দৈনিক প্রথম আলোর পোষা বাম ফারুক গুয়েবাড়াসহ আরো দুয়েকটি পল্টিবাজ গত কয়েক বছর ধরে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাষায় ছাগুদের ধামা ধরে পেট ভরে দই খেয়ে এখন মুখে চুনের দাগ লাগিয়ে শাহবাগে হাজির হয়ে বিপ্লবী সাজার চেষ্টা করছেন। দৃশ্যগুলো কৌতুককর, কিন্তু সে কৌতুক হিমশৈলের চূড়া কেবল, সে কৌতুকের ভিত নেমে গেছে আশঙ্কাজনক কুমতলবের সাগরের গভীরে।
১.
ফারুক গুয়েবাড়ার এই পল্টির প্রচেষ্টা চোখে বেশি লাগে, কারণ মাত্র দুই বছর আগেই এই বুদ্ধিবেশ্যাটি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসের অশ্লীলতম চলচ্চিত্র "মেহেরজান"-এর জন্য দৈনিক প্রথম আলো ও ব্লগ-ফেসবুকে জান লড়িয়ে দিচ্ছিলো। মিসেস ফারুক এই চলচ্চিত্রে একজন কামলি হিসেবে সক্রিয় ছিলেন বলেই হয়তো গুয়েবাড়াদাকে গুয়েবলস হিসেবে দুই হাজার এগারোর প্রথম কয়েক মাস "মেহেরজান" নিয়ে প্রচুর তত্ত্বকথা ফাঁদতে হয়েছিলো।
একটি তত্ত্ব ছিলো, অতীত ভুলে গিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে রিকনসিলিয়েশন।
এই নোংরামির প্রতিবাদে ব্লগে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া এসেছিলো। গুয়েবাড়াদার গুয়েবলসপনা থামেনি। দাম্পত্য সুখের মূল্য আর মেহেরজানের খ্যাপ খাটার দায় মেটাতে তিনি এখানে ওখানে অনবরত ফরহাদ মজহার ও এবাদুর রহমান প্রণীত "গুলমোহর রিপাবলিক" নামের একটি বটতলার বিষ্ঠাতুল্য উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত "মেহেরজান" চলচ্চিত্রটির হয়ে একের পর এক লেখা নামিয়ে গেছেন।
দুই বছর আগে ফারুক গুয়েবাড়ার বুদ্ধিবেশ্যামোর কথা মানুষ বিস্মৃত হতেই পারেন। কিন্তু গত বছরের আঠারোই ডিসেম্বর, মাত্র মাস দুয়েক আগেও কিন্তু গুয়েবাড়াদা ডুকরে ম্যাৎকার করে উঠেছেন ফেসবুক ও প্রিয় ব্লগে। চুম্বক কিছু অংশ তুলে ধরি,
জামাত নিষিদ্ধ করা নির্বুদ্ধিতা হবে, বুমেরাং হবে। কিন্তু বাংলাদেশ বিরোধী রাজনীতির কারণে নীতিগতভাবে তাকে নিষিদ্ধের দাবি করা যেতেই পারে। যেমন নাতসিদের নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। প্রশ্নটা অন্যখানে। এরকম উগ্র সেক্যুলারিজমের প্রতিক্রিয়াতেই তুরস্ক, মিসর, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়ার মতো দেশে ইসলামপন্থীরা ক্ষমতাসীন হয়েছে।
[সূত্র]
গুয়েবাড়াদার কাছে জামাত নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়াটা উগ্র সেক্যুলারিজমের মধ্যে পড়ে। গতকাল শাহবাগে তিন লক্ষ মানুষের সমবেত কণ্ঠ কোন শপথ নিয়েছে? তারা কি "উগ্র সেক্যুলার"? মোটেও না। দুই বছরের শিশুকে যে আছড়ে মারে, এগারো বছরের বালিকাকে যে গণধর্ষণ করে খুন করে, তরুণী কবির মাথা দায়ের কোপে কেটে যে তারই চুল দিয়ে সে মাথা বেঁধে ঝুলিয়ে রাখে, সাড়ে তিনশো নিরীহ গ্রামবাসীকে যে এক বিকেলে অবলীলায় খুন করে, তার ফাঁসি চাওয়া আর তার রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি উগ্র সেক্যুলারিজম??
একই কথা কিন্তু জামাতশিবিরের লোকও বলে বেড়াচ্ছে। বলছে শাহবাগে নাকি উগ্র গাঞ্জাখোর নাস্তিকেরা জমা হয়েছে। তাদের সাথে মিলে যাচ্ছে ফারুক গুয়েবাড়ার সুর।
ফারুক গুয়েবাড়া আরো লিখেছেন,
বামজাতীয়তাবাদী অসাম্প্রদায়িক ঐক্য ছাড়া গতি নাই। সেই আন্দোলনকে খামোখা ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধবাদী বা ভারতমুখী জাতীয়তাবাদী সেক্যুলার না হলেও চলবে।
[সূত্র]
লক্ষ্য করুন পাঠক, "খামোখা ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধবাদী" কথাটা ওজন করে দেখুন মনের মাঝে। যে রাজনীতির বিষে বাংলাদেশ গত চার দশকে বার বার পাকিস্তানের অভিমুখে যাত্রা করেছে, সে রাজনীতি নিষিদ্ধ করার কথাটা গুয়েবাড়াদার কাছে খামোখা। অথচ গতকাল শাহবাগে সমবেত তিন লক্ষ মানুষ হাত উঁচিয়ে কোন দৃপ্ত শপথ নিলেন? এই ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার শপথই কি নয়? ফারুক গুয়েবাড়া এদের শপথকেই বলছেন খামোখা?
এই লোক রোজ যাচ্ছে শাহবাগে। মিডিয়ার ক্যামেরা দেখলেই লোমপড়া কুত্তার মতো ছুটে গিয়ে ভুক ভুক করছে মাইকের সামনে। আর বলছে এমন সব কথা, যার সাথে এ আন্দোলনের কোনো সাযুজ্য নেই।
শাহবাগে আন্দোলনরত ভাই ও বোনেরা, আপনারা নিজেদের মাঝে সিংহের চামড়া পড়া এই ফারুক গুয়েবাড়াকে চিনতে ভুল করবেন না। যার যা প্রাপ্য, তাকে তা বুঝিয়ে দিন।
২.
দ্বিতীয় যে পল্টিবাজদের শাহবাগে উপস্থিত হয়ে রং পাল্টানোর চেষ্টা চোখে পড়ে, সেটি হচ্ছে "শিরোনামহীন" ব্যান্ড। সুবিধাবাদী "শিরোনামহীন" গত কয়েক বছর ধরেই একাত্তরের শীর্ষ ঘাতকদের একজন মীর কাসেম আলীর মালিকানাধীন জামাতশিবিরের টেলিভিশন দিগন্ত টিভিতে নিয়মিত পারফর্ম করে আসছে। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ ভক্তরা একাধিকবার তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, মেইল-মেসেজ-এসএমএস পাঠিয়ে অনুরোধ করেছে দিগন্ত টিভিতে পারফর্ম না করতে, তাদের অনুরোধকে কাঁচকলা দেখিয়ে শিরোনামহীন নিষ্ঠাবান পোঁদবালকের মতো দিগন্ত টিভিতে উপস্থিত থেকে জামাতশিবিরের প্রোপাগাণ্ডা চ্যানেলটিকে বছরের পর বছর সহযোগিতা করে গেছে।
ভক্ত-শ্রোতাদের অনুরোধের স্রোত উপেক্ষা করে শিরোনামহীনের জিয়া উত্তর দিয়েছিলেন,
শিল্পীর শিল্পীসত্ত্বা নাকি যে কোনো রাজনীতির ঊর্ধ্বে ধরে রাখতে হয়। যে রাজনীতি দুই বছরের শিশুকে আছড়ে মারে, যে রাজনীতি এগারো বছরের বালিকাকে ধর্ষণ করে, যে রাজনীতি তরুণী কবির কর্তিত মস্তক ঝুলিয়ে রাখে কাপড় শুকানোর তারে, যে রাজনীতি শত শত মানুষকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে মারে একটি অপরাহ্নে, সে রাজনীতির ঊর্ধ্বে থেকে "শিরোনামহীন" দিগন্ত টিভিকে ব্লোজব দিয়েই শুধু বেড়ায় না, তার সাফাইও গায়।
আজ শিরোনামহীন তাদের ব্যান্ডের ফেসবুক পেইজে ঘোষণা দিয়ে বলছে, আগামীকাল সন্ধ্যা ছয়টায় শাহবাগ যাচ্ছে তারা। সাবস্ক্রাইবারদের যাবতীয় খেদোক্তি মুছে দিয়ে তাদের ব্লকও করে দিতে ভোলেনি তারা। কিন্তু কুকর্মের ইতিহাস কি তাতে মোছা যায়?
শাহবাগের যোদ্ধারা, দিগন্ত টিভিতে বছরের পর বছর সব কিছু জেনে, সব কিছু বুঝে পারফর্ম করা এই বুদ্ধিবেশ্যার দলের সদস্যদের আপনারা বলুন, ক্ষমা নাই। মাইক হাতে নিয়ে দিগন্ত টিভিতে পারফর্ম করার জন্য মাফ চেয়ে ক্যামেরার সামনে গত ৪২ বছরের জন্য ৪২ বার কানে ধরে ওঠবোস করার আগে কোনো ক্ষমা নাই।
১৯৮০ সালে গোলাম আজম ফিলিস্তিনে যুদ্ধ করতে যাওয়া দুই বাংলাদেশীর জানাজা পড়তে বায়তুল মোকাররমে যাওয়ার পর মুসল্লিরা তাকে জুতোপেটা করেছিলো। পল্টিবাজদের কী করতে হয়, আমরা জানি।
মন্তব্য
- ফারুক ওয়াসিফ লেখেননি নাৎসীদের নিষিদ্ধ করা কিভাবে ব্যুমেরাং হয়েছে?
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
এরে কয় চান্সে থাকা আর কি। ফারুকের সাথে আমি দুইজনের মিল পাচ্ছি :
১. মওদুদ
২. কবীর সুমন
অজ্ঞাতবাস
এই সেই ফাজিল স্ট্যাটাস https://www.facebook.com/Shironamhin.net/posts/511203182263826 । একখানে সদস্য রাসেল কবীর লিখসে আমার বাপ ব্যাপক মুক্তিযোদ্ধা, আমি পত্থম দিন থিকা শাহবাগে আসি, শিরোনামহীন কোন স্ট্যাটাস মুছতেসেনা।
আমার দুইটা সহ কমপক্ষে ১০/১৫টা কমেন্ট মুছা হইসে রাসেল সাহেব। কমেন্ট না মোছা হয়না? রাসেল সাহেব?
শালা মিথ্যাবাদী ভন্ডের দল।
..................................................................
#Banshibir.
শিনোনামহীনের অবস্থা কী হয় জানার জন্যে অপেক্ষা করছি। ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে জনরোষ। এটা যদি বাস্তবে দেখা যায় কাল শাহবাগে, এরা মাইর না খেয়ে ফিরবে না নিশ্চিত।
টুইটার
এমন মানুষ প্রচুর। এই আন্দোলনটা শুরু না হলে এরা তেমন-ই থাকতো, যেমন এই আন্দোলনের মাধ্যমে শুভ পরিবর্তন আসার পর মানুষের ভেতর কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়তে শুরু করবে, তারা বলবে, ‘থাক না, একটু-ই না হয় লিখেছিল, মাফ করে দেন!’। আপনি আমি মাফ করে দিলে কিংবা ভুলে গেলেই কি এরা ভুলতে পারে? নিজের ভেতরের যে অপরাধ বোধ তা থেকেই এরা আরও বেশি খারাপ হয় সময়ের সাথে সাথে।
এলিট সোসাইটির কিছু মানুষের সাথে একসময় খুব তর্ক হতো জামাত নিয়ে, এরা আমার মুখের উপর হেসেছিল একদিন এইসব সেন্টু খেতে দেখে, সেদিন শুনলাম এদের সবকিছু’তে নাকি এখন শাহবাগের জয়জয়কার!
আমাদের বিশিষ্ট কাফনের-কাপড়-লুকানো-গাড়ী সৈয়দ আবুল মকসুদ সাহেব একদম নিশ্চুপ এই বিষয়ে। আসিফ নজরুল তো এর মধ্যেই পল্টি নিয়েছে, প্রথম আলো লিখেছে ‘চেতনার আগুন জ্বেলে দিলো তারুণ্য’, প্রথম পাতা’র দিকে চোখ দেয়া যায়না শাহবাগ ঝলসানি দেখে; দিকে দিকে এখন তারুণ্যের কাঁধে চেপে বাঁচতে চাওয়ার পায়তারা।
শিরোনামহীনের শিরোনাম চইলা যাইতে পারে এইবার।। দেখি কাইল কি হয়
না না। নাম থাকপে! তয় শির এর কি হবে কইতারিনা। একখান বগলে লইয়া বসলাম। দেখি কখন আসে মামুলোগ!!
শিরোনামহীনের এর অবস্থা দেখতে আমিও অপেক্ষায় আছি ....
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
না, জায়গা নাই কেনো? কাল আসুক না শাহবাগে, এরপর দেখা যাবে।
এইমাত্র শিরোনামহীন তাদের বক্তব্য জানালো, তারা দিগন্ত টিভিতে গানও গাইবে, আবার শাহবাগেও যাবে। কিন্তু এইরকম দুমুখো সাপদের দরকার শাহবাগে আছে কি?
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
হ মীর কাশেমের টিভি গিয়া প্রতিবাদও করবো গানও করবো ....হালায় পুরাই ফরহাদ ওয়াসিফ/ফারুক মজহার
অজ্ঞাতবাস
ওরা কমোডে ভাতও খায় হাগুও করে
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
শেয়ার করলাম
"পু" করে পাদ দেয়া সাংবাদিক আনিসুল হকের কথা বলা হয় নাই। সেও নাকি শুনলাম ঘুর ঘুর করতেছে শাহবাগে।
বুইললে তো বুইলবিক বুইলছে!
আনিসুল ব্যাটাকে মঞ্চে দেখে মেজাজ খুবই খারাপ হইছে
facebook
এই লোকটা তখন মুখ খুলেছে, যখন সে নিশ্চিত হয়েছে বহু পাবলিক রাস্তায় নেমেছে। তার আগ পর্যন্ত সে জয়পুরে আর কোলকাতায় সাহিত্য কপচাচ্ছিলো। মতিঝিলে শিবিরের শোডাউন পর্যন্ত সে চুপ। কাদের মোল্লার রায়ের সময়ও সে চুপ। যখন সে দেখেছে হাজারে হাজারে মানুষ রাস্তায়, তখন সে ফেসবুকে স্ট্যাটাসে বিরাট এক ফিরিস্তি দিয়েছে, নিজের আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাস হ্যানো ত্যানো।
আমি হুমায়ুন আজাদের কলমকে এজন্যই মিস করি। দ্যাট গাই নিউ হাউ টু কল আ স্পেইড আ স্পেইড। এই লোকটা রাস্তায় লোক নামার অপেক্ষা না করেই যা লেখার তা লিখে গেছে। আমাদের দুর্ভাগ্য, বাংলাদেশের সাহিত্য নিয়ে কথা বলতে জয়পুর যায় আনিসুল।
পল্টিবাজদের কী করতে হয়, আমরা জানি।
সব পল্টিবাজদের জুতিয়ে বিদায় করা হোক।
এইসব দুই মুখো সাপগুলো দুই দিক দিয়েই ছোবল দেয়।
এদের মুখোশ খুলে দিতে হবে।
যত সব সুবিধাবাদী নিমকহারাম ভণ্ডের দল।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
পোস্ট স্টিকি করা হোক যেন যারা শাহবাগে আছেন/যাচ্ছেন তাদের চোখে পড়ে। এটা নিয়ে একটা সিরিজ করা গেলে ভাল হত। পল্টিবাজের সংখ্যা তো আর কম না।
--------------------------------
বানান ভুল থাকলে ধরিয়ে দিন!
[img=500x500]এখানে আছে আরেক জন [/img]
! এই অ্যাটেনশন হোরটার কথা বাদ পড়ে গেছিলো।
কমেন্টের ঘরে এরকম প্রমাণ যা যা উঠে আসছে, সেগুলো মূল পোস্টে আপডেট করার কথা ভেবে দেখতে পারেন।
--------------------------------
বানান ভুল থাকলে ধরিয়ে দিন!
নাগরিক ব্লগের রুবাইয়্যাত ভাইরে খবর দিতে হবে।
অ্যাটেনশন হোর!! হহাহহাহাহাহহাহা
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
জানা মেডাম আজকে সিলডে ধাওয়া খাইসেন সেটার কি কোন কারনে এড়াইয়া গেলেন
হ। সব মজা আমি একা নিলে ক্যাম্নেকী?
ডাক্তার সাহেব আরেকটু বিস্তারিত জানতে চাই ঘটনাটা।
__________________
জানি নিসর্গ এক নিপুণ জেলে
কখনো গোধূলির হাওয়া, নিস্তরঙ্গ জ্যোৎস্নার ফাঁদ পেতে রাখে
বুদ্ধি বেশ্যা তাসনিম খলিল , এক সময় লোকটারে খুব শ্রদ্ধা করতাম তার সাহসী সাংবাদিকতার জন্য .. তার টুইট দেখেন
ফেসবুক স্টেটাস ও চেক করেন .. সমস্যা হইলো এর কথা আন্তর্জাতিক সাংবাদিক মহল গুরুত্ব সহকারে নেয় .. কি করা যায় এইটারে ?
উনি তো ওনার বক্তব্যে আগাগোড়া কন্সিস্টেন্টই আছেন দেখতে পাচ্ছি। তাসনীম খলিলকে বুদ্ধিবেশ্যা বলার কোনো ঐতিহাসিক কারণ থাকলে জানান। আপনার দেয়া সূত্রে সেরকম জাস্টিফিকেশান নাই। অভিযোগ স্পষ্ট করে বলুন।
জি উনি আগাগোড়াই কনসিস্টেন্ট ... এইবার একটু দেখি উনি কনসিস্টেন্সির সাথে কি বার্তা ছড়াচ্ছেন
কাদের মল্লার রায় হবার পর উনার প্রথম প্রতিক্রিয়া - জাস্টিস সার্ভড (লিংক )
অতপর তিনি জানালেন যে শাহবাগ এ যারা মৃত্যুদন্ড দাবি করছে তারা যেন নিজেদের অবস্থান বদলে, মৃত্যুদন্ড কোনো সভ্য সমাজে থাকতে পারে না,(লিংক) এর মধ্যে অবশ্য তিনি আরেকজন কে উদ্দৃত করে জানিয়ে দিয়েছেন যে বাংলাদেশীদের জাতীয় খেলা হচ্ছে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব (লিংক)
তারপর তিনি জানালেন যে শাহবাগ এর প্রতিবাদকারীরা যে এটাকে বিপ্লব বলে দাবি করছে তা খুবই হাস্যকর , এটাকে বলা যেতে উচিত বিচার প্রক্রিয়ার সততা ধংশ করার প্রক্রিয়া (লিংক)
তিনি শাহবাগ এর এত হাজার হাজার ছবি থাকতে একটা বাচ্চা র ছবি কই থেকে জানি যোগার করলেন, যেই বাচ্চার পিঠে লেখা 'ফাক ইউ রাজাকার' (কসম এই ছবি আমি আর কোথাও দেখি নাই ) এবং বললেন যে এইটা চাইল্ড এবইউজ (কথা এইটা মোটামুটি সত্য ) (লিংক)
এইগুলা শুধু ফেইসবুক থেকে বললাম, উনার টুইটার দেখেন, বলা হইতেসে যে বাংলাদেশ এ ন্যায় বিচার না হয়ে প্রতিশোধ নেয়া হচ্ছে (লিংক)
আমি ভাই জ্ঞানী লোক না, তবে এই সব কথা প্রচারের পরে তারে যদি বুদ্ধি বেশ্যা না বলা যায় তাইলে আপনারা কোন হিসেবে ডেভিড বার্গম্যান কে নিয়ে আপত্তি করেন? সে তো কনসিস্টেন্ট তার বক্তব্যে ... কেন ফারুক ওয়াসিফ রে বুদ্ধি বেশ্যা বলা হবে? যে যুদ্ধাপরাধীর বিচার চায়, কিন্তু এইটাও বিশ্বাস করে যে রিকন্সিলিয়াশন হতে পারে, দুইটা তো আর সাংঘর্ষিক না ...
বুঝিয়ে দিবেন দয়া করে ... ধন্যবাদ
বিবি টেস্টে খলিল পাশ তাহলে
কিন্তু বিবি তো পল্টিবাজ। আগাগোড়া একই মতধারাও কি বিবি হিসেবে ডিফাইন করছেন?
আপনার পয়েন্ট সঠিক। বিবি টেস্টে খলিল এখনও পাশ না।
পাশ ? লেটার মার্ক পাইছে? আলহামদুলিল্লাহ
এখনও উনি পরিচিত তাসনিমই আছেন। বুদ্ধিবেশ্যা কথাটার মধ্যে এমন আছে যে উনি টাকার জন্যে এদিক ওদিক ছোটেন। তার পরিচয় ফাঁস করিয়ে দেয়ার প্রয়োজন পড়ে যাতে লোকে ধোঁকা না খায়। নিচে দেখুন সবজান্তা জিজ্ঞেস করছেন উনি কয় টাকায় বিক্রি হয়েছেন। তার মানে আগে ওনার সম্পর্কে আপনারা অন্যরকম ধারণা করেছিলেন। সেরকম ধারণার কারণ কী? উনি তো এই ঘরানার চিন্তা ধারায় আগা গোড়াই ছিলেন। ২০০৭ এর আগেও, ২০০৭-এও, এর পরেও।
ফারুক ওয়াসিফকে শাহবাগে রিকন্সিলিয়েশানের কথা ধরিয়ে দিলে বিপাকে পড়বে। আসিফ মহিউদ্দীনকে ওনার মৃত্যুদণ্ড সংক্রান্ত অবস্থানের কথা ধরিয়ে দিলে বিপাকে পড়বে। শিরোনামহীনকে তাদের দিগন্ত টেলিভিশনের অবস্থান নিয়ে ধরিয়ে দিলে বিপাকে পড়বে।
তাসনীম খলিলের জন্যে এরকম কিছু বের করুন, যেটাতে সে তার বক্তব্য নিয়ে বিপাকে পড়বে। ওনার বিরুদ্ধে আপনার অভিযোগ সম্ভবত ভিন্ন কিংবা বিরুদ্ধ মতের, বুদ্ধিবেশ্যাবৃত্তির না। যদি অভিযোগটা বুদ্ধিবেশ্যাবৃত্তির হয়ে থাকে, তাহলে প্রথম থেকেই ভুল ধারণা করেছেন।
আপনার কথা ঠিক আছে .. উনি টাকার জন্য এদিক ওদিক ছোটেন এই অভিযোগ আসলে আমি করিও নাই .. বুদ্ধি বেশ্যা কথাটা এপ্রপ্রিয়েট না , স্বীকার করে নিলাম। উনি আগাগোড়াই এই ঘরানার চিন্তাধারায় ছিলেন সেটাও জানা ছিল না
'ফারুক ওয়াসিফকে শাহবাগে রিকন্সিলিয়েশানের কথা ধরিয়ে দিলে বিপাকে পড়বে' এই কথাটার সঙ্গে একমত হতে পারলাম না, বাকিদের ব্যাপারে আপনার কথা ঠিক আছে বলে মনে হয়, ফারুক ওয়াসিফকে কেন বুদ্ধি বেশ্যা বলা হচ্ছে এটাও এখন আমার কাছে অস্পষ্ট , জানামতে উনিও টাকার জন্য এদিক সেদিন ছুটেন নাই, আগাগোড়া তার বক্তব্য একই রকম ছিল।
যাই হোক কমেন্ট এডিট করা গেলে আমি এডিট করে 'বুদ্ধি বেশ্যা ' শব্দটা বাদ দিয়ে দিতাম। ধন্যবাদ বুঝিয়ে বলার জন্য।
তাসনীম খলিল সেই লোক না, যৌথ বাহিনীর ডলা খাইছিলো ?
এরে জিজ্ঞেস করা দরকার, কয় টাকায় বিক্রি হইলো।
অলমিতি বিস্তারেণ
হ এই সেই লোক .. সেই ডলা দিয়াই সে নিজের পরিচিতি তৈরী করসে, নির্যাতিত সাংবাদিকতার প্রতীক ইনি .. তার মতে শাহবাগ এ প্রতিবাদ করতে থাকা মানুষদের কোনো দাবি থাকার সুযোগ নাই ... এবং তার এইসব কথা অন্য সাংবাদিকরা রিটুইট করতেছে ...
"হ এই সেই লোক .. সেই ডলা দিয়াই সে নিজের পরিচিতি তৈরী করসে, নির্যাতিত সাংবাদিকতার প্রতীক ইনি ."
Don't you think you are speaking little too much? You want to justify the torture of 1/11.
Are you the adopted Son of Criminal Barrister Mainul ।আমার ত মনে হয়
You are the biggest friend of Jamat।
জাসটিফাই কখন করা হইল?
সারা পৃথিবীতে যে ওই ডলা খাওয়ার পরেই তার পরিচিতি বাড়ছিল এইটা কি মিথ্যা ? উনি যে পলিটিকাল এসাইলাম নিছেন কোনো একটা দেশে এই ডলা খাবার ঘটনা দেখায়া এইটা কি ভুল (এইটার ব্যাপারে আমি নিশ্চিত না, ভুল হইতে পারে)? তার সঙ্গে যেইটা হইসে সেটা অন্যায় হইসে , সন্দেহ নাই .. আমি তার বর্তমান অবস্থান অর ভুমিকা নিয়াই কথা বলসি .. আর ব্যারিস্টার মাইনুল কে? আমার দত্তকসূত্রে পাওয়া আব্বারে তো আমি চিনতে পারলাম না, আফসোস .. 'You are the biggest friend of Jamat' এই কথার ভিত্তি কি দাদা?
অনেক আগেই শিরোনামহীন ব্যান্ডের জিয়ার আসল চেহারা দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল আমাদেরগান ডট কমের ফোরাম যখন চালু ছিল তখন। ধর্ম নিয়ে কথা উঠলে জামাত নিয়ে তার আমতা আমতা করার প্রবণতা তখনো ছিল। কেউ তার গানের সমালোচনা করলে তাদের ব্যান করার দাবি করত। তাদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করত, সেই গালাগালি ডিলিট করলে মডারেটরদের গালি দিত এমনকি তার গালি দেওয়া পোস্ট ডিলিট করার অপরাধে মডারেটরদের কেন ব্যান করা হয় নাই সেই নিয়ে তার ক্ষোভের সীমা ছিলো না। আর আজকে সেই জিয়াই সারাদিন কমেন্ট ডিলিট করে বেড়ায়। দুই ঘন্টা আগেও বললো শিরোনামহীন সুযোগ পেলে আবারো দিগন্ত টিভিতে যাবে আর এখন বলছে দিগন্ত টিভি বর্জন করার কথা! এত দ্রুত রঙ পাল্টায় কি করে!
তখন তার যুক্তি ছিলো সে একটা বিশাল কুমির তাকে আলাদা করে হুজুর হুজুর করতে হবে। “স্পেশাল ট্রিটমেন্ট” পাওয়ার গান সে তখনো করত এখনো করে। শাহবাগ যে “স্পেশাল ট্রিটমেন্ট” পাওয়ার জায়গা না সেইটা যদি এখনো না বোঝে তাইলে আর কি!
শিল্প আর শিল্পীর স্বাধীনতার নাম করে যারা জামাত শিবিরকে সাপোর্ট করে তারা কোন অধিকারে, কোন সাহসে শাহবাগে যেতে চায়? একদিকে দিগন্ত টিভিতে যায় আরেকদিকে বলে রাজাকারদের ফাসি চাই! জনপ্রিয়তা হারানোর ভয়ে ক্ষমা চায়! বছরের পর বছর জামাত নিয়ে আহলাদ করে আজকে যেমন দুই ঘন্টায় ভোল পালটে গেল কালকেও যে পাল্টাবেনা তার নিশচয়তা কি?
ও ভাবছে ফেসবুকে সে গোল গোল কথা বললেই সবাই তার পিঠ চাপড়ায়ে বলবে সাবাশ, তারপর সব ভুলে যাবে।
দিগন্ত টিভির ক্যামেরার সামনে তারা পারফর্ম করেছে, এবার বাংলাদেশের বাকি সব টিভির ক্যামেরার সামনে কানে ধরে ৪২ বার ওঠবোস করে মাফ চাইতে হবে।
অসুবিধা কী? শাহবাগে আসুক না এখন। জনগণ তাকে "আদর করে" "স্পেশাল ট্রিটমেন্ট" দিয়ে দেবে না হয়।
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
কিরকম অহংকারী আর ভণ্ড দেখেন উপরে। ফ্যানরে বলতেসে আপনে আমাদের গান না শোনাই ভালো ওসব আপনি বুঝবেন না। আবার বলতেসে আমরা গিয়া দিগন্ত টিভিতে প্রতিবাদ করে আসছি আপনি পারবেন? আগেও গেসি সুযোগ পেলে আবার যাবো দিগন্ত টিভিতে। এইটা অ্যাচিভমেন্ট।
থাপড়ায় কান লাল করে দেওয়া দরকার বেজন্মার বাচ্চাগুলিরে।
..................................................................
#Banshibir.
আমার অনেকগুলো কমেন্ট ডিলেট করে দিছে! আর কমেন্ট যেন না করতে পারি সেই ব্যবস্থাও করছে। শাহবাগ-এ আসুক যেন মত না পাল্টায়... একটা চড় তো পাওনা আছেই....
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
প্রবীণ আনিসুজ্জামান সাহেবের জন্য আমি খুবই দুঃখ বোধ করি। দৈনিক প্রথম আলোর পাল্লায় পড়ে তাঁর মতো পণ্ডিত মানুষকে বারবার স্ববিরোধী আচরণ করতে হচ্ছে।
কাদের মোল্লার রায়ের পর বিশিষ্টজনদের প্রতিক্রিয়া জানার খবরে [সূত্র] আনিসুজ্জামান বলছেন,
আবার গতকাল তিনি শাহবাগে [সূত্র] গিয়েছেন।
শ্রদ্ধেয় আনিসুজ্জামান, আপনি নিজের কথা দিয়ে প্রমাণ করে দিলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি আপনার আনুগত্যে ফরমালিন মেশানো আছে। আপনার বয়স হয়েছে স্যার, অনুগ্রহ করে অবসর নিন। প্রথম আলো আপনার সারা জীবনের সঞ্চিত সুনাম শুষে বের করে আপনার ছিবড়েটা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে রঙ্গরসিকতার বস্তু হিসেবে ছুঁড়ে ফেলে রেখে যাবে।
আনিসুজ্জামান কোন ব্লগ পড়েন বলে মনে হয় না। আন্তর্জালে তার যাতায়ত আছে বলেও মনে হয় না। সুতরাং তাকে বক্তব্য জানানোর সোজা উপায় হচ্ছে স্নেইল মেইল পাঠানো। উনি 'কালি ও কলম' পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি। ঠিকানাঃ বেঙ্গল সেন্টার, প্লট ২, সিভিল এভিয়েশন, নিউ এয়ারপোর্ট রোড, খিলক্ষেত, ঢাকা ১২২৯, বাংলাদেশ, ফোনঃ +৮৮০-২-৮৯০১১৮০, ফ্যাক্সঃ +৮৮০-২-৮৯০১২০৬। বিদেশ থেকে চিঠি পাঠান, তাহলে সে চিঠি তার কাছে পৌঁছাতে পারে। দেশ থেকে চিঠি পাঠালে সেটা কৃপা/যশপ্রার্থীর চিঠি মনে করে মাঝপথেই হারিয়ে যেতে পারে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
উনি গণআদালতে গোআর বিচারে প্রথম অভিয়োগকারি ছিলেন। এবার ও সাকার কেসে সাক্ষি ছিলেন।
জানি। সেজন্যই আরো বেশি দুঃখ পাই।
এককালে আমি শিরোনামহীনের অন্ধ ভক্ত ছিলাম। শিরোনামহীনের ফোরামে যাতায়াত ছিলো, সেই সূত্রে জিয়ার সাথে কিছু অনলাইন ইন্টার্যাকশন হয়েছিলো। শিল্পী "জিয়া শিরোনামহীন" এর যে মানসিক ছবিটা তৈরি করে নিয়েছিলাম তার সাথে ব্যক্তি জিয়ার আকাশ পাতাল পার্থক্যে একটা হালকা ধাক্কা খাই।
ইন্টারনেটে বাংলা গান এর উপস্থিতিতে তার অনেক আপত্তি ছিলো। মানুষকে প্রায়ই কথা শুনাতো তার টাকা চুরি হচ্ছে বলে । তার উইন্ডোজ এর ভার্সন বা ইংরেজি মুভির বিশাল কালেকশন পাইরেটেড কিনা জিজ্ঞেস করার পরে একটা ব্যাপক ত্যানা পেঁচানো উত্তর পাই। (অনেকটা দিগন্তে গিয়ে পার্ফম করে জামাত এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার মতন)
বড়সড় ধাক্কাটা আসে ২০০৭ এর শেষ - ২০০৮ এর প্রথম দিকে। একটা বাংলা গান বিষয়ক ফোরামে (সেই সময় বেশ জনপ্রিয়) জিয়া সক্রিয় ছিল। সেলিব্রিটি হিসেবে এমনিতেই বেশ মাথায় তুলে রাখতো সবাই তাকে। কিন্তু বিপত্তি হলো ফোরামের এক ইউজার শিরোনামহীনের গানের সমালোচনা করায়। তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে সেই ইউজারকে গালি গালাজ শুরু করে জিয়া। মডারেটর দুই পক্ষেরই আপত্তিজনক পোস্ট মুছে দেয়ায় সেই রাগ আরো বেড়ে যায়। সে দাবী করে যে সে "শিরোনামহীন" এর জিয়া, কোথাকার কোন মডারেটরের কত্ত বড় সাহস তার পোস্ট মোছে! মডারেটরকে পোস্ট মোছার ব্যাপারে বেশ কিছু লেকচার দিয়ে জিয়া সেই ইউজার ও মডারেটর দুইজনকেই ব্যান করার দাবী জানায়।
এছাড়াও নানা পোস্টে (এতদিন পরে রেকর্ড নেই) তার বিভিন্ন পোস্ট থেকে কাঁঠাল পাতার প্রকট গন্ধ আসতো।
সেই ব্যক্তি এখন তার ফেইসবুক পেইজে মানুষের পোস্ট মুছে বেড়াচ্ছে সে আর আশ্চর্য কি ! তবে তার আসল চেহারা প্রকাশ পেতে এতদিন লাগলো এতে একটু অবাক হয়েছি।
শিরোনামহীন ব্যান্ডের অন্য কে কেমন বা কি মতামত ধারণ করে জানিনা, কিন্তু এই জিয়া ব্যক্তিটা সুবিধার না। প্রথমে ঢেউয়ের দিক না বোঝায় তার লেজ বের হয়ে যায়। এখন বিপদ দেখে (পড়ুন ব্যবসায় টান পড়ার ভয়ে) ত্যানা প্যাঁচানো শুরু হয়েছে।
দিগন্তে নাকি গেসিলো "প্রতিবাদ" করতে !!!
এদেরকে শাহাবাগে দেখতে চাইনা.. এদের গানও শুনতে চাইনা।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
গতকাল দেখলাম এসএ টিভিতে ফারুক ওয়াসিফ শাহবাগের আন্দোলন নিয়ে আধা ঘণ্টা ধরে বিশেষজ্ঞ মতামত দিচ্ছে। এরা আর লোক খুঁজে পেল না?
-সুমন
এসএ টিভির মালিক পক্ষ এসএ পরিবহন গ্রুপ বলেই শুনতে পাই, এই গ্রুপের বিরুদ্ধে জামাত সংশ্লিষ্টতার ব্যাপক অভিযোগ আছে।
যারা এসএ পরিবহন ছাড়া পার্সেল পাঠানোর কথা ভাবতে পারেন-না, বি-ক্যাশ ছাড়া টাকা পাঠান-না, আপনাদের জন্য একটা তথ্য যোগ করতে চাই; বাংলাদেশ ডাক পরিবহন সংস্থা এখন ডিজিটাইজড, আমি নিজে ব্যবহার করেছি বহুবার, সেবার মান নিয়ে প্রচুর কথা বলা সম্ভব কিন্তু আপনার আমার সরকারী সেবা ব্যবহারের উপর নির্ভর করে এর কার্যকারিতা। চেষ্টা করে দেখুন।
এসএ টিভি মনে হয় এসএ পরিবহন গ্রুপের না। এইটা বোধহয় সাউথ এশিয়ান টিভি; অন্য কেউ মালিক। এইটা শোনা কথা। নিশ্চিত হইতে হইব
লীলেনদা, গুলশান ১ এ আমি এস এ টিভির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের একটা ব্যানারে এস এ পরিবহনই দেখছি মনে পড়ে ।
_____________________
Give Her Freedom!
মিরপুর ১০ নম্বরে এস এ পরিবহনের কাউন্টারে এস এ টিভির বিশাল বিজ্ঞাপন দেখলাম। আবার এটাও প্রশ্ন যে এস-এ টিভির এস এ = সালাউদ্দিন আহমেদ আওয়ামিলীগের এমপি না?
এস এ টিভি এস এ পরিবহনের।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
ফারুক ওয়াসিফকে একাত্তর টিভিতে গত বুধবার সকাল ১০/১১টার দিকে দেখিয়েছে, শাহবাগ থেকে আন্দোলণ নিয়ে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলো।
এই পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় কি না জানি না, তবে ফারুক ওয়াসিফ এখন নিজে নিজে ইতিহাস মনে করে স্ট্যাটাচ্ছেন। মাত্রই স্টাটাস দিলেনঃ
--------------------------------
বানান ভুল থাকলে ধরিয়ে দিন!
গুয়েবাড়াদার সাক্ষী আবার হাফমিদুল
ফারুদাই তাইলে শাহবাগ আন্দোলনের পুরোধা!
ফারুদারে একটা ডাউনলোডাবেল নুবেল পদক দেওয়া ইউক।
হিমু ভাইকে কতবার যে আর স্যালুট জানাব! অসাধারণ !!!
আজ সন্ধ্যায় এই পোস্টের সাফল্য দেখার অপেক্ষায় আছি ----
শিরোনামহীন আজকে না, বোধ হয় ১১ তারিখ যাচ্ছে।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
শিরোনামহীনের গান পছন্দ করতাম, ডাউনলোড কইরা প্রচুর শুনছি, হিসাবমত তো তাদের কাছে আমার প্রচুর দেনা । আজকে অফিস থিকা যদি শাহবাগ তাড়াতাড়ি যাইতে পারি আর যদি তারা দিগন্ত চ্যানেল থিকা প্রজন্ম চত্ত্বর আসে, পুরা ঋন সুদাসলে শোধ দিয়া দিমু....
বস, কেউ ডেট টা কনফার্ম করতে পারেন? আমি যতদূর জানি ১০ এর পরিবর্তে তারা ১১ তে যাচ্ছে!!
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
"ধর্মভিত্তিক রাজনীতি কি নিষিদ্ধ করা উচিত?" প্রশ্নটা একটা ফিল্টার হিসেবে কাজ করতে পারে। বালির ভেতরে মুখ ঢুকায়া না রাখলে একাত্তুরের যুদ্ধাপরাধ, একাত্তুরের পূর্ববর্তী বাঙ্গালী চেতনার বিরুদ্ধে একের পর এক হামলা ও একাত্তুর পরবর্তী সময়ে জামায়াতের পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে ধর্মের ব্যবহার সম্পর্কে কারও সংশয় থাকার কথা না।
গুয়েবাড়াদা দেখি তুরস্ক আর মিশর নিয়াও মিথ্যাচার করলেন। তুরস্কে যখন হিজাব নিষিদ্ধ করছিল, তখন কয়টা গুয়েবাড়া আন্দোলন কইরা হিজাব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করছিল? আর মুরসির ফ্যাসিবাদ নিয়া গুয়েবাড়ার সাম্প্রতিককালে কোন মন্তব্য দেখছি বলেও মনে পড়ে না। কাটমোল্লাদের চেয়েও মিল্লাত বামগুলারে আমার বেশি ভয়ংকর মনে হয়।
সর্বোপরি একটা সুশীল পোগতিশীল আহবান- পাপীকে ঘৃণা করুন, পাপকে নয়।
পৃথিবী
দুপায়ের জোর ফিরে পেয়েছেন দেখে ভালো লাগলো।
হেহেহ। আইতে দ্যান শিরোনামহীন রে!! আইজকা শিরোনাম বসায়া দিমু!! ইটার ইশটক লয়া বইসি!!
এই এবাদুর হইতাছে আরেকটা ফারুকী।
আনিসুল হককে দেখলাম ক্যামেরার আশপাশ দিয়ে বারবার ঘুরাঘুরি করতেছেন। উনাকে অনুরোধ করছি উনার 'মা' বইটা সাথে করে নিয়ে আসতে। জাস্ট মলাটটা পুরোপুরি দৃশ্যমান থাকে এভাবে ধরে রেখে সবগুলো চ্যানেলের ক্যামেরার সামনে দিয়ে বা রিপোর্টারকে ভীড়ের অজুহাতে গুঁতা মেরে সরিয়ে দিয়ে তার সামনে দিয়ে কয়েকবার ঘুরে আসুন। এমন ফ্রি পাবলিসিটির সুযোগ আর পাবেন না ভাইয়া!
****************************************
শিরোনামহীন তাদের অফিশিয়াল পেইজের মাধ্যমে দিগন্ত টিভিতে গান করার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং ভবিষ্যতে আর কোনদিন গাইবে না বলেও অঙ্গীকার করেছে।
জ্বি, এবং সেটা যদি সত্যি মন থেকে করে, তাহলে শাহবাগে যেয়ে যেন সবার সামনেই ক্ষমা চায় পূর্ব-মন্তব্যের জন্যে।
শুভবুদ্ধির উদয় হওয়া ভালো, আরো বেশী ভালো ভুলের জন্যে ক্ষমা চাওয়া..
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
দিগন্ত টিভিতে গান গেয়ে ফেসবুকের চিপায় ক্ষমা চাইলে চলবে না সাজ্জাদ ভাই। অন্য সকল টিভির সামনে ক্ষমা চাইতে হবে। কানে ধরে ওঠবোস করতে হবে ৪২ বার।
গতকাল রাতের বেলায়ও জিয়া বলেছেন, দিগন্ত টিভিতে সুযোগ পেলে তিনি আবার যাবেন। চিবি দিয়ে ধরার পর তিনি ঘুমাতে যাওয়ার আগে গোল গোল করে সরি বলেছেন। এই লোক শাহবাগে যাচ্ছে এই আন্দোলনের স্পিরিটে একাত্ম হতে নয়, ব্যান্ডের ক্যারিয়ার টেকাতে, কারণ সে জানে তার পেছনে ময়লা লেগে আছে। শাহবাগের আন্দোলনের ধারা জামাতি টিভির ভাড়াটিয়া ব্যান্ডের ময়লা ধোয়ার জন্য ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।
আর আপনাদের কি একবারও মনে প্রশ্ন জাগে না, এতদিন পর কেন শিরোনামহীন ক্ষমা চায়? হাওয়া ঘুরে যাওয়ার আগে যখন মানুষ ঘরে বসে তাদের ভদ্রভাবে অনুরোধ করেছে, তখন তারা ক্ষমা চাইলো না কেন?
কোঁৎকা দেখলে সব নেড়িই কুঁইকুঁই করে। অফিশিয়াল ফ্যান পেজে ম্যাঁও বলে লাভ নাই, কানে ধরতে হবে।
একমত। আমি কিন্তু তাদের সমর্থক নই। ফেবুতে দেখে প্রাসঙ্গিক ভেবে শেয়ার করেছি মাত্র।
প্রথমে ক্ষমা চাইলে ৪২ বার করলেই চলতো....... ১১ তারিখে আসলে ৭১ বার কান ধরে উঠবোস করতে হবে।
অত্যন্ত দরকারী পোস্ট হিমু ভাই।
জামাতের মূল শক্তি তাদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো যেগুলো ব্যাঙ্ক, হাসপাতাল, টি,ভি, চ্যানেল, কোচিং ইত্যাদির নামে তারা চালাচ্ছে। আমার এলাকায় এদের বিরুদ্ধে একা কথা বলতে বলতে ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছিলাম। সেদিন জনৈক ডাক্তার সন্ধ্যার পর জামাতী হাসপাতালে নবজাতক শিশু দেখতে যাওয়াটা নাকি তার মানবিক দায়িত্ব! যদিও এই মানবিক দায়িত্বটি তাকে তাঁর সরকারী কর্মস্থলে পালন করতে দেখা যায় না।
আজ পৃথিবীতে যেখানে যত জঙ্গীবাদী হামলা হচ্ছে আমরাই সেগুলোর অর্থের যোগান দিচ্ছি জেনে বা না জেনে।
আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার কি অসুস্থ? এই গণজাগরণে ওনাকে দেখলাম না কেন?
নির্ঝর অলয়
এটা যদি ডেঙ্গু মশার বিরুদ্ধে জেহাদ হতো, স্যার ফাডায়ালাইতেন কোনো সন্দেহ নাই।
স্যারের অনুপস্থিতিতে মর্মাহত হয়েছি। ওনাকে সবচেয়ে বেশি শ্রদ্ধা করে এসেছি বরাবর।
শাহবাগে না এসে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ কি নিয়ে ব্যস্ত আছেন দেখুন -
অবশ্য অবাক হওয়ার কিছু নেই।
এমন কপট-ভন্ডদের নিয়ে হুমায়ুন আজাদ বহু আগেই বলেছিলেন -
"হায়! থাকতো যদি একটি লম্বা পাঞ্জাবী, আমিও খ্যাতি পেতাম মহাপন্ডিতের।"
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
যেসব অভিনেতা, অভিনেত্রী, প্রযোজক, পরিচালক এখনও ভ্যালেন্টাইন ডে স্পেশাল নাটক আর প্রোগ্রাম বানাচ্ছেন তাদের প্রতি অনুরোধ শাহবাগে আসুন। নয়তো গনজাগরন নিয়ে নাটক/অনুষ্ঠান বানিয়ে প্রচার করুন। টিভি চ্যানেলগুলোকে বাধ্য করুন এবারের ভ্যালেন্টাইনে ডে তে সেসব নাটক/অনুষ্ঠান প্রচার করার জন্য।
আমার প্রিয় গায়ক ভূমির সুরজিতের গাওয়া একটি অসামান্য গান এই সুশীলদের নিয়ে:
কলেজ লাইফে অন্তত হাজারবার গানটা শুনেছি
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
গরীবের বন্ধু কই এখন???
দীনবন্ধু ইউনূসরে এইরম সময়ে খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন রে ভাই। ল্যাঞ্জা যেমন টাফ থিং টু হাইড, ইউনূস ছারও সেইরম ক্রান্তিলগ্নে টাফ থিং টু ফাইন্ড।
হে ইউনুস করুণাসিন্ধু, দীনবন্ধু হরে হরে!!! এই বদ মতলবের লোকটাকে অতিমাত্রায় মহিমান্বিত করার জন্য আমি শ্রদ্ধেয় জাফর ইকবাল স্যারের প্রতি একটু ক্ষুব্ধ ছিলাম। অবশ্য জাফর স্যার ইউনুসের পক্ষে কখনোই কোন যুক্তি দেখাননি। উনি সবসময়ই স্বীকার করেছেন যে ইউনুস সাহেবের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা আবেগসঞ্জাত।
এটা একটা প্রশ্ন হল! উনার কি গরীবের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর মত এত বেকার সময় আছে? উনি বোধহয় এখন গরীবের নাম করে গ্রামীণফোন থেকে লভ্যাংশ হিসেবে পাওয়া তিরিশ-হাজার-কোটি-টাকা যা তথাকথিত গরীবের ব্যাংক গ্রামীণ ব্যাংকে থাকার কথা কিন্তু অন্য কোথাও উধাও হয়ে গেছে - সেই পলাতক অপরাধী টাকাটাকে তাঁর নিজস্ব ব্যক্তিগত কারাগারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়ার মহাগুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত।
****************************************
গুয়েবাড়াদার স্পর্ধা দেখে তাজ্জুব বনে গেলাম। আজ সে আবার লেদেছে তার হাগনকোঠিতে [সূত্র]। সেখানে সে বলেছে,
এই বুদ্ধিখানকিটা দক্ষিণ আফ্রিকার ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশনের আদলে ট্রুথ কমিশন চায়। পাকিস্তানের সঙ্গে রিকনসিলিয়েশনের তত্ত্ব কপচানোর পর ব্লগে-ফেসবুকে তৎক্ষণাৎ চোদা খাওয়ার ফলে রিকনসিলিয়েশন কথাটা লিখতে ছাগলটা সাহস পাচ্ছে না, বোঝাই যায়, কিন্তু এই ২০১৩ সালে এই শাহবাগের প্রসঙ্গে কেউ ট্রুথ কমিশনের কথা বলতে পারে??
আসুন পাঠক, ট্রুথ আর রিকনসিলিয়েশন কমিশন নিয়ে উইকিপিডিয়া [সূত্র] কী বলে দেখি।
অর্থাৎ যত বিটকেল আছে নিজের পাপের ফিরিস্তি দিয়ে মধুর গলায় বলবে, ভুল হয়া গেছে মাফ করে দিস। তারপর ভিকটিম ও অপরাধী কোলাকুলি করে যে যার ঘরে ফিরে যাবে।
শাহবাগ প্রসঙ্গে লিখতে গিয়ে বুদ্ধিবেশ্যা ফারুক মিহি গলায় মানুষের চোখের সামনে এরকম একটা জঘন্য নির্লজ্জ প্রস্তাবনা করার সাহস পায় কীভাবে? সে কি ভেবেছে ট্রুথ কমিশনের কথা আমরা বুঝি না? যেখানে ফাঁসির দাবিতে সরকার-জামাতশিবিরের পরোয়া না করে আবালবৃদ্ধবণিতা এক সপ্তাহ ধরে শাহবাগ আগলে রেখে সমবেত হয়েছে, সেই আন্দোলন নিয়ে লিখতে গিয়ে ফারুক গুয়েবাড়া ট্রুথ কমিশনের আশা পোষণ করে কোন মুখে?
নির্লজ্জ বুদ্ধিবেশ্যা ফারুক গুয়েবাড়াকে শাহবাগে কানে ধরে ওঠবোস করানো হোক।
- কার সাথে কার ঐক্য? জামাতের সাথে বামপন্থী?
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
জানুয়ারী ৩১শের পর উনার ফেসবুকের পরবর্তী পোস্টের তারিখ হচ্ছে ৭ই ফেব্রুয়ারী। মাঝখানের গুলা কোন মহাকালের গর্ভে গায়েবুল আযম হইলো খোদা মালুম; বিশেষ করে যে পোস্টে উনারে সবাই রিকন্সিলিয়েশন তত্ত্ব নিয়া ল্যাংটো করলো সেই পোস্টের একটা স্ক্রীনশট রাখা খুব জরুরী ছিল। মন খারাপ লাগ্লেই সেইটা পইড়া গড়াগড়ি দিয়া হাসতে পারতাম।
ফারাসাত
ইউনুস স্যার কই ? আমি এই লোকরে এমন ভাবি নাই। কষ্ট পাইলাম। তবে অনেকরে চিনতে পারলাম।
আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ ও তো আসলো না? কাহিনী কি?
বাংলাদেশের কোন প্রগতিশীল সামাজিক-রাজনৈতিক আন্দোলনে মুহাম্মদ ইউনুস এবং আবদুল্লাহ আবু সায়ীদকে কোনদিন দেখেছি বলে মনে পড়ছে না। ৮০-র দশকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে এদের দেখা মেলেনি। আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ একটা খোঁড়া যুক্তি দিতে পারেন যে সেই সময় তিনি একজন সরকারী চাকুরীজীবী ছিলেন; তাই সরকারবিরোধী আন্দোলনে যোগদান করার সাধ থাকলেও সাধ্য ছিল না। তবে ২০০৭-এর সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনে তাঁর অনুপস্থিতি লক্ষণীয়। আর মুহাম্মদ ইউনুসের কথা বলাই বাহুল্য। আসল কথা হল এই দুইজন সুবিধাবাদী ব্যক্তি; বাংলাদেশে তাঁরা নিজেরাই এক একটা ব্র্যান্ড। যেখানে তাঁদের ব্র্যান্ড নেম প্রমোট করার সুযোগ তাঁরা দেখেন না, সেখানে তাঁরা যান না। আর আমাদের মতো আমজনতা তাঁদেরকে শুধু "স্যার" "স্যার" করেই যায়।
হিমু ভাই,
আরেক পল্টিবাজ ইনাম আহমেদ চৌধুরী। ৪-৫ দিন আগেই টকশোতে মানবতাবিরোধী অপরাধ আর যুদ্ধাপরাধের সংজ্ঞা নিয়ে মূর্খতা অথবা বদমায়েশির নজির রেখেছে। আজ আবার সমকালে গণদাবীর বোল তুলেছেঃ
http://www.shamokal.com/
বেশিদিন আর এদের খেল চলবে না।
জনতার সংগ্রাম জয়যুক্ত হবেই।
নির্ঝর অলয়
অলয় ভাই, একটা পোস্ট কি দিতে পারেন এই জ্ঞানপাপীদের নিয়ে? রেফারেন্সসহ। রেকর্ড থাকা প্রয়োজন। এই হাওয়ামোরগগুলির কীর্তি ঘটনার স্তুপে চাপা পড়ে যায়।
ড. ইকবাল ছাড়া আর কোন কোন জ্ঞানীগুণী লোকজন শাহবাগে আসছেন?
ফারুদা ফেসবুকে লিখেছেন।
"Faruk Wasif-
আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে। আমি পাসওয়ার্ডও চেঞ্জ করতে পারছি না। আপনারা হুশিয়ার থাকবেন। ক'দিন থেকে হুমকি পাচ্ছিলাম নানান জায়গা থেকে। আপনারা আন্দোলনের স্বার্থে একসঙ্গে থাকবেন।"
মানে কি? এই কাগুরে ছাড়া আন্দোলন চলবে না?
ফারুক জীবনের বড় একটা অংশ মানুষের গুরুত্ব পাইয়া অভ্যস্ত। রিকনসিলিয়েশন তত্ত্ব প্রসবের পর সেই গুরুত্ব পাওয়াগুলি ভুস্ করে হাওয়া হয়ে গেছে। এই জন্য সে এখন নিজেই নিজেকে ফু দিয়ে ফুলানোর চেষ্টা করছে। সে এখন একটা নো বডি। সাম বডি হওয়ার জন্য হাকুপাকু করতেছে। ওরে গুরুত্ব দিয়েন না। এমনিতেই পায় না। আপনে না দিলে আরো একটু কম পাইবো। গুরুত্ব না দেওয়া থেরাপি ফারুকের পেছনে টাইনে লাত্থি মারার চাইতে অনেক অনেক বড় আঘাত।
অজ্ঞাতবাস
শিরোনামহীন কি গেছিলো? ওদের কি প্রাপ্যটুকু বুঝাইয়া দেয়া হইছে? আপডেট আছে কোন?
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
Email newsletters for bands at ReverbNation.com
চরম
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
"আমরা দৌড়ানি দিলাম তাই, শিরোনামহীন ক্ষমা চায়, কানে ধরে বহুবার বহুবার ক্ষমা চায়!" আপনি মানুষটা বেসম্ভব খ্রাপ! এমনে পঁচাইতে হয়!? হাসতে হাসতে মরে গেলাম!
ফারুক ওয়াচিপের পুরো ব্লগটি দিয়ে দুই তিনটি লেখা লেখা যাবে! এতদিকে সে গোল দিতে চায় একই সময়ে, ব্যাপারটা চরম হাস্যকর এবং আজিব লাগলো আমার কাছে। তবে একটা ব্যাপার দেখলাম, এই একই লোক যখন প্রথম আলোতে লেখে তখন তার লেখার ভাষা হয় একরকম, আর ব্লগে আরেক রকম- কিন্তু বিষয় একই! কেম্নে কি? সুবিধাবাদিতার জ্বলন্ত উদাহরণ?!
বটতলার উকিল।
"পু"
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2013-02-12/news/328563
গুয়েবাড়ার আজকের উপলব্ধি:
লোকটা পোর্টেবল গোলপোস্ট নিয়া ময়দানে ঘোরাফেরা করে। জায়গামতো বসিয়ে গোল দিয়ে জার্সি খুলে দৌড়াতে থাকে। একাত্তরে জামাতের কর্মকাণ্ডের ইতিহাস সামনে রেখে ২০১২র ১৮ই ডিসেম্বর সে বলে জামাত নিষিদ্ধ করা নির্বুদ্ধিতা আর বুমেরাং হবে, আর ফটিকছড়ি দেখে সে এখন বলে জামায়াত নাকি পুরোপুরি রাজনৈতিক দলই না। বুদ্ধিবেশ্যা গুয়েবাড়া, যে দল পুরোপুরি রাজনৈতিক দলই না, তাকে নিষিদ্ধ করার কথা উঠলে তুমি কান্দো কেন?
নতুন মন্তব্য করুন