কৈশোরের সব ভালো লাগার সময়ে কবিতাই ছিল বসত বাটি। কবিরাই ছিলেন আদর্শ। রাতভর কবিতা আবৃত্তিই ছিল একমাত্র ইবাদত।
তারপর বাস্তবতার চাপে, আর বিদেশের ইঁদুর দৌড়ের প্রতিযোগিতায় নেমে মানসিক উৎকর্ষতার শেকড়ে আর জল পড়ে না। হাতের কাছে কোনো কবিতার বইও নেই। আবৃত্তি করার কথা মনেও আসে না।
কাওসার আহমেদ চৌধুরীর লেখা গানটি বরং শোনা হয়ে যায় কোনো না কোনো বাঙালি আস্তানায়: কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে রাতের নির্জনে। জোনাকীর আলো নেভে আর জ্বলে শাল মহুয়ার বনে।
কিন্তু এখানে এই নির্জন বিদেশ ভূমিতে শীতার্ত ঠিকানায় কবিতা পড়ার প্রহর আসে না। সে প্রহর ক্লান্তি জনিত নিদ্রায় পার হয়ে যায়।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন