসব বিষয়ে আমাদের দেশের আইনসংশ্লিষ্ট লোকেরা আবার বিশেষ তত্পর কিনা !!

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

আইডিয়াটা সত্যিই খুব ভাল।
ছবিগুলোও চমৎকার ।

চিলতে রোদ  এর ছবি

অনেক ভালো আইডিয়া! হাসি
তবে একটা বিষয় গুরুত্বপূর্ণ... বেলুন টেক-অফ ল্যান্ড করতে বেশ অনেক টুকু খালি জায়গা লাগে সম্ভবত। কারন বেলুনের ক্ষেত্রে কোন রানওয়ে নির্দিষ্ট করে দেওয়া যায় না। আমাদের মত জনবহুল জায়গায় তো এরকম জায়গা পাওয়া দুষ্কর। পাহাড়ে তো ল্যান্ড করা সম্ভব না।
এই ব্যাপারে জানতে চাই...

হিমু এর ছবি

বেলুন ল্যাণ্ড করানোর মতো ফাঁকা জায়গা পাওয়া যাবেই কোথাও না কোথাও।

দ্রোহী এর ছবি

সবকিছুই ঠিকাছে কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না যে দেশটা বাংলাদেশ। মাননীয় বেলুনমন্ত্রীর গ্রাস থেকে বেলুনের ছাল-চামড়া বাঁচাবে কে?

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

খুবই চমৎকার একটা প্রস্তাব। আমাদের দেশে বেশ বড় বড় কিছু গ্রুপ আছে। তারা কি উদ্যোগ নিতে পারে না? অন্তত এই পোস্টটা কি তাদের দেখানো যায় না?

সাবেকা এর ছবি

আইডিয়াটা সত্যি চমৎকার মনে হচ্ছে । কিছু ঝক্কি ঝামেলা তো থাকবেই, তারপরো কেউ না কেউ যদি এগিয়ে আসেন, ব্যাপারটা খারাপ হবে না হয়ত ।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আমার মনে হচ্ছৈ বেলুন ল্যান্ডিং এবং সেটা উদ্ধার করে আবার উৎক্ষেপনস্থলে আনার খরচটা ঐ অঞ্চলে বেশী হবে। বিশেষ করে পাহাড়ি এলাকায় বেলুন উদ্ধার করাটা কঠিন হতে পারে। আমি অবশ্য একদমই জানিনা বেলুনকে একটা নির্দিষ্টস্থানে নামানো যায় কিনা।

হিমু এর ছবি

আবহাওয়া অফিসের ফোরকাস্ট থেকে একটা চার্ট তৈরি করে মোটামুটি টার্গেট করে ল্যাণ্ড করানো সম্ভব যদি পাইলট পাকা হয়। তবে কিছু বিপত্তি তো শুরুতে ঘটবেই। সেজন্যে পাইলটরা কিছু পাইলট ফ্লাইট চালাবেন কমার্শিয়াল ফ্লাইট শুরুর আগে।

বেলুন স্লো মুভ করে, আর বাতাসের দিক ধরে চলে, ম্যানুভারেবিলিটিও মাত্র একটা ডাইমেনশনে, সেটাও স্লো, কিন্তু বেলুন রাইড একটা দারুণ জিনিস। প্রথমত, বাতাসের সাথে চলে বলে বেলুনে সবকিছু একেবারে শুনশান থাকে। আর বেলুনের ভেতরটা ফাঁপা থাকে বলে সেটা একটা সাউন্ড বক্সের মতো কাজ করে, নিচে মাটিতে যেসব শব্দ হয়, সেগুলো বেলুনে অ্যাম্পলিফায়েড হয়ে শোনা যায়।

স্পর্শ এর ছবি

"পর্যটন শিল্পে বেলুন"
শুনে আমি যা ভাবছি পাঠকরাও কি তাই ভাবছেন দেঁতো হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

কল্যাণ এর ছবি

দেঁতো হাসি শয়তানী হাসি

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

জয় এর ছবি

হাই টেনশন লাইন একটা বড় সমস্যা হতে পারে। আমাদের দেশের সব ইলেক্ট্রিক কেবেল মাটির উপরে।
প্যারা-গ্লাইডার ঘুরে বেড়ানোর জন্য আর একটা চমৎকার যন্ত্র। যেদিকে খুশি নিয়ে যাওয়া যায়। তেলের খরচও বেশি না।

হিমু এর ছবি

ট্র্যান্সমিশন লাইন থেকে দূরে টেক অফ আর ল্যাণ্ড করতে হবে। বেলুন তো উড়বে ধরুন এক থেকে পাঁচ হাজার ফিটের মধ্যে। ঐ উচ্চতায় বিপদ একটাই, সিভিল ও মিলিটারি এভিয়েশন করিডোরে পড়ে যাওয়া। সেটা এড়াতে পারলে বাকিটা কঠিন কিছু নয়।

দিগন্ত এর ছবি

বাংলাদেশ আর্মি বা এয়ারফোর্স নিজেরাই তো এই ব্যবসা চালু করে দিতে পারে। ব্যবসা করতে ক্ষতি কোথায়? বেলুন-ভ্রমণ অত্যন্ত জনপ্রিয় হবে, কোনো সন্দেহ নেই।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

হিমু এর ছবি

জেনারেল সাহেব, এ সুযোগ হেলায় হারাবেন না। আমাকে আইডিয়ার জন্য আজীবন ফ্রি পাস দিয়েন।

ধুসর জলছবি এর ছবি

খুবি চমৎকার আইডিয়া। কাজটা করতে গেলে হয়ত ঝক্কি পোহাতে হবে অনেক, কিন্তু অসম্ভব কোনমতেই না। এখন তো এদেশে অনেক বেসরকারি এভিয়াসন সার্ভিসও আছে। তাদের ভিতর থেকেও কেউ চাইলেও করতে পারে। ভালভাবে করতে পারলে অনেক লাভজনক হওয়ার কথা। তবে সমস্যা একটাই। এদেশে অধিকাংশ মানুষই ব্যবসা করতে গেলে ক্রেতার চাহিদা, সুযোগ সুবিধা , নিরাপত্তা এইগুলি না ভেবে খালি নিজের লাভ ভাবে,সেরকম হলে এক্সিডেন্ট হবে , এবং আকাশ পথে এক্সিডেন্ট ভয়ানক বেশি ।সেক্ষেত্রে যানবাহনে এক্সিডেন্ট করা মৃত মানুষের সংখ্যাই বাড়বে। (আসলে আমাদের দেশে যাতায়াত ব্যবস্থার যা অবস্থা সেটা দেখেই নতুন কিছু ভাবতেও ভয় লাগে। মন খারাপ )

কাজি মামুন এর ছবি

বাঙালি পর্যটক কোথাও গেলে সে জায়গাটা যথেচ্ছ নোংরা করে দিয়ে আসে।

একমত। আমি প্রথমবার যেয়ে যে নয়নাভিরাম রাঙ্গামাটি দেখেছিলাম, দ্বিতীয়বার গিয়ে অনেক খুঁজেও তাকে পাইনি। যত দিন যায়, যত পর্যটক আসতে থাকে, তত তা জৌলুস হারাতে থাকে; অথচ উল্টোটাই তো হওয়া উচিত ছিল। অধিক পর্যটক, অধিক মুনাফা, অধিক উন্নয়ন/মেইনটেইনেন্স, অধিক ভবিষ্যৎ মুনাফা- অর্থনীতির এই সরল নীতি বাংলাদেশের পর্যটন সাইটগুলোর জন্য সত্য নয়। রাঙ্গামাটি, বান্দরবন, সেন্টমার্টিন সবগুলোই পর্যটক ভারে রুগ্ন।
আপনার আইডিয়াটা অসাধারণ (হয়ত কোন উদ্যোক্তা লুফে নেবে, যদিও আইডিয়া জেনারেশনের কৃতিত্ব আপনাকে নাও দিতে পারে!); তবে আপনার আহবানে সাড়া দিয়েই কিছু সমস্যা তুলে ধরছিঃ
(১)আপনি দূষণ রোধের একটি উপায় হিসাবে দেখছেন বেলুন ভ্রমণকে; কিন্তু বেলুন ভ্রমণ করতে সক্ষম হবে মাত্র অভিজাত ব্যক্তিরা; তাই আম-পর্যটকরা আগের মতই পর্যটন সাইটগুলো দূষণে লিপ্ত থাকবে। দূষণ কয় শতাংশ কমানো যাবে সেক্ষেত্রে?
(২)আপনি বলেছেন ব্যাকপ্যাক বহন করে পাহাড় টপকে কোথাও যাওয়ার মত তেল বেশিরভাগ পর্যটকেরই (সম্ভবত বাঙালি পর্যটকের কথাই বলেছেন) থাকে না; তাহলে আবহাওয়াজনিত ফ্যাক্টরটিকে আপনি গৌণ করেই দেখেছেন মনে হয়; কারণ আয়েশি বাঙালি পর্যটককে কি লাইফ জ্যাকেট দিয়ে ক্র্যাশ ল্যান্ডিং সংক্রান্ত শংকা ভোলানো সম্ভব হবে?
(৩)আপনার মতে, বেলুন পর্যটন সেবাখাত দাড়িয়ে গেলে দেশেই উৎপাদন করা যাবে নির্মাণ সামগ্রী; কিন্তু কিভাবে এই খাত নিজের পায়ে দাঁড়াবে, যখন জোর সম্ভাবনা রয়েছে যে এটি অভিজাতদের ও বিদেশীদের অংশগ্রহণে ধন্য হবে শুধু। সর্বসাধারণের অংশগ্রহণ ছাড়া কোন সেবা শিল্প প্রতিষ্ঠা পেতে পারে?
পরিশেষে, আপনার অভিনব আইডিয়াটির জন্য গুরু গুরু গুরু গুরু

হিমু এর ছবি

(২) বেলুন ভ্রমণ খুবই আয়েশী ভ্রমণ। এমনকি আপনি বাতাসের ঝাপটাও টের পাবেন না, কারণ আপনি বাতাসের সাথে চলবেন তখন (আপনার আর বাতাসের মধ্যে আপেক্ষিক গতিবেগ তখন শূন্য)।

(৩) যে কড়ি ফেলতে পারবে, সেই তেল মাখতে পারবে। ভোক্তাদের অংশগ্রহণ বাড়লে, প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করা গেলে খরচও কমে আসবে। এটা অন্যান্য গাইডেড ট্যুরের মতোই। তবে অভিজ্ঞ পাইলট আর করিডোরের অপ্রতুলতার কারণে হয়তো বেশি ট্রিপ নিশ্চিত করা যাবে না, তাই এটা শুরুতে বিত্তবানের জন্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। তারপর এটা কীভাবে বেড়ে উঠবে বা আদৌ উঠবে কি না তা বাজারের ওপর নির্ভর করবে। আর কর্তৃপক্ষীয় হস্তক্ষেপের কিসিমের ওপর।

চিলতে রোদ এর ছবি

কেওকারাদং-জাদিপাই ঝর্ণা গিয়েছিলাম কিছুদিন আগে ট্রেকিং করতে। ভেবেছিলাম মাঝে পথ হারানোর মত এডভেঞ্চার হলে মন্দ হবে না। কিন্তু পুরো পথে একটু পর পর চিপ্স এর প্যাকেট/রুচি চানাচুরের প্যাকেট/এনার্জি বিস্কুট এর প্যাকেট ছড়ানো ছিটানো। আমরা মহান জাতি!

হিমু এর ছবি

লিটারিং যে একটা অসভ্যতা, এটা বয়ষ্ক লোকেরাও জানে না, ছেলে মেয়েদের শেখাতেও পারে না। আমি ধাড়ি ধাড়ি লোকজনকে দেখেছি অবলীলায় যেখানে সেখানে খোসা ফেলে বেড়াতে। কিছু বললে তারা আবার খ্যাক করে ওঠে। এইসব লোকজনরে কোমরে দড়ি বেঁধে ছয় ঘন্টা রাস্তা সাফ করানো দরকার।

আশালতা এর ছবি

চলুক

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

শিশিরকণা এর ছবি

চলুক ওতিব সত‌্য কঠা।

ধুরবাল: কোমেন্টের ডিফোল্ট কিবোরডে এমোন লাটসাহেব মারকা বাংলা বের হোয় কেন?

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

নীড় সন্ধানী এর ছবি

আইডিয়াটা চমকপ্রদ। এরকম কিছু হলে আমি বছরে দুচারদিন বেলুনে করে পার্বত্য চট্টগ্রাম বেড়াতাম। খাইছে

কিন্তু সমস্যা আছে একটা। এই প্রযুক্তি বাংলাদেশে সুলভ হলে আদমব্যাপারীরা ট্রলার বাদ দিয়ে উচ্চমূল্যে আদম পাচার শুরু করতে পারে বেলুন দিয়ে। থাইল্যান্ড মালয়েশিয়া সিঙ্গাপুর নিয়ে যাবার কথা বলে ডজনে ডজনে বেলুন ছেড়ে দেবে রাতের অন্ধকারে এবং ভোরবেলা নাসাকা বাহিনীর গুলিতে তার অনেকগুলোর পতন ঘটবে। তাই, বাংলাদেশে মনে হয় না বেলুন পর্যটন সম্ভব।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

হিমু এর ছবি

প্রযুক্তি তো এখনই সুলভ। ট্যুর অপারেটরেরও জাহাজ আছে, আদমব্যাপারীরও জাহাজ আছে। তাই বলে কি জাহাজ চলা বন্ধ করে দেয়া যায় বলেন?

দুর্দান্ত এর ছবি

শুনেছিলামে ঠান্ডা আর শুশ্ক আবহাওয়ায় পরযটন বেলুন সবচাইতে ভাল ওড়ে। আমাদের শীত-বসন্তকালীন তাপমাত্রা বাতাসের সিক্ততা এসব কি পরযটন বেলুন পরিচালনার জন্য় উপযোগী?

হিমু এর ছবি

নির্ভর করে সবচাইতে ভালো ওড়া বলতে আপনি কী বোঝান তার ওপর।

দুর্দান্ত এর ছবি

ভাল ওড়া বলতে বোঝাচ্ছি আরামদায়ক, দুই তিনজনের গ্রুপ, সারাটা সময় শুধু দাঁড়িয়ে না থেকে পালা করে বসবার ব্যাবস্থা। এসব আরকি। আমি অঙ্কে লবডঙ্কা। তাই তুমিই নাহয় একটু আমাকে সাহায্য করলে। যদি ১৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রার কোন একটি দিনে যাত্রী-ঝুড়ি-বারনার-বেলুন সব সহকারে ৩৫০-৪০০ কেজির মত ওজনকে ১০০ ফুট উচ্চতায় তুলতে বেলুনের আকার আর ভেতরের তাপমাত্রা কত রাখতে হবে? তেমন আকারের ও ভেতরের তাপমাত্রা সহ্য করতে পারার মত নায়লন কাপড় কি সহজলভ্য?

হিমু এর ছবি

ডাইমেনশনিং করে দিতে পারছি না এখন। আপনার কাছে যদি আবহাওয়াকে চ্যালেঞ্জিং মনে হয়, তাহলে একটু গুগল করে দেখুন, সাহারার ওপর দিয়ে প্রচুর প্যাকেজ বেলুন ট্যুরের বিজ্ঞাপন পাবেন। আমাদের দেশে যে "এক্সট্রা গরম", তার জন্যে হয়তো প্রোপেন সামান্য বেশি পুড়বে।

বেলুন ফোলানোর সময় প্রোপেন ফ্লেম সরাসরি বেলুন ফ্রেমের ভেতরে থ্রো করা হয়। সেটা সহ্য করে নায়লন যখন গরম বাতাসে ফুলে উঠতে পারে, ঐ বাতাসটুকুর তাপ সহ্য করতে পারবে নিশ্চয়ই। দুনিয়ার অন্য দেশে পারলে, বাংলাদেশে না পারার কোনো কারণ মাথায় আসছে না।

টোকাই এর ছবি

যখন পড়া শুরু করেছিলাম, তখন বেশ কিছু প্রশ্ন মাথায় এসেছিল। তবে পড়ে নিচে নামতে নামতে কিছু আছে যেগুলো আগেই কেউ করে ফেলেছে, বাকিগুলো ভুলে গেছি।
বেলুন ওড়ানোর টেকনিক্যাল দিকগুলো সম্পর্কে ধারণা নাই, তবে মনে হয় দুয়েকটা মডেল দেখেছিলাম যেগুলা পুরাপুরি বাতাসের মর্জিমত চলে না, পুরান আমলের প্লেনগুলার মত প্রপেলার লাগানো আছে, তাই গতিপথের কিছুটা অল্টারেশান ঘটানো যায়। ওইগুলা কি এই ক্ষেত্রে ইমপ্লিমেন্ট করা যায় ?? কারণ আমার যা মনে হয়, বেশিরভাগ মানুষের কাছে এখনো দুঃসাহসিক কিছু মুহূর্তের চেয়ে সেফটি ফ্যাক্টরটা বড়। তাই তারা ভাগ্যের হাতে পুরো জিনিসটা ছেড়ে দেয়া পছন্দ করবে না।অবশ্য এটা খুটিনাটি দিক। জিনিসটা চালু তো হোক আগে্‌।
আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে সরকারের কাছ থেকে প্রথম উদ্যোগ নেয়া হবে, এই আশা না করাই ভালো। প্রাইভেট সেক্টর থেকেই কাউকে এগিয়ে আসতে হবে।
আমাদের এমন কাউকে দরকার, যার স্বপ্ন দেখার সাহস আছে, এবং সেই সাথে ট্যাঁকের জোরও আছে।
আইডিয়াটা সিরিয়াস পছন্দ হইছে। ভাবতে থাকি, আরো কিছু মনে পড়লে জানাব।

হিমু এর ছবি

প্রপেলার লাগালে যে সমস্যা হবে, সেটা হচ্ছে বেলুন ভ্রমণের মূল আকর্ষণের একটি, শান্ত সমাহিত ভাব (ট্র্যাঙ্কুইলিটি), সেটা নষ্ট হবে। কারণ প্রপেলার লাগানো থাকবে একটা এনজিনের সাথে, সেটা অনেক বাজে শব্দ করবে। কানের কাছে ঐ বিকট শব্দ নিয়ে কয়েক ঘণ্টা ভ্রমণ করা পীড়াদায়ক ব্যাপার। তবে প্রপেলার লাগালে বেলুনের ম্যানুভারেবিলিটি অনেক বাড়ে, তবে তাতে করে যে সেফটি ফ্যাক্টর বাড়ে, এমনটা বলা যায় না। বিবিসি একটা বেলুন ব্যবহার করে তাদের কিছু এরিয়াল শটের জন্যে, সেটার নাম সিনেব্যুল, সেটাতে প্রপেলার লাগানো আছে।

মানস এর ছবি

খুবই ভালো প্রস্তাব নিঃসন্দেহে কিন্তু আমার আপাতত একটি সমস্যাই বারবার মাথায় আসছে। পার্বত্য অঞ্চলে শীতকালে যে পরিমাণ কুয়াশার দাপট থাকে আর শীতকালই হলো আমাদের দেশের মানুষের সবচেয়ে পছন্দের বেড়ানোর সময় সেই সময়টাতে বেলুনে উড়তে উড়তে নিচের সৌন্দর্য কতটা উপভোগ করা যাবে বা কতটুকু দৃষ্টিগোচর হবে সেটাই ভাবনার বিষয়। এমনিতে সুপার ডুপার লাইক। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। পর্যটন শিল্প সেসব দেশে আশাতীতভাবে বিকশিত হয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরো হবে। আমাদের দেশে পর্যটনশিল্পের বিকাশের জন্য অতি প্রয়োজনীয় একে চালু করা। আশা করি লেখকের থেকে আমার প্রশ্নের জবাব পাবো। আগামী সরকারের বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী হিসেবে হিমু ভাইয়ার নাম প্রস্তাব করছি। প্রস্তাবের পক্ষে যারা আছেন তারা হাঁ বলুন গুরু গুরু দেঁতো হাসি

হিমু এর ছবি

অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।