কবি হাসান হাফিজুর রহমান দু:খ করেই বলেছিলেন তোমাদের অভিধানে শহীদ আছে গাজী নেই। তারপর অনেক বছর গত হয়েছে। কিন্তু আমরা এখনও আমাদের জীবিত ব্যক্তিত্বদের যথাযথ সম্মান দেখাতে শিখিনি।
আশা করা হয়ে থাকে মুহাম্মদ ইউনুস তার গ্রামীণ ব্যাংকের জন্য যেকোনো বছর পেয়ে যেতে পারেন নোবেল প্রাইজ। তা যদি তিনি নাও পান দারিদ্র্য দূরীকরণে তার নেতৃত্ব বিশ্বে আজ যথেষ্ট স্বীকৃত। এমনকি আমেরিকান পাঠ্যপুস্তকেও তার নাম উঠে এসেছে।
পরিবেশ বিজ্ঞানের বাইবেল বলা হয় যে বইটিকে তা বের হচ্ছে গত পঁচিশ বছর ধরে। লেখকের নাম টাইলার মিলার জুনিয়র। আর বইটির নাম লিভিং ইন দ্যা এনভায়রনমেন্ট। প্রকাশক স্বনামখ্যাত টমসন/ব্রুকস কোল কোম্পানী। বিশ্ববিদ্যালয়ে টেকস্ট বই হিসেবে এটি আমাকে ব্যবহার করতে হয়। সেই বইতে দারিদ্র্য দূরীকরণে মৌলিক চিন্তা ভাবনার কথা বলতে গিয়ে উদাহরণ টানা হয়েছে গ্রামীণ ব্যাংকের। আর বর্ণনা দেয়া হয়েছে মুহাম্মদ ইউনুসের কার্যপরিধি আর কষ্টসংকুল পথযাত্রার।
কিকরে পৃথিবীর পরিবেশ সমস্যার সমাধান করা যায় তার উদাহরণ হিসেবে গ্রামীণ ব্যাংকের দারিদ্র্য দূরীকরনের পদ্ধতি নিয়ে আলাদা একটি আধা পৃষ্ঠার বক্স সাজিয়েছেন লেখক/প্রকাশক। তাতে ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে গ্রামীণ ব্যাংকের। সবশেষে জানানো হয়েছে গ্রামীণ ব্যাংকের এই মডেল আরো 58টি দেশে অনুসরণ করা হয়েছে এবং এ থেকে উপকার পাচ্ছে 36 মিলিয়ন লোক।
আমাদের দেশের পাঠ্যপুস্তকে মুহাম্মদ ইউনুস ও গ্রামীণ ব্যাংক কি স্থান পেয়েছে। জাতির ভবিষ্যতদেরকে কি তাদের জাতির শ্রেষ্ঠ মানুষদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে টেকস্ট বুক বোর্ড?
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন