ইতিহাসের বেশিরভাগ রচয়িতা বিজয়ীর পৃষ্ঠপোষকতায় পুষ্ট। বেশিরভাগ বিজয়ীই হত্যাকারী। তাই ইতিহাস অনেক সময় হয়ে ওঠে হত্যাকারীর চোখে দেখা পৃথিবীর ছবি।
নিহতদের বিজয়ের উদাহরণ ইতিহাসে কম। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বহুলাংশে নিহতের বিজয়, এ বিজয়ের স্বপ্নদ্রষ্টা, নকশী, কারিগর সেই সময়ে বা পরবর্তীতে নির্মমভাবে নিহত হয়েছেন। ইতিহাসের মূর্তি নির্মাণের ভার আবারও বহুলাংশে চলে গেছে হত্যাকারীর হাতে। পরাজিত হত্যাকারীর হাতে ইতিহাসরচনার মসী ইতিহাসের চোখেও বিরল, ইতিহাসও একে সন্দেহের চোখ মেলে তাকিয়ে দেখে।
মিমের দখলদারি সিরিজে আমি মূলত আলোচনা করতে চাই পরাজিত শক্তির উদ্ভাবিত চিন্তাণু বা মিম নিয়ে, যে মিমকে ছড়িয়ে দেয়া হয় পরবর্তী কোন বিজয়ের ক্ষেত্র তৈরির দূরবর্তী উদ্দেশ্য নিয়ে।
আপনার সবাই সিরিজের পরবর্তী আলোচনায় সাদর আমন্ত্রিত। ধন্যবাদ।
মন্তব্য
মিম (Meme)- তথ্যানু, মন্ত্র, "মনের ভাইরাস" যেমন গুজব, আদর্শ, Ideology। আমাদের শরীরের জন্য জিন যেরকম ভুমিকা নেয়, কালচারের জন্য মিম তেমন।
সামহোয়্যার ইনে মিম নিয়ে উৎস ভাইয়ের একটি জমৎকার পোস্ট ছিলো। আমার মনে হয় এটি সচলায়তনে রিপোস্ট করা প্রয়োজন।
হাঁটুপানির জলদস্যু
ঠিক। উৎস তোমার সেই লেখাগুলি নিয়া আসো...
......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
নিহতদের বিজয়ের ইতিহাস আসলেই কম।
তবে তাড়াতাড়ি লিখে শেষ করো হিমু। এত বিজ্ঞাপন বিরতি দিয়ে পাঠককে উত্যক্ত করাটা উচিত হচ্ছে না।
আসলে পড়ছি। তথ্য ছাঁকতে গিয়ে দেরি হয়ে যাচ্ছে।
আলোচনাটা যদি একটু ঢিমে লয়ে চলমান হয়, তাহলেও ক্ষতি নেই বোধহয়। বরং আরো ফাইন টিউনিং সম্ভব।
হাঁটুপানির জলদস্যু
শুরু হোক।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
মীর্কাশেমালী ভাইয়াকে কাশিমপুর থেকে ঢাকা আনা উপলক্ষে এই পোস্ট আবার চালু হোক!
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নতুন মন্তব্য করুন