১.
ছুটির দিনে একটু দেরিতে ঘুম থেকে উঠে দু'টি খবর চোখে পড়লো।
বিডিনিউজের প্রথম খবরটিতে দেখলাম, বাংলাদেশ ক্রিকেট দল পাকিস্তান সফরে যাচ্ছে। ২৯ এপ্রিল লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে একটি একদিনের ক্রিকেট ম্যাচ এবং ৩০ এপ্রিল একটি টিটোয়েন্টি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে পিসিবি ও বিসিবি। বিসিবির সভাপতি মুস্তফা কামাল বলেছে,
“পাকিস্তানের জনগণ ক্রিকেট থেকে বঞ্চিত রয়েছে এবং আমরা মনে করি তাদের সমর্থন করা প্রয়োজন। নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখতে লাহোর ও করাচিতে সফর করার সময় আমারা যে অর্ভথ্যনা পেয়েছি তা অনন্য।”
লাহোরের এই গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আয়োজিত একটি সিরিজ খেলতে গিয়েই ২০০৯ সালের ৩ মার্চ সশস্ত্র হামলার শিকার হয় শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট দল [২] । নিহত হয় তাদের বহনকারী বাসের চালক ও নিরাপাত্তয় নিয়োজিত ছয় পুলিশ। আহত হন সাত ক্রিকেটার, তিলন সামারাভিরা,
তারাঙ্গা পারানাবিতানা, মাহেলা জয়াবর্ধনে, কুমার সাঙ্গাক্কারা, অজন্তা মেন্ডিস, সুরাঙ্গা লাকমাল, চামিন্দা ভাস ও সহকারী কোচ পল ফারব্রেস। প্রথম দু'জনকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছিলো। লাহোরের সেই হামলায় পুলিশ কমপক্ষে ১২ জন সশস্ত্র হামলাকারীর অস্তিত্ব নিশ্চিত করে, এবং জানায়, হামলায় ব্যবহৃত হয়েছিলো রকেট লঞ্চার ও গ্রেনেড।
[ছবিসূত্র: বিবিসি, এএফপি]
পরিহাসের বিষয় হচ্ছে, পাকিস্তান ক্রিকেটের অন্যতম নায়ক ইমরান খান পাকিস্তান সরকারকে দোষারোপ করেন নিরাপত্তা ব্যবস্থার অসম্পূর্ণতার কথা তুলে। এবং লক্ষ্যণীয়, এই ঘটনার আগেও পাকিস্তান সরকার ও ক্রিকেট কর্তৃপক্ষ যথাযথ নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো।
কুমার সাঙ্গাক্কারা বলেছিলেন, তাঁদের জীবন রক্ষা পেয়েছিলো বাস ড্রাইভারের দক্ষতার কারণেই। এ থেকে আমরা অনুমান করতে পারি, পুলিশের তৎপরতা সে ঘটনায় যথেষ্ট ছিলো না।
এই ঘটনা যারা ঘটায়, তাদের গায়ে আঁচড়ও কাটতে পারেনি পাকিস্তানি পুলিশ। নির্বিঘ্নে আক্রমণ সেরে পালিয়েছে আততায়ীর দল।
হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র, ছবিসূত্র: হাফিংটনপোস্ট, এএফপি/গেটি ইমেইজেস
২.
আরও পেছনে যদি যাই, তাহলে দেখবো, ২০০২ সালের ৮ মে নিউজিল্যাণ্ডের খেলোয়াড়দের হোটেলে বাসভর্তি বোমা নিয়ে আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিলো কে বা কাহারা। পাকিস্তানের এক সাবমেরিন প্রকল্পে কর্মরত ১১ ফরাসী প্রকৌশলী মারা পড়ে সেই হামলায়। নিউজিল্যাণ্ড এর পর পাকিস্তানে ক্রিকেট খেলা বন্ধ রাখে দীর্ঘ সময় [৩]।
৩.
বিদেশী ক্রিকেটারদের কথা বাদ দিলাম।
প্রকাশ্য দিবালোকে খোলা রাস্তায় হত্যার শিকার হয়েছে পাকিস্তানের অনেক রাজনৈতিক নেতা। বেনজির ভূট্টো রাওয়ালপিণ্ডিতে আর তারই শাসনামলে তার ভাই মুর্তজা ভূট্টো করাচিতে খোলা আকাশের নিচে নিহত হয়েছে। পাঞ্জাবের গভর্নর সালমান তাসির ইসলামাবাদে খোদ নিজের দেহরক্ষীর বুলেটে নিহত [৪] হয়েছে। বর্তমান সরকারের মন্ত্রী শাহবাজ ভাট্টি নিহত হয়েছে ইসলামাবাদে [৫]।
পাকিস্তান নিজের মন্ত্রীদেরই যেখানে রক্ষা করতে পারে না, রক্ষা করতে পারে না বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা দলের খেলোয়াড়দের, রক্ষা করতে পারে না নিজের দেশে সামরিক প্রকল্পে কাজ করতে আসা ফরাসী প্রকৌশলীদের। পাকিস্তানে জুম্মার নামাজের সময় মসজিদে চালানো হয় আত্মঘাতী হামলা, আক্রান্ত হয় সামরিক ঘাঁটি, আক্রান্ত হয় ব্যাঙ্ক, আক্রান্ত হয় স্কুল, দাঙ্গায় অচল হয়ে যায় প্রধান বন্দর নগরী করাচি [৬], সেই পাকিস্তানে কেন মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে খেলতে যাবে আমাদের টাইগারের দল?
সচল অচ্ছ্যুৎ বলাই একটি পোস্টে [৭] পরিষ্কার করেছেন বিসিবির অযোগ্য, লোভী, অকালকুষ্মাণ্ড সভাপতি মুস্তফা কামালের আইসিসির সভাপতি হওয়ার খায়েশের সাথে পাকিস্তানে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে ঠেলে খেলতে পাঠানোর সম্পর্ক।
পাকিস্তানীরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, সে কি আমাদের দোষে? তারা বঞ্চিত হচ্ছে তাদের নিজেদের বাঞ্চোতপনার কারণে। তাদের বিষ্ঠা সাফ করার দায়িত্ব তাদের, কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, মুস্তফা কামাল সেই বিষ্ঠা সাফ করার দায় চাপিয়ে দিচ্ছে আমাদের টাইগারদের ওপর। আমরা মোটেও পাকিস্তানী জনগণের সাথে সমব্যথী নই। পাকিস্তান হচ্ছে সেই অসভ্য জাতি, যারা আমাদের তিন মিলিয়ন মানুষ হত্যা করে দীর্ঘ ৪১ বছরেও ক্ষমা চায়নি, দোষীদের শাস্তির উদ্যোগ নেয়নি, এবং তাদের ক্রিকেটার ইউনূস খান কয়েক মাস আগেও বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাস হরণ করে তা আফগানিস্তানকে দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে আইসিসিকে উদ্দেশ করে। এই পাকিস্তানিরা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্যে কেন গুরুত্বপূর্ণ? পাকিস্তানের দোস্তি ছাড়া যদি বিশ্বের আরো দশটা দেশ ক্রিকেট খেলে যেতে পারে, আমাদের কী ঠ্যাকা পড়েছে আমাদের টাইগারদের এই মৃত্যুপুরীতে খেলতে পাঠানোর, যেখান থেকে তারা অক্ষত ফিরে আসতে পারবে কি পারবে না তার কোনো গ্যারান্টি কেউ দিতে পারে না?
প্রিয় টাইগার্স, যাবেন না পাকিস্তানে। আপনারা বাংলাদেশের ষোলো কোটি মানুষের সম্পদ। যে পাকিস্তানের হাতে এখনও আপনাদের স্বজনদের রক্তের দাগ লেগে আছে, তাদের কপাল থেকে কলঙ্কের দাগ মোছার কোনো দায় আপনাদের পড়েনি। পাকিস্তান যদি অস্ট্রেলিয়ার সাথে নিরপেক্ষে ভেন্যুতে খেলতে পারে, বাংলাদেশের সাথেও তা-ই করতে হবে। আমরা খুচরা নই, আমরা ভাংতি নই, আমরা পাকিস্তানের ছোট ভাই নই। আমরা বাংলাদেশ। আমাদের যারা সম্মান দেয় না, তাদের জঞ্জাল গায়ে পড়ে সাফ করতে আমরা কেন যাবো?
এই সফর থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের প্রত্যেক টাইগারের প্রতি করজোড়ে অনুরোধ জানাই। কত পরাজয়, কত বিষাদ, কত তিক্ত গ্লানির পর আমরা আপনাদের ওপর ভরসা রাখতে শিখেছি, আপনারা পাকিস্তানের মতো অসভ্য একটা দেশে গিয়ে তিলেকমাত্র আহত হন, তা দেখতে চাই না।
পাকিস্তানে ক্রিকেট খেলা নিয়ে যদি মুস্তফা কামাল এতোই ব্যস্ত হয়, সেই ক্রিকেট টিমটি গঠিত হোক তার বাপ, ভাই, ছেলে, চাচা, মামা, খালু, ফুপা আর কাজিন নিয়ে। সেইসাথে এই লোভী স্বার্থপর লোকটাকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড থেকে লাথি মেরে দূর করে দেয়ার অনুরোধ করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। যদি আমাদের ক্রিকেটারদের কোনো অনিষ্ট ঘটে, সরকার কি তার দায় এড়াতে পারবে? পাবলিক এমনিতেই অন্য বহু কারণে ক্ষিপ্ত, তাদের বিপদগ্রস্ত কাঁধে নতুন কোনো শোকের ভার আর ক্ষোভের আগুন চাপাবেন না।
আবারও বলি, প্রিয় টাইগার্স, পাকিস্তানে খেলতে যাবেন না। ইউনূস খান যখন আফগানিস্তানের ক্রিকেট নিয়ে এতোই উদ্বিগ্ন, আফগানিস্তান দলকেই পাকিস্তানের ক্রিকেটকলঙ্ক মোচনের ভার দিক তারা।
বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে ন্যাকামির চূড়ান্ত করা আনিসুল হক ভাইয়া এই ইস্যুতে কলম ধরেন কি না, তা খুব আগ্রহ নিয়ে দেখছি।
২২ মার্চ, ২০১২ সালে প্রথম আলোয় "আমরা যেভাবে চ্যাম্পিয়ন হতে পারি" [সূত্র] শীর্ষক এক জঘন্য আর্টিকেলে (যেখানে তিনি বাংলাদেশের টপ নচ ক্রিকেটারদের অপুষ্ট আর গরিব ডেকে সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করেছিলেন, খামাকাই। এই লোক ফিটনেস আর অপুষ্টির মধ্যে তফাত বোঝে না, ক্রিকেট নিয়ে লিখতে যায়) ইরশাদ করেছিলেন,
আমরা ক্রিকেটকে ভালোবাসি। আমরা বাংলাদেশকে ভালোবাসি। আমরা আমাদের ক্রিকেটারদের ভালোবাসি। ভালোবাসা থেকেই আসে দায়িত্ববোধ। জাতি হিসেবে আমাদের মাথা যেন উঁচু থাকে। সেটা কেবল মুশফিক, সাকিব, তামিম, মাশরাফি, নাসির, নাজমুলেরা করবেন, তা নয়, আমাদের প্রত্যেকের ওপরেই আজ সেই দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে। আমরা যেন আমাদের নিজেদের দায়িত্বটুকুন পালন করি।
আনিসুল ভাইয়ার ভালোবাসা আর দায়িত্ববোধের পরিচয় দেয়ার সময় কিন্তু এখন চলে এসেছে। ঠিকাছে ভাইয়া?
[১] পাকিস্তান সফরে যাচ্ছে ক্রিকেট দল, বিডিনিউজ
[২] Gunmen shoot Sri Lanka cricketers, BBC
[৩] Karachi bus blast kills 15, BBC
[৪] Punjab Governor Salman Taseer assassinated in Islamabad, BBC
[৬] Pakistan violence: Karachi killing sparks fatal riot, BBC
[৭] বিসিবি সভাপতির লোভের বলি না হোক আমাদের ক্রিকেট, সচলায়তন
মন্তব্য
প্রিয় টাইগার্স, পাকিস্তানে যাবেন না
প্রতিবাদ জানাতে হবে সবাইকেই। যারা ঢাকায় আছেন তারা বিসিবির সামনে ব্যানার নিয়ে দাঁড়াতে পারেন। মিডিয়াগুলোকেও লাইনে আসতে হবে।
_________________
[খোমাখাতা]
সচলায়তনের গ্রাফিক্স ডিজাইন পারদর্শী পাঠকদের কেউ কি একটা ইনফোগ্রাফিক টাইমলাইন বানাতে পারবেন? কয়েকটা নমুনা ইনফোগ্রাফিক টাইমলাইন দেখতে পারেন এখানে অথবা এখানে এছাড়া গুগুলে খুঁজলে অসংখ্য উদাহরন পাবেন। টাইমলাইনের তথ্য হিসেবে শুধুমাত্র ২০১২ সালের পাকিস্তানে সন্ত্রাসী ঘটনার উল্লেখ থাকলেই হবে। উইকির এই পাতায় মার্চ পর্যন্ত হালনাগাদ করা তালিকাও পাবেন।
গুগল গ্রাফে টাইমলাইন থাকলে ভালো হতো।
আসুন, আমরা প্রতিবাদ জানাই, সচল এর মাধ্যমে,
আসুন, রাজপথে একটা আয়োজন করি।
এই ফাজলামো অবিলম্বে বন্ধ করা হোক। এত শখ থাকলে লোটা আর ওর নাতি গিয়া খেলে আসুক!!
facebook
সকালে ঘুম থেকে উঠে এই টিভিতে দেখলাম এই খবর। সাড়ে তিন বছর পরে পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা হবে। পাকিস্তান রাষ্ট্রীয়ভাবে সন্ত্রাসবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া দেশ। এদের ভাগ্যে যা জোটা উচিত, তা-ই জুটছে।
লোটাস কামালের উচ্চাশা আর লোভের বলি না হোক আমাদের দেশের ক্রিকেট দল। এই সফর বাতিল করা হোক।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
শুধুমাত্র লোটার বাসনা চরিতার্থ করতে জাতীয় ক্রিকেট দলের এই পাকিস্তান সফরকে সব খেলোয়াড়দের ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করা উচিত। যেসব সচল সাংবাদিকতায় আছেন তাঁদের কাছে অনুরোধ আপনারা এই ব্যাপারটা নিয়ে পত্রিকায় বেশি করে লিখুন।
এত রিস্কি বিজনেসে যাওয়া একদম ঠিক হচ্ছে না। পাকিস্তান কোন কিছুর নিয়ন্ত্রণই কারো হাতে নেই।
"পাকিস্তানের মানুষ দীর্ঘদিন থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বঞ্চিত ছিল। আমরা তাদের প্রতি সমব্যথি হয়েছি।" ঐ কুত্তার বাচ্চাদের জন্য আমরা কেন সমব্যাথী হবো? খেলতে চাইলে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলুক। আর লোটাস কামাল আইসিসির সভাপতি হয়ে কি ছিড়বে যে ক্রিকেটারদের জেনেশুনে বাঘের গুহায় ঢুকতে হবে?
ঘুম থেকে উঠে প্রথম এই নিউজটা পড়ি। সাথে সাথে তিক্ত হয়ে যায় সকালটা। এই এক লোটাস কামাল আর পাকিস্থান ক্রিকেট বোর্ড ছাড়া 'সফর করা উচিত' কথাটা আর কাউকে বলতে শুনি নি। পাকিস্থান বোর্ডের না হয় স্বার্থ আছে; ভাতে মরছে তারা, তাই হয়তো চায় দেশে ক্রিকেট আবার শুরু হোক। কিন্তু এই লোটাস কামাল? কতটা স্বার্থপর হলে একটা ন্যাশনাল টিমকে নিজের ব্যক্তিগত সাফল্য লাভের জন্যে ব্যবহার করতে পারে সেটা কল্পনীয়। সরকারের নিশ্চুপ আচরনও আমাকে অবাক করছে। তবে আশা করবো দিন শেষে এই কামালের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে এবং এই সফর বাতিল করতে বাধ্য হবে আমাদের ক্রিকেট বোর্ড।
টুইটার
অসাধারণ
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ
শুয়োরগুলোকে গালি দিয়ে কী হবে! এতো বেশী খারাপ লাগতেছে!
মোস্তফা কামাল না থাকলে বাংলাদেশের কিছু আসে যায় না! সাকিব আল হাসানের গায়ে একটা আঁচড় লাগলে বাংলাদেশের সব স্বপ্ন খোয়া যায়!
এই বিষয়ে দ্রুত প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করি!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
সহমত।
হায়রে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর হস্ত'ক্ষেপ'
সপ্তাহখানেক আগে এই লেখাটা পড়ছিলাম। স্বয়ং এক পাকি সাংবাদিক বলছে পাকিস্তান বাংলাদেশ টিমকে যে ফুলপ্রুফ নিরাপত্তা দিতে পারবে এইটা সে বিশ্বাস করেনা।
Hasty decisions
যেদেশে তালিবান'রা নিরাপত্তারক্ষীদের মেরে-কেটে ৪০০ জন জংগীকে জেলমুক্ত করে, সেদেশের আবার নিরাপত্তা! আবার সেটাও বাংলাদেশ সফর নির্ধারিত হওয়ার আগের দিনের "ব্রেকিং নিউজ"।
ওই লেখাটা পড়লাম, এই লোক মনে হয় ক্রিকইনফোতেও লিখে।
ভয়াবহ অবস্থা, এর পরেও কেউ টিম পাঠানোর চিন্তা করে কীভাবে!!
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
এই সরকার নিশ্চিতভাবেই সাপের পাঁচ পা দেখসে। লোটাস কামালের মতো একটা ইতর প্রকৃতির লোকের কথায় সরকার যদি কনভিন্সড হয়, তাহলে সেইটা হবে খুব বড় একটা ভুল, যেইটা শোধরানোর ক্ষমতা সরকারের হাতেও থাকবে না।
সাধারণ মানুষের স্মৃতি গোল্ডফিশ মেমোরি, এই কথাটা যেমন সত্যি, তেমনি কিছু ব্যাপার যে মানুষ ভুলে না সেইটাও সত্যি। সাগর-রুনির ঘটনা যতোই আড়ালে ঠেলুক, সময়মতো এইটা সরকারের ব্যর্থতা হিসেবেই প্রকাশিত হবে। তেমনি একটা ঘটনা হতে যাচ্ছে এই পাকিস্তান সফর। ক্রিকেট আর দশটা জিনিসের মতো না এই দেশে। আমাদের এই রাশি রাশি ব্যর্থতা আর দুঃসংবাদের মধ্যে ক্রিকেটই যা একটু শক্তি যোগায়। ক্রিকেট নিয়ে আমাদের দেশের জনগণের মনোভাব মোটামুটি রাজনৈতিক চিন্তাধারা নির্বিশেষে একই রকম (ছাগুরা বাদে, ওরা নিশ্চয়ই চায় যে পাকিস্তানে যাক), কাজেই এই সফরের বিরুদ্ধে যে জনমত তৈরি হবে, সেইটা সরকার নিশ্চিতভাবেই সামাল দিতে পারবে না।
সরকারের সুমতি হোক, এই শুভকামনাই রইলো।
অলমিতি বিস্তারেণ
নিজের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য দেশের জাতীয় ক্রিকেট দলকে একটি সন্ত্রাসবাদী দেশে খেলতে পাঠানোর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি| দেশের সম্পদ এই ছেলেগুলোকে আর যাই হোক মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়ার কোনো অধিকার এদের নেই| দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র ও কু-রাজনীতি বন্ধ হোক, প্রতিবাদ করার সময় এখুনি| অনেক হয়েছে আর সহ্য করা যায়না| দেশের সাধারণ মানুষ কারো বাপের সম্পত্তি না যে যা খুশি তাই সিদ্বান্ত মেনে নিতে হবে|
যে দেশ সারা পৃথিবীতে ঢালাও ভাবে সন্ত্রাসী ও সন্ত্রাসবাদের মদদদাতা, যাদের সামরিক বাহিনী হতে শুরু করে গোয়েন্দা বাহিনী সবাই সন্ত্রাসী, যে দেশে খাবারের থেকে বোমা বেশি তৈরী হয়, সে দেশের প্রতি যাদের এতো প্রেম তাদের প্রত্যেকের পাছায় বোমা বেধে লাত্থি মেরে তাদের ফাকিস্তানে পাঠানোর ব্যাবস্থা করা হোক|
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আহাহা রাগ করেন কেন? মরলে কয়েকটা ক্রিকেটারই তো মরবে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল পাকিস্তানের সাথে আমাদের সম্পর্ক ভাল হল। তার চেয়েও বড় ব্যাপার লোটা কামলার স্বার্থসিদ্ধি হল, পাকিস্তানের কাছে তার মুখ বাচল। লোটা কামলার স্বার্থ থেকে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য আর কি আছে?
কিছু কিছু ব্যাপারে স্যাটায়ার ঠিক না
এর কোন মানে হয় না। এ মেনে নেওয়া যায় না।
শুয়োরের বাচ্চা লোটা!!! গালি দিয়েও তৃপ্তি পাচ্ছি না...............
_____________________
Give Her Freedom!
আমরা কি কোনো ভয়াবহ শোক সংবাদের জন্য অপেক্ষা করছি? লোটাস কামাল নামে পুঙ্গাটার সামনে কি কোনো বিরাট মূলো ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে?? নাকি সব কিছু ভুলে পাকিস্তান নামের এই অকার্যকর রাষ্ট্রটাকে টেনে তোলার দায়িত্ব বাংলাদেশই নিলো??? তাহলে আমাদের সব প্রানের দাবী কি খেলার সাথে রাজনীতি না জড়ানোর পায়তারায় ভেসে যাবে????
যারা আর কোথাও বোম্মারতে না পারলে নিজেদের পাছায় বোম্মারে হেতাগো লগে কিসের খেলা? সন্ত্রাসীদের সাথে কিসের সম্পর্ক? ফাকিস্তানে শুধু ক্রিকেট নয় শ্বাস নিতে গেলেও বোমা আর বারুদের গন্ধ আসে।
ডাকঘর | ছবিঘর
আনেকেরই ত্যানা প্যাচাইতে দেখি এই বলে যে কেন পাকিস্তানে কি আর কেও যায়না ? এই যে বাংলাদেশ থেকে ব্র্যাক এর লোকজনওত সেখানে যাচ্ছে
এদের উদ্দেশ্যেই বলি, একটি উন্নয়ন সংস্থা আর জাতীয় ক্রিকেট দল এক কথা নয়। তার চেয়ে বড় ব্যাপার হল জঙ্গিদের টার্গেট থাকবে এমন জায়গায় হামলা করা যাতে সহজেই আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের নজরে পড়তে পারে। ঠিক একই কারণে তারা শ্রীলঙ্কা দলের বাসে হামলা চালিয়েছিল । তাই আমরাও চাইনা আমাদের তামিম, সাকিব, নাসির, মুশফিক রা ঐ ফাকিস্তানে গিয়ে বিপদের মুখে পড়ুক।
এখন সময় এসেছে ঐ শুয়োর (এরে গালি দিলে এই অবোধ প্রাণীটারেই রীতিমত অপমান করা হয়) লোটাস কামালকে বিসিবি থেকে সরিয়ে সাবের হোসেন চৌধুরীকে সভাপতি পদে পূনরায় বসানো এবং ভবিষ্যত আইসিসি সভাপতি পদে তাঁকেই মনোনয়ন দেয়া। কারণ এদেশের ক্রিকেটের উন্নয়নের পেছনে এই মানুষটির অসামান্য অবদান রয়েছে। বিশেষ করে তাঁর ক্রিকেট কূটনীতির কল্যাণেই আমরা আজ ওয়ানডে স্ট্যাটাস, টেস্ট স্ট্যাটাসের গন্ডি পেরিয়ে এতটুকু আসতে পেরেছি।
নির্ঝরা শ্রাবণ
এক মত. আসলেই সাবের হোসেন চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনা দরকার, ক্রিকেটকে যে ভালবাসে এবং ক্রিকেটকে যে বোঝে.
সহমত। এটা সকলের কথা। আশা করি আপনার আবেদন অরণ্যে রোদন হবে না।
এর কোনো মানে হয়? সকালে ঘুম থেকে উঠে এই খবর দেখেই মন মেজাজ সব বিগ্রে গেল। লোটা কম্বলের পশ্চাদ দেশে লাত্থি মেরে ফাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয়া হোক। যত ইচ্ছা পিসিবির সাথে তুই রসের বাইদানি খেল।
প্রিয় ক্রিকেট দল, আপনাদের কাছে অনুরোধ এই সফর থেকে নাম তুলে নিন।
আওয়ামি লীগ সরকার ভাতৃপ্রতিম পাকিস্তান রাষ্ট্রের সাথে পুনর্মিত্রতার জন্য, যা কিছু আছে তাই নিয়ে মাঠে নেমেছে দেখছি। আহা, কী পিরিতি কাঠালের আঠা, দেখলে পরাণ ভইরগা যায়। একেই বলে, ভেঙ্গেছিস কলসির কানা, তাই বলে কী পেম দেব না!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
এই পোস্টটা স্টিকি করা যায় না?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এটাই বলতে চাচ্ছিলাম। এটাও স্টিকি করা দরকার মনে হয়।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
কিছু বলার ভাষা নেই আর।
এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাই।
আলুর সাম্বাদিককের জন্য আজ হল ঈদের দিন।
ঠিক বলেছেন।
এই দেখেন আলুর মডারেশন পার হয়ে আসা প্রথম মন্তব্যের নমুনা-
আচ্ছা আমাদের টাইগারদের উপর যদি একটা আঁচরও পরে, লোটা কামাইল্লা সহ সরকারের প্রতিটা এম পি, মন্ত্রী যে গণপিটুনি খাইয়া প্লেইট হইয়া যাইব সেটা কি তারা জানে! রেডি হন আফনেরা পিডা খায়া ফাকিস্তানি আব্বাগো দেশে যাওয়ার জন্য।
আমি নিশ্চিতভাবেই জানি সচলায়তনের পাঠকদের মধ্যে রয়েছে আমাদের খেলোয়াড়দের বন্ধু বান্ধব অথবা রয়েছে তাদের খালাতো/মামাতো/চাচাতো/ফুপাতো ভাই বোনেরা কিংবা তাদেরও খালাতো/মামাতো/চাচাতো/ফুপাতো ভাই বোনেরা...। আমার এক বন্ধু ছিল প্রয়াত খেলোয়াড় মানজারুল রানার বন্ধু। মানজারুলের নাম উঠলেই আমি বুক ফুলিয়ে বলতাম - ও তো আমার বন্ধুর বন্ধু। এভাবে আমাদের খেলোয়াড়দের কাছে পৌছাতে হবে, তাদের পরিবারের কাছে পৌছাতে হবে। সাকিব, তামিম, নাসিরদের মা, বাবা, ভাই, বোন, চাচা, মামা, খালা, ফুপুদের কাছে পৌছাতে হবে। তাদের জানাতে হবে কিসের মাঝে তাদের ছেলেদের ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। কী হতে পার্ে পাকিস্তানে খেলতে গেলে। বোঝাতে হবে যেকোন মূল্যেই তারা যেন এই সফর প্রতিহত করেন। আমাদের খেলোয়াড়দের মা-এরা আপনারা এগিয়ে আসুন। আমাদের ভাইদের মৃত্যুকূপে পাঠানোর বিরুদ্ধে আপনাদের কথা বলুন। সাংবাদিকদের কাছে অনুরোধ থাকবে এই কথাগুলো পত্রিকার পাতা মারফতে সবার কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য
এই সেই মাঠ!!
http://www.youtube.com/watch?v=MT8iv6tac-8&feature=youtu.be
আহা মনটা বড়ই খারাপ।
একজন লোটাস কামালের জন্য আমার মতো কত মানুষের মন খারাপ।
বলে লাভ নেই
পাকিস্তানের হাত থেকে মুক্তি ছিনিয়ে এনেছি, কয়েকটা পাকি জারজের কাছে হেরে যেতে হবে?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ক'দিন আগে বাংলাদেশের মাঠে নাকানিচুবানি খাওয়ানো টাইগারদের জীবনের জন্য হুমকি এই 'ট্যুর' কতটুকু প্রয়োজনীয় 'বাংলাদেশের জন্য'?
বাংলাদেশের আশার সন্তানরা আর কখনো ফিরে আসতে নাও পারে এই ট্যুর থেকে
আমাদের কি এতোই ঠ্যাকা পড়েছে তাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে হবে??!
বিপদজনক একটা দেশ, যাকে সবাই একঘরে করেছে, জঙ্গীবাদের সবচেয়ে নিকৃষ্ট সংক্রমণ যেখানে বিস্তার করছে নিয়ন্ত্রনের বাইরে, সেখানে কিসের লোভে আমাদের সন্তানদের মরতে পাঠানো হচ্ছে??
পাকিস্তানের যদি এতোই স্বীকৃতির দরকার হয়, সৌদিয়ারবের ক্রিকেট দল এনে তাদের বোমা দিয়ে উড়িয়ে সরাসরি বেহেশতে পাঠিয়ে দিলেই পারে।।। আমাদের দিকে নজর কেন?
১) লেখাটা স্টিকি হোক।
২) একটা ব্যানার করা যায় কিনা ? যেটাতে 'প্রিয় টাইগার্স, পাকিস্তানে যাবেন না' এই কথাটা থাকবে আর থাকবে শ্রীলঙ্কা টীমের সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার চিহ্ন।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
দুঃখজনক হলো, গত রাতে টিভিতে মুশফিকুরের টেলিফোন ইন্টারভিউ দেখলাম, মুশফিকুর বলেছেন, "ইনশাআল্লাহ কোনো সমস্যা হবে না"। ;(
লোটায় চড়িয়া মুশফিক পাকিস্তান চলিলো। নিরাপত্তার মালিক আল্লা। আল্লার হাওলায় যে রওনা হয়েছে, সে বাঁচলে গাজি, মরলে শহীদ।
এসব ক্ষেত্রে কোড অব কন্ডাক্টের কারণে, খেলোয়ারদের হাত-পা বাধা।। চাইলেও কিছু বলতে পারে না মনে হয়।।
দৈনিক উটপাখি বলছে,
অর্থাৎ, সিদ্ধান্তটা এমনকি বোর্ডেরও নয়, একা লোটাস কামালের।
খোমাখাতার একটা পাতায় দেখলামঃ "জাতীয় দলের প্রধান কোচ স্টুয়ার্ট ল পারিবারকি কারণে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছে পোষণ করেছেন" এবং আরেক জায়গায় পড়লাম - "সাকিব পাকিস্থান যেতে চাচ্ছে না"।
কোচ যখন চাকুরী ছেড়ে দিতে চায়, ক্রিকেটাররা যখন সফরে যেতে চায় না, দেশের মানুষ যখন বিপক্ষে - তখন শুধু পিসিবির সমর্থনের আশায় লোভী লোটার অসুস্থ লোভ চরিতার্থ করার অভিপ্রায়ে 'ফাকিস্থানে' পাঠানোর কোন মানে হয় না।
- শফকত ।।।।
পাকিস্তান যোদ্ধা জাতি। চলমান যুদ্ধে তাদের মনোরঞ্জনের জন্যে যে চিয়ার লিডার দরকার এটা কি সাকিব আল আহসান বুঝেও বোঝে না? দাসের দালাল লোটা কম্বল তাকে ঘাড় ধরে নেবে।
নামটি সাকিব আল হাসান, সাকিব আল আহসান নয়।
ভুলটা আমিও লক্ষ করলাম। আপনাকে ধন্যবাদ।
যুদ্ধে হারানো ভাইটিকে যখন ফিরে পেতে চলেছি, এই পুনর্মিলনের কালে তখন আপনারা গিয়ানজাম লাগাইলেন কেনু? অখণ্ড পাকিস্তানের নিরাপত্তার জন্যে যুগ যুগ ধরে বাংলার মর্দা মুসলমান লড়ে গেছে ভুলে যাবেন না যেনো। এবারও লড়তে তারা পিছপা হবে না।
হাত মে বিড়ি
মু মে পান
লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান
মুখটা তিতা হয়ে গেলো খবরটা শুনে
ক্রিকইনফো থেকে কিছু পাকিস্তানীর মন্তব্য:
Posted by Shaikh Sb on (April 15 2012, 15:12 PM GMT)
Bangladesh Board should PAY HEAD TO THEIR INTERIOR MINISTRY's report. Peace must return to Pakistan before cricket does, as Saad Shafqaat wrote. This is NOT A CONDUSIVE environment in Pakistan for cricket, specially not under inept government, worst than any other government in our country's history. This is the SAME government which was in-charge when Sri Lankan team was attacked. Rehman Malik, has NOT changed, neither has security infrastructure improved, in fact it has deteriorated, if anything. I'm from Rawalpindi, supposedly the safest place, but I know the internal state of affairs. PLEASE DONT VISIT Pakistan as yet. Wait for some saner people to control governmental matters. BCB OPEN YOUR EYES!
Posted by Awais Khan on (April 15 2012, 12:42 PM GMT)
Despite being a Pakistani, I still think this is such a bad idea. I'm glad the people will be able to go to these matches again but it still remains a great risk. If something goes wrong again, we're probably not going to have any cricket for a further 3 year and what saddens me is that of all the teams we're taking the risk for a no one like Bangladesh.
Posted by Suhaib Ahmed Khan on (April 15 2012, 14:30 PM GMT)
i am from karachi...a very wise decision for not playing in karachi...too risky in presence of different gangs over here...
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
পাকিস্তানের 'ডন' পত্রিকা লিখেছে --
পুরো রিপোর্ট পাওয়া যাবে এখানে
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
অথচ দেশী আলুর পাঠকরা নাকি দেশের ক্রিকেটারদের সদকা দিতে এক পায়ে খাঁড়া। এটা কি বিশ্বাস্য?
আলুর এই সংবাদ দেইখা তো সন্দেহ হয়, এইটা কোণ দেশের পত্রিকা!??
প্রতিবাদ জানাতে হবে সবাইকেই। যারা ঢাকায় আছেন তারা বিসিবির সামনে ব্যানার নিয়ে দাঁড়াতে পারেন। ফেসবুকে একটা পেইজ খুলে সবাইকে জানাই চলেন!
আমি তৈরি, আয়োজন করেন প্লিজ।
লোটাস কামাল কে ধিক্কার।
ভাই, লোটা কামালের গালে ঠাস করে চড় মারার কি কেউ নাই? প্লিজ একটা মারেন, প্লিজ
আমাদের একজন আইনজীবী দরকার যিনি বলতে পারবেন এই ব্যাপারে কোন কোর্ট থেকে ইনজাংশন নেয়া যায় কিনা । একজন আছেন মনজিল মরশেদ উনি অনেক ব্যাপারে ইনজাংশন নিয়েছেন আগে। তবে ভালো কোন কোর্ট এ যেতে হবে, সরকারের ধামা ধরা মত কেউ হলে কম্ম শেষ , বলবে যাওয়া ফরজ ।
পাকিদেশে দল পাঠাবার লোটাসীয় স্বপ্ন বাস্তবায়ন যদি অনিবার্যই হয়ে থাকে তাহলে সেটা পাকিস্তান সফরের উপযুক্ত খেলোয়াড় দিয়ে পুরন হোক না কেন। বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাবার স্বপ্নে বিভোর জামাত শিবিরের ক্যাডার দিয়ে একটা দল বানিয়ে সেটা পাকিস্তান পাঠিয়ে দিলে তো ল্যাটা চুকে যায়।
পদলোভী লোটাস কামালের নাম বদলে হওয়া উচিত ছিল 'টোটাল লোভস'।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
প্রিয় টাইগার্স, পাকিস্তানে যাবেন না
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
বাংলাদেশের বাস্তবতায় খেলোয়াড়দের পক্ষে হয়তো সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন । এটা বেশি দিন আগের কথা নয় যে সাকিব কে লোটা'র পায়ে ধরে মাফ চাইতে বাধ্য করা হয়েছিল । মুশফিক এর ইনশাআল্লাহ এর কারন বুজা কঠিন নয় ।
তাই তাদের উপর চাপ না দিয়ে প্রধানমন্ত্রী, মিডিয়া বা আদালত এর মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত বাতিল এর চেষ্টা করাটা অধিক ফলপ্রসূ হবে বলে মনে হয় ।
ঐ ছবিটা খুবই মিসলিডিং। সাকিব মোটেও লোটাসের পায়ে ধরে মাফ চায় নাই। ভোটকা বেবুনটা পুরো একটা সোফা নিয়ে বসে ছিলো, সাকিব তো আর তার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারে না, তাই বাধ্য হয়ে মেঝেতে পায়ের ওপর ভর দিয়ে কথা বলছিলো। বাটপার সাংবাদিকরা ঐটারেই সেনসেশন হিসেবে চালানোর জন্য পায়ে ধরে মাফ চাওয়া হিসাবে চালিয়ে দিয়েছে।
ধন্যবাদ সঠিক তথের জন্য , আমার ধারণা এই রকম ই ছিল , তবে পায়ে না ধরলেও সাকিব কে অনেক হেনস্তা হতে হয়েছে নির্ঘাত । সেটাই বলছিলাম ।
টুইটার
অতিথি স্যাম আমাকে অনুরোধ করেছিলেন নিচের ছবি দুটো মন্তব্য অংশে সংযুক্ত করে দিতে।
টুইটার
স্যাম, ফেসবুক টাইমলাইনের জন্যে একটু কষ্ট করে কয়েকটা পোস্টার বানান প্লিজ। আমরা সবাই সেগুলো ছড়িয়ে দিতে পারি।
টাইম লাইনের কভার পিকচারের সাইজ হচ্ছে, ৮৫১ x ৩১৫ । এই সাইজ দিয়ে একটা কভার পিকচারও বানিয়ে দিলে ভালো হয়।
টুইটার
নিয়াজ ভাইকে মেইল করেছি -- আমি কোনভাবেই আপলোড করতে পারছিনা এখানে
অতিথি স্যাম এর ডিজাইন করা ফেইসবুক কভার ফটো। উল্লেখ্য যে ছবিগুলো দেখার সুবিধার জন্যে এখানে ছোট করে ডিসপ্লে করেছি কিন্তু মূল লিঙ্কে অরিজিনাল সাইজ-ই রয়েছে অর্থাৎ 851 x 315 ।
টুইটার
নজরুল ইসলাম একটি নকশা করেছেন ফেসবুক টাইমলাইনের জন্য:
এই কভার ফটোটাও চমৎকার হয়েছে। আমি গতকাল থেকেই এটা আমার টাইম লাইনের কভার হিসেবে ব্যবহার করছি।
টুইটার
মিসিং সুজনদা এবং উজান গা ---
ছবি ডাউনলোড করবো কিভাবে?
এক দফা এক দাবি
লোটাস কামাল কবে যাবি
ধন্যবাদ হিমু। ক্রিকেটারদের পাকিস্তান যাত্রা ঠেকাতেই হবে। আমরা আমাদের ছেলেদের মৃতুপুরীতে ঠেলে দিতে পারি না।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
"আমরা খুচরা নই, আমরা ভাংতি নই, আমরা পাকিস্তানের ছোট ভাই নই। আমরা বাংলাদেশ। আমাদের যারা সম্মান দেয় না, তাদের জঞ্জাল গায়ে পড়ে সাফ করতে আমরা কেন যাবো?"
ঠিক্কথা।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
প্লাস।
কয়েকটা পয়েন্ট...
১. লোটাকম্বল কবে থেকে আমাদের নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মকর্তা হয়ে উঠেছে? তার অদক্ষতা জনিত 'সন্তোষ' দিয়ে আমাদের কি আদৌ চিড়ে ভিজবে?
২. ফরেনার কোচ নিজের জীবন বাঁচাতে যেখানে পদত্যাগ করে পালিয়ে যাচ্ছে (চাচা আপন প্রাণ বাঁচা), সেখানে দেশের সন্তানদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেবার কথা ভাবতে পারে কি করে এই লোটাকম্বল?
৩. এমনকি আইসিসিও আমাদের অমূল্য সন্তানদের নিরাপত্তা'র দায়ভার নেবে না। তারা নিজেদের আম্পায়ার না পাঠানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে আমাদের মোটা মাথায় কি কোনো ভাবনা জন্ম নেয় না?
৪. পাকিস্তানের অভ্যন্তরে জামাতেস্লামী ও আইএসআই মিলে বাংলাদেশকে এখনো মগরেবী পাকিস্তান (উর্দুতে পূর্ব পাকিস্তান) হিসেবে তুলে ধরে, যদিও বাংলাদেশের ভিতরে পাকিস্তানের জন্য এমন 'অতি দরদ' ক্ষুদ্র একটা গোষ্ঠী ছাড়া আর কারো মাঝে দেখা মেলে না।
৫. ইন্টারনেট ঘেঁটে দেখুন, পুরো বিশ্ব অবিশ্বাসের সাথে তাকিয়ে দেখছে, তিন বছর ধরে যেখান সকলে পাকিস্তানকে বয়কট করেছে, কেউ জীবনের মায়া কাটিয়ে পাকিস্তানে যেতে চায় না, সেখানে বলির পাঁঠা হিসেবে বাংলাদেশকে পেয়েছে পাকিস্তান..। আমি জানতে চাই কার প্ররোচনায় লোটাকম্বল এই হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
৬. পাকিস্তান আমাদের বন্ধু নয়, কূটনৈতিক সম্পর্ক আর বন্ধু এক জিনিস নয়। প্যাঁকস্টেন আমাদের নির্বাচন উল্টানোর জন্য টাকা দেয়, আমাদের মাদ্রাসায় জঙ্গী প্রশিক্ষণের জন্য সহায়তা দেয় জামাতেস্লামীকে, আর '৭১ এ লাথি মেরে দুর করে দেবার চল্লিশ বছর পরেও কৃতকর্মের জন্য কোনো অনুশোচনা তাদের মাঝে আমরা দেখি নাই।
এতো কিছুর পরেও শুধুমাত্র লোটাকম্বলের স্বার্থপরতার জন্য আমাদের কি এমন দায় ঠেকেছে পাকিস্তানকে সাহায্য করার??
খোদ পাকিস্থানের ডন পত্রিকায় রিপোর্ট বেরিয়েছে বাংলাদেশের পাকিস্থান সফরকে নিরুৎসাহিত করে অথচ আমাদের দেশের কালের কণ্ঠ পাকিস্থানের পক্ষে সাফাই গাইছে! এখন বিস্ময়ও সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
টুইটার
ভোটকা বলদটার বলদামি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেবার মত একটা মানুষও নেই সরকার-যন্ত্রে?! এদের বুদ্ধি-বিবেক সব কি হাঁটুর নিচে?
সচেতনতামূলক এই পোস্টটির জন্য হিমুকে অনেক ধন্যবাদ।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
আইচ্ছা, প্রধানমন্ত্রী নিরব কেন? তার এক ধমকইত যথেষ্ট। আমরা সবাই রিস্ক ফ্যাক্টর বুঝতেছি, অথচ প্রধানমন্ত্রী বুঝতেছেনা, এইটা কেমনে হয়, আমারে কেউ একটু বুঝাবেন, প্লিজ।
আমি বুঝতে পারছি না , আমাদের প্রধানমন্ত্রি নিজে যেখানে একজন ক্রিকেটপ্রেমী, অন্তত তার এতদিনকার কীর্তিকলাপে তাই মনে হয়েছে, সেখানে আমাদের ক্রিকেটারদের নিয়ে এত বড় জুয়া খেলার সম্মতি উনি দেন কি করে। লোটাস কামাল কি এতই ক্ষমতাবান যে প্রধানমন্ত্রীও তাকে থামাতে পারছেন না। ক্রিকেটারদের যদি কিছু হয় দেশের মানুষের ক্ষোভের বিপরীতে উনি দাড়াতে পারবেন তো ? এ ব্যাপারে অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ করা উচিৎ এবং সেটা এখনই।
আর একটি লাইন যোগ করা যায়, হিমু ভাইঃ
পাকিস্তান হচ্ছে সেই অসভ্য দেশ যারা এখনো বাংলাদেশে তাদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে, তাদের দেশীয় ডাল কুকুরদের দিয়ে পাকিস্তানি ভাবধারার আবাদ করে যাচ্ছে, বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ ও প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদকে বিভক্ত করার ফন্দি আঁটছে বাংলাদেশের নেতাদের নির্বাচনী তহবিলের যোগান দিয়ে।
অসাধারণ! অসাধারণ! মনটা ভরে গেল। এর পর আর কোন কথা থাকতে পারে না।
লোটাস কেও কি ওরা টাকা দিছে নাকি জানতে ইচ্ছা হচ্ছে। ছাগু তো ছাগু-ই, তারা তো চাবে-ই এই ট্যুর হোক। কিন্তু যারা বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পাকিস্থানে যাবার আয়োজনে সব উজার করে দিচ্ছে তারাতো ছাগুদের চেয়েও বড় ছাগু। যে দেশ তার নিজের মানুষদের-ই বোমা, গ্রেনেড থেকে বাচাঁতে পারেনা, প্রতিদিন-ই মানুষ মরছে সহিংসতায়, সে দেশ কিভাবে একটা বিদেশী টিম কে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়! আর বর্তমান সরকার কি করে এ সফরের গ্রীন সিগন্যাল দেয়? ছাগুদের কি দোষ!
প্রিয় টাইগার্স, আপনারা পাকিস্তানে যাবেন না ।
খুবই আশ্চর্য হয়ে খেয়াল করলাম, আলু পত্রিকার অনলাইন জরীপে ৫৩৬৩ জনের মধ্যে এই সফরে যাওয়া যৌক্তিক বলে মনে করছেন ৩০৯৫ জন (৫৭'৭১%), আর বিপক্ষে মত দিয়েছেন ২২২০ জন (৪১'৩৯%)।
http://www.prothom-alo.com/onlinepoll
আলুপেপারের মন্তব্যের মাঠে আর জরিপের ঘরে ছাগুরা খুবই সক্রিয়। এরা খুব নিষ্ঠার সাথে লাদি ফেলে, আর আলুপেপার ততোধিক নিষ্ঠার সাথে সেই লাদি মাথায় মাখে। মন খারাপ করবেন না।
এজন্য মন খারাপ হচ্ছে যে, এটা একটা জনমত জরীপ । ছাগুরা সংখ্যায় যতবেশিই হোকনা কেন, সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ছাড়িয়ে যাবে, বিশেষ করে এমন একটা বিষয়ে যেখানে খুব সাদা চোখেই অযৌক্তিকতা ধরা পড়ে, এমনটা ভাবাই মুশকিল । এটা একি সাথে বিষন্নতা আর বিরাগের জন্ম দেয় ।
ছাগুদের উদ্দেশ্যও কিন্তু সেটাই! আপনার মনের মধ্যে সংখ্যালঘুত্বের অনুভূতি জাগিয়ে তোলা। এটা ওরা করতে পারছে কারণ ওরা অনেক সংঘবদ্ধ। আপনি জানেন কি না জানি না, ওদের বড় ও গোপন মেইল গ্রুপ আছে। সেখানে খুব নিয়মতান্ত্রিকভাবে বিভিন্ন টিকেট রেইজ করা হয় (ফেইসবুকে অমুক পেজে লাইক দেয়া, আলুপেপারের অমুক পোলে তমুক ভোট দেয়া ইত্যাদি) এবং খুব শৃঙ্খলার সাথে এইসব টিকেট রিজলভ করা হয়। ওরাই টিকেই আছে এই শৃঙ্খলার গুণে, যেটা আমাদের মধ্যে কম। এই কারণেই আমরা আলু পড়ি, কিন্তু পোলে অংশ নিই না, ওরা ঠিকই নেয়। যদি সবাই সমান উৎসাহে অংশ নিতো, ওরা মুতের পানির সাথে ভেসে যেতো।
কাজেই নিরাশ হবেন না। নিজে সচেতন হোন, বন্ধু-স্বজন-প্রতিবেশী-সহকর্মীদের সচেতন করে তুলুন। ওদের শক্তি আপনার নিরাশাতেই।
সহমত
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
এটা প্রচলিত অর্থে জনমত জরীপ নয়। এই জরীপ দিয়ে সাধারণ জনমতের প্রতিফলন হয়েছে তা বলা যায় না। এই জরীপের ফল দিয়ে কেবলমাত্র যারা ভোটে অংশ নিয়েছে তাদের মধ্যে কত শতাংশ কী ভাবছে তা-ই বলা যায়। সেটা কারা ভোট দিল তার উপর নির্ভরশীল।
আলুর খবর আর কি হবে! আজকে খবর দিছে, পাকিস্তানে খুশির বন্যা
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-04-17/news/240830
খুশির বন্যা পাকিতে না আলুতে ওইটা তো বোঝাই যায়।
হায়রে প্রথম আলু,সুদূর ফাকিস্তানে খুশির বন্যা তোর চোখে পড়ল আর 'ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া' দূরত্বে যে ক্ষোভের আগুন জ্বলছে তা দেখলি না। অবশ্য বালির মধ্যে মাথা গুঁজে থাকলে কেমতে দেখবে?
একজন কমেন্ট করলো,
বন্যা? তাহলে আমরা রিলিফ পাঠাই?!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
ফেইসবুকের জন্য একটা ইংরেজী কভার ফটো বানানো যেতে পারে কি? আমরা যে এই ব্যাপারে লটুর মত গদগদ নই এটা আশেপাশের পাকিদেরও জানানো দরকার।
রাগে মাথাগরম হয়ে যাচ্ছে ! ফেসবুকে না, এখন সরাসরি রাস্তায় নামা দরকার । বদমাইস রাজনীতিবিদরা কোনো কিছুই বাদ রাখলোনা । ছাগুদের মধ্যে দেখি 'অসহায় প্রতিবেশি'র দুঃসময়ে দুঃখ উথলাই পড়তেছে ! এই কাজটা করানোর জন্য ওরা কেমন ব্ল্যাকমেইল করসে সেইটা না দেখার ভান করতেছে । আর আওয়ামীলীগ কবে থেকে পাকিস্তানের প্রতি সমব্যাথী হইলো ? নিজের স্বার্থে শালার রাজনীতিবিদরা নিজের মাকেও বিক্রি করে দিলো ! আমাদের কোন দরকার নাই পাকিস্তানের আলগা পীরিত । লোটাকে চিরকালের জন্য পাকিস্তানে নির্বাসন দেয়া হোক , উইথ হিজ অভূতপূর্ব নিরাপত্তা !
চলেন রাস্তায় নামি ! কবে ?
এই খবর শুনে চরম হতাশ।
লোটাস কামালের পদত্যাগ চাই। লোটাস কামালের পদত্যাগ চাই। লোটাস কামালের পদত্যাগ চাই। লোটাস কামালের পদত্যাগ চাই। লোটাস কামালের পদত্যাগ চাই। লোটাস কামালের পদত্যাগ চাই।
মোস্ত শালার চামড়া কুত্তা দিয়া কামড়া
লেখা
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
এইটা নোতুন কিছু না। ছাগুরা নেটে অনেক সংঘবদ্ধভাবে তৎপর। একটা গ্রুপে এই তথ্য পেলাম:
বিডিনিউজের একটা জরিপে প্রশ্ন ছিলো:
Jamaat-e-Islami chief Matiur Rahman Nizami has said a ban on religion-based political outfits would create a hurdle to good governance. Do you agree with the view of the Islamist party?
Start Date : 2008-01-04 End Date : 2008-01-06
Total Vote : 11496
Yes : 2794 ( 24.30% )
No : 8702 ( 75.70% )
এই জরিপ শুরুর কয়েক ঘন্টা পরে রেজাল্ট ছিলো এরকম:
Total Vote - 3075
Yes - 2656 ( 86.37% )
No - 419 ( 13.63% )
অর্থাৎ ছাগুরা শুরুতেই মতিউর রহমান নিজামির পক্ষে ভোট দিতে ঝাপিয়ে পড়ে। পরে বিভিন্ন ইয়াহু ও গুগোল গ্রুপে ব্যাপক প্রচারণার ফলে শেষতক ছাগুরা ধরা খায়। খেয়াল করে দেখবেন, ছাগুদের পক্ষের ভোট যা পড়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই পড়েছে।
প্রথম আলোর ছাগুপ্রীতি এখন তুঙ্গে। যারাই এই জিনিসটা বুঝতে পারে, তারা আলুতে ভোট দেয়ার ঝামেলায়ই যেতে চায় না। সুতরাং প্রো-৭১ ভোট আলুতে দিনকে দিন কমে যাওয়ার কথা।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আপন দুই ভাই কামাল ও জামাল ক্রিকেটার ছিলো। সেই আবেগে হলেও যেনো তিনি এই সফর বাতিল করার নির্দেশ দেন। আমি ব্যাক্তিগতভাবে কিছুদিন পাকিস্তানে বসবাস করার মাধ্যমে সেখানকাল অবস্থা কিছুটা হলেও জানি। আমি এই সফরের বিরোধীতা করছি। পাকিস্তানকে নিরাপত্তার গুডবুকে তোলায় দায়িত্ব কোন অবস্থাতেই যেনো আমাদের ক্রিকেটারদের উপর চাপানো না হয়। প্রয়োজন হলে কামাল গিয়ে সেখানে সিঙ্গেল উইকেট খেল্টু করে আসুক।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
মস্ত ফাঁকা মাল কে লাথি মেরে দূর করে দেয়ার অনুরোধ করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।
একটি দুব্বল প্রচেষ্টা
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
http://www.flickr.com/photos/kfouzder/7087994863/
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
সম্প্রতি দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এতে পাকিস্তানের একটি মহল যারা এতদিন রাজাকার-আলবদরদের পৃষ্ঠপোষকতা করে এসেছে তারা নাখোশ। এখন বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম এর পাকিস্তান সফরে তারা যে কোনো অপতৎপরতা চালাবে না তা কিভাবে বলা যায়। আর জঙ্গী হামলা তো পাকিস্তানের নিত্য ঘটনা।
উইকিপিডিয়ার সাহায্য নিয়ে এই বছরের জানুয়ারিতে (২০১২) পাকিস্তানের নিরাপত্তার চিত্র দেখা যাক:
জানুয়ারি ১: শিয়া নেতা খুন। দু’জন আহত।
জানুয়ারি ৩: বোমা হামলায় অন্তত ৫ জন নিহত। আহত অন্তত ১২।
জানুয়ারি ৪: দূর-নিয়ন্ত্রিত বোমা বিস্ফোরণে নিহত ১, আহত ২।
জানুয়ারি ৫: তালিবান হামলায় ১৫ আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নিহত। সন্ত্রাসীরা বলেছে এটা সেনাবাহিনীর জন্য তাদের নববর্ষের উপহার!
জানুয়ারি ৭: ৪ জনকে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।
জানুয়ারি ৯: আরো ১০ সেনাসদস্য খুন।
জানুয়ারি ১০: বোমা হামলায় নিহত ৩০, আহত অন্তত ৭০।
জানুয়ারি ১২: সেনা বহরে হামলায় ১৪ সেনাসদস্য নিহত। পুলিশ ফাঁড়িতে হামলায় নিহত ২, আহত ১১।
জানুয়ারি ১৪: ৪ আত্মঘাতি সন্ত্রাসীর হামলা। ৩ বেসামরিক ব্যক্তিসহ যুদ্ধে নিহত ৪।
জানুয়ারি ১৫: দূর-নিয়ন্ত্রিত বোমা হামলায় ১৮ নিহত, আহত অসংখ্য।
জানুয়ারি ১৮: সন্ত্রাসী হামলায় টেলিকম কর্মী নিহত।
জানুয়ারি ২৪: ১ রাজনৈতিক কর্মী হত্যা।
জানুয়ারি ২৫: তিন উকিল হত্যা।
জানুয়ারি ৩০: সন্ত্রাসী হামলায় ৪ জন নিহত।
জানুয়ারি ৩১: সন্ত্রাসী হামলায় এক নিরাপত্তাকর্মী এবং এক নারী নিহত।
সর্বমোট: সন্ত্রাসী হামলায় কেবল জানুয়ারি ২০১২’তেই অন্তত ১১৫ জন নিহত।
কে জানে পাকিস্তানের জঙ্গীরা এখন বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম এর উপর হামলার দিন গুনছে কি না।
সচলায়তনের অতিথি কল্যাণ আমাকে মেইল করে অনুরোধ করলেন তার ডিজাইন করা ফেইসবুক টাইম লাইনের কভার ফটোটা এখানে শেয়ার করতে।
টুইটার
দারুণ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
সিগনেচার ক্যাম্পেইন করা হউক।
আমরা আমাদের সবার মতামত জানাই।
যাবেন না। যাবেন না। যাবেন না
তাপস শর্মা এই ছবিটি পাঠিয়েছেন। ছবির শিল্পী চারু পিন্টো।
মুতের বানে ভাইস্যা যাইবো ব্যাটারা এই কথাটা এখনো বুঝতেছে না? অবশ্য এরকমটাই আজীবন দেখে আসছি :/
তথ্য সূত্রটা উল্লেখ করলে আমি এটা টাইম লাইনে যুক্ত করে দেব।
টুইটার
লিঙ্কটা পেয়েছি।
টুইটার
ঠিক আছে
যাবে না মতলব যাবে না ।
না না না না না।
রশ্ন : অনেকেই বলছেন, আইসিসির প্রেসিডেন্টের পদ পেতেই আপনি পাকিস্তান সফরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দেশের অনেক স্থানে মানববন্ধন করে আপনার পদত্যাগও দাবি করা হচ্ছে_ বিষয়গুলো কীভাবে দেখছেন?
মোস্তফা কামাল : এটি একেবারেই ঠিক নয়। আমি স্বার্থপর নই। আমি পাকিস্তান সফরের সিদ্ধান্ত দিয়েছি বাংলাদেশের ক্রিকেটের স্বার্থ বিবেচনা করে। আইসিসির ২০১২ সালের নির্বাচনে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদটি ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তানের জন্য। পাকিস্তান আমাদের ছাড় দিয়েছে। বিনিময়ে বাংলাদেশ দল পাকিস্তান সফরে যাবে... এমন বাজে কথা বলছেন আমাকে যারা ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ করেন না তারা। আমি আবারও বলছি, ক্রিকেট ছাড়া এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে অন্য কোনো স্বার্থ জড়িত নেই। মাঠ এবং মাঠের বাইরে পাকিস্তান আমাদের অনেক সহযোগিতা করে। নতুন নিয়মে নিজ দেশের বোর্ডের অনুমতি ছাড়া কোনো ক্রিকেটার অন্য দেশে ক্রিকেট খেলতে পারবে না। একবার ভাবুন, ওরা যদি পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের বাংলাদেশে খেলার ছাড়পত্র দিতে গড়িমসি করে, তাহলে কী হবে। এমনতিতেই আমরা ভালো মানের ভারতীয় ক্রিকেটার পাই না। আবার পাকিস্তানি ক্রিকেটার না থাকলে আমাদের ক্রিকেটের হাল কী হবে... তাই আমি সবাইকে অনুরোধ করব, এখানে মোস্তফা কামাল নয়, দয়া করে দেশের ক্রিকেটের স্বার্থের কথা ভাবুন। তাহলেই অনেক কিছুর সমাধান হয়ে যাবে। আসলে এ ব্যাপারগুলো নিয়ে আমার পদত্যাগ দাবি করা কিছুটা নির্বুদ্ধিতার কাজ।
প্রশ্ন : তাদের অনেকেই অবশ্য বলছেন, এটি আপনার একক সিদ্ধান্ত? সরকারের সবুজ সংকেত ছাড়াই আপনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন?
মোস্তফা কামাল : সবকিছুতে কেন সরকারকে জড়ানো হয় সেটি আমার বোধগম্য নয়। সরকার আমাকে ক্রিকেট চালানোর দায়িত্ব দিয়েছে। আমি চালাচ্ছি, বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আকরাম খানের কথাই ধরুন না। সরকারপ্রধান তাকে ডেকে নিয়ে সমস্যার সমাধান করেছেন। সেরকম কিছু যখন হচ্ছে না তখন ধরে নিতে হবে আমার কাজে সরকার সন্তুষ্ট। তা ছাড়া আওয়ামী লীগের সরকার সবসময়ই অত্যন্ত ক্রীড়াবান্ধব সরকার। ক্রিকেটের ভালোমন্দ কিসে_ নীতিনির্ধারকরা তা খুব ভালো বোঝেন।
প্রশ্ন : পাকিস্তান সফর নিয়ে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা শঙ্কিত? এ নিয়ে আপনি কিছু ভাবছেন কি?
মোস্তফা কামাল : না, তা হবে কেন। আমি মনে করি না ক্রিকেটাররা শঙ্কিত। অনেকের সঙ্গেই আমার কথা হয়েছে। কেউ নেতিবাচক কিছু বলেননি। অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম আমাকে জানিয়েছেন, জাতীয় স্বার্থে তাকে যেখানে যেতে বলা হবে তিনি সেখানে যেতেই রাজি আছেন। তবে হ্যাঁ, এখানেও আমার বিপক্ষে থাকা লোকজন সক্রিয়। আমি জানি, তারা চাইছেন এ সফরটা যেন না হয়। অবশ্যই ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্যই এমন কাজ তারা করছেন। আপনিই বলুন, ডেভ হোয়াটমোর আর জুলিয়ান ফাউন্টেনের মতো ক্রিকেট ব্যক্তিত্বরা এখন পাকিস্তানের হয়ে কাজ করছেন, তাদের তো কোনো সমস্যা হচ্ছে না। যত বিরোধিতা আমাদের কিছু লোকের... (মহাবিরক্তির সঙ্গে)
সমকাল হতে।
কোনো কিছু চালাতে দিলে আমাদের দেশের পলিটিশিয়ানরা সেটাকে বাপের তালুকের মতো চালানোর চেষ্টা করে। এতই যদি নিরাপদ হবে, তুই তোর বাপচাচাপোলাশালাদের নিয়ে একটা টিম বানাইয়া সেইটারে পাঠা।
এই লোক টা পাগল না কি?
"মাঠ এবং মাঠের বাইরে পাকিস্তান আমাদের অনেক সহযোগিতা করে। নতুন নিয়মে নিজ দেশের বোর্ডের অনুমতি ছাড়া কোনো ক্রিকেটার অন্য দেশে ক্রিকেট খেলতে পারবে না। একবার ভাবুন, ওরা যদি পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের বাংলাদেশে খেলার ছাড়পত্র দিতে গড়িমসি করে, তাহলে কী হবে। এমনতিতেই আমরা ভালো মানের ভারতীয় ক্রিকেটার পাই না। আবার পাকিস্তানি ক্রিকেটার না থাকলে আমাদের ক্রিকেটের হাল কী হবে । " ওকে কি বলবেন এর পর?
সেরেফ দেওনের কাম
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে মাথা ব্যাথা থাকলে সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা মেধাবী ক্রিকেটারদের খুঁজে এনে বিপিএল করুক। বাংলাদেশ এই অবস্থায় এসেছে নিজেদের যোগ্যতায়, অন্য কোনো দেশের সাহায্য নিয়ে নয়।
পাকিরাই নিজেরাই এখনো তৈরি না, সেখানে এই লোটা ছাগলার ছাগলামি লাগাম ছাড়া।
১। আমরা নাকি উদের ভাই !! কুবে থেকে!! (তাই তো বলি এদেশীয় ছাগুরা কেন পাকিদের এত বাইবাই করে)
২। federal [government] is not coordinating with us, সেখানে লোইট্যা ক্যামনে আমাদের প্লেয়ারদের পাঠায়। ছাগল টারে লাথি মেরে বের করে দেওয়ার মত কি কেউ নাই!
আজ ঈদ, পাকিদের ঘরে ঘরে আনন্দ, বাতাসে আতর গোলাপের সুবাস। আজ পাকিদের মনে যত আনন্দ, সমপরিমান আনন্দ বিরাজ করিতেছে কারওয়ান বাজারে।
প্রিয় টাইগার্স, পাকিস্তানে যাবেন না
"বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে পাকিস্তান না পাঠানোর নির্দেশনা চেয়ে হাই কোর্টে একটি রিট আবেদন হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কামাল হোসাইন মিয়াজি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রধান খন্দকার দিদার-উস-সালাম বৃহস্পতিবার এই আবেদন করেন।"
কেল্লা ফতে
থামানো গেলো অবশেষে। এবার লোটা কামলার পদত্যাগ চাই!!!
সুশীলরা এই কয়দিনে একটা শব্দও উচ্চারণ করেনি এ নিয়ে। এরকম একটা পরিস্থিতিতে তাদের খুঁজে পাওয়া গেলো না কোথাও। কেসটা কী? তারাও কি জাকা আশরাফের টাকা খেয়েছে, নাকি পাকিস্তানের জনগণের ক্রিকেট বঞ্চনার কথা ভেবে তাদেরও পাছার কাপড় চোখের জলে ভিজে যায়?
হতাশ। গদ্যকার,নাট্যকার,দৈনিকের সম্পাদক, প্রকৌশলী----একের ভিতরে ম্যালাকিছু ------ আনিসুল হক কেন এখনও দৈনিক প্রথম আলোতে পাকিস্তানে টাইগারদের সফরের ব্যাপারে কালি ঝরালেন না ! নাকি ব্লগে এই নিয়ে আগেই লিখা হয়ে গেছে আর তিনি মৌলিক লেখক বলে এ নিয়ে কচলাকচলি করতে তার মন সায় দেয় নাই।
ইন্টারনেটের নানা কৌতুকের সাইট থেকে চুটকি কপিপেস্ট করে কলাম চালায় যেই লোক, তার পক্ষে তো মৌলিকত্বের শুচিবায়ু কপচানো শোভন দেখায় না। আর দুনিয়ার সব ইস্যুতেই এখন ব্লগে আগে লেখা চলে আসে।
খবরট জেনে ভীষণ ভালো লাগছে ।
হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে মনটা কিছুটা শান্তি পাইলো
আমি যদ্দুর জানি ২০১৪ বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রাক-বাছাই পর্বে বাংলাদেশের খেলা ছিল পাকিস্তানের সাথে। তখন হোম এন্ড এওয়ে ব্যবস্থায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দুটি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। তখন যদি বাংলাদেশ পাকিস্তানে গিয়ে খেলতে পারে তাহলে এখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কথা বলা কি আমাদের hypocratic পরিচয় নয়? আর যদি পাকিস্তানে খেলোয়ার না পাঠানো হয়, তবে আমার মত হচ্ছেঃ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের কাছে অনুরোধ করা যাতে কোনো খেলারই কোনো খেলোয়ারকে তাদের দেশে না পাঠানো হয়। ধন্যবাদ।
শব্দটা হিপোক্র্যাটিক নয় (Hippocratic মানে হচ্ছে হিপোক্রাটিস সম্পর্কিত), আপনি হিপোক্রিটিক্যাল বলতে চেয়েছেন বোধহয়।
না, হিপোক্রিটিক্যাল নয়। শ্রীলঙ্কা থেকে প্রতিদিন অনেক ব্যবসায়ী, ট্যুরিস্ট, ছাত্র পাকিস্তান যায়। কিন্তু শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল যায় না। এর কারণ, তাদের খ্যাতি লঙ্কান ব্যবসায়ী-ট্যুরিস্ট-ছাত্র-ফুটবলারদের চেয়ে অনেক বেশি। এ কারণে তাদের ওপর আঘাতের ঝুঁকিও বেশি। বাংলাদেশের ফুটবল দলের চেয়ে ক্রিকেট দলের ঝুঁকিও তাই অনেক বেশি।
তবে আপনার শেষ প্রস্তাবের সাথে আমিও সহমত।
আবারো প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে এই লেখা...
ঠিক। দুনিয়াতে আর কোন জায়গা নাই আমাদের টাইগার্সদের জন্য? লোটাস কামাল কি পাকিস্তানের ভোট এই ট্যুর এর বিনিময়ে পেয়েছিলো নাকি? এতো দেখি আরেক ধরনের রাজাকার!
বিসিবি এখন খেলোয়াড়দের কান্ধে বন্দুক রেখেছে। পাকিস্তানে বাংলাদেশ দল পাঠাচ্ছে বিসিবি, আর মুখে বলছে, যাওয়ার জন্য খেলোয়াড়দের জোর করা হবে না। বিসিবির কর্তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধাচরণ করে দলে টিকতে পারবে নতুনরা?
এখন তো মনে হচ্ছে চড়া বাজির টাকার ভাগবখরা এই ব্যাপারটায় জড়িত। টাকার লোভ না থাকলে কেউ ঐ মাইনফিল্ডে নিজের দেশের ছেলেদের ক্রিকেট খেলতে পাঠায়?
উচ্চ আদালতে রিট করা হয়েছিলো এর বিরুদ্ধে, সেটারই বা কী অবস্থা? জানেন কেউ?
ইত্তেফাক লিখেছে- নিরাপত্তা ঠিক থাকলে সফরে রাজি ক্রিকেটাররাও।
ক্যামনে কী??? পাকিস্তানে নিরাপত্তা কই??? দলের আর সবার কাছে জিজ্ঞেস করে নিন আগে সাক্ষাৎকার দেয়ার আগে। আর বিসিবি তো কবে থেকেই খাড়াইয়া আছে। ক্রিকেট প্রিয় মানুষজন না থাকলে তো এতদিনে হান্দাইয়াই দিত।
উনার মতামত কারটেসি: আলুপেপারের পাঠক মন্তব্য।
কড়িকাঠুরে
[img][/img]
বিবিসির খবরে বলছে, পেশোয়ারে আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টির নেতা ও রাজ্য সরকারের মন্ত্রী বশির আহমেদ বিলৌর আত্মঘাতী বোমারুর হামলায় নিহত হয়েছেন। এই হামলায় তার নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশও নিহত হয়েছে।
পিসিবি বলছে, তারা আমাদের খেলোয়াড়দের প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রীর মতো নিরাপত্তা দেবে। এদিকে তারা নিজের দেশের রাজ্য সরকারের মন্ত্রীকেই নিরাপত্তা দিতে পারে না।
এই মৃত্যু উপত্যকায় আমাদের টাইগার্স যাবে মাদারচোদ রাষ্ট্র পাকিস্তানের দুর্নাম ঘোচাতে?
আমাদের সবারই সরব হওয়ার সময় এসেছে। আসুন সবাই এই ঘোর বিপদ থেকে আমাদের ক্রিকেটারদের বাঁচাতে প্রতিবাদ করি। যে যেভাবে, যে পরিসরে পারি।
দেশে চলছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার।
পাকিস্তানে গিয়ে আমাদের ক্রিকেটারদের কিছু হলে দেশে এর প্রতিক্রিয়া কী হবে সরকার কি সেটা বোঝে না? তখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কেন নিজেদের পায়ের তলায়ই তো মাটি থাকবেনা।
আমি যা ভাবছি সেটা হয়তো কল্পনা, কিন্তু শত্রুরা এই মওকা কাজে লাগানোর চেষ্টা করবেনা তার নিশ্চয়তা কি?
প্রিয় টাইগার্স, পাকিস্তানে যাবেন না
নতুন মন্তব্য করুন