আমাদের দেশে নতুন ব্যবসার ধারা শুরু হলে চিনির পাহাড়ের পিঁপড়ার সারির মতো সবাই একযোগে সেই ব্যবসার পেছনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তৈরি পোশাক শিল্প, চিংড়ি চাষ আর আদমব্যবসা লাভজনক বলে এগুলোর স্ফীতি অন্য সব বিবেচনাকে মলিন করে দিয়েছে। শহরাঞ্চলে তৈরি পোশাকের কারখানা গজিয়ে উঠেছে শয়ে শয়ে, কৃষিজমিতে লোনাপানি ঢুকিয়ে চিংড়ির ঘের বানানো হয়েছে, আর শ্রমবাজার বিশ্লেষণের তোয়াক্কা না করে দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে চড়া টাকা আদায় করে তাদের পাঠানো হচ্ছে এমন সব দেশে, যেখানে তাদের জীবিকানির্বাহই এক বিষম দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে, দেশে টাকা পাঠানো তো দূরের কথা। এতে করে কিছু লোক প্রচণ্ড লাভবান হচ্ছে, কিছু লোক খেয়ে পরে বাঁচতে পারছে, আবার এই ব্যবসার চাপে নাগরিক পরিবেশ, প্রাকৃতিক পরিবেশ, কৃষিজমি, শক্তি ও জ্বালানি পরিস্থিতি, এসবের সাম্যাবস্থার ছকও আমূল পাল্টে গেছে।
আমাদের দেশ এখন প্রবাসীদের রেমিট্যান্স আর তৈরি পোশাক খাত থেকে আয়ের ওপর বহুলাংশে নির্ভরশীল। আমাদের দুইটা মাত্র ডিম আমরা একটা থলিতে নিয়ে পৃথিবীতে ধুঁকতে ধুঁকতে চলছি। পুরুষের কাছে পরিস্থিতিটা নতুন কিছু নয়, কিন্তু অর্থনীতিবিদরা মাঝে মাঝে ক্ষীণ কণ্ঠে পণ্যের বহুমুখীকরণের কথা বলছেন। কারণ এই দুই খাতে কোনো কারণে একযোগে সমস্যা দেখা দিলে আমরা বড় বিপদের মুখে পড়বো।
পণ্যের বহুমুখীকরণ আমাদের জন্য সহজ নয়, কারণ আমাদের শক্তি ও জ্বালানি খাতে দুর্বলতা রয়েছে। আমরা জাহাজ নির্মাণ শিল্প নিয়ে আশাবাদী হয়ে উঠছি, কিন্তু এই শিল্পের জন্যেও প্রয়োজন প্রচুর শক্তি। তৈরি পোশাক শিল্পের মতো জাহাজ নির্মাণ শিল্পেও মূ্ল্য সংযোজনের শেষ দুয়েকটি ধাপে আমরা বিচরণ করতে পারি কেবল। আমাদের প্রয়োজন এমন কিছু পণ্যের দিকে ঝুঁকে পড়া, যেটি খুব শক্তিঘন নয়, কিন্তু মূল্য সংযোজন তুলনামূলকভাবে বেশি।
এমন পণ্যের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তিগত পণ্য (বা সেবা) বোধহয় সবচেয়ে আগে মনে পড়ে, কিন্তু এই সেক্টর নিয়ে আমাদের সব সরকারই বিস্ময়কর রকমের উদাসীন। এমনকি তথ্যপ্রযুক্তি খাতে যে উদ্যোক্তারা আছেন, তারাও খুব একটা জোরালো কণ্ঠে সরকারের কাছ থেকে সুবিধা আদায় নিয়ে সরব নন। বিচ্ছিন্নভাবে পরিচিত কয়েকজন উদ্যোক্তাকে নানা বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখেছি, কিন্তু সেগুলো ঠিক শিল্পোদ্যোক্তার সুবিন্যস্ত দাবি হিসেবে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কানে যাওয়ার মতো করে উচ্চারিত নয়।
আমি এমন একটি নতুন ধারার পণ্য নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছি, যেটি বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত একেবারেই অস্পৃষ্ট।
চীনের ঐতিহ্যবাহী খাবার হচ্ছে সু্ইফ্ট পাখির বাসার স্যুপ। তারা মনে করে, এই স্যুপ খেলে শরীর ও মনের নানা উপকার হয়। সুইফ্ট একটা ছোট্টো পাখি, তার বাসা সে তৈরি করে টুকিটাকি এটাসেটার সাথে নিজের লালা মিশিয়ে (দলছুট অ্যালার্ট!)। সুইফটের লালা বাতাসের সংস্পর্শে এলে শুকিয়ে শক্ত হয়ে যায়। এই শক্ত লালার পরত দিয়েই পাখিটার বাসা তৈরি। আর এই বাসা গুলিয়ে ঝোল করে খাওয়ার জন্যে চীনের লোকজন এতই ক্ষ্যাপা যে তারা বেশ চড়া দাম দিতে রাজি আছে।
চীনের বিশাল এবং ক্রমশ ধনী হয়ে ওঠা জনগোষ্ঠীর এই পক্ষীনীড়ক্ষুধা মোচনের জন্যেই ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম আর কম্বোডিয়ায় গড়ে উঠেছে সুইফ্টের বাসার চাষের ব্যবসা। মালয়েশিয়া বছরে দেড়শো কোটি ডলারের সুইফটের বাসা রপ্তানি করে চীনে, ইন্দোনেশিয়া করে চুরাশি কোটি ডলারের মতো।
ঝোলবান্ধব বাসা বানায় যে সুইফ্ট (এয়ারোড্রামাস ফুসিফেগাস), সে ঠিক আমাদের দেশের পাখি নয়। এ পাখির আবাস শুরু হয়েছে থাইল্যাণ্ড থেকে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রায় সমস্তটা জুড়েই তারা থাকে। সুইফ্ট থাকে অন্ধকার গুহার ছাদ আর দেয়ালে বাসা বানিয়ে। পাখিটার পা খুব ছোটো বলে এরা পায়ের ওপর ভর দিয়ে দাঁড়াতে পারে না, তবে গুহার দেয়াল বা ছাদ খামচে ধরে ঝুলে থাকতে পারে। এ কারণেই মুরগির মতো করে সুইফ্ট পালন সম্ভব নয়, তার জন্যে চাই ওরকম অন্ধকার গুহার অনুকরণে বানানো বাসা। উইকিমিডিয়া কমনসের সৌজন্যে দেখুন ওরকম একটা বাসার ছবি।
ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন ছোটো ছোটো দ্বীপে, গঞ্জ এলাকায় গড়ে উঠেছে এমন শয়ে শয়ে সুইফ্টের বাসা। কংক্রিট দিয়ে কয়েকতালা বাসা বানিয়ে তাতে সুইফ্টকে ভুলিয়েভালিয়ে একবার ভেতরে নিতে পারলেই হলো, এরপর বাকিটা তারাই দেখভাল করবে। পাখির সংখ্যা বাড়ানোর জন্যে চাই ভাবভালোবাসার উপযুক্ত পরিবেশ আর খোরাক। সুইফ্ট খায় নানারকম মাছি আর টুকিটাকি পোকা (লেপিডোপ্টেরা আর ডিপ্টেরা, প্রধানত), তাকে হাঁসমুরগিকোয়েলের মতো খাবারও যোগাতে হয় না। শুধু থাকার ব্যবস্থাটা করে দিলে সে নিজেই মাছি ধরে খেয়ে, বাচ্চাকাচ্চা বড় করে একাকার অবস্থা করে ছাড়বে।
সমস্যা হচ্ছে, সুইফ্ট ঝাঁক বেঁধে বাঁচে। বাড়ির ছাদে খাঁচা বানিয়ে যেভাবে মুরগি বা কোয়েল পালা যায়, সেভাবে সুইফ্ট পালা একটু মুশকিল, প্রথমত ঐ অন্ধকার গুহার মতো একখান ঘরের ব্যবস্থা তাকে করে দিতে হবে, আর দ্বিতীয়ত, সুইফ্টের ডাক বড় তীক্ষ্ন। জ্ঞাতিগুষ্টি সবাই একসঙ্গে যখন ডাকবে সন্ধ্যাবেলা, তখন প্রতিবেশীরা নিশ্চিত এসে সুইফ্টের বাসায় আগুন ধরিয়ে দেবে। সুইফ্ট অন্ধকারে থাকে বলে শব্দের সাহায্যে দিঙনির্ণয় (ইকোলোকেশন) করে, আর সে কারণে শব্দও করে প্রচুর।
সুইফ্টের বাসার দাম চীনের আমদানি বাজারে প্রতি কিলোগ্রাম চারশো থেকে তিন হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত হয় (এক কিলোগ্রাম রূপার দাম আজ নয়শো ঊনিশ মার্কিন ডলার)। ঢাকাসহ বড় বিভাগীয় শহরে যেখানে শহর থেকে একটু দূরে আবর্জনা ফেলা হয়, সেখানে অবধারিতভাবে প্রচুর মাছি থাকে, আর পাখির ডাকে আলাদা করে বিরক্ত হওয়ার লোকও সেখানে খুব বেশি থাকার কথা নয় (একে গন্ধ, তারওপর কাকের শোরগোল), এই ডাম্প এলাকা সুইফ্টের জন্যে এক আদর্শ ফিডিং গ্রাউন্ড হতে পারে। এর আশেপাশেই গড়ে উঠতে পারে সুইফ্টের বাসার আবাদ, অর্থাৎ কংক্রিটের কয়েকতলা ফাঁকা বিল্ডিং, যাতে পানি-বিদ্যুৎ-গ্যাস কিছুই দিতে হয় না।
সুইফ্টের বাসা চাষ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো যদি বছরে কয়েকশো কোটি ডলার আয় করতে পারে, তাহলে এই মার্কেটে আমরাও ভাগ বসাতে পারি। উৎসাহী কোনো উদ্যোক্তা যদি এগিয়ে এসে কাজটা শুরু করেন, আর লাভের মুখ দেখেন, তার পেছনে পেছনে চিনির পাহাড়ে পিঁপড়ার মতো সারি বেঁধে আরো অনেকেই এগিয়ে আসবেন। শুরুটা করার জন্যে পক্ষীবিদ, পতঙ্গবিদ, চীনবিদ ইত্যাদি নানা বিশারদদের নিয়ে প্রারম্ভিক ব্রেইনস্টর্মিং সেরে নিতে হবে। মালয়েশিয়ায় নতুন উদ্যোক্তাদের জন্যে রীতিমতো প্রশিক্ষণ কোর্স করানো হয়, ইন্টারনেটে দেখলাম, বইপত্রও লেখা হয়েছে সুইফ্টের বাসা চাষের ওপর। এখন শুধু কয়েক জোড়া সুইফ্ট যোগাড় করে কাজ শুরু করার পালা।
নিশ্চয়ই অনেক সমস্যা আছে আমার আইডিয়ায়। মন্তব্যের মাঠে ধরিয়ে দিন প্লিজ।
মন্তব্য
ঢাকা শহরে কিছু প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি/কলেজ/স্কুল আছে... বিল্ডিংগুলা এই ছবির মতোই অনেকটা... সেগুলাতে হবে না? ;)
অনটপিক: ভালো পোস্ট।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
(Y)
কোথায় যেন পড়েছিলাম নাকি শুনেছিলাম (বিবিসি?) - বার্ড্স নেস্ট স্যুপ নাকি এক বাটি ১০,০০০ ডলার পর্যন্তও বিক্রি হয়!
****************************************
হংকঙে বাটির দাম ১০০ ডলার পর্যন্ত ওঠে পড়লাম। দশ হাজার ডলার উঠতে পারে এক কিলোগ্রাম, যদি পাখির বাসাটা লাল হয় (অণুজীবের কারণে কিছু সুইফ্টের বাসা সাদা না হয়ে লাল হয়ে যায়)।
পাখির খাবারে লোহার অক্সাইড থাকলেও বাসা লাল হতে পারে।
দারুন লেখা ও দারুন আইডিয়া।
একটা ব্যাপার তুলে ধরি, আমি যদিও ব্যাপারটা ক্লিয়ার না, বেশ কিছু আগে কোন এক আর্টিকেল এ পড়েছিলাম যে, গুহার দেয়াল থেকে নেষ্ট সংগ্রহ করা অনেক বিপদজনক (সেটা কি কারনে আমি জানি না)। এবং এটা করতে যেয়ে অনেক সংগ্রহকারী বা নেষ্ট চাষীরা মারা যায় প্রতি বছর। বাংলাদেশে যদি কেউ সেটা সত্যি শুরু করতে চায়, বা প্রাথমিক আগ্রহও দেখায়, তাহলে এই ব্যাপারটা মাথায় রেখে সর্বোচ্চ প্রশিক্ষন দরকার। দেশে অনেক কাজেই দরকারী ও আবশ্যকতা মূলক সতর্কতা নেবার প্রবনতা খুব কম।সেটা সাধ্যের মধ্যে হলেও দেখা যায়, ইগনোর করার প্রবনতা থাকে। মূলতঃ উদ্যোক্তরা তাদের অধীনে কাজ করা মানুষদের সেফটি থেকে নিজেদের লাভ গোছানোর তালে বেশি থাকে। এই মানসিকতা চেঞ্জ করে এগুতে হবে যদি কেই চায় করতে।
কেন নেষ্ট সংগ্রহ করা খুব রিস্কি গুহার দেয়াল থেকে, সেটা যদি কারো জানা থাকে, শেয়ার করবে আশা করি। আর আমার জানাটা অসম্পূর্ন হতে পারে।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
বাংলাদেশে তো কেউ আর গুহা থেকে সুইফ্টের বাসা পাড়তে যাচ্ছে না। আপনি একটা চারতলা বা ছয়তলা বিল্ডিং বানাবেন, প্রত্যেক তলায় ঢোকার জন্যে একটা ল্যাডার-ওয়েল থাকবে, ন্যাচারাল ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা থাকবে, বাস, আর কিছু লাগবে না। নির্দিষ্ট সময়ে মই বেয়ে একেক তলায় উঠে ঘরের সমান উচ্চতা থেকে বাসাগুলো পেড়ে পেড়ে ঝুড়িতে ভরতে হবে।
গুহার ছাদ বা দেয়াল থেকে পাখির বাসা পাড়া বিপদজনক কারণ সাধারণত গুহাগুলোর উচ্চতা অনেক হয়, কুড়ি থেকে একশো মিটার পর্যন্ত। সুইফ্ট যেসব গুহায় বাসা বাঁধে, সেগুলোতে সাধারণত বাদুড়ও বাসা বাঁধে। সেসব গুহায় এরা একটা স্বনির্ভর জৈবব্যবস্থা গড়ে তোলে। তারা বাইরে গিয়ে খাওয়াদাওয়া করে, গুহায় ফিরে বিষ্ঠা ছাড়ে। সেই বিষ্ঠা, যাকে কমার্শিয়াল জারগনে গুয়ানো বলে, অন্য অনেক কিসিমের প্রাণীর জন্যে প্রাইমারি খাবার। আবার সুইফ্ট বা বাদুড়ের ছানা ধরে খায়, এমন সাপ, পোকা, মাকড়সা, গিরগিটিও ঐসব গুহায় আরামসে বাস করে। এদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যে যতটা সম্ভব উঁচুতে বাসা বোনার চেষ্টা করে পাখিগুলো। কাজেই নীড়াহরক যারা আছে, তাদের রিস্কও বেশি কারণ তারা সেফটি গিয়ার ছাড়াই মেকশিফট মই বা হয়েস্টিং মেকানিজম নিয়ে ওঠে। জিনিসটার দাম বেশি হওয়ার কয়েকটা কারণের মধ্যে এই ঝুঁকিও একটা।
ওহ! আমি ভেবেছিলাম যে বাসায় বা বানানো স্থানে চাষ করা হয় তাকেই গুহা মিন করেছে। সত্যিকারের গুহা এর ভাবনাটা আসে নাই মাথায় :(
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
বাদুরের গুয়ানো কিন্তু আইলাইনার এবং মাসকারা জাতীয় মেকাপ তৈরির প্রধান উপকরণ। এইটাও বিজনেস সোর্স হইতে পারে কি?
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
কোথায় হবে চাষ? বিল্ডিং বানানো দরকার মানে জমি চাই, বিল্ডার চাই। বিল্ডারের যে বিনিয়োগ, তা কি মানুষকে বাড়ি বেচে বেশী হবে না সুইফট চাষ করে? যদি দ্বিতীয়টা বেশী হতে হয় তাহলে ঢাকা থেকে দূরে কোথাও চাষ করতে হবে। সেক্ষেত্রে পরিবহন খরচা বাড়বে। মোটের ওপর এই শিল্প দুটো বর্তমান সেক্টরের সাথে সাংঘর্ষিক - আবাসন ও কৃষি।
আরেকটু পড়ে নিয়ে আরও মন্তব্য করব।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
বাংলাদেশের সব শিল্পই কি আবাসন আর কৃষির সাথে সাংঘর্ষিক নয় :) ?
বাংলাদেশে যদি গাজীপুরে তৈরি পোশাক শিল্প গড়ে উঠতে পারে (চট্টগ্রাম বন্দর থেকে দূরত্ব আর কিলোগ্রাম প্রতি মূল্য বিচার করে দেখুন), তাহলে পরিবহন খরচের কথা ভেবে সুইফ্টের বাসার আবাদ পেছাবে না।
২০১১ সালে সাভার ইপিজেড সংলগ্ন এলাকায় একটি নিটিং-ডাইং-ফিনিশিং কারখানা বছরে বফু প্রতি ৭৮ ডলার রোজগার করেছিল। কারখানাটির আকার ১৬০,০০০ হাজার বফু।
পাখির বাসার বফু প্রতি রোজগার কেমন?
৭৮ ডলার রোজগার করেছিলো, নাকি লাভ করেছিলো?
রোজগার।
পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ, ক্যাপিটাল মেশিনারি আর স্থাপনার ডেপ্রিসিয়েশন, ব্যবস্থাপনার খরচ, শ্রমের মজুরি এইসব বাদ দিলে লাভের অঙ্ক কী রকম থাকে? সুইফ্টের বাসার বর্গফুট পিছু আয়ের হিসাবটা আমি জানি, কিন্তু আপাতত বলছি না (৭৮ ডলারের চেয়ে বেশি)।
বাংলাদেশে মাঝারি পাল্লার বিনিয়োক্তাদের সমস্যা বোধহয় ইউটিলিটি নিয়ে। একটা নতুন নিটিং-ডাইং-ফিনিশিং কারখানা খোলার মতো তেল যার আছে, তার জন্য এই পোস্টও প্রযোজ্য নয়। আগোরার মালিককে পানের দোকান খোলার বুদ্ধি দেয়ার মতো হয়ে যাবে ব্যাপারটা। আপনি স্কেল আরেকটু ছোটো করে আরেকটা উদাহরণ বাছেন। দেড় লক্ষ বর্গফুটের কারখানা না, দেড় হাজার বর্গফুট দিয়ে কোনো কিছু।
ঠিক কথা। শিল্প হাওয়াতে হবে না। কিন্তু সেটার রিটার্ন অন্তত আবাসন শিল্পের থেকে বেশী হতে হবে। গাজীপুরের কারখানাগুলো কৃত্রিম উপায়ে বানানো - ইপিজেড ঘোষণা দিয়ে। এই শিল্পের জন্য যদি এরকম জমি সংরক্ষণ করা যায় তাহলে সাংঘর্ষিক হবে না।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
গাজীপুরের কারখানা ইপিজেড ঘোষণা দিয়ে বানানো নাকি?? জয়দেবপুর থেকে ভালুকা পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দুই পাশে পুরোটা কারখানা (বেশিরভাগই পোশাকশিল্প)। ইপিজেড এলাকা অন্যত্র।
আমি সুইফ্ট পাখির বাসা চাষকে কৃষি বা বনজসম্পদভিত্তিক শিল্প হিসেবেই বিবেচনা করছি। আবাসন শিল্পের চেয়ে রিটার্ন বেশি হওয়াকে অবশ্যপালনীয় শর্ত ধরে নিলে বাংলাদেশে রাবার চাষ, মৎস্য চাষ, পোলট্রি শিল্প, সব কয়টাকেই বাতিল করে দিতে হয়। আর আবাসন শিল্পে লাভ এককালীন, অন্যান্য শিল্পে তা নয়।
দীর্ঘমেয়াদে প্রায় সব শিল্পেই আবাসনের থেকে বেশী লাভ, এমনকি কৃষিতেও। তাও জমি নেওয়া হয়। শিল্পের জন্য জমি পাওয়া সমস্যাও হয়।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
শিল্পের জন্যে সাধারণত নিরবচ্ছিন্ন এবং বড় আয়তনের জমি খোঁজা হয় (সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম উদাহরণ)। সুইফ্টের বাসার আবাদের তো সেই সমস্যা নেই, ছোটো ছোটো ব্লক পেলেও চলে। এ কারণেই আমার প্রথমেই মনে হয়েছে ডাম্প এলাকার কথা। সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের পাশে যে এলাকায় ময়লা ফেলা হয়, সেটার ধারেকাছেও কোনো বাসস্থান নেই (২০০৭ সালের স্মৃতি অনুযায়ী)। ঐ এলাকা টোটালি কাক আর চিলের ফিডিং গ্রাউণ্ড। দূর থেকে মাছির মেঘ দেখা যায়। এরকম এলাকায় আবাসন শিল্প গড়ে ওঠার কথা নয় (উঠতেও পারে, কিছুই বলা যায় না), কিন্তু খুব সহজেই ছোটো ছোটো ব্লকে সুইফ্টের "গুহা" বানানো সম্ভব। সিটি করপোরেশন নিজের উদ্যোগেও এই প্রকল্প নিতে পারে।
ঠিক কথা। এখানে নিরবিচ্ছিন্ন জমির দরকার পড়বে না।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
দারুণ আইডিয়া
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
"আমাদের দেশে নতুন ব্যবসার ধারা শুরু হলে চিনির পাহাড়ের পিঁপড়ার সারির মতো সবাই একযোগে সেই ব্যবসার পেছনে ঝাঁপিয়ে পড়ে।" -- সেটাই হয়তো হবে। কিন্তু শব্দসমস্যার মতো বিষয় আর কোন বিষয় বলেই বিবেচিত হবেনা তখন।
সৌরভ কবীর
বর্তমান দুনিয়ায় ছাগল চাষের চাইতে সহজ ও লাভজনক ব্যবসা আর কিছু নাই।
বাংলাদেশে আবার ছাগল চাষ করতে হয় নাকি বস? বরং বলেন ছাগল শিকার করে বিদেশে রপ্তানি কয়রা যেতে পারে।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
একটা জিনিস বুঝলাম না, পাখিগুলো কী ছাড়া থাকবে? মানে দিনের বেলায় এরা বাইরে বের হয়ে খাবার, বাসা বানানোর উপকরণ এগুলো খুঁজে আনবে? কিন্তু উপরের ছবিতে দেখা যাচ্ছে মোটামুটি আবদ্ধ বাড়ি। নাকি ফ্লোরে ময়লা এনে ডাম্প করতে হবে, সেই ময়লা থেকে এরা নিজেদের আহার্য খুঁজে নেবে?
প্রাকৃতিক ভাবে সুইফট পাখি কেন বাংলাদেশে বাসা বাঁধেনা এর কোন কারণ জানা আছে? পরিবর্তিত পরিবেশে এরা খাপ খাওয়াতে পারবে?
পাখিগুলো ছাড়া থাকবে। এরা দিনের বেলায় বেরিয়ে নিজেরা নিজেদের খাবার খুঁজে বের করে খেয়ে রাতের বেলা ঘরে ফিরবে। এদের খাবার যোগাতে হবে না। তবে মাঝেমাঝে গিয়ে দেখতে হবে, কোনো ছত্রাক, কিংবা সাপখোপ, ইঁদুর-বিড়াল এদের ওপর চড়াও হচ্ছে কি না। আর মেঝে থেকে বিষ্ঠা সরিয়ে দিতে হবে।
সুইফ্ট বাংলাদেশে থাকতে পারে, কিন্তু এয়ারোড্রামাস ফুসিফেগাস বা এয়ারোড্রামাস ম্যাক্সিমাস আছে কি না, সেটা আমি জানি না। এমনও হতে পারে, আগে ছিলো, কিন্তু এখন আর নেই। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে প্রচুর চুনাপাথরের গুহা আছে, আমাদের দেশে তেমন কিছু নেই। এরা যদি ঐরকম একটা হ্যাবিট্যাটকে ঘিরে বিবর্তিত হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে আমাদের দেশে প্রাকৃতিক আবাসের অভাবেই হয়তো সুইফ্ট বিস্তার লাভ করতে পারেনি। কিন্তু কৃত্রিম আবাস তৈরি করে তাদের আশকারা দেয়া সম্ভব।
এদের ভারতীয় প্রজাতি হল এরোড্রোমাস ইউনিকালার যা দক্ষিণ ভারত ও শ্রীলঙ্কায় পাওয়া যায়।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
এই বিশেষ প্রজাতির সুইফ্ট যে প্রজাতির পোকা খায়, সেগুলো কি আমাদের দেশে প্রচুর পরিমানে আছে?
প্রজাতি বেছে খায় না, বলতে পারেন গণ বেছে খায়। লেপিডোপ্টেরা আর ডিপ্টেরা আমাদের দেশে যথেষ্ট প্রতুল বলেই তো জানি। এ ব্যাপারে পরিসংখ্যান হাতের কাছে নাই অবশ্য।
"পাখিগুলো ছাড়া থাকবে। এরা দিনের বেলায় বেরিয়ে নিজেরা নিজেদের খাবার খুঁজে বের করে খেয়ে রাতের বেলা ঘরে ফিরবে।"
তার মানে কি পাখিগুলো পোষ মানা বা ওরকম কোন প্রসেস এ যেতে হবে? নাকি কোন প্লেসে কদিন থাকলে পাখিরা স্বভাবতই সে প্লেসেই ফিরে আসে?
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
সুইফটের বাসা-ব্যবসা নিয়ে বিবিসির আর্টিকলটা পড়েছিলাম, কিন্তু এটা থেকে যে দেশে ব্যবসা করার একটা প্রস্তাব হতে পারে এটা একটা ভালো আইডিয়া, সেটার দোষ-গুণ তার পরের ব্যাপার।
সাধারণভাবে এই আইডিয়া থেকে যে উপ আইডিয়া উঠে এসেছে সেটা নিয়ে আমি ভাবছি। চীন আসলেই বৃহৎ এবং অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী। ইউরোপ আমেরিকার দিকে না তাকিয়ে আমাদের বরং চীন আর ইন্ডিয়ামুখী হতে হবে। গুগলে রক্ষিত বিশ্ব ব্যাঙ্কের তথ্য অনুসারে ২০৩২ নাগাদ চায়না সবার জিডিপি ছাড়িয়ে যাবে।
সুতরাং এসব বিষয় নিয়ে আরো বেশী করে ভাবতে হবে।
ইরানের নিউক্লীয় তৎপরতার কারণে ইরানের ওপর যে অর্থনৈতিক অবরোধ চাপানো হয়েছে, সেটার সুযোগ কিন্তু ভারত বেশ ভালোভাবে নিয়েছে। হিলারির ঘ্যানঘ্যানকে পাত্তা না দিয়ে তারা বলেছে, মধ্যপ্রাচ্যে বসবাসরত কয়েক মিলিয়ন ভারতীয়দের স্বার্থে তারা ঐ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায় এবং তারই প্রেক্ষিতে ইরান থেকে ভারত তেল আমদানি করবে। এবং নিঃসন্দেহে সেই তেল বাজারের দামের চেয়ে সস্তাও হবে। এ ধরনের সুযোগ বাংলাদেশ চাইলেও নিতে পারে না, কারণ বাংলাদেশকে হিলারির মতো লোকজনের অনুচ্চারিত ধমকের উপর থাকতে হয়। কাজেই বাংলাদেশকে অবশ্যই নিকটবর্তী বড় অর্থনৈতিক গোষ্ঠীগুলোর সাথে রপ্তানি বাণিজ্য বাড়াতে হবে, যাতে হিলারি চিবি দিতে চাইলেও আমরা খেয়েপরে বাঁচতে পারি। মধ্যপ্রাচ্য আর চীনে নতুন বাজার খোঁজা জোরেসোরে শুরু করা দরকার।
আমার মনে হয় নবীন উদ্যোক্তাদের উচিত যতটা সম্ভব বেশি মূল্য সংযোজনক্ষম পণ্য উৎপাদন বা উদ্ভাবন নিয়ে চিন্তা করা। যেহেতু বাংলাদেশে অফুরান সরবরাহ কেবল সস্তা শ্রমের, শ্রমঘন কিন্তু তেমন শক্তিভূক নয়, এমন পণ্য আর সেবা নিয়ে মাঠে নামতে হবে। যেসব দেশ আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্যের প্রতিদ্বন্দ্বী, তাদের শক্তির সরবরাহ বিশাল, আর আমাদের দেশে শক্তির বড় ঘাটতি চলছে। তাই সময় থাকতে ট্র্যাক পাল্টাতে হবে।
দুইদিন আগে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত ভয় দেখাচ্ছেন বাংলাদেশে শ্রমিক অসন্তোষের ফলে নাকি আমেরিকায় বা ইউরোপে বাংলাদেশ থেকে আসা সামগ্রীর বিক্রি কমে যেতে পারে। এইটার থেকে হাস্যকর যুক্তি আমি আগে শুনি নি।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
ভাসুরের নাম নিতে না পেরে বালছাল অজুহাত দেখিয়ে ভয় দেখানো আর কি।
আসল কথা হচ্ছে, সরকার গ্রামীণ ব্যাঙ্ক নিয়ে তদন্ত কমিশন করায় বাংলাদেশের সব দরিদ্র নারী না খেয়ে মরে যাবে, এই টেনশনে হিলারি ফুপ্পির রাতে ঘুম হয় না।
চেলসির বিয়ে হয়ে গেছে না? ;)
বলতে পারি না। চেলসিরে নিয়ে টেনশন করার সুমায় কোথায় ফুপ্পির? ৯০ লক্ষ দরিদ্র নারীর ভার ওনার কাঁধে।
পড়লাম। কিছু কিছু রিস্ক মনে হল সেগুলো লিখে দিচ্ছি।
১) স্বাভাবিক বাসস্থানের বাইরে এই পাখির চাষ (পোলট্রি জাতীয় প্রকল্প) এ পর্যন্ত হয়নি। একটা জিনিস খেয়াল করুন, পাখির বাসার ডিমান্ড হল চিনে, আর তা আসে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া থেকে। চিনারা এখনও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের দেশে চাষ করার কিন্তু সফল হয় নি, একমাত্র হাইনানে কিছু পাখির চাষ হচ্ছে। যে সমস্ত দেশ রপ্তানীর কাজে আছে, তাদের সর্বত্রই সুইফট পাখির স্বাভাবিক বাসস্থান ছিল। এমনকি ভারত থেকে অল্প কিছু রপ্তানী হয় তাও একটি সীমিত অঞ্চল থেকে (নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ)।
২) শ্রীলঙ্কায় এরোড্রোমাস ইউনিকালার প্রজাতির বাস। তাদের দেশে এর আগে এই ধরণের প্রকল্প শুরু করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু বক্তব্য হল শ্রীলঙ্কায় চিনা বংশোদ্ভুতরা বাস করে না ও দেশে পাওয়া পাখির বাসা খুবই "এক্সপোর্ট কোয়ালিটির" নয়। শ্রীলঙ্কা সরকার এখন এই প্রকল্পগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। বরং তারা দেশীয় প্রজাতিগুলো সংরক্ষণ করছে। তবে সুইফট পোলট্রি বানানোর ব্যাপার তখনো আসেনি, সুতরাং এখন শ্রীলঙ্কা সরকার নতুন করে চিন্তা করতেই পারে।
উল্টোদিকের আশাবাদ হল, আগামী দশ বছরে যোগান দ্বিগুণ হলেও চাহিদাও তার থেকেও বেশী বাড়বে বলা হচ্ছে, অর্থাৎ দাম নিকট-ভবিষ্যতে কমার সম্ভাবনা নেই। অর্থাৎ রিস্ক নেওয়া যেতেই পারে।
একটা লেখায় পড়লাম কি ভাবে সিডি প্লেয়ার চালিয়ে পাখিদের গুহা থেকে বের করে পোলট্রি-বাড়ীতে আনা হয়। আরেকটা লেখা পড়তে পারেন।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
১. হ্যাঁ, এটা খুব মূল্যবান পর্যবেক্ষণ। চীন উচ্চতর অক্ষাংশে থাকার কারণে আবহাওয়াগত কারণে এই সমস্যা কি না কে জানে? বাংলাদেশে একটা পাইলট প্রকল্প শুরু করে দেখা উচিত বলে মনে করি।
২. এয়ারোড্রামাসের বাণিজ্যিক প্রজাতি দেখলাম ঐ ফুসিফেগাস আর ম্যাক্সিমাস। অন্যান্য সুইফ্টলেটকে মনে হয় তেমন একটা পাত্তা দেয় না চীনারা। দলছুট যেমন প্রেয়সীর লালা ছাড়া অন্যদের লালায় ইন্টারেস্টেড না, চীনারাও তেমনি ফুসিফেগাস আর ম্যাক্সিমাসকেই ভালো পায়।
১) বিভিন্ন লেখায় পড়ে দুটো জিনিস মনে হল, হয় দূষণের কারণে অথবা উষ্ণতার/আর্দ্রতার ভিন্নতার কারণে এটা হয়ে থাকে। তবে যা করার তাড়াতাড়ি করতে হবে, চীনারা কিন্তু কিছু না কিছু একটা উপায় বের করেই ফেলবে। ;)
২) হ্যাঁ, এর অর্থ হল ভারতীয় প্রজাতি চাষ করে কোনও লাভ নেই, কাজটা কিছুটা শক্ত হয়ে গেল।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
দারুণ আইডিয়া!
নতুন মন্তব্য করুন