বাংলাদেশে বৃষ্টিপাতের ধরন নাকি বদলে যাচ্ছে।
পিচ্চিকালে বইতে পড়েছিলাম, বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। তখন মনে হতো, ওটাই স্বাভাবিক। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে চার ঋতুর কথা পড়লে একটা চাপা গর্ব হতো, ভাবতাম আমাদের দুটো বাড়তি ঋতু আছে। পৃথিবী একদিকে হেলে থাকার কারণে বছরে চারটি ঋতু থাকাই যে স্বাভাবিক, সেটা ধরতে অনেক সময় লেগেছে। কিন্তু ততোদিনে বুঝে গেছি, বাংলাদেশ আর শৈশবের ষড়ঋতুর দেশ নেই। বর্ষাকাল এখন গ্রীষ্মের জন্য অনেকখানি জায়গা ছেড়ে দিয়ে শরতকে ঘরছাড়া করে ফেলেছে। এই কোনোমতে টিকে থাকা বর্ষাকালের পেছনেও বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এখন আঙুল দিচ্ছে।
আমাদের দেশটাই গড়ে উঠেছে বর্ষার হাতে। হিমালয় থেকে কোটি কোটি টন পলি বর্ষাই বয়ে এনে একটু একটু করে বাংলাদেশের শরীরে মাংস যোগ করছে অনাদিকাল থেকে। আমাদের কৃষি আর যোগাযোগ এককালে সম্পূর্ণ বর্ষাকেন্দ্রিক ছিলো। ইংরেজের হাতে পড়ে নদীকেন্দ্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা পেছনের সারিতে চলে গেলেও কৃষি এখনও বর্ষার ওপর পুরো এক মৌসুম ভরসা করে আছে। আমাদের দেশে যে ধান চাষ করা হয়, সে ধানও বিবর্তিত হয়েছে সুদীর্ঘ সময়ের নিয়মিত বর্ষার সাথে। এখন হঠাৎ যদি বর্ষার কিসিম পাল্টে যায়, তাহলে কৃষককে বর্ষা মৌসুমেও সেচের দিকে ঝুঁকে পড়তে হবে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ পরিস্থিতি আবারও নতুন করে চাপের মুখে পড়বে।
কৃষি ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় পানির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্যে আমাদের এখনই বৃষ্টিপাতের ওপর নিখুঁত কিছু মডেল প্রণয়ন করা প্রয়োজন। কিন্তু এই মডেলের উপাত্তের জন্যে যে সাধারণ যন্ত্রটি প্রয়োজন হয়, সে বৃষ্টিমান যন্ত্র (রেইন গেজ) আমাদের আবহাওয়া বিভাগের হাতে নাকি পর্যাপ্ত পরিমাণে নেই। ১৫ কিলোমিটার অনুবিভাজনে সারা দেশে বৃষ্টিমান যন্ত্রের প্রয়োজন হয় দেড় হাজারটি, আবহাওয়া বিভাগের কাছে নাকি একটিও নেই [সূত্র]। পত্রিকায় পড়লাম, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই বৃষ্টিমান যন্ত্র নষ্ট থাকায় বা তথ্য সংগ্রহে গাফিলতি থাকায় অনেক স্থানে বন্যা পূর্বাভাস ব্যবস্থাও অচল হয়ে পড়ে আছে।
আমাদের তরুণ প্রকৌশলীরা কিন্তু একটি স্বয়ংক্রিয় বৃষ্টিমান যন্ত্র নকশায় এগিয়ে আসতে পারেন। ফ্লোট সেন্সর ব্যবহার করে প্রতিদিনের বৃষ্টিপাতের তথ্য একটি স্মৃতিকোষে সংরক্ষণ করা যেতে পারে। মোবাইল পরিষেবার এই রমরমা যুগে এই তথ্য প্রতিদিন একটি কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডারে পাঠানোও কোন কঠিন কাজ নয়। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো এখনও বৃষ্টিমান যন্ত্রের পাঠ নিতে একজন পাঠকর্মীকে এখানে ওখানে পাঠায়, ফলে পুরো প্রক্রিয়াটি জনবলনির্ভর ও সে জনবলের সততা/দক্ষতানির্ভর হয়ে আছে। বৃষ্টিপাতের নিখুঁত তথ্য যেখানে সারা দেশে বছরে কয়েক হাজার কোটি টাকার কৃষি, যোগাযোগ ও বন্যা-মোকাবেলা ব্যবস্থার ভিত্তি, সেখানে পুরো তথ্য সংগ্রহ ব্যবস্থাটিই আধুনিক ও তাৎক্ষণিক হওয়া বাঞ্ছনীয়।
আমাদের দেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে এখন ধীরে ধীরে উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে। উদ্যোক্তা এবং সরকারের উচিত দেশের জন্য অপরিহার্য সকল ক্ষেত্রে কারিগরি উৎকর্ষ সাধন। সরকার যদি এই সামান্য স্বয়ংক্রিয় বৃষ্টিমান যন্ত্র উদ্ভাবন ও সংশ্লিষ্ট তথ্য ব্যবস্থাপনার পেছনে বিনিয়োগ করেন, আমাদের দেশের উদ্যোক্তারা একদিকে যেমন নতুন প্রযুক্তি প্রণয়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের চর্চা বেগবান করতে পারবেন, সরকারও প্রযুক্তি খাতে দেশীয় উদ্যোগের পৃষ্ঠপোষকতা করে ব্যয় সাশ্রয় করতে পারবেন।
রোম একদিনে তৈরি হয়নি, আমরাও একদিনে প্রযুক্তি উদ্ভাবনের শীর্ষে উঠে যেতে পারবো না। কিন্তু ছোটো ধাপগুলো যাতে পাড়ি দিতে পারি, সে সুযোগ সরকারকেই করে দিতে হবে।
মন্তব্য
বিভিন্ন প্রকৌশলী, উদ্যোক্তা এবং উদ্ভাবন দলের ফেসবুক পাতায় এই আইডিয়াটা ছড়িয়ে দেয়া উচিৎ। আমি একখানে দিলাম শেয়ার করে।
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
অথচ শুধু এই বিষয়টি নয়, আরও অনেকগুলো কাজ আছে, যা সরকার কেন যে জোর করে ধরে রেখেছে জানি না, প্রাইভেট সেক্টর স্টেইট অব দ্যা আর্ট টেকনোলজি ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই প্রমান করেছে নিজেকে, প্রাইভেট সেক্টরে না দিলে দেশ এগোবে কি করে?
ভারি সুন্দর একটি প্রস্তাবনা, হিমু ভাই!
.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল
সুত্রের লিঙ্ক ধরে যে পাতায় যাওয়া যায় সেটা পড়ে "আবহাওয়া বিভাগের কাছে একটিও বৃষ্টিমান যন্ত্র নেই" এমন তথ্য পেলাম না তো।
আপডেট করে দিলাম।
"আমাদের তরুণ প্রকৌশলীরা কিন্তু একটি স্বয়ংক্রিয় বৃষ্টিমান যন্ত্র নকশায় এগিয়ে আসতে পারেন। ফ্লোট সেন্সর ব্যবহার করে প্রতিদিনের বৃষ্টিপাতের তথ্য একটি স্মৃতিকোষে সংরক্ষণ করা যেতে পারে। মোবাইল পরিষেবার এই রমরমা যুগে এই তথ্য প্রতিদিন একটি কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডারে পাঠানোও কোন কঠিন কাজ নয়।"
নিজে পেশাগতভাবে পানি এবং পরিবেশ বিষয়ক প্রকৌশলী হবার সুবাদে রেইনগেজ ব্যাবহার করার অভিজ্ঞতা আমার অনেক দিনের। ঋতুবদল (climate change) নিয়েও কিছু কাজ করেছি এবং এখন করছি যদিও আমার কাজ পুরোটাই আমেরিকা-কেন্দ্রিক। কিন্তু আপনি যে প্রস্তাব দিয়েছেন সেটা আসলেই দেশে সহজে করা সম্ভব। আশা করি দেশে স্থায়ী প্রকৌশলীরা এ ব্যাপারে এগিয়ে আসবে। আমি নিজেও কথা বলে দেখব আমার পরিচিত মানুষদের সাথে। বিষয়টা তুলতে ধরার জন্য ধন্যবাদ, হিমু ভাই।
- ইয়ামেন
গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ। প্রাসঙ্গিক ভাবে বলি, দেশে হাওর অঞ্চলে প্রায় প্রতি বছর ফসল পানিতে তলিয়ে যায়। ধরুন আপনি একদিন বিকেলে হাওরে সোনার ধান আঁটি বাধা রেখে এলেন। রাত্তিরে সুখের ঘুম দিয়ে সকালে গিয়ে দেখলেন হাওর কোথায় এ তো সমুদ্র! যা ঘটে তাহল রাতের বৃষ্টিতে নদীর বাঁধ ভেঙ্গে হাওরে পানি ঢুকে। আমার ক্ষুদ্র ভাবনায় যা আসে সেটা হল বৃষ্টিপাতের ডাটা, নদীর প্রকৃতি, ধান বপন ও পাকার সময় নিয়ে পর্যাপ্ত গবেষণা হলে, এই দুর্যোগ এড়ানো সম্ভব , থামানো সম্ভব নিঃস্ব কৃষকের কান্না।এলোপাথাড়ি বাঁধ দিলে সমস্যা সমাধান হবে না। কারা এগুবে এসব গবেষণায়?
রাজর্ষি
প্রথমআলোর এই তথ্য কতটা বিশ্বাসযোগ্য ভাবতেছি
ভালো বিষয় নিয়ে লিখেছেন হিমু
ঠিক এইরকম নয় ব্যাপারটা। রেইন-গজ ডেনসিটি বা প্রতি বর্গ-কিমিতে কতগুলো রেইনগজ আছে, তার ওপরে বৃষ্টি পরিমাপের অ্যাকুরেসি নির্ভর করে। এই বিষয়ে একটা পেপার দেখতে পারেন, এদের দাবীমত, অ্যাকুরেসি ৮২% থেকে নেমে ১৫% হয়ে যায় যদি ৫কিমি র পরিবর্তে ৪০কিমি অন্তর রেইন-গজ বসানো হয়।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
বৃষ্টি বা আবহাওয়ার (ওয়েদার) অন্যান্য উপাদান মাপার ভবিষ্যৎ হল ক্রাউড-সোর্সিং। বাংলাদেশের মত দেশে সরকারের কিছু করার আগে ক্রাউড বৃষ্টি মাপার যন্ত্র বের করে তার সাথে স্মার্ট ফোন লাগিয়ে ওয়েদার প্যাটার্ন বের করার উপায় বের করে ফেলবে। এইখানে একটা ইন্টারেস্টিং খবর পেলাম।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
"উদ্যোক্তারা একদিকে যেমন নতুন প্রযুক্তি প্রণয়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের চর্চা বেগবান করতে পারবেন, সরকারও প্রযুক্তি খাতে দেশীয় উদ্যোগের পৃষ্ঠপোষকতা করে ব্যয় সাশ্রয় করতে পারবেন।" - আশা করি ঠিক লোকেদের নজরে পড়বে।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
যেহেতু আমাদের প্রয়োজনীয় সংখ্যক বৃষ্টিমান যন্ত্র নেই এবং রেকর্ডেড ডেটাও খুব একটা নেই, তাই সে আলোচনারও কোন সুযোগও আপাতত নেই। তবে মনে হয় ঋতুর কিছুটা নড়াচড়া বরাবরই ছিল। আমরা জানি আষাঢ় ও শ্রাবণ বর্ষাকাল, সেইহেতু "আষাঢ়ে বাদল নামে নদী ভর ভর"। আবার শরতের স্নিগ্ধতার মাঝেও দেখি- "ভাদরের ভরা নদী"।
আমাদের বন্যা মানেই তার আগে বাংলাদেশে এবং উজানে প্রচুর বৃষ্টিপাত। বাংলাদেশের বড় বড় বন্যাগুলোর সবই হয়েছে বর্ষাকালে নয়, শরৎকালে, অর্থাৎ আগে থেকেই শরৎকালেও প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। চুয়ান্ন, একাত্তর, চুয়াত্তর, সাতাশি, অষ্টাশি, আটানব্বই, সবই শরতকালের বন্যা, এদের মধ্যে অন্যতম ভয়াবহ অষ্টাশির বন্যা রীতিমত আশ্বিন মাসের শেষাংশে। সময়মত, অর্থাৎ চৈত্র-বৈশাখ(এগুলোও বর্ষার মাস নয়) মাসে বৃষ্টিপাতের সূচনা না হলেই তা খরা হিসেবে বিবেচিত হয়। তো এই খরা যুগ যুগ ধরেই ফসল হানির অন্যতম কারন হিসবে বিদ্যমান ছিল। ছিয়াত্তরের সেই অবিস্মরণীয় মন্বন্তর, যা তৎকালীন বাংলার এক তৃতীয়াংশ মানুষের প্রান সংহার করেছিল বলে অনুমিত, তাও ছিল পর পর তিন বছরের খরার ফলশ্রুতি।
ডালিয়ায় আমাদের যে তিস্তা ব্যারেজ এবং যাকে কেন্দ্র করে আমাদের তিস্তা সেচ প্রকল্প, তাও কিন্তু মূলত বর্ষাকালীন সেচ প্রকল্প। অর্থাৎ বর্ষায় যদি সময়মত প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত না হয়, তাহলে যেন সেচের পানি দিয়ে বোরো ফসল রক্ষা করা যায়, অর্থাৎ বর্ষাকালে যে বৃষ্টি না ও হতে পারে, সে সম্ভাবনা মাথায় রেখেই সেই ব্রিটিশ আমলে তিস্তা বাঁধ নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়েছিল।
সুতরাং "বৃষ্টিপাতের ধরন বদলে যাচ্ছে", এ কথা বলার আগে আরও ব্যাপকভিত্তিক গবেষণা এবং বিশ্লেষণ প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় প্রসঙ্গের অবতারনা করেছেন- ধন্যবাদ!
চমৎকার আরেকটা দৃষ্টিকোণ তুলে ধরেছেন!
বৃটিশ আমলে বাংলার পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে একটা পোস্ট হয়ে যাক না?
ব্রিটিশ আমলে বাংলার পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে খুব বেশী কিছু জানা নেই, হাতের কাছে সে সম্পর্কিত কোন ডকুমেন্ট/রেফারেন্সও নেই। তবে আইডিয়াটা দারুন, কখনও সুযোগ হলে লিখতে চেষ্টা করবো। যতদূর জানি, ব্রিটিশ আমলে বাংলার পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে তেমন কোন কাজ হয় নি, যেমনটা হয়েছে পাঞ্জাবে। কার্যকর সেচ নেটওয়ার্ক গড়ে পাঞ্জাবকে যেমন শস্য প্রাচুর্যে ভরে দেয়া হয়েছে, বাংলায় সেরকম কিছু করা হয় নি। শুধু তিস্তা নিয়ে ত্রিশ/চল্লিশের দিকে কিছু স্টাডি করেছিল সরকারীভাবে, তাতে রিপোর্ট করা হয়েছিল যে, উত্তর বঙ্গের কয়েকটি জেলা, যেখানে বর্ষা মৌসুমে বিলম্বিত বৃষ্টিপাতের কারনে অনেক সময় রোপা আমনের চাষ মার খেয়ে যায়, সেখানে তিস্তার একটি বাঁধের জল সে সমস্যার সমাধানে সহায়ক হতে পারে। আমাদের বর্তমান তিস্তা প্রকল্প সেই ভাবনারই আংশিক রুপায়ন।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
উপগ্রহ থেকে কি মোটামুটি সমান মানের কোন উপাত্ত পাওয়া সম্ভব? এখানে একজন দেখাচ্ছে যে মাটিতে স্থাপিত ভাল মানের বৃ্ষ্টিমাণ-নেটওয়ার্কের অভাব স্য়াটালাইট থেকে পাওয়া তথ্য় দিয়ে কিছুটা হলেও পুষিয়ে নেয়া যায়, কিন্তু, যেটা তুমি বললে, আগে একটা ভাল মডেল ফাঁদতে হবে।
উপগ্রহের উপাত্ত দিয়ে কার্যকর বিশ্লেষণ সম্ভব নিশ্চয়ই, কিন্তু সেটা কতোটুকু ব্যয়বহুল, সে বিষয়ে আমার কোনো ধারণা নেই।
নাসা'র TRMM থেকে উপগ্রহ উপাত্ত বিনা খরচে নামানো যাওয়ার কথা। এখানে বাংলাদেশী গবেষক জনাব ইসলাম ঐ উপাত্ত ভিত্তিক একটি বৃষ্টিমাণ উপায় উত্থাপন করেছেন।
আচ্ছা আমরা ছোটবেলায় স্কুলে থাকতে বৃষ্টি মাপার জন্য পানির মগ জাতীয় কিছু একটা পাত্র ব্যবহার করেছিলাম বলে মনে পড়ছে। বৃষ্টিমান যন্ত্র কি ঐ রকম কোন জিনিস?
লেখাটা আমার পরিচিত গ্রুপে শেয়ার দিলাম, যদি এ ব্যপারে জানে এমন কেউ এ কাজে এগিয়ে আসে।
____________________________
হ্যাঁ, একটা দাগকাটা পাত্র।
নাসা রিয়েল টাইম রেইনফল ডেটা
সরকার থেকে উদ্যোগ নিলে নাসার Tropical Rainfall Measuring Mission (TRMM) থেকে শুধু বাংলাদেশের জন্যও রেগুলার স্যাটেলাইট বেইজড বৃষ্টিপাতের ডেটা পাওয়া সম্ভব। জাপান এই মিশনের পার্টনার এজেন্সি। জাপান থেকেও ডেটা পাওয়া যেতে পারে।
উপযোগী ইনপুট।
নতুন মন্তব্য করুন