শান্তি কে না চায়? শান্তিচেয়েও অনেকে যুদ্ধ করতে যায়। তাদের মতে শান্তিআনতে এখন যেতে হবে যুদ্ধে। আরেকটি যুদ্ধ আবার ফিরিয়ে আনতে পারে শান্তি।
পশ্চিমা বিশ্ব এখন নির্বাচনের জুজু দেখছে। ইরান, বলিভিয়ায় নির্বাচনে পশ্চিমা-বিরোধী শক্তির জয়ের পর আরেক অনাকাঙ্খিত জয় প্যালেস্টাইনে, হামাসের। সবাই এখন মর্ম খুঁজে বেড়াচ্ছেন এই বিজয়ের।
তবে কি প্যালেস্টাইনিরা শান্তি চায় না? ইয়াসির আরাফাতের মৃতু্য কি তাহলে আরো অস্থিরতা ডেকে আনলো? কেনো হামাসের মতো জঙ্গি সংগঠনকে বেছে নিলো প্যালেস্টাইনিরা? হামাস কি ইসরাইলের সাথে শান্তি আলোচনায় আসবে। শ্যারন নেই, আরাফাত নেই; পৃথিবীর মধ্যস্থল মধ্যপ্রাচ্যের শান্তির ভবিষ্যত এখন বড়ই অনিশ্চিত।
ইসরাইলে এখন ব্যবসা-পাতি জমে উঠেছে। বোমা-বাজি, গোলাগুলি কমে আসায় পর্যটন ব্যবসাও জমজমাট। এজন্য ইসরাইলি সরকার অর্থও ব্যয় করছে প্রচুর। দেশবাসী সবাই শান্তির পক্ষে। কিন্তু বল এখন হামাসের কোর্টে।
এখানেই জনগণের ভোটের শক্তির পরিচয়। হামাস হয়তো উগ্রবাদী। কিন্তু প্যালেস্টাইনের শান্তির ক্ষেত্রে তারাই রাখতে পারে কার্যকর ভূমিকা। তাদের কারণেই পাল্লা এখন ঝুঁকছে প্যালেস্টাইনের দিকে। শক্তির বাহাদুরি না থাকলে প্রতিবেশিরা শান্তিতে থাকতে দেয় না। শান্তি আসে না কোনো অঞ্চলে। হামাসের বিজয় তাই যতটাই আশংকার ততটাই সম্ভাবনার। আশংকা দর কষাকষিতে ইসরাইলকে অনেক ছাড় দিতে হবে। সম্ভাবনা, প্যালেস্টাইনের জন্য হামাস ছিনিয়ে আনতে পারবে অনেক প্রতীক্ষিত মুক্তির সুবাতাস।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন