খ্রিস্টানরাও একসময় যিশু খ্রীস্টের ছবি আঁকা এড়িয়ে চলতো। সুতরাং 350 খ্রিস্টাব্দের আগের কোনো ছবি নে ই যিশুর। কিন্তু পরবর্তীকালে যিশুর ছবি নিয়ে খ্রিস্টানদের মধ্যে নানা রকম আগ্রহ দেখা গেছে। বিভিন্ন শিল্পী বিভিন্ন রূপে যিশুকে এঁকেছেন। এসব ছবি নিয়ে খ্রিস্টানরা খুব একটা বিব্রত হয় না।
বরং অনেক খ্রিস্টধর্মী প্রচারকারী সংগঠন তরুণদেরকে প্রতিযোগিতায় বসিয়ে দেয় যে কোন ছবিটি তাদের কাছে বেশি সঠিক মনে হয়। তাদের পরিচালিত পরিসংখ্যানে দেখা গেছে 1977 সালের ছবি যিসাস অব নাজারেথের অভিনেতাকেই তারা যিশুর সত্যিকার রূপ হিসেবে গ্রহণ করতে চান।
ক্যারিবিয়ানরা অবশ্য যিশুর গায়ের রং সাদা মানতে নারাজ। তারা মনে করেন এতে যিশুকে সীমাবদ্ধ করে ফেলা হয়। যিশুতো আর শুধু সাদাদের আর ইউরোপের নয়।
যিশুদেখতে কেমন ছিলেন তা নিয়ে বিবিসি একটি অনুষ্ঠান প্রচার করেছিলো 2001 এর ইস্টারে। তো সব বৈজ্ঞানিক তথ্যের ভিত্তিতে তারাও একটি ছবি তৈরি করে যিশুর। সে যিশুর চুল কালো কোঁকড়ানো ও গায়ের রং জলপাই। যেরকম হওয়ার কথা ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের মানুষের।
যিশুকে কল্পনা করা হয়েছে ভারতীয় গুরুর ঢংয়ে। চে' গুয়েভারার আদলে। আঁকা হয়েছে বারকোড যিশু, কালো যিশু, হাস্যোজ্জ্বল যিশু।
গত বড়দিনের আগে (2005) আমরা লন্ডনের রাস্তায় রাস্তায় দেখেছি লাল রংয়ের এক পোস্টার। শিশু যিশুর যেরকম ছবি আমরা দেখে থাকি তার চেয়ে এ ছিল আলাদা। লাল রংয়ের শিশু যিশু এখানে বিপ্লবের দূত। ডাক দিচ্ছেন চার্চের দিকে।
[যিশু যেখানেই থাকুন না কেন, শিশুদের আর মন নেই সেদিকে। কি আর করা?]
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন