অনেকে বিতর্কে জড়িয়েছেন মুহাম্মদ (দ:) এর ছবি নিয়ে। তাদের ধারণা মুহাম্মদের ছবি নেই একারণে যে তার ছবি থাকলে তার ছবি রাখা হলে মানুষ মূর্তি বানিয়ে পূজা করতো। তাদের জন্য জানিয়ে রাখি আরবে যে কয়টা ধর্ম আছে তার কোনোটাতেই মানুষের মূর্তিকে পূজা করা হয় না। যিশু, মসিহ বা অন্য কোনো মানুষের প্রতিরুপকে পূজার চর্চা সেখানে ছিল না। কল্পিত দেবদেবীর মূর্তি বানিয়ে পূজা করতো মানুষ। যার যা বিশ্বাস।
মানবজাতি ক্রমশ: বুদ্ধিমান হচ্ছে। সেইসাথে ধর্মে তাদের আস্থা হারাচ্ছে, অথবা বলা যায় ধর্মীয় অনুশাসন না মেনেই জীবন কাটাতে পারছে স্বাচ্ছন্দ্যে। ধর্মই বরং এখন জীবনের অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছে না। সুতরাং সেই মানবজাতির পিছিয়ে গিয়ে বাড়তি একটা পূজা করার মত বিড়ম্বনায় জড়ানো আশংকা করাটা নিবর্ুদ্ধিতার পরিচায়ক।
মূল সমস্যা হলো মুহাম্মদের (দ:) ছবি মানুষ পাবে কোথায়। ইসলাম ছবি ও মূর্তির বিরুদ্ধে ছিল। তবে রোমান সম্রাটের পাঠানো এক চিত্রকর সম্রাটকে গিয়ে মুহাম্মদ (দ:) কেমন ছিলেন তা একটি ছবি একে দেখিয়েছিলেন। সেই ছবির অনুলিপি পৃথিবীর অনেক যাদুঘরে আছে। কিছুদিন আগে ব্রিটেনে কয়েকটি পত্রিকায় একটি সেরকম চিত্র ছাপা হয়েছিল। কিন্তু সেতো ফটোগ্রাফ নয়। শিল্পীর আঁকা প্রতিকৃতি। তা দেখলেই কি মুসলমানরা হঠাৎ করে ঝাঁপিয়ে পড়বেন সেজদা দিতে?
বিষয়টি মোটেই এরকম নয়।
এই ব্লগে আমি মুহাম্মদের (দ:) ছবি সংযুক্ত করে দিলাম। দেখি সে ছবি দেখে ক'জন মুসলমানের সেজদা দেয়ার ইচ্ছে হয়? প্রমাণ হয়ে যাক কাদের ধারণা বা অনুমান বাস্তবের কাছাাকছি।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন