অপর বাঁশতব

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: রবি, ১৯/০১/২০১৪ - ৮:৪১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ডাগরতাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল হায়াত মণ্ডল খুব আরাম করে ঘুমাচ্ছিলেন।

শীতের রাত। সারা ভাতক্ষীরা জুড়ে কুয়াশা। ডাগরতাড়িতে কুয়াশা যেন আরো বেশি। মাঝে মাঝে ভূতের মতো এক একটা সাইকেল নিঃশব্দে টহল দেয় কাঁচা-পাকা সড়কে। যদিও সদর থানার ডিবির সাব ইন্সপেক্টর ও সাবেক ছাত্রশিবির নেতা হেমায়েত ডিগবাজের তরফ থেকে কোনো ধরনের বার্তা আসেনি, তবুও ডাগরতাড়িতে ছয় ঘণ্টা করে চার শিফটে টহল দিচ্ছে জামায়াত শিবিরের কর্মীরা। বদমাশ নাস্তিক জেলা সুপার মির্জা বেরহম তোপদার কখন ফোর্স পাঠায়, কিছুই বলা যায় না। কেবল হেমায়েত ডিগবাজের বার্তার ওপর ভরসা রেখে ঘুম দিলে সে ঘুম র‍্যাবের লোক এসে ভাঙাতে পারে।

স্বপ্নে আবুল হায়াত মণ্ডল ইউনিয়নের প্রান্তবর্তী গ্রাম বাবুইশিরার মণ্ডলবাড়ির ছেলে হরিপদ মণ্ডলকে বেঁধে রেখে তার সামনেই তার নতুন বৌ অলকাকে ধর্ষণ করছিলেন। হরিপদ মালাউনের এতো বড় সাহস, সে মুসলমানের দেশে নতুন বৌ এনে ঘরে তোলে! শহীদ কাদেরের ফাঁসির পর স্থানীয় আম্লীগের নেতাদের জবাই করার কাজে ব্যস্ত থাকায় হরিপদকে সময়মতো শায়েস্তা করা হয়নি। রাতে সরপুঁটি মাছের ঝোল দিয়ে ভাত খাওয়ার সময় আবুল হায়াত মণ্ডল আনমনা হয়ে হরিপদের দুঃসাহসের কথাই ভাবছিলেন। মণ্ডল সাহেবের বেগম আলতা বিবি একটু দুশ্চিন্তিত হয়ে পাখার ডাঁট দিয়ে গুঁতো দেওয়ার পর তিনি হুড়োহুড়ি করে খাওয়া শেষ করে মোবাইল ফোনে বাবুইশিরা গ্রামের জামায়াত নেতা আলেফ সর্দারকে নানা সাংকেতিক কুশল জিজ্ঞাসা করে শুয়ে পড়েছেন। সেই চিন্তার ধাক্কাতেই হয়তোস্বপ্নে তিনি বেশি দেরি না করে সোজা কয়েকজন মুজাহিদকে নিয়ে রওনা হয়ে পড়েছেন বাবুইশিরার দিকে। স্বপ্নে সড়ক কাটা থাকে না, শীতও লাগে না, হাতে চাপাতি হাঁসুয়া বহন করার তকলিফ পেতে হয় না, তাই কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি হরিপদকে বেঁধেছেঁদে অলকার পেটিকোট ছিন্ন করার কাজে লেগে পড়েন।

হরিপদ উঠানে হাত পা বাঁধা অবস্থায় গম্ভীর হয়ে শুধু বলে, ঘড়ঘড়ঘড়।

আবুল হায়াত মণ্ডল অলকার ঊরুতে কামড়াচ্ছিলেন, তিনি ভারি বিরক্ত হয়ে হরিপদের দিকে ফিরে বলেন, মানে কী?

হরিপদ খোলাসা না করে আবারও বলে, ঘড়ঘড়ঘড়।

এবার আবুল হায়াত মণ্ডল চটে উঠে অলকাকে মাদুরের ওপর চেপে ধরার দায়িত্ব আলেফ সর্দারের হাতে সাময়িকভাবে ন্যস্ত করে একটা ছপটি হাতে হরিপদের দিকে এগিয়ে গিয়ে তাকে কষে কয়েক ঘা চাবকে বলেন, মানে কী রে ব্যাটা মালু?

হরিপদ ভাবুক চোখে তার দিকে তাকিয়ে বলে, ঘড়ঘড়ঘড়।

আবুল হায়াত মণ্ডল খুব রেগে গিয়ে চিৎকার করে একটা কিছু বলতে গিয়ে নিজের চিৎকারের শব্দে ঘুম ভেঙে বিছানার ওপর উঠে বসলেন।

আর অমনি তার মেজাজটা বিগড়ে গেলো। পাশে শুয়ে ভোঁসভোঁস করে ঘুমাচ্ছে আলতা বিবি। ধুত্তেরি, কেন যে তিনি স্বপ্নের মাঝে খামোকা উঠে বিরক্তিকর হরিপদকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলেন।

আবুল হায়াত মণ্ডল কাঁথার নিচ থেকে উঠে গিয়ে গামছা দিয়ে কপাল ঘাড়ের ঘাম মুছলেন। সরপুঁটি মাছ কয়েক টুকরো বেশি খাওয়া হয়ে গেছে।

বাইরে থেকে শব্দ ভেসে এলো, ঘড়ঘড়ঘড়।

মণ্ডল ভুরু কুঁচকে কিছুক্ষণ কান পেতে শুনলেন। দূরে ঝিঁঝির ডাক, বহুদূরে শীতার্ত শেয়ালের হুক্কারব, এ ছাড়া আর কোনো শব্দ নেই। এমনকি তার ছয় ভাইয়ের একজনও নাক ডাকছে না।

মণ্ডল খুব সতর্ক হয়ে উঠে শরীরে চাদর জড়িয়ে মোবাইলটাকে গেঞ্জির পকেটে গুঁজে দরজার পাশে রাখা একটা রামদা তুলে নিয়ে সাবধানে দরজা খুলে বাইরে উঁকি দিলেন। উঠানে নরম চাঁদের আলো, সন্দেহজনক কিছু দেখা যাচ্ছে না।

কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে আবুল হায়াত মণ্ডল বেরিয়ে এলেন। উঠানে দাঁড়িয়ে এদিক সেদিক চাইলেন তিনি, অস্বাভাবিক কিছু্ই নজরে পড়লো না।

কেবল তার বাড়িটা অস্বাভাবিক রকম শান্ত। ভাইয়েরা কেউ নাক ডাকছে না, বাড়ির বাচ্চারা মাঝে মাঝে রাতে বেড়ালের বাচ্চার মতো করে কেঁদে ওঠে, সেসব শব্দও নেই।

আবুল হায়াত মণ্ডল গলা খাঁকরে ডাক দিলেন, "খায়ের? খায়ের আছিস র‍্যা?"

খায়ের কোনো সাড়া দেয় না।

মণ্ডল আরেকটু এগিয়ে গিয়ে মেজো ভাই বাশারকে ডাকেন, "বাশার ঘরোত আছিস নাকি?"

বাশারের ঘর থেকে কোনো শব্দ আসে না।

মণ্ডল বাকি ভাইদের ঘুরে ঘুরে ডাকেন, "বরকত? হোসেন? হাসান? ফজল?"

মণ্ডলকে চমকে দিয়ে তার বুড়ি মা নিজের ঘর থেকে খনখন করে বলে ওঠেন, "আবুল হায়াত তুই রাত বিরেতে মরা ভাইদের ডাইকে বেড়াস কেন র‍্যা?"

আবুল হায়াতের বুকের মধ্যে রক্ত ছলকে ওঠে। মরা ভাই মানে? সন্ধ্যা বেলায় বরকত আর বাশারের সঙ্গে আগামী সপ্তাহে কাকে জবাই করা যায়, সে নিয়ে আলাপ করলেন তিনি। হাসান আম্লীগ করে, তাকে দিয়ে পুলিশের হাতে আটক পাশের গ্রামের শিবির কর্মী মোজাম্মেলকে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনার ব্যাপার তদবির করা নিয়েও কথা হলো ভাত খাওয়ার আগে।

মণ্ডল রামদাটা মাটিতে ঠেকিয়ে হাতল ধরে তার ওপর ভর দিয়ে বলেন, "মা তুই ঘুমাসনি কেন? এসব কী বকতিছিস আবোল তাবোল?"

মণ্ডলের মা খুনখুন করে কাশেন, তারপর কাঁদো কাঁদো গলায় বলেন, "আট মাস পুরইলো তোর ভাইগুনি ঢাকা শহরে যাইয়ে পুলিশের গুলি খাইয়ে শহীদ হলো। তুই এই রাইতের বেলায় তাদের ডাকিস কেনে? তোর কী হয়েছে রে বাপ?"

আবুল হায়াত মণ্ডলের বুক ধড়ফড় করে। কী বলছে মা এগুলো?

তিনি রামদা ধরে উঠানে বসে পড়ে বলেন, "মা তুই কী কতিছিস এসব? আমার তো তাদের সঙ্গে আজ সন্ধ্যাতেও কথা হলো। আস্তাগফিরুল্লাহ, তারা মরবে কেন?"

মণ্ডলের মা এবার সরু গলায় কেঁদে উঠে বললেন, "আরে আগের সালের মে মাসের চার তারিখে তারা সব ঢাকা গেলো। বললো জিহাদে যাতিছি মা দোয়া করিস। মরলে শহীদ বাঁচলে গাজী। ছয় তারিখ সকালে তোর কাছেই না মবিল ফুন এলো যে তোর ছয় ভাই পুলিশের গুলি খাইয়ে শহীদ হয়েছে। আর তোর ভাইরাই কি শুধু মরিছে? লক্ষ লক্ষ লোক পুলিশের গুলি খাইয়ে মরলো। লাশগুলিও পাইলাম না। সব লাশ নাকি নসিমনে চাপাইয়ে ইনডিয়া পাঠাইয়ে দিছে জালিমের দল। হায় রে আমার কপাল ...।"

আবুল হায়াত মণ্ডল চাদর দিয়ে কপালের ঘাম মোছে। কী ভয়টাই না পেয়েছিলো সে।

গলা উঁচিয়ে সে বলে, "মা তুই ঘাবড়াইসনি। এসব রটনকথা। আস্তাগফিরুল্লাহ, কেউ মরেনি।"

মণ্ডলের বুড়ি মা ধমক দিয়ে বলেন, "আরে সারা গ্রামের লোক আইসে গায়েবানা জানাজা পড়লো, আর তুই কতিছিস রটনকথা! লক্ষ লক্ষ লোক মরি গেলো ...।"

আবুল হায়াত মণ্ডল মাকে ধমক দিয়ে বলে, "কী যে তুই বলিস মা। লক্ষ লক্ষ লোক মারা এতো সোজা নাকি? এইটে কি একাত্তর সাল পেয়েছিস? বরকত সেদিন বিকালের মইধ্যে জিহাদের কাজ শ্যাষ করে ভাতক্ষীরার বাসে উইঠে আমারে ফুন দিছিলো।"

মণ্ডলের মা তবুও খুনখুন করেন, "নসিমনে চাপাইয়ে আমার বিটাগুলির লাশ ইনডিয়া নিই গেলো গো ...।"

আবুল হায়াত মণ্ডল বলেন, "মা তুই বকিসনি তো। ঢাকা শহরে নসিমন নেই। লক্ষ লক্ষ লাশ ইনডিয়া নিতি হলে হাজার হাজার নসিমন লাইগবে। সেইগুলো কি বলদের পুঙ্গা দিয়ে বাইর হবে?"

মণ্ডলের বুড়ি মা এবার কপাল চাপড়ে বলেন, "একটা মাত্র ছাওয়াল বিটা বাকি আছে, সিটাও মাথা বিগড়ি মজনু হলো। আল্লাহ গো তুমি এ কী করলে গো ...।"

আবুল হায়াত মণ্ডল অস্থির হয়ে গেঞ্জির পকেট থেকে মোবাইল ফোন বার করে বরকতের নাম্বারে কল করে উঠোনের মাঝে এসে দাঁড়ালো। মায়ের কি মাথা খারাপ হয়ে গেলো?

হঠাৎ শীতল বাতাস বয়ে যায় উঠানে। মণ্ডল কেঁপে ওঠে। চাঁদের আলোয় ভেসে যাচ্ছে উঠান। বরকতের নাম্বারে কোঁ কোঁ করে রিং হয়, কেউ ধরে না।

কিন্তু, চাঁদের আলো কীভাবে?

আবুল হায়াত মণ্ডলের রামদা ধরা হাত ভিজে ওঠে ঘামে। আজ কেন চাঁদের আলো? আগামী পরশু রাতে না অমাবস্যা হওয়ার কথা? সে রাতেই তো বাবুইশিরায় গিয়ে হরিপদের বউ অলকার সর্বনাশ করার পরিকল্পনা সে আলেফ সর্দারকে ভাত খেয়ে উঠে ঘুমানোর আগে ফোন করে জানালো।

মণ্ডল রামদাটা হাত বদল করে কপালের ঠাণ্ডা ঘাম মোছে, তারপর চাঁদের দিকে তাকায়।

একটা ব্যাদান করা মুখ চাঁদের ভেতর থেকে স্মিত হাসি দেয় তার দিকে চেয়ে। সে মুখ ভর্তি লাল দাড়ি।

মণ্ডলের হাত থেকে রামদাটা পড়ে যায়। সাঈদী হুজুর না?

চাঁদের বুকে দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর চেহারাটা এবার চোখ টেপে।

আবুল হায়াত মণ্ডলের বুক প্রচণ্ড ধুকপুক করতে থাকে। চাঁদের বুকে কেন সাঈদীকে দেখা যাবে? এ কীভাবে সম্ভব?

সে কাঁপা হাতে এবার মোবাইল ফোনের অ্যাড্রেস লিস্ট থেকে একটা বিশেষ নাম্বার খুঁজে বের করে। বাঁশের কেল্লার অপু ভাইকে ফোন দিতে হবে। কোথাও একটা সমস্যা হচ্ছে।

বাঁশের কেল্লার অপু ভাইয়ের নাম্বারে রিং বাজতে থাকে, কেউ ধরে না।

আবুল হায়াত মণ্ডল আবার চাঁদের দিকে তাকায়। সাঈদী নাক খুঁটছেন একটা আঙুল দিয়ে, পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে।

মণ্ডল রামদা ধরা হাতের বাহুতে কপালের ঘাম মোছে। অপু ভাইয়ের মোবাইলে রিং বেজে চলে শুধু।

মণ্ডলের বুকে এসে ভর করে প্রচণ্ড আতঙ্ক। ঢাকায় লক্ষ লক্ষ লোক মারা যায়নি, বগুড়াতেও চাঁদের বুকে সাঈদীকে দেখা যায়নি। এ সবই হয়েছে বাঁশের কেল্লায়। তার মুঠোফোনে সুনির্দিষ্ট বার্তা এসেছে, এসব খবর কীভাবে ছড়াতে হবে, কোথায় হট্টগোল বাঁধাতে হবে, তারপর লোক ক্ষেপিয়ে কোথায় আক্রমণ করে কী ধ্বংস করতে হবে।

কিন্তু মা বলছে তার ছয় ভাই মারা গেছে। মে মাসের পাঁচ তারিখে, পুলিশের গুলি খেয়ে, লক্ষ লক্ষ লোকের সাথে। গায়েবানা জানাজাও হয়েছে।

আর এখন চাঁদের বুকে দেখা যাচ্ছে সাঈদীর মুখ। প্রকাণ্ড লাল দাড়ির মাঝে দুটি সরু, কুটিল চোখ তাকিয়ে আছে তার দিকে।

আবুল হায়াত মণ্ডল ঘামতে থাকে। সে সম্মোহিতের মতো তাকিয়ে থাকে সাঈদীর মুখের দিকে।

সাঈদী তার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে দৃষ্টি ঈষৎ পরিবর্তন করে। আবুল হায়াত মণ্ডল বুঝতে পারে, সাঈদী হুজুর তাকিয়ে আছেন তার বাড়ির অদূরে এলজিইডির সড়কের দিকে।

এবার তার কানে ভেসে আসে সেই ঘড়ঘড়ঘড় শব্দ। অনেক স্পষ্ট, অনেক জোরালো। অনেকগুলো গাড়ির এনজিনের শব্দও সে শুনতে পায়। কতোগুলো বুট দ্রুত বেগে খটখট শব্দ তুলে রাস্তা ধরে এগিয়ে আসে, তারপর রাস্তা ছেড়ে নেমে আসে তার ভিটার দিকে।

একটা প্রচণ্ড লাথিতে সদর দরজা খুলে যায়। চাঁদের আলোয় দেখা যায় অচেনা উর্দি পরা কয়েকজন সৈনিক আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে মণ্ডলবাড়িতে প্রবেশ করেছে।

সৈনিকদের পিছু পিছু ব্যাজ পরা এক সেনা অফিসার এসে মণ্ডলের সামনে দাঁড়ায়। মণ্ডল খোলা দরজা দিয়ে দেখতে পায়, প্রকাণ্ড এক বুলডোজার দাঁড়িয়ে আছে তার বাড়ির সামনে।

সেনা অফিসার হাসিমুখে সুর করে বলে, "হামলোগ বাঁশের কেল্লা সে আয়া। কেয়া আপ ক্লোজআপ করতে হাঁয়? ইয়া দুনিয়াসে ডরতে হাঁয়? অওর পেনাল্টি ভরতে হাঁয়? আপ ক্লোজআপ কিঁউ নাহি করতে হাঁয়য়য়য়য়? উল্টি সিধি চলতে হাঁয়? হুম হুম আহাহাহা হাহাহা ...।"

বুলডোজারের গর্জন শুনে আবুল হায়াত মণ্ডল রামদা ফেলে দিয়ে উঠানে ঢলে পড়ে।

বাঁশের কেল্লা সত্যি হয়ে গেছে।

[কাঠবলদদের জন্যে নোট: গল্পের সব ঘটনা ও চরিত্র কাল্পনিক। বাস্তবের সঙ্গে মিল কাকতালমাত্র।]


মন্তব্য

চরম উদাস এর ছবি

কেয়া আপ ক্লোজআপ করতে হাঁয়? ইয়া দুনিয়াসে ডরতে হাঁয়?
হো হো হো

এক লহমা এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি মিজান, পিষে ফ্যালো

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

তারেক অণু এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার সমসাময়িক ইস্যুতে ( যদিও এর ব্যাপ্তি সুদীর্ঘ সময় আগের ) লেখা গুলোর মাঝে নৈনং ক্লেদয়ন্তি, সর্বোচ্চ দেশপ্রেম এই দুইটা লেখা আমার দারুন পছন্দ।

এই লেখার থীম টা চমৎকার। ভাতক্ষীরা !!! গড়াগড়ি দিয়া হাসি

ছাগু গুলা নিজেরাও জানে কোনটা সত্যি আর কোনটা মিথ্যে কিন্তু ভান করতে করতে মিথ্যেটা সত্যি ভাবলেও অবচেতনে সত্যিইটাই এসে হানা দেয় সঙ্গোপনে!

সুপ্রভাত।

=====

অপর্ণা মম্ময়

অতিথি লেখক এর ছবি

মিজান, পিষে ফ্যালো

মাসুদ সজীব

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

মিজান, পিষে ফ্যালো


_____________________
Give Her Freedom!

সুজন চৌধুরী এর ছবি

হাহহাহাহাহাহাহাহাহহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহহা গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

কেয়া আপ ক্লোজআপ করতে হাঁয়? ইয়া দুনিয়াসে ডরতে হাঁয়? গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

- শ্রাবস্তী

নওশীন এর ছবি

হিহিহিহিহিহীহিহি
আপ ক্লোজআপ কিউ নেহি করতে হ্যাঁয়য়য়য়য়

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি মিজান, পিষে ফ্যালো

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চিন্তায় পড়ে গেলাম... বাঁশেরকেল্লা সত্যি হয়ে গেলে খ্রাপ হয়না একেবারে ইয়ে, মানে...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

^_^ এর ছবি

গল্পের নামটা কাকতাল ধরনের ভালো , বাঁশটা সবার আগে চোখে লাগে। চোখ টিপি

দীনহিন এর ছবি

অপূর্ব, হিমু ভাই!
খুব ভাল লেগেছে।

.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল

মেঘলা মানুষ এর ছবি

বাঙালিকে দেখায়ো না আঙুল, হয়ে যাবে নিজেই ভন্ডুল গড়াগড়ি দিয়া হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

কেয়া আপ ক্লোজআপ করতে হাঁয়??ইয়া দুনিয়াসে ডরতে হাঁয়??

গড়াগড়ি দিয়া হাসি দেঁতো হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি মিজান, পিষে ফ্যালো

অতিথি লেখক এর ছবি

কেয়া আপ ক্লোজআপ করতে হাঁয়??ইয়া দুনিয়াসে ডরতে হাঁয়??

গড়াগড়ি দিয়া হাসি দেঁতো হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

কাক্কেশ্বর কুচকুচে

শেহাব এর ছবি

এবার কল্লোলিত কেল্লা সত্যি করার সময় এসেছে।

আয়নামতি এর ছবি

হো হো হো
হিমু বাঁশের কেল্লার সাথে গোপনে আঁতাতপূর্বক এই গপখান রচনা করছেন বলে সন্দ হইতেছে।

মণ্ডলের হাত থেকে রামদাটা পড়ে যায়।

রামদা কিন্তু পড়ে গেলু

মণ্ডল রামদা ধরা হাতের বাহুতে কপালের ঘাম মোছে।

কখুন তুলে নিলো রামদা পাঠক কিন্তু জান্তে পারে না।
চান্দে সাঈদীর মুখদর্শণের সাথে ইহার কোন সম্পর্ক? চিন্তিত

------------------
অ:ট: নসিমন এবং ছপটির অর্থ জানতে চায় কৌতুহলী মন দেঁতো হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

নসিমন: ছোট এঞ্জিন লাগানো টেম্পু ধরণের গাড়ি। এঞ্জিনগুলো মূলত সেচ কাজের জন্য বানানো, কিন্তু কিছু ছোট পরিবর্তন করে এগুলো চাকার সাথে জুড়ে দিয়ে মানুষ, মালপত্র বহন করা হয়। এটার ব্রেকিং মেকানিজম খুব একটা ভালো না হওয়াতে কিছু দুর্ঘটনা ঘটে শুনেছি। এর নামকরণ সম্ভবত উদ্ভাবকের (!) স্ত্রীর নামে।

ছপটি: একরকম আইসক্রিম (সম্ভবত কোন আইসক্রিমের মামাতো ভাই)।

শুভেচ্ছা হাসি
[মেঘলা মানুষ।]

('মলমে' আটকে অতিথি অ্যাকাউন্টে ঢুকলাম।
মলম (mollom): সচলে ব্যবহৃত অটোমেটেড কমেন্ট আটকানোর দারোয়ান চাল্লু )

আয়নামতি এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ মেঘলা মানুষ। কিঞ্চিৎ জ্ঞান বাড়লো দেঁতো হাসি
শুভেচ্ছা।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

মতিদি, এইগুলারে কয় অলৌকিক ব্যাপার স্যাপার... না বুঝলে চাইপা যান, নাস্তিকদের মতন এত প্রশ্ন করতে হয়না খাইছে
... রামদা অটো রিফিল হইতে পারেনা? বাঁশের কেল্লা সব পারে। শয়তানী হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

রামদা অটো রিফিল হইতে পারেনা? বাঁশের কেল্লা সব পারে।

হো হো হো

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

আয়নামতি এর ছবি

হ! সেকারণেই তো চান্দে ছাইদির মুখের ইশারাখান দেয়া বাপু বাঙালিকে দেখায়ো না আঙুল, হয়ে যাবে নিজেই ভন্ডুল

হিমু এর ছবি

নাস্তেক কোথাকার।

আয়নামতি এর ছবি

হিমুভাই কারে নাস্তেক বলেন র‍্যা?

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হো হো হো

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

দেঁতো হাসি

কড়িকাঠুরে

সাফি এর ছবি

স্বপ্ন হলো সত্যি। বাঁশের পর বাঁশ।

অতিথি লেখক এর ছবি

দারুন!

সৈমোমা উবিজ

ঈয়াসীন এর ছবি

চলুক

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

অমি_বন্যা এর ছবি

মিজান, পিষে ফ্যালো

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

অসাধারন শিরোনাম!

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

দারুণ!!!

____________________________

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

খাসা!

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।