একুশে টিভিতে শাহ আবদুল হান্নানের সাক্ষাৎকার

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: মঙ্গল, ৩০/১০/২০০৭ - ১:৪৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জামায়াতে ইসলামীর লোকেরা তার বন্ধু, এ কথা সে বলেছে। জামায়াতের মুজাহিদের সাথেও সে একমত, দেশে যুদ্ধাপরাধী নেই। হামুদুর রহমানের রিপোর্ট সে ইগনোর করতে পারে না। ১৯৭১ সালে সে কি ঘুমাচ্ছিলো কি না কে জানে, সে নাকি এনসাইক্লোপিডিয়া পড়ে জানতে পেরেছে তখন সিভিল ওয়ার হয়েছিলো। ১৯৭১ সালের ব্যাপারটা নাকি ভারত পাকিস্তানের মধ্যে হয়েছিলো।

এই লোক বাংলাদেশ সরকারের সচিব ছিলো। দেশটার এই অবস্থা কিভাবে হয়েছে শাহ আবদুল হান্নানদের দেখে বোঝা যায়।

তবে নিজেকে জামায়াতের মুখপাত্র বলতে লজ্জা পায় লোকটা। জামায়াতের মুখপাত্র হওয়া যে ভালো দেখায় না, বোধহয় বুঝেছে। কে-ই বা চায় তাকে খুনী, ধর্ষক, পাকি সেনাদের চামচা বাহিনীর মুখপাত্র বলা হোক?

দেখেন এক এক করে।


মন্তব্য

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

দ্বিতীয় অংশের শেষে এসে গালি দিয়ে বসেছি দেখে আমার স্ত্রী ছুটে এসে শুধোল কি হয়েছে? কি বলব ভাষা খুঁজে পেলাম না। দাঁতে দাঁতে চেপে তৃতীয় খন্ড দেখছি। আমি ভাবছি স্টেজে বসা লোকগুলো ব্যাটাকে মেরে বসেনি কেন? সচলায়তনের কয়েকজন ছিলেন বলেই তো মনে হল।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

হযবরল এর ছবি

যাক দিয়ে দিয়েছিস।

এই সাক্ষাৎকার শুনবার পর মনে হলো, বিশ্বকোষের সহায়তায় তথ্য লুকোনো প্রকল্পে হাত দিয়েছেন, প্রাক্তন সচিব। কতবড় জোচ্চোর হলে লোকে এক পেট হাগবার পর বলতে পারে,
'' বায়োলজিতে পড়েছিলাম, মানুষের হাগা মুখ দিয়ে বেরোয় না, গুহ্যদ্বার দিয়ে বেরোয়।''

হযবরল এর ছবি

ফারুক ওয়াসিফ আর বিপ্লব রহমান ছিলেন।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

শেষমেষ একটা কথাই মনে হল, "ছাগল কোহানকার!"
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

হযবরল এর ছবি

লোকটা নিজের অবস্থানে এতটাই, টালমাটাল যে স্পষ্ট ভাষায় বলতে পারলো না,
'সে এটাকে গৃহযুদ্ধ মনে করে'
এজন্য আমতা আমতা করে বলেছে আমি বিশ্বকোষ পড়ে জেনেছি। আরে ব্যাটা বৃষ্টির মধ্যে খাড়াইয়া তুই আবহাওয়া রিপোর্ট দোহাই দেছ কোন আক্কেলে।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

সবগুলা ছাগলের প্যার্টান কিন্তু এক রকম। ডকুমেন্ট কই, সার্ভে কই, অমুকে অমুক বলছে, আমি নিজে দেখি নাই - এইসব।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

সৌরভ এর ছবি

কী আর কবো?
এই ছাগলগুলানরে টিভিতে হাজির করে কোন ছাগলে?



আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

কনফুসিয়াস এর ছবি

রাগে আমার গা জ্বলতেছে!!
আচ্ছা, মামলা করার সিস্টেম কি? মামলা করে না ক্যান কেউ? উদ্যোগ নেয়া যায় না কোন?

-----------------------------------
যা দেখি তা-ই বলি...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এগুলারে লাইভ গণপিটুনি দেয়া উচিত।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

সেকি সবাই এতো উত্তেজিত কেন?
এর আগে কেউ এই কায়দার ব্যাখ্যা ও বয়ান শুনেন নাই নাকি?

ভার্সিটিতে থাকতে আমি গ্রন্থকেন্দ্র কেন্দ্রিক একটা সাহিত্য-আসরে যাইতাম। তাতে পাকিস্তানের পেয়ারা কিছু অবসরপ্রাপ্ত সরকারী লেখক-কবি আসতেন। তাদের অনেক গল্প-ইতিহাস-ব্যাখ্যা মুখ বন্ধ করে শুনতাম, আর বুঝার চেষ্টা করতাম পরাজিতের সাইকোলজি। (তখন নোট রাখলে একটা ভালো বই হতে পারতো।)

পরাজিত শক্তিরাও একটা উপায় খুঁজে নিজেদের কর্মকান্ডকে ঠিক বলে ব্যাখ্যা দেয়ার। এইটুক পজিটিভ ব্যাখ্যা ছাড়া নিজের জীবন থাকে কি করে, মৃত্যু অবধারিত।

খেয়াল করে দেখেন জনপ্রিয় দল মুসলিম লীগ কীভাবে নীরবে মৃত্যু বরণ করলো। মুসলিম লীগের মৃত্যুর কারণ তার মূল থিসিস ছিল পাকিস্তান। সেই জায়গা থেকে বাংলাদেশের বাস্তবতায় তাদের আর প্রয়োজনীয়তা থাকলো না। তরুণ ও নতুন প্রজন্ম মুসলিম লীগে আগ্রহ দেখালো না। (তবে অনেক বছর পর পুনর্জন্ম হতে পারে একটা কাল্ট হিসেবে, যেমন নাজিদের ক্ষেত্রে হয়েছে।)।

কিন্তু জামায়াতে ইসলামী দল হিসেবে নিজেদের জন্য নতুনতর ব্যাখ্যা হাজির করে যাচ্ছে, পরিস্থিতি বুঝে। তারা পাকিস্তান নয় ইসলামী হুকুমতকে তাদের লক্ষ্য হিসেবে নির্ধারণ করেছে।

মুসলিম লীগের রাজনৈতিক পরাজয় ও মৃত্যু হয়েছে।
কিন্তু জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান ভিন্ন। তারা জাতির সংবিধান, রাজনৈতিক পরিবর্তন ইত্যাদির নানা ফাঁক-ফোঁকর, রাজনৈতিক দলাদলির সুযোগ গলে নিজেদেরকে জিইয়ে রেখেছে।

বৃহত্তর জাতি-অংশকে ঠিক করতে হবে এই রাজনৈতিক-গোষ্ঠীর ভবিষ্যত সম্পর্কে তারা কী সিদ্ধান্ত নেবেন।
-----------------------------------------------
খড়বিচালি জোগাড় করি, ঘর বানাবো আসমানে

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ডেইলী স্টারে এটা পড়েছিলাম। সময় করে ভিডিওটা দেখে নেব।

অভিজিৎ এর ছবি

লেখাগুলো অপবাকের ব্লগেও লিখেছিলাম, এখানেও লিখছি।

হান্নান পুরানা পাপী। ইন্টারনেটের বিভিন্ন ফোরামে খুবই এক্টিভ। ইসলামের খোলসে জামাতী প্রোপাগান্ডা ছড়ানোতে তার তুলনা নেই।
যারা শাহ আব্দুল হান্নানকে চেনেন, তারা জানেন যে, খুব পরিচিত জামাতী সিম্প্যাথাইজার। বলা যায় জামাতের থিংক ট্যাঙ্ক। ভদ্রলোক ইসলামী ব্যাঙ্কের চ্যায়ারম্যান ছিলেন। বাংলাদেশকে শারিয়আ ভিত্তিক রাষ্ট্রে পরিণত করার ক্ষেত্রে একজন নিবেদিত কান্ডারী।

সম্প্রতি মুক্তমনায় হান্নান সাহেবকে বাধ্য করা হয়েছিল "জামাত কি একটি গণতান্ত্রিক দল" শীর্ষক বিতর্কে অংশ নিতে। হাসান মাহমুদের সাথে শাহ হান্নান সাহেবের বিতর্কের ফলাফল নিজেই যাচাই করে দেখুন ঃ

IS JAMAT DEMOCRATIC? -A debate between S A Hannan and Hasan Mahmud (Fatemolla)

গতকাল ডেইলি স্টারে হান্নান সাহেবের বক্তব্যের সমালোচনা করে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে ঃ Well said, your honour

এ ছাড়া মুক্তমনাতেও প্রকাশিত হয়েছে কিছু প্রতিক্রিয়া ঃ
১) 1971: A civil war or a liberation war? A response to S A Hannan -- Jahed Ahmed

২) S A Hannan's impudence! ---- A H Jaffor Ullah ইত্যাদি।

==============================
পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)


পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)

অপালা এর ছবি

আমার ধারনা, ওরা কোনঠাসা হয়ে পড়েছে,ওদের টিকে থাকতে হবে।আর টিকে থাকার শেষ শব্দটাই তারা ব্যব হার করেছে।এই যাত্রায় টিকে গেলে, ওরা টিকে গেল, ওদের অবস্থান শক্ত হল।কথাটা মার্কেটে চলে আসলো।তারা তাদের আদর্শে থেকেই এই দেশে রাজনীতি করতে পারবে। আর যদি টিকতে না পারে,তবে অন্য পথ খুলবে তাদের সাথীরা।

আর এই কথা বলার জন্য তারা এি সময়টাই বা কেন বেছে নিল, এটা ও ভাবতে হবে।ভাবতে হবে সরকার কেন চুপ।জন গন চিল্লাবে, কিন্তু কোন দায়িত্ব নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে যাবে না।এমন কি যার বাবা , মা , ভাই বোন মরেছে তারা ও না।

চয়ন এর ছবি

নির্বাচনই যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একমাত্র দ্বায়িত্য হয় এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যদি হয় তাদের এখতিয়ারের বাহিরে, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রনও তাহলে তাদের দ্বায়িত্য নয়। টেলিফোনে অভিযোগকারীর বক্তব্যকে ভিত্তিহীন ও হাস্যকর প্রতিষ্ঠিত করার জন্যে শাহ আবদুল হান্নান সত্যি সত্যি যেভাবে জোরে আওয়াজ করে হাসলেন, তাতে খুব আশ্চর্য হয়েছি। টিভি-র নানা অনুষ্ঠান দেখে তাকে একজন শিক্ষিত এবং ইসলামী চিন্তাবিদ হিসাবে জানতাম। একজন সাবেক সচিব হিসেবে এবং তার অতিতের ধীরস্থির বক্তব্য শুনে, একরকম উচ্চ ধারনাই ছিলো তার সমন্ধে। স্পষ্ট এবং সরাসরি কথা বলতেন তিনি। কিন্তু এই আলোচনায় তার অস্থিরতা এবং ঘুরিয়ে কথা বলার প্রবণতা দেখে অবাক হয়েছি। আমার জানা ছিলো না যে তিনি ইসমালী ব্যাংকের চেয়ারম্যানও ছিলেন। আমার জানা মতে আই.টি. ডিপার্টমেন্ট ছাড়া, এই ব্যাংকের কোন পদে শিবির অথবা জামা'ত সদস্যদের ছাড়া কাঊকে চাকুরি দেয়া হয় না এবং কদাচিৎ বিশেষ বিবেচনায় জামা'তের উচ্চপদস্থ কোন নেতার সুপারিশে চাকুরি দেয়া হয়। এতদ স্বত্তেহ একদিকে নিজেকে জামা'তের সাথে জড়িয়ে না কথা বলার আহবান, অন্যদিকে জামা'তের সবকাজকে সমর্থন করা- তার কাপুরুষোচিত চরিত্রকে প্রতিষ্ঠা করেছে। যদিও এই জাতীয় লোকেরা এখন তাদের জীবনের শেষপ্রান্তে, তবূও আমাদের এদের ব্যাপারে সজাগ থাকা দরকার। এরা মরণকামড় দেবার জন্যে সদা প্রস্তুত...

অতিথি এর ছবি

ভিডিওগুলোর লিংক কাম করে না।

নতুন লিংক http://www.youtube.com/profile?user=shakilabd

মন মাঝি এর ছবি

এই ব্যাটা ২১শে আগস্ট বোমা হামলার জন্য শেখ হাসিনাই দায়ী - এই তত্ত্বের অন্যতম প্রধান প্রবক্তা ছিল। তার কথা হাসিনা নিজেই নিজের উপর বোমা ফেলসে। আর এইডা নাকি বুঝা গেসে ঘটনার আল্টিমেট পলিটিকাল বেনিফিশিয়ারি কে ছিল সেইটা এনালাইসিস করে। কারন তা না হলে তো হাসিনা মইর‍্যাই যাইত। যেহেতু বাঁচছে, সেহেতু সেইই দায়ী। এই নিয়া সে সময় কোন একটা জানি ইন্টারনেট গ্রুপে বিশাল প্রবন্ধ ফাদছিল। কত্তবড় হারামী! অথচ এর অনেক ছদ্মবেশী ইসলাম-ঘেঁষা জ্ঞানীগুনী-ভেকধারী ভক্তও আছে।

এছাড়া, মুক্তিযুদ্ধকে সে ভাইয়ে-ভাইয়ে যুদ্ধ ও গৃহযুদ্ধ মনে করে এবং টিভি টকশোতে তা প্রকাশ্যেও বলছে। এটা তো সুস্পষ্ট ভাবে সংবিধানের লংঘন কারন সংবিধান মুক্তিযুদ্ধকে মুক্তিযুদ্ধ হিসাবেই ঘোষনা ও সংগায়িত করে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একজন সচিব কি করে সংবিধান লঙ্ঘন করে (যা কিনা সম্ভবত প্রিয়াম্বলেই আছে) সচিব পদে চাকরি করে ? তার বিরুদ্ধে তো রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করা উচিত।

****************************************

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

শাহ আবদুল হান্নানের ইদানিংকার হালচাল কী?

তানিম এহসান এর ছবি

এইসব নব্য রাজাকারদের তালিকা করার কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় না? ঘৃণা।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।