বাচ্চু রাজাকার, যে একাত্তরে নানা অপরাধ ঘটানোর পর পঁচাত্তরে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সুযোগ নিয়ে মাওলানা আযাদ নাম ভাঁড়িয়ে যত্রতত্র ধর্মীয় ব্যাখ্যা বয়ান দিয়ে বেড়াচ্ছিলো, আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচারার্থে গঠিত ট্রাইব্যুনালে তার মৃত্যুদণ্ডের রায় হওয়ার পর চারটি ক্ষমতাধর রাষ্ট্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
জার্মানি ও ফ্রান্স, ইয়োরোপীয় ইউনিয়নের অন্যতম দুই দেশ এই রায় ও বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে নিরুদ্বেগ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
প্রথম আলোর [১] বর্ণনায়,
জার্মান রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণের বিষয়টিতে বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। তবে আপনাদের অতীতের অমীমাংসিত বিষয়ের সুরাহা কীভাবে হবে, সেটি ঠিক করার দায়িত্ব আপনাদের। একজন জার্মান নাগরিক হিসেবে শুধু এটুকুই বলতে পারি, যন্ত্রণাকর অতীত অধ্যায়ের পরিসমাপ্তির জন্য পরিবেশ তৈরি করতে হয়। আর আপনারা সেটাই করতে চলেছেন।’আলব্রেখট কনিয়ে আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়েছে, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল বিশেষ করে যুক্তরাজ্য বিচারের প্রক্রিয়াগত বিষয়ে যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল, ট্রাইব্যুনাল সেটিকে আমলে নিয়েছে। ট্রাইব্যুনালের কাজে প্রক্রিয়াগতভাবে বড় কোনো বিচ্যুতি ব্যক্তিগতভাবে আমার চোখে পড়েনি। আর আইনমন্ত্রী আমাদের (ইউরোপীয় রাষ্ট্রদূত) ট্রাইব্যুনালের আইন সম্পর্কে জানিয়েছেন, তিন দশকেরও বেশি সময় আগে ফৌজদারি দণ্ডবিধি বিষয়ে অভিজ্ঞ দুই জার্মান অধ্যাপক এ আইন প্রণয়নে যুক্ত ছিলেন। কাজেই এ আইন নিয়ে আমার কোনো সংশয় নেই।’
এবং,
একই বিষয়ে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মিশেল ট্রিনকুইয়ে বলেন, ‘আইনমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের যথেষ্ট ফলপ্রসূ মতবিনিময় হয়েছে। আমরা তাঁর কাছে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চেয়েছি। তাই এ বিচার নিয়ে হস্তক্ষেপ করা ঠিক হবে না। অতীতের সমস্যার সমাধান কীভাবে হবে, সেটি ঠিক করার দায়িত্ব প্রত্যেক দেশেরই নিজেদের বিষয়। কোনো কোনো দেশ ক্ষমা প্রদর্শনের নীতি অনুসরণ করেছে। আবার কোনো কোনো দেশ যুদ্ধাপরাধের বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ট্রাইব্যুনাল চালু করেছে।’বাংলাদেশ সঠিক পথে এগোচ্ছে কি না—জানতে চাইলে মিশেল ট্রিনকুইয়ে বলেন, ‘এ বিষয়ে আপনারাই ভালো বলতে পারবেন। সম্প্রতি একটি জনমত জরিপে দেখেছি, বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ যুদ্ধাপরাধের বিচার-প্রক্রিয়ায় তাদের সমর্থন জানিয়েছে।’
যে প্রতিবেদক ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের কাছে জিজ্ঞাসা করেছেন, বাংলাদেশ সঠিক পথে এগোচ্ছে কি না, তাকে শৈশবে আয়োডিনযুক্ত লবণ না খাওয়ানোর জন্য তার পিতামাতার প্রতি ধিক্কার জানাই। ভাগ্যিস প্রথম আলো ছিলো, না হলে এই ব্যক্তি জীবনে নির্বুদ্ধিতার কারণে পদে পদে বিপন্ন হতেন। প্রথম আলো এই জড়বুদ্ধিসম্পন্নদের ওপর বটবৃক্ষ হয়ে ছায়া দিচ্ছে, তাদের ধন্যবাদ। নিজের দেশ ঠিকমতো চলছে কি না, এ প্রশ্ন ভবিষ্যতে ভিনরাষ্ট্রের দূতকে না করে দেশের চিন্তাবিদদের কাছে করুন। আজ ফ্রান্সে কোনো অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত উপস্থিত হলে একজন ফরাসী সাংবাদিক কখনো কি তাঁকে জিজ্ঞাসা করবেন, ফ্রান্স ঠিক পথে এগোচ্ছে কি না? হে প্রথম আলোর প্রতিবেদক, আপনি আকাট কাঠবলদ হয়ে করে খান, কোনো সমস্যা নেই, শুধু বাংলাদেশকে এভাবে ভিনদেশী রাষ্ট্রদূতদের কাছে 'কাঠবলদ সাংবাদিক উৎপাদনকারী দেশ' হিসেবে উপস্থাপন করবেন না।
যুক্তরাজ্যের প্রতিক্রিয়া এসেছে তার পররাষ্ট্র দফতর থেকে। পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত ব্যারনেস সাঈদা হোসেন ওয়ারসির তরফ থেকে আসা বিবৃতিতে বলা হয়েছে [১],
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের প্রথম রায় সম্পর্কে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরের কনিষ্ঠ মন্ত্রী ব্যারনেস ভার্সি এক বিবৃতিতে বলেন, তাঁর সরকার এই রায় পর্যবেক্ষণ করছে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে নৃশংসতার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের মুখোমুখি করার যে উদ্যোগ বাংলাদেশ নিয়েছে, যুক্তরাজ্য সরকার তা সমর্থন করে। তবে যুক্তরাজ্য সব ক্ষেত্রেই মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী।
যুক্তরাজ্য মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী হলেও, বাংলাদেশে মৃত্যুদণ্ডের বিধান আছে। বাংলাদেশে নিয়মিত সে বিধান পালিতও হচ্ছে। বৃটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর যারা গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছিলো, সেই বাংলা ভাইদেরও ফাঁসি হয়েছে বাংলাদেশে। যুক্তরাজ্যের ফরেন অফিস তখন বাংলা ভাইদের মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা করে কিছু বলেছিলো কি? গুগল ঢুঁড়ে পেলাম না।
সারা দুনিয়ার মালিক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়েছে [২],
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “এ ধরনের অপরাধ (মানবতাবিরোধী অপরাধ) যারা করে তাদের বিচার যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে, এই বিচার অবশ্যই অবাধ, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে হতে হবে। এবং এই বিচার হতে হবে বাংলাদেশের নিজস্ব আইন ও আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে।”পররাষ্ট্র মন্ত্রাণলয়ের মুখপাত্র ভিক্টরিয়া নুল্যান্ড এই বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় চালানো গণহত্যার বিচার শুরু হয়েছে এবং শিগগিরই আন্তর্জ্যাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরো কয়েকটি মামলার রায় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এসব মামলার বিচারেও আন্তর্জাতিক সনদ অনুসরণ ও আইনের শাসনের নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
প্রিয় যুক্তরাষ্ট্র, ওসামা বিন লাদেনের বিচার কি অবাধ, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে হয়েছিলো? কোনো মার্কিন আদালত কি যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব আইন ও আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে তার বিচার করেছিলো? তার বিচার করার এখতিয়ার কি মার্কিন আদালতের ছিলো? কোনো আন্তর্জাতিক সনদ কি যুক্তরাষ্ট্র অনুসরণ করেছিলো তখন? আর বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ আইনে সাধিত বিচারকে আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে হতে হবে কেন? আর এই আন্তর্জাতিক মান কোন আন্তর্জাতিক মান? আমরা তো উঠতে বসতে যুক্তরাষ্ট্রের সবকিছু অন্ধভাবে অনুসরণ করার রাস্তায় চলি, আমরা কি তবে বাচ্চু রাজাকারকে পাকিস্তানে সেনা পাঠিয়ে রাতের অন্ধকারে বিন লাদেনের মতো হত্যা করলে আন্তর্জাতিক মান অনুসৃত হবে? নিজামী-গোআ-সাঈদী-কামারু-মুজারাজাকার এগুলিরে আদালতে দাঁড় না করিয়ে লাদেন স্টাইলে বডি ঝাঁঝরা করে সমুদ্রে ফেলে দিলে আন্তর্জাতিক মান বজায় থাকবে গো স্যারেরা?
প্রিয় ব্যারনেস ওয়ারসি, যুক্তরাষ্ট্র যখন ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করলো, মৃত্যুদণ্ড সম্পর্কে যুক্তরাজ্যের আপত্তি আপনি জোর গলায় উত্থাপনের সুযোগ পেয়েছিলেন কি না জানি না। বেটার লেট দ্যান নেভার, মি'লেডি। এখন বলেন। বলেন না, প্লিজ?
[ক্রমশ যোগ হবে]
Today marks an important milestone in the Iraqi people's efforts to replace the rule of a tyrant with the rule of law. Saddam has received due process and the legal rights that he denied the Iraqi people. The Iraqis deserve praise for continuing to utilise the institutions of democracy to pursue justice.
স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা ও সমার্থক গোলগোল শব্দের খরায় পীড়িত এ প্রতিক্রিয়ায় সাদ্দামের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের উত্থাপিত আপত্তিগুলো নিয়ে কোনো বক্তব্য ছিলো না।
তথ্যসূত্র:
[১] "যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্সের প্রতিক্রিয়া", দৈনিক প্রথম আলো, ২৩.০১.২০১৩
[২] বিচারে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন, মান নিশ্চিতের আহ্বান, বিডিনিউজ২৪.কম, ২৩.০১.২০১৩
[৩] In quotes: Reaction to Saddam sentence, বিবিসি, ২৭.১২.২০০৬
মন্তব্য
স্পট অন, দ্য হিমু
ধন্যবাদ, এই লেখার জন্য।
___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
ভইরা দেওন দরকার **র ভাইদের।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য কে নিয়ে কিছুই বলার নাই। গ্রাম্য মোড়লের মতো সবজায়গাতে মাতব্বরী করা তাদের স্বভাব। খারাপ লাগে অন্য একটা ব্যাপারে। ঠিক কত টাকা পেলে নিজের আদর্শ, নিজের দেশ আর নিজের মা কে বিক্রী করে দেয়া যায় এইটা লতিফুর রহমান আর মতিউর রহমান কে জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছা করে।
লেখাটা দারুণ সময়োপযোগী এবং দরকারী।
ফারাসাত
ভইরা দেওয়া দরকার সব শালার ভাইরে
যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্র ধরে নেয়, তৃতীয় বিশ্ব তাদের কামলাদের বাড়ি সুতরাং পাকনামি করে। কিন্তু সমস্যা হইলো কাঠ-বলদ আলু সঙবাদিকরা যারা পাকনামি করা সুযোগ করে দেয়।
তবে আমি একটু চিন্তিত হইলাম যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন নিয়া । যুক্তরাষ্ট্র বন্ধু থাকলে, শত্রু নাকি সম্পূর্ণ বাহুল্য মাত্র।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে সমর্থনদানের সাথে সাথে বৃহত্তর জামাতরেও ট্রাইবুনাল-বিরোধী সমর্থন দিতেছে কিনা কে জানে!
এই লেখাটা ইংরেজীতে অনুবাদ করে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সাইটে তুলে দেওয়া যায় না?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আইখমানকে আর্জেন্টিনা থেকে ইসরায়েলে ধরে এনে, বিচার করে ফাঁসিতে ঝুলানোর আদেশ দেবার পর ও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর পশ্চিম জার্মানী, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য অফিসিয়ালী কী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল?
ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালে গোয়েরিঙ, রিবেনট্রপ, কেইটেল, কালটেনব্রুনার, রোজেনবার্গ, হ্যান্স ফ্রাঙ্ক, ভিলহেলম ফ্রিক, জুলিয়াস স্ট্রেইখার, ফ্রিৎস সকেল, আলফ্রেড জদল, আর্থার সেইস-ইনকোয়ার্টকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া ও তা কার্যকর করার ব্যাপারেও এই দেশগুলি কী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল?
কেউ কি একটু কষ্ট করে দলিল-দস্তাবেজ ঘেঁটে প্রতিক্রিয়াগুলো বের করে পোস্ট করবেন?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আইখমানের সময়ে আর্জেন্টিনা ইসরায়েলের সম্পর্ক খারাপ হয়েছিল তবে পশ্চিমি দেশগুলো আর্জেন্টিনাকেই সমর্থন করেছিল। ন্যুরেমবার্গ ট্রায়াল থেকেই যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক আন্তর্জাতিক ট্রায়ালের মানদণ্ড ঠিক করা হয়, তাই ওটা একরকম ইমিউন। এইক্ষেত্রে ওসামার উদাহরণটাই সবথেকে যুক্তিযুক্ত। তাকে ধরে নেবার চেষ্টাও ছিল না।
তবে প্রয়োজনাতিরিক্ত জ্ঞান দেওয়াটা এদের অভ্যাস, আরো কয়েক শতক লাগবে এই ব্যবস্থার উন্নতি হতে।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
আপনার লিংক ধরে উইকিতে গিয়ে এই অংশটুকু পেলাম:
আমি যতটুকু বুঝি পাণ্ডবদা মৃত্যুদন্ডের প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়ার কথা জানিয়েছেন। আর আপনার লিংক অনুযায়ী UN এর বক্তব্য ছিল আইখম্যানকে ধরে আনা প্রসঙ্গে (যা কিনা আর্জেন্টিনার সার্বভৌমত্বে আঘাত আনে)।
আমার বুঝতে ভুল না হলে -
জার্মানী, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য: এদের স্ট্যান্ডপয়েন্ট মৃত্যুদন্ডের বিরুদ্ধে (যে কোন ধরনের ক্রাইম বা ট্রায়ালই হোক না কেন)।
এখন বিচার আন্তর্জাতিক হোক, স্পেশাল ট্রাইবুনালে হোক ক্যাপিটেল পানিশমেন্টের বিরুদ্ধে নিন্দা জ্ঞাপন করার তো কথা যদি ঈমান ঠিক থাকে।
ট্রায়াল ফেয়ার না হলে তার বিরুদ্ধে বলা এক জিনিস, আর ট্রায়ালকে "ঠিকাছে" সার্টিফিকেট দিয়ে তার ফলাফলের বিরুদ্ধ নেওয়াটা এক ধরনের হিপোক্রেসিই বটে
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আইখম্যানের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে ১৯৬২ সালে, যেখানে ফ্রান্স মৃত্যুদণ্ড বাতিল করেছে ১৯৮১ সালে ও যুক্তরাজ্য ১৯৮৮ সালে। সুতরাং, ১৯৬২ সালে তাদের মৃত্যুদণ্ড-বিরোধিতা করার স্কোপ ছিল না। জার্মানী আগাগোড়াই আইখম্যানের পক্ষ নিয়েছিল সুতরাং জার্মানীকে এখানে হিসাবের মধ্যে ধরা যাচ্ছে না।
আমি অবশ্য আইখম্যানকে ধরার বিষয়েই লিখেছিলাম।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী-এম্পি-লর্ড-লেবেঞ্চুসরা যখন মৃত্যুদণ্ড নিয়ে গোল গোল সুন্দর মানবিক কথা বলেন, তখন আমার মনে পড়ে যায়, প্রফুল্ল চাকীর মৃত্যুদণ্ড কেবল কার্যকরই করা হয়নি, তার শবদেহ থেকে মাথাটা কেটে নিয়ে প্যাকেট করে তার মায়ের কাছে পাঠিয়েছিলো বৃটিশ রাজ।
জালিয়ানওয়ালাবাগও আছে।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
প্রফুল্ল চাকীর মাথা-কাটা কি কারণে জানেন কি? আইডেনটিফিকেশন?
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
আইডেন্টিফিকেশনের জন্য তো প্লাস্টার কাস্টিঙও ব্যবহার করতে পারতো।
আমি ওটার পক্ষে কিছু বলিনি, কাজটা অমানবিক তো বটেই। কিন্তু তার মায়ের কাছে পাঠিয়েছিল বলে কিছু পেলাম না। ধন্যবাদ, আমি এই ঘটনাটা একদমই জানতাম না।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
এই তথ্য জানতাম না
এই বক্তব্যটুকু ফ্রান্স বা যুক্তরাজ্যের আপত্তির অসারতাই প্রমাণ করে।
ফ্রান্সের কথাই ধরি, উইকি এবং ফ্রেঞ্চ মিনিস্ট্রি অফ ফরেইন অ্যাফেয়ার্স অনুযায়ী -
২৬ অক্টোবর ১৭৯৫: ফ্রান্সে মৃত্যুদন্ড নিষিদ্ধ হয় প্রথম বারের মত। ফরাসীরা সভ্য-সুশীল-শান্তিপ্রিয় জাতি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করে।
কিন্তু না, ১৮১০ সালের পেনাল কোডে আবার ফিরে আসে মৃত্যুদন্ডের নিয়ম। শার্লস দ্য গল, যিনি ছিলেন এই প্রথার একজন সমর্থক, ১৩ জনের মুন্ডুপাত করেন (সবমিলিয়ে ১৯ জনের মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয় তার সময়)।
সুতরাং মুন্ডুপাত করা এখন থেকে জায়েজ আছে।
ঘটনা এখানেই শেষ না।
১৯৮১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর: ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ক্যাপিটাল পানিশমেন্টের বিরুদ্ধে আনা বিল পাশ হল।
কাজেই ১৯শে সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত থেকে ফ্রান্স তাহলে মৃত্যুদন্ডের বিরদ্ধে। এখন থেকে আবার ফরাসী কূটনৈতিকগণ মৃত্যুদন্ডের মত বর্বর ব্যাপারে তীব্র আপত্তি জানাবেন!!
এই প্রসঙ্গে প্রাচীন ফরাসী প্রবাদের শরণাপন্ন হলাম:
On n'apprend pas aux vieux singes à faire des grimaces.
অনুবাদ করলে দাঁড়ায়: বুইড়া বান্দররে নতুন করে কিছুন শেখান যায় না
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
মুশকিল হল এই দেশগুলো নিজেরা যেটা করে সেটাই সবাইকে দিয়ে করাতে চায়, কারণ তারা মনে করে তাদের প্র্যাকটিসটা উন্নত। ১৯৮১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ফরাসীদের যে কোনো "মৃত্যুদন্ডের মত বর্বর ব্যাপারে" প্রশ্ন করলে স্টেট পলিসি অনুসারে একটা সমালোচনা শুনবেন। তবে ওটা হল "স্মোকিং ইস ইঞ্জুরিয়াস টু হেলথ" গোছের।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
জাস্ট ফর দ্য রেকর্ড, যুক্তরাষ্ট্র ২০১১ তে ৪৩ জনের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করেছে। যদিও যুক্তরাজ্যের কলামিস্টরা ক্যাপিট্যাল পানিশমেন্টের বিরুদ্ধে বলেছে, যুক্তরাজ্য অফিসিয়্যালি যুক্তরাষ্ট্রকে 'স্টাট্যুটারি পলিটিক্যাল কারক্টনেস ওয়ার্নিং (আমরা মৃত্যুদন্ডের বিরুদ্ধে)' দিয়েছে এমনটি খোঁজে পেলাম না।
আমেরিকার সাংবাদিকেরা কি আমেরিকার কোর্টের কোনো রায়ের প্রতিক্রিয়া ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে জিজ্ঞাসা করেন? যুক্তরাজ্য নিজে না করলেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিয়মিতই (১৯৯৯, ২০০৯) এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে "জ্ঞান দিয়ে" থাকেন। ব্যাপারটা ভাল বুঝতে পারবেন সাদ্দাম হোসেনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবার পরে মন্তব্যগুলো দেখে। ব্রিটিশ মুখপাত্র বলছেন -
এর মানে এই না যে ব্রিটিশরা সাদ্দামের মৃত্যুতে আনন্দিত হয় নি।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
হ্যাঁ, ফাহিম ঠিক ধরেছে। আমার প্রশ্নটা মৃত্যুদণ্ড প্রদান ও কার্যকর করার ব্যাপারে। পৃথিবীর প্রত্যেক দেশের দণ্ডবিধি স্বতন্ত্র। কোন দেশের পক্ষে অন্য দেশের দণ্ডবিধির সমালোচনার সুযোগ নেই। তারা বড় জোর সেটা পরিবর্তনের অনুরোধ জানাতে পারে। সেই পরিবর্তনের অনুরোধও সাধারণভাবে হতে হয়, ঘটনাবিশেষের জন্য নয়। আর সমালোচনা তখনই হতে পারে যখন বিচার প্রক্রিয়াটি সঠিক হয় না। সঠিক বিচার প্রক্রিয়ায় প্রদত্ত দণ্ড যা বিদ্যমান দণ্ডবিধিকে অনুসরণ করে করা তার সমালোচনা করা অন্যের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল।
সালবাদোর আইয়েন্দেকে বিমান হামলা চালিয়ে মারা, মানুয়েল আন্তোনিও নরিয়েগাকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে এনে কারাদণ্ড দেয়া - এ'সব ঘটনায় রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হয় কিনা, এবং এতে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয় কিনা সেসব নিয়ে অর্থবোধক নীরবতা আর যুদ্ধপরাধীদের অপরাধের ন্যায়সঙ্গত বিচার করে দণ্ডবিধি অনুযায়ী প্রদত্ত শাস্তির বিপক্ষে সমালোচনা করা সংশ্লিষ্টদের দ্বৈতাবস্থানকে নিশ্চিত করে - নৈতিকতাকে নয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
অক্করে ঠিক আছে!!
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
মতি আর লতি ভালোই খেইলা দেখায়!
ভাগ্যিস!
আর এমন মহান জনসেবামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য প্রথম আলু নিঃসন্দেহে অশেষ ধন্যবাদার্হ্য। তবে পত্রিকা ছাড়াও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীদের আশ্রম হিসেবে প্রথম আলু স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় থেকে যথাযথ অফিশিয়াল অনুমোদন নিয়ে নিলে আরও ভাল হয়। তাহলে সারা দেশ থেকে সমস্ত জড়বুদ্ধিদের ঝেঁড়েপুছে হেমায়েতপুরের বদলে প্রথম আলুতেই পাঠাতে পারব আমরা। বাংলাদেশের গতানুগতিক মানসিক হাসপাতাল/এসাইলামের দুঃখজনক পরিবেশের পরিবর্তে এখানে তারা অনেক ভাল থাকবে, এমনকি জীবনে 'সাংবাদিক' হিসেবেও প্রতিষ্ঠা পেয়ে যাবে!
****************************************
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
- হিমুকে ধন্যবাদ এই পয়েন্টটা সামনে আনার জন্য। নিজের দেশের বিচার হয়েছে, অপরাধীরা দেশের মানুষকে মেরেছে আর "সঠিক পথের" হদিশ দেবে বিদেশী রাষ্ট্রদূত? চিন্তার দুর্বলতা প্রকট।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
চিন্তার দুর্বলতা শুধু রাজনৈতিক বিষয়ে সীমাবদ্ধ নয়। খেলার পাতার খবর গুলোতে ও আমাদের "সাংবাদিক"-দের চিন্তার দুর্বলতা ও হীনমন্যতা প্রকট ভাবে দেখা যায়। যে কোনো বিদেশী খেলোয়াড় বাংলাদেশে আসলে তারা দেশের খেলা ও খেলোয়াড়দের মান নিেয় প্রশ্ন করে ও সার্টিফিকেট চায়। যেন তারা বললেই আমাদের দেশের খেলোয়াড়রা ভালো বা খারাপ হয়ে যাবে।
- কাজী
সকাল সন্ধ্যা উঠতে বইতে যারা আমেরিকার গুণ-কীর্ত্তন না কইরা পারেনা তারাই এখন হঠাত কইরা এখন আমেরিকারে বাপ মানতাছে।
একদম জায়গামত দিছেন ভাই।খুব দরকার ছিল।
ঠিক একই পয়েন্টে গতরাতে বউয়ের সাথে "আমাদের কাঠবদল হাম্বাদিকদের" নিয়ে কথা হলো।
কবে যে শুয়রগুলোরে ফাসিতে দিবে সেইদিনের অপেক্ষায়।
সাদা চামড়াদের থেকে এপ্রুভাল মার্ক খুঁজার এই অভ্যাস সেই মুঘল আমল থেকে বাঙ্গালির রক্তে ঢুকে আছে। হুজুরে না কইলে নিজের ক্ষমতার উপরও বিশ্বাস করতে পারে না। তারচে' দুঃখের কথা এক বিরাট সংখ্যক বাঙালি এই বক্তব্যটা অনেক গুরুত্ব দিবে, যে মালিকে বলছেন,"ঠিকাছে।" সাদা চামড়ার কেউ না বললে তারা নিজেদের মতামতকেও টিক মার্ক দেবেন না। এত কেন আত্মবিশ্বাসের অভাব? বাঙ্গালির চাকর মানসিকতার বিনাশ হোক।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
এই সমস্যা আমাদের মজ্জাগত, যেমন নোবেল পাওয়ার আগে রবীন্দ্রনাথের নাম ছিল 'বাকবাকুম কবি' - কিছু করার নাই।
শালার ভাঙা গাঁয়ের মোড়লদের মাতবরি কবে যে বণ্ধ হবে। চালিয়ে যান হিমুদা, চালিয়ে যাক ট্রাইবুনাল; আমরা আছি আপনাদের সাথে।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
একদম মনের কথাটা বলেছেন হিমু ভাই। মানুষজনের কথাবার্তার রেললাইন আজকাল এতো বাঁক নিয়েছে যে, কে যে কিভাবে কাটা পড়ছে বোঝা মুশকিল।
হামিদ মীরের প্রতিক্রিয়া কি?
লেখায় পাঁচ তারা।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ওনার মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার বহুদিন ছাপা হয় না দৈনিক পাকির আলোতে।
ভালো লিখেছেন হিমু দা।
আমাদের সাংঘাতিক সাহেবরা কখন কোথায়, কাকে ,কি জিজ্ঞাসা করতে হবে সেই কাজটাই যদি করতে না পারেন তবে তারা পারেন কি? সেম অন দেম।
যে প্রতিবেদক ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের কাছে জিজ্ঞাসা করেছেন, বাংলাদেশ সঠিক পথে এগোচ্ছে কি না, তাকে শৈশবে আয়োডিনযুক্ত লবণ না খাওয়ানোর জন্য তার পিতামাতার প্রতি ধিক্কার জানাই।
রেপ কেইসে ধরা খাওয়ার পর হুজুর বলছিল-
যুক্তরাষ্ট্র ও তার চেলা-চামুন্ডারা আমাদেরকে সেই থিওরী খাওয়ায়।
আজব ব্যাপার! আন্তর্জাতিক মানেই কি বিদেশী হতে হবে? দেশী জিনিস কি আন্তর্জাতিক হতে পারে না? আন্তর্জাতিক মানেই কি শুধু সাদা চামড়া? পারলে কেউ এনালাইসিস করে দেখাক যেসব আইনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হচ্ছে তা অন্য দেশগুলোতে সংঘটিত হওয়া অন্যান্য আরো অনেক ট্রাইবুনালে ব্যবহ্রত আইনগুলোর চেয়ে কোন অংশে কম আন্তর্জাতিক!
স্পট অন হিমু ভাই!
আপনার লেখাটাও কিন্তু প্রতিক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া হিসেবে অসাধারন।
লেখায় পাঁচতারা।
যে যাই বলুক আমাদের উপর ন্যস্ত দায়িত্ব আমাদেরকেই পালন করতে হবে।
মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার থাকতে হবে।
তুহিন সরকার
অট: চিহ্ণিত বরাহদের অন্নদাতা রাজারাজ্রাদের দেশের সংবাদ সংস্থা সম্ভবত নাখোশ এ রায়ে!
"Abul Kalam Azad's conviction is the first verdict handed down by the
controversial tribunal."
হু! কন্ট্রোভার্সিয়াল'তো বটেই, বেকুসুর খালাস হলে সম্ভবত 'নিরপেক্ষ' হতো!
শেষ প্যারায় "Bangladesh government figures estimate more than three
million people were killed during the independence war, although some
researchers put the figure at between 300,000 and 500,000."
বিষাক্ত বসুদের কদর্য শিৎকার এর প্রতিধ্বনি যেন শুন্তে পাই।
ডান দিকে "ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৭১" সম্পর্কে টুকিটাকি তথ্য দেওয়া হয়েছে!!
"The India-Pakistan War, 1971"
সুত্র
love the life you live. live the life you love.
এমনতর জবাব যদি আমাদের রাষ্ট্রপক্ষ( !!!) হতে করা হত তবে আনন্দে প্রফুল্ল হওয়ার আর একটি কারন হত এই মাসেই, কিন্তু সেটি যেহেতু আহসান হাবিব এর রূপকথার মতোই শোনায় সেহেতু আমাদের মুখ থেকেই বের হওয়া সময়ের দাবি ছিল।
লিখার একটি ইংরেজি ভার্শন এর ব্যাপারে নজু ভাই'র সাথে একমত
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
হিমু ভাই, কি সুন্দর লেখা! পরলেই শরীরে জোস চলে আসে। আমি ভাই একজন ক্ষুদ্র শেয়ার বিনিয়োগকারী ছিলাম। ওইখানে ...... মারা খায়া এখন ব্লগ টলগ পড়ে সময় কাটাই। আপনার কাছে আমার কিছু জিজ্ঞাসা ছিল? আমরা তো ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মতো ফাঁসির হুকুম শুইনাই লাফাইতেছি। একটা জিনিস কি খেয়াল করছি?যে সব কালপ্রিট গুলারে জেলে ভইরা রাখছে তাদের বাদ দিয়া এমন একজনের ফাঁসির হুকুম হইছে যে কিনা আফ্রিকার জঙ্গলে আছে নাকি হেরা পর্বতের গুহায় আছে সেই খবর আমরা কেউ জানি না। আর ফাঁসির হুকুম হইলেও যে সেটা কার্যকর হবে তা নিয়া আমার যথেষ্ঠ সন্দেহ আছে। বয়স খুব বেশি না হইলেও এই রাজনীতিবিদদের আমার চিনার কাম সারা।
কই, আমি তো লাফাইতেছি না। আপনি কি লাফাইতেছিলেন নাকি?
আপনি কি একটা জিনিস খেয়াল করছেন নাকি ভাইডি? যেই কালপ্রিটগুলিরে জেলে ভইরা রাখছে, ওগুলিরে কিন্তু ছাইড়া দেয় নাই। তাদের নামে মামলাও তুইলা নেয় নাই। তাদের বিচারও থাইমা যায় নাই। তাদের বিচার যে চলতেছে, এইটা কি বুঝতেছেন বড় ভাই?
আপনি রাজনীতিবিদদের চিন্না ফালাইছেন দেইখা ভরসা পাইলাম। আসেন তাহলে, যেই কালপ্রিটগুলির বিচার চলতেছে, তাদের যারা সমর্থন দিয়া সারা দুনিয়ায় প্রোপাগাণ্ডা কইরা বেড়ায়, তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলি। আশা করি আপনি শেয়ার ব্যবসা করতে গিয়া মুখে মারা খান নাই।
নারে ভাই মুখে মারা খাইলে তো আর কথা কইতে পারতাম না। একটু খেয়াল কইরা জবাব দিয়েন ভাইডি। সমালোচনা শুনলেই তো দেখি আপনাদের পোঙ্গা লাল হইয়া যায়। বিচার চলুক, ফাঁসি হোক মনে প্রানে এটাই চাই। কিন্তু না হওয়া পর্যন্ত ভরসা পাইনা।
ভাইয়া, শেয়ার বাজারে অজ্ঞাত প্রত্যঙ্গে মারা খেয়ে আপনার চিন্তা আর কথার সংযোগ ক্ষতিগ্রস্ত হৈছে মনে হয়। প্রথমে আইলেন "কিছু জিজ্ঞাসা"র কথা বইলা, জিজ্ঞাসা পাইলাম না, পাইলাম আপনার সন্দেহের কথা। এখন কইতাছেন "সমালোচনা", কিন্তু সমালোচনাও তো পাইলাম না। খালি পাই সন্দেহ আর ভরসার অভাবের কথা।
আর কিছু বলবেন ভাইয়া? না বললে আপনার শেয়ার বাজারে মারা খেয়ে লাল হওয়া অজ্ঞাত প্রত্যঙ্গ ঘুরিয়ে অন্য কোথাও যান।
ভাইয়া, আপনার প্রোফাইলে ঘুরে আসলাম। জার্মানী যে থাকেন তাতো জানতাম না। ভাবছিলাম আমাদের এই বসবাসের অনুপযোগী ঢাকা শহরের কোনো কোনাকাঞ্চি থেকে জবাব দিচ্ছেন। আহারে কতো সুন্দর জায়গায় থাকেনরে ভাই। শেয়ার কেলেঙ্কারি নাই, ট্রাফিক জ্যামের যন্ত্রণা নাই, জায়গায় বেজায়গায় জান যাওয়ার ভয় নাই, আবাল রাজনীতিবিদদের আবাল কথা শোনার হ্যাপা নাই। খালি জায়গা মতো তেল মাইখা ব্লগ লেইখা দেশ উদ্ধার করো।
এই তো আর কয়েকটা মাস ধজ্জি ধরেন ভাইয়া। তারপর বিম্পিজামাতরে ভোট দিয়া গদিতে বসানোর চেষ্টা করেন। বসাইতে পারলেই দেখবেন শেয়ার কেলেঙ্কারি, ট্রাফিক জাম, জানের ভয়, আবাল পলিটিশিয়ানদের আবাল কথার হ্যাপা, অজ্ঞাত প্রত্যঙ্গের লাল রং ও জ্বলুনি, যাবতীয় দুর্যোগ দূর হয়ে যাবে। দেশ ফুলেফলে ভরে যাবে গো ভাইয়া। হ্যাং ইন দেয়ার।
জার্মানি বসে দেশের শেয়ার মার্কেটটাকে খুব মিস করি ভাইয়া, জানেন? আমার হয়ে শেয়ার মার্কেটকে আদর দিয়েন।
জার্মানি বসে দেশের মার্কেটটাকে খুব মিস করি ভাইয়া, জানেন? আমার হয়ে শেয়ার মার্কেটকে আদর দিয়েন।
পারেনও আপনে ভাই!!!!
শুধু শেয়ার মার্কেটে ..... মারা খেলে চলবে?
আপনার জন্য আরো কতোজন আশা করে বসে আছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সরকার বদলালেও কিছুই বদলাবে না। অতীত অভিজ্ঞতা তাই বলে। বরং আগের চেয় খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা বেশী।
তেনারা একাত্তরের 'cleric'দের সেফ হেভেন দেন, প্রিন্স চার্লস লন্ডনবাসী রাজাকার থুড়ি ধর্মীয় নেতা চৌধুরী মুইনুদ্দিনের সঙ্গে উদ্বোধনে গিয়ে ছবি তোলেন, তেনারা মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা করবেন না তো কে করবে?
আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালের রাস্তায় হাঁটার একটা অন্যতম কারন ছিল আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা। তো এই হল সেই গ্রহনযোগ্যতার সার্টিফিকেট। চিহ্নিত রাজাকারদের ধরে ধরে সরাসরি গেঁড়ে ফেললে, আন্তর্জাতিক মোড়লেরা এর চাইতে ঋনাত্মক আর কি বলতে পারতো?
আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল বলে আনফরচুনেটলি কোনো কিছুর অস্তিত্ব নাই। আন্তর্জাতিক অপরাধ বলে একটা জেনেরিক টার্ম আছে, যার অধীনে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, শান্তির বিরুদ্ধে অপরাধ, গণহত্যা আর যুদ্ধাপরাধ, এই চার ধরনের বিশেষ অপরাধকে রাখা হয়েছে। সেই অপরাধের বিচারের জন্য যে ডোমেস্টিক ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়েছে, তাকে বলা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আর এই রাস্তায় হাঁটার অন্যতম কারণ আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা নয়, বরং বাংলাদেশের সংবিধানে লিখিত আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা। একটা সার্বভৌম দেশ যখন তার অভ্যন্তরীণ আইন প্রণয়ন করে, তখন তার আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা দেওয়ার অধিকার কোনো আন্তর্জাতিক তালুইয়ের থাকে না।
আমার মনে হয় এগুলো আপনিও বোঝেন। কিন্তু গোল খালি দেখলে তো শট নেওয়াই যায়, নাকি?
তোমার কথা ১০০% ঠিক, রাজাকারের বিচার ৭৩ এর আইনে একদম পুরাপুরি ডোমিস্টিকালি সম্ভব ছিল, এখনো আছে। এখানে কোন আন্তর্জাতিক তালই বা সমুন্ধির দরকার নাই। কোনদিন ছিলও না।
কিন্তু হাসিনা ও তার দলের এই আন্তর্জাতিক গ্রহনযোগ্যতার দরকার ছিল, আছে এবং আগামি নির্বাচনে আরো বেশী কইরা দরকার হবে। ঠিক সেই কারনেই আন্তরজাতিক অপরাধ আদালত আইনকে রেটিফাই না কইরা তারা ট্রাইবুনাল বানাইতে পারেনাই। আই সিসি র্যাটিফাই কইরা আহমেদ জিয়াউদ্দিনের মত লোকের কয়েক লাখ ইউরো ফি রোজগার হইছে। ট্রাইবুনাল যেখানে বিচারের আলামত যাচাই বাছাই করতেই হিমশিম খায়, সেখানে বিচারের রায় যাতে আন্তরজাতিক ভাবে গ্রহনযোগ্য হয়, সেইখানে কত কাঠ খড় পুড়লো, সেটা তো এখন সবাই জানে।
তালুইদের আমরাই ডাইকা আনছি। এখন তাদের উচিত কথা ভাল না লাগলে তো কিছু করার নাই।
তালুইরা "উচিত কথা" বললো নাকি ?
আইসিসির র্যাটিফিকেশনের সঙ্গে ট্রাইব্যুনালের সম্পর্কটা কোথায়? ভাগ্যিস ট্রাইব্যুনাল গঠনের আগে টিফা চুক্তি হয় নাই, তাইলে হয়তো শুনতাম, টিফা সই না কইরা ট্রাইব্যুনাল বানাইতারেনাই।
আর তালুইগোরে আপনারাই ডাইকা আনছেন তাতে কোনো সন্দেহ নাই। এক তালুই স্টিফেন র্যাপ ওয়াশিংটন থিকা আইসা বহুত দিগদারি কথাবার্তা কইতো, পরে তারে ভুলভাল ধরায়ে দেওয়ার পর সে চুপ গেছে। আপনাগো ডাকা আরেক তালুই টোবি ক্যাডম্যান পাঁচবার বাংলাদেশে আইসা তালুইগিরির পর আর বাংলাদেশে ঢুকার অনুমতি না পাইয়া "উচিত" কথাগুলি এখন নানা ফোরামে গিয়া কয় আর কি।
যথাযথ!
_____________________
Give Her Freedom!
দুর্দান্ত, এরকম একটা কথা আপনি কেন বললেন? কোন প্রমান আছে আপনার কাছে? অলরেডি ভিক্টিম একজনে সম্পর্কে এরকম মন্তব্য করা খুব বীরপুরুষের পরিচয়, তাই না?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
সাদ্দামের বিচার করার সময় নিরপেক্ষতা,আন্তর্জাতিক বিচার হয়েছিল। কারন আম্রিকা সব সময় ঠিক কাজটিই করে। একাত্তুরে পাকিদের সাহায্য করেছে এখনো তলে তলে তাদের পানি দিচ্ছে।
দিল্লিতে বাসে তরুণী ধর্ষণ মামলায় চার অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। আশা করি ব্যারনেস ওয়ারসি দুয়েকদিনের মধ্যেই দিল্লিতে গিয়ে রসিয়ে রসিয়ে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও ভারতীয় জনগণের উদ্দেশে বলবেন, যুক্তরাজ্য মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে।
নতুন মন্তব্য করুন