গণতন্ত্রকাফিরদের মতবাদ। আর ইসলামের মতবাদ হচ্ছে খিলাফত। একথা আমার নয় বলছে হিজবুত তাহেরি বা খিলাফায়ে ইসলাম নামের সংগঠনগুলো। বিলেতে এসব সংগঠনরা স্যোশাল সিকিউরিটির পয়সা খেয়ে ইসলাম কায়েম করছে। যদিও সৌদিআরবে এসব সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ। পৃথিবীর 20টি দেশে এসব সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হলেও বাংলাদেশে তারা দিব্যি জনগণকে বিভ্রান্ত করে যাচ্ছে। খবর দিয়েছে প্রথম আলো।
ব্রিটেনে নির্বাচনের সময় তারা রাস্তায় পোস্টার লাগায়। সেসব পোস্টারে লেখা থাকে ভোট দেয়া মুসলমানদের জন্য হারাম। বাংলাদেশেও তারা তাদের এই একই নীতিকে অনুসরণ করছে। সুতরাং তারা নির্বাচন পদ্ধতি, সরকার, সংবিধান কিছুই মানে না। শুধু জিহাদই হচ্ছে তাদের একমাত্র কর্মসূচি।
কিন্তু পৃথিবীর অধিকাংশ বিষয়ই তো কাফিরদের আবিষ্কার। এই যেমন ইন্টারনেট, এ্যারোপ্লেন, কম্পিউটার, ছাপাখানা, মোটর গাড়ি, টেলিভিশন ইত্যাদি। জ্ঞানের বহুশাখাই তথাকথিত কাফিরদের অবদান। স্পেনের পতনের পর মুসলমানরা যে অন্ধকার গহবরে ঢুকেছিল তা থেকে আর বেরুতে পারেনি। কারণ হিজবুত তাহেরির মত গোষ্ঠীর বিভ্রান্তকারী প্রচারণা।
খিলাফত ইসলামে ছিল প্রায় ত্রিশ বছর। তারপর একে ধরে রাখা যায়নি। এখন সে পরিস্থিতিও নেই। আর খিলাফত যদি শুরু করতে হয় তবে তা শুরু করতে হবে মক্কা মানে সৌদি আরব থেকে। সেখানে তো হিজবুত তাহিরি পা-ও রাখতে পারবে না। সৌদি বাদশারা পেঁদিয়ে আস্ত রাখবে না।
গণতন্ত্র যদি কাফিরদের মতবাদ হয় তবে ক্যানসার রোগের চিকিৎসাও কাফিরদের মতবাদ। কৃষির নানা আবিষ্কারও কাফিরদের ভাবনা। এই কাফির কাফির বলে গালাগালি থেকে এসব মূর্খরা কবে বের হয়ে আসবে? হা ঈশ্বর! খেলিছো এ বিশ্ব লয়ে.........................
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন