কৈশোরে দেখেছি, বিয়েবাড়িতে আল্পনা আঁকানোর জন্যে দক্ষ শিল্পীদের ডেকে আনা হতো। এঁরা হয়তো বরের ছোটো ভাইয়ের বন্ধু, কিংবা কনের বান্ধবীর ভাই। রং-তুলি-চক নিয়ে এঁরা দু'তিনজন সকালে চলে এসে কাজ শুরু করতেন। পুরো বাড়িতে সমঞ্জস আল্পনা আঁকা কঠিন পরিশ্রমের কাজ। ঘর, বারান্দা, সিঁড়ি, উঠান এক এক করে এই শিল্পীদের হাতে রেঙে উঠতো। বাড়ির পিচ্চিরা রূদ্ধশ্বাসে এঁদের কাজকারবার দেখতো, চা-চু নিয়ে আসতো সন্তর্পণে, নিজেরাও হাত লাগানোর জন্যে উশখুশ করতো কিন্তু সুযোগ পেতো না। বোকা কিংবা বেয়াদবরা নাক গলাতে গিয়ে কখনও ধমক কখনও বা থাপ্পড় খেতো। এভাবে সকাল গড়িয়ে দুপুর, দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতো। ৭৫% আল্পনা তখন আঁকা শেষ, এদিকে শিল্পীদের পেটে যমক্ষুধা। ডাইনিং রুমে তখন গরম খাবার আর ঠাণ্ডা শরবৎ পরিবেশন চলছে, বাড়ির গিন্নিবান্নিরা কড়া নজরদারি করছেন, শিল্পীদের খোরাকিতে যেন তিলেকমাত্র অযত্নের ছাপ না থাকে। শিল্পীরা হাত কচলে ধুয়ে খেতে বসছেন ক্লান্তশ্রান্ত দেহমন নিয়ে।
খাওয়া শেষে দেখা যেতো, যে ২৫% ফাঁকা জায়গা তারা পোলাও-মুরগি-দই-চা খেয়ে বাইরে বা ছাদে একটু বিড়ি ফুঁকে এসে সন্ধ্যার মধ্যে আঁকার ফন্দি করেছিলেন, পিচ্চির দল সেখানে বুঁজিয়ে আসা কৌটা থেকে রং নিয়ে তুলিতে মাখিয়ে নিজেদের মতো করে হাগুমুতু নকশা অর্ধেকটা করে চম্পট দিয়েছে ধমক বা থাপ্পড়ের নাগালের বাইরে।
গেমফথ্রোন্সের ষষ্ঠ মৌসুম থেকে এই কথা কেন যেন বারবার মনে পড়ছে।
মন্তব্য
আপনার লেখা পড়ে এই মীমের কথা মনে পড়ে গেল -
___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
বেশী মৌসুম ধরে চলা বেশীর ভাগ ধারাবাহিকের পরিণতি এইরকম-ই।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
নতুন মন্তব্য করুন