উচ্চ আদালতের একজন বিচারক ও আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচারার্থে গঠিত ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারক নিজামুল হক নাসিম ও আন্তর্জাতিক অপরাধ বিষয়ক আইন বিশেষজ্ঞ ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিনের মধ্যে স্কাইপিতে সাধিত কথোপকথন হ্যাক করে প্রকাশের ঘটনা এখন সকলেই জানেন। বিষয়টি গোচরে আনে যে পত্রিকাটি, সেই দি ইকোনমিস্ট এই হ্যাকড ম্যাটেরিয়াল নিয়ে টেলিফোনে একজন দায়িত্বাসীন বিচারকের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করে তার ওপর চাপ প্রয়োগের চেষ্টাও করেছে। বিচারক পাল্টা আইনী ব্যবস্থার কথা রুল জারি করে তাদের স্মরণ করিয়ে দেওয়ার পর আমরা দেখতে পেলাম, যুক্তরাজ্যের দি ইকোনমিস্ট নিজেদের পত্রিকায় এ ব্যাপারে কোনো কিছু প্রকাশ না করে বানিয়ান শিরোনামে তাদের ব্লগে এ সংক্রান্ত একটি সংক্ষিপ্ত লেখা পোস্ট করে এবং প্রায় একই সময়ে বাংলাদেশের দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় এই হ্যাকড কথোপকথনের অনুলিপি প্রকাশিত হয়। পত্রিকা ও ব্লগের মধ্যে পার্থক্য করতে অক্ষম বাংলাদেশী মিডিয়া সেটিকেই দি ইকোনমিস্টের "প্রতিবেদন" জ্ঞান করা শুরু করে এবং ব্লগটির বাংলা অনুবাদ কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
এ পর্যন্ত বিচারক ও আইনজ্ঞের মধ্যে কথোপকথন, স্কাইপিতে তাদের কথোপকথন হ্যাক করার সম্ভাব্যতা, ইত্যাদি অনেক কিছু নিয়ে পত্রিকায় নানা কথা হয়েছে, কিন্তু উচ্চ আদালতের একজন বিচারকের কথোপকথন হ্যাক করা কত বড় অপরাধ, এবং এই ধরনের অপরাধের বিচার বা শাস্তি প্রসঙ্গে আমাদের মিডিয়া মৌনীবাবার ভূমিকা নিয়েছে। আলোচ্য বিচারক ও আইনজ্ঞের কথোপকথন থেকে পরিষ্কার হয়, তাঁরা একটি সুগঠিত রায় ও সুচারু বিচারকাজের জন্য কী গভীর নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা নিজেদের ভেতরে লালন করেন। কিন্তু তাদের গোপনীয় আলাপ যারা আড়ি পেতে ধারণ করে প্রচার করলো, তাদের এই আড়ি পাতার কাজটি কতটুকু প্রসারিত, তা নিয়েও মিডিয়া চুপ। বিচারকের আলাপ যদি আড়ি পেতে শোনে কেউ, সে যে সাক্ষীদের গোপন রাখা পরিচয়ও হ্যাক করে কাজে লাগায়নি, তারই বা নিশ্চয়তা কী?
কিছু সাক্ষী যে শেষ মুহূর্তে সাক্ষ্য দিতে নিজেদের অপারগতার কথা জানিয়েছেন, সেটি থেকেও কি আমরা বুঝতে পারি না, এই সাক্ষীদের পরিচয় ফাঁস হয়েছে, এবং তাদের ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে?
এ ব্যাপারে প্রশ্ন তুললে সম্ভবত বিব্রত হবে সরকারের সেই অংশটিই, যাদের দায়িত্ব ছিলো গোপনীয় তথ্যকে গোপনীয় রাখা। আজ বিচারকের আলাপ হ্যাক হচ্ছে, কাল যে খোদ প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতির ফোন আলাপ হ্যাক হবে না, আমরা কীভাবে নিশ্চিত হবো? আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচারার্থে গঠিত ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান যদি হ্যাকিঙের শিকার হন, আর সেই হ্যাকিঙের বিচার চেয়ে মিডিয়াতে যদি কোনো প্রশ্ন না ওঠে, তাহলে কি এই সঙ্কেতই দেয়া হয় না, যে হ্যাকিংকে আমরা মেনে নিচ্ছি?
এই প্রশ্নগুলো ওঠার আগেই তাই অনলাইনে এই হ্যাকারদের প্রোপাগাণ্ডা অংশ অভিযোগের আঙুল তুলছে আইন বিশেষজ্ঞ ড. জিয়াউদ্দিনের দিকেই। তাদের সাথে যোগ দিয়েছে কিছু কাঠবলদ ও পিতৃপায়ুজাত গর্ভস্রাব। তারা বলতে চায়, ড. জিয়াউদ্দিনই এই অডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দিয়েছেন। ড. জিয়াউদ্দিন নিজেকে বিপন্ন করে এই বিচার প্রক্রিয়াকে কোন দুঃখে স্যাবোটাজ করতে যাবেন? আর নিরীহ আইনজ্ঞ জিয়াউদ্দিনকে যূপকাষ্ঠে চড়ালে কি বিচারককে গোপনীয়তা প্রদানে ব্যর্থ সরকারের বিশেষ কর্তাদের সদুত্তর দেয়ার খাটনি কমে যায়?
জামাতের প্রোপাগাণ্ডু মূর্খের দল নিজেদের অজান্তেই নিজেদের দাবির বিরুদ্ধে প্রমাণ তুলে দিয়েছে ইউটিউবে। যারা ইউটিউবে বিচারক ও আইনজ্ঞের মধ্যে কথোপকথন শুনেছেন, তারা পরিষ্কার খেয়াল করেছেন একটি ব্যাপার। এই অডিওতে ড. জিয়াউদ্দিনের কথা এসেছে কাটা কাটা, যেখানে বিচারকের কথা এসেছে পরিষ্কার। বাংলাদেশে ইন্টারনেটের কচ্ছপগতির কারণে স্কাইপি বা গুগলটকে অপর প্রান্ত থেকে ভয়েস ডেটা আসে ভেঙে ভেঙে, যে কারণে কথা যান্ত্রিক শোনায়। বিচারকের কম্পিউটারে আড়ি পাতার কাজটি সম্পন্ন হয়েছে বলেই সেখানে মন্থর নেটসংযোগের কারণে ড. জিয়াউদ্দিনের কথা এসেছে ভেঙে, আর সরাসরি মাইকে ধারণকৃত বিচারকের কথা স্পষ্ট শোনা গেছে। যদি ড. জিয়াউদ্দিনের প্রান্ত থেকে এই কথোপকথন রেকর্ড করা হতো, তার নিজের কথা কখনোই ভেঙে যেতো না। কথোপকথনের নমুনা এই পোস্টে দিচ্ছি না, কারণ উচ্চ আদালতের একজন বিচারকের হ্যাক করা কথোপকথনের আংশিক বা পূর্ণাংশ পরিষ্কারভাবেই অবৈধ, এবং এর ব্যবহারের ওপর পরিষ্কার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে আদালত থেকে। যার আগ্রহ আছে, তিনি ইন্টারনেটে জামাতের প্রোপাগাণ্ডুদের ছড়িয়ে দেয়া অডিও থেকে শুনে যাচাই করে দেখতে পারেন।
এই ঘটনায় দুটি অপরাধ সাধিত হয়েছে, সেটি হচ্ছে দু'জন মানুষের কথোপকথন হ্যাক করা এবং সেই হ্যাক করা তথ্য প্রকাশ করা। এই দুটি অপরাধেরই আশু বিচার কামনা করছি। আমরা এই হ্যাকারদের পরিচয় জানতে চাই, শাস্তি চাই, আর এই হ্যাকড ম্যাটেরিয়াল যারা আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে প্রকাশ করলো, তাদের শাস্তি চাই।
যারা এই প্রসঙ্গে সংশয় বা দ্বিধায় ভুগছেন, জেনে রাখুন, আপনাদের সংশয়ই একাত্তরের ঘাতকদের শক্তি। ছাগুদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনের ময়দানে লড়াই করা একজন সহযোদ্ধা নিজের কানের চেয়ে ছাগু-প্রোপাগাণ্ডাকে বেশি মূল্য দিয়েছেন শুনে যেমন বিস্মিত হয়েছি, তেমনি আঘাতও পেয়েছি। আপনি একটা স্লো লাইনে বসে স্কাইপিতে বিদেশের কারো সাথে কি জীবনে কথা বলেন নাই? স্লোগান দিতে গিয়ে আমি বুঝতে শিখি, কে ভাই, কে দুশমন, গানটা তো আপনিও শুনেছেন। নাকি শোনেন নাই?
গ্ল্যাডিয়েটর সিনেমায় ম্যাক্সিমাসের একটি সংলাপ আমার প্রিয়, সেটি দিয়েই শেষ করি। হোল্ড দ্য লাইন।
মন্তব্য
জামাত যদি প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে এই প্রপাগান্ডা এবং স্যাবোটাজ চালাতে পারে তাহলে আমরা কেন এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে পারছি না? বিশেষ করে যেখানে আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং সরকারী দলই বিচারকাজটা চালাচ্ছে? আমাদের ব্যার্থতাটা কোথায়?
ফারাসাত
বিচারকাজ সরকারী দল চালাচ্ছে না রে ভাই। বিচারকাজ চালাচ্ছে ট্রাইব্যুনাল, সরকারের ভূমিকা এখানে নিতান্তই লজিস্টিক। আমাদের ব্যর্থতা এই গোটা প্রক্রিয়াটা বুঝতে চাওয়ার অনীহায়। জামাতিরা প্রক্রিয়াটা নিজেরা বোঝে বলেই ডিসইনফরমেশন ছড়াতে পারে।
আমরা এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে পারছি না কারণ আমাদের মধ্যে একটা অদ্ভুত তাচ্ছিল্য কাজ করছে। আমরা ভাবছি সব কাজ সরকারের, আমাদের কাজ শুধু মাঝেমাঝে হম্বিতম্বি করা। এই ভাবনা যে খুব ভুল, তা-ও না, কিন্তু সরকার যদি সব কাজ ঠিকমতো না করে, তখন যে আমাদেরও কিছু কর্তব্য আছে, সেটা আমরা ভুলে যাচ্ছি। সরকারের ভেতরে অনেক রকম পক্ষ আছে, বিচারটা যাদের কাছে প্রায়োরিটির শীর্ষে নেই। বিচার যাদের কাছে উপলক্ষ্য নয়, বরং লক্ষ্য, তারাই সম্প্রতি এই হ্যাকিং আক্রমণের মূল টার্গেট।
আপনারা অনেকেই জানেন না যে সম্প্রতি নেদারল্যান্ডসের ডেন হাগে একাত্তরের ঘাতকদের হয়ে সারা বিশ্বে প্রোপাগাণ্ডায় অংশ নেওয়া টোবি ক্যাডম্যানকে অনেকগুলো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সামনে একেবারে প্রায় প্যান্ট খুলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিলো। এই ক্যাডম্যান দিনের পর দিন আইসিটির নামে মিথ্যাচার করে বেড়াচ্ছে এক দেশ থেকে আরেক দেশে। আন্তর্জাতিক সেমিনারে গিয়ে সে মিথ্যাবাদী প্রমাণিত হওয়ার এবং নিজের মুখে নিজের ভুল স্বীকার করতে বাধ্য হওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে এই হ্যাকড ম্যাটেরিয়াল প্রকাশ হওয়ার ঘটনা ঘটলো। তাও আবার দি ইকোনমিস্টের মতো পত্রিকা সমস্ত শিষ্টাচার লঙ্ঘন করে একজন বিচারককে ফোনে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে। এখন যদি আমরা না বুঝি, যে জামাত তাদের দলের ঘাতকশিরোমণিদের রক্ষা করার জন্য কতদূর পর্যন্ত যেতে পারে, তাহলে কীভাবে হবে?
এই বিচারে যদি সরকারের কাজে ঘাটতি থেকে থাকে, সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে সেই ঘাটতি পূরণের দায়িত্ব কার? আপনার, আমার, আমাদের। সেই কাজটা কি আমরা করছি? করছি না তো।
"এই বিচারে যদি সরকারের কাজে ঘাটতি থেকে থাকে, সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে সেই ঘাটতি পূরণের দায়িত্ব কার? আপনার, আমার, আমাদের। সেই কাজটা কি আমরা করছি? করছি না তো।"
হিমু, আমি আওয়ামী লীগের ওপরে এই বিষয়ে চাপ প্রয়োগে উতসাহী। আমার কি করা উচিত?
এই মুহূর্তে এই হ্যাকিঙের ঘটনা কীভাবে ঘটলো, সেটার থরো ইনভেস্টিগেশন দাবি করে পত্রিকায় লিখতে পারেন।
সরকার পত্রিকা পড়ে?
পত্রিকা না পড়লে পিএমওর অফিস থেকে এরকম প্রেসনোট দেয় কেমনে
সরকারকে পড়ানোর জন্য পত্রিকায় কি আর লেখে কেউ? লেখে মানুষকে পড়াতে। জিজ্ঞেস করতে পারিস সরকার মানুষকে "পড়ে" কি না।
আপনার উৎসাহ ভালো আছে বস?
কোন প্রকার তদন্ত ছাড়াই শুধুমাত্র অনুমান বা হয়তো স্টেরিওটাইপ বিরোধীতার কারণে ডঃ জিয়াউদ্দিনকে নিয়ে কিছু কিছু মানুষের খোলা ময়দানে নেমে আলুপোড়া খাবার উদ্যোগ নিতে দেখে আহত হয়েছি। রাজাকার ও সমমনারা বাঁচার জন্য একাট্টা হতে পারলেও, যারা রাজাকার-আলবদরদের বিচার চায় তারা দূর্যোগময় মুহূর্তেও ব্যাক্তিস্বার্থ ও গোষ্ঠিস্বার্থ পরিত্যাগ করে একাট্টা হতে শিখলো না আজও; কে ট্রাইবুনালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারলো আর কে পারলো না, এই আলুপোড়ার হিসেব নিয়েই এদের অনেকে এখনও ব্যতি-ব্যস্ত ।
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
হোল্ড দ্য লাইন
yes...হোল্ড দ্য লাইন
আজকেই দেখলাম ট্রাইব্যুনাল আবার শুরু করার জন্য লোকজনে চিল্লাচিল্লি করছে।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
এই আসিফ নজরুলের মত হারামজাদাগুলি এদেশটাকে শেষ করে দিচ্ছে।
শেয়ার দিলাম বস।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
হোল্ড দ্যা লাইন
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
১. এই ঘটনাটা সরকার কতটা সিরিয়াসলি নিয়েছে আমরা জানি না। কিন্তু ঘটনাটা প্রমাণ করলো সরকারের মধ্যে অনেক ফুটো আছে যাতে জামাত শিবিরের ছারপোকারা নিরুপদ্রপ বসবাস করে যাচ্ছে। আরো কার কার যন্ত্রে ছারপোকা বসে আছে কেউ জানি না। সরকারী লোকদের প্রযুক্তি দুর্বলতা/অজ্ঞতার সুযোগেই এসব ঘটানো সহজ। এমনকি ঘরের মানুষ দিয়েই এসব আকাম করানো যেতে পারে। বিচারপতি নিজামুল হকের কম্পিউটারে নিশ্চয়ই কোন থার্ড পার্টি স্কাইপে রেকর্ডার ইনস্টল করা ছিল। এবং এটা যে করেছে তার অবশ্যই সেই কম্পিউটারে এক্সেস আছে। ছিদ্রগুলো কতটা বন্ধ করতে সক্ষম সরকার?
২. একজন বিচারপতির আইনের ব্যাপারে আইন বিশেষজ্ঞের সাথে আলাপ করতে পারে। এটা মহা দোষের কোন ব্যাপার না। যারা এখানে প্রোটোকল অনিয়ম জাতীয় দোষ খোঁজেন, তাদের জানা উচিত বিচারপতিরা বিচারের জন্য আসমানের ফেরেশতার কাছ থেকে ওহী পান না। দুনিয়ার জ্ঞান থেকেই রসদ আহরন করেন। তাছাড়া বিচারপতি এখানে গোলাম সাঈদীরে বিনাবিচারে ক্রসফায়ার দেবার মতো আলাপও করেনি। রায়ের কাঠামো, রায় দেবার জন্য মন্ত্রীদের তাড়াহুড়ো ইত্যাদি নিয়ে আলাপ করেছে।
৩. আমার দেশ ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছে। এটা চালায় এক বরাহ শাবক। তাকে অবশ্যই বিচারের সম্মুখীন করা উচিত।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
যারা এই প্রসঙ্গে সংশয় বা দ্বিধায় ভুগছেন, জেনে রাখুন, আপনাদের সংশয়ই একাত্তরের ঘাতকদের শক্তি।
সৌরভ কবীর
একজন বিচারকের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ভঙ্গ করা কত বড় মাত্রার অপরাধ এইটা হয়ত অনেকেই হৃদয়াঙ্গম করতে পারছেন না। এই ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেই আশায় থাকলাম। সেই সাথে বর্তমান বিচারপতি/আইনজীবিদের সাথে যেন এমনটা না হয়, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।
হ্যাকিঙের বিচারটা সরকার দ্রুত করুক।
আর অবশ্যই হোল্ড দ্যা লাইন!
ভীষন ভাল লেখা ...
একদম সত্যি - তবে আরেকটি দল আছে পরিচিতদের মাঝে - যারা পুরো বিচারের ব্যাপারটাতেই গা ছাড়া টাইপের, আপাত দৃষ্টিতে বাঙ্গালী অন্তঃপ্রাণ কিন্তু ভয়ঙ্কর রকম নির্লিপ্ত এই মানুষেরা আরেকটা বড় শক্তি। অভিযোগ করতে আমি পছন্দ করিনা, অভিযোগ না করে তাদের সাথে কথা বলে বলে একটা পর্যায়ে নিয়ে আসার চেস্টায় আপনার এই লেখাটা অনেক সাহায্য করবে।
...........................
Every Picture Tells a Story
হোল্ড দ্য লাইন ।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
এই হ্যাকিং এবং পরবর্তী কার্যকলাপের মাধ্যমে ওই যুদ্ধাপরাধী গং ও তাদের সহযোগী বেজন্মারা এখন যে সরাসরি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, এটা কি আমাদের বর্তমান রাষ্ট্রনায়করা বুঝতে পারছেন ?
এর জন্য কেবল জবাবদিহিই নয়, কঠিন শাস্তি দাবি করছি।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ইমেইল গুলো পড়লেই দেখবেন ওগুলো বিচারপতি নিজামের জি মেইল একাউন্ট এর থেকে নেয়া। সুতরাং বিচাপতির ইমেইল যখন হ্যাকড হয়েছে, স্কাইপ এর ক্ষেত্রেও একই ঘটনা হওয়াটাই স্বাভাবিক।
আইন কমিশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. শাহ আলম একটা আর্টিকেলে অনেক কিছু স্পষ্ট করেছেন।
তরুণ আসিফ নজরুল বৃদ্ধ শফিক রেহমানের পদটি বাগাতে মরিয়া।
আজ সকালে চ্যানেল আইয়ের একটি অনুষ্ঠানে গান গাইতে এসে কেঁদে ফেলেন শহীদ বুদ্ধিজীবীর সন্তান সাদি মোহাম্মদ। তিনি আকুল আবেদন রাখেন তার গানের শ্রোতা-ভক্তদের কাছে, তারা যেন তার পিতার হত্যাকারীদের বিচার-দাবীতে সোচ্চার হন। এর কিছুক্ষণ বাদেই গাজি টিভিতে পুনঃ-প্রচারিত টকশোতে ভেসে উঠল আসিফ নজরুলের চেহারা। কাকতলীয়ভাবে আসিফ নজরুলও যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে কথা বলছিলেন, তবে তার কথাগুলো ছিল কেমন গন্ধময়, যেমন,
(১) যুদ্ধাপরাধের বিচার একটি সঠিক ও নিরপেক্ষ আইনি কাঠামোর মধ্যে হতে হবে, যাতে তা আন্তর্জাতিক হিউমান রাইটস অর্গানাইজেশনের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়,
(২) আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদর রহমান বাংলাদেশের সাংবাদিকতার জগতে চিরদিন শ্রদ্ধা লাভ করবেন বিচারপতি নিজাম উদ্দিনের স্কাইপে কথোপকথন হ্যাকিং করে সত্য উদঘাটনের জন্য।
কারো বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়, আসিফ নজরুলও ঐ দলের যারা সরাসরি যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে বলার সাহস না পেলেও বিচার প্রক্রিয়াটি নিয়ে প্রশ্ন তুলে পরোক্ষভাবে এই বিচারটিকেই নস্যাৎ করে দিতে চায়। আসিফ নজরুল ভেক ধরে থাকায় উনাকে অতীতে চেনা যায়নি। কিন্ত গত কয়েক বছরে উনার পরিচয় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। সুতরাং, নতুন প্রজন্মের যেসব তরুণ এখনো ওনার 'নিরপেক্ষ বিশ্লেষণের' গুণমুগ্ধ, তাদের অনূর্ধ্ব জানাই মুগ্ধতার খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসতে, আসিফ নজরুলের 'ছা গু ত্মা' চিনে রাখতে এবং বর্জন করতে। দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য।
কাজি মামুন
- আসলে রাজাকারদের একটা ছদ্মবেশী ভাড়াটে বুদ্ধিজীবী - ঘরভেদী বিভীষণ! গোপনে চাকু শানানো অকস্মাৎ পিঠে ছুরি মারা বন্ধুবেশী বেঈমান জুডাস! একটা বিশুদ্ধ ট্রোজান হর্স!!
পুলিশের তল্লাশীতে জামাতিদের মালপত্রে বা গোপন ডায়েরী/ডকুমেন্টে এই ুতিয়ার নামটা একাধিকবার তাদের গোপনে পোষা ছদ্মবেশী সমর্থক বুদ্ধিজীবীদের তালিকার মধ্যে পাওয়া গেছে। পেপারেও একাধিকবার এসেছে এগুলি। আমারই অন্তত দুইবারের কথা মনে পড়ছে। একবার বেশ কয়েক বছর আগে, আরেকবার অতি সম্প্রতি - কিছুদিন আগেই মনে হয়। এই ঘটনার পর %৳#ঁ%৳ঁ%-টা কয়েক দিনের জন্য ডুব দিয়েছিল মনে হয় (অবশ্য আমার মনের ভুলও হতে পারে, এত শরম এইসব বেহায়াদের আছে কিনা সন্দেহ!), এখন আবার বেহায়ার মত ঠক-শোগুলিতে চেহারা দেখানো শুরু করেছে। খুব সম্ভবত বরতমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে হাই-কমান্ড থেকে SOS পেয়ে বিটকেল মুখটা বের করতে বাধ্য হয়েছে।
আমার শুধু অবাক লাগে, সব কিছু জানার ও প্রকাশ পাওয়ার পরও সবগুলি চ্যানেলই কেন এইরকম একটা ল্যাংটা বাটপারকে বারবার ডাকে! শুধু ইসলামিক টিভি বা দিগন্ত চ্যানেল ডাকলেও নাহয় বুঝতাম!
****************************************
আমাদের দেশের হ্যাকিং সংক্রান্ত আইনের ধারায় (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৬ ধারা) ব্যাখ্যাটি খুব পোক্ত নয় বলে মনে হয়েছে। তারপরও স্বস্তি এই, ইতোমধ্যে একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা এজাহার হিসেবে গ্রহণের জন্য বিজ্ঞ মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালত হতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কালের কণ্ঠের প্রতিবেদনে দেখলাম মামলায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৬ ও ৫৭ ধারা, একই সঙ্গে দণ্ডবিধির ১২৪(এ) ও ৫০৫(এ) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। হ্যাকিং-এর সাথে কারা কারা জড়িত থাকতে পারে, সে তালিকাটি চূড়ান্ত নয় এখনও। ধরেই নেয়া যায় যে এই কাজটির পেছনে অনেকগুলো ব্যক্তি/ গোষ্ঠির সংঘবদ্ধ ষড়যন্ত্র কাজ করেছে। কাজেই আমার মনে হয়েছে এক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৬৬ ধারাটিও প্রাসঙ্গিক হিসেবে আসতে পারে।
অন্যদিকে দা ইকোনোমিস্ট পত্রিকার বিরুদ্ধেও ব্রিটেনের আইনে ঐ দেশে এখনই প্রতিকার চাওয়া দরকার মনে হয়। দা নিউজ অব দা ওয়ার্ল্ড কাহিনীর পর এধরণের অপরাধে The Leveson Inquiry -এর সুপারিশে বেশ কিছু গুরুত্বপুর্ণ নির্দেশনা ছিল। তার ভেতর একটি হল ব্রিটেনের Data Protection Act 1998 এর ৫৫ ধারায় প্রতিকার চাওয়া।
হোল্ড দ্য লাইন
হাকিং নিয়ে মাতামাতি ভাল কথা, কিন্তু, তাদের কথোপকথনের বিষয়গুলি বিচার কার্য্যের নোংরামি বই কি? ইচ্ছে করেই সাক্ষি গুম করে ফেলা, পক্ষপাত্মুলক রুলিং দেয়া, এসব কি মানবতা বিরোধি নয়? পুরো বিচার কার্যটি যে রাজনিতির দোষে দুস্ট সেটা নিয়ে কেঊ হাউকাউ করছে না কেন?
ছাগলের বাচ্চা, সাক্ষী সুখরঞ্জন বালি নয় মাস ধরে নিখোঁজ ছিলো, তার মেয়ে থানায় জিডি করেছে, সেই নিখোঁজ সাক্ষী ডিফেন্সের কাস্টডিতে গেলো ক্যামনে, তোর বসদের জিগাইয়া দেখিস তো?
এই ঘটনার এ-এ-ক বচ্ছর হয়ে গেলো?? ... ... এইবার...
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নতুন মন্তব্য করুন