দেশপ্রেমিক সবারই প্রত্যাশা একটি সুখী সুন্দর বাংলাদেশ। সেজন্য আমাদের অনেকেই ত্যাগ স্বীকার করতেও প্রস্তুত। কিন্তু দেশের এই দুরবস্থা ও পিছিয়ে থাকার জন্য বেশিরভাগ মানুষই দোষ দেন আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর অযোগ্যতাকে।
রাজনৈতিক দল ও নেতৃত্বের যোগ্যতার অভাব বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার ক্ষেত্রে একটি বাধা তা বিদেশী গবেষকরাও বলে থাকেন। স্বাধীনতার পর মাত্র সাড়ে তিন বছর পরে দীর্ঘ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সামরিক শাসনের দেশে নতুন রাজনৈতিক নেতৃত্ব তৈরি হতে পারেনি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সংসদ নির্বাচন বন্ধ ছিল। সামরিক সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় অস্ত্রবাজি ও মাস্তানি ছিল প্রকট। সেসব অস্ত্রবাজদের অনেকে এখন এমপি। তারা জননেতা হতে চেষ্টা করছেন। কিন্তু তাদের চেষ্টা তাদের গোপন লিপ্সাকে ছাড়িয়ে যেতে পারছে না।
সাংস্কৃতিকভাবে আমরা অদৃষ্টবাদী। আমরা মনে করি নেতা আকাশ থেকে পড়বে। নেতা তৈরি করার জন্য সমাজকে সাজানোর কথা আমরা ভাবি না। বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতন্ত্রের চর্চা নেই। পরাজিত নেতারা সরে দাঁড়ায় না। নতুন ও মেধাবী নেতাদের এগিয়ে আসার সুযোগ কম। সব দলেই রাজতন্ত্র গড়ে রাখা। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি এমনকি বিকল্প ধারার মত দলেও নেতার ছেলে মেয়ে, স্বামী-স্ত্রীরা দখল করে আছে পদ ও নাড়াচ্ছে চাবি-কাঠি।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যদি সত্যিকার নেতৃত্বকে লালন না করা হয় তবে আমরা দেশের জন্য কোনো ভালো নেতা পাবো না। আর সেক্ষেত্রে সুখী ও সুন্দর বাংলাদেশের প্রত্যাশা অপূর্ণই রয়ে যাবে।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন