যারা ধনী হতে চায়, তারা ধনী মানুষদের আশে পাশে ঘোরাঘুরি করে। সুযোগের অপেক্ষা করে। কিন্তুযদিও বাংলাদেশের তিনদিক ঘিরে আছে ভারত, তা নি েয় বাংলাদেশের উদ্্বিগ্নতার শেষ নেই। বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, সংস্কৃতি সবই গেছে ভারতের পরোক্ষ প্রভাব বলয়ের নীচে। অবাক হবো না যেদিন দেখবে ভারতীয় রুপি দিয়ে বাংলাদেশে সওদাপাতি কেনা যাবে। যেমনটি নেপালে হয়।
একমাত্র আশা ছিলো, সেভেন সিস্টারস। পূবদিকের এই সাতটি ভারতীয় প্রদেশের সাথে মূল ভূখন্ডের অর্থনীতিক যোগাযোগ বেশ ব্যয়বহুল। সেখানে বাংলাদেশের পণ্য, মায় কি কবিতার বইও বিক্রি হয়। কিন্তু সে সুযোগের পূর্ণ সদ্্ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও এগিয়ে আসছেনা বণিক গোষ্ঠী।
মাছ থেকে শুরু করে মোটরগাড়ি কি না আমরা কিনছি ভারত থেকে। আমাদের দেশে এত ক্রেতা আর তাদের এত ক্রয় ক্ষমতা। কিন্তু উৎপাদনের এত ঘাটতি কেন? রপ্তানী কি করবো আমরা তো অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর মত উৎপাদনই করতে পারছি না। আর ভারতীয় জিনিস বাংলাদেশে এনে বেচতে আমাদের বণিকসমাজের যত আগ্রহ, উৎপাদন ও রপ্তানীতে ততটাই নিরুৎসাহ তারা।
নতুন প্রজন্ম কী ভাবছে? সম্মিলিতভাবে আমরা কি একটা বিশেষ পণ্যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে পারি না। যেমন সুইজারল্যান্ড ঘড়িতে। কিংবা ফ্রানস পারফিউমে। গার্মেন্টস কি দিতে পারে সেরকম একটা সুযোগ আমাদের?
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন