মিনিস্ট্রির সঠিক বাংলা মন্ত্রণালয় না হয়ে মন্ত্রক হওয়া উচিত, এমন একটা কথা পড়েছিলাম কোথাও। মন্ত্রণালয় শুধু একটি বাড়িকে নির্দেশ করে, প্রতিষ্ঠানটিকে নয়। আমাদের মন্ত্রকগুলো কমবেশি বড়সড়, এগুলোর অধীনে অনেক লোকে কাজ ও অকাজ করে। এই কাজ ও অকাজের দায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের ওপর যেমন চাপে, তেমনি চাপে তাদের ঊর্ধ্বতনদের ওপরও।
সরকারি কাজকর্মের কিসিম সম্পর্কে আমার ধারণা তেমন স্বচ্ছ নয়, তাই রেল মন্ত্রকের (বা যে কোনো মন্ত্রকের) মন্ত্রীর এপিএসের কাজ কী, জানার জন্যে গুগলের শরণাপন্ন হলাম। সরকার ডিজিটাল ডিজিটাল বলে আলজিহ্বা ক্ষয় করে ফেললেও রেল মন্ত্রকের কোনো ওয়েবসাইট এখনও নেটস্থ হয়নি, তাই তার আদিরূপ যোগাযোগ মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে গেলাম। সেটি মোটামুটি গোছানো, যদিও কোনো লিঙ্কে ক্লিক করলে বিচিত্র প্রাগৈতিহাসিক চেহারার সব পেইজ খোলে। এক জায়গায় যোগাযোগ মন্ত্রকের মন্ত্রীর এপিএসের হদিশ পেয়ে আগ্রহভরে তার জব ডেসক্রিপশনে ক্লিক করে একটা খালি পেইজ পেলাম। মন্ত্রী বা তার পিএস, এপিএস কারোই জব ডেসক্রিপশনের কোনো বালাই নেই, সেই পেইজগুলো ফাঁকা। যোগাযোগ সচিবের জব ডেসক্রিপশন আছে, কিন্তু তার পিএসের আবার সেই দীনহীন দশা, বেচারার জব আছে, ডেসক্রিপশন নাই। তবে যোগাযোগ সচিবের পিএস একজন জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব।
আমি যতদূর জানি, মন্ত্রীর পিএস একজন সরকারী কর্মকর্তা, কিন্তু এপিএস রাজনৈতিক চ্যানেলে নিযুক্ত কর্মকর্তা। আমার কৌতূহল, মন্ত্রীর এপিএসদের কাজ কী? বিশাল মন্ত্রকের নানা দিক সামলাতে মন্ত্রীর লোকবলের প্রয়োজন হতেই পারে, কিন্তু কেন একজন একান্ত সচিব ও একজন জনসংযোগ কর্মকর্তার পরও মন্ত্রীছাহেবের আরো একজন সহকারী একান্ত সচিব প্রয়োজন হয়? কী সেই অতিরিক্ত কাজ?
আবারও গুগলের শরণাপন্ন হলাম। এপিএস লিখে প্রথমে খোঁজ করলাম দায়িত্বশীল খালুপেপারে। ও মা, গুগল দেখি শুধু বদনাম করে! কোনো ভালো খবর বের হয় না মন্ত্রীর এপিএসদের নামে। তারা প্যান্টের ওপর জাঙ্গিয়া পরে ক্রাইমফাইটিং করবে, কিংবা অগ্নিনিমজ্জিত সুউচ্চ ভবন থেকে কোনো সুন্দরী তরুণীকে ঘাড়ে করে নামিয়ে আনবে, এমন কোনো অভ্রংলিহ প্রত্যাশা আমার ছিল না। তারা মন্ত্রকের কাজ করছেন, এমন স্বাভাবিক উল্লেখ দেখলেই আমি খুশি হয়ে উঠতাম বোধহয়। কিন্তু দায়িত্বশীল খালুপেপারের পাল্লায় পড়ে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর এপিএসবৃন্দ শুধু মুন্নির মতোই বদনাম হয়ে আছে দেখলাম। কিছু উদাহরণ দিচ্ছি।
১. লোকমান হত্যা: আত্মসমর্পণের পর রিমান্ডে মন্ত্রীর এপিএস
নরসিংদীর পৌর মেয়র লোকমান হোসেন হত্যা মামলায় টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর এপিএস মাসুদুর রহমান মুরাদ আদালতে আত্মসমর্পণের পর তাকে দুদিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। ...
২. রংপুরে গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর এপিএস গ্রেপ্তার
রংপুরে টেন্ডারবাজির ঘটনায় গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) সাজ্জাদ হোসেন সাগরসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ...
৩. রেলমন্ত্রীর সহকারীর গাড়িতে ‘বিপুল’ টাকা
রেলওয়ের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা এবং মন্ত্রীর সহকারীকে বহনকারী একটি গাড়ি থেকে সোমবার রাতে বিপুল পরিমাণ টাকা পাওয়ার খবরের পর রেলপথ মন্ত্রণালয় দুটি তদন্ত কমিটি করেছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। ...
৪. জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার দুই আসামির জামিন
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে আসামি দুই জন জামিন পেয়েছেন। তারা হলেন- খালেদার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীর এপিএস জিয়াউল ইসলাম (মুন্না) এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার এপিএস মনিরুল ইসলাম খান। ...
৫. দিনাজপুর প্রেসক্লাব দখল: পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
দিনাজপুর প্রেসক্লাব ভবন দখলের অভিযোগে ভূমি প্রতিমন্ত্রীর এপিএস মির্জা আশফাক হোসেনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। ...
৬. ধামরাইয়ে জ্বালানি উপদেষ্টার এপিএসের বিরুদ্ধে মামলা
ঢাকার ধামরাইয়ের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করায় প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই-ইলাহী চৌধুরীর এপিএস মনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ...
৭. সহকারী কমিশনারকে সাংসদের এপিএসের হুমকি
গোবিন্দগঞ্জ সদর আসনের সাংসদের এপিএস মতলুবর রহমান নান্না সাংসদকে না জানিয়ে নোটিশ টানানোয় বিকালে মোবাইল ফোনে তাকে (ফেরদৌস) গালাগাল এবং অফিস থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন। ...
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে সরকারদলীয় সংসদ সদস্যের সহকারীকে গুলি চালানোর পর গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহতের নাম সারোয়ার হোসেন মোফাজ্জেল (৪০)। তিনি ময়মনসিংহ-১০ আসনের সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিন আহমেদের সহকারী ব্যক্তিগত সচিব (এপিএস) ছিলেন। ...
৯. দুর্নীতির জন্য প্রধানমন্ত্রী খালেদার সহকারী শামসুলের ১৩ বছরের কারাদণ্ড
দুর্নীতির দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সহকারী ব্যক্তিগত সচিব (এপিএস) মো: শামসুল আলমকে ১৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ৮৮ লাখ টাকা জরিমানা এবং তা অনাদায়ে আরো এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে স্বামীর দুর্নীতিতে সহযোগিতা করায় শামসুল আলমের স্ত্রী খাদিজা আনামকে তিন বছরের কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা জরিমানা এবং তা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ডও দেওয়া হয়েছে। ...
১০. সাঁথিয়ায় নিজামীর সাবেক এপিএসসহ ৮ জন গ্রেপ্তার
ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর সাবেক এপিএস শফিকুল ইসলাম রতনসহ ৪ জামায়াত কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ...
এই দশটি খবর আপাতত দায়িত্বশীল খালুপেপারের ভাঁড়ারে পাওয়া গেলো। দলমত নির্বিশেষে এপিএসবৃন্দ যে নানা অকাজে জড়িত থাকেন, সেটা পরিষ্কার। তাদের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ, কিন্তু বীরভোগ্যা বসুন্ধরা।
এপিএসের এই দাপটের উৎস খুঁজতে আমাদের চীন দেশে গমনের প্রয়োজন নেই। এপিএস মন্ত্রী-পাতিমন্ত্রী-টুনিমন্ত্রীর সারোগেট মাত্র। মন্ত্রী নিজে যে সব ডার্টি জব ভাবমূর্তির খাতিরে সশরীরের গিয়ে করতে পারে না, সেইসব ছাই ফেলতে ভাঙা কুলার কাজ করে এইসব এপিএসের দল। এরা হয় মন্ত্রীর আত্মীয়, এবং/অথবা দলের ছাত্র শাখার প্রাক্তন নেতা। মন্ত্রী নিজে ঘুষের বখরা নিতে অধস্তন চোর আমলার কাছে যেতে পারেন না (আরে ওনার একটা মান ইজ্জত আছে না?), তাই তার হয়ে সেখানে যায় এপিএস। মন্ত্রী নিজে স্থানীয় বেয়াদব আমলা-সাংবাদিক-পাবলিককে দুইটা চটকানা দিতে পারেন না, তাই সেই ময়লা কাজটা করে এপিএস হাত গন্ধ করে। কারো লাশ পড়লেও পেছনে মন্ত্রীর জায়গায় মন্ত্রীর এপিএসকে পাওয়া যায়, আবার পাল্টা লাশ পড়লেও মন্ত্রীরটা না পড়ে এপিএসেরটাই পড়ে। এপিএস তাই কার্যত মন্ত্রীর সক পাপেট। বাটে পড়লে "এপিএস পচা ওকে বকে দেবো" বলে নিজে সটকে পড়ার একটা উপায়ও থাকে।
এপিএস নিয়োগ করে মন্ত্রীরা কী কাজ উদ্ধার করেন, ওপরের দশটা খবর থেকে পড়ে ধারণা করা যায়। আমার প্রশ্ন, মন্ত্রী-পাতিমন্ত্রীদের এই রাজনৈতিক ডালকুকুরদের বেতন কি জনগণের ট্যাক্সের পয়সা থেকে আসে?
যদি এপিএসদের কাজই হয় টেন্ডার নিয়ে মস্তানি, আততায়ী ভাড়া, বখরা পরিবহন, বেয়াদব শাসন ও প্রহার, জমি দখল, ইত্যাদি, তাহলে সেসব মন্ত্রকের ওয়েবসাইটেও জব ডেসক্রিপশন পেইজে লিপিবদ্ধ করা হোক। যদি করা না যায়, তাহলে মন্ত্রীর এপিএস পদটি বিলোপ করা হোক। যদি এপিএসের বেতন পাবলিকের পয়সায় দেয়া হয়, তাহলে সেই পয়সা বাঁচিয়ে মন্ত্রীকে নিজেই কষ্ট করে ওপরোক্ত কাজগুলো সশরীরে করতে দেয়া হোক। পাবলিক এতকিছু সহ্য করে নিচ্ছে যখন, ঐটুকুও পারবে। আর মন্ত্রীরাও সশরীরে মাঠে নেমে করে কর্মে খেতে পারবেন। উল্লেখের অযোগ্য প্রত্যঙ্গে চর্বি কম জমবে, কাজেকর্মে গতি আসবে।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এই ৭০ লক্ষ টাকার কিচ্ছা কীভাবে ডিল করে, দেখার জন্যে আগ্রহ ও পপকর্ন নিয়ে বসলাম। শুধু একটাই কথা, আপনার এপিএস চোর, আপনার রেলওয়ের জিএম ঘুষখোর, আর আপনি একা সাধু, এই কথা বিশ্বাস করার মতো কাঠবলদ দয়া করে আমাদের ভাববেন না। তারচেয়ে টিভি ক্যামেরার সামনে একটা হাসি দিয়ে বলুন, ম্যাঁও!
মন্তব্য
ঘাবড়ায়েন না। আমরা খালি কাঠবলদ না, আমরা টাইটানিয়ামবলদ। বিশ্বাস না হলে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করেন।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
এপিএসদের কাজ তদবির সামলানো। আর মন্ত্রীর আন্ডার দ্য টেবিল কাজকর্মও ওনারা দেখে থাকেন। পিএস একটু উচু পর্যায়ের (এ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি?) সরকারি আমলা।
সুরুদাকে একটা
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
এইচ টি ইমাম বা ম খা আলমগীরাই বলিতে পারিবে আস্ত মন্ত্রনালয়/সচিবালয়ের পরে এক একজন মন্ত্রীর ৯ সদস্য়ের একান্ত নিজস্ব লোকবল কেন দরকার হয়। মন্ত্রীর সাথে সচিবালয়ের দূরত্ব বাড়লে মন্ত্রী একার লাভ?
সত্য়মিথ্য়া জানিনা, কালের কন্ঠের পড়লাম বরতমান সরকারের কোন একমন্ত্রীকে যুবলীগ থেকে এ-পি-এস দেয়া হয়েছিল, সে রাজী হয়নাই, তাই এখন তার কোন আনুষ্ঠানিক এ-পি-এস তো নাই-ই, কোন পি-এস ও নেই।
এপিএসের কাজ হল মন্ত্রীদের ডান-বাম হাতের কম্ম সম্পাদন করা।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
আমি এক স্বনামধন্য মন্ত্রীর এপিএস এর কাহিনী প্রায়ই আমার এক আত্মীয়র মুখে গর্বভরে বলতে শুনি,যে যখনই উনারা ঢাকা এয়ারপোর্টে পা রাখেন তখন উনার আত্মীয় সেই এপিএসের দাপটে কি করে নিজে অতি সাধারণ হওয়া সত্ত্বেও ভি আই পি লাউঞ্জ ব্যবহার করে গটগট করে কোন কিছুর পরোয়া না করে বের হয়ে যান, ইত্যাদি ইত্যাদি । শুনি আর চমতকৃত হই !
ভাই , আমারো এপিএস হইতে মুঞ্চায়।।।।।।।।
এপিএসদের কীর্তিকলাপের দারুণ কম্পাইলেশন। একজন মন্ত্রির পিএস হয় বোধহয় একজন ডেপুটি সেক্রেটারী আর যেখানে এপিএস হয় প্রাক্তন ছাত্রনেতা/ক্যাডার। এ থেকেই বোঝা যায় কার কি 'কাজ'। সুরঞ্জিত এটার দায় ইতোমধ্যেই এড়ানোর ব্যবস্থা করে ফেলসে। আজকের পেপারে দেখলাম সে বলছে গাড়ি মন্ত্রীর বাসা না, বরং মোহাম্মদপুরে এপিএস এর বাসার দিকে যাচ্ছিল। ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার ছক অলরেডি তৈরী। কিছুতেই কিছু হবেনা এসব গডফাদারদের। একটা সুইসাইড স্কোয়াড এখন সময়ের দাবী।
কবে করছেন সুইসাইড? কুলখানিতে দাওয়াত দিয়েন।
ভাবছি কুলখানিতে দাওয়াত না দিয়ে স্কোয়াডে দাওয়াত দিব কিনা
facebook
আমিও সকাল থেকে পপকর্ন নিয়ে বসে আছি। সাথে এটা খোঁজ করছি বাংলাদেশে সর্বশেষ দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করেছেন কোন মন্ত্রী (অথবা তার থেকে উচ্চ পদে থাকা ব্যক্তি)। দুঃখের বিষয়, তালিকাটা শুরু করতেই শেষ হয়ে গিয়েছে।
টুইটার
ইদানিংকালের বাঙালির কাজই হচ্ছে পপকর্ন নিয়ে বসে থাকা। এত পপকর্ন আপনাদের জন্য কে ভাজবে?
কেন, বজলুর রহমান?
এরকম 'বাঘের বাচ্চা' টাইপ লেখা কিভাবে লেখেন?
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
ভাই হিমু : আপনি বড়ই তেক্ত বিরক্ত করতাসেন কইলাম৷ বাবু কত দিন দাত মুখ খিচাইয়া বড় বড় কত কথা কইলো৷ আপনি সেইটা দেখলেন না৷ তেনা কি আবুইল্লার মত এমতে এমতে মন্ত্রী হইসে নাকি৷ কত কাঠ খর পুরায়তে হইলো তার৷ শেষ এ গিয়া না দুধে চিরা ভিজলো৷ মায়ের কোলে প্রসাদ দিতে দিতে উনার মাথার চামড়া উইঠা গেল৷ আপনার সেইটা চোখে পরে না৷ চোখে পরে খালি ওই সামান্য ৭০ লাখ টাকা৷ ছে ছে ছে!! তার ও তো জিব্বা আছে৷ মাঝে মাঝে বিলাই এর মত চেটে চেটে দই খেতে ইচ্ছা করে৷ আর আপনার কাছে ওই ৭০ লাখ টাকা বড় হইলো৷ ধুর মিয়া!!! আপনারা হের মনের কষ্ট তাই বুঝলেন না!!!
আপনার এই "বাবু" আর "মায়ের কোলে প্রসাদ" শব্দ দুইটা দেখে বুঝলাম, আপনি সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের হিন্দু পরিচয় নিয়ে খুব উত্তেজিত। আপনি কি একই ভাবে তারেক জিয়া, মোহাম্মদ নাসিম, সালমান রহমানদের টাকা মারার ঘটনায় "মিঞা" আর "ক্কাবার দেয়ালে চুম্মা" লিখতে পারবেন?
আপনি কি সুরঞ্জিতের দুর্নীতির সম্ভাবনার ঘটনায় ক্ষুব্ধ, নাকি সুরঞ্জিত হিন্দু হওয়ায়? ঝেড়ে কাশেন। আপনি মানুষ না ছাগু জানা দরকার।
লিখতে না পারার তো কোনো কারণ বোধ করছি না৷ আর আপনি অযথাই ধর্ম নিয়ে টানলেন। যে দুর্নীতি করে সে একজন দুর্নীতি বাজ। সে হিন্দু হোক আর মুসলমান হোক বা অন্য কোনো ধর্ম পালন করুক। তাতে আমার কি। সে কোনো মন্দির এ মাথা ঠেকালো না মসজিদ এ মাথা নওয়ালো তা তার নিজস্য বেপার। কমেন্ট লেখার সময় এটা মাথায় আসে নি। আপনার জবাব পরে মনে হলো।
ভিতরে যে ছাগু বাস করে, সে আপনার অজান্তেই আপনার আঙুল বেয়ে বেরিয়ে আসতে পারে আরিফ। তাকে কুরবানি করে দিন। ধন্যবাদ।
শেয়ার দিলাম
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
সুরঞ্জিতের এপিএস যা করছে তাই আসল কাজ।কথাটা ভাল লাগতে না পারে, কিন্তু এইটাই সত্যি।
দ্রোহী যা বলছে তার উপরে আর কথা নাই।
এপিএস পোস্টের মত উপদেষ্টার পোস্টগুলিও আমার কাছে অস্পষ্ট। উনারা মন্ত্রীর হালে চলেন, ক্ষেত্রবিশেষে মন্ত্রীর উপরও ছড়ি ঘোরান। জনগণের পয়সায় চলেন কিন্তু জনগণের কাছে কোন জবাবদিহিতা আছে কি?
এই জায়গাতে আপনার লেখাটি আলাদা মাত্রা পেয়েছে, হিমু ভাই। অনেকেই মন্ত্রীর চেয়ে বরং মন্ত্রীর এপিএসদের দাপটে বেশী অস্থির থাকে, আর এপিএসরা যে মন্ত্রীর ক্ষমতা ভাগিয়ে ব্যাপক খানাপিনা করে না তাও নয়; তবে সবচেয়ে বড় কথা হল, এই এপিএসরা আসলে মন্ত্রীর 'ডালকুকুর' বা 'ভাঙ্গা কুলা' হয়েই অপকর্মগুলি করে বেশিরভাগ সময়; এবং প্রয়োজনমত তাদের ছেঁটেও ফেলা হয়।
অনেক দরকারী লেখা হিমু ভাই। সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে ভাল মনে করেছিলাম।
হুমম এপিএস মানে তাহলে এই। আসলেই অনেকগুলো আপাত বিচ্ছিন্ন খবরকে ডেটা হিসেবে এক জায়গায় করলে দারুন প্যাটার্ন এবং সেটা থেকে ম্যাও বের হয়ে আসে।
ধরা পড়ছে এটা সত্য। এবারের ঘটনায় ড্রাইভার হুমকি দিয়েছে তারপর গাড়ি নিয়ে ফাঁসানোর জন্য ঐদিকে গিয়েছে - এই কাহিনী বিশ্বাসযোগ্য মনে হলেও এটার উৎস সম্পর্কে কি কোন তথ্য কোথাও আছে? পত্র পত্রিকায় খবরটাকে চমৎকার নাটুকে কাহিনীর মত করে উপস্থাপনা দেখলাম - কিন্তু যারা ধরলো, বা যাকে ধরলো তাদের কোনো বক্তব্য নাই। পিঠ বাঁচাতে হবে যাদের শুধু তাঁদের বক্তব্য আর পত্রিকার গল্পটা একই সুরে বাজছে - একটু কেমন জানি ইয়ে লাগছে না? গল্পটা যে সাংঘাতিকের কল্পনাপ্রসূত না সেটার গ্যারান্টি আছে নাকি?
এমনও তো হতে পারে, সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কারো আত্মীয়ের চাকুরীর জন্য তেল-তদবির কাজে লাগেনি। তাই ওরা তক্কে তক্কে ছিল ধরার জন্য। সামনে পেয়ে ধরছে: হয়তো ওদের গোয়েন্দারাও চোখ রাখছিলো।
কিংবা অজ্ঞাত কেউ কিংবা সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে ইচ্ছুক কিংবা দেশপ্রমিক কিংবা প্রতারিত কেউ ফোনে জানিয়েছে - পেট মোটা বিলাই যাচ্ছে ... ধর্ । যাই হউক, ড্রাইভারের কাহিনীটা বেশ মানানসই - কিন্তু ঐ ব্যাটারই তো কোনো পাত্তা নাই। কথিত ড্রাইভারের কোনো ট্রেস না থাকায় আদৌ কি কোনো ড্রাইভার গাড়ি চালাচ্ছিল নাকি এপিএস সাহেব নিজেই চালাচ্ছিলো সেটাও প্রশ্নের মুখোমুখি হতে পারে। বিডিআর-এর গেট দিয়ে কোন গাড়ি কখন ঢুকলো সেগুলো কি সিসিটিভিতে রেকর্ড করা হয় না?
কমেন্ট করার পর আজকের ইত্তেফাকের রিপোর্ট দেখলাম - ওখানেও কত কথা বলেছে
http://new.ittefaq.com.bd/news/view/89801/2012-04-13/1
আর সবচেয়ে এক্সট্রিম পসিবিলিটি হতে পারে রেলমন্ত্রীর বক্তব্য:
রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, রেলের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতেই তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে৷ তাঁর এপিএস'এর গাড়িতে ৭০ লাখ টাকার নাটক সাজানো হয়েছে৷
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
মন্ত্রী মহোদয়ের সংবাদ সম্মেলনের ভিডিও লিঙ্ক এখানে।।
যদ্দুর জানি সচিবের পিএস = জেষ্ঠ্য সহকারী সচিব, মন্ত্রীর পিএস = উপ-সচিব তবে অবস্থাভেদে পরিবর্তনও হতে পারে যেমন প্রধানমন্ত্রীর পিএস-১ আগে ছিলো অতিরিক্ত সচিব পদের আমলা কিন্তু পিএস-১ পূর্ণ সচিব।
---------------------
আমার ফ্লিকার
কোথাও কোন এক সূত্র ধরে এমন দুটো লাইন শুনে ছিলাম। কারণ জানিনা কিন্তু মনে রয়ে গেছে -
" রহিম উঠে দাঁড়া। ক্যান স্যার? তুই অন্যায় করেছিস। করিম ও উঠে দাঁড়াবে। ক্যান? সেও করেছিলো। স্যার আমিও কি কান ধরবো? হুমম! তাহলে স্যার ____
থাক! তোরা দুই জনেই বস।
আসলে অন্যায় বলতে___ ভেবে চিন্তে মাথা চুলকে,
তদন্তের পর তদন্ত, কমিটির পর আরো বড় কমিটি শেষে ইন্টারপোল, এফবিআই ___ এর পরে?
নতুন কোন তদন্তের কাজে হাত দিয়ে গিয়ে পুরনো ঘটনা অতীত।
ধার ছাড়া ছুরি দিয়ে জবাই দিলেও এতো দিনে আমরা মুক্তি পেতাম।
সময়ের দাবি চিৎকার করে বলা " যেই সমুদ্রসীমা জয় করেছেন তার মধ্যে নিয়ে সাধারণ জনগনকে ফেলে দিন। ওহ! তাও করবে না। ভূমিকম্পের আশংকা আছে। কোন মতে ক্ষয়ক্ষতির যদি হতে পারে তার সাহায্যের অংশটা তবে হাত ছাড়া হয়ে যাবে। আমরা তবে সেই ক্ষয়ক্ষতির অপেক্ষায় থাকি। আর তোরা চেটে পুটে খাওয়ার জন্য বিলাইর পেট খালি রাখার কসরত কর।
ঘুষ চলে কম বেশি সব মন্ত্রণালয়েই, বিপদে পড়লেন বেচারা সৎনেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। আহারে!
সরকারি কাজে পদে পদে টাকা লেনদেন। আমরা সবাই জানি। আমরা চুপ করে থাকি, কারণ কাজ উদ্ধার করতে শেষে গিয়ে আমাদেরও টাকা দেয়াই লাগে। মানে এই সিস্টেমে আমরা মানিয়েই নিয়েছি। কিন্তু এই সিস্টেমের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী কিন্তু গরীব মানুষেরা। এটা নিয়ে জোরেশোরে সোচ্চার হওয়া দরকার এখন।
ইংরেজি আলুতে খবর বেরিয়েছে, সুরঞ্জিতপুত্র সৌমেন সেনগুপ্ত ৫ কোটি টাকা দিয়ে টেলিকম লাইসেন্স কিনেছে।
সে চাকরি করতো মাসিক ৫০ হাজার টাকা বেতনে। তার বাপ হলফনামায় বার্ষিক আয় দেখিয়েছে সাত লক্ষ টাকা। আর এখন ৫ কোটি টাকা দিয়ে লাইসেন্স কিনে বেড়াচ্ছে।
দুদক আর রাজস্ব বিভাগ কি কখনও এইসবের তদন্ত করবে? এমনকি ক্ষমতায় অন্য কেউ আসলেও এগুলোর তদন্ত হবে না। লীগ-বিম্পি এইসবে ভাই ভাই। সব নেতার সম্পত্তির হিসাব আয়কর বিভাগ তদন্ত করে কর আদায় করলে বিশ্বব্যাঙ্ক মালয়েশিয়ার কাছে হাত পাততে হতো না, পদ্মার উপর দুইচারটা সেতু ঐ টাকাতেই হতো।
টেলিকম মন্ত্রী যেন কে?
বিটিআরসি এখনও আবুলের হাতে গিয়ে পড়েনি। পড়ানোর চেষ্টা চলছে।
চোরে চোরে মাসতুতো ভয় শুনেছি; তবে এদের চোর বললে কমই বলা হয় মনে হয়।
আম্লিগ-বিম্পির দূর্নীতি নতুন কিছু নয়; কিন্তু সুরঞ্জিত বাবুর কেসটা একদম ভাবিনি; তাহলে কেউ নেই? একজনও ক্লিন নেই?
ওবায়দুল কাদের ক্লিন
শুনছিলাম লাল নেতারা নাকি ক্লিন হন।
তত্তাবধায়ক এলে জেলে যাওয়ার ভয় তাহলে এই কারণে!!
সেটা উনি বলতে পারবেন
আলুর প্রতি এত বিবমিষা সত্ত্বেও আলু পড়েন কেন? সেটার রেফারেন্সই বা কেন?
আপনার তাতে গোয়া জ্বলে কেন নামনাই ওরফে সৌরভ ওরফে দোহার?
বাহ, কমেন্টের সাথে আইপি, ইউজার নেম ম্যাচ করে দেখছেন, সেটা আবার ইউজার নিকে এসে বলে যাচ্ছেন! ব্লগ মালিক, মডারেটর, ইউজার এই তিনটার ব্যবধান ভুলে যাইয়েন না ভাইয়া।
পাছা লুকায় কাঠিবাজি করতে আইসেন না ভাইয়া। কাঠি গোয়া দিয়ে ভরে দেবো।
সকালের চ্য়ানেল আই এর খবরে দেখলাম গাড়িতে আসলে ৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা ছিল বলে কেউ কেউ ধারনা করছে। একটা দাগফুটকি-হুলোর খোঁজ করা দরকার।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আমার গ্রামের বাড়ির এলাকার এমপি। তার নামে অর্পিত/শত্রু সম্পত্তি দখলের অভিযোগ শুনি মনে হয় ১৯৯৭ সালের দিকে, স্কুলের এক সহপাঠির কাছে।
আওয়ামী লীগে অনেক বর্ষিয়ান নেতা আছেন, আন্দোলন-সংগ্রামে অনেক পোড় খাওয়া। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় খুব বেশিদিন না থাকাতে এফিসিয়েন্টলি লুটপাট করতে শিখেননি, তাই খেতে গিয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে একাকার করে ফেলেন। ছাত্রলীগের নিয়মিত খবরে আসাও এর প্রমাণ। তাই আওয়ামী লীগ হাই কমান্ডের উচিত, নতুন মন্ত্রীদের বাধ্যতামূলক ভাবে নীরব লুটপাটের প্রশিক্ষণ দেয়া। বাঘা বাঘা রাজনৈতিকদের এত সহজে ধরা পড়তে দেখলেই কেমন লাগে।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
এপিএসদের কর্মকান্ডের যে দশটি উদাহরণ দিয়েছেন তাতেই এই পদটির কাজ সম্পর্কে ধারণার জন্য যথেষ্ট। অসম্ভব তথ্য বহুল একটা লেখা। ধন্যবাদ হিমু আপনাকে। তবে এ ধরণের বেড়াল সাধারণত ম্যাঁও করে না, ক্ষমতার দাপটে নিজেদের বাঘ মনে করে গর্জন করিতেই পছন্দ করে। আমাদের উচিৎ নির্বাচনের সময় ব্যালটের মাধ্যমে প্রমান করা কে বাঘ আর কে বিড়াল।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
নির্বাচনে জেতার পর সব বেড়ালই বাঘ হয়ে যায়।
মন্ত্রীরা মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসেবে তাদের মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত যেসব প্রশাসনিক কাজকর্ম থাকে, সেগুলো দেখাশোনা করেন তাদের পিএস-রা, যারা সরকারী কর্মকর্তা। কিন্তু রাজনৈতিন নেতা হিসেবে, এবং এলাকার এমপি হিসেবে মন্ত্রীদের আরো কিছু দায়িত্ব থাকে, যা একজন সরকারী কর্মকর্তাকে দিয়ে করানো যুক্তিসঙ্গত নয়-----মন্ত্রীদের এপিএসদের কাজ হলো সেইসব রাজনৈতিক দায়িত্ব পালন, তাদের নিয়োগও হয় রাজনৈতিকভাবে। সে হিসেবে পোস্টটি গুরুত্বপূর্ণ হলেও এর সুনির্দিষ্ট জব ডেসক্রিপশন উল্লেখ করা মুশকিল।
রাজনৈতিক দায়িত্ব পালনের জন্য প্রশাসনিক পদ? মন্ত্রীর এপিএসের বেতন, ভাতা, সুবিধা (গাড়ি, গাড়ির তেল, গাড়ির চালক) তাহলে পাবলিকের পয়সায় হবে কেন? মন্ত্রী নিজের গাঁট থেকে তাকে বেতন দিক, গাড়ি কিনে দিক, তেল কিনে দিক।
এই এপিএস পদের বৈধতা আদালতে চ্যালেঞ্জ করা উচিত।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
মন্ত্রীর এপিএসের আরেকটা কাজ মন্ত্রীকে ওষুধ-বড়ি খাওয়ানো। আমাদের এপিএসপ্রেমী মন্ত্রী বিদেশ ভ্রমনে সাথে স্ত্রী থাকলেও এপিএসের হাতে ছাড়া কিছু মুখেই তুলতে চান না।
নতুন মন্তব্য করুন