গতকাল সচল সিমন সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। বাসে চড়তে যাচ্ছিলেন, হেলপার তাকে ঠেলে ফেলে দেয়, তারপর বাস তাঁকে পিষে চলে যায় গন্তব্যের দিকে। সিমনকে গন্তব্য পাল্টে চলে যেতে হয় হাসপাতালে, যেখানে তাঁকে নিয়ে লড়ে যাচ্ছেন ডাক্তাররা। আমি চিকিৎসকদের ওপর আস্থা রেখে সিমনকে আবার আমাদের মাঝে ফিরে আসতে দেখতে চাই।
ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থা যে ভেঙে পড়েছে, সেটা নিয়ে কয়েক মাস পরপরই লেখালিখি হয়। তারপর যেমন ছিলো চলতে থাকে। গণপরিবহন ব্যবস্থার পাশাপাশি সমাজে স্বাভাবিক বিরাজিতব্য মনুষ্যত্বও যে টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে পড়ছে, সেটা বোঝা যায় একজন যাত্রীকে বাসের দরজা থেকে ঠেলে ফেলে তার ওপর দিয়ে বাস চালিয়ে দেওয়ার ঘটনা থেকে। এরকম আগেও ঘটেছে, গতকালও ঘটলো, ভবিষ্যতেও কি ঘটতেই থাকবে?
এরকম চলতে পারছে কারণ গণপরিবহন ব্যবস্থার কোনো অভিভাবক নেই। এই ব্যবস্থাটি জঙ্গলের আইনে চলছে, যেখানে তাৎক্ষণিক বলপ্রয়োগই অধিকার সুনিশ্চিত করে। যাদের এই ব্যবস্থার অভিভাবক হওয়ার কথা ছিলো, তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই, কারণ তারা আমাদের দেয়া রাজস্বে মেটানো ব্যয়ে বাতানুকূল গাড়িতে সগোষ্ঠী চড়েন। তাই একজন সিমনকে পিষে চলে গেলেও কোথাও কাউকে জবাবদিহি করতে হবে না, সম্ভবত কারো শাস্তিও হবে না।
এই ব্যবস্থার পরিবর্তন তখন আসবে, যখন নির্লজ্জ মন্ত্রী ও আমলারা পাবলিকের সঙ্গে ঠেলাঠেলি করে বাসে চড়ে অফিসে যাবেন, তার আগে নয়। যেদিন কোনো মন্ত্রীকে কোনো বাসের হেলপার ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেবে, কোনো সচিবের শরীরের ওপর দিয়ে বাস সগর্জনে চলে যাবে, তখনই কেবল আমরা অভিভাবকত্ব আর প্রতিক্রিয়া দেখতে পাবো, তার আগে নয়। আমরা নিজেদের সমস্যাগুলো নিয়ে এদের কাছে এমনভাবেই জিম্মি, যে সংগঠিত হয়ে কোনো প্রতিবাদ বা পরিবর্তনের উদ্যোগ নিতেও আমরা ব্যর্থ। এরই মাশুল আমাদের প্রতিদিন দিয়ে চলতে হচ্ছে। গতকাল সিমনকে দিতে হলো, আগামীকাল হয়তো আমাদের আরেকজনকে দিতে হবে।
ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থার জন্যে দায়িত্বশীল চূড়ান্ত ব্যক্তিটি কে? ভেবে দেখলাম, উত্তরটি আমি জানি না। সেই পরিচয়হীন লোকটিকে বলে রাখি, আপনি একটি দায়িত্বজ্ঞানহীন নির্লজ্জ শূকর। কোনোদিন কোনো অনুষ্ঠানে বা পথেঘাটে আপনার সঙ্গে দেখা হলে আপনার চাপার দাঁত একটা শক্ত চটকানা দিয়ে ফেলে দেওয়ার বাসনাটি গোপন রাখতে চাই।
মন্তব্য
শালার শাজাহানের বাচ্চারা।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
হাসপাতাল থেকে আসলাম
বছর দেড়েক আগে আমার এক পরিচিত আমলা আঙ্কেল হরতালের দিনে বাস চাপা পড়ে গুরুতর আহত হয়। ১মাসের মত যুদ্ধ করে পরে মারা যায়
---------------------
আমার ফ্লিকার
উনি আমার ফুপাতো ভাই ছিলেন। সারা জীবন সততার সাথে চাকরি করার জন্য উন্নত চিকিৎসার করার মত অর্থ ছিলোনা। নইলে হয়তো ভাইটাকে হারাতামনা।
মন্ত্রী মহোদয়দের এসব বোঝার কথা না। উনারা যে গাড়িতে যান তার সামনে পেছনে থাকে পুলিশের সিক্যুরিটি গাড়ি। প্যাঁ পুঁ করে সামনের রাস্তা ফাঁকা করে দিয়ে মন্ত্রী মহোদয়দের যাত্রা পথ সুগম করেন। জ্যাম কি জিনিস তারা বুঝেন না। ঠেলাঠেলি তো দূরের হিসাব। উনাদের যাত্রা পথ সুগম করে দেবার জন্য মানুষের কাজ বন্ধ করে রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। অপেক্ষমান লোকগুলো যে তাদের গালি দিচ্ছে সেই তোয়াক্কা না করে উনারা হাত নাড়তে থাকেন। বুলেট প্রুফ গ্লাস ভেদ করে গুলিই ঢুকে না,গালি তো হাওয়ায় মিলিয়ে যায়... কানে কি পৌছাবে!!!
সুবোধ অবোধ
এরকম চলতেই থাকবে। কারন, জবাবদিহিত জায়গাটিই ঠিক নেই।
তারেক মাসুদ, মিশুক মুনীর,...আরও কত উজ্জ্বল নাম। কী হয়েছে?
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
গতরাত থেকে অস্থির হয়ে আছি। একটু পরপর খবর নিচ্ছি। সচল যে শুধুই একটা ব্লগ নয়, একটা পরিবারও বটে - তা এরকম বিপদের দিনগুলোতে খুব ভালো ভাবে অনুভব করি।
ঢাকার পুরা ইন্ট্রা-সিটি বাস চলাচল ব্যবস্থাটাকে ঢেলে সাজানো দরকার। ঠিক যেভাবে রুটগুলো মেইনটেইন করা হয়, সেভাবে রেখেও একটা আম্ব্রেলার আওতায় আনা সম্ভব। লন্ডন বাস এক্ষেত্রে খুব দারুণ একটা উদাহরণ। বাহির থেকে দেখে মনে হয় একটা বাস, কিন্তু ভেতরে বিভিন্ন কোম্পানী 'লন্ডন বাস' আম্ব্রেলার নীচে ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডনের অধিনে অপারেট করছে। এতে নিয়ন্ত্রণ, নিয়োগ এবং নিয়ম - তিনটাই একই স্ট্যান্ডার্ডে পুরা শহরে বজায় থাকছে। কর্তৃপক্ষ কি এ দিকগুলো ভেবে দেখবেন?
টুইটার
দুর্ঘটনা এখন অনেকটাই কম - ঢাকার অভ্যন্তরীণ সড়ক দুর্ঘটনার কথা বলছি। এর জন্য কৃতিত্ব লোকজনের অগাধ টাকা পয়সা আর কর্পোরেট গাড়ি ঘোড়াদেরকেই দিতে হবে। শহরে ৫০ কিমি'এ গাড়ি চালাতে পারা দুরুহ। গতি কম বলে দুর্ঘটনাও কম।
মনটা এতই খারাপ হয়ে আছে যে খুব ব্যাখ্যা মূলক কিছু বলতে বা লিখতে মন চাইছে না। সিমনের সাথে হেল্পারের ঘটে যাওয়া ঘটনা'টা প্রতিদিনই দেখি। নিছক একটা ঘটনা এভাবে আমাদেরকে স্বজনহারা করার উপক্রম করবে সেটা কে ভেবেছিল?
কয়েক বছর আমার পুরো পরিবার এক সড়ক দূর্ঘটনায় পড়ে। কেউ মারা না গেলেও ওর জের এখনো টানতে হয়। সিমনের অবস্থা এখন জীবন মৃত্যুর মাঝখানে কোন এক জায়গায়। সে ফিরে এলেও এর জের তাকে অনেক বছর টানতে হবে। সিমন বা আমার পরিবারের মতো অসংখ্য পরিবার এই বিপর্যয়ের স্বীকার হচ্ছে। এই দূর্ঘটনার জন্য দায়ি একটা বড় অংশ শিক্ষাদিক্ষাহীন বাসট্রাকটেম্পুচালক। শিক্ষা যে সড়কের নিরপত্তার জন্য দরকারি জিনিস এটা আমাদের আইনপ্রণেতাদের বিবেচনার বাইরের জিনিস,
বছর দুই আগে জনকণ্ঠের এই খবরে জানছি আমরা,
সেখানে আরো জানছি,
নিউজের নিচের দিকে কমিটি ইত্যাদির ঘোষণা আছে। এই কমিটি কী করেছে এবং সরকার এতোদিনে অবস্থান কী উন্নতি করতে পেরেছে বলাইবাহুল্য। পত্রিকাগুলোও ঐ ২৪ হাজার লাইসেন্সের কোন আপডেট দেয়নি। সবকিছু নিশ্চয়ই "ম্যানেজ" হয়েছে জায়গামতো। সিমনকে চাপা দেওয়া বাসের ড্রাইভারের ড্রাইভার ঐ ২৪০০০এর কেউ কিনা সেটাই খুঁজে দেখার বিষয়।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
সুস্থ হয়ে ফিরে আসুন সিমন ভাই...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
দুপুরে অপারেশনের সময় গিয়েছিলাম। কেউ তো ভাল খবর দিতে পারে না! ভাল একটা খবর কখন পাবো কে জানে!
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
একজন সচিবকে অফিস থেকে দেয়া হয় তিনটি গাড়ি। একটি নিজের জন্য, একটি তার স্ত্রীর জন্য, একটি তার সন্তানদের জন্য। জনগণের ট্যাক্সের টাকার এভাবেই শ্রাদ্ধ হয়। আমলা আর মন্ত্রীরা সাধারণ মানুষের জীবনের স্বস্তি ও নিরাপত্তা নিয়ে ভাবে না।
আমাদের সিমন সুস্থ হয়ে উঠুক। প্রাণ চাঞ্চল্যে আবার ভরিয়ে তুলুক ভুবনটা।
''হেলপার তাকে ঠেলে ফেলে দেয়'' --- জানি না, এটা স্যাবোটেজ নয়তো? বিষয়টির তদন্ত হওয়া দরকার। তবে নিয়মিত বাসে চড়া অভিজ্ঞতা থেকে জানি, হেলপার-যাত্রীগণের মধ্যে বচসা লেগেই থাকে, কখনো হাতাহাতির পর্যায়ে যায়!
আমাদের দেশের অনেক দুঃখ, এর মধ্যে একটি হল, আমাদের মেধাগুলো সময়ের আগেই হারিয়ে যায়। আমরা সিমনকে হারাতে চাই না।
সিমনকে চিনি না, তবে এইটুকু বুঝতে পারছি, সে সচল পরিবারের খুব ঘনিষ্ঠজন। সিমনের জন্য শুভ কামনা!
যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির প্রধান হলেন আব্দুস সালাম। ঠিকানা: বাসা: ৭২, সড়ক: ০৫, ওল্ড ডিওএইচএস, বনানী, ঢাকা-১২১৩। টেলিফোন: মোবাইল : ০১৭১১৫৬২২৮৮ অফিস: ৯৮৮৭২৭৫ বাসা : ৮৮১৩১৩৪।
ফ্যাক্স : ৯৮৮৬৮৯৩(অফিস), ৮৮২৪৫৫০(বাসা)
ইমেইল:
,
।
সিমনের জন্যে শুভ কামনা।
বাংলাদেশে পরিবহন সেক্টরটি দুর্নীতিতে আকণ্ঠনিমজ্জিত। প্রভাবশালী বর্তমান ও সাবেক মন্ত্রী-এম্পি-আমলা-আর্মির লোকজন এই সেক্টরের মালিক। যাত্রীবেশি দেশের মানুষ ওদের হাতে জিম্মি হয়ে আছে।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
আল্লাহর কাছে দোয়া করছি সিমন যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন। নিজেদের উপর বিপদ না এলে বিপদের মাত্রা আমরা অনেকসময়ই বুঝতে ব্যর্থ হই। দেশের কর্তাব্যক্তিদের মনে একটু অনুভূতির উদয় হোক, তারা তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে আরেকটু সচেতন হোন সেই দোয়াও করছি। তবে দোয়ার সাথে দাওয়াও থাকতে হবে--ওষুধ এবং নির্বাচন।
সিমন ভাই ফিরে আসুন।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
সিমন ফিরে আসুক!
জননেতারা গণপরিবহনে চড়বেন না, এর সম্পর্কে কোনো খোঁজ খবরও রাখবেন না। পাবলিক কিভাবে যাতায়াত করে সেটা তারা কোনোদিনই বুঝতে পারবে না, তাই এটার উন্নয়ন কখনোই হবে না। এটাই আমাদের নিয়তি
গাড়ির চাক্কার নিচে একটা ইঁট পড়লেও গাড়ি ঝাঁকি খায়, সেখানে সিমনের মতো বিশাল শরীরের অধিকারী একজনকে পিষে ফেলে চলে গেলো বাস, বাসভর্তি যাত্রীরা ড্রাইভার হেল্পারকে কিছুই বললো না? গাড়িটাকে আটকানো গেলো না?
কয়েকজন মহানুভব ব্যক্তি সিমনকে উদ্ধার করে ফোনবুক ঘেঁটে পরিচিতদের ফোন করে তাকে হসপিটালে পৌঁছে দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজন মুক্তিযোদ্ধাও ছিলেন। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা।
এর মধ্যেই আবার কেউ একজন সিমনের ক্রেডিট কার্ডটাও সম্ভবত মেরে দিয়েছেন। যদিও সেটা ব্লক করা হয়েছে... এর মধ্যেই আমরা বেঁচে থাকি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সিমনের জন্য শুভকামনা।
বীতশ্রদ্ধ শব্দটার মানে আজকাল হাড়ে হাড়ে টের পাই। সিমনের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা। সেরে উঠুন শাহেনশা।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
Of the people, for the people, by the people ---- জনগণের ভোটে, জনগণের টাকায়, জনগণের পুটু মারি
facebook
আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছি সেই হাসি মুখটা দেখার জন্য । মহান আল্লাহর কাছে দুয়া করি আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের প্রিয় ভাইকে সুস্থ করে দিন ।
ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না এই দু:খ আর ক্রোধ।
আল্লাহ তারাতারি ওনাকে সুস্থ করে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দিন!
নতুন মন্তব্য করুন