লন্ডনের স্কাইলাইন খুব সুন্দর। বিচিত্র ডিজাইনের বিলিডং একে দিয়েছে বহুমাত্রিকতা। আছে সেন্ট পলস গির্জার মতো সুদৃশ্য গম্বুজ ওয়ালা ভবন। বিগবেনের মত ঘড়িওয়ালা লম্বা সোনালী রংয়ের কারুকাজ করা দালান। আছে লন্ডন আই। বিশাল গোল এক বৃত্ত। যার ছোট ছোট ঝুলন্ত ডিমগুলোতে চড়ে ঘুরে ঘুরে দেখা যায় পুরো লন্ডন। এসব ভবনের মধ্যে নতুন সংযোজন হচ্ছে ঘেরকিন। সম্পূর্ণ কাঁচ দিয়ে বানানো নতুন এই ডিজাইনের ভবন পৃথিবীতে অদ্্বিতীয়। কিরকম আকার এই ভবনের? কারো কাছে মনে হয় এটি আনারসের মত। বাচ্চারা আনারস আঁকতে গেলে এরকম ঘর কাটে কাগজে। তামাকসেবীদের কাছে এটি একটি বড় সিগারেট। তবুও বেশিরভাগ লোকের কাছে এটি পরিচিত ঘেরকিন বলে। এই শব্দটির সাথে আমরা পরিচিত নয়। ঘেরকিন মূলত: ক্ষিরা সাইজের শসা। সুপারমার্কেটে বয়মের ভেতর তেলে ভেজানো আচার হিসেবে পাওয়া যায়। কিন্তু আমাদের কাছে ঘেরকিন শব্দটি খুব একটা সহজ ঠেকে না। তো বাঙালকে এই অস্বস্তি থেকে বাঁচাতে এগিয়ে এলো রম্য ও সেলিম। তারা এই ভবনের নাম করেছে নুনু বিলিডং। খুবই যুৎসই নাম। সব বাঙালির কাছেই সহজ সমাদর পায় নামটি। আমারও ভালো লাগে। ব্রিটিশরা যখন বাংলাদেশে যায় তখন প্রতিটি জায়গার নাম তারা বিকৃত করেছে। এখনও তারা বাংলাদেশকে বলে বেনগ্লাদেশ। তাই গ্রাম থেকে আসা বাঙালরা যখন ব্রিটেনের কোনো কিছুর বাঙাল নামকরণ করে তখন ভালোই লাগে। যেমন বার্মিংহামকে এখানে বাঙালরা বলে বর্মিগ্রাম। সে হিসেবে ঘেরকিনের নাম নুনু বিলিডং খারাপ না।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন