মাননীয় সরকার বাহাদুর,
সারাদেশ জুড়ে কয়েক মাস ধরে চলমান নাশকতার পরিকল্পনাকারী জামাত-শিবিরের ফেসবুক প্রোপাগাণ্ডা পেজ "বাঁশের কেল্লা" ও "ইসলামী ছাত্রী সংস্থা" বহাল তবিয়তে আছে। রাষ্ট্রের গোয়েন্দা পুলিশ ও টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণকারী কমিশন তাদের কিছুই করেনি, করতে পারেওনি।
পরিষ্কার ভাষায় রেললাইন উপড়ে ফেলার বা পুলিশ হত্যার আহ্বান জানানো এই পেজগুলোর সফলতা আজকের খবরের কাগজের অনলাইন সংস্করণে দেখতে পাবেন। রেল বিচ্যুত হয়ে হতাহত যাত্রী নিয়ে ধানক্ষেতে পড়ে আছে তূর্ণা নিশীথা, ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যায় আছেন রাজশাহীতে দায়িত্বরত পুলিশ অফিসার।
এই পেজ যারা চালায়, আপনারা তাদের গুপ্তকেশটাও ছিঁড়তে পারেন নাই।
আপনারা ধরেছেন তিনজন ব্লগারকে। তাদের অপরাধ, তারা একটি ধর্ম সম্পর্কে নিজেদের মত প্রকাশ করেছে। তাদের এই মত প্রকাশের জন্য কোনো ট্রেন লাইনচ্যুত হয়নি, কোনো মানুষও আহত বা নিহত হননি। তারা কোনো ধরনের নাশকতার ডাকও দেননি। আপনারা যদি এতই ধর্মবিশ্বাসী হবেন, তাহলে ধর্মের ঈশ্বরের হাতে পরকালে এদের বিচারের ভার কেন ন্যস্ত করেন না?
জামাতশিবির নিষিদ্ধের দাবিতে সারা দেশে যখন শান্তিপূর্ণ অনশন পালিত হয়, আপনারা সাড়া দেন না, আর যখন অশান্তির হুমকি আসে হেফাজতে ইসলামের পাণ্ডাদের কাছ থেকে, তখন আপনারা নিরীহ তিনজন লোককে তুলে নিয়ে পিটিয়ে তাদের ছবি ছাপিয়ে দেন মোল্লাদের আশ্বস্ত করার জন্য।
ভোটের জন্য? মোল্লাদের ভোট আপনারা পাবেন না। তাদের জুতা জিহ্বা দিয়ে চেটে সাফ করলেও পাবেন না। বরং যারা জামাতশিবিরের রাজনীতির মোকাবেলা করার জন্য আপনাদের ভোট দিয়ে ক্ষমতায় এনেছে, তাদের ভোট হারানো শুরু করবেন। তিনটা ভোট এর মধ্যেই হারিয়েছেন, হয়তো কয়েকদিনের মধ্যে তিন মিলিয়ন ভোটের সংকল্পের গন্তব্য পাল্টে যাবে।
যে তিনজন ব্লগারকে আটক করেছেন, তাদের মুক্তি চাই না। তাদের আপনারা আটকে রাখুন। কারণ আপনারা তাদের নামধামছবি সব প্রকাশ করে দিয়েছেন। মুক্ত বাংলাদেশে এখন তাদের পিছু নেবে আততায়ীরা, যারা আপনাদের কল্যাণেই এদের চিনে নিয়েছে এবং যাদের দমন করার ব্যাপারে আপনাদের কোনো সদিচ্ছা আমরা দেখতে পাচ্ছি না।
এই তিন ব্লগারকে আটকে রাখুন। যে দেশে ঈশ্বরের প্রতি অনাস্থার শাস্তি ঘাতকেরা বাড়ি এসে বুঝিয়ে দিয়ে যায়, সে দেশে পুলিশের হাত থেকে "মুক্তি"র কোনো অর্থ নাই। এদের আটকে রাখুন, বাঁচিয়ে রাখুন। আর মোল্লাদের স্যান্ডেল আইসক্রিম জ্ঞান করে লেহন করে যান।
তিন ব্লগারকে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত [সূত্র]।
রোহিঙ্গা জঙ্গি সালাউলের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর হয়নি [সূত্র], ঠিক যেমন রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর হয়নি জামাতশিবিরের সন্ত্রাসে অর্থায়নের অভিযোগে আটক ইসলামী ব্যাঙ্কের মিরপুর শাখা ব্যববস্থাপক শহীদুল হকের [সূত্র]।
সংযোজন ২:
সালাউলের রিমান্ড আবেদন অবশেষে মঞ্জুর করেছেন কক্সবাজার আদালত [সূত্র]।
মন্তব্য
দিনের পর দিন মাহমুদুর রহমান সাম্প্রদায়ীকতাকে উস্কে দিয়েছে, ওর বালটাও তো ছিড়তে পারলোনা। নিরীহ ব্লগারদের ধরে মাস্তানি ফলাতে আসছে। দরকার হলে এই জীবনে কখনও ভোট দিবনা, কিংবা না ভোট দিবো, তবু শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগকে আর ভোট দিবনা। চার বছর হতে চলল, আশা করি হিজাবখানা ড্রাই ওয়াশ থেকে নেওয়ার সময় এসে গেছে।
মূল লেখায় সহমত। সরকার আরেকটা কাজ করতে পারে, ফেসবুক - ব্লগ পুররাই নিষিদ্ধ করে দিক। আমরা আবার আইয়ামে জাহেলিয়াতে ফিরে যাই।
ড্রাই ওয়াশ থেকে বাসায় নিয়েও আসা হইছে।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
কিছু বিশিষ্ট রাজাকারদের জেলে পুরে রাখার জন্য উনার যে পাপ হয়েছে, আশা করি খুব শীঘ্রই "উনি" একটা ওমরাহ্ করে এসে সেই পাপ কাটাইয়া আসবেন।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
আহত হতে হতে দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছি!
বিডিনিউজে খবর দেখলাম। কম্পিউটাস সহ আটক, দেইখা মনে হয় জঙ্গী ধরছে। কি কইতাম, গুলাবী আর হাসিনার(কোন উপযুক্ত নাম কি পাওয়া গেছে?) আদরের বান্দর জামাত যখন মাথায় উইঠা ছ্যারছ্যার কইরা মুতে দিবে তখন বুঝবে টেস্ট কেমন, এখনো বুঝতেছে না।
অপমানে মইরা যাইতে ইচ্ছা করতেছে ছবিটা দেখে
কোথায় যাবে?
শেষপর্যন্ত আমারব্লগ'বন্ধ করে দেওয়া হলো.....!
তিনের সাথে আমার এক ভোট যোগ করেন। সীমিত সামর্থ্যে যেইটা আছে, সেইটাই করবো
অলমিতি বিস্তারেণ
সহমত।
'আমি' যে ধর্মে বিশ্বাস করি সে ধর্ম নিয়ে কথা বললেই আমি আঘাতপ্রাপ্ত হব, আর 'তুমি' যে ধর্মে বিশ্বাস কর পুলিশ পাহারা সত্বেও রাতের আধাঁরে আমি সেই ধর্মের আরাধ্য দেবতার বিগ্রহ ভেঙ্গে দিয়ে আসব। 'তুমি' কিছু বললেই বা অন্য কেউ তোমার পক্ষে 'কিছু' বললেই আমি বলব আমার ধর্ম আঘাতপ্রাপ্ত। আহা ! আমার ধর্মানুভুতি আঘাতপ্রাপ্ত! ধরে নিয়ে ফাটকে ঢোকাব সবাইকে।
এই 'আমি' 'তুমি' থেকে বের হয়ে কবে আমরা হব ?
এখন আর ছাড়া ঠিক হবে না। সরকার কি পাগল হয়ে গেল নাকি ! মাথা খারাপ হয়ে গেছে মনে হয়। তিনজন ব্লগার কে এভাবে অপরাধীর মত সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করার মত ঘৃণ্য লজ্জাজনক কাজ সরকারের মানসিকতা প্রকাশ করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট।
আপনি হয়তো ভুলে গেছে। বাংলাদেশ একটাই ধর্ম। কোটি অনুভূতি ।
দূর শালা কিচ্ছু ভাল লাগছে না।।সব ভেঙ্গে-চুরে ফেলতে ইচ্ছে করছে
@ Chhanda Mahbub - আমারও একেক সময় ঠিক এরকমই লাগে।
এদের তো ধরবেই কারন এরা কেন পুলিশের উপর হামলা না করে, রেল লাইন উপড়ে না ফেলে, দেশের সম্পদ নষ্ট না করে, গাড়ীতে আগুন না দিয়ে শুধু শাহবাগ বসে আন্দোলন করে। শুধু বসে বসে ব্লগিং করে।
বুঝবি একদিন, কিন্তু সেইদিন আর সময় থাকবে না।
অতঃপর আওয়ামী বুদ্ধিজীবিগণ এভাবে কলম ধরবেন কি?
"দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য সরকারকে কৌশলী ভূমিকা নিতে হয়েছে। এটা সাময়িক পদক্ষেপ। ৬ তারিখের কর্মসূচীকে নমনীয় করার জন্য কিছু ব্লগারকে শায়েস্তা করা দরকার ছিল। এটা না করলে দেশে গৃহযুদ্ধ লেগে যাবার সম্ভাবনা ছিল।"
সদাশয় সরকার, আপনারা কোন পথে হাঁটছেন আমরা জানি না। কিন্তু আপনারা নিশ্চিত সুবুদ্ধি দ্বারা পরিচালিত হচ্ছেন না। আপনাদের এই পদক্ষেপ সহিংস শক্তিসমূহ থেকে আপনাদের নিরাপদ রাখতে পারলেও জনগণের নিরাপত্তার কোন গ্যারান্টি নেই। গতকালও বিনা কারণে তূর্না নিশীথা ট্রেনটা উল্টে দেয়া হয়েছে, ওই ট্রেন থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গেছে আমার এক স্বজন। যে মাহমুদুর রহমানের উস্কানি আজ দেশে চরম নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে আপনারা তাকে কিছু করতে পারেন না। বীরত্ব দেখাচ্ছেন গোটা কয়েক নিরীহ ব্লগারের উপর।
সর্ষের ভেতরে ভুত কথাটা খুব মিলে যায় আপনাদের বর্তমান অবস্থায়। একটা উদাহরন দেই। রাজীব হত্যাকাণ্ড যখন ঘটেছে তখন সারাদেশ যখন রাজীবের শোকে মাতম করছে, সেটা থামার আগেই আপনাদের ওলামা লীগ সমর্থিত পত্রিকা 'ইনকিলাব' পুরো বিষয়টিকে সম্পূর্ন ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করলো এই রিপোর্ট প্রচার করে (১৭ ফেব্রুয়ারী)-
http://www.dailyinqilab.com/archive_details.php?id=93272&&%20page_id=%205&issue_date=%202013-02-17
মনে রাখবেন আমার দেশ এই খবর ছাপানোর আগেই সবার আগে ইনকিলাব ছাপিয়েছে। ইনকিলাব থেকে কপি করে পরদিন আমার দেশ নীচের রিপোর্ট করে(১৮ ফেব্রুয়ারী)-
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2013/02/18/188548#.UVqKWjeH8SE
আমরা পরবর্তীতে জেনেছি ওই ব্লগগুলো রাজীব হত্যার পর খোলা হয়েছে অথবা ওগুলো ভুয়া ব্লগ ছিল। কিন্তু ঘটনা যা ঘটার ঘটে গেছে। এই প্রপাগাণ্ডা সারা দেশে ছড়িয়ে দেশব্যাপী দাঙ্গার সৃষ্টি করেছে, যার জের এখনো চলছে। শাহবাগ আন্দোলনের সাথে আস্তিক নাস্তিক কোন বিষয় ছিল না। ওটা সম্পূর্ন মুক্তিযুদ্ধের ইস্যু। এখানে কেন আস্তিক নাস্তিক এলো? ইনকিলাব কেন ওই ঘটনাকে হাইলাইট করে তুলে ধরলো? কার স্বার্থে, কার ইঙ্গিতে? কেউ তদন্ত করেছে কেন ইনকিলাব এই সংঘাতের ইস্যু তুলে আনলো সেই ১৯৯০ সালের বাবরি মসজিদ ইস্যুর মতো?
আপনারা কি ওই পত্রিকা বা প্রপাগাণ্ডার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিয়েছেন? না নেন নি। আগামীতে নেবার কোন সম্ভাবনাও দেখি না।
অতএব আমাদের বিশ্বাস সর্ষের মধ্যেও ভুত আছে। সরকারের পেটের ভেতরে লুকিয়ে থাকা সেইসব ভুত নামাতে না পারলে আপনারা কোন বৈতরণী পার হতে পারবেন না। দু দশজন ব্লগার ধরে গারদে পুরে অর্ধশিক্ষিত নৈরাজ্যবাদী মোল্লাদের কাছে আপনাদের বিশ্বাসযোগ্য হবার সকল চেষ্টাও ব্যর্থ হবে।
মাননীয় সরকার, আপনাদেরকে দুই নৌকায় দেখতে পাচ্ছি আমরা আমজনতারা। দুই নৌকায় পা দেয়া মানুষ কারো কাছেই বিশ্বাসযোগ্যতা পায় না। যে কোন একটা নৌকা বেছে নিন এবং আমাদেরকেও নৌকা বেছে নিতে সাহায্য করুন।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
could not agree more
ভালো! ভালো! দেশ পাকি-আফগানের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
জামাত শিবিরের কোন গুপ্তকেশ নাই, সবই প্রকাশ্য। এই জন্যই বোধহয় ছিঁড়তে পারতেছে না। পুলিশ ডিবি খোলা জিনিস দেখে না কিনা!
অনেক কষ্টের মাঝেও হাসালেন।
ক্ষোভে, দুঃখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।
পূর্বে কখনও সখনও ভোট বয়কট করেছি। একবারতো আমার গ্রামে জনগণকে ভোট না দেবার জন্য উদ্বুদ্ধ করাতে রাজনীতিকদের রোষানলে পড়েছিলাম।
কিন্তু ৪২ বছর পরে এই প্রজন্মতো আমাকে আশাবাদী করেছে, যুদ্ধাপরাধীদের ন্যায্য সাজার প্রশ্নে। একটি নির্দিষ্ট দলকে ভোট না দিলেতো ক্ষীণ আশাটাও বিলীন হয়ে যাবে। বরং দেখবো যে মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তচিন্তার ব্লগার এদের লিস্টি হবে বিচারের জন্যে।
দেশে নারী প্রধানমন্ত্রি থাকলে ইসলামের অবমাননা হয় না?
এতদিন ধরে জামাত শিবির মিলে দেশে ভয়াবহ নাশকতা চালাচ্ছে, একটাকেও ধরে জেলে ভরতে পারেনি। বরং উল্টো পুলিশ মার খাচ্ছে। আর এখন ব্লগার ধরছে। কাল হয়ত যেসব পুলিশ, জনগন জামাতের নাশকতায় আহত হয়েছে, তাদের বিচার শুরু করবে, কেন তারা আহত হল, বাধা কেন দিল বলে!
তথ্যটা ঠিক নয়। আজকের হরতাল চলছে শিবির সভাপতিকে গ্রেপ্তার করার জন্য।
দুঃখিত স্যামদা কথাটা আসলে বলায় ভুল হয়েছে। ওদের কে যেভাবে দমন করা দরকার সেভাবে করছে না তাই বুঝাতে চেয়েছিলাম।
খুবই হতাশ লাগছে। পত্রিকার পাতায় ছবি সহ নিউজ দেখে মনে হচ্ছে এ কোন দেশ আমার? সব কিছু নষ্টদের অধিকারে চলে যাচ্ছে। চলে গেছে।
টুইটার
সকাল থেকে ভাবছি 'গোলাম আজমসহ সকল যুদ্ধাপরাধীর মুক্তি চাই' লিখে স্ট্যাটাস দিবো কি না...
এছাড়া আর কোনো উপায় দেখছি না
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সরকার এই মুহূর্তে ভোটের চিন্তা করছে না। সামনের বার ক্ষমতায় আসার চিন্তাও করছে না। তাদের প্রধান চিন্তা এই টার্মে যেগুলা আয়-ইনকাম হইছে, সেগুলা কিভাবে নির্ঝঞ্ঝাটে খাওয়া যায়। এদিক দিয়া দেখলে জামায়াতের সাথে ক্যাচালে তাদের লস। সাঈদী, গোলাম আযমদের ফাঁসি দেয়াও আওয়ামী লীগের জন্য সমস্যা। সামনের বার ক্ষমতায় এলে বিচার অব্যাহত রাখতে হবে - এটা বিরাট চাপ, নিরিবিলি এই টার্মের টেকাটুকা ভোগ করা যাবে না। অন্যদিকে এভাবে ব্লগারদের ওপর নিপীড়ন চালিয়ে জামায়াতের সাথে তাল মিলালে নগদ ইনকামের ধান্দা আরো ফুলেফেঁপে উঠে।
ব্লগারদেরকে পিটালে নগদ লস খুবই কম। ব্লগারদের হাতে বোমা নাই, আগ্নেয়াস্ত্র নাই, সন্ত্রাসী কানেকশন নাই।
ধর্মানুভূতি হলো গোলআলু। সব তরকারিতেই খাটে। ইসলাম আজ জামায়াতের হেফাজতে যায়, কাল আওয়ামী লীগের হেফাজতে। এরাই আজকাল সব নবী-রসূল, আল্লাহ এদেরকে ধর্মের সব দায়দায়িত্ব দিছে। এরা পারলে আল্লাহকেও ধর্মানুভূতির দায়ে ঝুলাইয়া দেয়।
তয় ইসলামের নামে মন্দির পুঁড়াইলে, হিন্দুর মাইয়া ধর্ষণ করলে, হিন্দুকে খুন করলে কোনো ধর্মানুভূতি আহত-নিহত হয় না, জামায়াত ও আওয়ামী লীগের হেফাজতে থাকা ইসলামের চেকনাই আরো বাড়ে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
__________________
জানি নিসর্গ এক নিপুণ জেলে
কখনো গোধূলির হাওয়া, নিস্তরঙ্গ জ্যোৎস্নার ফাঁদ পেতে রাখে
সরকার আছে ভোট বাক্স সামলানোর চিন্তায়। জামাতিদের মন রক্ষা করে তারা বি এন পি এর সাথে জামাতের পুরোনো সক্ষতার যে বিচ্ছেদ আশা করেছিল বি এন পি এর নির্লজ্জ জামাত প্রীতি তে তা আর সম্ভব হবে বলে মনে হয় না!! মূলত সরকার নিষিদ্ধ জামাত চায় না বরং বি এন পি থেকে বিচ্ছন্ন করে জামাত-বি এন পি জোট ভাঙতে চায়। কারণ নিষিদ্ধ হলে জামাতের সব ভোট বি এন পি এর বাক্সে যাবে যা আওয়ামিলীগের দুশ্চিন্তার কারণ! সেদিক থেকে জোট বিহীন জামাত আওয়ামিলীগের জন্য অনেক কম শঙ্কার কারণ।
সুবোধ অবোধ
সহমত
বিশ্বাস হয় না এটা আমার বাংলাদেশ
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
একটাই অনুভূতি হচ্ছে আমার এই দেশটা আর আমাদের নেই। এই দেশ এখন শুধু রাজনীতি যারা করে তাদের। আর আমরা সব তামাশা দেখার জন্য।
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
১৯৯৯-২০০০ সালে যখন নামকরন নিয়ে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় অচল, যখন শিবির-বিএনপির গুন্ডারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামকরনের বিপক্ষে সন্ত্রাসী সঙ্ঘাতে লিপ্ত, তখন আওয়ামীলীগ এর নেতা হুমায়ুন রশীদ এবং সুলতান মনসুর শিবির এর পক্ষ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের গালে চপেটাঘাত করেছিল, তাঁরা ভোট এর রাজনীতির জন্য সেইদিন বেইমানি করেছিলেন বাংলার মানুষের সাথে, তার ফল আওয়ামীলীগ পুরো সিলেট বিপুল ভাবে পরাজিত হয়েছিল, জিতেছিলেন তারাই যারা সেইদিন বেইমানি করেন নাই, যেমন সামাদ আজাদ! আজো যখন দেখি সেই একই খেলা তখন এই কথাটাই মনে হয় যে ইতিহাস থেকে কেউ শেখেনা!!
হা হা হা হা হা। খুব ভালো করে জাতিকে দুই ভাগে ভাগ করেছেন। এক দল ইসলামের হেফাজত করবে আর বাংলাস্তান বানানোর দিকে ধাপে ধাপে এগিয়ে যাবে। আরেকদল বিদেশে থাকবে, পড়াশোনা করবে, পিএইচডি করবে, বড় বড় জায়গায় মোটা বেতনের চাকরি করবে। আর দিন শেষে যখন কোন ফর্সা চামড়া জিজ্ঞেস করবে , আর ইউ ইন্ডিয়ান? ঠিক তখন, আজ থেকে ১০ বছর পরে বলবে, ইয়াপ মাইট, আই এম ফ্রম ইন্ডিয়া। আব্রাহাম লিঙ্কনের একটা কথা খুব ভাল লাগে, একটা দেশের জনগন যেমন হয়, সরকার হয় ঠিক সেই রকম। আমরা যেরকম, আমাদের সরকার সেইরকম।
আপনি কোন গ্রুপে পড়লেন এই ভাগাভাগিতে?
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
স্বাধীনতার পক্ষের দলও যদি জনগনের আবেগ অনুভুতি নিয়ে এভাবে রিভার্স খেলে, তাহলে ম্যাঙ্গো পাবলিক যাবে কি? আটককৃত ব্লগারদের ছবি দেখে লজ্জায় ক্ষোভে মাথা নুয়ে এলো!
বটতলার উকিল
ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত বিষয়ক আইন পাশ হলে, তা হবে মুক্তবুদ্ধি আর যুক্তিবাদীদের ঘায়েল করা একটি অস্ত্র। যে কোন শাসকগোষ্ঠী সবসময় এই গ্রুপটাকেই ভয় পায়।
ভণ্ডরা ভণ্ডামী করেই যাবে। বোকা জনগণ সব বুঝেও আবারও সে সব ভণ্ডদের সমর্থন দিয়ে যাবে। ভণ্ডের দল এ কথা ভাল করেই জানে।
" মোল্লাদের ভোট আপনারা পাবেন না। তাদের জুতা জিহ্বা দিয়ে চেটে সাফ করলেও পাবেন না। বরং যারা জামাতশিবিরের রাজনীতির মোকাবেলা করার জন্য আপনাদের ভোট দিয়ে ক্ষমতায় এনেছে, তাদের ভোট হারানো শুরু করবেন। তিনটা ভোট এর মধ্যেই হারিয়েছেন, হয়তো কয়েকদিনের মধ্যে তিন মিলিয়ন ভোটের সংকল্পের গন্তব্য পাল্টে যাবে।"
এই সাথে আমার মতো নগন্য একজনের ভোটও হারালো এই সরকার।
সরকার এটাকে ধর্মানুভুতিতে আঘাত না বলে মুসলমানুভুতিতে আঘাত বললেই পারে।মন্দির ভাঙ্গলে ,প্রতিমা ভাঙ্গলে কোন ধর্মানুভুতি আঘাতপ্রাপ্ত হয়না নাকি?
ধন্যবাদ এই লেখাটির জন্য ৷ একদম আমার মনের কথাটা লিখেছেন ৷
চৌদ্দ দলের অনেক দলই বাম দল,নাস্তিক,খৎনাকৃত আওয়ামীলীগকে এদের জোট থেকে বাদ না দিলে আমার ধর্মানুভুতি বিদ্ধংষিভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হবে।
অ:ট: শেখ হাছিনা বন্ধু চিনলনা,সব কূলই হারাইল!!!
লজ্জায় অপমানে ক্ষোভে দুঃখে পাগল পাগল লাগছে ।
আওয়ামী লীগ যদি পণ করেই বসে তারা আস্তাকুড়ে যেতে চায়, তবে কি দরকার তাদের ঠেকানোর? যাক না! অন্তত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধরে রাখতে যে আর তাদেরকে দরকার নাই এইটা তো পরিষ্কার হয়েই গেছে। শাহবাগে এক কোটি স্বাক্ষরকারীর কতজন এখনো আওয়ামী লীগে বিশ্বাস ধরে রাখবেন? জামাতের ঝোলা থেকে কি এক কোটি ভোট বের হবে?
সিলভার লাইনিং হিসেবে যদি মানুষ এই পচা ধচা সব বুডঢা রাজনীতিক দলগুলা কে বাতিল করে মাঠ পর্যায়ে উঠে আসা নেতৃত্ব দেয়া নতুন মুখগুলোকে ভোট দেয়, তবে কি বাংলাদেশে নতুন সুদিন আসবে? হয়ত বাংলাদেশের মানুষের কমন সেন্সের উপর খুব বেশি ভরসা করছি।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
যথার্থ
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
my name is in the list of the 84 bloggers. which is fearful in my part.
I don't want to put my so called controversial thinking anywhere. When i understood how my thinkings are. How the environment in bangla blog were. So i stopped 3 years back. I didn't even post most of the times in the past 3 years. But when murad hafiz bro deleted me from facebook for not support gonojagoron i had to post, so i posted only once in prothom alo blog and amarblog. Prothomalo published the post. Amarblog removed my post from front page, i asked those admins. They didn't reply my post. I'm banned in somewhereinblog. But whenever i write i have to write on the basis of my thinking, and my controversial being. I clearly understand my stand. I said in my writings i was agnostic. But they are claiming i'm atheist. I'm a criminal now i guess i won't have much right of saying anything. Just my anguish, why i was even born in bangladesh? This uncertainty and fear would not let me live normally. Seriously i don't have any blogger friends. Or any friends whatsoever. I'm like a hermit. I don't want the db to color me infront of my family. If the call or contact me i will surrender. They can hang me without trial i don't mind. I don't want this uncertainty. Now after saying so much i want to ask some questions.
Who are to blame for gonojagoron and everything? Only these 84 bloggers? Do the 90% muslim supports the
establishment of islamic government? Do they really know it means? When the gonojagoron moncho was started i said we were going back, now we are going back farther. Now honourable and dear prime minister i would only ask you this, please ask hephajat-e-
islam, what your own crimes are? you wouldn't need the DB/CID for this. just ask the punishments for not wearing hijab!
অদ্ভুত উটের পিঠে চলছে স্বদেশ
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
স্যান্ডেল ??
"জয় বাংলা" আওয়ামী লিগের কাছে বর্গা দেয়া হয় নাই কখনো। তেমনি "স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি" ব্যাপারটাও কেউ আওয়ামী লীগের কাছে গচ্ছিত রাখে নাই- যে যেমন খুশি তেমন করে ওরা সেটা ব্যবহার করবে। এই "শক্তি" গণমানুষের শক্তি। আশা করছি আমজনতা তার শক্তির যথার্থ ব্যবহার করবে।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
এখানে সরকারকে সাইকোলজিক্যাল ট্রিটমেন্ট দেয়ার চেষ্টা করে লাভ নেই। তারা আমাদের কথায় কর্ণপাত করবে না। আসুন আমরা আমাদের ব্লগার ভাইদের মুক্ত করার তথা আমাদের এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বাক ও চিন্তার স্বাধীনতা নিশ্চিৎ করার জন্য তৎপর হই। তাদের মুক্তির জন্য এবং বাঁশের কেল্লা এবং মাহমুদুর রহমান গ্রুপ যারা প্রকৃত পক্ষে মানবতার অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে তাদের বিচারের দাবীতে হরতালের ডাক দেই।
- পামাআলে
নাম পাল্টানোর টাইম আইছে, "আওয়ামী তৌহিদী ইমানী জযবা লীগ"।
আমি নির্বাক ভাই, দুই দিন ধরে এখন বিশ্বাস করতে পারছি না, এটা কি হল। আগে জানতাম শত্রু হল আমাদের মেইনলি জাশি,এখন দেখি ভালোর শত্রু অনেক।
গতরাতে হেফাজতে র এক ছাগু ইনডিপেডেন্টে আইসা বলে , জাফর ইকবাল হল নাস্তিক দের গুরু,
হা হা তাহলে তো এখন স্যার কেও ধইরা রিমান্ডে নেওয়া উচিত।
রাসেল পারভেজ কোন দিন তার নীিতর প্রশ্নে আপোষ করে নাই, করবেও না । সে অর্ধযুগের বেশী সময় আগে বাংলা ব্লগিং শুরুর সময় থেকে ব্লগিং করে আসছে । সেই সময়ে বাংলা ব্লগকে দখল করার যে জামাতী ক্রিয়াকর্ম ছিলো তার প্রতিরোধে রাসেল ছিলো একেবারে ফ্রন্ট লাইনের যোদ্ধা। সে আমার বিশ বছর এর পুরানো বন্ধু । তাকে নিয়ে আমাদের সব সময় ভয় ছিল যে তার পরিস্থিতি থাবা বাবা-র মতো না হয় । কিন্তু সে যে এই ভাবে আওয়ামী লিগ এর দাবার ঘুঁটি হবে কল্পনা-ও করতে পারি নাই । তার স্ত্রী ওল্ড ডোমিনিয়ন থেকে পি এইচ ডি করা । সে নিজেও University of Connecticut থেকে Masters করা । তার দুই সন্তান, ঋক এবং ঋত এর জন্য খুব অসহায় বোধ করছি । অন্য দুই ব্লগার সহ রাসেল এর মুক্তির দাবীতে সরব থাকার জন্য আবেদন জানািচছ ।
যাদের মন পাবার জন্য এত চেষ্টা তাদের চোখে আপনাদের এইসব গ্রেফতার আইওয়াশ মাত্র।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আমার মতন নগণ্য ভোটারও আর এই "আওয়ামী তৌহিদী ইমানী জযবা লীগ" কে ভোট দিবে না। ভোটের এখনও দেরি। আসুন তাই তামাশা না দেখে, ব্লগারদের মুক্তি ও বাক স্বাধীনতা নিশ্চিৎ করার জন্য সরব হই।
যাদের নির্দেশে ব্লগারদের ধরা হলো তাদের নিজেদেরই আজ হোক কাল হোক একই দশা হবে তাদের নতুন বন্ধুদের হাতে। একটি পুলিশ রাষ্ট্রে বসবাস করার যন্ত্রণা এতটাই তাড়াতাড়ি ভুলে গেলেন মখা গ্যাং!
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
আ’লীগের আসল চেহারা
নতুন মন্তব্য করুন