রেখাচিত্রী জেইক পার্কার ২০০৯ সালে মাসব্যাপী প্রতিদিন (কমপক্ষে) একটি করে ছবি আঁকার এক হুজুগ চালু করেছিলেন। সময়ের সাথে এটা হুজুগ থেকে ছোটখাটো বিকেন্দ্রিক উৎসবের চেহারা নিয়েছে, নাম ইঙ্কটোবর (বিস্তারিত সূত্রে)। ইঙ্কটোবরের মূল প্রেরণা ছিলো প্রতিদিনের চর্চায় কালির কাজের ওপর শিল্পীর দক্ষতা বাড়ানো, নামটাও তাই কালি থেকে গজিয়েছে। হিস্পানিভাষী শিল্পীরা এটাকে তিন্তোব্রে নামে পালন করা শুরু করেছে, জার্মানরা করছে টিন্টেনটোবার নামে (তিন্তো আর টিন্টে শব্দের অর্থ কালি)।
আমিও আঁকটোবর শিরোনামে শুরু করলাম। শুধু কালির মধ্যে ব্যাপারটাকে সীমাবদ্ধ না রেখে যে কোনো মাধ্যমেই আঁকিবুকি করা যাক আঁকটোবরে। শর্ত একটাই, এ মাস জুড়ে রোজ (কমপক্ষে) একটা করে ছবি (মোট একত্রিশটা) আঁকতে হবে। আমার মতো আরো যারা কাঁচা আঁকিয়ে আছেন, তারা তুলি উঁচিয়ে পাকাদের ভিড়ে কনি মেরে ঢুকে পড়ুন।
প্রথম তিনদিনের বিষয়:
১. নাগফণী
২. নৌকা
৩. নারকেলগাছ
দ্বিতীয় তিনদিনের বিষয় (নির্ধারণ করেছেন সজীব ওসমান):
৪. নারীমুখ
৫. পিপীলিকা
৬. গণ্ডার
তৃতীয় তিনদিনের বিষয় (নির্ধারণ করেছেন সোহেল ইমাম):
৭. ঘোড়ার মাথা
৮. মাছ
৯. আলাদিনের চেরাগ
চতুর্থ তিনদিনের বিষয় (নির্ধারণ করেছেন কনীনিকা):
১০. পুরুষ
১১. পাতা
১২. পথ
পঞ্চম তিনদিনের বিষয় আবার আমি বাছলাম:
১৩. মোরগ
১৪. দোতারা
১৫. হুঁকো
০১ আঁকটোবরের ছবি: নাগফণী (তুলি, কালি, পানি, মোম, কাগজ)
০২ আঁকটোবরের ছবি: নৌকা (তুলি, কালি, পানি, কাগজ)
০৩ আঁকটোবরের ছবি: নারকেলগাছ (তুলি, কালি, পানি, মোম, কাগজ)
০৪ আঁকটোবরের ছবি: নারীমুখ (তুলি, কালি, আঁকুনি, কাগজ)
০৫ আঁকটোবরের ছবি: পিপীলিকা (তুলি, কালি, পানি, কাগজ)
০৬ আঁকটোবরের ছবি: গণ্ডার (দাগুনি, দাগপাট, স্কেচবুক)
০৭ আঁকটোবরের ছবি: ঘোড়ার মাথা (তুলি, কালি, আঁকুনি, কাগজ)
০৮ আঁকটোবরের ছবি: মাছ (তুলি, কালি, আঁকুনি, কাগজ)
০৯ আঁকটোবরের ছবি: আলাদিনের চেরাগ (তুলি, কালি, আঁকুনি, কাগজ)
অ্যাডমিরাল জেনারেল আলাদিনের চেরাগ
১০ আঁকটোবরের ছবি: পুরুষ (তুলি, কালি, আঁকুনি, কাগজ)
১১ আঁকটোবরের ছবি: পাতা (তুলি, কালি, আঁকুনি, কাগজ, স্কেচবুক)
(এ পোস্টেই ৩১ আঁকটোবর পর্যন্ত চলবে (যদি বাঁচি আর চা কম খাই))
মন্তব্য
বাহ! আঁকটোবর শব্দটা বেশ হয়েছে!
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
বাহ! চমৎকার!
এও এক লড়াই, লড়াই জারি থাকুক।
দারুণ ব্যাপার। আঁকাতে ইচ্ছা করছে এখনই, কিন্তু ভাবছি বিষয় অনুযায়ী ছবি আঁকাতে পারবো কি না। আঁকানোর ক্ষমতাতো সীমিত।
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
কী সুন্দর! কী সুন্দর!
------------------------------------------------------------------
It is impossible to be a mathematician without being a poet in soul.
হিমুভাই কি দুর্দান্ত ব্যাপার করে ফেলেছেন। আপনি সেই নাগফণীর পর আর ছবি দিলেন না এটা বলতে এসে দেখি অসাধারণ দু’টো ছবি। নৌকার ছবিটা অনেকক্ষণ ধরে দেখার মত।
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
সত্যিই দুর্দান্ত একটা ব্যাপার। ছবি আঁকা সংক্রান্ত সবকিছু ছোটবেলা থেকে ভালোবাসি। যদিও নিজে কোন ভালো আঁকিয়ে নই। কিন্তু হতে চেয়েছি। সেজন্যে সচলের এই ব্যাপারটা দারুণ লাগছে। হিমু ভাইকে ধন্যবাদ এইজন্য।
আঘ্রাণ প্রান্তর
পিপীলিকা দারুণ হয়েছে!
------------------------------------------------------------------
It is impossible to be a mathematician without being a poet in soul.
পাখা দিয়ে পিপীলিকাকে মৃত্যর পথে ঠেলে দিলেন হিমু ভাই
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
আপনার ঘোড়ার মাথা আর খোয়বনামার গজার মাছ- লা জবাব
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
খার্তুম আমিও আঁকতে চেয়েছিলাম। ঘোড়ার মাথা শুনলে খার্তুমের কথাটাই আগে মনে পড়ে। কিন্তু এত কঠিন জিনিস আঁকতে পারলাম না
------------------------------------------------------------------
It is impossible to be a mathematician without being a poet in soul.
পিঁপড়া থেকে গণ্ডার অনেক কিছুই তো আঁকলেন, এবার একটুশ্ বিমূর্ত কিছু ট্রাই করা যায়? বিমূর্ত কোনো আইডিয়াকে নিজের মত করে মূর্ত রূপে ফুটিয়ে তোলা / রিপ্রেজেন্ট / ইন্টারপ্রেট করা অর্থে? যেমন ধরুন "প্যান্ডেমিক" (অতিমারি?), লকডাউন, বর্তমান পরিস্থিতিতে গৃহবন্দীত্ব বা চলাচল ও সামাজিকতার সীমাবদ্ধতাজনিত বিষন্নতা, প্রেম, ভালোবাসা বা অন্য যেকোনো কিছু? নাকি এটা শিক্ষানবীশ বা শখের আর্টিস্টদের কাছে বেশি চাওয়া হয়ে যাবে বা এই উদ্যোগের স্পিরিটের সাথে বেমানান হয়ে যাবে?
****************************************
আপনি যদি বিষয় বাছতে চান, তাহলে আপনাকেও আঁকটোবর করতে হবে। পাটে বসে মাঠে ঢিল মারলে ছৈল্ত ন।
হা হা হা... দর্শক বা শিল্প-ভোক্তা বা শিল্প-রসিক বলেও তো একটা কথা আছে তাই না? খেলার ফুলটাইম দর্শক থাকে, লেখার পাঠক থাকে, শিল্পেরও থাকে ভোক্তা বা রসিক! থাকে চিয়ারলিডার। এরা থাকে এবং সবসময় সাইডলাইন বা গ্যালারিতে বসে 'গোওওওল!" ,"ছক্কাআআআ!" , "আউউউট!" , "দারুন হয়েছে!" , "অপূর্ব হয়েছে!" বলে চেঁচিয়ে-হাততালি দিয়ে-লম্ফঝম্প করে সারাক্ষণ শিল্পী-খেলোয়াড়দের উৎসাহিত আর চিয়ার করে যায় আর মাঠ মাতিয়ে রাখে বলেই তো ঐ খেলোয়াড় বা শিল্পীদের খেলা বা আর্ট এত জমে উঠে!!! এই সাইডলাইন / বাউণ্ডারি বা গ্যালারির দর্শকরা না থাকলে পৃথিবীর কি দুর্দশা হতো একবার ভেবে দেখুন দিকিনি!!! আর ঐ শিল্পী আর খেলোয়াড়দের জীবনও কি ভীষণ বোরিং আর ম্যাড়মেড়ে হয়ে যেত এসব ডেটিকেটেড-ডিভোটেড ফ্যানদের ছাড়া!!! সুতরাং আমি বলবো মূল খেলোয়াড় বা শিল্পীদের চেয়ে এরকম ফ্যানদেরও গুরুত্ব কম না কি খেলা, কি শিল্পের জগতে। আর আমি এই মহান সাইডলাইনবাসী ফ্যানব্রতই অবলম্বন করেছি মাত্র। এবং সাইডলাইন থেকে ঢিল না হোক, ফুল ছুঁড়ে মারা বা পুষ্পবর্ষণ করার অধিকার আমার আছে বলেই মনে করি। আমার উপরের প্রস্তাবটা সেরকমই একটা পুষ্পাঞ্জলি মাত্র!
****************************************
রসিকের গুরুত্ব তো অসীম। তবে তার বিষয় বাছার অধিকার শূন্য।
আমি বিষয় বাছি নাই, একটা "ক্যাটেগরি" প্রস্তাব করেছিলাম মাত্র এবং সেই সূত্রে দুয়েকটা "বিষয়" উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেছিলাম শুধু। যাজ্ঞে। আপনার কথাই ঠিক।
****************************************
আপনিও আঁকা শুরু করে দিন না? পনেরোটা আঁকলেই রসিক থেকে শরিক হয়ে যাবেন। তারপর আপনার বিষয় বাছার বা ক্যাটেগোরি প্রস্তাবের দান।
নতুন মন্তব্য করুন