বাবলু ভাইকে অমায়িক লোক বলে জানতাম, তিনি যে ওভাবে চোখ লাল করে তেড়ে আসবেন, আমি বা দুলাল কেউ-ই বুঝিনি।
দুলাল থতমত খেয়ে বলে, "না, কিন্তু ...।"
"কোন কিন্তু নাই!" বাবলু ভাই প্রায় ফেনায়িত মুখে গর্জন করেন। "আমি কোন পুরুষমানুষের সাথে এক বিছানায় শুইতে পারবো না!"
দুলাল বলে, "কী আপদ, এইখানে মাইয়ামানুষের ব্যবস্থা এখন ক্যামনে করি?"
বাবলুদা বলেন, "খবরদার!"
আমি বলি, "ঠিক আছে। কিন্তু ...।"
বাবলু ভাই এবার পাঁই করে ঘোরেন আমার দিকে। "কিন্তুক কিসের? কিন্তুক কিসের?"
আমি শুধরে নিই। "আরে না, কোন কিন্তুক নাই। আপনি ঐ ঘরের খাটটায় শুয়ে পড়েন। আমরা তিনজন এই ঘরের খাটে শুচ্ছি।"
দুলাল মাথা নাড়ে। "যদি হয় সুজন, এক বিছানায় ন'জন। আমাদের তো, ছয়জন শর্ট পড়লো দেখি!"
বাবলু ভাই রোষকষায়িত চোখে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে ঘোঁৎ করে শব্দ করেন একটা, তারপর হেলতে দুলতে চলে যান পাশের ঘরে। তারপরে দড়াম করে ঘরের দরজা লাগিয়ে দেন। ছিটকিনি লাগানোর খটরমটর শব্দ আমাদের শ্রুতিকে আঁচড়েমাচড়ে দিয়ে যায়।
এদিকে আমাদের ঘরে রুগ্ন খট্টাঙ্গের প্রায় পুরোটা দখল করে শুয়ে বিমর্ষবদনে কী একটা পত্রিকা পড়ার ভান করছিলেন সবুজ ভাই, তিনি এবার কাত হয়ে আমাদের দিকে ফিরে, কনুইয়ের ওপর মাথার ভর রেখে সিদ্ধার্থের মতো ভঙ্গিতে বলেন, "বেচারা।"
দুলাল একটু গোমড়া মুখে ঘরের একমাত্র চেয়ারটা টেনে বসে পড়ে। "কিন্তুক আমাদের উপর অ্যাত রাগ ক্যানো? আমাগো ঐসব আকামকুকামের অভ্যাস নাই কিন্তুক!"
আমিও দুলালকে সমর্থন জানাই। "ছি!"
সবুজ ভাই একটা সিগারেট ধরানোর জন্য বুদ্ধের ভঙ্গি বর্জন করেন। "তোমাদের ব্যাপারটা বুঝতে হইবো। অর একটা খারাপ স্মৃতি আছে। ঐটাই অরে তাড়না কইরা বেড়ায়।"
দুলাল বলে, "ওহহো, দুঃখিত। বুঝছি কেসটা কী। হুজুরের কাছে পড়ার সময় যৌন নিপীড়নের কেস। খুবই দুঃখজনক।"
আমি বলি, "আসলেই ...।"
সবুজ ভাই সিগারেটের ধোঁয়ায় একটা ছোটখাটো ঝাপসা মেঘ তৈরি করে বলেন, "সব দোষ হুজুরদের ঘাড়ে চাপায় দেওয়া ঠিক না। হুজুরগুলিও ছোটকালে নানারকম নিপীড়নের ভিতর দিয়া যায়। বাবলুর কেসটা অবশ্য হুজুরিয়া কেস না।"
দুলাল বলে, "ক্যাডেট কলেজের লোক নাকি উনি? শুনছি ক্যাডেট কলেজে নাকি কপাল খারাপ হইলে এমন ঘটে?"
আমি বলি, "আসলেই ...।"
সবুজ ভাই বিরক্ত হন। "আরে না রে ভাই। বাবলুরটা ক্যাডেট কেসও না। তোমরা কী খালি আকামে না জাইনাই ফট কইরা অ্যাকটা কথা বইলা ফ্যালো... ।"
আমি বলি, "আসলেই ...।"
দুলাল চোখ পাকায়, তারপর বলে, "তাইলে কে বা কাহারা পোন্দাইলো?"
সবুজ ভাই জিভ কাটেন। বলেন, "তোমরা বেশি খচ্চর। খালি আজেবাজে কথা বলো। এইসব ভাষা ব্যবহার করলে তো তোমাগো লেখা ব্লগেও প্রকাশ করা যাইবো না!"
আমি বলি, "দুলালটা বেশি খচ্চর।"
দুলাল বলে, "বুঝলাম আমি বেশি খচ্চর, কিন্তু কামটা করলো ক্যাঠা?"
সবুজ ভাই ধোঁয়া দিয়ে রিং তৈরি করেন এবার। তারপর বলেন, "এক মায়াপুরুষ!"
কক্সবাজারের হিলটপ সার্কিট হাউজে বেড়াতে এসেছি আমরা চারজন। আমি আর দুলাল, দুই চ্যাংড়া নিষ্কর্মা, সবুজ ভাই দুলালদের দীর্ঘদিনের প্রতিবেশী, আর সবুজ ভাইয়ের বন্ধু বাবলু। শেষোক্ত ব্যক্তি যাবতীয় খরচ বহন করছেন। কেন কে জানে!
বাবলু ভাই রসিকও না গোমড়ামুখোও না, আড্ডাবাজও না অমিশুকও না, মোটাও না রোগাও না, ফর্সাও না কালোও না। বাংলাদেশের পথেঘাটে মাঠেপ্রান্তরে ওনাকে ছেড়ে দিলে লাখো জনতার ভিড়ে উনি অনায়াসে হারিয়ে যেতে পারবেন।
কাল রাতে যখন রওনা দিলাম আমরা, বাবলু ভাই বেশ খোশমেজাজেই ছিলেন। ট্রেনে করে চট্টগ্রামে এসে নেমেছি আমরা, আড্ডা মারতে মারতে। সবুজ ভাইয়ের আবার গল্পের স্টক খুব ভালো, তিনি আবার ট্রেনে দুই পুরানো দোস্ত জুটিয়ে ফেললেন। জমাটি আড্ডার মধ্যে দিয়েই ভোরে মাটিতে পা রাখলাম আমরা।
চিটাগঙে হরতাল চলছিলো, রিকশা করেই পতেঙ্গা গেলাম আমরা। সেখানে কিঞ্চিৎ বিয়ার পানের পর বাবলু ভাইয়ের বেশ দিলদরিয়া ভাব দেখেছিলাম, তিনি হাঁটুতে চাপড় মেরে কী একটা বিদঘুটে সিনেমার গান গাইলেন অনেক দরদ দিয়ে।
সেই বাবলু ভাই দুপুরে বাস জার্নির পর কক্সবাজারে হিলটপ সার্কিট হাউজে উঠে পেটপুরে খেয়েদেয়ে এক কাপ চা নিয়ে কোথায়া আবার আড্ডায় যোগ দেবেন, তা না, তিনি ব্যাজার মুখে বললেন, "আমি ঘুমাবো।"
দুলাল পাঁঠাটাই শোয়ার বাঁটোয়ারা করতে গিয়েছিলো। "ঠিকাছে। আপনে আর সবুজ ভাই এই ঘরে শোন, আমি আর লেখক ঐ ঘরে ঘুমাই।"
অমনি বাবলু ভাইয়ের চোয়াল শক্ত হয়ে গেলো। "না, আমি সবুজের সাথে শুবো না।"
দুলাল ছ্যাবলা হেসে বলে, "ঠিকাছে, আপনে তাইলে লেখকের লগে ঘুমান। আমি আর সবুজ ভাই অন্য খাটে গিয়া শুই।"
তারপরই তো কুরুক্ষেত্র।
কিন্তু সবুজ ভাইয়ের মায়াপুরুষ কথাটা নিয়ে খটকা লাগে।
দুলাল বলে, "মাইয়াপুরুষ? এইটা আবার কী?"
আমি বলি, "তৎপুরুষ তৎপুরুষ শোনাচ্ছে! যিনি মাইয়া তিনিই পুরুষ ... এমন কিছু কি?"
দুলালটা পোঁ ধরে, বলে, "ঐটা তো কর্মধারয়?"
সবুজ ভাই সটান বিস্ময়ে শুয়ে পড়েন বুদ্ধের ইশটাইলে। "আরে, তোরা তো অনেক ইয়া পোলাপান!"
আমি বলি, "আসলেই ...।"
সবুজ ভাই বলেন, "মাইয়াপুরুষ বলি নাই, বলছিলাম মায়াপুরুষ।"
দুলাল গাধাটা আবার সমাস ফলাতে যায়, "মায়া মোহব্বত করেন যে পুরুষ?"
আমি কাশি।
সবুজ ভাই বলেন, "ধুর। ইংরাজিতে কই। মায়ানেকড়ে কী, জানস?"
দুলাল মাথা নাড়ে।
আমি পন্ডিতি করার সুযোগ পেয়ে যাই। বলি, "জানি। ওয়্যারউলফ!"
সবুজ ভাই জোরসে সিগারেটে টান দেন। "তাইলে এইটা হইলো গিয়া ওয়্যারম্যান।"
দুলাল কয়, "মানে?"
সবুজ ভাই বলেন, "মানে মায়াপুরুষ!"
আমি বলি, "খুলে বলেন।"
সবুজ ভাই বলেন, "এইসব খুইলা বলার কাহিনী না। যত রাইখাঢাইকা বলা যায় ততই ভালো।"
দুলাল বলে, "আচ্ছা বলেন।"
সবুজ ভাই এক বিচিত্র কাহিনী শুরু করেন।
বাবলু ভাই বছর দুয়েক আগে বিয়ে করেন। মেয়ে পছন্দ করেছিলেন বাবলু ভাইয়ের দাদী। মেয়ে নাকি খুবই পয়মন্ত। বাবলু ভাইও ভাবী স্ত্রীকে দেখে রীতিমতো ক্ষেপে ওঠেন বিয়ে করার জন্য। সেই মেয়ে নাকি সেইরকম সঞ্চারিণীপল্লবিনী মাল, সবুজ ভাই খুব আপসোসের সাথে জানালেন, সাথে সিগারেটের গোড়ায় একটা টান।
বগুড়ায় বাবলু ভাইদের একটা পুরনো বাড়ি আছে, কেয়ারটেকার সেটার দেখাশোনা করে, বিয়ের পর নতুন বউকে নিয়ে হানিমুনের জন্য বাবলু ভাই কক্সবাজার বা নেপাল না গিয়ে সেই পোড়োবাড়িতে গিয়ে উঠলেন। কেন, তা বলা মুশকিল। বাবলু ভাই নাকি সবাইকে বলে বেড়ান, এটা ওনার বউয়েরই বুদ্ধি।
প্রথম প্রথম কয়েকদিন নাকি দারুণ কাটলো বাবলু ভাইয়ের। বগুড়ায় তখন হালকা হালকা শীত, নতুন বউ সাথে, কেয়ারটেকার মনু মিয়া আর তার বউ দারুণ রান্নাবান্না করতে জানে, ভালো খাওয়াদাওয়া হচ্ছে, মাঝে মাঝে গাড়ি নিয়ে এদিক সেদিক ঘুরে বেড়ানো হচ্ছে, বাবলু ভাই খুব মৌজে আছেন।
একদিন বিকেল বেলা হঠাৎ বাবলু ভাইয়ের বউ কেমন যেন বিগড়ে গেলেন। তিনি বললেন, তিনি একা একটা ঘরে শোবেন, বাবলু ভাইয়ের সাথে শোবেন না, তার নাকি মাথা ধরেছে।
বউদের মাথা ধরার অজুহাতের কথা বাবলু ভাইয়ের বিবাহিত বন্ধুরা আগেই অবগত করেছেন তাঁকে, তিনি ধরে নিলেন, একটানা কয়েকদিন ম্যারাথন ভালোবাসার ফল এটা। ঠিকাছে। একটা রাত মাথাব্যথা করলে বাবলু ভাইয়ের সমস্যা নেই। তিনি নাহয় টেলিভিশনে হিন্দি সিনেমা দেখে শুয়ে পড়বেন।
সেদিন আবার চাঁদনি রাত। কিছুক্ষণ টিভিতে মাউড়া নায়কনায়িকাদের সদলে নর্তনকুর্দনমর্দন দেখে বাবলু ভাই পাশে আরেকটা ঘরে তৈরি করে দেয়া বিছানায় গিয়ে সটান হলেন। জানালা দিয়ে চাঁদের হাসি বাধ ভেঙেছে, উছলে পড়ছে আলো। আহ, এরকম সুন্দর রাতে কোথায় একটু ... তা না, যত্তোসব মাথাব্যথা। বাবলু ভাই ঠিক করলেন তিনি এক বান্ডিল প্যারাসিটামল কিনে ফেলবেন কালই। মাথা থাকলে ব্যথা হবেই, প্যারাসিটামল জিনিসটা বানিয়েছে কী জন্যে তবে?
সাতপাঁচ নয়ছয় ঊনিশবিশ বাহান্নতেপ্পান্ন ছত্রিশচব্বিশছত্রিশ ইত্যাদি নানাবিধ সংখ্যার কথা ভাবতে ভাবতে বাবলু ভাই ঘুমিয়ে পড়লেন।
রাতে হঠাৎ কেমন একটা শব্দে বাবলু ভাইয়ের ঘুম ভেঙে গেলো। মনে হলো, কেউ গোঙাচ্ছে। গলার স্বরটা ভীষণ ভারি, বুনো জন্তুর মতো। বাবলু ভাই ভয় পেয়ে গেলেন। এই মফস্বলে ধু ধু প্রান্তরের মধ্যে বাড়ি, এ আবার কী উৎপাত? ভয়ে তিনি ডবল কাঁথামুড়ি দিয়ে শুলেন। শব্দটা কিছুক্ষণ পর থেমে গেলো। বাবলু ভাই আবার ঘুমিয়ে পড়লেন।
একটু পর তাঁর মনে হলো, থপথপ করে কে যেন হাঁটছে বাড়ির মধ্যে। একেবারে ঘর কাঁপিয়ে। বাবলু ভাই ভয়ে কাঠ হয়ে গেলেন।
একটু পর সেই হাঁটার শব্দও থেমে গেলো। বাবলু ভাই ভাবলেন, তিনি স্বপ্নে দেখছেন এসব। আবারও ঘুমিয়ে গেলেন তিনি।
কিছুক্ষণ পর আবারও ঘুম ভেঙে গেলো তাঁর। এবার একটা হুঁকহাঁক ধুপধাপ শব্দ। হালকা বাপরে, মা-রে গোছের শব্দও মনে হলো যেন তাঁর কানে ভেসে এলো। সাথে নারী কণ্ঠের আল্লাগো, ওরে বাপরে ধরনের আর্তনাদ, তবে সবই চাপা। রাগে এবার বাবলু ভাইয়ের মাথায় রক্ত উঠে গেলো। তিনি বউ ফেলে একা একা ঠান্ডার মধ্যে শুয়ে আছেন, আর মনু মিয়া হারামজাদাটা ঘর কাঁপিয়ে নিজের বউয়ের সাথে দিব্যি রোমান্স করছে! কপাল! তিনি কানে বালিশ চাপা দিয়ে পাশ ফিরে শুলেন।
পরদিন সকালে ঝকঝকে রোদে বাবলু ভাইয়ের ঘুম ভেঙে গেলো। তিনি আড়মোড়া ভেঙে উঠে হাঁক দিয়ে মনু মিয়াকে ডাকলেন।
মনু মিয়া অনেকক্ষণ পর উঠে এলো। তার চোখে কালসিটে, খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছে, চোয়ালটা ফোলা। বাবলু ভাই ঘাবড়ে গেলেন। মনু মিয়ার বউ তো ঠান্ডা জড়োসড়ো মহিলা, তার হাতে এমন নিগৃহীত মনু মিয়া?
বাবলু ভাই বলেন, "কী হয়েছে মনু?"
মনু মিয়া ধরা গলায় জানায়, সে খাট থেকে পড়ে গিয়ে ব্যথা পেয়েছে।
বাবলু ভাই বিরক্ত হন। ব্যাটা মহা রোমিও দেখা যাচ্ছে। কালকে রাতে আওয়াজ করেছে, আবার প্রেম করতে গিয়ে খাট থেকেও পড়ে গেছে! তিনি বলেন, "তোমার বউকে বলো চা দিতে।"
মনু মিয়া মাথা নিচু করে চোখ মুছে বলে, "তার শরীর খারাপ। আমিই চা নিয়ে আসি।"
বাবলু ভাই অবাক হন না। ঐরকম সশব্দ প্রেম করলে শরীর খারাপ করা বিচিত্র কিছু না। বেচারি। তিনি বলেন, "ঠিক আছে। মেম সাহেব কোথায়? তিনি উঠেছেন?"
মনু মিয়া মাথা নাড়ে। "জ্বি না।"
বাবলু ভাই চা আনতে পাঠিয়ে বাথরুমে ঢুকে হাতমুখ ধুয়ে নিয়ে তার বউয়ের দরজায় টোকা দেন। "বাবলি! বাবলি সোনা! ওঠো!" মধুঝরা কণ্ঠে ডাক দেন তিনি।
মিনিট দুয়েক ডাকাডাকির পর বাবলি উঠে এসে দরজা খুলে দেয়। তার গায়ে কেবল শাড়ি জড়ানো আলুথালু, বাকি জামাকাপড়ের ঠিকঠাক নেই। বাবলু ভাইয়ের তো মাথায় আগুন জ্বলে ওঠে একেবারে।
কিন্তু তাঁর বউ তাঁকে ঠেলে সরিয়ে দেয়। "দূর, যাও ভাগো!" রীতিমতো খেঁকিয়ে ওঠে সে।
বাবলু ভাই এবার দেখেন, বিছানায় বাবলির রাতের পোশাক ছিঁড়ে কয়েক টুকরো হয়ে পড়ে আছে!
তিনি কিছু বলার আগেই বাবলি একরকম ধাক্কা দিয়ে তাঁকে বার করে দিয়ে ঠাস করে মুখের ওপর দরজা লাগিয়ে দেয়। তিনি মিনমিন করে বলেন, "নাস্তা করবে না?"
বাবলি কর্কশ গলায় বলে, "না!" সেই ধমক শুনে বাবলু ভাই ঘাবড়ে যান। কী গমক গলায়!
নিজের ঘরে তিনি মনমরা হয়ে ফিরে যান। নতুন বউ, এক হপ্তা যেতে না যেতেই এরকম শুরু করলো? বাবলির গলা তো রীতিমতো মধুমাখা, সে নাকি বেতারে হারানো দিনের গানের অনুষ্ঠান "হারানো দিনের গান" এ কিছুদিন আগেও নিয়মিত গান পরিবেশন করতো। সেই বাবলি আজ এমন চন্ডালিনীর মতো হাঁক মেরে হাঁকিয়ে দিলো বাবলু ভাইকে, যিনি কি না য়্যাক রাত ধরে বাবলির সঙ্গসুধাবঞ্চিত? নাহ, বন্ধুদের কথাই ঠিক, বউগুলি সুবিধার না!
এসব ভাবতে ভাবতে বাবলু ভাইয়ের মেজাজটা চড়ে গেলো, তিনি হুঙ্কার ছেড়ে মনু মিয়াকে ডাকলেন, "মনু! চায়ের কী হলো?"
মনু মিয়া চা নিয়ে হাজির হলো পাংশু মুখে। বাবলু ভাই ফড়াৎ করে একটানে চা শেষ করে বললেন, "বালের চা বানাইছ! আবার ঠান্ডা!"
মনু মিয়া ধরা গলায় বললো, "নাস্তা কী খাইবেন?"
বাবলু ভাই বললেন, "চা যা বানাইছ সেইটাই মুখে দিতে পারলাম না ... আবার নাস্তা! আমি বাইরে গিয়ে খাবো। তোমার নাস্তা বানানো লাগবে না। তুমি খালি বাড়িতে সাউন্ডসহ তোমার বউয়ের সাথে মৌজ করো। কালকে রাতে তোমাদের জ্বালায় ঘুমাইতে পারলাম না একটু শান্তিমতো!"
মনু মিয়া হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলে। বাবলু ভাই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যান। "কী হইলো, কান্দো কেন?"
এ প্রশ্নের জবাবে মনু মিয়া জানায় এক ভয়ঙ্কর কাহিনী। গতকাল রাতে এক ভীষণ দানবাকৃতির মিশমিশে লোমশ লোক এসে লাথি মেরে তার ঘরের দরজা খুলে ফেলে। মনু আর তার বউ ঘুমাচ্ছিলো, তারা ধড়মড় করে উঠে বসে। লোকটা মনু মিয়াকে প্রবল মারধর করে, গোটা দুয়েক লাথিঘুঁষি খেয়ে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। জ্ঞান হবার পর দেখে তার বউও অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে, গায়ের জামাকাপড় সব ছেঁড়া, শরীরে আঁচড়কামড়ের দাগ।
বাবলু ভাই ভয়ে প্রায় অজ্ঞান হয়ে যান আর কি! তিনি বলেন, "তুমি পুলিশে খবর দাও! জলদি! দেরি করো না! আর আমার স্যুটকেস গুছাও!"
মনু মিয়া পুলিশের কাছে যেতে অস্বীকৃতি জানায়। পুলিশ মানেই নাকি ঝামেলা। তাছাড়া যা হবার হয়ে গেছে।
বাবলু ভাই ঊর্ধ্বশ্বাসে এবার বাবলির দরজায় থাবড়া দেন গিয়ে। এবার হাস্যোজ্জ্বল মুখে বাবলি দরজা খুলে দেয়, "কী হলো? দরজা ভেঙে ফেলবে তো!"
বাবলু ভাই বলেন, "জলদি স্যুটকেস গুছাও। আমরা আজকেই ঢাকা ফিরে যাবো!"
আধঘন্টার মধ্যেই স্যুটকেস গুছিয়ে আহত মনু মিয়া আর তার বউয়ের হাতে কিছু টাকা ধরিয়ে দিয়ে বাবলু ভাই বিপুল গতিতে গাড়ি চালিয়ে ঢাকায় ফিরে আসেন। অল্পের জন্য জানে বেঁচে গেছেন তিনি আর বাবলি। ভাগ্যিস ডাকাতটা বাড়িতে ঢুকতে পারেনি, কেয়ারটেকারের ওপর দিয়ে ফাঁড়াটা কেটে গেছে! বাড়িতে ঢুকলে ... কী হতো ভেবে বাবলু ভাই শিউরে ওঠেন গাড়ি চালাতে চালাতে।
বাবলির মাথাব্যথা অবশ্য সেদিনই সেরে গিয়েছিলো। তাই হানিমুন ফুরিয়ে যাবার দুঃখ সেরাতেই বাবলু ভাই আবার ভুলে যান।
ঢাকায় ফিরে বাবলু ভাই সংসার শুরু করেন পুরোদমে। কেনাকাট, ঘর গোছানো, ঘর সাজানো, দাওয়াত খেয়ে বেড়ানো আর ব্যবসার কাজে বাবলু ভাইয়ের দিন কেটে যায়, আর রাতেও তিনি নানা কার্যক্রমে ব্যস্ত থাকেন। দেখতে দেখতে কয়েক হপ্তা কেটে যায়।
আবারও বাবলির সেই মাথাব্যথা শুরু হয় এক বিকেলে। বাবলু ভাই অবশ্য সেদিন ব্যবসার কাজে যাবেন চট্টগ্রাম, তিনি বাবলিকে এক পাতা প্যারাসিটামল কিনে দিয়ে পঙ্ক্ষীরাজ পরিবহনের বিলাসবহুল চেয়ারকোচে চড়ে বসেন। চট্টগ্রামে পৌঁছে দেখেন পূর্ণিমা রাত ঝকমক করছে। বিরহে কাতর হয়ে তিনি হোটেলে ওঠেন বাবলু ভাই। খাওয়াদাওয়া সেরে নিজের ঘরে পৌঁছে মোবাইলে ফোন করেন বাবলিকে, কিন্তু ফোন ধরে না বাবলি। কয়েকবার চেষ্টা করে বিফল হয়ে বাবলু ভাই বিমর্ষ মনে ঘুমিয়ে পড়েন।
পরদিন দুপুরের মধ্যেই কাজকাম সেরে বাসে চড়ে বসেন তিনি। একা একা ভাল্লাগে না তাঁর।
ঢাকায় ফিরে বাসায় ঢোকার পথে প্রতিবেশী কামাল সাহেব বাবলু ভাইকে দেখে চমকে ওঠেন, "এ কি বাবলু সাহেব, কোত্থেকে ফিরলেন ব্যাগট্যাগ নিয়ে?"
বাবলু ভাই হেসে বলেন, "চট্টগ্রাম গিয়েছিলাম গতকাল।"
কামাল সাহেব অস্ফূটে বলেন, "কাল রাতে আপনি বাসায় ছিলেন না?"
বাবলু ভাই বলেন, "না তো! কেন?"
কামাল সাহেব পাংশু মুখে বলেন, "না, কিছু না!"
বাবলু ভাই বলেন, "নিশ্চয়ই কিছু! কী হয়েছে বলেন দেখি!"
কামাল সাহেব আমতা আমতা করে যা বলেন তা শুনে বাবলু ভাইয়ের মাথায় বাজ পড়ে। গতকাল রাতে নাকি বাবলু ভাইয়ের বাসায় রাতের বেলায় প্রচন্ড গোলমাল হয়েছে। পুরুষ কণ্ঠে প্রবল গোঙানি আর চাপা গর্জন শোনা গেছে। রীতিমতো নাকি লোক জড়ো হয়ে গিয়েছিলো দরজার সামনে। ঘরের ভেতর অনেক ধুপধাপ আওয়াজ পাওয়া গেছে। পড়শীদের মধ্যে কেউ কেউ পুলিশে খবর দিতে চেয়েছিলো, কিন্তু বাকিরা রাজি হননি। কেউ বলেছিলো নতুন বিয়ে হয়েছে একটু আধটু শব্দ হতেই পারে, কিন্তু নারীকণ্ঠের কোন সাড়া না পেয়ে অনেকে ভয় পেয়েছেন। কেউ আবার বলছিলো, বাবলু সাহেব বৌ পেটানো শুরু করে দিলেন, এত জলদি জলদিই?
সব শুনে বাবলু ভাইয়ের মাথায় বাজ পড়ে। তিনি কামাল সাহেবকে রীতিমতো ধমকে দেন, "কী যে বলেন! আমার ঘরে পুরুষ! হয়তো বাবলি টিভি দেখছিলো!"
কামাল সাহেব বলেন, "হবে হয়তো।"
বাবলু ভাই ছুটে সিঁড়ি বেয়ে নিজের ফ্ল্যাটে উঠে যান। দরজায় বেল বাজাতেই বাবলি দরজা খুলে দেয়। "ও মা, চলে এসেছো!"
বাবলু ভাই ঘরে ঢুকে সন্দেহের চোখে এদিক সেদিক তাকান, কিন্তু অস্বাভাবিক কোন কিছু চোখে পড়ে না। সব ঠিকঠাক। নাহ, লোকগুলি তিলকে তাল বানাতেও পারে।
সেদিন রাতে বাবলু ভাই আবারও দুঃখ ভুলে যান।
তো, বাবলু ভাইয়ের সংসার চলতে থাকে। ব্যবসাও চলতে থাকে ভালোই। দিনের শেষে ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরে বাবলু ভাই বাবলির মিষ্টি হাসি দেখে আবার পুনরুজ্জীবিত হয়ে ওঠেন। তাঁর কিছু বন্ধু তাঁকে নানা শেকড়বাকলেরও সন্ধান দেয়। নানারকম ক্যাম্নেকী শেখায় তাঁকে গায়ে পড়ে। বাবলু ভাই সেসব বিদ্যা নানাভাবে চর্চার চেষ্টা করেন।
কয়েক হপ্তা পর এক বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়ি ফিরে বাবলু ভাই দ্যাখেন, বাবলির সেই ভয়ঙ্কর মাথাব্যথা শুরু হয়েছে। সে ভীষণ ক্ষেপে ওঠে বাবলু ভাইকে দেখেই। বলে, "আজকে আমি একা শোবো।"
বাবলু ভাই এবার প্রতিবাদ করেন। দুইদিন পর পর এসব একা শোয়ার এইসব কী জঘন্য আব্দার?
বাবলি তুড়ি মেরে বাবলু ভাইয়ের কথা উড়িয়ে দেয়। বলে, "চোপ! যা বোঝো না তা নিয়ে তর্ক করো না!"
বাবলি সন্ধ্যা হতে না হতেই দরজা লাগিয়ে শুয়ে পড়ে। বাবলু ভাই ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা ভাত-তরকারি বার করে গরম করে খেয়ে গোমড়ামুখে শুয়ে পড়েন।
সেদিন পূর্ণিমা। ঢাকায় তো জানালা দিয়ে চাঁদ দেখা বড় কঠিন, কিন্তু বাবলু ভাইয়ের শোবার ঘরে আবার দারুণ জ্যোছনা। আর বাবলু ভাই কি না একা একা শুয়ে আছেন অন্য ঘরে!
কিছুক্ষণ এপাশ ওপাশ করে বাবলু ভাই উঠে পড়েন। লুঙ্গিটা ভালো করে গিঁট মেরে গটগট করে তিনি নিজের শোবার ঘরে যান। গিয়ে কব্জা ধরে মোচড় দেন। ভেতর থেকে তালামারা।
বাবলু ভাই চটে ওঠেন। তিনি কাবার্ডের ড্রয়ার খুলে শোবার ঘরের চাবি বার করেন, তারপর সে চাবি দিয়ে ঘরের দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করেন।
ঘরে ঢুকে বাবলু ভাই বিছানার দিকে তাকিয়ে থতমত খেয়ে যান। ঘরের ভেতর প্রবল
জ্যোৎস্না, পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে সবকিছু। বাবলি বিছানায় শুয়ে ছটফট করছে, তার শরীর খিঁচুনি দিয়ে উঠছে ঘনঘন।
বাবলু ভাই কিছু বলতে যাবেন, এমন সময় তাঁর চোখের সামনে ঘটলো এক সেইরকম ঘটনা! বাবলির ছোটখাটো পেলব শরীরের ভেতর থেকে যেন জেগে উঠতে শুরু করলো একটা কিছু, তার পরনের গাউনটা পড়পড় করে ছিঁড়ে গেলো, গাউনের ভেতর থেকে বেরিয়ে এলো লোমশ কৃষ্ণকায় পেশী! বাবলির শরীর দৈর্ঘ্যেও যেন বাড়তে লাগলো, চাদরের নিচ দিয়ে বেরিয়ে এলো থ্যাবড়া এক জোড়া বিশাল পা, আর বালিশের ওপরে জেগে উঠলো ঘন ভুরুর নিচে একজোড়া জ্বলন্ত চোখ। বাবলির শরীর মুছে দিয়ে ভেসে উঠলো বিশালদেহী, রোমশ, কুৎসিত এক দেহ।
বাবলু ভাই আতঙ্কে ফুঁপিয়ে উঠলেন। সেই জীবটা এক ঝটকায় চাদর সরিয়ে দিয়ে লাফিয়ে নামলো বিছানা ছেড়ে, গোটা বাড়ি যেন কেঁপে উঠলো! এবার বাবলু ভাই দেখলেন, নারী নয়, জীবটা পুরুষ!
থপথপ করে পা ফেলতে ফেলতে জীবটা এগিয়ে এলো বাবলু ভাইয়ের দিকে। তার মুখ দিয়ে লালা গড়াচ্ছে।
বাবলু ভাইয়ের সামনে এসে জীবটা ভুরু কুঁচকে একবার তাঁকে দেখলো পা থেকে মাথা পর্যন্ত। তারপর তাঁকে ধরে ছুঁড়ে ফেললো খাটের ওপর!
দুলাল তো প্রায় খাবি খেয়ে মরে আর কি। বলে, "তারপর? তারপর কী হইলো?"
সবুজ ভাই মাথা নাড়েন। "তারপর যা হইলো তা অতি শরমের ব্যাপার, বলা যাইবো না। কিন্তু তার পরদিনই বাবলু মিয়া ডিভোর্সের এন্তেজাম কইরা ফালাইলো। কাবিন, খোরপোষ নিয়া একটা গন্ডগোল হওয়ার সম্ভাবনা ছিলো নাকি, কিন্তু বাবলু শাশুড়িকে ব্যভিচারের মামলার ভয় দেখাইয়া ঠান্ডা করছে। তাছাড়া তার কেন জাইনাশুইনা বাবলুরে এমন মাইয়ার সাথে বিয়া দিলেন এইটা নিয়া বাবলু বিস্তর গালাগালি করছে নাকি।"
দুলাল বলে, "হ, তাই তো! ফাইজলামি নাকি? পূর্ণিমা রাইত হইলেই ঘরের বউ ফাইটা পুরুষ বাইর হইবো, এইটা একটা কথা? চান্দে চান্দে গোয়ামারা খাইয়া কেউ সংসার করতে পারে?"
আমি বলি, "মায়াপুরুষ! কী ভয়ঙ্কর!"
সবুজ ভাই গম্ভীর হয়ে সিগারেটে টান দেন। বলেন, "কাহিনীর অন্য পিঠের কথা তো ভালো জানি না। বাবলির বাপ তো বলে যে জামাই নাকি ডাইলখোর দেখে বাবলি নিজেই ডিভোর্স দিয়া দিছিলো। ... তবে বাবলির সাথে তার পুরান বয়ফ্রেন্ডের নাকি তার পরের সপ্তাহেই আবার বিয়া হইয়া গেছিলো। ঐদিন রসুন্ধরা মার্কেটে দেখলাম দুইজনরে। বাবলির জামাই দেখতে ভয়ানক! কাউলা, সারা শরীরে লোম, সাড়ে ছয়ফুট লম্বা! পুরা দৈত্য!"
দুলাল খাবি খায় আবার। "আরে কন কী ...?"
(শেষ)
মন্তব্য
একদফা একদাবি
ফাঁসি চাই দিতি হবি!
হাঃহাঃহাঃহাঃ
ভালই কইছেন!
তোমার সুরে সুরে সুর মেলাতে
কাহিনী কোনদিকে যাইবো, বুঝন টাফ।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
কাহিনী এখনও বনতাছে।
হিমুও জানে না কই যাইবো।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
আব্বে !!
______ ____________________
suspended animation...
এইটা নিয়ে কয় নম্বর?
-----------------------------------
'আমি ও অনন্তকাল এইখানে পরস্পর বিস্ময়ে বিঁধে আছি'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আপনারে চান্দা তুলে জিলিপি খাওয়ানো হবে।
তাত্তাড়ি শেষ করেন তো। এইরকম আধাগল্প হলে চলবে?
আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
আব্বে হিমু খতম কর, নাইলে মায়াপুরুষ কিন্তু তোরে মায়া দেখাইতে আইসা পড়ব।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
শেষ।
হাঁটুপানির জলদস্যু
বসছিলাম সারা টার্ম ফেলে রাখা ডি এস পি প্রজেক্ট এর কাজ নিয়ে। তা সচলে ঢুকতেই চোখে পড়ল "মায়া পুরুষ" ।পইড়া হাসতে হাসতে আমার এখন প্রজেক্টের কাম করার শক্তি শেষ।
"চান্দে চান্দে গোয়ামারা খাইয়া কেউ সংসার করতে পারে?"
এই লাইন পইড়া আমার পেট ব্যাথা হয়া গেসে।
এর জন্য লেখকের বিচার হওয়া দরকার।
-----------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আরেব্বাস! এই জন্যই বলি সবাইকে, নিজের বিয়ের ব্যবস্থাটা নিজেরাই করে নেন, পরমুখাপেক্ষি হলে ঝামেলা আছে!
ব্লগস্পট | অর্কুট | ফেসবুক | ইমেইল
এক্কেরে মাস্টারপিস!! এইটা আঁচড়ের বাবা হইসে! হাসতে হাসতে খবর হয়ে গেল!!
মুহাহাহাহাহা......
এইটা অনেক ভালু...।
-------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
হা হা হা হা
এইটা খাসা !
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
----------------------------
ইহাসনে শুষ্যতু মে শরীরং
ত্বগস্থিমাংসং প্রলয়ঞ্চ যাতু।
অপ্রাপ্য বোধিং বহুকল্পদুর্লভাং
নৈবাসনাৎ কায়মেতৎ চলিষ্যতি।।
- ললিতবিস্তর
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
চান্দে চান্দে...............এলমাও
^:)^^:)^^:)^^:)^^:)^^:)^^:)^^:)^^:)^^:)^^:)^^:)^^:)^^:)^
facebook
এইটা এতদিনে পড়লেন?? নাকি টাইটেলে "পুরুষ" দেখেই ফিল্টার করে বাদ দিয়ে চলে গেছেন... কই না কই ঘুরেন মিয়া... চানরাইতে সাবধানে থাইকেন...
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নতুন মন্তব্য করুন