নিজে কী দেখলাম এ দেশে তার চেয়ে বেশি জানতে ইচ্ছে করে প্রথম আসা লস্করদের কথা। সে সময় কি আর পাই।
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর জাহাজে লস্করের কাজ নিয়ে অনেকেই এসে থেকে গেছে সাদাদের ভূখন্ডে। জাহাজের পরিশ্রম আর নির্যাতনের কথা ভেবে অনেকে আর ফেরত যাওয়ার কথা চিন্তাও করেনি। এভাবে নেপোলিয়ানের সময় পর্যন্ত হাজার খানেক লস্কররা বিলেতে থাকতো বলে জানা যায়। কিন্তু তারা থাকতো খুবই মানবেতরভাবে। অনেক জাহাজ কোম্পানি কাউকে কাউকে এখানে ফেলে যেতো বেতন ও পারিশ্রমিক না দিয়ে।
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর 1782 সালের দলিল দস্তাবেজ থেকে দেখা যায় যে অনেক লস্কর তাদের কাছে এসে ত্রাণ বা রিলিফের জন্য আবেদন করেছে। ধীরে ধীরে 1795 থেকে ওয়াপিং, শেডওয়েল ও শোরডিচে লস্করদের জন্য হোস্টেল বানানো হয়েছিল।
লস্করদের জীবন ছিল খুবই কঠিন ও দারিদ্র্যের সাথে লড়াই করেই তারা জীবন কাটাচ্ছিল। তাদের অনেকেরই মাথার উপর ছাদ ছিল না। অনেকেই রাস্তায় বসবাস করতো, যেভাবে এখনও আমাদের দেশে লাখ লাখ লোক রাস্তায় সংসার পাতে। সবচে' নির্মম যে ঘটনার কথা ইতিহাসে লেখা আছে তা হলো 1850 এর শীতকালের কথা। প্রায় 40 জন লস্করকে লন্ডনের বিভিন্ন রাস্তায় পাওয়া গেছিলো ক্ষুধায় ও ঠান্ডায় মরে পড়ে থাকতে।
সেইসব পূর্বপুরুষদের কথা ভেবে কি ভীষণ কষ্ট হয়। বিদেশে থাকার কষ্ট আমাকেও পায়। কিন্তুযারা প্রথম এসেছিলো তাদের সে কষ্ট কোনোদিনও অনুভব করতে পারবো না তাদের মত করে।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন