দিনে কতটুকু সময় এখন ব্লগের পেছনে ব্যয় করি?
অফিসে গড়পড়তা ৪ ঘন্টা ব্যয় করি ডেস্কে। এ সময়টা নিজের কাজের ফাঁকে মাঝে মাঝে যে ব্লগে উঁকিঝুকি মারতে খানিকটা ব্যয় হয় না, তা নয়, কিন্তু তা কাজ থেকে স্বল্পকালীন ছুটি নেয়ার জন্যেই। এটাকে তাই হিসেবে ধরবো না।
কিন্তু বাড়ি ফেরার পর থেকে ঘুমোনোর আগ পর্যন্ত দিনে ছয় ঘন্টা ব্লগ খোলা থাকে চোখের সামনে।
ছয় ঘন্টা! জেগে থাকা জীবনের ৩৩%!
অন্যভাবে চিন্তা করলে, এই ছয় ঘন্টা আর কিভাবে ব্যয় করতে পারতাম? টিভি দেখায়, গান শোনায়, বই পড়ায়, ফোনে কথা বলায়, নেটে আড্ডা মারতে, ঘরের কাজ করতে, কোন কিছু খেলতে, কোন কিছু শিখতে, কারো সাথে সময় কাটাতে?
ব্লগ তাহলে অনেক অনেক কিছুর বিকল্প হয়ে দখল করে নিয়েছে আমার জীবনের তিন ভাগের এক ভাগ। এ কারণে ব্লগের কাছেও আমার চাওয়া অনেক।
আমি চাই আরো বেশি পাঠক আমার লেখা পড়ুন। আমি চাই আরো বেশি পাঠক তাঁর প্রতিক্রিয়া লিখিত আকারে রেখে যান।
আমার ব্যয়িত তিনশো ষাট মিনিটের বিপরীতে প্রতি পাঠক যদি দশ মিনিটও ব্যয় করেন আমার ব্লগের পেছনে, "সমানে সমান" হতে গেলে কমপক্ষে ছত্রিশ জন পাঠক আমার প্রয়োজন। এ ছত্রিশ জনের মধ্যে অন্তত আঠারো জনের উচিত ব্লগ পাঠ করে তাঁর প্রতিক্রিয়া আমাকে জানানো (যদি সুযোগ থাকে)। এ আঠারোটি মন্তব্যের মধ্যে অন্তত ন'টি মন্তব্য আমাকে নতুন করে ভাবিয়ে তুলুক আমার পোস্টে আমার প্রস্তাবনাকে (যদি থাকে)। ন'টি মন্তব্য থেকে পাঁচটির উচিত আমাকে নতুন লেখার খোরাক যোগানো। পাঁচটির মধ্যে অন্তত তিনটি মন্তব্যের উচিত পরস্পরের সাথে সমন্বিত হবার।
তাহলে আমি তিনশো ষাট মিনিট ব্লগে কাটিয়ে তিনটি নতুন পোস্টের ভাবনা নিয়ে পরের দিন বসতে পারি। এ তিনটি লেখার অন্তত একটি লেখা আমার শেষ করা উচিত।
এভাবে যদি সত্যি চলতো সব কিছু, তাহলে রোজই কিছু না কিছু লিখতে পারতাম। কিন্তু হায়, নীরব পাঠক, আপনি এত বদ, কিছু বলেন না। শুধু পাঠ করে কেটে পড়েন।
মন্তব্য
ব্লগ জীবনের বহু সময় দখল করে নিচ্ছে। ঠিক। আর যা দিচ্ছে প্রতিদানে তা কি পর্যাপ্ত? ভাবার বিষয়।
পাঠকের কাজ হইলো তাগাদা দেওয়া। দিলাম...
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
ভাবা যায় ।
সেই সাথে এই ও ভাবা যায়-ব্লগ ছিলোনা যবে,সেই জীবনে কতোটুকু কি করেছিলাম?
-----------------------------------
'পড়ে রইলাম বিধির বামে,ভুল হলো মোর মুল সাধনে'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
বস, আপনি পাঠকের স্কন্ধে যে গুরুভার তুলিয়া দিয়াছেন তাহাতে তো ভবিষ্যতে মন্তব্য করিতে সাহস হইবে না। ডিসক্লেইমার দিয়া রাখি- আমি সাধারণ পাঠক। পড়ি নিজের তৃপ্তির জন্য। আপনার চিন্তার খোরাক জোগানোর ক্ষমতা ঈশ্বর আমাকে দেননি।
_______________________________________
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
মন্তব্য করে তৃপ্ত হোন :)।
হাঁটুপানির জলদস্যু
iহাসান মোরশেদ যে কথা বললো তা নিয়ে পরের লেখাটা লিখবো।
তবে আপাতত: হিমুর মূল বক্তব্যের জোর সমর্থন জানাচ্ছি। এরকম একটা কিছু ওই বাড়িতে লিখেছিলাম বলে কেউ কেউ (বিশেষত: সুফি) প্রশ্ন তুলেছিল আমি কি মন্তব্যের কাঙাল।
যাক হিমু প্রায় একইরকম করে বললো।
অলস পাঠকেরা সরস হোক সচলে।
-----------------------------------------------
গাধারে সাবান দিয়া গোসল দেয়ানোটা গাধাপ্রীতির উজ্জ্বল নমুনা হতে পারে; তবে ফলাফল পূর্বেই অনুমান করা সম্ভব, গাধার চামড়ার ক্ষতি আর সাবানের অপচয়।
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
মন্তব্য আর পাঠক না থাকলে লেখার দরকার কি? মনে মনে গল্প করলেই হয়। লেখা মানেই পাঠকের জন্য, সুতরাং মন্তব্যের কাঙাল তো সবাই তাহলে, শুধু স্বীকার করার মতো সৎসাহস সবার নেই।
সামহোয়্যারে লগ-ইন করা অবস্থায় অন্য কারো ব্লগে গেলে পায়ের ছাপ থেকে যায়। ব্লগার জানতে পারেন কে কে এসেছিলেন। আমার পাতায় এমন দু'একজন ভিজিট করেছেন যাদের সামনে পেলে বলা যেতো 'মেরে অঙ্গনেমে তুমহারা কেয়া কাম হ্যায়?'
সচলায়তনে এখন পর্যন্ত পায়ের ছাপ রেখে আসতে হচ্ছে না বলে চুরি করে পড়ে আসি। কখনো মন্তব্য করা হয়, কখনো হয় না। সময়ের টানাটানি, আলস্য ছাড়াও লেখা পছন্দ না হলে বলতে বাধে (এই শেষেরটা কেউ কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন বলে দেখলাম না)।
এখন হিমুর হিসাব-নিকাশ পড়ে বিবেকে কামড়াচ্ছে। বলে রাখা ভালো, এই হিসেবে আমারও পুরো সায় আছে।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
বেশি বেশি লিখেন, বেশি বেশি মন্তব্য লিখবো
আরে! কী বললাম? বেশি বেশি মন্তব্য করলে তো ঠ্যালাই পড়েই বেশি বেশি লিখবো! এমন মন্তব্য-মাক্ষিচুস হলে কি হয়, বলেন?
হাঁটুপানির জলদস্যু
বটে! বটে!
-------------------------------------
রামছাগলের সামনে, খচ্চরের পেছনে আর নিবোর্ধের ধারেকাছে না থাকাই শ্রেয়!
কি মাঝি? ডরাইলা?
এই সব ধুন-ফুন বাদ দিয়া একটা ভাল কিছু ছাড়ো। অনেকদিন ধরেই তোমার গল্পের নায়িকাদের নগ্ন মৃতদেহ দেখা/পড়া হচ্ছে না।
প্রতিটা লেখাই মন দিয়ে পড়ি। মন্তব্য না করে কেটে পড়ি বলতে কি বোঝাতে চাইতেছ মিয়া?
__________
কি মাঝি? ডরাইলা?
আর কমেন্টকারী পাঠকদের মাঝে একজন থাকা উচিত পিঠ চুলকানোর জন্য।আমি সেই কাজটি করলাম।
-----------------------------------
কিস্তিমাতের যুদ্ধ শেষে,সাদাকালো ঘুটিগুলো এক বাক্সেই ফেরত যাবে...
চুলকানো শব্দের সঠিক অর্থ কি(জে.আ)বস? যেখানে চুল আছে সেখানে হাত বুলানো?
তাহলে আপনি ওর পিঠের দায়িত্ব নিন, হিমুর বউ নিবে ওর মাথার দায়িত্ব এবং ছাগুকে অন্যকোন জায়গার দায়িত্ব দেয়ার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি।
__________
কি মাঝি? ডরাইলা?
এই বিষয়ে সূফীবানীর জন্য অপেক্ষা করুন।উনি ভুমিকা হিসেবে মানুষের মগজ নিয়ে একখান অর্ধেক লেখা নাজেল করেছেন।
-----------------------------------
কিস্তিমাতের যুদ্ধ শেষে,সাদাকালো ঘুটিগুলো এক বাক্সেই ফেরত যাবে...
সচলায়তনে তো সবাই নতুন :)।
অলৌকিক ভাই, পুরনো নতুন নিয়ে কোন ধরনের বিভাজন আসলে নাই। লেখার পিঠে মন্তব্য পড়বেই। শুরু করুন।
পিঠ চুলকানো মন্তব্য আসলে কেউই ভালোবাসেনা। আপনার ভালো লাগার কথাটা জেনে আমার ভালো লাগে, কিন্তু সেই ভালো লাগার কথা শেষ হবার পরও আমি চাইবো আপনার কোন উপলব্ধির কথা জানতে। হয়তো আমার একটা সাধারণ লেখা আপনার কোন অসাধারণ উপলব্ধি জাগিয়ে তুলতে পারে। আপনি কেন তা আমাকে জানাবেন না, বলুন?
হাঁটুপানির জলদস্যু
মাঝি তো রীতিমতো ডরাইলো! এই দ্রোহী তো লোক ভালো না।
হাঁটুপানির জলদস্যু
আমার কেন জানি মনে হয়, সুফীসাহেবের সব আইডিয়াই কোথাও না কোথা থেকে ধার করা। কয়েকটা লেখা পড়ে মনে হয়েছে এটা আগে কোথাও পড়েছি। যদিও লেখার ভঙ্গিতে ধরার উপায় নেই তেমন একটা। তিনি অনেকটা ধূর্ত শিয়ালের মত! তেনাকে আমার খুব ভয় লাগতো, তাই আমি পারতপক্ষে তেনার সাথে কোন ধরনের মন্তব্য চুলকাচুলকিতে যাইনি কখনো।
__________
কি মাঝি? ডরাইলা?
খাইছে।
কাইলকার ৩ টার অপেক্ষায় রইলাম...
না দিছেন ত বুইঝেন...
দৃশা
- সাব্বাশ
_________________________________
<স্বাক্ষর দিমুনা, পরে জমিজমা সব লেইখা লইলে!>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আরেকটা কথা।
কেবল যে লেখাটা পড়ি তাতো না, মন্তব্যগুলোও পড়ি।
এই লেখাতো আমি আগেই পড়েছি। শুধু নতুন মন্তব্যগুলো পড়তে আবার ঢুকলাম। কিন্তু পড়লাম সব মন্তব্যই এবং লেখার কিছু কিছু অংশ।
-----------------------------------------------
গাধারে সাবান দিয়া গোসল দেয়ানোটা গাধাপ্রীতির উজ্জ্বল নমুনা হতে পারে; তবে ফলাফল পূর্বেই অনুমান করা সম্ভব, গাধার চামড়ার ক্ষতি আর সাবানের অপচয়।
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
ব্লগ বিষয়টা আমার কাছে নতুন। মাত্র মাস তিনেক হল এর সাথে পরিচয়। প্রথম যাই সামহোয়ার এ কিন্তু পরিবেশ একদম ভাল লাগেনি তাই আর বেশী যাওয়া হয় না। কিভাবে যে সচলায়তন এর খোঁজ পেলাম তা আজ আর মনে নাই তবে ব্লগ পড়াটা নেশার মত হয়ে গেছে। অফিসে এসেই ঢু মারি সচলায়তনে। পড়ি সবার লেখা। খুবই ভাল লাগে। ইন্টারনেটে যে বাংলা পড়তে পারবো তা কখনও ভাবিনি। আর আজ তিনমাস পরে হিসাব করে দেখলাম গড়ে দিনে আমি সচলায়তনে থাকি ৪ঘন্টা করে। আমি লেখক না, পাঠক । পাঠ করতেই ভাল লাগে বেশী। আজ সচলায়তনের কারণে বেশকিছু ব্লগার কে মনে হয় অতি আপন অতি চেনা। আপনারা লিখে যান, আমার মনে হয় আমার মত বহু পাঠক আছেন আপনাদের সাথে।
রবিন
ফাঁকিবাজি পাঠকও কিন্তু স্ট্যাটিসটিকাল আরাম দেয়! ওইভাবে সে তার পায়ের ছাপ রেখে যায়!
আজ সেই সন্ধ্যা থেকে আপনার লেখা পড়ছি । এখন রাত ১১ টা বাজে । আজকের মত বিদায় । আগামীকাল আবার শুরু করবো । লেখাগুলর সাথে সাথে মন্তব্যগুলোও বেশ মজার ।
জেসমিন পলাশ ।
নতুন মন্তব্য করুন