ব্লগ মন্তব্য -১: জঙ্গিবাদের উত্থানে মুসলিম-বিশ্বের লাভ-ক্ষতি

হীরক লস্কর এর ছবি
লিখেছেন হীরক লস্কর (তারিখ: শুক্র, ১৭/০২/২০০৬ - ৬:৫৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


9/11 ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের জন্য নিয়ে এসেছে এক অদ্ভুত বিড়ম্বনা। বিশ্ব জুড়ে বিমানবন্দর বা উড়োজাহাজে আরবী নামের বা মুসলমানদের ওপর এখন থাকে সতর্কতার অতিরিক্ত একজোড়া চোখ।ল্লন্ডনে জুলাই 7 এর বোমাবাজি পালেট দিয়েছে এখানকার পরিবেশ। ব্যাক প্যাক কাঁধে টিউবে কেউ চড়লেই যাত্রীরা ভয়ে ভয়ে তাকে পর্যবেক্ষণে রাখে। তার গায়ের রং একটু তামাটে হলেই হলো।

এতো গেল সার্বিক পরিস্থিতিতে মানুষের প্রতি মানুষের অবিশ্বাস বৃদ্ধির খন্ডচিত্র। এসব ঘটনায় বিশেষভাবে রং পড়েছে মুসলিমদের ওপর। কারণ এই সব ক'টি ঘটনার সাথে জড়িত ছিল মুসলিমরা। যারা নিজেরা আত্মহত্যা করেছে তাদের ভাষায় প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে। কেউ কেউ দাবী করছেন এটি তাদের জিহাদের অংশ। যা চলছে এবং ইসলামের বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত চলবে।

সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটিয়েছে পশ্চিমা বিশ্ব। তারা ইসলামের মহাপুরুষের ব্যঙ্গচিত্র এঁকে উসকে দিয়েছে মুসলিমদেরকে। এবার শুধু জঙ্গিরা নয়। প্রতিবাদ করেছেন সর্বস্তরের মুসলমানরা। এসব প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে অনেকে ফাঁসি চেয়েছেন কাটর্ুনিস্টের, অনেকে হত্যার ঘোষণা দিয়েছেন প্রকাশককে। আর সুযোগটা নিয়েছে পশ্চিমা বিশ্বের সুযোগ-সন্ধানীরা। এই শেষ ঘটনায় সহানুভূতি পাওয়ার কথা মুসলিমদের। কারণ ব্যঙ্গচিত্র একে নিশ্চয়ই নির্মম আঘাত করা হয়েছে তাদের বিশ্বাসে। কিন্তুউলেটা এখন পশ্চিমা মিডিয়া তীর ছুঁড়ছে প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে। তাদের বক্তব্য প্রতিবাদের ভঙ্গি অগণতান্ত্রিক।

মোদ্দাকথা, বিশ্বে মুসলিমদের ইমেজ এখন বেশ সংকুল একটা পরিস্থিতি পার করছে। অন্যদিকে পশ্চিমাদের পাতা ফাঁদে পড়ছে তারা যখনই প্রতিবাদ করতে যাচ্ছে তারা। সুতরাং আমার বিবেচনায় এখন সময় এসেছে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার। এক, জঙ্গিবাদ ও উগ্র প্রতিবাদ থেকে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের শেষ পর্যন্ত কি লাভ হলো, কি ক্ষতি হলো? দুই, কি ধরনের কৌশল ব্যবহার করা উচিত তাদের, ইমেজ পুনরুদ্ধারের উদ্দেশ্যে।

ব্লগের মন্তব্যের কলামকে আমরা ব্যবহার করতে পারি মতামত প্রকাশের জন্য। প্রথম দফায় আপনাদের মতামত জানতে চাই জঙ্গিবাদের উত্থানে মুসলিমদের কী লাভ বা কী ক্ষতি হলো এই বিষয়ে।


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।