দেশ এ যখন ধারাবাহিক প্রকাশিত হচ্ছিলো, তখন কয়েকটি টুকরো পড়েছিলাম, কিন্তু বই পড়ার আনন্দ তাতে পাওয়া যায় না। ইতিহাসবিৎ তপন রায়চৌধুরীর ঝরঝরে লেখনীতে সমাজবীক্ষণ বাঙালনামা পড়ে ভালো লাগলো। ইতিহাস আমার প্রিয় বিষয় (বই কোলে নিয়ে পড়ার জন্যে), সে কারণে ইতিহাসের গবেষণা নিয়ে বিভিন্ন দিক আলোচিত হয়েছে বলে বাঙালনামা পড়ে আনন্দ পেয়েছি।
দেশবিভাগের শিকার রায়চৌধুরী পরিবারের বরিশালের কীর্তিপাশার জমিদারিত্বের সায়াহ্নকালের পাশাপাশি কলকাতায় অভিবাসী জীবনের সংগ্রামের চিত্র, দিল্লি ও লন্ডনে লেখকের কর্মজীবনের বিচিত্র অভিজ্ঞতার পাশাপাশি আরো কিছু মূল্যবান বক্তব্য যোগ হয়েছে বইটিতে। গবেষণা নিয়ে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি এবং কোন একটি উদ্যোগের বিপরীতে ঈর্ষাণ্বিত ছোটমানুষদের সমষ্টিগত হিংসিত আচরণ, এ দু'টি নিয়ে প্রবীণ অধ্যাপক বারবার মন্তব্য রেখেছেন।
বাঙালনামা পড়ে আমার মনে হয়েছে, বাংলাদেশে শিক্ষাপরিবেশ বড় বিচ্ছিন্ন, যেন এক দ্বীপের মধ্যে আমরা ক'জন বিদ্যার্থী। নিজেকে মূল্যায়নের একটি পদ্ধতি হলো অন্যের চোখে নিজেকে দেখা, সে সুযোগটি থেকে আমরা বঞ্চিত। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বিভিন্ন এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম আরো উৎসাহিত করা উচিত, যাতে আমাদের তরুণ শিক্ষকরা ভিনদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে, এবং ভিনদেশের তরুণ শিক্ষকরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পাঠদান প্রক্রিয়ায় নিয়োজিত হতে পারেন। এতে লাভবান হওয়ার সুযোগ আমাদের রয়েছে।
মন্তব্য
কিছুটা অপ্রাসঙ্গিকভাবে অনুরোধ করছি মুহাম্মদ জুবায়ের ও তীরন্দাজকে। তাঁরা এমন একটি সময় দেখেছেন, যা আমরা দেখার সুযোগ পাইনি। সত্তরের দশক নিয়ে তাঁরা যদি তৎকালীন বাংলাদেশের সমাজবীক্ষণধর্মী কোন ধারাবাহিক শুরু করেন, সচলায়তন অনেক সমৃদ্ধ হবে। তীরন্দাজ অত্যন্ত সুপাঠ্য একটি সিরিজ লিখেছিলেন অতীতে, তাঁর প্রবাসগমন ও যাপন নিয়ে, অনুরোধ রইলো সিরিজটি সচলেও যোগ করার। ধন্যবাদ।
হাঁটুপানির জলদস্যু
অনুরোধটি আগেই জানিয়েছেন। কীভাবে লিখবো তা এখনো ভেবে ঠিক করে উঠতে পারিনি। তবে লিখবো।
প্রাসঙ্গিক কথা বলি, তপন রায়চৌধুরীর আরো দুটি উল্লেখযোগ্য বইয়ের নাম দিই। এখনো না পড়ে থাকলে রোমন্থন অথবা ভীমরতিপ্রাপ্তর পরচরিতচর্চা আপনার জন্যে অবশ্যপাঠ্য। আরেকটি বই ইয়োরোপ পুনর্দর্শন। এই বইটি অবশ্য আমার পড়া হয়নি, হাতে পাইনি বলে। প্রচুর সুনাম শুনেছি।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
আমিও একমত। ইউরোপে তো ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এখন এই ধরনের এক্সচেন্জ প্রোগ্রামের জয়জয়কার। ইরাসমুস এবং অন্যান্য স্কলারশিপের অধীনে এক বছর অন্য দেশে থেকে ভাষা শিক্ষা ও বিভিন্ন অভিজ্ঞতা সংগ্রহ করে আসাটা একটি ট্রেন্ড হয়ে গেছে। বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রীদের দৃষ্টিভঙীতে বৈচিত্র আনার জন্য এটি খুবই দরকারী কিন্তু এরকম সুযোগ তারা কবে পাবে এ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
××××××××××××××××××××××××××××××××××
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
এ ধরনের এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম যদি সরকারী উদ্যোগেও চালু হয়, দেখা যাবে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ব্যাপক দুর্নীতি আর স্বজনপ্রীতি ঢুকে গেছে। রাজনৈতিক চাপ কাজে লাগিয়ে অযোগ্য ছাত্ররা শিক্ষক হয়ে যাচ্ছে দেদারসে, আর এ তো এক এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম।
কিছু বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঠিক এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম না হলেও একতরফা প্রতিনিধি পাঠানোর ব্যবস্থা আছে স্বল্প সময়ের জন্য, তবে সেখানেও নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ, বড় আমলা বা ব্যবসায়ীর পুত্রকন্যা সেখানে যদি শিক্ষক হয়ে ঢোকে তাহলে তো আর কথাই নেই।
হাঁটুপানির জলদস্যু
এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে আমাদের সাথে কে আসবে?
একটা তথ্য দেই।
এবছর আন্তর্জাতিক স্কাউট জাম্বুরিতে ২৫০ জনকে ইংল্যান্ড যেতে দিয়েছিল,৬৫ ভাগের কোন খবর নাই।জাম্বুরিতে যাওয়া দূরের কথা,হিথ্রো থেকে মিসিং।
আর বাকি থাকলো সার্কের বিভিন্ন দেশে এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম।সেটিকে বোধহয় উৎসাহিত করা উচিত।
-----------------------------------
কিস্তিমাতের যুদ্ধ শেষে,সাদাকালো ঘুটিগুলো এক বাক্সেই ফেরত যাবে...
হুমমম, সমস্যা। একেবারে বদলাবদলি হয়ে যেতে চায়। এর আগে কমনওয়েলথ গেমসে তৌহিদুল নামে সেনাবাহিনীর এক দৌড়বিদ "হারিয়ে" গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ায়।
নির্বাচন প্রক্রিয়ার সমস্যা।
হাঁটুপানির জলদস্যু
একটা ভালো এক্সচেইঞ্জ প্রোগ্রাম আছে দৃক'এর। তারা প্রতিবছরই নরওয়েতে পোলাপাইন পাঠায় আবার নরওয়ে থেইকা ভালোই ফটোগ্রাফি শিক্ষার্থী আসে বাংলাদেশে...ঐ প্রোগ্রাম থেইকা যদ্দূর জানি আজতক কোন পালাইয়া যাওনের ঘটনা ঘটে নাই...
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
সঠিক নির্বাচন (পাত্র আর আধার দুইই) ...
হাঁটুপানির জলদস্যু
তপন রায়চৌধুরীর লেখা বাঙালনামার কিছুটা অংশ আমিও পড়েছি দেশ পত্রিকায় । পুরো বইটি পড়ার ইচ্ছা আছে ।
নতুন মন্তব্য করুন